سنة إحدى عشرة من الهجرة
متى وقع دفنه عليه الصلاة والسلام
متى وقع دفنه عليه الصلاة والسلام
পৃষ্ঠা - ৪২৮৬
দ্যো ৷
আমি আমার আৎটিটি হাতে নিয়ে তা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কবরে ফেলে দিলাম এবং সকলে
বের হয়ে গেলে আমি বললাম, “ আমার আৎটিটিতো কবরে পড়ে গিয়েছে ৷ ” আসলে আমি
সেটি ইচ্ছা করে ফেলে দিয়েছিলাম ৷ যাতে আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে স্পর্শ করতে পারি এবং
তার সর্বশেষ সান্নিধ্যধন্য ব্যক্তি হতে পারি ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, এ বিষয় আমার পিতা
ইসহাক ইবন ইয়াসার (র) আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ (র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
আমি আলী (রা)-এর সাথে উমরা পালন করলামপুর্বোল্লিখিত্ত বিবরণ ৷
মুগীরা ইবন শুবা (রা) থেকে উল্লিখিত বিবরণ তার ৰাসনা বাস্তবায়িত হওয়া দাবী করে
না ৷ কেননা, এমন সম্ভাবনাও বিদ্যমান যে, আলী (রা) জকে কবরে নাম্বার অবকাশ্ইি দেন
নি ৷ কিৎবা তিনি অন্য কাউকে আৎটিটি তুলে দিতে বসে থাকতে পারেন ৷ পুরুবাল্লিখিত বর্ণনা
দৃষ্টে তা তুলে দেয়ার আদেশ প্রাপ্ত হয়ে থাকবেন কুছাম ইবন আব্বাস (বা) ৷ ওয়াকিদী (র)
তো বলেছেন, আবদুর রহমান ইবন আবুঘৃ যিনাদ (র) পিতা সুত্রে উবায়দৃল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ
ইবন উত্বা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, মুগীরা ইবন শুবা (রা) তীর আহ্ঢিঢি রাসুলুল্লাহ
(না)-এর কবরে ফেলে দিলেন ৷ তখন আলী (বা) বললেন, আপনি তো আৎটি ফেলেছেন এ
উদ্দেশ্যে যে, আপনি বলবেন যে, আমি নবী কবীম (না)-এর কবরে অবতরণ করেছিলেন ৷
পরে তিনি নিজেই নেমে আৎটিটি তুলে দিলেন কিৎবা কোন লোককে হুকুম করলে যে তা
তুলে দিল ৷ আর ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, বাহ্য ও আবু কামিল (র) আবু আসীব কিৎবা
আবু গুনৃম (যা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ বাহ্য (র)-এর বর্ণনায় তিনি (বর্ণনা কারী সাহাবী ) নবী
কবীম (না)-এর জানাযা সালাতে উপ ত ছিলেন ৷ লােবেরো বলল, আমরা কিভাবে সালাত
আদায় করব? (আবু বকর) বললেন, ছোট ছোট দলবদ্ধ হয়ে প্রবেশ কর ৷ তখন তারা এ
(দিককার) দরযা দিয়ে ঢুকছিলেন এবং নবী কবীম (না)-এর জন্য জানাযড়ার সালাত আদায়
করে অন্য একটি দরযা দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন ৷ বর্পনাকাবী বলেন, নবী কবীম (না)-কে
তীর কবরে রেখে দেয়া হলে মুগীরা (রা) বললেন, তার পায়ের দিকে কিছু কাজ অসম্পুর্ণ রয়ে
গিয়েছে; আপনারা তার যথাযথ ব্যবস্থা করেন নি ৷ র্তা’রা বললেন, তবে তুমি নেমে পড় এবং
তা ঠিক ঠাক করে দাও ! তখন তিনি কবরে নেমে পড়লেন এবং নবী কবীম (না)-এর
কাফনের মাঝে নিজের হাত প্ৰবিষ্ট করে তার পদযুগল স্পর্শ করলেন ৷ পরে তিনি বললেন,
(এখন) মাটি ঢড়ালরুত থাক ৷ র্তারা মাটি ঢালতে থাকলেন এবং তা মুগীরা (রা)-এর পায়ের
পােছার মাঝামাঝি পর্যন্ত পৌছার পরে তিনি বের হয়ে এলেন এবং এ সুত্রেই তিনি পরে
বলতেন, আমিই তোমাদের মাঝে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সর্বশেষ সংগধন্য ব্যক্তি ৷
নবী কবীম (না)-কে কখন দাফন করা হয়?
ইউনুস (র) বলেন, ইবন ইসহড়াক (র) আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
বুধবারে পুর্ববর্তী মধ্য রাতে বেলট্রুচা-কােদ্যালর শব্দ শুনেই আমরা নবী কবীম (না)-এর দাফন
সম্পর্কে জ্ঞাত হই ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, ইবন আবু সাবৃরা (র) উম্মু সালড়ামা (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমরা সমবেত হয়ে কান্নাকাটি করছিলড়াম এবং আমাদের চোখে ঘুম ছিল
না ৷ তখনও রাসুলুল্পাহ (না) আমাদের ঘরে ছিলেন এবং তাকে খাটের উপরে রক্ষিত দেখে
আমরা সাভ্না পাচ্ছিলাম ৷ হঠাৎ ভোর রাতে আমরা আওয়ায দাতড়াদের আওয়ায পেলাম ৷ উম্মু
أَوْ أَمَرَ رَجُلًا فَأَعْطَاهُ» .
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ وَأَبُو كَامِلٍ قَالَا: ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَبِي عَسِيبٍ أَوْ أَبِي عَسِيمٍ، قَالَ بَهْزٌ: «إِنَّهُ شَهِدَ الصَّلَاةَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالُوا: كَيْفَ نُصَلِّي عَلَيْهِ؟ قَالَ: ادْخُلُوا أَرْسَالًا أَرْسَالًا. فَكَانُوا يَدْخُلُونَ مِنْ هَذَا الْبَابِ، فَيُصَلُّونَ عَلَيْهِ، ثُمَّ يَخْرُجُونَ مِنَ الْبَابِ الْآخَرِ. قَالَ: فَلَمَّا وُضِعَ فِي لَحْدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمُغِيرَةُ: قَدْ بَقِيَ مِنْ رِجْلَيْهِ شَيْءٌ لَمْ يُصْلِحُوهُ. قَالُوا: فَادْخُلْ فَأَصْلِحْهُ. فَدَخَلَ وَأَدْخَلَ يَدَهُ فَمَسَّ قَدَمَيْهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَقَالَ: أَهِيلُوا عَلَيَّ التُّرَابَ. فَأَهَالُوا عَلَيْهِ حَتَّى بَلَغَ أَنْصَافَ سَاقَيْهِ، ثُمَّ خَرَجَ، فَكَانَ يَقُولُ: أَنَا أَحْدَثُكُمْ عَهْدًا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
[مَتَى وَقَعَ دَفْنُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ]
قَالَ يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ مُحَمَّدٍ امْرَأَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ - وَأَدْخَلَنِي عَلَيْهَا، قَالَ: حَتَّى تَسْمَعَهُ مِنْهَا - عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪২৮৭
সালামা (রা) বলেন, তখন আমরা চিৎকার দিয়ে উঠলড়াম এবং মসজিদের লোকেরাও চিৎকার
দিয়ে উঠল ফলে গোটা মদীনা একটি মাত্র চিৎকার ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে উঠল ৷ বিলাল (বা)
ফজরের আযান দিলেন ৷ আযানের মাঝে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর কথা ( এ;শু « এে ঐশু-ন্ইণ্ষ্
ঢো) উল্লেখ করার সময় তিনি কেদে ফেললেন এবং সজােরে চিৎকার দিয়ে আমাদের দুঃখ
বেদনা আরো বাড়িয়ে দিলেন ৷ লোকেরা তার কবরের কাছে যাওয়ার জন্য য়থাসাধ্য চেষ্টা
করতে লাগলে দরযা বন্ধ করে দেয়া হল ৷ হায় সে দিনকার মহা ঘুসীবত ! এর পরবর্তী সময়
আমরা যে কোন বিপদের সম্মুখীন হলে আমরা নবী করীম (না)-কে হারানাের ব্যথ্যা স্মরণ
করে আমাদের যে মুসীবতের লঘুতর বিবেচনা করতাম ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) সোমবারে ইনতিকাল করেন এবং বুধবারের পুর্ববর্তী রাতে র্তাকে দাফন করা
হয় ৷ একাধিক হাদীস সুত্রে এর অনুরুপ বিবরণ পুর্ববর্তী আলোচনায় উদ্ধৃত হয়েছে ৷ প্রাচীন
যুগের ও পরবর্তী যুগের মনীষীবর্গ বিশেষত সুলায়মান ইবন তুরখান আত্-তড়ায়মী, জাফর
ইবন মুহাম্মদ আসৃ-সাদিক, ইবন ইস্হাক, মুসা ইবন উক্বা প্রমুখ (র)-এর অনুকুলে তাদের
সুস্পষ্ঠ মত ব্যক্ত করেছেন ৷
তবে ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র) রিওয়ায়াত করেছেন আবদুল হামীদ (র) আল্-আওয়াঈ
(র) সুত্রে ৷ তিনি বলেন, সোমবার দুপুর হওয়ার আগে রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেন এবং
মংণলবার সমাহিত হন ৷ ইমাম আহমদ (র) আবদুর রায্যাক (র) ইবন জুরায়জ (র) সুত্রে
অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি তথ্য প্রাপ্ত হয়েছি যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
সোমবার প্রথম প্রহরে ইনতিকাল করেন এবং পরের দিন প্রথম প্রহরে সমাহিত হন ৷ ইয়াকুব
(র) বলেছেন, সুফিয়ান (র) আবু জাফর (র) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা)
সোমবারে ইনতিকাল করলেন ৷ পরে সে দিন ও সে রাত এবং মংগলবার দিনের শেষ ভাগ
পর্যন্ত সেভাবেই থাকলেন ৷ এটি একটি অখ্যাত অভিমত ৷ প্রসিদ্ধ অভিমত হল অনেক মনীষী
সুত্রে যা আমরা উদ্ধৃত করেছি নবী করীম (সা) সোমবারে ইনতিকাল করেন এবং বুধবারের
পুর্ববর্তী রাতে র্তাকে দাফন করা হয় ৷
অন্যান্য স্বল্প প্রসিদ্ধ ও বিরল অভিমতসমুহ : ইয়াকুব ইবন সুফিয়ড়ান (র) রিওয়ায়াত :
আবদুল হামীদ ইবন বাক্কার (র) মাক্হুল (র) সুত্রে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) জন্মগ্রহণ
করেন সোমবারে, তার কাছে ওহী পাঠানো হয় সোমবারে, তিনি হিজরত করেন সোমবারে
এবং ইনতিকালও করেন সোমবারে, সাড়ে বাষট্টি বছর বয়সে ৷ তিন দি ন য়াব৩ ওাধ্যে দাফন
করা হয়নি ৷ লোকজন দলে দলে তার কাছে প্রবেশ করে সালাত (জানায়া) আদায় করছিলেন ৷
তারা সারিবদ্ধও হচ্ছিলেন না এবং কেউ তাদের ইমামতিও করছিলেন না ৷ এ বর্ণনায় তিন
দিন দাফন না করা অবস্থায় রইলেন’ অংশটুকু অতিশয় বিরল ৷ যথার্থ তথ্যমতে তিনি সোমবার
দিনের অবগ্রিষ্টিড়াৎশসহ মংগলবড়ার পুর্ণ দিবস অবস্থিত থাকার পরে বুধবারের (পুর্ববর্তী) রাতে
সমাহিত হন ৷ পুর্ববর্তী বিবরণ দ্রষ্টব্য ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
আর এর পাল্টা বিবরণ রয়েছে, সড়ায়ফ (র) হিশামের পিতা সুত্রের রিওয়ায়াতে ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করলেন সোমবারে র্তাকে গোসল দেয়া হল সোমবারে এবং
€ই১ ৷ড়া
عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «مَا عَلِمْنَا بِدَفْنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى سَمِعْنَا صَوْتَ الْمَسَاحِي فِي جَوْفِ لَيْلَةِ الْأَرْبِعَاءِ» .
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي سَبْرَةَ عَنِ الْحُلَيْسِ بْنِ هَاشِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: «بَيْنَا نَحْنُ مُجْتَمِعُونَ نَبْكِي لَمْ نَنَمْ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بُيُوتِنَا، وَنَحْنُ نَتَسَلَّى بِرُؤْيَتِهِ عَلَى السَّرِيرِ، إِذْ سَمِعْنَا صَوْتَ الْكَرَازِينِ فِي السَّحَرِ. قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: فَصِحْنَا وَصَاحَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ، فَارْتَجَّتِ الْمَدِينَةُ صَيْحَةً وَاحِدَةً، وَأَذَّنَ بِلَالٌ بِالْفَجْرِ، فَلَمَّا ذَكَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَكَى فَانْتَحَبَ، فَزَادَنَا حُزْنًا، وَعَالَجَ النَّاسُ الدُّخُولَ إِلَى قَبْرِهِ، فَغُلِقَ دُونَهُمْ، فَيَا لَهَا مِنْ مُصِيبَةٍ! مَا أُصِبْنَا بَعْدَهَا بِمُصِيبَةٍ إِلَّا هَانَتْ إِذَا ذَكَرْنَا مُصِيبَتَنَا بِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ «رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَدُفِنَ لَيْلَةَ الْأَرْبِعَاءِ» . وَقَدْ تَقَدَّمَ مِثْلُهُ فِي غَيْرِ مَا حَدِيثٍ، وَهُوَ الَّذِي نَصَّ عَلَيْهِ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الْأَئِمَّةِ سَلَفًا وَخَلَفًا، مِنْهُمْ سُلَيْمَانُ بْنُ طَرْخَانَ التَّيْمِيُّ، وَجَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ
পৃষ্ঠা - ৪২৮৮
الصَّادِقُ، وَابْنُ إِسْحَاقَ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَغَيْرُهُمْ.
وَقَدْ رَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ بَكَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شُعَيْبٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ أَنَّهُ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَنْتَصِفَ النَّهَارُ، وَدُفِنَ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ» .
وَهَكَذَا رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ: «أُخْبِرْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ فِي الضُّحَى يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَدُفِنَ مِنَ الْغَدِ فِي الضُّحَى» .
وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَدُفِنَ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ» .
পৃষ্ঠা - ৪২৮৯
দাফন করা হল মংগলবারের পুর্ববর্তী রাতে ৷ সায়ফ (র) বলেন, এক দু’বার ইয়াহ্য়া ইবন
সাঈদ (র)-ও এ পুর্ণ বিবরণটি আইশা (র) হতেও বর্ণনা করেছেন ৷ এ বর্ণনাও অতিশয় বিরল
প্রকৃতির ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন জাফর (র) জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা)
হতে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (না)-এর কবরের উপরে উত্তমরুপে পানি ছিটিয়ে দেয়া
হয়েছিল ৷ পানি ছিটিয়ে দিয়েছিলেন বিলাল ইবন আবু রাবাহ (বা) একটি মশক দিয়ে ৷ তিনি
নবী করীম (সা) এর মাথার দিক হতে তার ডান পাশ দিয়ে শুরু করে তার পদযুগল পর্যন্ত
পৌছলেন ৷ তারপর পানি দেয়ালের দিকে ছুড়ে মারলেন; দেয়ালের দিক হতে ঘুরে আসতে
সমর্থ হলেন না ৷ সাঈদ ইবন মানসুর (র) বলেছেন, দারাওয়ারদী (র) উম্মু সালামা (রা) থেকে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করলেন সােমবারে এবং সমাহিত
হলেন পরদিন মংগলবারে ৷ ণ্
ইবন খুযায়মা (র) বলেছেন, মুসলিম ইবন হড়াম্মাদ (র) ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেন সােমবারে এবং র্তাকে সমহিত করা হয়
মংগলবারে ৷ ওয়ড়াকিদী (র) বলেছেন, উবাই ইব ন আয়্যাশ ইবন সাহল ইবন সাঈদ (র) তার
পিতা থেকে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকড়াল করলেন সোমবারে রাবীউল আউয়ালের
বার তারিখের রাত অতিক্রান্ত হলে এবং সমাহিত হলেন মংগলবার দিনের বেলা ৷ আবদুল্লাহ
ইবন মুহাম্মদ ইবন আৰিদ্-দুনিয়া (র) বলেন, আবু মুহাম্মদ হাসান ইবন ইসমাঈল নহরভীয়ী
(র) আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা (রা) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত হল
সােমবারে এবং ৎগলবারেই তিনি সমাহিত হয়েছিলেন ৷ এবং অনুরুপ মত প্রকাশ করেছেন
সাঈদ ইবনৃল মুসায়ব্রড়াব, আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান ও আবু জাফর আলু বাকির (র)
প্রমুখ ৷
وَقَالَ ابْنُ خُزَيْمَةَ حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَدُفِنَ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ» .
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أُبَيُّ بْنُ الْعَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَدُفِنَ لَيْلَةَ الثُّلَاثَاءِ» .
وَقَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَدُفِنَ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ» .
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي الدُّنْيَا: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ إِسْرَائِيلَ أَبُو مُحَمَّدٍ النَّهْرُتِيرِيُّ، ثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى يَقُولُ: «مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، فَلَمْ يُدْفَنْ إِلَّا يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ» . وَهَكَذَا قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَأَبُو جَعْفَرٍ الْبَاقِرُ.
পৃষ্ঠা - ৪২৯০
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَعَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ. فَلَبِثَ ذَلِكَ الْيَوْمَ وَتِلْكَ اللَّيْلَةَ وَيَوْمَ الثُّلَاثَاءِ إِلَى آخِرِ النَّهَارِ» . فَهُوَ قَوْلٌ غَرِيبٌ، وَالْمَشْهُورُ عَنِ الْجُمْهُورِ مَا أَسْلَفْنَاهُ مِنْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَدُفِنَ لَيْلَةَ الْأَرْبِعَاءِ.
وَمِنَ الْأَقْوَالِ الْغَرِيبَةِ فِي هَذَا أَيْضًا مَا رَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ بَكَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شُعَيْبٍ، عَنِ النُّعْمَانِ، عَنْ مَكْحُولٍ قَالَ: «وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَأُوحِيَ إِلَيْهِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَهَاجَرَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَتُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثِنْتَيْنِ وَسِتِّينَ سَنَةً وَنِصْفٍ، وَمَكَثَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لَا يُدْفَنُ، يَدْخُلُ عَلَيْهِ النَّاسُ أَرْسَالًا أَرْسَالًا يُصَلُّونَ لَا يُصَفُّونَ، وَلَا يَؤُمُّهُمْ عَلَيْهِ أَحَدٌ» . فَقَوْلُهُ: إِنَّهُ مَكَثَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ لَا يُدْفَنُ. غَرِيبٌ، وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ مَكَثَ بَقِيَّةَ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ وَيَوْمَ الثُّلَاثَاءِ بِكَمَالِهِ، وَدُفِنَ لَيْلَةَ الْأَرْبِعَاءِ كَمَا قَدَّمْنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَضِدُّهُ مَا رَوَاهُ سَيْفٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ