سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل فيمن ذكر من أمنائه صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৪৪৯৫
নিয়েড়াগের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (না) জিববীল (আ)-এর সঙ্গে পরামর্শ করলেন ৷ জিববীল (আ)
বললেন, তাকে কাতিব নিয়েপে করতে পারেন ৷ কেননা, সে বিশ্বস্ত ৷ এ বিবরণটি বিরল
প্রকৃতির; বরং মুনকার (প্রত্যাখ্যাত) ৷ কেননা অন্যতম রাবী সরীি ইবন আসিম ও তার
উর্ধ্বতন রাবীদের সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বিরুপ মন্তব্য করেছেন ৷
মোটকথা, এ বর্ণনাটি প্রড়ামাণ্য নয় এবং তা দিয়ে প্রভাবিত হওয়ার অবকাশ নেই ৷ কিন্তু
বিস্ময়ের ব্যাপার হল হাফিয ইবন আসাকির (র)-এর আচরণ ৷ তার অৰিস্মরণীয় মাহাত্ম্য ও
বিদ্যাবত্তা এবং সমকালীন হাদীস বিশারদবর্গষ্ববং তার পুর্বসুবী অনেকের তৃলনায়ও হাদীস
শাস্তে তার অভিজ্ঞতার বিশাল পরিধি সত্বেও কিভাবে তিনি তার তারীখ (ইতিহাস) গ্রন্থে এ
হাদীসটি এবং এ প্রকৃতির আরো অনেক হাদীস আহরণ করেছেন; অথচ সেগুলোর দৃর্বলতার
বিবরণ প্রদান জরুরী মনে করেন নি ৷ তার মত বিগ্রিষ্টি মনীষীর এ ধরনের আচরণ
সমালোচনাযোগ্য এবং তা সমর্থনয্যেগ্য নয় ৷-অল্লোহ্ সম্যক অবগত ৷
বইিশ : কড়াতিব তালিকায় অন্যতম রয়েছেন বিগ্রিষ্টি সাহাবী ঘুগীরা ইবন শুবা আছ ছাকাফী
(রা) ৷ নবী কবীম (না)-এর মাওলা নন তার এমন সাহাবী খাদিমগণের তালিকায় তার সংক্ষিপ্ত
জীবনী আলোচনা করে এসেছি ৷ (সেখানে উল্লিখিত হয়েছে যে) তিনি ছিলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর মাথার নিকটে উন্মুক্ত তরবাবি হাতে দণ্ডায়মান অতন্দ্র দেহরক্ষী প্রহরী ৷ ইতোপুর্বে
একাধিকবার উল্লিখিত আতীক ইবন ইয়াকুব (র)এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সনদে ইবন আসাকাি
(র) রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) হুসায়ন ইবন ন্যযলা আল-অস্যেদী (রা)-ন্নে
জায়গীর প্রদান করেছিলেন তার দলীলপত্রটি নবী কবীম (না)-এর হুকুমে মুগীরা ইবন ণ্ডবা
(রা)-ই লিখে দিয়েছিলেন ৷
এরা হলেন নবী কবীম (না)-এর কতিব ও সচিববৃন্দ মারা তীর দফতরে তীর সকাশে তীর
নির্দোশ বিভিন্ন সনদপত্র ও দলীল-দন্তাবেজ লিখনের কর্তব্য পালন করতেন ৷
নববী দরবারের আমীন’ (একান্ত সচিংবৃন্দ)
নবী কবীম (না)-এর আমীন’ (বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিগত ও একান্ত সচিব) তালিকায় ইবন
আসাকির (র) উল্লেখ করেছেন (প্রথমত) আল আশরাতুল ঘুবাশশারা’ (জান্নাতের আগাম
সুসংবাদ প্রাপ্ত দশ জন)-এর অন্যতম (এক) আবু উবায়দা আমির ইবন আবদুল্লাহ ইবনুল
জারুরাহ কুরায়শী ফিহরী (মা) ও (দুই) আবদুর রহমান ইবন আওফ ঘুহরী (রা)এর নাম ৷
আবু উবায়দা (রা) আনাস (বা) থেকে আবু কিলাবা (র)-এর হাদীস সুত্রে বুখাবী (র)
রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন,
প্রে
“প্রতিটি উম্মাহ্র একজন আযীন (বিশ্বাসভাজন) থাকে; এ উম্মাহ্র আযীন হচ্ছেন আবু
উবায়দা ইৰ্নুল জাবৃরাহ (রা) ৷ অন্য একটি ভাষ্য রয়েছে যে, নাজরড়ান থােক আগত আবদুল
কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দলকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন : ৷ ৷ষ্কৃ ষ্-া ণ্ন্ধ্রপ্লুক্ট ষ্ট্র১;হু শ্ব
“অবশ্যই তোমাদের মাঝে পাঠাচ্ছি একজ্যা আমীন’ (বিশ্বস্ত)-কে; যিনি যথার্থই আযীন ৷ ”
পরে তাদের সঙ্গে আবুউবায়দা (রা)-কে নিয়োগ দিয়ে পাঠালেন ৷
[فَصْلٌ فِيمَنْ ذُكِرَ مِنْ أُمَنَائِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
فَصْلٌ
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ أُمَنَائِهِ أَبَا عُبَيْدَةَ عَامِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجَرَّاحِ الْقُرَشِيَّ الْفِهْرِيَّ أَحَدَ الْعَشَرَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ الْزُّهْرِيَّ.
قُلْتُ: أَمَّا أَبُو عُبَيْدَةَ فَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لِكُلِّ أَمَةٍ أَمِينٌ، وَأَمِينُ هَذِهِ الْأُمَّةِ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ» وَفِي لَفْظٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِوَفْدٍ نَجْرَانَ لَأَبْعَثَنَّ مَعَكُمْ أَمِينًا حَقَّ أَمِينٍ فَبَعَثَ مَعَهُمْ أَبَا عُبَيْدَةَ» .
قَالَ: وَمِنْهُمْ مُعَيْقِيبُ بْنُ أَبِي فَاطِمَةَ الدَّوْسِيُّ مَوْلَى بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، كَانَ عَلَى خَاتَمِهِ، وَيُقَالُ: كَانَ خَازِنَهُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: أَسْلَمَ قَدِيمًا، وَهَاجَرَ إِلَى الْحَبَشَةِ فِي الثَّانِيَةِ، ثُمَّ إِلَى الْمَدِينَةِ وَشَهِدَ بَدْرًا وَمَا بَعْدَهَا، وَكَانَ عَلَى الْخَاتَمِ، وَاسْتَعْمَلَهُ الشَّيْخَانِ عَلَى بَيْتِ الْمَالِ. قَالُوا: وَكَانَ قَدْ أَصَابَهُ الْجُذَامُ، فَأَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، فَدُووِيَ بِالْحَنْظَلِ فَتَوَقَّفَ الْمَرَضُ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ فِي خِلَافَةِ عُثْمَانَ،
পৃষ্ঠা - ৪৪৯৬
وَقِيلَ: سَنَةَ أَرْبَعِينَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، ثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، حَدَّثَنِي مُعَيْقِبُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي الرَّجُلِ يُسَوِّي التُّرَابَ حَيْثُ يَسْجُدُ، قَالَ: إِنْ كُنْتَ لَا بُدَّ فَاعِلًا فَوَاحِدَةً» وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شَيْبَانَ النَّحْوِيِّ، زَادَ مُسْلِمٌ: وَهُشَامِ الدَّسْتُوَائِيِّ. زَادَ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ: وَالْأَوْزَاعِيُّ. ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا خَلَفُ بْنُ الْوَلِيدِ، ثَنَا أَيُّوبُ بْنُ عُتْبَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ مُعَيْقِبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، «وَيْلٌ لِلْأَعْقَابِ مِنَ النَّارِ» تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ.
وَقَدْ رَوَى أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَتَّابٍ سَهْلِ بْنِ حَمَّادٍ الدَّلَّالِ، عَنْ أَبِي مَكِينٍ نُوحِ بْنِ رَبِيعَةَ، «عَنْ إِيَاسِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْمُعَيْقِبِ، عَنْ جَدِّهِ - وَكَانَ عَلَى خَاتَمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: كَانَ خَاتَمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ حَدِيدٍ مَلْوِيٍّ عَلَيْهِ فِضَّةٌ. قَالَ فَرُبَّمَا كَانَ فِي يَدِي» .
পৃষ্ঠা - ৪৪৯৭
ইবন আসাকির (র) বলেন, এ তালিকায় অন্যতম যুআয়কিব ইবন আবু ফাতিমা আদ
দাওসী (বা) আবদ শামস গোত্রের মাওলা ৷ তিনি ছিলেন নবী করীম (না)-এর আৎটি (সীল-
মােহর)-এর তত্ত্বাবধায়ক ৷ কেউ কেউ তাকে পাদিম তালিকাভুক্ত করেছেন ৷ অন্যদের বর্ণনায়
রয়েছে, প্রথম দিকে ইসলাম গ্রহণকারীদের অন্যতম ৷ হড়াবশাপামী মুহাজির দলের সাথে
হিজ্যাত করেন ৷ পরে মদীনায় হিজরত করে আসেন ৷
বদর ও তার পরের অভিযানসমুহে অংশ গ্রহণ করেন ৷ তিনি ছিলেন সীল মােহরের
তত্ত্ববধায়ক এবং আবু বকর ও উমর (রা) তাকে বায়তৃল মাল’১-এর কর্মাধ্যক্ষ নিয়োগ
করেছিলেন ৷ বর্ণনাকারীগণ বলেছেন যে, তিনি কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৷ তখন উমর
ইবন পাতায় (বা) আদেশ করলে তাকে মাকাল জাতীয় ফল দিয়ে চিকিৎসা করা হলে ব্লোগ
বৃদ্ধি রুদ্ধ হয়ে গেল ৷ তিনি ইনতিকাল করেছিলেন উছমান (রড়া)-এর খিলাফত যুগে মতাতরে
চল্লিশ হিজরী সালে ৷-আল্পাহ্ই সমধিক অবগত ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইরাহয়া ইবন আবী বুকায়র (র) মুআয়কীব (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, সিজদা করার স্থানে যুসল্লীর মাটি (উচু-নিচু বা কংকর)
সমান করা প্রসঙ্গে ওশু-াড্রুন্ধ্র ১া;৷ব্ল ১৷ শ্ব এষ্ন্ধ্র @! একান্তই যদি তোমাকে তা করতে হয়, তবে
তা একবার (করবে) ৷
সহীহ গ্রন্থদ্বয়ের সংকলকদ্বয় হাদীসটি আহরণ করেছেন (উল্লিখিত সনদের) শায়বান নাহবী
(র)-এর বরাতে ৷ মুসলিম (র) তিরমিযী, নসােঈ, ইবন মাজা হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷
তিরিমিষী (র) মন্তব্য করেস্ফো হাদীসটি হাসান সহীহ ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, খালাক ইবনুল ওলীদ (র) মুআয়কীব (বা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন, ;গ্রো ৷এ ত্াদ্ব ম্রা ঞ; ধ্বংস উযুর
সময় না ভেজানাে) পায়ের গোড়ালীর জন্য ৷
এ বর্ণনা একাকী ইমাম আহমদ (র)-এর ৷ আবু দাউদ ও নসােঈ (র) আবু আত্তাব সাহল
ইবন হড়াম্মাদ দাল্পাল (র)-এর বরাতে মুআয়কীব থেকে বর্ণনা করেন যে, যিনি নবী করীম
(না)-এর সীল মােহরের যিম্মাদার ছিলেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (না)-এর আৎটি (মােহর)
ছিল লোহার তৈরী; যার উপরে রুপার আস্তরণ দেয়া হয়েছিল ৷ তিনি আরো বলেন, অনেক
সময় সেটি আমার হাতেও থাকত ৷
গ্রস্থকারর মন্তব্য : নবী করীম (না)-এর নীল মােহর ও আংটির ব্যাপারে প্রামাণ্য তথ্য হল-তা
ছিল রুপার তৈরী এবং তার মণি’ অংশও ছিল রুপার পাতের তৈরী (সহীহ গ্রন্থদ্বয় বরাতে
পরবর্তীতে বিষয়টি আলোচিত হবে) ৷ ইভােপুর্বে তিনি (সা) সোনা দিয়ে একটি আংটি তৈরী
করেছিলেন এবং তা কিছু সময় ব্যবহার করেছিলেন ৷
পরে তা ছুড়ে ফেলে লে এবং বলেন আ শ্ব প্মাড্রু “আল্লাহর কসম ! ওটি আমি আর পরব
না ৷” পরে রুপার এ অংটিটি জৌ বল্পান, যার পাত (মণি)-ও ছিল রুপারই এবং তাতে অংকিত
১ রঙ্গীঘ্র মোঃ ৩ ৰেব্জী! ম্নো ৷ ষ্স্রনুৰাদক
قُلْتُ: أَمَّا خَاتَمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَالصَّحِيحُ أَنَّهُ كَانَ مِنْ فِضَّةٍ، فَصُّهُ مِنْهُ، كَمَا سَيَأْتِي فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، وَكَانَ قَدِ اتَّخَذَ قَبْلَهُ خَاتَمَ ذَهَبٍ، فَلَبِسَهُ حِينًا، ثُمَّ رَمَى بِهِ، وَقَالَ: «وَاللَّهِ لَا أَلْبَسُهُ» . ثُمَّ اتَّخَذَ هَذَا الْخَاتَمَ مِنْ فِضَّةٍ، فَصُّهُ مِنْهُ، وَنَقْشُهُ: مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ. " مُحَمَّدٌ " سَطْرٌ، وَ " رَسُولٌ " سَطْرٌ، وَ " اللَّهُ " سَطْرٌ، فَكَانَ فِي يَدِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، ثُمَّ كَانَ فِي يَدِ أَبِي بَكْرٍ مِنْ بَعْدِهِ، ثُمَّ فِي يَدِ عُمْرَ، ثُمَّ كَانَ فِي يَدِ عُثْمَانَ، فَلَبِثَ فِي يَدِهِ سِتَّ سِنِينَ، ثُمَّ سَقَطَ مِنْهُ فِي بِئْرِ أَرِيسَ، فَاجْتَهَدَ فِي تَحْصِيلِهِ فَلَمْ يَقْدِرْ عَلَيْهِ. وَقَدْ صَنَّفَ أَبُو دَاوُدَ، رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ، كِتَابًا مُسْتَقِلًّا فِي " سُنَنِهِ " فِي الْخَاتَمِ وَحْدَهُ، وَسَنُورِدُ مِنْهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ قَرِيبًا مَا نَحْتَاجُ إِلَيْهِ. وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. وَأَمَّا لُبْسُ مُعَيْقِبٍ لِهَذَا الْخَاتَمِ فَيَدُلُّ عَلَى ضَعْفِ مَا نُقِلَ أَنَّهُ أَصَابَهُ الْجُذَامُ، كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ عَبْدِ الْبَرِّ وَغَيْرُهُ، لَكِنَّهُ مَشْهُورٌ، فَلَعَلَّهُ أَصَابَهُ ذَلِكَ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ كَانَ بِهِ وَكَانَ مِمَّا لَا يُعْدَى مِنْهُ، أَوْ كَانَ ذَلِكَ مِنْ خَصَائِصِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; لِقُوَّةِ تَوَكُّلِهُ، كَمَا قَالَ لِذَلِكَ الْمَجْذُومِ - وَوَضَعَ يَدَهُ فِي الْقَصْعَةِ - «كُلْ ثِقَةً بِاللَّهِ، وَتَوَكُّلًا عَلَيْهِ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ فِرَارَكَ مِنَ الْأَسَدِ» وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَأَمَّا أُمَرَاؤُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فَقَدْ ذَكَرْنَاهُمْ عِنْدَ بَعْثِ
পৃষ্ঠা - ৪৪৯৮
السَّرَايَا مَنْصُوصًا عَلَى أَسْمَائِهِمْ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ، وَالْمِنَّةُ.
وَأَمَّا جُمْلَةُ الصَّحَابَةِ، فَقَدِ اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي عِدَّتِهِمْ، فَنُقِلَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ أَنَّهُ قَالَ: يَبْلُغُونَ مِائَةَ أَلْفٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا. وَعَنِ الشَّافِعِيِّ رَحِمَهُ اللَّهُ، أَنَّهُ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْمُسْلِمُونَ مِمَّنْ سَمِعَ مِنْهُ وَرَآهُ زُهَاءَ سِتِّينَ أَلْفًا» . وَقَالَ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: يُرْوَى الْحَدِيثُ عَنْ قَرِيبٍ مِنْ خَمْسَةِ آلَافِ صَحَابِيٍّ.
قُلْتُ: وَالَّذِي رَوَى عَنْهُمُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، مَعَ كَثْرَةِ رِوَايَتِهِ وَاطِّلَاعِهِ وَاتِّسَاعِ رِحْلَتِهِ وَإِمَامَتِهِ، مِنَ الصَّحَابَةِ تِسْعُمِائَةٍ وَسَبْعَةٌ وَثَمَانُونَ نَفْسًا، وَوَقَعَ فِي الْكُتُبِ السِّتَّةِ مِنَ الزِّيَادَاتِ عَلَى ذَلِكَ قَرِيبٌ مِنْ ثَلَاثِمِائَةِ صَحَابِيٍّ أَيْضًا، وَقَدِ اعْتَنَى جَمَاعَةٌ مِنَ الْحُفَّاظِ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ، بِضَبْطِ أَسْمَائِهِمْ، وَذِكْرِ أَيَّامِهِمْ، وَوَفَيَاتِهِمْ، مِنْ أَجَلِّهِمُ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ النَّمَرِيُّ فِي كِتَابِهِ " الِاسْتِيعَابِ "، وَأَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ مَنْدَهْ، وَأَبُو مُوسَى الْمَدِينِيُّ، ثُمَّ نَظَمَ جَمِيعَ ذَلِكَ الْحَافِظُ عِزُّ الدِّينِ أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْكَرِيمِ الْجَزَرِيُّ الْمَعْرُوفُ بِابْنِ الْأَثِيرِ، صَنَّفَ كِتَابَهُ " الْغَابَةَ " فِي ذَلِكَ، فَأَجَادَ وَأَفَادَ، وَجَمَعَ وَحَصَّلَ، وَنَالَ مَا رَامَ وَأَمَّلَ، فَرَحِمَهُ اللَّهُ وَأَثَابَهُ، وَجَمَعَهُ وَالصَّحَابَةَ آمِينَ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ.