আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

باب بيان أن النبي صلى الله عليه وسلم لم يترك شيئا يورث عنه

পৃষ্ঠা - ৪৩১৭


হে ফাতিমা ! তুমি যদি অস্থির হয়ে গিয়ে থাক তবে তা যার্জনা যােপ্য; আর যদি অস্থিরতা
প্রকাশ না করে পায় তার তা-ই যথার্থ পন্থা ৷
এম্ন এএন্এ

তোমার পিতার কবর সব কবরের সেরা; সে কবরে রয়েহ্নে৷ মানবক্যু শিরােমনি রাসুল (সা) ৷

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উত্তরাধিকার

প্ৰসত্তা : যীরাছরুপে নবী করীম (না)-এর কোন দীনার, দিরহাম, গোলাম, ৰীদী, বকরী,
উট এবং মীরাছন্বযাগ্য অন্য কিছু রেখে না যাওয়া; বরং তিনি তার পরিত্যক্ত তু-সম্পত্তি মহান-
মহীয়ান আল্পাহ্র জন্য সাদাকা রুপে করে যান ৷ কেননা, পৃথিবী ও তার আনুযার্থপক সব কিছুই
ছিল তার দৃষ্টিতে তুচ্ছাতিভুচ্ছ; যেমনটি তা আল্লাহর নিকটে তুচ্ছ ৷ এসব সত্তাহ সঞ্চয়ের ত্তনাে
চেষ্টা সাধনা করা কিৎবা মীরাছরুপে রেখে যাওয়ার বাসনা পোষণ করা ছিন তার মর্যাদার সাথে
অসং গতি পুর্ণ ৷

বুযাবী (র) বলেন, কুতায়বা (র) আমৃর ইবনুল হারিছ (যা) থেকে বনাি করেন যে, তিনি
বলেছেন,


রাসুলুল্লাহ (সা) রেখে যাননি কোনও দীনার, কোনও দিরহাম, কোনও গোলাম না কোনও
বীদী, তার একমাত্র তার বাহন আলু-বারযা’ (শ্বেত) খাস্তে ও তার অস্ত্র এবং তার ভুমি যা
মুসাযিবদের জন্য সাদাকা করে গিয়েছিলেন ৷ বুখায়ী (র) একাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷
বুখারী (র) তার সহীহ্ গ্রন্থের একাধিক স্থানে আবুল আহ্ওয়াস, সুফিয়ান আছু ছাওরী ও
যুহড়ায়র ইবন যুআৰিয়া (র) সুত্রের বিজ্যি সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিষী (র) হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন, ইসরাঈল (র)-এর বরাতে এবং নাসাঈ (র) ইউনুস ইবন আবু ইসহাক
(র) সুত্রেউম্মুল মুমিনীন জুওয়ায়ারিয়া বিনৃতুন হারিছ (না)-এর ভাই আমৃর ইবন হারিছ
হতে আহমদ (র)-ও হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, আবু মুআবিয়া (র)অইিশা (রা)
থেকে, তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ (সা) কোনও দীনার, কোনও দিরহাম, কোনও বকরী, কোনও
উট রেখে যান নি এবং (কারো জন্য সম্পদ প্রদানের) কোনও অসিয়াতও করে যাননি ৷ এ
হাদীস মুসলিম (র) একাকী অনুরুপ এবং আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবন মাজা (র) বিজ্যি সুত্রে
সুলায়মান ইবন মিহরান-আল আমড়াশ (র) সুত্রে, আল্লাহর হড়াবীব ও প্রিয়তমের প্রিয়তমা,
সপ্তাকাশের উর্ধ হতে পবিত্রতার সনদ প্রাপ্তা সিদ্দীক তনয়া অইিশা সিদ্দীকা সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন (আল্লাহ তার প্রতি রাযী থাকুন এবং তাকে তৃষ্ট রাখুন) ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
বলেছেন, ইসহাক ইবন ইউসুফ (র)আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) কোনও দীনার-দিরহাম, কোনও ৰীদী, গোলাম এবং কোনও ছাপল-উট
(যীরছেরুপে) রেখে যান নি৷ আবদুর রহমান (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (না) কোনও দীনার-দিরহাম এবং কোন ছাগল-উট রেখে যাননি ৷ সুফিয়ান (র)


[بَابُ بَيَانِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَتْرُكْ شَيْئًا يُورَثُ عَنْهُ] [مَا تَرَكَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَةٌ] بَابُ بَيَانِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَتْرُكْ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا، وَلَا عَبْدًا وَلَا أَمَةً، وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا، وَلَا شَيْئًا يُورَثُ عَنْهُ، بَلْ أَرْضًا جَعَلَهَا كُلَّهَا صَدَقَةً لِلَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَإِنَّ الدُّنْيَا بِحَذَافِيرِهَا كَانَتْ أَحْقَرَ عِنْدَهُ - كَمَا هِيَ عِنْدَ اللَّهِ - مِنْ أَنْ يَسْعَى لَهَا أَوْ يَتْرُكَهَا بَعْدَهُ مِيرَاثًا، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، وَعَلَى إِخْوَانِهِ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالْمُرْسَلِينَ، وَسَلَّمَ تَسْلِيمًا كَثِيرًا دَائِمًا إِلَى يَوْمِ الدِّينِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ قَالَ: «مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا، وَلَا عَبْدًا وَلَا أَمَةً، إِلَّا بَغْلَتَهُ الْبَيْضَاءَ الَّتِي كَانَ يَرْكَبُهَا، وَسِلَاحَهُ، وَأَرْضًا جَعَلَهَا لِابْنِ السَّبِيلِ صَدَقَةً» . انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ، فَرَوَاهُ فِي أَمَاكِنَ مِنْ " صَحِيحِهِ " مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ، وَسُفْيَانِ الثَّوْرِيِّ، وَزُهَيْرِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، وَالنَّسَائِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، كُلُّهُمْ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ السَّبِيعِيِّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ بْنِ الْمُصْطَلِقِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ - أَخِي جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْأَعْمَشُ - وَابْنُ نُمَيْرٍ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৪৩১৮


বলেন, আমার প্রবল ধারণা, তবে আমার দ্বিধা পােলাম-বীদী (কথাটি ছিল কিনা এ) ব্যাপারে ৷
তিরমিযী (র)-ও হাদীসটি শামাইল গ্রন্থে বৃনদার (র) সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়াকী (র) আইশা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) রেখে যান নি কোনও দীনার-দিরহাম, কোনও গোলড়াম-র্বীদী এবং কোনও উট-
বকরী ৷ ইমাম আহমদ (র) এ সনদে এরুপ সন্দেহযুক্ত রুপেই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বায়হাকী
(র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, আবু যাকারিয়্যা ইবন আবু ইস্হাক আলু মুযাক্কা (র) যারপুব
(র) থেকে ৷ তিনি বলেন, আইশা (রা) বললেন, তোমরা আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রেখে
যাওয়া ঘীরাছ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছ ৷ রাসৃলুল্লাহ (না) রেখে যান নি একটি দীনারও, একটি
দিরহামও না, একটি গোলামও না এবং একটি র্বীদীও না ৷ মধ্যবর্তী অন্যতম রাবী মিস্আর
(র) বলেন, আমার ধারণা ৷ তিনি (শায়খ আসিম) বলেছেন ৷ এবং কোন বকরীও নয় এবং
কোন উটও নয় ৷ রাবী আওন (র) বলেন, মিসুআর (র) আদী ইবন ছাৰিত (সুত্রে, তিনি)
আলী ইব নুল হুসায়ন (র) সুত্রে আমাদের অবহিত করেছেন, আলী (রা) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (না)
কোন দীনড়ার রেখে যাননি, কোন দিরহামও না, কোন গোলড়ামও না, কোন র্বাদীও না ৷

সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে উদ্ধৃত হয়েছে, আমাশ (র)-এর বরাতে আইশা (বা) সুত্রে এ মর্মে যে,
রাসুলুল্লাহ জনৈক ইয়াহ দীর নিকট হতে বাকীতে খাদ্য খরিদ করে তার কাছে লোহার তৈরী
একটি বর্ম বন্ধক রেখেছিলেন ৷ বৃখাবী (র)-এর অন্য একটি ভাষ্য, কাবীসা (র) (আমাশ)
আইশা (রা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (না) ইনতিকাল করলেন,
তখন তীর বর্ম বন্ধক ছিল জনৈক ইয়াহুদীর কাছে ত্রিশ এর বদলে ৷ বায়হাকী (র) হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন, ইয়াযীদ ইবন হারুন (র)-এর বরাতে ৷ আসওয়াদ (র) সুত্রে, তিনি
আইশা (বা) থেকে ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) ইনতিকাল করলেন, তখন তার বর্ম বন্ধক
ছিল ত্রিশ সা১ যবের বিনিময়ে ৷ পরে বায়হাকী (র) বলেছেন, বুখারী (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেছেন মুহাম্মদ ইবন কাদীর (র)-সুফিয়ান (র) সুত্রে ৷ বায়হাকী (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা,
আলী ইবন আহমদ ইব ন আবাদান (র) , আনাস (বা) সুত্রে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে
বরের রুচি ও পুরান দৃবাযুক্ত চর্বি-র দাওয়াত করা হল ৷ আনাস (বা) বলেন, রাসুলুল্পাহ (সা)-
কে আমি বলতে ওনেছি

প্রু১া৷,

মার হাতে মুহাম্মদের জীবন তার কসম ! আজ (সকালে) মুহাম্মদ পরিবারের কাছে এক সা
গম বা এক সা থুরমাও ছিল না ৷ (আবাস বলেন) অথচ তখন তীর নয়জন সহধর্মিনী
ছিলেন ৷ ওদিকে তিনি নিজের একটি বর্ম মদীনায় জনৈক ইয়াহুদীর কাছে বহ্মক রেখে তার
নিকট হতে খড়াদ্যদ্রব্য নিয়েছিলেন এবং তার ইনতিকাল পর্যন্ত এমন কিছু সং হ করতে পারেন
নি, যা দিয়ে বর্যটি ছাড়িয়ে আনতে পারেন ৷ ইবন মাজা (র) এ হাদীসের অংশবিশেষ
রিওয়ায়াত করেছেন শায়বান ইবন আবদুর রহমান আন-নাহ্বী (র)-এর বরাতে ঐ সনদে ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবদুস সামাদ (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন এ মর্মে যে, নবী করীম (না) উহুদ পাহাড়ের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন,



১ সা (প্রুন্) ৩৫০-৩ ৭৫ সের; ৩০ না“ (প্রায় ১০০ কেজি) ৷ ষ্অনুবাদক



الْأَعْمَشِ - عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا، وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا وَلَا أَوْصَى بِشَيْءٍ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مُنْفَرِدًا بِهِ عَنِ الْبُخَارِيِّ وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ الْأَجْدَعِ، عَنْ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ الصِّدِّيقَةِ بِنْتِ الصِّدِّيقِ حَبِيبَةِ حَبِيبِ اللَّهِ، الْمُبَرَّأَةِ مِنْ فَوْقِ سَبْعِ سَمَاوَاتٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا، وَلَا أَمَةٍ وَلَا عَبْدًا وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا.» وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ عَنْ عَائِشَةَ: «مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا» قَالَ سُفْيَانُ: وَأَكْبَرُ عِلْمِي وَأَشُكُّ فِي الْعَبْدِ وَالْأَمَةِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " الشَّمَائِلِ " عَنْ بُنْدَارٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ بِهِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: وَحَدَّثَنَا وَكِيعٌ ثَنَا مِسْعَرٌ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ، عَنْ زِرٍّ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا وَلَا عَبْدًا
পৃষ্ঠা - ৪৩১৯
وَلَا أَمَةً وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا.» هَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ غَيْرِ شَكٍّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنْ أَبِي زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ الْمُزَكِّي، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدِ بْنِ يَعْقُوبَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، أَنْبَأَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَنْبَأَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ زِرٍّ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «تَسْأَلُونِي عَنْ مِيرَاثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ ! مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا، وَلَا عَبْدًا وَلَا وَلِيدَةً» . قَالَ مِسْعَرٌ: أُرَاهُ قَالَ: وَلَا شَاةً وَلَا بَعِيرًا. قَالَ: وَأَنْبَأَنَا مِسْعَرٌ عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ قَالَ: «مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا وَلَا عَبْدًا وَلَا وَلِيدَةً.» وَقَدْ ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَرَى طَعَامًا مِنْ يَهُودِيٍّ إِلَى أَجَلٍ وَرَهَنَهُ دِرْعًا مِنْ حَدِيدٍ.» وَفِي لَفْظِ لِلْبُخَارِيِّ رَوَاهُ عَنْ قَبِيصَةَ عَنِ الثَّوْرِيِّ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدِرْعُهُ مَرْهُونَةٌ عِنْدَ يَهُودِيٍّ بِثَلَاثِينَ» . وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنِ الثَّوْرِيِّ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْهَا قَالَتْ: «تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدِرْعُهُ مَرْهُونَةٌ بِثَلَاثِينَ
পৃষ্ঠা - ৪৩২০
৪৬৬ প্ আল-বিদায়া ওয়ান নিহারন্মােজােচৈ
প্রু১শ্; ষ্

“মার হাতে আমার জীবন তার কসম ! এ বিষয়টি আমাকে আনন্দিত করে না যে, উহুদ
(পাহাড়) মুহাম্মদ পরিবারের জন্য স্বর্ণ হয়ে যাবে যা আমি আল্লাহ্র রাস্তায় খরচ করতে
থাকব আর আমি মৃত্যু বরণ করার দিনে মৃত্যুবরণ করবো এমন অবস্থায় যে তার দুটি মাত্র
দীনার আমার কাছে থেকে যাবে; তবে যদি তা ঋণ পরিশোধের জন্য হয়ে থাকে ৷ ইবন
আব্বাস (রা) বলেন, পরে তিনি ইনতিকাল করলেন এবং কোন দীনড়ার, কোন দিরহাম, কোন
গোলাম এবং কোন র্বীদী তিনি রেখে পেলেন না ৷ তীর বর্মটি বন্ধক রেখে থেলেন এক
ইয়াহুদীর কাছে ত্রিশ সড়া যবের জন্যে ৷ ইবন মাজা (র) এ হাদীসের শেযাংশ রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন মুআৰিয়া আল জুমাহী (র) সুত্রে এবং এর প্রথম অং শর শাহিদ
(সহযোগী সমর্থক) রিওয়ায়াত রয়েছে সহীহ্ বুখারীতে আবু যাবৃরা (রা)-এর হাদীসে ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুস সামাদ, আবু সাঈদ ও আফ্ফান (র) ইবন আব্বাস
(রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, উমর (রা) নবী করীম (না)-এর কাছে প্রবেশ করলেন, তিনি
তখন একটি চক্ষুটাইয়ের উপরে বিশ্রাম করছিলেন বা তার পার্শ্বদেশে দাগ কােটছিল ৷ উমর
(রা) বললেন, হে আল্লাহ্র নবী ৷ যদি এর চেয়ে কিছুটা উন্নত মানের বিছানড়া বানিয়ে নিতেন ৷
নবী করীম (সা) বললেন,
ঙুশ্রোদ্বু ব্লো৷^

ভৈহ্নএইদ্বুরুষ্এণ্ট গ্লুধ্রুগ্লুপুাষ্ঠাংব্লুশ্;ট্ট

দুনিয়ার সাথে আমার কী সম্বন্ধ৷ আমার অবস্থা ও দুনিয়ার অবস্থা তো সে আরোহী
(মুসাফিরের) ন্যায়, যে একটি পরমের দিলে সফর করল, পরে দুপুরে কিছু সময়ের জন্য একটি
গাছের ছায়ায় ৰিশ্রাম নিল ৷ পরে আবার বিকেল বেলা সফর শুরু করল ৷ আহ্মদ (র) একাকী
এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ এর সনদ বেশ উত্তম এবং রাসুলুল্লাহ (না)-এর বিপক্ষে ক্ষোভ
উন্মা প্রকাশ করিয়া তীর সহধসিনীদ্বয় এবং নবী করীম (না)-এর ঈলা১ করার ঘটনা প্রসংগে
উমর (বা) হতে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণিত হাদীস, এ হাদীসের সমর্থক ও শাহিদ ৷ (এ
হাদীস এবং এর সমর্থক) হাদীসসমুহের বিশদ বিবরণ দেয়া হবে নবী করীম (না)-এর সংসার
বিমুখ হওয়া পার্থিব মোহ ত্যাগ এবং ভোগ বিশৃগ্রলা প্রসংগে ৷ এছাড়া হাদীসটি আমাদের যে
দাবীকেও প্রতীয়মান করে যে, নবী করীম (সা) দুনিয়া ও তার আনুবংগিক বিষয়াদিকে বিশেষ
গুরুতৃ দিতেন না ৷

ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, সুফিয়ান (র) আবদুল আযীয ইবন রুফায়’ (র) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি এবং শাদ্দাফ ইব ন মাকিল (র) ইবন আব্বাস (রা)এর
নিকটে গেলাম ৷ ইবন আব্বাস (রা) বললেন, “রাসুলুল্লাহ (সা) এ দুই মলাংটর মধ্যবর্তী বিষয়
(আল-কুরআন) ব্যতীত অন্য কিছুই রেখে যান নি ৷ ” আবদুল অঙ্কুষীয (র) বলেন, আমরা



১ ঈলা : (ণ্হ্লান্এষ্) কসম করা; শ্রী সংগ বর্জ্যনর কসম করা ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) একবার একমাস যাবত
স্তীদের সাথে সম্পর্ক না রাখার শপথ করেছিলেন ৷ অনুবাদক


صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ» . ثُمَّ قَالَ: رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَثِيرٍ عَنْ سُفْيَانَ. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ مَحْمُوَيْهِ الْعَسْكَرِيُّ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْقَلَانِسِيُّ، ثَنَا آدَمُ، ثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «لَقَدْ دُعِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى خُبْزِ شَعِيرٍ وَإِهَالَةٍ سَنِخَةٍ» . قَالَ أَنَسٌ: وَلَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ، مَا أَصْبَحَ عِنْدَ آلِ مُحَمَّدٍ صَاعُ بُرٍّ وَلَا صَاعُ تَمْرٍ " وَإِنَّ لَهُ يَوْمَئِذٍ تِسْعَ نِسْوَةٍ، وَلَقَدْ رَهَنَ دِرْعًا لَهُ عِنْدَ يَهُودِيٍّ بِالْمَدِينَةِ، وَأَخَذَ مِنْهُ طَعَامًا، فَمَا وَجَدَ مَا يَفْتَكُّهَا بِهِ حَتَّى مَاتَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَى ابْنُ مَاجَهْ بَعْضَهُ مِنْ حَدِيثِ شَيْبَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ النَّحْوِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا ثَابِتٌ، ثَنَا هِلَالٌ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَظَرَ إِلَى أُحُدٍ فَقَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ أُحُدًا لِآلِ مُحَمَّدٍ ذَهَبًا أُنْفِقُهُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، أَمُوتُ يَوْمَ أَمُوتُ وَعِنْدِي مِنْهُ دِينَارَانِ إِلَّا أَنْ أُرْصِدَهُمَا لِدَيْنٍ " قَالَ: فَمَاتَ فَمَا تَرَكَ دِينَارًا وَلَا
পৃষ্ঠা - ৪৩২১


মুহাম্মদ ইবন আলী (রা)-এর নিকটে গেলে তিনিও অনুরুপই বললেন ৷ বুখাবী (র)-ও হড়াদীসটি
অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা (র) সুত্রে ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন, আবু নুআয়ম
(র) সুত্রে, তালহা (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা (রা)-৫ক
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, নবী করীম (সা) কি , কোন ওসিয়াত করে গিয়েছেন? তিনি বললেন,
না ব্র আমি বললাম তা হলে লোকদের জন্য ওসিয়াত করে যাওয়া জরুরী করে দিলেন কি
রুপে? কিৎবা (বর্ণনা সন্দেহ) তাদের সে বিষয় আদিষ্ট করা হল কি রুপে ? তিনি বললেন, (হী)
আল্লাহ পাকের কিতড়াবের ওসিয়াত করে গিয়েছেন ৷ বুখারী (র) অন্য একটি সনদে এবং
মুসলিম ও আবু দাউদ (র) ব্যতীত সৃনান গ্রন্থসমুহের অন্যান্য সংকলকবৃন্দ হাদীসটি মালিক
ইবন যিগওয়াল (র)-এর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী (র) মত
বা করেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ্; তবে ণবীব-বিরল সুত্রীয়-ঘালিক ইবন মিগওয়াল (র)
ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে এটা পাওয়া যায় না ;

বিশেষ দ্ৰষ্টব্য : নবী করীম (না)-এর ব্যক্তিগত এবং তার জীবন কালে তার জন্য খাস
বিভিন্ন বিষয়-সম্পত্তি তথা বাড়ি-ঘর, নবী সহধর্মিনীণণের হুজরা, গোলাম, র্বাদী, উট, ঘোড়া,
বকবী ও মধ্যে, খচ্চর, সমরাস্ত্র, কাপড় চোপড়, আসবাসপত্র, যেহেরাল্কিত আংটি এবং অন্যান্য
উপকরণ সম্পর্কিত অনেক হাদীস রয়েছে ৷

অচিরেই সে সব হাদীসের সবিত্তার ও সপ্ৰমাণ আলোচনা করা হবে হ্ নবী করীম (সা) এ
সব বস্তু-সম্পদের অধিকাংশ তাৎক্ষণিক ভাবে সাদাকড়া করে দিয়েছিলেন ৷ অনেক গোলাম
র্বাদীকে আযাদ করে দিয়েছিলেন ৷ প্রয়োজনীয় কিছু আলবাব উপকরণ রেখেও দিয়েছিলেন ৷
সেই সাথে ছিল বনু নাযীর, খায়বার ও ফাদাক অঞ্চলে আল্লাহ্র তরফ থেকে তীর জন্য বিশেষ
অধিকাররুপে ঘোষিত ভুমিসমুহ যা মুলত মুসলিম জনতার জাতীয় কল্যাণে নিবেদিত ছিল ৷

ইনশাআল্পাহ আমরা এ সবের বিশদ ও প্রামাণ্য বিবরণ উপস্থাপন করব ৷ তবে এতটুকু
কথা নিশ্চিতরুপে বলা যায় যে, এ সবের কিছুই তিনি মীরাছরুপে রেখে যান নি ৷ একটু পরেই
আমরা এর আলোচনায় অবতীর্ণ হব ৎ আল্লাহই সহায় ৷

ণোণোণো (হ্র ৷ ড়াব্র ওে দো : ৫০ তো

دِرْهَمًا وَلَا عَبْدًا وَلَا وَلِيدَةً، وَتَرَكَ دِرْعَهُ رَهْنًا عِنْدَ يَهُودِيٍّ بِثَلَاثِينَ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ» . وَقَدْ رَوَى آخِرَهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيِّ، عَنْ ثَابِتِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ هِلَالِ بْنِ خَبَّابٍ الْعَبْدِيِّ الْكُوفِيِّ بِهِ. وَلِأَوَّلِهِ شَاهَدٌ فِي " الصَّحِيحِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ وَأَبُو سَعِيدٍ وَعَفَّانُ، قَالُوا: حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، هُوَ ابْنُ يَزِيدَ، ثَنَا هِلَالٌ، هُوَ ابْنُ خَبَّابٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهِ عُمَرُ وَهُوَ عَلَى حَصِيرٍ قَدْ أَثَّرَ فِي جَنْبِهِ، فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ لَوِ اتَّخَذْتَ فِرَاشًا أَوْثَرَ مِنْ هَذَا. فَقَالَ: «مَا لِي وَلِلدُّنْيَا، مَا مَثَلِي وَمَثَلُ الدُّنْيَا إِلَّا كَرَاكِبٍ سَارَ فِي يَوْمٍ صَائِفٍ فَاسْتَظَلَّ تَحْتَ شَجَرَةٍ سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، ثُمَّ رَاحَ وَتَرَكَهَا» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ جَيِّدٌ، وَلَهُ شَاهِدٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ، فِي الْمَرْأَتَيْنِ اللَّتَيْنِ تَظَاهَرَتَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقِصَّةِ الْإِيلَاءِ. وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ مَعَ غَيْرِهِ مِمَّا شَاكَلَهُ فِي بَيَانِ زُهْدِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَتَرْكِهِ الدُّنْيَا، وَإِعْرَاضِهِ عَنْهَا، وَاطِّرَاحِهِ لَهَا، وَهُوَ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى مَا قُلْنَاهُ مِنْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ لَمْ تَكُنِ الدُّنْيَا عِنْدَهُ بِبَالٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ رُفَيْعٍ قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَشَدَّادُ بْنُ مَعْقِلٍ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৪৩২২
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا مَا بَيْنَ هَذَيْنِ اللَّوْحَيْنِ. قَالَ: وَدَخَلْنَا عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ عَنْ طَلْحَةَ قَالَ: سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى «أَأَوْصَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: لَا. فَقُلْتُ: كَيْفَ كُتِبَ عَلَى النَّاسِ الْوَصِيَّةُ أَوْ أُمِرُوا بِهَا؟ قَالَ أَوْصَى بِكِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ، وَأَهْلُ السُّنَنِ إِلَّا أَبَا دَاوُدَ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ. تَنْبِيهٌ: قَدْ وَرَدَتْ أَحَادِيثُ كَثِيرَةٌ سَنُورِدُهَا قَرِيبًا بَعْدَ هَذَا الْفَصْلِ فِي ذِكْرِ أَشْيَاءَ كَانَ يَخْتَصُّ بِهَا، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، فِي حَيَاتِهِ ; مِنْ دُورٍ وَمَسَاكِنِ نِسَائِهِ وَإِمَاءٍ وَعَبِيدٍ وَخُيُولٍ وَإِبِلٍ وَغَنَمٍ وَسِلَاحٍ وَبَغْلَةٍ وَحِمَارٍ وَثِيَابٍ وَأَثَاثٍ وَخَاتَمٍ، وَغَيْرِ ذَلِكَ مِمَّا سَنُوَضِّحُهُ بِطُرُقِهِ وَدَلَائِلِهِ، فَلَعَلَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ تَصَدَّقَ بِكَثِيرٍ مِنْهَا فِي حَيَاتِهِ مُنْجِزًا، وَأَعْتَقَ مَنْ أَعْتَقَ مِنْ إِمَائِهِ وَعَبِيدِهِ وَأَرْصَدَ مَا أَرْصَدَهُ مِنْ أَمْتِعَتِهِ مَعَ مَا خَصَّهُ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْأَرَضِينَ مِنْ بَنِي النَّضِيرِ وَخَيْبَرَ وَفَدَكَ، فِي مَصَالِحِ الْمُسْلِمِينَ عَلَى مَا سَنُبَيِّنُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يُخَلِّفْ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا يُورَثُ عَنْهُ قَطْعًا ; لِمَا سَنَذْكُرُهُ قَرِيبًا، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
পৃষ্ঠা - ৪৩২৩

নবী করীম (না) এর মীরাছ না রেখে যাওয়া প্রসঙ্গ

নবী করীম (সা) এর বাণী আমরা মীরাছ রেখে যাই না

ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, সুফিয়ান (র) আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন

“আমার মীরাছ বন্টিত হবে না দীনড়ারও না, দিরহামও না ৷ আমার শ্রীদের থােরপােষ এবং
আমার আমিল (কর্মচারী)-দের ব্যয় নির্বাহের পরে যা অবশিষ্ট রেখে যাব তা হবে সাদাকা ৷
বুখাবী-মুসলিম ও আবু দাউদ (র) হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন, মালিক ইবন আনাস (র),
আবু হুরায়রা (না)-এর বরাতে একাধিক সনদে, এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
“আমার মীরাছ দীনাররুপে বন্টিত হবে না ৷ বুখারী (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা আবদুল্লাহ ইবন
মাস্লামা (র) আইশা (না) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গেলে নবী
সহধর্মিনীগণ তাদের মীরাছের দাবী উথাপনের উদ্দেশ্যে উছমান (রা)-কে আবু বকর (বা)
সমীগে পাঠাতে মনস্থ করলেন ৷ তখন আইশা (রা) বললেন, কেন, রাসুলুল্পাহ (না) কি এ কথা
বলে নি যে, ট্রেএপ্লুপ্রুও মহ্ও১ন্ৰু এেওঢুওত্রু আমরা (নবীগণ) ওয়ারিছ বানিয়ে যাই না, আমরা যা
রেখে যাই তা সড়াদাকা ? মুসলিম (র)-ও হাদীসটি ইয়াহ্য়া ইবন ইয়াহ্য়া (র) সুত্রে এবং
আবু দাউদ (র) কানাবী (র) সুত্রে এবং নাসাঈ (র) কুতায়বা সুত্রে (সকলেই) মালিক (র)
সুত্রে, অনুরুপই রিওয়ায়াত ক্যরছেন ৷

পর্যালোচনা : তা হলে ঘীরাছ প্রাপিকা স্তীদের অন্যতমা (আইশা) যদি মীরাছের কথা ধরে
নেয়া হয় স্বীকারােক্তি দিচ্ছেন যে, নবী কবীম (সা) তীর পরিত্যক্ত সম্পদকে মীরাছ নয়,
সড়াদাকা সাবম্ভে করে গিয়েছেন ৷ আর স্পষ্টতই বলা যায় যে, অন্যান্য উম্মুল মু’মিনীন্যাণও তার
এ রিওয়ায়াতের সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন এবং নবী করীম (না)-এর বাণী র্তারা স্মরণ
করতে পেরেছেন ৷ কেননা, তার বর্ণনা ভৎগি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বিষয়টি র্তাদের জ্ঞাত ও
স্বীকৃত ছিল ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

বুখাবী (র) আরো বলেছেন, ইসমড়াঈল ইবন আবড়ান (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে
নবী করীম (সা) বলেছেন, “আমরা (নবীরা) মীরাছ রেখে যাই না; আমরা যা রেখে যাই তা
সড়াদাকা ৷ ” বুখারী (র)এর একটি “অনুচ্ছেদ শ্যিরানাম : রাসুলুল্লাহ (না)-এর বাণী আমরা
মীরাছ রেখে যইি না; আমরা যা রেখে যাই তা সড়াদাকা ৷ ” আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) আইশা
(বা) থেকে বংনাি করেন যে, ফাতিমা ও আব্বাস (বা) বড়াসুলুল্লাহ (না)-এর উত্তরাধিকারীরুগে
তাদের প্রাপ্য মীরাছের আবেদন নিয়ে আবু বকর (না)-এর নিকটে গেলেন ৷ র্তারা ফাদাকে
নবী কৰীম (সা) এর ভুমি এবং খায়বারে তার প্রাপ্য অংশের দাবী করছিলেন ৷ আবু বকর (বা)
তাদের দু’জনকে বললেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি বলতে শুনেছিশ্


[بَابُ بَيَانِ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ قَالَ " لَا نُورَثُ "] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ يَبْلُغُ بِهِ، وَقَالَ مَرَّةً قَالَ: قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا، مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ذَكْوَانَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ هُرْمُزَ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا، مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ» لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَدْنَ أَنْ يَبْعَثْنَ عُثْمَانَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ يَسْأَلْنَهُ مِيرَاثَهُنَّ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ؟» وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، وَأَبُو دَاوُدَ عَنِ الْقَعْنَبِيِّ، وَالنَّسَائِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ،
পৃষ্ঠা - ৪৩২৪
كُلُّهُمْ عَنْ مَالِكٍ بِهِ. فَهَذِهِ إِحْدَى النِّسَاءِ الْوَارِثَاتِ - إِنْ لَوْ قُدِّرَ مِيرَاثٌ - قَدِ اعْتَرَفَتْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ مَا تَرَكَهُ صَدَقَةً لَا مِيرَاثًا، وَالظَّاهِرُ أَنَّ بَقِيَّةَ أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ وَافَقْنَهَا عَلَى مَا رَوَتْ، وَتَذَكَّرْنَ مَا قَالَتْ لَهُنَّ مِنْ ذَلِكَ، فَإِنَّ عِبَارَتَهَا تُؤْذِنُ بِأَنَّ هَذَا أَمْرٌ مُقَرَّرٌ عِنْدَهُنَّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا هِشَامٌ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ وَالْعَبَّاسَ أَتَيَا أَبَا بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَلْتَمِسَانِ مِيرَاثَهُمَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُمَا حِينَئِذٍ يَطْلُبَانِ أَرْضَهُ مِنْ فَدَكَ وَسَهْمَهُ مِنْ خَيْبَرَ. فَقَالَ لَهُمَا أَبُو بَكْرٍ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ، إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ مِنْ هَذَا الْمَالِ» قَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَاللَّهِ لَا أَدَعُ أَمْرًا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصْنَعُهُ فِيهِ إِلَّا صَنَعْتُهُ. قَالَ: فَهَجَرَتْهُ فَاطِمَةُ فَلَمْ تُكَلِّمْهُ حَتَّى مَاتَتْ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ.
পৃষ্ঠা - ৪৩২৫


আমরা মীরাছ রেখে যাই না; আমরা যা পরিত্যাগ করে যাই তা সাদাকা ৷ তবে মুহাম্মদ
পরিবার এ সম্পদ হতে (খােরপোষ) গ্রহণ করবে ৷” আবু বকর (বা) আরো বললেন,
“আল্লাহ্র কসম ! এ সম্পদে রাসুলুল্পাহ (না)-কে যা কিছু আমি করতে দেখেছি তা-ই আমি
করব ৷” বর্ণনাকারী বলেন, এরপর হতে ফাতিমা (বা) তার মৃত্যু পর্যন্ত আবু বকর (রা)-এর
সংগে বাক্যালাপ করতেন না ৷ ইমাম আহমদ (র)-ও হাদীসঢি আব্দুর রায্যাক (র) সুত্রে
অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ পরবর্তী বর্ণনায় আহ্মদ (র) ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম (র)
অইিশা (রা) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাতের পরে ফা ৷তিমা (রা)
আবু বকর (বা) এর কাছে তার মীরাছ অর্থাৎ আল্লা হ্র দেয়া আর য’(সন্ধিলব্ধ সম্পদ) হতে নবী
করীম (সা) যা রেখে গিয়েছিলেন তা দাবী করলেন ৷ তখন আবু বকর (বা) তাকে বললেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আমরা ঘীরাছ রেখে যাই না; আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা ৷
ফলে ফাতিমা (রা) রল্ট হয়ে আবু বকর (রা)-এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন এবং তার মৃত্যু
পর্যন্ত এ সম্পর্কচ্ছেদ অব্যাহত ছিল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাতের পরে
ফাতিমা (রা) ছয় মাস বেচে ছিলেন ৷

এ প্রসংগে ইমাম আহমদ (র)-এর বর্ণনা অনুরুপই ৷ তবে বুখারী (র) তার সহীহ গ্রন্থের
মাগাযী’ (সময়) অধ্যায়ে হাদীসটি ইবন আবু বকর (র) আইশা (রা) সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন (যা পুর্বেই উদ্ধৃত হয়েছে) ৷ তাতে তিনি অধিক বলেছেন যে, ফাতিমা (বা) মৃত্যুবরণ
করলে রাতের বেলা আলী (যা) তাকে দাফন করলেন এবং আবু বকর (রা)-কে অবহিত না
করেই তিনি নিজেই তার (জানাযা) প্সালাত আদায় করলেন ৷ ফাতিমা (রা)-এর জীবদ্দশায়
মানুষের কাছে আলী (রা)-এর বিশেষ সমাদর ছিল ৷ ফাতিমা (রা)-এর মৃত্যু হলে আলী (বা)
লোকদের ঢেহারায় পরিবর্তন লক্ষ্য করলেন ৷ তখন তিনি আবু বকর (রা)-এর সাথে সন্ধি-
সৌহার্দ গড়ে তুলতে এবং বায়আত করতে প্রয়াসী হলেন ৷ পুর্বের মাসগুলিতে তিনি বায়আত
করেননি ৷ এ উদ্দেশ্যে তিনি আবু বকর (রা) এর নিকটে সংবাদ পাঠালেন যে, আমাদের
এখানে তশ ৷রীফ আনবেন, তবে আপনার স ×গে অন্য কেউ যেন না আসে ৷ তিনি উমর (রা)-
এর স্বভ ৷ব কঠােরত৷ সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন বিধায় তার আগমন পসন্দ করছিলেন না ৷ উমর
(রা) বললেন, “আল্লাহর কসম! আপনি একা ৷কী তাদের কাছে যাবেন না ৷ আবু বকর (বা)
বললেন, কেন, তারা আমার সংগে আর কী ই বা করবে ? আল্লাহর কসম ৷ আ ৷মি অবশ্যই

তাদের কাছে যাব ৷ আবু বকর (বা) সেখানে গেলেন ৷ আ ৷লী (রা) বললেন, আমরা আপনার
মাহাত্ম্য এবং আপনার প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ সম্পর্কে সম্যক অবগত এবং যে কল্যাণে আল্লাহ
আপনাকে দান করেছেন তাতে আমরা আপনার প্রতি ঈযানিত নই ৷ তবে আপনারা (খিলাফত)
বিষয়টিতে একাধিপত্য বিস্ত৷ ৷র করেছেন; অথচ র ৷সুলুল্লাহ (সা) এর সংগে আমাদের আত্মীয়তা
সুত্রে আমরা ধারণা করতাম যে, বিষয়টিতে আমাদের বিশেষ হিসৃসা রয়েছে ৷” আলী (রা)
এভাবে বলতে থাকলেন যাতে শেষ পর্যন্ত আবু বকর (রা)-কেদে ফেললেন এবং বললেন, যার
হাতে আমার জীবন তার শপথ! রাসুলুল্লা হ (সা) এর আত্মীয়দের সংগে সদাচরণ রক্ষা করে
চলা আমার কাছে আমার নিজের আত্মীয়দের স ×গে সদাচরণের তুলনায় অধিক কাম্য ৷ আর এ


ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ سَأَلَتْ أَبَا بَكْرٍ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِيرَاثَهَا مِمَّا تَرَكَ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ، فَقَالَ لَهَا أَبُو بَكْرٍ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» فَغَضِبَتْ فَاطِمَةُ، وَهَجَرَتْ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ تَزَلْ مُهَاجِرَتَهُ حَتَّى تُوُفِّيَتْ. قَالَ: وَعَاشَتْ فَاطِمَةُ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّةَ أَشْهُرٍ. وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ. هَكَذَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ فِي كِتَابِ الْمَغَازِي مِنْ " صَحِيحِهِ " عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ كَمَا تَقَدَّمَ، وَزَادَ: فَلَمَّا تُوُفِّيَتْ دَفَنَهَا عَلِيٌّ لَيْلًا وَلَمْ يُؤْذِنْ بِهَا أَبَا بَكْرٍ، وَصَلَّى عَلَيْهَا، وَكَانَ لِعَلِيٍّ مِنَ النَّاسِ وَجْهٌ حَيَاةَ فَاطِمَةَ. فَلَمَّا تُوُفِّيَتِ اسْتَنْكَرَ عَلِيٌّ وُجُوهَ النَّاسِ، فَالْتَمَسَ مُصَالَحَةَ أَبِي بَكْرٍ وَمُبَايَعَتَهُ، وَلَمْ يَكُنْ بَايَعَ تِلْكَ الْأَشْهُرَ، فَأَرْسَلَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ: ائْتِنَا وَلَا يَأْتِنَا مَعَكَ أَحَدٌ. وَكَرِهَ أَنْ يَأْتِيَهُ عُمَرُ لِمَا عَلِمَ مِنْ شِدَّةِ عُمَرَ، فَقَالَ عُمَرُ، وَاللَّهِ لَا تَدْخُلُ عَلَيْهِمْ وَحْدَكَ. قَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَمَا عَسَى أَنْ يَصْنَعُوا بِي؟ وَاللَّهِ لَآتِيَنَّهُمْ. فَانْطَلَقَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَتَشَهَّدَ عَلِيٌّ وَقَالَ: إِنَّا قَدْ عَرَفْنَا فَضْلَكَ وَمَا أَعْطَاكَ اللَّهُ، وَلَمْ نَنْفَسْ عَلَيْكَ
পৃষ্ঠা - ৪৩২৬
خَيْرًا سَاقَهُ اللَّهُ إِلَيْكَ، وَلَكِنَّكُمُ اسْتَبْدَدْتُمْ بِالْأَمْرِ، وَكُنَّا نَرَى لِقَرَابَتِنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ لَنَا فِي هَذَا الْأَمْرِ نَصِيبًا. فَلَمْ يَزَلْ عَلِيٌّ يَذْكُرُ حَتَّى بَكَى أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَرَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ أَصِلَ مِنْ قَرَابَتِي، وَأَمَّا الَّذِي شَجَرَ بَيْنِي وَبَيْنَكُمْ فِي هَذِهِ الْأَمْوَالِ فَإِنِّي لَمْ آلُ فِيهَا عَنِ الْخَيْرِ، وَلَمْ أَتْرُكْ أَمْرًا صَنَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا صَنَعْتُهُ. فَقَالَ عَلِيٌّ: مَوْعِدُكَ لِلْبَيْعَةِ عَشِيَّةً. فَلَمَّا صَلَّى أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، الظُّهْرَ رَقِيَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَتَشَهَّدَ، وَذَكَرَ شَأْنَ عَلِيٍّ وَتَخَلُّفَهُ عَنِ الْبَيْعَةِ، وَعُذْرَهُ بِالَّذِي اعْتَذَرَ بِهِ، وَتَشَهَّدَ عَلِيٌّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَعَظَّمَ حَقَّ أَبِي بَكْرٍ، وَذَكَرَ فَضِيلَتَهُ وَسَابِقَتَهُ، وَحَدَّثَ أَنَّهُ لَمْ يَحْمِلْهُ عَلَى الَّذِي صَنَعَ نَفَاسَةٌ عَلَى أَبِي بَكْرٍ، ثُمَّ قَامَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَبَايَعَهُ فَأَقْبَلَ النَّاسُ عَلَى عَلِيٍّ فَقَالُوا: أَحْسَنْتَ. وَكَانَ النَّاسُ إِلَى عَلِيٍّ قَرِيبًا حِينَ رَاجَعَ الْأَمْرَ بِالْمَعْرُوفِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا وَمُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِنَحْوِهِ. فَهَذِهِ الْبَيْعَةُ الَّتِي وَقَعَتْ مِنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لِأَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَعْدَ وَفَاةِ فَاطِمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، بَيْعَةٌ مُؤَكِّدَةٌ لِلصُّلْحِ الَّذِي وَقَعَ بَيْنَهُمَا، وَهِيَ ثَانِيَةٌ لِلْبَيْعَةِ الَّتِي ذَكَرْنَاهَا أَوَّلًا يَوْمَ السَّقِيفَةِ، كَمَا رَوَاهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ وَصَحَّحَهُ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ، وَلَمْ يَكُنْ عَلِيٌّ مُجَانِبًا لِأَبِي بَكْرٍ هَذِهِ السِّتَّةَ الْأَشْهُرِ، بَلْ
পৃষ্ঠা - ৪৩২৭


সম্পদে আপনাদের মাঝে যে কলহ দেখা দিয়েছে তাতে উত্তম পন্থা অবলম্বনে আ ৷মি শৈথিল্য
কবিনি ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) করে গিয়েছেন এমন কিছু আমি ত্যাগ করিনি ৷ পরে আবু বকর (বা)
যুহর সালাত আদায়ের পর মিম্বরে উঠলেন এবং হাম্দ সালাত পাঠের পরে আলী (রা) এর
অবস্থান, বায়আত হতে তার পিছিয়ে থাকা এবং সে ব্যাপারে পেশকৃত কৈফিয়তের বিবরণ দান
করলেন ৷ আলী (রা)-ও হাম্দ ও দরুদ আদায়ের পরে আবু বকর (রা)ষ্এর অ্যাধিকার তার
মাহাত্ম্য এবং তার যোণতো ও অবদান ড্ডাগণ্যতার বিবরণ দিলেন ৷ তিনি এ কথাও বললেন
যে, তিনি যা কিছু করেছেন তার পেছনে আবু বকর (রা) এর প্রতি ঈর্ষাবােধ ছিল না ৷ তারপর
তিনি আবু বকর (রা)-এর কাছে গিয়ে দাড়িয়ে তার হাতে বায়আত করলেন ৷ তখন লোকেরা
আলী (রা)-এর কাছে এগিয়ে এসে তাকে মুবারকবাদ জ্ঞাপন করল এবং তাকে অভিনন্দিত
করলো ৷ এ ন;া৷যসংপত অবস্থানে প্ৰতব্রুাবর্তনের পর সাধারণ্যে আলী (রা) এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি
পায় ৷ বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও নানা ৷ঈ (র) প্রমুখও হাদীসটি যুহ্রী (র),অ আইশা (রা)
সনদে একা ৷ধিক পন্থায় প্রায় অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷

পর্যালোচনাং : ফাতিম৷ (বা) এর মৃত্যুর পরে আলী (বা) কতৃক আবু বকর (বা) এর হাতে

এ রায় আত গ্রহণ ৷ছিল তাদের মাঝে সং ঘটিত আপােষ ও সস্প্রীতির মনোভারের দৃঢ়তা জ্ঞা ৷পক
বায় আত ৷ আর এ বায়৷ আত ছিল আমাদের পুর্বোল্লিখিদ্ভ সার্কীফ৷ দিবসের বায় আতের
নবায়ন ও দ্বিতীয় বারের বায়আত-যেমন ইবন থুযায়ম৷ (র) রিওয়ায়াত করেছেন এবং
মুসলিম (র) তার সহীহ গ্রন্থেও তা রিওয়ায়াত করেছেন এবং আলী (বা) এ ছয় মাস যাবত
আবু বকর (রা)-কে পাশ কাটিয়ে চলেছিলেন এমন নয় ৷ বরং তিনি নিয়মিত আবু বকরের
পিছনে সালাত আদায় করছিলেন এবং মজলিসে শুরার পরামর্শ বৈঠকেও উপস্থিত থাকছিলেন
য়ুল কাসৃসা অভিয৷ ৷নও তিনি আবু বকর (রা) এর সংগে অৎশ্যাহণ ৷করেছিলেন (পরবর্তী বর্ণনা
দ্রষ্টব্য) ৷ সহীহুল বুখারীতে রয়েছে, যে রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাতে তর কয়েক দিন পরে আবু
বকর (রা) আসর সালাত আদায় করলেন ৷ পরে মসজিদ হতে বের হয়েও তিনি হাসান ইবন
আলী (রা)-কে বালকদের সাথে খেলা করতে দেখতে পেয়ে তাকে নিজের কাধে তুলে নিলেন
এবং বলতে লাগলেন, দেখাে নবী করীম (না)-এর গঠনের সাথে এর কতই না মিল, আলী-র
সাথে নয় ! “আলী (বা) তা দেখছিলেন আর হাসছিলেন ৷ কিন্তু এ দ্বিতীয় বারের বায়আত
ৎযটিত হওয়ার কারণে বর্ণনা-কড়ারীদের মাঝে কারো কারো ধারণা জন্মেছে যে, ইতোপুর্বে
আলী (বা) বায়আত করেননি, তাই তারা তা অস্বীকার করেছেন ৷ অথচ (বিধান অনুসারে)
ইতিবাচক বিবরণ নেতিবাচকের তুলনায় অগ্নগণ্য ৷ যেমনটি যথাস্থানে বিবৃত ও স্থিরীকৃত
হয়েছে ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷ তবে আবু বকর রাবিয়াল্লাহ আনহুর প্ৰতি ফাতিমা
রাযি য়াল্লাহু আনহার অসন্তুষ্টির কারণ আমার বোধগম্য হয়নি ৷ যদি তা তার দাবীকৃত মীরাছ
প্রদানে আবু বকর (বা) এর অস্বীকৃতির কারণে হয় তবে তিনি তো এ বিষয় নিজের
অপরাপতার এমন কা রণ ৷দর্শিয়েছেন যা গ্রহণ না করে গতন্তের যেই ৷ তা হলত তারই পিতা ও
আল্লাহর রাসুল (সা) হতে আহরিত রিওয়ায়াত যে,৩ তিনি বলেছেন, আমরা ষীরাছ রেখে যাই
না; আমরা যা রেখে যাই তা হয়ে সাদাক৷ ৷ আর নবী করীম (সা)এর ভাষ্যের প্রতি ফাতিমা
(রা)-র অনুপত্যও প্রশ্নাভীত ব্যাপার ৷ যদিও মীরাছের দাবী করার আগে বিষয়টি তার অজ্ঞাত


كَانَ يُصَلِّي وَرَاءَهُ وَيَحْضُرُ عِنْدَهُ لِلْمَشُورَةِ، وَرَكِبَ مَعَهُ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ، كَمَا سَيَأْتِي. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ صَلَّى الْعَصْرَ بَعْدَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَيَالٍ، ثُمَّ خَرَجَ مِنَ الْمَسْجِدِ فَوَجَدَ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ يَلْعَبُ مَعَ الْغِلْمَانِ، فَاحْتَمَلَهُ عَلَى كَاهِلِهِ، وَجَعَلَ يَقُولُ: بِأَبِي شَبِيهُ النَّبِيِّ، لَيْسَ شَبِيهًا بَعَلِيٍّ، وَعَلِيٌّ يَضْحَكُ. وَلَكِنْ لَمَّا وَقَعَتْ هَذِهِ الْبَيْعَةُ الثَّانِيَةُ اعْتَقَدَ بَعْضُ الرُّوَاةِ أَنَّ عَلِيًّا لَمْ يُبَايِعْ قَبْلَهَا، فَنَفَى ذَلِكَ، وَالْمُثْبِتُ مُقَدَّمٌ عَلَى النَّافِي، كَمَا تَقَدَّمَ وَكَمَا تَقَرَّرَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَأَمَّا تَغَضُّبُ فَاطِمَةَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا - عَلَى أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، فَمَا أَدْرِي مَا وَجْهُهُ، فَإِنْ كَانَ لِمَنْعِهِ إِيَّاهَا مَا سَأَلَتْهُ مِنَ الْمِيرَاثِ، فَقَدِ اعْتَذَرَ إِلَيْهَا بِعُذْرٍ يَجِبُ قَبُولُهُ، وَهُوَ مَا رَوَاهُ عَنْ أَبِيهَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» وَهِيَ مِمَّنْ تَنْقَادُ لِنَصِّ الشَّارِعِ الَّذِي خَفِيَ عَلَيْهَا قَبْلَ سُؤَالِهَا الْمِيرَاثَ، كَمَا خَفِيَ عَلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَخْبَرَتْهُنَّ عَائِشَةُ بِذَلِكَ، وَوَافَقْنَهَا عَلَيْهِ، وَلَيْسَ يُظَنُّ بِفَاطِمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا اتَّهَمَتِ الصِّدِّيقَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِيمَا أَخْبَرَهَا بِهِ حَاشَاهَا وَحَاشَاهُ مِنْ ذَلِكَ، كَيْفَ وَقَدْ وَافَقَهُ عَلَى رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَعُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، وَعَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَطَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ، وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ، وَأَبُو هُرَيْرَةَ، وَعَائِشَةُ؟ ! رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ قَرِيبًا، وَلَوْ تَفَرَّدَ بِرِوَايَتِهِ
পৃষ্ঠা - ৪৩২৮
الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَوَجَبَ عَلَى جَمِيعِ أَهْلِ الْأَرْضِ قَبُولُ رِوَايَتِهِ، وَالِانْقِيَادُ لَهُ فِي ذَلِكَ، وَإِنْ كَانَ غَضَبُهَا لِأَجْلِ مَا سَأَلَتِ الصِّدِّيقَ - إِذْ كَانَتْ هَذِهِ الْأَرَاضِي صَدَقَةً لَا مِيرَاثًا - أَنْ يَكُونَ زَوْجُهَا يَنْظُرُ فِيهَا، فَقَدِ اعْتَذَرَ بِمَا حَاصِلُهُ أَنَّهُ لَمَّا كَانَ خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَهُوَ يَرَى أَنَّ فَرْضًا عَلَيْهِ أَنْ يَعْمَلَ بِمَا كَانَ يَعْمَلُهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَلِي مَا كَانَ يَلِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلِهَذَا قَالَ: وَإِنِّي وَاللَّهِ لَا أَدَعُ أَمْرًا كَانَ يَصْنَعُهُ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا صَنَعْتُهُ. قَالَ: فَهَجَرَتْهُ فَاطِمَةُ، فَلَمْ تُكَلِّمْهُ حَتَّى مَاتَتْ. وَهَذَا الْهِجْرَانُ وَالْحَالَةُ هَذِهِ فَتَحَ عَلَى فِرْقَةِ الرَّافِضَةِ شَرًّا عَرِيضًا، وَجَهْلًا طَوِيلًا، وَأَدْخَلُوا أَنْفُسَهُمْ بِسَبَبِهِ فِيمَا لَا يَعْنِيهِمْ، وَلَوْ تَفَهَّمُوا الْأُمُورَ عَلَى مَا هِيَ عَلَيْهِ لَعَرَفُوا لِلصِّدِّيقِ فَضْلَهُ، وَقَبِلُوا مِنْهُ عُذْرَهُ الَّذِي يَجِبُ عَلَى كُلِّ أَحَدٍ قَبُولُهُ، وَلَكِنَّهُمْ طَائِفَةٌ مَخْذُولَةٌ، وَفِرْقَةٌ مَرْذُولَةٌ، يَتَمَسَّكُونَ بِالْمُتَشَابِهِ، وَيَتْرُكُونَ الْأُمُورَ الْمُحْكَمَةَ الْمُقَرَّرَةَ عِنْدَ أَئِمَّةِ الْإِسْلَامِ، مِنَ الصَّحَابَةِ وَالتَّابِعَيْنِ فَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ الْعُلَمَاءِ الْمُعْتَبَرِينَ فِي سَائِرِ الْأَعْصَارِ وَالْأَمْصَارِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَأَرْضَاهُمْ أَجْمَعِينَ.
পৃষ্ঠা - ৪৩২৯


ছিল, যেমন অজ্ঞাত ছিল অইিশা (রা)-এর বর্ণনা প্রদানের আগে অন্যান্য নবী সহধর্মিনীণণের
অনেবেল্ম কাছেও ৷ অবশ্য র্তারাও পরে আইশা (রা)-এর সংগে ঐকমত্য পোষণ করেছিলেন ৷
আর আবু বকর সিদ্দীক (বা) কতৃর্ক বর্ণিত হাদীসের ব্যাপারে ফাতিমা (বা) তাকে মিথ্যা
কথনের অভিযোগ দেবেন এমনঢিও কল্পনা করা যায় না ৷ ফাতিমা ও আবু বকর (রা) উভয়ই
এমন পারস্পরিক অবিশ্বাসের অবস্থান হতে অনেক অনেক উর্ধে ৷ আর তা কী করে হতে পারে,
যখন নাকি এ হাদীস বর্ণনায় আবু বকর (রা)-এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন উমর
ইবনুল খাত্তাব, উছমান ইবন আফ্ফান, আলী ইবন আবু তালিব ৷ আব্বাস ইবন আবদুল
মুত্তালিব, আবদুর রহমান ইবন আওফ, তাল্হা ইবন উৰায়দুল্লাহ, যুবায়র ইবনৃল আওয়াম,
সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস, আবু হুরায়র৷ ও আইশা রাযিয়াল্লাহু আনহুমের ন্যায় বিশিষ্ট
সাহাবীণণ (বিবরণ ণরে আসছে) ৷ অথচ সিদ্দীক (বা) এ হাদীসটি একাকী বর্ণনা করলেও
তার বিওয়ায়াত গ্রহণ করা এবং ৎশ্রিষ্ট বিষয়ে তীর আনুগত্য করা গোটি৷ ৰিশ্ববাসীর জন্য
অপরিহার্য হত ৷ আর যদি ধরে নেয়া হয় যে, ফাতিমা (বা) তার দাবীকৃত তুসম্পত্তি মীরাছ না
হয়ে সাদাকা সাব্যস্ত হওয়ার কথা আমার পরেও তার স্বামীকে সে সম্পত্তির তত্তুাবধায়ক
(যুতাওয়ড়াল্লী) নিয়ােগের আবেদন করেছিলেন এবং তা গৃহীত না হওয়াই ছিল তার অসন্তুষ্টির
কারণ, তবে তো আবু বকর (বা) যে বিযয়ও তার অপারণতা প্রকাশ করেছিলেন ৷ তার
বক্তব্যের সার কথা ছিল এই যে, যেহেতু তিনি আল্লাহর রাসুল (সা) এর খলীফা ও
স্থালাভিষিক্ত, তাই তিনি মনে করেন যে, ঐ সব ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ (না) যে কর্তব্য সম্পাদন
করতেন (পদাধিকারী হিসাবে) তা সম্পাদন করা এবং রাসুলুল্লাহ যে দায়িতৃ বহন করতেন তা
বহন করা তীর জন্য অপরিহার্য ৷ এ কারণেই তিনি বলেছিলেন, আল্লাহ্র কসম! তাতে
রাসুলুল্পাহ (না) যা কিছু সম্পাদন করতেন তার কােনটিই সম্পাদন করা আমি ত্যাগ করব না ৷
বর্ণনাকারী বলেন, তখন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ফাতিমা (রা) তীর সাথে বাক্যলাণ বন্ধ রাখেন ৷
বর্ণিত পরিস্থিতিতে তার এ সম্পর্কাচ্ছদ বাতিল পন্থী রাফিযী উপদলের জন্য বিশাল অকল্যাণ
ও অপরিসীম অজ্ঞতার দুয়ার খুলে দেয়া এবং এ কারণেই তারা অর্থহীন বিষয়ে জড়িয়ে পড়ে ৷
অথচ তারা বিষয়টি যথাযথ অনুধাবনে সচেষ্ট হলে অবশ্যই তারা সিদ্দীক (রা)-এর মাহাত্ম্য
উপলব্ধি করতে সক্ষম হত এবং র্তার সে ওযর মেনে নিতে স্বীকৃত হত যা গ্রহণ করা
প্রত্যেকের জন্যই অপরিহার্য ৷ কিন্তু ওরা তো আল্লাহর সাহায্য বর্জিত পরিত্যাক্ত ও প্রত্যাখ্যাত
উপদল যারা ঘুতড়াশাবিহ (সাদৃশ্যতাপুর্ণ জঢিলতম বিষয়) এর পশ্চাতে ধাবিত হয়ে সে
মুহ্কাম (সুস্পষ্ট সুনিশ্চিত) বিষয় বর্জন করে যা সাহাবী-তাবিঈন (বা) হতে শুরু করে সব
যুগের ন্যায় পন্থী মহান বিদ্বান মনীষীবর্পের পসন্দীয় ও সর্বজন স্বীকৃত অভিমত ৷

আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর বর্ণিত হা ৷দীসের সংগে হাদীস সৎকলকবৃন্দের
একাত্মত৷ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়৷ ত ৷দের রিওয়ায়াতের বিবরণ
বুখারী (র) বলেন, ইয়াহ্য়৷ ইবন বুকায়র (র) ইবন শিহাব (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,

মালিক ইবন আওস ইবনুল হাদাছান (র) আমাকে হাদীস অবহিত করেছেন ইতোপুর্বে
মুহাম্মদ ইবন জুবায়র ইবন মুতইম (র) মালিক (র) বণিতি এ হাদীসের কিছু উল্লেখ আমার


[بَيَانُ رِوَايَةِ الْجَمَاعَةِ لِمَا رَوَاهُ الصِّدِّيقُ وَمُوَافَقَتِهِمْ عَلَى ذَلِكَ] قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ، وَكَانَ مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ ذَكَرَ لِي ذِكْرًا مِنْ حَدِيثِهِ ذَلِكَ، فَانْطَلَقْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيْهِ، فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: انْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى عُمَرَ فَأَتَاهُ حَاجِبُهُ يَرْفَا، فَقَالَ: هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، وَالزُّبَيْرِ، وَسَعْدٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَأَذِنَ لَهُمْ، ثُمَّ قَالَ: هَلْ لَكَ فِي عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ عَبَّاسٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا. قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ، هَلْ تَعْمَلُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» يُرِيدُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَفْسَهُ؟ قَالَ الرَّهْطُ: قَدْ قَالَ ذَلِكَ. فَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ، فَقَالَ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ قَالَ ذَلِكَ؟ قَالَا: قَدْ قَالَ ذَلِكَ. قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: فَإِنِّي أُحَدِّثُكُمْ عَنْ هَذَا الْأَمْرِ ; إِنَّ اللَّهَ كَانَ قَدْ خَصَّ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْفَيْءِ بِشَيْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ ; قَالَ: {وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ} [الحشر: 6] إِلَى قَوْلِهِ قَدِيرٌ [الْحَشْرِ: 6] فَكَانَتْ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهِ مَا
পৃষ্ঠা - ৪৩৩০


কাছে করেছিলেন ৷ তাই আমি চলতে চলতে মালিক ইবন আওস (র) এর নিকটে পৌছে তাকে
হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম ৷ তিনি বললেন, আমি চলতে চলতে উমর (রা)এর নিকটে
পৌছে গেলাম ৷ তখন তার একান্ত সচিব ইয়ারফা (রা) এসে বললেন, আপনি কি উছমড়ান,
আবদুর রহমান ইবন আওফ, যুবায়র ও সাদ (রা)-কে প্রবেশের অনুমতি দেবেন ? তিনি
বললেন, হী ৷ তাদের অনুমতি দেয়া হলে পরে ইয়ারফা (রা) আবার বললেন, আপনি কি আলী
ও আব্বাস (রা)-কে প্রবেশানুমতি দেবেন? তিনি বললেন, হী ৷ আব্বাস (রা) বললেন,
আমীরুল মুমিনীন ! আমার ও এর (আলীর) মাঝে মীমাংসা করে দিন ৷ উমর (রা) বললেন,
(উপস্থিত সকলকে লক্ষ্য করে) আমি আপনাদের সে আল্লাহর দােহইি দিচ্ছি যীর হুকুমে
আসমড়ান-যমীন দাড়িয়ে আছে, (আপনারা কি জানেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “আমরা
মীরাছ রেখে যাই না, আমরা না রেখে যইি তা সাদাকা ৷ এতে তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) নিজেকে
বুঝাতে চেয়েছেন? সমবেত দলটি বলল, তিনি তো বলেছেনই ৷ তখন উমর (রা) আলী ও
আব্বাস (রা) এর দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আপনারা দু’জনও জানেন কি যে রাসুলুল্লাহ (সা)
এরুপ বলে গিয়েছেন? র্তীরা বললেন তিনি তো বলেছেনই ৷ এবার উমর ইবনৃল থাত্তার (বা)
বললেন, এখন আমি আপনাদের সামনে বিষয়টির বিবরণ উপস্থাপন করছি ৷ আল্লাহ পাক এ
ফায়’ (সন্ধি-লব্ধ শত্রু সম্পদ)-এ রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্য বিশেষ অধিকার ৎরক্ষিত
রেখেছিলেন যা অন্যদের তিনি প্রদান করেন নি ৷ তিনি ইরশাদ করেছেন-
“আল্লাহ ইয়াহুদীদের নিকট হতে তার রড়াসুলকে যে ফায়’ দিয়েছেন, তার জন্য তোমরা
ঘোড়া কিৎবা উটে চড়ে যুদ্ধ কর নি; আল্লাহ তো যার উপর ইচ্ছা তার রড়াসুলদের কতৃতৃ দান
করেন ৷ আল্লাহ সব বিষয় সর্বশক্তিমড়ান (৫৯ : ৬) ৷ যেটিকথা, তা ছিল আল্লাহর রাসুল (সা)-
এর একান্ত (খাস) অধিকার ৷ আল্লাহ্র কসম ! তিনি তা আপনাদের বাদ দিয়ে কুক্ষিগত করেন
নি এবং তাতে আপনাদের উপরে প্রাধান্য বিস্তার করেন নি ৷ বরং তিনি তা আপনাদের দান
করেছেন এবং আপনাদের মাঝে তা ছড়িয়ে দিয়েছেন ৷ পরে এ সম্পত্তি অবশিষ্ট রয়ে গেলে তা
রাসুলুল্লাহ (সা) এর ব্যক্তিগত অধিকারে ছিল ৷ এর আয় উৎপাদন দিয়ে তিনি নিজের
পরিবারবর্গের সারা বছরের খরচ দিতেন ৷ তার পরে অবশিষ্ট অংশ নিয়ে আল্লাহর মালের
প্রয়োগ ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তার ইনতিকাল পর্যন্ত এভাবে আমল করে
গিয়েছেন ৷ আল্লাহ্র নামে কসম দিয়ে আপনাদের বলছি ! আপনারা কি তা (অবগত রয়েছেন?
তার! বললেন, ত্মী হী ! পরে আলী ও আব্বাস (রা)-কে বললেন, আপনাদের দুজনকে আল্লাহ্র
কলম দিচ্ছি! আপনারা কি তা জানেন ? তার! বললেন, জী হী উমর (রা) বলে চললেন পরে
আল্লাহ তার নবীকে ওফাত দান করলে আবু বকর (রা) (খলীফা মনোনীত হয়ে) বললেন,
আমি রাসুলুল্লাহ (সা)-এর উত্তরাধিকারী তত্ত্ব!বধায়ক ৷

তাই তিনি তা স্বীয় কর্তৃত্বে গ্রহণ করে তাতে তদ্র্যপ কার্য পরিচালনা করলেন যেমনটি
রাসুলুল্লাহ (সা) করেছিলেন ৷ তারপর আল্লাহ আবু বকর (রা)-কে মৃত্যু দান করলে আমি
বললড়াম, যে, আমি আল্লাহর রাসুল (সা)-এর উত্তরাধিকারীর উত্তরাধিকারী তত্ত্বড়াবধানকারী ৷


احْتَازَهَا دُونَكُمْ، وَلَا اسْتَأْثَرَ بِهَا عَلَيْكُمْ، لَقَدْ أَعْطَاكُمُوهَا وَبَثَّهَا فِيكُمْ، حَتَّى بَقِيَ مِنْهَا هَذَا الْمَالُ، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ مِنْ هَذَا الْمَالِ نَفَقَةَ سَنَتِهِ ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ، فَعَمِلَ بِذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيَاتَهُ، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُونَ ذَلِكَ؟ قَالُوا: نَعَمْ. ثُمَّ قَالَ لَعَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ: أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمَانِ ذَلِكَ؟ قَالَا: نَعَمْ. فَتَوَفَّى اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَبَضَهَا، فَعَمِلَ بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ، فَقُلْتُ: أَنَا وَلِيُّ وَلِيِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَبَضْتُهَا سَنَتَيْنِ، أَعْمَلُ فِيهَا بِمَا عَمِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ، ثُمَّ جِئْتُمَانِي وَكَلِمَتُكُمَا وَاحِدَةٌ وَأَمْرُكُمَا جَمِيعٌ جِئْتَنِي تَسْأَلُنِي نَصِيبَكَ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ، وَجَاءَنِي هَذَا لِيَسْأَلَنِي نَصِيبَ امْرَأَتِهِ مِنْ أَبِيهَا، فَقُلْتُ: إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ، فَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ؟ ! فَوَاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ لَا أَقْضِي فِيهَا قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، فَإِنْ عَجَزْتُمَا فَادْفَعَاهَا إِلَيَّ فَأَنَا أَكْفِيكُمَاهَا. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي أَمَاكِنَ مُتَفَرِّقَةٍ مِنْ " صَحِيحِهِ "، وَمُسْلِمٌ وَأَهْلُ السُّنَنِ مِنْ طُرُقٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ": فَقَالَ عُمَرُ: فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ، فَعَمِلَ فِيهَا بِمَا
পৃষ্ঠা - ৪৩৩১
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়াংমােজ্যো৪ : ৭৩
আমিও তাই দুবছর যাতে তা স্বীয় কর্তৃত্বে রেখে তাতে তেমন কাজই করলাম যেমন
করেছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা) এবং আবু বকর (রা) ৷ তারপরে আপনারা দুজন আমার কাছে
এলেন ৷ তখন আপনাদের বক্তব্য ছিল অভিন্ন এবং আপনাদের ব্যাপার ছিল সমন্বিত ৷
অবশেষে আপনি (আব্বাসী) এসেছিলেন আমার কাছে, আপনার ভাতিজা (রাসুল সা ) হতে
আপনার প্রাপ্য অৎহৃ শের দাবী নিয়ে; আর ইনি (আলী) এসেছিলেন আমার কাছে, তার ত্রীর
পিতা হতে প্রাপ্য অংশে র দাবী নিয়ে ৷ আমি বলেছিলাম, আপনারা দু’জন চাইলে আমি তা
(তত্ত্ববেধানের জন্য) আপনাদের হাতে তুলে দেব ৷ এখন আপনারা আমার কাছে অন্য কোন
মীমা০ সার আবদার নিয়ে এসেছেন?! তবে, যে আল্লাহ্র হুকুমে আসমান-যমীন স্থির থাকে তার
কসম! কিয়ামত কায়েম না হওয়া পর্বত ও বিষয়ে অন্য কো ন সিদ্ধান্তের ফয়সালা আমি দেব
না ৷ আপনারা যদি (যথাযথ কর্তব্য পালনে) অপারগ হয়ে থাকেন তবে তা আমাকে প্রত্যর্পণ
করুন! আমি আপনাদের জন্য যথার্থ কর্ম সম্পাদন করে যার ৷ বুখারী (র) তার সহীহ গ্রন্থের
বিভিন্ন স্থানে এবং মুসলিম (র) ও অন্যান্য সুনান গ্রন্থ সং কলকবৃন্দ যুহ্রী (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের রিওয়ায়াত রয়েছে, উমর (রা) বললেন, আবু
বকর (রা) তার (সে সম্পত্তির) দায়-দায়িতৃ গ্রহণ করে তাতে তেমনই খাতে ব্যয় করলেন
যেমনটি রাসুলুল্লাহ (সা) করেছিলেন ৷ আর আল্লাহ জানেন যে, তিনি ছিলেন স৩ ব্লব,াদী
পুণ্যবান, কল্যাণকামী ও ন্যায় পন্থা র অনুসারী ৷

তারপর আপনারা দু’জন আমার কাছে আগমন করলে আমি তা আপনাদের হাতে অর্পণ
করলাম, যেন আপনারা তাতে তেমনই আমল করেন যেমন আমল করেছিলেন রাসুলুল্লাহ (মা)
ও আবু বকর এবং যেমন আমল করেছিলাম আ ৷মি ৷ আল্লাহর নামে আপনাদের কসম দিয়ে
বলছি, আমি যে রুপেই তা আপনাদের কাছে অর্পণ করেছিলাম কি ? তারা বললেন, জী হা !
তারপর উমর (রা) আবার তাদের বললেন, আ ৷মি আল্লাহ্র নামে কসম দিয়ে বলছি, ঐ শর্তেই

আমি তা আপনাদের হাতে অপ্নি করেছিলাম কি ? তারা বললেন, জী হ৷ ! উমর (রা) বললেন,
এখন কি আপনারা আমার কাছে অন্য কো ন মীমাং সার আবদার করছেন ? না, যার হুকুমে

দাড়িয়ে থাকে আসমা ৷ন ও যমীন তার কসম! (তা হবে না) ইমাম আহমদ (র) বলেছেন,
সৃফিয়ান (র) মালিক ইবন আওস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবন
আওফ, তালহা, যুবায়র ও সাদ (রা)-কে উদ্দেশ্য করে উমর (রা) কে আমি বলতে ওনছি,
আপনাদের আমি কসম দিচ্ছি, সে আল্লাহ্র কসম ! আসমানযমীন দাড়িয়ে থাকে র্ষার হুকুমে !
আপনারা কি অবগত রয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “আমরা মীরাছ রেখে যাই না;

আমরা যা রেখে যাই তা (হবে) সাদাকা” ? তারা বললেন, জী, ই৷ ! এটি সহী গ্রস্থদ্বয়ের শর্তে
উত্তীর্ণ ৷

মন্থকা রের মন্তব্যং তত্ত্ব ৷বধানের দায়িত্ব তাদের হাতে সমর্পিত হওয়ার পরেও তাদের
প্রার্থিত বিষয় ছিল তত্ত্ব ৷বধানের কর্তব্যটি তা ৷দের হাতে তুলে দেয়৷ ৷ অর্থাৎ তাদের প্রত্যেককে
আইনগত ওয়ারিছ ও উত্তরাধিকারী ধারে নেয়া হলে যে পরিমাণ সম্পত্তিতে তার অধিকার
সাব্যস্ত হত যে হারে তত্ত্বাবাধানের দায়িতু তাদের মধ্যে ভাগ করে দেয় ৷ সম্ভবত এ বিষয়
সুপারিশ করার জন্য তারা উছমড়ান, ইবন আওফ, তালহা, যুবায় ও না দ (রা) প্রমুখ সাহাবীকে


عَمِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّهُ صَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، ثُمَّ وَلِيتُهَا فَعَمِلْتُ فِيهَا بِمَا عَمِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنِّي صَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، ثُمَّ جِئْتُمَانِي فَدَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا لِتَعْمَلَا فِيهَا بِمَا عَمِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ، وَعَمِلْتُ فِيهَا أَنَا، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ أَدَفَعْتُهَا إِلَيْهِمَا بِذَلِكَ؟ قَالُوا: نَعَمْ. ثُمَّ قَالَ لَهُمَا: أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ دَفَعْتُهَا إِلَيْكُمَا بِذَلِكَ؟ قَالَا: نَعَمْ. قَالَ: أَفَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ؟ ! لَا وَالَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ يَقُولُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ وَطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ: نَشَدْتُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي تَقُومُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ بِأَمْرِهِ، أَعَلِمْتُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» قَالُوا: نَعَمْ. عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ ". قُلْتُ: وَكَانَ الَّذِي سَأَلَاهُ بَعْدَ تَفْوِيضِ النَّظَرِ إِلَيْهِمَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، هُوَ أَنْ يَقْسِمَ بَيْنَهُمَا النَّظَرَ، فَيَجْعَلَ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا نَظَرَ مَا كَانَ يَسْتَحِقُّهُ بِالْإِرْثِ لَوْ قُدِّرَ أَنَّهُ كَانَ وَارِثًا، وَكَأَنَّهُمَا قَدَّمَا بَيْنَ أَيْدِيهِمَا جَمَاعَةً مِنَ الصَّحَابَةِ مِنْهُمْ ; عُثْمَانُ وَابْنُ عَوْفٍ وَطَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَسَعْدٌ، وَكَانَ قَدْ وَقَعَ بَيْنَهُمَا خُصُومَةٌ شَدِيدَةٌ بِسَبَبِ إِشَاعَةِ النَّظَرِ بَيْنَهُمَا، فَقَالَتِ الصَّحَابَةُ الَّذِينَ قَدَّمَاهُمْ بَيْنَ أَيْدِيهِمَا: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنَهُمَا وَأَرِحْ أَحَدَهُمَا مِنَ الْآخَرِ. فَكَأَنَّ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ تَحَرَّجَ مِنْ قِسْمَةِ النَّظَرِ بَيْنَهُمَا بِمَا يُشْبِهُ قِسْمَةَ الْمِيرَاثِ، وَلَوْ فِي الصُّورَةِ الظَّاهِرَةِ ; مُحَافَظَةً عَلَى امْتِثَالِ قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» فَامْتَنَعَ عَلَيْهِمْ كُلِّهِمْ وَأَبَى مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪৩৩২


আগেভাগে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ৷ বন্তুত তত্তুাবধানের দায়িত্ব যৌথভা ৷বে থাকায় তাদৈর মাঝে
চরম বিরোধ দেখা দিয়েছিল ৷৩ তাই, তাদের আগে পাঠানো সাহাবীগণ বললেন, হে আমীরুল
মু মিনীন! এদের দুজনের মাঝে ফয়সাল৷ করে দিন কিংবা এদের এক জনকে অন্য জন হতে

শান্তিতে থাকার ব্যবস্থা করে দিন ৷ কিন্তু উমর (রা) রড়াসুলুল্পাহ (সা) এর বাণী, “আমরা মীরাছ
রেখে যাই না, যা রেখে যাই তা সাদাকা এর মর্ম বাস্তবায়ন করার জন্য মীরাছ বণ্টানর স গে
সাদৃশ্যপুর্ণ হয়, যদিও তা বাহ্য দৃষ্টেই হোক, তেমনভাবে তা’ বন্টন করে দিতে তিনি কুণ্ঠাবােধ
করলেন ৷ ত ই, তিনি তাদের সকলের সুপারিশ অগ্রাহ্য করলেন এবং তাদের প্রস্তাবে সায়
প্রদানে দৃঢ়তার স০ গে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলেন ৷ (আল্লাহ তার প্ৰতি সন্তুষ্ট থাকুন এবং তাকে
সন্তুষ্ট করুন ) এরপরও আ নৌ ও আব্বাস (বা) তাদের পুববিস্থায় বহাল রইলেন এবং উছমান
(বা) এর খিলাফত কাল পর্যন্ত সম্মিলিত ভাবে তত্ত্ব ৷বধান কাজ পালন করতে থাকলেন ৷ পরে
আলী (বা) তাতে নিজের প্রধান বিস্তার করলেন এবং উছমান (বা) এর উপস্থিতিতে আব্বাস
(বা) তার পুত্র আবদুল্লাহ (বা) এর ইৎগিতে বিষয়টি আ ৷লী (বা) এর হাতে ছেড়ে দিলেন ৷
যেমনটি আহমদ (র) জার ঘুসনাদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ পরে তা আলী বংশীয়দের অধিকারই
থেকে যায় ৷ মসনাদৃশং০ ৷ড়ায়খায়ন নামক পুস্তকে আ ড়ামি দুই প্রবীণ সাহাবী (শায়খায়ন) আবু
বকর ও উমর (রা) সুত্রে বর্ণিত হড়াদীসসমুহের স০ কলনে এ হাদীসের সব বর্ণনাসুএ ও তায্যের
আপা গোড়া সন্নিবেশিত করেছি ৷

আল্লাহ্র শুক্র যে, রাসুলুল্লাহ (না) থেকে এ দু’জনের সুত্রে বর্ণিত হাদীস যথার্থ কার্যকর
ফিক্হ সম্বলিত এদের অভিমত সং গ্রহ করে আমি এদের প্রতেদ্রকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ও বেশ
মোটা স০ কলন স০ গ্রহ করছি এবং তা বর্তমানের প্রচলিত ফিক্হী বর্ণনা ধারায় বিন্যস্ত
করেছি ৷

আমরা পুর্বেই রিওয়ড়ায়ড়াত করে এলেছি যে, প্রথম দিকে ফা ৷তিমা (বা) কিয়াস’ এবং মীরাছ
সম্পর্কিত পবিত্র কুরআনের ব্যাপক ভিত্তিক আয়াত দিয়ে জ ৷র ৷দাবীর অনুকুলে প্রমাণ উপস্থাপন
করেছিলেন ৷ তখন আবু বকর সিদ্দীক (বা) জড়াকে জবাব দিয়েছিলেন এ নিষেধাজ্ঞাটি ছিল নবী
করীম (না)-এর জন্য খাস ৷ ফাতিমা (বা) আবু বকর (রা)-এর বক্তব্য স্বীকার করে
নিয়েছিলেন ৷ আর ফাতিমা (রা)-এর প্রতি অনুরুপ ধারণা পোষণ করাই সষীচীন ৷ ইমাম
আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান (র) আবু সালামা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ফাতিমা (বা)
আবু বকর (বা)-ফে বললেন, আপনি মারা গেলে কারা আপনার ওয়ারিছ হবে? আবু বকর (বা)
বললেন, আমার সন্তান ও পরিবারবর্গ ৷ ফাতিমা (বা) বললেন, তা হলে আমরা রাসুলুল্লাহ
(সা) এর মীরাছ পাচ্ছি না কেন? তখন আবু বকর (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি
বলতে শুনেছি, এ)ঙুহ্র শ্ব শুগ্রা : “নবী কাউকে ওয়ারিছ বানান না ৷”

তবে, রাসুলুল্লাহ (সা) যাদের দায়-দায়িতু বহন করতেন আমিও তাদের দায়-দায়িতৃ বহন
করব, এবং রাসুলুল্পাহ (সা) যাদের ব্যয় নির্বাহ করতেন আমিও তাদের ব্যয় নির্বাহ করব ৷
তিরমিযী (র) ও তার জা ড়ামি’ গ্রন্থে হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত ৩করেছেন মুহাম্মদ ইবনুল মুছান্না (র)
আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে ৷ তিনি স০ যুক্ত সনদে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷ তিরমিযী (র) মন্তব্য
করেছেন, হাদীসটি একক সুত্রীয় হসােন-সহীহ ৷


ذَلِكَ أَشَدَّ الْإِبَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، ثُمَّ إِنَّ عَلِيًّا وَالْعَبَّاسَ اسْتَمَرَّا عَلَى مَا كَانَا عَلَيْهِ، يَنْظُرَانِ فِيهَا جَمِيعًا إِلَى زَمَانِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ، فَغَلَبَهُ عَلَيْهَا عَلِيٌّ، وَتَرَكَهَا لَهُ الْعَبَّاسُ بِإِشَارَةِ ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، بَيْنَ يَدَيْ عُثْمَانَ، كَمَا رَوَاهُ أَحْمَدُ فِي " مُسْنَدِهِ ". فَاسْتَمَرَّتْ فِي أَيْدِي الْعَلَوِيِّينَ. وَقَدْ تَقَصَّيْتُ طُرُقَ هَذَا الْحَدِيثِ وَأَلْفَاظَهُ فِي مُسْنَدَيِ الشَّيْخَيْنِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَإِنَّى، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ، جَمَعْتُ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مُجَلَّدًا ضَخْمًا مِمَّا رَوَاهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَآهُ مِنَ الْفِقْهِ النَّافِعِ الصَّحِيحِ، وَرَتَّبْتُهُ عَلَى أَبْوَابِ الْفِقْهِ الْمُصْطَلَحِ عَلَيْهَا الْيَوْمَ. وَقَدْ رُوِّينَا أَنَّ فَاطِمَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، احْتَجَّتْ أَوَّلًا بِالْقِيَاسِ، وَبِالْعُمُومِ فِي الْآيَةِ الْكَرِيمَةِ، فَأَجَابَهَا الصِّدِّيقُ بِالنَّصِّ عَلَى الْخُصُوصِ بِالْمَنْعِ فِي حَقِّ النَّبِيِّ صَلِيَ اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهَا سَلَّمَتْ لَهُ مَا قَالَ. وَهَذَا هُوَ الْمَظْنُونُ بِهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ قَالَتْ لِأَبِي بَكْرٍ: مَنْ يَرِثُكَ إِذَا مُتَّ؟ قَالَ: وَلَدِي وَأَهْلِي. قَالَتْ: فَمَا لَنَا لَا نَرِثُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ ! فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «إِنَّ النَّبِيَّ لَا يُورَثُ» وَلَكِنِّي أَعُولُ مَنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُولُ، وَأُنْفِقُ عَلَى مَنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْفِقُ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " جَامِعِهِ "، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيِّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، فَذَكَرَهُ فَوَصَلَ
পৃষ্ঠা - ৪৩৩৩




তবে ইমাম আহ্মদ (র)-এর বর্ণিত অন্য একটি হাদীস, যাতে তি নি ব ণো ছেশ্৷ , আবদুল্লাহ
ইবন মুহাম্মদ ইবন আবু শায়বা (র) আবৃততুফারল (রা) থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাত হয়ে গেলে ফাতিমা (বা) আবু বকর (বা) এ র কাছে সংবাদ
পাঠালেন ৷ আপনি কি রাসুলুল্লাহ (সা)এর ওরারিছ হয়েছেন, বাকি তার পরিবার বর্গ? আবু
বকর (বা) বললেন, না, (আমি নই ) বরং তার পরিবার বর্গ ৷ ফাতিমা (বা) বললেন, তবে,
রাসুলুল্লাহ (সা) (হতে প্রাপ্য আমার) অংশ কোথায়? তখন আবু বকর (বা) বললেন, আমি
রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি,

৷ ১৷ ;দ্বুা৷ ৰু,া

“আল্লাহ যখন কোন নৰীকে কোন ভাগ্য বিনয় ভোগ করান এবং পরে র্তাকে তুলে নেন তখন
সে দায়িতু স্থলবর্তীর উপর অর্পণ করেন ৷ ” সুতরাং আমি মনে করছি যে, তা মুসলমানদের স্বার্থে
প্রতার্পিত করব ৷ তখন ফাতিমা (বা) বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে আপনি যা শুনেছেন তা
আপনিই ভাল জানেন ? আবু দাউদ (র) ও উছমান ইবন আবু শায়বা (র) সুত্রে অনুরুপ
রিওরারাত করেছেন ৷ এ হাদীছের ভাষ্য বিরলতাদৃষ্ট ও প্ৰত্যাখ্যানযােগ্য ৷ সম্ভবত কোন রাবী
তার উপলব্ধিগত অর্থকে নিজস্ব তাবায় শব্দরুপ দিয়েছেন এবং রাবীদের মাঝে শিয়া মতবাদের
প্রতি অনৃরক্ত কেউও থাকতে পারেন ৷ বিষয়টি অনুসন্ধান যোগ্য ৷ এ বর্ণনার উত্তম অংশ হচ্ছে
ফাতিমা (বা)এর উক্তি, “আপনি রাসুলুল্লাহ (সা) হতে যা শুনেছেন, তা আপনিই ভাল বুঝেন ৷”
কেননা, ফাতিমা (রা)-এর ন্যায় মহিয়ষী , বিদুষী, ধর্মপরারণা ও নবী-তনরাব জন্য এরুপ জবাব
দানই সংপত এবং র্তার সম্পর্কে এমন উন্নত ধারণাবই সমীচীন ৷

তবে, এরপরে তিনি জর স্বামী (আলী)-কে এ সাদাকা-সম্পত্তির তত্ত্বাববায়ক নিয়োগের
আবেদন করেছিলেন ৷ কিন্তু পুরুবাল্লিখিত কারণে আবু বকর (বা) তার এ আরেদনে সাড়া দিতে
পারেন নি ৷ এতে তিনি আবু বকর (রা)-এর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন ৷ বলা বাহুল্য, তিনিও
আদম সন্তানের নড়ারীকুলের অন্যতমা নারী; দুঃখ ণ্বদনার উর্ধে কোন অতিমানবী নন ৷ বরং
অন্যরা যেমন দুঃখিত বাথিত হয়, তিনিও তেমনিই ৷ তিনি তো আর নিস্পাপ থাকার গ্যারান্টি
প্রাপ্ত নন ৷ বিশেষত: রাসুলুল্লাহ (সা) এর বাণী এবং তাতে আবু বকর (বা) এর সাথে
বিরুদ্ধাচরণের পরেও ৷

তবে আবু বকর (বা) সম্পর্কেও আমাদের কাছে রিওয়ায়াত রয়েছে যে, ফাতিমা (বা) এর
মৃত্যুর আগে তাকে সন্তুষ্ট করার প্রচেষ্টা আবু বকর (বা) চালিয়েছিলেন এবং তিনিও তাতে
সন্তুষ্ট হয়ে যান ৷ হড়াফিয আবু বকর বড়ায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন
ইয়াকুব (র) শাবী (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ফাতিমা (বা) ব্রোণাক্রাত হলে আবু বকর
সিদ্দীক (বা) তীর কাছে এলেন এবং অনুমতি প্রার্থনা করলেন ৷ আলী (বা) বললেন, হে
ফাতিমা ! এই যে আবু বকর (বা) তোমার কাছে অনুমতি চাচ্ছেন ৷ ফাতিমা (বা) বললেন,
আমি জকে অনুমতি দেই তা কি আপনি পসন্দ করেন ? আলী (রা) বললেন, হী , তখন ফাতিমা
(বা) তাকে অনুমতি দিলেন এবং তিনি প্রবেশ করলেন ৷ আবু বকর (বা) ফাতিমা (বা) কে তুষ্ট
করার প্ৰরাসে বললেন, আল্লাহ্র কসম ! আমি আমার বাড়ি-ঘর, সহায়-সম্পদ ও পরিবার-
সমাজ সব কিছু পরিত্যাগ করেছি শুধু আল্লাহ্র রিযামন্দী এবং তার রাসুলের সন্তুষ্টির জন্যে


الْحَدِيثَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جُمَيْعٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ: لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْسَلَتْ فَاطِمَةُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ: أَأَنْتَ وَرِثْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْ أَهْلُهُ؟ فَقَالَ: لَا، بَلْ أَهْلُهُ. قَالَتْ، فَأَيْنَ سَهْمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «إِنَّ اللَّهَ إِذَا أَطْعَمَ نَبِيًّا طُعْمَةً ثُمَّ قَبَضَهُ جَعَلَهُ لِلَّذِي يَقُومُ مِنْ بَعْدِهِ» فَرَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّهُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ. قَالَتْ: فَأَنْتَ وَمَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ بِهِ. فَفِي لَفْظِ هَذَا الْحَدِيثِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ، وَلَعَلَّهُ رُوِيَ بِمَعْنَى مَا فَهِمَهُ بَعْضُ الرُّوَاةِ، وَمِنْهُمْ مَنْ فِيهِ تَشَيُّعٌ، فَلْيُعْلَمْ ذَلِكَ. وَأَحْسَنُ مَا فِيهِ قَوْلُهَا: أَنْتَ وَمَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَذَا هُوَ الْمَظْنُونُ بِهَا، وَاللَّائِقُ بِأَمْرِهَا وَسِيَادَتِهَا وَعِلْمِهَا وَدِينِهَا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَكَأَنَّهَا سَأَلَتْهُ بَعْدَ هَذَا أَنْ يَجْعَلَ زَوْجَهَا نَاظِرًا عَلَى هَذِهِ الصَّدَقَةِ فَلَمْ يُجِبْهَا إِلَى ذَلِكَ ; لِمَا قَدَّمْنَاهُ، فَتَعَتَّبَتْ عَلَيْهِ بِسَبَبِ ذَلِكَ وَهِيَ امْرَأَةٌ مِنْ بَنِي آدَمَ، تَأْسَفُ كَمَا يَأْسَفُونَ، وَلَيْسَتْ بِوَاجِبَةِ الْعِصْمَةِ مَعَ وُجُودِ نَصِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمُخَالَفَةِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، وَقَدْ رُوِّينَا عَنْ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ تَرَضَّى فَاطِمَةَ وَتَلَايَنَهَا
পৃষ্ঠা - ৪৩৩৪
قَبْلَ مَوْتِهَا، فَرَضِيَتْ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، ثَنَا عَبْدَانُ بْنُ عُثْمَانَ الْعَتَكِيُّ بِنَيْسَابُورَ، أَنْبَأَنَا أَبُو حَمْزَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: لَمَّا مَرِضَتْ فَاطِمَةُ أَتَاهَا أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فَاسْتَأْذَنَ عَلَيْهَا، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا فَاطِمَةُ، هَذَا أَبُو بَكْرٍ يَسْتَأْذِنُ عَلَيْكِ. فَقَالَتْ: أَتُحِبُّ أَنْ آذَنَ لَهُ؟ قَالَ: نَعَمْ. فَأَذِنَتْ لَهُ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا يَتَرَضَّاهَا فَقَالَ: وَاللَّهِ مَا تَرَكْتُ الدَّارَ وَالْمَالَ وَالْأَهْلَ وَالْعَشِيرَةَ إِلَّا ابْتِغَاءَ مَرْضَاةِ اللَّهِ، وَمَرْضَاةِ رَسُولِهِ، وَمَرْضَاتِكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ. ثُمَّ تَرَضَّاهَا حَتَّى رَضِيَتْ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ. وَالظَّاهِرُ أَنَّ عَامِرًا الشَّعْبِيَّ سَمِعَهُ مِنْ عَلِيٍّ، أَوْ مِمَّنْ سَمِعَهُ مِنْ عَلِيٍّ. وَقَدِ اعْتَرَفَ عُلَمَاءُ أَهْلِ الْبَيْتِ بِصِحَّةِ مَا حَكَمَ بِهِ أَبُو بَكْرٍ فِي ذَلِكَ ; قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الصَّفَّارُ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِسْحَاقَ الْقَاضِي، ثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، ثَنَا ابْنُ دَاوُدَ، عَنْ فُضَيْلُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: قَالَ زَيْدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ: أَمَّا أَنَا فَلَوْ كُنْتُ مَكَانَ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَحَكَمْتُ بِمَا حَكَمَ بِهِ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي فَدَكَ.
পৃষ্ঠা - ৪৩৩৫


এবং যে নবী পরিবার আপনাদের তুষ্টির জন্যে ৷ এভাবে তিনি বলতে থাকলেন, (পর পর্যন্ত
ফাতিমা (রা) সন্তুষ্ট হয়ে গেলেন ৷ এ সনদ বেশ সরল ও উত্তম ৷ রলারাহুল্য (তাঘিঈ) আমির
আশ-শাবী (র) এ ঘটনা আলী (রা)এর নিকটে সরাসরি শুনে থাকবেন কিংবা আলী (রা)-এর
কাছে শুনেছেন এমন কারো মাধ্যমে শুনে থাকবেন ৷ অন্য দিকে, আহড়ালে বায়তের আলিমপণও
এ ব্যাপারে আবু বকর (রা)-এর সিদ্ধান্তের যথার্থতার স্বীকৃতি দিয়েছেন ৷ যেমন, হাফিয
রায়হাকী (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আলু হড়াফিয (র) ফুমায়ল ইবন মারবুক (ব)
সুত্রে বনর্না করেন ৷ তিনি বলেন, মায়দ ইবন আলী ইবনুল হুসড়ায়ন ইবন আলী ইবন আবু
তালির (র) বলেন, আমিও যদি আবু রকরের স্থানে হতাম তার কাদাক’ ভমি বিষয় আবু বকর


(রা) যেরুপ স্থিদ্ধাম্ভ প্রদান করেছিলেন আমিও তন্ধ্রপ সিদ্ধাম্ভই প্রদান করতাম ৷

রাফিষী শিয়াদ্বেয় অপব্যাখ্যার খণ্ডন

রড়াফিযী মতালঘিরা এ ক্ষেত্রে অজ্ঞতা প্রসুত ব্যক্তব্য উপস্থাপন করেছে ৷ তারা এমন বিষয়
নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিয়েছে যে সম্পর্কে তাদের ৰিন্দুমাত্র অবপতি নেই এবং তাদের অজ্ঞাত
বিষয়ের যথার্থ উপলব্ধি ও তার প্রকৃত ব্যাখ্যার অবপতি না থাকার কারণে সরাসরি বিষয়টিকেই
মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে ৷ এভাবে তারা নিজেদের ঠেলে দিয়েছে অর্থহীন কর্মকাণ্ডে এবং
অবশেষে উপড়ায়ত্তর না দেখে তাদের কেউ কেউ এ যুক্তি উত্থাপন করে আবু বকর (রা) কতৃর্ক
বর্ণিত হাদীসটি প্রত্যাখ্যান করেছে ৷ এই বলে যে, তা কুরআনের তায্যের পরিপন্থী ৷ যেহেতু
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন ৩ড্রুা১ গ্লু ;প্রুঠু ত্র-দুঃড্রু এবং সুলায়মান হয়েছিল দাউদের
উত্তরাধিকারী (২৭ : ১৬) ৷ আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন, রাকারিয়্যা (আ) এর দৃআর
প্রসঙ্গে ৷ যাকারিয়্যা (আ) বলেছিলেন,

ত্-ক্ষ্মএ

“সুতরাং তুমি দান কর আমাকে তোমার নিকট হতে উত্তরাধিকারী, যে আমার উত্তরাধিকারিতু
করার এবং উত্তরাধিকারিতৃ করবে ইয়াকুবের বংশের ; এবং হে আমার প্রতিপালক! তাকে
করবে সন্তোবভাজন পসন্দনীয় (১৯ ও ৫৬) ৷ (রাফিযীদের বক্তব্যের তার কথা হলো এ সব
আয়াত নবীর সন্তান, নবীর ওয়ারিছ উত্তরাধিকারী হওয়া প্রতিপন করে) ৷

কিন্তু তাদের এ সব যুক্তি বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বাতিল ও অসার ৷ প্রথমত আয়াতে
উল্লিখিত যীরাছ ও উত্তরাধিকার আমাদের আলোচ্য উত্তরাধিকার নয় ৷ বরং এবং সুলায়মান
উত্তরাধিকারী হল দাউদের আয়াতে উত্তরাধিকার বলতে নবুয়ড়াত ও রান্থীয় ক্ষমতা বুঝানো
হয়েছে ৷ অর্থাৎ পিতা দাউদ (আ) এর পরে পুত্র সৃলায়মান (আ)-ফে রাজকীয় ক্ষমতা ও
প্রজাপড়ালন এবং বনী ঈসরাঈলের মাঝে শাসন পরিচালন কর্তৃত্বে অভিষিক্ত করা হল এবং
পিতার ন্যায় তাকেও নবুয়্যাতের মহান মর্যাদার ভুষিত করা হল ৷ পিতাকে যেমন রাজতৃ ও
নবুয়্যাত এ উতয়বিদ ক্ষমতা ও মযদািব অধিকারী করা হয়েছিল, পিতার পরে পুত্রের জন্যও
তদ্রাপই করা হল ৷ সুতরাং এখানে সম্পদের উত্তরাধিকারীৎ উদ্দিষ্ট নয় ৷ £কননা অনেক
মুফাসৃসিরের বর্ণনা মতে দাউদ (আ)-এর সন্তান সংখ্যা ছিল বিশাল কারো কারো মতে প্রায়
একশ ৷ কাজেই সম্পদের উত্তরাধীকারিতু উদ্দিষ্ট হলে দাউদ (আ)এর এত সন্তানের মধ্য হতে
একমাত্র সুলায়মানের নাম উলেখ করা হয়ে কোন যুক্তিতে ? বরং আঘাতের লক্ষ হচ্ছে দাউদ


[فَصْلٌ فِي ذِكْرِ كَلَامِ الرَّافِضَةِ فِي مِيرَاثِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] فَصْلٌ وَقَدْ تَكَلَّمَتِ الرَّافِضَةُ فِي هَذَا الْمَقَامِ بِجَهْلٍ، وَتَكَلَّفُوا مَا لَا عِلْمَ لَهُمْ بِهِ، وَكَذَّبُوا بِمَا لَمْ يُحِيطُوا بِعِلْمِهِ وَلَمَّا يَأْتِهِمْ تَأْوِيلُهُ، وَأَدْخَلُوا أَنْفُسَهُمْ فِيمَا لَا يَعْنِيهِمْ، وَحَاوَلَ بَعْضُهُمْ أَنْ يَرُدَّ خَبَرَ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِيمَا ذَكَرْنَاهُ بِأَنَّهُ مُخَالِفٌ لِلْقُرْآنِ حَيْثُ يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: {وَوَرِثَ سُلَيْمَانُ دَاوُدَ} [النمل: 16] الْآيَةَ. [النَّمْلِ: 16] . وَحَيْثُ قَالَ تَعَالَى إِخْبَارًا، عَنْ زَكَرِيَّا أَنَّهُ قَالَ: {فَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا يَرِثُنِي وَيَرِثُ مِنْ آلِ يَعْقُوبَ وَاجْعَلْهُ رَبِّ رَضِيًّا} [مريم: 5] إِنَّمَا يَعْنِي بِذَلِكَ فِي الْمُلْكِ وَالنُّبُوَّةِ ; أَيْ جَعَلْنَاهُ قَائِمًا بَعْدَهُ فِيمَا كَانَ يَلِيهِ مِنَ الْمُلْكِ وَتَدْبِيرِ الرَّعَايَا، وَالْحُكْمِ بَيْنَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَجَعَلْنَاهُ نَبِيًّا كَرِيمًا كَأَبِيهِ، فَكَمَا جُمِعَ لِأَبِيهِ الْمُلْكُ وَالنُّبُوَّةُ كَذَلِكَ جُعِلَ وَلَدُهُ بَعْدَهُ، وَلَيْسَ الْمُرَادُ بِهَذَا وِرَاثَةَ الْمَالِ ; لِأَنَّ دَاوُدَ كَمَا ذَكَرَهُ كَثِيرٌ مِنَ الْمُفَسِّرِينَ كَانَ لَهُ أَوْلَادٌ كَثِيرُونَ يُقَالُ: مِائَةُ وَلَدٍ. فَلِمَ اقْتَصَرَ عَلَى ذِكْرِ سُلَيْمَانَ مِنْ بَيْنِهِمْ لَوْ كَانَ الْمُرَادُ وِرَاثَةَ الْمَالِ؟ إِنَّمَا الْمُرَادُ وِرَاثَةُ الْقِيَامِ بَعْدَهُ فِي النُّبُوَّةِ وَالْمُلْكِ، وَلِهَذَا قَالَ: {وَوَرِثَ سُلَيْمَانُ دَاوُدَ وَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ عُلِّمْنَا مَنْطِقَ الطَّيْرِ وَأُوتِينَا مِنْ كُلِّ شَيْءٍ إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْفَضْلُ الْمُبِينُ} [النمل: 16] وَمَا بَعْدَهَا مِنَ الْآيَاتِ. وَقَدْ أَشْبَعْنَا الْكَلَامَ عَلَى هَذَا فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ
পৃষ্ঠা - ৪৩৩৬

(আ)-এর পরে নবুয়্যাত ও রাজ্য পরিচালনে তার উত্তরাধিকারিতৃ ৷ এ কারণেই,সুলায়মান হলেন
দাউদের উত্তরাধিকারী’ বলার পরে আরো উদ্ধৃত করা হয়েছে

এড্র ষ্

এবং সুলায়মান বলেছিলেন, হে লোক সকল! আমাকে পক্ষিকুলের ভাষা শিক্ষা দেওয়া
হয়েছে এবং আমাকে সবকিছু হতে (অংশ) দেয়া হয়েছে ; এটা অবশ্যই সুস্পষ্ট অনুগ্রহ (২৭ :
১৬) এবং পরবর্তী আয়াতসমুহ ৷ (আর পাখীর ভ ৷ষ৷ নিশ্চয় সাধারণ মীরাস যোগ্য সম্পদ নয় ৷
সুতরাং সহজেই বুঝা যায় যে, এখানে বিশেষ ধরনের উত্তরাধিকার উদ্দিষ্ট ৷ এ এবং গে
আমাদের শুন্তাফসীর গ্রন্থে বিশদ আলোচনা করেছি ৷ আলহামদু লিলাহ্ ৷

অনুরুপ, যাকারিয়৷ (আ)-এর বিষয়টিও ৷ তিনিও মহান নবী কাফেলার অন্যতম এবং পার্থিব
সম্পদে উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য সন্তানের প্রার্থনা করার চাইতে পৃথিবী ও ত ৷র ৷যাবভীয় সম্পদ
তার দৃষ্টিতে ছিল অতি ৩তুচ্ছ ৷ কেননা, তিনি ছিলেনষ্বুখারী শরীফের রিওয়ায়তে অনুযায়ী পেশায়
সুত৷ র ৷ দৈহিক শ্রমের উপার্জন দিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন ৷ তার কাছে নিত্য দিনের
জীবিকা ছাড়া সঞ্চয় যোগ্য কোন সম্পদ ছিল না যে, তিনি তা ভোগের জন্য আল্লাহর দরবারে
সন্তানের দুআ করবেন ৷ বরং প্রার্থনা তিনি করেছিলেন একটি সুযােগ্য সন্তানের, যে উত্তরাধিকারী
হতে পারবে নবুয়্যাত এবং বনী ইসরাঈলের স্বার্থ সংরক্ষণ করে তাদের সঠিক পথে পরিচালনে ৷
এ জন্যই আলাহ্ তাআল৷ বলেছেন,

ণ্ঠুত্রন্ঘ্র

শুট্রুা৷গ্লু ব্লু

“এ হল তোমার প্ৰতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ, তার বান্দা যাকারিয়্যার প্রতি ৷ যখন সে
তার প্রতিপালককে আহবান করেছিল নিভৃতে; সে বলেছিল, আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে,
বার্ধক্যের কারণে আমার মাথা উজ্জ্বল সাদা হয়েছে, হে আমার প্রতিপালক তোমাকে আহবান
করে আ ৷মি কখনও ব্যর্থকাম ,হইনি আ ৷মি আশংকা করছি আমার পরে আমার স্ব গোত্রীয়দের
সম্পর্কে; আমার শ্রী বন্ধ্যা; সুতরাং তুমি তোমার নিকট হতে আমাকে দান কর উত্তরাধিকারী,
যে আমার উত্তর৷ ধিক৷ ৷রিতৃ করবে এবং উত্তর৷ ধিকারিতৃ করবে ইয়৷ ৷কুবের বং শের, এবৎ( হে
আমার প্ৰতিপালক ! তাকে কর সন্তোষভাজন (১৯ : ১ ৬) ৷ পুর্ণাঙ্গ বিবরণ সহকারে ৷
এতেও উত্তরা ধিকা ৷রিতু করবে ইয়াকুবের বং শের, এতে বুঝা যায় যে, বিষয়টি নবুয়ত সংশ্লি-
ষ্ট; সম্পদ সংশ্লিষ্ট নয় (কেননা, সম্পদের ক্ষেত্রে একটি গেটি৷ বং শের উত্তরাধিকারী হওয়ার
কো ন অর্থ হয় না (আলহামদু লিল্লাহ ! তাফসীর গ্রন্থে এ বিষয়টিও যথাযথভাবে প্রমাণসহ বর্ণনা

করেছি) ৷

এ ছাড়া আবু বকর (বা) হতে আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে আবু সালামা (র) বর্ণিত রিওয়ায়তে
উদ্ধৃত হয়েছে যে, রাসুলুলাহ্ (সা) বলেছেন, এ;স্৷ য় ষ্এ্যা নবী ওয়ারিছ রেখে যায় না ৷ এ


كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ كَثِيرًا. وَأَمَّا قِصَّةُ زَكَرِيَّا فَإِنَّهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، مِنَ الْأَنْبِيَاءِ الْكِرَامِ، وَالدُّنْيَا كَانَتْ عِنْدَهُ أَحْقَرَ مِنْ أَنْ يَسْأَلَ اللَّهَ وَلَدًا لِيَرِثَهُ فِي مَالِهِ، كَيْفَ وَإِنَّمَا كَانَ نَجَّارًا يَأْكُلُ مَنْ كَسْبِ يَدِهِ؟ ! كَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَلَمْ يَكُنْ لِيَدَّخِرَ مِنْهَا فَوْقَ قُوتِهِ حَتَّى يَسْأَلَ وَلَدًا يَرِثُ عَنْهُ مَالَهُ - إِنْ لَوْ كَانَ لَهُ مَالٌ - وَإِنَّمَا سَأَلَ وَلَدًا صَالِحًا يَرِثُهُ فِي النُّبُوَّةِ وَالْقِيَامِ بِمَصَالِحِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، وَحَمْلِهِمْ عَلَى السَّدَادِ، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {كهيعص ذِكْرُ رَحْمَةِ رَبِّكَ عَبْدَهُ زَكَرِيَّا إِذْ نَادَى رَبَّهُ نِدَاءً خَفِيًّا قَالَ رَبِّ إِنِّي وَهَنَ الْعَظْمُ مِنِّي وَاشْتَعَلَ الرَّأْسُ شَيْبًا وَلَمْ أَكُنْ بِدُعَائِكَ رَبِّ شَقِيًّا وَإِنِّي خِفْتُ الْمَوَالِيَ مِنْ وَرَائِي وَكَانَتِ امْرَأَتِي عَاقِرًا فَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا يَرِثُنِي وَيَرِثُ مِنْ آلِ يَعْقُوبَ وَاجْعَلْهُ رَبِّ رَضِيًّا} [مريم: 1] يَعْنِي النُّبُوَّةَ كَمَا قَرَّرْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَدْ تَقَدَّمَ فِي رِوَايَةِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «النَّبِيُّ لَا يُورَثُ» وَهَذَا اسْمُ جِنْسٍ يَعُمُّ كُلَّ الْأَنْبِيَاءِ. وَقَدْ حَسَّنَهُ التِّرْمِذِيُّ. وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ «: " نَحْنُ مَعْشَرَ الْأَنْبِيَاءِ لَا نُورَثُ» . الْوَجْهُ الثَّانِي، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَدْ خُصَّ مِنْ بَيْنِ الْأَنْبِيَاءِ بِأَحْكَامٍ لَا يُشَارِكُونَهُ فِيهَا، كَمَا سَنَعْقِدُ لَهُ بَابًا مُفْرَدًا فِي آخِرِ السِّيرَةِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فَلَوْ قُدِّرَ أَنَّ غَيْرَهُ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ يُورَثُونَ - وَلَيْسَ الْأَمْرُ كَذَلِكَ - لَكَانَ مَا رَوَاهُ مَنْ ذَكَرْنَاهُ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৪৩৩৭


ক্ষেত্রে নবী’ পদটি জাতি ব্যচক বিশেষ্য বিধায় ব্যাপকভাবে সকল নবীবেইি বুঝাবে ৷ আর
তিরমিযী (র) হাদীসটি হাসান শ্রেণীভুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন ৷ তদুপরি অন্য হড়াদীসে স্পষ্টত
রয়েছে ঞ ১ঙুও ১ ণ্ গ্লুম্নো ;উস্এ (া-ও “আমরা নবী সমাজ কাউকে ওরারিছ বড়ানাই না;
মীরাছ রেখে যাই না ৷

দ্বিতীয়ত : বিতর্কের খাতিরে বিধানটি সকল নবীর জন্য ব্যাপক না হওয়ার কথা ধরে না
নিলেও নবীগণের মাঝে আমাদের রাসুল (সা)-কে এমন কতক বিধান বৈশ্যিষ্ট্য বিশিষ্টতা
প্রদান করা হয়েছে যাতে অন্যান্য নবীগণ শরীক নন (এ প্রসংগে নবী চরিত্রের সমাপ্তি পর্যায়ে
একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় সন্নিবেশিত হবে ইনশাআলাহ্ ) ৷ এখন যদি ধরেও নেয়া হয় যে,
রাসুলুলাহ্ (সা) ব্যতীত অন্য নবীগণ মীরাছ রেখে মান; যদিও বাস্তব তা নয় তবুও বিশিষ্ট
সড়াহাবীগণ , বিশেষত তাদের তার প্রধান আবু বকর, উমার, উছমান ও আলী (বা) হতে
বর্ণিত রিওয়ায়াত বিষয়টিকে নবী কবীম (না)-এর জন্য খাস বিধানরুপে প্রতিপন্ন করার জন্য
যথেষ্ট-যা আমরা ইতোপুর্বেই আলোচনা করে এসেছি ৷

তৃতীয়ত : এ হাদীস অনুসারে আমল করা এবং এর চাহিদা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত প্রদান তা
নবী কবীম (না)-এর জন্য একান্তরুপে খাস হোক কিৎব্য না-ই হোক-অপবিহার্য হবে; যেভাবে
এর অনুকুলে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন খলীফাগণ এবং এর যথার্থতার স্বীকৃতি দিয়েছেন
আলিমগণ ৷ কেননা, নবী কবীম (না) তো বলেছেন, আমরা মীরাছ রেখে যাই না, আমরা যা
রেখে যাই তা সড়াদাকা ৷ ” এখন শব্দ ও বাক্য বিন্যাস বিশ্লেষণে নবী কবীম (না)-এর বাণী
ড়ুদ্বুা; ৷£দ্বু; আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা এ কথাটি তার একান্ত ব্যক্তিগত বিধান
সম্পর্কিত কিংবা তার সংগে অন্যান্য নবীগণের বিধান সম্পর্কিত এর অবগতি প্রদান হতে
পারে, এবং পুর্বের আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট ৷ তবে এটি বিধানের অবগতি না হয়ে নবী
কবীম (না)-এর ওসিয়্যাতও হতে পারে ৷ অর্থাৎ আমি মীরাছ রেখে যাব না, আমি না রেখে যাব
তা সাদাকারুপে বিবেচনা করতে হবে ৷ এ রুপ অর্থ করলে এ ক্ষেত্রে নবী কবীম (সা)-এর জন্য
বৈশ্যিষ্ট্যর বিষয়টি হবে তার সম্পুর্ণ সম্পদকে সাদাকারুপে ওসিয়্যাত করার বৈধতার প্রকাশ ৷
(যা উম্মাতর ক্ষেত্রে সম্পদের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত সীমিত) তবে প্রথম অর্থঢিই অধিকতর
স্পষ্ট এবং জামহুর সে-টিই গ্রহণ করেছেন ৷ তবে আবুয-বিনাদ (র)আবু হুরায়রা (রা)
সনদে বর্ণিত আমাদের পুর্বোল্লিখিত মালিক (র) ও অন্যান্যের বর্ণিত হাদীসটি দ্বিতীয় অর্থটিকে
সবলতা প্রদান করে ৷ তাতে রাসুলুলাহ্ (সা) বলেছেন, আমার মীরাছ (পরিত্যক্ত সম্পদ)
দীনার (দিরহাম) রুপে বপ্টিত হবে না ৷ আমার স্তীদের খােরগােষ ও আমার আযিল (কর্মী)-
দের ব্যয় নিবাহের পরে যা পরিত্যাগ করে যার তা’ হবে সাদাকা ৷ সহীহ প্রন্থদ্বয়ে এ ভাষা
বর্ণিত হয়েছে ৷

এ হাদীস অন্য একটি বিষয় স্পষ্ট করে দেয় ৷ তা হল শীআ মতাবলম্বীদের মাঝে অজ্ঞদের
কারো কারো অপব্যাখ্যা বিকৃতির খওন ৷ এদের মতে পুবেক্তি হড়াদীসে ড্রো ৷ম্বুহ্রদ্বু৷ ৷
(আমরা সাদাকা রেখে যাই না ৷) অর্থাৎ অব্যয়টি নেতিবাচক (না) অর্থে এবং ট্রি-এে শব্দের
গােষ দুই যবর হবে তা ৷হ্রদ্বু; ক্রিয়ার কর্ম হওয়ার কারণে, অথচ (এদের অজ্ঞ মুর্থ বলেছি এ
কারণে যে,) সে ক্ষেত্রে এ হাদীসেরই প্রথম অৎ র্চষ্;ঙু১১’ আমরা মীরাছ রেখে মাই না (ক


الصَّحَابَةِ الَّذِينَ مِنْهُمُ الْأَئِمَّةُ الْأَرْبَعَةُ ; أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيٌّ، مُبَيِّنًا لِتَخْصِيصِهِ بِهَذَا الْحُكْمِ دُونَ مَا سِوَاهُ. الْوَجْهُ الثَّالِثُ، أَنَّهُ يَجِبُ الْعَمَلُ بِهَذَا الْحَدِيثِ وَالْحُكْمُ بِمُقْتَضَاهُ، كَمَا حَكَمَ بِهِ الْخُلَفَاءُ، وَاعْتَرَفَ بِصِحَّتِهِ الْعُلَمَاءُ، سَوَاءٌ كَانَ مِنْ خَصَائِصِهِ أَمْ لَا، فَإِنَّهُ قَالَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» إِذْ يَحْتَمِلُ مِنْ حَيْثُ اللَّفْظُ أَنْ يَكُونَ قَوْلُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ «مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» أَنْ يَكُونَ خَبَرًا عَنْ حُكْمِهِ أَوْ حُكْمِ سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ مَعَهُ، عَلَى مَا تَقَدَّمَ، وَهُوَ الظَّاهِرُ، وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ إِنْشَاءَ وَصِيَّةٍ، كَأَنَّهُ يَقُولُ: لَا نُورَثُ ; لِأَنَّ جَمِيعَ مَا تَرَكْنَاهُ صَدَقَةٌ. وَيَكُونُ تَخْصِيصُهُ مِنْ حَيْثُ جَوَازُ جَعْلِهِ مَالَهُ كُلَّهُ صَدَقَةً، وَالِاحْتِمَالُ الْأَوَّلُ أَظْهَرُ، وَهُوَ الَّذِي سَلَكَهُ الْجُمْهُورُ. وَقَدْ يَقْوَى الْمَعْنَى الثَّانِي بِمَا تَقَدَّمَ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ وَغَيْرِهِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَا يَقْتَسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا، مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ» وَهَذَا اللَّفْظُ مُخَرَّجٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ "، وَهُوَ يَرَدُّ تَحْرِيفَ مَنْ قَالَ مِنَ الْجَهَلَةِ مِنْ طَائِفَةِ الشِّيعَةِ فِي رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ " مَا تَرَكْنَا صَدَقَةً ". بِالنَّصْبِ ; جَعَلَ " مَا " نَافِيَةً فَكَيْفَ يَصْنَعُ بِأَوَّلِ الْحَدِيثِ وَهُوَ قَوْلُهُ " لَا نُورَثُ "؟ ! وَبِهَذِهِ الرِّوَايَةِ: «مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ "؟ !» وَمَا شَأْنُ هَذَا إِلَّا كَمَا حُكِيَ عَنْ بَعْضِ الْمُعْتَزِلَةِ أَنَّهُ قَرَأَ عَلَى شَيْخٍ مِنْ أَهْلِ السُّنَّةِ: {وَكَلَّمَ اللَّهُ مُوسَى تَكْلِيمًا} [النساء: 164] بِنَصْبِ الْجَلَالَةِ، فَقَالَ لَهُ الشَّيْخُ: وَيْحَكَ! كَيْفَ تَصْنَعُ بِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلَمَّا جَاءَ مُوسَى لِمِيقَاتِنَا وَكَلَّمَهُ رَبُّهُ} [الأعراف: 143] . [الْأَعْرَافِ: 143]
পৃষ্ঠা - ৪৩৩৮
وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ يَجِبُ الْعَمَلُ بِقَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ» عَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ احْتَمَلَهُ اللَّفْظُ وَالْمَعْنَى، فَإِنَّهُ مُخَصِّصٌ لِعُمُومِ آيَةِ الْمِيرَاثِ، وَمُخْرِجٌ لَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنْهَا إِمَّا وَحْدَهُ أَوْ مَعَ غَيْرِهِ مِنْ إِخْوَانِهِ الْأَنْبِيَاءِ، عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمُ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ.