سنة إحدى عشرة من الهجرة
ذكر ما أصاب المسلمين من المصيبة العظيمة بوفاته صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৪২৯৪
(মসজিদের) দেয়াল ধসে পড়লে র্তারা তার পুনঃনিমাণ শুরু করলেন ৷ তখন তাদের কাছে
একটি পা বের হয়ে পড়লে তা নবী করীম (সা)এর কদম ঘুবারক হওয়ার ধারনায় তারা
ঘাবড়ে গেলেন ৷ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজনও পাওয়া গেল না ৷ অবশেষে উরওয়ড়া (র)
তাদের বললেন, না, আল্লাহর কলম ! উহা নবী করীম (সা)-এর কদম মুবারক নয়; এটা হযরত
উমর (রা) এর ৷ হিশাম (র) হতে তার পিতা সুত্রে অইিশা (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি
আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র (রা)ফে ওসিয়ত করেছিলেন, “আমাকে এদের সংগে দাফন করবে
না; আমাকে দাফন করবে আমার সপত্নীগণের (উম্মুল মুমিনীনগণের) সাথে বাকী পােরস্তানে ৷
আমি কখনো এর মাধ্যমে নিজের পবিত্রতার দাবী করতে চাই না ৷
গ্রন্থকারের মন্তব্য : ইবন আবদুল মালিক ছিয়াশি হিজরী বর্ষে মুসলিম জাহানের খলীফা পদে
বরিত হওয়ার পরে দামিশকের ফেদ্রীয় জামে মসজিদ নির্মাণের সুচনা করলেন এবং মদীনায়
তীর তৎকালীন প্রতিনিধি (ও প্রাদেশিক শাসনকর্তা) তার চাচাত ভাই উমর ইবন আবদুল আযীয
(র) (পরবর্তী খলীফা)-ফে মদীনায় মসজিদ সম্প্রসারণের ফরমান লিখে পাঠালেন ৷ তিনি
আদেশ মোতাবেক মসজিদ সম্প্রসারিত করলেন এবং এমনকি পুর্ব দিকেও তা সম্প্রসারিত করা
হল ৷ ফলে নবী করীম (না)-এর হুজ্বরা (ও রাওযা)ও মসজিদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল ৷ হাফিজ
ইবন আসাকির (র) আল ফারাফিসা (র)-এর আযাদকৃত গোলাম যাযান (র) পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত
তার সনদ সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
যাযান হলেন মদীনায় উমর ইবন আবদুল আযীয (র) এর শাসনামলে মসজিদ সম্প্রসারণের
দায়িতৃপ্রাপ্ত কর্যকতা ৷ তিনিও সালিম ইবন আবদুল্লাহ (র) হতে বুখাবী (র)-এর ৰিবরণের
অনুরুপ বিবরণ দিয়েছেন ৷ তিনি কবরসমুহের অবস্থানের বিবরণ দিয়েছেন আবু দাউদ (র)-এর
রিওয়ায়াতের অনুরুপ ৷ ১
নবী বল্পীম (সা) এর ওফাত : মুসলিম উম্মাহ্র মহাবিপদ
বুখাবী (র) সুলায়মান ইবন হারব (র) ও আসাম (রা)ফে উদ্ধৃত করে বলেন, নবী করীম
(সা)এর অসুস্থতার তীব্রতা র্তাকে সংজ্ঞাহীন করে ফেলছিল ৷ তখন ফাতিমা (রা) বললেন,
হার আমার আব্বার যাতনা ! নবী করীম (না) তখন তাকে বললেন, ১-এে ’)-ৰু এ্যা প্রুৰুং ওেএ
ণ্,প্রুত্র “আজকের পরে তোমরা আব্বার আর কোন কষ্ট থাকবে না ৷ ” নবী করীম (না)-এর
ওফাত হয়ে গেলে ফাতিমা (রা) বললেন, হয়ে আমার পিতা ! প্রতিপালকের ডাকে সাড়া
দিলেন ! হায় আমার পিতা ! জান্নড়াতুল ফিরদাউস র্যার ঠিকানা! হয়ে আমার পিতা ৷ জিবরীল
(আ)-ফে আমি তার মৃত্যু সংবাদ জানাচ্ছি ! তাকে দাফন করা হয়ে গোলে ফাতিমা (বা)
বললেন, হে আনাস ! রাসুলুল্লাহ (সা) এর উপর মাটি ছড়িয়ে দিতে তোমাদের প্রাণ সায় দিল ?
বুখাবী (র) একাকী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াযীদ (র) আনাস
(রা) (থেকে তিনি) বলেন, যখন নবী করীম (সা) এর দাফন সম্পন্ন হল তখন ফাতিমা (বা)
১ অর্থাৎ নবী (না)-এর কােলের নিকটে আবু বকর (রা)-এর মাথা এবং তার পায়ের নিকটে উমর (রা)-
এর মাথা ৷
سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ نَحْوَ مَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ، وَحَكَى صِفَةَ الْقُبُورِ، كَمَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ.
[ذِكْرُ مَا أَصَابَ الْمُسْلِمِينَ مِنَ الْمُصِيبَةِ الْعَظِيمَةِ بِوَفَاتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: لَمَّا ثَقُلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ يَتَغَشَّاهُ الْكَرْبُ، فَقَالَتْ فَاطِمَةُ: وَاكَرْبَ أَبَتَاهْ. فَقَالَ لَهَا: «لَيْسَ عَلَى أَبِيكِ كَرْبٌ بَعْدَ الْيَوْمِ " فَلَمَّا مَاتَ قَالَتْ: يَا أَبَتَاهْ أَجَابَ رَبًّا دَعَاهْ، يَا أَبَتَاهْ، مِنْ جَنَّةِ الْفِرْدَوْسِ مَأْوَاهْ، يَا أَبَتَاهُ، إِلَى جِبْرِيلَ نَنْعَاهْ. فَلَمَّا دُفِنَ قَالَتْ فَاطِمَةُ: يَا أَنَسُ، أَطَابَتْ أَنْفُسُكُمْ أَنْ تَحْثُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ التُّرَابَ؟ !» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، قَالَ أَنَسٌ: فَلَمَّا دَفَنَّا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ فَاطِمَةُ: يَا أَنَسُ أَطَابَتْ أَنْفُسُكُمْ أَنْ دَفَنْتُمْ
পৃষ্ঠা - ৪২৯৫
বললেন, হে আনাস ! রাসুলুল্লাহ (না)-কে মাটির মাঝে দাফন করে ফিরে আসতে তোমাদের
কুষ্ঠাবােধ হলো না ? ইবন মাজা (র)ও উল্লিখিত সনদে হাম্মাদ ইবন যায়দ (ব)-এর বরাতে
অনুরুপ ব্লিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন মাজা (র)-এর রিওয়ায়ড়াতে রয়েছে, শায়খ হাম্মাদ (র)
বলেন, (আমার শায়খ) (আবাস রা-এর শাপরিদ) ছাৰিত আল বুনানী (র) এ হাদীস বর্ণনা
কালে কেদে ফেলতেন এবং এমনভাবে র্কাদতেন যে, তার পাজরের হাড়ণ্ডল্যে কেপে কেপে
উঠত ৷ এ কান্না মাতমরুপে পণ্য হবে না ৷ বরং এ হচ্ছে মহান নবী করীম (না)-এর মাহাত্যেরে
বর্ণনা ৷ আমাদের এ কথা বলার কারণ হচ্ছে এই যে, নবী কয়ীম (সা) মাতম’ নিষিদ্ধ
করেছেন ৷ এ প্রসংগে ইমাম আহমদ ও ন্যসাঈ (র) রিওয়ায়াত করেছেন, শুবা (র) কায়স
ইবন আসিম (র) সুত্রে, তিনি তীর সন্তানদেরকে ওসিয়াত করে বললেন এবং আমার জন্য
মিলাপ করবে না, কােনা রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্য বিলাপ করা হয় নি ৷ কাষী ইসমাঈল ইবন
ইসহাক (র) হাদীসটি সংগ্রহ করেছেন তার নাওয়াদির গ্রন্থে আমৃর ইবন মায়মুন (র) সুত্রে
শুবা (র) হতে ৷ তার পরবর্তী রিওয়ায়াত আলী ইবনুল মাদীনী (র) সুত্রে, কায়স ইবন আসিম
(বা) হতে ৷ তিনি বলেন, তোমরা আমার জন্য মাতম-বিলাপ করবে না ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ
(না)-এর জন্য মাতম করা হয় নি এবং মাতম করা নিষিদ্ধ করতে র্তাথুক আমি শুনেছি ৷ তার
পরবর্তী রিওয়ায়াত আলী (রা) আসিম (রা) সুত্রে ৷ হাফিয আবু বকর আলু বায্যার (র) বলেন,
উক্ৰা ইবন সিনান (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-এর জন্য
মিলাপ করা হয় নি ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান (র) আনাস (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (না)-এর মদীনায় শুতাগমনের দিনঢিতে মদীনায় প্রতিটি বস্তু আলোকজ্জ্বল হয়ে
উঠল ৷ আবার রাসুলুল্লাহ (সা) এর ওফাতের দিনঢিতে মদীনার প্রতিটি বস্তু জাধারে হেরে
গেল ৷ আনাস (রা) বলেন, আমরা রাসুলুল্পাহ (না)-কে সমাহিত করে হাত ঝাড়তে না
ঝাড়াভই আমরা নিজেদের মনােজপতে পরিবর্তন উপলব্ধি করলাম ৷ তিরমিযী ও ইবন সাজা
(র) উভয় বিশৃর ইবন ইিলাল আসৃ-সাওয়াফ (র) সুত্রে জাফর ইবন সুলায়মান (র) হতে
অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী (র) মন্তব্য করেছেন এটি বিরল সনদের সহীহ্
হাদীস ৷
গ্রলোঃ মন্তব্য : এ হাদীসের সনদ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের শর্তানুরুপ এবং জাফর ইবন
সুলায়মান (র) থেকে সংরক্ষিত ৷ হাদীসের (ছয় ইমামের) সকলেই তার হাদীস অনুরুপ
ব্রিওয়ায়াত মোঃ ৷ এ হাদীসের ৰিবরণে পরম অজ্যিবৎ দেখিয়েছেন মুহাম্মদ ইবন
ইউনুস আল কুদায়যী (র) ৷ যেহেতু তিনি রল্যেহ্না, আবুল ওলীদ হিশাম্ ইবন আবদুল মালিক
আত্-তায়ালিসী (র) আবাস (রা) থেকে বণর্ণ৷ করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা)-এয়
ওফ্াত হয়ে গেলে মদীনা অহ্মকারাচ্ছন্ন হয়ে গেল; এমন কি আমাদের একজন আর একজনকে
দেখতে পাচ্ছিল না ৷ আমাদের যে কেউ তার হাত প্রসারিত করে তা দেখতে পাচ্ছিল না ৷
আমরা তার দাফন সম্পন্ন করে আসতে না আসতেই নিজেদের মনের পরিবর্তন উপলব্ধি
স্কোাম ৷ বায়হাকী (র) তীর নিজস্ব সনদে হাদীসটি অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ অন্যান্য সনদে
হাফিয়পণ সুত্রে আবুল ওলীদ আত্-তায়ালিসী (র) হতে আমাদের পুর্ববর্তী বর্ণনার অনুরুপ
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي التُّرَابِ وَرَجَعْتُمْ؟ ! وَهَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مُخْتَصَرًا مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ بِهِ. وَعِنْدَهُ: قَالَ حَمَّادٌ: فَكَانَ ثَابِتٌ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ بَكَى حَتَّى تَخْتَلِفَ أَضْلَاعُهُ. وَهَذَا لَا يُعَدُّ نِيَاحَةً بَلْ هُوَ مِنْ بَابِ ذِكْرِ فَضَائِلِهِ الْحَقِّ، عَلَيْهِ أَفْضَلُ الصَّلَاةِ وَالسَّلَامِ، وَإِنَّمَا قُلْنَا هَذَا ; لِأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنِ النِّيَاحَةِ.
وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، سَمِعْتُ قَتَادَةَ، سَمِعْتُ مُطَرِّفًا يُحَدِّثُ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ قَيْسِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِيهِ - فِيمَا أَوْصَى بِهِ إِلَى بَنِيهِ - أَنَّهُ قَالَ: وَلَا تَنُوحُوا عَلَيَّ ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُنَحْ عَلَيْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِسْحَاقَ الْقَاضِي فِي " النَّوَادِرِ "، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ شُعْبَةَ بِهِ. ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْمَدِينِيِّ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنِ الصَّعْقِ بْنِ حَزْنٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُطَيَّبٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عَاصِمٍ بِهِ قَالَ: لَا تَنُوحُوا عَلَيَّ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُنَحْ عَلَيْهِ، وَقَدْ سَمِعْتُهُ يَنْهَى عَنِ النِّيَاحَةِ. ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ عَلِيٍّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنِ الصَّعْقِ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَاصِمٍ بِهِ.
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا عُقْبَةُ بْنُ سِنَانٍ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُثْمَانَ، ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৪২৯৬
مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُنَحْ عَلَيْهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «لَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي قَدِمَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ أَضَاءَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَظْلَمَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ» . قَالَ: وَمَا نَفَضْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَيْدِيَ حَتَّى أَنْكَرْنَا قُلُوبَنَا. وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ جَمِيعًا، عَنْ بِشْرِ بْنِ هِلَالٍ الصَّوَّافِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيِّ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ.
قُلْتُ، وَإِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ "، وَمَحْفُوظٌ مِنْ حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، وَقَدْ أَخْرَجَ لَهُ الْجَمَاعَةُ، رَوَاهُ النَّاسُ عَنْهُ كَذَلِكَ.
وَقَدْ أَغْرَبَ الْكُدَيْمِيُّ، وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ يُونُسَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي رِوَايَتِهِ لَهُ حَيْثُ قَالَ: ثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الطَّيَالِسِيُّ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَظْلَمَتِ الْمَدِينَةُ حَتَّى لَمْ يَنْظُرْ بَعْضُنَا إِلَى بَعْضٍ» ، وَكَانَ أَحَدُنَا يَبْسُطُ يَدَهُ فَلَا يَرَاهَا أَوْ لَا يُبْصِرُهَا، وَمَا فَرَغْنَا مِنْ دَفْنِهِ حَتَّى أَنْكَرْنَا قُلُوبَنَا. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِهِ كَذَلِكَ، وَقَدْ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ غَيْرِهِ مِنَ الْحُفَّاظِ، عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيِّ، كَمَا قَدَّمْنَا،
পৃষ্ঠা - ৪২৯৭
রিওরায়াত করেছেন ৷ তা ৷র এ য়িওয়ায়া তটি সুরক্ষিত ৷ আ ৷ল্লাহই সমধিক অবগত ৩৷ ইবন
আসাকির (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আর হাফ্স ইবন শাহীন (র) সুত্রে, আবু সাঈদ আল-
থুদ্বী (রা) থেকে ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) যখন মদীনায় প্রবেশ করলেন তখন তার
প্রতিটি জিনিস রুজ্যাতির্সয় হয়ে উঠল ৷ তারপরে র্তার ওকাতের দিন হলে মদীনায় প্রতিটি
জিনিস অন্ধকারাচছন্ন হয়ে গেল ৷ ইবন মাজা (র) বলেন, ইনহাক ইবন মনসুর (র) উরাই
ইবন কাব (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর সান্নিধ্যে
ছিলাম, তখন তো আমরা সকলেই একমুখী ছিলাম ৷ পরে যখন র্তাকে তুলে’ নেয়া হল তখন
আমাদের দৃষ্টি ৰিভিন্নমুখী হয়ে গেল ৷ ইবন মাজা (র) আরো বলেন, ইবরাহীম ইবনৃল ঘুনৃযির
আলু হিযাঘী (র) নবী কবীম (সা)-এর সহবর্মিনী উন্মু সালামা ৰিনৃত আর উমারা৷ (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর যুগে লোকদের অবস্থা এরুপ ছিল যে,
কোন মুসল্লী যখন সালাতে র্দাড়াতেন তখন তাদের কারো দৃষ্টি তার পদদ্বয়ের স্থান অতিক্রম
করত না ৷ পরে রাসুলুল্লাহ (সা)এর ওকাত হয়ে গেল এবং আবু বকর (রা) খলীফা হলেন ৷
তখন মানুষের অবস্থা এরুপ হয়ে গেল যে তাদের কেউ যখন সালাতে র্দাড়াত তখন তাদের
কারো দৃষ্টিত তার কপাল রাখার স্থান অতিক্রম করত না ৷ পরে আবু বকর (রা ) এর ওফাত হল
এবং উমর (রা) ( খলীবন) হলেন ৷
তখন মানুষের অবস্থা এরুপ হয়ে গেল যে, তাদের কেউ সালাতে র্দাড়ালে তার দৃষ্টি কিবলা
অতিক্রম করে যেত না ৷ পরে উমর (রা)-এর ওফাত হল এবং উছমান (রা) খলীফা হলেন ৷
ওদািক ফিতনা-ফাসাদ লেগে গেল এবং লোকেরা (সালাতে দাড়িয়ে) ডাঃন-বামে তাকাতে
লাগল ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুস সামাদ (র) আনান (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) কে তুলে (নয়৷ হলে উম্মু আয়মান (রা) কেদে ফেললেন ৷ তাকে বলা হল,
আপনার কান্নার কারণ কী? নবী কবীম (না) এ র জন্য? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যে
ইনতিকাল করবেন (তা আমি যেনেই নিয়েছি ৷ আমি র্কাদছি, ওহী আগমনের ধারা যে বন্দ
হয়ে গেল! এ ভাবেই সংক্ষিপ্ত রিওয়ায়াত করেছেন ইমাম আ মদ (র) ৷ বত্ত্বযস্ ৷ত্তী (র)
বলেছেন, হাফিয আবু আবদুল্লাহ (র) আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে ক ন বলেছেন
রাসুলুল্লাহ (সা) উম্মু আয়মান (রা) এর সাথে সাক্ষা ত করতে গেলেন ৷ আমিও তীর সংগে
গোলাম ৷ উম্মু আরমান নবী কবীম (সা) ক পানীয় (শরবত ) পরিবেশন করলেন ৷ তখন হয়ত
নবী কবীম ( না) সিরাম পালন করছিলেন কিৎব৷ (অন্য কোন কারণে তখন) তা পান করতে
আগ্রহী ছিলেন না ৷৩ তাই তিনি তা ফিরিয়ে দিলেন ৷ তখন উম্মু আয়মান নবী কবীম (সা ) কে
আনন্দ দানের চেষ্টায় ব্রতী হলেন ৷ নবী কবীম (সা) এর ওফাভ্রুত র পরে আবু বকর (রা) উমর
(রা) কে বললেন, চলুন না , আমরা গিয়ে উম্মু আয়মান (রা) এর সাথে সাক্ষাত করে আমি
আমরা তার কাছে পৌছলে তিনি কেদে ফেললেন, র্তারা দু’জন র্তাকে বললেন আপনি
র্কীদছেন ৫কন? অল্লোহ্র নিকহুট যা রয়েছে তাই তার রাসুল (সা) এর জন্য উত্তর ট্টনু
আরমান (রা) বললেন আল্লাহর কসম আমি এ জন্য কাদছি না যে, আল্লাহর নিকংট :-
১ রাসুল (সা )-এর মাতা হযরত আমিনা-র পরিচারিক৷ এবং রাসুল (সা) এর অনাতমা দৃধ্ষ্ ;হৃদ্ন্ম্মে ট্টৰ
আয়মান ৷ অনুবাদক
وَهُوَ الْمَحْفُوظُ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْكَبِيرُ أَبُو الْقَاسِمِ بْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ أَبِي حَفْصِ بْنِ شَاهِينَ، ثَنَا حُسَيْنُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ بِسْطَامَ بِالْأُبُلَّةِ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الرُّوَاسِيُّ، ثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: «لَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ أَضَاءَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَظْلَمَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ» .
وَقَالَ ابْنُ مَاجَهْ: ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، ثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ الْعِجْلِيُّ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّمَا وَجْهُنَا وَاحِدٌ، فَلَمَّا قُبِضَ نَظَرْنَا هَكَذَا وَهَكَذَا.
وَقَالَ أَيْضًا: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، ثَنَا خَالِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ السَّائِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أُمَيَّةَ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنِي مُصْعَبُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِنْتِ أَبِي أُمَيَّةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ: كَانَ النَّاسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ الْمُصَلِّي يُصَلِّي لَمْ يَعُدْ
পৃষ্ঠা - ৪২৯৮
রয়েছে তা তীর রাসুল (না)-এর ডন্যে উত্তম হওয়ার কথা আমি অবগত নই ৷ বরং আমার
কান্নার কারণ হল এই যে, আসমান হতে ওহীর ধারা ছিন্ন হয়ে গেল ৷ তার এ বক্তব্য আবু বকর
উমর (রা)-ণ্ক কান্নাৱ ত্তন্যে উদ্বুদ্ধ করল এবং তীরণ্দু’জনও র্কাদতে লাগলেন ৷ মুসলিম (র)
হাদীসটি একাকী রিওয়ায়াত করেছেন যুহায়র ইবন হার্ব (র) সুত্রে ৷ মুসা ইবন উকৰা (র)
রাসুলুল্পাহ (না)-এর ওফাতের ঘটনা এবং সে প্রসৎগে প্রদত্ত আবু বকর (রা)-এর ভাষণের
আলোচনায় কলেছেন, আবু বকর (বা) ভাষণ সমাপ্ত করলে সােবেন্মা চলে গেল ৷ উম্মু আয়মান
(রা) বসে বসে র্কাদছিলেন ৷ তীকে বলা হল, কোন বিষয়টি আপনাকে র্কাদাচ্ছে? আল্লাহ তো
তীর নবীকে মহিমান্বিত করে তীকে তীর জান্নাতে দাখিল করেছেন এবং পৃথিবীর কায়ফ্রেশ
হতে যুক্ত করেছেন ৷ উম্মু আয়মান (বা) বললেন, আমার কান্না তো হচ্ছে আসমানের খবর
বন্ধ হওয়ার কারণে দিবা-নিশি আমাদের কাছে যা নিত্য নতুন বার্তা বয়ে আনতাে ৷ এখন তা
রহিত হয়ে গেল ! আমার কান্না এ করণেই ! লোকেরা তীর এ বক্তব্যে অতিতুত হল ৷
মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (র) তীর সহীহ্ গ্রন্থে বলেছেন, আবু উসামা (র) সুত্রে, আমি
হাদীস প্রাপ্ত হয়েছি, তীর নিকট হতে ব্লিওয়ায়াত গ্রহণকারীদের মাঝে অন্যতম ইবরাহীম ইবন
সাঈদ আল জাওহাবী (র) ৷ তিনি বলেন, আবু উসামা (র) আবু মুসা (রা) সুত্রে নবী করীম
(সা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন-
ইেষ্
আল্লাহ যখন তীর ৰান্দাদের মাঝের কোন উম্মতের প্রতি বহমত করার ইচ্ছা করেন তখন
উম্মতের আগে তীর নবীকে তুলে নেন এবং তীকে উম্মতের জন্য অগ্নবর্তী’ ও অমণী’ বানিয়ে
দেন ৷ যিনি তাদের অনুকুলে সাক্ষ্য দেবেন ৷ আর যখন কোন জাতিকে ধ্বংস করার ইচ্ছা
করেন তখন তাদের নবীর জীবদ্দশন্নেই সে জাতিকে ধ্বংশ করে দেন এবং নবী তাদের
(দুর্নীতি) প্রত্যক্ষ করতে থাকেন ৷ যে জাতি তাকে যিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করে তীর আদেশ
অমান্য করেছিল, এজন্য তাদের ধ্বংস প্রত্যক্ষ করিয়ে আল্পা হ্ তীর চোখ জুড়ান ৷ এ হাদীসের
সনদ ও পাঠ একাকী মুসলিম (র)-এর ৷
হাফিয আবু বকর আলু বামৃযার;(র) বলেন, ইউসুফ ইবন মুসা (র) আবদুল্লাহ ইবন
মাসুউদ (রা) সুত্রে, নবী লীেম (সা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন ৷)ভোন্ মোঃ এ :
আল্লাহ পাকের একদল ভ্রাম্যমান ফিরিশৃতা রয়েছেন যারা আমার
উম্মতের পক্ষ হতে আমাকে সালাম পৌছিম্নে দেন ৷ আবদুল্লাহ (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)
আরো বলেছেন-
ণ্ঘ্র ব্রদ্রা ঐা৷
আমার জীবন তোমাদের জন্য কল্যাণকর তোমরা জিজ্ঞাসা করবে এবং তােমাদেরকে
বলার দেয়া হবে ৷ আমার ওফাতও তোমাদের জন্য কল্যাণকর৷ তোমাদের আমলসমুহ আমার
بَصَرُ أَحَدِهِمْ مَوْضِعَ قَدَمَيْهِ، فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَانَ النَّاسُ إِذَا قَامَ أَحَدُهُمْ يُصَلِّي لَمْ يَعُدْ بَصَرُ أَحَدِهِمْ مَوْضِعَ جَبِينِهِ، فَتُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ، وَكَانَ عُمَرُ، فَكَانَ النَّاسُ إِذَا قَامَ أَحَدُهُمْ يُصَلِّي لَمْ يَعُدْ بَصَرُ أَحَدِهِمْ مَوْضِعَ الْقِبْلَةِ، فَتُوُفِّيَ عُمَرُ وَكَانَ عُثْمَانُ، وَكَانَتِ الْفِتْنَةُ، فَتَلَفَّتَ النَّاسُ يَمِينًا وَشِمَالًا.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ أُمَّ أَيْمَنَ بَكَتْ لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقِيلَ لَهَا: مَا يُبْكِيكِ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَتْ: إِنِّي قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيَمُوتُ، وَلَكِنِّي إِنَّمَا أَبْكِي عَلَى الْوَحْيِ الَّذِي رُفِعَ عَنَّا. هَكَذَا رَوَاهُ مُخْتَصَرًا.
وَقَدْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ نُعَيْمٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ النَّضْرِ الْجَارُودِيُّ قَالَا: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ الْكِلَابِيُّ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «ذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أُمِّ أَيْمَنَ زَائِرًا، وَذَهَبْتُ مَعَهُ، فَقَرَّبَتْ إِلَيْهِ شَرَابًا، فَإِمَّا كَانَ صَائِمًا وَإِمَّا كَانَ لَا يُرِيدُهُ، فَرَدَّهُ، فَأَقْبَلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُضَاحِكُهُ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَ وَفَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى أُمِّ أَيْمَنَ نَزُورُهَا. فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهَا بَكَتْ، فَقَالَا لَهَا: مَا يُبْكِيكِ؟ مَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا أَبْكِي أَنْ لَا أَكُونَ أَعْلَمُ أَنَّ مَا عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنْ أَبْكِي أَنَّ الْوَحْيَ انْقَطَعَ مِنَ السَّمَاءِ. فَهَيَّجَتْهُمَا عَلَى الْبُكَاءِ فَجَعَلَا
পৃষ্ঠা - ৪২৯৯
يَبْكِيَانِ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مُنْفَرِدًا بِهِ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عَاصِمٍ بِهِ.
وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي قِصَّةِ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَخُطْبَةِ أَبِي بَكْرٍ فِيهَا، قَالَ: وَرَجَعَ النَّاسُ حِينَ فَرَغَ أَبُو بَكْرٍ مِنَ الْخُطْبَةِ، وَأُمُّ أَيْمَنَ قَاعِدَةٌ تَبْكِي، فَقِيلَ لَهَا مَا يُبْكِيكِ؟ قَدْ أَكْرَمَ اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَدْخَلَهُ جَنَّتَهُ، وَأَرَاحَهُ مِنْ نَصَبِ الدُّنْيَا. فَقَالَتْ: إِنَّمَا أَبْكِي عَلَى خَبَرِ السَّمَاءِ، كَانَ يَأْتِينَا غَضًّا جَدِيدًا، كُلَّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، فَقَدِ انْقَطَعَ وَرُفِعَ، فَعَلَيْهِ أَبْكِي. فَعَجِبَ النَّاسُ مِنْ قَوْلِهَا.
وَقَدْ قَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ فِي " صَحِيحِهِ ": وَحُدِّثْتُ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، وَمِمَّنْ رَوَى ذَلِكَ عَنْهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ: ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنِي بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ إِذَا أَرَادَ رَحْمَةَ أُمَّةٍ مِنْ عِبَادِهِ قَبَضَ نَبِيَّهَا قَبْلَهَا، فَجَعْلَهُ لَهَا فَرَطًا وَسَلَفًا يَشْهَدُ لَهَا، وَإِذَا أَرَادَ هِلْكَةَ أُمَّةٍ عَذَّبَهَا وَنَبِيُّهَا حَيٌّ، فَأَهْلَكَهَا وَهُوَ يَنْظُرُ إِلَيْهَا، فَأَقَرَّ عَيْنَهُ بِهَلَكَتِهَا حِينَ كَذَّبُوهُ وَعَصَوْا أَمْرَهُ» تَفَرَّدَ بِهِ مُسْلِمٌ إِسْنَادًا وَمَتْنًا.
وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا عَبْدُ الْمَجِيدِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪৩০০
নিকট পােশ করা হবে, তাতে ভাল কিছু দেখতে পেলে আমি আল্লাহ্ব প্রশংসা করব এবং কোন
কিছু মন্দ দেখতে পেলে তোমাদের জন্য আল্লাহ্র নিকটে মাগফিরাত প্রার্থনা করব ৷ পরে
বাঘৃযার (র) মন্তব্য করেছেন যে, এ সুএটি ব্যতীত অন্য কোন সুত্রে এ হাদীসটির শেষ অংশটি
আবদুল্লাহ (রা) হতে বর্ণিত হওয়ার কথা আমরা জানতে পারি নি ৷
গ্রন্থকারের মন্তব্য ঘ্র তার হ্যদীসেব প্রথমাংশ অর্থাং আল্লাহ্ পাকের একদল ভ্রামামান
ফিরিশতা, সালাম পৌছিয়ে দেন ৷ এ অংশটুকু নাসাঈ (র) সুফিয়ান ছাওরী ও আমড়াশ (র)
সুত্রে বিভিন্ন পন্থায় ঐ সনদে রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ এ ছাড়া ইমাম আহ্ঘৃদ (র) বলেছেন,
হুসায়ন ইবন আলী আলু জুফী (র) আওস ইবন আওস (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
ত্রদ্বুন্ ৷ স্ )ৰুর্চুৰুএ
“তোমাদের দিনগুলির মাঝে শ্রেষ্ঠ দিন জুমুআ বন্র ৷ এদিনেই আদম (আ) সৃজিত হয়েছেন,
সে দিনই র্তাকে তুলে দেয়া হয় ; সে দিলেই শিংগার কু দেয়া হবে এবং সে দিনই কিয়ামতের
ময়দানে গণ আচতন্য’ তা সংঘটিত হবে ৷ সুতরাং ঐ দিন আমার উদ্দেশ্যে অধিক হারে সালাত
(দরুদ) পেশ করবো ৷ কেননা, তোমাদের সালাত আমার কাছে পােশ হরে ৷ সাহাবীগণ বললেন,
ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমাদের দুরুদ কি রুপে আপনার সঘীপে পেশ করা হবে ৷ অথচ আপনি তো
তখন চুর্ণ-ৰিচুর্ণ হয়ে গিয়ে থাকবেন ৷ অর্থাৎ জীর্ণ হয়ে যাবেন ? নবী করীম (সা) বললেন-
০া
“নবীপণের (আলাইহিযুস সালাম) দেহ তক্ষণ করা মাটির জন্য আল্লাহ পাক হারাম করে
দিয়েছেন ৷” হারুন ইবন আবদুল্লাহ ও হাসান ইবন আলী (র) হতে আবু দাউদ (র) এবং
ইনহাক ইবন মনসুর (ব) সুত্রে নসােঈ (র), ঐ সনদে হাদীসটি অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আর ইবন মাজা (বা) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আবু বকর ইর ন আবী শাররা, শাদ্দাদ
ইবন আওস (র) থেকে ৷ আমাদের শারখ আবুল হাজ্জাজ আলু সিযুযী (র) বলেছেন, রাবীর
নামের ক্ষেত্রে ইবন মাজা (র) বিচুদ্রতির শিকার হয়েছেন ৷ যথার্থ সনদ হল আওস ইবন
আতস ৷ ইনি ছার্কীফ গোত্রের অন্যতম সাহাবী (রা) ৷
গ্রন্থকহ্বদুরর মন্তব্য : ইব ন মাজার একটি বিখ্যাত ও উত্তম অনুলিপিতে আমার কাছে দ্দৌ
ব্যিওদ্বপ্রুপে সংরক্ষিত আছে ৷ অর্থাৎ আহমদ, আবু দাউদ ও নড়াসাঈ (র) এর অনুরুপ আওণ্
ইবন আওম (রা) থেকেই বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে পরবর্তী বর্ণনায় ইবন মজ্যে (র) ববুন্-’ছন
আমব ইবন সাওয়াদ আলমিসৰী (র) আবৃদ্সারলা (রা ) থেকে বদ্ট্টন্তি র্ডিদি বপুন্ন্
রাসুলুল্লাহ (না) বলেছেন-
শ্বা
জুমুআর দিন আত্মার টুপ্ক্রুর বখিক ন্ৰিন্ন্ৰু ণ্ন্কন্ প্ৰু’ ন্সা-ৎ ফ্:ষ্ৰুপুৰ্ ণ্ণুন্দো ল্টে
উপস্থিতির দিন: শু£স্তিণ্হৃ র্জিছুম্পুভ্রশ্লে ইপ্স্থিন্ৰু হ্ন:ব্ভ্র দ্যো আঃ ন্সেমাম্পে যে :ৰ্ণ্ মোঃ
زَاذَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ، يُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِي السَّلَامَ» قَالَ: وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «حَيَاتِي خَيْرٌ لَكُمْ تُحَدِّثُونَ، وَيُحَدَّثُ لَكُمْ، وَوَفَاتِي خَيْرٌ لَكُمْ تُعْرَضُ عَلَيَّ أَعْمَالَكُمْ فَمَا رَأَيْتُ مِنْ خَيْرٍ حَمِدْتُ اللَّهَ عَلَيْهِ، وَمَا رَأَيْتُ مِنْ شَرٍّ اسْتَغْفَرْتُ اللَّهَ لَكُمْ» ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: لَا نَعْرِفُ آخِرَهُ يُرْوَى عَنْ عَبْدِ اللَّهِ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. قُلْتُ: وَأَمَّا أَوَّلُهُ، وَهُوَ قَوْلُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «إِنَّ لِلَّهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِينَ يُبَلِّغُونِي عَنْ أُمَّتِي السَّلَامَ» فَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَعَنِ الْأَعْمَشِ كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ، بِهِ.
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمُ الْجُمُعَةِ، فِيهِ خُلِقَ آدَمُ، وَفِيهِ قُبِضَ، وَفِيهِ النَّفْخَةُ، وَفِيهِ الصَّعْقَةُ فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلَاةِ فِيهِ، فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرِمْتَ؟ يَعْنِي قَدْ
পৃষ্ঠা - ৪৩০১
بَلِيتَ. قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَنْ تَأْكُلَ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ» وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ هَارُونَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَعَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، وَالنَّسَائِيُّ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ مَنْصُورٍ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ بِهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنِ ابْنِ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي الْأَشْعَثِ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، فَذَكَرَهُ. قَالَ شَيْخُنَا أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ: وَذَلِكَ وَهْمٌ مِنَ ابْنِ مَاجَهْ، وَالصَّحِيحُ أَوْسُ بْنُ أَوْسٍ، وَهُوَ الثَّقَفِيُّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
قُلْتُ: وَهُوَ عِنْدِي فِي نُسْخَةٍ جَيِّدَةٍ مَشْهُورَةٍ عَلَى الصَّوَابِ كَمَا رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَأَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ: عَنْ أَوْسِ بْنِ أَوْسٍ.
ثُمَّ قَالَ ابْنُ مَاجَهْ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْمِصْرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَيْمَنَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَيٍّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَكْثِرُوا الصَّلَاةَ عَلَيَّ يَوْمَ