আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل: إيراد ما بقي علينا من متعلقات السيرة الشريفة

كتاب الشمائل

باب ما ورد في حسنه الباهر بعدما تقدم من حسبه الطاهر
পৃষ্ঠা - ৪৫২৩

কিতাবুশ শামাইল : রাসুল (না)-এর দেহাবয়ব ও পবিত্র স্বভাব

অতীতে এবং সাম্প্রতিককালে লেখক-সংকলকগণ এ বিষয়ে বহু স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত গ্রন্থ রচনা
করেছেন ৷ এ সংক্রান্ত সর্বোত্তম, সর্বোৎকৃষ্ট ও সর্বাধিক উপযোগিতা সম্পন্ন গ্রন্থখানি হল আবু
ঈসা মুহাম্মাদ ইবন ঈসা ইবন সাওরা আৎ তিরমিযী (র)-এর ৷ এ: বিষয়ে তিনি তার
আশশামাইল’ নামক প্রসিদ্ধ কিতাব স্বতন্ত্রভাবে সংকলন করেছেন ৷ আর আমাদের কাছে তার
অবিচ্ছিন্ন সনদ বা সংগ্রহসুত্র বিদ্যমান রয়েছে ৷ এখানে আমরা শামাইলে তার সংকলিত
বিবরণের মুখ্য অংশ উল্লেখ করছি ৷ উপরন্তু এমন কিছু অতিরিক্ত বিষয় আলোচনা করব, হাদীস
ও ফিকাহবিদগণ যার অভাব বোধ না করে পারেন না ৷ প্রথমে আমরা তার চোখ র্ধাধানো
সৌন্দর্যের আলোচনা করব ৷ তারপর তার বিশদ বিবরণ উপস্থাপন করব ৷ আর এই মুহুর্তে
আমাদের বক্তব্য হল (সহায়রুপে) আল্লাহ্ই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম
কর্মবি ধায়ক ৷

নবী করীম (সা)শ্এর দীপ্তিময় ও অনুপম সৌন্দর্যের বিবরণ

ইমাম বুখারী (র) আহমদ বিন সাঈদ আবু আবদুল্লাহ সুত্রে আবু ইসহাকের বরাতে
উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি বারা ইবন আযিব (রা)-কে বলতে শুনেছি, নবী
করীম (সা) লোকদের মাঝে সুন্দরতম চেহারা ও সর্বোত্তম স্বভাবের অধিকারী ছিলেন ৷ অতি
দীর্ঘকায়ও নন কিৎবা খর্বাকৃতিও নন ৷ আবু কুরায়ব সুত্রে ইমাম মুসলিমও এরুপই বর্ণনা
করেছেন ৷ এছাড়া বুথারী (র) জাফর ইবন উমরের সুত্রে বারা ইবন আযিব (রা) থেকে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) ছিলেন মধ্যম আকৃতির, তার ইে কাধের মধ্যে বেশ
ব্যবধান ছিল ৷ তার কেশ তার উভয় কানের লতি পর্যন্ত পৌছে থাকত ৷ আমি তাকে লাল বর্ণের
জোড়া পােশাকে দেখেছি ৷ তার চাইতে অধিকতর সুন্দর কিছু আমি কখনো দেখিনি ৷ এ
রিওয়ায়াতে য়ুসুফ ইবন আবু ইসহাক তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তার চুল পৌছত তার
উভয় র্কাধ পর্যন্ত ৷ ইমাম আহমদ ওয়াকী সুত্রে হযরত ধারা থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, লাল জোড়া পােশাকেরাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চেয়ে সুদর্শন কোন বাবরি চুলবিশিষ্ট লোক
আমি দেখিনি ৷ তার মাথার চুল উভয় র্কাধ্ স্পর্শ করত আর তার উভয় কাধের মধ্যে বেশ
ব্যবধান ছিল ৷ তিনি দীর্ঘকায় নন, বেটেও নন ৷ আর ইমাম মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও
নাসাঈ ওকী বর্ণিত হাদীস থেকে এ সনদে তা রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ আসওদ
ইবন আমির আবুইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি হযরত বারা (রা)-কে বলতে
শুনেছি, আল্লাহর সৃষ্টিকুলে লাল জোড়া পােশাকে আমি আল্লাহর রাসুলের চাইতে অধিকতর
সুন্দর কাউকে দেখিনি ৷ আর তার বাবরি চুল তার উভয় র্কাধ স্পর্শ করত ৷ ইয়াহ্য়া ইবন আবু
বুকায়র বলেন, তীর উভয় কাধের কাছাকাছি পৌছত ৷ ইবন ইসহড়াক বলেন, আমি তাকে
বারংবার এ হাদীস রিওয়ায়াত করতে শুনেছি ৷ যখনই তিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করতেন তখনই
তিনি হাসতেন ৷ আর বুখারী এই হাদীসটি ইসরইিল সুত্রে পরিচ্ছদ’ অধ্যায়ে, তিরমিযী
শামইিল’ অধ্যায়ে এবং নাসাঈ সাজসজ্জা’ অধ্যায়ে ৷


كِتَابُ الشَّمَائِلِ شَمَائِلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيَانُ خَلْقِهِ الظَّاهِرِ وَخُلُقِهِ الطَّاهِرِ قَدْ صَنَّفَ النَّاسُ فِي هَذَا، قَدِيمًا وَحَدِيثًا، كُتُبًا كَثِيرَةً مُفْرَدَةً وَغَيْرَ مُفْرَدَةٍ، وَمِنْ أَحْسَنِ مَنْ جَمَعَ فِي ذَلِكَ فَأَجَادَ وَأَفَادَ الْإِمَامُ أَبُو عِيسَى مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنِ سَوْرَةَ التِّرْمِذِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، أَفْرَدَ فِي هَذَا الْمَعْنَى كِتَابَهُ الْمَشْهُورَ " بِالشَّمَائِلِ "، وَلَنَا بِهِ سَمَاعٌ مُتَّصِلٌ إِلَيْهِ، وَنَحْنُ نُورِدُ عُيُونَ مَا أَوْرَدَهُ فِيهِ، وَنَزِيدُ عَلَيْهِ أَشْيَاءَ مُهِمَّةً لَا يَسْتَغْنِي عَنْهَا الْمُحَدِّثُ وَالْفَقِيهُ، وَلْنَذْكُرْ أَوَّلًا بَيَانَ حُسْنِهِ الْبَاهِرِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَجَمَالِهِ الْجَمِيلِ، ثُمَّ نَشْرَعُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي إِيرَادِ الْجُمَلِ وَالتَّفَاصِيلِ، فَنَقُولُ، وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ وَهُوَ حَسْبُنَا وَنِعْمَ الْوَكِيلُ: [بَابُ مَا وَرَدَ فِي حُسْنِهِ الْبَاهِرِ بَعْدَمَا تَقَدَّمَ مِنْ حَسَبِهِ الطَّاهِرِ] قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ
পৃষ্ঠা - ৪৫২৪
يَقُولُ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ النَّاسِ وَجْهًا، وَأَحْسَنَهُ خَلْقًا، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ الْبَائِنِ، وَلَا بِالْقَصِيرِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ مَنْصُورٍ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرْبُوعًا، بَعِيدَ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، لَهُ شَعْرٌ يَبْلُغُ شَحْمَةَ أُذُنَيْهِ، رَأَيْتُهُ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ، لَمْ أَرَ شَيْئًا قَطُّ أَحْسَنَ مِنْهُ» . قَالَ يُوسُفُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ: إِلَى مَنْكِبَيْهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: «مَا رَأَيْتُ مِنْ ذِي لَمَّةٍ أَحْسَنَ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَهُ شَعْرٌ يَضْرِبُ مَنْكِبَيْهِ، بِعِيدُ مَا بَيْنَ الْمَنْكِبَيْنِ، لَيْسَ بِالطَّوِيلِ وَلَا بِالْقَصِيرِ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، أَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، (ح) وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: سَمِعْتُ الْبَرَاءَ
পৃষ্ঠা - ৪৫২৫

বুখারী আবু নুআয়ম আবু ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন ৷ বারা ইবন
আযিবকে জিজ্ঞেস করা হল, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মুখমণ্ডল কি তরবারির মত ছিল? তিনি
বললেন, না, বরং চান্দ্রর মত ৷ আর ইমাম তিরমিযী তা রিওয়ায়াত করেছেন যুহায়র ইবন
মুআবিয়া আল কুফী বারা ইবন আযিব সুত্রে এই সনদে ৷ তারপর তিনি মন্তব্য
করেছেন, এটি হাসান-সহীহ হাদীস ৷ হাফিয আবু বকর আড়াল-বায়হাকী আদ্-দালাইল’ গ্রন্থে
আবুল হাসান ইবন ফযল সাম্মাক সনদে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সাম্মাক) জাবির ইবন
সামুরাকে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করতে শুনেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মুখমণ্ডল কি তরবারির
ন্যায় (লম্বাটে) ছিল? তিনি বললেন, না; বরং চন্দ্র সুর্যের ন্যায় গোলাকার ছিল ৷ মুসলিমও আবু
বকর ইবন আবু শায়বা সামুরা সুত্রে উল্লেখিত ৩সনদে হাদীসখানি বর্ণনা করেছেন ৷ আবদুর
রাজ্জাক সুত্রে সাম্মাকের বরাতে ইমাম আহমদ৩ তা বিশদভাবে বংনাি করেছেন যে তিনি
(সাম্মাক) জাবির ইবন সামুরা (রা) কে বলতে শুনেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মাথার চুলের
এবং দাড়ির অগ্নভাগে পাক ধরে ছিল ৷ যখন তিনি তেল মেখে তা আচড়ে নিতেন তখন আর
তা প্রকাশ পেত না ৷ তবে এলােমেলে৷ হলে তা প্রকাশ পেতে৷ ৷ তিনি ছিলেন ঘন চুল ও দাড়ির
অধিকারী ৷ তখন এক ব্যক্তি প্রশ্ন করল, তার মুখমণ্ডল কি তরবারির ম৩ ৩? তিনি বললেন, না,
বরং চন্দ্র সুর্যের ন্যায় গোলাকার ৷ তিনি বলেন, আমি তার কাধের কাছে নুবুওয়াতের মোহর
দেখতে পেলাম, যা ছিল কবু৩ তরের ডিম আকৃতির এবং তার গাত্রবর্ণের সদৃশ ৷

হাফিয বায়হাকী ফকীহ আবৃত তাহির জাবির ইবন সামুরা সুত্রে বণ্টা৷ করেন যে,
তিনি বলেছেন, কোন এক মেঘমুক্ত নির্মল র্চাদনী রাতে লাল বর্ণের জোড়া পােশোকে আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ণ্ক দেখলাম ৷ তখন আমি (৩ আর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে) একবার তার দিকে
একবার চাদের দিকে তাকাতে লাগলাম, আর আমার কাছে তাকে চাদের চাইতেও সুন্দরতর
মনে হচ্ছিল ৷ তিরমিযী ও নাসাঈ উভয়ে হাদীসখানি হান্নাদ ইবন সারী আশআছ সুত্রে
এভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ এরপর নাসাঈ মন্তব্য করেছেন, আশআছ দুর্বল রাবী, তিনি বিভ্রমের
শিকার হয়েছেন ৷ সাঠিক সনদ হল আবুইসহাক বর্ণনা করেছেন ধারা থেকে ৷ তিরমিযী বলেন,
এই হাদীসটি হাসান’ স্তরের ৷ আশআছ ইবন সাওয়ার ব্যতীত আমাদের এই হাদীসের কোন
সুত্র জানা নেই ৷ আমি মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল অর্থাৎ ইমাম বুখারীকে জিজ্ঞেস করলাম, হযরত
বারার বরাতে আবুইসহাকের হাদীসটি বিশুদ্ধ৩ র, নাকি হযরত ৩জাবিরের বরাতে? তখন তিনি
উভয় হাদীসকে বিশুদ্ধ বলে মত দিলেন ৷ আর সহীহ বুখারীতে কাব ইবন মালিক (রা) সুত্রে
তাওবা স ক্রাম্ভ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি (কা ব) বলেন, আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন
আনন্দিত হতেন তখন তীর মুখমণ্ডল এমন উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় হত, যেন তা চাদের টুকরো ৷
ইতিপুর্বে পুর্ণ হাদীস উল্লেখিত ৩হয়েছে ৷ য়া কুব ইবন সুফিয়ান আবু ইসহাক হামাদানীর
বরাতে আর তিনি জনৈকা হামাদানী মহিলার বরাতে যার নাম আবুইসহাক উল্লেখ করেছেন,
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে হজ্জ পালন করেছি ৷ আমি তাকে
দেখলাম, তিনি নিজের একটি উটে আরোহণ করে কাবাঘর তাওয়াফ করছেন, তার হাতে
রয়েছে একটি বাক্য লাঠি আর তার পরণে দু ’খানি লাল চাদর, লাঠিটি (উচ্চতায়) তার র্কাধ্
ছুই ছুই করছিল ৷ তিনি যখন হ৷ জারে আসওয়াদ অতিক্রম করছিলেন, তখন লাঠি দ্বারাত
স্পর্শ করছিলেন ৷ এরপর লাঠিটি উচিয়ে নিজের দিকে টেনে নিয়ে তাতে চু মু খাচ্ছিলেন ৷


يَقُولُ: «مَا رَأَيْتُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِ اللَّهِ أَحْسَنَ فِي حُلَّةٍ حَمْرَاءَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَإِنَّ جُمَّتَهُ لَتَضْرِبُ إِلَى مَنْكِبَيْهِ» . قَالَ ابْنُ أَبِي بُكَيْرٍ: لَتَضْرِبُ قَرِيبًا مِنْ مَنْكِبَيْهِ. قَالَ - يَعْنِي أَبَا إِسْحَاقَ -: وَقَدْ سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ بِهِ مِرَارًا مَا حَدَّثَ بِهِ قَطُّ إِلَّا ضَحِكَ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي اللِّبَاسِ، وَالتِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ "، وَالنَّسَائِيُّ فِي الزِّينَةِ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: سُئِلَ الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ «أَكَانَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ السَّيْفِ؟ قَالَ: لَا، بَلْ مِثْلَ الْقَمَرِ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ زُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْجُعْفِيِّ الْكُوفِيِّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، وَاسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْكُوفِيُّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ بِهِ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ فِي " الدَّلَائِلِ ": أَخْبَرْنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ الْقَطَّانُ بِبَغْدَادَ، أَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ دَرَسْتَوَيْهِ، ثَنَا أَبُو يُوسُفَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ وَعُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: «أَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجْهُهُ مِثْلَ السَّيْفِ؟ قَالَ جَابِرٌ:
পৃষ্ঠা - ৪৫২৬
لَا، بَلْ مِثْلَ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ مُسْتَدِيرًا» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مُطَوَّلًا، فَقَالَ: ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ سِمَاكٍ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ يَقُولُ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ شَمِطَ مُقَدَّمُ رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ، فَإِذَا ادَّهَنَ وَمَشَّطَهُنَّ لَمْ يَتَبَيَّنْ، وَإِذَا شَعِثَ رَأْسُهُ تَبَيَّنَ، وَكَانَ كَثِيرَ الشَّعْرِ وَاللِّحْيَةِ، فَقَالَ رَجُلٌ: وَجْهُهُ مِثْلُ السَّيْفِ؟ قَالَ: لَا، بَلْ مِثْلَ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ مُسْتَدِيرًا. قَالَ: وَرَأَيْتُ خَاتَمَهُ عِنْدَ كَتِفِهِ مِثْلَ بَيْضَةِ الْحَمَامَةِ يُشْبِهُ جَسَدَهُ» . وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو طَاهِرٍ الْفَقِيهُ، أَنَا أَبُو حَامِدِ بْنُ بِلَالٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْأَحْمَسِيُّ، ثَنَا الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ إِضْحِيَانٍ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ، فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَيْهِ وَإِلَى الْقَمَرِ، فَلَهْوَ كَانَ فِي عَيْنِي أَحْسَنَ مِنَ الْقَمَرِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ هَنَّادِ بْنِ السَّرِيِّ، عَنْ عَبْثَرِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سَوَّارٍ. قَالَ النَّسَائِيُّ: وَهُوَ ضَعِيفٌ، وَقَدْ أَخْطَأَ، وَالصَّوَابُ: أَبُو إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ أَشْعَثَ بْنِ سَوَّارٍ، وَسَأَلْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ - يَعْنِي الْبُخَارِيَّ - قُلْتُ: حَدِيثُ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ أَصَحُّ أَمْ حَدِيثُهُ عَنْ جَابِرٍ؟
পৃষ্ঠা - ৪৫২৭
فَرَأَى كِلَا الْحَدِيثَيْنِ صَحِيحًا. وَثَبَتَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ فِي حَدِيثِ التَّوْبَةِ قَالَ: «وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سُرَّ اسْتَنَارَ وَجْهُهُ حَتَّى كَأَنَّهُ قِطْعَةُ قَمَرٍ» . وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِتَمَامِهِ. وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي يَعْفُورٍ الْعَبْدِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيِّ، عَنِ امْرَأَةٍ مِنْ هَمْدَانَ سَمَّاهَا، قَالَتْ: «حَجَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَأَيْتُهُ عَلَى بَعِيرٍ لَهُ يَطُوفُ بِالْكَعْبَةِ، بِيَدِهِ مِحْجَنٌ، عَلَيْهِ بُرْدَانِ أَحْمَرَانِ يَكَادُ يَمَسُّ مَنْكِبَهُ، إِذَا مَرَّ بِالْحَجَرِ اسْتَلَمَهُ بِالْمِحْجَنِ، ثُمَّ يَرْفَعُهُ إِلَيْهِ فَيُقَبِّلُهُ. قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: فَقُلْتُ لَهَا: شَبِّهِيهِ. قَالَتْ: كَالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ، لَمْ أَرَ قَبْلَهُ وَلَا بَعْدَهُ مِثْلَهُ» . وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى التَّيْمِيُّ، ثَنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ قَالَ: قُلْتُ لِلرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذٍ: «صِفِي لِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: يَا بُنَيَّ لَوْ رَأَيْتَهُ رَأَيْتَ الشَّمْسَ طَالِعَةً» . وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَعْقُوبَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى التَّيْمِيِّ بِسَنَدِهِ، فَقَالَتْ: لَوْ رَأَيْتَهُ لَقُلْتَ: الشَّمْسُ طَالِعَةٌ. وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الْزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ