سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل في ذكر أولاده عليه وعليهم الصلاة والسلام
পৃষ্ঠা - ৪৩৭৫
করার পরই তিনি আমার সংগে নিভৃতে মিলিত হয়েছিলেন ৷ নবী কবীম (সা) তীর সংগে নিভৃত
বাস করতেন এবং প্রায়শ তা করতে ন ৷ এ এ প্লে তিনি নবী কবীম (সা) এর নিকটেই ছিলেন
এবং অবশেষে বিদায় হজ্জ থেকে নবী কবীম (সা) এর প্ৰত্যাগমন কালে তার মৃত্যু হল ৷ নবী
করিম (সা)৩ তাকে বাকী গোরস্তানে দাফন করলেন ৷ নবী কবীম (সা)৩ তাকে বিবাহ করেছিলেন
হিজরতে ব ষষ্ঠ বর্ষে মুহাররম মাসে ৷
ইবন ওয়াহব (র) বলেছেন, ইউনুস ইবন ইয়াবীদ (র) সুত্রে যুহবী (র) থেকে ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বনু কুরায়জার রায়হানাকে বীদী পত্নীরুপে গ্রহণ করলেন ৷ পরে জকে
যুক্তি দিয়ে দিলে তিনি তার পরিবারপােরিজনের সং গে মিলিত হলেন ৷ আবু উবায়দ৷ মামার
ইবনুল মুদান্ন৷ (র) বলেছেন, রায়হান৷ বিনত যায়দ ইবন শ ৷৷ম উন ছিলেন বনু নাবীর গোত্রের !
আবার কারো মতে বনু কুরায়জা গোত্রের ৷ সাদাকার বাগানসঘুহের এক খেজুর বাগানে তিনি
অবস্থান করতেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) মাঝে মধ্যে সেখানে মধ্যাহ্ন বিশ্রাম নিতেন ৷ শাওয়াল,
চার হিজবীতে তিনি তাকে বন্দিনী রুপে পান ৷
আবু বকর ইবন আবু খায়ছড়ামা (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর দুজন বীদী-পত্নী ছিলেন;
মারিয়া কিবতীয়া ও রারহন্তো ৰিনত শামউন ইবন যায়দ ইবন থিনাদাকুরায়জার বনু আয়র-
এর লোক ৷ প্রথমে তিনি যতদুর জানা যায়, র্তার চাচাত ভাই হাকাম এর শ্রী ছিলেন ৷ নবী
কবীর (সা) এর ওফাতের আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল ৷ আবু উবায়দড়া মামার ইবনুল মুছান্না
(র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এ র চার জন র্বাদী ছিলেন মারিয়া, কিবতিয়া, রায়হান৷ কুরাজী ,
আর একজন বীদী ছিলেন জমীল৷ সুন্দবী ৷ নবী সহবযিণীগণ তার বিরুদ্ধে কৌশল অবলম্বন
করলেন ৷ র্তীন্সের আশংকা ছিল যে, নবী কবীম (সা ) এ র উপর তিনি তাদের তুলনায় প্রাধান্য
বিস্তার করে ফেলবেন এবং অন্য জন বীদী নফীসা ইা৷কে যায়নাব (রা) তাকে হিবা
করেছিলেন ৷ (ঘটনার বিবরণে বলা হয়েছে) নবী কবীর (সা) সফিয়্যা বিনত হুয়ায় (রা)এর
কারণে যায়নাব (রা)-া:ক পরিত্যাগ করে রেখেছিলেনন্যিলহজ্জ , ঘৃহাররম ও সফর মাস ৷ তার
ওফাতের মাস রাবীউল আউয়াল শুরু হলে তিনি যায়নাব (বা) বললেন, আমি তেরে স্থির
করতে পারছি না যে আপনাকে কি প্রতিদান দেব ? পরে এ বীদীটিরুক নবী কবীম (সা)কে
হিব৷ করলেন ৷
সায়ফ ইবন উমার (র) বলেছেন, সাঈদ ইবন আবদুল্লাহ (র) আইশা (র৷ ) সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ (না) এক সময় মারিয়া ও রায়হানার জন্য (ত্রীদের প্রাপ্য) ংংল্
নির্ধারণ করতেন ৷ আবার কোন কোন সময় তাদের বাদ দিয়েও রাখতেন ৷ দ্বহ্বৃ নৃম্রৰু:: ৰুব ;
বলেন, আবু মুহাম্মদ ইবন উমার আল ওরাকিদী (র) বলেন ররহ নষ্ ন্শ্ ন্থিরাদ্ভ্র
ইনতিকাল করেছিলেন ৷ ৬ঘার ইবনুল খত্তেব (বা) ইইর দ্ন্নর্কহৃর ণ্ : ল্দো ৰুবুহুন্ ধুত্
বাকী কবরহাণে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্তান-নম্ভজ্যি বিবরন
রর্ভসৃভুরহ (
ন্বিন্শ্ভ্র বৃণ্ ব্ব্বাছুন্ ন্ার্ঘ আে fl fl দুে
ওো৷া
[فَصْلٌ فِي ذِكْرِ أَوْلَادِهِ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ]
لَا خِلَافَ أَنَّ جَمِيعَ أَوْلَادِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَدِيجَةَ بِنْتِ خُوَيْلِدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، سِوَى إِبْرَاهِيمَ فَمِنْ مَارِيَةَ بِنْتِ شَمْعُونَ الْقِبْطِيَّةِ، قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ: أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ الْكَلْبِيِّ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ «: كَانَ أَكْبَرُ وَلَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقَاسِمَ، ثُمَّ زَيْنَبَ، ثُمَّ عَبْدَ اللَّهِ، ثُمَّ أُمَّ كُلْثُومٍ، ثُمَّ فَاطِمَةَ، ثُمَّ رُقَيَّةَ، رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ، فَمَاتَ الْقَاسِمُ - وَهُوَ أَوَّلُ مَيِّتٍ مِنْ وَلَدِهِ - بِمَكَّةَ، ثُمَّ مَاتَ عَبْدُ اللَّهِ، فَقَالَ الْعَاصُ بْنُ وَائِلٍ السَّهْمِيُّ: قَدِ انْقَطَعَ نَسْلُهُ فَهُوَ أَبْتَرُ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ} [الكوثر: 1]
[سُورَةِ الْكَوْثَرِ] قَالَ: ثُمَّ وَلَدَتْ لَهُ مَارِيَةُ بِالْمَدِينَةِ إِبْرَاهِيمَ فِي ذِي الْحِجَّةِ، سَنَةَ ثَمَانٍ
পৃষ্ঠা - ৪৩৭৬
দ্বিমত নেই ৷ ইবরাহীম (বা) এর জন্ম হয়েছিল মারিয়া বিনত শামউন কিবডীর গর্ভে ৷ মুহাম্মদ
ইবন সড়াদ (র) বলেন, হিশাম ইবনুল কালবী (র)ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) এর জ্যেষ্ঠ সন্তান ছিলেন কাসিম ৷ তারপর যায়নাব (র৷ ) , তার
পরে রুকড়ায়দ্র৷ (রা) ৷ নবী কৰীম (সা) এর সন্তানদের মধ্যে কাসিম (রা) মক্কায় প্রথম মৃত্যু
বরণ করেন ৷ তারপরে মৃত্যু হল আবদুল্লাহ (রা)-এর ৷ তখন আস ইবন ওয়ড়াইল আস সাহসী
বলেন, তার বংশ ধারা ছিন্ন হয়ে গিয়েছে; সুতরাং সে লেজ কাটা নির্বৎশ ৷ তখন মহান মহীয়ড়ান
অল্লোহ্ নাযিল করলেন,
“আমি তোমাকে কাওছার (মঙ্গলের প্রাচুর্য ৰিষেশতঘ্র হড়াওয-কাওছার) দান করেছি ৷ সুতরাং
তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সল্দোত আদায় কর এবং কুরবানী কর ৷ নিশ্চয় তোমার প্রতি
বিদ্বেষ পোষণকারীই তো নির্বৎশ (সুরা কড়াওছার) ৷ বর্ণনড়াকারী (ইবন আব্বাস) বলেন, এরপরে
অষ্টম হিজরীব যিলহজ্জ মাসে মদীনায় মারিয়া-এর গর্ভে ইবরাহীম (রড়া)-এর জন্ম হয় ৷ পরে
আঠার মাস বয়সে তার মৃত্যু হয় ৷
যাকারিয়্যা আল জাৰীয়ী (র) ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, খাদীজা
(রা)-এব গর্ভে আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (রা) এর জন্ম হয় ৷ পরে তার সন্তান হওয়া ৰিলন্বিত
হতে লাগল ৷ একদিন রড়াসুলুল্লাহ (না) এক ব্যক্তির সংগে কথা বলছিলেন, তখন আস ইবনৃল
ওরড়াইল তার দিকে তাকিয়ে ছিল ৷ তখনই এক ব্যক্তি আসকে বলল, এ লোকটি কে ? সে
র্তাকে বলল, এ তো লেজ কাটা ব্যক্তি ৷ কোন লোকের একটি সন্তান হওয়ার পরে পরবর্তী সম্ভ
ড়ান বেশ ৰিলম্বে হলে কুরায়শরা তাকে অড়াবতার (লেজকাটড়া) বলত ৷ তখন আল্লাহ নাযিল
কররুলন,;প্লুহু১’দ্ভ এে এ্যাএে ( তোমার প্ৰতি ৰিদ্বেষ পোষণকারীই সব কল্যাণ ও মংগল হতে
কর্তিত (এবং প্রকৃত লেজকাটা) ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তারপর খ্যদীজা (রা) এর গর্ভে যায়নাবের
জন্ম হয় ৷ তারপর জন্ম হয় রুকড়ায়ড়ার ৷ তারপর জন্ম হয় কাসিম (রা)-এর ৷ তারপর তাকে সম্ভ
ান উপহার দিলেন তাহির (রা)শ্ফে ৷ তারপর তিনি জন্ম দিলেন মুতাহহড়ার (বা)-কে; তারপর
তিনি জন্ম দিলেন তারািব (রা)-বো; তারপর জন্ম দিলেন মুতায়াব (রড়া)প্ফে; তারপর জন্ম
দিলেন উস্মৃ কুলছুম (রড়া)কাে তার পর তিনি জন্ম দিলেন ফাতিমা (বা) কে এবং তিনি ছিলেন
তাদের সর্ব কণিষ্ঠা ৷ খড়াদীজা (বা) এর কোন সন্তান জন্ম নিলে তিনি তাকে কোন দুধ মায়ের
হাতে তুলে দিতেন ৷ কিন্তু ফাতিমা জন্ম লাভ করলে তিনিই জকে দুধ খাওয়ড়াতে থাকলেন ৷
হারছাম ইবন আদী (র) বলেন, হিশাম ইবন উরওয়ড়া সাঈদ ইবনৃল ঘুসায়্যাকের মাধ্যমে তার
পিতা সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) এর দুটি পুত্র সন্তান ছিলেন; তাব্যিব
ও তাহির এদের একজনের নাম রাখা হয়েছিল আবদ শড়ামছ এবং অন্য জনের নাম রাখা
হরেস্কি আবদুল উয ষা : এ হাদীসে আপত্তিকর ও অসমর্থিত বিষয় রয়েছে ৷ আল্লাহ্ সর্বাধিক
ড্ডাৎ ’ দ্বুহম্মেন্ ইবন আইয (র) বলেন, ওলীদ ইবন মুসলিম (র) সাঈদ ইবন আবদুল
ঙ্গইব ৷ র ৷ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, খাদীজ্য (রা) কাসিম, তাব্যিব , তাহির , মুতাহহার, যায়নড়াব,
নােল্ল! ৰুঢিষা ৩ উম্মু কুলছুম (রা£ক জন্ম দেন ৷
ন্তো ইমৃন স্ফো (র) বলেন আমার চাচা ঘুসআব ইবন আবদুল্লাহ (রা) আমাকে
জ্জীভ্ ল্লো ৷ নীি বলেনঃ ৰ্াদীক্তা (বা) কাসিম ও তাহিরকে জন্ম দিলেন ৷ তাহিরকে
مِنَ الْهِجْرَةِ، فَمَاتَ ابْنَ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ شَهْرًا» .
وَقَالَ أَبُو الْفَرَجِ الْمُعَافَى بْنُ زَكَرِيَّا الْجَرِيرِيُّ: ثَنَا عَبْدُ الْبَاقِي بْنُ قَانِعٍ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ زَكَرِيَّا، ثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ بَكَّارٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ زِيَادٍ وَالْفُرَاتُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: «وَلَدَتْ خَدِيجَةُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَمَّدٍ، ثُمَّ أَبْطَأَ عَلَيْهِ الْوَلَدُ مِنْ بَعْدِهِ، فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ يُكَلِّمُ رَجُلًا وَالْعَاصُ بْنُ وَائِلٍ يَنْظُرُ إِلَيْهِ إِذْ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ لَهُ: هَذَا الْأَبْتَرُ. وَكَانَتْ قُرَيْشٌ إِذَا وُلِدَ لِلرَّجُلِ وَلَدٌ، ثُمَّ أَبْطَأَ عَلَيْهِ الْوَلَدُ مِنْ بَعْدِهِ قَالُوا: هَذَا الْأَبْتَرُ. فَأَنْزَلَ اللَّهُ، تَبَارَكَ تَعَالَى: {إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ} [الكوثر: 3] أَيْ ; مُبْغِضُكَ هُوَ الْأَبْتَرُ مِنْ كُلِّ خَيْرٍ. قَالَ: ثُمَّ وَلَدَتْ لَهُ زَيْنَبَ، ثُمَّ وَلَدَتْ لَهُ رُقَيَّةَ، ثُمَّ وَلَدَتْ لَهُ الْقَاسِمَ، ثُمَّ وَلَدَتِ الطَّاهِرَ، ثُمَّ وَلَدَتِ الْمُطَهَّرَ، ثُمَّ وَلَدَتِ الطَّيِّبَ، ثُمَّ وَلَدَتِ الْمُطَيَّبَ، ثُمَّ وَلَدَتْ أُمَّ كُلْثُومٍ، ثُمَّ وَلَدَتْ فَاطِمَةَ، وَكَانَتْ أَصْغَرَهُمْ، وَكَانَتْ خَدِيجَةُ إِذَا وَلَدَتْ وَلَدًا دَفَعَتْهُ إِلَى مَنْ تُرْضِعُهُ، فَلَمَّا وَلَدَتْ فَاطِمَةَ لَمْ يُرْضِعْهَا أَحَدٌ غَيْرُهَا.»
وَقَالَ الْهَيْثَمُ بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৩৭৭
أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنَانِ ; طَاهِرٌ وَالطَّيِّبُ. وَكَانَ يُسَمِّي أَحَدَهُمَا عَبْدَ شَمْسٍ وَالْآخَرَ عَبْدَ الْعُزَّى» . وَهَذَا فِيهِ نَكَارَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ: أَخْبَرَنِي الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَنَّ خَدِيجَةَ وَلَدَتِ الْقَاسِمَ وَالطَّيِّبَ وَالطَّاهِرَ وَمُطَهَّرًا وَزَيْنَبَ وَرُقَيَّةَ وَفَاطِمَةَ وَأُمَّ كُلْثُومٍ.
وَقَالَ الزُّبَيْرُ بْنُ بَكَّارٍ أَخْبَرَنِي عَمِّي مُصْعَبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: وَلَدَتْ خَدِيجَةُ الْقَاسِمَ وَالطَّاهِرَ - وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: الطَّيِّبُ. وَوُلِدَ الطَّاهِرُ بَعْدَ النُّبُوَّةِ، وَمَاتَ صَغِيرًا، وَاسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ - وَفَاطِمَةَ وَزَيْنَبَ وَرُقَيَّةَ وَأُمَّ كُلْثُومٍ، رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ.
قَالَ الزُّبَيْرُ، وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ أَنَّ خَدِيجَةَ وَلَدَتِ الْقَاسِمَ وَالطَّاهِرَ وَالطَّيِّبَ وَعَبْدَ اللَّهِ وَزَيْنَبَ وَرُقَيَّةَ وَفَاطِمَةَ وَأُمَّ كُلْثُومٍ.
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ فَضَالَةَ عَنْ بَعْضِ مَنْ أَدْرَكَ مِنَ الْمَشْيَخَةِ قَالَ: وَلَدَتْ خَدِيجَةُ الْقَاسِمَ وَعَبْدَ اللَّهِ، فَأَمَّا الْقَاسِمُ، فَعَاشَ حَتَّى مَشَى، وَأَمَّا عَبْدُ اللَّهِ، فَمَاتَ،
পৃষ্ঠা - ৪৩৭৮
তাব্যিব নামেও ডাকা হত ৷ তাহিরের জন্ম হয়েছিল নবুয়ড়াত প্রাপ্তির পরে ৷ তার (মুল) নাম ছিল
আবদুল্লাহ এবং শৈশবেই তার মৃত্যু হয় ৷ ফাতিমা , মায়নাব, রুকায়্যা ও উন্মু কুলছুমকেও (জন্ম
দিলেন) ৷ যুবায়র (র) বলেন, ইররাহীম ইবনুল মুনঘির (র) আবুল আসওয়ড়াদ (র) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, খাদীজা (বা) কাসিম, তাহিৱ, তাখ্যিব, আবদুল্লাহ, মায়নাব, ককড়ায়্যা, ফাতিমা
ও উম্মু কুলছুম (রড়া)-কে জন্ম দেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ফুযালা (র) তার জনৈক শায়খ সুত্রে আমাকে বলেছেন ৷ তিনি বলেন,
খাদীজা (বা) কড়াসিম ও আবদুল্লাহ (ক জন্ম দিলেন ৷ কাসিম হেটে চলার বয়স পর্যন্ত বেচে
ছিলেন ৷ আর অবদুল্লাহ শিশু অবন্থায়ই মারা যান ৷
যুবড়ায়র ইবন বাক্কার (র) বলেন, জড়াহিলী যুগে খাদীজা (রা) আত তাহিরাহ (পুত পবিত্রা)
ৰিনত খুওয়ড়ায়লিদ নামে অভিহিতা হতেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর পক্ষে জন্ম দেন কাসিম
(রা)৫ক ৷ কাসিমই জর জ্যেষ্ঠ সন্তান ৷ এবং তার নামেই নবী কবীম (সা) এর কুনিয়ত
(উপনাম) আবুল কড়াসিম হয়েছিল ৷ তারপর যায়নারকে ৷ তারপর আরদুল্লা কে; র্তাকে তামািব
এবং তাহির নামেও অভিহিত করা হত ৷ তীর জন্ম হয়েছিল নবী কবীম (সা) এর নবুয়্যাত
প্রাপ্তির পরে এবং তিনি শৈশবেই মারা যান ৷
তারপর কন্যা কুলছুম (বা) কে; তারপর ফাতিমা (রা ) কে; তারপর রুকায়্যা (বা) (ক ৷
এভাবে একের পর এক জন্মলাত করে ৷ তারপর কাসিম (রা ) মক্কায় মারা যান ৷ নবী কবীম
(সা) এর সন্তানদের মধ্যে প্রথমে তারই মৃত্যু হয় ৷ তারপরে মারা যান আবদুল্লাহ ৷ এরপরে
মারিয়া বিনত শামউন (রা)এর গর্ভে নবী কবীম (সা) এর পুত্র ইবরাহীম এর জন্ম হয় ৷
মারিয়া হলেন (আলেকজাদ্রিয়ার) শাসক মুকাওকিস-এর তরফ থেকে উপচৌকন স্বরুপ
প্রেরিত মহিলা ৷ মুকাওকিস মারিয়ার সংগে তার বোন শীবীন এবং মাবুর নামের এক
খােজাকেও উপহার রুপে পাঠান ৷ নবী কবীম (সা) শীবীনকে হেবা করে দেন হড়াসসান ইব ন
ছাৰিত (রড়া)-৫ক ৷ তার গর্ভে হাসসান (রা)এর পুত্র আবদুর রহমানের জন্ম হয় ৷ তবে পরে এ
বংশধারা ল্যেপ পেয়ে গিয়েছিল ৷
আবু বকর ইবন রাত্তী (র) বলেছেন, কথিত মতে তাহির ও তায়িার অভিন্ন ৷ আবার কথিত
হয়েছে, তায়িাব ও ঘুতায়্যাব (জময়) রুপে জন্মেছিলেন এবং তাহির ও ক্ষুতাহহার অনুরুপ জময়
জন্মেছিলেন ৷
ঘুফায়যাল ইবন গাসৃসড়ান (র) বলেছেন, আহমদ ইবন হড়াম্বল (র) ঘৃজাহিদ (র) সুত্রে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) পুত্র কাসিম সড়াতদিন বেচে থাকার পরে মারা যান ৷
মুফারযাল (র) মন্তব্য করেন, এ তথ্য ত্রুটিপুর্ণ ৷ সঠিক তথ্য হল, তিনি সতের মাস জীবিত
ছিলেন ৷ হাফিয আবু নুআয়ম (র) বলেন, মুজাহিদ (র) বলেছেন, কাসিমের মৃত্যু হয়েছিল
সাত দিন বয়সে ৷ যুহবী (র) বলেন, দুবছর বয়সে ৷ কাতাদা (র) বলেছেন, হেটে চলার বয়স
পর্যন্ত তিনি বেচে ছিলেন ৷
হিশাম ইবন উরওয়া (র) বলেছেন, তায়িাব ও তাহিরের নাম ইরাকীদের উদ্ভাবিত ৷ আর
আমাদের শায়খগণ তাদের নাম বলেছেন, আবদুল উযমা, আরদ মানাফ ও কাসিম এবং
মেয়েদের মধ্যে ককড়ায়্যা, উম্মু কুলছুম ও ফাতিমা (রা ) ৷ ইবন আসাফির (র) এ ভাবেই
وَهُوَ صَغِيرٌ.
وَقَالَ الزُّبَيْرُ: كَانَتْ خَدِيجَةُ تُدْعَى فِي الْجَاهِلِيَّةِ الطَّاهِرَةَ بِنْتَ خُوَيْلِدٍ، وَقَدْ وَلَدَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقَاسِمَ، وَهُوَ أَكْبَرُ وَلَدِهِ وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى، ثُمَّ زَيْنَبَ، ثُمَّ عَبْدَ اللَّهِ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: الطَّيِّبُ. وَيُقَالُ لَهُ الطَّاهِرُ. وُلِدَ بَعْدَ النُّبُوَّةِ، وَمَاتَ صَغِيرًا، ثُمَّ أُمَّ كُلْثُومٍ، ثُمَّ فَاطِمَةَ، ثُمَّ رُقَيَّةَ. هُمْ هَكَذَا الْأَوَّلَ فَالْأَوَّلَ، ثُمَّ مَاتَ الْقَاسِمُ بِمَكَّةَ - وَهُوَ أَوَّلُ مَيِّتٍ مِنْ وَلَدِهِ - ثُمَّ مَاتَ عَبْدُ اللَّهِ ثُمَّ وَلَدَتْ لَهُ مَارِيَةُ بِنْتُ شَمْعُونَ إِبْرَاهِيمَ، وَهِيَ الْقِبْطِيَّةُ الَّتِي أَهْدَاهَا لَهُ الْمُقَوْقِسُ صَاحِبُ إِسْكَنْدَرِيَّةَ، وَأَهْدَى مَعَهَا أُخْتَهَا سِيرِينَ، وَخَصِيًّا يُقَالُ لَهُ مَأْبُورٌ. فَوَهَبَ سِيرِينَ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ ابْنَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ، وَقَدِ انْقَرَضَ نَسْلُ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ الْبَرْقِيِّ: يُقَالُ إِنَّ الطَّاهِرَ هُوَ الطَّيِّبُ وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ. وَيُقَالُ: إِنَّ الطَّيِّبَ وَالْمُطَيَّبَ وُلِدَا فِي بَطْنٍ، وَالطَّاهِرَ وَالْمُطَهَّرَ وُلِدَا فِي بَطْنٍ.
وَقَالَ الْمُفَضَّلُ بْنُ غَسَّانَ، أَنَا أَبِي، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ:، ثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: «مَكَثَ الْقَاسِمُ بْنُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَ
পৃষ্ঠা - ৪৩৭৯
لَيَالٍ، ثُمَّ مَاتَ.» قَالَ الْمُفَضَّلُ: وَهَذَا خَطَأٌ ; وَالصَّوَابُ أَنَّهُ عَاشَ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا.
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو نُعَيْمٍ: قَالَ مُجَاهِدٌ: مَاتَ الْقَاسِمُ وَلَهُ سَبْعَةُ أَيَّامٍ. وَقَالَ الزُّهْرِيُّ: وَهُوَ ابْنُ سَنَتَيْنِ.
وَقَالَ قَتَادَةُ: عَاشَ حَتَّى مَشَى.
وَقَالَ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ: «وَضَعَ أَهْلُ الْعِرَاقِ ذِكْرَ الطَّيِّبِ وَالطَّاهِرِ. فَأَمَّا مَشَايِخُنَا فَقَالُوا: عَبْدُ الْعُزَّى وَعَبْدُ مَنَافٍ وَالْقَاسِمُ، وَمِنَ النِّسَاءِ رُقَيَّةُ وَأُمُّ كُلْثُومٍ وَفَاطِمَةُ» . هَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَهُوَ مُنْكَرٌ، وَالَّذِي أَنْكَرَهُ هُوَ الْمَعْرُوفُ. وَسَقَطَ ذِكْرُ زَيْنَبَ وَلَا بُدَّ مِنْهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
فَأَمَّا زَيْنَبُ فَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ لِي غَيْرُ وَاحِدٍ: كَانَتْ زَيْنَبُ أَكْبَرَ بَنَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتْ فَاطِمَةُ أَصْغَرَهُنَّ وَأَحَبَّهُنَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَتَزَوَّجَ زَيْنَبَ أَبُو الْعَاصِ بْنُ الرَّبِيعِ، فَوَلَدَتْ مِنْهُ عَلِيًّا وَأُمَامَةَ، وَهِيَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُهَا فِي الصَّلَاةِ، فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَهَا، وَإِذَا قَامَ حَمَلَهَا. وَلَعَلَّ ذَلِكَ كَانَ بَعْدَ مَوْتِ أُمِّهَا سَنَةَ ثَمَانٍ مِنَ الْهِجْرَةِ عَلَى مَا ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ وَقَتَادَةُ
পৃষ্ঠা - ৪৩৮০
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এটি অসমর্থিত ও প্রত্যাথ্যাত এবং এ বংনািয় যেটিকে প্রত্যাখ্যান করা
হয়েছে সল (সঢিই সমর্থিত ও স্বীকৃত ৷ এ ছাড়া এ বর্ণনায় যায়নাব (রা)ণ্এর নাম বাদ
পড়েছে তার নাম থাকা আবশ্যক ৷ আল্লাহই সর্বত্বধিক অবগত
যারনাব (রা) )সশ্বন্ধে যথার্থ তথ্য হল, আবদুর রাজ্জাক (র) ইবন জুবায়জ (র) সুত্রে
উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইবন জুবায়জ (র) বলেন, একাধিক ব্যক্তি আমাকে বলেছেন, যায়নাব (বা )
হলেন নবী করীম (সা)-এর কন্যাদের মাঝে চজ্যষ্ঠা ৷ আর ফাতিমা (বা) ছিলেন তাদের
কণিষ্ঠা এবং রাসুলুল্লাহ (সা) এর নিকটে সর্বাধিক আদরের ৷ যায়নাব (বা) এর বিবাহ
হয়েছিল আবুল আস ইবনুর রাবী এর সংগে ৷ এ স্বামীর ঘরেই তার পুত্র আলী ও কন্যা
উমড়ামার জন্ম হয় ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এ উমড়ামাকেই সালাতের সময় (কাধে ) তুলে নিতেন,
সিজদা করার সময় তাকে না ড়ামিরে রাখতেন ও দাড়াবার সময় আবার তুলে নিতেন ৷ সম্ভবত
এটা ছিল হিজবী অষ্টম বর্ষে তার মায়ের মৃত্যুর পরে ৷ ওয়াকিদী, কাতাদা ও আবদুল্লাহ ইবন
আবু বকর ইবন হড়াযম (র) প্রমুখ এর বর্ণনায় এরুপই অনুমিত হয় ৷ সম্ভবত তিনি ছিলেন
ছোট্ট শিশু ৷ আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷ ফাতিমড়া (রড়া)-এর মৃত্যুর পরে আলী (বা) এ
উমমােকেই বিবাহ করেছিলেন (পরবর্তীতে তার বচ্নাি আসছে) ৷ যায়নাব (রা) এর মৃত্যু হয়
অষ্টম হিজরীতে ৷ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন কাতদাে (র) আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর ইবন
হাযম (র) এর উদ্ধৃতিতে খলীফা ইবন খায়্যাত, আবু বকর ইবন আবু খায়সামড়া ও অন্যানারা
অভিন্ন মত পোষণ করেন, ইবন হাযম (র) থেকে কাতাদা (র)-এর অন্য একটি বর্ণনায়
-অষ্টম হিজরীর প্রারম্ভে ৷ হাম্মাদ ইবন সালামা (র)উরওয়া (র) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷
যায়নাব (বা) হিজরাত করে আসার সময় এক ব্যক্তি র্তাকে ধাক্কা দিলে তিনি একটি বড়
পাথরের উপর পড়ে গেলেন এবং তাতে জর গর্ভের সন্তানের অকাল প্রসব হয় ৷ শেষ পর্যন্ত
তার এ ব্যথা উপশম হয়নি এবং তাতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ এ জন্য তারা মনে করতেন
যে তিনি শহীদদের মর্যাদা লাভ করেছেন ৷
আর রুকায়্যা (বা) এর প্রথমে বিবাহ হয়েছিল উতবা ইবন আবু লড়াহাবের সংগে এবং তার
বোন উম্মু কুলছুম (রা)-এর বিবাহ হয়েছিল উতবার ভাই উতড়ায়বা ইবন আবু লাহাবের সংগে ৷
পরে যখন আল্লাহ পাক সুরা লাহাব নাযিল করলেন তখন রাসুলুল্লাহ (না)-এর প্রতি বিদ্বিষ্ট হয়ে
তারা উভয়ে ঐ দুই বোনকে বাসদুরর আগেই তালাক দিয়ে দেয় ৷ আল্লাহ পাক নাযিল
করেছিলেন,
ধ্ব,ন্ :ন্থক দ্ববৃ ল্ন্হন্ষ্ৰর ন্ই হত এবং ধ্বং ণ্ হোক সে নিজেও ৷ তার ধনসম্পদ ও
তর ক্টপ্প্ন্ষ্ র্মপষ্’ তার কোন কাজে অ::ঙ্গ বি আচৰুরই সে দগ্ধ হবে লেলিহান আগুনে এবং তার
ক্ট্র€ শ্কনৃন্ত্র রহ্ন্দাকৌৰু তার স্বল্ য প্ টুকানাে রজ্জ্ব ৷ (সুরা লাহাব)
প্দ্রত্নর ন্:ণ্শুগ্ ইবন ভ্র:ফ্কন্ ণ্ষ্ণ্ (রা) রুকায়ব্রড়া (বা) কে বিবাহ করলেন ৷ তিনি স্বামীর সংগে
হৃবশর হজরত করে ণ্গলেন ৷ বলা হয় যে, তিনি হাবাশা দেশে প্রথম হিজরতকারিনী ৷ পরে
وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ وَغَيْرُهُمْ، وَكَأَنَّهَا كَانَتْ طِفْلَةً صَغِيرَةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ تَزَوَّجَهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَعْدَ مَوْتِ فَاطِمَةَ، عَلَى مَا سَيَأْتِي، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَكَانَتْ وَفَاةُ زَيْنَبَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فِي سَنَةِ ثَمَانٍ. قَالَهُ قَتَادَةُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، وَخَلِيفَةَ بْنِ خَيَّاطٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي خَيْثَمَةَ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ. وَقَالَ قَتَادَةُ، عَنِ ابْنِ حَزْمٍ: فِي أَوَّلِ سَنَةِ ثَمَانٍ.
وَذَكَرَ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهَا لَمَّا هَاجَرَتْ دَفَعَهَا رَجُلٌ فَوَقَعَتْ عَلَى صَخْرَةٍ فَأَسْقَطَتْ حَمْلَهَا، ثُمَّ لَمْ تَزَلْ وَجِعَةً حَتَّى مَاتَتْ، فَكَانُوا يَرَوْنَهَا مَاتَتْ شَهِيدَةً.
وَأَمَّا رُقَيَّةُ فَكَانَ قَدْ تَزَوَّجَهَا أَوَّلًا ابْنُ عَمِّهَا عُتْبَةُ بْنُ أَبِي لَهَبٍ، كَمَا تَزَوَّجَ أُخْتَهَا أُمَّ كُلْثُومٍ أَخُوهُ عُتَيْبَةُ بْنُ أَبِي لَهَبٍ، ثُمَّ طَلَّقَاهُمَا قَبْلَ الدُّخُولِ بِهِمَا ; بِغْضَةً فِي رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: {تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِنْ مَسَدٍ} [المسد: 1]
[سُورَةِ الْمَسَدِ] فَتَزَوَّجَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، رُقَيَّةَ، وَهَاجَرَتْ مَعَهُ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ، وَيُقَالُ: إِنَّهُ أَوَّلُ مَنْ هَاجَرَ إِلَيْهَا. ثُمَّ رَجَعَا إِلَى مَكَّةَ كَمَا قَدَّمْنَا، وَهَاجَرَا إِلَى الْمَدِينَةِ وَوَلَدَتْ لَهُ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ، فَبَلَغَ سِتَّ سِنِينَ، فَنَقَرَهُ دِيكٌ، فِي عَيْنَيْهِ فَمَاتَ،
পৃষ্ঠা - ৪৩৮১
وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى أَوَّلًا، ثُمَّ اكْتَنَى بِابْنِهِ عَمْرٍو، وَتُوُفِّيَتْ وَقَدِ انْتَصَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَدْرٍ يَوْمَ الْفُرْقَانِ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ، وَلَمَّا أَنْ جَاءَ الْبَشِيرُ بِالنَّصْرِ إِلَى الْمَدِينَةِ - وَهُوَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ - وَجَدَهُمْ قَدْ سَاوَوْا عَلَى قَبْرِهَا التُّرَابَ، وَكَانَ عُثْمَانُ قَدْ أَقَامَ عَلَيْهَا يُمَرِّضُهَا بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَضَرَبَ لَهُ بِسَهْمِهِ وَأَجْرِهِ، وَلَمَّا رَجَعَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَوَّجَهُ بِأُخْتِهَا أُمِّ كُلْثُومٍ أَيْضًا، وَلِهَذَا كَانَ يُقَالُ لَهُ ذُو النُّورَيْنِ، ثُمَّ مَاتَتْ عِنْدَهُ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ تِسْعٍ، وَلَمْ تَلِدْ لَهُ شَيْئًا، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَوْ كَانَتْ عِنْدِي ثَالِثَةٌ لَزَوَّجَتُهَا عُثْمَانَ» وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «لَوْ كُنَّ عَشْرًا لَزَوَّجْتُهُنَّ عُثْمَانَ» .
وَأَمَّا فَاطِمَةُ فَتَزَوَّجَهَا ابْنُ عَمِّهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فِي صَفَرٍ سَنَةَ اثْنَتَيْنِ، فَوَلَدَتْ لَهُ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ، وَيُقَالُ: وَمُحَسِّنًا. وَوَلَدَتْ لَهُ أُمَّ كُلْثُومٍ وَزَيْنَبَ، رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ، وَقَدْ تَزَوَّجَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي أَيَّامِ وِلَايَتِهِ بِأُمِّ كُلْثُومٍ بِنْتِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مِنْ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَأَكْرَمَهَا إِكْرَامًا زَائِدًا ; أَصْدَقَهَا أَرْبَعِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ لِأَجْلِ نَسَبِهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَلَدَتْ لَهُ زَيْدَ بْنَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَلَمَّا قُتِلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، تَزَوَّجَهَا بَعْدَهُ ابْنُ عَمِّهَا عَوْنُ بْنُ جَعْفَرٍ، فَمَاتَ عَنْهَا، فَخَلَفَ عَلَيْهَا أَخُوهُ مُحَمَّدٌ، فَمَاتَ عَنْهَا، فَتَزَوَّجَهَا أَخُوهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، فَمَاتَتْ
পৃষ্ঠা - ৪৩৮২
র্তারা উভয়ে মক্কায় প্রত্যাবর্তন করলেন এবং পুনরায় মদীনায় হিজরত করলেন ৷ (পুর্বেই তা
বর্ণিত হয়েছে) রুকায়্যা (রা)এর গর্ভে জন্ম হয় উসমান (বা) এর পুত্র আবদুল্লাহর ৷ তীর বয়স
ছয় বছর হওয়ার সময় একটি থােরগ তার চোখে ঠোকর দিয়েছিল ৷ যাতে তীর মৃত্যু হয় ৷
প্রথম দিকে এ ছেলের নামেই উসমড়ান (রা)-এর কুনিয়াত হয়েছিল আবু অবদুল্লাহ ৷ পরে
অবশ্য পুত্র উমরের নামে তার কুনিয়াত পরিবর্তিত হয় ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) যখন মীমাংসা
দিবসে’ দুই দলের মুথামুখি হওয়ার দিন অর্থাৎ বদরে বিজয় লাভ করলেন যে সময় মদীনায়
রুকায়্যা (রা)-এর মৃত্যু হয় ৷ যুদ্ধ বিজয়ের সুসংবাদ বাহক-যায়দ ইবন হারিছা (রা) মদীনায়
পৌছে দেখলেন যে, তারা রুকায়ব্রুার কবরের উপরে মাটি বিছিয়ে দিয়েছেন ৷ উসমড়ান (রা)
রাসুলুল্লাহ (সা)-এর হুকুমে স্তীর সেবা-শুশ্রুষার উদ্দেশ্যে মদীনায় রয়ে গিয়েছিলেন ৷ তাই নবী
করীম (সা) র্তাকে প্রতিদান (হওয়ার) ও গণীমতেব হিসসা প্রদানের ঘোষণা দিলেন ৷ মদীনায়
প্ৰত্যাগমনের পরে রুক্যয়্যা-ও বোন উম্মু কৃলছুম (বা) কেও উসমানের নিকট বিবাহ দিয়ে
দিলেন ৷ এ কারণেই র্তাকে যুন নুরায়ন’ (দুই নুরের অধিকারী) নামে অভিহিত করা হত ৷ পরে
নবম হিজরীর শাবান মাসে উসমান (না)-এর নিকটে থাকা অবস্থায় উম্মু কুলছুম (রা)ও
ইনতিকাল করলেন এবং এ ঘরে তাদের কোন সন্তান হল না ৷ এ সময় বাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছিলেন, :হুএং গ্রাশ্রগ্লু ষ্-থাঃ এে-শু-ন্ং শ্রোন্থে ; “আমার কাছে তৃতীয় (আর একটি কন্যা)
থাকলে ভীকেও উসমানের হাতে তুলে দিতাম ৷ অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে যে,
রাসুলুল্লাহ (না) বলেছিলেন, :ৰু-^ট্টং ঞ-১১ণ্ষ্১এ )-ট্ট-ং :গ্রা তারা (মেয়েরা) দশজন থাকলেও
আমি তাদেরকে (একের পর এক করে) আমি উসমানের কাছে নিয়ে দিতাম ৷
আর ফাতিমড়া (রা)-এর বিবাহ হল আলী ইবন আবু তালিব (বা) এর সংগে দ্বিতীয়
হিজরীর সফর মাসে ৷ জদের ঘরে জন্ম নিলেন হাসান ও হুসায়ন (বা) এবং কারো কারো
মতে মুহসিন (রা)ও ৷ আরো জন্ম নিলেন উন্মু কুলছুম ও যায়নাব (রা) ৷ উমার ইবনুল খাত্তাব
(বা) তার খিলাকতকালে আলী ও ফড়াতিমা (রা)-এর কন্যা উন্মু কুলছুমকে বিবাহ করলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (না)-এর সংগে তার বংশ সুত্রের কারণে ভীকে অধিক মর্যাদার আসন দেন এবং
তাকে চল্লিশ হাজার দিরহড়াম মোহর প্রদান করে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন ৷ এ ঘরে
জন্ম লাভ করেন যায়দ ইবন উমার ইবনুল খাত্তাব (বা) ৷ উমর (রা) শাহাদাত বরণ করলে
উম্মু কুলছুমের চাচাত ভাই আওন ইবন জাফার (রা) তাকে বিয়ে করেন ৷ আওন (রা)ও
স্তীকে রেখে মৃত্যু বরণ করলে তার ভাই মুহাম্মদ ইবন জাফার তাকে বিয়ে করেন ৷ তারও
ইনতিকাল হলে আর এক ভাই আবদুল্লাহ ইবন জাফার (রা)-এর সংগে উম্মু কুলছুম (বা)
বিয়ে হয় এবং এ স্বামীর ঘরেই তিনি ইনতিকাল করলেন ৷ এ ছাড়া আবদুল্লাহ ইবন জাফার
(বা) উম্মু কুলছুমের (পরে তার) বোন যায়নাব (রা)কেও বিবাহ করেছিলেন এবং তিনিও এ
স্বামীর ঘরেই ইনতিকাল করেন ৷
ও দিকে রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাতের পরে ছয় মাসের ব্যবধানেই ফাতিমা (বা)
ইনতিকাল করলেন ৷ এটাই এ ব্যাপারে প্রসিদ্ধতম অভিমত এবং সহীহ বুখারীতে আইশা (রা)
সুত্রের রিওয়ায়াতে এটাই প্রমাণিত ৷ যুহরী ও আবু জাফার আল বাকির (র)ও অনুরুপ অভিমত
ব্যক্ত করেছেন ৷ তবে যুহরী (র) থেকে অন্য একটি বর্ণনায় তিন মাসের ব্যবধানে; আবুয
عِنْدَهُ، وَقَدْ كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ تَزَوَّجَ بِأُخْتِهَا زَيْنَبَ بِنْتِ عَلِيٍّ مِنْ فَاطِمَةَ، وَمَاتَتْ عِنْدَهُ أَيْضًا، وَقَدْ تُوُفِّيَتْ فَاطِمَةُ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسِتَّةِ أَشْهُرٍ عَلَى أَشْهَرِ الْأَقْوَالِ، وَهُوَ الثَّابِتُ عَنْ عَائِشَةَ فِي " الصَّحِيحِ "، وَقَالَهُ الزُّهْرِيُّ أَيْضًا وَأَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ. وَعَنِ الزُّهْرِيِّ: بِثَلَاثَةِ أَشْهُرٍ. وَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ بِشَهْرَيْنِ. وَقَالَ أَبُو بُرَيْدَةَ: عَاشَتْ بَعْدَهُ سَبْعِينَ مِنْ بَيْنِ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ مَكَثَتْ بَعْدَهُ ثَمَانِيَةَ أَشْهُرٍ. وَكَذَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ. وَفِي رِوَايَةٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ بِثَلَاثَةِ أَشْهُرٍ.
وَأَمَّا إِبْرَاهِيمُ فَمِنْ مَارِيَةَ الْقِبْطِيَّةِ كَمَا قَدَّمْنَا، وَكَانَ مِيلَادُهُ فِي ذِي الْحِجَّةِ سَنَةَ ثَمَانٍ.
وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ وَغَيْرِهِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ قَالَ: «لَمَّا حُبِلَ بِإِبْرَاهِيمَ أَتَى جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا إِبْرَاهِيمَ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ وَهَبَ لَكَ غُلَامًا مِنْ أُمِّ وَلَدِكَ مَارِيَةَ، وَأَمَرَكَ أَنْ تُسَمِّيَهُ إِبْرَاهِيمَ، فَبَارَكَ اللَّهُ لَكَ فِيهِ، وَجَعَلَهُ قُرَّةَ عَيْنٍ لَكَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ.»
পৃষ্ঠা - ৪৩৮৩
যুবৰুয়র (র) বলেছেন দুই মাসের ব্যবধানে ৷ আবু যুবায়দ৷ (র) বলেছেন, নবী কবীম (সা) এর
পরে ফাডিমা (রা) দিনরাত মিলিয়ে সত্তর দিন বেচে ছিলেন ৷ আমর ইবন দীনাব ব(র) বলেন,
নবী কহী ন্ (না)-এর ইন্তেকালের পরে ফাতিম৷ (রা) বেচে ছিলেন তা ট মাস ৷ আবদুল্লাহ
ইবনুল হর্করিছ (র) ও অনুরুপ বলেছেন ৷ আমর ইবন দীনার (র)-এব একটি রিওয়ায়াত রয়েছে
-চার মাসের ব্যবধানে ৷
আর ইব্রাহীম (বা) জন্মগ্রহণ করেছিলেন মারিয়া কিবর্তী (রা) এর গর্ভে (পুর্ব বর্ণনা
দ্রবষ্ট্য) ৷ তার জন্ম হয়েছিল অষ্টম হিজরীর জিলহজ্জ মাসে ৷ ইবন লাহীম৷ (র) প্রমুখ সুত্রে
আবদুর রহমান ইবন যিয়ড়াদ ইবরাহীম (রা)-এর আগমন ঘটলে জিবরীল (আ) আগমন করে
বললেন,
ক্রো
“আসসালামু আলাইকা ইয়া আবা ইবরাহীম ! আল্লাহ আপনাকে আপনার বাদী প্৷ ত্নীর ঘরে
একটি পুত্র সন্তান দান করেছেন ৷ তার নাম ইবরাহীম রাখার জন্য আপনাকে হুকুম দিয়েছেন ৷
আল্লাহ আপ না বেং ৩াওে বরক৩ দান করশু ন এবং আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে র্তাকে আপনার
নয়ন মণি’ করুন ৷”
হাফিয আবু বকর আল বাযযার (র) রিওয়ায়াত করেন ৷ মুহাম্মদ ইবন মিষ্ণ্ কীান (র)
আমাস (রা) থেকে ৷ তিনি বলেন, নবী কবীম ম(সা)-এর পুত্র ইবরাহীমে র জন্ম হলে তার
ব্যাপারে নবী কবীম (না)-এর মনে কিছু দ্বিধার উদ্রেক হল ৷ তখন জিবরীল (আ) তীর নিন্টে
আগমন করে বললেন, আসসালড়াযু আলড়ায়কা ইয়৷ আব৷ ইবরাহীম !
ভ্রাসবতে (র) ইসমাঈল ইবন আবদুর রহমান আস-সুদ্দী (র) থেকে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেনৃ ভ্রন্স ইবন মালিক (রা) কে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, নবী কবীম (সা) পুত্র ইবরাহীম
(রা) কত বয়সে পৌছেছিলেন ৷ তিনি বললেন, যে ছিল দােলনা জোড়া (মায়ের কোল
জোড়া) বেচে থাকলে অবশ্যই নবী হত ৷ কিন্তু বেচে থাকার জন্য সে আসেনি ৷ কেননা,
তেড়ামাদের নই হুবুল্ন সর্বশেষ নবী৷ ইমাম আহমাদ (র) বলেছেন আবদুর <৷ হ্মা ন ইবন
মড়াহদী (র ৷ ষ্ণ্ ণ্ শ্ ইবন মাণ্ প্ক (রা) )থেকে বর্ণিত ; তিনি বলেন, নবী কবীম (সা) পুত্র
ইবরাহীম ( র শুবৰুচ থাকলে নব? ও ঙ্গিদ্দীক হতেন ৷ আবু৩ উবায়দুল্লাহ ইবন মানদড়া (র) বলেন,
মুহাম্মদ ইবন নদ ও হুহর্বৰুদ ইবন ইব্রাহীম (র) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
নবী কবীম (ন্ন্ষ্ )এর পুত্র ইবরহীম (রা) মৃত্যুবরণ করলেন, যখন তার বয়স ষোল মাস ৷
তখন রড়াসৃলু-ক্ট্রহ (না) বললেন ন্হুহ্ট্রু র্তীকে
বার্কীতে দন্ফন কর: কেন ণ্না) তার দুধ পান সম্পন্ন করবার জন্য জান্নাতে তার দুধ-মা
রয়েছে ;
আবু ইয়লন্ (র) বলেন আবু খায়ছামা (র) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
পরিবরপ্দ্বরিজৰুনর প্রতি রহ্বসৃলুল্লাহ (সা) এর চেয়ে অধিক স্বেহ-মমতড়াবান কাউকে আমি
দেন্হ্ল ইবরইম্ব ( র ) ন্দ্দীনার আউয়ালী (উচু) মহল্লায় দুধ পানরত ছিল ৷ নবী কবীম (সা)
৫০ ৷ড়া
وَرَوَى الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مِسْكِينٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ لَهِيعَةَ، عَنْ عُقَيْلٍ وَيَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «لَمَّا وُلِدَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ابْنُهُ إِبْرَاهِيمُ، وَقَعَ فِي نَفْسِهِ مِنْهُ شَيْءٌ، فَأَتَاهُ جِبْرِيلُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا أَبَا إِبْرَاهِيمَ» .
وَقَالَ أَسْبَاطٌ، عَنِ السُّدِّيِّ، وَهُوَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ; قُلْتُ: كَمْ بَلَغَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْعُمُرِ؟ قَالَ: قَدْ كَانَ مَلَأَ مَهْدَهُ، وَلَوْ بَقِيَ لَكَانَ نَبِيًّا، وَلَكِنْ لَمْ يَكُنْ لِيَبْقَى ; لِأَنَّ نَبِيَّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخِرُ الْأَنْبِيَاءِ.
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «لَوْ عَاشَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَكَانَ صِدِّيقًا نَبِيًّا.»
وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَنْدَهْ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعَبْسِيُّ، ثَنَا مِنْجَابٌ، ثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْأَسَدِيُّ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «تُوُفِّيَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " ادْفِنُوهُ فِي الْبَقِيعِ، فَإِنَّ لَهُ مُرْضِعًا تُتِمُّ رَضَاعَهُ فِي الْجَنَّةِ» ".
পৃষ্ঠা - ৪৩৮৪
وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَرْحَمَ بِالْعِيَالِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; كَانَ إِبْرَاهِيمُ مُسْتَرْضِعًا فِي عَوَالِي الْمَدِينَةِ فَكَانَ يَنْطَلِقُ وَنَحْنُ مَعَهُ، فَيَدْخُلُ إِلَى الْبَيْتِ وَإِنَّهُ لَيَدْخُنُ ; وَكَانَ ظِئْرُهُ قَيْنًا، فَيَأْخُذُهُ فَيُقَبِّلُهُ، ثُمَّ يَرْجِعُ. قَالَ عَمْرٌو: فَلَمَّا تُوُفِّيَ إِبْرَاهِيمُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ إِبْرَاهِيمَ ابْنِي، وَإِنَّهُ مَاتَ فِي الثَّدْيِ، وَإِنَّ لَهُ لَظِئْرَيْنِ تُكْمِلَانِ رَضَاعَهُ فِي الْجَنَّةِ ".»
وَقَدْ رَوَى جَرِيرٌ وَأَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ صُبَيْحٍ أَبِي الضُّحَى، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: «تُوُفِّيَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا، فَقَالَ: " ادْفِنُوهُ فِي الْبَقِيعِ، فَإِنَّ لَهُ مُرْضِعًا فِي الْجَنَّةِ» " وَرَوَاهُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ جَابِرٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنِ الْبَرَاءِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ بِمِثْلِهِ. وَكَذَا رَوَاهُ الثَّوْرِيُّ أَيْضًا، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ.
পৃষ্ঠা - ৪৩৮৫
সেখানে চলে যেতেন ৷ আমরাও তার সংগে যেতাম ৷ তিনি ঘরে প্রবেশ করতেন; ঘরটি বুয়ায়
ভর্তি থাকত ৷ (কারণ) ইবরাহীমে দুধ-পিতা ছিলেন একজন কর্যকার ৷ নবী করীম (না) তাকে
( কোলে) তুলে নিচতন এবং পরে ফিরে আসতেন ৷ আমর (র) বলেন, পরে ইবরাহীম (রা)-এর
মৃত্যু হলে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
এে১প্লুা
ইবরাহীম আমার পুত্র; সে দুধ খাওয়া অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে ৷৩ তার জন্য দুই জন যাত্রী
মাতা রয়েছে, যারা জান্নাতে তার দুধ পান সম্পন্ন করবে ৷ আর জড়ারীর ও আবু আওয়ান৷ (র)
রিওয়ায়াত করেছেন, আমলে (র) বারা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর
পুত্র ইবরাহীম৩ ৷র সােল মড়াস বয়সে ইনতিকা ড়াল করলেন ৷ নবী কবীম (সা) বললেন, :ন্ধ্র-৩১ৰু
ড়ুৰু ১া৷ ;ন্-প্ন ত্ন্৯)^ fl :এি প্লু,শ্রো৩ “তাকে বাকীতে দাফন কর ৷ কেননা, জ ৷ন্নড়াতে তার জন্য ও
ন্য দানকারিণী রয়েছে ৷ আহমাদ (র) ও বাবা (রা) এর বরাতে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তদ্র্যপ,
সুফিয়ান ছাওরী (র)ও হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ফিরাস (র) বারা ইবন আযিব
(বা) থেকে ৷ ছাওরী (র) আবু ইসহাক (র)বারা (রা) সনদেও অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ ইবন আসাকির (ব) আত্তাব ইবন মুহাম্মদ ইবন শাওয়ড়াব (র) সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন
আৰী আওফা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, ইব্রাহীম (রা) ইনতিকড়াল করলে
রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,-ড়াে ণ্ ন্গু শঃ এে; খ্যাঃ ৫৩ন্’ জান্নাতে তার অবশিষ্ট দুধ পানের
মেয়াদ পুর্ণ হবে ৷ আবু ইয়ড়ালা আল মড়াওসিলী (র) বলেন, যাকারিয়্যা ইবন ইয়াহয়ড়া আল
ওয়াসির্তী (র) সুত্রেইসমাঈল (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি ইবন আবী আওফা
(রা) কে জিজ্ঞাসা করলাম কিৎবা কাউকে তার কাছে জিজ্ঞাসা করতে শুনলাম-নৰী কৰীম
(সা) এর পুত্র ইবরাহীম (বা ) সম্পর্কে ৷ তিনি বললেন, যে শৈশবে মৃদ্ভু তবরণ করে ৷ নবী করীম
(সা) এর পরে, কোন নবী হওয়ার (কুদরাতী) ফায়সালা থাকলে অবশ্যই যে বেচে থাকত ৷
ইবন আসাকির (র) বলেন, হাফিয আহমাদ ইবন মুহাম্মদ ইবন সাঈদ (র) বরাতে
জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রড়াসুলুল্পাহ (যা) বলেছেন, ঘেএঝু
৷ :ৰু-ৰুএ ণ্এফো )এষ্ ইবরড়াহীম বেচে থাকলে তিনি অবশ্যই নবী হতে তন ৷ ইবনৰুঅড়াসাকির (র)
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসম৷ ঈল ইবন সামুরা (র) সুত্রে অড়ানাস (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ইবরাহীম (রা) মৃত্যুবরণ করলে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, ণ্ ন্-ক্ট :ঙু-ন্;১ট্টন্ )
-ন,ঠো ;শ্রো ন্নে:১ণ্ ১ ন-এে আমি তাকে না দেখা পর্যন্ত তাকে কাফান জড়িয়ে দিও না ৷ পরে
তিনি এসে তার উপরে ঝুকে পড়লেন এবং র্কাদতে লাগলেন ৷ এমনকি তার দাড়ি ও গণ্ডদ্বয়
কেপে কেপে উঠতে লাগল ৷ এ আবু শায়বা-ও রিওয়ায়াতকে গ্রহণযোগ্য মনে করা হয় না ৷
ইবন আসাকির (র) এর পুর্ববর্তী রিওয়ায়াত মুসলিম ইবন খালিদ আয যানজী (র)
আসমা বিনত য়াযীদ ইবনুস সাকান (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ইবরাহীম (বা)
ইনতিকড়াল করলে রাসুলুল্লাহ (সা) র্কাদলেন, তখন আবু বকর ও উমর (রা) বললেন, “আল্লাহ
পাকের য়থার্থ হক ও অধিকার অনুধাবনে আপনিই সর্বাধিক উপযোগী ৷ তখন নবী করীম (সা)
বললেন,
وَأَوْرَدَ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ عَتَّابِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: «تُوُفِّيَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَرْضَعُ بَقِيَّةَ رَضَاعِهِ فِي الْجَنَّةِ» .
وَقَالَ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ: ثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى الْوَاسِطِيُّ، ثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: «سَأَلْتُ ابْنَ أَبِي أَوْفَى - أَوْ سَمِعْتُهُ يُسْأَلُ - عَنْ إِبْرَاهِيمَ ابْنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَاتَ وَهُوَ صَغِيرٌ، وَلَوْ قُضِيَ أَنْ يَكُونَ بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيٌّ لَعَاشَ.»
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ أَحْمَدَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ الْحَافِظِ، ثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْجُعْفِيُّ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْفَرَّاءُ، ثَنَا مُصْعَبُ بْنُ سَلَّامٍ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ الثُّمَالِيِّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ عَاشَ إِبْرَاهِيمُ لَكَانَ نَبِيًّا» .
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ سَمُرَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ
পৃষ্ঠা - ৪৩৮৬
بْنِ الْحَسَنِ الْأَسَدِيِّ، عَنْ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا مَاتَ إِبْرَاهِيمُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «: " لَا تُدْرِجُوهُ فِي أَكْفَانِهِ حَتَّى أَنْظُرَ إِلَيْهِ " فَجَاءَ فَانْكَبَّ عَلَيْهِ وَبَكَى حَتَّى اضْطَرَبَ لِحْيَاهُ وَجَنْبَاهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
قُلْتُ: أَبُو شَيْبَةَ هَذَا لَا يُتَعَامَلُ بِرِوَايَتِهِ، ثُمَّ رَوَى مِنْ حَدِيثِ مُسْلِمِ بْنِ خَالِدٍ الزَّنْجِيِّ، عَنِ ابْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ بْنِ السَّكَنِ قَالَتْ: لَمَّا تُوُفِّيَ إِبْرَاهِيمُ بَكَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ: أَنْتَ أَحَقُّ مَنْ عَلِمَ لِلَّهِ حَقَّهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «: " تَدْمَعُ الْعَيْنُ وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ، وَلَا نَقُولُ مَا يُسْخِطُ الرَّبَّ، وَلَوْلَا أَنَّهُ وَعْدٌ صَادِقٌ، وَمَوْعُودٌ جَامِعٌ، وَأَنَّ الْآخِرَ مِنَّا يَتْبَعُ الْأَوَّلَ، لَوَجَدْنَا عَلَيْكَ يَا إِبْرَاهِيمُ وَجْدًا أَشَدَّ مِمَّا وَجَدْنَا، وَإِنَّا بِكَ يَا إِبْرَاهِيمُ لَمَحْزُونُونَ» ".
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ابْنِهِ إِبْرَاهِيمَ، وَمَاتَ وَهُوَ ابْنُ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا، وَقَالَ «: " إِنَّ لَهُ فِي الْجَنَّةِ مَنْ يُتِمُّ رَضَاعَهُ، وَهُوَ
পৃষ্ঠা - ৪৩৮৭
fl;
-ওেইএ)১ম্এ ণ্ খোএহু ৰু£ এহু
চোখ অশ্রুসিক্ত, হৃদয় ব্যথিত আর আমরা এমন কিছু বলি না যা প্রতিপালককে অসম্ভষ্ট
করে; যদি না তা (মৃত্যু) বাস্তব অং গীকার ও সমরেতকা ত্ত্বরী প্রতিশ্রুতি হত এবং যদি না এমন
হত যে আমাদের পরবভীরা পুর্বব্ভীদের অনুগমন করে তবে অবশ্যই আমরা তোমার জন্য
শ্ যত ম মড়াধ্৩ হয়েছি তার চেয়ে অতি অধিক মর্মাহত হতাম ৷ আর হে ইব্রাহীম! তোমার কারণে
আমরা অবশ্যই দুঃখ ভ ৷রাক্রা ম্ভ ৷” ইমাম আহমাদ (র) আসওয়াদ ইবন আমির (র)ৰারা’
(রা)-এর বরাতে বলেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ভীর পুত্র ইব্রাহীম (রা)-এর
জানযৌর ল ৷ পা ও আদার করলেন ৷ ভী র মুঙু৷ হয়েছিল ষোল মাস বয়সে ৷ তিনি বললেন, fl ঠো
এ£-মাে ১ম্পো ন্;ঢু;শু ণ্ৰু-ন্ৰু ড্রু)-ং হ্-১ এ ;,ন্৭ “অবশ্যই জান্নাতে রয়েছে তীর জ্যা ধাত্রী যে স্ত
ন্যদানের মেয়াদ পুর্ণ করবে এবং সে একজন সিদ্দীক ৷” হাকাম ইবন উয়ায়ন৷ (র) এর বরাঃত
ব্ড়ারা’ (বা) থেকে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷
আবু ইয়া লা (র) বলেন, কড়াওয়ারিরী (র)ইবন আবু আওফা (রা) থেকে বংনাি করেন
যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) তার পুত্রের জানাযীর সালাত আদায় করলেন ৷ আমি তার
পিছনে সালডো আদায় করলাম ৷ তিনি চার তড়াকবীর বললেন ৷ ইউনুস ইবন বুকায়র (র)
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) য়ুহ্াঅ্যাং ইবন ৩ম্পোহ্৷ ইবন ইয়াযীদ ইবন রুকান৷ (র) থেকে
রিওয়ায়ড়াত করেছেন যে, তিনি বলেনঃ, রাসুলুল্লাহ (সা)এর পুত্র ইব্রাহীম ইনর্তিকাল করলেন
অড়াঠার মাস বয়সে ৷ তার জানার্ষড়ার সালাত আদায় করা হল না ৷ ইবন আসাকির (র)
রিওয়ায়ান্ করেছেন ইসহাক ইবন মুহাম্মদ আ ল ফ৷ ৷রবী (ব) আলী (রা) থেকে ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (ল ব্া) এর পুত্র ইব্রাহীম ইনতিকা ৷ল করলে তিনি আলী (রা) ইবন আবু
৩ালিব্কে ইব্রড়াহীৰুমর মা মারিয়া কিব্ভীয়ার কাছে পাঠালেন ৷ মারিয়া (রা) তখন একটি কক্ষে
অবস্থান করছিলেন আলী (রা) ইবরাহীমের মৃতদেহ একটি থলেতে তুলে নিয়ে ঘোড়ার পিঠে
নিজের সামনে রেখে দিলেন ৷ তারপর তাকে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সামনে নিয়ে আসলে তিনি
তাকে গোসল দািয় ও কাফন পরিয়ে ভীকে নিয়ে বের হলেন ৷ সােকেরাও তার মা গে বের
হল ৷ পৰুরহু ত্ম্মেদ ইবন যায়দ (রা) এর বাড়ির পাশ্বব্ভী গলিপথের ধারে দাফন করলেন ৷
আলী (রা) ভ্রর করার নামলেন এবং তার (বগলী) কবরে মাটি সমান করে দিয়ে দাফন সম্পন্ন
করলেন পদুর বের হয়ে এসে তার কবরের উপরে পানি ছিটিয়ে দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) তার
হাত করবে ঢুর্কিয়ে দিয়ে বললেন, শু-ম শ্লো ধ্>-ঠো গ্রা fl”: “ “শোনাে ! আল্লাহর ৰুস্যা ’ সে
অবশ্যই নবী পুত্র নবী ৷ ১ রাসুলুল্লাহ (সা) র্কাদলেন এবং তার চারপাশে মুসলমানরাও কেব্দে
ট্টঠলেন এ মন কি কজ্বন্নার আওয়াজ উচু হয়ে উঠল ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন
১ এ বর্ণনাঢি পুর্কেল্লিথিত নহীহ রিওয়ায়াতের পরিপন্থি বিধায় এটি ব্যাখ্যা স পেক্ষ ৷ কেননা রব্দুভৃভৃ:হ ন্ ন্
বলেছেন ইব্রাহীম বেচে থাকলে নবী হত-অর্খাৎ যদি নবুওতের সম্ভাবনা থাকত ৷ সম্পাদক মলীেক্ট্র
صِدِّيقٌ» " وَقَدْ رُوِيَ مِنْ حَدِيثِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ الْبَرَاءِ.
وَقَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا الْقَوَارِيرِيُّ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ بْنُ الْقَاسِمِ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ابْنِهِ، وَصَلَّيْتُ خَلْفَهُ وَكَبَّرَ عَلَيْهِ أَرْبَعًا.»
وَقَدْ رَوَى يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ قَالَ: «مَاتَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ شَهْرًا، فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْهِ» .
وَرَوَى ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ إِسْحَاقَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْفَرْوِيِّ، عَنْ عِيسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عُمَرَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي جَدِّهِ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «لَمَّا تُوُفِّيَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ إِلَى أُمِّهِ مَارِيَةَ الْقِبْطِيَّةِ،
পৃষ্ঠা - ৪৩৮৮
وَهِيَ فِي مَشْرُبَةٍ، فَحَمَلَهُ عَلِيٌّ فِي سَفَطٍ، وَجَعَلَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ عَلَى الْفَرَسِ، ثُمَّ جَاءَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَغَسَّلَهُ وَكَفَّنَهُ وَخَرَجَ بِهِ، وَخَرَجَ النَّاسُ مَعَهُ، فَدَفَنَهُ فِي الزُّقَاقِ الَّذِي يَلِي دَارَ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، فَدَخَلَ عَلِيٌّ فِي قَبْرِهِ حَتَّى سَوَّى عَلَيْهِ التُّرَابَ وَدَفَنَهُ، ثُمَّ خَرَجَ وَرَشَّ عَلَى قَبْرِهِ، وَأَدْخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فِي قَبْرِهِ، فَقَالَ: " أَمَا وَاللَّهِ إِنَّهُ لِنَبِيٌّ ابْنُ نَبِيٍّ " وَبَكَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبَكَى الْمُسْلِمُونَ حَوْلَهُ حَتَّى ارْتَفَعَ الصَّوْتُ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَدْمَعُ الْعَيْنُ، وَيَحْزَنُ الْقَلْبُ، وَلَا نَقُولُ مَا يُغْضِبُ الرَّبَّ، وَإِنَّا عَلَيْكَ يَا إِبْرَاهِيمُ لَمَحْزُونُونَ» ".
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: مَاتَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ لِعَشْرِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ عَشْرٍ، وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِيَةَ عَشَرَ شَهْرًا، فِي بَنِي مَازِنِ بْنِ النَّجَّارِ فِي دَارِ أُمِّ بُرْدَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، وَدُفِنَ بِالْبَقِيعِ.
قُلْتُ: وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ الشَّمْسَ كَسَفَتْ يَوْمَ مَوْتِهِ، فَقَالَ النَّاسُ: كَسَفَتْ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ، فَخَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ فِي خُطْبَتِهِ: «: " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، لَا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ» .