سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل في ذكر الوقت الذي توفي فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم ومبلغ سنه حال وفاته
فصل في ذكر الوقت الذي توفي فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم ومبلغ سنه حال وفاته
فصل في ذكر الوقت الذي توفي فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم ومبلغ سنه حال وفاته
পৃষ্ঠা - ৪২৪২
বায়হাকী (র) বলেছেন, সাল্লাম আত্তাবীল (র) হতে হাদীসটি উদ্ধৃত করলে মুহাম্মদ ইবন
আবদুল্লাহ্র অনুগামী (তাৰি রিওয়ায়াত বর্ণনাকারী) হয়েছেন আহমদ ইবন ইউনুস (র) ৷ তবে
সাল্লাম আত্-তাবীল (র) হাদীসটি একাকী রিওয়ায়াত করেছেন ৷
গ্রন্থকারের মন্তব্য : ইনি হলেন, সাল্লাম ইবন মুসলিম, মতাম্ভরে ইবন সুলায়ম মতান্তয়ে
সুলায়মান তবে প্রথম অভিমতটি অধিক বিশুদ্ধ ৷ (ইনি) তামীম গোত্রের সাদী শাখার লোক ৷
আত্-তাবীল (দীর্ঘকায়) ৷ তীর উর্ধতন রাবী (ও শায়খ ) তালিকায় উল্লেখযোগ্য মনীষী রয়েছেন ৷
জাফার সাদিক, হুমায়দ আত্-তাবীল, যায়দ আলু আশী (র) প্রমুখ এবং আরো অনেকে ৷ তার
অধস্তন রাবী ও শাগরিদ তালিকায়ও রয়েছেন অনেকে ৷ যাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য আহমদ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন ইউনুস, আসাদ ইবন মুসা, খালাফ ইবন হিশাম, আলু বাঘৃযার, আলী ইবনুল
জা’দ, কাবীস৷ ইবন উক্বান (র) প্রমুখ ৷ তবে হাদীস ৰিশারদগণের মাঝে আলী ইবনুল মাদীনী,
আহমদ ইবন হাম্বড়াল, ইয়াহ্য়া ইবন মাঈন, বুখারী, আবু হাতিম, আবু যুরআ আল-জাওযজানী,
াসাঈ (র) এবং আরো অনেকে তাকে দুর্বল বলেছেন ৷ কোন কোন ইমাম তো তাকে মিথুকেও
বলেছেন এবং অন্য অনেকে তাকে বর্জন’ করেছেন ৷ কিন্তু হাফিজ আবু বাক্র আলু-বাঘৃযার এ
হাদীসটি অনুরুপ দীঘ বর্ণনা সহকারে এই সাল্লাম (র) ব্যতীত অন্য একটি সুত্রেও রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল আল আহমাসী (র) আবদুল্লাহ (ইবন
মাসউদ) হতে দীর্ঘ হাদীসটি আনুপুর্বিক উল্লেখ করেছেন ৷ এরপর বাবৃযার (র) বলেছেন, মুর রা
হতে পরস্পর কাছাকাছি একাধিক সনদে একাধিক পন্থায় হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ৷ তবে আবদুর
রহমান (ইবন) আল্-ইস্পাহানী (র ) মুররা (র) হতে সরাসরি এ হাদীস শুনেন নি ৷ বরং ঘুরবৃা’
হতে খবর দাত৷ জনৈক ব্যক্তির কাছে তিনি শুনেছেন ৷ কিন্তু আবদুল্লাহ সুত্রে ঘুবৃর৷ হতে অন্য
কেউ এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই ৷
অনুচ্ছেদ : রাসুলুল্পাহ (না)-এর ওফাতের তারীখ ও সময় ওফাত কালে তার বয়স তার
গোসল ও কাফন দাফনের বিবরণ তার সমাধির স্থান নির্ধারণ
নবী করীম (না)-এর ওফাত সোমবারে হওয়ার বিষয়টি সর্ব সম্মত, ইবন আব্বাস (বা)
বলেন, তোমাদের নবী করীম (সা) জন্মগ্রহণ করেছেন সোমবারে; নবুয়াত প্রাপ্ত হয়েছেন
সোমবারে; হিজরাত করে মক্কা ত্যাগ করেছেন সোমবারে; মদীনায় উপনীত হয়েছেন সোমবারে
এবং ইনতিকাল করেছেন সোমবারে ৷ এ রিওয়ায়াত আহমদ ও বায়হাকী (র) এর সুফিয়ান
ছাওরী (র) আ ৷ইশা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন, আ ৷ইশা (বা) বলেন, আবু বকর (বা) আমাকে
বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) কোন দিন ওফাত বরণ করেছিলেন? আমি বললাম, সোমবারে ৷ আবু
বকর (রা) বললেন, আমি আশা করছি যে আমিও ঐ দিনে মারা যাব ৷ তিনি ঐ দিনেই
ইনতিকাল করলেন ৷ ছাওরী (র) এর এ রিওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন বায়হাকী (র) ৷
ইমাম আহমাদ (র) বলেন, আসওয়াদ ইবন আমির আইশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেছেন ৷ সোমবার এবং সমাহিত হয়েছেন (মংগলবার
দিবাগত) বুধবারের রাতে ৷ এ বর্ণনা একাকী আহমদ (র)-এর ৷ উরওয়৷ ইবনুয্ যুবায়ের তার
মাগাষী’-তে এবং মুসা ইবন উক্বা (র) ইবন শিহাব (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ
[فُصْلٌ فِي ذِكْرِ الْوَقْتِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَبْلَغِ سِنِّهِ حَالَ وَفَاتِهِ]
ِ، وَفِي كَيْفِيَّةِ غُسْلِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَتَكْفِينِهِ، وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ، وَدَفْنِهِ، وَمَوْضِعِ قَبْرِهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ
لَا خِلَافَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وُلِدَ نَبِيُّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَنُبِّئَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَخَرَجَ مِنْ مَكَّةَ مُهَاجِرًا يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَمَاتَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ. رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَالْبَيْهَقِيُّ.
وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ لِي أَبُو بَكْرٍ: «أَيَّ يَوْمٍ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قُلْتُ: يَوْمَ الِاثْنَيْنِ. فَقَالَ: إِنِّي لَأَرْجُوَ أَنْ أَمُوتَ فِيهِ. فَمَاتَ فِيهِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، ثَنَا هُرَيْمٌ، حَدَّثَنِي ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৪২৪৩
(না)-এর অসুস্থতা প্রকট হলে অইিশা (বা) আবু বকর (রা)-এর কাছে, হাফসা (রা) উমর
(রা) এর কাছে এবং ফাতিমা (বা) আলী (রা) এর কাছে খবর পাঠালেন ৷ বিস্তু তারা সমবেত
হতে না হতেই রাসুলুল্লাহ (সা)এর ওফাত হয়ে গেল ৷ তখন তিনি মাথা রেখে ছিলেন আইশা
(রা)-এর বুকে এবং পালা হিসাবেও সে দিনটি ছিল আইশা (রা)-এর ৷ দিনটি ছিল সোমবার
রবীউল আউয়াল মাসের নতুন র্চড়াদের দিনে সুর্য (পশ্চিমে) চলে যাওয়ার সময় ৷
আবু ইয়ালা (র) বলেছেন, আবু খায়ছামা (র) আনাস (রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
শেষ যে দৃষ্টি আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর প্রতি নিবেদিত করেছিলাম তা ছিল সোমবার ৷ তিনি
(হুজরার দরযার) পর্দা তুললেন; লোকেরা আবু বকর (রা)-এর পিছনে সালাত আদায়
করছিল ৷ আমি তার মুখমণ্ডলের দিকে দৃষ্টি দিলাম, যেন তা ভুল জ্বল করছিল ৷ লোকেরা তাকে
দেখে (সালাত ছেড়ে দিয়ে) ছুটোছুটি করার উপক্রম করছিল ৷ তিনি তাদের যথাস্থানে
অবস্থানের ইংপিত করে পর্দা ছেড়ে দিলেন এবং সে দিনের শেষ ভাগেই ইনতিকাল করলেন ৷
এ হাদীস রয়েছে সহীহ্ বুখারীতে এবং এ হাদীস দুপুরের পরে ওফাত হওয়া নির্দেশ করছে ৷
আল্লাহই সমধিক অবগত ৷
ইয়াকুব ইবন্ সুফিয়ান (র) আওযাঈ (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি আওযাঈ (র) বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেছেন সোমবার দৃপুরের আগে ৷ বারহার্কী (র) বলেন, আবু
আবদুল্লাহ আল হাফিজ (র) সুলায়মান ইবন তুরখান আত-তায়মী (র) সুত্রে (কিতাবুল
মড়াপাযীতে) বর্ণিত হয়েছে ৷ সুলায়মান (র) বলেন, সফর মাসের বাইশ তারিখে রাসুলুল্লাহ (সা)
অসুস্থ হলেন ৷ তার এ অসুস্থতা দেখা দিয়েছিল ইয়ড়াহুদী বন্দিনীদের অন্যতমড়া বায়হানা নান্নী
বাদীয় ঘরে ৷ তার অসুস্থতা শুরু হয়েছিল শনিবার এবং তার ওফাত হয়েছিল রাবীউল
আউয়ালের দুই তারিখ (দু’রাত অতিক্রান্ত হলে) সোমবার তার মদীনায় পদার্পণের দশ বছর
পুর্তি কালে ৷
ওয়াকিদী (র) বলেন, আবু মাশার (র) মুহাম্মদ ইবন কায়স (র) সুত্রে বর্ণনা করেছেন,
হিজরতের একাদশ বর্ষের সফর মাসের এ গড়ার রাত (দিন) অবিশিষ্ট থাকাকালে বুধবার যায়নড়াব
বিনত জাহাশ (বা) এর ঘরে রােগাক্রাত হলেন ৷ তার এ অসুস্থতা ছিল কঠিন ধরনের ৷ তার
বিবিগণ সকলেই তার কাছে সমবেত হলেন ৷ তেব দিন অসুস্থ থাকার পরে একাদশ হিজরীর
রবীউল আউয়াল মাসের দুই রাত অতিক্রাস্ত হলে তিনি ইনতিকাল করলেন ৷ ওয়াকিদী আরো
বলেন, বর্ণনা দাতাগণ বলেছেন, সফর মাসের দুই দিন বাকী থাকা কালে বুধবার রাসুলুল্লাহ
(সা) এর অসুস্থতার সুচনা হল এবং রবীউল আউয়ালের বার দিন অতিবাহিত হলে সােমৰারে
তিনি ওফাত বরণ করলেন ৷ ওয়াকিদী (র)-এর কাতিব (সচিব) মুহাম্মদ ইবন সাদ (র) এ
বর্ণনার অনুকুলে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেছেন ৷ তিনি অতিরিক্ত বলেছেন, “এবং মংগলবার
তাকে সমাহিত করা হয়েছে ৷ ” ওয়াকিদী (র) এর অন্য বর্ণনায় রয়েছে সাঈদ ইবন আবদুল্লাহ
ইবন আবুল আবয়ায (র) উম্মু সালামা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)-
এর রোগের সুচনা হয়েছিল মায়মুনা (রা) এর ঘরে ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র) বলেন, আহমদ ইবন ইউনুস (র) মুহাম্মদ ইবন কড়ায়স (র)
থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ণ্তর দিন অসুস্থ ছিলেন ৷ যখনই একটু হালকা ও
يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، وَدُفِنَ لَيْلَةَ الْأَرْبِعَاءِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَقَالَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فِي " مَغَازِيهِ "، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ: «لَمَّا اشْتَدَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَعُهُ أَرْسَلَتْ عَائِشَةُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، وَأَرْسَلَتْ حَفْصَةُ إِلَى عُمَرَ، وَأَرْسَلَتْ فَاطِمَةُ إِلَى عَلِيٍّ، فَلَمْ يَجْتَمِعُوا حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ فِي صَدْرِ عَائِشَةَ وَفِي يَوْمِهَا يَوْمِ الِاثْنَيْنِ، حِينَ زَاغَتِ الشَّمْسُ لِهِلَالِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ» .
وَقَدْ قَالَ أَبُو يَعْلَى: ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، ثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «آخِرُ نَظْرَةٍ نَظْرَتُهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، كَشَفَ السِّتَارَةَ وَالنَّاسُ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ، فَنَظَرْتُ إِلَى وَجْهِهِ، كَأَنَّهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ، فَأَرَادَ النَّاسُ أَنْ يَنْحَرِفُوا، فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ امْكُثُوا، وَأَلْقَى السَّجْفَ، وَتُوُفِّيَ مِنْ آخِرِ ذَلِكَ الْيَوْمِ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ فِي " الصَّحِيحِ "، وَهُوَ يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الْوَفَاةَ وَقَعَتْ بَعْدَ الزَّوَالِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَرَوَى يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ بَكَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شُعَيْبٍ، وَعَنْ صَفْوَانَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْوَاحِدِ، جَمِيعًا عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ أَنَّهُ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ قَبْلَ أَنْ يَنْتَصِفَ النَّهَارُ» .
পৃষ্ঠা - ৪২৪৪
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ كَامِلٍ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْبَزَّارُ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، ثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ - وَهُوَ سُلَيْمَانُ بْنُ طَرْخَانَ التَّيْمِيُّ فِي كِتَابِ " الْمَغَازِي " - قَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرِضَ لِاثْنَتَيْنِ وَعِشْرِينَ لَيْلَةً مِنْ صَفَرٍ، وَبَدَأَهُ وَجَعُهُ عِنْدَ وَلِيدَةٍ لَهُ يُقَالُ لَهَا: رَيْحَانَةُ. كَانَتْ مِنْ سَبْيِ الْيَهُودِ، وَكَانَ أَوَّلَ يَوْمٍ مَرِضَ يَوْمُ السَّبْتِ، وَكَانَتْ وَفَاتُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ لِتَمَامِ عَشْرِ سِنِينَ مِنْ مَقْدَمِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، الْمَدِينَةَ» .
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ: «اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِإِحْدَى عَشْرَةَ لَيْلَةً بَقِيَتْ مِنْ صَفَرٍ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ فِي بَيْتِ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، شَكْوَى شَدِيدَةً. فَاجْتَمَعَ عِنْدَهُ نِسَاؤُهُ كُلُّهُنَّ، فَاشْتَكَى ثَلَاثَةَ عَشَرَ يَوْمًا، وَتُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ» .
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَقَالُوا: بُدِئَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ صَفَرٍ، وَتُوُفِّيَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ. وَهَكَذَا جَزَمَ بِهِ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ كَاتِبُهُ، وَزَادَ: وَدُفِنَ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ.
পৃষ্ঠা - ৪২৪৫
সুস্থ বোধ করতেন তখন নিজে (ইমাম হয়ে) সালাত আদায় করতেন, আর বেশী অসুস্থতা
বোধ হলে আবু বকর (বা) (ইমাম হয়ে) সালাত আদায় করতেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বাবীউল আউয়ালের যায় দিন গত
হলে ইনতিকাল করলেন ৷ এই দিন এবং এ তারিখেই তিনি হিজরত করে মদীনায় আগমন
করেছিলেন ৷ অর্থাৎ বাসুলুল্লাহ (সা) তীর হিজরতের দশটি বছর পুর্ণ করলেন ৷ ওয়ড়াকিদী
বলেছেন, আমাদের কাছে বিষয়টি এ ভাবেই সংরক্ষিত আছে ৷ ওয়াকিদী-র কাতিব মুহাম্মাদ
ইবন মধ্যে এ বিষয় আস্থা ও দৃঢ়তা ব্যক্ত করেছেন ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র) লায়ছ (র)
সুত্রে বলেছেন, লায়ছ (র) বলেন, রবীউল আউয়ালের এক দিন অতিক্রান্ত হলে রাসুলুল্পাহ
(সা) ইনতিকাল করলেন, তীর আগমনের দশ বছর পুর্তির মাথায় ৷ দশ বছর আগের ঐ দিলেই
তিনি মদীনায় আগমন করেছিলেন ৷ সাদ ইবন ইবরড়াহীম অড়াঘৃ যুহরী (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ
(না)-এর মদীনায় আগমনের দশ বছর পুর্ণ হলে রবীউল আউয়ালের দুই তারিখ অতিক্রহ্বন্ত
হওয়ার সময় সােমবারে তিনি ইনতিকাল করলেন ৷ ইবন আসাকির (র)ও এ বিবরণ উদ্ধৃত
করেছেন ৷ ওয়ড়াকিদী (র) এ বিবরণ নিয়েছেন আবু মামার সুত্রে মুহাম্মদ ইবন কায়স (র)
থেকে, অবিকল অনুরুপ ৷ খালীফা ইবন থায়্যাত (র)-ও অনুরুপ বলেছেন ৷ আবু নুঅড়ায়ম আলু
ফাঘৃল ইবন দৃকায়ন (র) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তীর মদীনায় আগমনের সময় হতে
একাদশ বর্ষের সুচনায় রবীউল আউয়ালের নতুন র্চড়াদের সময় সোমবার দিন ইনতিকাল
করলেন ৷ ইবন আসাকির (র)-ও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
একটু আগেই আমরা উরওয়া, মুসা ইবন উক্বা ও যুহরী (র) প্রমুখ সুত্রে মাগাযী’ গ্রন্থের
বরাতে অনুরুপ বিবরণ উল্লেখ করে এসেছি ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷ তবে এ ক্ষেত্রে ইবন
ইসহাক ও ওয়াকিদীর (বার তারিখ সম্বলিত) অভিমতই প্ৰসিদ্ধি পেয়েছ ৷ ওয়াকিদী বিষয়টি
ইবন আব্বাস ও আইশা (রা) সুত্রেও বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে তিনি বলেছেন, ইব্রাহীম ইয়াযীদ
(র) ইবন আব্বাস থেকে এবং মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ (র) আইশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷
তারা বলেছেন, ণ্সামবার রবীউল আউয়ালের বার দিন অতিবাহিত হলে রাসুলুল্লাহ (সা)
ইনতিকাল করেন ৷ ইবন ইসহাক (র) এ বিবরণটি উদ্ধৃত করেছেন আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর
ইবন হাঘৃম (এর পিতা) ইবন হাযম সুত্রে ৷ এতে অধিক রয়েছে এবং বুধবারের (পুর্ব) রাতে
র্তীকে সমাহিত করা হয় ৷ শ্
সায়ফ ইবন উমর (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে রিওয়ায়ড়াত করেছেন৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) বিদায় হজ সম্পন্ন করার পরে মদীনায় এসে উপনীত হলেন এবং সেখানে
যিলহজের অবশিষ্ট দিনগুলি সহ পুর্ণ মুহাররম ও সফর মাস অবস্থান করলেন এবং রবীউল
আউয়ালের দশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর সােমবারে ইনতিকাল করলেন ৷ মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক (র) উরওয়া (র) সনদের অনুরুপ বর্ণিত” হয়েছে ৷ ফাতিমা (বা) আইশা (বা) সনদের
হাদীসেও অনুরুপ রয়েছে ৷ তবে ইবন আব্বাস (না)-এর রিওয়ায়াতে রয়েছে মাসের (রবীউল
আউয়াল) শুরুতে কয়েকদিন গত হওয়ার পর ৷ আর আইশা (বা) বলেছেন, মাসের কতক
দিন “অতিবাহিত হওয়ার পরে ৷
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْأَبْيَضِ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَافِعٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُدِئَ فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ» .
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، ثَنَا أَبُو مَعْشَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ: اشْتَكَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةَ عَشَرَ يَوْمًا، فَكَانَ إِذَا وَجَدَ خِفَّةً صَلَّى، وَإِذَا ثَقُلَ صَلَّى أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِاثْنَتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، فِي الْيَوْمِ الَّذِي قَدِمَ فِيهِ الْمَدِينَةَ مُهَاجِرًا، وَاسْتَكْمَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هِجْرَتِهِ عَشْرَ سِنِينَ كَوَامِلَ. قَالَ الْوَاقِدِيُّ: وَهُوَ الثَّبْتُ عِنْدَنَا. وَجَزَمَ بِهِ مُحَمَّدُ بْنُ سَعْدٍ كَاتِبُهُ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ اللَّيْثِ أَنَّهُ قَالَ: تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِلَيْلَةٍ خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، وَفِيهِ قَدِمَ الْمَدِينَةَ عَلَى رَأْسِ عَشْرِ سِنِينَ مِنْ مَقْدَمِهِ.
وَقَالَ سَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الزُّهْرِيُّ: تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، لِتَمَامِ عَشْرِ سِنِينَ مِنْ مَقْدَمِهِ الْمَدِينَةَ رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ، وَرَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ مِثْلَهُ سَوَاءً. وَقَالَهُ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ أَيْضًا.
পৃষ্ঠা - ৪২৪৬
وَقَالَ أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ مُسْتَهَلَّ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ سَنَةَ إِحْدَى عَشْرَةَ مِنْ مَقْدَمِهِ الْمَدِينَةَ» . رَوَاهُ ابْنُ عَسَاكِرَ أَيْضًا. وَقَدْ تَقَدَّمَ قَرِيبًا عَنْ عُرْوَةَ، وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَالزُّهْرِيِّ، مِثْلَهُ فِيمَا نَقَلْنَاهُ عَنْ " مَغَازِيَيْهِمَا ". فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَشْهُورُ قَوْلُ ابْنِ إِسْحَاقَ وَالْوَاقِدِيِّ.
وَرَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَعَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَا: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِثِنْتَيْ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ» .
وَرَوَاهُ ابْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ مِثْلَهُ، وَزَادَ: وَدُفِنَ لَيْلَةَ الْأَرْبِعَاءِ.
وَرَوَى سَيْفُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَرْزَمِيِّ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «لَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ ارْتَحَلَ، فَأَتَى الْمَدِينَةَ فَأَقَامَ بِهَا بَقِيَّةَ ذِي الْحِجَّةِ، وَالْمُحَرَّمَ وَصَفَرًا، وَمَاتَ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ لِعَشْرٍ خَلَوْنَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ» .
وَرَوَى أَيْضًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ. وَفِي حَدِيثِ فَاطِمَةَ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ مِثْلَهُ، إِلَّا أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ فِي أَوَّلِهِ: لِأَيَّامٍ مَضَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৪২৪৭
একটি তাত্তিক আলোচনা : আর রাওযগ্রন্থে আবুল কাসিম আসৃ সুহায়লী (র) বলেছেন,
তার সারমর্ম হলো এই যে, একাদশ হিজরী বর্ষের বারই রবীউল আউয়াল সোমবারে নবী
কবীম (না)-এর ওফাত হওয়ার ব্যাপারটি এক অকল্পনীয় ব্যাপার ৷ কেননা, দশম বর্ষের বিদায়
হজে নবী করীম ণ্প্(সা) আরাফায় উকুফ করেছিলেন শুক্রবারে, যা ছিল যিলহজ মাসের নয়
তারিখ ৷ সুতরাং যিলহজ মাসের প্রথম তারিখ ছিল অনিবার্যত বৃহস্পতিবার ৷ আর সে হিসাবে
পরবর্তী মাসগুলি সব কটি পুর্ণাত্গ ত্রিশ দিন কিৎবা সব কটি উনত্রিশ দিন ধরা হলে কিৎবা
কোন কোন মাস ত্রিশ দিনের ও অন্যান্য মাস উনত্রিশ দিনের ধরা হলে এর কোন হিসাবেই
রবীউল আউয়ালের বার তারিখ সোমবার হওয়া সাব্যস্ত হয় না ৷ আর বার তারিখের অভিমতটি
যেমন প্রসিদ্ধ তার প্রতিকুলে এ প্রশ্নটিও তেমনই প্রসিদ্ধি লাভ করেছে ৷ অনেকে অনেক ভাবে
এ প্রশ্নের জবাব দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন ৷ তবে সুষ্ঠু জবাব হতে পারে মাত্র একটি পন্থায় ৷
তা হল মক্কা ও মদীনায় চীদ দেখার ব্যবধান মােন নেয়া ৷ অর্থাৎ এ ভাবে যে, মক্কাবাসীরা
দশম হিজরীর যিলহভ্রুজ্জ্বর র্চাদ দেখছিলেন বৃহস্পতিবার রাতে ৷ ১ কিন্তু মদীনাবাসীগণ
শুক্রবারের (পুর্ববর্তী) সন্ধ্যড়ার আগে তা দেখতে পাননি ৷ আইশড়া (বা) প্রমুখের বর্ণনায় এ
বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায় ৷ (তিনি বলেছেন) রড়াসুলুল্লাহ (সা) যিলকদ মাসের পাচ দিন
অবশিষ্ট থাকাকালে বিদায় হফ্তের উদ্দেশ্যে মদীনা হতে প্রস্থান করলেন ৷ আমাদের পুর্ব
আলোচনা সুত্রে তার প্ৰস্থান দিবস ছিল শনিবার ৷ ইবন হড়াঘৃম (র)-এর ধারণা অনুযায়ী
বৃহস্পতিবার হতে পারে না ৷ কেননা, তাতে সন্দেহাতীতভাবে পড়াচ দিনের অধিক অবশিষ্ট
থাকা অনিবার্য হয়ে পড়ে ৷ আবার প্রস্থান দিবস শুক্রবারও হতে পারে ন্ না ৷ কেননা, আনাস
(রা)-এর বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) যুহরের সালাত আদায় করলেন মদীনায় চার
রাকআত আর আসৃর আদায় করলেন ঘুলু-হুলায়ফোয় দুই রাকআত ৷ যেটি কথা, এ কথা
প্রমাণিত যে, তিনি মাসের পাচ দিন বাকী থাকা কালে শনিবার প্রস্থান করেছিলেন ৷ এ হিসাব
অনুসারে মদীনাবাসীগণ যিলহজের চীদ দেখেছিলেন শুক্রবার পুর্ববর্তী সন্ধ্যড়ায় ৷ তা হলে
মদীনাবাসীগণের কাছে যিলহজের প্রথম দিন ছিল শুক্রবার ৷ পরবর্তী মাসওলি (যিলহজ ১০ হি
ও যুহড়াররম, সফর ১১ হিজরী) পুর্ণাৎগ ত্রিশ দিনের ধরা হলে পহেলা রবীউল আউয়াল হবে
বৃহস্পতিবার ৷ সুতরাং বারই রবীউল আউয়াল হয়ে সোমবার ৷ আল্লাহ সমধিক অবগত ৷
নবী করীম (না)-এর বয়স সম্পর্কিত আলোচনা : সহীহ্ ৰুখারী মুসলিম গ্রন্থদ্বয়ে মালিক
(র), আনাস (বা) সনদের হাদীস সাব্যস্ত হয়েছে যে, আনাস ইবন মালিক (বা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) অতি দীর্ঘও ছিলেন না, আবার অতি খর্বকায়ও ছিলেন না ৷ একেবারে ধবধবে
সাদাও ছিলেন না, আবার শ্যামলাও ছিলেন না ৷ তার কেশ অতিশয় ফৌকড়ানােও ছিল না,
আবার একেবারে সেজােও ছিলো না ৷ চল্লিশ বছরের মাথায় মহান মহীয়ান আল্লাহ র্তাকে
নৰুয়তে ভুষিত করলেন ৷ পরে মক্কায় দশ বছর অবস্থান করলেন এবং মদীনায় দশ বছর
অবস্থান করলেন এবং ষাট বছরের মাথায় আল্লাহ তাকে ওফাত দান করলেন ৷ তখন তার মাথা
ও দাড়ির কুড়িটাও সাদা হয়নি ৷ ইবন ওয়াহ্ব (র)-ও উরওয়া (র) (একাধিক সনদে) আনাস
১ অর্থাৎ র্চড়াদের নিয়মড়ানুসারে বুধবার দিন শেষের বৃহস্পতিবার শুরু হওয়ার সন্ধ্যড়ায় ৷ অনুবাদক
مِنْهُ. وَقَالَتْ عَائِشَةُ: بَعْدَ مَا مَضَى أَيَّامٌ مِنْهُ.
فَائِدَةٌ: قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ السُّهَيْلِيُّ فِي " الرَّوْضِ " مَا مَضْمُونُهُ: لَا يُتَصَوَّرُ وُقُوعُ وَفَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، يَوْمَ الِاثْنَيْنِ ثَانِيَ عَشَرَ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْ سَنَةِ إِحْدَى عَشْرَةَ ; وَذَلِكَ لِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَقَفَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ سَنَةَ عَشْرٍ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَكَانَ أَوَّلَ ذِي الْحِجَّةِ يَوْمُ الْخَمِيسِ، فَعَلَى تَقْدِيرِ أَنْ تُحْسَبَ الشُّهُورُ تَامَّةً أَوْ نَاقِصَةً، أَوْ بَعْضُهَا تَامٌّ وَبَعْضُهَا نَاقِصٌ، لَا يُتَصَوَّرُ أَنْ يَكُونَ يَوْمُ الِاثْنَيْنِ ثَانِيَ عَشَرَ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ.
وَقَدِ اشْتُهِرَ هَذَا الْإِيرَادُ عَلَى هَذَا الْقَوْلِ، وَقَدْ حَاوَلَ جَمَاعَةٌ الْجَوَابَ عَنْهُ وَلَا يُمْكِنُ الْجَوَابُ عَنْهُ، إِلَّا بِمَسْلَكٍ وَاحِدٍ، وَهُوَ اخْتِلَافُ الْمَطَالِعِ ; بِأَنْ يَكُونَ أَهْلُ مَكَّةَ رَأَوْا هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ لَيْلَةَ الْخَمِيسِ، وَأَمَّا أَهْلُ الْمَدِينَةِ فَلَمْ يَرَوْهُ إِلَّا لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، وَيُؤَيِّدُ هَذَا قَوْلُ عَائِشَةَ وَغَيْرِهَا: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ - يَعْنِي مِنَ الْمَدِينَةِ - إِلَى حَجَّةِ الْوَدَاعِ» . وَيَتَعَيَّنُ - كَمَا ذَكَرْنَا - أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمَ السَّبْتِ، وَلَيْسَ كَمَا زَعَمَ ابْنُ حَزْمٍ أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمَ الْخَمِيسِ ; لِأَنَّهُ قَدْ بَقِيَ أَكْثَرُ مِنْ خَمْسٍ بِلَا شَكٍّ، وَلَا جَائِزٌ أَنْ يَكُونَ خَرَجَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ; لِأَنَّ أَنَسًا قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، وَالْعَصْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ. فَتَعَيَّنَ أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمَ السَّبْتِ لِخَمْسٍ بَقِينَ، فَعَلَى هَذَا إِنَّمَا رَأَى أَهْلُ الْمَدِينَةِ
পৃষ্ঠা - ৪২৪৮
هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، وَإِذَا كَانَ أَوَّلَ ذِي الْحِجَّةِ عِنْدَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ الْجُمُعَةُ، وَحُسِبَتِ الشُّهُورُ بَعْدَهُ كَوَامِلُ، يَكُونُ أَوَّلَ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ يَوْمُ الْخَمِيسِ، فَيَكُونُ ثَانِيَ عَشْرِهِ يَوْمُ الِاثْنَيْنِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ بِالطَّوِيلِ الْبَائِنِ وَلَا بِالْقَصِيرِ، وَلَيْسَ بِالْأَبْيَضِ الْأَمْهَقِ وَلَا بِالْآدَمِ، وَلَا بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ وَلَا بِالسَّبْطِ، بَعَثَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ، وَتَوَفَّاهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ سَنَةً، وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ عِشْرُونَ شَعْرَةً بَيْضَاءَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ قُرَّةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، وَعَنْ قُرَّةَ، عَنْ رَبِيعَةَ، عَنْ أَنَسٍ، مِثْلَ ذَلِكَ.
قَالَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ: حَدِيثُ قُرَّةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ غَرِيبٌ، وَأَمَّا مِنْ رِوَايَةِ رَبِيعَةَ عَنْ أَنَسٍ، فَرَوَاهَا عَنْهُ جَمَاعَةٌ كَذَلِكَ. ثُمَّ أَسْنَدَ مِنْ طَرِيقِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ وَرَبِيعَةَ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ» .
وَكَذَلِكَ رَوَاهُ ابْنُ الْبَرْبَرِيِّ وَنَافِعُ بْنُ أَبِي نُعَيْمٍ، عَنْ رَبِيعَةَ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. قَالَ: وَالْمَحْفُوظُ عَنْ رَبِيعَةَ، عَنْ أَنَسٍ: سِتُّونَ.
ثُمَّ أَوْرَدَهُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ، وَالْأَوْزَاعِيِّ، وَمِسْعَرٍ، وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪২৪৯
(বা) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ হ ৷ফিয় ইবন আসা ৷কির বলেছেন, আনাস (বা) হতে
যুহ্য়ী সুত্রের সনদটি বিরল ৷
তবে আনাস থেকে রাবীআ সুত্রের আরো অনেকে এরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এরপর ইবন
আসাকির একটি সনদে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন, সুলায়মান ইবন বিলাল (র) (ইয়াহ্য়৷ ইবন
সাঈদ ও রাবীআ সুত্রে) আনাস (বা) থেকে এ মর্মে যে, আনাস বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
ইনতিকাল করলেন ভেষট্টি বছর বয়সে ৷ অনুরুপ, ইবনুল বারবারী ও নাফি ইবন আবু নৃআয়ম
(র)ও ও(রাবীআ সুত্রে) আনাস (বা) হতে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন আসাকির (র)
বলেন, তবে আনাস (বা) হতে রা ৷ৰী আ সুত্রে স রক্ষিত বিবরণ হল ষটি’ বছর ৷ এ মন্তব্যের
পরে ইবন আসাকির (র) হাদীসটি মালিক, আওযাঈ মিস আর, ইব্রাহীম, ইবন তড়াহ্মান,
আবদুল্লাহ ইবন উমর, সুলায়মান ইবন বিলাল, আনাস ইবন বিলাল, আনাস ইবন ইয়ায,
দারাওয়ারদী ও মুহাম্মদ ইবন কায়স আল-মাদনী (র) প্রমুখ হতে সকলেই (রাবীআ সুত্রে)
ানাস (বা) হতে বর্ণনা করেছেন ৷ আনাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করলেন,
তখন তার বয়স ছিল ষটি বছর ৷ বায়হাকী (র) বলেন, আবুল হুসায়ন ইবন বুশৃরান (র) আবু
পানির আল রাহিলী (র) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, আমি আনাস ইবন মালিক (রা)-কে
বললাম, আল্লাহ্র রাসুল (সা) যখন নবুওতের দায়িতৃপ্রাপ্ত হলেন তখন তার কত বয়স ছিল ?
তিনি বললেন, চল্লিশ বছর ৷
আবু গালিব (র) বললেন, তারপরে কী কী হল? আনাস (রা) বললেন, মক্কায় ছিলেন দশ
বছর এবং মদীনায় দশ বছর ৷ ফলে মহান মহীয়ান আল্লাহ যে দিন র্তাকে তুলে নিলেন সে দিন
তার ষটি বছর পুর্ণ হয়েছিল ৷ তখনও তিনি ছিলেন সরল, সুঠাম, সুন্দর সুগঠিত পুরুষ ৷ ইমাম
আহমদ (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, আবদুস সামাদ ইবন আবদুল ওয়ারিছ (র) থেকে
ঐ সনদে ৷ পক্ষাতরে মুসলিম (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আবু :া৷সুসান, আনাস ইবন মালিক
(যা) থেকে; তিনি বলেন, নবী করীম (সা)-কে তুলে’ নেয়া হল যখন তিনি তেযট্টি বছরের ;
উমর (রা)-কেও তুলে নেয়া হয়েছে তার তেযট্টি বছর বয়সে ৷
এ বর্ণনা একাকী মুসলিম (র) এর ৷ তবে পুর্ববর্তী বর্ণনার সাথে এ বর্ণনার বৈপরীত্য নেই ৷
কেননা, আ ৷রবরাসীর৷ সংখ্যা বর্ণনায় প্রায়শ দশকের মধ্যবর্তী একক সংখ্যা উহ্য করে দিয়ে
থাকে ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে লায়ছ ইবন সা দ (র) ’আ ৷ইশা (বা) সনদে হাদীসে সাব্যস্ত হয়েছে যে,
রাসুলুল্পাহ (সা) ওফাত বরণ করেছিলেন ৫তযট্টি বছর বয়সে ৷ যুহ্য়ী (র) বলেছেন, সাঈদ
ইবনুল মুসাব্যিব (র) আমাকে অনুরুপ বলেছেন ৷ মুসা ইবন উক্বা, উকায়ল, ইউনুস ইবন
ইয়াষীদ ও ইবন জুরায়জ (র) যুহ্য়ী (র) হতে, আইশা (রা) সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করলেন যখন তার বয়স হয়েছিল তেষ ট্টি
বছর ৷ যুহ্য়ী (র) আরো বলেছেন, সাঈদ ইবনুল মুসায়িব্রুব (র)-ও আমাকে অনুরুপ খবর
দিয়েছেন ৷
বুখারী (র) বলেছেন, আবু নু’আয়ম (র) সুত্রে আইশা ও ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত
হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) মক্কায় দশ বছর অবস্থান করলেন, তার উপরে কুরআন নাযিল
হচ্ছিল ৷ আর মদীনায় দশ বছর ৷ ! মুসলিম (র) এ হাদীস উদ্ধৃত করেন নি ৷
طَهْمَانَ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، وَسُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ، وَأَنَسِ بْنِ عِيَاضٍ، وَالدَّرَاوَرْدِيِّ، وَمُحَمَّدِ بْنِ قَيْسٍ الْمَدَنِيِّ، كُلُّهُمْ عَنْ رَبِيعَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ سِتِّينَ سَنَةً» .
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، ثَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ السَّمَّاكِ، ثَنَا حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، ثَنَا أَبُو غَالِبٍ الْبَاهِلِيُّ قَالَ: قُلْتُ لِأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: «بِسِنِّ أَيِّ الرِّجَالِ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ إِذْ بُعِثَ؟ قَالَ: كَانَ ابْنَ أَرْبَعِينَ سَنَةً. قَالَ: ثُمَّ كَانَ مَاذَا؟ قَالَ: كَانَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ، فَتَمَّتْ لَهُ سِتُّونَ سَنَةً يَوْمَ قَبَضَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، وَهُوَ كَأَشَدِّ الرِّجَالِ وَأَحْسَنِهِ وَأَجْمَلِهِ وَأَلْحَمِهِ» . وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِيهِ بِهِ.
وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ، عَنْ أَبِي غَسَّانَ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو الرَّازِيِّ الْمُلَقَّبِ بِزُنَيْجٍ، عَنْ حَكَّامِ بْنِ سَلْمٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ زَائِدَةَ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «قُبِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَقُبِضَ أَبُو بَكْرٍ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَقُبِضَ عُمَرُ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ» . انْفَرَدَ بِهِ مُسْلِمٌ.
পৃষ্ঠা - ৪২৫০
وَهَذَا لَا يُنَافِي مَا تَقَدَّمَ عَنْ أَنَسٍ ; لِأَنَّ الْعَرَبَ كَثِيرًا مَا تَحْذِفُ الْكَسْرَ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً» . قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَأَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ مِثْلَهُ.
وَرَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَعُقَيْلٌ، وَيُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، وَابْنُ جُرَيْجٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ» . قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَأَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ مِثْلَ ذَلِكَ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَثَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ يَنْزِلُ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرًا» . لَمْ يُخَرِّجْهُ مُسْلِمٌ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ ": ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ: «قُبِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَأَبُو بَكْرٍ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَعُمَرُ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، وَهُوَ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪২৫১
আবু দাউদ আত্-তায়ালিসী (র) র্তার মুসনাদে বলেছেন ৷ শুবড়া (র) ঘুঅড়াবিয়ড়া ইবন আবু
সৃফিয়ান (না) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা) কে তুলে নেয়া হল যখন
তিনি তেয়ট্টি বছর বয়সের, আবু বকর (রড়া)-কেও যখন তিনি তেষট্টি বছর বয়সের এবং উমর
(রা)-কেও যখন তিনি তেবট্টি বছর বয়সের ছিলেন ৷ মুসলিম (র)-ও হড়াদীসটি গুনদার শুবড়া
(র) সনদে অনুরুপ রিওয়ড়ায়াত করেছেন এবং তা একাকী মুসলিম (র) এর রিওয়ড়ায়াত; বখড়ারী
(র) তা বর্ণনা করেন নি (আবু দাউদ-এর এ সনদে) ৷ কেউ কেউ আমির ইবন সড়াদ (সরাসরি)
ঘুআৰিয়া থেকে বলেছেন ৷ তার সঠিক সনদ হবে যা আমরা উদ্ধৃত করেছি, অর্থাৎ আমির
ইবন সাদ, জারীর সুত্রে মুআবিয়ড়া থেকে ৷ অনুরুপ, আমির ইবন শারাহীল (র) (জারীর সুত্র)
মুআবিয়া (রা) সনদেও হাদীসটি আমরা বর্ণনা করে এসেছি ৷ হাফিয ইবন আসাকির (র)-ও
কাযী আবু ইউসুফ (র) আনাস (রা) সনদে হাদীসটি রিওয়ড়ায়ড়াত করেছেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করলেন তেবট্টি বছর বয়সে; আবু বকর (রা) এর ওকাত হল
তেবট্টি বছর বয়সে এবং উমর (রা) এরও ওফাত হল তেবট্টি বছর বয়সে ৷
ইবন লাহীআ (র) বলেছেন, আবুল আসৃওয়াদ (র) আইশা (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) ও আবু বকর (বা) আমার কাছে ভীদের জন্মকাল সম্পর্কে আলোচনা
বন্মলেন ৷ তাতে দেখা গেল যে, রাসুলুল্লাহ (সা) আবু বকর (রা)-এর চেয়ে বয়সে বড় ছিলেন ৷
পরে রড়াসুলুল্লাহ (সা) তেযট্টি বছর বয়সে ওফাত বরণ করলেন এবং জরপরে আবু বকরও
তেয়ট্টি বছর বয়সের সময় ইনতিকাল বল্মলেন ৷ ছড়াওরী (র) বলেছেন, আমাশ (র) কাসিম
ইবন আবদুর রহমান (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ কাসিম বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না) এবং আবু বকর
ও উমর (রা) প্রত্যেকে ইনতিকাল করেছিলেন ণ্:তয়ট্টি বছর বয়সে ৷
হাবল (র) বলেন, ইমাম আহমদ (র) সাঈদ ইবনৃল মুসায়িব্রব (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, নবী করীম (সা) এর উপরে ( ওহী) নাযিল করা হল, যখন তার বয়স তেতাল্লিশ বছর ৷
পরে তিনি মক্কায় অবস্থান করলেন দশ বছর এবং মদীনায় দশ বছর ৷ এ বংনাি বিরল সুত্রীয়;
তবে সনদটি বিশুদ্ধ ৷ আহমদ (র) বলেন, হুশায়ম (র) শাবী (র) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) নবুয়তপ্রাপ্ত হলেন, যখন তার বয়স চল্লিশ বছর ৷ পরে তিনি তিন বছর অবস্থান
করলেন ৷ তারপর জিবরীল (আ) কে র্তার নিকটে পাঠানো হল রিসালাত সহকারে ৷ এরপর
দশ বছর তিনি (মক্কায়) অবস্থান করলেন ৷ এরপর মদীনায় হিজরত করলেন এবং তেবট্টি বছর
বয়সে তিনি ইনতিকাল করলেন ৷ ইমাম আবু আবদুল্লাহ আহমদ ইবন হাবল (র) বলেছেন,
আমাদের কাছে যা প্রমানিত হয়েছে, তা হল, তেযট্টি বছর ৷
গ্রস্থকাংরর অভিমত : মুজাহিদ (র) শাবী (র) থেকে অনুরুপ রিওয়ড়ায়ড়াত করেছেন ৷
ইসমাঈল ইবন আবু খড়ালিদ (র) সুত্রের হড়াদীসও অনুরুপ বর্ণিত হয়েছে ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে রড়াওহ্
ইবন উবড়াদা (র) ইবন আব্বাস (বা) সনদের হাদীসে রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) (নবুয়ড়াত
প্রাপ্তির পরে) মক্কায় তের বছর অবস্থান করেন এবং তেষট্টি বছর বয়সে তিনি ইনতিকাল
করেন ৷ আর বৃখড়ারী শরীফে রাওহ্ ইবন উবড়াদা (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে এরুপ অন্য
একটি সনদে রয়েছে ৷ ইবন আব্বাস (বা) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) নবুয়তপ্রাপ্ত হলেন চল্লিশ
বছর বয়সে ৷ পরে মক্কায় তের বছর অবস্থান করলেন, এরপর হিজরত করার আদেশ প্রাপ্ত
أَفْرَادِهِ دُونَ الْبُخَارِيِّ. وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، وَالصَّوَابُ مَا ذَكَرْنَاهُ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ جَرِيرٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ، وَرُوِّينَا مِنْ طَرِيقِ عَامِرِ بْنِ شَرَاحِيلَ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، فَذَكَرَهُ.
وَرَوَى الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ طَرِيقِ الْقَاضِي أَبِي يُوسُفَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَتُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَتُوُفِّيَ عُمَرُ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ» .
وَقَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «تَذَاكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبُو بَكْرٍ مِيلَادَهُمَا عِنْدِي، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْبَرَ مِنْ أَبِي بَكْرٍ، فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَتُوُفِّيَ أَبُو بَكْرٍ بَعْدَهُ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ» .
وَقَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَهُمْ بَنُو ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ» .
وَقَالَ حَنْبَلٌ: حَدَّثَنَا الْإِمَامُ أَحْمَدُ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ قَالَ: «أُنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعِينَ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرًا، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرًا» . وَهَذَا غَرِيبٌ عَنْهُ، وَصَحِيحٌ إِلَيْهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٍ، ثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ قَالَ: «نُبِّئَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، فَمَكَثَ ثَلَاثَ سِنِينَ، ثُمَّ بُعِثَ إِلَيْهِ جِبْرِيلُ
পৃষ্ঠা - ৪২৫২
بِالرِّسَالَةِ، ثُمَّ مَكَثَ بَعْدَ ذَلِكَ عَشْرَ سِنِينَ، ثُمَّ هَاجَرَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَقُبِضَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً» .
قَالَ الْإِمَامُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ: الثَّبْتُ عِنْدَنَا ثَلَاثٌ وَسِتُّونَ سَنَةً.
قُلْتُ: وَهَكَذَا رَوَى مُجَاهِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، وَرَوِيَ مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْهُ.
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ رَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَثَ بِمَكَّةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، وَتُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً.
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ رَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ أَيْضًا، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَرْبَعِينَ سَنَةً، فَمَكَثَ بِمَكَّةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ، ثُمَّ أُمِرَ بِالْهِجْرَةِ، فَهَاجَرَ عَشْرَ سِنِينَ، ثُمَّ مَاتَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ» . وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ رَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدِ، وَيَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِهِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُمَرَ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فَذَكَرَ مِثْلَهُ. ثُمَّ أَوْرَدَهُ مِنْ طُرُقٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلَ ذَلِكَ.
পৃষ্ঠা - ৪২৫৩
হলে দশ বছর মদীনায় অতিবাহিত করলেন ৷ এরপর তেষট্টি বছর বয়সে তিনি ইনতিকাল
করলেন ৷ ইমাম আহমদ (র)ও রাওহ্ ইবন উৰাদা, ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ ও ইয়াযীদ ইবন
হারুন (র) সকলে ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু
ইয়ালা আল-মাওসিলী (র) হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ হাসান ইবন উমর ইবন শাকীক
(র) ইবন আব্বাস (রা) সনদে; অনুরুপ উল্লেখ করেছেন ৷ পরে তিনি ইবন আব্বাস (না) থেকে
একাধিক সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ মুসলিম (র) হাদীসটি রিওয়ড়ায়াত করেছেন হস্ফোদ
ইবন সালামা (র)ইবন আব্বাস (বা) সনদে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় অবস্থান
করলেন তের বছর-তীর কাছে ওহী পাঠানো হাচ্ছিল, (আর) মদীনায় দশ বছর এবং
ইনতিকাল করলেন ণ্,তষট্টি বছর বয়সে ৷ হাফিয ইবন আসাকির (র) মুসলিম ইবন জুনাদা (র)
সুত্রে ইবন আব্বাস (র) হতে পুর্ণ সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেন তেষট্টি বছর বয়সে এবং আবু নাবরা (র) ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তেষট্টি বছরের এ অভিমতটি অধিক প্রসিদ্ধ এবং অধিকাংণের
আনুকুল্য সমৃদ্ধ ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, ইসমাঈল (র) ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেন পয়ষট্টি বছর বয়সে ৷ মুসলিম (র)ও হাদীসটি
খালিদ আলু হাবযা (র) সুত্রে ঐ সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
বলেছেন, হাসান ইবন মুসা (র) ইবন আব্বাস (রা) থেকে এ মর্মে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) মক্কায় ণ্
অবস্থান করলেন পনের বছর ৷ অটি কিৎবা সাত বছর (শুধু) জোড়াতি দেখতে পােতন ও
আওয়াজ শুনতে (পত্তন এবং আট কিৎবা সাত বছর তার কাছে ওহী পাঠানো হচ্ছিল ৷ আর
মদীনায় অবস্থান করলেন দশ বছর ৷ মুসলিম (র)-ও হড়াম্মাদ ইবন সালামা (র) সুত্রে ঐ সনদে
এটি বর্ণনা করেছেন ৷ আহমদ (র) আরো বলেছেন, আফ্ফান (রা) বনু হড়াশিমের আযাদকৃত
গোলাম আশার (র) থেকে তিনি বলেন, আমি ইবন আব্বাস (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলাম,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতিকালের দিন তার বয়স কত হয়েছিল ? তিনি বললেন, কোন
কওমের মাঝে তোমার ন্যায় ব্যক্তির কাছে এ বিষয়টি অজ্ঞাত রয়েছে বলে আমি তো ধারণা
করতড়াম না ৷ আম্মার (র) বলেন, আমি বললাম, আমি বিষয়টি অনেককে জিজ্ঞাসা করেছি;
কিন্তু ফলে ব্যাপারটি মতভেদপুর্ণ পেয়েছি ৷ তাই এ বিষয় আপনার অভিমত সম্পর্কে অবগত
হওয়া বাঞ্চনীয় মনে করলাম ৷ তিনি বললেন, তুমি হিসাব করতে জান তাে ? আমি বললাম, জী
হী ৷ তিনি বললেন, (প্রথমে) ধর, চল্লিশ বছর, যার মাথায় নবুয়তপ্রাপ্ত হলেন, পরে পনর বছর
মক্কায় অবস্থান করলেন কখানা নিরাপদ, কখনো নিরাপত্তাহীন এবং দশ বছর মুহাজিররুপে
মদীনায় ৷ মুসলিম (র) এভাবেই হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়ত করেছেন ইয়াযীদ ইবন যুরায় ও
গুবা ইবনুল হাজ্জাজ (র) ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইবন নুমায়র
(র) সাঈদ ইবন জুবায়র (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি ইবন আব্বাস (রা)-এর
কাছে এসে বলল, নবী করীম (না)-”এর উপর দশ বছর ওহী নাযিল করা হয়েছিল মক্কায় দশ
বছর এবং মদীনায় দশ বছর; তিনি বললেন, এ কথা কে বলল ? মক্কায় তীর উপরে নাযিল
করা হয়েছে পরের বছর এবং মদীনায় দশ বছরমােট পয়ষট্টি বছর এবং আরো কিছুদিন ৷
এ হাদীসের সনদ ও মুল পাঠ (মতন) একাকী আহমদ (র) বর্ণিত ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي جَمْرَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقَامَ بِمَكَّةَ ثَلَاثَ عَشْرَةَ يُوحَى إِلَيْهِ، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرًا، وَمَاتَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً» .
وَقَدْ أَسْنَدَ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ مِنْ حَدِيثِ سَلْمِ بْنِ جُنَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ» . وَمِنْ حَدِيثِ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِثْلَهُ. وَهَذَا الْقَوْلُ هُوَ الْأَشْهَرُ، وَعَلَيْهِ الْأَكْثَرُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، حَدَّثَنِي عَمَّارٌ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ قَالَ: سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَسِتِّينَ سَنَةً» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ بِهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا حَسَنُ بْنُ مُوسَى، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَقَامَ بِمَكَّةَ خَمْسَ عَشْرَةَ سَنَةً ; ثَمَانِ سِنِينَ أَوْ سَبْعًا يَرَى الضَّوْءَ وَيَسْمَعُ الصَّوْتَ، وَثَمَانِيًا أَوْ سَبْعًا يُوحَى إِلَيْهِ، وَأَقَامَ
পৃষ্ঠা - ৪২৫৪
بِالْمَدِينَةِ عَشْرًا» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ثَنَا يُونُسُ، عَنْ عَمَّارٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ قَالَ: «سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ: كَمْ أَتَى لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ مَاتَ؟ قَالَ: مَا كُنْتُ أُرَى مِثْلَكَ فِي قَوْمِهِ يَخْفَى عَلَيْهِ ذَلِكَ! قَالَ: قُلْتُ: إِنِّي قَدْ سَأَلْتُ فَاخْتُلِفَ عَلَيَّ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ أَعْلَمَ قَوْلَكَ فِيهِ. قَالَ أَتَحْسُبُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: أَمْسِكْ ; أَرْبَعِينَ بُعِثَ لَهَا، وَخَمْسَ عَشْرَةَ أَقَامَ بِمَكَّةَ يَأْمَنُ وَيَخَافُ، وَعَشْرًا مُهَاجَرُهُ بِالْمَدِينَةِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ وَشُعْبَةَ بْنِ الْحَجَّاجِ، كِلَاهُمَا عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ عَمَّارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِنَحْوِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا الْمِنْهَالُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ «أَنَّ رَجُلًا أَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ: أُنْزِلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشْرًا بِمَكَّةَ، وَعَشْرًا بِالْمَدِينَةِ؟ فَقَالَ: مَنْ يَقُولُ ذَلِكَ؟ لَقَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ بِمَكَّةَ خَمْسَ عَشْرَةَ، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرًا ; خَمْسًا وَسِتِّينَ وَأَكْثَرَ» . وَهَذَا مِنْ أَفْرَادِ أَحْمَدَ إِسْنَادًا وَمَتْنًا.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مِهْرَانَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قُبِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَسِتِّينَ سَنَةً» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَقَدْ رَوَى التِّرْمِذِيُّ فِي كِتَابِ " الشَّمَائِلِ "، وَأَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، وَالْبَيْهَقِيُّ
পৃষ্ঠা - ৪২৫৫
বলেন, হুশায়ম (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, নবী করীম (সা)কে তুলে
নেয়া হল-যখন তার বয়স পয়ষট্টি বছর ৷ এ হাদীসও আহমদ (র) একাকী বর্ণনা করেছেন ৷
তিরমিষী (র) কিতাবুশৃ শামাইল-এ এবং আবু ইয়ালা আল; মাওসিলী (র)-ও বায়হাকী (র)
কাতাদা (র) সুত্রেনসব ও বংশধারা বিশারদ দড়াগৃফাল ইবন হানৃযালা (না) থেকে বর্ণনা
করেন যে, নবী করীম (না)-কে তুলে নেয়া হয়েছে যখন তিনি পয়ষট্টি বছরের ৷ পরে তিরমিযী
(র) মন্তব্য করেছেন ৷ নবী করীম (না) থেকে দাপফাল (রা)-এর হাদীস শ্রবণ’ পরিচিত নয়,
তবে তিনি নবী করীম (সা)-এর সময়ে পুর্ণ বয়স্ক পুরুষ ছিলেন ৷ বায়হাকী (র) বলেছেন, এ
বর্ণনা ইবন আব্বাস (রা) থেকে অড়াহরিত আশার (বা) ও তার অনুগামী বর্ণনা কারীদের
অনুকুল ৷ তবে ইবন আব্বাস (রা) থেকে তেষট্টি বছর সম্পর্কিত জ্যমাআতের (ছয় ইমামের)
রিওয়ায়াত অধিকতর বিশুদ্ধ এবং তারা অধিকতর নির্ভরযোগ্য ও সংখ্যাবিচারে অধিক ৷ তাহীড়া
তাদের রিওয়ায়াত আইশা (বা) হতে উরওয়া (র)-এর রিওয়ায়াত আনড়াস (রা)-এর একটি
রিওয়ায়াত এবং মুআবিয়া (বা) হতে প্রাপ্ত বিশুদ্ধ রিওয়ায়াতের অনৃকুলে ৷ সাঈদ ইবনুল
মুসায়িবে, আমের নারী ও আবু জাফর মুহাম্মদ ইবন আলী (রা) এর অভিমতও অনুরুপ ৷
গ্রস্থকারের মত : আবদুল্লাহ ইবন উকবা, কাসিম ইবন আবদুর রহমান, হাসান বিসবী,
আলী ইবনৃল হুসায়ন এবং অন্য অনেকে অনুরুপ অভিমত পোষণ করেছেন ৷
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিরল অভিমতসমুহ
এক : খলীফা ইবন খায়্যাত (র) কাতাদা (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করেছেন তার বাষট্টি বছর বয়সে ৷ ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র)-ও
কাতাদা (র) হতে বিষয়টি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ যায়দ আল আন্সী (র)-ও আনাস
(রা) সনদে এরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
দুই : মুহাম্মদ ইবন আবিদ (র) মড়াকহুল (র) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) যখন ষ্ ইনতিকাল করেন তখন র্তার বয়স ছিল বাষট্টি বছর কয়েক মাস ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র) ও আবদুল হাযীদ ইব ন বাককার (র) মাকহুল (র) সনদে এরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (সা) যখন ইনতিকাল করলেন তখন তার বয়স বাযট্টি বছর
সাড়ে ছয় মাস ৷
তিন : উল্লিখিত বর্ণনাসমুহের তুলনায় অধিকতর নিকটবর্তী অর্থাৎ কম বয়স যুক্ত বিবরণ
ইমাম আহমদ (র)-এর রিওয়ায়াত, রাওহ (র) (কাতাদা) হাসান (রা) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর উপরে কুরআন নাযিল হয়েছিল মক্কায় আট বছর এবং হিজরত
করার পরে দশ বছর ৷ এ ক্ষেত্রে নৰুয়ত প্রাপ্তির ব্যাপারে যদি হাসান (রা) সংখ্যা গরিষ্ঠের ন্যায়
চল্লিশ বছরের অভিমত পােষণকাবী হন তবে তার বর্ণনা অনুসারে এ কথাই সাব্যস্ত হবে যে,
তিনি ওফাত কালে নবী করীম (না)-এর বয়স আটান্ন বছর হওয়ার অভিমত পোষণ করতেন ৷
এ বর্ণনাটি অভিনয় বিরল ধরনের এবং মুসাদ্দাদ (র) সুত্রে এ হাসান (বা) হতেই আমরা
রিওয়ায়াত করেছি যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেছেন ষাট বছর বয়সে ৷
তার : খালীফা ইবন খায়্যাত (র) বলেন, আবু আসিম (র)হড়াসান (রা) হতে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নবুয়তপ্রাপ্ত হলেন পয়তাল্লিশ বছর বয়সে ৷ পরে মক্কায়
مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، عَنْ دَغْفَلِ بْنِ حَنْظَلَةَ الشَّيْبَانِيِّ النَّسَّابَةِ، أَنَّ «النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَسِتِّينَ» . ثُمَّ قَالَ التِّرْمِذِيُّ: دَغْفَلٌ لَا يُعْرَفُ لَهُ سَمَاعٌ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ كَانَ فِي زَمَانِهِ رَجُلًا. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا يُوَافِقُ رِوَايَةَ عَمَّارٍ وَمَنْ تَابَعَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَرِوَايَةُ الْجَمَاعَةِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: فِي ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ. أَصَحُّ، فَهُمْ أَوْثَقُ وَأَكْثَرُ، وَرِوَايَتُهُمْ تُوَافِقُ الرِّوَايَةِ الصَّحِيحَةِ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ وَإِحْدَى الرِّوَايَتَيْنِ عَنْ أَنَسٍ، وَالرِّوَايَةُ الصَّحِيحَةُ عَنْ مُعَاوِيَةَ، وَهِيَ قَوْلُ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، وَعَامِرٍ الشَّعْبِيِّ، وَأَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. قُلْتُ: وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ وَالْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَالْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ، وَعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، وَغَيْرِ وَاحِدٍ.
وَمِنَ الْأَقْوَالِ الْغَرِيبَةِ مَا رَوَاهُ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ هِشَامٍ: حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ اثْنَتَيْنِ وَسِتِّينَ سَنَةً» . وَرَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ مُعَاذِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ قَتَادَةَ، مِثْلَهُ. وَرَوَاهُ زَيْدٌ الْعَمِّيُّ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ أَنَسٍ.
وَمِنْ ذَلِكَ مَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَائِذٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ حُمَيْدٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪২৫৬
الْمُنْذِرِ الْغَسَّانِيِّ، عَنْ مَكْحُولٍ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ اثْنَتَيْنِ وَسِتِّينَ سَنَةً وَأَشْهَرٍ» .
وَرَوَاهُ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ بَكَّارٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ شُعَيْبٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ الْمُنْذِرِ، عَنْ مَكْحُولٍ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ اثْنَتَيْنِ وَسِتِّينَ سَنَةً وَنِصْفٍ» .
وَأَغْرَبُ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ رَوْحٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: «نَزَلَ الْقُرْآنُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِي سِنِينَ بِمَكَّةَ، وَعَشْرًا بَعْدَ مَا هَاجَرَ» . فَإِنْ كَانَ الْحَسَنُ مِمَّنْ يَقُولُ بِقَوْلِ الْجُمْهُورِ وَهُوَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ وَعُمُرُهُ أَرْبَعُونَ سَنَةً، فَقَدْ ذَهَبَ إِلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، عَاشَ ثَمَانِيًا وَخَمْسِينَ سَنَةً. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا.
لَكِنْ رُوِّينَا مِنْ طَرِيقِ مُسَدَّدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنِ الْحَسَنِ أَنَّهُ قَالَ: «تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ ابْنُ سِتِّينَ سَنَةً» .
وَقَالَ خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ أَشْعَثَ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: «بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَأَرْبَعِينَ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرًا، وَبِالْمَدِينَةِ ثَمَانِيًا، وَتُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ» . وَهَذَا بِهَذِهِ الصِّفَةِ غَرِيبٌ جِدًّا.