আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل في كيفية الصلاة عليه صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ৪২৭০


কয়থান৷ কাপড়ে কাফন দেয়া হয়েছিল? র্তীরা বললেন তিনখানি কাপড়ে, যায় মাঝে কোন
জামা বা কোন জুব্বা বা কোন পাগড়ী ছিল না ৷ আমি বাংলায়, বদর যুদ্ধে আপনাদের কত
জনকে বন্দী করা হয়েছিল ? র্তারা বললেন, আব্বাস, নাওফাল ও আকীলকে ৷ বায়হাকী (ব)
যুহরী (র) সুত্রে যায়নুল আৰিদীন (র) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা)-
কে তিনখানি কাপড় দিয়ে কাফন দেয়া হল, যার একখানি ছিল লাল রংএর ভোরাদার ইয়ামেনী
চাদর ৷ হাফিয ইবন আসাকির (ব) অন্য একটি সুত্রে আলী ইবন আবু তালিব (বা) থেকে
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে সনদটির বিশুদ্ধত৷ প্রশ্রাভীত নয় ৷ আলী (বা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি দুইটি সাহুলী কাপড় এবং একটি ভোরাদার ইয়ামানী চাদর দিয়ে
কাফন পরিয়েছিলাম ৷ আবু সাঈদ ইবনুল আরাবী (র) বলেন, ইবরাহীম ইবনুল ওলীদ (র)
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, দুইখানি রায়তা এক হারা চাদর এবং একখানি
নড়াজরানী চাদর দিয়ে রাসুলুল্লাহ (না)-কে কাফন দেয়া হয়েছিল ৷ আবু দাউদ আৎ তড়ায়লিসী
(র)-ও হিশাম ও ইমারান আল কাত্তান (র)আবু হুরায়রা (বা) লনদে অনুরুপ রিওয়ায়ড়াত
করেছেন ৷ রাবী ইবন সুলায়মান (র)-ও আসাদ ইবন মুসা (র) , উম্মু সালড়ামা (রা) থেকে
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) কে তিনখানি কাপড়ে কাফন
দেয়া হয়েছিল, যার একখানি ছিল নড়াজরানী চাদর ৷ বায়হাকী (র) বলেন, আমরা পুর্বেই আইশা
(রা) সুত্রে (নয়া লেড়াকেদের ভ্রড়ান্তির শিকার হওয়ার কারণ বর্ণনা করে এসেছি যে, সে চাদরটি
সরিয়ে নেয়া হয়েছিল ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

, বায়হাকী (র)-এব পরবর্তী রিওয়ায়াত : মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন খুযায়মা (র) হারুন
ইবন সাঈদ (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আলী (রা)-এব কাছে এতটুকু মিশৃক ছিল; তিনি
তা দিয়ে তার কাফনে সুগন্ধি মাখাবার ওসিয়ত করলেন এবং বললেন, এ যিশৃক বাসুলুল্পাহ
(না)-এর কাফনের ব্যবহৃত সুগন্ধির বেচে যাওয়া অংশ ৷ ইবরাহীম ইবন মুসা (ব) সুত্রে আলী
(রা) হতেই বায়হাকী (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন এবং অনুরুপ উল্লেখ করেছেন ৷

নবী করীম (সা) কে গোসল দানের বিবরণ

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আশৃআছ ইবন তৃলায়ক হতে বর্ণিত, বায়হাকী (র)-এব ৰিওয়ায়াত এবং
আল ইস্পাহানীর বরাতে আল বায্যার (ব)-এব রিওয়ায়াত উভয় রিওয়ায়াত ইবন মাসউদ
(বা) হতে পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷ এ হাদীসের সারকথা ছিল নবী করীম (না)-কে গোসল
দান সম্পর্কীত ৷ নবী পরিবারের পুরুষ সদস্যদের প্রতি তার ওসিয়াত ও নির্দেশ ছিল এই যে,
আমাকে আমার পরিধেয় এ কাপড়ে কিংবা ইয়াযানী কিংবা মিশয়ী সাদা কাপড়ে কাফন
দেবে ৷ কাফন পরানাে হয়ে গেলে র্তাকে তার কবরের পড়ে রেখে দিয়ে ফিরিশতড়াদের
সালাতের আবকাশ দেয়ার জন্য র্তারা বের হয়ে যাবেন এবং পরে তার আহ্লে বায়তের পুরুষ
সদস্যগণ এসে সালাত আদায় করবেন ৷ তারপরে অন্যান্য লোকেরা সকলেই, একাকী একাকী
সালাত আদায় করবেন ৷ অবশ্য হাদীসের বিশুদ্ধতা প্রশ্নসাপেক্ষ হওয়ার কথাও বিবৃভ হয়েছে ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, হুসায়ন ইবন আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণিত
যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গোলে (জানাযার জন্য প্রথমে) পুরুষদের


[فَصْلٌ فِي كَيْفِيَّةِ الصَّلَاةِ عَلَيْهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْأَشْعَثِ بْنِ طَلِيقٍ، وَالْبَزَّارُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ، كِلَاهُمَا عَنْ مُرَّةَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ «فِي وَصِيَّةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُغَسِّلَهُ رِجَالُ أَهْلِ بَيْتِهِ، وَأَنَّهُ قَالَ: كَفِّنُونِي فِي ثِيَابِي هَذِهِ، أَوْ فِي يَمَنِيَّةٍ أَوْ بَيَاضِ مِصْرَ وَأَنَّهُ إِذَا كَفَّنُوهُ يَضَعُونَهُ عَلَى شَفِيرِ قَبْرِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُونَ عَنْهُ حَتَّى تُصَلِّيَ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ، ثُمَّ يَدْخُلُ عَلَيْهِ رِجَالُ أَهْلِ بَيْتِهِ فَيُصَلُّونَ عَلَيْهِ، ثُمَّ النَّاسُ بَعْدَهُمْ فُرَادَى» . الْحَدِيثَ بِتَمَامِهِ، وَفِي صِحَّتِهِ نَظَرٌ كَمَا قَدَّمْنَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الْحُسَيْنُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «لَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُدْخِلَ الرِّجَالُ، فَصَلَّوْا عَلَيْهِ بِغَيْرِ إِمَامٍ أَرْسَالًا حَتَّى فَرَغُوا، ثُمَّ أُدْخِلَ النِّسَاءُ فَصَلَّيْنَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أُدْخِلَ الصِّبْيَانُ فَصَلَّوْا عَلَيْهِ، ثُمَّ أُدْخِلَ الْعَبِيدُ فَصَلَّوْا عَلَيْهِ أَرْسَالًا، لَمْ يَؤُمَّهُمْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدٌ» . وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أُبَيُّ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪২৭১


প্রবেশানুমতি দেয়া হল; তারা ইমাম বিহীনভাবে জলে জলে সালাত আদায় করতে থাকলেন ৷
তারপর নারীদের প্রবেশানৃমতি দেয়া হল, তারাও তার জন্য সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর
শিশু কিশোরদের প্রবেশ করতে দেয়া হলে তারাও তার জন্য সালাত আদায় করল এবং
এরপরে গোলড়ামদের প্রবেশ করতে দেয়া হলে তারাও সালাত আদায় করল ৷ সকলেই একা
একা সালাত আদায় করলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্য সালাতে কেউ ইমামতি করেননি ৷

ওয়াকিদী (ব) বলেন, উবাযদ্র৷ ইবন আয়্যাশ ইবন সাহ্ল ইবন সাদ (ব),৩ ৷ তার দাদা সুত্রে
বর্ণিত ৷ তিনি বলেন ,রাসুলুল্লাহ (সা) কে তার কাফন পবিয়ে দেয়া হলেও তাকে তার খাংট রাখা
হল ৷ তারপর তার কবরের পাড়ে রাখা হল ৷ তারপর লোকজন (জন নাযার উদ্দেশ্যে) দলে দলে
প্রবেশ করতে লাণলেন, এ সালাতে কেউ ইমামতি করছিলেন না ৷ ওয়াকিদী (র) আরো বলেন
মুসা ইবন মুহাম্মদ ইবরাহীম থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন কৰুমার আব্বার হাতে লেখা একটি
লিপি আ ৷মি পেয়ে য ই ৷ তাতে লিখিত ছিল রাসুলুল্লাহ (না ) কে কাফন পরানাে হয়ে গেলে এবং
তাকে তার খাটের উপরে রেখে দেয়া হল ৷ আবু বকর ও উমর (বা) এবং ঘরে সৎ কুলান হয়
এমন সং খ্যক আনসার যুহজির ঐ দু’ জনের স গে ঘরে প্রবেশ করলেন ৷ তারা দু’ জন বললেন,



আনসারগণও অনুরুপ সালাম খ্ন্ধুপােশ করলেন ৷ ৩ারপর ৩ার৷ কা৩ ৷৷রর স্পো ২ণে ন র ৫৮ , কিন্তু কেউ
ইমামরুপে ছিলেন না ৷

তারপর তা ৷রা দুজন প্রথম কা ৷তারে র্দ৷ ড়িয়ে বললেন, “হে আল্লাহ ’ আমরা সাক্ষা দিচ্ছি যে,
তার কাছে যা নাযিল করা হয়েছিল তিনি তা পৌছিয়ে দিয়েছেন, তিনি তার উম্মতের কল্যাণ
কামনা করেছেন এবং অ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেছেন, যাবৎ না তা ৷ল্লাহ্ তার দীনকে প্রতিষ্ঠিত
করেছেন এবং তার ক ৷লেমা পুণ ৷৷ৎপত৷ পেয়েছে এবং তার একক ও লাশ ৷রীক সত্তায় ঈমান
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৷ সুতরাং হে আমাদের ইলাহ! আমাদের ৩াতছুওং করগুন সে সকল লোকের
মাঝে যারা তার (নবীর) কাছে নাযিলকৃত বাণীর আনুগত্য করে এবং তার ও আমাদের মাঝ
সম্মিলন ঘটিয়ে দিন যাতে আপনি আমাদের দিয়ে তাকে এবং তাকে দিয়ে আমাদের পরিচিতি
সাবম্ভে করবেন ৷ কেননা, তিনি ছিলেন মু’মিনদের প্রতি স্নেহশীল দয়াবান ৷ আমরা তার প্রতি
বিশ্বাস স্থাপনে কো ন (পার্থিব ও) বিনিময় প্রত্যাশা করি না এবৎ৩ ৷ র বিনিময়ে কক্ষণো কোন
মুল্য আমরা গ্রহণ করব না৷ ” “এ সময় অন্য লোকেরা আষীন’ আঘীন’ বলে যাচ্ছিলে এবং
একদল বের হয়ে গেলে আর এক দল প্রবেশ করছিলেন ৷ এভাবে পুরুষগণ সালাত আদায়
করার পরে নারীগণ এবং তাদের পরে অপ্রাপ্ত বয়স্কর৷ সালাত আদায় করল ৷ কথিত হয়েছে যে,
তারা সোমবারের দুপুরের পর হতে মৎগলবারের ঐ রকম সময় পর্যন্ত সালাত আদায়
করেছিলেন ৷ মতাম্ভরে, তিন দিন যাতে র্তারা তার জন্য সালাত আদায় করেছিলেন ৷ এ প্রসৎগে
বিশদ বিবরণ পরে আসছে ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত

স ৷লাৰু৩ সম্পর্কি৩ এ কর্মপন্থা অর্থাং কেউ ইমাম না হয়ে একাকী একা নবী করীম (সা ) এর
জানাযার সালাত আদায় করার বিষয়টি সর্বসম্মত এবং এতে কারােই ভিন্ন মত নেই : তবে এর

কারণ বর্ণনায় মত পার্থক্য দেখা দিয়েছে ৷ এ প্রসৎশ্চে ৷ইবন মাসউদ (রা) থােক ণ্শ্রর্চহুর্বট্টন্ব
উপস্থাপিত হাদীস প্রামাণ্য সাবম্ভে হলে তা এ ক্ষেত্রে শরীআদে ওর স্পষ্ট তাষা’ ( ন্প্৷ ক^

€মাো





جَدِّهِ قَالَ: «لَمَّا أُدْرِجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَكْفَانِهِ وُضِعَ عَلَى سَرِيرِهِ، ثُمَّ وُضِعَ عَلَى شَفِيرِ حُفْرَتِهِ، ثُمَّ كَانَ النَّاسُ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِ رُفَقَاءَ رُفَقَاءَ لَا يَؤُمُّهُمْ أَحَدٌ» . قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: وَجَدْتُ كِتَابًا بِخَطِّ أَبِي فِيهِ أَنَّهُ لَمَّا كُفِّنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوُضِعَ عَلَى سَرِيرِهِ، دَخَلَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، وَمَعَهُمَا نَفَرٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ بِقَدْرِ مَا يَسَعُ الْبَيْتُ فَقَالَا: السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. وَسَلَّمَ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ كَمَا سَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، ثُمَّ صُفُّوا صُفُوفًا لَا يَؤُمُّهُمْ أَحَدٌ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَهُمَا فِي الصَّفِّ الْأَوَّلِ حِيَالَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللَّهُمَّ إِنَّا نَشْهَدُ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ مَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ، وَنَصَحَ لِأُمَّتِهِ، وَجَاهَدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى أَعَزَّ اللَّهُ تَعَالَى دِينَهُ وَتَمَّتْ كَلِمَتُهُ، وَأُومِنَ بِهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، فَاجْعَلْنَا إِلَهَنَا مِمَّنْ يَتَّبِعُ الْقَوْلَ الَّذِي أُنْزِلَ مَعَهُ، وَاجْمَعْ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ حَتَّى تُعَرِّفَهُ بِنَا وَتُعَرِّفَنَا بِهِ، فَإِنَّهُ كَانَ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفًا رَحِيمًا، لَا نَبْتَغِي بِالْإِيمَانِ بَدَلًا وَلَا نَشْتَرِي بِهِ ثَمَنًا أَبَدًا. فَيَقُولُ النَّاسُ: آمِينَ آمِينَ. وَيَخْرُجُونَ وَيَدْخُلُ آخَرُونَ حَتَّى صَلَّى الرِّجَالُ، ثُمَّ النِّسَاءُ، ثُمَّ الصِّبْيَانُ. وَقَدْ قِيلَ إِنَّهُمْ صَلَّوْا عَلَيْهِ مِنْ بَعْدِ الزَّوَالِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ إِلَى مِثْلِهِ مِنْ يَوْمِ الثُّلَاثَاءِ. وَقِيلَ: إِنَّهُمْ مَكَثُوا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ. كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُ ذَلِكَ قَرِيبًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪২৭২


গণ্য হবে এবং তা হবে যুক্তি ও বুদ্ধিজাত বিচারের উর্ধে তাঅড়াববুদ (০১-:ন্ও-১) ও আইন গত
ইবাদাত আনুগত্য প্রকরণভুক্ত ৷ তবে সে যাই হোক; তাদের কোন নির্দিষ্ট ইমাম ছিলেন না
বিধায় এমনটি হয়েছে, এরুপ বলার কোন অবকাশ নেই ৷ কেননা, পুর্ববর্তী আলোচনায় আমরা
বলে এসেছি যে, আবু বকর (রা)-এর প্ৰতি আনুগত্যের বায়আত সম্পাদিত হওয়ার পরেই
তারা নবী করীম (সা) এর কড়াফন-দাফনের কাজ শুরু করেছিলেন ৷

তবে কোন কোন আলিম বলেছেন, কেউ তাদের ইমামতি না করার লক্ষ্য ছিল সরাসরি ও
প্রত্যক্ষভাবে তার জন্য তাদের সালাত আদায় এবং উম্মতের প্রতিটি ব্যক্তি ও নারী-পুরুষ-
বালক-বয়স্ক নির্বিশেষে এমন কি গোলামবেড়াদীদের প্রতেকের পৃথক পৃথক এবং একের পরে
এক সালাত আদায়ের মাধ্যমে তার (সা) জন্য পুনঃ পুনঃ সালাত আদায় করা ৷

আর ইমাম সুহায়লী (র)-এর অভিমতের সার সংক্ষেপ হচ্ছে, আল্লাহ তো পবিত্র কলামের
দ্বারা অবহিত করেছেন যে, তিনি এবং তার ফিরিশতাগণ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্য সালাত
প্রেরণ করে থাকেন এবং সেই সাথে প্রতিটি ঈমানদারকে সরাসরি নিজের তরফ হতে তার
জন্য সালাত নিবেদনের আদেশ করেছেন ৷ তার ওফাতের পরে তার জন্য (জানাযা) সালাতও
পুর্বোক্ত পন্থায়ই সম্পাদিত হয়ে ৷ তিনি আরো বলেছেন, ফিরিশতাগণ এ ক্ষেত্রে আমাদের জন্য
ইমাম সাব্যস্ত হবেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

সাহাবী জ্যমাআত ব্যতীত অন্যান্য (পরবর্তী)-দের জন্য নবী করীম (সা)-এর রাওযায়
সালাত আদায় করার বৈধতার বিষয়টিতে ইমাম শাফিঈ (র)-এর পরবর্তী কালের অনুসারীগণ
মতভেদের শিকার হয়েছেন ৷ কেউ কেউ বৈধতার অনুকুলে অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, নবী
করীম (সা) এর যুবারক দেহ তার কবরে তড়াজা ও অবিকৃত ও অক্ষত রয়েছে ৷ কেননা,
আল্লাহ পাক নবীগণের দেহকে মাটির জন্য হড়ারড়াম করে দিয়েছেন (সুনান গ্রন্থসমুহ ও অন্যান্য
গন্থে এ সম্পর্কিত হাদীস বিদ্যামান রয়েছে) ৷ সুতরাং তিনি (সা) তো যেন আজই ইনতিকাল
করেছেন ৷ পক্ষাম্ভয়ে অন্যদের অভিমত হল সাহারা-পরবর্তী ল্যেকরা নবী করীম (সা)-এর
রাওযায় সালাত আদায় করবে না ৷ কেননা, সাহারা পরবর্তী আমাদের পুর্বসুরী (তাবিঈতাবি-
তাবিঈ)গণ তা করেন নি ৷ অথচ বিষয়টি বৈধ ও শরীআতসম্মত হলে র্তারা অবশ্যই তাতে
গভীর আংষ্কহ ও নিয়মানুবর্তীতড়া দেখাতেন (কিন্তু তারা তা করেন নি) ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত


وَهَذَا الصَّنِيعُ، وَهُوَ صَلَاتُهُمْ عَلَيْهِ فُرَادَى لَمْ يَؤُمَّهُمْ أَحَدٌ عَلَيْهِ، أَمْرٌ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ لَا خِلَافَ فِيهِ، وَقَدِ اخْتُلِفَ فِي تَعْلِيلِهِ ; فَلَوْ صَحَّ الْحَدِيثُ الَّذِي أَوْرَدْنَاهُ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ لَكَانَ نَصًّا فِي ذَلِكَ، وَيَكُونُ مِنْ بَابِ التَّعَبُّدِ الَّذِي يَعْسُرُ تَعَقُّلِ مَعْنَاهُ، وَلَيْسَ لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ: إِنَّهُمْ إِنَّمَا صَلَّوْا عَلَيْهِ كَذَلِكَ ; لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ لَهُمْ إِمَامٌ. لِأَنَّا قَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُمْ إِنَّمَا شَرَعُوا فِي تَجْهِيزِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بَعْدَ تَمَامِ بَيْعَةِ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، وَقَدْ قَالَ بَعْضُ الْعُلَمَاءِ: إِنَّمَا لَمْ يَؤُمَّهُمْ أَحَدٌ ; لِيُبَاشِرَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنَ النَّاسِ الصَّلَاةَ عَلَيْهِ مِنْهُ إِلَيْهِ، وَلِتُكَرَّرَ صَلَاةُ الْمُسْلِمِينَ عَلَيْهِ مَرَّةً بَعْدَ مَرَّةٍ، مِنْ كُلِّ فَرْدٍ فَرْدٍ مِنْ آحَادِ الصَّحَابَةِ، رِجَالُهُمْ وَنِسَاؤُهُمْ وَصِبْيَانُهُمْ حَتَّى الْعَبِيدُ وَالْإِمَاءُ. وَأَمَّا السُّهَيْلِيُّ فَقَالَ مَا حَاصِلُهُ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَخْبَرَ أَنَّهُ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ، وَأَمَرَ كُلَّ وَاحِدٍ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَيْهِ ; فَوَجَبَ عَلَى كُلِّ أَحَدٍ أَنْ يُبَاشِرَ الصَّلَاةَ عَلَيْهِ مِنْهُ إِلَيْهِ، وَالصَّلَاةُ عَلَيْهِ بَعْدَ مَوْتِهِ مِنْ هَذَا الْقَبِيلِ. قَالَ: وَأَيْضًا فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ لَنَا فِي ذَلِكَ أَئِمَّةٌ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدِ اخْتَلَفَ الْمُتَأَخِّرُونَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّافِعِيِّ فِي مَشْرُوعِيَّةِ الصَّلَاةِ عَلَى قَبْرِهِ لِغَيْرِ الصَّحَابَةِ ; فَقِيلَ: نَعَمْ ; لِأَنَّ جَسَدَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ طَرِيٌّ فِي قَبْرِهِ، لِأَنَّ اللَّهَ قَدْ حَرَّمَ عَلَى الْأَرْضِ أَنْ تَأْكُلَ أَجْسَادَ الْأَنْبِيَاءِ، كَمَا وَرَدَ
পৃষ্ঠা - ৪২৭৩
بِذَلِكَ الْحَدِيثُ فِي السُّنَنِ وَغَيْرِهَا فَهُوَ كَالْمَيِّتِ الْيَوْمَ. وَقَالَ آخَرُونَ: لَا يَفْعَلُ ; لِأَنَّ السَّلَفَ مِمَّنْ بَعْدَ الصَّحَابَةِ لَمْ يَفْعَلُوهُ، وَلَوْ كَانَ مَشْرُوعًا لَبَادَرُوا إِلَيْهِ وَلَثَابَرُوا عَلَيْهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.