سنة إحدى عشرة من الهجرة
باب ذكر زوجاته صلوات الله وسلامه عليه ورضي عنهن وأولاده عليهم السلام
পৃষ্ঠা - ৪৩৩৯
কীভাবে সমন্বিত করা হবে ? এবং “আমার স্তীদের থােরপােষও তা সাদাকা হবে,
রিওয়ায়াতটি-ই বা কী অর্থে প্রয়োগ করা হবে ?
(ওদের এ ভাষ্য বিকৃতির ব্যাপারটি তেমনই, যেমন অন্য একটি ঘটনায় বিবৃত হয়েছে ৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, মুতালিযা১ মতবাদের অনুসারী জনৈক ব্যক্তি আহলে সুন্নাত
জামাআতের কোন মনীষীর সামনে পবিত্র কুরআনের এ আয়াতটি ণ্ ষ্ন্ধ্র£ঘ্র ,,;,ধ্ষ্ ঞা ণ্-টঃ
মুসার সাথে আল্লাহ্ সরাসরি কথা বললেন, না পড়ে) এের্ন্তম্র ৰু , ,ধ্শু ঞা ণ্ঢঙু (আল্লাহর সাথে
মুসা কথা বললেন) পাঠ করল ৷ অর্থাৎ ণ্এ্যা শ ব্দকে ণ্ঢ ক্রিয়ার কর্মরুপে যবর দিয়ে পাঠ করল ৷
তখন সুন্নড়াহ্ পন্থী শায়খ তাকে বললেন, বেকুব কােথাকার ! তা হলে তুমি এ আয়াতে কেমন
করবে ন্-৩ খোঙু ত্রে ক্রো শুণ্ ;এে প্ৰুন্ এেঙু (মুসা যখন আমার নিধন্নিত সময়ে উপস্থিত ৩হল
এবং তার প্রতিপালক তার সাথে কথা বললেন ( ৭ : ১৪৩) ৷ অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে তো ধ্-৩
শব্দকে কর্ম সাব্যস্ত করার উপায় নেই ৷ সুতরাং আল্লাহ্ কথা বললেন’ বিষয়টি সাব্যস্ত হয়েই
যাচ্ছে) ৷ এ আলোচনায় আমাদের উদ্দেশ্য হল এই যে , আমরা মীরাছ রেখে যাই না, আমরা না
রেখে যাই তা হবে সাদাকা ৷” হড়াদীসে শব্দ বিন্যাস ও অর্থের বিচারে গ্রহণযোগ্য যে কোন
সম্ভাব্য অর্থই নেয়া হোক, তদানুসারে আমল অপরিহার্য হবে এবং তা মীরা ড়াছের আঘাতের
ব্যাপকতাকে অবশ্যই সীমিত করে দিয়ে এক কী নবী করীম (সা) কে কিৎবা তার স গে
অন্যান্য নবীগণকেও (সা) মীরাছের বিধানের আওতা বহির্ভুভ সাব্যস্ত করবে : অর্থাৎ ব্যাপক
বিধানটি তার বা র্তীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না ৷
নবী করীম (সা) এর সহধইনীিগণ ও ত র সভা ৰ্ন-সম্ভতিগণ
আলাহ্ তন্ আলা বলেন,
, “হে নবী-পত্মীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও ; যদি তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর
তার পর পুরুষের সাথে কোমল কণ্ঠে এ ভাবে কথা বল না যাতে যার অম্ভরে ব্যাধি রয়েছে যে
প্রলুদ্ধ হয় এবং তোমরা ন্যায়সৎগত কথা বলবে, এবং তোমরা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করবে,
প্রাচীন জাহিলিয়াত যুগের মত নিজেদের প্ৰদশ্নীি বানিয়ে বেড়াৰে না ৷ ণ্তামরা সালাত কায়েম
করবে ও যাকাত প্রদান করলে এবং আলড়াহ্ ও তার রাসুলের অনুগত থাকবে ৷ হে নবী
পরিবার!অ আলাহ্ তো শুধু চান তোমাদের হতে অপবিত্রতা দুর করতে এবং তোমাদের
সম্পুর্ণরুপে পবিত্র করতে, এবং আল্লাহর আয়াত ও জ্ঞানের কথা, যা তোমাদের ঘরে পাঠ করা
হয় তা তোমরা স্মরণ রাখবে ; আলাহ্ অতি সুক্ষ্মদর্শী, সব বিষয়ে তার ত (৩৩ : ৩২৩৪ ) ৷
এ ব্যাপারে কো ন দ্বিমত নেই যে, নবী করীম (সা) নয় জন শ্রী রেখে ইনতিকাল করেছিলেন ৷
তারা হলেন, (১) অ ইশা বিনত আবু বকর সিদ্দীক আত ১ায়মিয়্যা২ (বা); (২) হাফসা বিনত
১ আহলে সুন্নাত জামাআতের সাথে সম্পর্ক ছিন্নকাবী এবং আকিদাও চিন্তাধারার আহলে সুন্নাভের
পরিপন্থী বিকৃত ও বাতিল পন্থার অনুসারী ভ্রান্ত উপদল ৷ অনুরাদক
২ নামের শ্যেষর শব্দটি গোত্র পরিচায়ক ৷ যেমন, এ ক্ষেত্রে বনু তায়ম গোত্র ৰু অনুবাদক
ণোণোণো (হ্র ৷ ড়াব্র ওে দো : ৫০ তো
[بَابُ ذِكْرِ زَوْجَاتِهِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ وَرَضِيَ عَنْهُنَّ وَأَوْلَادِهِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا وَاذْكُرْنَ مَا يُتْلَى فِي بُيُوتِكُنَّ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَالْحِكْمَةِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ لَطِيفًا خَبِيرًا} [الأحزاب: 32]
[الْأَحْزَابِ: 32 - 34] . لَا خِلَافَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تُوُفِّيَ عَنْ تِسْعٍ وَهُنَّ ; عَائِشَةُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ التَّيْمِيَّةُ، وَحَفْصَةُ بِنْتُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ الْعَدَوِيَّةُ، وَأُمُّ حَبِيبَةَ رَمْلَةُ بِنْتُ أَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ الْأُمَوِيَّةُ، وَزَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ الْأَسَدِيَّةُ، وَأُمُّ سَلَمَةَ هِنْدُ بِنْتُ أَبِي أُمَيَّةَ الْمَخْزُومِيَّةُ، وَمَيْمُونَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ الْهِلَالِيَّةُ، وَسَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ الْعَامِرِيَّةُ، وَجُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ الْمُصْطَلِقِيَّةُ، وَصَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ النَّضْرِيَّةُ الْإِسْرَائِيلِيَّةُ الْهَارُونِيَّةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُنَّ وَأَرْضَاهُنَّ. وَكَانَتْ لَهُ سُرِّيَّتَانِ ; وَهُمَا مَارِيَةُ بِنْتُ شَمْعُونَ الْقِبْطِيَّةُ الْمِصْرِيَّةُ مِنْ كُورَةِ أَنْصِنَا، وَهِيَ أُمُّ وَلَدِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৩৪০
“উমর ইবনুল খাত্তাব আল-আদাবিয়দ্রড়া; (৩) উম্মু হড়াবীবা রামলা বিনত আবু সৃফিয়ড়ান সাবর
ইবন হারব ইবন উমায়্যা আলু-উমাবিয়রুড়া; (৪) যায়নাব বিনৃত জাহাশ আলু-আসাদিয়ব্রুড়া; (৫)
উম্মু সালামন্ব হিন্দ বিনত আবু উমায়্যা আলু-মাখৃয়ুমিয়ক্তড়া; (৬) মায়মুনা বিনতুল হারিছ আলু
হিলালিয়্যা; (৭) সাওদা বিনৃত ষড়ামআ আলু-আমিরিয়্যা; (৮) জুওয়ায়রিয়্যা বিনতুল হারিছ
ইবন আবু যিরার আলু-ঘুসতালিকিয়দ্রড়া এবং (৯) সফিয়ব্রড়া বিনৃত হুরড়ায়ক্ত ইবন আখৃতাব আলু-
নাযিরিয়্যা অড়ালু ইসরাঈলিয়্যা আলু হড়ারুনিয়৷ বড়াযিয়াল্লাহু আলুহুন্নড়া ৷ এ ছাড়া ওফাত কালে জর
বন্দী (বীদীপত্মী) ছিলেন দু’জন ৷ র্তারা হলেন (১) মড়াবিয়্যা বিলুত শামউন আলু কিরতিয়্যা
আলু যিসরিয়্যা মিসরের সানা জেলার বাসিন্দা, ইনি নবী কবীম (সা) পুত্র ইব্রাহীম (আ) এর
মা এবং (২) রয়েহড়ানা বিনৃত শামউন (মতান্তরে বিনত মড়ায়দ) আলু কুরাযিয়্যা; তিনি ইসলাম
গ্রহণ করলে তাকে আয়ড়াদ করে দেয়া হয় এবং তিনি তীর নিজ পরিবারের সংগে মিলিত হন ৷
তবে কারো কারো মতে তিনি তার আপনজনের কাছে আতাগােপন’ করেছিলেন ৷ আলাহ্
সমড়াঘিক অবগত ৷ এখন আমরা এ বিষয়টির বিশদ বিবরণ ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করব,
মনীবীবশ্চেবি সমন্বিত বর্ণনার আলোকে ৷ আলাহ্র সমীপেই সাহায্য প্রার্থনা ৷
হাফিয় আবু বকর ৰায়হার্কী (র) সাঈদ ইবন আরুবা-কাতড়াদা (র) সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন, কাতাদা (র) বলেন, রড়াসুলুলাহ্ (সা) পনর জন মহিলার সংগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ
হয়েছিলেন ৷ এদের মাঝে তের জনের সহিত তিনি দাম্পতা জীবন করেছেন ৷ এদের মাঝে তার
কাছে একত্রে সমাবেশ ঘটেছিল এ পার জনের এবং নয় জনকে রেখে তিনি ইনতিকাল করেন ৷
তারপর তিনি আমাদের উল্লিখিত নয় জনের বিবরণ দিয়েছেন (আল্লাহ তাদের প্রতি রড়াঘী
থাকুন!) ৷ সায়ফ ইবন উমর (র) বিষয়টি বর্ণনা করেছেন সাঈদৰু কাতাদড়া আনাস (রা)
সনদে ৷ তবে প্রথম সনদটি (অর্থাৎ সরাসরি কাতড়াদড়া হতে) অধিক প্রামাণ্য ৷ সায়দ ইবন উমর
আৎ তায়মী (র) (সাঈদ কাতাদড়া সুত্রে) আসাম ও ইবন আবরড়াস (বা) হতেও অনুরুপ
রিওযায়ড়াত করেছেন ৷ তিনি (সাঈদ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আবু ঘুলায়কা সুত্রে) আইশা (রা)
হতেও বিষয়টি অনুরুপ রিওয়ড়ায়ড়াত করেছেন ৷ আইশা (রা) বলেন, যে দুজন মহিলার সাথে
তিনি দাম্পতা জীবন-যাপন করেননি তারা হলেন, আমৃরড়া বিনৃত ইয়ড়াযীদ আলু গিকারিয়দ্রড়া এবং
আশৃ শাষড়া (রা) (কিৎবড়া আসমা’ বিনৃতুনৃ নুমড়ান আলু কিনদী) ৷ এদের মাঝে “আমরা (রা)এর
সংগে নবী কবীম (সা) নির্জন বাসে মিলিত হয়ে র্তাকে অনাবৃত করলে তার পায় শ্বেতী দেখতে
পান এবং তড়াভ্রুক মােহরানা দিয়ে বিদায় করে দেন ৷ তিনি (নবীপত্নী রুপে) অন্যদের জন্য
হড়ারাম সাবস্তো হন ৷ আর শামবা-র ঘটনা হল এই যে, তাকে নবী কবীম (না)-এর কাছে
পাঠিয়ে দেয়া হলে সে সহজ আচরণ না করায় তার আচরণ পরিবর্তনের প্রতীক্ষায় তাকে বর্জন
করে রাখলেন ৷ পরে আচ্মকা নবী কবীম (সা) এর পুত্র ইবরাহীম (আ)-এর মৃত্যু হলে শামৃবা
বলল, তিনি নবী হলে (তা র্তার ছেলে মারা যেত না ৷ তখন নবী কবীম (সা) তীকে তালাক
দিলেন এবং তাকে মহরড়ানা দিয়ে দেয়া হল এবং তিনিও ৩ণ্যেধেৰ জো হড়ারাম সাবন্তো হলেন ৷
বর্ণনাকাবী বলেন, সুতরাং যে পত্নীণণ নবী কবীম (না)-এর কাছে একত্রে অবস্থান করেছিলেন,
র্তারা হলেন আইশা, সাওদা, হড়াফ্সা , উম্মু সালামা, উম্মু হাবীবড়া, যায়নড়াব বিনত জাহ্াশ,
যায়নড়াব বিনত খুযায়মড়া জুওয়ায়রিয়্যা, সাদিয়্যা, মায়ঘুনা, ও উম্মু শাবীক (বা) ৷
إِبْرَاهِيمَ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَرَيْحَانَةُ بِنْتُ شَمْعُونَ الْقُرَظِيَّةُ، أَسْلَمَتْ ثُمَّ أَعْتَقَهَا، فَلَحِقَتْ بِأَهْلِهَا، وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَزْعُمُ أَنَّهَا حُجِبَتْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَأَمَّا الْكَلَامُ عَلَى ذَلِكَ مُفَصَّلًا وَمُرَتَّبًا مِنْ حَيْثُ مَا وَقَعَ أَوَّلًا فَأَوَّلًا مَجْمُوعًا مِنْ كَلَامِ الْأَئِمَّةِ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ، فَنَقُولُ وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ: رَوَى الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ قَالَ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَمْسَ عَشْرَةَ امْرَأَةً، دَخَلَ مِنْهُنَّ بِثَلَاثَ عَشْرَةَ، وَاجْتَمَعَ عِنْدَهُ إِحْدَى عَشْرَةَ، وَمَاتَ عَنْ تِسْعٍ. ثُمَّ ذَكَرَ هَؤُلَاءِ التِّسْعَ اللَّاتِي ذَكَرْنَاهُنَّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُنَّ. وَرَوَاهُ بَحْرُ بْنُ كَنِيزٍ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ. وَرَوَاهُ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ التَّمِيمِيُّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، وَابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلَهُ. وَرَوَى سَيْفٌ عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، «عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَهُ ; قَالَتْ: فَالْمَرْأَتَانِ اللَّتَانِ لَمَّ يَدْخُلْ بِهِمَا فَهُمَا ; عَمْرَةُ بِنْتُ يَزِيدَ الْغِفَارِيَّةُ، وَالشَّنْبَاءُ ; فَأَمَّا عَمْرَةُ فَإِنَّهُ خَلَا بِهَا وَجَرَّدَهَا فَرَأَى بِهَا وَضَحًا، فَرَدَّهَا وَأَوْجَبَ لَهَا الصَّدَاقَ،
পৃষ্ঠা - ৪৩৪১
وَحُرِّمَتْ عَلَى غَيْرِهِ، وَأَمَّا الشَّنْبَاءُ فَلَمَّا أُدْخِلَتْ عَلَيْهِ لَمْ تَكُنْ يَسِيرَةً، فَتَرَكَهَا يَنْتَظِرُ بِهَا الْيُسْرَ، فَلَمَّا مَاتَ ابْنُهُ إِبْرَاهِيمَ عَلَى تَفِئَةِ ذَلِكَ، قَالَتْ: لَوْ كَانَ نَبِيًّا لَمْ يَمُتِ ابْنُهُ. فَطَلَّقَهَا وَأَوْجَبَ لَهَا الصَّدَاقَ، وَحُرِّمَتْ عَلَى غَيْرِهِ. قَالَتْ: فَاللَّاتِي اجْتَمَعْنَ عِنْدَهُ ; عَائِشَةُ، وَسَوْدَةُ، وَحَفْصَةُ، وَأُمُّ سَلَمَةَ، وَأُمُّ حَبِيبَةَ، وَزَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ، وَزَيْنَبُ بِنْتُ خُزَيْمَةَ، وَجُوَيْرِيَةُ، وَصَفِيَّةُ، وَمَيْمُونَةُ، وَأُمُّ شَرِيكٍ» .
قُلْتُ: وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ وَهُنَّ إِحْدَى عَشْرَةَ امْرَأَةً» . وَالْمَشْهُورُ أَنَّ أُمَّ شَرِيكٍ لَمْ يَدْخُلْ بِهَا، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ، وَلَكِنَّ الْمُرَادَ بِالْإِحْدَى عِشْرَةَ اللَّاتِي كَانَ يَطُوفُ عَلَيْهِنَّ التِّسْعُ الْمَذْكُورَاتُ وَالْجَارِيَتَانِ مَارِيَةُ وَرَيْحَانَةُ.
وَرَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ الْفَسَوِيُّ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَبِي مَنِيعٍ، عَنْ جَدِّهِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي زِيَادٍ الرُّصَافِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ - وَقَدْ عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ
পৃষ্ঠা - ৪৩৪২
গ্রস্থুকারের অভিমত : সহীহ্ বুখাবীতে আবাস (বা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রড়াসুলুলাহ্ (সা )
র্তার যে সহধইনীিগণের ঘরে রাত্রিযাপন করতেন, তারা ছিলেন এ পার জন ৷ তবে উম্মু
শুরায়ক সম্পর্কে প্রসিদ্ধি রয়েছে যে, রাসুলুলাহ্ (সা ) তার সংগে সহবাস করেন নি-যেমনটি
পরবর্জীত আসছে সুতরাং এণার জনের সহিত রাত্রিবাপন করতেন বলে হাদের বুঝানো
হয়েছে তারা হলেন পুবেঢািখিত নয় জন সহধর্মিনী এবং দুই জন বাদী মারিয়া ও বায়হড়ানা
(রা) ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান আলু ফাসাবী (র) হাজ্জাজ ইবন আবু মনীি (র) সুত্রে যুহ্বী (র)
সুত্রে বিওরয়োত করেছেন ৷ বখারী (র)ও এ হাজ্জাজ হতেই হাদীসটি তড়ালাক (সনদফুক্ত)
রুপে উদ্ধৃত করেছেন ৷ আর ইবন আসাকির এ সনদে হাদীসটির অংশবিশেষ উলেখ
করেছেন, এ মর্মে যে, রাসুলুলড়াহ্ (সা) সর্ব প্রথম যে নারীর সংগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন
তিনি হলেন খাদীজা বিনৃত খুয়ায়লিদ- ইবন আসাদ ইবন আবদুল উবযা ইবন কুসায় ৷ তীর
পিতাই তড়াকে নবী কবীম (না)-এর কাছে বিয়ে দেন নবুয়্যাত প্রাপ্তির আগে ৷ অন একটি
রিওয়ায়াত যুহবী (র) বলেন, খড়াদীজা (বা)-কে বিবাহ করার সময় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বয়স
ছিল একুশ বছর মতাতরে পচিশ বছর ৷ এবং তা ছিল কাবা পুনঃনিযাণের সময় ৷ ওয়াকিদী
(র) আরো অধিক তথা পরিবেশন করে বলেছেন, “এবং খাদীজা-র বয়স ছিল তখন
পরতালিশ বছর ৷ অন্যান্য আলিমপণের মতে, সে সময় নবী কবীম (সা ) এর বয়স ছিল ত্রিশ
বছর ৷ হাকীম ইবন হিযাম (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ তিনি বলেন, খড়াদীজা (আঃ কে বিবাহ
করার সময় রাসুলুলাহ্ (সা)-এর বয়স হয়েছিল পচিশ বছর, আর খাদীজা (রা)-র বয়স তখন
চল্লিশ বছর ৷ ইবন আব্বাস (রা)-এর একটি বর্ণনা মতে, খাদীজা (বা)-এর বয়স অঢিচল্লিশ
বছর ৷ ইবন আসাকির (র) এ য়িওয়ায়াত দুটি উলেখ করেছেন ৷ ইবন জুরায়জ (র) বলেছেন,
নবী করীম (সা) তখন ছিলেন সাইত্রিশ বছর বয়সের এবং খাদীজা (বা) তাকে সন্তান উপহার
দিলেন কাসিম (রা)-যড়ার নাম সুত্রে নবী করীম (সা) £ক আবুল কড়াসিম উপনাম দেয়া
হয়েছিল ৷ তায়িাব, তাহির এবং যায়নাব, রুকড়ায়াড়া, উম্মু কুলছুম ও ফাতিম৷ (বা) ৷
গ্রন্থকারের মন্তব্য : খাদীজা (বা)ই নবী কবীম (না)-এর সকল সন্তানের ম৷ ৷ একমাত্র ইব্রাহীম
(না)-এর ব্যাতিক্রম, তিনি জ্যন্মছিলেন মারিয়্যা (বা) গর্ভে ৷ যেমনটি পরবর্তীত বর্ণিত হবে ৷
পরে ইবন আসাকির রাসুলুলড়াহ্ (না)-এর কন্যাগণের প্রত্যেকের এবং তাদের স্বাবীগণের
বিবরণ দিয়েছেন ৷ তার বর্ণনা সংক্ষেপঃ প্রথম৷ কন্যা বারনাব (বা) এর বিয়ে হয়েছিল আস
ইবনুর রড়াবী ইবন আবদুল উযাযড়া ইবন আবদ শামস ইবন আবদ মানাফ-এর সাথে ৷ এ আস
ছিলেন খাদীজা (রা)-এর বোন-পাে; র্তার মা ছিলেন হলো বিনৃত খুওয়ায়লিদ ৷ এ ঘরে বারবার
(বা) এর এক ছেলে আলী (বা) এবং এক মেয়ে উমাম৷ বিনৃত যায়নাব (বা) ৷ ফাতিমড়া (বা)
এর ইনতিকালের পরে আলী (বা) তাকে বিবাহ করেছিলেন এবং তিনি এ স্বামীর ঘরে থাকা
অবস্থায়ই আলী (বা) শাহড়াদাত বরণ করেন ৷ এরপরে তীর বিবাহ হয় ঘুগীবা ইবন নওফাল
ইবনুল হাবিছ ইবন আবদুল মুত্তালিবের সংগে ৷ নবী কবীম (সা) এর দ্বিভীয়া কন্যা রুকায়্যা
(না)-এর বিবাহ হয়েছিল উসমড়ান ইবন আফ্ফান (বা) এর সংগে ৷ এ ঘরে তাদের সন্তানেরা
হলেন, আবদুল্লাহ (বা) বীর নামের প্রথম দিকে উছমড়ান (বা) এর কুনিয়াত (উপনাম) স্থির
فِي " صَحِيحِهِ " عَنِ الْحَجَّاجِ هَذَا، وَأَوْرَدَ لَهُ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ طُرُقًا عَنْهُ - أَنَّ أَوَّلَ امْرَأَةٍ تَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ قُصَيٍّ، زَوَّجَهُ إِيَّاهَا أَبُوهَا قَبْلَ الْبَعْثَةِ - وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَكَانَ عُمُرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ تَزَوَّجَ خَدِيجَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَقِيلَ: خَمْسًا وَعِشْرِينَ سَنَةً. زَمَانَ بُنِيَتِ الْكَعْبَةُ. وَقَالَهُ الْوَاقِدِيُّ، وَزَادَ: وَلَهَا خَمْسٌ وَأَرْبَعُونَ سَنَةً. وَقَالَ آخَرُونَ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ: كَانَ عُمُرُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، يَوْمَئِذٍ ثَلَاثِينَ سَنَةً. وَعَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ: «كَانَ عُمُرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ تَزَوَّجَ خَدِيجَةَ خَمْسًا وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَعُمُرُهَا أَرْبَعُونَ سَنَةً.» وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: كَانَ عُمُرُهَا ثَمَانِيًا وَعِشْرِينَ سَنَةً. رَوَاهُمَا ابْنُ عَسَاكِرَ. وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ كَانَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ ابْنَ سَبْعٍ وَثَلَاثِينَ سَنَةً - فَوَلَدَتْ لَهُ الْقَاسِمَ، وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى، وَالطَّيِّبَ، وَالطَّاهِرَ، وَزَيْنَبَ، وَرُقَيَّةَ، وَأُمَّ كُلْثُومٍ، وَفَاطِمَةَ.
قُلْتُ: وَهِيَ أُمُّ أَوْلَادِهِ كُلِّهِمْ سِوَى إِبْرَاهِيمَ فَمِنْ مَارِيَةَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. ثُمَّ تَكَلَّمَ عَلَى كُلِّ بِنْتٍ مِنْ بَنَاتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ تَزَوَّجَهَا، وَحَاصِلُهُ: أَنَّ زَيْنَبَ تَزَوَّجَهَا أَبُو الْعَاصِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪৩৪৩
হয়েছিল ৷ পরে অবশ্য অন্য ছেলে আমর (রা)-এর নাম তার কুনিরাত (আবু আসর) হয়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বদর অভিযানে থাকা কালে রুকায়া৷ (বা ) ইনতিকাল করেন ৷ যায়ষ্ন্ ইবন
হারিছ৷ (বা) বিজয় বাতা নিয়ে মদীনায় উপমী৩ হলে দেবওে পেণে৷ যে, তারা র্তাকে দহুকন্চ্
সম্পন্ন করেছেন ৷ উছমান (বা) তীর সেবা শৃশ্রুবার জন্য (নবী করীম (সা) এর অনুমতি ত্ররম
মদীনায়) র্তার কাছে রয়ে গিয়েছিলেন ৷ তাই রাসুলুলাহ্ (সা) র্তার জন্য ণণীমতে অংশ প্রদান
কর্বেন ৷ পরে র্তার কাছে ককায়্যা (রা)র বোন (তৃভীয়৷ কন্যা) উম্মু কুলছুম (রা) কে বিবাহ
দেন ৷ এ কারণে উছমান (বা) যুনৃ-নুরায়ন ( দুই নুরের অধিকড়ারী ) উপাধিতে তু ত করা
হতো ৷ উম্মু কুলছুম (রা) ও রাসুলুলাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায়ই উছমান (বা) এর মরে থাকা
কাণে ইণঙিকাণ করেন ৷ ৷>ঙুর্থ কন্যা কাতিম৷ (রা)-£ক বিবাহ করলেন রাসুলুল্যহ্ (সা) এর
চাচাত তাই আলী ইবন আবু তালিব ইবন আবদুল মুত্তালিব (বা) ৷ বদর যুদ্ধ কালে তিনি বাসর
য়াপন করেছিলেন ৷ যেমনটি পুর্বে বর্ণিত হয়েছে ৷ র্তাদের সন্তান হলেন হাসান (রা)র্তার নাম
আলী (বা) এর কুনিয়াত হয়েছিল আবুল হাসান তীর অপর পুত্র ছিলেন হসাইন (বা) যিনি
নির্মমন্তারে শাহাদাত বরণ করেছিলেন ইরাকে (কারবল্দোয়) ৷ গ্রন্থকড়ার বলেন, কারো কারো
মতে তার আর এক পুত্র ছিলেন ঘুহসিন’ ৷
বর্ণনঃাকড়ারী আংর৷ বলেন ফাতিম৷ (রা) এর অন্য দুই জন সন্তান ছিলেন যায়নাব ও উম্মু
কুলছুম ৷ এ বায়নাব (বা) কে বিবাহ করেছিলেন তার চাচা৩ ৷ ৩াই আবদুল্লাহ ইবন জা ফর
(রা ) এবং সে ঘরে সন্তান হয়েছিল অ৷ নৌ ও আওন (র) এবং এ স্বামীর কাছেই তিনি
ইনতিকাল করেন ৷ আর উম্মু কুলছুম (রা)-£ক বিবাহ করেছিলেন আযিকল মুমিনীন উমর
ইবনুল খাত্তাব (বা) ৷ এ বিবাহ র্তাদের সন্তান য়ায়দের জন্য হয় এবং এ শ্ৰীকে রেখে উমর (রা)
ইনতিকাল করেন ৷ পরে একের পরে এক চাচাত ভাইদের সাথে জর বিবাহ হয় ৷ প্রথমে
অ অড়াওন ইবন জা ৷কর (রা) এর সাথে; র্তার মৃত্যু হলে তার ভাই মুহাম্মাদ ইবন জা ৷ফর (রা)-
এর সাথে এবং তারও মৃত্যু হলে তাদের ভাই আবদুল্লাহ ইবন জা ফর (রা) এর স গে তার
বিবাহ হয় এ বং এ স্বামীর ঘরেই তিনি ইনতিকাল করেন: ষুহ্ ৰী (র) বলেন রাসুলুলড়াহ্ )
এর আগে ৷খাদীজ৷ (বা) আরো দুইজন পুরুষকে স্বামী ক্রুতৃ বরণ ক:রছিদু:র্দুন তাদের প্রথম
দুজন হল আডীক ইবন আ ৷বিদ (ম৩ তান্তরে আইন) ইবন র্ভবঘুম (মাখৃবম) ৷ এ স্বামীর ঘরে
তার একটি কন্যা সন্তানের জন্য হয়৷ তিনি হলেন মুহন্মোন্ন্ ইবন সায়ফী (রা) এর ম৷ ৷ দ্বিতীয়
রাজি হন আবু হলো আততামীমী ৷ এ ঘরের সন্তান হল হিন্দ ইবন হিন্দ (ইবন যুবারা
ইবনুন নাববাশ) ৷ ইবন ইসহাক (র)-ও তার এ নাম নির্ণয় করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, আবিদের
মৃত্যুর পরে তার পরবর্তী স্বামী হলেন বনু আবদুদ্দার এর মিত্র বনু আমর ইবন তামীমের অন্যতম
আবু হালাঘ্র নাববাশ ইবন যুরার৷ ৷ এ ঘরে একটি ছেলে ও একটি মেয়ের জন্য হওয়ায় পরে স্বামী
মার৷ ণ্:ণলে রাসুলুলাহ্ (সা) এর সাথে র্তার বিবাহ হয় ৷ এ পক্ষেই জন্য গ্রহণ করেন নবী কৰীম
(সা) এর তার কন্যা এবং তাদের পরে কাসিম, তামািব ও তাহির (বা) ৷ পুত্র সন্তান্থ:নর৷ সকলেই
দুধ খাওয়ার বয়সে ইহ জণত হতে বিদায় নেন ৷
মন্থক৷ রের বক্তব্য৪ তার জীবন কালে রাসুলুলাহ্ (সা) অন্য কোন নারীর পাণি গ্রহণ করেন
নি৷ মা মার (র)-যুহ্রী অ ইশ্ ৷৷ (র৷ ) সনদে আবদুর রাবযাক (র) তনুেরাপই রিওহ্বহ্বব্র
৫০ ৷ড়া
عَبْدِ مَنَافٍ، وَهُوَ ابْنُ أُخْتِ خَدِيجَةَ، أُمُّهُ هَالَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ ابْنًا اسْمُهُ عَلِيٌّ، وَبِنْتًا اسْمُهَا أُمَامَةُ بِنْتُ زَيْنَبَ، وَقَدْ تَزَوَّجَهَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ بَعْدَ وَفَاةِ فَاطِمَةَ، وَمَاتَ وَهِيَ عِنْدَهُ، ثُمَّ تَزَوَّجَتْ بَعْدَهُ بِالْمُغِيرَةِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. وَأَمَّا رُقَيَّةُ فَتَزَوَّجَهَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، فَوَلَدَتْ لَهُ ابْنَهُ عَبْدَ اللَّهِ وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى أَوَّلًا، ثُمَّ اكْتَنَى بِابْنِهِ عَمْرٍو، وَمَاتَتْ رُقَيَّةُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَدْرٍ، وَلَمَّا قَدِمَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ بِالْبِشَارَةِ وَجَدَهُمْ قَدْ سَاوَوُا التُّرَابَ عَلَيْهَا، وَكَانَ عُثْمَانُ قَدْ أَقَامَ عِنْدَهَا يُمَرِّضُهَا، فَضَرَبَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَهْمِهِ وَأَجْرِهِ، ثُمَّ زَوَّجَهُ بِأُخْتِهَا أُمِّ كُلْثُومٍ، وَلِهَذَا كَانَ يُقَالُ لَهُ: ذُو النُّورَيْنِ. فَتُوُفِّيَتْ عِنْدَهُ أَيْضًا فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَأَمَّا فَاطِمَةُ فَتَزَوَّجَهَا ابْنُ عَمِّهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَدَخَلَ بِهَا بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ كَمَا قَدَّمْنَا، فَوَلَدَتْ لَهُ حَسَنًا، وَبِهِ كَانَ يُكَنَّى، وَحُسَيْنًا، وَهُوَ الْمَقْتُولُ شَهِيدًا بِأَرْضِ الْعِرَاقِ. قُلْتُ: وَيُقَالُ: وَمُحَسِّنًا. قَالَ: وَزَيْنَبَ وَأُمَّ كُلْثُومٍ، وَقَدْ تَزَوَّجَ زَيْنَبَ هَذِهِ ابْنُ عَمِّهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ عَلِيًّا وَعَوْنًا، وَمَاتَتْ عِنْدَهُ، وَأَمَّا أُمُّ كُلْثُومٍ فَتَزَوَّجَهَا أَمِيرُ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، فَوَلَدَتْ لَهُ زَيْدًا وَمَاتَ عَنْهَا، فَتَزَوَّجَتْ بَعْدَهُ بِبَنِي عَمِّهَا جَعْفَرٍ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ ; تَزَوَّجَتْ بِعَوْنِ بْنِ جَعْفَرٍ فَمَاتَ عَنْهَا، فَخَلَفَ عَلَيْهَا أَخُوهُ مُحَمَّدٌ فَمَاتَ عَنْهَا، فَخَلَفَ عَلَيْهَا أَخُوهُمَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، فَمَاتَتْ عِنْدَهُ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَقَدْ كَانَتْ خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ تَزَوَّجَتْ قَبْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَجُلَيْنِ ; الْأَوَّلُ مِنْهُمَا عَتِيقُ بْنُ عَائِذِ بْنِ مَخْزُومٍ، فَوَلَدَتْ مِنْهُ جَارِيَةً وَهِيَ أُمُّ مُحَمَّدِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪৩৪৪
صَيْفِيٍّ، وَالثَّانِي أَبُو هَالَةَ التَّمِيمِيُّ فَوَلَدَتْ لَهُ هِنْدَ ابْنَ هِنْدٍ، وَقَدْ سَمَّاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، فَقَالَ: ثُمَّ خَلَفَ عَلَيْهَا بَعْدَ هَلَاكِ عَتِيقِ بْنِ عَائِذٍ أَبُو هَالَةَ النَّبَّاشُ بْنُ زُرَارَةَ، أَحَدُ بَنِي عَمْرِو بْنِ تَمِيمٍ، حَلِيفُ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ، فَوَلَدَتْ لَهُ رَجُلًا وَامْرَأَةً، ثُمَّ هَلَكَ عَنْهَا، فَخَلَفَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَلَدَتْ لَهُ بَنَاتِهِ الْأَرْبَعَ ثُمَّ بَعْدَهُنَّ الْقَاسِمَ وَالطَّيِّبَ وَالطَّاهِرَ، فَذَهَبَ الْغِلْمَةُ جَمِيعًا وَهُمْ يُرْضَعُونَ.
قُلْتُ: وَلَمْ يَتَزَوَّجْ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُدَّةَ حَيَاتِهَا امْرَأَةً، كَذَلِكَ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ ذَلِكَ. وَقَدْ قَدَّمْنَا تَزْوِيجَهَا فِي مَوْضِعِهِ وَذَكَرْنَا شَيْئًا مِنْ فَضَائِلِهَا بِدَلَائِلِهَا.
قَالَ الزُّهْرِيُّ: ثُمَّ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ خَدِيجَةَ بِعَائِشَةَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قُحَافَةَ عُثْمَانَ بْنِ عَامِرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ كَعْبِ بْنِ سَعْدِ بْنِ تَيْمِ بْنِ مُرَّةَ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيِّ بْنِ غَالِبِ بْنِ فِهْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ النَّضْرِ بْنِ كِنَانَةَ، وَلَمْ يَتَزَوَّجْ بِكْرًا غَيْرَهَا.
قُلْتُ: وَلَمْ يُولَدْ لَهُ مِنْهَا وَلَدٌ، وَقِيلَ: بَلْ أَسْقَطَتْ مِنْهُ وَلَدًا سَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ، وَلِهَذَا كَانَتْ تُكَنَّى بِأُمِّ عَبْدِ اللَّهِ. وَقِيلَ إِنَّمَا كَانَتْ تُكَنَّى بِعَبْدِ اللَّهِ ابْنِ أُخْتِهَا أَسْمَاءَ مِنَ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
قُلْتُ: وَقَدْ قِيلَ: إِنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَ سَوْدَةَ قَبْلَ عَائِشَةَ. قَالَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ كَمَا قَدَّمْنَا ذِكْرَ الْخِلَافِ فِي ذَلِكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ قَدَّمْنَا صِفَةَ
পৃষ্ঠা - ৪৩৪৫
করেছেন ৷ তীর গুণাবলী ও মাহাদুত্ম্যর বিবরণ সহকারে তার বিবাহ বিষয়ক সপ্ৰমাণ আলোচনা
আমরা যথাস্থানে করে এসেছি ৷
যুহ্রী (র) বলেন, খাদীজা (রা)-এর (মৃত্যুর) পরে রাসুলুলাহ্ (সা) শ্রী রুপে গ্রহণ করলেন
আইশ৷ ৰিন্ত আবু বকর (আব্দুল্লাহ ইবন আবু কুহাফা (উসমান) ইবন আমির ইবন আমর ইবন
সাদ ইবন মুররা ইবন কাব ইবন লুওয়ায় ইবন গালিব ইবন ফিহর ইবন মালিক ইবনৃন নাঘৃর
ইবন কিনানা ) কে ৷ নবী করীম (সা) ইনি ব্যতীত অন্য কোন কুমারীকে বিবাহ করেন নি ৷
আইশা (রা)-এর গর্ভে নবী কবীম (না)-এর কোন সন্তানের জন্ম হয়নি ৷ তবে কেউ কেউ
বলেছেন যে, একটি অকাল জাত সন্তান তার জন্মেছিল, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যার নাম রেখেছিলেন
আবদুল্লাহ এবং এ কারণেই তার কুনিয়াত হয়েছিল উম্মু আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ্র মা ৷ কিন্তু
অন্যরা বলেছেন, তার এ উপনাম হয়েছিল যুবায়র ইবনুল আওয়াম (বা) হতে তীর বোন
আসমা (রা)-এর পুত্র আবদুল্লাহ্র নামানুসারে ৷
কারো কারো মতে, নবী করীম (সা) আইশা (রা) এর আগে সাওদা (রা)-কে বিবাহ
করেছিলেন ৷ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন ইবন ইসহাক (র) প্রমুখ ৷ এ বিষয়ে মতপার্থক্য
সহকারে বিষয়টির আলোচনা আমরা ইতোপুর্বে করেছি ৷ আলাহই সমাধিক অবগত ৷ সে
প্রসংগে হিজরতের পুর্বে এ দুজনকে (সাওদা ও আইশা) বিবাহ করা এবং আইশা (রা)কে
উঠিয়ে আনার ব্যাপারটি ছিজরত পরবর্তী সময় পর্যন্ত ৰিলম্বিত হওয়ার কথাও আমরা
আলোচনা করেছি ৷ বর্ণনাকড়ারী আরো বলেন, নবী করীম (সা) হাফসা বিনত উমর ইবনুল
খাত্তাব (রা)-কেও শ্রী রুপে গ্রহণ করেন ৷ এর আগে তিনি ছিলেন থুনায়স (বা) ইবন হুযাফা
(ইবন কায়স ইবন আদী ইবন হুযাফা ইবন সাহ্ম ইবন আমর ইবন হাসীস ইবন কাব ইবন
লুআয়) এর ঘরে ৷ ইনি ত্রীকে রেখে মুমিনরুগে ইনতিকাল করেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, নবী
করীম (সা) আরো বিবাহ করেন উম্মু সালামা হিন্দ বিনত আবু উমায়্যা (ইবনুল ঘুগীরা
আবদুল্লাহ্ ইবন উমর ইবন মাখযুম) (রা) কে ৷ এর আগে তিনি ছিলেন তার চাচাত ভাই আবু
সালামা (আবদুল্লাহ ইবন আবদুল আসাদ ইবন হিলাল ইবন আবদুল্লাহ ইবন উমর ইবন
মাখবুম (রা))-এর ন্তী ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুলাহ্ (সা) শ্ৰীরুপে গ্রহণ করেছিলেন সাওদা
(বা) বিনত যামআ (ইবন কায়স ইবন আবদ শামস ইবন আবদ ওয়াদ্দ ইবন নাসর ইবন
মালিক ইবন হাসৃল ইবন আমির ইবন লুআয়)-ক্লে ৷ এর আগে তার স্বামী ছিলেন সৃহায়ল ইবন
আমর-এর ভাই সাকারান ইবন আমর (রা) ইবন আবদ শামস এর ৷ হাবাশা (আবিসিনিয়া)
থেকে স্বামী-ন্তী মক্কায় প্রত্যাবর্তনের পরে স্বামী মুসলমড়ানরুপে ইনতিকাল করেন ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, নবী করীম (সা) আরো বিবাহ করেছিলেন উম্মু হাবীবা রামলা বিনত আবু সুফিয়ান
(ইবন হাবৃব ইবন উমড়ায়্যা ইবন আবদ শামস ইবন আবদ মড়ানাফ ইবন কুসায়)কেও ৷ এর
আগে তিনি ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন জাহশ (অথবা উবায়দুল্লাহ ইবন জাহাশ)১ (রা) ইবন
রিআব-(বনু আসাদ ইবন খৃযায়মড়ার লোক ৷ ) এর শ্ৰী ৷ এ স্বামী খৃস্টান অবস্থায় হাবশায় যারা
যায়৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাবশায় তার কাছে আমর ইবন উমায়্যা আয-যামারী (রা)-কে
১ ইবন হিশাম প্রমুখ ঐতিহাসিকণণের মতে তিনি উবায়দুল্লাহ্ই ছিলেন ৷ শ্সম্পাদকমণ্ডলী
تَزْوِيجِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِهِمَا قَبْلَ الْهِجْرَةِ، وَتَأَخُّرَ دُخُولِهِ بِعَائِشَةَ إِلَى مَا بَعْدَ الْهِجْرَةِ.
قَالَ: وَتَزَوَّجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ خُنَيْسِ بْنِ حُذَافَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَدِيِّ بْنِ حُذَافَةَ بْنِ سَهْمِ بْنِ عَمْرِو بْنِ هُصَيْصِ بْنِ كَعْبِ بْنِ لُؤَيٍّ مَاتَ عَنْهَا مُؤْمِنًا.
قَالَ: وَتَزَوَّجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَّ سَلَمَةَ هِنْدَ بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ ابْنِ عَمِّهَا أَبِي سَلَمَةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ بْنِ هِلَالِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ بْنِ مَخْزُومٍ.
قَالَ: وَتَزَوَّجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَوْدَةَ بِنْتَ زَمْعَةَ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ وُدِّ بْنِ نَصْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ حَسْلِ بْنِ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ السَّكْرَانِ بْنِ عَمْرٍو أَخِي سُهَيْلِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ، مَاتَ عَنْهَا مُسْلِمًا بَعْدَ رُجُوعِهِ وَإِيَّاهَا مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ إِلَى مَكَّةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا.
قَالَ: وَتَزَوَّجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَّ حَبِيبَةَ رَمْلَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ بْنِ حَرْبِ بْنِ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسِ بْنِ عَبْدِ مَنَافِ بْنِ قُصَيٍّ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشِ بْنِ رِئَابٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، مَاتَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ نَصْرَانِيًّا، بَعَثَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمْرَو بْنَ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيَّ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ فَخَطَبَهَا عَلَيْهِ، فَزَوَّجَهَا مِنْهُ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ كَذَا قَالَ، وَالصَّوَابُ خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ،
পৃষ্ঠা - ৪৩৪৬
পাঠালেন ৷ তিনি র্তাকে রাসুলুল্লাহ (সা) এর স০ গে বিয়ের পয়গাম দিলে উছমান ইবন
আফফান (রা) র্তাকে নবী কবীর (সা) এর স০ গে বিবাহ পড়িরে দেন ৷ এ বর্ণনায় এভাবেই
বলা হয়েছে ৷ তার সঠিক বর্ণনা মতে ইনি হবেন উহুরান ইবন আবুল আন (র৷ ) ৷ এ বিবাহে
হাবশ৷ ৷লম্রাট নাজাসী নবী কবীর (সা) এর পক্ষ থেকে উম্মু হাবীব৷ (বা ) কে চারশত দীনার
(স্বর্ণমুদ্রা) রহররুপে দিয়েছিলেন এবং শুরাহ্বীল ইবন হাসান৷ র স০ গে তাকে (মদীনায়)
পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ৷ এ সব কথা বিশ ৷দভ ৷রে আমরা বর্ণনা করে এসেছি ৷ আলহামদু লিল্লাহ্ ৷
বর্ণনাকাবী বলেন, নবী কবীর (সা) শ্ৰীরুপে আরো গ্রহণ করেন (রায়নাব) বিনৃত জাহাশ (র৷ )
ইবন রিআব ইবন আসাদ ইবন খুবায়ম৷ কে ৷ র্তীর মা ছিলেন আবদুল মুত্তালিৰের কন্যা অর্থাৎ
রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর অন্যতম৷ ফুফু উরায়ম৷ (বা) ৷ যায়নাব (রা) এর আগের বিবাহ হয়েছিল
নবী কবীর (সা) এর আয়াদকুত গোলাম য়ায়দ ইবন হারিছ৷ (রা) এর সাথে ৷ রাসুলুলাহ্ (সা)-
এর লহধর্মিনীগণের মধ্যে ইনিই সর্বাগ্রে জর ৎগে মিলিত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন
(অর্থাৎ ইনতিকাল করেন) ৷ উার জন্যই সর্ব প্রথম খাটিয়৷ ব্যবহার করা হয় ৷ খাটিয়ার ব্যবস্থা
করেছিলেন আসম৷ ৰিনৃত উমায়স-যা তিনি হাবশ৷ দেশে দেখে এসেছিলেন ৷ বর্ণনাকাবী বলেন,
নবী কবীর (সা) যায়নাব ৰিনত খুরড়ায়ম৷ (রা)-কেও লহধর্মিনী রুপে গ্রহণ করেন ৷ ইনি হলেন
বনু রানাফ ইবন হিলাল ইবন আমির ইবন সাসাঅ৷ বংশীয় মহিলা ৷ তিনি উম্মুল রগােকীন
(মিসর্কীনদের মা) খে৩ ৷বেও ভুষিত হয়েছিলেন ৷
এর আগে তিনি ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন জাহড়াশ ইবন রিআব (রা) এর শ্রী; যিনি উহুদ যুদ্ধে
শাহাদাত বরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে তার দিন থাকার পরেই তিনি ইনতিকাল
করেন ৷ তবে ইউনুস (র) মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) হতে উদ্ধৃত করে বলেছেন, এর আগে
যায়নাব (রা ) ছিলেন হুসায়ন ইবনৃল হারিছ ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন আবদ রানাফ এর
কাছে কিংবা তার তা ৷ই ০ তুফায়ল ইবনুল হাবিছ এর কাছে ৷ যুহ্বী (ব) বলেছেন বাসুলুলাহ্ (সা)
মায়মুনা বিনঙু ন্ল হারিছ (ইবন হুযন ইবন বুজায়র ইবনুল হাবম ইবন কআয়ব৷ ইবন আবদুল্লাহ
ইবন হিলাল ইবন আ ৷মির ইবন না সাআ (রা)ণ্পুকও সহধর্মিনীরুপে ৷গ্রহণ করেছিলেন ৷ ইনিই
নিজেকে রাসৃলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে হেবারুপে সরর্পণ করেছিলেন ৷ কিন্তু গ্রন্থাকারের মতে
সঠিক তথ্য হচ্ছে, নবী কবীর (সা)৩ তার কাছে পয়ণার পাঠিয়েছিলেন এবং তাদের মাঝে দুত
ছিলেন নবী কবীর (সা) এর আযাদকৃত (গালাম আবু বাফি (রা)৩ (উমরাভু ল কায়া র বিবরণ
প্রসং গে আমরা এ বিষয় বিশদ আলোকপাত করে এসেছি) ৷ যুহবী (র) বলেন, ইতোপুর্বে
আরো দুজনের স০ গে রায়মুন৷ (রা) এর বিবাহ হয়েছিল ৷ এদের প্রথম জন হল ইবন শ্:;শ্হ্স্
ইয়ালীল ৷ আর সায়ফ ইবন উমর (র) তার বর্ণনায় বলেছেন, প্রথমে তিনি ছিলেন বনু উংন্ণ্
ইবন ছার্কীফ ইবন আমর এর অন্যতম ব্যক্তি ৩৷ উমায়র ইবন আরব আছ-ছাকাফী র হী লে
দ্রীক্রুক রেখে করা গোলে তার স্থলাভিষিক্ত হয় আবু রুহ্ম ইবন আবদুল উবক (ই < < ক বু
:হৃ ; ইবন ৎ:হ্ন্স্ ঙ্কুরুদ্দ ইবন নাণ্র ইবনষ্ লিক ইবন হাসল ইবন অ;মব ইবন ক :গ্লুট্ট ;
বর্ণনকই ভুন্তুল্টো
বিন্ স্কু হ্ন্ন্ছুশ্ ৷ ইবৃষ্ কব হৃকর ইবনুল্ হরছ ইবন ভর্ষইব ইবন র্ভইট্টণ্ন্ক ইৰ্ৰুল্ হুত্-ভ্রহুন্
(রা)ল্ক বৃন্ব < ণ্হ্র ?; প্প্ত হন বরুএ প্’র ভ বুক ধ্ এ করে ণ্শ্ক্ষুয় ?ছুকদুপ্০ বর০র্ভ আংন্
৫০ ৷ড়া
fi
وَأَصْدَقَهَا عَنْهُ النَّجَاشِيُّ أَرْبَعَمِائَةِ دِينَارٍ، وَبَعَثَ بِهَا مَعَ شُرَحْبِيلَ بْنِ حَسَنَةَ، وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ كُلَّهُ مُطَوَّلًا. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ
قَالَ: وَتَزَوَّجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشِ بْنِ رِئَابِ بْنِ أَسَدِ بْنِ خُزَيْمَةَ، وَأُمُّهَا أُمَيْمَةُ بِنْتُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَمَّةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ مَوْلَاهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَهِيَ أَوَّلُ نِسَائِهِ لُحُوقًا بِهِ، وَأَوَّلُ مَنْ عُمِلَ عَلَيْهَا النَّعْشُ، صَنَعَتْهُ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ عَلَيْهَا كَمَا رَأَتْ ذَلِكَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ. قَالَ: وَتَزَوَّجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ بِنْتَ خُزَيْمَةَ، وَهِيَ مِنْ بَنِي عَبْدِ مَنَافِ بْنِ هِلَالِ بْنِ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ، وَيُقَالُ لَهَا: أُمُّ الْمَسَاكِينِ. وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشِ بْنِ رِئَابٍ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ فَلَمْ تَلْبَثْ عِنْدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى تُوُفِّيَتْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا.
وَقَالَ يُونُسُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ: كَانَتْ قَبْلَهُ عِنْدَ الْحُصَيْنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ، أَوْ عِنْدَ أَخِيهِ الطُّفَيْلِ بْنِ الْحَارِثِ.
قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَتَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَيْمُونَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ بْنِ حَزْنِ بْنِ بُجَيْرِ بْنِ الْهُزَمِ بْنِ رُوَيْبَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هِلَالِ بْنِ عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ قَالَ: وَهِيَ الَّتِي وَهَبَتْ نَفْسَهَا.
قُلْتُ: الصَّحِيحُ أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَهَا، وَكَانَ السَّفِيرَ بَيْنَهُمَا أَبُو رَافِعٍ مَوْلَاهُ، كَمَا بَسَطْنَا ذَلِكَ فِي عُمْرَةِ الْقَضَاءِ. قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَقَدْ تَزَوَّجَتْ قَبْلَهُ رَجُلَيْنِ، أَوَّلُهُمَا
পৃষ্ঠা - ৪৩৪৭
ابْنُ عَبْدِ يَالِيلَ - وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ: كَانَتْ تَحْتَ عُمَيْرِ بْنِ عَمْرٍو أَحَدِ بَنِي عُقْدَةَ مِنْ ثَقِيفِ بْنِ عَمْرٍو الثَّقَفِيِّ، مَاتَ عَنْهَا - ثُمَّ خَلَفَ عَلَيْهَا أَبُو رُهْمِ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى بْنِ أَبِي قَيْسِ بْنِ عَبْدِ وُدِّ بْنِ نَصْرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ حِسْلِ بْنِ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ.
قَالَ: وَسَبَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُوَيْرِيَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَائِذِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ، يَوْمَ الْمُرَيْسِيعِ فَأَعْتَقَهَا وَتَزَوَّجَهَا. وَيُقَالُ: بَلْ قَدِمَ أَبُوهَا الْحَارِثُ، وَكَانَ مَلِكَ خُزَاعَةَ فَأَسْلَمَ، ثُمَّ تَزَوَّجَهَا مِنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ عِنْدَ ابْنِ عَمِّهَا صَفْوَانَ بْنِ أَبِي الشُّفْرِ. قَالَهُ قَتَادَةُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، وَالشَّعْبِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ وَغَيْرِهِمْ قَالُوا: وَكَانَ هَذَا الْبَطْنُ مِنْ خُزَاعَةَ حُلَفَاءَ لِأَبِي سُفْيَانَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ; وَلِهَذَا يَقُولُ حَسَّانُ:
وَحِلْفُ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ ... وَحِلْفُ قُرَيْظَةٍ فِيكُمْ سَوَاءُ
وَقَالَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: وَكَانَتْ جُوَيْرِيَةُ تَحْتَ ابْنِ عَمِّهَا مَالِكِ بْنِ صَفْوَانَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪৩৪৮
মতাম্ভরে তার পিতা হারিছ (রা) নিজেই আগমন করেন ৷ তিনি ছিলেন খুযাআ গোত্রের প্রধান ৷
তিনি এসে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং নবী করীম (না)-এর নিকটে আপন কন্যাকে বিবাহ
দেন ৷ এর আগে তার স্বামী ছিল তার চাচাত ভাই সাফওয়ান ইবন আবুস সাদার ৷ কাতাদা
(বা) সাঈদ ইবনুল মুসাব্যিব (র) থেকে এবং শাবী ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) প্রমুখ বংনাি
করেছেন যে, খুযাআ-র এ শাখা গোত্রঢিই ছিল রাসুলুল্পাহ (না)-এর বিরুদ্ধে আবু সৃফিয়ান (ও
কুরায়শী)-এর সাথে মিত্রতা চুক্তিবদ্ধ ৷ এ প্রসংগেই করি হাসসান (রা) বলেছেন,
ৰু )হু৷ ণ্ষ্এে এম্পু
হারিছ ইবন আবু যিরার খুযাঈর যিত্রতা এবং ইয়াহুদী কুরায়জা গেষ্ঠীর মিত্রতা তোমাদের
(রাসুল বিরোধী কুরাইশদের) দৃষ্টিতে সম পর্যায়ের (ধিক ! )
সায়ফ ইবন উমর (র) তার বর্ণনায় বলেছেন, সাঈদ ইবন আবদুল্লাহ (র) আইশা (বা)
থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, জুওয়ায়রিয়া (বা) ছিলেন তার চাচাত ভাই মালিক ইবন
সাফওয়ান ইবন তাওলিব যুশৃশাফার ইবন আবুস সারহ ইবন মালিক ইবনুল মুসতালিক-এর
শ্রী ৷ বচ্নািকড়ারী আরো বলেন, খায়বার অভিযান কালে নবী করীম (সা) বনু নাযীর এর
সাদিয়্যা ইবন হুয়ায় ইবন আখঃতাবকে যুদ্ধ বন্দিনী রুপে পেয়েছিলেন ৷ সাফিয়্যা (রা) তখন
ছিলেন কিনানা ইবন আবুল হুকড়ারক-এর নব পরিণীতা ৷ সায়ফ ইবন উমর (র) তার বর্ণনায়
দাবী করেছেন যে, কিনড়ানড়া-র পুর্বে সাফিয়্যা (বা) সাল্লাম ইবন মিশকাম-এর শ্রী ছিলেন ৷
আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷ বর্ণনাকাবী বলেন, এ হল নবী পত্নীগণের মাঝে যে এপার জনের
বিবরণ, যাদের সংগে নবী কৰীম (না)-এর দাম্পত্য সম্পর্ক ছিল ৷ বর্ণনাকারী আরো তথা
ৎযোজন করেছেন যে, উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) তার খিলাফত কালে নবী করীম (না)-এর
সহধর্মিনীগণের প্রত্যেকের জন্য (বার্ষিক) বার হাজার মুদ্রা ভাতার মঞ্জুবী দিয়েছিলেন এবং
জুওয়ায়রিয়া ও সাফিয়্যা (রা)-ফে যুদ্ধ বন্দিনীরুপে আগত হওয়ার কারণে-ছয় হাজার মুদ্রার
ভাতা মঞ্জুর করেছিলেন ৷ যুহরী (র) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এ দুজনকে পর্দার অন্তরাল
করেছিলেন এবং তাদের জন্য দ্রীরুপে পালা নিধয়িণ করেছিলেন ৷
গ্রন্থকায়ের বক্তব্য : (এ ত্রীগণের সংগে নবী করীম (না)-এর বিবাহ সম্পর্কিত বিশদ
বিবরণ ইতোপুর্বে আমরা উল্লেখ করে এসেছি ৷ বাযিয়াল্লাহু আনহুন্না) ৷
যুহরী (র) বলেন, নবী করীম (সা) বনু বকর ইবন কিলাব গোত্রের আলিয়া বিনত জাবয়ান
ইবন আমরকে বিবাহ করেছিলেন এবং তার সংগে বাসর করার পরে তাকে তালাক
দিয়েছিলেন ৷ বায়হাকী (র) বলেন, আমার কিভাবে অনুরুপ রয়েছে ৷ তবে যুহরী (র) ব্যতীত
অন্যদের বর্ণনায় রয়েছে বাসর না করেই তিনি তাকে তালাক দিয়েছিলেন ৷ পক্ষান্তরে
মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) হিশাম ইবন মুহাম্মদ ইবনুল সাইব আল কালৰী সুত্রে বনু বকর ইবন
কিলাব-এর জনৈক ব্যক্তি হতে উদ্ধৃত করে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) আলিয়া বিনত জাবয়ান
(ইবন আমর ইবন আওফ ইবন কাব ইবন আবদ ইবন আবু বকর ইবন কিলাব)কে বিবাহ
করেছিলেন ৷ ইনি অনেক দিন তার কাছে ছিলেন এবং পরে তিনি তাকে তালাক দেন ৷ ইয়াকুব
ইবন সুফিয়ান (র) হাজ্জাজ ইবন আবু মনীি (র আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
تَوْلَبٍ ذِي الشُّفْرِ بْنِ أَبِي السَّرْحِ بْنِ مَالِكِ بْنِ الْمُصْطَلِقِ.
قَالَ: وَسَبَى صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ مِنْ بَنِي النَّضِيرِ يَوْمَ خَيْبَرَ وَهِيَ عَرُوسٌ بِكِنَانَةَ بْنِ أَبِي الْحُقَيْقِ. وَقَدْ زَعَمَ سَيْفُ بْنُ عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ أَنَّهَا كَانَتْ قَبْلَ كِنَانَةَ عِنْدَ سَلَّامِ بْنِ مِشْكَمٍ، فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: فَهَذِهِ إِحْدَى عَشْرَةَ امْرَأَةً دَخَلَ بِهِنَّ. قَالَ: وَقَدْ قَسَمَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فِي خِلَافَتِهِ لِكُلِّ امْرَأَةٍ مِنْ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا، وَأَعْطَى جُوَيْرِيَةَ وَصَفِيَّةَ سِتَّةَ آلَافٍ، سِتَّةَ آلَافٍ، بِسَبَبِ أَنَّهُمَا سُبِيَتَا. قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَقَدْ حَجَبَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَسَمَ لَهُمَا.
قُلْتُ: وَقَدْ بَسَطْنَا الْكَلَامَ فِيمَا تَقَدَّمَ فِي تَزْوِيجِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كُلَّ وَاحِدَةٍ مِنْ هَذِهِ النِّسْوَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُنَّ فِي مَوْضِعِهِ.
قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَقَدْ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَالِيَةَ بِنْتَ ظَبْيَانَ بْنِ عَمْرِو مِنْ بَنِي أَبِي بَكْرِ بْنِ كِلَابٍ، وَدَخَلَ بِهَا، وَطَلَّقَهَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: كَذَا فِي كِتَابِي. وَفِي رِوَايَةِ غَيْرِهِ: وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا فَطَلَّقَهَا.
وَقَدْ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيِّ، حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ بَنِي أَبِي بَكْرِ بْنِ كِلَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَ الْعَالِيَةَ بِنْتَ ظَبْيَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفِ بْنِ كَعْبِ بْنِ عَبْدِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ كِلَابٍ، فَمَكَثَتْ عِنْدَهُ دَهْرًا ثُمَّ طَلَّقَهَا.
পৃষ্ঠা - ৪৩৪৯
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে এ নারীর তথ্য সরবরাহ করেছিলেন যাহহাক ইবন সৃফিয়ান আল
কিলাবী (বা) ৷ আমি তখন পর্দড়ার অম্ভরাল থেকে শুনতে পাচ্ছিলায ৷ সে বলল, উম্মু শাবীবএর
বোনের প্রতি কি আগ্রহ বোধ করবেন ? উম্মু শাবীব হল যাহ হাকণ্ এর শ্ৰী ৷ এ সুত্রেই যুহবী (র)
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বনু আমর ইবন কিলাব এর এক নারীদুক বিবাহ করেছিলেন ৷ পরে
তাকে এ মর্মে অবহিত করা হল যে, তার গায়ে ধবল কুষ্ঠ রয়েছে ৷ তখন তিনি তার সংগে
নিঃভৃ৩ নাম না করেই তাকে তড়ালাক দিয়ে দেন ৷ গ্রন্থকদুরর মতে এ নারী এবং পুর্বোল্লিখিদ্ভ
নারী একই ব্যক্তিত্ব ৷ আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ষ্
বণ্টাকাবী (যুহবী) বলেন, বনুল জাওন আল কিনৃদী কনহ্ব £কও বিবতু বন্ধনে আবদ্ধ
করেছিলেন ৷ এ কিনদীর৷ ছিল বনু ফাযারা-র মিত্র গোত্র ণ্ইন্ংন্ <লাটি নবী করীদ্ সা ) থােক
আল্লাহর স্মরণ প্রার্থনা করলে তিনি বললেন, তুমি এক মহান সত্তার আহুস্ফু ন্ণ্গ্রুছ ব্পাে
তোমার আপন জনের সং গে মিলিত হও ৷ ” এ ভাবে তার সাথে বাসর না করেই তাকে তম্পো
দিয়ে দিলেন ৷
বর্ণনাকারী আদুর৷ বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর মারির৷ নাম্বী একজন বাদী ছিলেন ৷ এ হাড়াদীর
ঘরে তার পুত্র ইবরাহীমের জন্য হয় ৷ কােলের শিশু অবস্থার৩ তীর ইনতিক্যল হয়ে গেল ৷ এছাড়া
রায়হানা বিনত শাম উন নারী তার অন্য এক বাদী ছিলেন ৷ তিনি ছিলেন আহলে কিতাব
(ইয়াহুদী) এবং বনু কুরারজা-র শাখা গোত্র খিনাফা-র যেয়ে ৷ রড়াসুলুল্লাহ (সা) র্তাকে বন্দীতৃ
হতে মুক্তি দিয়েছিলেন ; বর্ণনাকারীদুদর মতে তিনি পর্দানশীল ভুক্ত ছিলেন ৷
হাফিজ ইবন আসাকির (র) আলী ইবন মুজাহিদ (র) সনদে বিওয়ায়ড়াত করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) খাওল৷ বিনতুল হুযারল ইবন হুরায়র৷ আত তাগলিবদুকও পবিণর সুত্রে আবদ্ধ
করেছিলেন ৷ তার মা ছিলেন খারনাক বিনত খালাফা ন্দিহয়৷ বিনত খালীফান্র বোন ৷ সিরিয়া
(নাম) হতে তাকে নবী করীম (সা) এর জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল ৷ পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়ে
গেল ৷ পরে তার খালা শিরাফ বিনত ফুযলা ইবন খালীফা কে তিনি বিবাহ করেন ৷ তাদুকও
সিরিয়া থেকে তার কাছে নিয়ে আসার সময় তিনিও মারা গেলেন ৷ আর ইউনুস ইবন বৃকায়র
(র) ঘুহম্মেদ ইবন ইনহাক থেকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) আসমা বিনত কাব
আল জ ৷ওনীকে বিবাহ করেছিলেন ৷ কিন্তু তার স০ দুগ ৷ভৃনি৩ যান না করেই নবী করীম (সা)
তাকে তালাক দিয়ে দিলেন ৷ অনুরুপ বনু কিলাব ও পরে বনুল ওয়াহীদ এর অন্যতবা নারী
আমরা বিনত যায়দদুক নবী কবীর (সা) বিবাহ করেছিলেন ৷ তার আগেকার স্বামী ছিলেন
ফাযল ইবন আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালির ৷ এ শ্ৰীকেও তিনি সহবাসের আগেই তালাক
দিয়েছিলেন ৷ বায়হাকী (র) বলেছেন, যুহরী (র) নাম নির্দিষ্ট না করে যে দুজনের কথা উল্লেখ
করেছেন এর৷ এ দুজনই ৷ তবে ইবন ইসহাক (র) আলিয়া নারী মহিলার উল্লেখ করেননি ৷
বায়হার্কী (র) বলেন, হাকিম (র) শাবী (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি নলেন,
কয়েকজন নারী নিজেদেরকে রাসুলুল্লাহ (সা) সমীপে হিবা রুপে স্যার্পিত করেছিলেন ৷
তাদের কতদুকর সংদু গতিনি নি৩৩ বাস করেছিলেন এবং অন্য কতককে প্ৰভীক্ষিতা
১ র ওষুল উনুদুফ তার নাম করা হয়েছে আসম৷ বিনদুত নৃমান ৷ সম্পাদকমণ্ডলী
وَقَدْ رَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَبِي مَنِيعٍ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ الضَّحَّاكَ بْنَ سُفْيَانَ الْكِلَابِيَّ هُوَ الَّذِي دَلَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهَا، وَأَنَا أَسْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ لَكَ فِي أُخْتِ أُمِّ شَبِيبٍ؟ وَأُمُّ شَبِيبٍ امْرَأَةُ الضَّحَّاكِ. وَبِهِ قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَتَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةً مِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ كِلَابٍ، فَأُنْبِئَ أَنَّ بِهَا بَيَاضًا، فَطَلَّقَهَا وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا. قُلْتُ: الظَّاهِرُ أَنَّ هَذِهِ هِيَ الَّتِي قَبْلَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ: وَتَزَوَّجَ أُخْتَ بَنِي الْجَوْنِ الْكِنْدِيِّ، وَهُمْ حُلَفَاءُ بَنِي فَزَارَةَ، فَاسْتَعَاذَتْ مِنْهُ، فَقَالَ: «لَقَدْ عُذْتِ بِعَظِيمٍ، الْحَقِي بِأَهْلِكِ» فَطَلَّقَهَا وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا. قَالَ: وَكَانَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُرِّيَّةً يُقَالُ لَهَا مَارِيَةُ. فَوَلَدَتْ لَهُ غُلَامًا اسْمُهُ إِبْرَاهِيمُ، فَتُوُفِّيَ وَقَدْ مَلَأَ الْمَهْدَ. وَكَانَتْ لَهُ وَلِيدَةٌ يُقَالُ لَهَا: رَيْحَانَةُ بِنْتُ شَمْعُونَ، مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ خُنَافَةَ، وَهُمْ بَطْنٌ مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ، أَعْتَقَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَزْعُمُونَ أَنَّهَا قَدِ احْتَجَبَتْ.
وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ بِسَنَدِهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُجَاهِدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَ خَوْلَةَ بِنْتَ الْهُذَيْلِ بْنِ هُبَيْرَةَ التَّغْلِبِيِّ، وَأُمُّهَا خِرْنِقُ بِنْتُ خَلِيفَةَ، أُخْتُ دِحْيَةَ بْنِ خَلِيفَةَ، فَحُمِلَتْ إِلَيْهِ مِنَ الشَّامِ فَمَاتَتْ فِي الطَّرِيقِ، فَتَزَوَّجَ خَالَتَهَا شَرَافَ بِنْتَ فَضَالَةَ بْنِ خَلِيفَةَ، فَحُمِلَتْ إِلَيْهِ مِنَ الشَّامِ فَمَاتَتْ فِي الطَّرِيقِ أَيْضًا.
وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৪৩৫০
تَزَوَّجَ أَسْمَاءَ بِنْتَ كَعْبٍ الْجَوْنِيَّةَ، فَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا حَتَّى طَلَّقَهَا، وَتَزَوَّجَ عَمْرَةَ بِنْتَ يَزِيدَ إِحْدَى نِسَاءِ بَنِي كِلَابٍ ثُمَّ مِنْ بَنِي الْوَحِيدِ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ عِنْدَ الْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَطَلَّقَهَا وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَهَاتَانِ هُمَا اللَّتَانِ ذَكَرَهُمَا الزُّهْرِيُّ، وَلَمْ يُسَمِّهِمَا، إِلَّا أَنَّ ابْنَ إِسْحَاقَ لَمْ يَذْكُرِ الْعَالِيَةَ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَاكِمُ، أَنْبَأَنَا الْأَصَمُّ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، «عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: وَهَبْنَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نِسَاءٌ أَنْفُسَهُنَّ، فَدَخَلَ بِبَعْضِهِنَّ، وَأَرْجَى بَعْضَهُنَّ، فَلَمْ يَقْرَبْهُنَّ حَتَّى تُوُفِّيَ، وَلَمْ يُنْكَحْنَ بَعْدَهُ، مِنْهُنَّ أُمُّ شَرِيكٍ، فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى {تُرْجِي مَنْ تَشَاءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَنْ تَشَاءُ وَمَنِ ابْتَغَيْتَ مِمَّنْ عَزَلْتَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكَ} [الأحزاب: 51] » [الْأَحْزَابِ: 51] قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رُوِّينَا عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَتْ خَوْلَةُ - يَعْنِي بِنْتَ حَكِيمٍ - مِمَّنْ وَهَبْنَ أَنْفُسَهُنَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرُوِّينَا فِي حَدِيثِ أَبِي أُسَيْدٍ السَّاعِدِيِّ فِي قِصَّةِ الْجَوْنِيَّةِ الَّتِي اسْتَعَاذَتْ فَأَلْحَقَهَا بِأَهْلِهَا، أَنَّ اسْمَهَا أُمَيْمَةُ بِنْتُ النُّعْمَانِ بْنِ شَرَاحِيلَ. كَذَا قَالَ.
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الزُّبَيْرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْغَسِيلِ، «عَنْ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ عَنْ أَبِيهِ، وَعَبَّاسُ بْنُ سَهْلٍ عَنْ أَبِيهِ،
পৃষ্ঠা - ৪৩৫১
রেখেছিলেন এবং ওফাত হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তিনি তাদের স০ গে সহবাস করেননি এবং তারাও
পরে অন্য কাউকে বিয়ে করেননি ৷ এদের মাঝে রয়েছেন উম্মু শুরায়ক (রা) ৷ এ প্রসং গেই
আল্লাহর বাণী ,
ত্র১ )ও
“তুমি তাদের মধ্যে যা কে ইচ্ছা তোমার থেকে দুরে রাখতে পায় এবং যাকে ইচ্ছা ৷তােমার
নিকট স্থান দিতে পায় এবং তুমি যাদের দুরে রেখেছ তাদের মধ্যে কা ৷উকে কামনা করলে
তোমার কোন অপরাধ নেই (৩৩ : ৫১) ৷
বায়হাকী (র) বলেন, হিশাম (র) সুত্রে তা ৷র পিতা উরওয়া (র) হতে আমরা রিওয়ায়াত
করেছি যে, খাওলা (বিনত হাকীম) (রা) ও ছিলেন সে না ৷রীপণের অন্যতমা যীরা নিজেদের
রাসুলুল্লাহ (সা) সমীপে সমর্পণ করেছিলেন ৷ বায়হার্কী (র) আরো বলেন, জাওন গােত্রীয় যে
নারী রাসুলুল্লাহ (না) থেকে আত্মরক্ষার জন্য আল্লাহর শরণ নিয়েছিল এবং নবী করীম (স৷ )
তাকে তার পরিবারের সৎভ্রু গযিলিত হতে বলেছিলেন তার ঘটনা প্রসৎ গে বিবৃত আবু রুশায়দ
আস সাইদী (র) বর্ণিত রিওয়ায়াতে আমরা বর্ণনা করেছি যে, তার নাম ছিল উমড়ায়মা বিনতুন
নৃমান ইবন শারাহীল (তার বর্ণনা অনুরুপই) ৷ এ প্রসৎগে ইমাম আহমাদ (র) বলেছেন,
মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আয-যুবায়রী (র)(হাময৷ তার পিতা) আবু উসায়দ (বা) থেকে
এবং (আব্বাস তার পিতা) সাহল (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (না)
এবং তার কতিপয় সাহাবী আমাদের এ দিক দিয়ে যাচ্ছিলেন ৷ আমরাও তার সৎগ নিলাম এবং
আশ শাওত নামের একটি বাগানের দিকে চলতে লাপলাম ৷ আমরা দু’টি বাগান বেষ্টনীর
কাছে পৌছে সে দু’টির মাঝে আমরা বসে পড়লাম ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, তোমরা বসে
থাক ৷ তিনি ভিতরে প্রবেশ করলেন ৷ সেখানে তখন জাওন গোত্রীয়াকে নিয়ে আনা হয়েছিল ৷
উমায়ম৷ বিনতুন নু মান ইবন শা বাহীলের ঘরে তাকে নিভৃত বাসে রাখা হল ৷ তা ৷র সংভ্রু ৷ছিল
তার একজন ধাত্রী (পরিচ৷ রিকা) ৷ রাসুলুল্লাহ (না) তার কাছে গমন করে তাকে বললেন, ষ্ষ্১
গ্রও১ ,৷ তুমি নিজেকে আমার জন্য সমর্পণ করে দাও ৷ সে বলল, কোন বাজকুমারী কি
নিজেকে সাধারণ (বাজারী) লোকের কাছে সমর্পণ করে থাকে? সে আরো বলল, আমি
আপনার করল হতে আল্লাহর স্মরণ প্রার্থনা করছি ৷ নবী করীম (সা) বললেন, তুমি এই শক্ত
আশ্রয় প্রার্থনার যথাযােগ্য সভার আশ্রয় নিয়েছ ৷” তারপর তিনি আমাদের কাছে বের হয়ে
এসে বললেন, ত্যুঃঙ্ টঃএ১ষ্১ ঞওখোএ১ ৷শু$৷ ১ন্ষ্এৰু ৷ষ্৷ ৷; আবু আসীফ তাকে দুটি চাদর
(হুন্মেৰু) পরিধেয় রুপে দিয়ে দাও এবং তাকে তার পরিবারে পাঠিয়ে দাও ৷” (আবু) আহমাদ
(ৰু) ব্যতীত অন্যরা বল্যেছন,বনু জাওন-এর এক নারী, যাকে আযীনা নামে ডাকা হতা
বৃখাৰী (র ) বলেছেন, আবু নুআয়ম (র) আবু আসীফ (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
আমরা রাসুলুল্পাহ (না)-এর সংগে বের হলাম এবং আমরা আশ শাওত নামের একটি বাগানের
মোঃ চলতে থাব্বাম ৷ অবশেষে আমরা দেয়াল বেষ্টিত দু’টি বাগানের কাছে পৌছে সে
দৃঢাি ম্যা বসে পড়লাম ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, তোমরা এখানে বসে থাক ৷ তিনি
ল্ডিং মোঃ ৷ ওদািক জাওন গোত্রীয় নারীকে নিয়ে এসে উমায়মা বিনতুন নুমান ইবন
قَالَا: مَرَّ بِنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابٌ لَهُ، فَخَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى انْطَلَقْنَا إِلَى حَائِطٍ يُقَالُ لَهُ: الشَّوْطُ. حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى حَائِطَيْنِ فَجَلَسْنَا بَيْنَهُمَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اجْلِسُوا ". وَدَخَلَ هُوَ وَقَدْ أُتِيَ بِالْجَوْنِيَّةِ، فَعُزِلَتْ فِي بَيْتِ أُمَيْمَةَ بِنْتِ النُّعْمَانِ بْنِ شَرَاحِيلَ، وَمَعَهَا دَايَةٌ لَهَا، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ " هَبِي لِي نَفْسَكِ " قَالَتْ: وَهَلْ تَهَبُ الْمَلِكَةُ نَفْسَهَا لِلسُّوقَةِ؟ ! وَقَالَتْ: إِنِّي أُعَوِّذُ بِاللَّهِ مِنْكَ. قَالَ: " لَقَدْ عُذْتِ بِمَعَاذٍ " ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ: " يَا أَبَا أُسَيْدٍ اكْسُهَا رَازِقِيَّتَيْنِ، وَأَلْحِقْهَا بِأَهْلِهَا» " وَقَالَ غَيْرُ أَبِي أَحْمَدَ: امْرَأَةٌ مِنْ بَنِي الْجَوْنِ يُقَالُ لَهَا أُمَيْنَةُ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْغَسِيلِ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ، «عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى انْطَلَقْنَا إِلَى حَائِطٍ يُقَالُ لَهُ: الشَّوْطُ. حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى حَائِطَيْنِ جَلَسْنَا بَيْنَهُمَا، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " اجْلِسُوا هَاهُنَا ". فَدَخَلَ وَقَدْ أُتِيَ بِالْجَوْنِيَّةِ، فَأُنْزِلَتْ فِي بَيْتٍ فِي نَخْلٍ فِي بَيْتِ أُمَيْمَةَ بِنْتِ النُّعْمَانِ بْنِ شَرَاحِيلَ، وَمَعَهَا دَايَتُهَا حَاضِنَةٌ لَهَا، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " هَبِي نَفْسَكِ لِي " قَالَتْ: وَهَلْ تَهَبُ الْمَلِكَةُ نَفْسَهَا لِلسُّوقَةِ؟ ! قَالَ: فَأَهْوَى بِيَدِهِ يَضَعُ يَدَهُ عَلَيْهَا لِتَسْكُنَ، فَقَالَتْ: " أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ ". فَقَالَ: قَدْ عُذْتِ بِمَعَاذٍ ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ: " يَا أَبَا أُسَيْدٍ
পৃষ্ঠা - ৪৩৫২
শারাহীলের বাড়ির একটি মহলে অবস্থান করানো হয়েছিল ৷ তার সংগে ছিল তার দাইমা, যে
তাকে লালনপালন করেছিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তার কাছে প্রবেশ করে তাকে বললেন, শ্রো
এএওও ধ্,র্ট তুমি নিজেকে আমার কাছে অর্পণ কর ৷” যে বলল, “ কোন রাজরানী কি নিজেকে
সাধারণ (বড়াজাৰী)-এর কাছে সমর্পিত করতে পারে ? বর্ণনাকারী বলেন, তখন নবী করীম
(সা) তার পায়ে হাত রেখে তার উত্তেজনা প্ৰশমনের উদ্দেশ্যে নিজের হাত তার দিকে প্রসারিত
করলেন ৷ তখন সে বলে উঠল, আমি আপনার করল হতে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৷ নবী
করীম (সা) বললেন, “আশ্রয় প্রার্থনার যথার্থ যেড়াগ্য সত্তার কাছে তুমি আশ্রয় প্রার্থনা করেছ ৷
তারপর আমাদের কাছে বের হয়ে এসে বললেন, “ও আবু আসীফ৷ তাকে দু’খানি (কাতানের
সাদা) কাপড় পরিধেয়রুপে দিয়ে দাও এবং তাকে তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দাও ৷”
ন্বুখারী (র) বলেন, হুসায়ন ইবনুল ওলীদ (র) বলেছেন, সাহল ইবন সাদ ও আবু আসীফ
(বা) থেকে বর্ণিত ৷ তারা বলেন, নবী করীম (সা) উমায়মা বিনত শারাহীলকে বিবাহ করলেন ৷
পরে তিনি তার সংগে নিভৃতে মিলিত হলে নিজের হাত তার দিকে প্রসারিত করলেন ৷
সে যেন ব্যাপারটি অপসন্দ করল ? তখন নবী করীম (সা) তাকে আসবাবপত্র (জাহীয)
এবং দুইখানি রাযিকিয়া ( শ্রু,ব্রদ্বু৷ ; সাদা কাতান) কাপড় দিয়ে দেওয়ার জন্য আবু আসীফ (রা)-
কে হুকুম করলেন ৷ বুখারী (র)-এর পরবর্তী বণ্নািষ্আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র)(আবদুর
রহমান তার পিতা) হামযা (বা) হতে এবং (আব্বাস তার পিতা) সাহল ইবন সাদ (বা)
হতে ঐ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ গ্রন্থ সংকলকবৃন্দের মাঝে বুখরীি (র) একাকী এ সব
রিওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন ৷ বুখারী (র) আরো বলেন, হুমায়দী (র)আওযাঈ (র) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি যুহরী (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী করীম (না)-এর শ্রীগণের
মধ্যে কে তার কবল থেকে আল্লাহর স্মরণ প্রার্থনা করেছিলেন ? তিনি বললেন, উরওয়া (রা)
আইশা (বা) হতে আমাকে অবহিত করেছেন যে, ইবনত্ত্বতুল জাওন (জাওন গোত্রের কন্যা)কে
নবী করীম (সা) এর নিকট নিভৃতে পাঠানো হলে সে বলে উঠল, আমি আপনার হাত হতে
আল্লাহর স্মরণ গ্রহণ করছি ৷ তখন নবী কবীম (সা) বললেন, তুমি এক মহান স্মরণদাতার
স্মরণ গ্রহণ করেছ; নিজ পরিবারের কাছে চলে যাও ৷ হাজ্জাজ ইবন আবু মানী (র)-ও তার
দাদা আইশা (বা) সুত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷
আইশা (বা) বলেন, ঐ পুর্ণ হাদীস ৷ এ রিওয়ায়াত একাকী মুসলিম (র)-এর ৷
বায়হাকী (র) বলেন, ইবন মানদাহ (র)-এর কিতাবুল মারিদা: আমি অধ্যয়ন করেছি যে,
নবী করীম (সা) হতে স্মরণ গ্রহণ কারিণী নহিলাটির নাম ছিল উমায়মা বিনতুন নুমান ইবন
শারাহীল ৷ অন্য কথিত সুত্রে ফাতিমা বিনতুয যাহহাক ৷ তবে উমায়মা হওয়াই সঠিক ৷ আল্লাহ্
সম্যক অবগত ৷ বর্ণনাকারীগণ বলেছেন যে, কিলাব গোত্রের ত্রীর নাম ছিল আমৃরড়া ৷ তার
পিতা তার সম্বন্ধে এ বিবরণ দিয়েছেন যে, সে কখনো বোগাক্রাম্ভ হয়নি ৷ এতে রাসুলুল্লাহ (সা)
তার প্রতি অনাগ্নহী হলেন না ৷ আর মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ (র) সুত্রে
যুহবী (র) থেকে রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, এ স্তীই হল ফাতিমা বিনতুন যাহ্-হাক
ইবন সুফিয়ড়ান, সে রাসুল (সা) হতে আল্লাহর পানড়াহ গ্রহণ করলে তিনি তাকে তালাক দিয়ে
দিলেন ৷ পরবর্তী সময় সে উটের লেদ কুড়াতাে এবং বলতে থাকতো-আমি দৃভাপা নারী ৷
اكْسُهَا رَازِقِيَّتَيْنِ، وَأَلْحِقْهَا بِأَهْلِهَا» .
قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ الْحُسَيْنُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْغَسِيلِ، عَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ وَأَبِي أُسَيْدٍ، قَالَا: «تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَيْمَةَ بِنْتَ شَرَاحِيلَ، فَلَمَّا أُدْخِلَتْ عَلَيْهِ بَسَطَ يَدَهُ إِلَيْهَا، فَكَأَنَّهَا كَرِهَتْ ذَلِكَ، فَأَمَرَ أَبَا أُسَيْدٍ أَنْ يُجَهِّزَهَا وَيَكْسُوَهَا ثَوْبَيْنِ رَازِقِيَّيْنِ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَمْزَةَ، عَنْ أَبِيهِ، وَعَنْ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ بِهَذَا. انْفَرَدَ الْبُخَارِيُّ بِهَذِهِ الرِّوَايَاتِ مِنْ بَيْنِ أَصْحَابِ الْكُتُبِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا الْوَلِيدُ، ثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، سَأَلْتُ الزُّهْرِيَّ: أَيُّ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَعَاذَتْ مِنْهُ؟ فَقَالَ: أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، «عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ ابْنَةَ الْجَوْنِ لَمَّا أُدْخِلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ. فَقَالَ " لَقَدْ عُذْتِ بِعَظِيمٍ، الْحَقِي بِأَهْلِكَ» " وَقَالَ: وَرَوَاهُ حَجَّاجُ بْنُ أَبِي مَنِيعٍ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ عُرْوَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ. . . انْفَرَدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ.
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَأَيْتُ فِي كِتَابِ " الْمَعْرِفَةِ " لِابْنِ مَنْدَهْ، أَنَّ اسْمَ الَّتِي اسْتَعَاذَتْ مِنْهُ أُمَيْمَةُ بِنْتُ النُّعْمَانِ بْنِ شَرَاحِيلَ، وَيُقَالُ: فَاطِمَةُ بِنْتُ الضَّحَّاكِ.
পৃষ্ঠা - ৪৩৫৩
وَالصَّحِيحُ أَنَّهَا أُمَيْمَةُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، وَزَعَمُوا أَنَّ الْكِلَابِيَّةَ اسْمُهَا عَمْرَةُ، وَهِيَ الَّتِي وَصَفَهَا أَبُوهَا بِأَنَّهَا لَمْ تَمْرَضْ قَطُّ، فَرَغِبَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَدْ رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: هِيَ فَاطِمَةُ بِنْتُ الضَّحَّاكِ بْنِ سُفْيَانَ، اسْتَعَاذَتْ مِنْهُ فَطَلَّقَهَا، فَكَانَتْ تَلْقُطُ الْبَعْرَ وَتَقُولُ: أَنَا الشَّقِيَّةُ. قَالَ: وَتَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ سَنَةَ ثَمَانٍ، وَمَاتَتْ سَنَةَ سِتِّينَ.
وَذَكَرَ يُونُسُ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ فِيمَنْ تَزَوَّجَهَا عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا، أَسْمَاءَ بِنْتَ كَعْبٍ الْجَوْنَيَّةَ، وَعَمْرَةَ بِنْتَ يَزِيدَ الْكِلَابِيَّةَ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَقَتَادَةُ: أَسْمَاءُ بِنْتُ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي الْجَوْنِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: لَمَّا اسْتَعَاذَتْ مِنْهُ خَرَجَ مِنْ عِنْدِهَا مُغْضَبًا، فَقَالَ لَهُ الْأَشْعَثُ: لَا يَسُؤْكَ ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَعِنْدِي أَجْمَلُ مِنْهَا. فَزَوَّجَهُ أُخْتَهُ قُتَيْلَةُ. وَقَالَ غَيْرُهُ: كَانَ ذَلِكَ فِي رَبِيعٍ سَنَةَ تِسْعٍ.
وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسَ عَشْرَةَ امْرَأَةً. فَذَكَرَ مِنْهُنَّ أُمَّ شَرِيكٍ الْأَنْصَارِيَّةَ النَّجَّارِيَّةَ، قَالَ: وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «: " إِنِّي لَأُحِبُّ أَنْ أَتَزَوَّجَ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَلَكِنِّي أَكْرَهُ غَيْرَتَهُنَّ» وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا. قَالَ: وَتَزَوَّجَ أَسْمَاءَ بِنْتَ الصَّلْتِ مِنْ بَنِي حَرَامٍ، ثُمَّ مِنْ بَنِي
পৃষ্ঠা - ৪৩৫৪
বর্ণনাকারী বলেন, নবী করীম (সা) তাকে বিয়ে করেছিলেন আট হিজরীর যিলকদ নামে, আর
তার মৃত্যু হয়েছিল ষাট হিজরীতে ৷ নবী করীম (সা) যাদের বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু তাদের
সংগে সহবাস করেননি, এ তালিকায় ইবন ইসহাক (র) হতে ইউনুস (র) উল্লেখ করেছেন,
আসমা বিনত কাব জাওনী ও আমৃরা বিনত ইয়াযীদ কিলাবীকে ৷ তবে ইবন আব্বাস (বা) ও
কাতাদা (র) বলেছেন, আসমা বিনভুন নুমান ইবন আবুল জাওন ৷ আল্লাহই সর্বাধিক অবগত ৷
ইবন আব্বাস (বা) বলেন, যে নবী কবীম (না) হতে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করলে তিনি
রুষ্ট হয়ে তার নিকট থেকে বেরিয়ে আসলে আশআছ (রা) তাকে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহা
আপনি এতে দুঃখিত হবেন না ৷ আমার কাছে তার চেয়ে সুন্দরী গুণবতী রয়েছে ৷ পরে তিনি
নিজের বোন কাভীলাকে তার সংগে বিয়ে দিলেন ৷ অন্যান্য বর্ণনা মতে এটি ছিল নবম হিজরীর
রাবী (আউয়ালছানী) মাসের ঘটনা ৷
সাঈদ ইবন আবু আরুবা (র) বলেন, কড়াতাদা (র) থেকে, রাসুলুল্লাহ (সা) পরের জন
মহিলাকে পরিণয় বন্ধনে আবদ্ধ করেছিলেন ৷ তিনি এদের মাঝে নত্ত্বজ্জার গোত্রের আনসারী
মহিলা উম্মু শুরায় (রা)-কেও উল্লেখ করেছেন ৷ সাঈদ (র) আরো বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছিলেন, “আনসড়ারীদের মাঝে বিয়ে করা আমার পসন্দনীয় ৷ কিন্তু আমি তাদের টনটনে
আত্মমর্ষাদা বোধ পসন্দ করিনা ৷ রাসুল (সা) উম্মু শুরায়ক (রা)এর সংগেও নিভৃত বাস
করেননি ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, তিনি বনু হারাস ও পরে বনু সুলায়ম গোত্রীয় আসমা বিনতুস
সালতকেও বিয়ে করেছিলেন এবং তার সংগেও নিভৃত বাস করেন নি ৷ আর হামযা বিনতুল
হারিছ আল মুযানীকে তিনি পয়পাম পাঠিয়েছিলেন ৷
হাকিম আবু অবদুল্লাহ নিশাপুবী (র) বলেন, আবু উবায়দা মামার ইবনুল ঘুছান্না (র)
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) আঠার জন নারীকে বিয়ে করেছিলেন ৷ এ বর্ণনায় তিনি আশআছ
ইবন কায়স-এর বোন কাভীলা বিনত কায়স (রা)কেও এ সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত করেছেন ৷ এ
বিষয়ে কেউ কেউ বলেছেন, নবী করীম (সা) তার ওফাতের দুই মাস আগে তাকে বিয়ে
করেছিলেন ৷ অন্য অনেকের মতে এ বিয়ে হয়েছিল নবী করীম (না)-এর ওফাত পুর্ববর্তী
অসুস্থতাকালে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তাই, তাকে নবী করীম (না)-এর কাছে নিয়ে আসা হয়নি
এবং তিনি তাকে দেখেনও নি বা তার সংগে বাসরও করেননি ৷ বর্ণনাকাবী বলেন, অন্য
অনেকে এ কথাও বলেছেন যে, নবী করীম (সা) এ মর্মে ওসীয়ত করে গিয়েছিলেন যে,
কাতীলাংক এ খতিয়ার দেওয়া হবে ৷ সুতরাং সে ইচ্ছা করলে তার জন্য নবী পত্নীসুলভ পর্দায়
হুকুম সাব্যম্ভ হবে এবং মু’মিনদের জন্য তাকে বিয়ে করা হারাম হবে ৷ আর ইচ্ছা করলে সে
যাকে পসন্দ বিয়ে করতে পারবে ৷ পরে সে বিয়ে করা ইথতিয়ার করলে ইকরিমা ইবন আবু
জাহ্ল হাযরামাওতে তাকে বিয়ে করলেন ৷ আবু বকর (না)-এর কাছে এ খবর পৌছলে তিনি
বললেন, আমি তাদের দুজনকে ভশ্মীভুত করে দেয়ার সংকল্প করেছি ৷ তখন উমর ইবনুল
খাত্তাব (বা) বললেন, সে তো উম্মুল মুমিনীনগণের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং নবী কবীম (সা) তার
ৎগে নিভৃত বড়াসও করেন নি ৷ তাকে পর্দার অম্ভরালও করেন নি ৷ তবে আবু উবায়দা (র)
বলেছেন, কেউ কেউ বলেছেন, রাসুলুল্পাহ (না) তার ব্যাপারে কোন ওসীয়ত করে যান নি ৷
নবী করীম (সা)-এর ইন্তিকালের পর সে ধর্ম ত্যাগ করেছিল ৷ তার এ ধর্ম ত্যাগের যুক্তিতে
৫০ শে)
سُلَيْمٍ، وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا، وَخَطَبَ جَمْرَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ الْمُزَنِيَّةَ.
وَقَالَ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ النَّيْسَابُورِيُّ: وَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ مَعْمَرُ بْنُ الْمُثَنَّى: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ امْرَأَةً. فَذَكَرَ مِنْهُنَّ قُتَيْلَةَ بِنْتَ قَيْسٍ أُخْتَ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ، فَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّهُ تَزَوَّجَهَا قَبْلَ وَفَاتِهِ بِشَهْرَيْنِ، وَزَعَمَ آخَرُونَ أَنَّهُ تَزَوَّجَهَا فِي مَرَضِهِ. قَالَ: وَلَمْ تَكُنْ قَدِمَتْ عَلَيْهِ وَلَا رَآهَا وَلَا دَخَلَ بِهَا. قَالَ: وَزَعَمَ آخَرُونَ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَوْصَى أَنْ تُخَيَّرَ قُتَيْلَةُ، فَإِنْ شَاءَتْ يَضْرِبُ عَلَيْهَا الْحِجَابَ، وَتُحَرَّمُ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ، وَإِنْ شَاءَتْ، فَلْتَنْكِحْ مَنْ شَاءَتْ، فَاخْتَارَتِ النِّكَاحَ، فَتَزَوَّجَهَا عِكْرِمَةُ بْنُ أَبِي جَهْلٍ بِحَضْرَمَوْتَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ أَبَا بَكْرٍ، فَقَالَ: لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ أُحَرِّقَ عَلَيْهِمَا. فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: مَا هِيَ مِنْ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ، وَلَا دَخَلَ بِهَا، وَلَا ضَرَبَ عَلَيْهَا الْحِجَابَ. قَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ: وَزَعَمَ بَعْضُهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُوصِ فِيهَا بِشَيْءٍ، وَأَنَّهَا ارْتَدَّتْ بَعْدَهُ، فَاحْتَجَّ عُمَرُ عَلَى أَبِي بَكْرٍ بِارْتِدَادِهَا ; أَنَّهَا لَيْسَتْ مِنْ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ. وَذَكَرَ ابْنُ مَنْدَهْ أَنَّ الَّتِي ارْتَدَّتْ هِيَ الْبَرْصَاءُ مِنْ بَنِي عَوْفِ بْنِ سَعْدِ بْنِ ذُبْيَانَ.
وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَ قُتَيْلَةَ أُخْتَ الْأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ، فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يُخَيِّرَهَا، فَبَرَّأَهَا اللَّهُ مِنْهُ.
وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّ عِكْرِمَةَ
পৃষ্ঠা - ৪৩৫৫
উমর (রা) আবু বকর (না)-এর কাছে প্রমাণ উপস্থাপন করেছিলেন যে, সে উম্মুল
মুমিনীনগণের অন্তর্ভুক্ত নন ৷ ইবন মড়ানদা (র) উল্লেখ করেছেন যে, ধর্মত্যাপকারিণী হল বনু
আওফ ইবন সাদ ইবন যুবয়ড়ান-এর বারহা নান্নী নারী ৷ হাফিয ইবন আসাকির (র) দাউদ
ইবন আবু হিনদ (র) ইবন আব্বাস (বা) সনদের বিভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) আশআছ ইবন কারন-এর বোন কাভীলাকে বিবাহ করেছিলেন এবং তাকে
ইখতিয়ার প্রদানের আগেই ওফাত বরণ করেছিলেন ৷ ফলে আল্লাহ তাকে নবী করীম (সা)-এর
ৎগে সম্বন্ধমুক্ত রাখলেন ৷ হাম্মাদ ইবন সালাম৷ (র) রিওয়ায়াত করেছেন দাউদ ইবন আবু
হিনদ (র) সুত্রে, শাবী (র) থেকেএ মর্মে যে, ইকরিমা ইবন আবু জাহল কাভীলাকে বিয়ে
করলে আবু বকর (বা) তার গর্দান উড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করলেন ৷ তখন উমর (বা) তার
কাছে পাল্টা অভিমত ব্যক্ত করে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তার সংগে নিভৃত বাস করেন নি :
আর সে তো তার ভাইয়ের সংগে ধর্মত্যাগ করেছে ৷ ফলে সে আল্লাহ এবং তার রাসুল (সা)-
এর সংগে সম্বন্ধহীন হয়ে গেল ৷ আবু বকর (রা) নিবৃত্ত না হওয়া পর্যন্ত উমর (বা) এ ব্যাপারে
তার সংগে লেগে থাকলেন ৷
হাকিম (র) বলেছেন, আবু উবায়দা (র) নবীপত্নী তালিকায় ফাতিমড়া বিনত শুরায়হ ও
সারা বিনতু আসমড়া ইবনুস সালত আন সুলামী (বা) এর নামও যুক্ত করেছেন ৷ ইবন আসাকির
(র) কড়াতাদ৷ সুত্রে অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) ও ইবনুল কালবী
(র) থেকে অনুরুপ বলেছেন, ইবন সাদ (র) বলেছেন, তার নাম সাবা’ ৷ ইবন আসাকির (র)
বলেছেন, তার নাম সাবা’ বিনতুস সাল্ত ইবন হাবিব ইবন হারিছা ইবন হিলাল ইবন হারাম
ইবন সিমড়াক ইবন আওফ আসৃ সুলামী বলেও অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷ ইবন সাদ (র)
বলেন, হিশাম ইবন মুহাম্মদ ইবনুস সাইব আল কালৰী (র)ইবন উমর (রা) থেকে বংনাি
করেন ৷ তিনি বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এর ৰিবিগণের মধ্যে সাবা’ বিনত সুফিয়ান ইবন
আওফ ইবন কাব ইবন আবু বকর ইবন কিলাবও ছিলেন ৷ ইবন উমর (বা) আরো বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) আবু আসীফ (রা)-কে পাঠালেন বনু আমির এর আমরা: বিনত ইয়াযীদ (ইবন
উবায়দা ইবন কিলাব)-কে বিবাহের পয়গাম দেওয়ার জন্য ৷ পরে তাকে বিয়ে করার পর তিনি
অবগত হলেন যে, এ নারীর ধবল’ (কুষ্ঠ) রোগ রয়েছে ৷ তখন তিনি তাকে তালাক দিলেন ৷
মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) ওয়াকিদী (র) সুত্রে আবু মাশার থেকেও বংনাি করেছেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) মুলায়কা বিনত কাব (রা)-কেও বিবাহ করেছিলেন ৷ মুলায়কা-র
অতুলনীয় রুপ সৌন্দর্যের খ্যাতি ছিল ৷ তখন আইশা (বা) তার কাছে গিয়ে বললেন, ভেলোঃা
পিতৃহন্তাকে তোমার বিয়ে করতে লজ্জাবােধ হচ্ছে না ? তখন সে নবী করীম (না ) থেকে
আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করলে নবী করীম (সা) তাকে তালাক দিয়ে দিলেন ৰু ত ন তার
গোত্রের লোকেরা এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তার বয়স কম এবং এখনো তার সৃবুদ্ধি হয়নি ৷
তাছাড়া ভুল তথ্যের স্বীকার হয়েছে, সুতরাং তাকে ফিরিয়ে নিন ৷
তখন তারা তাকে বনু আযরায় তার এক নিকট আত্মীয়ের সংগে বিংৱ দিতে চাইলে নবী
করীম (সা) তাদের অনুমতি দিয়ে দিলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, মত্বা ৰিজঃ অভিযানে খালিদ
ইবনুল ওলীদ (বা) তার পিতাকে হত্যা করেছিলেন ৷ ওয়াকিদী (র) ৰুলন আবদুল আযীয
بْنَ أَبِي جَهْلٍ لَمَّا تَزَوَّجَ قُتَيْلَةَ أَرَادَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَضْرِبَ عُنُقَهُ، فَرَاجَعَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَدْخُلْ بِهَا، وَإِنَّهَا ارْتَدَّتْ مَعَ أَخِيهَا، فَبَرِئَتْ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى كَفَّ عَنْهُ.
قَالَ الْحَاكِمُ: وَزَادَ أَبُو عُبَيْدَةَ فِي الْعَدَدِ فَاطِمَةَ بِنْتَ شُرَيْحٍ، وَسَنَا بِنْتَ أَسْمَاءَ بْنِ الصَّلْتِ السُّلَمِيَّةُ. هَكَذَا رَوَى ذَلِكَ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ مَنْدَهْ بِسَنَدِهِ، عَنْ قَتَادَةَ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ الْكَلْبِيِّ مِثْلَ ذَلِكَ. قَالَ ابْنُ سَعْدٍ: وَهِيَ سَبَا.
قَالَ ابْنُ عَسَاكِرَ: وَيُقَالُ سَنَا بِنْتُ الصَّلْتِ بْنِ حَبِيبِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ هِلَالِ بْنِ حَرَامِ بْنِ سِمَاكِ بْنِ عَوْفٍ السُّلَمِيِّ.
قَالَ ابْنُ سَعْدٍ: أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّائِبِ الْكَلْبِيُّ، حَدَّثَنِي الْعَرْزَمِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «كَانَ فِي نِسَاءِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَنَا بِنْتُ سُفْيَانَ بْنِ عَوْفِ بْنِ كَعْبِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ كِلَابٍ.
» وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ أَبَا أُسَيْدٍ يَخْطُبُ عَلَيْهِ امْرَأَةً مِنْ بَنِي عَامِرٍ يُقَالُ لَهَا: عَمْرَةُ بِنْتُ يَزِيدَ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ كِلَابٍ، فَتَزَوَّجَهَا، فَبَلَغَهُ أَنَّ بِهَا بَيَاضًا فَطَلَّقَهَا» .
পৃষ্ঠা - ৪৩৫৬
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الْوَاقِدِيِّ، حَدَّثَنِي أَبُو مَعْشَرٍ قَالَ: «تَزَوَّجَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُلَيْكَةَ بِنْتِ كَعْبٍ، وَكَانَتْ تُذْكَرُ بِجَمَالٍ بَارِعٍ. فَدَخَلَتْ عَلَيْهَا عَائِشَةُ، فَقَالَتْ: أَلَا تَسْتَحِينَ أَنْ تَنْكِحِي قَاتِلَ أَبِيكِ؟ فَاسْتَعَاذَتْ مِنْهُ فَطَلَّقَهَا، فَجَاءَ قَوْمُهَا فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهَا صَغِيرَةٌ وَلَا رَأْيَ لَهَا، وَإِنَّهَا خُدِعَتْ، فَارْتَجِعْهَا، فَأَبَى، فَاسْتَأْذَنُوهُ أَنْ يُزَوِّجُوهَا بِقَرِيبٍ لَهَا مِنْ بَنِي عُذْرَةَ، فَأَذِنَ لَهُمْ» . قَالَ: وَكَانَ أَبُوهَا قَدْ قَتَلَهُ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ يَوْمَ الْفَتْحِ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ الْجُنْدَعِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: دَخَلَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ، وَمَاتَتْ عِنْدَهُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَأَصْحَابُنَا يُنْكِرُونَ ذَلِكَ.
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ ابْنُ عَسَاكِرَ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْفَتْحِ يُوسُفُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْمَاهَانِيُّ، أَنْبَأَنَا شُجَاعُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ شُجَاعٍ، أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَنْدَهْ، أَنْبَأَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَلِيمٍ الْمَرْوَزِيُّ، ثَنَا أَبُو الْمُوَجِّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْمُوَجِّهِ الْفَزَارِيُّ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَنْبَأَنَا يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ قَالَ: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَدِيجَةَ بِنْتَ خُوَيْلِدِ بْنِ أَسَدٍ بِمَكَّةَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ عَتِيقِ بْنِ عَائِذٍ الْمَخْزُومِيِّ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بِمَكَّةَ عَائِشَةَ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بِالْمَدِينَةِ حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ خُنَيْسِ بْنِ حُذَافَةَ السَّهْمِيِّ، ثُمَّ تَزَوَّجَ سَوْدَةَ بِنْتَ زَمْعَةَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ
পৃষ্ঠা - ৪৩৫৭
আল জুনদা ঈ (র)৩ তার পিতা সুত্রে আতা’ ইবন আযীদ (র) থেকে আমাকে শুনিয়েছেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) মুলায়কা: এর স গে অষ্টম হিজবীর বমযানে বাসর করেন এবং নবী কবীম
(সা) এর নিকটে থাকা কালেই তিনি ইন্তিকাল করেন ৷ ওয়া ৷কিদী (র) মন্তব্য করেছেন যে,
আমাদের সহযোগী (গ্রন্থকার ও সৎকলকবৃন্দ) এ বর্ণনা প্রত্যাখ্যান করেছেন ৷
ইবন আসাকির (র) বলেন, আবুল ফাতাহ ইউসুফ ইবন আবদুল ওয়াহিদ আল মাহানী
(র) ইবন শিহাব যুহরী (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) খাদীজা
বিনত থুওয়ায়লিদ ইবন আসাদ (রা) এর পাণি গ্রহণ করেন মক্কায় ৷ ইতোপুর্বে তিনি ছিলেন
আভীক ইবন আ ৷ইয মাখষুমীর দ্রী ৷৩ তারপর নবী কবীম (সা) মক্বায়ই আ ৷ইশা বিনত আবু বকর
(রা) কে বিয়ে করেন ৷ এরপরে তিনি শ্ৰীরুপে০ গ্রহণ করেন হাফস৷ বিনত উমর (রা) কে
মদীনায় ৷ এর আগে তার স্বামী ছিলেন থুনায়স ইবন হুযাফা আর সাহসী ৷ তার পরবর্তী
স্তীরুপে আসেন সাওদা বিনত যামআ; যিনি ইতোপুর্বে ছিলেন বনু আমির ইবন ল, আয় এর
সদস্য সাকারান ইবন আমর এর ত্রী ৷৩ তারপর তিনি পাণিগ্রহণ করেন উম্মু হাবীব৷ বিনত আবু
সুফিয়ান (রা)-এর; যার পুর্বেকার স্বামী ছিল বনু খুযায়মার উবায়দুল্লাহ ইবন জাহশ আল
আসাদী ৷ তারপর তিনি স্তীরুপে গ্রহণ করেন উন্মু সালাম৷ বিনত আবু উমায়্যা (রা) কে; তার
নাম ছিল হিনদ এবং তার আগেকার স্বামী ছিলেন আবু সালাম৷ আবদুল্লাহ (বা) ইবন আবদুল
আসাদ ইবন আবদুল উযয৷ ৷ এরপরে তার সহধর্মিণী মর্যাদার ভুষিত হন যায়নাব বিনত
থুযায়মা আল হিলালী ৷ এছাড়া তিনি যাদের সংগে পরিণয় সুত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন তাদের
মধ্যে রয়েছেন বনু বাকর ইবন আমর ইবন কিলাব গোত্রের আলিয়া বিনত জাবয়ান ৷ তিনি
আরো বিবাহ করেন কিনদার অন্তর্গত বনু জাওন-এর জনৈক নাৰীকে ৷ এছাড়াও তিনি যুদ্ধবন্দী
বাদীরুপে০ গ্রহণ করেন জুওয়ায়বিয়া বিনতুল হারিছ ইবন আবু যিরার-মুসত ৷লাকী থুয৷ ৷ঈকে;
মুরায়সী অভিযানে ৷ যে অভিযানে মানাত’ প্রর্তীম৷ ধ্ব০ স করা হয়েছিল এবং বনু নামীয়-এর
সাফিয়্যা বিনত হুয়ায় ইবন আখঃতাবকে ৷ এ দুজন ছিলেন সমরাভিযানক৷ ৷লে ফায় রুপে প্রাপ্ত,
র্ষারা বণ্টনে নবী কবীম (না)-এর হিসৃসায় পড়েছিলেন ৷ এ ছাড়া বীদীরুপে তিনি গ্রহণ
করেছিলেন মারিয়া কিবতিয়া (বা) কে, হার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন নবী পুত্র ইবরাহীম
(রা) এবং বনু কুরায়জার বায়হানকে ৷ পরে তাকে আযাদ করে দিলে তিনি তার স্বজনদের
কাছে চলে যান এবং স্বজনদের কাছেই তিনি য বশিক৷ র অওরাণে অ ব হ৷ ন করেন ৷ রাসুপুগ্লাহ্
(সা) আলিয়া বিনত জাবয়ানকে তালাক দিয়ে দেন ৷ আমর ইবন কিলাব গোত্রীয় শ্ৰীকে এবং
কিনদী জা ওন গোত্রের শ্ৰীকেও তার ধবল কুষ্ঠের কারণে বিচ্ছিন্ন করে দেন ৷ আর বাসুলুল্লাহ
(সা)-এর জীবদ্দশায়ই যায়নাব বিনত থুযায়ম৷ হিলালী (বা) ইস্তিক৷ ৷ল করেন ৷ আমরা এ তথ্য
অবগত হয়েছি যে, তা ৷লাক প্রাপ্তা আলিয়া বিনত যাবয়ান নবী পত্নীদের পুন৪ বিবাহ হারাম
ঘোষিত হওয়ার আগেই অন্যত্র বিবাহ করেছিলেন ৷ স্বগােত্রে তার এক জ্ঞাতি ভাইয়ের সং গে
তার বিবাহ হয়েছিল এবং এ ঘরে তাদের সত্তান-সন্ততি জন্ম নেয় ৷ এ হাদীসটি আমরা
সনদযুক্ত রুপে বর্ণনা করলাম এ কারণে যে, এতে সাওদা (রা)-এব বিবাহ মদীনায় হওয়ার
অসমর্থিত ও বিরল বর্ণনা রয়েছে ৷ বিশুদ্ধ কথা হল, তার বিবাহ হিজরাতের পুর্বে মক্কায়ই
অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৷ যেমনটি আমরা পুর্বেই বলে এসেছি ৷ আল্লাহ সর্বাধিক অবগত ৷
(হ্রাশ্রোা€র্নো০ ওো৷া
السَّكْرَانِ بْنِ عَمْرٍو، أَخِي بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ، ثُمَّ تَزَوَّجَ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ الْأَسَدِيِّ، أَحَدِ بَنِي خُزَيْمَةَ، ثُمَّ تَزَوَّجَ أُمَّ سَلَمَةَ بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ، وَكَانَ اسْمُهَا هِنْدَ، وَكَانَتْ قَبْلَهُ تَحْتَ أَبِي سَلَمَةَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى ثُمَّ تَزَوَّجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَيْنَبَ بِنْتَ خُزَيْمَةَ الْهِلَالِيَّةَ، وَتَزَوَّجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَالِيَةَ بِنْتَ ظَبْيَانَ، مِنْ بَنِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ كِلَابٍ، وَتَزَوَّجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةً مِنْ بَنِي الْجَوْنِ مِنْ كِنْدَةَ، وَسَبَى جُوَيْرِيَةَ - فِي الْغَزْوَةِ الَّتِي هَدَمَ فِيهَا مَنَاةَ غَزْوَةِ الْمُرَيْسِيعِ - ابْنَةَ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ، وَسَبَى صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ مِنْ بَنِي النَّضِيرِ، وَكَانَتَا مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ فَقَسَمَ لَهُمَا، وَاسْتَسَرَّ مَارِيَةَ جَارِيَتَهُ الْقِبْطِيَّةَ، فَوَلَدَتْ لَهُ إِبْرَاهِيمَ، وَاسْتَسَرَّ رَيْحَانَةَ مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ، ثُمَّ أَعْتَقَهَا فَلَحِقَتْ بِأَهْلِهَا، وَاحْتَجَبَتْ وَهِيَ عِنْدَ أَهْلِهَا، وَطَلَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَالِيَةَ بِنْتَ ظَبْيَانَ، وَفَارَقَ أُخْتَ بَنِي عَمْرِو بْنِ كِلَابٍ، وَفَارَقَ أُخْتَ بَنِي الْجَوْنِ الْكِنْدِيَّةَ مِنْ أَجْلِ بَيَاضٍ كَانَ بِهَا، وَتُوُفِّيَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ خُزَيْمَةَ الْهِلَالِيَّةُ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيٌّ، وَبَلَغَنَا أَنَّ الْعَالِيَةَ بِنْتَ ظَبْيَانَ الَّتِي طُلِّقَتْ تَزَوَّجَتْ قَبْلَ أَنْ يُحَرِّمَ اللَّهُ النِّسَاءَ، فَنَكَحَتِ ابْنَ عَمٍّ لَهَا مِنْ قَوْمِهَا، وَوَلَدَتْ فِيهِمْ. سُقْنَاهُ بِالسَّنَدِ لِغَرَابَةِ مَا فِيهِ مِنْ ذِكْرِهِ تَزْوِيجَ سَوْدَةَ بِالْمَدِينَةِ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ كَانَ بِمَكَّةَ قَبْلَ الْهِجْرَةِ، كَمَا قَدَّمْنَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: فَمَاتَتْ خَدِيجَةُ بِنْتُ
পৃষ্ঠা - ৪৩৫৮
ইউনুস ইবন বুকায়র (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) হতে উদ্ধৃত করে রাসুলুল্লাহ
(সা) মদীনায় হিজরাত করার তিন বছর আগে খাদীজা (রা) বিনত খুওয়ায়লিদ ইন্তিকাল
করেন ৷ তার মৃত্যু পর্যন্ত এবং একই বছরে চাচা আবু তালিবের মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত নবী করীম
(সা) অন্য কোন নারীর পাগিংাহণ করেন নি ৷ খাদীজা (রা)-এর পরে রাসুলুল্লাহ (সা) সাওদা
বিনত যামআ (রা)-কে ত্রীরুগে গ্রহণ করেন ৷ সাওদা (রা)-র পরে ত্রীর মর্যাদার ভুষিত করেন
আইশা বিনত আবু বকর (রা)-কে ৷ তার ত্রীগণের মধ্যে একমাত্র ইনিই ছিলেন কুমারী ৷
আইশা (রা) এর পরে নবী পত্নী হওয়ার মর্যাদা লাভ করেন হাফসা বিনত উমর (রা) ৷ হাফসা
(রা)-এর পরে এ মর্যাদায় আসীন হলেন উন্মুল মড়াসার্কীন (নিঃস্বদের যা) যায়নাব বিনত
খুযায়মা হিলালী (বা) ৷
তারপরে নবী সহধর্মিণী হলেন উম্মু হাবীবা বিনত আবু সুফিয়ান (রা) ৷ তারপরে তিনি দ্রীর
মর্যাদা দিলেন উম্মু সালামা হিন্দ বিনত আবু উমায়্যা (রা)-ণ্ক ৷ নবীপত্নী তালিকায় পরবর্তী
স্থান পেলেন যায়নাব বিনত জাহাশ (রা) ৷ পরবর্তীতে তিনি স্তীরুপে গ্রহণ করলেন জুওয়ায়রিয়া
বিনতুল হড়ারিছ ইবন আবু যিরার-কে ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, জুওয়ায়রিয়া (রা)-এর পরে তিনি
বিবাহ করলেন সাফিয়্যা বিনত হুয়ায় ইবন আখতড়াবকে এবং পরবর্তী বিবাহ হয় মড়ায়মুনা
বিনতুল হড়ারিছ হিলালী (রা)-এর সংগে ৷ যুহরী (র) উপস্থাপিত ক্রমবিন্যাসের তুলনায় এ
ক্রমৰিন্যালটি অধিকতর সুষম ও সমন্বিত ৷ আল্লাহই সৰ্বাধিক অবগত ৷
ইউনুস ইবন বুকায়র (র) আরো বলেন, আবু ইয়াহয়া (র)সাহল ইবন যায়দ আনসারী
(যা) থেকে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) গিফার গোত্রের এক নারীকে বিবাহ করেছিলেন ৷
তার সংগে নিভৃত বাসের সময় তার বসন অনাবৃত করলে তার স্তনের কাছে শ্বেত কুষ্ঠ জনিত
সাদা বর্ণ দেখতে পেলেন ৷ ফলে রাসুলুল্লাহ (না) একটু সংকোচ বোধ করে সরে গেলেন এবং
বললেন, এ ;প্রুট্ট এে১-ষ্ “তোমার বসন গুছিয়ে নাও ৷ ” পরে সকাল হলে তাকে বললেন, শুএ১এ
এ্যাপ্রু তোমার আপনজনদের কাছে চলে যাও ৷ তখন তিনি তাকে পুর্ণ মোহরানা দিয়ে দিলেন ৷
আবু নৃআয়ম (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন হড়ামীল ইবন যায়দ (র)-এর বরাতে ৷
সাহ্ল ইবন যায়দ আনসাৰী (রা) থেকে ৷ ইনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর দর্শন লাভে তাগ্যবান
সাহাবী ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) গিফার গোত্রের জনৈকা মহিলাকে বিবাহ
করেছিলেন ৷ পুবানুরুপ বিবরণ উল্লেখ করেছেন ৷
গ্রস্থুকারের মন্তব্য : এবং নবী করীম (সা) বিবাহ করেছিলেন অথচ বাসর করেন নি এমন
শ্রীদের মাঝে রয়েছেন উম্মু শুরায়ক আযদী (রা) ৷ ওয়াকিদী (র) বলেছেন, প্রামাণ্য তথ্য মতে
তিনি ছিলেন দাওস গোত্রীয়া ৷ তবে আনসারী হওয়ার অভিমতও রয়েছে ৷ আবার আমিরী
হওয়ার অতিমতও উথাপিত হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, ইনি হলেন থাওলা বিনত হার্কীম
আল সুলাষী (রা) ৷ ওয়াকিদী (র)-এর বর্ণনায় আরো রয়েছে, তার নাম গাযিয়্যা বিনত জাৰির
ইবন হাকীম (বা) ৷ মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) বলেন, হার্কীম ইবন হাকীম (বা) মুহাম্মদ ইবন
অলীে ইবনুল হসায়ন তার পিতা (আলী) (বা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর
সংগে মোট পনের জন মহিলা পরিণয়াবদ্ধ হয়েছিলেন ৷ এদের মাঝে রয়েছেন উম্মু গুরায়ক
আনসারী (বা) ৷ যিনি নিজেকে নবী করীম (না)-এর জন্য সমর্পণ করেছিলেন ৷ সাঈদ ইবন
خُوَيْلِدٍ قَبْلَ أَنْ يُهَاجِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَلَاثِ سِنِينَ، لَمْ يَتَزَوَّجْ عَلَيْهَا امْرَأَةً حَتَّى مَاتَتْ هِيَ وَأَبُو طَالِبٍ فِي سَنَةِ، فَتَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ خَدِيجَةَ سَوْدَةَ بِنْتَ زَمْعَةَ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَ سَوْدَةَ عَائِشَةَ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ لَمْ يَتَزَوَّجْ بِكْرًا غَيْرَهَا، وَلَمْ يُصِبْ مِنْهَا وَلَدًا حَتَّى مَاتَ ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَ عَائِشَةَ حَفْصَةَ بِنْتَ عُمَرَ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَ حَفْصَةَ زَيْنَبَ بِنْتَ خُزَيْمَةَ الْهِلَالِيَّةَ أُمَّ الْمَسَاكِينِ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَهَا أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ أَبِي سُفْيَانَ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَهَا أُمَّ سَلَمَةَ هِنْدَ بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَهَا زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَهَا جُوَيْرِيَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ. قَالَ: ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَ جُوَيْرِيَةَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ، ثُمَّ تَزَوَّجَ بَعْدَهَا مَيْمُونَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ الْهِلَالِيَّةَ. فَهَذَا التَّرْتِيبُ أَحْسَنُ وَأَقْرَبُ مِمَّا رَتَّبَهُ الزُّهْرِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ أَبِي يَحْيَى عَنْ جَمِيلِ بْنِ زَيْدٍ الطَّائِيِّ، عَنْ سَهْلِ بْنِ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ: «تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةً مِنْ بَنِي غِفَارٍ، فَدَخَلَ بِهَا، فَأَمَرَهَا فَنَزَعَتْ ثَوْبَهَا، فَرَأَى بِهَا بَيَاضًا مِنْ بَرَصٍ عِنْدَ ثَدْيَيْهَا، فَانْمَازَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ " خُذِي ثَوْبَكِ ". وَأَصْبَحَ فَقَالَ لَهَا: " الْحَقِي بِأَهْلِكِ» . فَأَكْمَلَ لَهَا صَدَاقَهَا.
وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو نُعَيْمٍ، مِنْ حَدِيثِ جَمِيلِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ زَيْدٍ
পৃষ্ঠা - ৪৩৫৯
الْأَنْصَارِيِّ، وَكَانَ مِمَّنْ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةً مِنْ غِفَارٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ.
قُلْتُ: وَمِمَّنْ تَزَوَّجَهَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا أُمُّ شَرِيكٍ الْأَزْدِيَّةُ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَالْمُثْبَتُ أَنَّهَا دَوْسِيَّةٌ. وَقِيلَ الْأَنْصَارِيَّةُ. وَيُقَالُ عَامِرِيَّةٌ، وَأَنَّهَا خَوْلَةُ بِنْتُ حَكِيمٍ السُّلَمِيُّ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: اسْمُهَا غَزِيَّةُ بِنْتُ جَابِرِ بْنِ حَكِيمٍ.
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ جَمِيعُ مَا تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسَ عَشْرَةَ امْرَأَةً، مِنْهُنَّ أُمُّ شَرِيكٍ الْأَنْصَارِيَّةُ وَهَبَتْ نَفْسَهَا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.»
وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ: وَتَزَوَّجَ أُمَّ شَرِيكٍ الْأَنْصَارِيَّةَ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ، وَقَالَ «: " إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَتَزَوَّجَ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَلَكِنِّي أَكْرَهُ غَيْرَتَهُنَّ» وَلَمْ يَدْخُلْ بِهَا.
وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ حَكِيمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «تَزَوَّجَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَى بِنْتَ الْخَطِيمِ الْأَنْصَارِيَّةَ، وَكَانَتْ غَيُورًا فَخَافَتْ نَفْسَهَا عَلَيْهِ، فَاسْتَقَالَتْهُ فَأَقَالَهَا.»