باب ذكر ذرية إبراهيم عليه الصلاة والسلام
পৃষ্ঠা - ৪৪২
হযরত ইসমাঈল (আ)
হযরত ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ (আ)-এর বেশ কয়েকজন পুত্র সন্তান ছিলেন যার উল্লেখ
পুর্বেই আমরা করেছি ৷ তবে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছেন সে দু’জন যীরা ছিলেন
মহান নবী ৷ আবার এ দুজনের মধ্যে ব্য়োজেব্রুষ্ঠ ছিলেন ইসমাঈল (আ) ৷ বিশুদ্ধ মতে যিনি
ছিলেন যাবীহুল্লাহ ৷ তিনিই ছিলেন হযরত ইব্রাহীম (আ) এর প্রথম সন্তান ৷ মা৩ ৷ মিসরের
কিবভী বংশের কন্যা হযরত হাজেরা ৷ যারা হযরত ইসহাককে যাবীহুল্লাহ বলেছেন,৩ তারা বনী
ইসরাঈল থেকে এ মত প্রাপ্ত হয়েছেন ৷ অথচ বনী ইসরাঈলগণ তাওরাত ও ইনজীলের মধ্যে
পরিবর্তন-পরিবর্ধন করেছে এবং এ ক্ষেত্রে আল্লাহর কিতাবের অপব্যাথ্যা দিয়েছে ৷ তারা তাদের
কাছে রক্ষিত আসমানী কিতাবের বক্তব্যের বিরুদ্ধাচরণ করেছে ৷ হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে
তার প্রথম পুত্র কুরব্ানী করার নির্দেশ দেয়া হয় ৷ অন্য বর্ণনা মতে, তার একমাত্র পুত্রকে যবেহ
করার আদেশ দেয়া হয় ৷ যেটাই ধরা হোক না কেন, এর দ্বারা হযরত ইসমাঈল (আ)-কেই
বোঝানো হয়েছে ৷ তাদের কিভাবে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে যে, হযরত ইসমাঈল (আ) যখন ভুমিষ্ঠ
হন, তখন হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর বয়স ছিল ছিয়াশি বছর ৷ আর যখন হযরত ইসহাক
(আ) এর জন্ম হয় তখন, হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর বয়স একশশ্’ণ্ বছরের উপরে ৷ সুতরাং
সন্দেহাভীতভ৷ ৩াবে প্রমাণিত যে, ইসমাঈল (আ) ই খলীলুল্লাহর প্রথম সন্তান ৷ সুতরাং সর্বাব্স্থায়
তিনিই ছিলেন একক সন্তান ৷ বাহ্যত তের বছরের অধিক কাল পর্যন্ত ইসমাঈল (আ) ছিলেন
তার একমাত্র সন্তান ৷ এ সময়ের মধ্যে অন্য কোন সন্তানের জন্ম হয়নি ৷ আর তাৎপর্যগত দিক
থেকে একক এ হিসেবে যে, পিতা ইব্রাহীম (আ) শিশু পুত্র ইসমাঈল (আ) ও তার মা
হাজেরাকে নিয়ে হিজরত করেন এবং মক্কার ফারান পর্বতে র উপত্যকায় উভয়কে নির্বা
করেন ৷ তাদেরকে যখন তিনি রেখে আসেন তখন তাদের সাথে যৎসামান্য পানি ও রসদ
ব্যতীত কিছুই ছিল না ৷ এটা তিনি করেছিলেন আল্লাহর উপর পুর্ণ আস্থা ও ভরসা রেখে ৷
আল্লাহ তাআলা আপন অনুগ্রহ ও করুণার দ্বারা তাদেরকে বেষ্টন করে নেন ৷ ব্স্তুত তিনিই
প্রকৃত অনুথহকাবী, সাহায্যকারী ও অভিভাব্ক ৷ অতএব, প্রমাণিত হল যে, হযরত ইসমাঈল
(আ)-ই বাহ্যিক ও তাৎপর্যগত উভয় দিক থেকে একক সন্তান ৷ কিন্তু কে বুঝবে এই সুক্ষ্ম তত্ত্ব
এবং কে খুলবে এই৷ ন্ ৷ক্ত পিট ৷ আল্লাহ যাকে গভীর তত্ত্বজ্ঞা ন দা ন করেছেন, তিনিই কেবল এটা
উপলব্ধি করতে সক্ষম ৷ আল্লাহ৩ তা আল৷ হযরত ইসমাঈল (আ) এর বিভিন্ন গুণাগুণের প্রশংসা
করেছেন ৷ যেমন : তিনি ছিলেন ধৈর্যশীল, সহনশীল, ওয়াদা পালনকা ৷রী, সালাতের
হেফাজতকারী ৷ পরিব্ারব্র্পকে সালাত আদায়ের নির্দেশ দানকারী-যাতে তারা আযাব থেকে
রক্ষা পায় এবং মহা ন প্রভুর ইবাদতে র দিকে মানুষকে আহ্বানকারী ৷ আল্লাহর বাণী৪
[بَابُ ذِكْرِ ذُرِّيَّةِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ]
[ذِكْرُ إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ]
قَدْ قَدَّمْنَا قِصَّتَهُ مَعَ قَوْمِهِ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَمَا آلَ إِلَيْهِ أَمْرُهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَالتَّحِيَّةُ وَالْإِكْرَامُ، وَذَكَرْنَا مَا وَقَعَ فِي زَمَانِهِ مِنْ قِصَّةِ قَوْمِ لُوطٍ، وَأَتْبَعْنَا ذَلِكَ بِقِصَّةِ مَدْيَنَ قَوْمِ شُعَيْبٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ؛ لِأَنَّهَا قَرِينَتُهَا فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي مَوَاضِعَ مُتَعَدِّدَةٍ يَذْكُرُ تَعَالَى بَعْدَ قِصَّةِ قَوْمِ لُوطٍ قِصَّةَ مَدْيَنَ، وَهُمْ أَصْحَابُ الْأَيْكَةِ عَلَى الصَّحِيحِ، كَمَا قَدَّمْنَا فَذَكَرْنَاهَا تَبَعًا لَهَا اقْتِدَاءً بِالْقُرْآنِ الْعَظِيمِ، ثُمَّ نَشْرَعُ الْآنَ فِي الْكَلَامِ عَلَى تَفْصِيلِ ذُرِّيَّةِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ؛ لِأَنَّ اللَّهَ جَعَلَ فِي ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ، فَكُلُّ نَبِيٍّ أُرْسِلَ بَعْدَهُ فَمِنْ وَلَدِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪৪৩
)
া
া
অতংপর আমি তাকে এক ধৈর্যশীল পুত্রের সুসৎবাদ দিলাম ৷ তারপর সে যখন তার পিতা
সাথে কাজ করবার মত বয়সে উপনীত ৩হল, তখন ইব্রাহীম বলল, বৎস ! আ ৷মি স্বপ্নে দেখিব যে,
তোমাকে আমি যবেহ করছি, এখনও তামার অভিমত কি বল? সে বলল, হে আমার পিতা
আপনি যা করতে আদিষ্ট হয়েছেন৩ তা ই করুন! আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনি আমাকে ভৈধর্যশীল
পাবেন ৷ (৩৭ং : ১০১)
তিনি পিতার আহ্বানে সাড়া দেন এবং ওয়াদা করেন যে, তিনি ধৈর্যশীল হবেন ৷ এ ওয়াদা
তিনি পুরণও করেন এবং ধৈর্যধ৷ রণ করেন ৷ আল্লাহ বলেন ং
স্মরণ কর, আমার বান্দ৷ ৷ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কথা ৷ ওরা ছিল শক্তিশালী ও
সুক্ষ্মদর্ণী ৷ আ ৷মি তাদেরকে অধিকারী করেছিলাম এক বিশ্বে যে গুণের তা ছিল পরলােকের স্মরণ ৷
অবশ্যই৩ ৷ ৷রা ছিল আমার মনাে ৷তনী ও উত্তম বান্দ৷ দের অন্তর্ভুক্ত ৷ (৩৮৪ : ৫ : ৭ )
টুহ্র১াদ্বু
স্মরণ কর, ইসমাঈল, আল-য়াসা-আ ও যুল-কিফ্লের কথা, ওরা প্রতে ৷বেইি ছিল সজ্জন ৷
(৩৮ং : ৪৮) ৷
অ আল্লাহর বাণী৪
এবং স্মরণ কর ইসমাঈল, ইদরীস ও ষুল কিফ্ল এর কথা তাদের প্রতেকেই ছিল
ধৈর্যশীল ৷ তাদেরকে আমি আমার অনুগ্নহভাজন করেছিলাম ৷ তারা ছিল সৎকর্যপরায়ণ ৷
(২১ : ৮৫-৮৬)
আল্লাহ্র বাণীং
া
আমি তামার নিকট ওহী প্রেরণ করেছি যেমন নুহ ও তার পরবর্তী নবীণণের নিকট প্রেরণ
করেছিলাম-ইবরাহীম , ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরদের কাছে ৷ (৪ : ১৬৩)
ذِكْرُ إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
وَقَدْ كَانَ لِلْخَلِيلِ بَنُونَ كَمَا ذَكَرْنَا، وَلَكِنَّ أَشْهَرَهُمُ الْأَخَوَانِ النَّبِيَّانِ الْعَظِيمَانِ الرَّسُولَانِ أَسَنُّهُمَا وَأَجَلُّهُمَا الَّذِي هُوَ الذَّبِيحُ عَلَى الصَّحِيحِ إِسْمَاعِيلُ بِكْرُ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ مِنْ هَاجَرَ الْقِبْطِيَّةِ الْمِصْرِيَّةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ مِنَ الْعَظِيمِ الْجَلِيلِ، وَمَنْ قَالَ: إِنَّ الذَّبِيحَ هُوَ إِسْحَاقُ فَإِنَّمَا تَلَقَّاهُ مِنْ نَقَلَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ الَّذِينَ بَدَّلُوا وَحَرَّفُوا وَأَوَّلُوا التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ وَخَالَفُوا بِأَيْدِيهِمْ فِي هَذَا مِنَ التَّنْزِيلِ فَإِنَّ إِبْرَاهِيمَ أُمِرَ بِذَبْحِ وَلَدِهِ الْبِكْرِ، وَفِي رِوَايَةٍ الْوَحِيدِ. وَأَيًّا مَا كَانَ فَهُوَ إِسْمَاعِيلُ بِنَصِّ الدَّلِيلِ فَفِي نَصِّ كِتَابِهِمْ إِنَّ إِسْمَاعِيلَ وُلِدَ وَلِإِبْرَاهِيمَ مِنَ الْعُمُرِ سِتٌّ وَثَمَانُونَ سَنَةً، وَإِنَّمَا وُلِدَ إِسْحَاقُ بَعْدَ مُضِيِّ مِائَةِ سَنَةٍ مِنْ عُمُرِ الْخَلِيلِ، فَإِسْمَاعِيلُ هُوَ الْبِكْرُ لَا مَحَالَةَ، وَهُوَ الْوَحِيدُ صُورَةً وَمَعْنًى عَلَى كُلِّ حَالَةٍ أَمَّا فِي الصُّورَةِ فَلِأَنَّهُ كَانَ وَحْدَهُ وَلَدَهُ أَزْيَدَ مِنْ ثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَأَمَّا أَنَّهُ وَحِيدٌ فِي الْمَعْنَى فَإِنَّهُ هُوَ الَّذِي هَاجَرَ بِهِ أَبُوهُ وَمَعَهُ أُمُّهُ هَاجَرُ وَكَانَ صَغِيرًا رَضِيعًا فِيمَا قِيلَ فَوَضَعَهُمَا فِي وِهَادِ جِبَالِ فَارَانَ، وَهِيَ الْجِبَالُ الَّتِي حَوْلَ مَكَّةَ، نِعْمَ الْمَقِيلُ، وَتَرَكَهُمَا هُنَالِكَ لَيْسَ مَعَهُمَا مِنَ الزَّادِ وَالْمَاءِ إِلَّا الْقَلِيلُ، وَذَلِكَ ثِقَةً بِاللَّهِ وَتَوَكُّلًا عَلَيْهِ، فَحَاطَهُمَا اللَّهُ تَعَالَى بِعِنَايَتِهِ وَكِفَايَتِهِ فَنِعْمَ الْحَسِيبُ وَالْكَافِي وَالْوَكِيلُ وَالْكَفِيلُ.
. فَهَذَا هُوَ الْوَلَدُ الْوَحِيدُ
পৃষ্ঠা - ৪৪৪
فِي الصُّورَةِ، وَالْمَعْنَى، وَلَكِنْ أَيْنَ مَنْ يَتَفَطَّنُ لِهَذَا السِّرِّ؟ وَأَيْنَ مَنْ يَحُلُّ بِهَذَا الْمَحَلِّ؟ وَالْمَعْنَى لَا يُدْرِكُهُ، وَيُحِيطُ بِعِلْمِهِ إِلَّا كُلُّ نَبِيهٍ نَبِيلٍ.
وَقَدْ أَثْنَى اللَّهُ تَعَالَى عَلَيْهِ، وَوَصَفَهُ بِالْحِلْمِ وَالصَّبْرِ وَصِدْقِ الْوَعْدِ وَالْمُحَافَظَةِ عَلَى الصَّلَاةِ وَالْأَمْرِ بِهَا لِأَهْلِهِ لِيَقِيَهُمُ الْعَذَابَ، مَعَ مَا كَانَ يَدْعُو إِلَيْهِ مِنْ عِبَادَةِ رَبِّ الْأَرْبَابِ قَالَ تَعَالَى: {فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ} [الصافات: 101]
[مَرْيَمَ: 54 - 55] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَاذْكُرْ عِبَادَنَا إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ أُولِي الْأَيْدِي وَالْأَبْصَارِ إِنَّا أَخْلَصْنَاهُمْ بِخَالِصَةٍ ذِكْرَى الدَّارِ وَإِنَّهُمْ عِنْدَنَا لَمِنَ الْمُصْطَفَيْنَ الْأَخْيَارِ وَاذْكُرْ إِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَذَا الْكِفْلِ وَكُلٌّ مِنَ الْأَخْيَارِ} [ص: 45]
[الْأَنْبِيَاءِ: 85 - 86] . وَقَالَ تَعَالَى: {إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَوْحَيْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ} [النساء: 163] . الْآيَةَ. وَقَالَ تَعَالَى: {قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ} [البقرة: 136] . الْآيَةَ. وَنَظِيرَتُهَا مِنَ
পৃষ্ঠা - ৪৪৫
প্রশ্^এ,৮^ন্)স্র্দ্ধওগ্ণ্’ষ্ট্র) ”fl; এ;,১এে এ শ্রোাএ১,১ গ্র ৰুন্মোঃ, ঞা ওম;ও
#
াণ্াট্রুছু^পু ৷দ্বু ধ্ন্স্পে, এা১াদ্বু
তোমরা বল, আমরা আল্লাহতে ঈমান রাখি এবং যা আমাদের প্রতি এবং ইব্রাহীম ,
ইসমাঈল, ইসহাক ও ইয়াকুব ও তার বংশধরদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে ৷ (২ : ১৩৬)
অন্য অনেক সুরায় এ জা৩ ভীয় বহু অদ্য়ৰুত বিদ্যমান আছে ! অৰুল্লড়াহ বৰুলন০ ং
ণ্ষ্
০৮
তোমরা কি বল যে, ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরগণ ইহুদী
কিংবা খৃক্টান ছিল? বল ৫৩ তড়ামরা কি বেশি জন, না আল্লাহ? (২০ ১৪০)
এসব আয়াতে আল্লাহ হযরত ইসমাঈল (আ)-এর উত্তম গুণাবলীর কথা উল্লেখ করেছেন,
তাকে নবী ও রাসুল বানিয়েছেন এবং অজ্ঞ লোকেরা তার প্রতি যেসব মিথ্যা ও অলীক
কথা-বার্তা আরোপ করেছে তা থেকে তার মুক্ত থাকার কথা ঘোষণা করেছেন ৷ মুমিনদের প্রতি
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন সেই সব বিধানের উপর বিশ্বাস রাখে যা ইসমাঈল
(আ)-এর উপর নাযিল হয়েছিল ৷ নসব-নামা ও বংশ পঞ্জিকার পণ্ডিতগণ এবং মানব জাতির
ঐতিহাসিক ঘটনা ও সভ্যতা বংনািকারিগণ লিখেছেন যে, তিনিই ছিলেন সর্বপ্রথম ঘোড়ার
আরোহণকারী ব্যক্তি ৷ এর পুর্বে ঘোড়া ছিল নেহায়েতই একটি বন্য প্রাণী ৷ তিনি তা পােষ
মানান ও তাতে আংরাহণ করেন ৷ সাঈদ ইবন ইয়াহয়া উমাবী (র)৩ তার ম’াগাযী গ্রন্থে ইবন
উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, তোমরা ঘোড়া পুষবে এবং তার
আদর-যত্ন করবে ৷ কেননা এটা ওে তামাদের পিতা ইসমাঈল (আ) এর মীরাছ বা উত্তরাধিকার
তদানীন্তন আরবরা ছিল বেদুঈন ৷ হযরত ইসমা ঈল (আ) আল্লাহর নিদেশে তাদেরকে দাওয়াত
দেন ৷ তারা তার ডাকে সাড়া দেয় ৷ তিনিই সর্বপ্রথম প্রাঞ্জল আরবী ভাষায় কথা বলেন ৷
আদি আরবদের কাছ থেকে তিনি এ ভাষা শিখেছিলেন ৷ তারা হল হযরত ইবরাহীম (আ )-এর
পুর্বেকার জুরহুম, আমালিক ও ইয়ামানবাসী আরব যারা মক্কায় এসে বসবাস শুরু করেছিল ৷
ঐতিহাসিক উমাবী (র) মুহাম্মদ ইবন আলী ইবন হুসড়ায়নের পুর্ব-পুরুযগণের বরাতে বর্ণনা
করেন, নবী করীম (সা) বলেছেন : স্পষ্ট আরবী ভাষায় যিনি সর্বপ্রথম কথা বলেন, তিনি
ছিলেন ইসমাঈল (আ) ৷ তখন তার বয়স মাত্র চৌদ্দ বছর ৷ আলী ইবন মুপীরা (র) এ কথা
বর্ণনা করার সময় উপস্থিত জনৈক ইউনুস বললেন : হে আবু সাইয়ার ! আপনি সত্য বলেছেন,
আবু জাবীও আমার কাছে ঠিক এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷ ইতিপুর্বে আমরা বলে এসেছি যে,
হযরত ইসমাঈল (আ) যৌবনে পদার্পণ করে আমালিকা সম্প্রদায়ের জনৈকা মহিলাকে বিবাহ
করেন এবং পরে পিতার নির্দেশক্রমে তাকে তালাক দেন ৷ উমাবী ঐ মহিলার নাম বলেছেন
আম্মারা বিনত সা দ ইবন উসামা ইবন আকীল অ ল আমালিকা ৷ তারপর তিনি অপর এক
السُّورَةِ الْأُخْرَى. وَقَالَ تَعَالَى: {أَمْ تَقُولُونَ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوا هُودًا أَوْ نَصَارَى قُلْ أَأَنْتُمْ أَعْلَمُ أَمِ اللَّهُ} [البقرة: 140] . الْآيَةَ فَذَكَرَ اللَّهُ عَنْهُ كُلَّ صِفَةٍ جَمِيلَةٍ، وَجَعَلَهُ نَبِيَّهُ وَرَسُولَهُ، وَبَرَّأَهُ مِنْ كُلِّ مَا نَسَبَ إِلَيْهِ الْجَاهِلُونَ، وَأَمَرَ بِأَنْ يُؤْمِنَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ عِبَادُهُ الْمُؤْمِنُونَ. وَذَكَرَ عُلَمَاءُ النَّسَبِ وَأَيَّامِ النَّاسِ: أَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ رَكِبَ الْخَيْلَ، وَكَانَتْ قَبْلَ ذَلِكَ وُحُوشًا فَأَنَّسَهَا وَرَكِبَهَا، وَقَدْ قَالَ سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الْأُمَوِيُّ فِي مَغَازِيهِ: حَدَّثَنَا شَيْخٌ مِنْ قُرَيْشٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ «. أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اتَّخِذُوا الْخَيْلَ وَاغْتَبِقُوهَا فَإِنَّهَا مِيرَاثُ أَبِيكُمْ إِسْمَاعِيلَ» . وَكَانَتْ هَذِهِ الْعِرَابُ وَحْشًا فَدَعَا لَهَا بِدَعْوَتِهِ الَّتِي كَانَ أُعْطِيَ فَأَجَابَتْهُ، وَإِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ تَكَلَّمَ بِالْعَرَبِيَّةِ الْفَصِيحَةِ الْبَلِيغَةِ، وَكَانَ قَدْ تَعَلَّمَهَا مِنَ الْعَرَبِ الْعَارِبَةِ الَّذِينَ نَزَلُوا عِنْدَهُمْ بِمَكَّةَ مِنْ جُرْهُمٍ وَالْعَمَالِيقِ وَأَهْلِ الْيَمَنِ مِنَ الْأُمَمِ الْمُتَقَدِّمِينَ مِنَ الْعَرَبِ قَبْلَ الْخَلِيلِ.
قَالَ الْأُمَوِيُّ: حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ، حَدَّثَنَا مِسْمَعُ بْنُ مَالِكٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ آبَائِهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «أَوَّلُ مَنْ فَتَقَ لِسَانُهُ بِالْعَرَبِيَّةِ الْبَيِّنَةِ إِسْمَاعِيلُ، وَهُوَ ابْنُ أَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً» . فَقَالَ لَهُ يُونُسُ:
পৃষ্ঠা - ৪৪৬
মহিলাকে বিবাহ করেন ৷ পিতার আদেশ অনুযায়ী এই ন্তীকে তিনি বহাল রাখেন ৷ এই শ্ৰীর নাম
সাব্যিদা বিন্ত মাদাদ ইবন আমব আল-জুরহুমী ৷ কেউ কেউ বলেছেন, হযরত ইসমাঈল
(আ)-এর ইনি ছিলেন তৃতীয় শ্রী ৷ এই শ্ৰীর গর্ভে বড়ারজন পুত্র সন্তান জন্মলাভ করেন ৷ মুহাম্মদ
ইবন ইসহাক (র) তাদের নাম বর্ণনা করেছেন ৷
যথা : নাবিত মীশী (র্ত্য;;ৰু) মাসমা
(ব্লু), মাশ (ষ্ক্ট্র£), দাওসা (-£গুগ্লুা), আযব ( এ ১ ), য়াতৃর (,প্রু৬ ৰু), নাবাশ
(;;;ৰু;ড়ু), তায়মা ( ৷
আহলি কিতাবগণ তাদের গ্রন্থাদিতেও এরুপই উল্লেখ করেছেন ৷ তবে তাদের মতে , এই
বাবজন ছিলেন সমাজপতি যাদের সম্পর্কে পুর্বেই সুসংবাদ দেয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু তাদের এ
ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে ৷ হযরত ইসমাঈল (আ) মক্কা ও তার পার্শ্ববর্তী জুরহুম,
আমান্সিক ও ইয়ামানবাসীদের প্রতি রসুলরুপে প্রেরিত হন ৷ মৃতৃক্যেলে তিনি আপন ভাই
ইসহাকের প্রতি ওসীয়ত করে যান ৷ ইসমাঈল (আ) তার কন্যা নাসমাকে তার ভাতিজা ঈস
ইবন ইসহাকের সাথে বিবাহ দেন ৷ এই দম্পতির পুত্র সন্তানের নাম রুম ৷ রুম-এর
আওলাদদেরকে বানুল আসফার বলা হয় ৷ কারণ, তাদের পিতা ঈস-এর গায়ের রং ছিল
গেরুয়া ৷ যাতে আরবীতে সুফর ( ঐওপ্রু) বলা হয়ে থাকে ৷ অপর বর্ণনা মতে, ঈসৃ-এর আরও
দুই পুত্র ছিল ইউনান ও আশবান ৷ ইবন জারীর (র) এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি ৷
হযরত ইসমাঈল (আ) কে হিজর নামক স্থানে মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয় ৷
মৃতৃদ্রকালে তার বয়স ছিল ১৩৭ বছর ৷ উমর ইবন আবদুল আঘীয থেকে বর্ণিত : ইসমাঈল
(আ) মক্কার প্রচণ্ড গরম সম্পর্কে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেন ৷ আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে তাকে
জানান যে, যেখানে তোমাকে দাফন করা হবে সে স্থানের দিকে আমি জান্নাতের একটি দরজা
খুলে দেব ৷ কিয়ামত পর্যন্ত সেখানে জান্নড়াতের সুশীতল হাওয়া প্রবাহিত থাকবে ৷
হেজাযী আরবদের সকলেই নাবিত ও কায়জারের বংশ বলে নিজেদেরকে দাবি করে ৷
পরবর্তীতে আমরা আরব জাতি, তাদের বংশ, গোত্র, সমাজ ও কবীলা ও তাদের কৃষ্টি, সভ্যতা
সম্পর্কে আলোচনা করব ৷ হযরত ইসমাঈল (আ) থেকে রাসুলুল্লাহ (সা) পর্যন্ত সম্পুর্ণ সময়ের
যাবতীয় বর্ণনা এতে থাকবে ৷ হযরত ঈসা ইবন মারয়াম (আ) পর্বত বনী ইসরাঈলের
উথান পতন, তাদের নবীদের আলোচনা শেষে উক্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে ৷ অতঃপর বনী
ইসরাঈলের যুগ এবং পরে আইয়ামে জাহিলিয়ার ঘটনাবলী এবং সবশেষে বিশ্বনবী (না)-এর
সীরাত যুবারক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আসবে ইনৃশাআল্লাহ্ ৷
صَدَقْتَ يَا أَبَا يَسَارٍ. هَكَذَا أَبُو جُرَيٍّ حَدَّثَنِي.
وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ تَزَوَّجَ لَمَّا شَبَّ مِنَ الْعَمَالِيقِ امْرَأَةً، وَأَنَّ أَبَاهُ أَمَرَهُ بِفِرَاقِهَا فَفَارَقَهَا. قَالَ الْأُمَوِيُّ: وَهِيَ عِمَارَةُ بِنْتُ سَعْدِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ أَكِيلَ الْعِمْلَاقِيِّ، ثُمَّ نَكَحَ غَيْرَهَا، فَأَمَرَهُ أَنْ يَسْتَمِرَّ بِهَا فَاسْتَمَرَّ بِهَا، وَهِيَ السَّيِّدَةُ بِنْتُ مُضَاضِ بْنِ عَمْرٍو الْجُرْهُمِيُّ.
وَقِيلَ: هَذِهِ ثَالِثَةٌ فَوَلَدَتْ لَهُ اثْنَيْ عَشَرَ وَلَدًا ذَكَرًا، وَقَدْ سَمَّاهُمْ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ، وَهُمْ؛ نَابِتٌ، وَقَيْدَرٌ، وَأَذْبَلُ، وَمِيشَى، وَمِسْمَعٌ، وَمَاشٌ، وَدُمَا، وَأُدَرُ، وَيَطُورُ، وَبَنْشٌ، وَطِيمَا، وَقَيْذُمَا. وَهَكَذَا ذَكَرَهُمْ أَهْلُ الْكِتَابِ فِي كِتَابِهِمْ، وَعِنْدَهُمْ أَنَّهُمُ الِاثْنَا عَشَرَ عَظِيمًا الْمُبَشَّرُ بِهِمُ الْمُتَقَدِّمُ ذِكْرُهُمْ،
পৃষ্ঠা - ৪৪৭
وَكَذَبُوا فِي تَأْوِيلِهِمْ ذَلِكَ، وَكَانَ إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ رَسُولًا إِلَى أَهْلِ تِلْكَ النَّاحِيَةِ وَمَا وَالَاهَا مِنْ قَبَائِلِ جُرْهُمٍ وَالْعَمَالِيقِ وَأَهْلِ الْيَمَنِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَلَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ أَوْصَى إِلَى أَخِيهِ إِسْحَاقَ، وَزَوَّجَ ابْنَتَهُ نَسَمَةَ مِنِ ابْنِ أَخِيهِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ فَوَلَدَتْ لَهُ الرُّومَ، وَيُقَالُ لَهُمْ: بَنُو الْأَصْفَرِ لِصُفْرَةٍ كَانَتْ فِي الْعِيصِ، وَوَلَدَتْ لَهُ الْيُونَانَ فِي أَحَدِ الْأَقْوَالِ، وَمِنْ وَلَدِ الْعِيصِ الْأَشْبَانُ وَقِيلَ: مِنْهُمَا أَيْضًا. وَتَوَقَّفَ ابْنُ جَرِيرٍ رَحِمَهُ اللَّهُ.
وَدُفِنَ إِسْمَاعِيلُ نَبِيُّ اللَّهِ بِالْحِجْرِ مَعَ أُمِّهِ هَاجَرَ، وَكَانَ عُمُرُهُ يَوْمَ مَاتَ مِائَةً وَسَبْعًا وَثَلَاثِينَ سَنَةً. وَرُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنَّهُ قَالَ: شَكَا إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّ مَكَّةَ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَنِّي سَأَفْتَحُ لَكَ بَابًا إِلَى الْجَنَّةِ إِلَى الْمَوْضِعِ الَّذِي تُدْفَنُ فِيهِ تَجْرِي عَلَيْكَ رَوْحُهَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
وَعَرَبُ الْحِجَازِ كُلُّهُمْ يَنْتَسِبُونَ إِلَى وَلَدَيْهِ نَابِتٍ وَقَيْدَارٍ وَسَنَتَكَلَّمُ عَلَى أَحْيَاءِ الْعَرَبِ وَبُطُونِهَا وَعَمَائِرِهَا، وَقَبَائِلِهَا وَعَشَائِرِهَا مِنْ لَدُنْ إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَلِكَ إِذَا انْتَهَيْنَا إِلَى أَيَّامِهِ الشَّرِيفَةِ وَسِيرَتِهِ الْمُنِيفَةِ بَعْدَ الْفَرَاغِ مِنْ أَخْبَارِ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ إِلَى زَمَانِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ خَاتَمِ أَنْبِيَائِهِمْ وَمُحَقِّقِ أَنْبَائِهِمْ، ثُمَّ نَذْكُرُ مَا كَانَ فِي زَمَنِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، ثُمَّ مَا وَقَعَ فِي أَيَّامِ الْجَاهِلِيَّةِ، ثُمَّ يَنْتَهِي الْكَلَامُ إِلَى سِيرَةِ نَبِيِّنَا رَسُولِ اللَّهِ إِلَى الْعَرَبِ وَالْعَجَمِ، وَسَائِرِ صُنُوفِ بَنِي آدَمَ مِنَ الْأُمَمِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ.
পৃষ্ঠা - ৪৪৮
ইসহাক ইৰ্ন ইব্রাহীম (আ)
পুইে বলা হয়েছে যে , হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর একশ’ বছর বয়সকালে এবং ইসমাঈল
(আ)-এর জন্মের চৌদ্দ বছর পর ইসহাক (আ)-এর জন্ম হয় ৷ তার মাতা সারাহ্কে যখন পুত্র
হওয়ার সুসংৰাদ দেওয়া হয় তখন তার বয়স ছিল নব্বই বছর আল্লাহ্ বলেন :
’
আমি ইব্রাহীমকে ইসহাষ্কের সু-সংৰাদ দিয়েইিপড়াম যে স্থিণ একজন নবী ও সৎকর্ম
পরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত ৷ আমি ইৰ্রাহীমের গ্রত্তি ও ইসহাকের প্রতি বয়কত দান করেছিলাম ৷
তাদের বংশয্রদের মধ্যে কতক সত্কর্মশীল এবং কতক নিঙ্গেদের প্রতি স্পষ্ট অত্যাচারী ৷
(৬৭ : ১১২-১১৩)
আল্পড়াহ্ কুরআনের অনেক আয়াতে ইসহাক (আ)-এর প্রশংসা করেছেন ৷ আবু হুরড়ায়রা (রা)
বর্ণিত এ মর্মের হড়াদীসে পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রসুসুরাহ (যা) বলেছেন : একজন
সম্মানিত বাতি, যার পিতাও ছিলেন সম্মানিত, তার পিতাও ছিলেন সশ্বাষিত এবং তার পিতাও
ছিলেন সম্মানিত ৷ তিনি হলেন ইউসুফ ইবন ইরাকুর হবৃন ইসহাক ইবন ইব্রাহীম ৷ আহলি
কিতাবগণ বলেন, ইসহাক (আ) তার চল্লিশ বছর বয়সে পিতার জীবদ্দশায় রষ্ফাকা বিনত
বাৎওয়াইলকে বিবাহ করেন ৷ রুফাকা ছিলেন বন্ধ্যড়া ৷ তাই ইসহড়াক (আ) সন্তানের জন্যে
আল্লাহ্র কাছে দৃআ করেন ৷ এরপর শ্রী সন্তান-সারা হল এবং তিনি জময় দুই পুত্র সন্তান প্ৰসব
করেন ৷ তাদের প্রথমজম্মেৱ নাম রাখা হয় ঙ্গসু’ যাকে আরবরা ঈস’ বলে তাকে ৷ এই ঈস
হচ্ছেন রুমের পিতা ৷ দ্বিতীয় সন্তান তুমিষ্ঠ হবার সময় থাকে তার ভাইয়ের পায়ের গোড়ালি
আকড়ে থাকতে দেখা যায় ৷ এই কারণে তার নাম রাখা হয় ইয়াকুব ৷ কেননা এ শব্দটির মুল
ধাতু ( ন্ন্;) অর্থ গোড়ালি বা পঢাতে আগমনকারী ৷ তার অপর নাম ইসরাঈল, যার নামে
বনী-ইসরাঈল বংশের নামকরণ করা হয়েছে ৷
কিতাৰীপণ বলেন, হযরত ইসহড়াক (আ) ইয়াকুৰের তুলনায় ঈসুকে অধিকতর
ভালবাসতেন; কারণ তিনি ছিলেন প্রথম সন্তান ৷ পক্ষাস্তরে তাদের মা রুফাকা ইয়াকুবকে বেশি
ভালবাসতেন; কেননা, তিনি ছিলেন কনিষ্ঠ ৷ ইসহাক (আ) যখন বযােবৃদ্ধ হন এবং তার
দৃষ্টি-শক্তিহ্রড়াস পায়, তখন তিনি পুত্র ঙ্গসেয় নিকট একটি উত্তম আহার্য চান ৷ তিনি একটি পশু
শিকার করে রান্না করে আমার জন্যে ঈসক্ষে নির্দেশ দেন ৷ যা আহার করে তিনি তার জন্যে
বরকত ও কল্যাণের দৃআ করবেন ৷ ঈস শিক্ষায় কাজে পারদর্শী ছিলেন ৷ তাই তিনি শিকারে
বেরিয়ে পড়লেন ৷ এদিকে রুফাকা তার প্রিয় পুত্র ইয়াকুবকে পিতার দুআ লাভের জন্যে পিতার
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৫৫-
[ذِكْرُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِمَا الصَّلَاةُ وَالتَّسْلِيمُ]
قَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ وُلِدَ وَلِأَبِيهِ مِائَةُ سَنَةٍ بَعْدَ أَخِيهِ إِسْمَاعِيلَ بِأَرْبَعَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَكَانَ عُمُرُ أُمِّهِ سَارَّةَ حِينَ بُشِّرَتْ بِهِ تِسْعِينَ سَنَةً قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِنَ الصَّالِحِينَ وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَى إِسْحَاقَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِنَفْسِهِ مُبِينٌ} [الصافات: 112]
[الصَّافَّاتِ: 112، 113] . وَقَدْ ذَكَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِالثَّنَاءِ عَلَيْهِ فِي غَيْرِ مَا آيَةٍ مِنْ كِتَابِهِ الْعَزِيزِ، وَقَدَّمْنَا فِي حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ «الْكَرِيمَ ابْنَ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ.» وَذَكَرَ أَهْلُ الْكِتَابِ أَنَّ إِسْحَاقَ لَمَّا تَزَوَّجَ رِفْقَا بِنْتَ ثَبْوَائِيلَ فِي حَيَاةِ أَبِيهِ كَانَ عُمُرُهُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَأَنَّهَا كَانَتْ عَاقِرًا فَدَعَا اللَّهَ لَهَا فَحَمَلَتْ فَوَلَدَتْ غُلَامَيْنِ تَوْءَمَيْنِ أَوَّلُهُمَا سَمَّوْهُ عِيصُو، وَهُوَ الَّذِي تُسَمِّيهِ الْعَرَبُ الْعِيصَ. وَهُوَ وَالِدُ الرُّومِ، وَالثَّانِي خَرَجَ وَهُوَ آخِذٌ بِعَقِبِ أَخِيهِ فَسَمَّوْهُ يَعْقُوبَ، وَهُوَ إِسْرَائِيلُ الَّذِي يَنْتَسِبُ إِلَيْهِ بَنُو إِسْرَائِيلَ قَالُوا: وَكَانَ إِسْحَاقُ يُحِبُّ الْعِيصَ أَكْثَرَ مِنْ يَعْقُوبَ لِأَنَّهُ بِكْرُهُ، وَكَانَتْ أُمُّهُمَا رِفْقَا
পৃষ্ঠা - ৪৪৯
চাহিদা অনুযায়ী দু’টি উৎকৃষ্ট ছাপল ছানা যবেহ করে খাদ্য প্রস্তুত করে ভাইয়ের পুর্বেই পিতার
সম্মুখে পেশ করার আদেশ দেন ৷ খাদ্য তৈরি হবার পর মা রুফাকা ইয়াকুবকে ঈসের পোশাক
পরিয়ে দেন এবং উভয় হাতে ও র্কাধের উপরে ছাগলের চামড়া জড়িয়ে দেন ৷ কারণ ৷ঈসের
শরীরে বেশি পরিমাণ ৷লোম ছিল, ইয়াকুরের৷ শরীরে সেরুপ সোম ছিল না ৷ তারপর যখন খাদ্য
নিয়ে ইয়াকুব পিতার কাছে হাষির হলেন তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেনহ্র তুমি কে? উত্তরে তিনি
বললেন৪ আপনার ছেলে ৷ তখন পিতা তাকে কাছে টেনে নেন ও আলিঙ্গন করেন ৷ তবেত তিনি
মুখে ব্যক্ত করলেন যে, কণ্ঠস্বর তো ইয়াকুবের মত কিন্তু শরীর ও পোশাক ঈসের বলে মনে
হয় ৷ আহার শেষে তিনি দুআ করলেন যে, ভাইদের মধ্যে তিনি যেন অধিকতর ভাপ্যবান হন,
ভাইদের উপরে ও পরবর্তী বং শধবদের উপরে যেনত তার নির্দেশ ও প্রভাব কার্যকরী হয় এবং
তিনি অধিক পরিমাণ জীবিকা ও সন্তানের অধিকারী হন ৷
পিতার নিকট থেকে ইয়াকুব চলে আসার পর তার ভাই ঈস সেই খাদ্য নিয়ে পিতার কাছে
হাযির হন যা খাওয়ানাের জন্যে তিনি তাকে আদেশ করেছিলেন ৷ পিতা জিজ্ঞেস করলেন
বাংলা এ আবার তুমি কি নিয়ে এসেছ? ঈস বললেনং : এতো সেই খাদ্য যা আপনি খেতে
চেয়েছিলেন ৷ পিতা বললেন, এই কিছুক্ষণ পুর্বে কি ভুমি খাদ্য নিয়ে আসনি এবং তা আহার
করে কি৫ তামার জন্যে আমি দু আ করিনি? ঈস বললেনং আল্লাহর কসম, আমি আসিনি ৷
তিনি তখন বুঝতে ৩পারলেন যে, ইয়াকুবই আমার আগে এসে এ কাজ করে গেছে ৷ তিনি
ইয়াকুবের উপর ভীষণ ক্ষুব্ধ হলেন ৷ কিতা বীদের বর্ণনা মতে , এমনকি পিতার মৃত্যুর পর তাকে
হত্যা করার হুমকিও দেন ৷ তারপর পিতার নিকট দুআ চাইলে পিতা তার জন্যে ভিন্ন দৃআ
করেন ৷ তিনি দু’আ করলেন যেন ঈসের সন্তানর৷ শক্ত যমীনের অধিকারী হয় , তাদের জীবিকা
ও ফল-ফ্ল দি যেন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় ৷ ইয়াকুব (আ) এর প্রতি ঈসের হুমকির কথা তাদের মার
শ্রুতিগােচর হলেও তিনি ইয়াকুব (আ)-কেত তার ভাই অর্থাৎ ইয়াকুবের মামা লাবানের কাছে চলে
যেতে নির্দেশ দেন ৷ লাবান হারানে বসবাস করতেন ৷ ঈসের ণ্ক্রা ধ প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত
সেখানে অবস্থান করার জন্যে তিনি তাকে পরামর্শ দেন ৷ এ ছাড়া তিনি লাবানের কন্যাকে বিয়ে
কঃাতেও তাকে বলে দেন ৷ এরপর তিনি তার স্বামী ইসহাক (আ)-কে এ ব্যাপারে অনুমতি ও
প্রয়োজনীয় উপদেশ দান এবং তার জন্য দু তা করতে বলেন ৷ হযরত ইসহাকত ৷ই করলেন ৷
ইয়াকুব (আ) ঐ দিন বিকেলেই তাদের কাছ থেকে বিদায় নেন ৷৩ তারপর যেখানে পৌছলে
সন্ধ্য৷ হয় সেখানে একটি পাথর মাথার নিচে রেখে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন ৷ ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে
দেখেন, যমীন থেকে আলম ন পর্যন্ত একটি সিড়ি স্থাপিত রয়েছে ৷ ফেরেশতাগণ সেই সিড়ি
যেয়ে ওঠানামা করছেন ৷ আর আল্লাহত তাকে ডেকে বলছেন৪ আমি তোমাকে বরকতে পরিপুর্ণ
করব, তোমার সত্তান-সস্ততি বৃদ্ধি করব, তোমাকে ও তোমার বংশধরদেরকে এই যমীনের
অধিকারী বানাব ৷ ঘুম থেকে জেগে এরুপ একটি স্বপ্নের জন্যে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং
যাতে করেন যে, আল্লাহ যদি আমাকে নিরাপদে পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যাওয়ার
সুযোগ দেন তাহলে এই স্থানেআল্লাহ্র উদ্দেশে একটি ইবাদতখানা নির্মাণ করব; যা কিছু
রিযিক পাব তার এক-দশমাংশ আল্লাহ্র রাহে দান করব ৷ তারপর সেই পাথরটি চেনার
تُحِبُّ يَعْقُوبَ أَكْثَرَ لِأَنَّهُ الْأَصْغَرُ. قَالُوا: فَلَمَّا كَبِرَ إِسْحَاقُ، وَضَعُفَ بَصَرُهُ اشْتَهَى عَلَى ابْنِهِ الْعِيصِ طَعَامًا، وَأَمَرَهُ أَنْ يَذْهَبَ فَيَصْطَادَ لَهُ صَيْدًا، وَيَطْبُخَهُ لَهُ لِيُبَارِكَ عَلَيْهِ وَيَدْعُوَ لَهُ، وَكَانَ الْعِيصُ صَاحِبَ صَيْدٍ فَذَهَبَ يَبْتَغِي ذَلِكَ فَأَمَرَتْ رِفْقَا ابْنَهَا يَعْقُوبَ أَنْ يَذْبَحَ جَدْيَيْنِ مِنْ خِيَارِ غَنَمِهِ، وَيَصْنَعَ مِنْهُمَا طَعَامًا، كَمَا اشْتَهَاهُ أَبُوهُ، وَيَأْتِيَ إِلَيْهِ بِهِ قَبْلَ أَخِيهِ لِيَدْعُوَ لَهُ وَقَامَتْ فَأَلْبَسَتْهُ ثِيَابَ أَخِيهِ، وَجَعَلَتْ عَلَى ذِرَاعَيْهِ وَعُنُقِهِ مِنْ جِلْدِ الْجَدْيَيْنِ؛ لِأَنَّ الْعِيصَ كَانَ أَشْعَرَ الْجَسَدِ وَيَعْقُوبَ لَيْسَ كَذَلِكَ، فَلَمَّا جَاءَهُ بِهِ وَقَرَّبَهُ إِلَيْهِ قَالَ: مَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: وَلَدُكَ. فَضَمَّهُ إِلَيْهِ وَجَسَّهُ، وَجَعَلَ يَقُولُ: أَمَّا الصَّوْتُ فَصَوْتُ يَعْقُوبَ، وَأَمَّا الْجَسُّ وَالثِّيَابُ فَالْعِيصُ، فَلَمَّا أَكَلَ وَفَرَغَ دَعَا لَهُ أَنْ يَكُونَ أَكْبَرَ إِخْوَتِهِ قَدْرًا، وَكَلِمَتُهُ عَلَيْهِمْ، وَعَلَى الشُّعُوبِ بَعْدَهُ، وَأَنْ يَكْثُرَ رِزْقُهُ وَوَلَدُهُ. فَلَمَّا خَرَجَ مِنْ عِنْدِهِ جَاءَ أَخُوهُ الْعِيصُ بِمَا أَمَرَهُ بِهِ وَالِدُهُ يُقَرِّبُهُ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: مَا هَذَا يَا بُنَيَّ؟ قَالَ: هَذَا الطَّعَامُ الَّذِي اشْتَهَيْتَهُ. فَقَالَ: أَمَا جِئْتَنِي بِهِ قَبْلَ السَّاعَةِ وَأَكَلْتُ مِنْهُ وَدَعَوْتُ لَكَ. فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ. وَعَرَفَ أَنَّ أَخَاهُ قَدْ سَبَقَهُ إِلَى ذَلِكَ فَوَجَدَ فِي نَفْسِهِ عَلَيْهِ وَجْدًا كَثِيرًا. وَذَكَرُوا أَنَّهُ تَوَاعَدَهُ بِالْقَتْلِ إِذَا مَاتَ أَبُوهُمَا، وَسَأَلَ أَبَاهُ فَدَعَا لَهُ بِدَعْوَةٍ أُخْرَى، وَأَنْ يَجْعَلَ لِذُرِّيَّتِهِ غَلِيظَ الْأَرْضِ، وَأَنْ يُكْثِرَ أَرْزَاقَهُمْ وَثِمَارَهُمْ، فَلَمَّا سَمِعَتْ أُمُّهُمَا مَا يَتَوَاعَدُ بِهِ الْعِيصُ أَخَاهُ يَعْقُوبَ أَمَرَتِ ابْنَهَا يَعْقُوبَ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى أَخِيهَا لَابَانَ الَّذِي بِأَرْضِ حَرَّانَ، وَأَنْ يَكُونَ عِنْدَهُ إِلَى حِينِ يَسْكُنُ غَضَبُ أَخِيهِ عَلَيْهِ، وَأَنْ يَتَزَوَّجَ مِنْ بَنَاتِهِ، وَقَالَتْ لِزَوْجِهَا إِسْحَاقَ أَنْ يَأْمُرَهُ بِذَلِكَ وَيُوصِيَهُ وَيَدْعُوَ لَهُ فَفَعَلَ فَخَرَجَ يَعْقُوبُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنْ عِنْدِهِمْ آخِرَ ذَلِكَ الْيَوْمِ فَأَدْرَكَهُ الْمَسَاءُ فِي مَوْضِعٍ فَنَامَ فِيهِ أَخَذَ حَجَرًا فَوَضَعَهُ تَحْتَ رَأْسِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৫০
সুবিধার্থে তার উপর কিছু তেল ঢেলে দেন ৷ তিনি এই স্থানের নাম রাখেন বায়তৃঈল অর্থাৎ
বায়তুল্লাহ ৷ এটাই বর্তমান কালের বায়তুল মুকাদ্দাস যা হযরত ইয়াকুব (আ) পরবর্তীকালে
নির্মাণ করেছিলেন ৷ এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা পরে আসবে ৷
আহলি কিতাবগণ আরো বলেন যে, হযরত ইয়াকুব (আ) হারানে পৌছে মামড়ার কাছে
উপস্থিত হন ৷ মামা লাবানের ছিল দুই কন্যা ৷ বড়জনের নাম লায়্যা এবং ছেটিজনের নাম
রাহীল ৷ রুপ-লাবণ্যে ছোটজনই শ্রেষ্ঠ ৷ তাই ইয়াকুব মামার কাছে ছোটজনকে বিবাহ করার
প্রস্তাব দেন ৷ মামা এই শর্তে বিবাহ দিতে রাযী হন যে, সাত বছর পর্যন্ত তার মেষ পালের
দেখাশোনা করতে হবে ৷ ,সাত বছর অতীত হবার পর লাবান বিবাহের আয়োজন করেন ৷
লোকজনকে দাওয়াত দেন এবং আখ্যায়িত করেন এবং রাতে জ্যেষ্ঠ কন্যা লায়্যাকে ইয়াকুবের
নিকট বাসরঘরে প্রেরণ করেন ৷ লায়্যা দেখতে কুৎসিত ও ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি-সম্পন্না ছিলেন ৷
সকাল বেলা ইয়াকুব তার কাছে লায়্যাকে দেখতে পেয়ে মামাব নিকট অভিযোগ করলেন যে,
আপনি কেন আমার সাথে প্রতারণা করলেন? আমি তো আপনার কাছে রাহীলের প্রস্তাব
দিয়েছিলাম ৷ উত্তরে মামা বললেন, এটা আমাদের সামাজিক রীতি নয় যে, জ্যেষ্ঠা কন্যাকে
রেখে কনিষ্ঠা কন্যাকে বিয়ে দেব ৷ এখন যদি তুমি এর বোনকে বিয়ে করতে চাও তার আরও
সাত বছর কাজ কর, তাহলে তাকেও তোমার সাথে বিয়ে দেব ৷ সুতরাং ইয়াকুব (আ) আরও
সাত বছর কাজ করলেন ৷ তারপর তিনি তার জ্যেষ্ঠ কন্যার সাথে কনিষ্ঠ কন্যাকেও ইয়াকুব
(আ)-এর কাছে বিয়ে দেন ৷ এরুপ দুই কন্যাকে একই ব্যক্তির সাথে বিবাহ দেওয়া তাদের
শরীআতে বৈধ ছিল ৷ পরবর্তীকালে তাওরড়াতের মাধ্যমে এ বিধান রহিত হয়ে যায় ৷ এই একটি
দলীলই রহিত হবার জন্যে যথেষ্ট ৷ কেননা, হযরত ইয়াকুব (আ)-এর কর্মই এটা বৈধ ও ঘুবাহ
হওয়ার প্রমাণবহ ৷ কারণ, তিনি ছিলেন মাসুম বা নিষ্পাপ ৷ লাবান তার উভয় কন্যার সাথে
একটি করে দাসী দিয়েছিলেন ৷ লায়্যার দাসীর নাম ছিল যুলফা এবং রাহীলের দাসীর নাম ছিল
বালহড়া ৷ লায়্যার যে ঘাটতি ছিল আল্লাহ তাকে কয়েকটি সন্তান দান করে সে ঘাটতি পুরণ
করেন ৷ সুতরাং লায়্যার গর্ভে ইয়াকুব (আ)এর প্রথম সন্তান রুবীল দ্বিতীয় সন্তান শামৃউন,
তৃতীয় সন্তান লাবী এবং চতুর্থ সন্তান য়াহুযা ৷ রাহীলের কোন সন্তান হত না, তাই তিনি
ঈর্ষাষিত হয়ে পড়লেন এবং নিজের দামী বালহাকে ইয়াকুব (আ)-এর কাছে সমর্পণ করলেন ৷
ইয়াকুব (আ) দাসীর সাথে মিলিত হলে এক পুত্র সন্তান জন্ম হয় ৷ নাম রাখা হয় দান ৷ বালহা
দ্বিতীয়বার গর্ত ধারণ করে এবং দ্বিতীয়রারও পুত্র সন্তান জন্ম হয় ৷ এর নাম রাখা হয়
নায়ফ্তালী ৷ এবার লায়্যাও তার দাসী যুলফাকে ইয়াকুব (আ)এর কাছে সমর্পণ করেন ৷
যুলফার পর্ভেও দুই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়; একজনের নাম হাদ এবং অপরজনের নাম আশীর ৷
তারপর লায়্যা নিজেও সন্তান-সম্ভবা হন এবং পঞ্চম পুত্রের না হন ৷ এ পুত্রের নাম রাখা হয়
আয়সাখার ৷ পুনরায় লায়্যা গতবিতী হলে ষষ্ঠ পুত্রের জন্ম হয় যার নাম রাখা হয় যাবিলুন ৷
এরপর তিনি সপ্তম সস্তানরুপে এক কন্যা সন্তান প্রসব করেন যার নাম রাখা হয় দিনা ৷ এভাবে
লায়্যার গর্ভে ইয়াকুব (আ)-এর সাত সন্তানের জন্ম হয় ৷ তারপর স্তী রাহীল একটি পুত্র সন্তানের
জন্যে আল্লাহর কাছে দুআ করেন ৷ আল্লাহ্ তার প্রার্থনা কবুল করেন ৷ ফলে আল্লাহর নবী
ইয়াকুব (আ)-এর ঔরসে তার গর্ভে এক সুন্দর সুশ্ৰী মহান পুত্র সন্তান জন্মলাভ করেন যীর নাম
রাখা হয় ইউসুফ ৷
وَنَامَ فَرَأَى فِي نَوْمِهِ ذَلِكَ مِعْرَاجًا مَنْصُوبًا مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ، وَإِذَا الْمَلَائِكَةُ يَصْعَدُونَ فِيهِ وَيَنْزِلُونَ، وَالرَّبُّ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يُخَاطِبُهُ، وَيَقُولُ لَهُ: إِنِّي سَأُبَارِكُ عَلَيْكَ، وَأُكْثِرُ ذُرِّيَّتَكَ، وَأَجْعَلُ لَكَ هَذِهِ الْأَرْضَ وَلِعَقِبِكَ مِنْ بَعْدِكَ، فَلَمَّا هَبَّ مِنْ نَوْمِهِ فَرِحَ بِمَا رَأَى، وَنَذَرَ لِلَّهِ لَئِنْ رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ سَالِمًا لَيَبْنِيَنَّ فِي هَذَا الْمَوْضِعِ مَعْبَدًا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَنَّ جَمِيعَ مَا يَرْزُقُهُ مِنْ شَيْءٍ يَكُونُ لِلَّهِ عُشْرُهُ، ثُمَّ عَمَدَ إِلَى ذَلِكَ الْحَجَرِ فَجَعَلَ عَلَيْهِ دُهْنًا يَتَعَرَّفُهُ بِهِ. وَسَمَّى ذَلِكَ الْمَوْضِعَ بَيْتَ إِيلَ أَيْ بَيْتَ اللَّهِ، وَهُوَ مَوْضِعُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ الْيَوْمَ الَّذِي بَنَاهُ يَعْقُوبُ بَعْدَ ذَلِكَ، كَمَا سَيَأْتِي قَالُوا: فَلَمَّا قَدِمَ يَعْقُوبُ عَلَى خَالِهِ أَرْضَ حَرَّانَ إِذَا لَهُ ابْنَتَانِ اسْمُ الْكُبْرَى لَيَا، وَاسْمُ الصُّغْرَى رَاحِيلُ، فَخَطَبَ إِلَيْهِ رَاحِيلَ، وَكَانَتْ أَحْسَنَهُمَا، وَأَجْمَلَهُمَا فَأَجَابَهُ إِلَى ذَلِكَ بِشَرْطِ أَنْ يَرْعَى عَلَى غَنَمِهِ سَبْعَ سِنِينَ، فَلَمَّا مَضَتِ الْمُدَّةُ عَمِلَ خَالُهُ لَابَانُ طَعَامًا، وَجَمَعَ النَّاسَ عَلَيْهِ، وَزَفَّ إِلَيْهِ لَيْلًا ابْنَتَهُ الْكُبْرَى لَيَا، وَكَانَتْ ضَعِيفَةَ الْعَيْنَيْنِ قَبِيحَةَ الْمَنْظَرِ، فَلَمَّا أَصْبَحَ يَعْقُوبُ إِذَا هِيَ لَيَا، فَقَالَ لِخَالِهِ: لِمَ غَدَرْتَ بِي، وَأَنْتَ إِنَّمَا خَطَبْتُ إِلَيْكَ رَاحِيلَ. فَقَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ سُنَّتِنَا أَنْ نُزَوِّجَ الصُّغْرَى قَبْلَ الْكُبْرَى فَإِنْ أَحْبَبْتَ أُخْتَهَا فَاعْمَلْ سَبْعَ سِنِينَ أُخْرَى وَأُزَوِّجُكَهَا. فَعَمِلَ سَبْعَ سِنِينَ، وَأَدْخَلَهَا عَلَيْهِ مَعَ أُخْتِهَا، وَكَانَ ذَلِكَ سَائِغًا فِي مِلَّتِهِمْ، ثُمَّ نُسِخَ فِي شَرِيعَةِ التَّوْرَاةِ، وَهَذَا وَحْدَهُ دَلِيلٌ كَافٍ عَلَى وُقُوعِ النَّسْخِ؛ لِأَنَّ فِعْلَ يَعْقُوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ دَلِيلٌ عَلَى جَوَازِ هَذَا وَإِبَاحَتِهِ؛ لِأَنَّهُ مَعْصُومٌ. وَوَهَبَ لَابَانُ لِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنِ ابْنَتَيْهِ جَارِيَةً؛
পৃষ্ঠা - ৪৫১
এ পরিবারের সকলেই হারানে বসবাস করতে থাকেন ৷ ইয়াকুব (আ) মামার উভয় কন্যাকে
বিবাহ করার পর আরও ছয় বছর পর্যন্ত তার মেষ চরান ৷ অর্থাৎ সর্বমোট বিশ বছর তিনি
মামার কাছে অবস্থান করেন ৷ তখন হযরত ইয়াকুব (আ) নিজ পরিবারবর্গের কাছে ফিরে
যাওয়ার জন্যে মামার কাছে অনুমতি চান ৷ মামা র্তাকে বললেন, তোমার কারণে আমার
ধন-সম্পদে অনেক বরকত হয়েছে ৷ অতএব, আমার সম্পদের যে পরিমাণ ইচ্ছে, তুমি আমার
কাছে চেয়ে নাও ৷ ইয়াকুব (আ) বললেন, তাহলে এই বছরে আপনার বকরীর যতগুলাে বাচ্চা
হবে তা থেকে যেগুলোর রং হবে সাদা-কালো ফৌটা বিশিষ্ট, সাদা-কালো মিশ্রিত, কালো অংশ
বেশি ও সাদা অংশ কম কিংবা মাথার দু’দিকে টাকপড়া সাদা এ জাতীয় বাচ্চাগুলাে আমাকে
দিন ৷ মামা তার দাবি মেনে নেন ৷ সে মতে মামার ছেলেরা পিতার মেষ-পাল থেকে এ জাতীয়
বকরীগুলাে বেছে বেছে আলাদা করে নিলেন এবং সেগুলোকে পিতার মেষ-পাল থেকে তিন
দিনের দুরত্বে নিয়ে য়ান ৷ যাতে করে ঐ জাতীয় বাচ্চা জন্ম হতে না পারে ৷ এ দেশে ইয়াকুব
(আ) সাদা রং-এর তাজা বাদাম ও দালাব নামক ঘাস সংগ্রহ করলেন এবং সেগুলো ছিড়ে ঐসব
বকরীর খাওয়ার পানিতে ফেললেন ৷ উদ্দেশ্য এই যে, বকরী ঐ দিকে তাকালে ভীত হবে এবং
পেটের মধ্যের বাচ্চা নড়াচড়া করবে ৷ ফলে সে সব বাচ্চা উপরোক্ত রং-বিশিষ্ট হয়ে জন্মাবে ৷
বন্তুত এটা ছিল একটি অলৌকিক ব্যাপার এবং ইয়াকুব নবীর অন্যতম মুজিযা ৷ এভাবে নবী
ইয়াকুব (আ) প্রচুর সংখ্যক বকরী, পশু ও দাস-দাসীর মালিক হন এবং এ কারণে তার মামার
ও মামার ছেলেদের চেহারা বিবর্ণ হয়ে যায়, যেন ইয়াকুব (আ)-এর কারণে তারা কােণঠাসা
হয়ে পড়েছেন ৷
আল্লাহ্ ওহীযােগে ইয়াকুব (আ)-কে নির্দেশ দেন যে, তুমি তোমার জন্মভুমিতে নিজ জাতির
কাছে চলে যাও ৷ এ সময় আল্লাহ্ র্তাকে সাহায্যের আশ্বাস প্রদান করেন ৷ অতঃপর ইয়াকুব
(আ) নিজ ত্রী-পুত্র-পরিজনের কাছে বিষয়টি পেশ করেন ৷ তারা স্বতঃস্ফুর্তভাবে তার
আনুগত্যের পক্ষে সাড়া দেন ৷ সুতরাং ইয়াকুব (আ) তার পরিবারবর্প ও ধন-সম্পদ সাথে নিয়ে
রওয়ানা হয়ে পড়েন ৷ আসার সময় ত্রী রাহীল তার পিতার মুর্তিসমুহ লুকিয়ে নিয়ে আসেন ৷
তারা যখন ঐ এলাকা অতিক্রম করেন তখন লাবান (রাহীলের পিতা) ও তার সম্প্রদায় তাদের
কাছে এসে উপস্থিত হন ৷ লাবানকে না জানিয়ে আসার জন্যে তিনি ইয়াকুব (আ)-কে মৃদু
ভহ্সনা করে বললেন, আমাকে জানিয়ে আসলে ধুমধামের সাথে কন্যাদের ও তাদের সন্তানদের
বিদায় সম্বর্যনা জানাতে পারতাম ৷ ঢোল-তবলা ও বাদ্য-যন্ত্র বাজিয়ে আমােদ-ফুর্তি করে বিদায়
দিতাম, ৷, এরপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আমার মুর্তি কেন নিয়ে এসেছ? মুর্তির ব্যাপারে ইয়াকুব
(আ) কিছুই জানতেন না ৷ তইি তিনি অস্বীকার করে বললেন, আমরা তো মুর্তি আনিনি ৷ লাবড়ান
তার কন্যা ও দাসীদের অবস্থান হল ও জিনিসপত্র তল্লাশি করলেন কিন্তু কিছুই পেলেন না ৷
রাহীল ঐ মুর্তিটি নিজ বাহনের পৃষ্ঠদেশে বসার স্থানে পদির নীচে রেখে দিয়েছিলেন ৷ তিনি সে
স্থান থেকে উঠ লেন না এবং ওযর পেশ করে জানালেন যে, তিনি ঋতুবতী ৷ সুতরাং তিনি তা
উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলেন ৷
অবশেষে শ্বণ্ডর-জামাতা প্উত্যয় তথায় অবস্থিত জালআদ নামক একটি টিলার কাছে
পরস্পরে এ মর্মে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন যে, ইয়াকুব (আ) লাবানের কন্যাদেরকে ত্যাগ করবেন না
فَوَهَبَ لِلَيَا جَارِيَةً اسْمُهَا زُلْفَا، وَوَهَبَ لِرَاحِيلَ جَارِيَةً اسْمُهَا بَلُهَا، وَجَبَرَ اللَّهُ تَعَالَى ضَعْفَ لَيَا بِأَنْ وَهَبَ لَهَا أَوْلَادًا فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ وَلَدَتْ لِيَعْقُوبَ رُوبِيلُ، ثُمَّ شَمْعُونُ، ثُمَّ لَاوِي، ثُمَّ يَهُوذَا، فَغَارَتْ عِنْدَ ذَلِكَ رَاحِيلُ، وَكَانَتْ لَا تَحْبَلُ فَوَهَبَتْ لِيَعْقُوبَ جَارِيَتَهَا بَلْهَا فَوَطِئَهَا فَحَمَلَتْ وَوَلَدَتْ لَهُ غُلَامًا سَمَّتْهُ دَانَ، وَحَمَلَتْ وَوَلَدَتْ غُلَامًا آخَرَ سَمَّتْهُ يَفْثَالِي، فَعَمَدَتْ عِنْدَ ذَلِكَ لَيَا فَوَهَبَتْ جَارِيَتَهَا زُلْفَا مِنْ يَعْقُوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَوَلَدَتْ لَهُ جَادَ وَأَشِيرَ غُلَامَيْنِ ذَكَرَيْنِ، ثُمَّ حَمَلَتْ لَيَا أَيْضًا فَوَلَدَتْ غُلَامًا خَامِسًا مِنْهَا وَسَمَّتْهُ أَيْسَاخَرَ، ثُمَّ حَمَلَتْ وَوَلَدَتْ غُلَامًا سَادِسًا سَمَّتْهُ زَابِلُونَ، ثُمَّ حَمَلَتْ وَوَلَدَتْ بِنْتًا سَمَّتْهَا دِينَا، فَصَارَ لَهَا سَبْعَةٌ مِنْ يَعْقُوبَ، ثُمَّ دَعَتِ اللَّهَ تَعَالَى رَاحِيلُ وَسَأَلَتْهُ أَنْ يَهَبَ لَهَا غُلَامًا مِنْ يَعْقُوبَ، فَسَمِعَ اللَّهُ نِدَاءَهَا وَأَجَابَ دُعَاءَهَا فَحَمَلَتْ مِنْ نَبِيِّ اللَّهِ يَعْقُوبَ فَوَلَدَتْ لَهُ غُلَامًا عَظِيمًا شَرِيفًا حَسَنًا جَمِيلًا سَمَّتْهُ يُوسُفَ كُلُّ هَذَا، وَهُمْ مُقِيمُونَ بِأَرْضِ حَرَّانَ، وَهُوَ يَرْعَى عَلَى خَالِهِ غَنَمَهُ بَعْدَ دُخُولِهِ عَلَى الْبِنْتَيْنِ سِتَّ سِنِينَ أُخْرَى فَصَارَ مُدَّةُ مُقَامِهِ عِشْرِينَ سَنَةً، فَطَلَبَ يَعْقُوبُ مِنْ خَالِهِ لَابَانَ أَنْ يُسَرِّحَهُ لِيَمُرَّ إِلَى أَهْلِهِ فَقَالَ لَهُ خَالُهُ: إِنِّي قَدْ بُورِكَ لِي بِسَبَبِكَ فَسَلْنِي مِنْ مَالِي مَا شِئْتَ. فَقَالَ: تُعْطِينِي كُلَّ حَمَلٍ يُولَدُ مِنْ غَنَمِكَ هَذِهِ السَّنَةَ أَبْقَعَ، وَكُلَّ حَمَلٍ مُلْمِعٍ أَبْيَضَ بِسَوَادٍ، وَكُلَّ أَمْلَحَ بِبَيَاضٍ، وَكُلَّ أَجْلَحَ أَبْيَضَ مِنَ الْمَعْزِ. فَقَالَ: نَعَمْ. فَعَمَدَ بَنُوهُ فَأَبْرَزُوا مِنْ غَنَمِ أَبِيهِمْ مَا كَانَ عَلَى هَذِهِ الصِّفَاتِ مِنَ التُّيُوسِ لِئَلَّا يُوَلَدَ شَيْءٌ مِنَ الْحُمْلَانِ عَلَى هَذِهِ الصِّفَاتِ، وَسَارُوا بِهَا مَسِيرَةَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ عَنْ غَنَمِ أَبِيهِمْ قَالُوا: فَعَمَدَ يَعْقُوبُ
পৃষ্ঠা - ৪৫২
এবং তাদের বর্তমানে অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না এবং এই টিলা অতিক্রম করে লাবান ও
ইয়াকুব কেউই অন্যের দেশে যাবেন না ৷ অতঃপর খাবার পাক হল ৷ উভয় পক্ষ একত্রে আহার
করলেন এবং একে অপরকে বিদায় জানিয়ে প্রত্যেকে স্ব-স্ব দেশের পানে যাত্রা করলেন ৷
ইয়াকুব (আ) সাঈর এলাকা পর্যন্ত পৌছলে ফেরেশতাগণ এসে তাকে অভ্যর্থনা জানান ৷
ইয়াকুব (আ) সেখান থেকে একজন দুতকে তার ভাই ঈসের নিকট প্রেরণ করেন, যাতে ভইি
তার প্রতি সদয় হন এবং কোমল আচরণ করেন ৷ দুত ফিরে এসে ইয়াকুব (আ)-কে এই সংবাদ
দিল যে, ঈস চারশ’ পদাতিক সৈন্যসহ আপনার দিকে আসর হচ্ছে ৷ এ সংবাদ পেয়ে ইয়াকুব
(আ) ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন ৷ আল্পাহ্র কাছে দৃআ করেন, সালাত আদায় করেন,
কাকুতি-মিনতি জানান এবং ইতিপুর্বে প্রদত্ত সাহায্যের প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করেন এবং ঈসের
অনিষ্ট থােক তীর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন ৷ এছাড়া তিনি তার ভাইকে দেয়ার জন্যে বিপুল
পরিমাণ উপচৌকন তৈরি রাখলেন ৷ উপচৌকনের মধ্যে জ্যি দৃ’শ’ ছাগী, বিশটা ছাণল, দৃ’শ
ভেড়ী, বিশটড়া ভেড়া, ত্রিশটা দুধেল উটনী, চল্পিশট৷ পাই, দশটি র্ষাড়, বিশটি গাধী ও দশটা
গাধা ৷ তারপর তিনি এ পশুগুলোর প্রত্যেক শ্রেণীকে আলাদা আলাদাভাবে ছুাকিয়ে নেওয়ার
জন্যে রাখালদেরকে নির্দেশ দেন এবং এর এক-একটি শ্রেণী থেকে আর একটি শ্রেণীর মাঝে
দুরতু বজায় রাখার নির্দেশ দেন ৷ এরপর তাদেরকে বলে দেন যে, ঈসের সাথে প্রথমে যার
সাক্ষাৎ হবে এবং ঈস বলবেন, তুমি কার লোক এবং এ পশুগুলাে কার? তখন উত্তর দিবে,
আপনার দাস ইয়াকুবের ৷ মনিব-ঈসের জন্যে তিনি এগুলো হড়াদিয়াস্বরুপ পাঠিয়ােছন ৷ এরপর
যার সাথে দেখা হবে এবং তার পরে যার সাথে সাক্ষাৎ হবে সবাই ঐ একই উত্তর দিবে ৷ আর
তোমরা প্রত্যেকেই এ কথা বলবে যে, তিনি আমাদের পেছনে অড়াসছেন ৷
সবাইকে বিদায় করার দৃইদিন পর ইয়াকুব (আ)-সহ তার দুই শ্রী, দুই দাসী এবং এপার
পুত্র যাত্রা শুরু করেন ৷ তিনি রাত্রিকালে পথ চলতেন এবং দিনের বেলা বিশ্রাম নিতেন ৷ যাত্রার
দ্বিতীয় দিন প্রভাতকালে ইয়াকুব (আ)-এর সম্মুখে জনৈক ফেরেশতা মানুষের আকৃতিতে দেখা
দেন ৷ ইয়াকুব (আ) তাকে একজন পুরুষ মানুষ বলে ধারণা করেন ৷ ইয়াকুব (আ) র্তাকে
পরাস্ত করার জন্যে অগ্রসর হন এবং ধস্তাধস্তির মাধ্যমে বাহ্যিক দৃষ্টিতে ইয়াকুব (আ) জয়ী হন ৷
তবে ফেরেশতার দ্বারা ইয়াকুব (আ) তার উরুতে আঘাত প্রাপ্ত হন ৷ তখন তিনি খোড়াতে
থাকেন ৷ প্রভাতের আলো ফুটে উঠলে ফেরেশতা ইয়াকুব (আ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনার
নাম কি ? উত্তরে তিনি বললেন, আমার নাম ইয়াকুব (আ) ৷ ফেরেশতা বললেন, এখন থেকে
আপনার নাম হবে ইসরাঈল ৷ ইয়াকুব (আ) জিজ্ঞেস করলেন, আপনার পরিচয় কি এবং
আপনার নাম কি? প্রশ্ন করার সাথেই ফেরেশতা অদৃশ্য হয়ে গেলেন ৷ তখন ইয়াকুব (আ)
বুঝতে পারলেন যে, ইনি ফেরেশতা ৷ পায়ে আঘাত পেয়ে ইয়াকুব (আ) বেড়াড়া হয়ে আছেন ৷
বনী-ইসরাঈলগণ এ কারণে উরু-হীটুর মাংসপেশী খান না ৷
তারপর ইয়াকুব (আ) দেখতে পান যে, তার ভাই ঈস চাৱশ’ লোকের এক বাহিনী নিয়ে
তার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন ৷ তিনি পরিবারবর্পকে পেছনে রেখে সম্মুখে যান ৷ ঈস সম্মুখে উপস্থিত
হলে তাকে দেখেই ইয়াকুব (আ) সাতবার র্তাকে সিজদা করেন ৷ এই সিজদা ছিল সে যুগে
সাক্ষাৎকালের সালাম রা অভিবাদন (সম্মান সুচক) এবং তাদের শরীআতে এ সিজদা বৈধ ছিল ৷
عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى قُضْبَانٍ رَطْبَةٍ بِيضٍ مِنْ لَوْزٍ وَدُلْبٍ، فَكَانَ يُقَشِّرُهَا بَلْقَاءَ وَبَيْضَاءَ، وَيَضَعُهَا فِي مَسَاقِي الْغَنَمِ مِنَ الْمِيَاهِ لِيَنْظُرَ الْغَنَمُ إِلَيْهَا فَتَفْزَعَ، وَتَتَحَرَّكَ أَوْلَادُهَا فِي بُطُونِهَا فَتَصِيرَ أَلْوَانُ حُمْلَانِهَا كَذَلِكَ. وَهَذَا يَكُونُ مِنْ بَابِ خَوَارِقِ الْعَادَاتِ، وَيَنْتَظِمُ فِي سِلْكِ الْمُعْجِزَاتِ. فَصَارَ لِيَعْقُوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَغْنَامٌ كَثِيرَةٌ وَدَوَابُّ وَعَبِيدٌ، وَتَغَيَّرَ لَهُ وَجْهُ خَالِهِ وَبَنِيهِ، وَكَأَنَّهُمُ انْحَصَرُوا مِنْهُ.
وَأَوْحَى اللَّهُ تَعَالَى إِلَى يَعْقُوبَ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى بِلَادِ أَبِيهِ وَقَوْمِهِ، وَوَعَدَهُ بِأَنْ يَكُونَ مَعَهُ فَعَرَضَ ذَلِكَ عَلَى أَهْلِهِ فَأَجَابُوهُ مُبَادِرِينَ إِلَى طَاعَتِهِ، فَتَحَمَّلَ بِأَهْلِهِ وَمَالِهِ، وَسَرَقَتْ رَاحِيلُ أَصْنَامَ أَبِيهَا، فَلَمَّا جَاوَزُوا وَتَحَيَّزُوا عَنْ بِلَادِهِمْ لِحَقَهُمْ لَابَانُ وَقَوْمُهُ، فَلَمَّا اجْتَمَعَ لَابَانُ بِيَعْقُوبَ عَاتَبَهُ فِي خُرُوجِهِ بِغَيْرِ إِذْنِهِ وَعِلْمِهِ، وَهَلَّا أَعْلَمَهُ فَيُخْرِجَهُمْ فِي فَرَحٍ وَمَزَامِرَ وَطُبُولٍ، وَحَتَّى يُوَدِّعَ بَنَاتِهِ وَأَوْلَادَهُنَّ، وَلِمَ أَخَذُوا أَصْنَامَهُ مَعَهُمْ، وَلَمْ يَكُنْ عِنْدَ يَعْقُوبَ عِلْمٌ مِنْ أَصْنَامِهِ، فَأَنْكَرَ أَنْ يَكُونَ أَخَذُوا لَهُ أَصْنَامًا فَدَخَلَ بُيُوتَ بَنَاتِهِ وَإِمَائِهِنَّ يُفَتِّشُ فَلَمْ يَجِدْ شَيْئًا، وَكَانَتْ رَاحِيلُ قَدْ جَعَلَتْهُنَّ فِي بَرْدَعَةِ الْجَمَلِ، وَهِيَ تَحْتَهَا فَلَمْ تَقُمْ، وَاعْتَذَرَتْ بِأَنَّهَا طَامِثٌ فَلَمْ يَقْدِرْ عَلَيْهِنَّ فَعِنْدَ ذَلِكَ تَوَاثَقُوا عَلَى رَابِيَةٍ هُنَاكَ يُقَالُ لَهَا: جَلْعَادُ. عَلَى أَنَّهُ لَا يُهِينُ بَنَاتِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৫৩
যেমন ফেরেশতড়ারা হযরত আদম (আ)-কে সম্মানসুচক সিজদা করেছিলেন এবং হযরত ইউসুফ
(আ)-কে তার পিতা-মাতা ও ভাইয়েরা সিজদা করেছিলেন ৷ এ সম্পর্কে আলোচনা সামনে
আসবে ৷ ইয়াকুব (আ)-এর এ আচরণ দেখে ঈস তার কাছে গেলেন এবং তাকে আলিঙ্গন করে
চুমাে খেলেন এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন ৷ তারপর চোখ তুলে তাকাতেই নারী ও বালকদেরকে
দেখে ঈস ইয়াকুব (আ)-কে লক্ষ্য করে বললেন, এদেরকে তুমি কোথায় পেলে? ইয়াকুব (আ)
বললেন, আল্লাহ্ই আপনার দাসকে এসব দান করেছেন ৷ এ সময় দাসীদ্বয় ও তাদের সম্ভানরা
ঈসকে সিজদা করল ৷ এরপর লড়ায়্যা ও তার সন্তানরা সিজদা করে এবং শেষে রাহীল ও তার
পুত্র ইউসুফ এসে ঈসকে সিজদা করেন ৷ এরপর ইয়াকুব (আ) তার ভাইকে দেয়া হাদিয়াগুলো
গ্রহণ করার জন্য বারবার অনুরোধ জানালে ঈস তা গ্রহণ করেন ৷ এরপর ঈস সেখান থেকে
বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন, তখন তিনি আগেআগে ছিলেন এবং ইয়াকুব ও তার
পরিবার-পরিজন, দাস-দাসী ও পশু সম্পদসহ তার পিছে পিস্থে সাঈর পর্বতের উদ্দেশে যাত্রা
করলেন ৷
সাহুর নামক স্থান অতিক্রমকড়ালে তিনি সেখানে একটি ঘর নির্মাণ করেন এবং পশুগুলোর
জন্যে ছাউনি তৈরি করেন ৷ এরপর শাখীম এলাকার উর-শালীম (া;,ড্রু!) নামক গ্রামের
সন্নিকটে অবতরণ করেন এবং শাখীম ইবন জামুর-এর এক খণ্ড জমি একশ ভেড়ার বিনিময়ে
ক্রয় করেন ৷ সেই জমিতে তিনি র্তাবু স্থাপন করেন এবং একটি কুরবানীগাহ্ তৈরি করেন ৷ তিনি
এর নাম রাখেন ঈল-ইলাহে ইসরাঈল’ ৷ এই কুরবানীপাহটি আল্লাহ্ তার মাহাত্ম্য প্রকাশের
উদ্দেশ্যে নির্মাণ করার আদেশ দিয়েছিলেন ৷ এটাই বর্তমান কালের বায়তৃল ঘুকাদ্দাস ৷
পরবভীকািলে সুলায়মড়ান ইবন দাউদ (আ) এ ঘরের সংস্কার করেন ৷ এটাই সেই চিহ্নিত
পাথরের জায়গা যার উপর তিনি ইতিপুর্বে তেল রেখেছিলেন-যার আলোচনা পুর্বে করা
হয়েছে ৷
আহ্লি কিতাবগণ এখানে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন, যা ইয়াকুব (আ)-এর ত্রী লায়ব্রুার
পক্ষের কন্যা দীনা সম্পর্কিত ৷ ঘটনা এই যে, শাখীম ইবন জামুর দীনাকেজোরপুর্বক তার
বাড়িতে ধরে নিয়ে যায় ৷ তারপর দীনার পিতা ও ভাইদের কাছে তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয় ৷
দীনার ভাইয়েরা জালাল যে, তোমরা যদি সকলে খাতনা করাও তাহলে আমাদের সাথে
তোমাদের বৈবাহিক সস্পর্কহভে পারে ৷ কেননা, খাতৃনাবিহীন লোকদের সাথে আমরা বৈবাহিক
সম্পর্ক স্থাপন করি না ৷ শাখীমের সম্প্রদায়ের সবাই সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে খাতনা করাল ৷
খাতনা করাবার পর তৃতীয় দিবসে তাদের ভীষণ যন্ত্রণা শুরু হয় ৷ এই সুযোগে ইয়াকুব
(আ)-এর সস্তানগণ তাদের উপর হামলা করে ৷ শাখীম ও তার পিতা জামুরসহ সকলকে হত্যা
করে ফেলে ৷ হত্যার কারণ ছিল তাদের অসদাচরণ, তদুপরি তারা ছিল মুর্তিপুজারী, কাফির ৷ এ
কারণে ইয়াকুব (এ)-এর সন্তানরা তাদেরকে হত্যা করে এবং তাদের ধন-সম্পদ ণনীমত
ইিস্যেব নিয়ে নেয় ৷
এরপর ইয়াকুব (আ)-এর কনিষ্ঠ শ্রী রাহীল পুনরায় সন্তান-সম্ভবা হন এবং পুত্র বিন-য়ামীন
জন্মঃত্বহণ করেন ৷ রাহীল বিন-য়ামীন প্রসব করতে গিয়ে খুবই কষ্ট পান ৷ ফলে সন্তান ভুমিষ্ঠ
وَلَا يَتَزَوَّجُ عَلَيْهِنَّ، وَلَا يُجَاوِزُ هَذِهِ الرَّابِيَةَ إِلَى بِلَادِ الْآخَرِ لَا لَابَانُ وَلَا يَعْقُوبُ، وَعَمِلَا طَعَامًا وَأَكَلَ الْقَوْمُ مَعَهُمْ، وَتَوَدَّعَ كُلٌّ مِنْهُمَا مِنَ الْآخَرِ، وَتَفَارَقُوا رَاجِعِينَ إِلَى بِلَادِهِمْ، فَلَمَّا اقْتَرَبَ يَعْقُوبُ مِنْ أَرْضِ سَاعِيرَ تَلَقَّتْهُ الْمَلَائِكَةُ يُبَشِّرُونَهُ بِالْقُدُومِ، وَبَعَثَ يَعْقُوبُ الْبُرُدَ إِلَى أَخِيهِ الْعِيصُو يَتَرَقَّقُ لَهُ وَيَتَوَاضَعُ لَهُ، فَرَجَعَتِ الْبُرُدُ وَأَخْبَرَتْ يَعْقُوبَ بِأَنَّ الْعِيصَ قَدْ رَكِبَ إِلَيْكَ فِي أَرْبَعِمِائَةِ رَاجِلٍ، فَخَشِيَ يَعْقُوبُ مِنْ ذَلِكَ، وَدَعَا اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَصَلَّى لَهُ وَتَضَرَّعَ إِلَيْهِ وَتَمَسْكَنَ لَدَيْهِ، وَنَاشَدَهُ عَهْدَهُ وَوَعْدَهُ الَّذِي وَعَدَهُ بِهِ. وَسَأَلَهُ أَنْ يَكُفَّ عَنْهُ شَرَّ أَخِيهِ الْعِيصَ، وَأَعَدَّ لِأَخِيهِ هَدِيَّةً عَظِيمَةً وَهِيَ؛ مِائَتَا شَاةٍ، وَعِشْرُونَ تَيْسًا، وَمِائَتَا نَعْجَةٍ، وَعِشْرُونَ كَبْشًا، وَثَلَاثُونَ لِقْحَةً، وَأَرْبَعُونَ بَقَرَةً، وَعَشَرَةٌ مِنَ الثِّيرَانِ، وَعِشْرُونَ أَتَانًا، وَعَشَرَةٌ مِنَ الْحُمُرِ، وَأَمَرَ عَبِيدَهُ أَنْ يَسُوقُوا كُلًّا مِنْ هَذِهِ الْأَصْنَافِ وَحْدَهُ، وَلْيَكُنْ بَيْنَ كُلِّ قَطِيعٍ وَقَطِيعٍ مَسَافَةٌ فَإِذَا لَقِيَهُمُ الْعِيصُ فَقَالَ لِلْأَوَّلِ: لِمَنْ أَنْتَ؟ وَلِمَنْ هَذِهِ مَعَكَ؟ فَلْيَقُلْ: لِعَبْدِكَ يَعْقُوبَ، أَهْدَاهَا لِسَيِّدِي الْعِيصَ. وَلْيَقُلِ الَّذِي بَعْدَهُ كَذَلِكَ، وَكَذَا الَّذِي بَعْدَهُ، وَكَذَا الَّذِي بَعْدَهُ، وَيَقُولُ كُلٌّ مِنْهُمْ: وَهُوَ جَاءَ بَعْدَنَا. وَتَأَخَّرَ يَعْقُوبُ بِزَوْجَتَيْهِ وَأَمَتَيْهِ وَبَنِيهِ الْأَحَدَ عَشَرَ بَعْدَ الْكُلِّ بِلَيْلَتَيْنِ، وَجَعَلَ يَسِيرُ فِيهِمَا لَيْلًا وَيَكْمُنُ نَهَارًا، فَلَمَّا كَانَ وَقْتُ الْفَجْرِ مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّانِيَةِ تَبَدَّى لَهُ مَلَكٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ فِي صُورَةِ رَجُلٍ فَظَنَّهُ
পৃষ্ঠা - ৪৫৪
হওয়ার অব্যবহিত পরে রাহীলের ইনতিকাল হয় ৷ ইয়াকুব (আ) আফরাছ অর্থাৎ বায়তৃ-লাহ্মে
( বেথেলহামে) তাকে দাফন করেন ৷ তিনিই তার কবরের উপর একটি পাথর রেখে দিয়েছিলেন
যা আজও বিদ্যমান আছে ৷ হযরত ইয়াকুব (আ)-এর সন্তানের মধ্যে বারজন পুত্র ৷ এদের মধ্যে
লায়্যার গর্ভে যীদের জন্ম হয় তারা হচ্ছেন (১) রুবীল, (২) শাম’উন, (৩) লাবী , (৪) য়াহুয৷ ,
(৫) আয়াখার ও (৬) যায়িলুন ৷ রাহীলের গর্ভে জন্ম হয় (৭) ইউসুফ ও (৮) বিন-য়ামীনের ৷
রাহীলের দাসীর গর্ভে জন্ম হয় (৯) দান ও (১০) নায়ফতালীশ্এর ৷ লায়্যা দাসীর গর্ভে জন্ম হয়
(১১) হাদ ও (১২) আশীর এর ৷ অতঃপর হযরত ইয়াকুব (আ) কানআনের হিবরুন গ্রামে চলে
আসেন এবং তথায় পিত ৷র সান্নিধ্যে থাকেন ৷ হযরত ইবরাহীম (আ) ও এখানেই বসবাস
করতেন ৷ রোপাক্রান্ত হয়ে হযরত ইসহাক (আ) একশ ৷’আশি বছর বয়সে ইনতিকড়াল করেন ৷
তার পুত্রদ্বয় ঈস ও ইয়াকুব (আ) তাকে তার পিতার পুর্বোল্পেথিত তাদের কেনা জমিতে হযরত
ইব্রাহীম (আ)-এর কবরের পাশে সমাহিত করেন ৷
ইসরাঈলের জীবনে সংঘটিত আশ্চর্য ঘটনাবলী
ইসরাঈলের জীবনে যে সব আশ্চর্য ঘটনা সংঘটিত হয় তন্মধ্যে ইউসুফ ইবন রাহীলের
ঘটনা অন্যতম ৷ তার সম্পর্কে আল্লাহ্ কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাযিল করেছেন, যাতে মানুষ
এর থেকে গবেষণা করে উপদেশ, শিষ্টাচ৷ ৷র ও সুক্ষ্ম তত্ত্ব লাভ করতে পারে ৷
া;৷ ৷প্রুও ঢু ণ্৷ ৷
মোঃএে এ
আলিফ-লাম-রা : এগুলো সুস্পষ্ট কিতাবের আয়াত ৷ আমি এটি অবতীর্ণ করেছি আরবী
ভাষায় কুরআন যাতে তোমরা বুঝতে পার ৷ আমি তোমার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করছি
ওহীর মাধ্যমে তোমার নিকট কুরআন প্রেরণ করে; যদিও এর পুর্বেতু মি ছিলে অনবহিতদের
অন্তর্ভুক্ত ৷ (১২ সুর ইউসুফ : ১ ৩)
হরুফে মুকাত্তাআত সম্পর্কে আমরা সুরা বাকারার তাফসীরের শুরুতে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি ৷ এ বিষয়ে কেউ জানতে চাইলে সেখানে দেখে নিতে পারেন ৷ তারপর এ সুরা সম্পর্কে
তাফসীরের মধ্যে আমরা বিশদভাবে আলোচনা করেছি ৷ তার কিছুটা আমরা এখানে অতি
সংক্ষেপে আলোচনা করব ৷
তার সংক্ষিপ্ত সার হচ্ছে এই যে আল্লাহ তার বান্দা ও রাসুলের উপর উচ্চাং ×প আরবী ভাষায়
যে মহান কিতাব নাযিল করেছেন তার প্রশংসা করছেন ৷ এর পাঠ ও বক্তব্য এত ই সুস্পষ্ট, যে
কোন বুদ্ধিমান ধী-শ ৷ক্তিসম্পন্ন লোক সহজেই তা অনুধাবন করতে পারে ৷ সুতরাং আসমানী
কিতাবসমুহের মধ্যে এ কিতাবই শ্রেষ্ঠ ৷ ফেরেশত ৩াকুলের শ্রেষ্ঠ ফেরেশতা ৷ এটি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ
মানবের উপর সর্বোত্তম সময়ে ও সর্বোৎকৃষ্ট স্থানে নাযিল করেছেন ৷
يَعْقُوبُ رَجُلًا مِنَ النَّاسِ فَأَتَاهُ يَعْقُوبُ لِيُصَارِعَهُ وَيُغَالِبَهُ، فَظَهَرَ عَلَيْهِ يَعْقُوبُ فِيمَا يُرَى إِلَّا أَنَّ الْمَلَكَ أَصَابَ وَرِكَهُ فَعَرَجَ يَعْقُوبُ، فَلَمَّا أَضَاءَ الْفَجْرُ قَالَ لَهُ الْمَلَكُ: مَا اسْمُكَ؟ قَالَ: يَعْقُوبُ. قَالَ: لَا يَنْبَغِي أَنْ تُدْعَى بَعْدَ الْيَوْمِ إِلَّا إِسْرَائِيلُ. فَقَالَ لَهُ يَعْقُوبُ: وَمَنْ أَنْتَ؟ وَمَا اسْمُكَ؟ فَذَهَبَ عَنْهُ فَعَلِمَ أَنَّهُ مَلَكٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، وَأَصْبَحَ يَعْقُوبُ وَهُوَ يَعْرُجُ مِنْ رِجْلِهِ فَلِذَلِكَ لَا يَأْكُلُ بَنُو إِسْرَائِيلَ عِرْقَ النِّسَا، وَرَفَعَ يَعْقُوبُ عَيْنَيْهِ فَإِذَا أَخُوهُ عِيصُ قَدْ أَقْبَلَ فِي أَرْبَعِمِائَةِ رَاجِلٍ، فَتَقَدَّمَ أَمَامَ أَهْلِهِ، فَلَمَّا رَأَى أَخَاهُ الْعِيصَ سَجَدَ لَهُ سَبْعَ مَرَّاتٍ، وَكَانَتْ هَذِهِ تَحِيَّتَهُمْ فِي ذَلِكَ الزَّمَانِ، وَكَانَ مَشْرُوعًا لَهُمْ، كَمَا سَجَدَتِ الْمَلَائِكَةُ لِآدَمَ تَحِيَّةً لَهُ، وَكَمَا سَجَدَ إِخْوَةُ يُوسُفَ وَأَبَوَاهُ لَهُ، كَمَا سَيَأْتِي، فَلَمَّا رَآهُ الْعِيصُ تَقَدَّمَ إِلَيْهِ وَاحْتَضَنَهُ وَقَبَّلَهُ وَبَكَى، وَرَفَعَ الْعِيصُ عَيْنَيْهِ، وَنَظَرَ إِلَى النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ، فَقَالَ: مِنْ أَيْنَ لَكَ هَؤُلَاءِ؟ فَقَالَ: هَؤُلَاءِ الَّذِينَ وَهَبَ اللَّهُ لِعَبْدِكَ. فَدَنَتِ الْأَمَتَانِ وَبَنُوهُمَا فَسَجَدُوا لَهُ، وَدَنَتْ لِيَا وَبَنُوهَا فَسَجَدُوا لَهُ، وَدَنَتْ رَاحِيلُ وَابْنُهَا يُوسُفُ آخِرًا فَسَجَدَا لَهُ، وَعَرَضَ عَلَيْهِ أَنْ يَقْبَلَ هَدِيَّتَهُ وَأَلَحَّ عَلَيْهِ فَقَبِلَهَا، وَرَجَعَ الْعِيصُ فَتَقَدَّمَ أَمَامَهُ، وَلَحِقَهُ يَعْقُوبُ بِأَهْلِهِ وَمَا مَعَهُ مِنَ الْأَنْعَامِ وَالْمَوَاشِي وَالْعَبِيدِ قَاصِدِينَ جِبَالَ سَاعِيرَ، فَلَمَّا مَرَّ بِسَاحُورَا ابْتَنَى لَهُ بَيْتًا وَلِدَوَابِّهِ ظِلَالًا، ثُمَّ مَرَّ عَلَى أُورْشَلِيمَ قَرْيَةِ سَحِيمٍ فَنَزَلَ قَبْلَ الْقَرْيَةِ وَاشْتَرَى مَزْرَعَةَ بَنِي حَمُورَ أَبِي سَحِيمٍ بِمِائَةِ نَعْجَةٍ، فَضَرَبَ هُنَالِكَ فُسْطَاطَهُ وَابْتَنَى ثَمَّ مَذْبَحًا فَسَمَّاهُ إِيلَ إِلَهَ إِسْرَائِيلَ، وَأَمَرَهُ اللَّهُ بِبِنَائِهِ لِيَسْتَعْلِنَ
পৃষ্ঠা - ৪৫৫
যে ভাষায় তা নাযিল হয়েছে তা অতি প্রাঞ্জল এবং তার বক্তব্য অভ্যস্ত সুস্পষ্ট ৷ আহ্সানুল
কাসাস বা উত্তম বর্ণনার সম্পর্ক যদি অতীত কিৎবা ভবিষ্যতের ঘটনার সাথে হয়, তবে তার অর্থ
হবে মানুষ যে বিষয়ে যে মতভেদ করছে তন্মধ্যে সঠিক পন্থা কি স্পষ্টভাবে বলে দেয়া এবং ভুল
ও বাতিল মতের খণ্ডন করা ৷ আর যদি তার সম্পর্ক আদেশ ও নিষেধের সাথে হয় তাহলে তার
অর্থ হবে ভারসাম্যপুর্ণ শরীআত ও বিধান, উত্তম পদ্ধতি এবং স্পষ্ট ও ন্যয়োনুগ ফয়সালা ৷ অন্য
আয়াতে এর দৃষ্টান্ত নিম্নরুপং ০সত্য ও ন্যায়ের দিক
থেকে তোমার প্ৰতিপালকের বাণী সম্পুর্ণ ৷ (৬ং ১ ১৫)
অর্থাৎ সংবাদ ও তথ্য দানের (ক্ষৰুত্র এটা সত্য আর আদেশ ও নিষেধের (ৰুৰুত্র এটা
ন্যায়নিষ্ঠ ৷ এ কারণেই অ ৷ল্লাহ্ বলেছেন০ ং
আমি তোমার কাংছ উত্তম কাহিনী বর্ণনা করছি ৷ ওহীর মাধ্যমে তোমার কাছে এ কুরআন
প্রেরণ করেছি ৷ যদিও এর আগে তুমি ন্থিলে অনবহিতদের অন্তর্ভুক্ত ৷ (১২ : ৩)
অর্থাৎ যে বিষয়ে তোমার কাছে ওহী প্রেরিত হচ্ছে সে বিষয়ে অনবহিত ছিলে ৷
অনুরুপভাবে আল্লাহ্ অন্যত্র বলেছেন ং
§; ৮১থ্রের্চুণ্ণ্
া
এ ভাবে আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করেছি রুহ্ তথা আমার নির্দেশ ৷ তুমি তো জানতে
না কিতাব কি এবং ঈমান কি? বরং আমি একে করেছি আলো-যা দিয়ে আমি আমার
বন্দোদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করি ৷ তুমি তো প্রদর্শন কর কেবল সরল পথ ৷ সে
আল্লাহর পথ যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার মালিক ৷ জেনে রেখ , সকল
বিষয়ের পরিণাম আল্পাহ্রই দিকে প্রত্যাবর্তন করে ৷ (৪২ : ৫২-৫৩ )
আল্পাহ্ বলেন :
ষ্
ট্রএোএ
لَهُ فِيهِ وَهُوَ بَيْتُ الْمَقْدِسِ الْيَوْمَ الَّذِي جَدَّدَهُ بَعْدَ ذَلِكَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَهُوَ مَكَانُ الصَّخْرَةِ الَّتِي أَعْلَمَهَا بِوَضْعِ الدُّهْنِ عَلَيْهَا قَبْلَ ذَلِكَ، كَمَا ذَكَرْنَا أَوَّلًا.
وَذَكَرَ أَهْلُ الْكِتَابِ هُنَا قِصَّةَ دِينَا بِنْتِ يَعْقُوبَ مِنْ لَيَا، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهَا مَعَ سَحِيمِ بْنِ حَمُورٍ الَّذِي قَهَرَهَا عَلَى نَفْسِهَا وَأَدْخَلَهَا مَنْزِلَهُ، ثُمَّ خَطَبَهَا مِنْ أَبِيهَا وَإِخْوَتِهَا، فَقَالَ إِخْوَتُهَا: لَا نَفْعَلُ إِلَّا أَنْ تَخْتَتِنُوا كُلُّكُمْ فَنُصَاهِرَكُمْ وَتُصَاهِرُونَا، فَإِنَّا لَا نُصَاهِرُ قَوْمًا غُلْفًا. فَأَجَابُوهُمْ إِلَى ذَلِكَ، وَاخْتَتَنُوا كُلُّهُمْ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّالِثُ وَاشْتَدَّ وَجَعُهُمْ مِنْ أَلَمِ الْخِتَانِ، مَالَ عَلَيْهِمْ بَنُو يَعْقُوبَ فَقَتَلُوهُمْ عَنْ آخِرِهِمْ وَقَتَلُوا سَحِيمًا وَأَبَاهُ حَمُورًا لِقَبِيحِ مَا صَنَعُوا إِلَيْهِمْ، مُضَافًا إِلَى كُفْرِهِمْ، وَمَا كَانُوا يَعْبُدُونَهُ مِنْ أَصْنَامِهِمْ فَلِهَذَا قَتَلَهُمْ بَنُو يَعْقُوبَ، وَأَخَذُوا أَمْوَالَهُمْ غَنِيمَةً، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
ثُمَّ حَمَلَتْ رَاحِيلُ فَوَلَدَتْ غُلَامًا، وَهُوَ بِنْيَامِينُ إِلَّا أَنَّهَا جَهَدَتْ فِي طَلْقِهَا بِهِ جَهْدًا شَدِيدًا، وَمَاتَتْ عَقِيبَهُ فَدَفَنَهَا يَعْقُوبُ فِي أَفَرَاثٍ، وَهِيَ بَيْتُ لَحْمٍ، وَصَنَعَ يَعْقُوبُ عَلَى قَبْرِهَا حَجَرًا، وَهِيَ الْحِجَارَةُ الْمَعْرُوفَةُ بِقَبْرِ رَاحِيلَ إِلَى الْيَوْمِ.
পৃষ্ঠা - ৪৫৬
এ ভাবেই আমি তোমার কাছে সেই সব ঘটনার সংবাদ দেই যা পুর্বে সংঘটিত হয়েছিল ৷
আর আমি তোমাকে আমার কাছ থেকে উপদেশ দান করেছি ৷ যে এর থেকে ৰিঘৃখ হবে সে
কিয়ামতের দিন মহাভার বহন করবে ৷ সেখানে তারা স্থায়ী হয়ে থাকবে ৷ কিয়ামতের দিন এই
বোঝা তাদের জন্যে কতই না মন্দ ৷ (২০ : ৯৯ ১ : ১ )
অর্থাৎ এই কুরআন বাদ দিয়ে যে ব্যক্তি অন্য কিতাবের অনুসরণ করবে, সে ব্যক্তিই এ
সতর্কবাণীর যোগ্য হবে ৷ মুসনাদে আহমদ ও তিরমিঘী শরীফে হযরত আলী (রা) থেকে মারফু
ও মওকুফ উভয়ভাবে বর্ণিত হাদীসে এ কথইি বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি কুরআন বাদে অন্য
কিছুতে হিদায়ত অন্বেষণ করবে তাকে আল্পাহ্ পথভ্রষ্ট করবেন ৷ ইমাম আহমদ (র) জাবির (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেন, একদা হযরত উমর (রা) আহলি কিতাবদের থেকে প্রাপ্ত একখানি কিতাব
নিয়ে রাসুল (না)-এর কাছে আসেন এবং তা তাকে পড়ে গােনান ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) ক্রুদ্ধ হয়ে
তাকে বললেন, ওহে ইবনুল-খাত্তাব! কােনরুপ চিত্তা-ভাবনা না করেই কি তোমরা এতে নিমগ্ন
হয়ে পড়েছ? সেই সভার কসম করে বলছি, র্ষার হাতের মুঠােয় আমার জীবন ৷ আমি তোমাদের
কাছে এক উজ্জ্বল আলোকদীপ্ত পরিচ্ছন্ন দীন নিয়ে এসেছি ৷ আহলি কিতাবদের কাছে যদি কোন
বিষয়ে জিজ্ঞেস কর এবং তারা কোন কিছুকে হক বলে তার তোমরা তা মিথ্যা জানবে কিৎবা
তারা যদি কোন কিছুকে বাতিল বলে, তার তোমরা তা সত্য বলে জানবে ৷ সেই সত্তার কসম
যার হাতে আমার জীবন, যদি মুসা (আ) জীবিত থাকতেন, তাহলে আমার আনুগত্য না করে
তারও উপায় থাকতো না ৷ ’
এ হাদীছ বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম আহমদ (র) ভিন্ন এক সুত্রে এ হাদীসটি
হযরত উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন :
ণ্ডাৰুাখো )ট্রু ষ্
যে সত্তার হাতে আমার জীবন, সেই সত্তার কসম, তোমাদের মাঝে যদি নবী মুসা বর্তমানে
থাকতেন আর আমাকে বাদ দিয়ে তোমরা তার অনুসরণ করতে, তবে অবশ্যই পথভ্রষ্ট হতে ৷
তোমরা আমারই উম্মত আর আমিই তোমাদের নবী ৷
এই হাদীসের সনদ ও মতন সুরা ইউসুফের তাফসীরে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ হাদীসটিব কোন
কোন বর্ণনায় এরুপ এসেছে যে, রসুলুল্লাহ (সা) একদা জনসমক্ষে ভাষণ দিতে গিয়ে বললেন,
হে জনমণ্ডলী ! আমাকে সংক্ষিপ্ত বাক্যে ব্যাপক কথা বলার শক্তি দান করা হয়েছে, চুড়ান্ত কথা
বলার শক্তি দেওয়া হয়েছে, অতি সং ক্ষেপ করার ক্ষমতা আমাকে প্রদান করা হয়েছে ৷ একটি
সুস্পষ্ট উজ্জ্ব৷ জীবন ব্যবস্থা আমাকে দেওয়া হয়েছে ৷ অতএব, না বুঝে শুনে নির্বোধের ন্যায়
অন্য কিছুতে প্ৰবিষ্ট হয়াে না ৷ নির্বোধ লোকদের কর্মকাণ্ড যেন তােমাংদরকে বোঝায় না ফেলে ৷
অতঃপর তিনি সেই লিপিটি আনতে বলেন এবং একটি একটি করে এর প্রতিটি অক্ষর মুছে
ফেলা হয় ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৫৬-
وَكَانَ أَوْلَادُ يَعْقُوبَ الذُّكُورُ اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا، فَمِنْ لَيَا؛ رُوبِيلُ، وَشَمْعَونُ، وَلَاوِي، وَيَهُوذَا، وَأَيْسَاخَرُ، وَزَابِلُونَ. وَمِنْ رَاحِيلَ؛ يُوسُفُ، وَبِنْيَامِينُ، وَمِنْ أَمَةِ رَاحِيلَ؛ دَانٌ، وَنَفْثَالِي. وَمِنْ أَمَةِ لَيَا؛ جَادٌ، وَأَشِيرُ. عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، وَجَاءَ يَعْقُوبُ إِلَى أَبِيهِ إِسْحَاقَ فَأَقَامَ عِنْدَهُ بِقَرْيَةِ حَبْرُونَ الَّتِي فِي أَرْضِ كَنْعَانَ حَيْثُ كَانَ يَسْكُنُ إِبْرَاهِيمُ، ثُمَّ مَرِضَ إِسْحَاقُ وَمَاتَ عَنْ مِائَةٍ وَثَمَانِينَ سَنَةً، وَدَفَنَهُ ابْنَاهُ الْعِيصُ وَيَعْقُوبُ مَعَ أَبِيهِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ فِي الْمَغَارَةِ الَّتِي اشْتَرَاهَا كَمَا قَدَّمْنَا. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ أَعْلَمُ بِذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৪৫৭
হযরত ইউসুফ (আ) ঘটনা
’ গ্লু,ৰু
স্মরণ কর, ইউসুফ তার পিতা ৷কে বলেছিল, হে আমার পিতা ! আমি এগারটি নক্ষত্র, সুর্য ও
চন্দ্রকে দেখেছি-দেখেছি তাদেরকে আমার প্রতি সিজদাবনত অবস্থায় ৷ সে বলল, আমার পুত্র ৷
তোমার স্বপ্ন-বৃত্তান্ত তোমার ভাইদের নিকট বর্ণনা করো না; করলে তারা তোমার বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্র করবে ৷ শয়তান তো মানুষের প্রকাশ্য শত্রু ৷ এভাবে তোমার প্ৰতিপালক তোমাকে
মনোনীত করবেন এবং তোমাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দেবেন এবং তোমার প্ৰতি , ইয়াকুবের
পরিবার-পরিজনের প্রতি তার অনুগ্রহ পুর্ণ করবেন, যেভাবে তিনি এর পুর্বে পুর্ণ করেছিলেন
তোমার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম ও ইসহড়াকের প্রতি ৷ তোমার প্রতিপালক সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় ৷
( ১ ২ : ৪ ৬)
ইতিপুর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে , হযরত ইয়াকুব (আ)-এর বারজন পুত্র সন্তান ছিলেন ৷
তাদের নামও আমরা উল্লেখ করেছি ৷ বনী ইসরাঈলের সকলেই তার সাথে সম্পৃক্ত ৷ এই রায়
ভাইয়ের মধ্যে গুণ-গরিমায় ইউসুফ (আ) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ৷ উলামাদের এক দলের মতে , বার
ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র ইউসুফ (আ) ছিলেন নবী ৷ অবশিষ্টদের মধ্যে কেউই নবী ছিলেন৷ না
ইউসুফ (আ) এর ঘটনায় তার ভাইদের যে সব কর্মকাণ্ড ও উক্তি উদ্ধৃত হয়েছে৩ তা থেকে এই
মতের সমর্থন পাওয়া যায় ৷ পক্ষ স্তরে কতিপয় আলিমের মতে , অন্য ভাইরাও নবী ছিলেন ৷
নিম্নোক্ত আয়াত থেকে তারা দলীল গ্রহণ করেন ৷ যথা ং
া
াএ
বল, আমরা আল্লাহতে এবং আমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং ইবরাহীম, ইসমাঈল ,
ইসহড়াক, ইয়াকুব ও তার বংশধরদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল তাতে ঈমান এসেছি ৷
(৩ : ৮৪)
[قِصَّةُ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ]
ذِكْرُ مَا وَقَعَ مِنَ الْأُمُورِ الْعَجِيبَةِ فِي حَيَاةِ إِسْرَائِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَمِنْ ذَلِكَ قِصَّةُ يُوسُفَ ابْنِ رَاحِيلَ
وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي شَأْنِهِ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ الْعَظِيمِ لِيُتَدَبَّرَ مَا فِيهَا مِنَ الْحِكَمِ وَالْمَوَاعِظِ وَالْآدَابِ وَالْأَمْرِ الْحَكِيمِ. أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ: {الر - تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ - إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ - نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ أَحْسَنَ الْقَصَصِ بِمَا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ هَذَا الْقُرْآنَ وَإِنْ كُنْتَ مِنْ قَبْلِهِ لَمِنَ الْغَافِلِينَ} [يوسف: 1 - 3]
[يُوسُفَ: 1 - 3] . قَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى الْحُرُوفِ الْمُقَطَّعَةِ فِي أَوَّلِ تَفْسِيرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فَمَنْ أَرَادَ تَحْقِيقَهُ فَلْيَنْظُرْ ثَمَّ، وَتَكَلَّمْنَا عَلَى هَذِهِ السُّورَةِ مُسْتَقْصًى فِي مَوْضِعِهَا مِنَ التَّفْسِيرِ، وَنَحْنُ نَذْكُرُ هَاهُنَا نُبَذًا مِمَّا هُنَاكَ عَلَى وَجْهِ الْإِيجَازِ، وَالنَّجَازِ.
وَجُمْلَةُ الْقَوْلِ فِي هَذَا الْمَقَامِ، أَنَّهُ تَعَالَى يَمْدَحُ كِتَابَهُ الْعَظِيمَ الَّذِي أَنْزَلَهُ عَلَى عَبْدِهِ وَرَسُولِهِ الْكَرِيمِ بِلِسَانٍ عَرَبِيٍّ فَصِيحٍ بَيِّنٍ وَاضِحٍ جَلِيٍّ، يَفْهَمُهُ كُلُّ عَاقِلٍ ذَكِيٍّ زَكِيٍّ فَهُوَ أَشْرَفُ كِتَابٍ نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ، أَنْزَلَهُ أَشْرَفُ الْمَلَائِكَةِ عَلَى أَشْرَفِ الْخَلْقِ فِي أَشْرَفِ زَمَانٍ وَمَكَانٍ بِأَفْصَحِ لُغَةٍ وَأَظْهَرِ بَيَانٍ، فَإِنْ كَانَ السِّيَاقُ فِي الْأَخْبَارِ الْمَاضِيَةِ أَوِ الْآتِيَةِ ذَكَرَ أَحْسَنَهَا وَأَبْيَنَهَا، وَأَظْهَرَ الْحَقَّ مِمَّا اخْتَلَفَ النَّاسُ فِيهِ، وَدَمَغَ الْبَاطِلَ وَزَيَّفَهُ وَرَدَّهُ، وَإِنْ كَانَ فِي الْأَوَامِرِ وَالنَّوَاهِي فَأَعْدَلُ الشَّرَائِعِ وَأَوْضَحُ الْمَنَاهِجِ، وَأَبْيَنُ حُكْمًا
পৃষ্ঠা - ৪৫৮
এই আলিমগণ মনে করেন যে, ৬, ৷ ৷ বা বংশধর বলতে ইয়াকুব (আ)-এর বাকি এগার
পুত্রকে বুঝান হয়েছে ৷ কিন্তু তাদের এই দলীল মোটেই শক্তিশালী নয় ৷ কেননা ৬ ৷ ৷ শব্দ
দ্বারা বনী ইসরাঈলের বংশকে বুঝানো হয়েছে এবং তাদের মধ্যে হার৷ নবী ছিলেন ইা৷দের প্রতি
আসমান থেকে ওহী এসেছে, তাঙ্গুদররুকই বুঝানো হয়েছে ৷
ভ্রাতাদের মধ্যে হযরত ইউসুফ (আ)-ই যে কেবল নবী ছিলেন ইমাম আহমদ (র) বর্ণিত
ইবন উমর (রা)-এর রেওয়ায়ত থেকেও এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷ যেমন রাসুল (সা) বলেছেন :
তিনি ছিলেন এক সম্মানিত পুরুষ যিনি আর এক সম্মানিত ’ পুরুষের পুত্র ৷ তিনিও আর এক
সম্মানিত পুরুষের পুত্র, আবার তিনি আর এক সম্মানিত পুরুষের পুত্র-ষ্ইনি হলেন ইউসুফ
(আ), যিনি ইয়াকুব নবীর পুত্র ৷ আর তিনি ইসহাকের পুত্র এবং তিনি হযরত ইবরাহীমের
পুত্র ৷ ’
ইমাম বুখারী (র) আবদুল ওয়ারিছের সুত্রে এককভাবে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
ইবরাহীম (আ) এর কাহিনী আলোচনায় আমরা এ হাদীসের বিভিন্ন সুত্র উল্লেখ করেছি ৷ এখানে
তার পুনরুল্লেখ প্রয়োজন নেই ৷ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই ৷ মুফাসৃসিরিনে কিরাম ও আলিমগণ
বলেন, ইউসুফ (আ) যখন অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক মাত্র, তখন একদাপ্নে দেখেন যেন এপাবটি
নক্ষত্র ( ১হ্রপ্রুহ্র ,’fi£- ৰুর্মন্ ৷) যার দ্বারা ইৎগিত করা হয়েছে৩ তার এগার ভাইয়ের প্রতি এবং
সুর্য ও চন্দ্র ( ট্রুপুর্মুষ্৷ এ মোঃ ও) অর্থাৎ তার পিতা মাতা তাকে সিজদ৷ করছেন ৷াপ্ন দেখে
তিনি শংকিত হন ৷ ঘুম থেকে জেগে ওঠে পিতার কাছোপ্নটি বর্ণনা করেন ৷ পিতা ৷ৰুঝতে
পারলেন যে, অচিরেই তিনি উচ্চমর্যাদায় আসীন হবেন, দুনিয়া ও আখিরাতের উচ্চ মর্যাদার
ভুষিত হবেন; আর তার পিতা-মাতা এবং ভাইগণ ৷তার অনুগত হবেন ৷ পিতা তাকে এাপ্নের
কথা গোপন রাখতে বলেন এবং তা ভাইদের কাছে বর্ণনা করতে নিষেধ করেন ৷ যাতে তারা
ছিলো না করে এবং ষড়যস্তের জাল বিস্তার করতে না পারে ৷ ইয়াকুব (আ)-এর এই আশংকা
আমাদের উপরের বক্তব্যকে সমর্থন করে ৷ এ জন্যে কোন কোন বর্ণনায় আছে :
; ৩১১ :৬ ৷প্রু১ৰু প্রু;,া
অর্থাৎ-তোমরা তোমাদের প্রয়োজন পুরণে গোপনীয়তার সাহায্য গ্রহণ কর, কেননা
প্রাত্যক নিয়াম৩ প্রাপ্ত ব্যচ্ছি হিংসাব শিক কার হয়ে থাকে ৷ ’ আহলি কিতাবদের মতে, হযরত
ইউসুফ (আ)াপ্নের বৃত্তান্ত পিতা ও ভাইদের সাক্ষাতে একত্রে ব্যক্ত করেছিলেন ৷ কিস্তু তাদের
এ মত ভুল ৷ ;র্দুাভুর্চু এন্টুঠুর্চু র্দ্রা৷ ৷গুদ্বুঠু (এভাবেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে
মনোনীত করবেন ৷) অর্থাৎ যেভাবেব্ব আমাকে এই তাৎপর্যবহাপ্ন দেখান হয়েছে যখন তুমি
একে গোপন করে রাখবে তখন তোমার প্রনিপ লক তোমাকে এর জন্যে মনে নীত করবেন ৷
)াম্ন
(এ , ;াা১১) অর্থাৎ বিভিন্ন রকম অনুগ্রহ ও রহমত (ভাষাকে বিশেষভাবে দান করবেন ৷
ষ্কৃপ্রুম্াহু১৷ ৷ : ;: ৰু ন্ন্ণ্ এ্যাদ্বু (আর তোমাকোপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দিবেন) অর্থাৎ কথার
পুঢ়তত্ত্ব ওাপ্নের ব্যাখ্য৷ বােঝবার শক্তি দান করবেন-যা অন্য লোকের পক্ষে বোঝা সম্ভব হবে
وَأَعْدَلُ حَكَمًا، فَهُوَ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَتَمَّتْ كَلِمَةُ رَبِّكَ صِدْقًا وَعَدْلًا} [الأنعام: 115] . يَعْنِي صِدْقًا فِي الْأَخْبَارِ عَدْلًا فِي الْأَوَامِرِ وَالنَّوَاهِي؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {نَحْنُ نَقُصُّ عَلَيْكَ أَحْسَنَ الْقَصَصِ بِمَا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ هَذَا الْقُرْآنَ وَإِنْ كُنْتَ مِنْ قَبْلِهِ لَمِنَ الْغَافِلِينَ} [يوسف: 3] . أَيْ بِالنِّسْبَةِ إِلَى مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ فِيهِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحًا مِنْ أَمْرِنَا مَا كُنْتَ تَدْرِي مَا الْكِتَابُ وَلَا الْإِيمَانُ وَلَكِنْ جَعَلْنَاهُ نُورًا نَهْدِي بِهِ مَنْ نَشَاءُ مِنْ عِبَادِنَا وَإِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ صِرَاطِ اللَّهِ الَّذِي لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ، وَمَا فِي الْأَرْضِ أَلَا إِلَى اللَّهِ تَصِيرُ الْأُمُورُ} [الشورى: 52]
[طه: 99 - 101] . يَعْنِي مَنْ أَعْرَضَ عَنْ هَذَا الْقُرْآنِ، وَاتَّبَعَ غَيْرَهُ مِنَ الْكُتُبِ فَإِنَّهُ يَنَالُهُ هَذَا الْوَعِيدُ، كَمَا قَالَ فِي الْحَدِيثِ الْمَرْوِيِّ فِي الْمُسْنَدِ، وَالتِّرْمِذِيِّ، عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عَلِيٍّ، مَرْفُوعًا وَمَوْقُوفًا: «مَنِ ابْتَغَى الْهُدَى فِي غَيْرِهِ أَضَلَّهُ اللَّهُ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكِتَابٍ أَصَابَهُ مِنْ بَعْضِ أَهْلِ الْكِتَابِ فَقَرَأَهُ
পৃষ্ঠা - ৪৫৯
না ৷ এো;মোঃ ” ৭শ্ণ্গ্ান্এ (এবং তার নিয়ামত তোমার উপর পুর্ণ করে দিবেন) অর্থাৎ ওহীরুপ
নিয়ামত তোমাকে দান করবেন ৷ গ্লু এ ৷ ষ্া;এ (আর ইয়াকুবের পরিবারবর্গের উপর)
অর্থাৎ তোমার ওসীলায় ইয়াকুবের পরিবারবর্গ দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণপ্রাপ্ত হবে ৷
া£াক্ট্রঙুদ্বু এ;পু;৷ প্রুা প্রো (&
(যেমনিভাবে এর পুর্বে তোমার পিতৃ পুরুষ ও ইব্রাহীম ও ইসহাকের উপর তা পুর্ণ
করেছিলেন) অর্থাৎ আল্লাহ তোমাকে নিয়ামতে পুর্ণ করবেন ও নবুওত দান করবেন ৷ যেভাবে
তা দান করেছেন তোমার পিতা ইয়াকুবকে, পিতামহ ইসহাককে ও প্ৰ পিতামহ ইব্রাহীম
খলীলুল্লাহকে ;£ §;: ণ্া৷ এৰুশু §, (নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক সর্বজ্ঞ, প্ৰজ্ঞাময়) ৷ অন্যত্র
আল্লাহ বলেছেন, ¢£’ ৷ম্পো (ান্ হুশুধ্ ;শ্১ ” ’ ন্া; ৷ শুাপু৷ ৷ (আ ৷ল্লাহই ভাল জানেন যে, রিসালাতের
দায়িত্ব তিনি কাকে অর্পণ করবেন ৷)
এ কারণে রসুলুল্লাহ (সা)-কে যখন জিজ্ঞেস করা হয় কোন ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা সম্মানিত?
উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ইউসুফ-যিনি নিজে আল্লাহর নবী, আর এক আল্লাহর নবীর পুত্র ৷
তিনিও আল্লাহর নবীর পুত্র এবং তিনি আল্লাহ্র খলীলের পুত্র ৷ ইবন জারীর ও ইবন আবী
হাভিম (র) তাদের তাফসীরে এবং আবু ইয়ালা ও বায্য়ার তাদের মুসনাদে জাবির (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, রসুলুল্লাহ (সা)-এর নিকট একবার এক ইহুদী আগমন করে-ণ্তাকে
বুসতানাতুল ইহুদী বলে অভিহিত করা হতো ৷ সে বলল, হে মুহাম্মদ ! সেই নক্ষত্রগুলোর নাম
কি, যেগুলোকে ইউসুফ (আ) সিজদাবনত দেখেছিলেন? রসুলুল্লাহ (সা) কোন প্রকার উত্তর না
দিয়ে নীরব থাকলেন ৷ কিছুক্ষণ পর জিবরাঈল (আ) ঐ নামগুলোসহ অবতরণ করেন ৷
রসুলুল্লাহ (সা) তখন লোকটিকে ডেকে আসেন ও জিজ্ঞেস করেন ৷ আমি যদি ঐ নামগুলো
তোমাকে বলতে পারি তাহলে কি তুমি ঈমান আনবে? সে বলল , ইক্ল৷ ৷ রসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
এগুলোর নাম হল জিরয়ান, তারিক, পিয়াল, যুল কাতিফান, কাবিস, উছাব, উমরদান,
ফায়লাক, মুসৰিহ, দারুহ, যুল-ফারা’, দিয়া ও নুর ৷ ইহুদী লোকটি বলল, আল্লাহর কসম,
এগুলোই সেই নক্ষত্রসমুহের নাম ৷ এ বর্ণনায় একজন রাবী হাকাম ইবন যুহায়রকে মুহাদ্দিসগণ
যঈফ বলে অভিহিত করেছেন ৷
আবু ইয়ালার বংনািয় আছে যে, ইউসুফ (আ) যখন তার স্বপ্নের কথা পিতাকে শোনান
তখন পিতা বলেছিলেন, এ বিষয়টি বিক্ষিপ্ত, আল্লাহ একে সমন্বিত করে বাস্তবে রুপ দান
করবেন ৷ রাবী বলেন, সুর্য বলতে এখানে তার পিতাকে এবং চন্দ্র বলতে তার মাতাকে বুঝানো
হয়েছে ৷
শুহ্র
¢”“’ ^াণ্ণ্ ”
عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: فَغَضِبَ. وَقَالَ «أَمُتَهَوِّكُونَ فِيهَا يَا ابْنَ الْخَطَّابِ؟ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ جِئْتُكُمْ بِهَا بَيْضَاءَ نَقِيَّةً، لَا تَسْأَلُوهُمْ عَنْ شَيْءٍ فَيُخْبِرُونَكُمْ بِحَقٍّ فَتُكَذِّبُوا بِهِ أَوْ بِبَاطِلٍ فَتُصَدِّقُوا بِهِ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ مُوسَى كَانَ حَيًّا مَا وَسِعَهُ إِلَّا أَنْ يَتَّبِعَنِي» . إِسْنَادٌ صَحِيحٌ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عَمْرٍو فِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَصْبَحَ فِيكُمْ مُوسَى، ثُمَّ اتَّبَعْتُمُوهُ وَتَرَكْتُمُونِي لَضَلَلْتُمْ إِنَّكُمْ حَظِّي مِنَ الْأُمَمِ، وَأَنَا حَظُّكُمْ مِنَ النَّبِيِّينَ» . وَقَدْ أَوْرَدْتُ طُرُقَ هَذَا الْحَدِيثِ وَأَلْفَاظَهُ فِي أَوَّلِ سُورَةِ يُوسُفَ، وَفِي بَعْضِهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: «أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ أُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَخَوَاتِيمَهُ، وَاخْتُصِرَ لِي اخْتِصَارًا، وَلَقَدْ أَتَيْتُكُمْ بِهَا بَيْضَاءَ نَقِيَّةً فَلَا تَتَهَوَّكُوا، وَلَا يَغُرَّنَّكُمُ الْمُتَهَوِّكُونَ» . ثُمَّ أَمَرَ بِتِلْكَ الصَّحِيفَةِ فَمُحِيَتْ حَرْفًا حَرْفًا.
{إِذْ قَالَ يُوسُفُ لِأَبِيهِ يَاأَبَتِ إِنِّي رَأَيْتُ أَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ رَأَيْتُهُمْ لِي سَاجِدِينَ قَالَ يَابُنَيَّ لَا تَقْصُصْ رُؤْيَاكَ عَلَى إِخْوَتِكَ فَيَكِيدُوا لَكَ كَيْدًا إِنَّ الشَّيْطَانَ لِلْإِنْسَانِ عَدُوٌّ مُبِينٌ وَكَذَلِكَ يَجْتَبِيكَ رَبُّكَ وَيُعَلِّمُكَ مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ وَيُتِمُّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكَ وَعَلَى آلِ يَعْقُوبَ كَمَا أَتَمَّهَا عَلَى أَبَوَيْكَ مِنْ قَبْلُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبَّكَ عَلِيمٌ حَكِيمٌ} [يوسف: 4]
[يُوسُفَ: 4 - 6] . قَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ يَعْقُوبَ كَانَ لَهُ مِنَ الْبَنِينَ اثْنَا عَشَرَ وَلَدًا ذَكَرًا، وَسَمَّيْنَاهُمْ، وَإِلَيْهِمْ تُنْسَبُ أَسْبَاطُ بَنِي إِسْرَائِيلَ كُلُّهُمْ، وَكَانَ أَشْرَفُهُمْ وَأَجَلُّهُمْ
পৃষ্ঠা - ৪৬০
ইউসুফ এবং তার ভাইদের ঘটনায় জিজ্ঞাসুদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে ৷ স্মরণ কর, তারা
বলেছিল, ইউসুফ ও তার তাই আমাদের পিতার নিকট আমাদের অপেক্ষা অধিক প্রিয় ৷ অথচ
আমরা একটি সুসংহত দল; আমাদের পিতা তো স্পষ্ট বিভ্রড়াস্তিতেই আছেন ৷ ইউসুফকে হত্যা
কর অথবা তাকে কোন স্থানে ফেলে আস ৷ ফলে তোমাদের পিতার দৃষ্টি শুধু তোমাদের প্রতিই
নিবিষ্ট থাকবে ৷ এরপর তোমরা ভাল লোক হয়ে যাবে ৷ তাদের মধ্যে একজন বলল, ইউসুফকে
হত্যা করো না এবং তোমরা যদি কিছু করতেই চাও তাকে কোন গভীর কুপে নিক্ষেপ কর ৷
যাত্রীদলের কেউ তাকে তুলে নিয়ে যাবে ৷ (১২ : ৭ ১ : )
এ বাহিনীতে যেসব নির্দশন, হিকমত, ইশারা-ইৎগিত, উপদেশ ও স্পষ্ট দলিল-প্রমাণ
রয়েছে আল্লাহ তা অবহিত করেছেন ৷ এরপর ইউসুফ ও তার সহােদর ভইি বিন-য়ামীনের প্রতি
পিতার স্নেহ-মমতার ব্যাপারে অন্য ভাইদের হিংসার কথা উল্লেখ করেছেন ৷ এ হিংসার কারণ
ছিল তারা একটি সংহত দল হওয়া সত্বেও পিতা ইউসুফ ও বিন-য়ামীনকে অধিক তালবাসেন ৷
তাদের দাবি এই যে, আমরা একটি সংহত দল হিসাবে ঐ দৃ ’জনের চেয়ে আমব ই অধিক
ভালবাসা পাওয়ার হকদার ৷ ম্পেহুপু ,)১ত্র;০ এ৷ ৷ ৰুঠু৷ (আমাদের পিতা স্পষ্ট বিভ্রাস্তিতে
রয়েছেন) তিনি আমাদের থেকে ঐ দৃ জনকে বেশি ভালবাসেন ৷ অতঃপর তারা পরামর্শ করল,
ইউসুফকে হত্যা করবে নাকি দুরে কোথাও ফেলে দিয়ে আসবে, যেখান থােক আর কোন দিন
যে ফিরে আসতে পারবে না ৷ এতে পিতার পুর্ণ স্নেহ-মমতা কেবল তাদের প্রতিই নিবদ্ধ
থাকবে ৷ অবশ্য পরবর্তীতে তারা তওবা করে নেয়ারও গোপন ইচ্ছা ৷পােষণ করেছিল ৷ এই
সিদ্ধান্তের উপর যখন তারা ঐক্যবদ্ধ হল তখন (ন্ট্রুব্লু াও fl() তাদের মধ্যে একজন
বলল, মুজাহিদের মতে সেই ব্যক্তির নাম শামউন; সুর্দীর মতে য়াহুযা এবং কাতাদা ও ইবন
ইসহাকের মতে রার্বীল-যে ছিল তাদের মধ্যে বয়সে বড় ৷
াএে
(ইউসুফকে হত্যা কর না বরং র্চুকান গভীর কুপে নিক্ষেপ কর ৷ হয়ত কোন পথিক তাকে
¢
উঠিয়ে নিয়ে যাবে) র্দুণু:,াব্র ণ্দ্বু প্লু ৷ (যদি তোমরা কিছু করতেই চাও) অর্থাৎ তোমরা যা
বলছ তা যদি একান্তই করতে চাও তবে আমার দেয়া প্রস্তাব গ্রহণ কর ৷ তাকে হত্যা করা বা
দুরে ফেলে আমার চাইতে এটা করাই উত্তম ৷ ফলে তারা সবাই এ প্রস্তাবে একমত হয় ৷
,
া
অতঃপর তারা বলল, হে আমাদের পিতা ৷ ইউসুফের ব্যাপারে তুমি আমাদেরকে বিশ্বাস
করহু না কেন? যদিও আমরা তার শুভাকাত্তক্ষী ? আগাযীকাল তুমি তাকে আমাদের সঙ্গে প্রেরণ
কর, সে ফল-মুল পারে ও খেলাধুলা করবে ৷ আমরা তার রক্ষণাবেক্ষণ করব ৷ যে বলল, এটা
আমাকে কষ্ট দিয়ে যে, তোমরা তাকে নিয়ে যাবে এবং আমি আশংকা করি, তোমরা তার
وَأَعْظَمُهُمْ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَقَدْ ذَهَبَ طَائِفَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ إِلَى أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ فِيهِمْ نَبِيٌّ غَيْرُهُ وَبَاقِي إِخْوَتِهِ لَمْ يُوحَ إِلَيْهِمْ، وَظَاهِرُ مَا ذُكِرَ مِنْ فِعَالِهِمْ، وَمَقَالِهِمْ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ يَدُلُّ عَلَى هَذَا الْقَوْلِ، وَمَنِ اسْتَدَلَّ عَلَى نُبُوَّتِهِمْ بِقَوْلِهِ: {قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ} [البقرة: 136] . وَزَعَمَ أَنَّ هَؤُلَاءِ هُمُ الْأَسْبَاطُ، فَلَيْسَ اسْتِدْلَالُهُ بِقَوِيٍّ؛ لِأَنَّ الْمُرَادَ بِالْأَسْبَاطِ شُعُوبُ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَمَا كَانَ يُوجَدُ فِيهِمْ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ الَّذِينَ يَنْزِلُ عَلَيْهِمُ الْوَحْيُ مِنَ السَّمَاءِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَمِمَّا يُؤَيِّدُ أَنَّ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ هُوَ الْمُخْتَصُّ مِنْ بَيْنِ إِخْوَتِهِ بِالرِّسَالَةِ وَالنُّبُوَّةِ أَنَّهُ نَصَّ عَلَى نُبُوَّتِهِ وَالْإِيحَاءِ إِلَيْهِ فِي غَيْرِ مَا آيَةٍ فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ، وَلَمْ يَنُصَّ عَلَى وَاحِدٍ مِنْ إِخْوَتِهِ سِوَاهُ، فَدَلَّ عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ. وَيُسْتَأْنَسُ لِهَذَا بِمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْكَرِيمُ ابْنُ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ» . انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ وَرَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ، وَعَبْدَةَ، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ بِهِ. وَقَدْ ذَكَرْنَا طُرُقَهُ فِي قِصَّةِ إِبْرَاهِيمَ بِمَا أَغْنَى عَنْ إِعَادَتِهِ هَاهُنَا، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৪৬১
প্রতি অমনােযোগী হলে তাকে নেকড়ে বাঘ খেয়ে ফেলবে ৷ত তারা বলল, আমরা একটি সৎহ
দল হওয়া সত্বেও যদি নেকড়ে বাঘ তাকে খেয়ে ফেলে, তবে তো আমরা ক্ষতিঘস্তই হয় ৷
( ১ ২ : ১ ১ ১ : )
পুত্ররড়া পিতার কাছে আবদার করল যে, তিনি যেনত তাদের সাথে ভাই ইউসুফকে যেতে
দেন ৷ তাদের উদ্দেশ্য জানাল যে, সে তাদের সাথে পশু চরাবে, খেলাধুলা ও আনন্দ-কুর্তি
করবে ৷ তারা অন্তবে এমন কথা গোপন করে বাখল, যে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত ছিলেন ৷
বৃদ্ধ পিতা তাদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তর দিলেন, হে পুত্রগণ! আমার কাছ থেকে সামান্য
সময়ের জন্যেও তার বিচ্ছিন্ন হওয়া আমাকে বড়ই পীড়া দেয় ৷ এছাড়া আমার আরও আশংকা
হয় যে, তোমরা থেলাধুলায় মত্ত হয়ে পড়লে সেই সুযোগে নেকড়ে বাঘ এসে তাকে খেয়ে
যাবে ৷ আর তোমরা তা প্রতিহত করতে পারবে না অসতর্ক থাকার কারণে এবং সেও পারবে না
তার বয়স্ক হওয়ার fi«: ৷
(তারা বলল, যদি নেকড়ে বাঘে তাকে খেয়ে ফেলে, অথচ আমরা একটা সৎহত দল,
তাহলে তো আমরা বড়ই ক্ষতিগ্রস্ত হব ৷) অর্থাৎ বাঘ যদি তার উপর আক্রমণ করে ও আমাদের
মাঝ থেকে নিয়ে খেয়ে ফেলে কিৎবা আমাদের অসতর্ক থাকার কারণে এরুপ ঘটনা ঘটে যার
অথচ আমরা একটি স ৎহত দল তথায় বিদ্যমান, তা হলেত তা আমরা অক্ষম ও দুর্ভাগা বলে
পরিগণিত হব ৷
আহলি কিতাবদের মতে, হযরত ইয়াকুব (আ) পুত্র ইউসুফকে তার ভাইদের পেছনে-
পেছনে প্রেরণ করেন ৷ কিত্তু ইউসুফ পথ হারিয়ে ফেলেন ৷ পরে অন্য এক ব্যক্তি তাকে তার
ভাইদের কাছে পৌছিয়ে দেয়৷ কিত্তু এটি তাদের একটি ভ্রান্তি বিশেষ ৷ কেননা, ইয়াকুব (আ)
ইউসুফকে এতই বেশি ভালবাসতেন যে, তিনি তবে তাদের সাথে পঠােতেই চাচ্ছিলেন না,
সুতরাৎ৩ তিনি তাকে একা পাঠাবেন কি করে?
স্পো১ এে
মোঃ
অতঃপর ওরা যখন তাকে নিয়ে গেল এবৎ তাকে গভীর কুপে নিক্ষেপ করতে একমত হল,
এমতাবস্থায় আমি তাকে জানিয়ে দিলাম, তুমি ওদেরকে ওদের এই কর্মের কথা অবশ্যই বলে
দিবে যখন ওরা তে তামাকে চিনবে না ৷ ওরা রাতে কাদতে র্কাদতে পিতার নিকট আসল ৷ তারা
বলল, হে আমাদের পিতা ! আমরা দৌড়ে প্রতিযোগিতা করছিলাম এবং ইউসুফকে আমাদের
قَالَ الْمُفَسِّرُونَ، وَغَيْرُهُمْ: رَأَى يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهُوَ صَغِيرٌ قَبْلَ أَنْ يَحْتَلِمَ كَأَنَّ أَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا، وَهُمْ إِشَارَةٌ إِلَى بَقِيَّةِ إِخْوَتِهِ، وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ هُمَا عِبَارَةٌ عَنْ أَبَوَيْهِ قَدْ سَجَدُوا لَهُ فَهَالَهُ ذَلِكَ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ قَصَّهَا عَلَى أَبِيهِ فَعَرَفَ أَبُوهُ أَنَّهُ سَيَنَالُ مَنْزِلَةً عَالِيَةً وَرِفْعَةً عَظِيمَةً فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ، بِحَيْثُ يَخْضَعُ لَهُ أَبَوَاهُ وَإِخْوَتُهُ فِيهَا، فَأَمَرَهُ بِكِتْمَانِهَا وَأَنْ لَا يَقُصَّهَا عَلَى إِخْوَتِهِ كَيْلَا يَحْسُدُوهُ، وَيَبْغُوا لَهُ الْغَوَائِلَ وَيَكِيدُوهُ بِأَنْوَاعِ الْحِيَلِ وَالْمَكْرِ، وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى مَا ذَكَرْنَاهُ؛ وَلِهَذَا جَاءَ فِي بَعْضِ الْآثَارِ «. اسْتَعِينُوا عَلَى قَضَاءِ حَوَائِجِكُمْ بِكِتْمَانِهَا فَإِنَّ كُلَّ ذِي نِعْمَةٍ مَحْسُودٌ» . وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ قَصَّهَا عَلَى أَبِيهِ وَإِخْوَتِهِ مَعًا. وَهُوَ غَلَطٌ مِنْهُمْ {وَكَذَلِكَ يَجْتَبِيكَ رَبُّكَ} [يوسف: 6] . أَيْ وَكَمَا أَرَاكَ هَذِهِ الرُّؤْيَا الْعَظِيمَةَ فَإِذَا كَتَمْتَهَا {يَجْتَبِيكَ رَبُّكَ} [يوسف: 6] أَيْ يَخُصُّكَ بِأَنْوَاعِ اللُّطْفِ وَالرَّحْمَةِ {وَيُعَلِّمُكَ مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ} [يوسف: 6] . أَيْ يُفَهِّمُكَ مِنْ مَعَانِي الْكَلَامِ، وَتَعْبِيرِ الْمَنَامِ مَالَا يَفْهَمُهُ غَيْرُكَ {وَيُتِمُّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكَ} [يوسف: 6] . أَيْ بِالْوَحْي إِلَيْكَ {وَعَلَى آلِ يَعْقُوبَ} [يوسف: 6] . أَيْ بِسَبَبِكَ، وَيَحْصُلُ لَهُمْ بِكَ خَيْرُ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ {كَمَا أَتَمَّهَا عَلَى أَبَوَيْكَ مِنْ قَبْلُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ} [يوسف: 6] . أَيْ يُنْعِمُ عَلَيْكَ وَيُحْسِنُ إِلَيْكَ بِالنُّبُوَّةِ، كَمَا أَعْطَاهَا أَبَاكَ يَعْقُوبَ وَجَدَّكَ إِسْحَاقَ وَوَالِدَ جَدِّكَ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلَ {إِنَّ رَبَّكَ عَلِيمٌ حَكِيمٌ} [يوسف: 6] . كَمَا قَالَ تَعَالَى: {اللَّهُ أَعْلَمُ حَيْثُ يَجْعَلُ رِسَالَتَهُ} [الأنعام: 124] .
وَلِهَذَا «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا سُئِلَ أَيُّ النَّاسِ أَكْرَمُ؟ قَالَ: يُوسُفُ نَبِيُّ اللَّهِ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৪৬২
মালপত্রের কাছে রেখে গিয়েছিলাম, অতংপর নেকড়ে বাঘ তাকে খেয়ে ফেলেছে; কিভৃত
তো আমাদেরকে বিশ্বাস করবে না, যদিও আমরা সতবােদী ৷ ওরা তার জামায় মিথ্যা রক্ত
ণ্৫লপন করে এনেছিল ৷ সে বলল, না, তোমাদের মন তোমাদের জন্যে একটি কাহিনী সাজিয়ে
দিয়েছে ৷ সুতরাং পুর্ণ ধৈর্যই প্রেয়, তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহই আমার
সাহায্যস্থুল ৷ (সুরা ইউসুফৰু ১ ৫ ১৮)
ইউসুফের ভইিয়েরা পিতাকে পীড়াপীড়ি করতে থাকলে তিনি ইউসুফ (আ)কে তাদের
সাথে পাঠিয়ে দেন ৷ পিতার দৃষ্টিব আড়াল হয়ে গেলে তারা ইউসুফকে মুখে গালাগালি করতে
থাকে এবং হাতের দ্বারা লাঞ্চুনা-গঞ্জনা দিতে থাকে ৷ অবশেষে এক গভীর কুপে নিক্ষেপ করার
ব্যাপারে একমত হয় এবং কুপের মুখে যে পাথরের ওপর দাড়িয়ে পানি তোলা হয় সেই
পাথরের ওপর দাড়িয়ে তারা ইউসুফ (আ)-কে কুপের মধ্যে নিক্ষেপ করে দেয় ৷ তখন আল্লাহ
ওহীর মাধ্যমে তাকে জানিয়ে দেয় যে, তোমাকে এ দুরবস্থা থেকে অবশ্যই উদ্ধার করা হবে
এবং তাদের এই দুষ্কর্মের কথা এমন এক অবস্থায় তাদেরকে তুমি জানাবার সুযে ৷গ পাবে, যখন
তুমি হবে ক্ষমতাশালী আর তারা হবে তোমার মুখাপেক্ষী এবং ভীত ৩সস্ত্রস্ত ৷ কিন্তু তারা টেরও
পাবে না ৷
মুজাহিদ ও কাতাদ৷ (র)-এব মতে, ঠুদ্বুঠুৰুন্হুশ্র্দু (তারা জানবে না) অর্থাৎ আল্লাহ ইউসুফ
(আ)-কে ওহীর মাধ্যমে এ বিষয়ে যা বলবেন তা তার ভইিয়েরা জ নবে না ৷ ইবন আব্বাস
(রা)-এর মতে এদ্বুপুষ্কু;ব্লুৰুা১৷ অর্থ হল, তুমি তাদেরকে এমন এক সময়ে তাদের এ কর্মকাণ্ড
সম্পর্কে জানাবে যখন তারা তোমাকে চিনবে না ৷ ইবন জারীব (র) এটা বর্ণনা করেছেন ৷
ইউসুফ (আ)-কে কুপে নিক্ষেপ করে তারা তার আমার কিছু রক্ত যেখে রাত্রিকালে কাদতে
কাদতে পিতার কাছে ফিরে এল ৷ এ জন্যে কোন কোন প্রাচীন বিজ্ঞজন বলেছেন, অত্যাচারের
অভিযোগকা রীর কান্নড়াকাটিতে প্রত৷ রিত হয়াে না ৷ কেননা, বহু অত্যাচারীও এমন আছে যায়া
প্রতারণাপুর্ণ কান্নাকাটি করে থাকে ৷ এ প্রসঙ্গে তারা ইউসুফ (আ) এর ভাইদের কান্নাকাঢির
কথা উল্লেখ করেন ৷ ইউসুফ (আ) এর ভইিয়েরা রাত্রিকালে অন্ধকারের মধ্যে কড়াদতে কাদতে
পিতার কাছে হাযির হয় ৷ অন্ধকার রাত্রে আমার উদ্দেশ্য ছিল তাদের বিশ্বাস ঘাতকতাকে
আড়ালে রেখে প্রতারণাব চেষ্টা করা, ওজর প্রকাশ করা নয় ৷
’
,fié
(তারা আরজ করল, হে পিতা! আমরা দৌড়ে প্রতিযোগিতা করছিলাম এবং ইউসুফকে
আমাদের মালামাল অর্থাৎ কাপড় চােপড়ের কাছে রেখে গিয়েছিলড়াম) ৰু১পু৷ ছুপুর্বুএে (তখন
তাকে ণ্নকড়ে বাঘে খেয়ে ফেলে) অর্থাৎ দৌড় প্রতিযোগিতার সময় যখন আমরা তার থেকে
দুরে চলে যইি তখন তাকে বাঘে খেয়ে ফেলে ৷ এ ^দ্বুা৷ট্রুৰুাহ্র ,?’ এগো ;,;:§fi, ঠু^ন্ র্মুপ্ঠু
(কিত্তু আপনি তো আমাদেরকে বিশ্বাস করবেন না ৷ যদিও আমরা সত্য কথ ই বলছি) অর্থাৎ
ইউসুফ (আ )-কে বাঘে থেয়েছে আমাদের এ স বাদ আপনি বিশ্বাস করবেন না ৷ আপনার কাছে
ইতিপুর্বে আমরা কোন বিশ্বাসঘাতক৩ ৷র অভিযোগে অভিযুক্ত হইনি, তবে এ ব্যাপারে
আমাদেরকে কিভাবে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে অভিযুক্ত করবেন ৷ কারণ বাঘে খাওয়ার ব্যাপারে
আপনি আশংকা প্রকাশ করেছিলেন ৷ আর আমরা তাকে নিজেদের দায়িত্বে গ্রহণ করেছিলাম
نَبِيِّ اللَّهِ ابْنِ نَبِيِّ اللَّهِ ابْنِ خَلِيلِ اللَّهِ» . وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ فِي تَفْسِيرَيْهِمَا، وَأَبُو يَعْلَى، وَالْبَزَّارُ فِي مُسْنَدَيْهِمَا مِنْ حَدِيثِ الْحَكَمِ بْنِ ظَهِيرٍ، وَقَدْ ضَعَّفَهُ الْأَئِمَّةُ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ يُقَالُ لَهُ: بُسْتَانَةُ الْيَهُودِيُّ. فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنِ الْكَوَاكِبِ الَّتِي رَآهَا يُوسُفُ أَنَّهَا سَاجِدَةٌ لَهُ مَا أَسْمَاؤُهَا؟ قَالَ: فَسَكَتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُجِبْهُ بِشَيْءٍ. وَنَزَلَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِأَسْمَائِهَا، قَالَ: فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالَ: هَلْ أَنْتَ مُؤْمِنٌ إِنْ أَخْبَرْتُكَ بِأَسْمَائِهَا. قَالَ: نَعَمْ. فَقَالَ: هِيَ جَرَبَانُ، وَالطَّارِقُ، وَالذِّيَالُ، وَذُو الْكَنِفَاتِ، وَقَابِسُ، وَوَثَّابُ، وَعَمُودَانُ، وَالْفَيْلَقُ، وَالْمُصْبِحُ، وَالصَّرُوحُ، وَذُو الْفَرْعِ، وَالضِّيَاءُ، وَالنُّورُ. فَقَالَ الْيَهُودِيُّ: إِي وَاللَّهِ إِنَّهَا لَأَسْمَاؤُهَا. وَعِنْدَ أَبِي يَعْلَى، فَلَمَّا قَصَّهَا عَلَى أَبِيهِ، قَالَ: هَذَا أَمْرٌ مُشَتَّتٌ يَجْمَعُهُ اللَّهُ، وَالشَّمْسُ أَبُوهُ وَالْقَمَرُ أُمُّهُ» .
পৃষ্ঠা - ৪৬৩
যে, আমরা থাকতে তাকে রড়াঘে খেতে পারবে না ৷ কেননা, আমরা সংখ্যায় অধিক ৷ সুতরাং
আমরা সত্যবাদী হিসেবে আপনার কাছে প্রমাণিত হতে পারিনি ৷ সে কারণে আমাদেরকে
সত্যবাদী না ভাবাটইি স্বাভাবিক ৷ কিন্তু আসল ঘটনা তো এরুপই ৷ ,
া£ ণ্া (তারা ইউসুফের আমার মিথ্যা রক্ত মাখিয়ে আসল) তারা একটি বকরীর বাচ্চা
যবেহ করে আমার রক্ত মাখিয়ে আসে ৷ যাতে এই ধারণা দিতে পারে যে তাকে বাঘে খেয়ে
ফেলেছে ৷ তারা রক্ত মাখিয়েছিল রটে কিস্তু জামা ছিড়তেণ্ডু ব্লু লে গিয়েছিল ৷ রন্তুত মিথ্যার
সমস্যা ই হল ভুলে যাওয়া ( ঙু ! ৰুা£৷ ৷ ৰ ৷ ) তাদের ণ্ডুউপর সন্দেহের লক্ষণাদি যখন
স্পষ্ট হয়ে উঠল, তখন তাদের এ কাজ পিতাকে আর প্রভাবিত করতে পারেনি ৷ কেননা,
ইউসুফের মধ্যে শিশুকান্সেই যেসব মহৎ গুণড়ারলী ও নর্বীসুলড লক্ষণাদি ফুটে উঠেছিল এবং যার
দরুন পিতা তাকে অন্যদের তুলনায় অধিক তালৰাসতেন, এ কারণে ইউসুফের প্রতি অন্য
ভাইদের হিংসা ও শত্রুতার ব্যাপারে তিনি অবহিত ছিলেন ৷ পিতার কাছ থেকে কুসলিয়ে নিয়ে
তার চোখের আড়ালে নিয়ে তারা ইউসুফকে গায়ের করে দেয় এবং আসল ঘটনা ঢাকা দেওয়ার
জন্য তারা কান্নার ডান করে পিতার কাছে আসলে পিতা রললেনং :
ববং তোমরা নিজেরাই একটা বিষয় সাজিয়ে নিয়েছ সুতরাং আমি পুর্ণ ধৈর্য ধারণ করছি ৷
তোমরা যা কিছু রলছ সে বিষয়ে আল্লাহর কাংইে আমি সাহায্য প্রার্থনা করছি ৷
আহলি কিতাবদের মতে, রুবীল পরামর্শ দিয়েছিল যে, ইউসুফকে কুপের মধ্যে রাখা
হোক ৷ তার উদ্দেশ্য ছিল যে, অন্য ভাইদের অজাত্তে তাকে পিতার কাছে ফিরিয়ে দিবে ৷ কিন্তু
ভাইয়েরা রুবীলকে ফীকি দিয়ে কাফেলার নিকট তাকে বিক্রি করে দেয় ৷ দিনের শেষে যখন
রুবীল ইউসুফ (আ)-কে উঠিয়ে আনতে যান, তখন তাকে কুপের মধ্যে পেলেন না ৷ তখন
তিনি চিৎকার করে উঠেন এবং নিজের জামা ছিড়ে ফেলেন ৷ আর অন্য ভাইয়েরা একটা রকরী
যবেহ্ করে ইউসুফ (আ)-এর আমার রক্ত মাখিয়ে আসে ৷ হযরত ইয়াকুব (আ) ইউসুফের খবর
শুনে নিজের কাপড় ছিড়ে ফেলেন ও কাল লুঙ্গি পরে নিলেন এবং দীর্ঘ দিন যাবত পুত্র-শোকে
বিহহুল থাকেন ৷৩ তাদের এ ব্যাখ্যা ত্রুটিপুর্ণ এবং এ চিত্রায়ন ভ্রান্তি-প্রসুত ৷
তঃপর আল্লাহ বলেন :
া
{لَقَدْ كَانَ فِي يُوسُفَ وَإِخْوَتِهِ آيَاتٌ لِلسَّائِلِينَ إِذْ قَالُوا لَيُوسُفُ وَأَخُوهُ أَحَبُّ إِلَى أَبِينَا مِنَّا وَنَحْنُ عُصْبَةٌ إِنَّ أَبَانَا لَفِي ضَلَالٍ مُبِينٍ اقْتُلُوا يُوسُفَ أَوِ اطْرَحُوهُ أَرْضًا يَخْلُ لَكُمْ وَجْهُ أَبِيكُمْ وَتَكُونُوا مِنْ بَعْدِهِ قَوْمًا صَالِحِينَ قَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ لَا تَقْتُلُوا يُوسُفَ وَأَلْقُوهُ فِي غَيَابَةِ الْجُبِّ يَلْتَقِطْهُ بَعْضُ السَّيَّارَةِ إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ} [يوسف: 7] . أَيْ بِتَقْدِيمِهِ حُبَّهُمَا عَلَيْنَا. ثُمَّ اشْتَوَرُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ فِي قَتْلِ يُوسُفَ أَوْ إِبْعَادِهِ إِلَى أَرْضٍ لَا يَرْجِعُ مِنْهَا لِيَخْلُوَ لَهُمْ وَجْهُ أَبِيهِ أَيْ لِتَتَمَحَّضَ مَحَبَّتُهُ لَهُمْ وَتَتَوَفَّرَ عَلَيْهِمْ، وَأَضْمَرُوا التَّوْبَةَ بَعْدَ ذَلِكَ، فَلَمَّا تَمَالَأُوا عَلَى ذَلِكَ وَتَوَافَقُوا عَلَيْهِ {قَالَ قَائِلٌ مِنْهُمْ} [يوسف: 10] . قَالَ مُجَاهِدٌ: هُوَ شَمْعُونُ. وَقَالَ السُّدِّيُّ: هُوَ يَهُوذَا. وَقَالَ قَتَادَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: هُوَ أَكْبَرُهُمْ رُوبِيلُ {لَا تَقْتُلُوا يُوسُفَ وَأَلْقُوهُ فِي غَيَابَةِ الْجُبِّ يَلْتَقِطْهُ بَعْضُ السَّيَّارَةِ} [يوسف: 10] . أَيِ الْمَارَّةِ مِنَ الْمُسَافِرِينَ {إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ} [يوسف: 10] . مَا تَقُولُونَ لَا مَحَالَةَ فَلْيَكُنْ هَذَا الَّذِي أَقُولُ لَكُمْ فَهُوَ أَقْرَبُ حَالًا مِنْ قَتْلِهِ أَوْ نَفْيِهِ، وَتَغْرِيبِهِ فَأَجْمَعُوا رَأْيَهُمْ عَلَى هَذَا فَعِنْدَ ذَلِكَ {قَالُوا يَا أَبَانَا مَا لَكَ لَا تَأْمَنَّا عَلَى يُوسُفَ وَإِنَّا لَهُ لَنَاصِحُونَ أَرْسِلْهُ مَعَنَا غَدًا يَرْتَعْ وَيَلْعَبْ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ قَالَ إِنِّي لَيَحْزُنُنِي أَنْ تَذْهَبُوا بِهِ وَأَخَافُ أَنْ يَأْكُلَهُ الذِّئْبُ وَأَنْتُمْ عَنْهُ غَافِلُونَ قَالُوا لَئِنْ أَكَلَهُ الذِّئْبُ وَنَحْنُ عُصْبَةٌ إِنَّا إِذًا لَخَاسِرُونَ} [يوسف: 11]
[يُوسُفَ: 11 - 14] . طَلَبُوا مِنْ أَبِيهِمْ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৪
া
এক মাত্রীদল আসল, তারা তাদের পানি সফ্যাহককে প্রেরণ করল; সে তার পানির ভোল
নামিয়ে দিল ৷ সে বসে উঠল, কী সুখবর ! এ যে এক কিশোর ! ওরা তাকে পণ্যরুপে লুকিয়ে
রাখল; ওরা যা করছিল সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত ছিলেন ৷ ওরা তাকে বিক্রি করল
স্বল্পমুল্যে মাত্র কয়েক দিরহ্ড়ামের বিনিময়ে ৷ মিসরের যে ব্যক্তি তাকে ক্রয় করেছিল, সে তার
শ্রীকে বলল, সষ্মন্সেজনকভড়াবে এর থাকার ব্যবস্থা কর, সৰ্বত সে আমাদের উপকাংর আসবে
অথবা আমরা ওকে পুত্ররুপেও গ্রহণ করতে পারি ৷ ’ এবং এভাবে আমি ইসুফকে সে দেশে
প্রতিষ্ঠিত করশাম তাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দেয়ার জন্যে ৷ আল্লাহ তার কার্য সম্পড়াদনে
অপ্রতিহত; কিত্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত নয় ৷ সে যখন পুর্ণ যৌবনে উপনীত হল, তখন
আমি তাকে হিকমত ও জ্ঞান দান করলাম ৷ এবং এভাবেই আমি সৎকর্ম পরড়ারণদেরষ্কে পুরস্কৃত
করি ৷ (১২ : ১৯২২)
এখানে আল্লাহ তাআদা ইউসুফ (আ)-ক্ষে যখন কুপে যেম্পড়া হয় তখনকার ঘটনা বর্ণনা
করছেন যে, তিনি আল্লাহ্র তরফ থেকে বিপদমুক্তি ও তার করম্পার প্রতীহ্মা করছিলেন ৷ তখন
একটি মাত্রীদল এসে উপস্থিত হলো ৷
আহলি কিতড়াবগণ বলেন, পমনকারী ঐ কাফেসার সাথে মালামাল ছিল পেস্তা, খেজুর ও
তাবপিন ৷ তারা সিরিয়া থেকে মিলবে যাজ্জি ৷ ঐ স্থানে এসে তারা একজনকে উ ক্ত কুয়া থেকে
পানি আমার জানা পাঠায় ৷ সে করার মধ্যে বালতি ফেললে ইউসুফ তা আকড়ে ধরেন ৷
নােকটি তাকে দেখেই বলে উঠল :§ চু; (কী আনন্দের ব্যাপার !) ন্র্সদ্বু fl (এতো
একটি কিশোর) র্দুর্দু!র্বু $§§’§ (এবং তারা তাকে পণ্যদ্রব্য হিসেবে লুকিয়ে রাখল) ৷
অর্থাৎ তাদের অনান্য ব্যবসায়িক পণ্যের সাথে একেও একটি পণ্য বলে দেথালো ৷ <এা!টু
;’,,§££ (£, র্বৃব্লু (তারা বা কিছু করছিল আল্লাহ তা ভালরুপুেই জানেন) অর্থাৎ ইউসুফের
সাথে তার ভাইদের আচরণ এবং কাফেলা কর্তৃক পণ্যের মান হিসেবে লুকিয়ে রাখা সবই
আল্লাহ দেখছিলেন ৷ কিন্তু তা সত্বেও তিনি এর পরিবর্তন করছিলেন না ৷ কেননা এর মধ্যেই
নিহিত ছিল ৰিরটি তাৎপর্য এবং এটা ছিল পুর্ব নির্ধারিত ৷ আর মিসয়ীয়দের জন্যে এই কিশোর
ছিলেন রহমতস্বরুপ, যে কিশোর আজ সেখানে প্রবেশ করছেন বন্দী কৃতদাস রুপে, পরবর্তীতে
ঐ কিশোরই হবে সে দেশের সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী ৷ এই কিশোরের সাহায্যেই তারা
দুনিয়ার ও আথিরাতে সীমা-সংথ্যাহীন কল্যাণ লাভ করবে ৷ ইউসুফ (আ)-এব ডাইয়েরা যখন
জানল যে, একটি কাফেলা ইউসুফ (আ)-কে কুয়া থেকে তুলে নিয়েছে, তখন তারা কাফেলার
সাথে সাক্ষাৎ করল এবং বলল, এ ছেলেটি আমাদের গোলাম, পালিয়ে এসেছে ৷ তখন তারা
ইসৃফ (আ)-কে ভাইদের কাছ থেকে কিনে নিল ৷ ষ্ন্ছুপু ৮;হ্রশু (স্বল্প মুল্যে) স্বল্পমুল্যে মানে
কম মুল্য, কেউ কেউ এর অর্থ মের্কী ড্রো বলেছেন ৷ ’ ’ ’
(মাত্র কয়েকটি দিরহামের বিনিময়ে
এবং এ ব্যাপারে তারা ছিল নির্লোভ) ইবন মড়াসউদ, ইবন আব্বাস (রা) নাওফুল বাকালী, সুদ্দী,
আল-যিদায়া ওয়ান নিহড়ায়া (১ম খণ্ড) ৫৭-
يُرْسِلُ مَعَهُمْ أَخَاهُمْ يُوسُفَ، وَأَظْهَرُوا لَهُ أَنَّهُمْ يُرِيدُونَ أَنْ يَرْعَى مَعَهُمْ، وَأَنْ يَلْعَبَ وَيَنْبَسِطَ، وَقَدْ أَضْمَرُوا لَهُ مَا اللَّهُ بِهِ عَلِيمٌ، فَأَجَابَهُمُ الشَّيْخُ عَلَيْهِ مِنَ اللَّهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالتَّسْلِيمِ: يَا بَنِيَّ يَشُقُّ عَلَيَّ أَنْ أُفَارِقَهُ سَاعَةً مِنَ النَّهَارِ، وَمَعَ هَذَا أَخْشَى أَنْ تَشْتَغِلُوا فِي لَعِبِكُمْ، وَمَا أَنْتُمْ فِيهِ فَيَأْتِيَ الذِّئْبُ فَيَأْكُلَهُ، وَلَا يَقْدِرُ عَلَى دَفْعِهِ عَنْهُ لِصِغَرِهِ وَغَفْلَتِكُمْ عَنْهُ {قَالُوا لَئِنْ أَكَلَهُ الذِّئْبُ وَنَحْنُ عُصْبَةٌ إِنَّا إِذًا لَخَاسِرُونَ} [يوسف: 14] . أَيْ لَئِنْ عَدَا عَلَيْهِ الذِّئْبُ فَأَكَلَهُ مِنْ بَيْنِنَا أَوِ اشْتَغَلْنَا عَنْهُ حَتَّى وَقَعَ هَذَا وَنَحْنُ جَمَاعَةٌ {إِنَّا إِذًا لَخَاسِرُونَ} [يوسف: 14] . أَيْ عَاجِزُونَ هَالِكُونَ. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ أَرْسَلَهُ وَرَاءَهُمْ يَتْبَعُهُمْ، فَضَلَّ عَنِ الطَّرِيقِ حَتَّى أَرْشَدَهُ رَجُلٌ إِلَيْهِمْ، وَهَذَا أَيْضًا مِنْ غَلَطِهِمْ وَخَطَئِهِمْ فِي التَّعْرِيبِ فَإِنَّ يَعْقُوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَانَ أَحْرَصَ عَلَيْهِ مِنْ أَنْ يَبْعَثَهُ مَعَهُمْ فَكَيْفَ يَبْعَثُهُ وَحْدَهُ {فَلَمَّا ذَهَبُوا بِهِ وَأَجْمَعُوا أَنْ يَجْعَلُوهُ فِي غَيَابَةِ الْجُبِّ وَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِ لَتُنَبِّئَنَّهُمْ بِأَمْرِهِمْ هَذَا وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ وَجَاءُوا أَبَاهُمْ عِشَاءً يَبْكُونَ قَالُوا يَاأَبَانَا إِنَّا ذَهَبْنَا نَسْتَبِقُ وَتَرَكْنَا يُوسُفَ عِنْدَ مَتَاعِنَا فَأَكَلَهُ الذِّئْبُ وَمَا أَنْتَ بِمُؤْمِنٍ لَنَا وَلَوْ كُنَّا صَادِقِينَ وَجَاءُوا عَلَى قَمِيصِهِ بِدَمٍ كَذِبٍ قَالَ بَلْ سَوَّلَتْ لَكُمْ أَنْفُسُكُمْ أَمْرًا فَصَبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ} [يوسف: 15]
[يُوسُفَ: 15 - 18] . لَمْ يَزَالُوا بِأَبِيهِمْ حَتَّى بَعَثَهُ مَعَهُمْ فَمَا كَانَ إِلَّا أَنْ غَابُوا عَنْ عَيْنَيْهِ فَجَعَلُوا يَشْتُمُونَهُ وَيُهِينُونَهُ بِالْفَعَالِ وَالْمَقَالِ، وَأَجْمَعُوا عَلَى إِلْقَائِهِ فِي غَيَابَةِ الْجُبِّ أَيْ فِي قَعْرِهِ عَلَى رَاعُوفَتِهِ، وَهِيَ الصَّخْرَةُ الَّتِي تَكُونُ فِي وَسَطِهِ يَقِفُ عَلَيْهَا الْمَائِحُ، وَهُوَ الَّذِي يَنْزِلُ لِيَمْلَأَ الدِّلَاءَ إِذَا قَلَّ الْمَاءُ، وَالَّذِي يَرْفَعُهَا بِالْحَبْلِ يُسَمَّى الْمَاتِحَ، فَلَمَّا أَلْقَوْهُ فِيهِ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ أَنَّهُ لَا بُدَّ لَكَ مِنْ فَرَجٍ
পৃষ্ঠা - ৪৬৫
কাতাদা ও আতিয়্যাতুল আওফী (র) বলেন, তারা বিশ দিরহামের বিনিময়ে বিক্রি করে ৷
ইউসুফ (আ) এর প্রত্যেক ভাইভ ৷গে দুই দুই দিরহাম করে পায় ৷ মুজাহিদের মতে, তারা
বাইশ দিরহামে এবং ইকরাম৷ ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাকের মতে চল্লিশ দিরহামে বিক্রি করে ৷
আল্পাহই সর্বজ্ঞ ৷
’ (
৷ প্রুা৷ ৷ (া৷দুঠু
(মিসরের যে লোকটি তাকে ক্রয় করেছিল সে৩ তার ত্রীকে বলেছিল, একে উত্তম ভাবে
থাকার ব্যবস্থা কর ৷) অর্থাৎ যত্ন সহকারে রাখ ৷ ৷ এ ; ট্রুা১; ঠু৷ মোঃ ^৷ ট্রুদুপু:
(সম্ভবত এ আমাদের কল্যাণে আসবে কিৎব৷ আমরা একে পুত্র বানিয়ে রাখব ৷) এটা ছিল
আল্লাহর বিশেষ রহমত, করুণা ও অনুঘহ যে ব্যবস্থার মাধ্যমে তিনি তাকে উপযুক্ত করে
গড়ে তুলতে এবং দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দান করতে চেয়েছিলেন ৷
আহণি কিতাবরা বলে , মিসরের যে ব্যক্তি ইউসুফ (আ)-কে খরীদ করেছিলেন তিনি ছিলেন
মিসরের আযিয’ অর্থাৎ অর্থমন্তী ৷ ইবন ইসহাকের মতে, তার নাম আতফীব ইবন রুহায়ব ৷ ঐ
সময় মিসরের বাদশাহ ছিলেন রায়্যান ইবন ওলীদ, তিনি ছিলেন আমালিক বং রু শোদ্ভুত ৷ ইবন
ইসহাকের মতে, আযীযের ত্রীর নাম রাঈল বিনত রা ৷ ))
অন্যদের মতে যুলায়খ৷ ৷ বলাবাহুল্য, যুলায়খা তার উপাধি ছিল ৷ ছালাবী আবু হিশাম রিফাই
(র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আযীযের স্তীর নাম ফাকা বিন্ত য়ানুস ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
(র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি ইউসুফ (আ)-কে মিসরে নিয়ে বিক্রি
করেছিল তার নাম মালিক ইবন যাআর ইবন নুওয়ায়ব ইবন আফাকা ইবন মাদয়ান ইবন
ইব্রাহীম ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
ইবন ইসহাক (র) ইবন মাসউদ (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন : মানব জাতির মধ্যে তিনজন
লোক সব চাইতে দুরদর্শী: (১) মিসরের আযীয যখন তিনি তার শ্রীকে বলেছিলেন একে সযত্নে
রাৰু; (২) সেই বালিকা ৷যে চুৰুার পি৩ ৷কে মুসা (আ) সম্পর্কে বলেছিস ,-ন্া ৷ ষ্ ৷া
ষ্;ন্ষ্খু ৷ তাকে কাজে নিযুক্ত করুন ৷
কারণ আপনার মজুর হিসেবে সে ব্যক্তিই উত্তম হবে যে হবে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত ৷ (২৮
কাসাস : ২৬) (৩) হযরত আবু বকর (রা), যখন তিনি হযরত উমর (রা ) কে খলীফ৷ নিযুক্ত
করেন ৷
কথিত আছে, আযীয’ ইউসুফ (আ)-কে বিশ দীনারের বিনিময়ে ক্রয় করেছিলেন ৷ কিত্তু
কেউ কেউ বলেছেন, তার সম ওজনের মিশক, সম ওজনের রেশম ও সম ওজনের রৌপাের
বিনিময়ে ক্রয় করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই সম্যক জ্ঞাত ৷
আল্লাহর বাণী: ষ্: )১৷ ৷ :প্ এ্প্রু;৷ ৷£হ্রব্র পুা৷ ৷াহ্রএ (এভাবে আমি ইউসুফকে সে
দেশে ৷প্রতিষ্ঠিত করলাম) যেমন এই আযীয ও তার শ্ৰীকে ইউসুফ (আ) এর সেবাযত্নে ও
সাহায্য-সহযোগিত্ষ্ ৷র জন্য নির্ধারণ করার মাধ্যমে মিসরের বুকে৩ তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম ৷
ন্প্রুাঢুরু ৷ ধ্াঠুা; ;;; ঞ্জো ও (এবং ত ৷কে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দিলাম) অর্থাৎ স্বপ্নের
তত্ত্বজ্ঞান ও তার ব্যাখ্যা ণ্,ণ্ ৷ ষ্া; ৷ ৷; এ্যা ৷ , (আল্লাহ তার কার্য সম্পাদনে অপ্ৰতিহত)
وَمَخْرَجٍ مِنْ هَذِهِ الشِّدَّةِ الَّتِي أَنْتَ فِيهَا، وَلَتُخْبِرَنَّ إِخْوَتَكَ بِصَنِيعِهِمْ هَذَا فِي حَالٍ أَنْتَ فِيهَا عَزِيزٌ، وَهُمْ مُحْتَاجُونَ إِلَيْكَ خَائِفُونَ مِنْكَ. {وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ} [يوسف: 15] . قَالَ مُجَاهِدٌ، وَقَتَادَةُ: {وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ} [يوسف: 15] . بِإِيحَاءِ اللَّهِ إِلَيْهِ ذَلِكَ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ {وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ} [يوسف: 15] أَيْ لَتُخْبِرَنَّهُمْ بِأَمْرِهِمْ هَذَا فِي حَالٍ لَا يَعْرِفُونَكَ فِيهَا. رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ عَنْهُ، فَلَمَّا وَضَعُوهُ فِيهِ وَرَجَعُوا عَنْهُ أَخَذُوا قَمِيصَهُ فَلَطَّخُوهُ بِشَيْءٍ مِنْ دَمٍ، وَرَجَعُوا إِلَى أَبِيهِمْ عِشَاءً وَهُمْ يَبْكُونَ أَيْ عَلَى أَخِيهِمْ؛ وَلِهَذَا قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ: لَا يَغُرَنَّكَ بُكَاءُ الْمُتَظَلِّمِ فَرُبَّ ظَالِمٍ وَهُوَ بَاكٍ. وَذَكَرَ بُكَاءَ إِخْوَةِ يُوسُفَ. وَقَدْ جَاءُوا أَبَاهُمْ عِشَاءً يَبْكُونَ أَيْ فِي ظُلْمَةِ اللَّيْلِ لِيَكُونَ أَمْشَى لِغَدْرِهِمْ لَا لِعُذْرِهِمْ {قَالُوا يَا أَبَانَا إِنَّا ذَهَبْنَا نَسْتَبِقُ وَتَرَكْنَا يُوسُفَ عِنْدَ مَتَاعِنَا} [يوسف: 17] . أَيْ ثِيَابِنَا {فَأَكَلَهُ الذِّئْبُ} [يوسف: 17] أَيْ فِي غَيْبَتِنَا عَنْهُ فِي اسْتِبَاقِنَا. وَقَوْلُهُمْ: {وَمَا أَنْتَ بِمُؤْمِنٍ لَنَا وَلَوْ كُنَّا صَادِقِينَ} [يوسف: 17] . أَيْ وَمَا أَنْتَ بِمُصَدِّقٍ لَنَا فِي الَّذِي أَخْبَرْنَاكَ مِنْ أَكْلِ الذِّئْبِ لَهُ، وَلَوْ كُنَّا غَيْرَ مُتَّهَمِينَ عِنْدَكَ، فَكَيْفَ وَأَنْتَ تَتَّهِمُنَا فِي هَذَا؟ فَإِنَّكَ خَشِيتَ أَنْ يَأْكُلَهُ الذِّئْبُ، وَضَمِنَّا لَكَ أَنْ لَا يَأْكُلَهُ لِكَثْرَتِنَا حَوْلَهُ فَصِرْنَا غَيْرَ مُصَدَّقِينَ عِنْدَكَ، فَمَعْذُورٌ أَنْتَ فِي عَدَمِ تَصْدِيقِكَ لَنَا وَالْحَالَةُ هَذِهِ {وَجَاءُوا عَلَى قَمِيصِهِ بِدَمٍ كَذِبٍ} [يوسف: 18] . أَيْ مَكْذُوبٍ مُفْتَعَلٍ لِأَنَّهُمْ عَمَدُوا إِلَى سَخْلَةٍ ذَبَحُوهَا فَأَخَذُوا مِنْ دَمِهَا فَوَضَعُوهُ عَلَى قَمِيصِهِ لِيُوهِمُوا أَنَّهُ أَكَلَهُ الذِّئْبُ. قَالُوا: وَنَسُوا أَنْ يَخْرِقُوهُ - " وَآفَةُ الْكَذِبِ النِّسْيَانُ. "، وَلَمَّا ظَهَرَتْ عَلَيْهِمْ عَلَائِمُ الرِّيبَةِ لَمْ يَرُجْ
পৃষ্ঠা - ৪৬৬
অর্থাৎ আল্লাহ যখন কোন সিদ্ধান্ত নেন, তখন তা বাস্তবায়িত হয়েই থাকে ৷ কেননা, তিনিত
বাস্তবায়নের জন্যে এমন উপায় নির্ধারণ করে দেন, যা মানুষের কল্পনড়ার বাইরে ৷ এ কারণেই
আল্লাহ বলেছেন : ট্রু,মোঃর্মু৷ ,চু৷ ৷ ;fié(”’ গ্লু,£াদ্বু (কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা অবগত
নয় ৷)
মোঃ,
এ; এ
যে যখন পুর্ণ যৌবনে উপনীত হল তখন আমি তাকে হিকমত ও জ্ঞান দান করলাম এবং
এভাবেই আমি সৎকর্ম পরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি ৷
এ কথা থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইতিপুর্বের সমস্ত ঘটনা হযরত ইউসুফ (আ)-এর পুর্ণ
যৌবন প্রাপ্তির পুর্বে সংঘটিত হয়েছিল ৷ অর্থাৎ ৪০ বছর বয়সের পুর্বে ৷ কেননা, চল্লিশ বছর
বয়সকালে নবীদের প্রতি ওহী প্রেরিত হয় ৷
কত বছর বয়সে পুর্ণ যৌবন প্রাপ্তি ঘটে, সে ব্যাপারে আলেমগণের মধ্যে মতভেদ আছে ৷
ইমাম মালিক, রাবীআ, যড়ায়দ ইবন আসলাম ও শড়াবী বলেন, পুর্ণ যৌবন প্রাপ্তি বলতে বালেগ
হওয়া বুঝায় ৷ সাঈদ ইবন জুবায়রের মতে, তা আঠার বছর ৷ দাহ্হাকের মতে বিশ বছর,
ইকরিমার মতে পচিশ বছর; সুদ্দীর মতে ত্রিশ বছর; ইবন আব্বাস, মুজাহিদ ও কাতড়াদা
(রা) এর মতে তেত্রিশ বছর এবং হাসান বসরী (র) এর মতে চল্লিশ বছর ৷ কুরআনের নিম্নোক্ত
আয়াত হাসান বসরী (র) এর মত তকে সমর্থন করে ৷
” দু
যথা (যখন সে যৌবন প্রাপ্ত হল এবং
চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হল) ৷ আল্লাহ বলেন ং
,,
(
¢
’¥’ #
১া৷ ৷ণ্ক্রো
১
(’
১
সে ১
é
ণ্
এে
গ্র
صَنِيعُهُمْ عَلَى أَبِيهِمْ فَإِنَّهُ كَانَ يَفْهَمُ عَدَاوَتَهُمْ لَهُ، وَحَسَدَهُمْ إِيَّاهُ عَلَى مَحَبَّتِهِ لَهُ مِنْ بَيْنِهِمْ أَكْثَرَ مِنْهُمْ لِمَا كَانَ يَتَوَسَّمُ فِيهِ مِنَ الْجَلَالَةِ وَالْمَهَابَةِ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِ فِي صِغَرِهِ لِمَا يُرِيدُ اللَّهَ أَنْ يَخُصَّهُ بِهِ مِنْ نُبُوَّتِهِ، وَلِمَا رَاوَدُوهُ عَنْ أَخْذِهِ فَبِمُجَرَّدِ مَا أَخَذُوهُ أَعْدَمُوهُ وَغَيَّبُوهُ عَنْ عَيْنَيْهِ جَاءُوا وَهُمْ يَتَبَاكَوْنَ وَعَلَى مَا تَمَالَأُوا عَلَيْهِ يَتَوَاطَئُونَ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {بَلْ سَوَّلَتْ لَكُمْ أَنْفُسُكُمْ أَمْرًا فَصَبْرٌ جَمِيلٌ وَاللَّهُ الْمُسْتَعَانُ عَلَى مَا تَصِفُونَ} [يوسف: 18] . وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ رُوبِيلَ أَشَارَ بِوَضْعِهِ فِي الْجُبِّ لِيَأْخُذَهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ، وَيَرُدَّهُ إِلَى أَبِيهِ فَغَافَلُوهُ وَبَاعُوهُ لِتِلْكَ الْقَافِلَةِ، فَلَمَّا جَاءَ رُوبِيلُ مِنْ آخِرِ النَّهَارِ لِيُخْرِجَ يُوسُفَ لَمْ يَجِدْهُ فَصَاحَ وَشَقَّ ثِيَابَهُ وَحَزِنَ، وَعَمَدَ أُولَئِكَ إِلَى جَدْيٍ فَذَبَحُوهُ وَلَطَّخُوا مِنْ دَمِهِ جُبَّةَ يُوسُفَ، فَلَمَّا عَلِمَ يَعْقُوبُ شَقَّ ثِيَابَهُ، وَلَبِسَ مِئْزَرًا أَسْوَدَ وَحَزِنَ عَلَى ابْنِهِ أَيَّامًا كَثِيرَةً، وَهَذِهِ الرَّكَاكَةُ جَاءَتْ مِنْ خَطَئِهِمْ فِي التَّعْبِيرِ وَالتَّصْوِيرِ {وَجَاءَتْ سَيَّارَةٌ فَأَرْسَلُوا وَارِدَهُمْ فَأَدْلَى دَلْوَهُ قَالَ يَابُشْرَى هَذَا غُلَامٌ وَأَسَرُّوهُ بِضَاعَةً وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِمَا يَعْمَلُونَ وَشَرَوْهُ بِثَمَنٍ بَخْسٍ دَرَاهِمَ مَعْدُودَةٍ وَكَانُوا فِيهِ مِنَ الزَّاهِدِينَ وَقَالَ الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْ مِصْرَ لِامْرَأَتِهِ أَكْرِمِي مَثْوَاهُ عَسَى أَنْ يَنْفَعَنَا أَوْ نَتَّخِذَهُ وَلَدًا وَكَذَلِكَ مَكَّنَّا لِيُوسُفَ فِي الْأَرْضِ وَلِنُعَلِّمَهُ مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَى أَمْرِهِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ آتَيْنَاهُ حُكْمًا وَعِلْمًا وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ} [يوسف: 19] أَيْ مُسَافِرُونَ. قَالَ: أَهْلُ الْكِتَابِ كَانَتْ بِضَاعَتُهُمْ مِنَ الْفُسْتُقِ وَالصَّنَوْبَرِ وَالْبُطْمِ، قَاصِدِينَ دِيَارَ مِصْرَ
পৃষ্ঠা - ৪৬৭
সে যে ত্রীলোকের ঘরে ছিল সে তার থেকে অসৎকর্ম কামনা করল এবং দরজাগুলাে বন্ধ
করে দিল ও বলল, এসো’ ৷ সে বলল, “আমি আল্লাহর শরণ নিচ্ছি ৷ তিনি আমার প্রভু; তিনি
আমাকে সম্মানজনকভাবে থাকতে দিয়েছিল, সীমালংঘনকারীরা সফলকাম হয় না ৷ ’ সে রমণী
তো তার প্রতি আসক্ত হয়েছিল এবং সেও ওর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ত যদি না সে তার
প্ৰতিপালকের নিদর্শন প্রত্যক্ষ করত ৷৩ তাকে মন্দ কর্ম ও অশ্লীলত৷ থেকে বিরত রাখার জন্যে
এভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম ৷ সে ৫৩ ৷ ছিল আমার বিশুদ্ধচিত্ত বান্দ৷ দের অন্তর্ভুক্ত ৷ ওরা ৷উভয়ে
দৌড়ে দরজার দিকে গেল এবং ত্রীলোকটি পেছন থেকে তার জামা ছিড়ে ফেলল ৷ তারা
ত্রীলােকটির স্বামীকে দরজার কাছে পেল ৷ শ্ৰীলোকটি বলল, যে তোমার পরিবারের সাথে কুকর্ম
কামনা করে তাকে কারাগারে প্রেরণ অথবা অন্য কোন মর্মভুদ শাস্তি ব্যতীত আর কি দণ্ড হতে
পারে?’ ইউসুফ (আ) বলল, সেই আসা থেকে অসৎকর্ম কামনা করেছিল ৷ ত্রীলোকটির
পরিবারের একজ্যা সাক্ষী সাক্ষ্য দিল, যদি ওর আমার সম্মুখ দিক ছিন্ন করা হয়ে থাকে, তবে
ন্তীলোকটি সত্য কথা বলেছে এবং পুরুষটি মিথ্যাবাদী ৷ কিন্তু ওর জামা যদি পেছন দিক হতে
ছিন্ন করা হয়ে থাকে, তবে শ্রী লোকটি মিথ্যা বলেছে এবং পুরুষটি সত ৷রাদী ৷ গৃহস্বামী যখন
দেখল যে, তার জামা পেছন দিক হতে ছিন্ন করা হয়েছে, তখন সে বলল, এটি তোমাদের
নারীদের ছলনা, ভীষণ তোমাদের ছলনা ! হে ইউসুফ ! তুমি এটি উপেক্ষা কর এবং হে নারী !
তোমার অপরাধের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা কর, তুমি অপরাধী ৷ (১২ ও ২৩ ২৯)
আযীযের শ্রী হযরত ইউসুফের প্রতি আসক্ত হয়ে নিজ কামনা চরিতার্থ করার জন্যে কিভাবে
যে ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়েছিল এখানে আল্লাহ তা উল্লেখ করেছেন ৷ আযীযের শ্রী ছিলেন
অত্যন্ত রুপসী, ঐশ্বর্যশালী, উচ্চ সামাজিক মর্যাদার এবং ভরা যৌবনের অধিকারিণী ৷ তিনি
মুল্যবান জলুসপুর্ণ পোশাক পরিধান ও অঙ্গ-সজ্জা করে ইউসুফ (আ )-কে আপন কক্ষে রেখে
ভবনের সমস্ত দরজা বন্ধ করে তাকে আহ্বান জানান ৷ সর্বোপরি তিনি ছিলেন মগ্রীর শ্রী ৷ ইবন
ইসহাকের মতে, এই মহিলাটি ছিলেন মিসরের বাদশাহ রায়্যান ইবনুল ওলীদের ভান্নী ৷
অপরদিকে হযরত ইউসুফ (আ) ছিলেন অত্যধিক রুপ সৌন্দর্যে দীপ্তিমান নওজোয়ান ৷ কিভু
তিনি ছিলেন নবী বংশোদ্ভুত একজন নবী ৷ তাই আল্লাহ তাকে এই অশ্লীল কাজ থেকে হেফাজত
করেন এবং নারীদের ছলনা থেকে রক্ষা করেন ৷ এর ফলে তিনি সহীহায়নের হাদীসে বর্ণিত
সর্বাপেক্ষা মুত্তাকী সাত শ্রেণীর লোকের অন্যতম সর্দার বলে প্রতিপন্ন হন ৷
রাসুলুল্পাহ (সা) বলেন, যে দিন আল্লাহর (আরশের) ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে
না, সে দিন৷ সাত ৩শ্রেণীর লোককে আল্লাহ তার ছায়া দান করবেন ং
(১) ন্যায়পরায়ণ শাসক (২) যে ব্যক্তি নির্জ্যন আল্লাহকে স্মরণ করে অশ্রু ঝরায় (৩) যে
ব্যক্তি সালাত শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার পর পুনরায় মসজিদে না যাওয়া পর্যন্ত তার
অন্তর মসজিদের সাথে বীধা থাকে (৪) সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সত্তুষ্টির উদ্দেশ্যে
পরস্পরে মহব্বত করে ৷ আল্লাহর উদ্দেশেই তারা একত্র হয় এবং আল্লাহর উদ্দেশেই তারা
বিচ্ছিন্ন হয় (৫) যে ব্যক্তি এমন গোপনীয়তার সাথে সাদক৷ করে যে, তার ডান হাত কি দিল
বাম হতে তার খবর রাখে না (৬) ঐ যুবক যেত তার উঠতি বয়স আল্লাহর ইবাদতের মধ্যে
কাটায় ৷ (৭) ঐ পুরুষ যাকে কোন সুন্দরী ও সম্রান্ত মহিলা কু-কর্মের প্রতি আহ্বান করে কিত্তু
সে বলে আমি আল্লাহকে ভয় করি ৷ (বৃখারী ও মুসলিম)
مِنَ الشَّامِ فَأَرْسَلُوا بَعْضَهُمْ لِيَسْتَقُوا مِنْ ذَلِكَ الْبِئْرِ، فَلَمَّا أَدْلَى أَحَدُهُمْ دَلْوَهُ تَعَلَّقَ فِيهِ يُوسُفُ، فَلَمَّا رَآهُ ذَلِكَ الرَّجُلُ قَالَ: {يَا بُشْرَى} [يوسف: 19] أَيْ يَا بِشَارَتِي هَذَا غُلَامٌ {وَأَسَرُّوهُ بِضَاعَةً} [يوسف: 19] أَيْ أَوْهَمُوا أَنَّ مَعَهُمْ غُلَامًا مِنْ جُمْلَةِ مَتْجَرِهِمْ {وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِمَا يَعْمَلُونَ} [يوسف: 19] . أَيْ هُوَ عَالِمٌ بِمَا تَمَالَأَ عَلَيْهِ إِخْوَتُهُ، وَبِمَا يُسِرُّهُ وَاجِدُوهُ مِنْ أَنَّهُ بِضَاعَةٌ لَهُمْ، وَمَعَ هَذَا لَا يُغَيِّرُهُ تَعَالَى لِمَا لَهُ فِي ذَلِكَ مِنَ الْحِكْمَةِ الْعَظِيمَةِ وَالْقَدَرِ السَّابِقِ وَالرَّحْمَةِ بِأَرْضِ مِصْرَ بِمَا يُجْرِي اللَّهُ عَلَى يَدَيْ هَذَا الْغُلَامِ الَّذِي يَدْخُلُهَا فِي صُورَةِ أَسِيرٍ رَقِيقٍ، ثُمَّ بَعْدَ هَذَا يُمَلِّكُهُ أَزِمَّةِ الْأُمُورِ، وَيَنْفَعُهُمُ اللَّهُ بِهِ فِي دُنْيَاهُمْ وَأُخْرَاهُمْ بِمَا لَا يُحَدُّ وَلَا يُوصَفُ.
وَلَمَّا اسْتَشْعَرَ إِخْوَةُ يُوسُفَ بِأَخْذِ السَّيَّارَةِ لَهُ لَحِقُوهُمْ، وَقَالُوا: هَذَا غُلَامُنَا أَبِقَ مِنَّا فَاشْتَرَوْهُ مِنْهُمْ بِثَمَنٍ بَخْسٍ؛ أَيْ قَلِيلٍ نَزْرٍ. وَقِيلَ: هُوَ الزَّيْفُ {دَرَاهِمَ مَعْدُودَةٍ وَكَانُوا فِيهِ مِنَ الزَّاهِدِينَ} [يوسف: 20] . قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ، وَابْنُ عَبَّاسٍ، وَنَوْفٌ الْبِكَالِيُّ، وَالسُّدِّيُّ، وَقَتَادَةُ، وَعَطِيَّةُ الْعَوْفِيُّ: بَاعُوهُ بِعِشْرِينَ دِرْهَمًا اقْتَسَمُوهَا دِرْهَمَيْنِ دِرْهَمَيْنِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ: اثْنَانِ وَعِشْرُونَ دِرْهَمًا. وَقَالَ عِكْرِمَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ {وَقَالَ الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْ مِصْرَ لِامْرَأَتِهِ أَكْرِمِي مَثْوَاهُ} [يوسف: 21] . أَيْ أَحْسِنِي إِلَيْهِ {عَسَى أَنْ يَنْفَعَنَا أَوْ نَتَّخِذَهُ وَلَدًا} [يوسف: 21] . وَهَذَا مِنْ لُطْفِ اللَّهِ بِهِ وَرَحْمَتِهِ، وَإِحْسَانِهِ إِلَيْهِ بِمَا يُرِيدُ أَنْ يُؤَهِّلَهُ لَهُ، وَيُعْطِيَهُ مِنْ خَيْرَيِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. قَالُوا: وَكَانَ الَّذِي اشْتَرَاهُ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ عَزِيزَهَا، وَهُوَ الْوَزِيرُ بِهَا الَّذِي الْخَزَائِنُ مُسَلَّمَةٌ إِلَيْهِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ:
পৃষ্ঠা - ৪৬৮
মােটকথা, আযীয়েব শ্রী ইউসুফ (আ) এর প্রতি আসক্ত হয়ে ও অত্যধিক সােভাতুর হয়ে
আপন কামনা চবিত ৷র্থ করার জন্যে আহ্বান জ যায় ৷ ইউসুফ (আ) বললেন :ন্এ! ৷ ষ্ার্মুষ্
(আল্লাহর পানাহ্ চাই) ^শু ৷ (তিনি৫ তা আমার মনিব) অর্থাৎ মহিলার স্বামী-এ বাড়ির
মালিক আমার মনিব ৷ ::§£ গ্লু,১ ! অর্থাৎ তিনি আমার প্রতি সদয় ব্যবহার করেছেন ও
আমাকে মর্যাদার সাথে তার কাছে থাকার বন্দোবস্ত করেছেন ৷ ষ্র্চুকুপু এেব্লু৷ ! ’ ^ র্বৃ৷ ৰু১ ৷
(জালিমরা কখনও সফলকাম হয় না) র্দুাৰুপুদ্বু
(মহিলাটি ইউসুফের প্ৰতি আসক্ত হয়েছিল এবং সেও তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়তাে যদি না
সে আপন প্রতিপ৷ ৷লকের নিদর্শন প্রত্যক্ষ করত ৷) তাফসীরে আমরা এ আয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোকপাত করেছি ৷ ?
মুফাসসিবপণ এ স্থলে যত কথা বলেছেন, তার অধিকাংশই আহলি কিতাবদের প্ৰন্থাদি
থেকে গৃহীত ৷ সুতরাং সেগুলো উপেক্ষা করাই গ্রেয় ৷ এখানে যে কথাটি বিশ্বাস করা প্রয়োজন
তা এই যে, আল্লাহ হযরত ইউসুফ (আ)-কে এ অন্যায় ও অশ্লীল কাজ থেকে হিফাজত করেন
ও পবিত্র রাখেন এবং ঐ মহিলার কবল থেকে তাকে রক্ষা করুন ৷
তাই তিনি বলেছেনং :
এ্খো এৰুা১হ্রএ
তাকে মন্দকর্ম ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রা ৷খার জন্য এভাবে নিদর্শন দেখিয়েছিলাম সে
তো ছিল আমার বিশুদ্ধচিত্ত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত ৷’ শুা ৷ ! fi§;§ (তার৷ উভয়ে দৌড়ে
দরজার দিকে গেল) অর্থাৎ হযরত তইউসুফ (আ) মহিলার কবল থেকে রাচার জন্য ঘর থেকে
বেরিয়ে £fi@€fi§§fi! দরজার দিকে ছুটে গেলেন এবং মহিলা তার পেছনে পেছনে গেল
এ (তারা উভয়ে মহিলার স্বড়ামীকে দরজার কাছে পেল) তখন চট
করে মহিলাটি কথা বলতে আরম্ভ কবল এবং তা কে ইউসুফের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা
করল০ ং
মিঃ ব্রে
মহিলাটি বলল, যে তোমার পরিবারের সাথে কুকর্ম কামনা করে তাকে কারাগারে নিক্ষেপ
কিৎবা কোন কঠিন শাস্তি ব্যতীত আর কি দও হতে পারে? ’
মহিলা নিজেই অপরাধী অথচ সে অভিযুক্ত করছে ইউসুফ (আ) কে এবং নিজের পুতচরিত্র
ও কলুষমুক্ত হওয়ার কথা বলছে ৷ এ কা ৷রণে ইউসুফ বললেন: র্গেন্ট্র; :,§ ক্ট্রপুটুট্রু ,গ্লু
(এ মইিল ই আমাকে ফুসলাতে চেষ্টা করেছে) প্রয়োজনের মুহুর্তে তনি সত্য কথা বলতে বাধ্য
পে
হয়েছেন ৷ ৷র্ভুাস্ট্র ৷ ; প্লু কুৰুব্লু এে ;শু স্ (মহিলাব পরিবা ৷রের জনৈক সাক্ষী সাক্ষ্য দিল) ৷
ইবন আব্বাস (রা ) বলেন, যে সাক্ষ্য দিয়েছিল সে ছিল একান্তই দোলনার এক শিশু ৷ আবু
হুরায়রা (রা), হিলাল ইবন আসাফ, হাসান বসরী, সাঈদ ইবন জুবায়ব ও যাহ্হাক থেকে
অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ ইবন জারীরও এ মতই গ্রহণ করেছেন ৷ হযরত ইবন আব্বাস (বা)
থেকে এ ব্যাপারে মাবকু হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং অন্যরা তা মওকুফরুপে বর্ণনা করেছেন ৷
وَاسْمُهُ أَطْفِيرُ بْنُ رُوحِيبَ. قَالَ: وَكَانَ مَلِكُ مِصْرَ يَوْمَئِذٍ الرَّيَّانَ بْنَ الْوَلِيدِ رَجُلٌ مِنَ الْعَمَالِيقِ. قَالَ: وَاسْمُ امْرَأَةِ الْعَزِيزِ رَاعِيلُ بِنْتُ رَعَائِيلَ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ اسْمُهَا زَلِيخَا. وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ لَقَبُهَا. وَقِيلَ: فَكَا بِنْتُ يَنُوسَ. رَوَاهُ الثَّعْلَبِيُّ، عَنْ أَبِي هِشَامٍ الرِّفَاعِيِّ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانَ اسْمُ الَّذِي بَاعَهُ بِمِصْرَ يَعْنِي الَّذِي جَلَبَهُ إِلَيْهَا مَالِكَ بْنَ دَغْرِ بْنِ ثَوِيبَ بْنِ عَفْقَا بْنِ مِدْيَانَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: أَفْرَسُ النَّاسِ ثَلَاثَةٌ؛ عَزِيزُ مِصْرَ حِينَ قَالَ لِامْرَأَتِهِ: {أَكْرِمِي مَثْوَاهُ} [يوسف: 21] وَالْمَرْأَةُ الَّتِي قَالَتْ لِأَبِيهَا عَنْ مُوسَى: {يَا أَبَتِ اسْتَأْجِرْهُ إِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَأْجَرْتَ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ} [القصص: 26] . وَأَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ حِينَ اسْتَخْلَفَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. ثُمَّ قِيلَ: اشْتَرَاهُ الْعَزِيزُ بِعِشْرِينَ دِينَارًا. وَقِيلَ: بِوَزْنِهِ مِسْكًا وَوَزْنِهِ حَرِيرًا وَوَزْنِهِ وَرِقًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَوْلُهُ: {وَكَذَلِكَ مَكَّنَّا لِيُوسُفَ فِي الْأَرْضِ} [يوسف: 21] . أَيْ وَكَمَا قَيَّضْنَا هَذَا الْعَزِيزَ، وَامْرَأَتَهُ يُحْسِنَانِ إِلَيْهِ وَيَعْتَنِيَانِ بِهِ، مَكَّنَّا لَهُ فِي أَرْضِ مِصْرَ {وَلِنُعَلِّمَهُ مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ} [يوسف: 21] . أَيْ فَهْمِهَا، وَتَعْبِيرُ الرُّؤْيَا مِنْ ذَلِكَ {وَاللَّهُ غَالِبٌ عَلَى أَمْرِهِ} [يوسف: 21] .
পৃষ্ঠা - ৪৬৯
কেউ কেউ বলেছেন, সাক্ষ্যদাত৷ ছিল মহিলার স্বামীর নিকটআত্মীয় একজন পুরুষ ৷ আবার
কেউ বলেছেন, যে ছিল মহিলার নিবন্টাত্মীয় একজন পুরুষ ৷ সাক্ষ্যদাতা পুরুষ বলে অভিমত
পোষণকারীদের মধ্যে রয়েছেন ইবন আব্বাস (রা), ইকবিমা, মুজাহিদ হাসান, কা তাদা, সুদ্দী,
মুহা ম্মদ ইবন ইসহাক ও যায়দ ইবন অ ৷সলাম (র) ৷
যে সন্ক্ষ দিল০
(যদি ওর আমার সম্মুখ দিকে ছেড়া হয়ে থাকে তবে মহিলাঢি সত্য কথা বলেছে এবং
পুরুষটি মিথ্যাবাদী) ৷ কারণ তখন বোঝা যাবে ইউসুফ (আ) মহিলাকে ধরতে নিয়েছেন; আর
মহিলা প্রতিরোধ করেছে যার ফলে আমার সম্মুখ দিকে ছিড়ে গেছে ৷ <ষ্ণ্ ষ্ ;, $’ ;, ৷
ঠুট্রুওা৷৷ ৷ ট্রু,প্রু $$§ ঠুপু“াওদ্বু )পুাব্র১ ঠুএ গুও (আর flfifi;“ তার জামা পিছন দিক থেকে ছেড়া
হয়ে থাকে তবে মহিলাঢি মিথ্যা বলেছে এবং পুরুষটি সত্যবাদী) ৷ কারণ, তখন প্রমাণিত হবে
যে, ইউসুফ (আ) মহিলার কবল থেকে পালাতে চেয়েছেন এবং মহিলা তাকে ধরার জন্যে
পেছনে পেছনে ছুটেছে ও তার জামা টেনে ধরার কারণে পেছন দিকে ছিড়ে গেছে ৷ আর
বাস্তবেও তইি ঘটেছিল ৷ তাই অ ৷ল্পাহ্ তা আলা বলেছেন০ :
গৃহস্বামী যখন দেখল যে,৩ তার জামা পেছন দিক থেকে ছেড়৷ রয়েছে ৷ তখন সে বলল, এ
হল তোমাদের নারীদের ছলন৷ ৷ বন্তুত৩ ভীষণ ৷তােমাদের ছলন৷ ৷ ’ অর্থাৎ এ যা কিছু ঘটেছে তা
তোমাদের নারীদের কুট কৌশল তুমিই তাকে ফুসলিয়েছ এবং অনা৷য়তারে তার ওপর
দােষারােপ করছ ৷
)
এরপর মহিলার স্বামী এ ব্যাপারটির নিষ্পত্তিকল্পে বলেন : ৷া১ -,; ;;); ৷ ণ্ড্রশুটুৰু
(ইউসুফ! এ বিষয়টিকে তুমি উপেক্ষা কর) অর্থাৎ কারও নিকট এ বিষয় নিয়ে আলোচনা
করে৷ না ৷ কারণ, এ জাতীয় বিষয় গোপন ক্লরাই বাঞ্চুনীয় ও উত্তম ৷ অপর দিকে তিনি
মহিলাকে তার অপরাধের জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করার নির্দেশ দেন ৷
কেননা, বান্দা যখন আল্লাহর কাছে তওবা করে তখন আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন ৷ ঐ সময়
মিসরবাসী যদিও মুর্তিপুজা করত, কিন্তু তারা বিশ্বাস করত যে, যে সত্তা পাপ মােচন করেন
এবং পাপের শাস্তি দেন তিনি এক ও না শরীক আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নন ৷ এ জন্যে শ্রী
লোকঢিকে তার স্বামী ক্ষমা প্রার্থনা করত ৩বলেন; তবে কিছু কিছু কারণে তিনি মহিলার
অসহায়তৃ ও অক্ষমত৷ উপলব্ধি করেন ৷ কেননা, মহিলা এমন কিছু প্রত্যক্ষ করেছিল যা দেখে
মনকে দ বিয়ে রাখা খুবই কঠিন (অর্থাৎ ইউসুফ (আ) এ-র রুপ) ৷ তবে ইউসুফ (আ) ছিলেন
পাক পবিত্র ও নির্মল নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী ৷
া
তুমি তোমার অপরাধের জন্যে ক্ষমা ৷প্রার্থনা কর ৷ কারণ নিশ্চিততারে তুমিই অপরা ৷ধী ৷
এএে হ্র
দু
أَيْ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا فَإِنَّهُ يُقَيِّضُ لَهُ أَسْبَابًا، وَأُمُورًا لَا يَهْتَدِي إِلَيْهَا الْعِبَادُ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ - وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ آتَيْنَاهُ حُكْمًا وَعِلْمًا وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ} [يوسف: 21 - 22] . فَدَلَّ عَلَى أَنَّ هَذَا كُلَّهُ كَانَ، وَهُوَ قَبْلَ بُلُوغِ الْأَشُدِّ، وَهُوَ حَدُّ الْأَرْبَعِينَ الَّذِي يُوحِي اللَّهُ فِيهِ إِلَى عِبَادِهِ النَّبِيِّينَ عَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ.
وَقَدِ اخْتَلَفُوا فِي مُدَّةِ الْعُمُرِ الَّذِي هُوَ بُلُوغُ الْأَشُدِّ. فَقَالَ مَالِكٌ، وَرَبِيعَةُ، وَزَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، وَالشَّعْبِيُّ: هُوَ الْحُلُمُ. وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ: ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَقَالَ الضَّحَّاكُ: عِشْرُونَ سَنَةً. وَقَالَ عِكْرِمَةُ: خَمْسٌ وَعِشْرُونَ سَنَةً. وَقَالَ السُّدِّيُّ: ثَلَاثُونَ سَنَةً. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَقَتَادَةُ: ثَلَاثٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً. وَقَالَ الْحَسَنُ: أَرْبَعُونَ سَنَةً. وَيَشْهَدُ لَهُ قَوْلُهُ تَعَالَى: {حَتَّى إِذَا بَلَغَ أَشُدَّهُ وَبَلَغَ أَرْبَعِينَ سَنَةً} [الأحقاف: 15] . {وَرَاوَدَتْهُ الَّتِي هُوَ فِي بَيْتِهَا عَنْ نَفْسِهِ وَغَلَّقَتِ الْأَبْوَابَ وَقَالَتْ هَيْتَ لَكَ قَالَ مَعَاذَ اللَّهِ إِنَّهُ رَبِّي أَحْسَنَ مَثْوَايَ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ وَلَقَدْ هَمَّتْ بِهِ وَهَمَّ بِهَا لَوْلَا أَنْ رَأَى بُرْهَانَ رَبِّهِ كَذَلِكَ لِنَصْرِفَ عَنْهُ السُّوءَ وَالْفَحْشَاءَ إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُخْلَصِينَ وَاسْتَبَقَا الْبَابَ وَقَدَّتْ قَمِيصَهُ مِنْ دُبُرٍ وَأَلْفَيَا سَيِّدَهَا لَدَى الْبَابِ قَالَتْ مَا جَزَاءُ مَنْ أَرَادَ بِأَهْلِكَ سُوءًا إِلَّا أَنْ يُسْجَنَ أَوْ عَذَابٌ أَلِيمٌ قَالَ هِيَ رَاوَدَتْنِي عَنْ نَفْسِي وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِنْ أَهْلِهَا إِنْ كَانَ قَمِيصُهُ قُدَّ مِنْ قُبُلٍ فَصَدَقَتْ وَهُوَ مِنَ الْكَاذِبِينَ وَإِنْ كَانَ قَمِيصُهُ قُدَّ مِنْ دُبُرٍ فَكَذَبَتْ وَهُوَ مِنَ الصَّادِقِينَ فَلَمَّا رَأَى قَمِيصَهُ قُدَّ مِنْ دُبُرٍ قَالَ إِنَّهُ مِنْ كَيْدِكُنَّ إِنَّ كَيْدَكُنَّ عَظِيمٌ يُوسُفُ أَعْرِضْ عَنْ هَذَا وَاسْتَغْفِرِي لِذَنْبِكِ إِنَّكِ كُنْتِ مِنَ الْخَاطِئِينَ} [يوسف: 23]
[يُوسُفَ: 23 - 29] .
পৃষ্ঠা - ৪৭০
,স্পো
ণ্ড্রস্পে এর্বৃা৷এ এএে ণ্মৈং
ঞ
শ্লো
স্পো
নগরের কতিপয় নারী বলল, আযীযের ত্রী তার যুবক দাস থেকে অসৎকর্ম কামনা করছে;
প্রেম তাকে উন্মত্ত করেছে, আমরা৫ তা তাকে দেখছি স্পষ্ট বিভ্র ৷ন্তিতে ৷ শ্রীলোকটি যখন ওদের
ষড়যম্ভের কথা শুনল, তখন সে ওদেরকে ডেকে পাঠাল, ওদের জন্যে আসন প্রন্তুত করল,
ওদের প্রত্যেককে একটি করে ছবি দিল এবং ইউসুফ (আ) কে বলল, ওদের সম্মুখে বের হও ৷
তারপর ওরা যখন তাকে দেখল তখন তারা ওর গরিমায় অভিভুত হল এবং নিজেদের হাত
কেটে ফেলল ৷ ওরা বলল, অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্য! এতো মানুষ নয়, এতো এক মহিমাৰিত
ফেরেশতা ৷’
সে বলল, এ ই সে বা ব সম্বন্ধে তোমরা আমার নিন্দা করেছ; আমি তো তা থেকে অসৎকর্ম
কামনা করেছি; কিত্তু সে নিজেকে পবিত্র রেখেছে, আমি তাকে যা আদেশ করেছি যে যদিত
না করে,৩ তবে সে কারারুদ্ধ হবেই এবং হীনদের অন্তর্ভুক্ত হবে ৷ ইউসুফ বলল, হে আমার
প্রতিপালক ! এই নারীগণ আমাকে যার প্রতি আহ্বান করছে তা অপেক্ষা কারাগার আমার কাছে
অধিক প্রিয় ৷ আপনি যদি ওদের ছলনা থেকে আমাকে রক্ষা না করেন তবে আমি ওদের প্ৰতি
আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব ৷ ’ তারপর তা ৷র প্ৰতিপালক তার আহ্বানে সাড়া
দিলেন এবং তাকে ওদের ছলনা থেকে রক্ষা করলেন ৷ তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ ৷ ( ১ ২
৩০ ৩৪ )
এখানে আল্লাহ উল্লেখ করছেন যে সব কথা, যা শহরের মহিলা সমাজ তথা আমীর,
ওমরাহ ও অভিজাত লোকদের ত্রী-কন্যাগণ আযীযের ত্রী সম্পর্কে নিন্দাবাদ করছিল ৷ নিজের
ক্রী৩ দাসের প্ৰতি প্রেমে উন্মত্ত হয়ে প্ৰবৃত্তি চবিতার্থ করার উদ্দেশ্যে ছলনা করার জন্য তারা
তাকে ভৎসনা করছিল ৷ দাসের প্ৰতি এরুপ আসক্ত হওয়া তার মত অতিজা ৷ত মহিলার পক্ষে
ৰু মোটেই শ্যেভনীয় ছিল না ৷৩ তাই তারা ৷বলছিল (আমরা
তাকে স্পষ্ট বিভ্রান্তির মধ্যে দেখছি) অর্থাৎ যে অপাত্রে প্রেম নিবেদন করছে ৷ এ্যার্দুন্ থ্রেন্
এেগ্লুহ্রগ্র (আষীষের ত্রী যখন তাদের চক্রাম্ভের কথা শুনল) অর্থাৎ৩ ৷র প্রতি শহরের
মহিলাদের ভৎসনার কথা জ্ঞান এবং দাসের প্ৰতি প্রেম নিবেদন করার কারণে তাকে নিন্দাবাদ
يَذْكُرُ تَعَالَى مَا كَانَ مِنْ مُرَاوَدَةِ امْرَأَةِ الْعَزِيزِ لِيُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنْ نَفْسِهِ وَطَلَبِهَا مِنْهُ مَا لَا يَلِيقُ بِحَالِهِ وَمَقَامِهِ، وَهِيَ فِي غَايَةِ الْجَمَالِ وَالْمَالِ وَالْمَنْصِبِ وَالشَّبَابِ، وَكَيْفَ غَلَّقَتِ الْأَبْوَابَ عَلَيْهَا وَعَلَيْهِ؟ وَتَهَيَّأَتْ لَهُ وَتَصَنَّعَتْ وَلَبِسَتْ أَحْسَنَ ثِيَابِهَا وَأَفْخَرَ لِبَاسِهَا، وَهِيَ مَعَ هَذَا كُلِّهِ امْرَأَةُ الْوَزِيرِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبِنْتُ أُخْتِ الْمَلِكِ الرَّيَّانِ بْنِ الْوَلِيدِ صَاحِبِ مِصْرَ. وَهَذَا كُلُّهُ مَعَ أَنَّ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ شَابٌّ بَدِيعُ الْجَمَالِ وَالْبَهَاءِ، إِلَّا أَنَّهُ نَبِيٌّ مِنْ سُلَالَةِ الْأَنْبِيَاءِ فَعَصَمَهُ رَبُّهُ عَنِ الْفَحْشَاءِ وَحَمَاهُ مِنْ مَكْرِ النِّسَاءِ، فَهُوَ سَيِّدُ السَّادَةِ النُّجَبَاءِ السَّبْعَةِ الْأَتْقِيَاءِ الْمَذْكُورِينَ فِي الصَّحِيحَيْنِ عَنْ خَاتَمِ الْأَنْبِيَاءِ فِي قَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ رَبِّ الْأَرْضِ وَالسَّمَاءِ «سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللَّهُ فِي ظِلِّهِ يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلُّهُ؛ إِمَامٌ عَادِلٌ، وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللَّهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ، وَرَجُلٌ مُعَلَّقٌ قَلْبُهُ بِالْمَسْجِدِ إِذَا خَرَجَ مِنْهُ حَتَّى يَعُودَ إِلَيْهِ، وَرَجُلَانِ تَحَابَّا فِي اللَّهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ، وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَأَخْفَاهَا حَتَّى لَا تَعْلَمَ شِمَالُهُ مَا تُنْفِقُ يَمِينُهُ، وَشَابٌّ نَشَأَ فِي عِبَادَةِ اللَّهِ، وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ مَنْصِبٍ وَجَمَالٍ، فَقَالَ: إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ» .
وَالْمَقْصُودُ أَنَّهَا دَعَتْهُ إِلَيْهَا، وَحَرَصَتْ عَلَى ذَلِكَ أَشَدَّ الْحِرْصِ. فَقَالَ: {مَعَاذَ اللَّهِ إِنَّهُ رَبِّي} [يوسف: 23] . يَعْنِي زَوْجَهَا صَاحِبَ الْمَنْزِلِ سَيِّدِي أَحْسَنَ مَثْوَايَ أَيْ أَحْسَنَ إِلَيَّ، وَأَكْرَمَ مُقَامِي عِنْدَهُ {إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ} [يوسف: 23] . وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى قَوْلِهِ: {وَلَقَدْ هَمَّتْ بِهِ وَهَمَّ بِهَا لَوْلَا أَنْ رَأَى بُرْهَانَ رَبِّهِ} [يوسف: 24] . بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَمَقْنَعٌ فِي التَّفْسِيرِ.
وَأَكْثَرُ أَقْوَالِ الْمُفَسِّرِينَ هَاهُنَا مُتَلَقًّى مِنْ كُتُبِ أَهْلِ
পৃষ্ঠা - ৪৭১
করার কথা জানল ৷ কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে আযীয়ের শ্রী এ ব্যাপারে ছিল অক্ষম ৷ তাই সে ইচ্ছে
করল তার ওযর ঐ মহিলাদের সামনে প্রকাশ করতে ৷ তখন তারা ৰুঝবে যে, এই যুবক দাস
তেমন নয় যেমন তারা ধারণা করেছে এবং এ সেসব দাসের মত নয়, যেসব দাস তাদের কাছে
আছে সুতরাং সে শহরের মহিলাদের নিমন্ত্রণ করল এবং সকলকে বাড়িতে ডেকে আনল ৷ সে
একটি ভোজ সভার আয়োজন করল ৷ ভোজসডায় যে সব খাদ্যশুদ্বব্য পরিবেশন করা হয় তার
মধ্যে এমন কিছু দ্রব্য ছিল যা ছুব্রি দিয়ে কেটে যেতে হয়, যেমন লেবু ইতড়াদি ৷ উপস্থিত
প্রত্যেককে একটি করে ছবি দেয়া হল ৷ আযীষের শ্রী পুর্বেই ইউসুফ (আ)-কে উৎকৃষ্ট পোশাক
পরিয়ে প্ৰন্তুত রেখেছিল ৷ তখন তিনি ছিলেন পুর্ণ যৌবনে দীপ্তিমান ৷ এ অবস্থায়মহিলাটি
ইউসুফ (আ)-কে তাদের সম্মুখে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিলে তিনি বের হয়ে আসেন ৷ ইউসুফ
(আ)-কে তখন পুর্ণিমার চীদের চাইতেও অধিকতর সুন্দর দেখাচ্ছিল ৷ § ; ’$ ট্রুৰুছুাদ্বু র্দুর্মুাট্রুষ্
(যখন তারা তাকে দেখল তখন ওরা তার গৰিমায় অভিতুত হলো) অর্থাৎ তারা ইউসুফ
(আ)-এর সৌন্দর্য-দর্শনে বিস্মিত হয়ে ডাবল, কোন আদম সন্তান তো এ রকম রুপ-লাবনাের
অধিকারী হতে পারে না ৷ ইউসুফ (আ)-এর সৌন্দর্যের দীপ্তিতে অডিভুত হয়ে তারা চেতনা
হারিয়ে ফেলে ৷ এমনকি আপন আপন হাতে রক্ষিত ছুরি দ্বারা নিজেদের হাত কেটে ফেলে ৷
অথচ যখমের কোন অনুভুতিই তাদের ছিল না ৷
মহিলারা বলল, অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্য ! এতো মানুষ নয়, এ তো মহিমাষিত ফেরেশত৷ !
মিৱাজ সংক্রান্ত হাদীসে এসেছে, আমি ইউসুফের কাছ দিয়ে গেলাম , দেখলাম সৌন্দর্যের
অর্ধেকই তাকে দেওয়া হয়েছে ৷
সুহায়লী (র) ও অন্যান্য ইমাম বলেছেন, হযরত ইউসুফ (আ)কে অর্ধেক সৌন্দর্য দেয়া
হয়েছিল-এ কথার অর্থ হল আদম (আ)-এর যে সৌন্দর্য ছিল তার অর্ধেক ইউসুফ (আ)-কে
দেয়া হয়েছিল ৷ কারণ আল্লাহ নিজ হাতে আদম (আ)-কে সৃষ্টি করে তার মধ্যে রুহ কুকে
দিয়েছেন ৷ সুতরাং তিনিই ছিলেন সবার চাইতে বেশি সুন্দর ৷ এ জন্যে জান্নাতবাসী আদম
(আ)-এর দৈহিক মাপ ও সৌন্দর্য নিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে ৷ আর ইউসুফ (আ )-এর সৌন্দর্য
ছিল আদম (আ)-এর সৌন্দর্যের অর্ধেক ৷ এ দৃ’জ্যনর মাঝখানে আর কোন সৌন্দর্যবান ব্যক্তি
হবে না ৷ যেমন হযরত হাওয়া (আ)-এর পরে হযরত ইবরাহীম খলীল (আ ) এর শ্রী সারাহ্ ভিন্ন
আর কেউ হাওয়ার সাথে অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ নয় ৷ ইবন মাসউদ (বা) বলেন, হযরত ইউসুফ
(আ)-এর চেহারায় ৰিদুর্টতের ন্যায় উজ্জ্বল দ্যুতি ছিল ৷ যখন কোন মহিলা কোন কাজে তার
কাছে আসত তখন তিনি নিজের চেহারা ঢেকে রাখতেন ৷ অন্যরা বলেছেন, লোকজন যাতে
চেহারা দেখতে না পড়ায়, সে জন্যে হযরত ইউসুফ (আ) বোরকা পরিহিত থাকতেন ৷ এ
কারণেই যখন আযীযের শ্রী ইউসুফ (আ)-এর প্রেমে আসত হয় এবং অন্যান্য মহিলা তার
রুপ-দর্শসে আৎগুল ফ্লুাটার নন্নুয় ঘটনা ঘটায় ও হড়ভম্ব হয়ে যায়, তখন আযীষের শ্রী
বলেছিল : ,<^ দ্বু আে fi;§ ৷র্চুটুর্দুগ্লু ৷ ১ৰু (এই হচ্ছে সেই ব্যক্তি যার জন্যে তোমরা আমাকে
তিরস্কার করছ ৷) অতঃপর মর্হিলাটি হযরত ইউসুফ (আ)-এর পুত-চরিত্র হওয়ার কথা স্বীকার
الْكِتَابِ فَالْإِعْرَاضُ عَنْهُ أَوْلَى بِنَا، وَالَّذِي يَجِبُ أَنْ يُعْتَقَدَ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى عَصَمَهُ وَبَرَّأَهُ وَنَزَّهَهُ عَنِ الْفَاحِشَةِ وَحَمَاهُ عَنْهَا وَصَانَهُ مِنْهَا؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {كَذَلِكَ لِنَصْرِفَ عَنْهُ السُّوءَ وَالْفَحْشَاءَ إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُخْلَصِينَ وَاسْتَبَقَا الْبَابَ} [يوسف: 24] . أَيْ هَرَبَ مِنْهَا طَالِبًا إِلَى الْبَابِ لِيَخْرُجَ مِنْهُ فِرَارًا مِنْهَا فَاتَّبَعَتْهُ فِي أَثَرِهِ: وَأَلْفَيَا: أَيْ وَجَدَا سَيِّدَهَا أَيْ زَوْجَهَا لَدَى الْبَابِ، فَبَادَرَتْهُ بِالْكَلَامِ وَحَرَّضَتْهُ عَلَيْهِ {قَالَتْ مَا جَزَاءُ مَنْ أَرَادَ بِأَهْلِكَ سُوءًا إِلَّا أَنْ يُسْجَنَ أَوْ عَذَابٌ أَلِيمٌ} [يوسف: 25] . اتَّهَمَتْهُ وَهِيَ الْمُتَّهَمَةُ وَبَرَّأَتْ عِرْضَهَا وَنَزَّهَتْ سَاحَتَهَا، فَلِهَذَا قَالَ يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: {هِيَ رَاوَدَتْنِي عَنْ نَفْسِي} [يوسف: 26] . احْتَاجَ إِلَى أَنْ يَقُولَ الْحَقَّ عِنْدَ الْحَاجَةِ. وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِنْ أَهْلِهَا قِيلَ: كَانَ صَغِيرًا فِي الْمَهْدِ قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ. وَرُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَهِلَالِ بْنِ يَسَافٍ، وَالْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، وَالضَّحَّاكِ، وَاخْتَارَهُ ابْنُ جَرِيرٍ. وَرَوَى فِيهِ حَدِيثًا مَرْفُوعًا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَوَقَفَهُ غَيْرُهُ عَنْهُ. وَقِيلَ: كَانَ رَجُلًا قَرِيبًا إِلَى أَطْفِيرَ بَعْلِهَا. وَقِيلَ: قَرِيبًا إِلَيْهَا. وَمِمَّنْ قَالَ إِنَّهُ كَانَ رَجُلًا ابْنُ عَبَّاسٍ، وَعِكْرِمَةُ، وَمُجَاهِدٌ، وَالْحَسَنُ، وَقَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَزَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ. فَقَالَ: {إِنْ كَانَ قَمِيصُهُ قُدَّ مِنْ قُبُلٍ فَصَدَقَتْ وَهُوَ مِنَ الْكَاذِبِينَ} [يوسف: 26] . أَيْ لِأَنَّهُ يَكُونُ قَدْ رَاوَدَهَا فَدَافَعَتْهُ حَتَّى قَدَّتْ مُقَدَّمَ قَمِيصِهِ: {وَإِنْ كَانَ قَمِيصُهُ قُدَّ مِنْ دُبُرٍ فَكَذَبَتْ وَهُوَ مِنَ الصَّادِقِينَ} [يوسف: 27] . أَيْ لِأَنَّهُ يَكُونُ قَدْ هَرَبَ مِنْهَا فَاتَّبَعَتْهُ، وَتَعَلَّقَتْ فِيهِ فَانْشَقَّ قَمِيصُهُ لِذَلِكَ، وَكَذَلِكَ كَانَ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {فَلَمَّا رَأَى قَمِيصَهُ قُدَّ مِنْ دُبُرٍ قَالَ إِنَّهُ مِنْ كَيْدِكُنَّ إِنَّ كَيْدَكُنَّ عَظِيمٌ} [يوسف: 28] .
পৃষ্ঠা - ৪৭২
করে (আমি তা থেকে অসৎকর্ম কামনা
করেছি কিন্তু সে নিজেকে পবিত্র ৫রখেছে অর্থাৎ রক্ষা করেছে) ৷ :
মোঃ (এ যদি আমার কথা না শুনে তবে তাকে কয়েদ
করা হবে এবং লাঞ্ছিত করা হবে) এ সময় অন্যান্য মহিলা ইউসুফ (আ) কে তার মনিব পত্নীর
প্রস্তাব মেনে নিতে উৎসাহ যোগায়; ৰিন্তু তিনি তা কঠােরভাৰে প্রত্যাখ্যান করেন ৷ কারণ, তার
দেহে নবুওতের ধমনী প্রবাহিত ছিল ৷ তিনি রাবৰুল আলামীনের কাছে প্রার্থনা করেন :
“
হে আমার রব৷ তারা আমাকে যে কাজের দিকে আহ্বান জানায় তার চাইতে কারাগারই
বরং আমার কাছে অধিক প্রিয় ৷ আপনি যদি ওদের ছলনা থেকে আমাকে রক্ষা না করেন, তবে
আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং তখন তো আমি অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ব ৷ ’
( ১২ : ৩৩)
অ;র্ষাৎ আপনি যদি আমার উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেন, তাহলে আমি অক্ষম দুর্বল ৷ নিজের
কল্যাণ-অকল্যাণ কােনটির উপরই আমার কোন হাত নেই আল্লাহ যা চান তইি হয় ৷ আমি
দুর্বল , তবে আপনি যতটুকু শক্তি-সামর্থ্য দেন এবং আপনার পক্ষ থেকে যতটুকু হিফাজত দান
করেন তইি আমি পেয়ে থাকি ৷ এ জনােই আল্লাহ বলেন ং
া১
আল্লাহ তার প্রার্থনা কবুল করলেন ৷ তার উপর থেকে মহিলাদের চক্রাম্ভ প্রতিহত করলেন ৷
নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ ৷ (১২ং ৩৪)
,,
া
ধ্ারুষ্
)
)
ৰুা৮গ্লুদ্বু,;,ৰুর্চাব্লু,শু
া
এেট্রং
ঢ
আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৫৮-
أَيْ هَذَا الَّذِي جَرَى مِنْ مَكْرِكُنَّ أَنْتِ رَاوَدْتِهِ عَنْ نَفْسِهِ، ثُمَّ اتَّهَمْتِهِ بِالْبَاطِلِ، ثُمَّ أَضْرَبَ بَعْلُهَا عَنْ هَذَا صَفْحًا. فَقَالَ: {يُوسُفُ أَعْرِضْ عَنْ هَذَا} [يوسف: 29] . أَيْ لَا تَذْكُرُهُ لِأَحَدٍ لِأَنَّ كِتْمَانَ مِثْلِ هَذِهِ الْأُمُورِ هُوَ الْأَلْيَقُ وَالْأَحْسَنُ، وَأَمَرَهَا بِالِاسْتِغْفَارِ لِذَنْبِهَا الَّذِي صَدَرَ مِنْهَا وَالتَّوْبَةِ إِلَى رَبِّهَا، فَإِنَّ الْعَبْدَ إِذَا تَابَ إِلَى اللَّهِ تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَأهْلُ مِصْرَ وَإِنْ كَانُوا يَعْبُدُونَ الْأَصْنَامَ إِلَّا أَنَّهُمْ يَعْلَمُونَ أَنَّ الَّذِي يَغْفِرُ الذُّنُوبَ، وَيُؤَاخِذُ بِهَا هُوَ اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ فِي ذَلِكَ؛ وَلِهَذَا قَالَ لَهَا بَعْلُهَا وَعَذَرَهَا مِنْ بَعْضِ الْوُجُوهِ؛ لِأَنَّهَا رَأَتْ مَا لَا صَبْرَ لَهَا عَلَى مِثْلِهِ إِلَّا أَنَّهُ عَفِيفٌ نَزِيهٌ بَرِئُ الْعِرْضِ سَلِيمُ النَّاحِيَةِ فَقَالَ: {وَاسْتَغْفِرِي لِذَنْبِكِ إِنَّكِ كُنْتِ مِنَ الْخَاطِئِينَ وَقَالَ نِسْوَةٌ فِي الْمَدِينَةِ امْرَأَةُ الْعَزِيزِ تُرَاوِدُ فَتَاهَا عَنْ نَفْسِهِ قَدْ شَغَفَهَا حُبًّا إِنَّا لَنَرَاهَا فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ فَلَمَّا سَمِعَتْ بِمَكْرِهِنَّ أَرْسَلَتْ إِلَيْهِنَّ وَأَعْتَدَتْ لَهُنَّ مُتَّكَأً وَآتَتْ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ سِكِّينًا وَقَالَتِ اخْرُجْ عَلَيْهِنَّ فَلَمَّا رَأَيْنَهُ أَكْبَرْنَهُ وَقَطَّعْنَ أَيْدِيَهُنَّ وَقُلْنَ حَاشَ لِلَّهِ مَا هَذَا بَشَرًا إِنْ هَذَا إِلَّا مَلَكٌ كَرِيمٌ قَالَتْ فَذَلِكُنَّ الَّذِي لُمْتُنَّنِي فِيهِ وَلَقَدْ رَاوَدْتُهُ عَنْ نَفْسِهِ فَاسْتَعْصَمَ وَلَئِنْ لَمْ يَفْعَلْ مَا آمُرُهُ لَيُسْجَنَنَّ وَلَيَكُونَنْ مِنَ الصَّاغِرِينَ قَالَ رَبِّ السِّجْنُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا يَدْعُونَنِي إِلَيْهِ وَإِلَّا تَصْرِفْ عَنِّي كَيْدَهُنَّ أَصْبُ إِلَيْهِنَّ وَأَكُنْ مِنَ الْجَاهِلِينَ فَاسْتَجَابَ لَهُ رَبُّهُ فَصَرَفَ عَنْهُ كَيْدَهُنَّ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [يوسف: 29]
[يُوسُفَ: 30 - 34] . يَذْكُرُ تَعَالَى مَا كَانَ مِنْ قِبَلِ نِسَاءِ الْمَدِينَةِ يَعْنِي مِصْرَ مِنْ نِسَاءِ الْأُمَرَاءِ وَبَنَاتِ الْكُبَرَاءِ فِي الطَّعْنِ عَلَى امْرَأَةِ الْعَزِيزِ وَعَيْبِهَا وَالتَّشْنِيعِ عَلَيْهَا فِي مُرَاوَدَتِهَا فَتَاهَا وَحُبِّهَا الشَّدِيدِ لَهُ، يَعْنِينَ:
পৃষ্ঠা - ৪৭৩
)র্দু,৷ র্মুণ্ষ্
’
নিদর্শনাবলী দেখার পর তাদের মনে হল যে, তাকে কিছুকালের জন্যে কারারুদ্ধ করতে
হবে ৷ তার সাথে দু’জন যুবক কারাগারে প্রবেশ করল ৷ ওদের একজন বলল, আমি স্বপ্নে
দেখলাম, আমি আৎগুর নিংড়িয়ে রস বের করছি এবং অপরজন বলল, আমি স্বপ্নে দেখলাম,
আমি আমার মাথার উপর রুটি বহন করছি এবং পাখি তা থেকে খাচ্ছে ৷ আমাদেরকে ব্মি এর
তাৎপর্য জানিয়ে দাও, আমরা তোমাকে সৎকর্মপরায়ণ দেখেছি ৷ ’
ইউসুফ বলল, তোমাদেরকে যে খাদ্য দেয়া হয় তা আমার পুর্বে আমি তোমাদেরকে স্বপ্নের
তাৎপর্য জানিয়ে দেব ৷ আমি যা তোমাদেরকে বলব তা আমার প্রতিপালক আমাকে যা শিক্ষা
দিয়েছেন, তা হতে বলব ৷ যে সম্প্রদায় আল্লাহে বিশ্বাস করে না ও পরলোকে অবিশ্বড়াসী আমি
তাদের মতবাদ বর্জন করেছি; আমি আমার পিতুপুরুষ ইব্রাহীম , ইসহাক এবং ইয়াকুবের
মতবাদ অনুসরণ করি ৷ আল্লাহর সাথে কোন বন্তুকে শরীক করা আমাদের কাজ নয় ৷ এটা
আমাদের ও সমস্ত মানুষের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ; কিত্তু অধিকাৎশ মানুষই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করে না ৷
হে কারাসঙ্গীরা ! ভিন্ন ভিন্ন বহু প্রতিপালক শ্রেয়, না পরাক্রমশালী এক আল্লাহ? তাকে
ছেড়ে তোমরা কেবল কতকগুলো নামের ইবাদত করছ, যে নাম তোমাদের পিতৃপুরুষ ও
তোমরা রেখেছ; এগুলোর কোন প্রমাণ আল্লাহ্ পাঠাননি ৷ বিধান দেবার অধিকার কেবল
আল্লাহ্র ৷ তিনি আদেশ দিয়েছেন অন্য কারও ইবাদত না করতে, কেবল তার ব্যতীত; এটাই
সরল দীন কিত্তু অধিকা ৷ৎশ মানুষ তা অবগত নয় ৷
হে কা ৷রাসঙ্গী দ্বয়! তোমাদের একজন সম্বন্ধে কথা এই যে, সে তার মনিবকে মদ্য পান
করাবে এবং অপরজন সম্বন্ধে কথা এই যে, সে শুলবিদ্ধ হবে; তারপর তার মাথা
থেকে পাখি আহার করবে ৷ যে বিষয়ে তোমরা জানতে চেয়েছ তার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে ! ( সুরা
ইউসুফ : ৩৫ : ১ )
আযীয ও তার শ্রী সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেছেন, ইউসুফের পবিত্রতা প্রকাশ পাওয়ার পর
কিছুদিনের জন্যে তাকে জেলে রাখা তাদের কাছে সংগত বলে মনে হল ৷ কারণ, এতে ঐ
ব্যাপারে লোকজনের চর্চা কমে যাবে এবং এটাও বোঝা যাবে যে, ইউসুফ (আ)-ই অপরাধী
যার কারণে তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে ৷ এভাবে অন্যায়ভাবে তাকে জেলখানায়
পাঠান হল ৷ অবশ্য ইউসুফ (আ) এর জন্যে আল্লাহ্ এটা ই নির্ধারণ করে রেখেছিলেন ৷ এর দ্বারা
আল্পাহ্ তাকে রক্ষা করলেন ৷ কেননা, জেলে থাকায় তিনি তাদের সংসর্গ ও সংম্পর্শ থেকে দুরে
থাকা র সুযোগ পা ন ৷
ইমাম শাফিঈর বর্ণনা মতে, সুফী সম্প্রদায়ের কেউ কেউ এ ঘটনা থেকে দলীল গ্রহণ করে
বলেছেন : না পাওয়াটাই এক প্রকার হিফাজত ৷
وَهُوَ لَا يُسَاوِي هَذَا لِأَنَّهُ مَوْلًى مِنَ الْمَوَالِي، وَلَيْسَ مِثْلُهُ أَهْلًا لِهَذَا؛ وَلِهَذَا قُلْنَ: {إِنَّا لَنَرَاهَا فِي ضَلَالٍ مُبِينٍ} [يوسف: 30] . أَيْ فِي وَضْعِهَا الشَّيْءَ فِي غَيْرِ مَحَلِّهِ {فَلَمَّا سَمِعَتْ بِمَكْرِهِنَّ} [يوسف: 31] . أَيْ بِتَشْنِيعِهِنَّ عَلَيْهَا وَالتَّنَقُّصِ لَهَا، وَالْإِشَارَةِ إِلَيْهَا بِالْعَيْبِ وَالْمَذَمَّةِ بِحُبِّ مَوْلَاهَا وَعِشْقِ فَتَاهَا فَأَظْهَرْنَ ذَمًّا، وَهِيَ مَعْذُورَةٌ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، فَلِهَذَا أَحَبَّتْ أَنْ تَبْسُطَ عُذْرَهَا عِنْدَهُنَّ وَتُبَيِّنَ أَنَّ هَذَا الْفَتَى لَيْسَ كَمَا حَسِبْنَ وَلَا مِنْ قَبِيلِ مَا لَدَيْهِنَّ، فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِنَّ فَجَمَعَتْهُنَّ فِي مَنْزِلِهَا، وَأَعْتَدَتْ لَهُنَّ ضِيَافَةَ مِثْلِهِنَّ، وَأَحْضَرَتْ فِي جُمْلَةِ ذَلِكَ شَيْئًا مِمَّا يُقْطَعُ بِالسَّكَاكِينِ كَالْأُتْرُجِّ وَنَحْوِهِ. {وَآتَتْ كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْهُنَّ سِكِّينًا} [يوسف: 31] ، وَكَانَتْ قَدْ هَيَّأَتْ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَأَلْبَسَتْهُ أَحْسَنَ الثِّيَابِ، وَهُوَ فِي غَايَةِ طَرَاوَةِ الشَّبَابِ، وَأَمَرَتْهُ بِالْخُرُوجِ عَلَيْهِنَّ بِهَذِهِ الْحَالَةِ فَخَرَجَ وَهُوَ أَحْسَنُ مِنَ الْبَدْرِ لَا مَحَالَةَ {فَلَمَّا رَأَيْنَهُ أَكْبَرْنَهُ} [يوسف: 31] . أَيْ أَعْظَمْنَهُ وَأَجْلَلْنَهُ وَهِبْنَهُ، وَمَا ظَنَنَّ أَنْ يَكُونَ مِثْلُ هَذَا فِي بَنِي آدَمَ وَبَهَرَهُنَّ حُسْنُهُ حَتَّى اشْتَغَلْنَ عَنْ أَنْفُسِهِنَّ، وَجَعَلْنَ يَحْزُزْنَ فِي أَيْدِيهِنَّ بِتِلْكَ السَّكَاكِينِ، وَلَا يَشْعُرْنَ بِالْجِرَاحِ {وَقُلْنَ حَاشَ لِلَّهِ مَا هَذَا بَشَرًا إِنْ هَذَا إِلَّا مَلَكٌ كَرِيمٌ} [يوسف: 31] .
وَقَدْ جَاءَ فِي حَدِيثِ الْإِسْرَاءِ «فَمَرَرْتُ بِيُوسُفَ، وَإِذَا هُوَ قَدْ أُعْطِيَ شَطْرَ الْحُسْنِ» . قَالَ السُّهَيْلِيُّ، وَغَيْرُهُ مِنَ الْأَئِمَّةِ: مَعْنَاهُ أَنَّهُ كَانَ عَلَى النِّصْفِ مِنْ حُسْنِ آدَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى خَلَقَ آدَمَ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيهِ مِنْ رُوحِهِ فَكَانَ فِي غَايَةِ نِهَايَاتِ الْحُسْنِ الْبَشَرِيِّ؛ وَلِهَذَا يَدْخُلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ عَلَى طُولِ آدَمَ وَحُسْنِهِ، وَيُوسُفُ كَانَ عَلَى النِّصْفِ مِنْ حُسْنِ آدَمَ وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَهُمَا أَحْسَنُ مِنْهُمَا، كَمَا أَنَّهُ لَمْ تَكُنْ أُنْثَى بَعْدَ حَوَّاءَ أَشَبْهَ بِهَا مِنْ سَارَةَ امْرَأَةِ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ.
قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: وَكَانَ وَجْهُ يُوسُفَ مِثْلَ الْبَرْقِ، وَكَانَ إِذَا أَتَتْهُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৪
আল্লাহর বাণী : ৰুএাহ্ষ্ এএ৷ ৷ ’ (াব্লুর্দু (তার সাথে আরও দুই যুবক
জেলখানায় প্রবেশ করল ৷ ) এদের মধ্যে একজন ছিল বাদশার দরবারের সাকী, তার নাম বানু
বলে কথিত আছে ৷ অপরজন বাদশার রুটি প্রন্তুতকারী অর্থাৎ খাদ্যের দায়ি হ্শীল-তুর্কী
ভাষায় যাকে বলে আলজাশেনর্কীর ৷ কথিত আছে তার নাম ছিল মাজলাছ ৷ বাদশাহ এ
দু’জনকে কোন এক ব্যাপারে অভিযুক্ত করে কারাগারে আবদ্ধ করেন ৷ জেলখানায় ইউসুফ
(আ)-এর আচার-আচরণ্,াভাবচরিত্র, সাধুতা, নীতি আদর্শ, ইবাদত বন্দেগী ও সৃষ্টির প্রতি
করুণ৷ দেখে তারা দুজনেই বিস্ময়ে অভিভু৩ ৩হয়ে যায় ৷ এ দৃই ক বাবন্দী যুবক৩ তাদের নিজ
নিজ অবস্থান অনুযায়ীাপ্ন দেখে ৷ মুফাসৃসিরগণ বলেছেন, ত ৷র৷ একই রাত্রে এাপ্ন দেখেছিল ৷
সাকী দেখে, পাকা আৎগুরে ভর্তি তিনটি গোছা, সেখান থেকে সে আৎগুর ছিড়ে রস নিংড়িয়ে
পেয়ালা ভরে বাদশাহ্কে পরিবেশন করছে ৷ অপর দিকে রুটি প্রন্তুতকারী দেখে, তার মাথার
উপর রুটি ভরা তিনটি ঝুড়ি রয়েছে ৷ আর পাখির৷ এসে উপরের ঝুডি থেকে রুটি ঠুকরিয়ে
খাচ্ছে ৷াপ্ন দেখার পর দুজনেই নিজ নিজাপ্নের বৃত্তান্ত ইউসুফ (আ) এর কাছে ব্যক্ত করে
তারা এর ব্যাখ্যা জানতে চাইল এবং বলল : স্পো ৷ এএ এ ৷ এ ৷র্দু ৷ (আমরা আপনাকে
সৎকর্মপরাযপ দেখছি ৷) ইউসুফ তা ৷দেরকে জানালেন যে,াপ্নের ব্যাখ্যা সম্পর্কে তিনি সম্যক
অবহিত ও অভিজ্ঞ ৷
১৷ র্চুার্চু
(ইউসুফ বলল, তোমরা প্রতাহ নিয়মিত যে খাদ্য খাও তা আমার পুর্বেই আমি
ণ্তামাদেরকে এর তাৎপর্য জানিয়ে দেব ৷) এ আঘাতের অর্থ কেউ এভাবে করেছেন যে, তোমরা
দুজনে যখনই কোনাপ্ন দেখবে, তা বাস্তবে পরিণত হবার পুবেই আমি তার ব্যাখ্যা বলে
দেব ৷ এবং যেভাবে আমি ব্যাখ্যা দেব সেভাবেই তা বাস্তবায়িত হবে ৷ আবার কেউ এর অর্থ
বলেছেন যে, তােমাদেরকে যে খাদ্য দেয়৷ হয় তা পরিবেশন হওয়ার আগেই আমি বলে দেব
কি খাদ্য আসছে, তা মিষ্টি না টক ৷
যেমন হযরত ঈস৷ (আ) বলেছিলেন
(আমি তােমাদেরকে বলে দেব কি খাদ্য তোমরা খেয়েছ এবং বাড়িতে কি রেখে এসেছ)
হযরত ইউসুফ (আ) তাদেরকে জানালেন যে, এ জ্ঞান আল্লাহ আমাকে দান করেছেন ৷ কেননা,
আমি তাকে এক আল্লাহ বলে বিশ্বাস করি ও আমার পুর্ব পুরুষ ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের
ধর্মাদর্শ অনুসরণ করি এ; ট্রুন্এ ধ্া৷ ৷ এ্যাএএ;’ ^এ৷ এে ট্রুএাদ্বুড্রুএ (আল্লাহর সাথে অন্য
কাউকে শবীক করা আমাদের কাজ নয়) ৷ এ (এটা আমাদের
উপর অ ৷ল্লাহ্র অনুগ্রহ) কেননা তিনিই আমাদেরকে এ পথ প্রদর্শন করেছেন ৷ এে ৷ :এএ-
(এবং মানুষের উপরও) কেননা, আল্লাহ্ আমাদেরকে আদেশ করেছেন, মানুষকে এদিকে
আহ্বান করার ৷ তাদেরকে সত্য পথে আনার চেষ্টা করার ও সত্য পথ প্রদর্শন করার ৷ আর এ
সত্য সৃষ্টিগতভাবে তাদের মধ্যে বিদ্যমান এবং তাদেরাভাবজাত ৷
امْرَأَةٌ لِحَاجَةٍ غَطَّى وَجْهَهُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ فِي الْغَالِبِ مُبَرْقَعًا لِئَلَّا يَرَاهُ النَّاسُ. وَلِهَذَا لَمَّا قَامَ عَذَرَ امْرَأَةَ الْعَزِيزِ فِي مَحَبَّتِهَا لِهَذَا الْمَعْنَى الْمَذْكُورِ، وَجَرَى لَهُنَّ وَعَلَيْهِنَّ مَا جَرَى مِنْ تَقْطِيعِ أَيْدِيهِنَّ بِجِرَاحِ السَّكَاكِينِ، وَمَا رَكِبَهُنَّ مِنَ الْمَهَابَةِ، وَالدَّهَشِ عِنْدَ رُؤْيَتِهِ، وَمُعَايَنَتِهِ قَالَتْ: {فَذَلِكُنَّ الَّذِي لُمْتُنَّنِي فِيهِ} [يوسف: 32] ثُمَّ مَدَحَتْهُ بِالْعِفَّةِ التَّامَّةِ فَقَالَتْ: {وَلَقَدْ رَاوَدْتُهُ عَنْ نَفْسِهِ فَاسْتَعْصَمَ} [يوسف: 32] . أَيِ امْتَنَعَ {وَلَئِنْ لَمْ يَفْعَلْ مَا آمُرُهُ لَيُسْجَنَنَّ وَلَيَكُونَنْ مِنَ الصَّاغِرِينَ} [يوسف: 32] . وَكَانَ بَقِيَّةُ النِّسَاءِ حَرَّضْنَهُ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لِسَيِّدَتِهِ فَأَبَى أَشَدَّ الْإِبَاءِ وَنَأَى لِأَنَّهُ مِنْ سُلَالَةِ الْأَنْبِيَاءِ، وَدَعَا فَقَالَ فِي دُعَائِهِ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ: {رَبِّ السِّجْنُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا يَدْعُونَنِي إِلَيْهِ وَإِلَّا تَصْرِفْ عَنِّي كَيْدَهُنَّ أَصْبُ إِلَيْهِنَّ وَأَكُنْ مِنَ الْجَاهِلِينَ} [يوسف: 33] . يَعْنِي: إِنْ وَكَلْتَنِي إِلَى نَفْسِي فَلَيْسَ لِي مِنْ نَفْسِي إِلَّا الْعَجْزُ وَالضَّعْفُ، وَلَا أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلَا ضَرًّا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ فَأَنَا ضَعِيفٌ إِلَّا مَا قَوَّيْتَنِي وَعَصَمْتَنِي وَحَفِظْتَنِي وَحُطْتَنِي بِحَوْلِكَ وَقُوَّتِكَ. وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {فَاسْتَجَابَ لَهُ رَبُّهُ فَصَرَفَ عَنْهُ كَيْدَهُنَّ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [يوسف: 34] .
পৃষ্ঠা - ৪৭৫
(কিন্তু অধিকাৎশ লোকই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না) ৷
এরপর হযরত ইউসুফ (আ) তাদেরকে আল্লাহ্র একত্বের প্রতি ঈমান আনার জন্যে তাদেরকে
দাওয়াত দেন, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারও ইবাদতের নিন্দা করেন ৷ মুর্তির অসারতা, অক্ষমতা
ও হেয় হওয়ার কথা উল্লেখ করেন ৷
;ট্টৰু ৷গ্লু;
— ৷ ন্ষুর্টু৷ ৷
হে আমার কারাসঙ্গী দ্বয় ! ভিন্ন ভিন্ন বহু প্রতিপালক প্রেয়, নাকি পরা ক্রমশ৷ ৷লী এক অ ৷ল্লাহ্?
তাকে ছেড়ে তোমরা কেবল কতকগুলাে নামের ইবাদত করছ-যে নামগুলো তোমরা ও
তোমাদের পিতৃ-পুরুষ রেরুখছ ৷ এ সম্পর্কে আল্লাহ্ কোন প্রমাণ নাজিল করেননি ৷ বিধান
দেবার অধিকার কেবল আল্পাহ্রই ৷
অর্থাৎ তিনি তার সৃষ্টিকুলের মধ্যে যেরুপ ইচ্ছা করেন ৫সৃরুপই বা ৷স্তবায়িত করেন ৷ যাকে
ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন ৷ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন ৷ ; ৷ ১’ ৷ ৷ ’ ষ্রুি’ :, §’ (তিনি
হুকুম করেছেন৪ তাকে ব্যতীত কারও ইবাদত কর না) তিনি এক, তার কোন শরীক নেই ৷
পছুদ্বুা শুৰু ৷
অধিকাৎশ লোকই তা অবগত নয় ৷)
অর্থাৎ সঠিক পথ তাদের সম্মুখে প্রকাশিত ও স্পষ্ট হওয়ার পরও তারা যে পথে চলতে পারে
না ৷ কারাপারের এ দৃই যুবককে এমন একটি পরিবেশে দাওয়াত দান হযরত ইউসুফ (আ) এর
পুর্ণ কৃতিত্বেরই পরিচায়ক ৷ কেননা, তাদের অস্তরে ইউসুফ (আ)-এর প্রভাব ও মহত্ত্ব আসন
গেড়ে বসেছিল ৷ যা তিনি বলবেন, তা গ্রহণ করার জন্যে তারা ৷ছিল উদ্গীব ৷ সুতরাং ত ৷র৷ যে
বিষয়ে জা নতে চেয়েছেত তার চেয়ে অধিক গুরুতুপুর্ণ ও অধিক কল্যাণকর বিষয়ের প্রতি আহ্বান
জানানােই তিনি সঙ্গত মনে করেছেন ৷ তার প্রতি আরোপিত সে গুরুদায়িতু পালনের পর তিনি
স্বপ্নের ব্যাখ্যা দান করে বন্সেনং :
(হে আমার জেলখানার সাথীরা তোমাদের স্বপ্নের ব্যাখ্যব্ হল তোমাদের দুজনের মধ্যে
একজন আপন মনিবকে মদ্য পান করাবে) সে লোকটি ছিল সাকী ৷
’
া, ;ব্লু,এ্যাহ্র ,;১া৷াপুার্চু
আর দ্বিতীয়জনবেছু শুলে চড়ান হবে, এবং পাখিরাতার মাথা থেকে আহার করবে ৷ সে
ব্যক্তিটি ছিল রুটি প্রন্তুতকা ৷রী ৷ (যে বিষয়ে তোমরা
জানতে চেয়েছিলে তার সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে) অর্থাৎ যা বলে দেয়৷ হল তা অবশন্তোবীরুপে
কার্যকর হবে এবং যেভাবে বলা হল সেভাবেই হবে ৷ এ জন্যে হাদীসে এসেছে, স্বপ্নের ব্যাখ্যা
যতক্ষণ করা না হবে ততক্ষণ তা ঝুলম্ভ থাকে ৷ যখন ব্যাখ্যা করা হয় তখন তা বাস্তবায়িত হয় ৷
{ثُمَّ بَدَا لَهُمْ مِنْ بَعْدِ مَا رَأَوُا الْآيَاتِ لَيَسْجُنُنَّهُ حَتَّى حِينٍ وَدَخَلَ مَعَهُ السِّجْنَ فَتَيَانِ قَالَ أَحَدُهُمَا إِنِّي أَرَانِي أَعْصِرُ خَمْرًا وَقَالَ الْآخَرُ إِنِّي أَرَانِي أَحْمِلُ فَوْقَ رَأْسِي خُبْزًا تَأْكُلُ الطَّيْرُ مِنْهُ نَبِّئْنَا بِتَأْوِيلِهِ إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ قَالَ لَا يَأْتِيكُمَا طَعَامٌ تُرْزَقَانِهِ إِلَّا نَبَّأْتُكُمَا بِتَأْوِيلِهِ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَكُمَا ذَلِكُمَا مِمَّا عَلَّمَنِي رَبِّي إِنِّي تَرَكْتُ مِلَّةَ قَوْمٍ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَهُمْ بِالْآخِرَةِ هُمْ كَافِرُونَ وَاتَّبَعْتُ مِلَّةَ آبَائِي إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ مَا كَانَ لَنَا أَنْ نُشْرِكَ بِاللَّهِ مِنْ شَيْءٍ ذَلِكَ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ عَلَيْنَا وَعَلَى النَّاسِ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ يَاصَاحِبَيِ السِّجْنِ أَأَرْبَابٌ مُتَفَرِّقُونَ خَيْرٌ أَمِ اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ مَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِهِ إِلَّا أَسْمَاءً سَمَّيْتُمُوهَا أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ بِهَا مِنْ سُلْطَانٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ أَمَرَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ يَاصَاحِبَيِ السِّجْنِ أَمَّا أَحَدُكُمَا فَيَسْقِي رَبَّهُ خَمْرًا وَأَمَّا الْآخَرُ فَيُصْلَبُ فَتَأْكُلُ الطَّيْرُ مِنْ رَأْسِهِ قُضِيَ الْأَمْرُ الَّذِي فِيهِ تَسْتَفْتِيَانِ} [يوسف: 35]
[يُوسُفَ: 35 - 41] .
পৃষ্ঠা - ৪৭৬
ইবন মাসউদ, মুজাহিদ ও আবদুর রহমান ইবন যায়দ ইবন আসলাম (না) থেকে
বর্ণিত৪ কয়েদী দু’জন স্বপ্নের কথা বলার পরেও ইউসুফ (আ) এর ব্যাখ্যা দানের পরে
বম্মেছিল, আসলে আমরা কোন স্বপ্নই দেখি নাই ৷ তখন হযরত ইউসুফ (আ) বলেছিলেন
(যে বিষয়ে তোমরা জিজ্ঞাসা করেছ সে বিষয়ের
ফয়সালা চুড়ান্ত হয়ে গেছে ৷)
(যে ব্যক্তি সম্পর্কে ইউসুফের ধারণা ছিল যে, যে মুক্তি পাবে ৷ তাকে সে বলে দিল :
তোমার প্রভুর কাছে আমার কথা বলবে ৷ কিন্তু শয়তান তাকে প্রভুর কাছে তার বিষয় বলার
কথা র্তৃণিয়ে দিল ৷ ফলে ইউসুফ কয়েক বছর কারাগারে রইল ৷ (১২ ৪২)
আল্লাহ জানান যে, যে ব্যক্তির প্রতি ইউসুফ (আ) এর ধারণা হয়েহ্নিৰু যে, সে মুক্তিলাভ
করবে যে ব্যক্তি ছিল সাকী এ’ ’ ’ “ ^টুহুা৷ (তোমার মনিবের নিকট আমার কথা
বলবে ৷ )
অর্থাৎ আমি যে বিনা অপরাধে জেলখানায় আছি এ বিষয়ে বাদশাহর কাছে আলোচনা
করিও ৷ এ থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করা বৈধ এবং তা আল্লাহর
উপর তাওয়াক্কুলের পরিপহী নয় ৷
আল্লাহ
(শয়তান তাকে তার প্রভুর নিকট তার কথা বলার বিষয় ভুলিয়ে দিল) অর্থাৎ যে মুক্তি
লাভ করল তাকে ইউসুফ যে অনুরোধ করেছিলেন তা বাদশাহর কাছে আলোচনা করতে
শয়তান তাকে ভুশিয়ে দিল ৷ মুজাহিদ, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক প্রমুখ আলিম এ কথাই বলেহ্নেষ্ক ৷
এটাই সঠিক এবং এটাই আহলি কিতাবগণের বক্তব্য ৷
(ফলে ইউসুফ কয়েক বছর কারাগারে রইল) ব্লু;ৰু শব্দটি তিন থেকে নয় পর্যন্ত সংখ্যার
জন্যে ব্যবহৃত হয়; কারও মতে সাত পর্যন্ত, কারও মতে পাচ পর্যন্ত ৷ কারও মতে দশের নিচে
যে কোন সংখ্যার জন্যে এর ব্যবহার হয় ৷ ছালাৰী এসব মতামত বর্ণনা করেছেন ৷ বলা হয়ে
থাকে ব্যাকরণবিদ ফাররার মতে, দশের নিচের স খ্যার
জন্যে গ্লুন্ এর ব্যবহার বৈধ নয় বরং তার জন্যে ণ্ শব্দ ব্যবহার করা হয় ৷
আল্লাহ সে কারাগারে কয়েক বছর রইল
অৰুল্লক্ষুহৱ বত্ত্বণী : দ্বুর্টুপ্ড্রধ্পু ৷এ্যা ১১ৰুর্চুণ্ ::এ৷ এ ঘে(৩০ : ৪ )
يَذْكُرُ تَعَالَى عَنِ الْعَزِيزِ وَامْرَأَتِهِ أَنَّهُمْ بَدَا لَهُمْ أَيْ ظَهَرَ لَهُمْ مِنَ الرَّأْيِ بَعْدَ مَا عَلِمُوا بَرَاءَةَ يُوسُفَ أَنْ يَسْجُنُوهُ إِلَى وَقْتٍ لِيَكُونَ ذَلِكَ أَقَلَّ لِكَلَامِ النَّاسِ فِي تِلْكَ الْقَضِيَّةِ، وَأَخْمَدَ لِأَمْرِهَا وَلِيُظْهِرُوا أَنَّهُ رَاوَدَهَا عَنْ نَفْسِهَا فَسُجِنَ بِسَبَبِهَا، فَسَجَنُوهُ ظُلْمًا وَعُدْوَانًا، وَكَانَ هَذَا مِمَّا قَدَّرَ اللَّهُ لَهُ، وَمِنْ جُمْلَةِ مَا عَصَمَهُ بِهِ فَإِنَّهُ أَبْعَدُ لَهُ عَنْ مُعَاشَرَتِهِمْ وَمُخَالَطَتِهِمْ، وَمِنْ هَاهُنَا اسْتَنْبَطَ بَعْضُ الصُّوفِيَّةِ مَا حَكَاهُ عَنْهُمُ الشَّافِعِيُّ أَنَّ مِنَ الْعِصْمَةِ أَنْ لَا تَجِدَ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَدَخَلَ مَعَهُ السِّجْنَ فَتَيَانِ} [يوسف: 36] . قِيلَ: كَانَ أَحَدُهُمَا سَاقِيَ الْمَلِكِ، وَاسْمُهُ فِيمَا قِيلَ: بَنُو. وَالْآخَرُ خَبَّازَهُ يَعْنِي الَّذِي يَلِي طَعَامَهُ، وَهُوَ الَّذِي يَقُولُ لَهُ التُّرْكُ: الْجَاشَنْكِيرُ، وَاسْمُهُ فِيمَا قِيلَ: مَجْلَثُ. كَانَ الْمَلِكُ قَدِ اتَّهَمَهُمَا فِي بَعْضِ الْأُمُورِ فَسَجَنَهُمَا، فَلَمَّا رَأَيَا يُوسُفَ فِي السِّجْنِ أَعْجَبَهُمَا سَمْتُهُ وَهَدْيُهُ وَدَلُّهُ وَطَرِيقَتُهُ وَقَوْلُهُ وَفِعْلُهُ وَكَثْرَةُ عِبَادَتِهِ رَبَّهُ وَإِحْسَانُهُ إِلَى خَلْقِهِ، فَرَأَى كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا رُؤْيَا تُنَاسِبُهُ قَالَ أَهْلُ التَّفْسِيرِ: رَأَيَا فِي لَيْلَةٍ وَاحِدَةٍ أَمَّا السَّاقِي فَرَأَى كَأَنَّ ثَلَاثَ قُضْبَانٍ مِنْ حَبْلَةٍ قَدْ أَوْرَقَتْ وَأَيْنَعَتْ عَنَاقِيدُ الْعِنَبِ فَأَخَذَهَا فَاعْتَصَرَهَا فِي كَأْسِ الْمَلِكِ وَسَقَاهُ، وَرَأَى الْخَبَّازُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৭
উক্ত দু’খানা আয়াত দ্বারা ফাবরার মতামত রদ হয়ে যায় ৷ ফাররার মতে ৰু;;;-এব
ব্যবহার হবে এভাবে যথা ;; পর্যন্ত ৷ কিন্তু
এর
উত্তর্ধ্বর ক্ষেত্রে
এে)প্;গ্লু এে৷ ব্লু, প্রুপ্;প্রু বলা যাবে না ৷ জওহারীর এ মতও সঠিক নয় ৷ কেননা
হাদীসে এসেছে :
া
ঈমানের ষাটের উপরে, ভিন্ন ব্লেওয়ায়তে সত্তরের উপরে শাখা আছে; তন্মধ্যে সর্ব উপরের
শাখা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা এবং সর্বনিম্নের শাখা পথের উপর থেকে কষ্টদায়ক জিনিস
সরিয়ে দেওয়া ৷ (সহীহ্ বুখারী) কেউ কেউ বলেছেনরু; ’ ১ গ্লুৰুশ্রোট্রা৷া;;ট্রুাব্র এর
প্রু (সর্বনাম্) ইউসুফ নির্দেশ করেছে ৷ কিন্তু তাদের এ মত অত্যন্ত দুর্বল ৷ যদিও এ মত
ইবন আব্বাস (রা) ও ইকরিমার বলে বর্ণনা করা হউক না কেন ৷ ইবন জ বীর এ প্রসঙ্গে যে
হাদীসের উল্লেখ করেছেন তা সম্পুর্ণরুপে দুর্বল ও অগ্রহণযােগ্য ৷ ইব্রাহীম ইবন ইয়াযীদ
আল-খাওযী আল-মাক্কী (র) এ হাদীসের সনদে একক বর্ণনাকারী ৷ অথচ তার বর্ণনা
অপ্ৰহণযােগ্য ৷ অপর দিকে হাসান-ও কাতাদা (র)-এর মুরসাল বর্ণনা গ্রহণভৈযাগ্য নয় ৷ আর এ
২স্থুলে তো তা আরও বেশি অ্যাহণযােপ্য ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
সহীহ ইবন হিব্বানে হযরত ৩ইউসুফ (আ) এর কারাগারে অধিককাল পর্যন্ত আবদ্ধ থাক ৷র
কারণ সম্পর্কে এক হাদীস বর্ণিত ৩হয়েছে ৷ হাদীসটি আবুহুরায়রা (বা) থেকে বর্ণিত ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) বলেছেনং আল্লাহ ইউসুফের প্রতি রহম করুন, তিনি যদি এ; ,$¢ ৷
“তোমার প্রভুর কাছে আমার কথা বলবে” কথাটি না বলতেন, তবে তাকে অতদিন কারাগারে
থাকতে হত না ৷ আল্লাহ তা জানা হযরত লুত (আ) এর প্ৰতিও রহম করুন; কারণ তিনি তব
কওমকে বলেছিলেন--তােযাদের মুক৷ ৷বিলায় আমার যদি আত্তৰুশক্তি যাকত ফিট্রুব৷ ৷কােন শক্ত
অবলম্বনের আশ্রয় পেতাম ৷ ৷ট্রুা) এরপর
আল্লাহ যত নবী প্রেরণ করেছেন তাদেরকে বিপুল সং খ্যক লোক বিশিষ্ট গোত্রেই প্রেরণ
করেছেন ৷
বিন্তু এ হাদীস এই সনদে ঘুনকার ৷ তাছাড় ৷মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন অ ৷লকামা সমালোচিত
রাবী ৷ তার বেশ কিছু একক বর্ণনায় বিভিন্ন রকম দৃর্বলতা রয়েছে ৷ বিশেষত এ শব্দগুলো
একান্তই মুনৃক৷ র ৷ ইমাম বুখারী ও মুসলিমের হাদীসও উক্ত হাদীসকে ভ্যুণ প্রতিপন্ন করে ৷
, , ,?
عَلَى رَأْسِهِ ثَلَاثَ سِلَالٍ مِنْ خُبْزٍ، وَضَوَارِي الطُّيُورِ تَأْكُلُ مِنَ السَّلِّ الْأَعْلَى. فَقَصَّاهَا عَلَيْهِ، وَطَلَبَا مِنْهُ أَنْ يَعْبُرَهُمَا لَهُمَا، وَقَالَا: {إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ} [يوسف: 36] . فَأَخْبَرَهُمَا أَنَّهُ عَلِيمٌ بِتَعْبِيرِهِمَا خَبِيرٌ بِأَمْرِهِمَا. وَ {قَالَ لَا يَأْتِيكُمَا طَعَامٌ تُرْزَقَانِهِ إِلَّا نَبَّأْتُكُمَا بِتَأْوِيلِهِ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَكُمَا} [يوسف: 37] . قِيلَ: مَعْنَاهُ مَهْمَا رَأَيْتُمَا مِنْ حُلْمٍ فَإِنِّي أَعْبُرُهُ لَكُمَا قَبْلَ وُقُوعِهِ، فَيَكُونُ كَمَا أَقُولُ. وَقِيلَ: مَعْنَاهُ إِنِّي أُخْبِرُكُمَا بِمَا يَأْتِيكُمَا مِنَ الطَّعَامِ قَبْلَ مَجِيئِهِ حُلْوًا أَوْ حَامِضًا. كَمَا قَالَ عِيسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ: {وَأُنَبِّئُكُمْ بِمَا تَأْكُلُونَ وَمَا تَدَّخِرُونَ فِي بُيُوتِكُمْ} [آل عمران: 49] . وَقَالَ لَهُمَا إِنَّ هَذَا مِنْ تَعْلِيمِ اللَّهِ إِيَّايَ لِأَنِّي مُؤْمِنٌ بِهِ مُوَحِّدٌ لَهُ مُتَّبِعٌ مِلَّةَ آبَائِي الْكِرَامِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ {مَا كَانَ لَنَا أَنْ نُشْرِكَ بِاللَّهِ مِنْ شَيْءٍ ذَلِكَ مِنْ فَضْلِ اللَّهِ عَلَيْنَا} [يوسف: 38] . أَيْ بِأَنْ هَدَانَا لِهَذَا {وَعَلَى النَّاسِ} [يوسف: 38] أَيْ بِأَنْ أَمَرَنَا أَنْ نَدْعُوَهُمْ إِلَيْهِ وَنُرْشِدَهُمْ وَنَدُلَّهُمْ عَلَيْهِ، وَهُوَ فِي فِطَرِهِمْ مَرْكُوزٌ، وَفِي جِبِلَّتِهِمْ مَغْرُوزٌ {وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ} [يوسف: 38] .
ثُمَّ دَعَاهُمْ إِلَى التَّوْحِيدِ، وَذَمَّ عِبَادَةَ مَا سِوَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَصَغَّرَ أَمْرَ الْأَصْنَامِ وَحَقَّرَهَا وَضَعَّفَ أَمْرَهَا. فَقَالَ: {يَاصَاحِبَيِ السِّجْنِ أَأَرْبَابٌ مُتَفَرِّقُونَ خَيْرٌ أَمِ اللَّهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ مَا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِهِ إِلَّا أَسْمَاءً سَمَّيْتُمُوهَا أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ بِهَا مِنْ سُلْطَانٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ} [يوسف: 39] . أَيْ هُوَ الْمُتَصَرِّفُ فِي خَلْقِهِ الْفَعَّالُ لِمَا يُرِيدُ الَّذِي يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ، وَيُضِلُّ مَنْ يَشَاءُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৮
ণ্া
এে
এসৌং
রাজা বলল, আমিাপ্নে দেখলাম, সাতটি স্থুলকায় গাভী ওদেরকে সাও টি শীর্ণকায় গাভী
ভক্ষণ করছে এবং দেখলাম সাতটি সবুজ শীষ ও অপর সাতটি শুষ্ক ৷ হে প্রধানগণ ৷ যদি তোমরা
াপ্নের ব্যাখ্যা করতে পার তবে আমারাপ্ন সম্বন্ধে অতিঃাত দাও ৷ ’ ওরা বলল, এটা অর্থহীন
াপ্ন এবং আমরা এরুপাপ্ন-ব্যাথ্যায় অভিজ্ঞ নই ৷ ’ দুজন ক রাবন্দীর মধ্যে যে মুক্তি পেয়েছিল
এবং দীর্ঘকাল পরে যার স্মরণ হল, যে বলল, আামি এর তাৎপর্য তােমাদেরকে জানিয়ে দেব ৷
সুতরাং তোমরা আমাকে পাঠাও ৷ সে বলল, হে ইউসুফ! হে সতাবাদী! সাতটি স্থুলকায় গাভী,
তাদেরকে সাতটি শীর্ণকায় গাভী ভক্ষণ করছে এবং সাতটি সবুজ শীষ ও অপর সাতটি শুষ্ক শীষ
সম্বন্ধে তুমি আমাদেরকে ব্যাখ্যা দাও ৷ যাতে আমি তাদের কাছে ফিরে যেতে পারি ও যাতে
তারা অবগত হতে পারে ৷ ইউসুফ বলল, তােমরা সাত বছর একাদিক্রমে চাষ করবে ৷ তারপর
তোমরা যে শস্য সংগ্রহ করবে তার মধ্যে যে সামান্য পরিমাণ তোমরা ভক্ষণ করবে, তা ব্যতীত
সমস্ত শীষ সমেত রেখে দিবে, এবং এরপর আসবে সাতটি কঠিন বছর, এ সাত বছর যা পুর্বে
সঞ্চয় করে রাখবে লোকে তা খাবে, কেবল সামান্য কিছু যা তোমরা সংরক্ষণ করবে তা
ব্যতীত ৷ এবং এরপর আসবে এক বছর, সে বছর মানুষের জন্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে এবং সে
বছর মানুষ প্রচুর ফলের রস নিংড়াবে ৷ (১২ : ৪৩-৪ ৯)
এখানে হযরত ইউসুফ (আ)-এর কারাগার থেকে সসম্মানে বের হওয়ার কারণ বর্ণনা করা
হয়েছে ৷ তা এভাবে যে, মিসরের বাদশাহ রায়্যান ইবন নুহ উপরোক্তাপ্নটি দেখেন ৷ তার বংশ
লতিকা হচ্ছে : রায়্যান ইবনুল ওলীদ ইবন ছারওয়ান ইবন আরাশাহ ইবন ফারান ইবন আমর
ইবন আমলাক ইবন লাউয ইবন সাম ৷ আহলি কিতাবগণ বলেনং বাদশাহাপ্নে দেখেন যে,
তিনি এক নদীর তীরে দাড়িয়ে আছেন ৷ হঠাৎ সেখান থেকে সাতটি মাোটা৩ জো পাভী উঠে এসে
নদী তীরের সবুজ বাপিচায় চরতে শুরু করে ৷ অতঃপর ঐ নদী থেকে আরও সাত টি দুর্বল ও
শীর্ণকায় পাভী উঠে এসে পুর্বের গাভীদের সাথে চরতে থাকে ৷ এরপর এ দুর্বল গাভীগুলো
মােটাতাজা গাভীদের কাছে গিয়ে সেগুলোকে খেয়ে ফেলে ৷ এ সময় তার বাদশাহর ঘুম ভেঙে
যায় ৷ কিছুক্ষণ পর বাদশাহ পুনরায় ঘুমিয়ে পড়েন ৷ এবার আবারাপ্নে দেখেন একটি ধান
গাছে সাতটি সবুজ শীষ ৷ আর অপর দিকে আছে সাত টি শুকনো ও শীর্ণ শীষ ৷ শুকনো
শীষগুলো সবুজ সতেজ শীষগুলোকে খেয়ে ফেলছে ৷ বাদশাহ এবারও ভয়ে ভীত হয়ে ঘুম
{أَمَرَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ} [يوسف: 40] . أَيْ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ {ذَلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ} [يوسف: 40] أَيِ الْمُسْتَقِيمُ وَالصِّرَاطُ الْقَوِيمُ {وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ} [يوسف: 40] . أَيْ فَهُمْ لَا يَهْتَدُونَ إِلَيْهِ مَعَ وُضُوحِهِ وَظُهُورِهِ، وَكَانَتْ دَعْوَتُهُ لَهُمَا فِي هَذِهِ الْحَالِ فِي غَايَةِ الْكَمَالِ؛ لِأَنَّ نُفُوسَهُمَا مُعَظِّمَةٌ لَهُ مُنْبَعِثَةٌ عَلَى تَلَقِّي مَا يَقُولُ بِالْقَبُولِ فَنَاسَبَ أَنْ يَدْعُوَهُمَا إِلَى مَا هُوَ الْأَنْفَعُ لَهُمَا مِمَّا سَأَلَا عَنْهُ وَطَلَبَا مِنْهُ، ثُمَّ لَمَّا قَامَ بِمَا وَجَبَ عَلَيْهِ وَأَرْشَدَ إِلَى مَا أَرْشَدَ إِلَيْهِ قَالَ: {يَا صَاحِبَيِ السِّجْنِ أَمَّا أَحَدُكُمَا فَيَسْقِي رَبَّهُ خَمْرًا} [يوسف: 41] . قَالُوا: وَهُوَ السَّاقِي {وَأَمَّا الْآخَرُ فَيُصْلَبُ فَتَأْكُلُ الطَّيْرُ مِنْ رَأْسِهِ} [يوسف: 41] . قَالُوا: وَهُوَ الْخَبَّازُ {قُضِيَ الْأَمْرُ الَّذِي فِيهِ تَسْتَفْتِيَانِ} [يوسف: 41] . أَيْ وَقَعَ هَذَا لَا مَحَالَةَ وَوَجَبَ كَوْنُهُ عَلَى كُلِّ حَالَةٍ؛ وَلِهَذَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ «الرُّؤْيَا عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ تُعَبَّرْ فَإِذَا عُبِّرَتْ وَقَعَتْ» .
وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، وَمُجَاهِدٍ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّهُمَا قَالَا: لَمْ نَرَ شَيْئًا. فَقَالَ لَهُمَا: {قُضِيَ الْأَمْرُ الَّذِي فِيهِ تَسْتَفْتِيَانِ} [يوسف: 41] . {وَقَالَ لِلَّذِي ظَنَّ أَنَّهُ نَاجٍ مِنْهُمَا اذْكُرْنِي عِنْدَ رَبِّكَ فَأَنْسَاهُ الشَّيْطَانُ ذِكْرَ رَبِّهِ فَلَبِثَ فِي السِّجْنِ بِضْعَ سِنِينَ} [يوسف: 42] . [يُوسُفَ: 42] يُخْبِرُ تَعَالَى أَنَّ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ لِلَّذِي ظَنَّ أَنَّهُ نَاجٍ مِنْهُمَا وَهُوَ السَّاقِي: {اذْكُرْنِي عِنْدَ رَبِّكَ} [يوسف: 42] . يَعْنِي اذْكُرْ أَمْرِي، وَمَا أَنَا فِيهِ مِنَ السَّجْنِ بِغَيْرِ جُرْمٍ عِنْدَ الْمَلِكِ، وَفِي هَذَا دَلِيلٌ عَلَى جَوَازِ السَّعْيِ فِي الْأَسْبَابِ، وَلَا يُنَافِي ذَلِكَ التَّوَكُّلَ عَلَى رَبِّ الْأَرْبَابِ. وَقَوْلُهُ: {فَأَنْسَاهُ الشَّيْطَانُ ذِكْرَ رَبِّهِ} [يوسف: 42] . أَيْ فَأَنْسَى النَّاجِيَ مِنْهُمَا الشَّيْطَانُ
পৃষ্ঠা - ৪৭৯
থেকে জেগে উঠেন ৷ পরে বাদশাহ পারিষদ ও সভাসদবর্ণের কাছোপ্নের বর্ণনা দিয়ে এর
ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করলেন ৷ বিন্তু তারা কেউইাপ্নের ব্যাখ্যার পারদর্শী ছিল না ৷ বরং ৷ ,fi (;
প্১া১া ন্ £: ৷ৰু(তারা বলল, এটা তো অর্থহীনাপ্ন) অর্থাৎ এটা হয়ত রাত্রিকালেরাপ্ন
বিভ্রাট ৷ এর কোন ব্যাখ্যা নেই ৷ এছাড়াপ্নের ব্যাখ্যা দানে আমরা পারদর্শীও নই ৷ তাই তারা
াৰুৰুঠু (আর আমরাপ্নের ব্যাখ্যা দড়ানে অভিজ্ঞ
নই ৷) এ সময় সেই কয়েদিটির ইউসুফ (আ) এর কথা স্মরণে পড়ল যে কারাগার থেকে মুক্তি
লাভ করেছিল এবং যাকে হযরত ইউসুফ (আ) অনুরোধ করেছিলেন তার মনিবের নিকট
ইউসুফ (আ)-এর কথা আলোচনা করতে ৷ কিন্তু এতদিন পর্যন্ত যে ঐ কথা তুলে রয়েছিল ৷
মুলত এটা ছিল আল্লাহ নির্ধারিত তকদীর এবং এর মধ্যে আল্লাহর নিশুঢ় রহস্য নিহিত ছিল ৷ ঐ
মুক্ত কয়েদী যখন বড়াদশাহরাপ্নের কথা শুনল ও এর ব্যাখ্যা প্রদানে সকলের অক্ষমত৷ (দখল,
তখন ইউসুফ (আ) এর কথা ও তার অনুরোধের কথা স্মরণ পড়ল ৷ আল্লাহ তাই বলেছেন :
প্লুপু৷ র্দ্রব্লুৰু $§(§ ৷ব্লুক্ট্রহুৰু ৷ব্ল ধ্ ণ্ন্ার্দু৷ ৷ঢএ (দু জন কারাবন্দীর মধ্য থেকে যে ব্যক্তি মুক্তি
লাভ করেছিল এবং দীর্ঘকা ৷ল পরে যার স্মরণ হয়েছিল, সে বলল ) রুৰু“ ৷া ’ ’ অর্থ প্রচুর সময়ের
পর অর্থাৎ কয়েক বছর পর ৷ ইবন আব্বাস (রা) ইকরিমা (রা) ও দাহ্হাক (র) এর কিরাআত
অনুযায়ী (দ্বু; :৷ ভুলে যাওয়ার পর স্মরণ হল,
মুজাহিদের হুপ্ ৷ ; মীমের উপর সাকিন; এর অর্থও ভুলে যাওয়া ((ৰুাপ্রু )এ ৷ )
অর্থ লোকটি ভুলে গেছে ৷ করি বলেছেন :
া
অর্থাৎ আমি ইদানীৎ অনেক কথা ভুলে যাই ৷ অথচ ভুলে যাওয়ার দোষ আমার মধ্যে
ছিল না ৷ এভাবেই যুগের বিবর্তন জ্ঞানকে ঠকলৎকিত করে দেয় ৷’ পারিষদবর্গ ও বাদশাহকে
উদ্দেশ করে সে বলল, ৷ (আমি আপনাদেরকে এাপ্নের
তাৎপর্য জানাতে পারব ৷ সুতরাৎ আমাকে প ঠিযে দিন) অর্থাৎ ইউসুফ (আ) এর কাছে ৷
তারপর ইউসুফ (আ) এর কাছেষ্ গিয়ে সে বলল০
০
হে ইউসুফ ৷ হে সত্যবাদী৷ সাতটি মােটড়াতাজা গাভী, তাদেরকে সাতটি শীর্ণকায় পাভী
ভক্ষণ করছে এবং সাতটি সবুজ শীষকে অপর সাতটি শুষ্ক শীষ খেয়ে ফেলছে এাপ্নের
আপনি ব্যাখ্যা বলে দিন ৷ যাতে আমি লোকদের কাছে ফিরে গিয়ে বলতে পারি এবং তারাও
জানতে পারে ৷ ’ (১২ : ৪৬)
আহলি কিতাবদের মতে, বাদশাহর কাছে সাকী ইউসুফ (আ)-এর আলোচনা করে ৷
বাদশাহ ইউসুফ (আ)-কে দরবারে ডেকে এনোপ্নের বৃত্তান্ত তাকে জানান এবং ইউসুফ (আ)
তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে শুনান ৷ এটা ভুল ৷ আহলি কিতাবদের পণ্ডিত ও রাব্বানীদের মনগড়া
أَنْ يَذْكُرَ مَا وَصَّاهُ بِهِ يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَهُ مُجَاهِدٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَهُوَ الصَّوَابُ، وَهُوَ مَنْصُوصُ أَهْلِ الْكِتَابِ {فَلَبِثَ فِي السِّجْنِ بِضْعَ سِنِينَ} [يوسف: 42] . وَالْبِضْعُ: مَا بَيْنَ الثَّلَاثِ إِلَى التِّسْعِ. وَقِيلَ: إِلَى السَّبْعِ. وَقِيلَ: إِلَى الْخَمْسِ. وَقِيلَ: مَا دُونَ الْعَشَرَةِ. حَكَاهَا الثَّعْلَبِيُّ. وَيُقَالُ: بِضْعُ نِسْوَةٍ، وَبِضْعَةُ رِجَالٍ وَمَنَعَ الْفَرَّاءُ اسْتِعْمَالَ الْبِضْعِ فِيمَا دُونَ الْعَشْرِ. قَالَ: وَإِنَّمَا يُقَالُ: نَيِّفٌ. وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَبِثَ فِي السِّجْنِ بِضْعَ سِنِينَ} [يوسف: 42] . وَقَالَ تَعَالَى: {فِي بِضْعِ سِنِينَ} [الروم: 4] . وَهَذَا رَدٌّ لِقَوْلِهِ قَالَ الْفَرَّاءُ: وَيُقَالُ: بِضْعَةَ عَشَرَ، وَبِضْعَةٌ وَعِشْرُونَ. إِلَى التِّسْعِينَ، وَلَا يُقَالُ: بِضْعٌ وَمِائَةٌ، وَبِضْعٌ وَأَلْفٌ. وَخَالَفَ الْجَوْهَرِيُّ فِيمَا زَادَ عَلَى بِضْعَةَ عَشَرَ، فَمَنَعَ أَنْ يُقَالَ: بِضْعَةٌ وَعِشْرُونَ. إِلَى تِسْعِينَ، وَفِي الصَّحِيحِ «الْإِيمَانُ بِضْعٌ وَسِتُّونَ» . وَفِي رِوَايَةٍ «وَسَبْعُونَ شُعْبَةً أَعْلَاهَا قَوْلُ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَأَدْنَاهَا إِمَاطَةُ الْأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ» .
وَمَنْ قَالَ: إِنَّ الضَّمِيرَ فِي قَوْلِهِ: {فَأَنْسَاهُ الشَّيْطَانُ ذِكْرَ رَبِّهِ} [يوسف: 42] . عَائِدٌ عَلَى يُوسُفَ. فَقَدْ ضَعُفَ مَا قَالَهُ، وَإِنْ كَانَ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعِكْرِمَةَ. وَالْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ فِي هَذَا الْمَوْضِعِ ضَعِيفٌ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ؛
পৃষ্ঠা - ৪৮০
কথা ৷ সঠিক সেটইি যা আল্লাহ কুরআনে বলেছেন ৷ যা হোক, সাকীর কথার উত্তরে ইউসুফ
(আ) কোন শর্ত ছাড়াই এবং আশু মুক্তি দাবি না করেই তাৎক্ষণিকভাবে বাদশাহর স্বপ্নের
তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে শুনালেন এবং বলে দিলেন, প্রথম সাত বছর স্বচ্ছন্দময় হবে এবং
তারপরের সাত বছর দুর্ভিক্ষ থাকবে ৷
(,» ণ্ষ্
(এরপর আসবে এক বছর ৷ সে বছরে মানুষের জন্যে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে) ফলে প্রচুর
ফসল ফলবে ও মানুষ সুখে-স্বাচ্ছন্দো থাকবে ৷ ;:;,£¢£fi ণ্খ্^ৰুদ্বু (সে বছরে তারা প্রচুর রস
নিংড়াবে) অর্থাৎ আখ, আব্দুর, যয়তৃন, তিল ইত্যাদির রস বের করবে তাদের অভ্যাস
অনুযায়ী ৷ স্বপ্নের ব্যাখ্যার সাথে হযরত ইউসুফ (আ) সচ্ছলত ৷র সময় ও দৃর্ভিফকালে তাদের
করণীয় সম্পর্কে পথনির্দেশ দিলেন ৷ তিনি বললেন, প্রথম সাত বছরের ফসলের প্রয়োজনের
অতিরিক্ত অংশ শীষসহ সঞ্চয় করে রাখবে ৷ পরের সাত বছরে সঞ্চিত ফসল অল্প অল্প করে
খরচ করবে ৷ কেননা এরপরে ফসলের জন্যে বীজ পাওয়া দৃষ্কর হতে পারে ৷ এ থেকে হযরত
ইউসুফ (আ) এর প্রজ্ঞ৷ দুরদর্শিত৷ ও বিচক্ষণত৷ ৷র পরিচয় পাওয়া যায় ৷
৷ এএেদ্বু
;ঙু£ছুা৷র্চুএোপুএেঢু
রাজা বলল, তোমরা ইউসুফকে আমার নিকট নিয়ে এস ৷ দুত যখন তার নিকট উপ ত
হল তখন সে বলল, তুমি তোমার প্রভুর নিকট ফিরে যাও এবং তাকে জিজ্ঞেস কর, এবং যে
নারীগণ হাত কেটে ফেলেছিল তাদের অবস্থা কী? আমার প্রতিপালক তাদের ছলনা সম্পর্কে
সম্যক অবগত ৷ রাজা ৷নারীগণকে বলল, যখন তোমরা ইউসুফ থেকে অসৎ কর্ম কামনা
করেছিলে, তখন তোমাদের কী হয়েছিল ৷ তারা বলল, অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্যৰু আমরা ওর
মধ্যে কোন দোষ দেখিনি ৷ আযীযের শ্রী বলল, এক্ষণে সত্য প্রকাশ হল ৷ আমিই তার থেকে
অসৎ কর্ম কামনা করেছিলাম সে তো সত্যবাদী ৷ যে বললু আমি এটা বলেছিলাম যাতে সে
জানতে পারে যে, তার অনুপন্থিতিতে আমি তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকত ৷ কবিনি এবং আল্লাহ
বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্র সফল করেন না ৷ সে বলল, আমি আমাকে নির্দোষ মনে করি না ৷
মানুষের মন অবশ্যই মন্দকর্মপ্রবণ ৷ কিভু সে নয়, যার প্রতি আমার প্রতিপালক দয়৷ করেন ৷
আমার প্রতিপালক অতি ক্ষমাশীল , পরম দয়ালু ৷ (১২ : ৫ :-৫৩)
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খমোঃগ্যেহুহুগ্রীজোঞা০মোঃ
تَفَرَّدَ بِإِسْنَادِهِ إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ الْخُوزِيُّ الْمَكِّيُّ، وَهُوَ مَتْرُوكٌ، وَمُرْسَلُ الْحَسَنِ، وَقَتَادَةَ لَا يُقْبَلُ، وَلَاسِيَّمَا هَاهُنَا بِطَرِيقِ الْأَوْلَى وَالْأَحْرَى، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
فَأَمَّا قَوْلُ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ: ذِكْرُ السَّبَبِ الَّذِي مِنْ أَجْلِهِ لَبِثَ يُوسُفُ فِي السِّجْنِ مَا لَبِثَ؛ أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ الْجُمَحِيُّ، ثنا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، ثنا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَحِمَ اللَّهُ يُوسُفَ لَوْلَا الْكَلِمَةُ الَّتِي قَالَهَا " {اذْكُرْنِي عِنْدَ رَبِّكَ} [يوسف: 42] " مَا لَبِثَ فِي السِّجْنِ مَا لَبِثَ، وَرَحِمَ اللَّهُ لُوطًا إِنْ كَانَ لَيَأْوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ، إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ: " {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ} [هود: 80] " قَالَ: فَمَا بَعَثَ اللَّهُ نَبِيًّا بَعْدَهُ إِلَّا فِي ثَرْوَةٍ مِنْ قَوْمِهِ» . فَإِنَّهُ حَدِيثٌ مُنْكَرٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَمُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ لَهُ أَشْيَاءُ يَنْفَرِدُ بِهَا وَفِيهَا نَكَارَةٌ، وَهَذِهِ اللَّفْظَةُ مِنْ أَنْكَرِهَا وَأَشَدِّهَا، وَالَّذِي فِي الصَّحِيحَيْنِ يَشْهَدُ بِغَلَطِهَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪৮১
বাদশাহ যখন হযরত ইউসুফ (আ)-এর প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা, সঠিক সিদ্ধান্ত ও অনুধাবন
ক্ষমতার সম্যক পরিচয় পেলেন, তখন তাকে তার দরবারে উপ ত করার আদেশ দেন ৷ যাতে
করে৩ তিনি তাকে কোন দ য়ি তুপুর্ণ পদে নিয়োজিত করতে পারেন ৷ দুত যখন ইউসুফ (আ) এর
কাছে আসে তখন হযরত ইউসুফ (আ) সিদ্ধান্ত নিলেন যে,৩ তিনি জেলখান৷ থেকে ততক্ষণ
পর্যন্ত বের হবেন না, যতক্ষণ না প্ৰতেদ্রক ব্যক্তি জ নতে পারে যে তাকে অন্যায়ভাবেও
শত্রুতাবশত কারাগারে আবদ্ধ করা হয়েছিল এবং মহিলারা তার প্ৰতি যে দোষ আরোপ করেছে
তা সম্পুর্ণ অমুলক অপবাদ, তিনি তা থেকে সম্পুর্ণ মুক্ত ৷৩ তাই তিনি বললেনষ্ক ক্রো ৷ ৫ণ্, ৷
এ , (তুমি তোমার প্রভুর কাছে চলে যাও) অর্থাৎ বাদশাহর কাছে ৷
(এবং তাকে জিজ্ঞেস কর, যেসব মহিলা নিজেদের হাত কেটে ফেলেছিল তাদের অবস্থা
কী? আমার প্রনিপ লক তাে তাদের ছলনা সম্পর্কে সম্যক অবগত ৷) কেউ কেউ এখানে
^ (ন্র্দুর্চু (, ৷এর অর্থ মনিব ও প্রভু বলেছেন ৷ অর্থাৎ আমার মনিব আযীয আমার পবিত্রত৷ এবং
আমার প্ৰতি আরোপিত অপবাদ সম্পর্কে ভাল করেই জানেন ৷ সুতরাং বাদশাহকে গিয়ে বল,
তিনি ঐ মহিলাদেরকে জিজ্ঞেস করে দেখুন যে,৩ তারা যখন আমাকে অন্যায় ও অশ্লীল কাজে
প্ররো ৷চিত করার চেষ্টা করেছিল, তখন আমি কত দৃঢ়ভাবে আত্মরক্ষ৷ করেছিলাম ৷ মহিলাদের
কাছে জিজ্ঞেস করা হলে তারা ৷বৃঝৰে যে প্রকৃত ৩ঘটন৷ কি ছিল এবং আমিই বা কী ভাল কাজ
করেছিলাম? (,পুৰুদ্বু (তারা বলল, অদ্ভুত আল্লাহর
মহিমা! আমরা ইউসুফের মধ্যে কোন দোব্লু দেখিনি) ঐ সময় , ^,;৷ ৷ ঙণ্,এ ৷প্লুপু ৷১ং
(আযীযের ত্রী বলল)৩ তিনি ছিলেন যুলায়খ৷ ৷ ট্রুছুহ্া^ ৷ ,ঠুপুহ্রঠু (,১া৷ ( এক্ষণে সত্য প্রকাশিত
হল) অর্থাৎ যেটা বা স্তছু ও সত্য তা প্রকা ৷শিত ও সুস্পষ্ট হয়ে গেল ৷ আর সতাই অনুসরণয়োগ্য ৷
(, ছুদ্ব৷ ১ক্রো ৷ (,প্লু৷ ণ্ ৷ , ৰু^র্মুশ্ (,; ধ্এট্টর্চু৷ ’ ড্র ৷ (আমিই তার থেকে অসৎকম কামনা
করেছিলাম ৷ বন্তুত সে ই সতবাে ৷দী ৷) অর্থাৎ যে দােষমুক্ত ৷ সে আমার কাছে অসৎকর্ম কামনা
করেনি এবং তাকে মিথ্যা, জুলুম, অন্যায় ও অপবাদ দিয়ে কা ৷রাবন্দী করা হয়েছে ৷
আমি এটি বলছিলাম যাতে সে জানতে পারে যে, তার অগােচরে আমি তার বিশ্বাসঘাতকতা
করিনি ৷ আর আল্লাহ্ বিশ্বাসঘাতকদের ষড়যন্ত্র সফল করেন না ৷
কারো কারো মতে, এটা হযরত ইউসুফ (আ) এর কথা ৷ তখন অর্থ হবে৪ আমি এ বিষয়টি
যাচাই করতে চাই এ উদ্দেশ্যে, যাতে আযীয জানতে পারে যে, তার অনুপন্থিতিতে আমি তার
সাথে কে ন বিশ্বাসঘা৩ কতা করিনি ৷ আবার কারো কারো মতে, এটা যুলায়খার উক্তি ৷ তখন
অর্থ হবে এই যে, আমি একথা স্বীক৷ ৷র করছি এ উদ্দেশ্যে, যাতে আমার স্বামী জা নতে পারে যে,
আমি মুলত তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতার কোন কাজ করিনি ৷ এটা অবশ্য তার উদ্দেশ্য ছিল ৷
কিন্তু আমার সাথে কোন অশ্লীল কাজ না ঘটি৩ হয়নি ৷ পরবর্তীকালের অনেক ইমামই এই
মতকে সমর্থন করেন ৷ ইবন জারির ও ইবন আবী হাতিম (র) প্রথম মত ব্যতীত অন্য কিছু
বর্ণনাই করেননি ৷
{وَقَالَ الْمَلِكُ إِنِّي أَرَى سَبْعَ بَقَرَاتٍ سِمَانٍ يَأْكُلُهُنَّ سَبْعٌ عِجَافٌ وَسَبْعَ سُنْبُلَاتٍ خُضْرٍ وَأُخَرَ يَابِسَاتٍ يَاأَيُّهَا الْمَلَأُ أَفْتُونِي فِي رُؤْيَايَ إِنْ كُنْتُمْ لِلرُّؤْيَا تَعْبُرُونَ قَالُوا أَضْغَاثُ أَحْلَامٍ وَمَا نَحْنُ بِتَأْوِيلِ الْأَحْلَامِ بِعَالِمِينَ وَقَالَ الَّذِي نَجَا مِنْهُمَا وَادَّكَرَ بَعْدَ أُمَّةٍ أَنَا أُنَبِّئُكُمْ بِتَأْوِيلِهِ فَأَرْسِلُونِي يُوسُفُ أَيُّهَا الصِّدِّيقُ أَفْتِنَا فِي سَبْعِ بَقَرَاتٍ سِمَانٍ يَأْكُلُهُنَّ سَبْعٌ عِجَافٌ وَسَبْعِ سُنْبُلَاتٍ خُضْرٍ وَأُخَرَ يَابِسَاتٍ لَعَلِّي أَرْجِعُ إِلَى النَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَعْلَمُونَ قَالَ تَزْرَعُونَ سَبْعَ سِنِينَ دَأَبًا فَمَا حَصَدْتُمْ فَذَرُوهُ فِي سُنْبُلِهِ إِلَّا قَلِيلًا مِمَّا تَأْكُلُونَ ثُمَّ يَأْتِي مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ سَبْعٌ شِدَادٌ يَأْكُلْنَ مَا قَدَّمْتُمْ لَهُنَّ إِلَّا قَلِيلًا مِمَّا تُحْصِنُونَ ثُمَّ يَأْتِي مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ عَامٌ فِيهِ يُغَاثُ النَّاسُ وَفِيهِ يَعْصِرُونَ} [يوسف: 43] أَيْ أَخْلَاطُ أَحْلَامٍ مِنَ اللَّيْلِ لَعَلَّهَا لَا تَعْبِيرَ لَهَا، وَمَعَ هَذَا فَلَا خِبْرَةَ لَنَا بِذَلِكَ؛ وَلِهَذَا قَالُوا:
পৃষ্ঠা - ৪৮২
০শ্ণ্
ট্রাংএ
ছুহু১ট্ট
আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি না ৷ মানুষের মন অবশ্যই মন্দকর্মপ্রবণ ৷ কিন্তু সে নয় যার
প্রতি আমার প্রতিপালক দয়া করেন ৷ নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল , পরম দয়ালু ৷
কেউ বলেছেন, এটা ইউসুফ (আ) এর উক্তি, আবার কেউ বলেছেন যুলায়খার উক্তি ৷
পুর্বের আয়াতের দুই ধরনের মতামত থাকায় এ আয়াতেও দুই প্রকার মতে তর সৃষ্টি হয়েছে ৷ তবে
এটা যুলায়খার বক্তব্য হওয়াটাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত ও সঙ্গত ৷
আল্লাহর বাণীং
ণ্ড্রুএ
শ্প্
;
রাজা বলল, ইউসুফকে আমার কাছে নিয়ে এসো ৷ আমি তাকে আমার একান্ত সহচর নিযুক্ত
করব ৷ তারপর রাজা যখন তার সাথে কথা বলল, তখন রাজা বলল, আজ তুমি আমাদের কাছে
মর্যাদাশা নৌ ও বিশ্বাসভাজন হলে ৷ ইউসুফ বলল, আমাকে দেশের ধন সম্পদের উপর কর্তৃতৃ
প্রদান করুন! আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও সুবিজ্ঞ’ ৷ এভাবে ইউসুফ (আ) কে আমি যে দেশে
প্রতিষ্ঠিত করলাম ৷ সে সেদেশে যেখানে ইচ্ছা অবস্থান করতে পারত ৷ আমি যাকে ইচ্ছা তার
প্রতি দয়া করি ; আমি সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করি না ৷ যারা মুমিন এবং যুত্তাকী তাদের
পরলোকের পুরস্কারই উত্তম ৷ (১২০ ং ৫৪ ৫ ৭ )
ইউসুফ (আ) এর উপর যে অপবাদ দেয়৷ হয়েছিল তা থেকে যখন তার মুক্ত ও পবি^ত্র
থাকার কথা বাদশাহর কাছে সুস্পষ্ট হল তখন তিনি বললেন৪ ধ্া;! হ্ ড্রু১টু ;ওা
, ণ্ড্র০া (ইউসুফকে আমার কাছে নিয়ে এসো, আমি ত কে আমার একান্ত সহচর করে
রাখব) অর্থাৎ আমি তাকে আমার বিশ্বে যে পারিষদ ও রান্থীয় উচ্চমর্যাদা দিয়ে আমার পারিষদভুক্ত
করে রাখব ৷ তারপর বাদশাহ যখন ইউসুফ (আ) এর সাথে কথা বললেন, এবং তার কথাবার্তা
শুনে তার অবন্থ দি সম্যক জানলেন, তখন বললেনং :,শু হু০০ ৷ হ্র ব্লু০ এে পুএ ন্ট্রু শু৷ ৷ এ; ৷
(আজ তুমি আমাদের কাছে মর্যাদাশীল ও বিশ্বাসভ৷ ৷জন হলে)
(ইউসুফ বলল : আমাকে রাজ্যের ধন সম্পদের উপর ক র্তৃতৃ প্রদান করুন; আমি বিশ্বস্ত
রক্ষক ও সুবিজ্ঞ ৷) হযরত ইউসুফ (আ) বাদশাহর কাছে ধন ভাণ্ডারের উপর তদারকির
দায়িত্বভার চাইলেন ৷ কারণ, প্রথম সাত ৩বছর পর দুর্ভিক্ষের কালে সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশংকা
{وَمَا نَحْنُ بِتَأْوِيلِ الْأَحْلَامِ بِعَالِمِينَ} [يوسف: 44] . فَعِنْدَ ذَلِكَ تَذَكَّرَ النَّاجِي مِنْهُمَا الَّذِي وَصَّاهُ يُوسُفُ بِأَنْ يَذْكُرَهُ عِنْدَ رَبِّهِ فَنَسِيَ إِلَى حِينِهِ هَذَا، وَذَلِكَ عَنْ تَقْدِيرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَهُ الْحِكْمَةُ فِي ذَلِكَ، فَلَمَّا سَمِعَ رُؤْيَا الْمَلِكِ، وَرَأَى عَجْزَ النَّاسِ عَنْ تَعْبِيرِهَا تَذَكَّرَ أَمْرَ يُوسُفَ وَمَا كَانَ أَوْصَاهُ بِهِ مِنَ التَّذْكَارِ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَقَالَ الَّذِي نَجَا مِنْهُمَا وَادَّكَرَ} [يوسف: 45] . أَيْ تَذَكَّرَ {بَعْدَ أُمَّةٍ} [يوسف: 45] أَيْ بَعْدَ مُدَّةٍ مِنَ الزَّمَانِ، وَهُوَ بِضْعُ سِنِينَ. وَقَرَأَ بَعْضُهُمْ، كَمَا حُكِيَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعِكْرِمَةَ، وَالضَّحَّاكِ: " وَادَّكَرَ بَعْدَ أَمَهٍ " أَيْ بَعْدَ نِسْيَانٍ. وَقَرَأَهَا مُجَاهِدٌ: " بَعْدَ أَمْهٍ " بِإِسْكَانِ الْمِيمِ، وَهُوَ النِّسْيَانُ أَيْضًا. يُقَالُ: أَمِهَ الرَّجُلُ يَأْمَهُ أَمَهًا، وَأَمْهًا إِذَا نَسِيَ قَالَ الشَّاعِرُ:
أَمِهْتُ وَكُنْتُ لَا أَنْسَى حَدِيثًا ... كَذَاكَ الدَّهْرُ يُرْدِي بِالْعَقُولِ
. فَقَالَ لِقَوْمِهِ وَلِلْمَلِكِ: {أَنَا أُنَبِّئُكُمْ بِتَأْوِيلِهِ فَأَرْسِلُونِ} [يوسف: 45] . أَيْ فَأَرْسِلُونِي إِلَى يُوسُفَ. فَجَاءَهُ فَقَالَ: {يُوسُفُ أَيُّهَا الصِّدِّيقُ أَفْتِنَا فِي سَبْعِ بَقَرَاتٍ سِمَانٍ يَأْكُلُهُنَّ سَبْعٌ عِجَافٌ وَسَبْعِ سُنْبُلَاتٍ خُضْرٍ وَأُخَرَ يَابِسَاتٍ لَعَلِّي أَرْجِعُ إِلَى النَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَعْلَمُونَ} [يوسف: 46] . وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ الْمَلِكَ لَمَّا ذَكَرَهُ لَهُ النَّاجِي اسْتَدْعَاهُ إِلَى حَضْرَتِهِ، وَقَصَّ عَلَيْهِ مَا رَآهُ فَفَسَّرَهُ لَهُ. وَهَذَا غَلَطٌ، وَالصَّوَابُ مَا قَصَّهُ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ الْقُرْآنِ لَا مَا عَرَّبَهُ هَؤُلَاءِ الْجَهَلَةُ الثِّيرَانُ مِنْ قَرَائِئَ
পৃষ্ঠা - ৪৮৩
ছিল ৷ সুতরাং সে সময় আল্লাহর পছন্দ অনুযায়ী মানুষের কল্যাণ সাধন ও তাদের প্রতি সদয়
আচরণ করার ব্যাপারে যাতে ত্রুটি না হয়, সে লক্ষো৩ তিনি এই পদ কামনা করেন ৷ বাদশাহকে
তিনি আশ্বস্ত করেন যে, তার দায়িত্বে যা দেয়৷ হবে৩ তা তিনি বিশ্বস্ততা ৷র সাথে সং রক্ষণ করবেন
এবং রাজস্ব বিষয়ে উন্নতি ও উৎকর্য বিধানে তিনি বিশেষ অভিজ্ঞতার পরিচয় দেবেন ৷ এতে
প্রমাণিত হয় যে, যে ব্যক্তি নিজের আমানতদারী ও দায়িতু পালনের প্ৰতি দৃঢ় আস্থাশীল , সে
তার যোগ্য পদের জন্য আবেদন করতে পারে ৷
আহলি কিতাবদের মতে, ফিরআউন (মিসরের বাদশাহ) ইউসুফ (আ)-কে পরম মর্যাদা
দান করেন এবং সমগ্র মিসর দেশের কর্তৃতু তার হাতে তুলে দেন ৰু নিজের বিশেষ আত্টি ও
রশমী পোশাক তিনি তাকে পরিয়ে দেন, র্তাকে স্বর্পের হারে ভুষিত করে এবং মসনদের দ্বিতীয়
আসনে তাকে আসীন করেন ৷৩ তারপর বাদশাহর সম্মুখেই ঘোষণা করা হলোং : আজ থেকে
আপনিই দেশের প্রকৃত শাসক ৷ কেবল নিয়ম৩ ৷ন্তিক প্রধানরুপে রাজ সিংহাসনের অধিকারী
হওয়া ছাড়া অন্য কো ন দিক দিয়েই আমি আপনার চেয়ে অধিক ক্ষমতাশ৷ ৷লী নই ৷ তারা বলেন,
ইউসুফ (আ)-এর বয়স তখন ত্রিশ বছর এবং এক অভিজাত বংশীয়া মহিলা ছিলেন তার শ্রী ৷
বিখ্যাত তাফসীরবিদ ছালাবী বলেছেন, মিসরের বাদশাহ আষীযে মিসর কিতফীরকে
পদচ্যুত করে ইউসুফ (আ) কে সেই পদে বসান ৷ কথিত আছে, কিতফীরের মৃত্যুর পর তার শ্রী
ষুলায়খাকে বাদশাহ ইউসুফের সাথে বিবাহ দেন ৷ ইউসুফ (আ) যুলায়খাকে কুমারী অবস্থায়
পান ৷ কেননা, যুলায়খার স্বামী শ্রী সংসর্গে যেতেন না ৷ যুলায়খার গর্ভে ইউসুফ ( আ )-এর দুই
পুত্র সন্তানের জন্ম হয় ৷ তাদের নাম আফরাইম ও মানশ৷ ৷ এভাবে ইউসুফ (আ) মিসরের
কর্তৃতু লাভ করে সে দেশে ন্যায়বিচার কায়েম করেন এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের
কাছেই বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ৷
কথিত আছে, ইউসুফ (আ) যখন কারাগার থেকে বের হয়ে বাদশাহর সম্মুখে আসেন, তখন
তার বয়স হয়েছিল ত্রিশ বছর ৷ বাদশাহ সত্তুরটি ভাষায় তার সাথে কথা বলেন ৷ যখন যে
ভাষায় তিনি কথা বলেন, ইউসুফ (আ) তখন সেই ভাষায়ই তার উত্তর দিতে থাকেন ৷ অল্প
বয়স হওয়া সত্বেও তার এ অসাধারণ যোগ্যত৷ দেখে বাদশাহ মিলিত হন ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
আল্লাহর বাণী ধ্,:১,র্বৃ৷ ৷ ১ এ্,৷ ৷১ই এ ৷ এ ১
(এতা যে আমি ইউসুফকে সে দেশে প্রতিষ্ঠিত করি ৷) অর্থাৎ কারাপারের সংকীর্ণ বন্দী জীবন
শেষে ত ৷কে মুক্ত করে মিসরের সর্বত্র স্বাধীনতা ৷বে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিই ৷ ৷র্চুৰু^৷ ৷র্চুর্বৃৰুন্
শুব্লু ৰুএন্ (সে তথায় যেখানে ইচ্ছা নিজের জন্যে স্থান করে নিতে পাব৩ ) অর্থাৎ মিসরের
যে কোন জায়পায় ন্থায়িতা ৷বে থাকার ইচ্ছা ৷করলে সম্মান ও মর্যাদার সাথে তা করার সুযোগ
ছিল
(আমি যাকে ইচ্ছা তাকে আমার রহমত দান করি এবং সৎ কর্মশীলদের বিনিময় আমি বিনষ্ট
করি না ৷) অর্থাৎ এই বা কিছু করা হল তা একজন মুমিনের প্ৰতি আল্লাহর দান ও অনুগ্রহ
বিশেষ ৷ এ ছাড়াও মু’মিনের জন্যে রয়েছে পরকাসীন প্রভুত কল্যাণ ও উত্তম প্রতিদান ৷
وَرُبَّانٍ. فَبَذَلَ يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَا عِنْدَهُ مِنَ الْعِلْمِ بِلَا تَأَخُّرٍ وَلَا شَرْطٍ وَلَا طَلَبَ الْخُرُوجَ سَرِيعًا، بَلْ أَجَابَهُمْ إِلَى مَا سَأَلُوا، وَعَبَّرَ لَهُمْ مَا كَانَ مِنْ مَنَامِ الْمَلِكِ الدَّالِّ عَلَى وُقُوعِ سَبْعِ سِنِينَ مِنَ الْخِصْبِ وَيَعْقُبُهَا سَبْعٌ جُدْبٌ {ثُمَّ يَأْتِي مِنْ بَعْدِ ذَلِكَ عَامٌ فِيهِ يُغَاثُ النَّاسُ} [يوسف: 49] . يَعْنِي يَأْتِيهِمُ الْغَيْثُ وَالْخِصْبُ وَالرَّفَاهِيَةُ {وَفِيهِ يَعْصِرُونَ} [يوسف: 49] يَعْنِي مَا كَانُوا يَعْصِرُونَهُ مِنَ الْأَقْصَابِ وَالْأَعْنَابِ وَالزَّيْتُونِ وَالسِّمْسِمِ وَغَيْرِهَا. فَعَبَّرَ لَهُمْ وَعَلَى الْخَيْرِ دَلَّهُمْ وَأَرْشَدَهُمْ إِلَى مَا يَعْتَمِدُونَهُ فِي حَالَتَيْ خِصْبِهِمْ وَجَدْبِهِمْ، وَمَا يَفْعَلُونَهُ مِنِ ادِّخَارِ حُبُوبِ سِنِيِّ الْخِصْبِ فِي السَّبْعِ الْأُوَلِ فِي سُنْبُلِهِ إِلَّا مَا يُرْصَدُ بِسَبَبِ الْأَكْلِ، وَمِنْ تَقْلِيلِ الْبَذْرِ فِي سِنِيِّ الْجَدْبِ فِي السَّبْعِ الثَّانِيَةِ إِذِ الْغَالِبُ عَلَى الظَّنِّ أَنَّهُ لَا يَرُدُّ الْبَذْرَ مِنَ الْحَقْلِ، وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى كَمَالِ الْعِلْمِ، وَكَمَالِ الرَّأْيِ وَالْفَهْمِ.
{وَقَالَ الْمَلِكُ ائْتُونِي بِهِ فَلَمَّا جَاءَهُ الرَّسُولُ قَالَ ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ مَا بَالُ النِّسْوَةِ اللَّاتِي قَطَّعْنَ أَيْدِيَهُنَّ إِنَّ رَبِّي بِكَيْدِهِنَّ عَلِيمٌ قَالَ مَا خَطْبُكُنَّ إِذْ رَاوَدْتُنَّ يُوسُفَ عَنْ نَفْسِهِ قُلْنَ حَاشَ لِلَّهِ مَا عَلِمْنَا عَلَيْهِ مِنْ سُوءٍ قَالَتِ امْرَأَةُ الْعَزِيزِ الْآنَ حَصْحَصَ الْحَقُّ أَنَا رَاوَدْتُهُ عَنْ نَفْسِهِ وَإِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ ذَلِكَ لِيَعْلَمَ أَنِّي لَمْ أَخُنْهُ بِالْغَيْبِ وَأَنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي كَيْدَ الْخَائِنِينَ وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَحِيمٌ} [يوسف: 50]
[يُوسُفَ: 50 - 53] . لَمَّا أَحَاطَ الْمَلِكُ عِلْمًا بِكَمَالِ عِلْمِ يُوسُفَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَتَمَامِ عَقْلِهِ وَرَأْيِهِ السَّدِيدِ وَفَهْمِهِ، أَمَرَ بِإِحْضَارِهِ إِلَى حَضْرَتِهِ لِيَكُونَ مِنْ جُمْلَةِ خَاصَّتِهِ، فَلَمَّا جَاءَهُ الرَّسُولُ بِذَلِكَ أَحَبَّ أَنْ لَا يَخْرُجَ حَتَّى يَتَبَيَّنَ لِكُلِّ أَحَدٍ أَنَّهُ حُبِسَ ظُلْمًا وَعُدْوَانًا، وَأَنَّهُ بَرِيءُ السَّاحَةِ مِمَّا نَسَبُوهُ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৪৮৪
কারণেই আল্লাহ তাআল৷ বলেছেন০ ং
; ,
(যারা মু’মিন এবং মুত্তা ৷কী তাদের আখিরাতের পুরষ্কা ৷রই উত্তম ) কথিত আছে, যুলায়খার
স্বামী ইতফীরের মৃত্যুর পর বাদশাহ ইউসুফ (আ)-কে তার পদে নিযুক্ত করেন এবং তার শ্রী
যুলায়খাকে ইউসুফ (আ) এর সাথে বিয়ে দেন ৷ ইউসুফ (আ) নিজেকে একজন স৩ বােদী ও
ন্যায়নিষ্ঠ উযীর হিসেবে প্রমাণিত করেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, মিসরের বাদশাহ ওলীদ ইবন রায়্যান ইউসুফ (আ)-এর
হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
জনৈক করি বলেছেন :
অর্থ : ভয়-ভীতির সং কীর্ণতার পরে থাকে নিরাপত্তার প্রশস্ত৩ ৷ আর আনন্দ স্ফুতির পুর্বে
থাকে চুড়ান্ত পেরেশানী ও চিন্তা ৷ অতএব,তু মি নিরাশ হয়াে না ৷ কেননা আল্লাহ হযরত ইউসুফ
(আ)-কে অন্ধ কারাগার থেকে মুক্ত করে তার ধন-ভাণ্ডারের মালিক করে দিয়েছিলেন ৷
মহান আল্লাহ বলেনং :
ব্লু;
৷ প্রুপুগ্এ্ ৷ ;, দ্বুএগ্লু;
ইউসুফের ভাইয়ের৷ আসল এবং তার কাছে উপস্থিত ৩হল ৷ সে ওদেরকে চিনল ; কিন্তু ওরা
তাকে চিনতে পারল না এবং সে যখন ওদের সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিল, তখন সে বলল,
তােমরা আমার কাছে তোমাদের বৈমাত্রেয় ভাইকে নিয়ে এসো ৷ তোমরা কি দেখছ না যে,
আমি মাপে পুর্ণ মাত্রায় দেই? আমি উত্তম যেযবান? কিন্তু তোমরা যদি তাকে আমার কাছে
নিয়ে না আস তবে আমার কাছে তোমাদের জন্যে কোন বরাদ্দ থাকবে না এবং তোমরা আমার
নিকটবর্তী হবে না ’ তারা বলল, তার বিষয়ে আমরা তার পিতাকে সম্মত করার চেষ্টা করব
এবং আমরা নিশ্চয়ই এটা করব ৷ ইউসুফ তার ভৃত্যদেরকে বলল, ওরা যে পণ্যমুল্য দিয়েছে
তা তাদের মালপত্রের মধ্যে রেখে দাও--যাতে স্বজনদের কাছে প্রত্যাবতনের পর তা বাবুঝতে
পারে যে, এটা প্রত্যপর্ণ করা হয়েছে; তাহলে তারা পুনরায় আসতে পারে ৷ (সুরা ইউসুফং :
৫৮৬২ )
بُهْتَانًا {قَالَ ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ} [يوسف: 50] . يَعْنِي الْمَلِكَ {فَاسْأَلْهُ مَا بَالُ النِّسْوَةِ اللَّاتِي قَطَّعْنَ أَيْدِيَهُنَّ إِنَّ رَبِّي بِكَيْدِهِنَّ عَلِيمٌ} [يوسف: 50] . قِيلَ: مَعْنَاهُ: إِنَّ سَيِّدِي الْعَزِيزَ يَعْلَمُ بَرَاءَتِي مِمَّا نُسِبَ إِلَيَّ أَيْ فَمُرِ الْمَلِكَ فَلْيَسْأَلْهُنَّ كَيْفَ كَانَ امْتِنَاعِي الشَّدِيدُ عِنْدَ مُرَاوَدَتِهِنَّ إِيَّايَ، وَحَثِّهِنَّ لِي عَلَى الْأَمْرِ الَّذِي لَيْسَ بِرَشِيدٍ وَلَا سَدِيدٍ. فَلَمَّا سُئِلْنَ عَنْ ذَلِكَ اعْتَرَفْنَ بِمَا وَقَعَ مِنْ خَطَأِ الْأَمْرِ، وَمَا كَانَ مِنْهُ مِنَ الْأَمْرِ الْحَمِيدِ {وَقُلْنَ حَاشَ لِلَّهِ مَا عَلِمْنَا عَلَيْهِ مِنْ سُوءٍ} [يوسف: 51] . فَعِنْدَ ذَلِكَ {قَالَتِ امْرَأَةُ الْعَزِيزِ} [يوسف: 51] وَهِيَ زَلِيخَا {الْآنَ حَصْحَصَ الْحَقُّ} [يوسف: 51] . أَيْ؛ ظَهَرَ وَتَبَيَّنَ وَوَضَحَ، وَالْحَقُّ أَحَقُّ أَنْ يُتَّبَعَ {أَنَا رَاوَدْتُهُ عَنْ نَفْسِهِ وَإِنَّهُ لَمِنَ الصَّادِقِينَ} [يوسف: 51] . أَيْ فِيمَا يَقُولُهُ مِنْ أَنَّهُ بَرِئٌ وَأَنَّهُ لَمْ يُرَاوِدْنِي، وَأَنَّهُ حُبِسَ ظُلْمًا وَعُدْوَانًا وَزُورًا وَبُهْتَانًا. وَقَوْلُهُ: {ذَلِكَ لِيَعْلَمَ أَنِّي لَمْ أَخُنْهُ بِالْغَيْبِ وَأَنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي كَيْدَ الْخَائِنِينَ} [يوسف: 52] . قِيلَ: إِنَّهُ مِنْ كَلَامِ يُوسُفَ. أَيْ إِنَّمَا طَلَبْتُ تَحْقِيقَ هَذَا لِيَعْلَمَ الْعَزِيزُ أَنِّي لَمْ أَخُنْهُ بِظَهْرِ الْغَيْبِ. وَقِيلَ: إِنَّهُ مِنْ تَمَامِ كَلَامِ زَلِيخَا أَيْ إِنَّمَا اعْتَرَفْتُ بِهَذَا لِيَعْلَمَ زَوْجِي أَنِّي لَمْ أَخُنْهُ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ، وَإِنَّمَا كَانَ مُرَاوَدَةً لَمْ يَقَعْ مَعَهَا فِعْلُ فَاحِشَةٍ. وَهَذَا الْقَوْلُ هُوَ الَّذِي نَصَرَهُ طَائِفَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْ أَئِمَّةِ الْمُتَأَخِّرِينَ وَغَيْرِهِمْ، وَلَمْ يَحْكِ ابْنُ جَرِيرٍ وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ سِوَى الْأَوَّلِ {وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي إِنَّ رَبِّي غَفُورٌ رَحِيمٌ} [يوسف: 53] . قِيلَ: إِنَّهُ مِنْ كَلَامِ يُوسُفَ. وَقِيلَ: مِنْ كَلَامِ زَلِيخَا. وَهُوَ مُفَرَّعٌ عَلَى الْقَوْلَيْنِ الْأَوَّلَيْنِ. وَكَوْنُهُ مِنْ تَمَامِ كَلَامِ زَلِيخَا أَظْهَرُ وَأَنْسَبُ، وَأَقْوَى، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪৮৫
এখানে আল্লাহ হযরত ইউসুফ (আ) এর ভাইদের মিসরে আগমনের বিষয়ে জ ৷নাচ্ছেন যে,
দুর্ডিংক্ষর বছরগুলোতে যখন সমগ্র দেশ ও জাতি তার করাল গ্রাসে পতিত হয়, তখন খাদ্য
সংগ্রহের জন্যে তারা মিসরে আগমন করে ৷ ইউসুফ (আ) ঐ সময় মিসরের দীনী ও দৃনিয়াবী
সার্বিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন ৷ ভাইয়েরা ইউসুফ (আ)-এর কাছে উপস্থিত হলে তিনি
তাদের চিহ্ন ফেলেন কিন্তু তারা তাকে চিনতে পারল না ৷ কারণ ইউসুফ (আ) এত বড় উচ্চ
পদ-মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হতে পারেন এটা তাদের কল্পনারও অতীত ছিল ৷ তাই তিনি তাদেরকে
চিনলেও তারা তাকে চিনতে পারেনি ৷
আহলি কিতা ৷বদের মতে ইউসুফ (আ) এর ভাইয়েরা তার দরবারে উপ ত হয়ে তাকে
সিজদা করে ৷ এ সময় ইউসুফ (আ)ত তাদেরকে চিনে ফেলেন ৷ তবে তিনি চাচ্ছিলেন, তারা যেন
তাকে চিনতে না পারে ৷ সুতরাৎ৩ তিনি তাদের প্রতি কঠোর ভ ষা৷ ব্যবহার করেন এবং বলেন,
তোমরা গোয়েন্দা বাহিনীর লোক আমার দেশের গোপন তথ্য নেয়ার জন্যে তোমরা এখানে
এসেছ৷ তারা বলল, আল্লাহর কাছে পানাহ চাই ৷ আমরা তো ক্ষুধা ও অভাবের তাড়নায়
পরিবারবর্গের জন্যে খাদ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই এখানে এসেছি ৷ আমরা একই পিতার সন্তান ৷
বাড়ি কিনআন ৷ আমরা মোট বার ডাই ৷ একজন আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, সর্ব কনিষ্ঠজন
পিতার কাছেই আছে ৷ এ কথা শুনে ইউসুফ (আ) বললেন, আমি তোমাদের বিষয়টি অবশ্যই
তদন্ত করে দেখব ৷ আহলি কিতাবরা আরও বলে যে, ইউসুফ (আ) ভাইদেরকে তিনদিন পর্যন্ত
বন্দী করে রাখেন ৷ তিনদিন পর তাদেরকে যুক্তি দেন, তবে শামউন নামক এক ভাইকে আটক
করে রাখেন ৷ যাতে তারা অপর ভাইটিকে পরবর্তীতে নিয়ে আসে ৷ আহলি কিতাবদের এ
বর্ণনার কোন কোন দিক আপত্তিকর ৷ অ ল্লাহব বাণীং : ণ্গু)ণুধ্ হুএ ££)€ ৷হুাব্লু (ইউসুফ
যখন তাদের রসদের ব্যবস্থা করে দিলেন) অর্থাৎ তিনি কড়া ৷উকে এক উট বোঝাইর বেশি খাদ্য
রসদ প্রদান করতেন না ৷ সে নিয়ম অনুযায়ী তাদের প্রতে তাককে এক উট বোঝাই রসদ প্রদান
,
করলেন ৷ ণ্ব্লু; £,: ণ্^পু ৰুর্দু^ ফ্লেদ্বু:ট্রু৷ পুএে (তোমরা তোমাদের বৈমাত্রেয় ভাইটিকে
আমার কাছে নিয়ে এসো) ইউসুফ (অ) )তাদেরকে তাদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷
তারা বলেছিল, আমরা বার ভাই ছিলাম ৷ আমাদের মধ্যকার একজন চলে গেছে ৷ তার
সহােদরটি পিতার কাছে রয়েছে ৷
ইউসুফ (আ) বললেন আগামী বছর^ যখন তোমরা আসবে তখন তাকে সাথে নিয়ে এসো ৷
(তোমরা ৷কি দেখছ না, আমি মাপে
পুর্ণ মাত্রায় দেই এবং মেহমানদেরকে ১সমাদর করি?) অর্থাৎ আমি তোমাদেরকে উত্তমভাবে
যেহমানদারী করেছি, তোমাদের থাকার তা ৷ল ব্যবস্থা করেছি ৷ এ কথা দ্বারা তিনি অপর তা ৷ইকে
আনার জন্যে তাদেরকে উৎসাহিত করেন ৷ যদি তারা তাকে না আসে তবে তাদেরকে তার
পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে বলেনং ,
যদি তাকে আমার কাছে নিয়ে না আস, তাহলে আমার কাছে তোমাদের কোন বরাদ্দ
থাকবে না এবং তোমরা আমার নিকটবর্তী হবে না ৷
{وَقَالَ الْمَلِكُ ائْتُونِي بِهِ أَسْتَخْلِصْهُ لِنَفْسِي فَلَمَّا كَلَّمَهُ قَالَ إِنَّكَ الْيَوْمَ لَدَيْنَا مَكِينٌ أَمِينٌ قَالَ اجْعَلْنِي عَلَى خَزَائِنِ الْأَرْضِ إِنِّي حَفِيظٌ عَلِيمٌ وَكَذَلِكَ مَكَّنَّا لِيُوسُفَ فِي الْأَرْضِ يَتَبَوَّأُ مِنْهَا حَيْثُ يَشَاءُ نُصِيبُ بِرَحْمَتِنَا مَنْ نَشَاءُ وَلَا نُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ وَلَأَجْرُ الْآخِرَةِ خَيْرٌ لِلَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ} [يوسف: 54] . أَيْ أَجْعَلْهُ مِنْ خَاصَّتِي وَمِنْ أَكَابِرِ دَوْلَتِي وَمِنْ أَعْيَانِ حَاشِيَتِي، فَلَمَّا كَلَّمَهُ وَسَمِعَ مَقَالَهُ وَتَبَيَّنَ حَالَهُ {قَالَ إِنَّكَ الْيَوْمَ لَدَيْنَا مَكِينٌ أَمِينٌ} [يوسف: 54] . أَيْ ذُو مَكَانَةٍ وَأَمَانَةٍ {قَالَ اجْعَلْنِي عَلَى خَزَائِنِ الْأَرْضِ إِنِّي حَفِيظٌ عَلِيمٌ} [يوسف: 55] . طَلَبَ أَنْ يُوَلِّيَهُ النَّظَرَ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِالْأَهْرَاءِ لِمَا يَتَوَقَّعُ مِنْ حُصُولِ الْخَلَلِ فِيمَا بَعْدَ مُضِيِّ سَبْعِ سِنِيِّ الْخِصْبِ لِيَنْظُرَ فِيهَا بِمَا يُرْضِي اللَّهَ فِي خَلْقِهِ مِنَ الِاحْتِيَاطِ لَهُمْ وَالرِّفْقِ بِهِمْ، وَأَخْبَرَ الْمَلِكَ أَنَّهُ حَفِيظٌ أَيْ قَوِيٌّ عَلَى حِفْظِ مَا لَدَيْهِ أَمِينٌ عَلَيْهِ عَلِيمٌ بِضَبْطِ الْأَشْيَاءِ وَمَصَالِحِ الْأَهْرَاءِ، وَفِي هَذَا دَلِيلٌ عَلَى جَوَازِ طَلَبِ الْوِلَايَةِ لِمَنْ عَلِمَ مِنْ نَفْسِهِ الْأَمَانَةَ وَالْكَفَاءَةَ، وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ فِرْعَوْنَ عَظَّمَ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ جِدًّا، وَسَلَّطَهُ عَلَى جَمِيعِ أَرْضِ مِصْرَ وَأَلْبَسَهُ خَاتَمَهُ وَأَلْبَسَهُ الْحَرِيرَ وَطَوَّقَهُ الذَّهَبَ وَحَمَلَهُ عَلَى مَرْكَبِهِ الثَّانِي، وَنُودِيَ بَيْنَ يَدَيْهِ أَنْتَ رَبٌّ أَيْ مَالِكٌ وَمُسَلَّطٌ. وَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৪৮৬
অর্থাৎ আমি তােমাদেরকে বসদও দেব না ৷ আমার কাছে ঘেষতেও দেব না ৷ তাদেরকে
প্রথমে যেভাবে বলেছিলেন এটা তার সম্পুর্ণ বিপরীত ৷ সুতরাং উৎসাহ ও ডীতি প্রদর্শনের
মাধ্যমে তাকে হড়াযির করার জ্যন্য৩ তিনি এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ৷ : (fl র্দু^ছু ১এ ! দ্বুৰুপু fl ১
(তারা বললং আমরা তার সম্পর্কে তার পিতা ৷কে সম্মত করার চেষ্টা করব ৷) অর্থাৎ আমাদের
সাথে তাকে আনার জন্যে এবং আপনার কাছে হ যির করার জন্যে সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা
চালাব ৰু) পুহুঠো র্দুা ; (এবং আমরা তা অবশ্যই করব) অর্থাৎ তাকে আনতে আমরা অবশ্যই
সক্ষম হব ৷ তারপর হযরত ইউসুফ (আ) তাদের প্রদত্ত পণ্যমুল্য এমনভাবে তাদের মালামালের
মধ্যে রেখে দেয়ার জন্যে তৃত্যদেরকে নির্দেশ দেন যাতে তারা তা ৷ট্টটুর না পায়
fl“) ণ্ধ্া;৷ ণ্ৰ্বাগু ৷ ণ্ডু৷ ৷প্রুশুাঘ্রপ্রু ৷ ৷ ; ৷ ৷পুৰুএহ্রশুগ্লু স্পোপু;পু
যাতে স্বজনদের কাছে প্ৰতব্রুড়াবর্ত্যনর পরত ৷রা বুঝতে পারে যে তা প্রত্যর্পণ করা হয়েছে ৷
তাহলে তারা পুনরায় আসতে পারে ৷ মুল্য ফেরত দেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কেউ বলেছেন,
হযরত ইউসুফ (অড়া)-এর ইচ্ছা ছিল , যখন তারা দেশে গিয়ে তা লক্ষ্য করবে তখন তা ফিরিয়ে
নিয়ে আসবে ৷ অন্য কেউ বলেছেন, হযরত ৩ইউসুফ (আ) আশংকা করছিলেন যে, দ্বিতীয়বার
আমার মত অর্থ হয়তো থাকবে না ৷ কারও মতে, ভাইদের নিকট থেকে খাদ্য দ্রব্যের বিনিময়
গ্রহণ করা তার কাছে নিন্দনীয় বলে মনে হচ্ছিল ৷
তাদের পণ্যমুল্য কি জিনিস ছিল সে ব্যাপারে মুফাসসিরদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে ৷ পড়ে
সে সম্পর্কে আলোচনা আসছে ৷ আহলি কিতাবদের মতে তা ছিল রৌপ্য ভর্তি থলে ৷ এ মত
যথার্থ মনে হয় ৷
fl
( ণ্ৰু
,া
é
এ১১র্বু
?
প্ণ্স্পো “
খু
ণ্এএ্ ৷
ছে ঠে )
’
এ
শ্৷ :’ত্র
’
لَهُ: لَسْتُ أَعْظَمَ مِنْكَ إِلَّا بِالْكُرْسِيِّ. قَالُوا: وَكَانَ يُوسُفُ إِذْ ذَاكَ ابْنَ ثَلَاثِينَ سَنَةً، وَزَوْجُهُ امْرَأَةً عَظِيمَةَ الشَّأْنِ.
وَحَكَى الثَّعْلَبِيُّ أَنَّهُ عَزَلَ قِطْفِيرَ عَنْ وَظِيفَتِهِ وَوَلَّاهَا يُوسُفَ. وَقِيلَ: إِنَّهُ لَمَّا مَاتَ زَوَّجَهُ امْرَأَتَهُ زَلِيخَا فَوَجَدَهَا عَذْرَاءَ؛ لِأَنَّ زَوْجَهَا كَانَ لَا يَأْتِي النِّسَاءَ فَوَلَدَتْ لِيُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ رَجُلَيْنِ، وَهَمَا أَفْرَاثِيمُ، وَمَنْشَا. قَالَ: وَاسْتَوْثَقَ لِيُوسُفَ مُلْكُ مِصْرَ، وَعَمِلَ فِيهِمْ بِالْعَدْلِ فَأَحَبَّهُ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ. وَحُكِيَ أَنَّ يُوسُفَ كَانَ يَوْمَ دَخَلَ عَلَى الْمَلِكِ عُمُرُهُ ثَلَاثِينَ سَنَةً، وَأَنَّ الْمَلِكَ خَاطَبَهُ بِسَبْعِينَ لُغَةً، وَكُلُّ ذَلِكَ يُجَاوِبُهُ بِكُلِّ لُغَةٍ مِنْهَا فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ مَعَ حَدَاثَةِ سِنِّهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَكَذَلِكَ مَكَّنَّا لِيُوسُفَ فِي الْأَرْضِ يَتَبَوَّأُ مِنْهَا حَيْثُ يَشَاءُ} [يوسف: 56] . أَيْ بَعْدَ السَّجْنِ وَالضِّيقِ وَالْحَصْرِ صَارَ مُطْلَقَ الرِّكَابِ بِدِيَارِ مِصْرَ {يَتَبَوَّأُ مِنْهَا حَيْثُ يَشَاءُ} [يوسف: 56] . أَيْ أَيْنَ شَاءَ حَلَّ مِنْهَا مُكْرَمًا مَحْسُودًا مُعَظَّمًا {نُصِيبُ بِرَحْمَتِنَا مَنْ نَشَاءُ وَلَا نُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ} [يوسف: 56] . أَيْ هَذَا كُلُّهُ مِنْ جَزَاءِ اللَّهِ وَثَوَابِهِ لِلْمُؤْمِنِ مَعَ مَا يَدَّخِرُ لَهُ فِي آخِرَتِهِ مِنَ الْخَيْرِ الْجَزِيلِ وَالثَّوَابِ الْجَمِيلِ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {وَلَأَجْرُ الْآخِرَةِ خَيْرٌ لِلَّذِينَ آمَنُوا وَكَانُوا يَتَّقُونَ} [يوسف: 57] . وَيُقَالُ: إِنَّ أَطْفِيرَ زَوْجَ زَلِيخَا كَانَ قَدْ مَاتَ. فَوَلَّاهُ الْمَلِكُ مَكَانَهُ وَزَوَّجَهُ امْرَأَتَهُ زَلِيخَا فَكَانَ وَزِيرَ صِدْقٍ.
وَذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ صَاحِبَ مِصْرَ الْوَلِيدَ بْنَ الرَّيَّانِ أَسْلَمَ عَلَى يَدَيْ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَالَ
পৃষ্ঠা - ৪৮৭
তারপর তারা যখন তাদের পিতার কাছে ফিরে আসল তখন তারা বলল, হে আমাদের
পিতা আমাদের জন্যে বরাদ্দ নিষিদ্ধ করা হয়েছে; সুতরাং আমাদের ভাইকে আমাদের সাথে
পাঠিয়ে দিন; যাতে আমরা রসদ পেতে পারি ৷ আমরা অবশ্যই তার রক্ষণাবেক্ষণ করব ৷ সে
বলল, আমি কি তোমাদেরকে তার সম্বন্ধে সেরুপ বিশ্বাস করব, যেরুপ বিশ্বাস পুর্বে
তোমাদেরকে করেছিলাম তার ভাই সম্বন্ধে ? আল্লাহ্ই রক্ষণাবেক্ষণে শ্রেষ্ঠ এবং তিনি দয়ালুদের
মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু ৷’ যখন ওরা ওদের মালপত্র খুলল তখন ওরা দেখতে পেল ওদের পণ্যমুল্য
ওদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে ৷
ওরা বলল, হে আমাদের পিতা ! আমরা আর কি প্রত্যাশা করতে পারি? এতো আমাদের
প্রদত্ত পণ্যমুল্য, আমাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে; পুনরায় আমরা আমাদের পরিবারবর্গকে
খড়াদ্য-সামগ্রী এনে দেব এবং আমরা আমাদের ভ্রাতার রক্ষণাবেক্ষণ করব এবং আমরা অতিরিক্ত
আর এক উট বোঝইি পণ্য আনব; যা এনেছি তা পরিমাণে অল্প ৷ পিতা বলল, আমি ওকে
কখনই তোমাদের সাথে পাঠড়াব না, যতক্ষণ না তোমরা আল্লাহর নামে অঙ্গীকার কর যে,
তোমরা ওকে আমার কাছে নিয়ে আসবেই, অবশ্য যদি তোমরা একান্ত অসহায় হয়ে না পড় ৷ ’
তারপর যখন ওরা তার কাছে প্রতিজ্ঞা করল, তখন সে বলল, আমরা যে বিষয়ে কথা বলছি,
আল্লাহ্ তার বিধায়ক ৷ ’
সে বলল, হে আমার পুত্রপণ ! তোমরা এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করো না ৷ ভিন্ন ভিন্ন দরজা
দিয়ে প্রবেশ করবে ৷ আল্লাহ্র বিধানের বিরুদ্ধে আমি তোমাদের জন্য কিছু করতে পারি না ৷
বিধান আল্লাহরই ৷ আমি তারই উপর নির্ভর করি এবং যারা নির্ভর করতে চায় তারা আল্লাহরই
উপর নির্ভর করুক এবং যখন তারা তাদের পিতা তাদেরকে যেভাবে আদেশ করেছিল
সে-ভাবেই প্রবেশ করল, তখন আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে তা তাদের কোন কাজে আসল না;
ইয়াকুব কেবল তার মনের একটি অভিপ্রায় পুর্ণ করেছিল এবং সে অবশ্যই জ্ঞানী ছিল ৷ কারণ
আমি তাকে শিক্ষা দিয়েছিলাম ৷ কিন্তু অধিকাৎশ মানুষ এটি অবগত নয় ৷ (১২ : ৬৩৬৮ ) ৷
মিসর থেকে তাদের পিতার কাছে ফিরে আসার পরের ঘটনা আল্লাহ্ তা আলা এখানে বংনাি
করছেন : পিতাকে তারা বলে : ৰু ষ্টুহ্র^৷ ৷দ্বুষ্টু র্মুদ্বু (আমাদের জন্যে বরাদ্দ নিযিদ্ধকরা
হয়েছে ৷) অর্থাৎ এ বছরের পরে আপনি যদি আমাদের ভাইকে আমাদের সাথে না পাঠান তবে
আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হবে না ৷ আর যদি আমাদের সাথে পাঠান তাহলে বরাদ্দ বন্ধ করা
হবে না ৷
া; (; ৷এ্ র্দু;
(যখন তারা তাদের মালপত্র থুলল, তখন দেখতে পেল তাদের পণ্যমুল্য ফেরত দেয়া
হয়েছে ৷ তারা বলল, পিতা আমরা আর কি চাইতে পারি?) অর্থাৎ আমাদের পণ্যমুলাটাও
ফেরত দেওয়া হয়েছে ৷ এরপর আমরা আর কি আশা করতে পারি? মোঃ! দ্বু হুন্ন্র্দুড্রু (পুনরায়
আমরা আমাদের পরিবারবর্গের জন্যে খড়াদ্য-সামগ্রী এনে দেবাে যাতে তাদের বছরের ও বাড়ি
بَعْضُهُمْ:
وَرَاءَ مَضِيقِ الْخَوْفِ يَتَّسِعُ الْأَمْنُ ... وَأَوَّلُ مَفْرُوحٍ بِهِ آخِرُ الْحُزْنِ
فَلَا تَيْأَسَنْ فَاللَّهُ مَلَّكَ يُوسُفًا ... خَزَائِنَهُ بَعْدَ الْخَلَاصِ مِنَ السِّجْنِ
{وَجَاءَ إِخْوَةُ يُوسُفَ فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فَعَرَفَهُمْ وَهُمْ لَهُ مُنْكِرُونَ وَلَمَّا جَهَّزَهُمْ بِجَهَازِهِمْ قَالَ ائْتُونِي بِأَخٍ لَكُمْ مِنْ أَبِيكُمْ أَلَا تَرَوْنَ أَنِّي أُوفِي الْكَيْلَ وَأَنَا خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ فَإِنْ لَمْ تَأْتُونِي بِهِ فَلَا كَيْلَ لَكُمْ عِنْدِي وَلَا تَقْرَبُونِ قَالُوا سَنُرَاوِدُ عَنْهُ أَبَاهُ وَإِنَّا لَفَاعِلُونَ وَقَالَ لِفِتْيَانِهِ اجْعَلُوا بِضَاعَتَهُمْ فِي رِحَالِهِمْ لَعَلَّهُمْ يَعْرِفُونَهَا إِذَا انْقَلَبُوا إِلَى أَهْلِهِمْ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ} [يوسف: 58]
[يُوسُفَ: 58 - 62] . يُخْبِرُ تَعَالَى عَنْ قُدُومِ إِخْوَةِ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَى الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ يَمْتَارُونَ طَعَامًا، وَذَلِكَ بَعْدَ إِتْيَانِ سِنِيِّ الْجَدْبِ وَعُمُومِهَا عَلَى سَائِرِ الْبِلَادِ وَالْعِبَادِ، وَكَانَ يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِذْ ذَاكَ الْحَاكِمَ فِي أُمُورِ الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ دِينًا وَدُنْيَا، فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِ عَرَفَهُمْ، وَلَمْ يَعْرِفُوهُ لِأَنَّهُمْ لَمْ يَخْطُرْ بِبَالِهِمْ مَا صَارَ إِلَيْهِ يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مِنَ الْمَكَانَةِ، وَالْعَظَمَةِ، فَلِهَذَا عَرَفَهُمْ وَهُمْ لَهُ مُنْكِرُونَ وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُمْ لَمَّا قَدِمُوا عَلَيْهِ سَجَدُوا لَهُ فَعَرَفَهُمْ، وَأَرَادَ أَنْ لَا يَعْرِفُوهُ فَأَغْلَظَ لَهُمْ فِي الْقَوْلِ. وَقَالَ: أَنْتُمْ جَوَاسِيسُ جِئْتُمْ لِتَأْخُذُوا خَبَرَ بِلَادِي. فَقَالُوا: مَعَاذَ اللَّهِ إِنَّمَا جِئْنَا نَمْتَارُ لِقَوْمِنَا مِنَ الْجَهْدِ وَالْجُوعِ الَّذِي أَصَابَنَا، وَنَحْنُ بَنُو أَبٍ وَاحِدٍ مِنْ كَنْعَانَ، وَنَحْنُ اثْنَا عَشَرَ رَجُلًا ذَهَبَ مِنَّا وَاحِدٌ، وَصَغِيرُنَا عِنْدَ أَبِينَا. فَقَالَ: لَا بُدَّ أَنْ أَسْتَعْلِمَ أَمْرَكُمْ. وَعِنْدَهُمْ أَنَّهُ حَبَسَهُمْ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ
পৃষ্ঠা - ৪৮৮
) ,
ঘরের সংস্থান হতে পারো) : ৷ শু১ , এো;৷ ০ ৭ ১াএ (আমরা আমাদের তা ৷ইকে
রক্ষণাবেক্ষণ করব এবং অতিরিক্ত আনতে পারব) তার কারণে )^ৰু পুট্রুদ্বু (আর এক উট
বোঝ ই পণ্য ৷)
আল্লাহ্ বলেন : পুৰুট্রু ন্, ভু পু^ হ্র এ৷ ৷১ (যা এসেছি তা পরিমাণে ৷অল্প) অর্থাৎ অন্য সন্তানটি
গেলে যা পাওয়া যেতে৷ তার তুলনায় যা আনা হয়েছে তা অল্প ৷ হযরত ইয়াকুব (আ) আপন
পুত্র বিনয়ামীনের ব্যাপারে অত তান্ত কুষ্ঠিত ছিলেন ৷ কারণ তার মাঝে তিনি তার ভাই ইউসুফ
(আ)-এর ঘ্রাণ পেতেন, স ন্তুন৷ লাভ করতেন এবং তিনি থাকায় ইউসৃফকে কিছুটা ভুলে
থাকতেন ৷ তাই তিনি বললেন ং ,
(পিতা বললং আমি তাকে কখনই তোমাদের সাথে পাঠাব ন ৷ যতক্ষণ না তোমরা
আল্লাহর নামে অঙ্গীকার কর যে, তোমরা তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবেই ৷ অবশ্য যদি
তোমরা বিপদে পরিবেষ্টিত হয়ে একান্ত অসহায় হয়ে না পড় ৷) অর্থাৎ৫ তামরা সকলেই যদি
তাকে আনতে অক্ষম হয়ে পড়, তবে ভিন্ন কথা ৷
(অতঃপর যখন তারা তার কাছে প্রতিজ্ঞা করল তখন তিনি বললেনং আমরা যে বিষয়ে
কথা বলছি আল্লাহ্ তার বিধায়ক) ৷ পিত ৷ ইয়াকুব (আ) পুত্রদের থেকে অঙ্গীকারনামা
পাকাপোক্ত করে নেন ৷ তাদের থেকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা আদায় করেন এবং পুত্রের ব্যাপারে সম্ভাব্য
সাবধানতা অবলম্বন করেন ৷ কিন্তু কোন নসতর্কতাই তাদেরকে ঠেকাতে পারল না :ি’ ঠুাগু১ ; এ্ এ
এাষ্ট্র গ্র গ্লুা) ৷ হযরত ইয়াকুব (আ)ত তার নিজের ও তার পরিবার পরিজনের খ৷ দ্য সামগ্রীর
প্রয়োজন না হলে কখনও তার প্রিয় পুত্রকে পাঠাতেন না ৷ কিত্তু তক্দীরেরও কিছু বিধান
য়েছে ৷ আল্লাহ্ যা চান তাই নির্ধারণ করেন, যা ইচ্ছা তাই গ্রহণ করেন ৷ যে রকম ইচ্ছা সে
রকম আদেশ দেন ৷ তিনি প্রজ্ঞাময়, সুবিজ্ঞ ৷ অত০পর পিতা আপন পুত্রদেরকে শহরে প্রবেশের
সময় এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন বরং বিভিন্ন প্রবেশদ্বার দিয়ে যেতে বলেন ৷
এর কারণ হিসেবে ইবন আব্বাস (রা) , মুজাহিদ ইবন কা’ব, কাতাদা ও সুদ্দী (র ) বলেন, যাতে
তাদের উপর কারও কুছুষ্টি না পড়ে, সে জন্যে তিনি এরুপ নির্দেশ দিয়েছিলেন, কেননা তাদের
অবয়ব ও চেহারা ছিল অত্যধিক আকর্ষণীয় ও সুশ্রী ৷ ইবরাহীম নাখৃঈ (র) বলেছেন, এরুপ
নির্দেশ দেওয়ার কারণ হল, তিনি তাদেরকে বিক্ষিপ্ত করে দিতে চেয়েছিলেন এ উদ্দেশ্যে যে,
হয়ত তারা কোথাও ইউসুফ (আ) এর সংবাদ পেয়ে যেতে পারে কিৎব৷ এভাবে তারা বেশি
ংখ্যক লোকের কাছে ইউসুফ (আ) এর সন্ধান জিজ্ঞেস করতে পারে ৷ কিন্তু প্রথম মত
প্রসিদ্ধ ৷ এ কারণেই তিনি বললেন, ব্লু,হু০; ¢fi ণ্াএে ! ব্লুও০ ণ্দ্বু; ন্নেটুপু ! দ্বু (আল্লাহর
বিধানের বিরুদ্ধে আমি তোমাদের জন্যে কিছুই করতে পারি না ৷)
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ( ১ম ত্বাণ্ড্র),মোঃন্মোঃা০জ্যো
ثُمَّ أَخْرَجَهُمْ، وَاحْتَبَسَ شَمْعُونَ عِنْدَهُ لِيَأْتُوهُ بِالْأَخِ الْآخَرِ. وَفِي بَعْضِ هَذَا نَظَرٌ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَمَّا جَهَّزَهُمْ بِجَهَازِهِمْ} [يوسف: 59] . أَيْ أَعْطَاهُمْ مِنَ الْمِيرَةِ مَا جَرَتْ بِهِ عَادَتُهُ فِي إِعْطَاءِ كُلِّ إِنْسَانٍ حِمْلَ بِعِيرٍ لَا يَزِيدُهُ عَلَيْهِ {قَالَ ائْتُونِي بِأَخٍ لَكُمْ مِنْ أَبِيكُمْ} [يوسف: 59] . وَكَانَ قَدْ سَأَلَهُمْ عَنْ حَالِهِمْ وَكَمْ هُمْ فَقَالُوا: كُنَّا اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا فَذَهَبَ مِنَّا وَاحِدٌ وَبَقِيَ شَقِيقُهُ عِنْدَ أَبِينَا. فَقَالَ: إِذَا قَدِمْتُمْ مِنَ الْعَامِ الْمُقْبِلِ فَأْتُونِي بِهِ مَعَكُمْ {أَلَا تَرَوْنَ أَنِّي أُوفِي الْكَيْلَ وَأَنَا خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ} [يوسف: 59] . أَيْ قَدْ أَحْسَنْتُ نُزُلَكُمْ وَقِرَاكُمْ فَرَغَّبَهُمْ لِيَأْتُوهُ بِهِ، ثُمَّ رَهَّبَهُمْ إِنْ لَمْ يَأْتُوهُ بِهِ قَالَ: {فَإِنْ لَمْ تَأْتُونِي بِهِ فَلَا كَيْلَ لَكُمْ عِنْدِي وَلَا تَقْرَبُونِ} [يوسف: 60] . أَيْ فَلَسْتُ أُعْطِيكُمْ مِيرَةً، وَلَا أَقْرَبُكُمْ بِالْكُلِّيَّةِ عَكْسُ مَا أَسْدَى إِلَيْهِمْ أَوَّلًا، فَاجْتَهَدَ فِي إِحْضَارِهِ مَعَهُمْ لِيَبُلَّ شَوْقَهُ مِنْهُ بِالتَّرْغِيبِ وَالتَّرْهِيبِ، قَالُوا: {سَنُرَاوِدُ عَنْهُ أَبَاهُ} [يوسف: 61] . أَيْ سَنَجْتَهِدُ فِي مَجِيئِهِ مَعَنَا، وَإِتْيَانِهِ إِلَيْكَ بِكُلِّ مُمْكِنٍ {وَإِنَّا لَفَاعِلُونَ} [يوسف: 61] أَيْ وَإِنَّا لَقَادِرُونَ عَلَى تَحْصِيلِهِ، ثُمَّ أَمَرَ فِتْيَانَهُ أَنْ يَضَعُوا بِضَاعَتَهُمْ، وَهِيَ مَا جَاءُوا بِهِ يَتَعَوَّضُونَ بِهِ عَنِ الْمِيرَةِ فِي أَمْتِعَتِهِمْ مِنْ حَيْثُ لَا يَشْعُرُونَ بِهَا {لَعَلَّهُمْ يَعْرِفُونَهَا إِذَا انْقَلَبُوا إِلَى أَهْلِهِمْ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ} [يوسف: 62] . قِيلَ: أَرَادَ أَنْ يَرُدُّوهَا إِذَا وَجَدُوهَا فِي بِلَادِهِمْ. وَقِيلَ: خَشِيَ أَنْ لَا يَكُونَ عِنْدَهُمْ مَا يَرْجِعُونَ بِهِ مَرَّةً ثَانِيَةً. وَقِيلَ: تَذَمَّمَ أَنْ يَأْخُذَ مِنْهُمْ عِوَضًا عَنِ الْمِيرَةِ.
وَقَدِ اخْتَلَفَ الْمُفَسِّرُونَ فِي بِضَاعَتِهِمْ عَلَى أَقْوَالٍ سَيَأْتِي ذِكْرُهَا، وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهَا كَانَتْ صُرَرًا مِنْ وَرِقٍ. وَهُوَ أَشْبَهُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪৮৯
আদ্বুাহ্রবাণী
;,ওা, ১ এে ,;;৷ হু ৷
ণ্
)
া
যখন তারা তাদের পি৩ ৷ যেভাবে আদেশ দিয়েছিলেন সে৩ ৷বেই প্রবেশ করল, তখন
আল্লাহর বিধানের বিরুদ্ধে তা তাদের কােনই কাজে আসল না ৷ ইয়াকুব কেবল তার মনের
একটি অভিপ্রায় পুর্ণ করেছিল এবং সে অবশ্যই জ্ঞানী ছিল ৷ কারণ, আমি তাকে শিক্ষা
দিয়েছিলড়াম ৷ কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে অবগত নয় ৷ (সুরা ইউসুফ : ৬৮)
আহলি কিতাবদের মতে, হযরত ইয়াকুব (আ) পুত্রদের কাছে আযীযের উদ্দেশে
হাদিয়াস্বরুপ পেস্তা, বাদাম, অ খবোট ৩ারপিন তেল, মধু ই ৷৷দি প্রেরণ করেন ৷ এছাড়া প্রথম
বারের ফেরত পাওয়া দিরহাম ও আরও অর্থ সংগ্রহ করে৩ ৩ারা মিসরের উদ্দেশে যাত্রা করে ৷
া৷ § প্
ার্দুর্দুণ্১ র্ডিংএ; ’fi ৷ ’
? ’
ৎ >
ট
(
শুষ্
ছু
ভ, ,
সিষ্
০ি পি
রুণ্ >
১
২
“
চুন্
চি
দি
(টু
২ হুত্ব
হুণ্শ্
া”
€
টুহু
ব্লু;
র্দশ্া
, ণ্া
শুা, , £র্দু;া;ৰু ৷১;১, ;,প্রু ৰুা ৷ ’;£ ট্রু,৷ এ৷ র্ন্তার্দ্ধঙ্কি এ-ৰু ষ্গ্র-এেন্-গ্রাএ
ওরা যখন ইউসুফের সম্মুখে উপস্থিত হল, তখন ইউসুফ তার সহােদরকে নিজের কাছে
রাখল এবং বলল, আমিই তোমার সহােদর, সুতরাৎ৩ ৩ারা যা করত তার জন্যে দুঃখ করে৷ না
{فَلَمَّا رَجَعُوا إِلَى أَبِيهِمْ قَالُوا يَا أَبَانَا مُنِعَ مِنَّا الْكَيْلُ فَأَرْسِلْ مَعَنَا أَخَانَا نَكْتَلْ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ قَالَ هَلْ آمَنُكُمْ عَلَيْهِ إِلَّا كَمَا أَمِنْتُكُمْ عَلَى أَخِيهِ مِنْ قَبْلُ فَاللَّهُ خَيْرٌ حَافِظًا وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ وَلَمَّا فَتَحُوا مَتَاعَهُمْ وَجَدُوا بِضَاعَتَهُمْ رُدَّتْ إِلَيْهِمْ قَالُوا يَا أَبَانَا مَا نَبْغِي هَذِهِ بِضَاعَتُنَا رُدَّتْ إِلَيْنَا وَنَمِيرُ أَهْلَنَا وَنَحْفَظُ أَخَانَا وَنَزْدَادُ كَيْلَ بَعِيرٍ ذَلِكَ كَيْلٌ يَسِيرٌ قَالَ لَنْ أُرْسِلَهُ مَعَكُمْ حَتَّى تُؤْتُونِ مَوْثِقًا مِنَ اللَّهِ لَتَأْتُنَّنِي بِهِ إِلَّا أَنْ يُحَاطَ بِكُمْ فَلَمَّا آتَوْهُ مَوْثِقَهُمْ قَالَ اللَّهُ عَلَى مَا نَقُولُ وَكِيلٌ وَقَالَ يَا بَنِيَّ لَا تَدْخُلُوا مِنْ بَابٍ وَاحِدٍ وَادْخُلُوا مِنْ أَبْوَابٍ مُتَفَرِّقَةٍ وَمَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَعَلَيْهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُتَوَكِّلُونَ وَلَمَّا دَخَلُوا مِنْ حَيْثُ أَمَرَهُمْ أَبُوهُمْ مَا كَانَ يُغْنِي عَنْهُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا حَاجَةً فِي نَفْسِ يَعْقُوبَ قَضَاهَا وَإِنَّهُ لَذُو عِلْمٍ لِمَا عَلَّمْنَاهُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ} [يوسف: 63]
[يُوسُفَ: 63 - 68] .
يَذْكُرُ تَعَالَى مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ بَعْدَ رُجُوعِهِمْ إِلَى أَبِيهِمْ وَقَوْلِهِمْ لَهُ: {مُنِعَ مِنَّا الْكَيْلُ} [يوسف: 63] . أَيْ بَعْدَ عَامِنَا هَذَا إِنْ لَمْ تُرْسِلْ مَعَنَا أَخَانَا فَإِنْ أَرْسَلْتَهُ مَعَنَا لَمْ يُمْنَعْ مِنَّا {وَلَمَّا فَتَحُوا مَتَاعَهُمْ وَجَدُوا بِضَاعَتَهُمْ رُدَّتْ إِلَيْهِمْ قَالُوا يَا أَبَانَا مَا نَبْغِي} [يوسف: 65] . أَيْ أَيَّ شَيْءٍ نُرِيدُ وَقَدْ رُدَّتْ إِلَيْنَا بِضَاعَتُنَا {وَنَمِيرُ أَهْلَنَا} [يوسف: 65] أَيْ نَمْتَارُ لَهُمْ، وَنَأْتِيهِمْ بِمَا يُصْلِحُهُمْ فِي سَنَتِهِمْ، وَمَحْلِهِمْ {وَنَحْفَظُ أَخَانَا وَنَزْدَادُ} [يوسف: 65] . بِسَبَبِهِ كَيْلَ بَعِيرٍ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {ذَلِكَ كَيْلٌ يَسِيرٌ} [يوسف: 65] . أَيْ فِي مُقَابَلَةِ ذَهَابِ وَلَدِهِ الْآخَرِ، وَكَانَ يَعْقُوبُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَضَنَّ شَيْءٍ بِوَلَدِهِ بِنْيَامِينَ؛ لِأَنَّهُ كَانَ يَشُمُّ فِيهِ رَائِحَةَ أَخِيهِ وَيَتَسَلَّى بِهِ عَنْهُ، وَيَتَعَوَّضُ بِسَبَبِهِ مِنْهُ، فَلِهَذَا قَالَ: {لَنْ أُرْسِلَهُ مَعَكُمْ حَتَّى تُؤْتُونِ مَوْثِقًا مِنَ اللَّهِ لَتَأْتُنَّنِي بِهِ إِلَّا أَنْ يُحَاطَ بِكُمْ} [يوسف: 66] . أَيْ إِلَّا أَنْ تُغْلَبُوا كُلُّكُمْ عَنِ الْإِتْيَانِ بِهِ {فَلَمَّا آتَوْهُ مَوْثِقَهُمْ قَالَ اللَّهُ عَلَى مَا نَقُولُ وَكِيلٌ} [يوسف: 66] . أَكَّدَ الْمَوَاثِيقَ وَقَرَّرَ الْعُهُودَ وَاحْتَاطَ لِنَفْسِهِ فِي وَلَدِهِ، وَلَنْ يُغْنِيَ حَذَرٌ مِنْ قَدَرٍ، وَلَوْلَا حَاجَتُهُ
পৃষ্ঠা - ৪৯০
তারপর সে যখন ওদের সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দিল, তখন সে তার সহােদরের মালপত্রের
মধ্যে পানপাএ রেখে দিল৷ তারপর এক আহ্বায়ক চিৎকার করে বলল, হে যাত্রীদল ! তোমরা
নিশ্চয়ই চোর ৷ ’ তারা ওদের দিকে তাকিয়ে বলল, ৫তামরা কী হারিয়েছ?’ তারা বলল, আমরা
রাজার পানপাএ হারিয়েছি; যে ওটা এনে দেবে সে এক উট বোঝাই মাল পাবে এবং আমি এর
জামিন ৷’ তারা বলল, আল্লাহ্র শপথ! ৫তামরা তো জান, আমরা এ দেশে দুষ্কৃতি করতে
আসিনি এবং আমরা চােরও নই’ ৷ তারা বলল, য়দি তোমরা মিথ্যাবাদী হও তবে তার শাস্তি
কী ?’ তারা বলল, এর শাস্তি যার মালপত্রের মধ্যে পাএটি পাওয় যাবে, নেই তার বিনিময় ৷
এভাবে আমরা সীমালংঘনকা রীদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি ৷
তারপর সে তার সহােদরের মালপত্র তল্লাশিয় পুর্বে তাদের মালপএ তল্লাশি করতে লাগল,
পরে তার সহােদরের মালপত্রের মধ্য হতে পা ৷ত্রটি বের করল ৷ এভাবে আমি ইউসুফের জন্যে
কৌশল করেছিলাম ৷ রাজার আইনে তার সহোদরকে সে আটক করতে পারত না, আল্লাহ ইচ্ছা
না করলে ৷ আমি যাকে ইচ্ছা মর্যাদায় উন্নীত করি ৷ প্রতোক জ্ঞানবান ব্যক্তির উপর আছে
প্সর্বজ্ঞানী ৷ তারা বলল, সে যদি চুরি করে থাকে তার সহােদর : তো পুর্বে চুরি করেছিল ৷ ’ কিন্তু
ইউসুফ প্রকৃত ব্যাপার নিজের মনে গোপন রাখল এবং তাদের কাছে প্রকাশ করল না, যে মনে
মনে বলল, তােমাদের অবস্থা ৫ত৷ ৷হীনতর এবং ৫তামরা যা বলছ সে সম্বন্ধে আল্লাহ সবিশেষ
অবহিত’ ৷ ওরা বলল, ৫হ আষীয এর পিতা আছেন অতিশয় বৃদ্ধ; সুতরাং এর স্থলে আপনি
আমাদের একজনকে রাখুন ৷ আমরা তো আপনাকে দেখছি মহানুভব ব্যক্তিদের একজন ৷ সে
বলল, যার কাছে আমরা আমাদের মাল পেয়েছি তাকে ছাড়া অন্যকে রাখার অপরাধ হতে
আমরা আল্লাহর শরণ নিচ্ছি ৷ এরুপ করলে আমরা অবশ্যই সীমালংঘনকারী হব ৷ ’ (১২ :
৬৯ ৭ ৯ )
এখানে আল্লাহ্ উল্লেখ করছেন যে সব অবস্থার কথা যখন ইউসুফ (আ) এর ভাইয়েরা তার
সহােদর বিনয়ামীনকে নিয়ে মিসরে তার কাছে উপস্থিত হয়েছিল ৷ ইউসুফ (আ) তাকে একান্তে
কাছে নিয়ে জানান যে, তিনি তার আপন সহােদর তা ৷ই ৷৩ তাকে তিনি এ কথা গোপন রাখতে
বলেন এবং ভাইদের দুর্ব্যবহারের ব্যাপারে সান্তুন৷ দেন এবং অন্য ভাইদের বাদ দিয়ে ৫কবল
বিনয়ামীনকে কাছে রাখার জন্যে ইউসুফ (আ) বাহানা অবলম্বন করেন ৷ সৃতরাৎ তিনি নিজের
পানপাএ বিনয়ামীনের মালপত্রের মধ্যে গোপনে ৫রখে দেয়ার জন্যে ভৃত্যদেরকে আদেশ দেন ৷
উক্ত পানপাএঢি পানি পান এবং ৫লাকজনকে তাদের খাদ্যদ্রব্য যোগ দেয়ার কাজে ব্যবহৃত
হত ৷ এরপর তাদের মধ্যে ঘোষণা দেয়৷ হয় যে, তারা বাদশাহর পানপাএ চুরি করেছে যে
ব্যক্তি তা ফিরিয়ে দেবে তার জন্যে পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘোষণাকারী তার জন্যে
যিম্মাদ ব হল ৷ কিন্তু তারা ঘোষণাকারীর দিকে তাকিয়ে এ কথা বলে তাদের প্ৰতি আরোপিত
ণ্দাষ প্রত্যাখক্ট্রড়ান করল যে,
(আল্লাহর কলম , তোমরা ৫তাজ জানাে, আমরা এদেশে দুষ্কৃতি করতে আসিনি এবং আমরা
চােরও নই ৷) অর্থাৎ আপনারা যে আমাদেরকে চুরির দােষে অভিযুক্ত করেছেন, আমরা যে
সেরুপ নই তা আপনারা খুব ভাল করেই জানেন ৷
وَحَاجَةُ قَوْمِهِ إِلَى الْمِيرَةِ لَمَا بَعَثَ الْوَلَدَ الْعَزِيزَ، وَلَكِنَّ الْأَقْدَارَ لَهَا أَحْكَامٌ، وَالرَّبُّ تَعَالَى يُقَدِّرُ مَا يَشَاءُ، وَيَخْتَارُ مَا يُرِيدُ، وَيَحْكُمُ مَا يَشَاءُ، وَهُوَ الْحَكِيمُ الْعَلِيمُ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ لَا يَدْخُلُوا الْمَدِينَةَ مِنْ بَابٍ وَاحِدٍ، وَلَكِنْ لِيَدْخُلُوا مِنْ أَبْوَابٍ مُتَفَرِّقَةٍ. قِيلَ: أَرَادَ أَنْ لَا يُصِيبَهُمْ أَحَدٌ بِالْعَيْنِ، وَذَلِكَ؛ لِأَنَّهُمْ كَانُوا أَشْكَالًا حَسَنَةً، وَصُوَرًا بَدِيعَةً قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَمُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ، وَقَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَالضَّحَّاكُ. وَقِيلَ: أَرَادَ أَنْ يَتَفَرَّقُوا لَعَلَّهُمْ يَجِدُونَ خَبَرًا لِيُوسُفَ أَوْ يُحَدَّثُونَ عَنْهُ بِأَيْسَرِ شَيْءٍ قَالَهُ إِبْرَاهِيمُ النَّخَعِيُّ. وَالْأَوَّلُ أَظْهَرُ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {وَمَا أُغْنِي عَنْكُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ} [يوسف: 67] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَمَّا دَخَلُوا مِنْ حَيْثُ أَمَرَهُمْ أَبُوهُمْ مَا كَانَ يُغْنِي عَنْهُمْ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا حَاجَةً فِي نَفْسِ يَعْقُوبَ قَضَاهَا وَإِنَّهُ لَذُو عِلْمٍ لِمَا عَلَّمْنَاهُ وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ} [يوسف: 68] .
وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ بَعَثَ مَعَهُمْ هَدِيَّةً إِلَى الْعَزِيزِ مِنَ الْفُسْتُقِ وَاللَّوْزِ وَالصَّنَوْبَرِ وَالْبُطْمِ وَالْعَسَلِ، وَأَخَذُوا الدَّرَاهِمَ الْأُولَى، وَعَرْضًا آخَرَ.
{وَلَمَّا دَخَلُوا عَلَى يُوسُفَ آوَى إِلَيْهِ أَخَاهُ قَالَ إِنِّي أَنَا أَخُوكَ فَلَا تَبْتَئِسْ بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ فَلَمَّا جَهَّزَهُمْ بِجَهَازِهِمْ جَعَلَ السِّقَايَةَ فِي رَحْلِ أَخِيهِ ثُمَّ أَذَّنَ مُؤَذِّنٌ أَيَّتُهَا الْعِيرُ إِنَّكُمْ لَسَارِقُونَ قَالُوا وَأَقْبَلُوا عَلَيْهِمْ مَاذَا تَفْقِدُونَ قَالُوا نَفْقِدُ صُوَاعَ الْمَلِكِ وَلِمَنْ جَاءَ بِهِ حِمْلُ بَعِيرٍ وَأَنَا بِهِ زَعِيمٌ قَالُوا تَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُمْ مَا جِئْنَا لِنُفْسِدَ فِي الْأَرْضِ وَمَا كُنَّا سَارِقِينَ قَالُوا فَمَا جَزَاؤُهُ إِنْ كُنْتُمْ كَاذِبِينَ قَالُوا جَزَاؤُهُ مَنْ وُجِدَ فِي رَحْلِهِ فَهُوَ جَزَاؤُهُ كَذَلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ فَبَدَأَ بِأَوْعِيَتِهِمْ قَبْلَ وِعَاءِ أَخِيهِ ثُمَّ اسْتَخْرَجَهَا مِنْ وِعَاءِ أَخِيهِ كَذَلِكَ كِدْنَا لِيُوسُفَ مَا كَانَ لِيَأْخُذَ أَخَاهُ فِي دِينِ الْمَلِكِ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ نَرْفَعُ دَرَجَاتٍ مَنْ نَشَاءُ وَفَوْقَ كُلِّ ذِي عِلْمٍ عَلِيمٌ قَالُوا إِنْ يَسْرِقْ فَقَدْ سَرَقَ أَخٌ لَهُ مِنْ قَبْلُ فَأَسَرَّهَا يُوسُفُ فِي نَفْسِهِ وَلَمْ يُبْدِهَا لَهُمْ قَالَ أَنْتُمْ شَرٌّ مَكَانًا وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا تَصِفُونَ قَالُوا يَاأَيُّهَا الْعَزِيزُ إِنَّ لَهُ أَبًا شَيْخًا كَبِيرًا فَخُذْ أَحَدَنَا مَكَانَهُ إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ قَالَ مَعَاذَ اللَّهِ أَنْ نَأْخُذَ إِلَّا مَنْ وَجَدْنَا مَتَاعَنَا عِنْدَهُ إِنَّا إِذًا لَظَالِمُونَ} [يوسف: 69]
[يُوسُفَ: 69 - 79] .
পৃষ্ঠা - ৪৯১
তারা বলল, তোমরা যদি মিথ্যাবাদী হও৩ তা হলে এর কি শাস্তি হবে? তারা বলল, এর
শাস্তি যার মালপত্রের মধ্যে পা ৷ত্রটি পাওয়া যাবে সে-ই৩ তার বিনিময় ৷ আমরা এভাবেই
সীমা ৎঘনকা ৷রীদের শাস্তি দিয়ে থাকি ৷
এটা ছিল তাদের শরীয়তে ব বিধান যে, যার মাল চুরি করবে, তার কাছেই চোরকে অর্পণ
করা হবে ৷ ট্রু ণ্প্রুএে৷ ! $);; এ৷ ৷;াহ্র (এভাবেই আমরা সীমালংঘনকারীদের শাস্তি দিয়ে
থাকি ৷) আল্লাহ বলেন:
(অতঃপর সে তার সহােদরের মালপত্র তল্লাশির পুর্বে ওদের মালপত্র তল্লাশি করতে
লাগল ৷ পরে তার সহােদরের মালপত্রের মধ্য হতে পাত্রটি বের করল) এরুপ করার কারণ হল,
অপবাদ থেকে বাচা এবং সন্দেহমুক্ত কৌশল অবলম্বন করা ৷ আল্লাহ বলেন :
এেচুর্চুা৷া১<
(এ ভাবে আমি ইউসুফের জন্যে কৌশল করিয়ে দিয়েছিলাম ৷ অন্যথায় বাদশাহর আইনে
তার সহোদরকে সে আটক করতে পারত না ৷) অর্থাৎ৩ রা৷ যদি নিজেরা এ কথা স্বীক৷ ৷র না
করত যে, যার মালপত্রের মধ্যে পাওয়া যাবে, সে-ই তার বিনিময় হবে; তবে মিসরের
বাদশাহর প্রচলিত আইনে তাকে ইউসুফ (আ) আটকে রাখতে পারতেন না ৷
১া)
(তবে যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন৩ তণ্ডাহলে ভিন্ন কথা ৷ আমি যাকে ইচ্ছা মর্যাদায় উন্নীত কবি)
অর্থাৎ জ্ঞ৷ ৷নের ক্ষেত্রে ৷ণ্; ষ্ট্রণুব্লু é; র্চুর্ন্ত র্দুদ্বুপুশুর্চুাঠু (প্রত্যেক জ্ঞ নাবান ব্যক্তির উপরে রয়েছেন
সর্বজ্ঞ-ানী ৷) কেননা ইউস্মির্ঘছুম (আ )ছিলেন তাদের চেয়ে অধিক জ্ঞানী ৷ মতামত ৩দান, সিদ্ধান্ত
গ্রহণ, দৃঢ়তা ও বিচক্ষণতায়৩ তিনি ছিলেন অধিক প রঙ্গম ৷ আর এ ব্যাপারে তিনি যা কিছু
করেছেন তা আল্লাহর নির্দেশন্ ক্রমেই করেছেন ৷ কারণ, এর উপর ভিত্তি করেই সৃষ্ট পরিবেশে
পরবর্তীতে তার পিতা ৷ও পবিবারবর্গ এবং প্রতিনিধি দলের সেদেশে আগমনের সুযোগ হয় ৷ যা
হোক, ভাইয়েরা যখন বিনয়ামীহ্রনবুমালপত্রের মধ্য থেকে পানপাএ বের করা প্রত্যক্ষ করল
তখন তারা ৷ (সে যদি চুরি করে থাকে তবে
তার সহোদরও তো ইতিপুর্বে চুরি করেছিল ৷) সহোদয় বলতে তারা ইউসুফ (আ ) কেই
বৃঝাচ্ছিল ৷ কথিত আছে যে, হযরত ৩ইউসৃফ (আ ) একবার তার না না৷র একটি মুর্তি চুরি করে
এনে ভেঙ্গে ফেলেছিলেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, ইউসুফ (আ) এর প্ৰতি অধিক স্নেহ-
ভালবাসার টানে তার ফুফু তার ছোটবেলায় নিজের কাছে রেখে লালন-পালন করার জন্যে
কৌশল হিসেবে ইসহাকের একটি কোমরবন্দ গোপনে ইউসুফ (আ)-এর কাপড়ের মধ্যে বেধে
রাখেন ৷ ইউসুফ (আ) তা টের পাননি ৷ পরে কোমরবন্দটির সন্ধান করা হলে ইউসুফের
কাপড়ের মধ্যে তা পাওয়া যায় ৷ তাদের কথায় এ দিকেই ইৎগিত ছিল ৷ কেউ কেউ বলেছেন :
ইউসুফ ঘর থেকে খাদ্য নিয়ে গোপনে ভিক্ষুকদেবকে আহার করাতেন ৷ এছাড়া এ প্রসঙ্গে আরও
বিভিন্ন ঘটনা বিভিন্নজনে বলেছেন ৷ এজনােই :
يَذْكُرُ تَعَالَى مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ حِينَ دَخَلُوا بِأَخِيهِمْ بِنْيَامِينَ عَلَى شَقِيقِهِ يُوسُفَ، وَإِيوَائِهِ إِلَيْهِ وَإِخْبَارِهِ لَهُ سِرًّا عَنْهُمْ بِأَنَّهُ أَخُوهُ، وَأَمْرِهِ بِكَتْمِ ذَلِكَ عَنْهُمْ، وَسَلَّاهُ عَمَّا كَانَ مِنْهُمْ مِنَ الْإِسَاءَةِ إِلَيْهِ، ثُمَّ احْتَالَ عَلَى أَخْذِهِ مِنْهُمْ، وَتَرْكِهِ إِيَّاهُ عِنْدَهُ دُونَهُمْ، فَأَمَرَ فِتْيَانَهُ بِوَضْعِ سِقَايَتِهِ، وَهِيَ الَّتِي كَانَ يَشْرَبُ بِهَا، وَيَكِيلُ بِهَا لِلنَّاسِ الطَّعَامَ مِنْ عِزَّتِهِ فِي مَتَاعِ بِنْيَامِينَ، ثُمَّ أَعْلَمَهُمْ بِأَنَّهُمْ قَدْ سَرَقُوا صُوَاعَ الْمَلِكِ، وَوَعَدَهُمْ جِعَالَةً عَلَى رَدِّهِ حِمْلَ بَعِيرٍ، وَضَمِنَهُ الْمُنَادِي لَهُمْ فَأَقْبَلُوا عَلَى مَنِ اتَّهَمَهُمْ بِذَلِكَ فَأَنَّبُوهُ، وَهَجَّنُوهُ فِيمَا قَالَهُ لَهُمْ، وَقَالُوا: {تَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُمْ مَا جِئْنَا لِنُفْسِدَ فِي الْأَرْضِ وَمَا كُنَّا سَارِقِينَ} [يوسف: 73] . يَقُولُونَ: أَنْتُمْ تَعْلَمُونَ مِنَّا خِلَافَ مَا رَمَيْتُمُونَا بِهِ مِنَ السَّرِقَةِ {قَالُوا فَمَا جَزَاؤُهُ إِنْ كُنْتُمْ كَاذِبِينَ قَالُوا جَزَاؤُهُ مَنْ وُجِدَ فِي رَحْلِهِ فَهُوَ جَزَاؤُهُ كَذَلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ} [يوسف: 74] . وَهَذِهِ كَانَتْ شَرِيعَتَهُمْ أَنَّ السَّارِقَ يُدْفَعُ إِلَى الْمَسْرُوقِ مِنْهُ؛ وَلِهَذَا قَالُوا: {كَذَلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ} [يوسف: 75] . قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَبَدَأَ بِأَوْعِيَتِهِمْ قَبْلَ وِعَاءِ أَخِيهِ ثُمَّ اسْتَخْرَجَهَا مِنْ وِعَاءِ أَخِيهِ} [يوسف: 76] . لِيَكُونَ ذَلِكَ أَبْعَدَ لِلتُّهْمَةِ وَأَبْلَغَ فِي الْحِيلَةِ، ثُمَّ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كَذَلِكَ كِدْنَا لِيُوسُفَ مَا كَانَ لِيَأْخُذَ أَخَاهُ فِي دِينِ الْمَلِكِ} [يوسف: 76] . أَيْ لَوْلَا اعْتِرَافُهُمْ بِأَنَّ جَزَاءَهُ مَنْ وُجِدَ
পৃষ্ঠা - ৪৯২
(তারা বলল, যে যদি চুরি করে থাকে,ত তবে ইতিপুর্বেত তার সহােদরও তো চুরি করেছিল
কিত্তু প্রকৃত ব্যাপার ইউসুফ নিজের মনেরম মট্রুধ্য গোপন করে রাখল ৷) সেই গোপন কথাটি এই
৷ (তোমাদের অবস্থা তাে হীনতর এবং
আল্লাহ ঐ বিষয়ে খুবই অবহিত যা৫ তামরা ব্যক্ত করছ ৷) ইউসুফ (আ) এ কথা মনে মনে
বললেন, প্রকাশ করলেন ন ৷ তিনি সহনশীলতড়া র সাথে তাদেরকে ক্ষমা ও উপেক্ষা করেন এবং
সেই সুযোগে তারা দয়া ও করুণা লাভের উদ্দেশ্যে বলল ং
তারা বলল, হে আযীয! এর পিতা আছেন অতিশয় বৃদ্ধ ৷ সুতরাং এর স্থলে আপনি
আমাদের একজনকে রাখুন ৷ আমরা আপনাকে একজন মহানুভব ব্যক্তি হিসেবে দেখছি ৷ সে
বলল : যার কাছে আমাদের মাল পেয়েছি তাকে ছাড়া অন্যকে রাখার অপরাধ হতে আমরা
আল্লাহর কাছে পানড়াহ চাই ৷ এরুপ করলে আমরা অবশ্যই জালিমে পরিণত হব ৷ (১২ :
৭ ৮ ৭ ৯ )
অর্থাৎ আমরা যদি অপরাধীকে ছেড়ে দেই এবং নিরপরাধকে আটক রাখি তাহলে সেটা
হবে সীমালংঘন ৷ এটা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ বরং মাল যার কাছে পাওয়া গেছে
তাকেই আমরা আটকে রাখব ৷ আহলি কিতড়াবদের মতে, এই সময়ই ইউসুফ (আ) তাদের
কাছে নিজের পরিচয় ব্যক্ত করেন ৷ কিন্তু এটা তাদের মারাত্মক ভুল, প্রকৃত ব্যাপার তারা
মোটেই বুঝেনি ৷ আল্লাহ্ বলেনং
ণ্ব্লু
”
মোঃ
ট্রুন্ধ্,ধ্; é“ ৷
স্এট্রপ্ত
ঠেধ্
ধ্ান্থ
দি
)এৰুষ্
فِي رَحْلِهِ فَهُوَ جَزَاؤُهُ لَمَا كَانَ يَقْدِرُ يُوسُفُ عَلَى أَخْذِهِ مِنْهُمْ فِي سِيَاسَةِ مَلِكِ مِصْرَ {إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ نَرْفَعُ دَرَجَاتٍ مَنْ نَشَاءُ} [يوسف: 76] . أَيْ فِي الْعِلْمِ {وَفَوْقَ كُلِّ ذِي عِلْمٍ عَلِيمٌ} [يوسف: 76] . وَذَلِكَ؛ لِأَنَّ يُوسُفَ كَانَ أَعْلَمَ مِنْهُمْ وَأَتَمَّ رَأْيًا وَأَقْوَى عَزْمًا وَحَزْمًا، وَإِنَّمَا فَعَلَ مَا فَعَلَ عَنْ أَمْرِ اللَّهِ لَهُ فِي ذَلِكَ؛ لِأَنَّهُ يَتَرَتَّبُ عَلَى هَذَا الْأَمْرِ مَصْلَحَةٌ عَظِيمَةٌ بَعْدَ ذَلِكَ مِنْ قُدُومِ أَبِيهِ وَقَوْمِهِ عَلَيْهِ وَوُفُودِهِمْ إِلَيْهِ، فَلَمَّا عَايَنُوا اسْتِخْرَاجَ الصُّوَاعِ مِنْ حِمْلِ بِنْيَامِينَ {قَالُوا إِنْ يَسْرِقْ فَقَدْ سَرَقَ أَخٌ لَهُ مِنْ قَبْلُ} [يوسف: 77] . يَعْنُونَ يُوسُفَ. قِيلَ: كَانَ قَدْ سَرَقَ صَنَمَ جَدِّهِ أَبِي أُمِّهِ فَكَسَرَهُ. وَقِيلَ: كَانَتْ عَمَّتُهُ قَدْ عَلَّقَتْ عَلَيْهِ بَيْنَ ثِيَابِهِ، وَهُوَ صَغِيرٌ، مِنْطَقَةً كَانَتْ لِإِسْحَاقَ، ثُمَّ اسْتَخْرَجُوهَا مِنْ بَيْنِ ثِيَابِهِ، وَهُوَ لَا يَشْعُرُ بِمَا صَنَعَتْ، وَإِنَّمَا أَرَادَتْ أَنْ يَكُونَ عِنْدَهَا، وَفِي حَضَانَتِهَا لِمَحَبَّتِهَا لَهُ. وَقِيلَ: كَانَ يَأْخُذُ الطَّعَامَ مِنَ الْبَيْتِ فَيُطْعِمُهُ الْفُقَرَاءَ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ. فَلِهَذَا قَالُوا: {إِنْ يَسْرِقْ فَقَدْ سَرَقَ أَخٌ لَهُ مِنْ قَبْلُ فَأَسَرَّهَا يُوسُفُ فِي نَفْسِهِ} [يوسف: 77] . وَهِيَ كَلِمَتُهُ بَعْدَهَا. وَقَوْلُهُ: {أَنْتُمْ شَرٌّ مَكَانًا وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا تَصِفُونَ} [يوسف: 77] . أَجَابَهُمْ سِرًّا لَا جَهْرًا حِلْمًا وَكَرَمًا وَصَفْحًا وَعَفْوًا فَدَخَلُوا مَعَهُ فِي التَّرَقُّقِ وَالتَّعَطُّفِ فَقَالُوا: {يَا أَيُّهَا الْعَزِيزُ إِنَّ لَهُ أَبًا شَيْخًا كَبِيرًا فَخُذْ أَحَدَنَا مَكَانَهُ إِنَّا نَرَاكَ مِنَ الْمُحْسِنِينَ قَالَ مَعَاذَ اللَّهِ أَنْ نَأْخُذَ إِلَّا مَنْ وَجَدْنَا مَتَاعَنَا عِنْدَهُ إِنَّا إِذًا لَظَالِمُونَ} [يوسف: 78] . أَيْ إِنْ أَطْلَقْنَا الْمُتَّهَمَ وَأَخَذْنَا الْبَرِيءَ هَذَا مَا لَا نَفْعَلُهُ وَلَا نَسْمَحُ بِهِ. وَإِنَّمَا نَأْخُذُ مَنْ وَجَدْنَا مَتَاعَنَا عِنْدَهُ.
وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ يُوسُفَ تَعَرَّفَ إِلَيْهِمْ حِينَئِذٍ. وَهَذَا مِمَّا غَلِطُوا فِيهِ وَلَمْ يَفْهَمُوهُ جَيِّدًا.
পৃষ্ঠা - ৪৯৩
,
§ ৰুদ্বু৷ ণ্এর্দু৷ ৷ ৰুটুৰুট্রু ট্রু,ব্লু ৷ট্রুশু,র্দুটুাদ্বু র্বৃার্চু ৰুএ;ষ্র্দুর্চুএক্ট্রট্রুভু ন্ ছুশুইর্চুপুর্দুঠু ৷ ট্রু শুদ্বুষ্পু ৷
যে fl ,
র্বৃ১দ্বুঝুব্লুাগ্র ন্আে ৰু৷ চুএ্যা ৰুওর্দু (),-০ এর্মওৰু
তারপর যখন তারা তার নিকট হতে সম্পুর্ণ নিরাশ হল, তখন তারা নির্জনে গিয়ে পরামর্শ
করতে লাগল ৷ ওদের মধ্যে যে বয়ােজ্যেষ্ঠ ছিল, সে বলল, তোমরা কি জান না যে, তোমাদের
পিতা তোমাদের কাছ থেকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার নিয়েছেন এবং পুর্বেও তোমরা ইউসুফের
ব্যাপারে ত্রুটি করেছিলে ৷ সুতরাং আমি কিছুতেই এ দেশ ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমার
পিতা আমাকে অনুমতি দেন অথবা আল্লাহ আমার জন্যে কোন ব্যবস্থা করেন এবং তিনিই
বিচারকের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ৷ তোমরা তোমাদের পিতার কাছে ফিরে যাও এবং বলবে, হে আমাদের
পিতা ! আপনার পুত্র চুরি করেছে এবং আমরা যা জানি তারই প্রত্যক্ষ বিবরণ দিলাম ৷ অদৃশ্যের
ব্যাপারে আমরা অবহিত ছিলাম না ৷ যে জনপদে আমরা ছিলাম তার অধিবাসীদের জিজ্ঞাসা
করুন এবং যে যাত্রীদলের সাথে আমরা এসেছি তাদেরকেও ৷ আমরা অবশ্যই সত্য বলছি ৷
ইয়াকুব বলল, না, তোমাদের মন তোমাদের জন্যে একটি কাহিনী সাজিয়ে দিয়েছে ৷
সুতরাং পুর্ণ ধৈর্যই শ্রেয়; হয়তো আল্লাহ তাদেরকে এক সঙ্গে আমার কাছে এসে দিবেন ৷ তিনি
সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় ৷ ’ সে তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বলল, আফসোস ইউসুফ এর
জন্যে ৷’ শোকে তার চক্ষুদ্বয় সাদা হয়ে গেল এবং সে ছিল অসহনীয় মনস্তাপে ক্লিষ্ট ৷ তারা
বলল, আল্লাহর শপথ ! আপনি তো ইউসুফ এর কথা ভুলবেন না যতক্ষণ না আপনি মুমুর্বু
হবেন, অথবা মৃত্যুবরণ করবেন ৷ ’ সে বলল, আমি আমার অসহনীয় বেদনা, আমার দুঃখ শুধু
আল্লাহর কাছে নিবেদন করছি এবং আমি আল্লাহর কাছ থেকে আমি যা তোমরা জান না ৷ হে
আমার পুত্রগণ ! তোমরা যাও, ইউসুফ ও তার সহােদরের অনুসন্ধান কর এবং আল্লাহর আশিস
থেকে তোমরা নিরাশ হয়ো না ৷ কারণ আল্লাহর আশিস হতে কেউই নিরাশ হয় না, কাফিরগণ
ব্যতীত ৷ (১২ : ৮০-৮৭)
আল্লাহ ইউসুফ (আ)-এর ভাইদের সম্পর্কে জানাচ্ছেন যে, যখন তারা বিনয়ামীনকে
ইউসুফ (আ)-এর হাত থেকে ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে নিরাশ হয়ে গেল, তখন পারস্পরিক
পরামর্শের জন্যে একটু দুরে সরে গিয়ে মিলিত হল ৷ তখন তাদের মধ্যে বয়ােজেষ্ঠে রুবীল
বলল :
এ্যাগ্ন্হী ব্লে ,
(তোমরা কি জান না যে, তোমাদের পিতা তোমাদের কাছ থেকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার
নিয়েছেন এবং পুবেও তোমরা ইউসুফের ব্যাপারে
ত্রুটি করেছিলে) অর্থাৎ অবশ্য বিৎ তোমরা সে অঙ্গীকার রক্ষা কর নাই ৷ বরং তাতে ত্রুটি
করেছ ৷ যেমন তোমরা ইতিপুর্বে তার ভাই ইউসুফের ব্যাপারেও ত্রুটি করেছিলে ৷ এখন আমার
{فَلَمَّا اسْتَيْأَسُوا مِنْهُ خَلَصُوا نَجِيًّا قَالَ كَبِيرُهُمْ أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّ أَبَاكُمْ قَدْ أَخَذَ عَلَيْكُمْ مَوْثِقًا مِنَ اللَّهِ وَمِنْ قَبْلُ مَا فَرَّطْتُمْ فِي يُوسُفَ فَلَنْ أَبْرَحَ الْأَرْضَ حَتَّى يَأْذَنَ لِي أَبِي أَوْ يَحْكُمَ اللَّهُ لِي وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ ارْجِعُوا إِلَى أَبِيكُمْ فَقُولُوا يَاأَبَانَا إِنَّ ابْنَكَ سَرَقَ وَمَا شَهِدْنَا إِلَّا بِمَا عَلِمْنَا وَمَا كُنَّا لِلْغَيْبِ حَافِظِينَ وَاسْأَلِ الْقَرْيَةَ الَّتِي كُنَّا فِيهَا وَالْعِيرَ الَّتِي أَقْبَلْنَا فِيهَا وَإِنَّا لَصَادِقُونَ قَالَ بَلْ سَوَّلَتْ لَكُمْ أَنْفُسُكُمْ أَمْرًا فَصَبْرٌ جَمِيلٌ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَأْتِيَنِي بِهِمْ جَمِيعًا إِنَّهُ هُوَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ وَتَوَلَّى عَنْهُمْ وَقَالَ يَا أَسَفَى عَلَى يُوسُفَ وَابْيَضَّتْ عَيْنَاهُ مِنَ الْحُزْنِ فَهُوَ كَظِيمٌ قَالُوا تَاللَّهِ تَفْتَأُ تَذْكُرُ يُوسُفَ حَتَّى تَكُونَ حَرَضًا أَوْ تَكُونَ مِنَ الْهَالِكِينَ قَالَ إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ وَأَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ يَابَنِيَّ اذْهَبُوا فَتَحَسَّسُوا مِنْ يُوسُفَ وَأَخِيهِ وَلَا تَيْأَسُوا مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِنَّهُ لَا يَيْئَسُ مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْكَافِرُونَ} [يوسف: 80]
[يُوسُفَ: 80 - 87] .
يَقُولُ تَعَالَى مُخْبِرًا عَنْهُمْ أَنَّهُمْ لَمَّا اسْتَيْأَسُوا مِنْ أَخْذِهِ مِنْهُ خَلَصُوا يَتَنَاجَوْنَ فِيمَا بَيْنَهُمْ قَالَ كَبِيرُهُمْ وَهُوَ رُوبِيلُ: {أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّ أَبَاكُمْ قَدْ أَخَذَ عَلَيْكُمْ مَوْثِقًا مِنَ اللَّهِ} [يوسف: 80] . لَقَدْ أَخْلَفْتُمْ عَهْدَهُ وَفَرَّطْتُمْ فِيهِ، كَمَا فَرَّطْتُمْ فِي أَخِيهِ يُوسُفَ مِنْ قَبْلِهِ فَلَمْ يَبْقَ لِي وَجْهٌ أُقَابِلُهُ بِهِ {فَلَنْ أَبْرَحَ الْأَرْضَ} [يوسف: 80] . أَيْ لَا أَزَالُ مُقِيمًا هَاهُنَا {حَتَّى يَأْذَنَ لِي أَبِي} [يوسف: 80] . فِي الْقُدُومِ عَلَيْهِ: {أَوْ يَحْكُمَ اللَّهُ لِي} [يوسف: 80] . بِأَنْ يُقَدِّرَنِي عَلَى رَدِّ أَخِي إِلَى أَبِي {وَهُوَ خَيْرُ الْحَاكِمِينَ ارْجِعُوا إِلَى أَبِيكُمْ فَقُولُوا يَا أَبَانَا إِنَّ ابْنَكَ سَرَقَ} [يوسف: 80] . أَيْ أَخْبِرُوهُ بِمَا رَأَيْتُمْ مِنَ الْأَمْرِ فِي ظَاهِرِ الْمُشَاهَدَةِ {وَمَا شَهِدْنَا إِلَّا بِمَا عَلِمْنَا وَمَا كُنَّا لِلْغَيْبِ حَافِظِينَ وَاسْأَلِ الْقَرْيَةَ الَّتِي كُنَّا فِيهَا وَالْعِيرَ الَّتِي أَقْبَلْنَا فِيهَا} [يوسف: 81] . أَيْ فَإِنَّ هَذَا الَّذِي أَخْبَرْنَاكَ بِهِ مِنْ أَخْذِهِمْ
পৃষ্ঠা - ৪৯৪
সামনে এমন কোন উপায় নেই যা নিবুয় পিতার সামনে দাড়াব ৷ ওেএ ১৷ ৷ ব্লু ); ৷ ,;;
(সুতরাং আমি কিছুতেই এ দেশ ত্যাগ করব না) অর্থাৎ আমি এ দেশেই স্থায়িভাবে থেকে যাব
; ৷ গ্রোা ৰু,;;র্বৃ ;ণ্ (যতক্ষণ না আমার পিতা আমাকে অনুমতি দেন ৷) অর্থাৎ তার কাছে
যাওয়ার ৷ ;;এ পৌরুর্দু৷ ৷ ,;হ্র;গ্লু ৷ (অথবা আল্লাহ আমার জন্যে বুক ন ব্যবস্থা করেন ৷) যেমন
পিতার কাছে ভাইকে ফিরিয়ে নেয়ার কোন উপায় যদি বের কবুর দেন ৷ §§;’ ;এে^;
) হু;;ষ্কৃা;৷ ৷ (তিনিই শ্রেষ্ঠ ফয়সালাদানকারী) ৷ ;, ; ৷ ;; ৷দ্বু; ট্রুৰু;র্দু ন্£ ; ৷ পে ৷ ৷ৰু,;১ ) ৷
ঠুর্চু;শুণ্ ;াৰু৷ “ ৷ (তোমরা তোমাদের পিতার কাছে ফিরে যাও এবং বল হে পিতা! আপনার
পুত্র চুরি করেছে ৷) অর্থাৎ তোমরা যা প্রত্যক্ষ কবুরছ৩ তাই পিতার কাছে গিয়ে বল ৷
ষ্ষ্ক্ট্র;াব্লুব্লুা; যা জানি তারই
প্রত্যক্ষ বিবরণ্৷ দিলাম ৷ অদৃশ্যের ব্যাপারে আমরা অবহিত ছিলাম না ৷) ম্বু;ণ্;^৷ ৷ ৮া£;^ঠু
৷ (যে জনপবুদ আমরা ছিলাম তার
অধিবাসীদের আপনি জিজ্ঞেস করুন এবং যে যাত্রীদলের সাথে আমরা এসেছি তাদেরকেও)
অর্থাৎ আমরা আপনাকে এই সংবাদ দিলাম যে, আমাদের তাই চুরি করে ধরা পড়েছে এটা
মিসরে সর্বত্র রবুট গেছে এবং যে কাফেলার সাথে আমরা এবুসছি৩াবুদর এ ঘটনাটি জানা
আছে ৷ কেননা তখন তারা সেখাবুন আমাদের সাথেই ছিল ৷ ’ দ্বুশুছু;;;পু ; ৷ , (আমরা
অবশ্যই সত্য বলছি ৷) ,);র্বৃ();ন্ (ইয়াকুব
বলল, না তোমাদের মন তোমাদের জন্য একটি কাহিনী সাজিয়ে দিয়েছে ৷ সুতরাং পুর্ণ ধৈর্যই
প্রেয় ৷) অর্থাৎ তোমরা যা বলছ আসল ঘটনাত ৷নয় ৷ সে চুরি করেনি ৷ কেননা, তার
স্বভাব-চরিত্র এ রকম নয় ৷ বরং এটা তােমাদেরই একটা সাজান গল্প ৷ অতএব, ধৈর্য অবলম্বনই
ণ্শ্রয়
ইবন ইসহাক (র) প্রমুখ বলেছেন, ইউসুফ (আ) এর ব্যাপারে সীমালংঘবুনর পরে তার
ভাইয়ের৷ যখন বিনয়াযীবুনর সাথেও অসদ ব্যবহার করতে শুরু কবুর তখন পিতা ইয়াকুব (আ)
উপবুরাক্ত কথা বলেন ৷ প্রাচীনকালের কোন কোন পণ্ডিবুতর উক্তি ;১;; ব্লু;;;;৷ ৷ ৷ );
মন্দের পরবর্তী প্রতিফল মন্দই ৰুয়ে থাকে ৷ অতঃপর হযরত ইয়াকুব (আ ) বলেন: ;শু;
ন্প্লু ণুৰু;ছুচুৰুর্ভু ৷ ধ্া৷ ৷ (হয়তো আল্লাহ তাদেরকে এক সঙ্গে আমার কাছে এসে
দেবেন ৷) অর্থাৎ ইউসুফ, বিনয়ামীন ও রুবীলবুক ৷ ব্লণুা;া ৷ ব্লুা১ ধ্; ৷ (নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ ৷)
অর্থাৎ প্রিয়জনদের বিরবুহ আমি যে অবস্থায় পতিত হয়েছি তা তিনি সম্যক অবগত চুর্দুব্লুএ ৷
(প্রজ্ঞাময়) অর্থাৎ তিনি যা ফয়সাল৷ ও বাস্তবায়ন করবেন তা অত্যন্ত প্ৰজ্ঞার৷ সাথে করবেন ৷
চুড়ান্ত কৌশল ও অলং ঘনীয় দলীলের অধিকারী একমাত্র তিনিই ৷ ন্ছু;; শুর্দুা প্রু;প্রু ( এবং সে
তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল ৷) অর্থাৎ ইয়াকুব (আ) পুত্রবুদর দিক থেকে মুখ ফিরিবুয়
নিয়ে বললেন: ;;;শুক্কু; ষ্;ব্লু শু;াদ্বুা৷শু ৷-া৷ট্টট্ট,; (হায়! আফসোস ইউসুফের জন্যে ৷) পুবুর্বর
দুঃখের সাথে নতন দুঃখের উল্লেখ করছেন এবং যে ব্যথা ৷টি সুপ্ত ছিলত তা পুনরায় উজ্জীবিত হয়ে
ওঠে ৷ জনৈক করি বলেছেন :
,,াগ্লু১৷ ৷ @;
أَخَانَا لِأَنَّهُ سَرَقَ أَمْرٌ اشْتَهَرَ بِمِصْرَ، وَعَلِمَهُ الْعِيرُ الَّتِي كُنَّا نَحْنُ وَهُمْ هُنَاكَ {وَإِنَّا لَصَادِقُونَ قَالَ بَلْ سَوَّلَتْ لَكُمْ أَنْفُسُكُمْ أَمْرًا فَصَبْرٌ جَمِيلٌ} [يوسف: 82] . أَيْ لَيْسَ الْأَمْرُ كَمَا ذَكَرْتُمْ لَمْ يَسْرِقْ فَإِنَّهُ لَيْسَ بِسَجِيَّةٍ لَهُ، وَلَا خُلُقَهُ، وَإِنَّمَا {سَوَّلَتْ لَكُمْ أَنْفُسُكُمْ أَمْرًا فَصَبْرٌ جَمِيلٌ} [يوسف: 83] .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، وَغَيْرُهُ: لَمَّا كَانَ التَّفْرِيطُ مِنْهُمْ فِي بِنْيَامِينَ مُتَرَتِّبًا عَلَى صَنِيعِهِمْ فِي يُوسُفَ قَالَ لَهُمْ مَا قَالَ. وَهَذَا كَمَا قَالَ بَعْضُ السَّلَفِ: إِنَّ مِنْ جَزَاءِ السَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ بَعْدَهَا. ثُمَّ قَالَ: {عَسَى اللَّهُ أَنْ يَأْتِيَنِي بِهِمْ جَمِيعًا} [يوسف: 83] . يَعْنِي يُوسُفَ وَبِنْيَامِينَ وَرُوبِيلَ إِنَّهُ هُوَ الْعَلِيمُ. أَيْ بِحَالِي، وَمَا أَنَا فِيهِ مِنْ فِرَاقِ الْأَحِبَّةِ الْحَكِيمُ فِيمَا يُقَدِّرُهُ وَيَفْعَلُهُ وَلَهُ الْحِكْمَةُ الْبَالِغَةُ وَالْحُجَّةُ الْقَاطِعَةُ {وَتَوَلَّى عَنْهُمْ} [يوسف: 84] أَيْ أَعْرَضَ عَنْ بَنِيهِ {وَقَالَ يَا أَسَفَى عَلَى يُوسُفَ} [يوسف: 84] .
ذَكَّرَهُ حُزْنُهُ الْجَدِيدُ بِالْحُزْنِ الْقَدِيمِ وَحَرَّكَ مَا كَانَ كَامِنًا، كَمَا قَالَ بَعْضُهُمْ:
نَقِّلْ فُؤَادَكَ حَيْثُ شِئْتَ مِنَ الْهَوَى ... مَا الْحُبُّ إِلَّا لِلْحَبِيبِ الْأَوَّلِ
وَقَالَ آخَرُ:
لَقَدْ لَامَنِي عِنْدَ الْقُبُورِ عَلَى الْبُكَا ... رَفِيقِي لِتَذْرَافِ الدُّمُوعِ السَّوَافِكِ
. فَقَالَ: أَتَبْكِي كُلَّ قَبْرٍ رَأَيْتَهُ ... لِقَبْرٍ ثَوَى بَيْنَ اللِّوَى فَالدَّكَادِكِ؟
পৃষ্ঠা - ৪৯৫
তুমি কামনার বশে তোমার হৃদয়কে যেথায় ইচ্ছা ফিরাতে পারে৷ ৷ কিন্তু প্রেমের বেলায়
প্রথম প্রেমিকই আসল ৷
অন্য এক করি বলেছেন :
এপ্াপ্রু৷ ৷ ব্লু,;া৷ এ্া,:এে এেদ্বুৰুশ্রু, — ড়াে ৷ ণ্ডুপু; ,, ন্;া৷ ঘ্নে;১১৷ ;ব্রা
এগুষ্কেএটী এেঞক্রো
গোরস্তানের কবরসমুহের কাছে গিয়ে আমার ত্রুন্দন ও অশ্রুপাত দেখে আমার বন্ধু
আমাকে তিরস্কার করল ৷ সে বলল : লিওয়া (বালির চিনি) ও দাকাদিকের (শক্তভুমির ) ম ধ্যবর্তী
যত কবর আছে তার মধ্যে যে কবরই নজরে পড়বে, সে কবরের পাশেই কি তুমি এভাবে
র্কাদতে থাকবে? আমি তাকে বললাম, দুঃখই দুঃথীজনকে পরিচালিত করে ৷ আমাকে আমার
কাজের উপর ছেড়ে দাও এখানে যত কবর আছে সবই আমার প্রেমাস্পদ মালিকের কবর
আল্লাহর বাণী: ষ্দ্বুছুপু ৷ ব্লু ৰুপ্লু ষ্£ ; ষ্দ্বু৷ (গােকে তার চোখ দু’টি সাদা হয়ে
দ্দোঅ-র্ঘ্যৎ মোঃকান্নাকাতিঃ ষদ্ল ৷ ,:,$, র্চু(এবং সে ছিল অসহনীয় মনস্তাপে
কাতর ৷) অর্থাৎ ইউসুফ (আ) এর জন্য অতিশয় শোক, তাপ ও অধীর আগ্নহে তিনি মুহ্যম)ন
হয়ে পড়েন ৷ পুত্রগণ যখন পিতাকে সন্তান হারাবার গােকে কাতর অবস্থায় দেখল তখন ৷ এ ও
(তারা বলল) অর্থাৎ পিতার প্ৰতি করুণারশে ও মমতাবােধে বলল০ ং
আপনি তো ইউসুফকে ভুলবেন না, যতক্ষণ না মুমুর্মু হবেন কিৎ বা বমৃত্যুবরণ করবেন ৷)
অর্থাৎ তারা বলছে, আপনি সর্বক্ষণ ইউসুফ (আ) কে স্মরণ করছেন ও শোক প্রকাশ করছেন ৷
ফলে দিন দিন আপনার শরীর শিথিল হয়ে যাচ্ছে ও শক্তি ক্ষয়ে যাচ্ছে ৷ এর চাইতে বরং নিজের
প্রতি কিছুটা লক্ষ্য রাখলেই আপনার জন্য ভাল হতো৷
&
ইয়৷ কুব বলল, আমি আমার অসহনীয় বেদনা ও আমার দুঃখ শুধু আল্লাহর নিকট নিবেদন
করছি এবং আমি আল্লাহর নিকট থেকে এমন কিছু জানি যা তোমরা জান না ৷ ’ অর্থাৎ পিতা
তার পুএদেরকে বলছেন : আমি যে দুঃখ-যাতনার মধ্যে আছি তার অনুযােগ না তোমাদের
কাছে করছি, না অন্য কারও কাছে বরং আমার অনুযােগ আল্লাহর কাছেই ব্যক্ত করছি আর
আমি জানি যে, আল্লাহ্ আমাকে এ অবস্থা থেকে মুক্তি দেবেন ও উদ্ধার করবেন ৷ আমি আরও
জানি যে, ইউসুফ (আ) এর স্বপ অবশ্যই৷ বাস্তবে পরিণত হয়ে এবং স্বপ্ন অনুযায়ী আমি ও
তোমরা তার উদ্দেশে সিজদারনত হবে৷ ৷ তা ৷ই তিনি বলেন: ১৷ ৷ ধ্া৷ ৷ ব্লুন্পু;ার্চু
’ মোঃ; (আমি আল্লাহর কাছ থেকে জানি যা তােমর৷ জান না ৷ ) তারপর তিনি পুত্রগণকে
ইউসুফ (আ) ও তার ভাইকে সন্ধান করার জন্যেও জনসমাজে তাদের ব্যাপারে আলোচনা
করার জন্যে উৎসাহিত করেন :
فَقُلْتُ لَهُ إِنَّ الْأَسَى يَبْعَثُ الْأَسَى فَدَعْنِي
فَهَذَا كُلُّهُ قَبْرُ مَالِكِ
وَقَوْلُهُ: {وَابْيَضَّتْ عَيْنَاهُ مِنَ الْحُزْنِ} [يوسف: 84] . أَيْ مِنْ كَثْرَةِ الْبُكَاءِ {فَهُوَ كَظِيمٌ} [يوسف: 84] أَيْ مُكْمَدٌ مِنْ كَثْرَةِ حُزْنِهِ، وَأَسَفِهِ وَشَوْقِهِ إِلَى يُوسُفَ، فَلَمَّا رَأَى بَنُوهُ مَا يُقَاسِيهِ مِنَ الْوَحْدَةِ، وَأَلَمِ الْفِرَاقِ. قَالُوا لَهُ عَلَى وَجْهِ الرَّحْمَةِ لَهُ، وَالرَّأْفَةِ بِهِ وَالْحِرْصِ عَلَيْهِ: {تَاللَّهِ تَفْتَأُ تَذْكُرُ يُوسُفَ حَتَّى تَكُونَ حَرَضًا أَوْ تَكُونَ مِنَ الْهَالِكِينَ} [يوسف: 85] . يَقُولُونَ: لَا تَزَالُ تَتَذَكَّرُهُ حَتَّى يَنْحَلَ جَسَدُكَ، وَتَضْعُفَ قُوَّتُكَ فَلَوْ رَفَقْتَ بِنَفْسِكَ كَانَ أَوْلَى بِكَ قَالَ: {إِنَّمَا أَشْكُو بَثِّي وَحُزْنِي إِلَى اللَّهِ وَأَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ} [يوسف: 86] . يَقُولُ لِبَنِيهِ: لَسْتُ أَشْكُو إِلَيْكُمْ، وَلَا إِلَى أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ مَا أَنَا فِيهِ، إِنَّمَا أَشْكُو إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَأَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ سَيَجْعَلُ لِي مِمَّا أَنَا فِيهِ فَرَجًا وَمَخْرَجًا، وَأَعْلَمُ أَنَّ رُؤْيَا يُوسُفَ لَا بُدَّ أَنْ تَقَعَ، وَلَا بُدَّ أَنْ أَسْجُدَ لَهُ أَنَا وَأَنْتُمْ حَسَبَ مَا رَأَى؛ وَلِهَذَا قَالَ: {وَأَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ} [يوسف: 86] ثُمَّ قَالَ لَهُمْ مُحَرِّضًا عَلَى تَطَلُّبِ يُوسُفَ وَأَخِيهِ وَأَنْ يَبْحَثُوا عَنْ أَمْرِهِمَا: {يَا بَنِيَّ اذْهَبُوا فَتَحَسَّسُوا مِنْ يُوسُفَ وَأَخِيهِ وَلَا تَيْأَسُوا مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِنَّهُ لَا يَيْأَسُ مِنْ رَوْحِ اللَّهِ إِلَّا الْقَوْمُ الْكَافِرُونَ} [يوسف: 87] . أَيْ لَا تَيْأَسُوا مِنَ الْفَرَجِ بَعْدَ الشِّدَّةِ فَإِنَّهُ لَا يَيْأَسُ مِنْ رَوْحِ اللَّهِ وَفَرَجِهِ وَمَا يُقَدِّرُهُ مِنَ الْمَخْرَجِ فِي الْمَضَايِقِ إِلَّا الْقَوْمُ الْكَافِرُونَ.
পৃষ্ঠা - ৪৯৬
ণ্ব্
া
হে পুত্রগণ! তোমরা যাও, ইউসুফ ও তা ৷র সহােদরের অনুসন্ধান কর এবং আল্লাহর রহমত
থেকে নিরাশ হয়ো না ৷ কেননা আল্লাহর রহমত থেকে কাফির ব্যতীত কেউ নিরাশ হয় না ৷
অর্থাৎ কঠিন অবস্থার পর মুক্তি পাওয়ার আশা থেকে নিরাশ হয়ো না ৷ কেননা, বিপদ ও
সংকটের পর তা থেকে আল্লাহর রহমতে উদ্ধার পাওয়ার ব্যাপারে কেবলমাত্র কাফিরর৷ ই নিরাশ
হতে পারে ৷
)
ট্রুম্বু৷ ৷
া
া
যখন তারা তার কাছে উপস্থিত হল তখন বলল, হে আষীয ! আমরা ও আমাদের
পরিবার-পরিজন বিপন্ন হয়ে পড়েছি এবং আমরা তুচ্ছ পণ্য নিয়ে এসেছি ৷ আপনি আমাদের
রসদ পুর্ণমাত্রায় দিন এবং আমাদেরকে দান করুন; আল্লাহ দাতাগণকে পুরস্কৃত করে থাকেন ৷
সে বলল, তোমরা কি জান, তোমরা ইউসুফ ও তার সহােদরের প্রতি কিরুপ আচরণ
করেছিলে ? যখন তোমরা ছিলে অজ্ঞ? ওরা বলল , তবে কি তুমিই ইউসুফ? সে বলল, আমিই
ইউসুফ এবং এ আমার সহােদর: আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন ৷ যে ব্যক্তি মুত্তাকী
এবং ধৈর্যশীল, আল্লাহ সেরুপ সত্কর্ম পরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করেন না ৷ ওরা বলল, আল্লাহর
শপথ ! আল্লাহ নিশ্চয় তোমাকে আমাদের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন এবং আমরা নিশ্চয়ই অপরাধী
ছিলাম ৷ সে বলল, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই ৷ আল্লাহ তােমাদেরকে ক্ষমা
করুন এবং তিনি দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু ৷ ওে ৷মরা আমার এ জামাটি নিয়ে যাও এবং এটি
আমার পিতার মুখমণ্ডলের উপর রাখবে ৷ তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন ৷ আর তোমাদের
পরিবারবর্গের সবাইকে আমার কাছে নিয়ে এস ৷’ ( ১ ২ ৮৮ ৯৩)
এখানে আল্লাহ ইউসুফ (আ) এর ভাইদের পুনরায় ইউসুফ (আ) এর কাছে গমন এবং
খাদ্যের বরাদ্দ ও অনুদান পাওয়ার আবেদন ও সেই সাথে বিনয়ামীনকে তাদের কাছে প্র৩ ৷র্পণর
অনুরোধ সম্পর্কে আলোচনা করছেন ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৬১-
{فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِ قَالُوا يَا أَيُّهَا الْعَزِيزُ مَسَّنَا وَأَهْلَنَا الضُّرُّ وَجِئْنَا بِبِضَاعَةٍ مُزْجَاةٍ فَأَوْفِ لَنَا الْكَيْلَ وَتَصَدَّقْ عَلَيْنَا إِنَّ اللَّهَ يَجْزِي الْمُتَصَدِّقِينَ قَالَ هَلْ عَلِمْتُمْ مَا فَعَلْتُمْ بِيُوسُفَ وَأَخِيهِ إِذْ أَنْتُمْ جَاهِلُونَ قَالُوا أَئِنَّكَ لَأَنْتَ يُوسُفُ قَالَ أَنَا يُوسُفُ وَهَذَا أَخِي قَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْنَا إِنَّهُ مَنْ يَتَّقِ وَيَصْبِرْ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ قَالُوا تَاللَّهَ لَقَدْ آثَرَكَ اللَّهُ عَلَيْنَا وَإِنْ كُنَّا لَخَاطِئِينَ قَالَ لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ يَغْفِرُ اللَّهُ لَكُمْ وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ اذْهَبُوا بِقَمِيصِي هَذَا فَأَلْقُوهُ عَلَى وَجْهِ أَبِي يَأْتِ بَصِيرًا وَأْتُونِي بِأَهْلِكُمْ أَجْمَعِينَ} [يوسف: 88]
[يُوسُفَ: 88 - 93] .
يُخْبِرُ تَعَالَى عَنْ رُجُوعِ إِخْوَةِ يُوسُفَ إِلَيْهِ وَقُدُومِهِمْ عَلَيْهِ وَرَغْبَتِهِمْ فِيمَا لَدَيْهِ مِنَ الْمِيرَةِ وَالصَّدَقَةِ عَلَيْهِمْ بِرَدِّ أَخِيهِمْ بِنْيَامِينَ إِلَيْهِمْ، فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَيْهِ {قَالُوا يَا أَيُّهَا الْعَزِيزُ مَسَّنَا وَأَهْلَنَا الضُّرُّ} [يوسف: 88] . أَيْ مِنَ الْجَدْبِ وَضِيقِ الْحَالِ وَكَثْرَةِ الْعِيَالِ {وَجِئْنَا بِبِضَاعَةٍ مُزْجَاةٍ} [يوسف: 88] . أَيْ ضَعِيفَةٍ لَا يُقْبَلُ مِثْلُهَا مِنَّا إِلَّا أَنْ يُتَجَاوَزَ عَنَّا. قِيلَ: كَانَتْ دَرَاهِمَ رَدِيئَةً. وَقِيلَ: قَلِيلَةً. وَقِيلَ: حَبَّ الصَّنَوْبَرِ، وَحَبَّ الْبُطْمِ، وَنَحْوَ ذَلِكَ. وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانَتْ خَلَقَ الْغَرَائِرِ وَالْحِبَالِ، وَنَحْوَ ذَلِكَ. {فَأَوْفِ لَنَا الْكَيْلَ وَتَصَدَّقْ عَلَيْنَا إِنَّ اللَّهَ يَجْزِي الْمُتَصَدِّقِينَ} [يوسف: 88] . قِيلَ: بِقَبُولِهَا قَالَهُ السُّدِّيُّ. وَقِيلَ: بِرَدِّ أَخِينَا إِلَيْنَا قَالَهُ ابْنُ جُرَيْجٍ. وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ: إِنَّمَا حُرِّمَتِ الصَّدَقَةُ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَنَزَعَ بِهَذِهِ الْآيَةِ. رَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ. فَلَمَّا رَأَى مَا هُمْ فِيهِ مِنَ الْحَالِ، وَمَا جَاءُوا بِهِ مِمَّا لَمْ يَبْقَ عِنْدَهُمْ سِوَاهُ مِنْ ضَعِيفِ الْمَالِ تَعَرَّفَ إِلَيْهِمْ وَعَطَفَ عَلَيْهِمْ قَائِلًا لَهُمْ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ وَرَبِّهِمْ، وَقَدْ حَسَرَ لَهُمْ عَنْ جَبِينِهِ الشَّرِيفِ، وَمَا يَحْوِيهِ مِنَ الْخَالِ فِيهِ الَّذِي يَعْرِفُونَ {هَلْ عَلِمْتُمْ مَا فَعَلْتُمْ بِيُوسُفَ وَأَخِيهِ إِذْ أَنْتُمْ جَاهِلُونَ قَالُوا} [يوسف: 89] وَتَعَجَّبُوا كُلَّ الْعَجَبِ، وَقَدْ تَرَدَّدُوا إِلَيْهِ مِرَارًا عَدِيدَةً، وَهُمْ لَا يَعْرِفُونَ أَنَّهُ هُوَ {أَإِنَّكَ لَأَنْتَ يُوسُفُ قَالَ أَنَا يُوسُفُ وَهَذَا أَخِي} [يوسف: 90] .
পৃষ্ঠা - ৪৯৭
(যখন তারা ইউসুফের৷ ক ৷ছে উপস্থিত হল তখন বলল, হে আযীয ! আমরা ও আমাদের
পরিবার-পবিজন বিপন্ন হয়ে পড়েছি ৷) বিপন্ন হওয়ার কারণ দৃর্ভিক্ষ, দুরবস্থু৷ ও সন্তানাদির
সংখ্যাধিক্য ৷ স্কুার্দুণ্,£হ্ )রুছু£০ ৷;দ্বু (এবং আমরা সামান্য কিছু পণ্য নিয়ে এসেছি ৷)
অর্থাৎ অতি নগণ্য পণ্যমুল্য-র্য৷ ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি ছাড়া আমাদের থেকে গ্রহণ করার মত নয় ৷
নগণ্যের ব্যাথ্যায় কেউ বলেছেন, রদ্দী মুদ্রা; কেউ বলেছেন, কম পরিমাণ মুদ্র৷ আবার কেউ
বলেছেন, বাদাম, কফি বীজ ইত্যাদি ৷ ইবন আব্বাস (বা) থেকে বর্ণিত, তা ছিল কয়েকটি
খড়ের বস্তা ও রশি এবং এ রকম আরও কিছু ৷
(আপনি আমাদের বরাদ্দ পুর্ণমাত্রায়এ দিন এবং আমাদেরকে দান করুন ৷ আল্লাহ
দাতাদেরকে পুরস্কৃত করে থাকেন ৷)
সুদ্দী বলেছেন, এখানে দান বলতে তাদের নগণ্য পণ্যমুল্য গ্রহণ করা বুঝানো হয়েছে ৷
ইবন জুরায়জ বলেন, এখানে দান করুন বলতে বুঝানো হয়েছে, আমাদের ভাইকে আমাদের
কাছে ফিরিয়ে দিন ৷ সুফয়ান ইবন উওয়ায়ন৷ বলেন, আমাদের নবীর জন্যে সাদকা গ্রহণ যে
হারাম করা হয়েছে, তার দলীল নেয়া হয়েছে এই আয়াত থেকে ৷ ইবন জারীর (বা) এটি বর্ণনা
করেছেন ৷ শেষে হযরত ইউসুফ (আ) যখন দেখলেন, তাদের অবস্থা এই; যা কিছু তারা নিয়ে
এস্যেছ তা ছাড়া আর কিছুই তাদের কাছে নেই, তখন তিনি নিজের পরিচয় দিলেন, তাদের
প্রতি দয়া প্রদর্শন করলেন এবং৩ তাদের ও নিজের প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা ৷উল্লেখ করেন ৷
এ সময় হযরত ইউসুফ (আ)-এর কপালের একদিকে যে তিল ছিল তা আনাবৃত করে
দেখড়ালেন, যাতে তারা তা ৷কে সনাক্ত করতে পারে ৷ তিনি বললেন:
া
(তোমরা কি জন, তোমরা ইউসুফ ও তার সহোদরের প্ৰতি কিরুপ আচরণ করেছিলে?
যখন তোমরা ছিলে অজ্ঞ ৷ তারা বলল,) এ কথা শুনে তারা অতি আশ্চর্যানিত হয়ে গেল এবং
বারবার ইউসুফের প্ৰতি তাকাতে থাকে ৷ কিন্তু তারা বুঝে উঠতে পারছিল৷ না যে, এ ব্যক্তিই
সে ৷ ঠুাট্র ৷ ন্ (তবে কি তুমিই ইউসুফ? সে
বলল, আমিই ইউসুফ এবং এই আমার সহোদর ভাই ৷) অর্থাৎ আমি সেই ইউসুফ যার সাথে
তোমরা ঐ আচরণ করেছিলে এবং পুর্বে যার প্ৰতি অত্যাচার করেছিলে ৷ শু৷ ৷ ৷;া১ ( এই
আমার ভাই) কথাটি পুর্বের কথাকে জোরালো করার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে এবং এদের দুই
ভাইয়ের প্ৰতি তাদের মনে যে হিং স৷ লুক্কায়িত ছিল আর যেসব ষড়যন্ত্র flংfl?fififi@®¥(fi§
বিরুদ্ধে পাকিয়েছিল যে দিকে এর দ্বারা ইঙ্গিত করা হয়েছে ৷৩ তাই তিনি বলেছেন: ,দ্বু ৰু;
এে£ এ৷ ৷ (আল্লাহ আমাদের প্রতি ৩অনুগ্রহ করেছেন ৷) অর্থাৎ আমাদের প্ৰতি আল্লাহর কৃপা,
দান, অনুকম্পা বর্ষিত হয়েছে ৷ আমাদেরকে তিনি সম্মানের আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৷ আর
এটা আমাদেরকে দিয়েছেন তার প্ৰতি আমাদের আনুগত্য, তোমাদের নিপীড়নে ধৈর্যধারণ,
পিতার সাথে সদাচরণ ও আমাদের প্রতি পিতার মহব্বত ও স্নেহের বদৌলতে ৷
يَعْنِي: أَنَا يُوسُفُ الَّذِي صَنَعْتُمْ مَعَهُ مَا صَنَعْتُمْ، وَسَلَفَ مِنْ أَمْرِكُمْ فِيهِ مَا فَرَّطْتُمْ. وَقَوْلُهُ: {وَهَذَا أَخِي} [يوسف: 90] تَأْكِيدٌ لِمَا قَالَ وَتَنْبِيهٌ عَلَى مَا كَانُوا أَضْمَرُوا لَهُمَا مِنَ الْحَسَدِ، وَأَعْمَلُوا فِي أَمْرِهِمَا مِنَ الِاحْتِيَالِ؛ وَلِهَذَا قَالَ: {قَدْ مَنَّ اللَّهُ عَلَيْنَا} [يوسف: 90] . أَيْ بِإِحْسَانِهِ إِلَيْنَا، وَصَدَقَتِهِ عَلَيْنَا، وَإِيوَائِهِ لَنَا، وَشَدِّهِ مَعَاقِدَ عِزِّنَا، وَذَلِكَ بِمَا أَسْلَفْنَا مِنْ طَاعَتِهِ، وَصَبْرِنَا عَلَى مَا كَانَ مِنْكُمْ إِلَيْنَا، وَطَاعَتِنَا وَبِرِّنَا لِأَبِينَا، وَمَحَبَّتِهِ الشَّدِيدَةِ لَنَا، وَشَفَقَتِهِ عَلَيْنَا {إِنَّهُ مَنْ يَتَّقِ وَيَصْبِرْ فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجْرَ الْمُحْسِنِينَ قَالُوا تَاللَّهِ لَقَدْ آثَرَكَ اللَّهُ عَلَيْنَا} [يوسف: 90] . أَيْ فَضَّلَكَ، وَأَعْطَاكَ مَا لَمْ يُعْطِنَا: {وَإِنْ كُنَّا لَخَاطِئِينَ} [يوسف: 91] . أَيْ فِيمَا أَسْدَيْنَا إِلَيْكَ، وَهَا نَحْنُ بَيْنَ يَدَيْكَ {قَالَ لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ} [يوسف: 92] . أَيْ لَسْتُ أُعَاتِبُكُمْ عَلَى مَا كَانَ مِنْكُمْ بَعْدَ يَوْمِكُمْ هَذَا، ثُمَّ زَادَهُمْ عَلَى ذَلِكَ، فَقَالَ: {يَغْفِرُ اللَّهُ لَكُمْ وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ} [يوسف: 92] .
وَمَنْ زَعَمَ أَنَّ الْوَقْفَ عَلَى قَوْلِهِ: {لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ} [يوسف: 92] . وَابْتَدَأَ بِقَوْلِهِ: {الْيَوْمَ يَغْفِرُ اللَّهُ لَكُمْ} [يوسف: 92] . فَقَوْلُهُ ضَعِيفٌ، وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. ثُمَّ أَمَرَهُمْ بِأَنْ يَذْهَبُوا بِقَمِيصِهِ، وَهُوَ الَّذِي يَلِي جَسَدَهُ فَيَضَعُوهُ عَلَى عَيْنَيْ أَبِيهِ فَإِنَّهُ يَرْجِعُ إِلَيْهِ بَصَرُهُ بَعْدَ مَا كَانَ ذَهَبَ بِإِذْنِ اللَّهِ، وَهَذَا مِنْ خَوَارِقِ الْعَادَاتِ وَدَلَائِلِ النُّبُوَّاتِ وَأَكْبَرِ الْمُعْجِزَاتِ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَتَحَمَّلُوا بِأَهْلِهِمْ أَجْمَعِينَ إِلَى دِيَارِ مِصْرَ إِلَى الْخَيْرِ وَالدَّعَةِ وَجَمْعِ الشَّمْلِ بَعْدَ الْفُرْقَةِ عَلَى أَكْمَلِ الْوُجُوهِ، وَأَعْلَى الْأُمُورِ.
{وَلَمَّا فَصَلَتِ الْعِيرُ قَالَ أَبُوهُمْ إِنِّي لَأَجِدُ رِيحَ يُوسُفَ لَوْلَا أَنْ تُفَنِّدُونِ قَالُوا تَاللَّهِ إِنَّكَ لَفِي ضَلَالِكَ الْقَدِيمِ فَلَمَّا أَنْ جَاءَ الْبَشِيرُ أَلْقَاهُ عَلَى وَجْهِهِ فَارْتَدَّ بَصِيرًا قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ قَالُوا يَاأَبَانَا اسْتَغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا إِنَّا كُنَّا خَاطِئِينَ قَالَ سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ} [يوسف: 94]
[يُوسُفَ: 94 - 98] .
পৃষ্ঠা - ৪৯৮
( গ্রে
া
(যে ব্যক্তি মুত্তাকী ও ধৈর্যশীল ৷ আল্লাহ সেরুপ সৎকর্ম পরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করেন
না ৷ তারা বলল, আল্লাহর শপথ, আল্লাহ তোমাকে আমাদের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন ৷)
অর্থাৎ আল্লাহ তােমা৫ক মর্যাদা দান করেছেন, অনুগ্রহ করেছেন যা আমাদের প্রতি করেন
মিংর্চু,ট্রু১৬াঠুর্দু৷ র্দুষু ৷এ (আমরা নিশ্চয়ই অপরাধী ছিলাম ৷) অর্থাৎ পুর্বে তোমার সাথে যা
করেছি তাতে আমরাই ছিলাম অপরাধী ৷ আর এখন তো তোমার সম্মু৫খই আমরা আসামীর
কাঠগড়ায় হাযির ৷ র্মুএে (সে বলল, আজ তোমাদের বিরুদ্ধে
কোন অভিযোগ ৫নই ৷) অর্থাৎ তোমরা যা কিছু করেছ তার কোন প্ৰতিশো ৷ধ আমি ৫নব না ৷
এরপর আরও বাড়িয়ে বললেন (আল্লাহ
তোমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং তিনি দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু) ৷ কারও কারও মতে
^ ষ্“প্রুপু;ও ১৷ এর উপর ওয়াকফ (অর্থাৎ তোমাদের উপর কোন অভিযোগ নেই) এবং
ণ্ব্লুর্ট <া৷ ! )£এপুা ণ্টু ৷ ৷ আলাদা বাক্য (অর্থাৎ আল্লাহ আজ তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন),
কিত্তু এ মত দুর্বল ৷ প্রথম মতই সঠিক ৷
তখন হযরত ইউসুফ (আ) নিজের পায়ের জামা তাদের কাছে দিয়ে বললেন, এটা অন্ধ
পিত ৷র চোখের ওপর রেখে দিও ৷ এতে আল্লাহর ইচ্ছায় তার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে ৷ এ ছিল
প্রকৃতির সাধারণ নিয়মের ব্যতিক্রম, নবুওতের আলামত ও বিরাট এক মুজিযা ৷ শেষে তিনি
ভাই৫দরকে তাদের পরিবার পরিজনসহ সসম্মা৫ন মিসরে চলে আসার জন্যে বলে দেন ৷
,
ষ্এএ্যা এ্যা র্মের্দ্র
াপুও
)
পুৰুড্রু
ট্রু;দ্বু,^
তারপর যাত্রীদল যখন বের হয়ে পড়ল তখন তাদের পিত ৷ বলল, তোমরা যদি আমাকে
অপ্রকৃতিস্থু মনে না কর তবে বলি, আমি ইউসুফের ঘ্রাণ পাচ্ছি ৷ তারা বলল, আল্লাহর শপথ
আপনি তো আপনার পুর্ব বিভ্রাস্তি৫ইে রয়েছেন ৷ তারপর যখন সুসংবাদবাহক উপ ত হল
এবং তার মুখমণ্ড৫লর উপর জামাটি রাখল তখন সে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে পেল ৷ সে বলল, আমি
কি তোমাদেরকে বলিনি যে, আমি আল্লাহর কাছ থেকে জানি, যা তোমরা জান না? ওরা বলল
৫হ আমাদের পিত ৷ আমাদের পাপের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন ৷ আমরা ৫৩ ৷ অপরাধী ৷ ৫স
বলল , আমি আমার প্রতিপা ৷লকের কাছে তোমাদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করব ৷ তিনি তো অতি
ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু ৷ (১২ : ৯৪ ৯৮)
قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْهُذَيْلِ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: {وَلَمَّا فَصَلَتِ الْعِيرُ} [يوسف: 94] قَالَ: لَمَّا خَرَجَتِ الْعِيرُ هَاجَتْ رِيحٌ فَجَاءَتْ يَعْقُوبَ بِرِيحِ قَمِيصِ يُوسُفَ. {فَقَالَ إِنِّي لَأَجِدُ رِيحَ يُوسُفَ لَوْلَا أَنْ تُفَنِّدُونِ} [يوسف: 94] . قَالَ: فَوَجَدَ رِيحَهُ مِنْ مَسِيرَةِ ثَمَانِيَةِ أَيَّامٍ. وَكَذَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ، وَشُعْبَةُ، وَغَيْرُهُمَا، عَنْ أَبِي سِنَانٍ بِهِ. وَقَالَ الْحَسَنُ الْبَصْرِيُّ، وَابْنُ جُرَيْجٍ الْمَكِّيُّ: كَانَ بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ ثَمَانِينَ فَرْسَخًا، وَكَانَ لَهُ مُنْذُ فَارَقَهُ ثَمَانُونَ سَنَةً. وَقَوْلُهُ: {لَوْلَا أَنْ تُفَنِّدُونِ} [يوسف: 94] . أَيْ تَقُولُونَ: إِنَّمَا قُلْتَ هَذَا مِنَ الْفَنَدِ وَهُوَ الْخَرَفُ وَكِبَرُ السِّنِّ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَعَطَاءٌ، وَمُجَاهِدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَقَتَادَةُ {تُفَنِّدُونِ} [يوسف: 94] تُسَفِّهُونِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ أَيْضًا، وَالْحَسَنُ: تُهَرِّمُونِ {قَالُوا تَاللَّهِ إِنَّكَ لَفِي ضَلَالِكَ الْقَدِيمِ} [يوسف: 95] . قَالَ قَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ: قَالُوا لَهُ كَلِمَةً غَلِيظَةً. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا أَنْ جَاءَ الْبَشِيرُ أَلْقَاهُ عَلَى وَجْهِهِ فَارْتَدَّ بَصِيرًا} [يوسف: 96] . أَيْ بِمُجَرَّدِ مَا جَاءَ أَلْقَى الْقَمِيصَ عَلَى وَجْهِ يَعْقُوبَ فَرَجَعَ مِنْ فَوْرِهِ بَصِيرًا بَعْدَ مَا كَانَ ضَرِيرًا. وَقَالَ لِبَنِيهِ عِنْدَ ذَلِكَ: {أَلَمْ أَقُلْ لَكُمْ إِنِّي أَعْلَمُ مِنَ اللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ} [يوسف: 96] . أَيْ أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ سَيَجْمَعُ شَمْلِي بِيُوسُفَ، وَسَتَقَرُّ عَيْنِي بِهِ، وَسَيُرِينِي فِيهِ وَمِنْهُ مَا يَسُرُّنِي، فَعِنْدَ ذَلِكَ {قَالُوا يَا أَبَانَا اسْتَغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا إِنَّا كُنَّا خَاطِئِينَ} [يوسف: 97] . طَلَبُوا إِلَيْهِ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لَهُمُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ عَمَّا كَانُوا فَعَلُوا وَنَالُوا
পৃষ্ঠা - ৪৯৯
আবদুর রাজ্জাক (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি ওরু৷ ! র্দু৫গ্ র্চা
-এর ব্যাখ্যার বলেছেন, কাফেলা যখন মিসর থেকে যাত্রা করে তখন একটি প্রবল বায়ু-প্রবাহ
ইউসুফ (আ)-এর আমার ঘ্রাণ ইয়াকুব (আ) এর কাছে নিয়ে পৌছায় ৷
(সে বলল, আ ৷মি অবশ্যই ইউসুফের ঘ্রাণ পাচ্ছি যদি৫ তামর৷ আমাকে অপ্রকৃতিস্থ মনে
না কর ৷ ’)
ছাওরী, শুবা (র) প্রমুখ বলেছেন, আট দিনের পথের দুরতৃ থেকেই তিনি এই ঘ্রাণ পান ৷
হাসান বসরী (র) ও ইবন জুরায়জ মকী (র) বলেছেন, ইয়াকুব (আ) ও কাফেলার মধ্যকার
দুরতৃ ছিল আশি ফারসাখের১ এব×ন্ ইউসুফ ৰুআ) এ-র নির্থোজকাল থেকে ঘ্রাণ পাওয়া পর্যন্ত
সময়ের ব্যবধান আশি বছর ৷ ;,ট্রুষ্পুব্লুর্দু fi, § দ্বুপু অর্থাৎ তোমরা ৷যদি বল যে, অতি বৃদ্ধ
হওয়ার ফলে আমি প্রলাপােক্তি করছি ৷ ইবন আব্বাস (রা ), আতা, মুজাহিদ, সাঈদ ইবন
জুবায়র ও কাতাদ৷ (র) বলেছেন : তোমরা আমাকে নির্বোধ
সাব্যস্ত করো ৷ মুজাহিদ ও হাসান (র) বলেছেনং §,§; ¢: অর্থ ণুপ্রুপ্রুও তোমরা ৷যদি
আমাকে অতিশয় বৃদ্ধ সাব্যস্ত করো ৷
তারা বলল, আল্পাহর শ্ পথ আপনি ৫৩ ৷ আপনার পুরনো বিভ্রাস্তির মধ্যেই রয়েছেন ৷’
কাতাদ৷ ও সুদ্দী (র) বলেন,৩ তারা এ কথা দ্বারা একটি শক্ত কথা ৷ই বলেছে ৷ আল্লাহ বলেন :
( তারপর যখন সুস ×বাদবাহক উপস্থিত হল এবং তার মুখঃমণ্ডলের উপর জামাটি রাখল
তখন তিনি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন ৷) অর্থাৎ অতি স্বাভ৷ ৷বিকভ ৷বেই কেবল মুখমওলের উপর
ইউসুফ (আ) এর জামাটি৷ র ৷যার সাথেই দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে ৷ অথচ তিনি তখন ছিলেন অন্ধ ৷
ঐ সময় তিনি তাদেরকে বললেনঃ ৷ ণ্এ্ ৷
(আমি কি তােমাদেরকে বলিনি যে, আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন কিছু জানি, না তোমরা
জান না ৷) অর্থাৎ আমি জানি যে, আল্লাহ ইউসুফকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবেন, আমার চক্ষু
তার দ্বারা ভাল হয়ে যাবে এবং প্রশ ৷৷ান্তি দা ন করবেন ৷
র্মু,৷ ) ণ্
া,পুণ্ড্র
(তারা বলল, হে পিতা৷ আমাদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা ৷করুন ৷ কেননা অবশ্যই
আমরা ছিলাম অপরাধী ৷ ) ৩ার৷ অপরাধমুলক যেসব কা জ ইতিপুর্বে করেছে এবং পিতা ও তার
পুত্র ইউসুফ (আ) এর কাছ থেকে তার মুকাবিলায় যে ব্যবহার পেয়েছে এবং ইউসুফ (আ) কে
তারা যা করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেসব ব্যাপারে আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনার জন্যে
তারা পিতার কাছে আবেদন জানায় ৷৩ তাদের নিয়ত যখন তওবা করা অথচ তখনো তা কার্যকর
হয়নি তখন আল্লাহ তাদেরকে তও ৷ করার৩ তাওফীক্কু দান করেন এবং পিতা তাদের আবেদনে
সাড়া দেন এবং বলেন : আমি
আমার প্রতিপালকের কাছে তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করব ৷ তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু ৷
১ ফারসাখ বলতে প্রায় আট কিলোমিটার বোঝায় ৷
مِنْهُ وَمِنِ ابْنِهِ، وَمَا كَانُوا عَزَمُوا عَلَيْهِ، وَلَمَّا كَانَ مِنْ نِيَّتِهِمُ التَّوْبَةُ قَبْلَ الْفِعْلِ، وَفَّقَهُمُ اللَّهُ لِلِاسْتِغْفَارِ عِنْدَ وُقُوعِ ذَلِكَ مِنْهُمْ فَأَجَابَهُمْ أَبُوهُمْ إِلَى مَا سَأَلُوا وَمَا عَلَيْهِ عَوَّلُوا قَائِلًا: {سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ} [يوسف: 98] .
قَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ، وَإِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ قَيْسٍ، وَابْنُ جُرَيْجٍ، وَغَيْرُهُمْ أَرْجَأَهُمْ إِلَى وَقْتِ السَّحَرِ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي أَبُو السَّائِبِ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَاقَ يَذْكُرُ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ قَالَ: كَانَ عَمٌّ لِي يَأْتِي الْمَسْجِدَ فَسَمِعَ إِنْسَانًا يَقُولُ: اللَّهُمَّ دَعَوْتَنِي فَأَجَبْتُ، وَأَمَرْتَنِي فَأَطَعْتُ، وَهَذَا السَّحَرُ فَاغْفِرْ لِي. قَالَ: فَاسْتَمَعَ الصَّوْتَ فَإِذَا هُوَ مِنْ دَارِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَسَأَلَ عَبْدَ اللَّهِ عَنْ ذَلِكَ. فَقَالَ: إِنَّ يَعْقُوبَ أَخَّرَ بَنِيهِ إِلَى السَّحَرِ بِقَوْلِهِ: {سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي} [يوسف: 98] . وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَالْمُسْتَغْفِرِينَ بِالْأَسْحَارِ} [آل عمران: 17] وَثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَنْزِلُ رَبُّنَا كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ: هَلْ مِنْ تَائِبٍ فَأَتُوبَ عَلَيْهِ؟ هَلْ مِنْ سَائِلٍ فَأُعْطِيَهُ؟ هَلْ مِنْ مُسْتَغْفِرٍ فَأَغْفِرَ لَهُ؟» . وَقَدْ وَرَدَ فِي حَدِيثٍ أَنَّ يَعْقُوبَ أَرْجَأَ
পৃষ্ঠা - ৫০০
ইবন মাসউদ (রা) , ইবরাহীম আত্তায়মী, আমর ইবন কায়স, ইবন জুরায়জ (র) প্রমুখ
বলেছেন-হযরত ইয়াকুব (আ) পুত্রদের পক্ষে ইসতিপফার করার জন্যে শেষ রাত পর্যন্ত
অপেক্ষা করেন ৷ ইবন জারীর মুহারিব ইবন দীছার (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন ;;
হযরত উমর (রা) মসজিদে নববীতে এসে জনৈক ব্যক্তিকে বলতে শুনেন :
প্রু;প্রু;; ণ্ধ্;; ৷
হে আল্লাহ আপনি আমাকে আহ্বান করেছেন, আমি সাড়া দিয়েছি; আপনি আমাকে
হুকুম করেছেন, অমি তা মেনে নিয়েছি ৷ এখন রাতের শেষ প্রহব; অতএব আপনি আমাকে
ক্ষমা করুন ৷ হযরত উমর (রা) গভীরভাবে উক্ত শব্দের প্রতি ৩লক্ষ্য করে বুঝতে পারলেন যে,
আওয়াজটি আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা)-এর ঘর থেকে আসছে ৷ তিনি আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ
(রা) কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেন ৷ আবদুল্লাহ বলেনং হযরত ইয়াকুব (আ) পুত্রদের পক্ষে
প্রার্থনা করার জন্যে শেষ রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন- তিনি বলেছিলেন: ঐ১ইপ্র্দু;! পুগ্ট্রুন্ঠু;
প্হু ’ ^ণ্হ্র (আমি অচিরেই তোমাদের জন্যে আমার প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব ৷)
অপর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন: এা১ৰুন্৮; ,প্রুগ্র্দু;দ্বু ৷ এ (যারা শেষ রাতে ক্ষমা
প্রার্থনা করে ৷ )
সহীহ হাদীসে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা ) বলেছেন: আমাদের প্রতিপালক প্রতিরাতে দুনিয়ার
আকাশে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন কে আছে তওবাক৷ রী? আমি তার তওব৷ কবুল
করব ৷ কোন প্রাঘাআছে কি? অমি তাকে দান করব ৷ আছে কোন প্রার্থনাকারী? অমি তার
প্রার্থনা মঞ্জুব্ করব ৷
এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত ইয়াকুব (আ) তার পুত্রদের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনার
জন্যে জুমআর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন ৷ ইবন জারীর (বা) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, রসুলুল্পাহ (সা ) বলেন : এটি আমার ভাই ইয়াকুব (আ) এর তার ছেলেদের উদ্দেশে
বলেছিলেন ৷ পুন্শৃর্চু যতক্ষণ
না জুমআর রাত আসে ৷ উক্ত সনদে এ হাদীসটি খুবই অপরিচিত ৷ হাদীসটি মারকু হওয়ার
ব্যাপারেও বিতর্ক রয়েছে ৷ বরং এটা ইবন আব্বাস (রা ) এর মওকুফ হাদীস বা ৷নিজস্ব উক্তি
হওয়ার সন্তাবনাই অধিক ৷
; র্যো
া
৷ ৷
এএে ষ্
৷ ’ ” ৷
শ্নোড্রু১ ৷)এ গো
ফ্লেএষ্,
১স্ত্রওে ট্টক্রোএ ভু
fl
بَنِيهِ إِلَى لَيْلَةِ الْجُمُعَةِ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنِي الْمُثَنَّى ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَيُّوبَ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، وَعِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي} [يوسف: 98] . يَقُولُ: «حَتَّى تَأْتِيَ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ، وَهُوَ قَوْلُ أَخِي يَعْقُوبَ لِبَنِيهِ» . وَهَذَا غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَفِي رَفْعِهِ نَظَرٌ، وَالْأَشْبَهُ أَنْ يَكُونَ مَوْقُوفًا عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ {فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَى يُوسُفَ آوَى إِلَيْهِ أَبَوَيْهِ وَقَالَ ادْخُلُوا مِصْرَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ آمِنِينَ وَرَفَعَ أَبَوَيْهِ عَلَى الْعَرْشِ وَخَرُّوا لَهُ سُجَّدًا وَقَالَ يَاأَبَتِ هَذَا تَأْوِيلُ رُؤْيَايَ مِنْ قَبْلُ قَدْ جَعَلَهَا رَبِّي حَقًّا وَقَدْ أَحْسَنَ بِي إِذْ أَخْرَجَنِي مِنَ السِّجْنِ وَجَاءَ بِكُمْ مِنَ الْبَدْوِ مِنْ بَعْدِ أَنْ نَزَغَ الشَّيْطَانُ بَيْنِي وَبَيْنَ إِخْوَتِي إِنَّ رَبِّي لَطِيفٌ لِمَا يَشَاءُ إِنَّهُ هُوَ الْعَلِيمُ الْحَكِيمُ رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ} [يوسف: 99]
[يُوسُفَ: 99 - 101] . هَذَا إِخْبَارٌ عَنْ حَالِ اجْتِمَاعِ الْمُتَحَابِّينَ بَعْدَ الْفُرْقَةِ الطَّوِيلَةِ الَّتِي قِيلَ: إِنَّهَا ثَمَانُونَ سَنَةً. وَقِيلَ: ثَلَاثَةٌ وَثَمَانُونَ سَنَةً. وَهُمَا رِوَايَتَانِ عَنِ الْحَسَنِ. وَقِيلَ: خَمْسٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً. قَالَهُ قَتَادَةُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ ذَكَرُوا أَنَّهُ غَابَ عَنْهُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً. قَالَ: وَأَهْلُ الْكِتَابِ يَزْعُمُونَ أَنَّهُ غَابَ عَنْهُ أَرْبَعِينَ سَنَةً. وَظَاهِرُ سِيَاقِ الْقِصَّةِ يُرْشِدُ إِلَى تَحْدِيدِ الْمُدَّةِ تَقْرِيبًا فَإِنَّ الْمَرْأَةَ رَاوَدَتْهُ، وَهُوَ شَابٌّ ابْنُ سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً فِيمَا قَالَهُ غَيْرُ وَاحِدٍ فَامْتَنَعَ فَكَانَ فِي السِّجْنِ بِضْعَ سِنِينَ، وَهِيَ
পৃষ্ঠা - ৫০১
তারপর ত ৷রা যখন ইউসুফের নিকট উপস্থিত হল, তখন সে তার পিতা-মাতাকে আলিঙ্গন করল
এবং বলল, আপনারা আল্লাহর ইচ্ছার নিরাপদে মিসরে প্রবেশ করুন ৷ এবং ইউসুফ তার
পিতা-মাতাকে উচ্চাসনে বসাল এবং তারা সকলে তার সম্মানে সিজদায় লুটিয়ে পড়ল ৷ সে
বলল, হে আমার পিতা ৷ এ হচ্ছে আমার পুর্বেকার স্বপ্নের ব্যাখ্যা; আমার প্রতিপালক একে
সত্যে পরিণত করেছেন এবং তিনি আমাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেন এবং শয়তান আমার
ও আমার ভাইদের সম্পর্ক নষ্ট করবার পরও আপনাদেরকে মরু অঞ্চল থেকে এখানে এনে
দিয়ে আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন ৷ আমার প্রতিপালক যা ইচ্ছা তা নিপুণতার সাথে করেন ৷
তিনি তো সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় ৷ হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে রাজ্য দান করেছ এবং
স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দািয়ছ ৷ হে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা ৷ তুমিই ইহলােক ও পরলোকে
আমার অক্তিভ্রাবক ৷ তুমি আমাকে মুসলিম হিসেবে মৃত্যু দাও এবং আমাকে সৎকর্য পরায়ণদের
অন্তর্ভুক্তকর ৷ (১২৪ ৯৯ ১০১)
এখানে দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর প্রিয়জনদের সাথে পুন৪মিলনের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে ৷
বিচ্ছেদের সময়সীমা সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত আছে ৷ কারও মতে ,আশি বছর ৷ কারও মতে,
তিরাশি বছর ৷ এ দুটি মতে র কথা হাসান (র) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ কাতাদ৷ (র) এর মতে
পয়ত্রিশ বছর ৷ কিন্তু মুহাম্মদ ইবন ইসহাকের মতে, বিচ্ছেদের কাল মাত্র আঠ৷ ৷র বছর ৷ আহলি
কিতাবদের মতে, এই সময় ছিল চল্লিশ বছর ৷ তবে ঘটনার উপর দৃষ্টিপাত করলে বিচ্ছেদকাল
খুব বেশি বলে মনে হয় না ৷ কেননা, মহিলাটি যখন ইউসুফকে ছলনা দিয়েছিল তখন
অনেকের মতে তিনি মাত্র সংত র বছরের যুবক ৷ তিনি আত্মরক্ষা করলেন ৷ ফলে কয়েক বছর
জেলখানায় থাকেন ৷ ইকরিমা প্রমুখের মতে, জেলখানায় থাকার সময়সীমা সাত বছর ৷ এরপর
প্রাচুর্যের সাত বছর অতিক্রান্ত হয় ৷ তারপর মানুষ দৃর্ভিক্ষের সাত বছরে পতিত হয় ৷ এর প্রথম
বছরে ইউসুফ (আ)-এর ভাইয়েরা খাদ্যের জন্য মিসরে আসে ৷ দ্বিতীয় বছরে তারা
বিনয়ামীনকে নিয়ে আসে ৷ আর তৃতীয় বছরে ইউসুফ (আ) নিজের পরিচয় দেন এবং
পরিবার পরিজনকে নিয়ে আসতে বলেন ৷ ফলে সে বছরেই ইউসুফ (আ) এর গোটা পরিবার
মিসরে তার কাছে চলে আছে ৷ এ হিসেবে মিলনকালে <-:!%: বয়স হয়েছিল ১ ৭ ৭ ৭ ৩-৩৪
বছর ৷ (তা ৷রপর যখন তারা ইউসুফের
কাছে উপস্থিত হল তখন সে তার পিতা-মাত ৷কে আলিঙ্গন করল ৷) অর্থাৎ ভাইদের
থেকে আলাদা হয়ে ইউসুফ (আ) কেবল তার পিতা মাত ৷র সাথে একান্তে মিলিত হন ৷
এ, ৷ <ট্রু৷ ৷ ন্এেপুষ্, ৷ৰুসুৰু;১ ৷,৷; ৷ (া৷ব্রট্রু (এবং বলল৪ আপনারা আল্লাহর ইচ্ছায়
নিরাপদে মিসরে প্রবেশ করুন ৷) কারো কারো মতে, এখানে বর্ণনা ঘটনানুক্রমিক নয় ৷ ঘটনা
ছিল, প্রথমে তিনি তাদেরকে মিসরে প্রবেশের জন্য স্বাগত সম্ভাষণ জানান, তারপর তাদেরকে
আলিঙ্গন করেন ৷ ইবন জ বীর (বা) এ বা৷থ্যাকে দুর্বল বলেছেন ৷৩ তার এ মম্ভবাকে উড়িয়ে
দেয়৷ যায় না ৷ ইমাম সুদ্দী (র) বলেছেন, যে, ইউসুফ (আ ) নিজে অগ্রসর হয়ে পিতা-মাতার
সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং পথে যেখানে তারা অবতরণ করেছিলেন সেখানে তাদের তাবুতে
গিয়ে তাদের আলিঙ্গন করেন ৷ তারপর সেখান থেকে যাত্রা ৷করে মিসরের প্রবেশ দ্বারের
সন্নিকটে পৌছলে ইউসুফ (আ) বললেন৪ ব্লু);;০ ৷ ধ্া৷ ৷ ব্লুএে ) ৷,র্চুপু; ৷গ্লু;৷ ৷ (আল্লাহর
ইচ্ছার আপনারা নিরাপদে মিসরে প্রবেশ করুন ৷) তবে বলা যেতে পারে যে এ আঘাতের
ব্যাখ্যয়ে উক্তরুপ কথা সংযোজন না করেও পারা যায় এবং এর কোন প্রয়োজনও নেই ৷ যেমন
سَبْعٌ عِنْدَ عِكْرِمَةَ، وَغَيْرِهِ. ثُمَّ أُخْرِجَ فَكَانَتْ سَنَوَاتُ الْخِصْبِ السَّبْعُ، ثُمَّ لَمَّا أَمْحَلَ النَّاسُ فِي السَّبْعِ الْبَوَاقِي جَاءَ إِخْوَتُهُمْ يَمْتَارُونَ السَّنَةَ الْأُولَى وَحْدَهُمْ، وَفِي الثَّانِيَةِ وَمَعَهُمْ أَخُوهُ بِنْيَامِينُ، وَفِي الثَّالِثَةِ تَعَرَّفَ إِلَيْهِمْ وَأَمَرَهُمْ بِإِحْضَارِ أَهْلِهِمْ أَجْمَعِينَ فَجَاءُوا كُلُّهُمْ {فَلَمَّا دَخَلُوا عَلَى يُوسُفَ آوَى إِلَيْهِ أَبَوَيْهِ} [يوسف: 99] . اجْتَمَعَ بِهِمَا خُصُوصًا وَحْدَهُمَا دُونَ إِخْوَتِهِ {وَقَالَ ادْخُلُوا مِصْرَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ آمِنِينَ} [يوسف: 99] . قِيلَ: هَذَا مِنَ الْمُقَدَّمِ، وَالْمُؤَخَّرِ تَقْدِيرُهُ: ادْخُلُوا مِصْرَ، وَآوَى إِلَيْهِ أَبَوَيْهِ. وَضَعَّفَهُ ابْنُ جَرِيرٍ، وَهُوَ مَعْذُورٌ. قِيلَ: تَلَقَّاهُمَا وَآوَاهُمَا فِي مَنْزِلِ الْخِيَامِ، ثُمَّ لَمَّا اقْتَرَبُوا مِنْ بَابِ مِصْرَ قَالَ {ادْخُلُوا مِصْرَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ آمِنِينَ} [يوسف: 99] . قَالَهُ السُّدِّيُّ. وَلَوْ قِيلَ: إِنَّ الْأَمْرَ لَا يَحْتَاجُ إِلَى هَذَا أَيْضًا، وَأَنَّهُ ضُمِّنَ قَوْلُهُ ادْخُلُوا مَعْنَى اسْكُنُوا مِصْرَ أَوْ أَقِيمُوا بِهَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ آمِنِينَ لَكَانَ صَحِيحًا مَلِيحًا أَيْضًا.
وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ يَعْقُوبَ لَمَّا وَصَلَ إِلَى أَرْضِ جَاشِرَ، وَهِيَ أَرْضُ بُلْبَيْسَ خَرَجَ يُوسُفُ لِتَلَقِّيهِ، وَكَانَ يَعْقُوبُ قَدْ بَعَثَ ابْنَهُ يَهُوذَا بَيْنَ يَدَيْهِ مُبَشِّرًا بِقُدُومِهِ، وَعِنْدَهُمْ أَنَّ الْمَلِكَ أَطْلَقَ لَهُمْ أَرْضَ جَاشِرَ يَكُونُونَ فِيهَا، وَيُقِيمُونَ بِهَا بِنَعَمِهِمْ وَمَوَاشِيهِمْ. وَقَدْ ذَكَرَ جَمَاعَةٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ أَنَّهُ لَمَّا أَزِفَ قُدُومُ نَبِيِّ اللَّهِ يَعْقُوبَ وَهُوَ إِسْرَائِيلُ أَرَادَ يُوسُفُ أَنْ يَخْرُجَ لِتَلَقِّيهِ، فَرَكِبَ مَعَهُ الْمَلِكُ وَجُنُودُهُ خِدْمَةً لِيُوسُفَ وَتَعْظِيمًا لِنَبِيِّ اللَّهِ إِسْرَائِيلَ، وَأَنَّهُ دَعَا لِلْمَلِكِ، وَأَنَّ اللَّهَ رَفَعَ عَنْ أَهْلِ مِصْرَ بَقِيَّةَ سِنِيِّ الْجَدْبِ بِبَرَكَةِ قُدُومِهِ إِلَيْهِمْ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَكَانَ جُمْلَةُ مَنْ قَدِمَ مَعَ يَعْقُوبَ مِنْ بَنِيهِ، وَأَوْلَادِهِمْ فِيمَا
পৃষ্ঠা - ৫০২
,এ্যা ৷১া১;৷ অর্থ প্রুন্শ্রো ৷প্রুদ্বু৷ বা fl ৷ ঞ^--ং ৷ অর্থাৎ আপনারা মিসরে বসবাস করুন
কিৎবা মিসরে অবস্থান করুন ৷ র্চু,ন্হু ণ্া৷ ! £া;, ৷ (আল্লাহ চাহেন তো নিরাপদ অবস্থায়
থাকবেন ৷) এ ব্যাখ্যা খুবই সঠিক ও সুন্দর ৷
আহলি কিতাবদের মতে, হযরত ইয়াকুব (আ) যখন বিলবীস এলাকায় জাশির নামক
স্থানে পৌছেন, তখন হযরত ইউসুফ (আ) তার সাথে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্যে বের হয়ে
আসেন ৷ ইয়াকুব (আ) নিজের আগমনবার্তা পৌছানাের জন্যে য়াহুয়াকে আগেই পাঠিয়ে দেন ৷
তারা আরও বলেছেন, মিসরের বাদশাহ ইয়াকুব (আ)-এর পরিবারকে অবস্থান গ্রহণ এবং
তাদের গৃহপালিত সমস্ত পশু ও মালপত্র নিয়ে থাকার জন্যে সম্পুর্ণ জাশির এলাকা তাদেরকে
ছেড়ে দেন ৷ একদল মুফাসৃসির উল্লেখ করেছেন যে, হযরত ইউসুফ (আ) যখন হযরত ইয়াকুব
(আ) তথা ইসরাঈল-এর অন্যান্য সংবাদ শুনলেন, তখন তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্যে দ্রুত
বের হয়ে আসেন ৷ সেই সাথে ইউসুফ (আ) এর সহযোগিতা ও আল্লাহর নবী ইসরাঈলের
সম্মা ৷নার্থে বাদশাহ ও তার সৈন্যরা এগিয়ে আসে ৷ ইসরা ঈল বাদশাহর জন্যে দ্আ করেন ৷ নবী
ইয়াকুব (আ) এর আগমনের বরকতে আল্লাহ মিসরবাসীর উপর থেকে অবশিষ্ট বছরগুল্যের
দুর্তিক্ষ তুলে নেন ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
ইয়াকুব নবীর সাথে তার পুত্রগণ ও পুএদের সন্তান ও পরিজনসহ মোট কত লোক মিসরে
এসেছিলেন সে ব্যাপারে বিভিন্ন মত পাওয়া যায় ৷ আবু ইসহড়াক সাবিঈ (র) ইবন মাসউদ
(বা) এর বরাতে বলেন, এদের সংখ্যা ছিল তেষট্টি ৷ মুসা ইবন উবায়দ৷ (বা) আবদুল্লাহ ইবন
শাদ্দার বরাতে বলেছেন, তিরাশিজন ৷ আবু ইসহড়াক মাসরুক (বা) সুত্রে উল্লেখ করেছেন যে,
এরা যখন মিসরে প্রবেশ করেন তখন এদের সংখ্যা ছিল তিনশ’ নব্বই ৷ কিন্তু এরা যখন মুসা
(আ) এর নেতৃত্বে মিসর থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাদের যুদ্ধক্ষম যুবকের সংখ্যা ৷ই ছিল ছয়
লক্ষের উপরে ৷ আহলি কিতাবদের মতে, তারা সংখ্যায় ছিল সত্তরজন ৷ তারা এদের নামও
উল্লেখ করেছে ৷ আল্লাহর র্মুর্চদ্বুর্দু, (এবং ইউসুফ তার
পিতা-মাতাকে উচ্চাসনে বসাল ৷) কেউ কেউ বলেছেন, ইউসুফের যা ঐ সময় জীবিত ছিলেন
না ৷ তাওরাতের পণ্ডিতগণের মতওত ৷ই ৷ কে ন কে ন মুফাসৃসির বলেছেন, ঐ সময় আল্লাহ
তাকে জীবিত করে দেন ৷ অপর এক দলের মতে, ইউসুফ (আ) এর খালার নাম ছিল না ইিলী ৷
খালাকে মায়ের স্থানে গণ্য করা হয়েছে ৷ ইবন জারীর (র) ও অন্যরা বলেছেন, কুরআনের
সুস্পষ্ট দাবি হল, ঐ সময় তার মা জীবিত ছিলেন ৷ সুতরাং এর বিরুদ্ধে আহলি কিতাবদের
মতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে ভিন্ন ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটাই শক্তিশালী মত ৷ আল্লাহ্ই
সর্বজ্ঞ ৷ পিতা-মাতাকে উচ্চাসনে উঠানাের অর্থ তাদেরকে নিজের কাছে সিৎহাসনে বসান ৷
” “ ’ ১ণ্ৰিপু ৷ ^, দ্বুন্ , (এবং তারা সকলে তার সম্মানে সিজদায় লুটিয়ে পড়ল) ৷ অর্থাৎ তার
পিতা-মাত ৷ ও আমার ভাই ইউসুফ (আ) এর সম্মানার্থে সিজদা ৷করেন ৷ এ রকম সিজদা করা
তাদের শরীয়তে ও পরবর্তী নবীদের শরীয়তে বৈধ ছিল: কিন্তু আমাদের শরীয়তে এটা নিষিদ্ধ
ঘো ৷ষিত হয়েছে ৷ শু স্ক ; ন্ণ্ এের্দুইটু flfi£ ! ;া১ (সে বলল, হে আমার পিতা! এটাই আমার
পুর্বেকার স্বপ্নের ব্যাখ্যা ৷) অর্থাৎ এটা সেই স্বপ্নের ব্যাখ্যা যা পুর্বে আমি আপনাকে শুনিঃয়েছিলাম
যে, এগারটি নক্ষত্র এবং সুর্য ও চন্দ্র আমাকে সিজদা করছে ৷ আপনি আমাকে এ স্বপ্ন গোপন
রাখার জন্যে বলেছিলেন এবং তখন আমাকে কিছু প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন ৷
শো
قَالَهُ أَبُو إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ ثَلَاثَةً وَسِتِّينَ إِنْسَانًا. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ: عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ كَانُوا ثَلَاثَةً وَثَمَانِينَ إِنْسَانًا. وَقَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: عَنْ مَسْرُوقٍ دَخَلُوا وَهُمْ ثَلَاثُمِائَةٍ وَتِسْعُونَ إِنْسَانًا. قَالُوا: وَخَرَجُوا مَعَ مُوسَى وَهُمْ أَزْيَدُ مِنْ سِتِّمِائَةِ أَلْفِ مُقَاتِلٍ، وَفِي نَصِّ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُمْ كَانُوا سَبْعِينَ نَفْسًا، وَسَمَّوْهُمْ.
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَرَفَعَ أَبَوَيْهِ عَلَى الْعَرْشِ} [يوسف: 100] . قِيلَ: كَانَتْ أُمُّهُ قَدْ مَاتَتْ. كَمَا هُوَ عِنْدَ عُلَمَاءِ التَّوْرَاةِ. وَقَالَ بَعْضُ الْمُفَسِّرِينَ فَأَحْيَاهَا اللَّهُ تَعَالَى. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ كَانَتْ خَالَتُهُ لَيَا، وَالْخَالَةُ بِمَنْزِلَةِ الْأُمِّ. وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ، وَآخَرُونَ: بَلْ ظَاهِرُ الْقُرْآنِ يَقْتَضِي بَقَاءَ حَيَاةِ أُمِّهِ إِلَى يَوْمِئِذٍ فَلَا يُعَوَّلُ عَلَى نَقْلِ أَهْلِ الْكِتَابِ فِيمَا خَالَفَهُ، وَهَذَا قَوِيٌّ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَفَعَهُمَا عَلَى الْعَرْشِ أَيْ أَجْلَسَهُمَا مَعَهُ عَلَى سَرِيرِهِ {وَخَرُّوا لَهُ سُجَّدًا} [يوسف: 100] . أَيْ سَجَدَ لَهُ الْأَبَوَانِ وَالْإِخْوَةُ الْأَحَدَ عَشَرَ تَعْظِيمًا وَتَكْرِيمًا، وَكَانَ هَذَا مَشْرُوعًا لَهُمْ، وَلَمْ يَزَلْ ذَلِكَ مَعْمُولًا بِهِ فِي سَائِرِ الشَّرَائِعِ حَتَّى حُرِّمَ فِي مِلَّتِنَا {وَقَالَ يَا أَبَتِ هَذَا تَأْوِيلُ رُؤْيَايَ مِنْ قَبْلُ} [يوسف: 100] . أَيْ هَذَا تَعْبِيرُ مَا كُنْتُ قَصَصْتُهُ عَلَيْكَ مِنْ رُؤْيَتِي الْأَحَدَ عَشَرَ كَوْكَبًا وَالشَّمْسَ وَالْقَمَرَ حِينَ رَأَيْتُهُمْ لِي سَاجِدِينَ، وَأَمَرْتَنِي بِكِتْمَانِهَا، وَوَعَدْتَنِي مَا وَعَدْتِنِي عِنْدَ ذَلِكَ {قَدْ جَعَلَهَا رَبِّي حَقًّا وَقَدْ أَحْسَنَ بِي إِذْ أَخْرَجَنِي مِنَ السِّجْنِ} [يوسف: 100] .
পৃষ্ঠা - ৫০৩
আমার প্রতিপালক তা সত্যে পরিণত করেছেন এবং আমার প্ৰতি অনুগ্রহ করেছেন ৷
কেননা, তিনি আমাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছেন ৷ ’
অর্থাৎ দুঃখ-বষ্টি ও সংকীর্ণতার পরে আমাকে শাসক বানিয়েছেন ৷ মিসরের যেখানে ইচ্ছা
সেখানেই আদেশ কার্যকরী করার ক্ষমতা দান করেছেন ৷ ,ৰুঠু! র্চু ন্ষ্ ন্শুধু র্মু!ঠুদ্বু
(আপনাদেরকে মরু অঞ্চল থেকে এখানে এসে দিয়েছেন ৷)
অর্থাৎ গ্রাম থেকে তারা ইবরাহীম খলীলুল্লাহর দেশের আরদ্বাত নামক এক নিভৃত মরু
পল্লীতে বসবাস করতেন ৷ ,ট্রন্ (শয়তান
আমার ও ভাইদের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট করার পর ৷) অর্থাৎ তারা যেসব নিযাতনমুলক আচরণ
করেছিল যার বর্ণনা পুর্বে দেয়া হয়েছে তারপর ৷ ; র্যে র্দু এে ; ব্লু^;া ! প্র^ § “টু, ! (নিশ্চয়
আমার প্ৰতিপালক যা ইচ্ছা করেন তা নিপুণতড়ার সাথেই সম্পন্ন করেন ৷) অর্থাৎ তিনি যখন
কোন কিছু করার ইচ্ছা করেন তখন তা বাস্তবায়নের উপায় বের করেন ও এমন সহজ সরল
পদ্ধতিতে সম্পন্ন করেন যা মানুষের ধরা ছোয়ার বাইরে ৷ বরং তিনি নিজেই তা নির্ধারণ করেন
এবং তার নিজ কুদরতে সুক্ষ্মভাবে সম্পন্ন করেন ৷ এের্চু;শু ’ (’ < ৷ (তিনিই তাে সর্বজ্ঞ ৷)
সকল বিষয়ে অবগত ণ্াষ্কৃ ধ্৷ ৷ (প্রজ্ঞাময) ৷ অর্থাৎ পরিকল্পনা গ্রহণে, পদ্ধতি নির্ধারণে ও
বাস্তবায়নে তিনি প্রজ্ঞাশীল ৷
আহলি কিতাবদের মতে, হযরত ইউসুফ (আ)-এর কর্তৃত্বে যত খাদ্য রসদ ছিল তা তিনি
মিসরবানী ও অন্যদের কাছে সকল প্রকার জিনিসের বিনিময়ে বিক্রি করেন ৷ যেমন স্বর্ণ, রৌপ্য,
যমীন, আসবাবপত্র ইত্যাদি; এমনকি তাদের জীবনের বিনিময়েও বিক্রি করেছেন ৷ ফলে তারা
সবাই ক্রীতদাসে পরিণত হয় ৷ এরপর তিনি তাদের ব্যবহারের জন্যে তাদের জমি-জিরাত
ছেড়ে দেন এবং তাদেরকে এই শর্তে যুক্তি দেন যে, তারা যে সব ফসল ও ফল উৎপন্ন করবে
তার এক-পঞ্চমাংশ রাজস্ব দেবে ৷ এটাই পরবর্তীকালে মিসরের স্থায়ী প্রথার পরিণত হয় ৷
সালাবী (র) বলেছেন, দুর্তিক্ষের সময়ে হযরত ইউসুফ (আ) ক্ষুধার্ত্যদর কথা তুলতে
পারতেন না ৷ দুর্তিক্ষকালে তিনি কখনও পেট, ভরে খেতেন না ৷ প্রভ্যহ দুপুরে তিনি মাত্র এক
লুকমা খাবার থেতেন ৷ তার দেখড়াদেখি ঐ সময়ে অন্যান্য দেশের রাজরাজড়ারা-ও এই নীতি
অনুসরণ করেন ৷ আমি বলি, আমীরুল মুমিনীন হযরত উমর (না)-ও তার আমলে দৃর্ডিক্ষের
বছরে পেট ভরে আহার করেন নি ৷ দৃর্ভিক্ষের পর সক্ষ্মতো ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি এ নিয়ম
পালন করেছেন ৷ ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, দৃর্ডিক্ষ কেটে যাওয়ার পর জনৈক বেদুঈন হযরত
উমর (রা)-কে জানায় যে, দুর্তিক্ষ দুর হয়েছে ৷ আপনি এখন মুক্ত স্বাধীন ৷
এরপর হযরত ইউসুফ (আ) যখন দেখলেন যে, তার প্ৰতি আল্লাহর অনুগ্রহ পরিপুর্ণ
হয়েছে, তার আশা-আকাঙক্ষা পুর্ণ হয়ে গেছে, তখন উপলব্ধি করলেন যে, এই পৃথিবীর কােনই
স্থায়িৎ নেই ৷ এর উপরে যা কিছু আছে সবই ধ্বংস হয়ে ৷ আর পুর্ণতার পরেই আসে ক্ষয়ের
পালা ( ) ৮ৰু দ্বুএ ১৷ ণ্এে া ৷ প্রু) তখন তিনি আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন ৷
আল্লাহর অনেক অনুগ্রহ ও করুপার কথা স্বীকার করলেন এবং মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দান এবং
সৎলােকদের অন্তর্ভুক্ত রাখার জন্য দুআ করেন ৷ তার এ দৃআ ছিল এমন পর্যায়ের, যেমন
أَيْ بَعْدَ الْهَمِّ، وَالضِّيقِ جَعَلَنِي حَاكِمًا نَافِذَ الْكَلِمَةِ فِي الدِّيَارِ الْمِصْرِيَّةِ حَيْثُ شِئْتُ {وَجَاءَ بِكُمْ مِنَ الْبَدْوِ} [يوسف: 100] . أَيِ الْبَادِيَةِ، وَكَانُوا يَسْكُنُونَ أَرْضَ الْعَرَبَاتِ مِنْ بِلَادِ الْخَلِيلِ {مِنْ بَعْدِ أَنْ نَزَغَ الشَّيْطَانُ بَيْنِي وَبَيْنَ إِخْوَتِي} [يوسف: 100] . أَيْ فِيمَا كَانَ مِنْهُمْ إِلَيَّ مِنَ الْأَمْرِ الَّذِي تَقَدَّمَ وَسَبَقَ ذِكْرُهُ، ثُمَّ قَالَ: {إِنَّ رَبِّي لَطِيفٌ لِمَا يَشَاءُ} [يوسف: 100] . أَيْ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا هَيَّأَ أَسْبَابَهُ، وَيَسَّرَهَا وَسَهَّلَهَا مِنْ وُجُوهٍ لَا يَهْتَدِي إِلَيْهَا الْعِبَادُ، بَلْ يُقَدِّرُهَا وَيُيَسِّرُهَا بِلَطِيفِ صُنْعِهِ، وَعَظِيمِ قُدْرَتِهِ {إِنَّهُ هُوَ الْعَلِيمُ} [يوسف: 100] . أَيْ بِجَمِيعِ الْأُمُورِ الْحَكِيمُ فِي خَلْقِهِ، وَشَرْعِهِ، وَقَدَرِهِ.
وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ يُوسُفَ بَاعَ أَهْلَ مِصْرَ، وَغَيْرَهُمْ مِنَ الطَّعَامِ الَّذِي كَانَ تَحْتَ يَدِهِ بِأَمْوَالِهِمْ كُلِّهَا مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَالْعَقَارِ وَالْأَثَاثِ وَمَا يَمْلِكُونَهُ كُلَّهُ حَتَّى بَاعَهُمْ بِأَنْفُسِهِمْ فَصَارُوا أَرِقَّاءَ، ثُمَّ أَطْلَقَ لَهُمْ أَرْضَهُمْ وَأَعْتَقَ رِقَابَهُمْ عَلَى أَنْ يَعْمَلُوا، وَيَكُونُ خُمْسُ مَا يَشْتَغِلُونَ مِنْ زَرْعِهِمْ وَثِمَارِهِمْ لِلْمَلِكِ فَصَارَتْ سُنَّةَ أَهْلِ مِصْرَ بَعْدَهُ. وَحَكَى الثَّعْلَبِيُّ أَنَّهُ كَانَ لَا يَشْبَعُ فِي تِلْكَ السِّنِينَ حَتَّى لَا يَنْسَى الْجِيعَانَ، وَأَنَّهُ إِنَّمَا كَانَ يَأْكُلُ أَكْلَةً وَاحِدَةً نِصْفَ النَّهَارِ، قَالَ: فَمِنْ ثَمَّ اقْتَدَى بِهِ الْمُلُوكُ الْأَخْيَارُ فِي ذَلِكَ. قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لَا يُشْبِعُ بَطْنَهُ عَامَ الرَّمَادَةِ حَتَّى ذَهَبَ الْجَدْبُ، وَأَتَى الْخِصْبُ.
قَالَ الشَّافِعِيُّ: قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَعْرَابِ لِعُمَرَ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عَامُ الرَّمَادَةِ: لَقَدِ انْجَلَتْ عَنْكَ، وَإِنَّكَ لَابْنُ حُرَّةٍ.
পৃষ্ঠা - ৫০৪
অন্যান্য সময় (হে
আল্লাহ! আমাদেরকে মুসলিমরুপে জীবিত রাখুন এবং মুসলিমরুপে মৃত্যু দান করুন) অর্থাৎ
যখন আপনি আমাদেরকে মৃত্যু দিবেন, তখন যেন আমরা মুসলমান থাকি ৷ এমনও বলা যায়
যে, তিনি এ দুআ করেছিলেন মৃত্যু-শয্যায় থাকা অবস্থায় ৷ যেমনিভাবে রসুলুল্লাহ (সা) তার
মৃত্যু-শয্যায় থেকে প্রার্থনা করেছিলেন ৷ তার রুহকে উর্ধ জগতে উঠিয়ে নিতে ও নবী-রাসুল ও
সালিহীনদের অন্তর্ভুক্ত করতে ৷ রসুলুল্লাহ (সা) বলেছিলেন : হে-ৰু ৷ ক্ট্র ধ্, ৷ র্ত্য স্পেন্৷ ৷
এ দুআ তিনবার বলার পর তিনি ইনতিকাল করেন ৷
এমনও হতে পারে, হযরত ইউসুফ (আ) শরীর ও দেহের সুস্থ থাকা অবস্থায় উপর
ইসলামের সাথে মৃত্যু কামনা করেছিলেন ৷ আর এটা তাদের শরীয়তে বৈধ ছিল ৷ হযরত ইবন
আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত : অর্থাৎ হযরত
ইউসুফ (আ)-এর পুর্বে কোন নবী মৃত্যু কামনা করেননি ৷ কিংন্থ আমাদের শরীয়তে মৃত্যু কামনা
করতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ তবে, ফিৎনাফাসাদের সময় তা জায়েয আছে ৷ যেমন ইমাম
আহমদ (র) হযরত মুআয (রা)এর দুআ সম্বলিত হাদীস বর্ণনা করেছেন : হে আল্লাহ!
আপনি যখন কোন সম্প্রদায়কে পরীক্ষায় ফেলতে চান তখন ঐ পরীক্ষায় আমাকে না (ফলেই
আপনার কাছে উঠিয়ে নিন ৷
অন্য এক হাদীসে আছে ; হে আদম সন্তান! ফিৎনায় জড়িয়ে পড়ার চেয়ে মৃত্যুই তোমার জন্যে
ণ্শ্রয় ৷
হযরত মারয়াম (আ) বলেছিলেন :
(হায়, আমি যদি এর পুর্বে মরে যেতাম এবং মানুষের স্মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতড়াম ৷
(সুরা মারয়াম ও ২৩) হযরত আলী (রা) ইবন আবি তালিবও মৃত্যু কামনা করেছিলেন তখন,
যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে ওঠে, ফিৎনা-ফাসাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, হত্যা সস্ত্রড়াস বিস্তার
লাভ করে এবং সর্বত্র সমালোচনার চর্চা হতে থাকে ৷ সহীহ্ বুখারী সংকলক ইমাম আবু
আবদুল্লাহ বুখারী (র)ও মৃত্যু কামনা করেছিলেন, যখন তার ৰিরোধীরা সর্বত্র বিরোধিতার
বিভীষিকা ছড়িয়ে দিয়েছিল এবং তিনি অত্যধিক মানসিক যাতনায় ভুগছিলেন ৷
স্বাভাবিক অবস্থায় মৃত্যু কামনা সম্পর্কে ইমাম বুখারী (র) ও ইমাম মুসলিম (র) র্তাদের
সহীহ গ্রন্থদ্বয়ে হযরত আনাস ইবন মালিক (রা)-এর হাদীস বর্ণনা করেছেন, যাতে আছে
রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
খু
এে
বিপদে ও দুঃখে পড়ে তোমরা মৃত্যু কামনা করো না ৷ কেননা বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি যদি
নেককার হয়, তাহলে তার নেকী বেড়ে যাবে ৷ আর যদি সে পড়াপিষ্ঠ হয় তাহলে তার পাপ কমে
যাবে ৷ বরং এ রকম বলা উচিত যে, হে আল্লাহ! যতদিন বেচে থাকা আমার জন্যে কল্যাণকর
অলেবিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম ল্গুণ্ড্রা)মোঃত্তোখাে০ওেয়াে
ثُمَّ لَمَّا رَأَى يُوسُفُ عَلَيْهِ السَّلَامُ نِعْمَتَهُ قَدْ تَمَّتْ، وَشَمْلَهُ قَدِ اجْتَمَعَ عَرَفَ أَنَّ هَذِهِ الدَّارَ لَا يَقِرُّ بِهَا مِنْ قَرَارٍ، وَأَنَّ كُلَّ شَيْءٍ فِيهَا وَمَنْ عَلَيْهَا فَانٍ، وَمَا بَعْدَ التَّمَامِ إِلَّا النُّقْصَانُ فَعِنْدَ ذَلِكَ أَثْنَى عَلَى رَبِّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، وَاعْتَرَفَ لَهُ بِعَظِيمِ إِحْسَانِهِ وَفَضْلِهِ، وَسَأَلَ مِنْهُ وَهُوَ خَيْرُ الْمَسْئُولِينَ أَنْ يَتَوَفَّاهُ أَي حِينَ يَتَوَفَّاهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، وَأَنْ يُلْحِقَهُ بِعِبَادِهِ الصَّالِحِينَ. وَهَكَذَا كَمَا يُقَالُ فِي الدُّعَاءِ: اللَّهُمَّ أَحْيِنَا مُسْلِمِينَ، وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ أَيْ حِينَ تَتَوَفَّانَا. وَيَحْتَمِلُ أَنَّهُ سَأَلَ ذَلِكَ عِنْدَ احْتِضَارِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَمَا سَأَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ احْتِضَارِهِ أَنْ يَرْفَعَ رُوحَهُ إِلَى الْمَلَأِ الْأَعْلَى، وَالرُّفَقَاءِ الصَّالِحِينَ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالْمُرْسَلِينَ، كَمَا قَالَ: «اللَّهُمَّ فِي الرَّفِيقِ الْأَعْلَى» . ثَلَاثًا. ثُمَّ قَضَى. وَيَحْتَمِلُ أَنَّ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَأَلَ الْوَفَاةَ عَلَى الْإِسْلَامِ مُنْجِزًا فِي صِحَّةٍ مِنْهُ وَسَلَامَةٍ، وَأَنَّ ذَلِكَ كَانَ سَائِغًا فِي مِلَّتِهِمْ وَشِرْعَتِهِمْ، كَمَا رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ: مَا تَمَنَّى نَبِيٌّ قَطُّ الْمَوْتَ قَبْلَ يُوسُفَ فَأَمَّا فِي شَرِيعَتِنَا فَقَدْ نُهِيَ عَنِ الدُّعَاءِ بِالْمَوْتِ إِلَّا عِنْدَ الْفِتَنِ، كَمَا فِي حَدِيثِ مُعَاذٍ فِي الدُّعَاءِ الَّذِي رَوَاهُ أَحْمَدُ «وَإِذَا أَرَدْتَ بِقَوْمٍ فِتْنَةً فَتَوَفَّنَا إِلَيْكَ غَيْرَ مَفْتُونِينَ» . وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ «ابْنَ آدَمَ الْمَوْتُ خَيْرٌ لَكَ مِنَ الْفِتْنَةِ» . وَقَالَتْ مَرْيَمُ عَلَيْهَا السَّلَامُ: يَا لَيْتَنِي مِتُّ قَبْلَ هَذَا وَكُنْتُ نَسْيًا مَنْسِيًّا [مَرْيَمَ: 23] . وَتَمَنَّى الْمَوْتَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ لَمَّا تَفَاقَمَتِ الْأُمُورُ
পৃষ্ঠা - ৫০৫
হয় ততদিন আমাকে জীবিত রাখুন ! আর মৃত্যু যখন আমার জন্যে মঙ্গলময় হয় তখন আমাকে
মৃত্যু দান করুন ৷
এখানে ,×১ বলতে মানুষের দেহের রোগ বা অনুরুপ অবস্থা বোঝান হয়েছে, দীন
সম্পফীয়ি নয় ৷ এটা স্পষ্ট যে, হযরত ইউসুফ (আ) মৃত্যু কামনা করেছিলেন তখন, যখন তিনি
মৃত্যু-শয্যায় শায়িত কিৎব৷ তার নিকটবর্তী হয়েছিলেন ৷ ইবন ইসহাক (র) আহলি কিতাবদের
উদ্ধৃতি দিয়ে লিখেছেন যে, হযরত ইয়াকুব (আ) মিসরে পুত্র ইউসুফ (আ)-এর কাছে সতের
বছর থাকার পর ইনতিকাল করেন ৷ মৃত্যুকালে তিনি ইউসুফ (আ) এর কাছে ওসীয়ত করে য়ান
যে, তাকে যেন তার পিতৃ-পুরুষ ইবরাহীম (আ) ও ইসহাক (আ) এর পাশে দাফন করা হয় ৷
সুদ্দী (র) লিখেন যে, হযরত ইউসুফ (আ) ধৈর্যের সাথে এ ওসীয়ত পালন করেন ৷ পিতার
মৃতদেহ তিনি সিরিয়ার পাঠিয়ে দেন এবং পিতা ইসহাক (আ) ও পিতামহ ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ
(আ)-র কবরের পাশে একই গুহায় তাকে দাফন করা হয় ৷
আহলি কিতাবদের মতে, হযরত ইয়াকুব (আ) যখন মিসরে যান তখন তার বয়স ছিল
একশ ত্রিশ বছর ৷ তাদের মতে, তিনি মিসরে সতের বছর জীবিত থাকেন ৷ ( ১৩০ ১ ৭ ১৪ ৭
বছর) ৷ কিত্তু এতদসত্বেও তারা হযরত ইয়াকুব (আ)-এর বয়স লিখেছে সর্বমোট এফশ’ চল্লিশ
বছর ৷ এ কথা তাদের কিভাবে লিখিত আছে ৷ নিঃসন্দেহে এটা তাদের ভুল ৷ এটা হয় লিপিগত
ভুল কিৎব৷ তাদের হিসােবর ভুল অথবা তারা চল্লিরুশর উপরের যুচরা বছরগুলোকে ছেড়ে
দিয়েছে ৷ কিন্তু এ রকম করা তাদের নীতি নয় ৷ কেননা, অনেক স্থানে তারা খুচরা সংখ্যাসহ
উল্লেখ করেছে ৷ এখানে কিভাবে এর ব্যতিক্রম করল তা বোধগম্য নয় ৷
আল্লাহ কুরআনে বলেন :
ণ্ ৷
থ্রে ৷ মোঃ ৷ ,এএে
গ্রসৌংগ্র
তবে কি তোমরা উপস্থিত ছিলে যখন ইয়াকুবের মৃত্যু নিকটবর্তী হয়? যখন সে সন্তানদের
বলল : আমার পর তোমরা কার ইবাদত করবে? তারা বলল : আমরা আপনার পিতৃপুরুয
ইবরাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের উপাস্যের ইবাদত করব ৷ তিনি একক উপাস্য ৷ আর আমরা
সবা তার কাছে আত্মসমর্পণকারী ৷ (সুরা বাকারা : ১৩৩)
হযরত ইয়াকুব (আ) আপন সম্ভানদেরকে যে খালিস দীনের প্রতি ওসীয়ত করেন, তা হল
দীন ইসলাম ৷ যে দীনসহ সমস্ত নবীকে তিনি প্রেরণ করেছেন ৷ আহলি কিতাবরা উল্লেখ করে,
হযরত ইয়াকুব (আ)৩ তার পুত্রদেরকে একজন একজন করে ওসীয়ত করেন এবং তাদের
অবস্থা ভবিষ্যতে কেমন হবে সে সম্পর্কে অবহিত করেন ৷ পুত্র ইয়াহুযাকে তিনি তার বংশ
থেকে এক মহান নবীর আগমনের সু-সংবাদ দেন ৷ বংশের সবাই তার আনুগত্য করবে ৷ তিনি
হলেন সায়িদ্রদিন৷ ঈসা ইবন মারয়াম (আ) ৷ আ ৷ল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
আহলি কিতাবদের বর্ণনা মতে, হযরত ইয়াকুব (আ) এর মৃত্যুতে মিসরৰাসী সত্তর দিন
পর্যন্ত শোক পালন করে ৷ হযরত ইউসুফ (আ) চিকিৎসা বিদ দেরকে উৎকৃষ্ট সুগন্ধি দ্বারা পিতার
وَعَظُمَتِ الْفِتَنُ وَاشْتَدَّ الْقِتَالُ وَكَثُرَ الْقِيلُ وَالْقَالُ، وَتَمَنَّى ذَلِكَ الْبُخَارِيُّ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ صَاحِبُ " الصَّحِيحِ " لَمَّا اشْتَدَّ عَلَيْهِ الْحَالُ، وَلَقِيَ مِنْ مُخَالِفِيهِ الْأَهْوَالَ.
فَأَمَّا فِي حَالِ الرَّفَاهِيَةِ فَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ فِي صَحِيحَيْهِمَا مِنْ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَتَمَنَّى أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ إِمَّا مُحْسِنًا فَيَزْدَادُ، وَإِمَّا مُسِيئًا فَلَعَلَّهُ يَسْتَعْتِبُ، وَلَكِنْ لِيَقُلِ: اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي، وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي» . وَالْمُرَادُ بِالضُّرِّ هَاهُنَا مَا يَخُصُّ الْعَبْدَ فِي بَدَنِهِ مِنْ مَرَضٍ وَنَحْوِهِ، لَا فِي دِينِهِ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَأَلَ ذَلِكَ إِمَّا عِنْدَ احْتِضَارِهِ أَوْ إِذَا كَانَ ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ كَذَلِكَ.
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ يَعْقُوبَ أَقَامَ بِدِيَارِ مِصْرَ عِنْدَ يُوسُفَ سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً، ثُمَّ تُوُفِّيَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَكَانَ قَدْ أَوْصَى إِلَى يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَنْ يُدْفَنَ عِنْدَ أَبَوَيْهِ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْحَاقَ قَالَ السُّدِّيُّ: فَصَبَرَهُ وَسَيَّرَهُ إِلَى بِلَادِ الشَّامِ فَدَفَنَهُ بِالْمَغَارَةِ عِنْدَ أَبِيهِ إِسْحَاقَ وَجَدِّهِ الْخَلِيلِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ.
وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ عُمُرَ يَعْقُوبَ يَوْمَ دَخَلَ مِصْرَ مِائَةٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً. وَعِنْدَهُمْ أَنَّهُ أَقَامَ بِأَرْضِ مِصْرَ سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَمَعَ هَذَا قَالُوا: فَكَانَ جَمِيعُ عُمُرِهِ مِائَةً وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. هَذَا نَصُّ كِتَابِهِمْ، وَهُوَ غَلَطٌ
পৃষ্ঠা - ৫০৬
মরদেহকে অক্ষুগ্ন রাখতে আদেশ দিলে তারা তাই করে ৷ এভাবে চল্লিশ দিন অতিবাহিত হয় ৷
অতঃপর হযরত ইউসুফ (আ) মিসরের বাদশাহব কাছে এই মর্মে মিসরের বাইরে যাওয়ার
অনুমতি চান যে, তিনি পিতাকে পিভু-পুরুষদের পাশে দাফন করবেন ৷ বাদশাহ অনুমতি
দিলেন ৷ ইউসুফ (আ)-এর সাথে মিসরের গণ্যমান্য ও প্রভাবশালী লোকদের এক বিরাট দল
গমন করে ৷ হিবরুন (হেব্রন) নামক স্থানে পৌছে পিতাকে সেই গুহায় দাফন করেন, যে গুহাটি
হযরত ইব্রাহীম (আ) ইফরুন ইবন সাখার-এর কাছ থেকে খরীদ করে নিয়েছিলেন ৷ সাতদিন
তথায় অবস্থান করার পর সকলেই স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ পিতার মৃত্যুতে ইউসুফ
(আ)-এর ভাইগণ ইউসুফ (আ)-কে অত্যধিক সান্তুনা দেন ও সম্মান দেখান ৷ ইউসুফ (আ)-ও
তাদেরকে সম্মানিত করেন এবং প্রত্যাবর্তনের পর উত্তমভাবে তাদেরকে মিসরে থাকার ব্যবস্থা
করেন ৷ এরপর আসে হযরত ইউসুফ (আ)-এর অন্তিমকাল ৷ মৃত্যুকালে তিনি স্ব-বংশীয়দেরকে
ওসীয়ত করে যান যে, তারা যখন মিসর থেকে বের হয়ে যাবেন তখন যেন তার লাশও মিসর
থেকে সাথে করে নিয়ে যান এবং বাপ-দাদার কবরের পাশে র্তাকেও যেন দাফন করা হয় ৷
ফলে মৃত্যুর পরে হযরত ইউসুফ (আ)-এর লাশ সুপন্ধি দ্বারা আবৃত করে একটি সিন্দুকে পুরে
মিসরে রেখে দেওয়া হয় ৷ হযরত মুসা (আ) যখন বনী ইসরাঈলকে নিয়ে মিসর থেকে বেরিয়ে
আসেন, তখন ঐ সিন্দুকও নিয়ে আসেন এবং তার পিতৃ-পুরুষদের পাশে দাফন করেন ৷ পরে এ
সম্পর্কে আলোচনা করা হবে ৷ অড়াহলি কিতাবদের মতে, মৃত্যুকড়ালে হযরত ইউসুফ (আ)-এর
বয়স হয়েছিল একশ’ দশ বছর ৷ আহলি কিতাবদের এই লেখাটি আমি দেখেছি এবং ইবন
জারীর (র)ও তা নকল করেছেন ৷ মুবারক ইবন ফুযালা হাসান সুত্রে বর্ণনা করেছেন : ইউসুফ
(আ)-কে যখন কুয়ায় নিক্ষেপ করা হয়, তখন তার বয়স ছিল সতের বছর ৷ পিতার কাছ থেকে
অনুপ ত ছিলেন আশি বছর এবং পিতার সাথে মিলনের পরে জীবিত ছিলেন তেইশ বছর ৷
সুতরাং মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ( ১ ৭৮০২৩) একশ বিশ বছর ৷ অন্যদের মতে ,
মৃত্যুকালে তিনি তার ভাই ইয়াহুযাকে ওসীয়ত করে যান ৷
إِمَّا فِي النُّسْخَةِ أَوْ مِنْهُمْ أَوْ قَدْ أَسْقَطُوا الْكَسْرَ، وَلَيْسَ بِعَادَتِهِمْ فِيمَا هُوَ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا فَكَيْفَ يَسْتَعْمِلُونَ هَذِهِ الطَّرِيقَةَ هَاهُنَا، وَقَدْ قَالَ تَعَالَى فِي كِتَابِهِ الْعَزِيزِ: {أَمْ كُنْتُمْ شُهَدَاءَ إِذْ حَضَرَ يَعْقُوبَ الْمَوْتُ إِذْ قَالَ لِبَنِيهِ مَا تَعْبُدُونَ مِنْ بَعْدِي قَالُوا نَعْبُدُ إِلَهَكَ وَإِلَهَ آبَائِكَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِلَهًا وَاحِدًا وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ} [البقرة: 133] . فَوَصَّى بَنِيهِ بِالْإِخْلَاصِ، وَهُوَ دِينُ الْإِسْلَامِ الَّذِي بَعَثَ اللَّهُ بِهِ الْأَنْبِيَاءَ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ.
وَقَدْ ذَكَرَ أَهْلُ الْكِتَابِ أَنَّهُ أَوْصَى بَنِيهِ وَاحِدًا وَاحِدًا، وَأَخْبَرَهُمْ بِمَا يَكُونُ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَبَشَّرَ يَهُوذَا بِخُرُوجِ نَبِيٍّ عَظِيمٍ مِنْ نَسْلِهِ تُطِيعُهُ الشُّعُوبُ، وَهُوَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَذَكَرُوا أَنَّهُ لَمَّا مَاتَ يَعْقُوبُ بَكَى عَلَيْهِ أَهْلُ مِصْرَ سَبْعِينَ يَوْمًا، وَأَمَرَ يُوسُفُ الْأَطِبَّاءَ فَطَيَّبُوهُ بِطِيبٍ، وَمَكَثَ فِيهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، ثُمَّ اسْتَأْذَنَ يُوسُفُ مَلِكَ مِصْرَ فِي الْخُرُوجِ مَعَ أَبِيهِ لِيَدْفِنَهُ عِنْدَ أَهْلِهِ، فَأَذِنَ لَهُ وَخَرَجَ مَعَهُ أَكَابِرُ مِصْرَ وَشُيُوخُهَا، فَلَمَّا وَصَلُوا حَبْرُونَ دَفَنُوهُ فِي الْمَغَارَةِ الَّتِي كَانَ اشْتَرَاهَا إِبْرَاهِيمُ الْخَلِيلُ مِنْ عَفْرُونَ بْنِ صَخْرٍ الْحِيثِيِّ، وَعَمِلُوا لَهُ عَزَاءً سَبْعَةَ أَيَّامٍ. قَالُوا: ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى بِلَادِهِمْ، وَعَزَّى إِخْوَةُ يُوسُفَ لِيُوسُفَ فِي أَبِيهِمْ، وَتَرَقَّقُوا لَهُ فَأَكْرَمَهُمْ وَأَحْسَنَ مُنْقَلَبَهُمْ، فَأَقَامُوا بِبِلَادِ مِصْرَ، ثُمَّ حَضَرَتْ يُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ الْوَفَاةُ فَأَوْصَى أَنْ يُحْمَلَ مَعَهُمْ إِذَا خَرَجُوا مِنْ مِصْرَ فَيُدْفَنَ عِنْدَ آبَائِهِ، فَحَنَّطُوهُ وَوَضَعُوهُ فِي تَابُوتٍ فَكَانَ بِمِصْرَ حَتَّى أَخْرَجَهُ مَعَهُ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ فَدَفَنَهُ عِنْدَ آبَائِهِ، كَمَا سَيَأْتِي. قَالُوا: فَمَاتَ وَهُوَ ابْنُ مِائَةِ سَنَةٍ وَعَشْرِ سِنِينَ. هَذَا نَصُّهُمْ فِيمَا رَأَيْتُهُ وَفِيمَا حَكَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ أَيْضًا. وَقَالَ مُبَارَكُ
পৃষ্ঠা - ৫০৭
بْنُ فَضَالَةَ عَنِ الْحَسَنِ أُلْقِيَ يُوسُفُ فِي الْجُبِّ وَهُوَ ابْنُ سَبْعَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَغَابَ عَنْ أَبِيهِ ثَمَانِينَ سَنَةً، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَلَاثًا وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَمَاتَ وَهُوَ ابْنُ مِائَةِ سَنَةٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً. وَقَالَ غَيْرُهُ أَوْصَى إِلَى أَخِيهِ يَهُوذَا. صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَعَلَى الْأَنْبِيَاءِ أَجْمَعِينَ.
পৃষ্ঠা - ৫০৮
হযরত আইয়ুব (আ) এর ঘটনা
ইবন ইসহাক (র) বলেন, হযরত আইয়ুব (আ) ছিলেন রোমের বাসিন্দা ৷ তার বংশপঞ্জি
নিম্নরুপ : আইয়ুব ইবন মুস, ইবন যারাহ ইবনুল ঈস ইবন ইসহাক ইবন ইব্রাহীম আল-খলীল
(আ) ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তার বংশ তালিকা এভাবে : আইয়ুব ইবন মুস ইবন রাবীল
ইবনুল ঈস ইবন ইসহাক ইবন ইয়াকুব (আ) ৷ কোন কোন ঐতিহাসিক অন্যরুপ লিখেছেন ৷
ইবন আসাকির (র) লিখেছেন, আইয়ুব নবীর মা ছিলেন হযরত লুত ৷ আ)-এর কন্যা ৷ কেউ
কেউ বলেছেন, হযরত আইয়ুব (আ)-এর পিতা সেই ঈমানদারদের একজন যারা হযরত
ইব্রাহীম (আ) কে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপের দিন ঈমান এসেছিলেন ৷ কিস্তু প্রথম মতটাই অধিক
৷ প্রসিদ্ধ ৷ কেননা, তিনি ছিলেন ইব্রাহীম (আ) এর অধংস্তন বংশধর ৷ এ বিষয়ে আমরা নিম্নোক্ত
আয়াতের তাফসীরে বিস্তারিত লিখেছি ৷ যথাং :
আর তার (ইব্রাহীমের) বংশ ধরদের মধ্যে রয়েছে দাউদ, সুলায়মড়ান, আইয়ুব, ইউসুফ,
মুসা ও হারুন ৷ (৬ : ৮৪)
সঠিক মত এই যে < গ্লু৷ বলতে ইব্রাহীম (আ)-এর বংশধরদের বোঝানো হয়েছে; নুহ
(আ)-এর বংশধর নয় ৷ হযরত আইয়ুব (আ) সেসব নবীর অন্যতম যাদের নিকট ওহী পাঠানো
হয়েছে বলে কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ যেমন ং
াট্রুা৷,
শ্ণ্ন্৬ ’
তোমার কাছে ওহী প্রেরণ করেছি যেমন নুহ ও তার পরবর্তী নবীগণের কাছে প্রেরণ
করেছিলাম ৷ ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও ত ৷র বংশ ধরণ ণ, ঈস৷ , অ ৷ইয়ুব, হারুন
এবং সুলায়মানের কাছে ওহী প্রেরণ করেছিলাম ৷ (৪ : ১৬৩)
অতএব, বিশুদ্ধ মত এই যে, হযরত আইয়ুব (আ) ছিলেন ঈসা ইবন ইসহাক (আ )-এর
বংশধর ৷ তার ত্রীর নামের ব্যাপারেও বিভিন্ন মত পাওয়া যায় ৷ কারও মতে, লায়্যা বিনত
ইয়াকুব ৷ কারও মতে, রুহমাহ বা রাহিমাহ বিনত আফরাইম ৷ কারও মতে, মানশা বিনত
ইউসুফ ইবন ইয়াকুব ৷ শেষোক্ত মতা২ বেশি প্রসিদ্ধ ৷ এই কারণে আমরা এখানে এই মতেরই
উল্লেখ করেছি ৷ হযরত আইয়ুব (আ)-এর ঘটনা বলার পর আমরা বনী ইসরাঈলের অন্যান্য
[قِصَّةُ نَبِيِّ اللَّهِ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ]
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ كَانَ رَجُلًا مِنَ الرُّومِ، وَهُوَ أَيُّوبُ بْنُ مُوصَ بْنَ رَزَاحَ بْنِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ. وَقَالَ غَيْرُهُ هُوَ أَيُّوبُ بْنُ مُوصَ بْنِ رَغْوِيلَ بْنِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ يَعْقُوبَ. وَقِيلَ غَيْرُ ذَلِكَ فِي نَسَبِهِ، وَحَكَى ابْنُ عَسَاكِرَ أَنَّ أُمَّهُ بِنْتُ لُوطٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَقِيلَ: كَانَ أَبُوهُ مِمَّنْ آمَنَ بِإِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَوْمَ أُلْقِيَ فِي النَّارِ فَلَمْ تَحْرِقْهُ. وَالْمَشْهُورُ الْأَوَّلُ لِأَنَّهُ مِنْ ذُرِّيَّةِ إِبْرَاهِيمَ، كَمَا قَرَّرْنَا عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ وَأَيُّوبَ وَيُوسُفَ وَمُوسَى وَهَارُونَ} [الأنعام: 84] الْآيَاتِ [الْأَنْعَامِ: 84] . مِنْ أَنَّ الصَّحِيحَ أَنَّ الضَّمِيرَ عَائِدٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ دُونَ نُوحٍ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ، وَهُوَ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ الْمَنْصُوصِ عَلَى الْإِيحَاءِ إِلَيْهِمْ فِي سُورَةِ النِّسَاءِ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِهِ وَأَوْحَيْنَا إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَعِيسَى وَأَيُّوبَ} [النساء: 163] . الْآيَةَ. فَالصَّحِيحُ أَنَّهُ مِنْ سُلَالَةِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ، وَامْرَأَتُهُ قِيلَ: اسْمُهَا لَيَا بِنْتُ يَعْقُوبَ. وَقِيلَ: رَحْمَةُ بِنْتُ أَفْرَائِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ، وَهَذَا أَشْهَرُ فَلِهَذَا ذَكَرْنَاهُ هَاهُنَا، ثُمَّ نَعْطِفُ بِذِكْرِ أَنْبِيَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ بَعْدَ ذِكْرِ قِصَّتِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
পৃষ্ঠা - ৫০৯
নবী সম্পর্কে আলোচনা করব ইনশা ৷ল্লাহ ৷ আল্লাহ্র বাণী৪
এবং স্মরণ কর, আইয়ুবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল,
আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি ৷৩ তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু ৷ তখন আমি তার ডাকে
সাড়া দিলাম ৷ তার দৃষ্কখ-কষ্ট দুরীভুত করে দিলাম, তাকে তার পরিবার-পরিজন ফিরিয়ে দিলাম
এবং তাদের সঙ্গে তাদের মত আরো দিয়েছিলাম আমার বিশেষ রহমতরুপে এবং
ইবাদতকারীদের জন্যে উপদেশস্বরুপ ৷ (২১ : ৮৩-৮৪ )
সুরা সাদে আল্লাহ বলেনং :
মোঃ
§
ট্রু,াক্ট্রার্কোা
স্মরণ কর, আমার বান্দা আইয়ুবকে, যখন সে তার প্রতিপালকরুক আহ্বান করে বলেছিল ,
শয়তান তাে আমাকে যন্ত্রণ৷ ও কষ্টে ফেলেছে ৷ আমি তাকে বললাম, তুমি তোমার পা দিয়ে
ভুমিতে আঘাত কর, এই ৫৩ তা গোসলের সুশীতল পানি আর পানীয় ৷ আমি তাকে দিলাম তার
পরিজনবর্গ ও তাদের মত আরও আমার অনুগ্রহস্বরুপ ও বোধ্যাক্তিসম্পন্ন লোকদের জন্যে
উপদেশ স্বরুপ ৷ আমি তাকে আদেশ করলাম, এক মুঠে৷ তৃণ লও ও তা দিয়ে আঘাত কর এবং
শপথ ভঙ্গ করে৷ না ৷ আমি তাকে পেলাম ধৈর্যশীল ৷ কত উত্তম বান্দ৷ যে! সে ছিল আমার
অভিযুখী ৷ (৩৮ং ষ্ ৪১-৪৪)
ইবন আসাকির (র) কালবী (র) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, সর্বপ্রথম প্রেরিত নবী হযরত
ইদরীস (আ) ৷ তারপরে নুহ, তারপর ইব্রাহীম (আ) ৷ তারপর ইসমাঈল, তারপর ইসহাক ,
তারপর ইয়াকুব, তারপর ইউসুফ (আ) ৷ তারপর লুত , তারপর হুদ , তারপর সালিহ, তারপর
শুআয়ব, তারপর মুসা ও হারুন, তারপর ইলয়াস, তারপর আল-য়াসা, তারপর উরফী ইবন
সুওয়ায়লিখ ইবন আফরাইম ইবন ইউসুফ ইবন ইয়াকুব (আ) ৷ তারপর ইউনুস (আ) ইবন
মাত্তা ইয়াকুবের বংশধর ৷ তারপর আইয়ুব ইবন যারাহ ইবন আমুস ইবন লায়ফারাম ইবনুল
ঈস ইবন ইসহাক ইবন ইবরাহীম (আ) ৷ উক্ত ত্রুমধারায় কোন কোন নামের ক্ষেত্রে আপত্তি
আছে ৷ কেননা হুদ ও সালিহ (আ) সম্পর্কে প্রসিদ্ধ মত এই যে, তাদের আগমন নুহ (আ)-এর
পরে ও ইবরাহীম (আ)-এর পুর্বে হয়েছিল ৷
ঐতিহাসিক ও তাফসীরকারগণ বলেছেন, হযরত ৩আইয়ুব (আ) ছিলেন সে কালের একজন
বড় ধনাঢ৷ ব্যক্তি ৷ সকল প্রকার সম্পদের অধিকারী ছিলেন তিনি ৷ যথা চ তুষ্পদ ও গৃহ পালিত
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ فَاسْتَجَبْنَا لَهُ فَكَشَفْنَا مَا بِهِ مِنْ ضُرٍّ وَآتَيْنَاهُ أَهْلَهُ وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنَا وَذِكْرَى لِلْعَابِدِينَ} [الأنبياء: 83]
[ص: 41 - 44] . وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ الْكَلْبِيِّ أَنَّهُ قَالَ: أَوَّلُ نَبِيٍّ بُعِثَ إِدْرِيسُ، ثُمَّ نُوحٌ، ثُمَّ إِبْرَاهِيمُ، ثُمَّ إِسْمَاعِيلُ، ثُمَّ إِسْحَاقُ، ثُمَّ يَعْقُوبُ، ثُمَّ يُوسُفُ، ثُمَّ لُوطٌ، ثُمَّ هُودٌ، ثُمَّ صَالِحٌ، ثُمَّ شُعَيْبٌ، ثُمَّ مُوسَى وَهَارُونُ، ثُمَّ إِلْيَاسُ، ثُمَّ الْيَسَعُ، ثُمَّ عُرْفِيُّ بْنُ سَوِيلَخَ بْنِ أَفْرَائِيمَ بْنِ يُوسُفَ بْنِ يَعْقُوبَ، ثُمَّ يُونُسُ بْنُ مَتَّى مِنْ بَنِي يَعْقُوبَ، ثُمَّ أَيُّوبَ بْنِ رَزَاحَ بْنِ آمُوصَ بْنِ لِيفَرَزَ بْنِ الْعِيصِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَفِي بَعْضِ هَذَا التَّرْتِيبِ نَظَرٌ فَإِنَّ هُودًا وَصَالِحًا الْمَشْهُورُ أَنَّهُمَا بَعْدَ نُوحٍ، وَقَبْلَ إِبْرَاهِيمَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ عُلَمَاءُ التَّفْسِيرِ، وَالتَّارِيخِ، وَغَيْرُهُمْ: كَانَ أَيُّوبُ رَجُلًا كَثِيرَ الْمَالِ مِنْ سَائِرِ صُنُوفِهِ وَأَنْوَاعِهِ مِنَ الْأَنْعَامِ وَالْعَبِيدِ وَالْمَوَاشِي وَالْأَرَاضِي الْمُتَّسِعَةِ بِأَرْضِ الْبَثْنِيَّةِ مِنْ أَرْضِ حُورَانَ. وَحَكَى ابْنُ عَسَاكِرَ: أَنَّهَا كُلَّهَا كَانَتْ لَهُ، وَكَانَ لَهُ أَوْلَادٌ وَأَهْلُونَ كَثِيرٌ، فَسُلِبَ مِنْ ذَلِكَ جَمِيعِهِ، وَابْتُلِيَ فِي جَسَدِهِ
পৃষ্ঠা - ৫১০
পশু ৷ দাস-দাসী এবং হাওরান অঞ্চলের বৃছায়না এলাকার বিশাল জমির মালিকানা ছিল তার
হস্তগত ৷
ইবন আসাকির (ব) বর্ণনা করেন, হযরত আইয়ুব (আ) এর ঐ সব সম্পদ ছাড়াও আরও
ছিল প্রচুর সন্তান ও পরিবার পবিজন ৷ পরে এ সব কিছু তার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে নানা প্রকার
দৈহিক ব্যাধি দ্বারা তাকে পরীক্ষায় ফেলা হয় ৷ শরীরের সর্ব অষ্ পে রোগ ছিল এত ব্যাপক যে
জিহবা ও হৃৎপিণ্ড ব্যতীত কোন একটি স্থানও অক্ষত ছিল না ৷ এ দুই অ প দ্বারা তিনি
আল্লাহর যিকির করতেন ৷ এত সব মুসীবত সত্বেও৩ তিনি ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা দেখান ৷ রাত-দিন
সকাল-সন্ধ্যড়া সর্বক্ষণ আল্লাহর যিকিরে রত থাকেন ৷ রোগ দীর্ঘ স্থায়ী হওয়ায় বন্ধু-বান্ধব,
আপনজন তীর কাছ থেকে সরে যেতে থাকে ৷ অবশেষে তাকে শহরের বা ৷ইরে এক আবর্জনাময়
স্থানে ফেলে রাখা হয় ৷ একে একে সবাই তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ একমাত্র শ্রী ছাড়া অন্য
কেউ তার খোজ খবর রাখত না ৷ স্বামীর অধিকার, তার পুর্বের ভালবাসা ও অনুগ্রহেব কথা
মনে রেখে ত্রী তার সেবার নিয়োজিত থাকেন ৷ শ্রী তার অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখতেন ৷
পেশার পায়খানায় সাহায্য করতেন এবং অন্যান্য খিদমতে আঞ্জাম দিতেন ৷ ন্তীও ক্রমশ দুর্বল
হতে থাকেন ৷ অর্থের দৈন্য দেখা দেয় ৷ ফলে মানুষের বাড়িতে কাজ করে সেই পারিশ্রমিক দ্বারা
স্বামীর আহার্য ও ঔষধ্পত্রের ব্যবস্থা করতে বাধ্য হন ৷ তবুও তিনি অসীম ধৈর্যের পরিচয় দেন ৷
সম্পদ ও সন্তানাদি হারান ৷ স্বামীর করুণ অবস্থা, অর্থের অভাব ও মানুষের সাহায্য-সহানুভুতির
অনুপন্থিতি এ সব প্রতিকুল অবন্থাকে স্বামী-ত্রী উভয়ে অত্যন্ত ধৈর্যেব সাথে মুকাবিলা করেন ৷
অথচ সম্পদঐশ্বর্য, বন্ধু-বান্ধব ইতিপুর্বে সবই তাদের করায়ত্ত ছিল ৷ সহীহ হাদীসে আছে
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন ;;
সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা হয় নবীগ ৷ণের ৷ত তারপর সতম্পোন্থী লোকদের, এরপর দীনদাদীর স্তর
ভেদে পর্যায়ক্রমে এ পরীক্ষা চলে ৷ যদি সে দৃ তার সঙ্গে দীনের আনুগত্য করতে থাকে তবে
তার পরীক্ষা ৷ও কঠােরতর হয় ৷’ উল্লেখিত বিপদ-আপদ হযরত আইয়ুব (আ )-এর ক্ষেত্রে যতই
বৃদ্ধি পেয়েছে৩ ত তার ধৈর্য, সহনশীলতা, আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বৃদ্ধি
পেয়েছে ৷ এমনকি তার ধৈর্য ও মুসীবত পরবর্তীকালে প্রবাদে পরিণত হয়ে যায় ৷ ওহাব ইবন
মুনাব্বিহ ও অন্য অনেকে ইসরাঈলী উলামাদের বরাতে হযরত আইয়ুব (আ)-এর সম্পদ ও
সভানাদি নিঃশেষিত হওয়া ও দেহের রোগ সম্পর্কে দীর্ঘ বর্ণনা দান করেছেন ৷ আল্লাহ এগুলোর
বিশুদ্ধত৷ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত ৷
মুজাহিদ (র) বলেছেন, পৃথিবীতে হযরত আইয়ুব (আ)-এরই সর্বপ্রথম বসন্ত রোগ হয় ৷
ঐতিহড়াসিকগণ হযরত আইয়ুব (আ)-এর পরীক্ষাকালের ন্থায়িতৃ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ
করেন ৷ ওহাবের মতে, তার পরীক্ষাকাল ছিল তিন বছর এর কমও নয়, রেশিও নয় ৷
আনাস (বা) ব,লেন সাত বছর কয়েক মাস পর্যন্ত তার পরীক্ষা চলে ৷ এই সময়ে তাকে বনী
ইসরাঈলের একটি আবর্জনাময় স্থানে ফেলে রাখা হয় ৷ বিভিন্ন রকম কীট তার দেহের উপর
بِأَنْوَاعِ الْبَلَاءِ، وَلَمْ يَبْقَ مِنْهُ عُضْوٌ سَلِيمٌ سِوَى قَلْبِهِ وَلِسَانِهِ يَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ بِهِمَا، وَهُوَ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ صَابِرٌ مُحْتَسِبٌ ذَاكِرٌ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي لَيْلِهِ وَنَهَارِهِ، وَصَبَاحِهِ وَمَسَائِهِ، وَطَالَ مَرَضُهُ حَتَّى عَافَهُ الْجَلِيسُ، وَأَوْحَشَ مِنْهُ الْأَنِيسُ، وَأُخْرِجَ مِنْ بَلَدِهِ وَأُلْقِيَ عَلَى مَزْبَلَةٍ خَارِجَهَا، وَانْقَطَعَ عَنْهُ النَّاسُ، وَلَمْ يَبْقَ أَحَدٌ يَحْنُو عَلَيْهِ سِوَى زَوْجَتِهِ كَانَتْ تَرْعَى لَهُ حَقَّهُ، وَتَعْرِفُ قَدِيمَ إِحْسَانِهِ إِلَيْهَا وَشَفَقَتِهِ عَلَيْهَا، فَكَانَتْ تَتَرَدَّدُ إِلَيْهِ فَتُصْلِحُ مِنْ شَأْنِهِ، وَتُعِينُهُ عَلَى قَضَاءِ حَاجَتِهِ وَتَقُومُ بِمَصْلَحَتِهِ، وَضَعُفَ حَالُهَا، وَقَلَّ مَالُهَا حَتَّى كَانَتْ تَخْدِمُ النَّاسَ بِالْأَجْرِ لِتُطْعِمَهُ، وَتَقُومَ بِأَوَدِهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا وَهِيَ صَابِرَةٌ مَعَهُ عَلَى مَا حَلَّ بِهِمَا مِنْ فِرَاقِ الْمَالِ وَالْوَلَدِ، وَمَا يَخْتَصُّ بِهَا مِنَ الْمُصِيبَةِ بِالزَّوْجِ، وَضِيقِ ذَاتِ الْيَدِ، وَخِدْمَةِ النَّاسِ بَعْدَ السَّعَادَةِ وَالنِّعْمَةِ وَالْخِدْمَةِ، وَالْحُرْمَةِ، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَقَدْ ثَبَتَ فِي الصَّحِيحِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَشَدُّ النَّاسِ بَلَاءً الْأَنْبِيَاءُ، ثُمَّ الصَّالِحُونَ، ثُمَّ الْأَمْثَلُ فَالْأَمْثَلُ، يُبْتَلَى الرَّجُلُ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ فَإِنْ كَانَ فِي دِينِهِ صَلَابَةٌ زِيدَ فِي بَلَائِهِ» . وَلَمْ يَزِدْ هَذَا كُلُّهُ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَّا صَبْرًا وَاحْتِسَابًا، وَحَمْدًا وَشُكْرًا، حَتَّى إِنَّ الْمَثَلَ لَيُضْرَبُ بِصَبْرِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَيُضْرَبُ الْمَثَلُ أَيْضًا بِمَا حَصَلَ لَهُ مِنْ أَنْوَاعِ الْبَلَايَا، وَقَدْ رُوِيَ عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، وَغَيْرِهِ مِنْ عُلَمَاءِ بَنِي إِسْرَائِيلَ فِي قِصَّةِ أَيُّوبَ خَبَرٌ طَوِيلٌ فِي كَيْفِيَّةِ ذَهَابِ مَالِهِ وَوَلَدِهِ، وَبَلَائِهِ فِي جَسَدِهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّتِهِ، وَعَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ أَيُّوبُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَوَّلَ مَنْ أَصَابَهُ الْجُدَرِيُّ. وَقَدِ اخْتَلَفُوا فِي مُدَّةِ
পৃষ্ঠা - ৫১১
দিয়ে চলাচল করত ৷ অতঃপর আল্লাহ র্তাকে এ ঘুসীবত থেকে উদ্ধার করেন ৷ বিপুলভাবে তাকে
পুরস্কৃত করেন এবং তার প্রশংসাও করেন ৷
হুমায়দ (র) বলেছেন, হযরত আইয়ুব (আ) আঠ৷ ৷র বছর যাবত মুসীবতে আবদ্ধ ছিলেন ৷
সুদ্দী (র) বলেছেন, অইিয়ুব (আ) এর দেহ থেকে মাং স খসে পড়ে এমনকিতার হাড় ও শিরা
ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না ৷ত তার ত্রীতার দেহের নিচে ছাই বিছিয়ে দিতেন ৷ এ অবস্থা
যখন দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকে, তখন একদা ৷ত্রী বললেন, হে আইয়ুব! আপনি যদি আপনার
প্রতিপালকের কাছে দুআ করতেন তাহলে তিনি এ বিপদ থেকে আপনাকে উদ্ধার করতেন ৷
তদুত্তরে আইয়ুব (আ) বললেন, আমি সত্তর বছর সুস্থ দেহে জীবন যাপন করেছি, এখন তার
জন্যে সত্তর বছর সবর করলেও তা নগণ্যই হবে ৷ স্বামীর মুখে এ কথা শুনে শ্রী ঘাবড়ে যান ৷
তখন থেকে তিনি পারিশ্রমিকের বিনিময়ে মানুষের কাজকর্ম করে আইয়ুব (আ)-এর আহার্যের
বন্দোবস্ত করতেন ৷
কিছুদিন পর লোকজন যখন জানল যে, এই মহিলাটি আইয়ুব (আ)শ্এর ত্রী ৷ তখন আর
তারা র্তাকে কাজে নিতে৷ না ৷ তাদের ভয় হল যে, এরুপ মেলামেশার দ্বারা আইয়ুরের রোগ
হয়ত তাদের মধ্যে সং ক্রামিত হতে পারে ৷ একদা ৷ত্রী কোথাও কা জ খুজে না পেয়ে অবশেষে
জনৈক সম্রা ন্ত ব্যক্তির কন্যার কাছে খুব উন্নত মানের খাদ্যের বিনিময়ে নিজের চুলের দুইটি
বেনীর একটি বিক্রি করে দেন ৷ উক্ত খাদ্য নিয়ে তিনি আইয়ুব (আ)-এর কাছে উপস্থিত হন ৷
অইিয়ুব (আ) এমন খাদ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ খাদ্য কোথায়
পেয়েছ? শ্রী জানালেন, অন্যের কাজ করে এ খাদ্য সংগ্রহ করেছি ৷ পরের দিনও শ্রী কোথাও
কাজ না পেয়ে অবশিষ্ট বেনীটিও খাদ্যের বিনিময়ে বিক্রি করে দেন ৷ উক্ত খাদ্য আইয়ুব
(আ)-এর কাছে নিয়ে আসলে এবারও তিনি অসস্তুষ্ট হন এবং কসম করেন যে, কোথা থেকে
কিভাবে এ খাদ্য তিনি পেলেন, না বলা পর্যন্ত তিনি তা খাবেন না ৷ তখন ত্রী নিজ মাথা থেকে
ওড়না তুলে দেখা ৷ন ৷ আইয়ুব (আ) ত্রীর মাথা মুণ্ডিত দেখে আল্লাহর কাছে দু আ করেন:
(
হে আমার প্রতিপালক! আমি দৃ৪খে-কষ্টে পতিত হয়েছি, আর আপনি তো সকল
দয়ালুদের শ্রেষ্ঠ দয়ালু ৷ (সুরা আম্বিয়া০ : ৮৩)
ইবন আবী হ দিম (র) আবদুল্লাহ ইবন উবায়দ ইবন উমায়র (রা ) থেকে বর্ণনা করেন
হযরত আইয়ুব (আ) এর দুই ভাই ছিল ৷ একদা তারা তাদের ভাইকে দেখতে আসে ৷ কিন্তু
অইিয়ুব (আ) এর দেহের দুর্পন্ধের কারণে তারা তার কাছে যেতে সক্ষম হলো না ৷ দুরে দাড়িয়ে
থাকে ৷ তখন একজন অপর জনকে বললং আইয়ুবের মধ্যে কোন কল্যাণ আছে বলে যদি
আল্লাহ জানতেন, তাহলে তিনি এভাবে তাকে এরুপ কঠিন পরীক্ষায় ফেলতেন না ৷ তাদের এ
কথায় তিনি এতই মর্মাহত হন যে, এমনটি আর কখনও হননি ৷ অতঃপর তিনি আল্লাহর কাছে
দু আ করলেন, হে আল্লাহ ! আপনি যদি জানেন যে, এমন একটি রাতও যায়নি , যে রাত্রে আমি
পেট ভরে খানা থেয়েছি অথচ আমার জানা মতে, কোন ব্যক্তি ক্ষুধার্ত অবস্থায় থেকেছে, তা
হলে আমার সত্যতা প্রকাশ করুন ৷ ’ তখন আকাশ থেকে তার কথার সত্যতা ঘোষণা করা হয়
بَلْوَاهُ عَلَى أَقْوَالٍ؛ فَزَعَمَ وَهْبٌ أَنَّهُ ابْتُلِيَ ثَلَاثَ سِنِينَ لَا تَزِيدُ وَلَا تَنْقُصُ. وَقَالَ أَنَسٌ ابْتُلِيَ سَبْعَ سِنِينَ وَأَشْهُرًا، وَأُلْقِيَ عَلَى مَزْبَلَةٍ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ تَخْتَلِفُ الدَّوَابُّ فِي جَسَدِهِ حَتَّى فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ، وَعَظَّمَ لَهُ الْأَجْرَ، وَأَحْسَنَ الثَّنَاءَ عَلَيْهِ.
وَقَالَ حُمَيْدٌ: مَكَثَ فِي بَلْوَاهُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَقَالَ السُّدِّيُّ: تَسَاقَطَ لَحْمُهُ حَتَّى لَمْ يَبْقَ إِلَّا الْعَظْمُ وَالْعَصَبُ، فَكَانَتِ امْرَأَتُهُ تَأْتِيهِ بِالرَّمَادِ تَفْرُشُهُ تَحْتَهُ، فَلَمَّا طَالَ عَلَيْهَا قَالَتْ: يَا أَيُّوبُ لَوْ دَعَوْتَ رَبَّكَ لَفَرَّجَ عَنْكَ. فَقَالَ: قَدْ عِشْتُ سَبْعِينَ سَنَةً صَحِيحًا فَهُوَ قَلِيلٌ لِلَّهِ أَنْ أَصْبِرَ لَهُ سَبْعِينَ سَنَةً، فَجَزِعَتْ مِنْ هَذَا الْكَلَامِ، وَكَانَتْ تَخْدُمُ النَّاسَ بِالْأَجْرِ، وَتُطْعِمُ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ، ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ لَمْ يَكُونُوا يَسْتَخْدِمُونَهَا لِعِلْمِهِمْ أَنَّهَا امْرَأَةُ أَيُّوبَ خَوْفًا أَنْ يَنَالَهُمْ مِنْ بَلَائِهِ أَوْ تُعْدِيَهُمْ بِمُخَالَطَتِهِ، فَلَمَّا لَمْ تَجِدْ أَحَدًا يَسْتَخْدِمُهَا عَمَدَتْ فَبَاعَتْ لِبَعْضِ بَنَاتِ الْأَشْرَافِ إِحْدَى ضَفِيرَتَيْهَا بِطَعَامٍ طَيِّبٍ كَثِيرٍ فَأَتَتْ بِهِ أَيُّوبَ. فَقَالَ: مِنْ أَيْنَ لَكِ هَذَا؟ وَأَنْكَرَهُ فَقَالَتْ: خَدَمْتُ بِهِ أُنَاسًا. فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ لَمْ تَجِدْ أَحَدًا فَبَاعَتِ الضَّفِيرَةَ الْأُخْرَى بِطَعَامٍ فَأَتَتْهُ بِهِ فَأَنْكَرَهُ أَيْضًا، وَحَلَفَ لَا يَأْكُلُهُ حَتَّى تُخْبِرَهُ مِنْ أَيْنَ لَهَا هَذَا الطَّعَامُ؟ فَكَشَفَتْ عَنْ رَأْسِهَا خِمَارَهَا، فَلَمَّا رَأَى رَأْسَهَا مَحْلُوقًا. قَالَ فِي دُعَائِهِ: {أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ} [الأنبياء: 83] .
وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৫১২
حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ قَالَ: كَانَ لِأَيُّوبَ أَخَوَانِ فَجَاءَا يَوْمًا فَلَمْ يَسْتَطِيعَا أَنْ يَدْنُوَا مِنْهُ مِنْ رِيحِهِ فَقَامَا مِنْ بَعِيدٍ. فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: لَوْ كَانَ اللَّهُ عَلِمَ مِنْ أَيُّوبَ خَيْرًا مَا ابْتَلَاهُ بِهَذَا. فَجَزِعَ أَيُّوبُ مِنْ قَوْلِهِمَا جَزَعًا لَمْ يَجْزَعْ مِنْ شَيْءٍ قَطُّ مِثْلَهُ، قَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي لَمْ أَبِتْ لَيْلَةً قَطُّ شَبْعَانًا، وَأَنَا أَعْلَمُ مَكَانَ جَائِعٍ فَصَدِّقْنِي. فَصُدِّقَ مِنَ السَّمَاءِ وَهُمَا يَسْمَعَانِ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي لَمْ يَكُنْ لِي قَمِيصَانِ قَطُّ، وَأَنَا أَعْلَمُ مَكَانَ عَارٍ فَصَدِّقْنِي. فَصُدِّقَ مِنَ السَّمَاءِ وَهُمَا يَسْمَعَانِ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ بِعِزَّتِكَ وَخَرَّ سَاجِدًا، فَقَالَ: اللَّهُمَّ بِعِزَّتِكَ لَا أَرْفَعُ رَأْسِي أَبَدًا حَتَّى تَكْشِفَ عَنِّي فَمَا رَفَعَ رَأْسَهُ حَتَّى كَشَفَ عَنْهُ.
وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: وَابْنُ جَرِيرٍ جَمِيعًا، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ نَبِيَّ اللَّهِ أَيُّوبَ لَبِثَ بِهِ بَلَاؤُهُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً، فَرَفَضَهُ الْقَرِيبُ وَالْبَعِيدُ إِلَّا رَجُلَيْنِ مِنْ إِخْوَانِهِ كَانَا مِنْ أَخَصِّ إِخْوَانِهِ لَهُ كَانَا يَغْدُوَانِ إِلَيْهِ وَيَرُوحَانِ، فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: تَعْلَمُ وَاللَّهِ لَقَدْ أَذْنَبَ أَيُّوبُ ذَنْبًا مَا أَذْنَبَهُ أَحَدٌ مِنَ الْعَالَمِينَ. قَالَ لَهُ صَاحِبُهُ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: مُنْذُ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ سَنَةً لَمْ يَرْحَمْهُ رَبُّهُ فَيَكْشِفَ مَا بِهِ. فَلَمَّا رَاحَا إِلَيْهِ لَمْ يَصْبِرِ الرَّجُلُ حَتَّى ذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ أَيُّوبُ: لَا أَدْرِي مَا تَقُولُ
পৃষ্ঠা - ৫১৩
এবং ঐ দুই তাই তা শ্রবণও করে ৷ অতঃপর তিনি পুনরায় বললেন, হে আল্লাহ্৷ আপনি যদি
জানেন যে, বস্ত্রহীন লোকের খবর পাওয়ায় আমি কখনও দুটি জামা গ্রহণ করিনি তাহলে আমার
সতৰুতা প্রকাশ করুন ৷ ’ তখন আকাশ থেকে তার সত্যতা ঘোষণা করা হয় যা ঐ দুই ভাই
শ্রবণ করেছিল ৷ অতঃপর তিনি বলেন, হে আল্লাহ আপনার ইয্যতে তর কসম, এরপর সিজদায়
পড়ে যান এবং বলেন, হে আল্লাহ আপনার ইযযতে র কলম, আমার মুসীবত দুর না করা
পর্যন্ত আ মি মাথা উঠার না ৷’ সতাই বিপদমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর মাথা উঠা ননি ৷
ইবন আবী হাতিম (র) ও ইবন জা ৷রীর (র) উভয়ে আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, নবী করীম (সা) বলেছেন, আল্লাহর নবী আইয়ুব (আ)-এর রোগ আঠার বছর যাবত
স্থায়ী ছিল ৷ কাছের ও দুরের সকল লোক তাকে পরিত্যাগ করে যায় ৷ কিস্তু দুই ব্যক্তি পরিত্যাগ
করেনি ৷ তারা ছিল তার দুই ভাই ৷ এ দুই ভাই ছিল তার খুবই আদরের পাত্র ৷ সকালে ও
বিকেলে তারা আইয়ুব (আ)-এর কাছে আসত ৷ একদিন এক ভাই অপরজনকে বলে, দেখ-
আ ল্লাহ জানেন যে, আইয়ুব এমন কোন পাপ করেছে যা অন্য কোন লোক কখনও করেনি ৷
অপরজন বলল, কি সে পাপ? সে বলল, আজ আ ৷ঠারটি বছর সে রোগে ভুগছে ৷ আল্লাহ তাকে
রহমত করেননি ৷ রোগ থেকে মুক্তি দেননি ৷ বিকেলে যখন তারা আসল, তখন দ্বিতীয় ভাইটি
আর ধৈর্য ধরতে পারল না ৷ আইয়ুব (আ) এর কাছে তা বলে দিল ৷ হযরত অইিয়ুব (আ)
বললেন, তুমি কি বলছ, তা আমি বুঝি না ৷ তবে আল্লাহ জানেন, একদা আমি দুই ব্যক্তির পাশ
দিয়ে যাচ্ছিলাম যারা পরস্পর ঝগড়া করছিল এবং আল্লাহর যিকির করছিল ৷ আমি বাড়িতে
প্রত্যাবর্তন করলাম এবং তারা যে অনুপযুক্ত পরিবেশে আল্লাহর যিকির করেছে সে জন্যে তাদের
পক্ষ থেকে আমি কাফ্ফারা আদায় করি ৷
হযরত অইিয়ুব (আ) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে যেতেন ৷ প্রয়োজন শেষ হলে শ্রী তার
হাত ধরে আনতেন ও স্ব-স্থানে রাখতেন ৷ একদা স্বামীর কাছে আসতে ত্রীর দেরি হয় ৷ এ
সময়ে আল্লাহ অইিয়ুব (আ) এর কাছে ওহী পাঠালেনং :
এ; ৷ ওেওদ্বু৷ (হে আইয়ুব! তোমার পা দ্বারা
মাটিতে আঘাত কর ৷ এই তো গোসলের ও পান করার ঠাণ্ডা পানি) বেশ কিছু সময় দেরি করে
শ্রী আজ অইিয়ুব (আ)-এর কাছে আসলেন ও তাকে দেখতে লাগলেন ৷ হযরত আইয়ুব (আ)
পুর্বের চেয়েও অধিক সুন্দর ও সুস্বাস্থ্যবান হয়েছেন ৷ তিনি এ অবস্থায় ন্তীর সম্মুখে আসলেন ৷ শ্রী
তাকে চিনতে না পেরে বললেন, আল্লাহ তোমাকে বরকতময় করুন ৷ এখানে আল্লাহর নবী
ণ্রাগগ্নস্ত অবস্থায় অবস্থান করছিলেন তাকে কি তুমি দেখেছ? আল্লাহর কসম , ঐ নবী রোগে
পড়ার পুর্বে যখন সুস্থ ছিলেন, তখন তার যে চেহারা জ্জি সে চেহারার সাথে তোমার চেহারার
ন্যায় অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ চেহারার লোক আমি আর কাউকে দেখিনি ৷ হযরত আইয়ুব (আ)
বললেন, আমিই সেই লোক ৷ হযরত অইিয়ুব (আ)-এর বাড়িতে দু’টি উঠান ছিল ৷ একটি গম
মাড়ানাের এবং আরেকটি যবের ৷ আল্লাহ দুই খণ্ড মেঘ পাঠিয়ে দেন ৷ একটি খণ্ড গমের উঠানের
উপর এসে স্বর্ণ বর্ষণ করে ৷ পর্যাপ্ত বর্ষণের ফলে তা পরিপুর্ণ হয়ে গড়িয়ে যেতে থাকে ৷ অপর
খণ্ডটি যবের উঠানের উপর রৌপ্য বর্ষণ করে-যা পরিপুর্ণ হয়ে গড়িয়ে যেতে থাকে ৷
উপরোক্ত সকল বর্ণনা ইবন আবীর (র) এর ৷ ইবন হিব্বান (র) ও তার সহীহ গ্রন্থে উপরোক্ত
غَيْرَ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَعْلَمُ أَنِّي كُنْتُ أَمُرُّ عَلَى الرَّجُلَيْنِ يَتَنَازَعَانِ فَيَذْكُرَانِ اللَّهَ، فَأَرْجِعُ إِلَى بَيْتِي فَأُكَفِّرُ عَنْهُمَا كَرَاهِيَةَ أَنْ يَذْكُرَا اللَّهَ إِلَّا فِي حَقٍّ» . قَالَ: «وَكَانَ يَخْرُجُ فِي حَاجَتِهِ فَإِذَا قَضَاهَا أَمْسَكَتِ امْرَأَتُهُ بِيَدِهِ حَتَّى يَرْجِعَ، فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ أَبْطَأَتْ عَلَيْهِ فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى أَيُّوبَ فِي مَكَانِهِ أَنِ: {ارْكُضْ بِرِجْلِكَ هَذَا مُغْتَسَلٌ بَارِدٌ وَشَرَابٌ} [ص: 42] فَاسْتَبْطَأَتْهُ فَتَلَقَّتْهُ تَنْظُرُ، وَأَقْبَلَ عَلَيْهَا قَدْ أَذْهَبُ اللَّهُ مَا بِهِ مِنَ الْبَلَاءِ، وَهُوَ عَلَى أَحْسَنِ مَا كَانَ، فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ: أَيْ بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ، هَلْ رَأَيْتَ نَبِيَّ اللَّهِ هَذَا الْمُبْتَلَى؟ فَوَاللَّهِ عَلَى ذَلِكَ مَا رَأَيْتُ رَجُلًا أَشْبَهَ بِهِ مِنْكَ إِذْ كَانَ صَحِيحًا. قَالَ: فَإِنِّي أَنَا هُوَ. قَالَ: وَكَانَ لَهُ أَنْدَرَانِ؛ أَنْدَرٌ لِلْقَمْحِ وَأَنْدَرٌ لِلشَّعِيرِ، فَبَعَثَ اللَّهُ سَحَابَتَيْنِ فَلَمَّا كَانَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى أَنْدَرِ الْقَمْحِ أَفْرَغَتْ فِيهِ الذَّهَبَ حَتَّى فَاضَ، وَأَفْرَغَتِ الْأُخْرَى فِي أَنْدَرِ الشَّعِيرِ الْوَرِقَ حَتَّى فَاضَ» . هَذَا لَفْظُ ابْنِ جَرِيرٍ. وَهَكَذَا رَوَاهُ بِتَمَامِهِ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَرْمَلَةَ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ بِهِ. وَهَذَا غَرِيبٌ رَفْعُهُ جِدًّا، وَالْأَشْبَهُ أَنْ يَكُونَ مَوْقُوفًا. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي ثنا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: وَأَلْبَسُهُ اللَّهُ حُلَّةً مِنَ الْجَنَّةِ فَتَنَحَّى أَيُّوبُ، وَجَلَسَ فِي نَاحِيَةٍ، وَجَاءَتِ امْرَأَتُهُ فَلَمْ تَعْرِفْهُ فَقَالَتْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا الْمُبْتَلَى الَّذِي كَانَ هَاهُنَا، لَعَلَّ الْكِلَابَ ذَهَبَتْ بِهِ أَوِ الذِّئَابَ؟ وَجَعَلَتْ تُكَلِّمُهُ سَاعَةً. قَالَ: وَيْحَكِ أَنَا أَيُّوبُ. قَالَتْ: أَتَسْخَرُ مِنِّي يَا عَبْدَ اللَّهِ؟ فَقَالَ: وَيْحَكِ أَنَا أَيُّوبُ قَدْ
পৃষ্ঠা - ৫১৪
সমুদয় ঘটনা ইবন ওহাব সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ এ হাদীসের মারকু বর্ণনা একান্তই গরীব’
পর্যায়ের ৷ এটা মওকুফ হওয়াই সঠিক ৷ ইবন আবী হাতিম (ব) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, আল্লাহ হযরত আইয়ুব (আ)-কে জান্নাতের পোশাক পরিধান করান ৷ আইয়ুব (আ)
জান্নার্তী পোশাক পরে একটু দুরে গিয়ে পথের পাশে বসে থাকেন ৷ তারপর তার শ্রী যখন
সেখানে আসেন, তখন তিনি তাকে চিনতে না পেরে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর বন্দো ৷
এখানে <রাপগ্রস্ত যে ণ্লাকটি ছিল তাকে সম্ভবত কুকুরে বা বাঘে নিয়ে গেছে ৷ এভাবে লোকটির
সাথে কিছু সময় ধরে শ্রী কথা বলতে থাকেন ৷ লোকটি বলল, সম্ভবত আমিই সেই আইয়ুব ৷ শ্রী
বললেন, হে আল্লাহর বন্দো৷ আপনি কি আমার সাথে উপহাস করছেন ? তখন তিনি বলে
উঠলেন, আল্লাহ তোমাকে রহম করুন ৷ আমিই তো আইয়ুব ৷ আল্লাহ আমার সুস্বাস্থ্য ফিরিয়ে
দিয়েছেন ৷
ইবন আব্বাস (বা) বলেন, আল্লাহ হযরত আইয়ুব (আ)-কে পুর্বের সম্পদ ও সন্তান
অবিকল ফিরিয়ে দেন এবং সেই সাথে সমপরিমাণ অতিরিক্ত দান করেন ৷ ওহাব ইবন ঘুনাব্বিহ
(ব) বলেন, আল্লাহ তাকে ওহীর মাধ্যমে জানান : আমি তোমার সত্তানাদি ও ধন-সস্পদ
ফিরিয়ে দিয়েছি এবং আরও সমপরিমাণ দান করেছি, এখন এই পানি দ্বারা তুমি গোসল কর ৷
কারণ এর দ্বারা তুমি আরোপ্য লাভ করবে ৷ তোমার আপনজন ও আত্মীয়-স্বজনদের পক্ষ
থেকে কুরবানী দাও এবং তাদের জন্যে ক্ষমা চাও ৷ কেননা, তোমার ব্যাপারে তারা আমার
অবাধ্যতা করেছে ৷ ইবন আবী হাতিম (র) এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আর্বী হাতিম (ব)
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে আরো বর্ণনা করেন যে, নবী কৰীম (সা) বলেছেন : আল্লাহ আইয়ুব
(আ)-কে শ্লোপ থেকে মুক্তি দেয়ার পর তার প্ৰতি স্বর্ণ বর্ষণ করেন ৷ আইয়ুব (আ) তা অঞ্জলি
ভরে উঠিয়ে কাপড় ভর্তি করতে থাকেন ৷ তখন অদৃশ্যলােক থেকে তাকে বলা হল, হে আইয়ুব ৷
তুমি কি তৃপ্ত হওনি? আইয়ুব (আ) বললেন, হে আমার প্রতিপালক! কে এমন আছে, যে
আপনার রহমতে তৃপ্ত হয়ে কে তা চাওয়া বন্ধ করতে পারে? অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ইমাম
আহমদ আবু দাউদ তায়ালিসী (র) সুত্রে, আবদুস সামাদ (র) কাতাদা (র) থেকে এবং ইবন
হিব্বান (ব) আবদুস সামাদ (র) থেকে ৷ এ হাদীস সহীহ-এব শর্তে উত্তীর্ণ ৷ অবশ্য, সিহাহ
সিত্তার কোন গ্রন্থে এটা বর্ণিত হয়নি ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷ ইমাম আহমদ (র ) আবু হুরায়রা
(রা)-এর সুত্রে বর্ণনা করেন, জনৈক লোকের মাধ্যমে আইয়ুব (আ)-এব কাছে কতগুলো
স্বর্ণ-পাত্র পাঠান হয় ৷ তিনি সেগুলো নিজের কাপড়ে ভরে রাখতে থাকেন ৷ তখন আওয়াজ হল,
হে অইিয়ুব! যা তোমাকে দেয়া হয়েছে তা কি তোমার জন্যে যথেষ্ট নয়? আইয়ুব বললেন, হে
আমার পালনকর্তা আপনার অনুগ্রহ থেকে কে হাত পুটাতে পারে? হাদীসটি উক্ত সুত্রে
মওকুফ ৷ তবে অন্য সুত্রে আবুহুরায়রা (রা) থেকে এটা মারকু রুগেও বর্ণিত হয়েছে ৷
ইমাম আহমদ (ব) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : একদা
আইয়ুব (আ) বিবস্ত্র অবস্থায় গোসল করছিলেন ৷ এমন সময় তার সামনে এক ঝাক স্বর্ণের
পঙ্গপাল পতিত হল ৷ তিনি সেগুলো হাতে ধরে কাপড়ে রাখতে লাপলেন ৷ তখন তার
প্রতিপালক তাকে ডেকে বললেন, হে আইয়ুব! তুমি যা দেখতে পাচ্ছেড়া তা থেকে আমি কি
তোমাকে অমুখাপেক্ষী করে দেইনি? তিনি উত্তর দিলেন, অবশ্যই আমার প্রতিপালক বিক্ষ্ম আমি
আল-বিদড়ায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খপ্ণ্ডুপ্)গ্যেঙ্ঘম্র-ওেমোঃজ্যো
رَدَّ اللَّهُ عَلَيَّ جَسَدِي.
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَرَدَّ اللَّهُ عَلَيْهِ مَالَهُ وَوَلَدَهُ بِأَعْيَانِهِمْ وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ. وَقَالَ وَهْبُ بْنُ مُنَبِّهٍ أَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: قَدْ رَدَدْتُ عَلَيْكَ أَهْلَكَ وَمَالَكَ، وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ، فَاغْتَسِلْ بِهَذَا الْمَاءِ فَإِنَّ فِيهِ شِفَاءَكَ وَقَرِّبْ عَنْ صَحَابَتِكَ قُرْبَانًا، وَاسْتَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّهُمْ قَدْ عَصَوْنِي فِيكَ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ.
وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: ثنا أَبُو زُرْعَةَ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ نَهِيكٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَمَّا عَافَى اللَّهُ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَمْطَرَ عَلَيْهِ جَرَادًا مِنْ ذَهَبٍ فَجَعَلَ يَأْخُذُ بِيَدِهِ، وَيَجْعَلُ فِي ثَوْبِهِ. قَالَ: فَقِيلَ لَهُ: يَا أَيُّوبُ أَمَا تَشْبَعُ؟ قَالَ: يَا رَبِّ وَمَنْ يَشْبَعُ مِنْ رَحْمَتِكَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، وَعَبْدِ الصَّمَدِ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيِّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْهِ، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بِهِ. وَلَمْ يُخَرِّجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ، وَهُوَ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أُرْسِلَ عَلَى أَيُّوبَ رِجْلٌ مِنْ جَرَادٍ مِنْ ذَهَبٍ فَجَعَلَ يَقْبِضُهَا فِي ثَوْبِهِ فَقِيلَ يَا أَيُّوبُ أَلَمْ يَكْفِكَ مَا أَعْطَيْنَاكَ قَالَ: أَيْ رَبِّ، وَمَنْ يَسْتَغْنِي عَنْ فَضْلِكَ. هَذَا مَوْقُوفٌ، وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مَرْفُوعًا.
পৃষ্ঠা - ৫১৫
৪৯৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
আপনার বরকতের অমুখাপেক্ষী নই ৷ বুখারী (র) আবদুর রায়যা ক (র) সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷
»’
আল্লাহর বাণী: এ্ান্,ন্ ণ্ডেব্লু, ৷ (তু তোমার পা দ্বারা আঘাত কর ৷) আইয়ুব (আ)
নির্দেশ মোতাবেক আপন র্পা দ্বারা মাটিতে আঘাত করলেন ৷ আল্লাহ সেখান থেকে একটি
ঝর্ণাধারা প্রবাহিত করেন ৷ যার পানি ছিল সুশীতল ৷ আল্লাহ তাকে এই পানি দ্বারা গোসল
করতে ও তা পান করতে হুকুম দেন ৷ আইয়ুব (আ)ত তাই করলেন ৷ ফলে তার সমস্ত ব্যথা
বেদনা ও তার দেহের প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সকল রোগ শোক ও ক্ষত দুর হয়ে গেল ৷ আল্লাহ
তাকে সুাস্থ্য দান করেন, তার চেহারাব্লুক সুদর্শন চেহারায় পরিবর্তন করে দেন ৷ এ ছাড়া
কে প্রচুর ধন-সম্পদও দান করেন ৷ এমনকিার্ণের পঙ্গপালও বর্ষণ করেন ৷ তাকে আল্লাহ
সন্তান-সম্ভতিও প্রদান করেন ৷ আল্লাহ বলেন: ন্ছুর্ধর্দু মোঃ ধ্াইষ্া :fifi ;§ (তাকে তার
পরিবারবর্গ ফিরিয়ে দিলাম এবং তাদের সমপরিমাণও দিলাম) ৷ কারও কারও মতে আল্লাহ
আইয়ুব (আ) এর পুর্বের সন্তানদেরকে জীবিত করে দেন ৷ আর কারও মতে, পুর্বের সন্তানদের
বিনিময়ে আল্লাহ আইয়ুব (আ) কে সওয়াব দান করেন এবং তাদের স্থলে সমস খ্যক সন্তান
দুনিয়ার দান করেন ৷ আর এ সকলকে আল্লাহ কিয়ামব্লুতর দিন তার সাথে একত্র
করবেন ৷ ৷১১^; ট্রুঙ্কু£হ (আমার পক্ষ থেকে রহমতারুপ ৷) অর্থাৎ আমি তার যাবতীয়
৪খ-কষ্ট দুর করে ল্টিামপ্’ ৷ ;শুং ;, ৰুা র্চুণ্ মোঃ; (এবং তার উপর যে মুসীবত চেপে
ছিল তা থেকে তাকে মুক্ত করলাম ৷) অর্থাৎ এটা ছিল তার প্ৰতি আমার রহমত, কৃপা ও
অনুগ্রহ ৷ শুপ্রুপ্রএ্ষ্র্দুন্পুা < ;১^<১ট্রু (এবং ইবাদতকারীদের জন্যে উপব্লুদশারুপ) অর্থাৎ এটা ঐ
ব্যক্তির জন্যে উপদেশারুপ যে তার দেহ, সম্পদ কিংবা সন্তানের ব্যাপারে পরীক্ষায় পতিত
হবে ৷ তার জন্যে আল্লাহর নবী অাইয়ুব (আ) আদর্শ হয়ে থাকবেন ৷ কেননা, আল্লাহ আইয়ুব
(আ) কে তার চাইতেও অনেক বড় পরীক্ষায় ফেব্লুলছিব্লুলন ৷ কিন্তু তিনি ধৈর্যধারণ করেন এবং
বিনিময়ে পুরস্কার আশা করেন ৷ ফলে আল্লাহ তাকে মুক্তি দেন ৷ উপরোক্ত আয়াত ৰুপু;ন্নু)
(াধ্ থেকে যারা এ অর্থ নিয়েছেন যে, এটা তার শ্রীর নাম (ব্লু ^ )াতদের এরুপ দলীল
গ্রহণ সম্পুর্ণ বাতিল ও ভ্রান্তিপুর্ণ ৷ যাহ্হাক (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
আল্লাহ আইয়ুব (আ)-এর ত্রীব্লুক যৌবন ফিরিয়ে দেন এবং ত্রীকে পুর্বাপেক্ষা অধিক সুশ্রী করে
দেন; এমনকি আরও ছাব্বিশজন পুত্র সন্তানও তার গর্ভে জন্মগ্রহণ করে ৷ রোগ থেকে মুক্তি
লাব্লু৩ব্ পর আইয়ুব (আ) সত্তর বছর জীবিত ছিলেন ৷ তিনি রোম দেশে বসবাস করতেন এবং
দীব্লুন হানীফ তথা সত্য ধর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন ৷ এরপর পরবর্তী লোকজন ইবরাহীম
(আ) এর দীনের মধ্যে বিকৃতি ৩ঘটায় ৷ আল্লাহর বাণী৪
(
া
হে আইয়ুব! তুমিা-হস্তে তৃণশলা ধারণ কর এবং তা দ্বারা স্তীকে প্রহার কর ৷ তবুও কসম
ভঙ্গ করো না ৷ আমরা আইয়ুবব্লুক ধৈর্যশীল পেয়েছি ৷ কতই না উত্তম বান্দা সে! ৪সব্লুন্দহ সে
ছিল আমার অভিমুখী ৷ (সুরা মাস : ৪৪)
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ قَالَ: هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَمَا أَيُّوبُ يَغْتَسِلُ عُرْيَانًا خَرَّ عَلَيْهِ جَرَادٌ مِنْ ذَهَبٍ فَجَعَلَ أَيُّوبُ يَحْثِي فِي ثَوْبِهِ فَنَادَاهُ رَبُّهُ عَزَّ وَجَلَّ: يَا أَيُّوبُ أَلَمْ أَكُنْ أَغْنَيْتُكَ عَمَّا تَرَى. قَالَ: بَلَى يَا رَبِّ، وَلَكِنْ لَا غِنَى لِي عَنْ بَرَكَتِكَ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ بِهِ.
وَقَوْلُهُ: {ارْكُضْ بِرِجْلِكَ} [ص: 42] أَيِ اضْرِبِ الْأَرْضَ بِرِجْلِكَ فَامْتَثَلَ مَا أُمِرَ بِهِ فَأَنْبَعَ اللَّهُ لَهُ عَيْنًا بَارِدَةَ الْمَاءِ، وَأُمِرَ أَنْ يَغْتَسِلَ فِيهَا، وَيَشْرَبَ مِنْهَا، فَأَذْهَبَ اللَّهُ عَنْهُ مَا كَانَ يَجِدُهُ مِنَ الْأَلَمِ وَالْأَذَى وَالسَّقَمِ وَالْمَرَضِ، الَّذِي كَانَ فِي جَسَدِهِ ظَاهِرًا وَبَاطِنًا، وَأَبْدَلَهُ اللَّهُ بَعْدَ ذَلِكَ كُلِّهِ صِحَّةً ظَاهِرَةً وَبَاطِنَةً، وَجَمَالًا تَامًّا، وَمَالًا كَثِيرًا حَتَّى صَبَّ لَهُ مِنَ الْمَالِ صَبًّا مَطَرًا عَظِيمًا جَرَادًا مِنْ ذَهَبٍ، وَأَخْلَفَ اللَّهُ لَهُ أَهْلَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَآتَيْنَاهُ أَهْلَهُ وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ} [الأنبياء: 84] . فَقِيلَ أَحْيَاهُمُ اللَّهُ بِأَعْيَانِهِمْ. وَقِيلَ: آجَرَهُ فِيمَنْ سَلَفَ، وَعَوَّضَهُ عَنْهُمْ فِي الدُّنْيَا بَدَلَهُمْ، وَجَمَعَ لَهُ شَمْلَهُ بِكُلِّهِمْ فِي الدَّارِ الْآخِرَةِ. وَقَوْلُهُ: {رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنَا} [الأنبياء: 84] . أَيْ رَفَعْنَا عَنْهُ شِدَّتَهُ، وَكَشَفْنَا مَا بِهِ مِنْ ضُرٍّ رَحْمَةً مِنَّا بِهِ وَرَأْفَةً وَإِحْسَانًا {وَذِكْرَى لِلْعَابِدِينَ} [الأنبياء: 84] أَيْ تَذْكِرَةً لِمَنِ ابْتُلِيَ فِي جَسَدِهِ أَوْ مَالِهِ أَوْ وَلَدِهِ فَلَهُ أُسْوَةٌ بِنَبِيِّ اللَّهِ أَيُّوبَ، حَيْثُ ابْتَلَاهُ اللَّهُ بِمَا هُوَ أَعْظَمُ مِنْ ذَلِكَ، فَصَبَرَ وَاحْتَسَبَ حَتَّى فَرَّجَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَمَنْ فَهِمَ مِنْ هَذَا اسْمَ امْرَأَتِهِ. فَقَالَ: هِيَ رَحْمَةُ مِنْ هَذِهِ الْآيَةِ فَقَدْ أَبْعَدَ النُّجْعَةَ، وَأَغْرَقَ فِي النَّزْعِ.
পৃষ্ঠা - ৫১৬
অর্থাৎ এটা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে আইয়ুব (আ)-এর প্রতি বিশেষ রেয়াত ৷ তিনি ত্রীকে
একশ’ কােড়া মারার শপথ করেছিলেন ৷ এর কারণ হিসেবে কেউ বলেছেন, শ্রী চুল বিক্রি করার
তিনি এই শপথটি করেছিলেন ৷ কেউ বলেছেন যে, একদা শয়তান নবীর শ্ৰীর কাছে
চিকিৎসকের বেশ ধরে গিয়ে আইয়ুব (আ)-এর ব্যাধির নির্দিষ্ট ঔষধের বর্ণনা দিয়েছিল ৷ ত্রী
তার কাছে এসে উক্ত ঔষধের কথা ব্যক্ত করেন ৷ তিনি বুঝতে পারলেন যে, এটা শয়তানের
কাজ ৷ তখন তিনি কসম করেন যে, ত্রীকে একশ’ কােড়া মারবেন ৷ রোগ মুক্তির পর আল্লাহ
র্তাকে জানালেন যে, শস্যের গোছাব মত এক গোছা তৃণ একত্রে বেধে একবার ত্রীকে মার ৷
এতে একশ’ কোড়া মারা হয়েছে বলে গণ্য হবে ৷ এতেই কসমের কাফফ্রাে হয়ে যাবে ৷ কসম
ভাঙ্গার গুনাহ হবে না ৷ এটা হল মুক্তির সহজ ব্যবস্থা এবং এমন ব্যক্তির কসম থেকে নিকৃতি
লাভের উপায়, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে ও তার আনুগত্য করে ৷ বিশেষ করে একজন
ধৈর্যশীল সতী-সাখ্ঘী, সত্যপন্থী নেককার শ্রী লোকের ক্ষেত্রে ৷ এজন্যে আল্লাহ এই সুয়েফুগ
দেয়ার কারণ হিসেবে সাথে সাথেই উল্লেখ করেছেন : দ্বু^এে ৷ ন্গ্লু ৷প্রু £র্দ্রণ্ শুর্চুহুর্বৃটু ট্রিা
,র্দুর্দু’,াদুেদ্বুপু ৷ (আমি তাকে সবরকারীরুপে পেয়েছি ৷ কত ভাল বন্দো ¢fl ৷ নিশ্চয়ই সে আল্লাহর
ইবাদতকারী) ৷ বহু সংখ্যক ফিকাহবিদ এই রেয়াতকে আয়মড়ান ও নুযুর (শপথ ও মড়ানত)
অধ্যায়ে দলীলরুপে প্রয়োগ করেছেন ৷ কিছু সংখ্যক ফকীহ এর ব্যাপ্তি আরও বাড়িয়ে দিয়ে
শপথ থেকে র্বাচড়ার উপায় ও বাহানা অধ্যায় সংযোজন করেছেন শ্রোা ধ্া ;৷ ৷ ন্ৰু ৷£ )
(ব্লু,া ১৷ ৷ )ণ্ ষ্ণ্ >া১৷ ৷ তারা দলীল হিসেবে এ আয়াতকেই পেশ করেছেন এবং রকমারি
মাসআলা বের করেছেন ৷ আমরা তার কিছু অংশ কিতাবুল আহকামে’ যখন পৌছব ইনশাল্লাহ
তখন আলোচনা করব ৷
ইবন জারীর (র) প্রমুখ ইতিহাসরেত্তা লিখেছেন যে, হযরত আইয়ুব (আ) তিরানব্বই বছর
বয়সে ইন্তিকাল করেন ৷ কারও মতে, তিনি এর চেয়ে রেশিদিন জীবিত ছিলেন ৷ মুজাহিদ (র)
সুত্রে লায়ছ বর্ণনা করেন যে, কিয়ড়ামতের দিন আল্লাহ দলীল হিসেবে ধনীদের বিরুদ্ধে সুলায়মান
(আ)-কে, দাস-দাসীদের বিরুদ্ধে ইউসুফ (আ)-কে এবং ঘুসীবত ও বিপদগ্রস্তদের মুকাবিলায়
আইয়ুব (আ)-কে পেশ করবেন ৷ ইবন আসাকির (র)ও সমঅর্থবোধক বর্ণনা উল্লেখ করেছেন ৷
মৃত্যুকালে হযরত আইয়ুব (আ) তার পুত্র হাওমালকে ওসীয়ত করে যান ৷ তার পরে বিশর ইবন
আইয়ুব তার স্থলাভিষিক্ত হন ৷ অনেকের ধারণা মতে , এই বিশরই কুরআনে বর্ণিত যুল-কিফ্ল ৷
এদের ধারণা হিসেবে তিনি নবী এবং পচাত্তর বছর বয়সে তিনি ইস্তিকাল করেন ৷ কিছু লোক
যখন আইয়ুব (আ)-এর পুত্র বিশরকে যুল-কিফ্ল বলেছেন, তখন আমরা যুল-কিফ্ল-এর
কাহিনীই এখন আলোচনা করব ৷
وَقَالَ الضَّحَّاكُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: رَدَّ اللَّهُ إِلَيْهَا شَبَابَهَا وَزَادَهَا حَتَّى وَلَدَتْ لَهُ سِتَّةً وَعِشْرِينَ وَلَدًا ذَكَرًا.
وَعَاشَ أَيُّوبُ بَعْدَ ذَلِكَ سَبْعِينَ سَنَةً بِأَرْضِ الرُّومِ عَلَى دِينِ الْحَنِيفِيَّةِ، ثُمَّ غَيَّرُوا بَعْدَهُ دِينَ إِبْرَاهِيمَ. وَقَوْلُهُ: {خُذْ بِيَدِكَ ضِغْثًا فَاضْرِبْ بِهِ وَلَا تَحْنَثْ إِنَّا وَجَدْنَاهُ صَابِرًا نِعْمَ الْعَبْدُ إِنَّهُ أَوَّابٌ} [ص: 44] . هَذِهِ رُخْصَةٌ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى لِعَبْدِهِ وَرَسُولِهِ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِيمَا كَانَ مِنْ حَلِفِهِ لَيَضْرِبَنَّ امْرَأَتَهُ مِائَةَ سَوْطٍ. فَقِيلَ: حَلِفُهُ ذَلِكَ لِبَيْعِهَا ضَفَائِرَهَا. وَقِيلَ: لِأَنَّهُ اعْتَرَضَهَا الشَّيْطَانُ فِي صُورَةِ طَبِيبٍ يَصِفُ لَهَا دَوَاءً لِأَيُّوبَ، فَأَتَتْهُ فَأَخْبَرَتْهُ، فَعَرَفَ أَنَّهُ الشَّيْطَانُ فَحَلَفَ لَيَضْرِبَنَّهَا مِائَةَ سَوْطٍ، فَلَمَّا عَافَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَفْتَاهُ أَنْ يَأْخُذَ ضِغْثًا، وَهُوَ كَالْعِثْكَالِ الَّذِي يَجْمَعُ الشَّمَارِيخَ فَيَجْمَعَهَا كُلَّهَا وَيَضْرِبَهَا بِهِ ضَرْبَةً وَاحِدَةً، وَيَكُونُ هَذَا مُنْزَلًا مَنْزِلَةَ الضَّرْبِ بِمِائَةِ سَوْطٍ، وَيَبَرُّ وَلَا يَحْنَثُ. وَهَذَا مِنَ الْفَرَجِ وَالْمَخْرَجِ لِمَنِ اتَّقَى اللَّهَ، وَأَطَاعَهُ، وَلَا سِيَّمَا فِي حَقِّ امْرَأَتِهِ الصَّابِرَةِ الْمُحْتَسِبَةِ الْمُكَابِدَةِ الصِّدِّيقَةِ الْبَارَّةِ الرَّاشِدَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا؛ وَلِهَذَا عَقَّبَ اللَّهُ هَذِهِ الرُّخْصَةَ، وَعَلَّلَهَا بِقَوْلِهِ: {إِنَّا وَجَدْنَاهُ صَابِرًا نِعْمَ الْعَبْدُ إِنَّهُ أَوَّابٌ} [ص: 44] . وَقَدِ اسْتَعْمَلَ كَثِيرٌ مِنَ الْفُقَهَاءِ هَذِهِ الرُّخْصَةَ فِي بَابِ الْأَيْمَانِ وَالنُّذُورِ، وَتَوَسَّعَ آخَرُونَ فِيهَا حَتَّى وَضَعُوا كِتَابَ الْحِيَلِ فِي الْخَلَاصِ مِنَ الْأَيْمَانِ، وَصَدَّرُوهُ بِهَذِهِ الْآيَةِ الْكَرِيمَةِ، وَأَتَوْا فِيهِ بِأَشْيَاءَ مِنَ الْعَجَائِبِ وَالْغَرَائِبِ، وَسَنَذْكُرُ طَرَفًا مِنْ ذَلِكَ فِي كِتَابِ الْأَحْكَامِ عِنْدَ الْوُصُولِ إِلَيْهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ جَرِيرٍ، وَغَيْرُهُ مِنْ عُلَمَاءِ التَّارِيخِ أَنَّ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
পৃষ্ঠা - ৫১৭
لَمَّا تُوُفِّيَ كَانَ عُمُرُهُ ثَلَاثًا وَتِسْعِينَ سَنَةً. وَقِيلَ: إِنَّهُ عَاشَ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ. وَقَدْ رَوَى لَيْثٌ عَنْ مُجَاهِدٍ مَا مَعْنَاهُ: أَنَّ اللَّهَ يَحْتَجُّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِسُلَيْمَانَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى الْأَغْنِيَاءِ، وَبِيُوسُفَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى الْأَرِقَّاءِ، وَبِأَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلَى أَهْلِ الْبَلَاءِ. رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِمَعْنَاهُ، وَأَنَّهُ أَوْصَى إِلَى وَلَدِهِ حَوْمَلَ، وَقَامَ بِالْأَمْرِ بَعْدَهُ وَلَدُهُ بِشْرُ بْنُ أَيُّوبَ، وَهُوَ الَّذِي يَزْعُمُ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ أَنَّهُ ذُو الْكِفْلِ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمَاتَ ابْنُهُ هَذَا، وَكَانَ نَبِيًّا فِيمَا يَزْعُمُونَ، وَكَانَ عُمُرُهُ مِنَ السِّنِينَ خَمْسًا وَسَبْعِينَ، وَلْنَذْكُرْ هَاهُنَا قِصَّةَ ذِي الْكِفْلِ إِذْ قَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّهُ ابْنُ أَيُّوبَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ.
পৃষ্ঠা - ৫১৮
যুল-কিফ্ল এর ঘটনা
একদল মনে করেন, যুল-কিফ্ল হযরত আইয়ুব (আ)-এর পুত্র ৷ আল্লাহ তাআলা সুরা
আন্বিয়ায় আইয়ুব (আ) এর ঘটনা বর্ণনাশেষে বলেনং :
এ
এবং ইসমাঈল, ইদরীস ও যুল কিফ্লের কথা স্মরণ কর, তারা প্রতেব্রকেই ছিল
সবরকারী ৷ আমি তাদেরকে আমার রহমতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলাম ৷ তারা ছিল
সৎকর্মপরায়ণ ৷ (২১৪ ৮৫ ৮৬)
সুরা সাদেও আইয়ুব (আ) এর ঘটনা বলার পরে আল্লাহ বলেন :
এদ্বু১ ৷এ
দু
এও১াএ
স্মরণ কর, আমার বান্দা ইবরাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুবের কথা, তারা ছিল শক্তিশালী ও
সুক্ষ্মদর্শী ৷ আমি তাদেরকে এক বিশেষ গুণের অধিকারী করেছিলাম অর্থাৎ পরকালের স্মরণ ৷
অবশ্যই তারা ছিল আমার মনোনীত ও উত্তম বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত ৷ স্মরণ কর, ইসমাঈল,
আল-ইয়াসাআ ও যুল-কিফ্লের কথা ৷ এরা প্রত্যেকেই ছিল সজ্জন ৷ (সুরা সাদ : ৪ ৫ : ৮ )
কুরআনের এসব আয়াতে উল্লেখিত মহান নবীগণের সাথে যুল-কিফ্লের নামও প্রশংসা
একত্রে উল্লেখ থাকায় স্পষ্টত বোঝা যায় যে, তিনিও নবী ছিলেন ৷ তার সম্পর্কে এ মত
প্রসিদ্ধ ৷ এটা অনেকেরই ধারণা, যুল-কিফ্ল নবী ছিলেন না বরং তিনি ছিলেন একজন পুণ্যবান
ও ন্যায়পরায়ণ শাসক ৷ ইবন জারীর (র) এ ব্যাপারে মতামত প্রকাশে বিরত রয়েছেন ৷ আল্লাহ
সর্বজ্ঞ ৷
ইবন জারীর (র) ও ইবন আবু নাজীহ্ (র) মুজাহিদ (র) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে,
যুল কিফ্ল নবী ছিলেন না ৷ বরং তিনি ছিলেন একজন পুণ্যবান ব্যক্তি-ষ্ তার সম্প্রদায়ের প্রতি
প্রেরিত নবীর পক্ষ থেকে তিনি এই দায়িতৃ গ্রহণ করেন যে,৩ তিনি সম্প্রদায়ের লোকজনের
দেখাশোনা করবেন এবং ন্যায়-নীতিব সাথে তাদের বিচার-মীমাংসা করবেন ৷ এই কারণে তাকে
যুল-কিফ্ল (জিম্মড়াদার) নামে অভিহিত করা হয় ৷
ইবন জারীর (র) ও ইবন আবী হাতিম (র) মুজাহিদ (র) সুত্রে বর্ণনা করেন : হযরত
ইয়াসাআ যখন বয়ােবৃদ্ধ হন তখন তিনি ভাবলেন, যদি আমার জীবদ্দশায় একজন লোককে
[قِصَّةُ ذِي الْكِفْلِ]
وَهَذِهِ قِصَّةُ ذِي الْكِفْلِ الَّذِي زَعَمَ قَوْمٌ أَنَّهُ ابْنُ أَيُّوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى بَعْدَ قِصَّةِ أَيُّوبَ فِي سُورَةِ الْأَنْبِيَاءِ: {وَإِسْمَاعِيلَ وَإِدْرِيسَ وَذَا الْكِفْلِ كُلٌّ مِنَ الصَّابِرِينَ وَأَدْخَلْنَاهُمْ فِي رَحْمَتِنَا إِنَّهُمْ مِنَ الصَّالِحِينَ} [الأنبياء: 85]
[ص: 45 - 48] . فَالظَّاهِرُ مِنْ ذِكْرِهِ فِي الْقُرْآنِ الْعَظِيمِ بِالثَّنَاءِ عَلَيْهِ مَقْرُونًا مَعَ هَؤُلَاءِ السَّادَةِ الْأَنْبِيَاءِ أَنَّهُ نَبِيٌّ عَلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ. وَهَذَا هُوَ الْمَشْهُورُ، وَقَدْ زَعَمَ آخَرُونَ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيًّا، وَإِنَّمَا كَانَ رَجُلًا صَالِحًا وَحَكَمًا مُقْسِطًا عَادِلًا. وَتَوَقَّفَ ابْنُ جَرِيرٍ فِي ذَلِكَ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ: أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيًّا، وَإِنَّمَا كَانَ رَجُلًا صَالِحًا، وَكَانَ قَدْ تَكَفَّلَ لِبَنِي قَوْمِهِ أَنْ يَكْفِيَهُ أَمْرَهُمْ، وَيَقْضِيَ بَيْنَهُمْ بِالْعَدْلِ فَفَعَلَ
পৃষ্ঠা - ৫১৯
সমাজের বুকে কাজ করার জন্যে দায়িত্ব দিতে পারতাম এবং কিভাবে যে দাযিতু পালন করে
তা স্বচক্ষে দেখতে পারতাম, তাহলে মনে শান্তি পেতাম ৷ এরপর তিনি লোকজনকে জড়ো করে
বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আছ, যে তিনটি কাজ করার অঙ্গীকার করলে তাকে আমি আমার
স্থলাভিষিক্ত করব ৷ কাজ তিনটি এই : দিনে সওম পালন করবে, রাতে জেগে ইবাদভ করবে
এবং কখনও রাপাম্বিত হতে পারবে না ৷ এ কথার পর বাহ্যদৃষ্টিতে সাধারণ বলে গণ্য এক ব্যক্তি
র্দাড়িয়ে বলল-আমি পারব ৷ তখন তিনি বললেন, তুমি কি দিনে সওয করতে, রাত্রে জেগে
ইবাদভ করতে ও রাগাম্বিত না হয়ে থাকতে পারবে? সে বলল, হীড়া, পারব ৷ এরপর সেদিনের
মত সবাইকে বিদায় দিলেন ৷ পরের দিন পুনরায় লোকদেরকে জড়ো করে আবার সেই প্রস্তাব
রাখেন ৷ সবাই নিরব থাকল, কিন্তু ঐ লোকটি দাড়িয়ে বলল, আমি পারব ৷ অতঃপর নবী
আল-ইয়াসাআ ঐ ব্যক্তিকে তার স্থলাভিষিক্ত করেন ৷
ইবলীস তখন শয়তানদেরকে ডেকে বলল, ঐ ব্যক্তিকে পথভ্রষ্ট করার দায়িত্ব তোমাদের
নিতে হবে ৷ কিন্তু তারা সকলে তাতে ব্যর্থ হলো ৷ তখন ইবলীস বলল : আচ্ছা আমিই তার
দায়িতৃ নিলাম ৷ পরে ইবলীস এক বৃদ্ধ দরিদ্রের বেশে লোকটির কাছে আসে ৷ যে এমন সময়ই
আসল, যখন তিনি দৃপুরের বিশ্রামের জন্যে শয্যা গ্রহণ করেছিলেন ৷ আর তিনি ঐ বিশেষ সময়
ছাড়া দিনে বা রাতের অন্য কোন সময়ই নিদ্রা যেতেন না ৷ তিনি ঘুমাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ৷
এমন সময় ইবলীস এসে দরজা ধাক্কা দেয় ৷ ভিতর থেকে তিনি বললেন, দরজায় কে? ইবলীস
বলল, আমি একজন অসহায় মজলুম বৃদ্ধ লোক ৷ তিনি দরজা খুলে দিলেন ৷ বৃদ্ধ তার ঘটনা
বলতে লাগল ৷ সে জালাল, আমার সাথে আমার গোত্রের লোকের বিবাদ আছে ৷ তারা আমার
উপর এই এই জুলুম করেছে ৷ বৃদ্ধ তার ঘটনার বিবরণ দিতে দিতে বিকাল হয়ে গেল ৷ দৃপুরের
নিদ্বার সময় অতিবাহিত হয়ে গেল ৷ তিনি বলে দিলেন, সন্ধ্যার পরে আমি যখন দরবারে বসব
তখন তুমি এসো ৷ তোমার হক আমি আদায় করে দেব ৷ বৃদ্ধ চলে গেল, সন্ধ্যার পরে দরবারে
বসে বৃদ্ধ আসছে কিনা তাকিয়ে দেখলেন কিন্তু তাকে উপস্থিত পেলেন না ৷ তালাশ করেও তার
কোন সন্ধান পাওয়া গেল না
পরের দিন সকালে বিচার আসনে বসে বৃদ্ধের জন্যে অপেক্ষা করেও তাকে দেখলেন না !
মজলিস শেষে তিনি যখন দৃপুরের শয্যা গ্রহণে গেলেন তখন বৃদ্ধ এসে দরজায় ধাক্কা দিল ৷
ভেতর থেকে জিজ্ঞেস করলেন, দরজায় কে? বলা হল, অসহায় এক মজলুম বৃদ্ধ ৷ দরজা খুলে
দেয়া হল ৷ বললেন, আমি কি তোমাকে বলিনি যে, যখন আমি দরবারে বসব তখন তুমি
আসবে? সে বলল, আমার গোত্রের লোকেরা অত্যন্ত জঘন্য প্রকৃতির ৷ যখন তারা জানল যে,
আপনি দরবারে বসা ৷ তখন তারা আমাকে আমার হক প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেয় ৷ কিন্তু যখন
আপনি দরবার ছেড়ে উঠে যান তখন তারা যে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ৷ তিনি বললেন, এখন চলে
যাও ৷ সন্ধ্যড়ার পরে যখন দরবারে বসব তখন এসো ৷ কিন্তু বৃদ্ধের সাথে কথা বলতে বলতে তার
আজকের দৃপুরের নিদ্রাও আর হল না ৷ রাত্রে দরবারে বসে বৃদ্ধের অপেক্ষা করলেন কিন্তু তাকে
দেখা গেল না ৷ অধিক রাত্রি হওয়ায় তন্দ্র৷ তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলল ৷ তিনি বাড়ির একজনকে
বললেন, আমার দারুণ নিদ্রা পাচ্ছে ৷ এখন আমি ঘুমাবাে ৷ সুতরাং কেউ যদি দরজায় কাছে
আসতে চায় তাকে আসতে দিও না ৷ একথা বলে যাওয়ার পর মুহ্রর্তোহ বৃদ্ধ সেখানে উপস্থিত
فَسُمِّيَ ذَا الْكِفْلِ. وَرَوَى ابْنُ جَرِيرٍ، وَابْنُ أَبِي حَاتِمٍ مِنْ طَرِيقِ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ أَنَّهُ قَالَ: لَمَّا كَبُرَ الْيَسَعُ قَالَ: لَوْ أَنِّي اسْتَخْلَفْتُ رَجُلًا عَلَى النَّاسِ يَعْمَلُ عَلَيْهِمْ فِي حَيَاتِي حَتَّى أَنْظُرَ كَيْفَ يَعْمَلُ. فَجَمَعَ النَّاسَ. فَقَالَ: مَنْ يَتَقَبَّلُ لِي بِثَلَاثٍ أَسْتَخْلِفُهُ؛ يَصُومُ النَّهَارَ، وَيَقُومُ اللَّيْلَ، وَلَا يَغْضَبُ؟ قَالَ: فَقَامَ رَجُلٌ تَزْدَرِيهِ الْعَيْنُ. فَقَالَ: أَنَا. فَقَالَ: أَنْتَ تَصُومُ النَّهَارَ، وَتَقُومُ اللَّيْلَ، وَلَا تَغْضَبُ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَرَدَّهُمْ ذَلِكَ الْيَوْمَ. وَقَالَ مِثْلَهَا الْيَوْمَ الْآخَرَ فَسَكَتَ النَّاسُ، وَقَامَ ذَلِكَ الرَّجُلُ، فَقَالَ: أَنَا. فَاسْتَخْلَفَهُ، قَالَ: فَجَعَلَ إِبْلِيسُ يَقُولُ لِلشَّيَاطِينِ: عَلَيْكُمْ بِفُلَانٍ. فَأَعْيَاهُمْ ذَلِكَ، فَقَالَ: دَعُونِي وَإِيَّاهُ، فَأَتَاهُ فِي صُورَةِ شَيْخٍ كَبِيرٍ فَقِيرٍ، وَأَتَاهُ حِينَ أَخَذَ مَضْجَعَهُ لِلْقَائِلَةِ، وَكَانَ لَا يَنَامُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ إِلَّا تِلْكَ النَّوْمَةَ فَدَقَّ الْبَابَ، فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: شَيْخٌ كَبِيرٌ مَظْلُومٌ. قَالَ: فَقَامَ فَفَتَحَ الْبَابَ فَجَعَلَ يَقُصُّ عَلَيْهِ. فَقَالَ: إِنَّ بَيْنِي وَبَيْنَ قَوْمِي خُصُومَةً، وَإِنَّهُمْ ظَلَمُونِي وَفَعَلُوا بِي وَفَعَلُوا، وَجَعَلَ يُطَوِّلُ عَلَيْهِ حَتَّى حَضَرَ الرَّوَاحُ، وَذَهَبَتِ الْقَائِلَةُ. وَقَالَ: إِذَا رُحْتُ فَأْتِنِي آخُذْ لَكَ بِحَقِّكَ فَانْطَلَقَ، وَرَاحَ فَكَانَ فِي مَجْلِسِهِ فَجَعَلَ يَنْظُرُ هَلْ يَرَى الشَّيْخَ فَلَمْ يَرَهُ، فَقَامَ يَتْبَعُهُ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ جَعَلَ يَقْضِي بَيْنَ النَّاسِ، وَيَنْتَظِرُهُ فَلَا يَرَاهُ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَى الْقَائِلَةِ فَأَخَذَ مَضْجَعَهُ أَتَاهُ فَدَقَّ الْبَابَ. فَقَالَ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: الشَّيْخُ الْكَبِيرُ الْمَظْلُومُ فَفَتَحَ لَهُ. فَقَالَ: أَلَمْ أَقُلْ لَكَ إِذَا قَعَدْتُ فَأْتِنِي؟ فَقَالَ: إِنَّهُمْ أَخْبَثُ قَوْمٍ، إِذَا عَرَفُوا أَنَّكَ قَاعِدٌ قَالُوا: نَحْنُ نُعْطِيكَ حَقَّكَ. وَإِذَا قُمْتَ جَحَدُونِي، قَالَ: فَانْطَلِقْ فَإِذَا رُحْتُ فَأْتِنِي. قَالَ: فَفَاتَتْهُ الْقَائِلَةُ فَرَاحَ فَجَعَلَ يَنْتَظِرُ فَلَا يَرَاهُ، وَشَقَّ
পৃষ্ঠা - ৫২০
হল ৷ পাহারাদার লেড়াকঢি বলল, পিছু হটো, পিছু হটো ৷ বৃদ্ধ বলল, আমি হুজুরের কাছে
গতকাল এসেছিলাম এবং আমার সমস্যার কথা বলেহ্নিন্ড়াম ৷ কিন্তু পাহারাদার বলল, কিছুতেই
দেখা করা যাবে না ৷ আল্লাহর কলম! আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন কোন লোককে তার
কাছে যেতে না দিই ৷ এভাবে পাহারাদার তাকে নিবৃত্ত করলো ৷
বৃদ্ধ তখন ঘরের পানে তাকিয়ে দেওয়ালের এক স্থানে একটি ছিদ্বপথ লক্ষ্য করল ৷
ইবলীসরুপী ঐ বৃদ্ধ উক্ত ছিদ্রপথ দিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করল এবং ভিতরের দিক থেকে
দরজা ধাক্কা দিল ৷ শব্দ শুনে যুল-কিফ্ল-এর ঘুম ভেঙে যায় ৷ তিনি বললেন, ওহে, আমি কি
তোমাকে এ সময় আসতে বারণ করিনি? সে বলল, আমি আমার নিজ প্রচেষ্টায় এসেছি ৷
আপনি তাে আমাকে আসতে দেননি ৷ লক্ষ্য করে দেখুন, কিভাবে আমি এসেছি ৷ তিনি দরজার
কাছে এসে দেখলেন, তা সেভাবেই বন্ধ রয়েছে যেভাবে তিনি বন্ধ করেছিলেন ৷ অথচ সে ঘরের
ভিতরে তার কাছেই রয়েছে ৷ তিনি এতক্ষ্যণ তাকে চিনতে পারলেন এবং বললেন, তুমি (তা
আল্লাহর দুশমন ৷ সে বলল, হ্যা, প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আপনি আমাকে পরাজিত ও নিরাশ করে
দিয়েছেন ৷ আপনাকে রাগাৰিত করার জন্যে আমি এসব কাজ করেছি যা আপনি দেখতে
পাচ্ছেন ৷ অতঃপর আল্লাহ এই ব্যক্তির নাম রাখেন যুল-কিফ্ল ৷ কারণ তিনি যে কাজ করার
জিম্মদােরী গ্রহণ করেছিলেন তা পুরণ করেছেন ৷
ইবন আবী হাতিম (র) ও ইবন আব্বাস (রা) থেকে প্রায় অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন হারিছ, মুহাম্মদ ইবন কায়স, ইবন হুজায়রা আল-আকবর ও অন্যান্য আরও
ঐতিহাসিক থেকেও এরুপ বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ ইবন আবী হাতিম (র) কাতাদা (র) সুত্রে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি আবু মুসা অড়াশআরী (রা)-কে এই মিম্বরের উপর থেকে বলতে
শুনেছি যে, যুল-কিফ্ল নবী ছিলেন না ৷ বরং তিনি একজন নেককার লোক ছিলেন ৷ প্রত্যহ
একশ’ রাকাত সালাত শ্ আদায় করতেন ৷ তার সম্প্রদায়ের নবীর কাছ থেকে তিনি দায়িত্প্রাপ্ত হন
এবং নবীর পরে তীর স্থলাভিষিক্ত হন এবং প্রত্যহ একশ রাকাত করে সালাত আদায় করেন ৷
এজন্যে তার নাম রাখা হয় যুল-কিফ্ল ৷ ইবন জারীরও কাতাদা (র) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা
করেন ৷ আবুমুসা আশআবী (রা) সুত্রে এ বর্ণনা মুনকাতি পর্যায়ের ৷
ইমাম আহমদ (র) ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ
(সা) থেকে একবার নয় দুইবার নয়, সাতবার নয় বরং তার চেয়ে রেশিবার শুনেছি : কিফ্ল
বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তির নাম ৷ এমন কোন গুনাহের কাজ নেই যা সে করেনি ৷ একদা তার
কাছে এক মহিলা আসে, যে তাকে উপভোগ করার উদ্দেশ্যে ষাটটি দীনড়ার দেয় ৷ যখন সে
স্বামী-ত্রীর মতো তাকে উপভোগে উদ্যত হলো তখন মহিলাটি কস্পিত বদনে কুপিয়ে কুপিয়ে
র্কাদতে লাগল ৷ কিফ্ল তাকে জিজ্ঞেস করল, কীদছ কেন? আমি কি তোমার প্রতি বলপ্ৰয়ােগ
করছি? মহিলাটি বলল, না ৷ বরং র্কাদার কারণ এই যে, আমি কখনও এ কাজ করিনি ৷
অভাব-অনটনই আমাকে এ কাজে বাধ্য করেছে ৷ কিফ্ল বলল, এ কাজ কখনও করনি, এই
প্রথমবার? অতঃপর তিনি নেমে গেলেন এবং বললেন, যাও, দীনড়ারগুলো তোমারই ৷ এরপর
বললেন, আল্লাহর কলম! কিফ্ল আর কখনও আল্লাহর নাফরমড়ানী করবে না ৷ ঐ রাত্রেই কিফ্ল
মারা যান ৷ সকাল বেলা তার দরজায় লিখিত দেখা যায়, আল্লাহ কিফ্লকে ক্ষমা করে
عَلَيْهِ النُّعَاسُ. فَقَالَ: لِبَعْضِ أَهْلِهِ لَا تَدَعَنَّ أَحَدًا يَقْرُبُ هَذَا الْبَابَ حَتَّى أَنَامَ فَإِنِّي قَدْ شَقَّ عَلَيَّ النَّوْمُ، فَلَمَّا كَانَ تِلْكَ السَّاعَةَ جَاءَ، فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ: وَرَاءَكَ، وَرَاءَكَ. فَقَالَ: إِنِّي قَدْ أَتَيْتُهُ أَمْسِ فَذَكَرْتُ لَهُ أَمْرِي. فَقَالَ: لَا، وَاللَّهِ لَقَدْ أَمَرَنَا أَنْ لَا نَدَعَ أَحَدًا يَقْرُبُهُ، فَلَمَّا أَعْيَاهُ نَظَرَ فَرَأَى كُوَّةً فِي الْبَيْتِ فَتَسَوَّرَ مِنْهَا فَإِذَا هُوَ فِي الْبَيْتِ، وَإِذَا هُوَ يَدُقُّ الْبَابَ مِنْ دَاخِلٍ قَالَ: فَاسْتَيْقَظَ الرَّجُلُ. فَقَالَ: يَا فُلَانُ أَلَمْ آمُرْكَ؟ قَالَ: أَمَّا مِنْ قِبَلِي، وَاللَّهِ لَمْ تُؤْتَ فَانْظُرْ مِنْ أَيْنَ أُتِيتَ؟ قَالَ: فَقَامَ إِلَى الْبَابِ فَإِذَا هُوَ مُغْلَقٌ، كَمَا أَغْلَقَهُ، وَإِذَا الرَّجُلُ مَعَهُ فِي الْبَيْتِ فَعَرَفَهُ. فَقَالَ: أَعَدُوَّ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ. أَعْيَيْتَنِي فِي كُلِّ شَيْءٍ، فَفَعَلْتُ مَا تَرَى لِأُغْضِبَكَ فَسَمَّاهُ اللَّهُ ذَا الْكِفْلِ؛ لِأَنَّهُ تَكَفَّلَ بِأَمْرٍ فَوَفَّى بِهِ.
وَقَدْ رَوَى ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ أَيْضًا عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَرِيبًا مِنْ هَذَا السِّيَاقِ. وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، وَمُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ، وَابْنِ حُجَيْرَةَ الْأَكْبَرِ، وَغَيْرِهِمْ مِنَ السَّلَفِ نَحْوُ هَذَا. وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو الْجَمَاهِرِ، أَنْبَأَنَا سَعِيدُ بْنُ بَشِيرٍ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ كِنَانَةَ بْنِ الْأَخْنَسِ قَالَ: سَمِعْتُ الْأَشْعَرِيَّ يَعْنِي أَبَا مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ عَلَى هَذَا الْمِنْبَرِ يَقُولُ: مَا كَانَ ذُو الْكِفْلِ نَبِيًّا، وَلَكِنْ كَانَ رَجُلًا صَالِحًا يُصَلِّي كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ صَلَاةٍ، فَتَكَفَّلَ لَهُ ذُو الْكِفْلِ مِنْ بَعْدِهِ يُصَلِّي كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ صَلَاةٍ فَسُمِّيَ ذَا الْكِفْلِ. وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ فَذَكَرَهُ مُنْقَطِعًا.
পৃষ্ঠা - ৫২১
দিয়েছেন ৷ তিরমিযী (র)ও আমাশ সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং একে হড়াসান’ বলে
অভিহিত করেছেন ৷ কেউ কেউ একে ইবন উমরের মওকুফ’ বর্ণনা বলে অভিহিত করেছেন ৷
হাদীসটি অত্যন্ত গরীব পর্যায়ের ৷ তাছাড়া এর সনদে আপত্তি আছে ৷ কেননা এর একজন
বর্ণনা কারী সা আদ সম্পর্কে আবু হাতিম বলেছেন ধ্প্রু: ! ১৷ আমি তাকে চিনি না, এই একটা
মাত্র হাদীসেই তার উল্লেখ পাওয়া যায় ৷ অবশ্য ইবন হিব্বান তাকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন ৷ এই
সাআদ থেকে কেবল আবদুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ আর-রাযী ব্যতীত অন্য কেউ হাদীস বর্ণনা
করেননি ৷ আল্লাহই সর্বজ্ঞ ৷
গযবে ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিসমুহের কথা
তাওরাত কিতাব নাযিল হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন জাতিকে ব্যাপক আযাবে সম্পুর্ণরুপে
ধ্বংস করা হয়েছে কুরআনে এর ¢’$$fl:! পাওয়া যায় আল্লাহ বলেন০ ং
া
০এ্ এ১৷ ৷ ষ্টুঝু,৷ ৷ ৷ শুএে
(আমি পুর্ববর্তী বহু মানব গোষ্ঠীকে বিনাশ করার পর মুসাকে কিতাব দিয়েছিলাম ৷
(সুরা কাসাস : ৪৩) ৷ যেমন ইবন জারীর, ইবন আবী হাতিম ও বাঘৃযার (র) আবু সাঈদ থুদরী
(রা) থেকে বর্ণনা করেন : তাওরাত নাযিল হওয়ার পর আল্লাহ পৃথিবীতে কোন আসমানী
কিংবা যমীনী আমার দ্বারা কোন জাতিকে সম্পুর্ণ নির্মুল করেননি ৷ কেবল সেই একটি মাত্র
জনপদের নােককেই করেছেন যাদেরকে তিনি বানরে পরিণত করেন ৷ আল্লাহ বলেন :
fl;
বায্যার এ হাদীসকে মারকু বলে বর্ণনা করেছেন কিন্তু সঠিক এই যে, এটা মওকুফ’
পর্যায়ের হাদীস ৷ সুতরাং এর দ্বারা বোঝা যায় যে, সমস্ত মানব গোষ্ঠীকে সম্পুর্ণরুপে ধ্বংস করে
দেয়া হয়েছে ৷ তারা সকলেই মুসা (আ)-এর যুগের পুর্বেকার লোক ৷ সেই সম্পুর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত
সটুপ্ৰদ য়গুলেড়ার মৰুধ্য একটি হরুচ্ছ আসহাবুর রসৃস সুরা ফুরকানে আল্লাহ বলেনঃ
এ
আমি আদ, ছামুদ, রাস্সবাসী এবং তাদের অন্তর্বর্তীকালের বহু সম্প্রদায়কে ধ্বং স করেছি ৷
এদের প্রত্যেকের জন্যেই আমি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছি এবং প্ৰত্যেককেই সম্পুর্ণরুপে ধ্বংস করে
দিয়েছি ৷ (সুরা ফুরকান : ৩৮-৩৯)
সুরা ক্যুফে আল্লাহ বলেন০ ং
(
গ্রষ্স্১ষ্ন্নী
র্দুদ্বু;টু ট্রুছু£র্ন্ত ,দ্বুপু ৷ ’াহ্রশুদ্বুস্ঝুশু;ড্ছুপ্রুব্রি হ<ঠুষ্া৷ ঙ্!;ন্টু১াট্রুদ্বু ৷ন্,পু
তাদের পুর্বেও সত্য প্রত্যাখ্যান করেছে নুহের সম্প্রদায়, রসৃস ও ছামুদ সম্প্রদায় আদ,
ফিরআউন ও লুত সম্প্রদায় এবং আয়কার অধিবাসী ও তুব্বা সম্প্রদায় ৷ ওরা সকলেই
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعْدٍ مَوْلَى طَلْحَةَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثًا لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ إِلَّا مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ مِرَارٍ، وَلَكِنْ قَدْ سَمِعْتُهُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ قَالَ: «كَانَ الْكِفْلُ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَا يَتَوَرَّعُ مِنْ ذَنْبٍ عَمِلَهُ، فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَأَعْطَاهَا سِتِّينَ دِينَارًا عَلَى أَنْ يَطَأَهَا، فَلَمَّا قَعَدَ مِنْهَا مَقْعَدَ الرَّجُلِ مِنِ امْرَأَتِهِ ارْتَعَدَتْ، وَبَكَتْ فَقَالَ لَهَا مَا يُبْكِيكِ أَكْرَهْتُكِ. قَالَتْ: لَا، وَلَكِنْ هَذَا عَمَلٌ لَمْ أَعْمَلْهُ قَطُّ، وَإِنَّمَا حَمَلَتْنِي عَلَيْهِ الْحَاجَةُ. قَالَ: فَتَفْعَلِينَ هَذَا، وَلَمْ تَفْعَلِيهِ قَطُّ؟ ثُمَّ نَزَلَ. فَقَالَ: اذْهَبِي بِالدَّنَانِيرِ لَكِ، ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَا يَعْصِي اللَّهَ الْكِفْلُ أَبَدًا. فَمَاتَ مِنْ لَيْلَتِهِ فَأَصْبَحَ مَكْتُوبًا عَلَى بَابِهِ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لِلْكِفْلِ» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ حَسَنٌ. وَذَكَرَ أَنَّ بَعْضَهُمْ رَوَاهُ فَوَقَفَهُ عَلَى ابْنِ عُمَرَ فَهُوَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، وَفِي إِسْنَادِهِ نَظَرٌ فَإِنَّ سَعْدًا هَذَا قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: لَا أَعْرِفُهُ إِلَّا بِحَدِيثٍ وَاحِدٍ. وَوَثَّقَهُ ابْنُ حِبَّانَ. وَلَمْ يَرْوِ عَنْهُ سِوَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الرَّازِيِّ هَذَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَإِنْ كَانَ مَحْفُوظًا فَلَيْسَ هُوَ ذَا الْكِفْلِ. وَإِنَّمَا لَفْظُ الْحَدِيثِ " الْكِفْلُ " مِنْ غَيْرِ إِضَافَةٍ فَهُوَ رَجُلٌ آخَرُ غَيْرُ الْمَذْكُورِ فِي الْقُرْآنِ الْكَرِيمِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ.