سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل إجماع الصحابة على تقديم أبي بكر
পৃষ্ঠা - ৪২৩২
এ ছাড়া তার মাহড়াত্ম্য ও প্রজ্ঞতার কথা তো আমাদের জানাই রয়েছে ৷ তদুপরি, রাসুলুল্লাহ্
(না) তার জীবদ্দশায়ই তো তাকে লোকদের সড়ালাতে ইমামতি করার নিদের্শ দিয়েছিলেন ৷ এ
সনছন্টি বেশ উত্তম ৷ সমস্ত প্রশৎ না ও অনৃকম্পা আ ল্লোহ্রই ৷
অনুচ্ছেদ : উল্লিখিত আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করলে যে কোন পাঠকের
দৃষ্টিতে আবু বকর (রা) কে অগ্রণী রাখার ব্যাপারে মুহা ৷জির ও আনসার ভারত সাহাবায়ে
কিরামের ইজমড়াও ঐকমত্য সুন্ংপ্ষ্টিরুগে প্ৰতিভাত হবে ৷ সে সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
(আগাম) উক্তি “আল্লাহ এবং ঘু মিনগণ আবু বকর ব্যতীত অন্য যে কা ৷উকে প্রত্যাখ্যান করবে,
উক্তির যথার্থতা প্রতিভা ত হবে৷ এ ছাড়া এ কথারও প্রীতি জন্মাবে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
খিলাফতের ব্যাপারে কোন ব্যক্তিবিশেষের অনুকুলে সুনির্দিষ্টভা ভাষ্য রেখে যান নি ৷ আবু বকর
(রা) এর অনুকুলেও নয়-যদিও আহ্লে সুন্নাত জামাআতের একদল তেমন দাবী করেছেন এবং
আলী (বা) এর অনুকুলেও নয় ৷ যেমনটি একদল রাফেষী (খারেজী) বলে থাকে ৷
তবে, হী, তিনি সুস্পষ্ট আভাষ দিয়ে গিয়েছেন ৷ সে ইঙ্গিত এতই জোরালো যে, যে কোন
বুদ্ধিমত্তার অধিকারী জ্ঞানরান তা দিয়ে আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর প্রতি ইঙ্গিত অনুধাবন
করতে পারে আলোচনা র্শীঘই আসছে ৷ যেমন বুখারী-মুসলিমে, উদ্ধৃত হয়েছে, হিশাম ইবন
উয়ওয়া (র) ইবন উনার (রা) সুত্রে এ মর্মে যে, উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) কে আহত করা হলে
তাকে জিজ্ঞাসা করা হল ৷ আমীরুল ঘু’মিনীন ৷ আপনি কাউকে খলীফা মনোনীত করছেন না
কেন? তিনি বললেন, আমি যদি কাউকে খলীফা মনোনীত করে যাই, তবে (তা করতে পারি
কেননা) আমার চেয়ে যিনি উত্তম, (অর্থাৎ আবু বকর) তিনি খলীফা মনোনীত করে গিয়েছেন ৷
আর যদি আমি ব্যাপারটি অমীমাংসিত রেখে দিয়ে যাই, তবে (তাও করতে পারি কেননা),
আমার চাইতে যিনি উত্তম অর্থাৎ খােদ রাসুলুল্লাহ্ (না) ও বিষয়টি উন্মুক্ত রেখে দিয়ে
গিয়েছিলেন ৷ ইবন উমর (রা) বলেন তার এমত জবাবদানে যখন তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
নাম উল্লেখ করলেন, তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, তিনি খঃলীফা মনোনীত করে যাচ্ছেন না ৷
“সুফিয়ান ছাওরী (র) বলেছেন, আসর ইবন কড়ায়স (র) আমৃর ইবন সুফিয়ান (বা) হতে, তিনি
বললেন, আলী (রা) যখন জনতার উপরে প্রাধান্য (ও বিজয়) লাভ করলেন তখন তিনি
বললেন, সমবেত জনতা! এ খিলাফত ও নেতৃত্বের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের কাছে
কোন আদেশ অঙ্গীকার রেখে যাননি ৷ আমরা অবশেষে আমাদের চিন্তা ও বিবেচনা দিয়ে এ
সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে, আবু বকর (রা)-কেই খলীফা মনোনীত করা উচিত ৷ তিনি তার
কর্তব্য পালন করলেন এবং তাতে সঠিক পন্থা অনুসরণ করে অবশেষে তার পথে’ চলে
গেলেন ৷ আবু বকর (রা) তার সুচিন্তিত রায় অনুযায়ী উমর (রা)-কে খলীফা মনোনীত করে
যাওয়া সমীচীন মনে করলেন ৷ তিনিও র্তার কর্তব্য পালনে সঠিক পন্থা অবলম্বন করে চললেন
এবং তার পথে চলে গেলেন, কিৎবা বর্ণনাকারী বলেছেন তিনি দীন প্রতিষ্ঠায় তার সর্বশক্তি
নিয়োগ করে তা সর্বব্যাপী করে গেলেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু নুআয়ম (র) আমৃর
ইবন সুফিয়ান (বা) হতে, তিনি বলেন, আলী (রা)-এর প্রধান্য অর্জনের সময় বসৃরা দিবসে’
এক ব্যক্তি বক্তৃতা করছিলেন ৷ আলী (রা) বললেন, ওহে প্রাঞ্জল ভাষী বক্তা ! রাসুলুল্লাহ্ (না)
(তার রিসালাতের দায়িতু সুচ৷ কভা বে আঞ্জাম দিয়ে) আগেই চলে গেলেন ৷ আবু বকর ইমাম
হয়ে সালাত আদায় করলেন এবং উমর নিজেকে অধিষ্ঠিত করলেন তৃতীয় পর্যায়ে ৷ তারপর
[فَصْلُ إِجْمَاعِ الصَّحَابَةِ عَلَى تَقْدِيمِ أَبِي بَكْرٍ]
فَصْلٌ
وَمَنْ تَأَمَّلَ مَا ذَكَرْنَاهُ ظَهَرَ لَهُ إِجْمَاعُ الصَّحَابَةِ - الْمُهَاجِرِينَ مِنْهُمْ وَالْأَنْصَارِ - عَلَى تَقْدِيمِ أَبِي بَكْرٍ، وَظَهَرَ بُرْهَانُ قَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ: «يَأْبَى اللَّهُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَّا أَبَا بَكْرٍ ".» وَظَهَرَ لَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَنُصَّ عَلَى الْخِلَافَةِ عَيْنًا لِأَحَدٍ مِنَ النَّاسِ، لَا لِأَبِي بَكْرٍ كَمَا قَدْ زَعَمَهُ طَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِ السُّنَّةِ، وَلَا لَعَلِّي كَمَا يَقُولُهُ طَائِفَةُ الرَّافِضَةِ، وَلَكِنْ أَشَارَ إِشَارَةً قَوِيَّةً يَفْهَمُهَا كُلُّ ذِي لُبٍّ وَعَقْلٍ إِلَى الصِّدِّيقِ، كَمَا قَدَّمْنَا وَكَمَا سَنَذْكُرُهُ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ لَمَّا طُعِنَ قِيلَ لَهُ: أَلَا تَسْتَخْلِفُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ فَقَالَ: إِنْ أَسْتَخْلِفْ فَقَدِ اسْتَخْلَفَ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي - يَعْنِي أَبَا بَكْرٍ - وَإِنْ أَتْرُكْ فَقَدْ تَرَكَ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنِّي. يَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَعَرَفْتُ حِينَ ذَكَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ غَيْرُ مُسْتَخْلِفٍ.
وَقَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ سُفْيَانَ قَالَ: لَمَّا ظَهَرَ عَلِيٌّ عَلَى النَّاسِ يَوْمَ الْجَمَلِ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৪২৩৩
আমাদের এসব বক্তৃতা বিবৃতি তাদের পরে উদ্ভুত ফিত্ন৷ ও বিশৃৎখলা বৈ কিছু নয় ৷ আল্লাহ্
তাতে যা ইচ্ছা তা করবেন ৷
হাফিয বায়হাকী (র) বলেন, হাফিযুল হাদীস আবু আবদুল্লাহ (র) এবং আবদুল্লাহ ইবন
রাওহ আল মাদাইনী (র) আবু ওয়াইল (র) হতে, তিনি বলেন, আলী ইবন আবু তালিব (রা)-
কে জিজ্ঞেস করা হল ৷ আপনি আমাদের জন্য কি খলীফ৷ মনোনীত করবেন না ? তিনি
বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) তো খলীফা মনোনীত করে মান নি, তা হলে তো আমি খলীফা
মনোনীত করতাম ৷ তবে আল্লাহ যদি জনমানবের কল্যাণ পসন্দ করেন তা হলে আমার পরে
তাদেরকে তাদের মাঝের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির ব্যাপারে একতড়াবদ্ধ করে দিবেন ৷ যেমন র্তাদের নবীর
পরে তাদেরকে তাদের (শ্রষ্ঠ ব্যক্তির ব্যাপারে একমত করে দিয়েছিলেন ৷ সনদটি বেশ উত্তম;
তবে সিহাহ্ সিত্তা র গ্রস্থুকারগ ৷ণ তা উদ্ধৃত করেনি ৷ এ ছাড়া যুহ্রী (র) ইবন আব্বাস (রা)
সনদে, বুখারী (র) এর আহরিত হা ৷দীসটি আমরা ইতে তাপুর্বে উল্লেখ করে এসেছি ৷ যাতে বলা
হয়েছে যে আব্বাস ও আলী (রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর (অসুস্থতা কড়ালে৩ তার) নিকট হতে বের
হয়ে এলে জনৈক ব্যক্তি বলল, রাসুলুল্লাহ্ (না) এখন কেমন রয়েছেন ? আলী (বা) বললেন,
আলহামদুলিল্লাহ্ ! তিনি আজ সকালে সুস্থই আছেন ৷ তখন আব্বাস (বা) বললেন, তুমি
আল্লাহ্র কলম! তিন দিন পরেই (অন্যের) লাঠির গোলাম হবে ! হাশির্মীদের ঢেহারায় মৃত্যুর
আলামত চিনতে ”আমি পারদর্শী ৷ আমি তো রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর ঢেহারায় মৃত্যুর আলামত
দেখতে পাচ্ছি ৷ তাই, চলো, তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করি এ (নেতৃত্বের) বিষয়টি কাদের
মাঝে থাকবেঃ যদি আমাদের মাঝেই থাকে তবে তা আমরা জেনে নিলাম ৷ আর আমাদের
ব্যতীত অন্যদের মাঝে হলে আমরা তাকে বলব ৷ তিনি তার কাছে আমাদের জন্য অসিয়ত
করে যাবেন ৷” তখন আলী (বা) বললেন, আমি কখনো তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করব না ৷
আল্লাহর কলম! তিনি আমাদের জন্য নিষেধ করলে তার পরে লোকেরা কখনো তা
আমাদেরকে দিতে সম্মত হবে না ৷ ” মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) এ হাদীসটি যুহ্রী (র) হতে
সনদে উল্লেখ করেছেন ৷ তাতে তিনি বলেছেন, র্তার৷ দুজন র্তা ৷র (সা) ওফা ৷ত হয়ে যাওয়ার
দিন তার কাছে গেলেন ৷ এ রিওয়ায়াতের শেষ ভাগে রয়েছে এ দিনের প্রথম প্রহরের বেলা
যে ( দ পেলে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করলেন ৷
গ্রস্থকারের ওম্ভেব্যষ্ সুতরাং ঘটনাটি ছিল ওফাত দিবস সােমবড়ারে ৷ এ বর্ণনা প্রমাণ করে
যে, নবী করীম (সা) ইমাম বা আমীর মনোনয়ন বিষয়ে কো ন অসিয়ত না করেই ইনতিকাল
করেছিলেনা ৷ (অনুরুপ) সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে ইবন আব্বাস (রা)এর উক্তি রয়েছে সংকট মহা
ৎবল্ট, যা প্ৰতিবন্ধক হয়েছিল রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং তার ঐ লিখনী লিখে দেয়ার মাঝে ৷”
আগে আমরা উল্লেখ করে এসেছি যে, নবী করীম (না) তাদের জন্য এমন একটি লিপি লিখে
দেয়ার বড়াসন৷ প্রকাশ করেছিলেন য়ার পরে তারা বিভ্রান্ত হবে না ৷” কিন্তু তারা তার কাছে হৈচৈ
ও মাতানৈক্য শুরু করলে তিনি বলেছিলেন “আমার এ খড়ান হতে ৩উঠে যাও ৷ কেননা আ ৷মি য়ার
মাঝে রয়েছি, তা তে তামরা মার দিকে আমাকে আহ্বান করছ তার চ৷ ৷ইতে উত্তম ৷” আমরা এ
কথার উল্লেখ করে এসেছি যে, নবী করীম (না)-এর পরে বলেছিলেন,৷ অ ৷ল্লাহ্ এবং ঈমানদারগ ণ্া৷
আবু বকর ব্যতীত অন্য যে কাউকে অ্যাহ্য করবে ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে আবদুল্লাহ ইবন আওন (র) ,
لَمْ يَعْهَدْ إِلَيْنَا فِي هَذِهِ الْإِمَارَةِ شَيْئًا، حَتَّى رَأَيْنَا مِنَ الرَّأْيِ أَنْ نَسْتَخْلِفَ أَبَا بَكْرٍ، فَأَقَامَ وَاسْتَقَامَ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ، ثُمَّ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَأَى مِنَ الرَّأْيِ أَنْ يَسْتَخْلِفَ عُمَرَ فَأَقَامَ وَاسْتَقَامَ حَتَّى مَضَى لِسَبِيلِهِ. أَوْ قَالَ: حَتَّى ضَرَبَ الدِّينُ بِجِرَانِهِ إِلَى آخِرِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ ثَنَا شَرِيكٌ عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ سُفْيَانَ قَالَ: خَطَبَ رَجُلٌ يَوْمَ الْبَصْرَةِ حِينَ ظَهَرَ عَلِيٌّ، فَقَالَ عَلِيٌّ: هَذَا الْخَطِيبُ الشَّحْشَحُ! سَبَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ، وَثَلَّثَ عُمَرُ، ثُمَّ خَبَطَتْنَا فِتْنَةٌ بَعْدَهُمْ يَصْنَعُ اللَّهُ فِيهَا مَا يَشَاءُ.
وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ الْمُزَكِّي بِمَرْوَ ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوْحٍ الْمَدَائِنِيُّ، ثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ ثَنَا شُعَيْبُ بْنُ مَيْمُونٍ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ قَالَ: قِيلَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ: أَلَا تَسْتَخْلِفُ عَلَيْنَا؟ فَقَالَ: مَا اسْتَخْلَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْتَخْلِفَ، وَلَكِنْ إِنْ يُرِدِ اللَّهُ بِالنَّاسِ خَيْرًا فَسَيَجْمَعُهُمْ بَعْدِي عَلَى خَيْرِهِمْ، كَمَا جَمَعَهُمْ بَعْدَ نَبِيِّهِمْ عَلَى خَيْرِهِمْ. إِسْنَادٌ جَيِّدٌ وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৪২৩৪
আসৃওয়াদ (র) হতে, তিনি বলেন, আইশা (রা)-কে বলা হল, এরা তাে বলে বেড়াচ্ছে যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী (না)-এর কাছে ওসিয়ত করে গিয়েছেন ৷ আইশা (রা) বললেন, (কখন)
কোন বিষয় তার কাছে অসিয়ত করে পেলেন? (শেষ সময় তাে ) তিনি পেশার করার জন্য
একটা পাত্র আনতে বললেন; আমি তাকে আমার বুকের সাথে হেলান দেয়া অবস্থায়
রেখেছিলাম ৷ তিনি কাত হয়ে পড়লেন এবং ইনতিকাল করলেন ৷ অথচ আমি তা অনুভব
করতেও পারলাম না ৷ তা হলে এরা কোন সুত্রে দাবী করছে যে তিনি আলী (রা)-এর কাছে
ওসিয়ত করে গিয়েছেন?
সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে মালিক ইবন মিগৃওয়াল (র) হতে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, তাল্হা ইবন
ঘুসাররিফ (র) বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবন আবু আওফা (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলাম,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি কোন অসিয়ত করে নিয়েছেন? তিনি বললেন, না ৷ আমি বললাম, তবে
আমাদের অসিয়ত করার আদেশ দেয়া হল কেন? তখন তিনি বললেন, হী তিনি মহান-মহীয়ান
আল্লাহ্র কিতাব (আকড়ে থাকা)-এর অসিয়ত করে গিয়েছেন ৷ তাল্হড়া ইবন যুসাররিফ (র)
আরো বলেন, হুযায়ল ইবন শুরাহ্বীল বলেছেন, “আবু বকর নাকি রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
মনোনীত ওসী-র উপরে সদরীি-মাতববরী ফালাতে গিয়েছেন ৷ আবু বকরের বাসনড়া, তিনি
ব্লাসুলুল্লাহ্ (সা) হতে একটি অংগীকার ঘোষণা পেয়ে গিয়েছিলেন, আর তিনি নিজের নাকের
ডগাটা ভেত্গে দিয়েছিলেন ৷” সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে আরো রয়েছে আমাশ (র) ইবরাহীম (র)
সনদের হাদীস ৷ ইব্রাহীম তায়মী (র)-এর পিতা বলেন, আলী ইবন আবু তালিব (রা)
আমাদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷ তিনি বললেন, যারা বলে বেড়ায় যে, আমার কাছে আল্লাহ্র
কিতাব এবং এ সহীফা (পুস্তিকা) ৷ তার তরবারীর খাপের সাথে ঝুলানাে কতকগুলি পৃষ্ঠা যাতে
রয়েছে (যাকাতের উট সম্পর্কিত বয়সের বিবরণ এবং বিভিন্ন ধরনের যখন সম্পর্কিত কতক
দণ্ডবিধির আলোচনা) ব্যতীত অন্য কিছু রয়েছে যা আমরা (কুরআন রুপে) পাঠ করে থাকি,
তারা কি মিথ্যা বলেছে ৷ সে সহীফায় এ বিষয়টিও ছিল ৷ আলী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন-
ঞা ব্লুা১ ৷ ৰুাএে ৷ট্র শু গ্র৷ ,৷ ৷ট্র ৷,ৰুৰুব্র ৫১১৷ ব্লু এদ্বুণ্ চুো৷গ্লুপ্লু; ৰু,ণ্ডু ঢ় ণ্প্লু ম্বু১প্লুা৷
ঞ ১৷ প্রুা ৷া৷, শ্ব১; ১াএ ৷এ্) মৰুাৰুওা৷ ণ্ড্রুপ্লু ত্রা ;১;প্রু ১৷ :প্লু; ষ্৷ ধ্,,ঘুা৷এ খ্যাঃা,
শ্ব১; ১াএ ৷১গ্লু মা,-ব্লুা৷ শ্রু গ্রু £া৷ এ ১৷ ঞ ১৷ প্রুা৷, খ্যাঃা, ঞা ওও৷ শ্া ান্ধ্র ণ্াপ্লুা৷ৰুমোঃ
ফ্লোএো৷এ এ্যা, ঞা ব্লু৮৷ ৰুান্ও এে )ব্লণ্রুন্৷ প্রুব্র ণ্১া১১৷ ৷, শুন্,ষ্ :১১ , স্পে৷ ম,
“মদীনা অড়ায়র (পবর্ত) হতে ছাওর (পবর্ত সীমা)পর্যম্ভ হারাম’ (হেরেম-সম্মানিত ও)
নিষিদ্ধ’ এলাকা ৷ যে এখানে কোন ৰিদআত (নতুন মতবাদ) উদ্ভাবন করবে, কিংবা কোন
বিদআতীকে আশ্রয় দেবে তার উপরে আল্লাহ্ এবং ফিরশৃতাকুল ও মানবকুলের সকলের
লানত ৷ কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তার ফরয-নফল কোন ইবাদতই করল করবেন না ৷ যে
ব্যক্তি তার পিতা ব্যতীত অন্য কারো সাথে জন্ম (ও বংশ) সুত্রের দাবী করবে কিংবা যে
قَدَّمْنَا مَا ذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبَّاسًا وَعَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، لَمَّا خَرَجَا مِنْ عِنْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَجُلٌ: كَيْفَ أَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ عَلِيٌّ: أَصْبَحَ بِحَمْدِ اللَّهِ بَارِئًا. فَقَالَ الْعَبَّاسُ: إِنَّكَ وَاللَّهِ بَعْدَ ثَلَاثٍ عَبْدُ الْعَصَا، إِنِّي لَأَعْرِفُ فِي وُجُوهِ بَنِي هَاشِمٍ الْمَوْتَ، وَإِنِّي لِأَرَى فِي وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَوْتَ، فَاذْهَبْ بِنَا إِلَيْهِ فَنَسْأَلُهُ فَيَمَنْ هَذَا الْأَمْرُ، فَإِنْ كَانَ فِينَا عَرَفْنَاهُ، وَإِنْ كَانَ فِي غَيْرِنَا أَمَرْنَاهُ فَوَصَّاهُ بِنَا. فَقَالَ عَلِيٌّ إِنِّي لَا أَسْأَلُهُ ذَلِكَ، وَاللَّهِ إِنْ مَنَعَنَاهَا لَا يُعْطِينَاهَا النَّاسُ بَعْدَهُ أَبَدًا.
وَقَدْ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ، فَذَكَرَهُ. وَقَالَ فِي آخِرِهِ: فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ اشْتَدَّ الضُّحَى مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ.
قُلْتُ: فَهَذَا يَكُونُ فِي يَوْمِ الِاثْنَيْنِ يَوْمِ الْوَفَاةِ. فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تُوُفِّيَ عَنْ غَيْرِ وَصِيَّةٍ فِي الْإِمَارَةِ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّ الرَّزِيَّةَ كُلَّ الرَّزِيَّةِ مَا حَالَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ أَنْ يَكْتُبَ ذَلِكَ الْكِتَابَ. وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَانَ طَلَبَ أَنْ يَكْتُبَ لَهُمْ كِتَابًا لَنْ يَضِلُّوا بَعْدَهُ، فَلَمَّا أَكْثَرُوا اللَّغَطَ وَالِاخْتِلَافَ عِنْدَهُ قَالَ «قُومُوا
পৃষ্ঠা - ৪২৩৫
عَنِّي فَمَا أَنَا فِيهِ خَيْرٌ مِمَّا تَدْعُونَنِي إِلَيْهِ» وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّهُ قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ «يَأْبَى اللَّهُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَّا أَبَا بَكْرٍ» .
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ عَنِ الْأَسْوَدِ قَالَ: قِيلَ لِعَائِشَةَ: إِنَّهُمْ يَقُولُونَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ. فَقَالَتْ: بِمَ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ؟ ! لَقَدْ دَعَا بِطَسْتٍ لِيَبُولَ فِيهَا وَأَنَا مُسْنِدَتُهُ إِلَى صَدْرِي، فَانْخَنَثَ، فَمَاتَ وَمَا شَعَرْتُ ; فِيمَ يَقُولُ هَؤُلَاءِ إِنَّهُ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ؟ ! .
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ قَالَ: سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى: هَلْ أَوْصَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: لَا. قُلْتُ: فَلِمَ أُمِرْنَا بِالْوَصِيَّةِ؟ قَالَ: أَوْصَى بِكِتَابِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ. قَالَ طَلْحَةُ بْنُ مُصَرِّفٍ: وَقَالَ هُزَيْلُ بْنُ شُرَحْبِيلَ: أَبُو بَكْرٍ يَتَأَمَّرُ عَلَى وَصِيِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ !
পৃষ্ঠা - ৪২৩৬
৪১৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহারাংমােজ্যো৪
(গোলাম) তার মনির ব্যতীত অন্য কারো সাথে নিজেকে সম্পর্কিত করবে তার উপরে আল্লাহর
লাট্রুনাত এবং ফিরিশতাকুল ও মানবকুলের সকলের অভিশাপ ! কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার
কোন ফরয-নফল কবুল করবেন না ৷ মুসলমানদের যিম্মা’ (নিরাপত্তা দানের অংগীকার) এক
ও অভিন্ন তা সম্পাদনে তাদের বিশিষ্ট হতে সাধারণ পর্যন্ত সকলে যথাসাধ্য করবে ৷ সুতরাং যে
ব্যক্তি কোন মুসলমানের (দেয়া অংগীকারের ব্যাপারে তার) সাথে খিয়ানভ ও ৰিশ্বাসঘাতকতা
করবে তার উপরে আল্লাহ্ এবং ফিবিশতাকুল ও মানবকুলের সকলের লানত ৷ কিয়ামত দিবসে
আল্লাহ তার ফরযও গ্রহণ করবেন না, নফলও না ৷ ” সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়সহ অন্যান্য গ্রন্থে উদ্ধৃত এ
বিশুদ্ধ হাদীসখানি, যা থােদ আলী (বা) হতে বর্ণিত, রাফিযী উপদলের তথাকথিত দাবী
প্রত্যাখ্যান করে (যাতে বলা হয়েছে) যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী (না)-এর কাছে (তারই
অনুকুলে) খিলাফতের অসিয়ত করে গিয়েছিলেন ৷ কেননা, বাস্তব ব্যাপার তাদের দাবীর
অনুরুপ হলে অবশ্যই একজন সাহাৰীও তা রদ করতেন না ৷ কেননা, আল্লাহ্ এবং তার রাসুল
(সা) এর প্রতি তার হারাতে এবং তার ওফাংতর পরেও সাহাবীপণের আনুগত্য ছিল নিঃশর্ত ও
নিরংকুশ এবং সব সন্দেহও দ্বিধার উধের্ব ৷ সুতরাং রাসুল (সা) এর সুস্পষ্ট আদেশ লঙ্ঘন করে
এবং স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়ে তারই মনোনীত ব্যক্তিকে পিছনে হটিয়ে দিয়ে অন্য কাউকে
অগ্নবর্তী করা তাদের পক্ষে কল্পনাভীত ব্যাপার ৷ এমন হতেই পরে না ৷ কিছুতে না ! কখনো
না৷ ৷ বরং সাহাবাই কিরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম সম্পর্কে যে কেউ এহেন হীন ধারণা পোষণ
করবে তাদের সকলকেই ফাসির্কী ও শরীআতের সীমা লংঘন এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
আদেশও স্পষ্ট ভাষ্যের সাথে হটকারিতা ও বিরুদ্ধবাদীতার আচরণে অভিযুক্ত করবে ৷
আর কোন লোকের দুঃসাহসের মাত্রা এ চরম সীমড়ায় পৌছে গেলে যে নিজের গর্দান থেকে
ইসলামের র্বাধন ছিড়ে ফেলার অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হবে এবং মহান বিদ্বান ইমামপণের
সর্বসম্মত অভিমতে কাফির হয়ে যাবে ৷ ফলে তার খুন প্রবাহিত করা মদ ঢেলে ফেলে দেয়ার
চেয়ে অধিকতর হালাল ও পবিত্রতর কাজ সাব্যস্ত হবে ৷ অপর দিকে, আলী (রা)-র কাছে যদি
এ ধরনের কোন দ্ব্যর্থহীন ও স্পষ্ট নির্দেশ থেকে থাকতো তবে তিনি কেন সাহাবীপণের উপরে
তার নেতৃতৃ-কতৃতু ইমামাত সাব্যস্ত করার প্রমাণরুপে তা তাদের সামনে উপস্থাপন করলেন
না ? যদি বলা হয় যে, তার কাছে বিদ্যমান ভাষ্য ও নির্দেশ বাস্তবায়নে তিনি সক্ষম ছিলেন না;
তবে তো তিনি একজন অক্ষম অপারগ ৷ আর কোন অক্ষম ব্যক্তি নেতৃত্বের জন্য উপযোগী
পাত্র হতে পারেন না ৷
আর যদি (বেলা হয় যে) সক্ষম হওয়া সত্বেও তিনি তা করতে যান নি, তবে তো তিনি
খিয়ানতের অপরাধে অভিযুক্ত ৷ আর খিয়ানাত কড়ারী ফাসিককে তো নেতৃৎ হতে পদচ্যুতও
অপসারিত করা কর্তব্য ৷ আর যদি এ ভাষ্য সম্বন্ধে তার কোন অবগতিই না থেকে থাকে তবে
তো তিনি অজ্ঞ ৷ আবার কিছু দিন পরে সেই তিনিই কি তা জানলেন এবং অন্যদের অবগত
করলেন! অসম্ভব ! বানােয়টি ! অকাট মুর্থতা৷ বিভ্রান্তি ! ! এহেন ফুধারণা ও কুযুক্তির উৎপাদন
ক্ষেত্রে হল ইতর ও গণ্ড-মুর্থদের উর্বর মস্তিষ্ক এবং তা কেউ চিনে না এমন বিশেষজ্ঞদের
মেধাপ্রসুত, যা কোন যুক্তি প্রমাণ ব্যতািরকে শয়তান তাদের দৃষ্টিতে সৃসজ্জিত করে তোলে ৷
না, বরং এ হচ্ছে পায়ের জোরে বাগাড়ম্বর ও প্ৰলাপ, তাহা মিথ্যা ও অপবাদ ৷ ওদের এ জাল
وَدَّ أَبُو بَكْرٍ أَنَّهُ وَجَدَ عَهْدًا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَزَمَ أَنْفَهُ بِخِزَامَةٍ.
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَطَبَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ مَنْ زَعَمَ أَنَّ عِنْدَنَا شَيْئًا نَقْرَؤُهُ لَيْسَ كِتَابَ اللَّهِ وَهَذِهِ الصَّحِيفَةَ - لِصَحِيفَةٍ مُعَلَّقَةٍ فِي سَيْفِهِ فِيهَا أَسْنَانُ الْإِبِلِ وَأَشْيَاءُ مِنَ الْجِرَاحَاتِ - فَقَدْ كَذَبَ. وَفِيهَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَدِينَةُ حَرَمٌ مَا بَيْنَ عَيْرٍ إِلَى ثَوْرٍ، مَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا، وَمَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ أَوِ انْتَمَى إِلَى غَيْرِ مَوَالِيهِ، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا، وَذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ، يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ، فَمَنَّ أَخَفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لَا يَقْبَلُ اللَّهُ مِنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا» .
وَهَذَا الْحَدِيثُ الثَّابِتُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ، عَنْهُ يَرُدُّ عَلَى فِرْقَةِ الرَّافِضَةِ فِي زَعْمِهِمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَى إِلَيْهِ بِالْخِلَافَةِ، وَلَوْ كَانَ الْأَمْرُ كَمَا زَعَمُوا لَمَا رَدَّ ذَلِكَ أَحَدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَإِنَّهُمْ كَانُوا أَطْوَعَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَيَاتِهِ وَبَعْدَ وَفَاتِهِ مِنْ أَنْ يَفْتَاتُوا عَلَيْهِ، فَيُقَدِّمُوا غَيْرَ مَنْ
পৃষ্ঠা - ৪২৩৭
ও তেজাল মিশ্রণ এবং রাতকান!র হড়াতড়ানাে কৃতজ্ঞতা হতে আল্লাহ্ রক্ষা করুন ! অ!ল্লাহ্ আশ্রয়
দান করুন কুরআন সুন্ন!হ জ!কড়ে থাকার সুদৃঢ় নীতি অনুসরণে, ঈমান ও ইসলামের সাথে
মৃত্যু বরণ করাতে, পরম বিশ্বাস ও অবিচলত!র সাথে জীবনপাত করে মীযান ও লেক আমলের
পাল্লা ভারী করতে এবং জাহ!ন্নামের আগুন হতে নাজাত লাভ করে জান্ন!তের বাগানের
সফলতা লাণ্ডে ! তিনি তে! করীম ও মহান, অনুকম্পাময় ও কৃপাবান, রাহীম ও রহমান!
সহীহ্ প্রন্থদ্বয়ের বরাতে আলী (র!) হতে আমাদের পুর্বে!দ্ধৃত হাদীসে তথাকথিত
তরীকতপন্থী, বহু বাণড়াম্বর কারী (ম!রফর্তী চাপাবাজ) ও অশিক্ষিত পেশাদার ওয়ায়েজ-
বক্তাদের মিথ্যা দাৰীরও খণ্ডন রয়েছে ! এ ভণ্ডদের দাবী হল, রাসুলুল্লাহ্ (স!) আলী (রা)-কে
বহুবিধ বিষয় অসিয়ত করে গিয়েছেন ৷ তাদের কথিত এ অসিয়তের নমুনা হল হে আলী !
এরুপ করবে ! হে আলী ! এরুপ করবে ন! ! হে আলী ! যে এমন করবে তার এমন এমন
হবে এক দীর্ঘ ফিরিস্তি এবং এ সবের তার ও তা যে! অতি নিম্ন ম! নেয় এবং এগুলির
অধিকাং ×শের বিষয়বস্তু এমন হালকা ও বাজে প্রকৃতির যার উদ্ধৃতি ৩দিয়ে কো ন ভ !ল গ্রন্থের পৃষ্ঠ!
কলংকিত কর! সযীচীন নয় ! আল্ল!হ্ই সমধিক অবগত
হাফিজ বায়হ!কী (র) অন্যতম জাল হাদীস প্রণেত! ও যিখুকে হ!ম্ম!দ ইবন আসর আন্-
ন!সীবী সুত্রে, আলী (বা) এর নামে উদ্ধৃত করেছেন যে, আলী (র! ) বলেন, নবী করীম (স!)
বলেছেন, “হে আলী ! তোমাকে একটি (বিশেষ) অসিয়ত করছি, ত! তুমি সংরক্ষণ করবে,
ণ্কনন! যতদিন তুমি ত! সংরক্ষণ করে বা !খবে ততদিন তুমি মংণলের সাথে থাকাবে ! হে অ! !লী!
ষু মিনের তিনটি অ !ল!মত রয়েছে, স!লাত, সিয়!ম ও যাকাত ! বায়হ!কী (র) বলেছেন এভাবে
হাম্মাদ পসন্দনীয় ও আকর্ষণীয় এবং আদাব ও গ্রিষ্টি!চ!রের বিবরণ সম্বলিত এক সুদীর্ঘ হাদীসের
অবতারণা করেছে ! এটি একটি মাওযু (জাল) হাদীস এবং আমি প্রস্থ সুচন!য় শর্ত ও অংপীক!র
করে এসেছি যে, আমার জানামতে কোন মাওঘু (জাল) হাদীস এতে উদ্ধৃত করব ন! ! পরে তিনি
এ হ!ম্মাদ ইবন আম্র সুত্রে, ম!ক্হুল শামী হতে আর একটি রিওরায়াত উল্লেখ করেছেন !
ম!ক্হুল বলেন, এ হচ্ছে সে বাণী য! হুন!য়ন (যুদ্ধ) হতে প্রত্যাবর্তন কালে, যখন সুর! ন!সর
নাযিল হয়েছিল তখন র!সুলুল্পাহ্ (স!) আলী ইবন আবু ত!লিব (র!)-কে বলেছিলেনবায়হড়াকী
(র) বলেছেন, ফিতনা ও দুর্যোগ সম্পর্কিত একটি দীর্ঘ হাদীসের অবতারণা করেছেন ! এটিও
একটি প্রত্যাথ্যাত হাদীস, এর কোনভিত্তি নেই ! সহীহ্ হ!দীসসমুহই আমাদের আলোচ্য বিষয়ের
জন্য যথেষ্ট ৷ আল্লাহ্ই ত!ওফীক দাত! !
তবে, এখানে প্রসংপত আমরা আবু ইসম!ঈল হ!ম্মাদ ইবন আমৃর আন ন!সীবী, ভদ্রলোকের
পরিচিতি তুলে ধরার প্রয়াস পাচ্ছি ! হাম্ম!দ ন!স!বী আম!শ (র) প্রমুখ হতে রিওয়!য়!ত গ্রহণ
করেছে ! অর্থাৎ তার শায়খ ও উসত!দ তালিকায় রয়েছেন আমাশ (র) প্রমুখ প্রখ্যাত
মুহাদ্দিসগণ ! তার অধস্তন র!বী ও শাণরিদ তালিকায় রয়েছে ইবর!হীম ইবন মুসা, মুহাম্মদ
ইবন মিহর!ন ও মুল! ইবন আয়ুব্রব প্রমুখ ! বিশিষ্ট হাদীস পর্যালোচনা ৰিষ্!!রদ ইয়!হ্য়ড়া ইবন
ম!ঈন (র) বলেছেন, এ (হ!ম্মাদ) লোকটি হ!দীস জালক!রী ও মিথুব্রুকদের অন্যতম ! অ!মর
ইবন আ !লী আলু ফ !ল্লাস ও অ! বু হ! !তিম (র) বলেছেন, লে!কটির বর্ণিত বর্ণন!সমুহ প্রত্যাথ্যাত
ও অভিনয় দুর্বল ! ইব্রাহীম ইবন ইয়াকুব অল !ল-জাওয়জানী (র) বলেছেন, হ!ম্ম!দ মিথ্যা
قَدَّمَهُ، وَيُؤَخِّرُوا مَنْ قَدَّمَهُ بِنَصِّهِ، حَاشَا وَكَلَّا وَلَمَّا، وَمَنْ ظَنَّ بِالصَّحَابَةِ، رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ فَقَدْ نَسَبَهُمْ بِأَجْمَعِهِمْ إِلَى الْفُجُورِ وَالتَّوَاطِئِ عَلَى مُعَانَدَةِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمُضَادَّتِهِمْ فِي حُكْمِهِ وَنَصِّهِ، وَمَنْ وَصَلَ مِنَ النَّاسِ إِلَى هَذَا الْمَقَامِ فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ، وَكَفَرَ بِإِجْمَاعِ الْأَئِمَّةِ الْأَعْلَامِ، وَكَانَ إِرَاقَةُ دَمِهِ أَحَلَّ مِنْ إِرَاقَةِ الْمُدَامِ. ثُمَّ لَوْ كَانَ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، نَصٌّ فَلِمَ لَا كَانَ يَحْتَجُّ بِهِ عَلَى الصَّحَابَةِ عَلَى إِثْبَاتِ إِمَارَتِهِ عَلَيْهِمْ وَإِمَامَتِهِ لَهُمْ؟ فَإِنْ لَمْ يَقْدِرْ عَلَى تَنْفِيذِ مَا مَعَهُ مِنَ النَّصِّ فَهُوَ عَاجِزٌ، وَالْعَاجِزُ لَا يَصْلُحُ لِلْإِمَارَةِ، وَإِنْ كَانَ يَقْدِرُ وَلَمْ يَفْعَلْهُ فَهُوَ خَائِنٌ، وَالْخَائِنُ الْفَاسِقُ مَسْلُوبٌ مَعْزُولٌ عَنِ الْإِمَارَةِ، وَإِنْ لَمْ يَعْلَمْ بِوُجُودِ النَّصِّ فَهُوَ جَاهِلٌ، ثُمَّ وَقَدْ عَرَفَهُ وَعَلِمَهُ مَنْ بَعْدَهُ فَهَذَا مُحَالٌ وَافْتِرَاءٌ وَجَهْلٌ وَضَلَالٌ، وَإِنَّمَا يَحْسُنُ هَذَا فِي أَذْهَانِ الْجَهَلَةِ الطَّغَامِ وَالْمُغْتَرِّينَ مِنَ الْأَنَامِ، يُزَيِّنُهُ لَهُمُ الشَّيْطَانُ بِلَا دَلِيلٍ وَلَا بُرْهَانٍ، بَلْ بِمُجَرَّدِ التَّحَكُّمِ وَالْهَذَيَانِ وَالْإِفْكِ وَالْبُهْتَانِ عِيَاذًا بِاللَّهِ مِمَّا هُمْ فِيهِ مِنَ التَّخْلِيطِ وَالْخِذْلَانِ وَالتَّخْبِيطِ وَالْكُفْرَانِ، وَمَلَاذًا بِاللَّهِ بِالتَّمَسُّكِ بِالسُّنَّةِ وَالْقُرْآنِ، وَالْوَفَاةِ عَلَى الْإِسْلَامِ وَالْإِيمَانِ، وَالْمُوَافَاةِ عَلَى الثَّبَاتِ وَالْإِيقَانِ وَتَثْقِيلِ الْمِيزَانِ، وَالنَّجَاةِ مِنَ النِّيرَانِ وَالْفَوْزِ بِالْجِنَانِ، إِنَّهُ كَرِيمٌ مَنَّانٌ رَحِيمٌ رَحْمَنٌ.
وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ الثَّابِتِ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ عَلِيٍّ الَّذِي قَدَّمْنَاهُ رَدٌّ عَلَى مُتَقَوِّلَةِ كَثِيرٍ مِنَ الطَّرْقِيَّةِ وَالْقُصَّاصِ الْجَهَلَةِ فِي دَعْوَاهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَى إِلَى عَلِيٍّ بِأَشْيَاءَ كَثِيرَةٍ يَسُوقُونَهَا مُطَوَّلَةً: يَا عَلِيُّ افْعَلْ كَذَا، يَا عَلِيُّ لَا تَفْعَلْ كَذَا، يَا عَلِيُّ، مَنْ فَعَلَ كَذَا كَانَ كَذَا وَكَذَا. بِأَلْفَاظٍ رَكِيكَةٍ، وَمَعَانِيَ أَكْثَرُهَا سَخِيفَةٌ،
পৃষ্ঠা - ৪২৩৮
وَكَثِيرٌ مِنْهَا ضَعِيفَةٌ لَا تُسَاوِي تَسْوِيدَ الصَّحِيفَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ عَمْرٍو النَّصِيبِيِّ - وَهُوَ أَحَدُ الْكَذَّابِينَ الْوَضَّاعِينَ - عَنِ السَّرِيِّ بْنِ خَلَّادٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «يَا عَلِيُّ أُوصِيكَ بِوَصِيَّةٍ فَاحْفَظْهَا فَإِنَّكَ لَا تَزَالُ بِخَيْرٍ مَا حَفِظْتَهَا ; يَا عَلِيُّ إِنَّ لِلْمُؤْمِنِ ثَلَاثَ عَلَامَاتٍ ; الصَّلَاةَ وَالصِّيَامَ وَالزَّكَاةَ» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا فِي الرَّغَائِبِ وَالْآدَابِ وَهُوَ حَدِيثٌ مَوْضُوعٌ، وَقَدْ شَرَطْتُ فِي أَوَّلِ الْكِتَابِ أَنْ لَا أُخَرِّجَ فِيهِ حَدِيثًا أَعْلَمُهُ مَوْضُوعًا. ثُمَّ رَوَى مِنْ طَرِيقِ حَمَّادِ بْنِ عَمْرٍو هَذَا، عَنْ زَيْدِ بْنِ رَفِيعٍ، عَنْ مَكْحُولٍ الشَّامِيِّ قَالَ: هَذَا مَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ حِينَ رَجَعَ مِنْ غَزْوَةِ حُنَيْنٍ، وَأُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ النَّصْرِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَذَكَرَ حَدِيثًا طَوِيلًا فِي الْفِتْنَةِ، وَهُوَ أَيْضًا حَدِيثٌ مُنْكَرٌ لَيْسَ لَهُ أَصْلٌ، وَفِي الْأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ كِفَايَةٌ. وَبِاللَّهِ التَّوْفِيقُ.
وَلْنَذْكُرْ هَاهُنَا تَرْجَمَةَ حَمَّادِ بْنِ عَمْرٍو أَبِي إِسْمَاعِيلَ النَّصِيبِيِّ ; رَوَى عَنِ الْأَعْمَشِ وَغَيْرِهِ وَعَنْهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ، وَمُوسَى بْنُ أَيُّوبَ وَغَيْرُهُمْ. قَالَ يَحْيَى بْنُ مَعِينٍ: هُوَ مِمَّنْ يَكْذِبُ وَيَضَعُ الْحَدِيثَ. وَقَالَ عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلَّاسُ وَأَبُو حَاتِمٍ: مُنْكَرُ الْحَدِيثِ، ضَعِيفٌ جِدًّا. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৪২৩৯
বলতে অভ্যস্ত ছিল ৷ বুখারী (র) বলেছেন, হাদীস বর্ণনক্যেরী হিসাবে সে প্রত্যাথ্যাত ৷ আবু
যুরআ (র) বলেছেন, বাজে বর্ণনাকারী ৷ নাসাঈ (র) বলেছেন, পরিত্যক্ত ৷ ইবন হাব্বান (র)
বলেছেন, চরম জালিয়াত ! ইবন আদী (র) বলেছেন, তার প্রায় সবগুলি হড়াদীসই এমন যে
নির্ভরযোগ্য রাবীগণের কেউ তার অনুগামী (ভাবি) রিওয়ায়াত বর্ণনা করেনি ! দারা কুত্নী (র) ৰু
বলেন দুর্বল ৷ আবু আবদুল্লাহ হাকিম (র) বলেছেন এ সােকটি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য রাৰীদের
নামে জাল হাদীস রিওয়ায়াত করে থাকে ৷ সে সম্পুইি পরিত্যাজ্য ৷
তবে হাফিজ বায়হাকী (র) আহরিত একটি হাদীস নিয়ে এখানে আলোচনা করা যেতে
পারে ! আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আলু হাফিজ (র) সাল্লিম ইবন সুলায়ম আত্
তাৰীল (র) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অসুস্থতা ন্
প্রকট হয়ে গেলে আমরা আইশা (র)-র ঘরে সমবেত হলাম ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাদের
দিকে তাকালেন ফলে তীর চোখ দুটি অশ্রু সজল হল ৷ পরে তিনি আমাদের বললেন fl: এএ
াব্লপৌ “বিচ্ছেদ আসন্ন এভাবে তিনি নিজেই আমাদের কাছে তার মৃত্যু সংবাদ জ্ঞাপন
করলেন ! এরপর বললেন
ণ্ঘ্র! ণ্ওৰু ৷প্রুপ্রু
ঠোৰুএ
-ঞস্পো
“তোমাদের প্রতি শুভেচ্ছা আল্লাহ্ তোমাদের দীর্ঘজিবী করুন! আল্লাহ্ তোমাদের হিদায়াতের
উপৰুয় রাখুন! অন্ল্লৰুহ্ তেমােদের সাহায্য করুন! অন্ল্লৰুহ ণ্তামাদের মংগল করুনা অন্ল্লন্হ
তোমাদের তাওফীক দান করুন! আল্লাহ তোমাদের সরল-সঠিক পন্থায় রাখুন! আল্লাহ তোমাদের
রক্ষা করুন! আল্লাহ ণ্তামাদের সহায়তা করুন! আল্লাহ তোমাদের কবুল করুন! আমি
তোমাদেরকে আল্লাহ্কে ভয় করে লেতে ওসিয়াত করছি! আর আল্লাহ্কে (তত্ত্বমাদের ওসী
বানিয়ে যাচ্ছি এবং তার তত্াবধানে তোমাদের সােপর্দ করে যাচ্ছি ৷ আমি তোমাদের জন্য
প্রকাশ্য সতর্ককারী এ ব্যাপারে যে, আল্লাহর বান্দাদের এবং জনপদসমুহের ব্যাপারে তার উপরে
ঔদ্ধত্য করো না ৷ কেননা, আল্লাহ আমাকে এবং তোমাদেরকে বলেছেন (আয়াত) ! “এ হচ্ছে ং
আখিরাতের সে আবাস যা আমি নির্ধারিত করে রেখেছি ! তাদের জন্য যারা এ পৃথিবীতে ঔদ্ধত্য
হতে ও বিপর্যয় সৃষ্টি করতে চায় না ! শুভ পরিণড়াম মুত্তাকীদের জন্য (২৮ : ৮৩) ৷ “ ঔদ্ধত্যদের ন্
জন্য কি জাহান্নামের কোন ঠাই (আবাস স্থল) নেই ? (৩৯ : ৬০) ৷
আমরা বললাম, “তবে আপনার নির্ধারিত সময় কখন? তিনি বললেন,
“সময় তো নিকটেই এসে গিয়েছে; এবং আল্লাহর নিকটে সিদুরাতুল ঘুনৃতাহা-র কাছে এবং
পুর্ণ পেয়ালা ও উন্নততর বিছানার দিকে প্রত্যাবর্তন (আসন্ন) ৷ আমরা বললাম, “তবে কে
আপনাকে যেড়াসল দেবে, ইয়া রাসুলাল্লাহ? তিনি বললেন,
يَعْقُوبَ الْجُوزَجَانِيُّ: كَانَ يَكْذِبُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: مُنْكَرُ الْحَدِيثِ. وَقَالَ أَبُو زُرْعَةَ: وَاهِي الْحَدِيثِ. وَقَالَ النَّسَائِيُّ: مَتْرُوكٌ. وَقَالَ ابْنُ حِبَّانَ: يَضَعُ الْحَدِيثَ وَضْعًا. وَقَالَ ابْنُ عَدِيٍّ: عَامَّةُ حَدِيثِهِ مِمَّا لَا يُتَابِعُهُ أَحَدٌ مِنَ الثِّقَاتِ عَلَيْهِ. وَقَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ: ضَعِيفٌ. وَقَالَ الْحَاكِمُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: يَرْوِي عَنِ الثِّقَاتِ أَحَادِيثَ مَوْضُوعَةً. وَهُوَ سَاقِطٌ بِمَرَّةٍ.
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا حَمْزَةُ بْنُ الْعَبَّاسِ الْعَقِبِيُّ بِبَغْدَادَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوْحٍ الْمَدَائِنِيُّ، ثَنَا سَلَّامُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمَدَائِنِيُّ، ثَنَا سَلَّامُ بْنُ سُلَيْمٍ الطَّوِيلُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيُّ، عَنِ الْأَشْعَثِ بْنِ طَلِيقٍ، عَنْ مُرَّةَ بْنِ شَرَاحِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اجْتَمَعْنَا فِي بَيْتِ عَائِشَةَ، فَنَظَرَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَمَعَتْ عَيْنَاهُ، ثُمَّ قَالَ لَنَا: " قَدْ دَنَا الْفِرَاقُ ". وَنَعَى إِلَيْنَا نَفْسَهُ ثُمَّ قَالَ: " مَرْحَبًا بِكُمْ، حَيَّاكُمُ اللَّهُ، هَدَاكُمُ اللَّهُ، نَصَرَكُمُ اللَّهُ، نَفَعَكُمُ اللَّهُ، وَفَّقَكُمُ اللَّهُ، سَدَّدَكُمُ اللَّهُ، وَقَاكُمُ اللَّهُ، أَعَانَكُمُ اللَّهُ، قَبِلَكُمُ اللَّهُ، أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَأُوصِي اللَّهَ بِكُمْ، وَأَسْتَخْلِفُهُ عَلَيْكُمْ، إِنِّي لَكُمْ مِنْهُ
পৃষ্ঠা - ৪২৪০
ণ্ব্লুা স্ )১ ম্বু মুে১ ট্রোং ণ্র্চুর্চু১ স্ )প্লু চ )ন্াট্টর্ন্ত মোঃ ট্টং এেপুা১ন্াক্ট এেপুা১ শ্বা ত্রুান্া ন্ ঠেফো ঠো২ ১
“আমার পরিবার পরিজনের কিছু (পুরুষ) লোকেরা, ভৈনকট্য ও ঘনিষ্টতার ক্রম অনুসারে১
অনেক ফিরিশতার সং গে যারা তোমাদের দেখতে পান এমন ক্ষেত্র হতে যে তোমরা তাদের
দেখতে পাও না ৷ “আমরা বললাম, তা হলে আমরা আপনাকে কী কাপড়ে কাফন পরাব ইয়া
রাসুলাল্লাহ ? তিনি বললেন “আমার পরিধানের এ কাপড়েই তোমাদের মনঃপুত হলে কিত্বা
ইয়ামানী বরুস্ত্র, কিৎব৷ মিশরী সাদা বস্তে ৷” আমরা বললাম, তবে আপনার জানাযা সালাত
(এর ইমাম হয়ে) কে আদায় করবে ইয়া রাসুলাল্লাহ ? তখন তিনি কাদলেন; আমরাও র্কাদলাম
এবং তিনি বললেন,
এেইপৌ১
এ্যা৷ :ণ্ণ্ ১,ৰু ১ ণ্শ্ এসো এ১ণ্ণ্ ণ্স্র ঞা)৷ ণ্ট্ট এৰুওাওপ্রুগু মোঃ১ ;;গ্রাশু ;; >খ্এ১
া১াড্রুওা
ড়ুস্ান্ষ্ওা৷ শ্রু প্লু৷ ণ্,,া৷ ১১ ৷ ঠুব্র১ শুপ্লু১ শু১ শু১;হুাৰু
“একটু ধীরে ! আল্লাহ তোমাদের মাগফিরাত করুন এবং তোমাদেরকে তোমাদের নবীর
তরফ হতে উত্তম বিনিময় দান করুন ! যখন তোমরা আমাকে গোসল দািব; আমাকে হানুত-
সুগন্ধি মাখাবে এবং আমাকে কাফন পরাবে তখন আমাকে আমার কবরের পাড়ে রেখে দিয়ে
তোমরা আমার কাছ থেকে কিছু সময়ের জন্য বের হয়ে যাবে ৷ কেননা, আমার জানাযার
সালাত সবার আগে আদায় করবেন আমার দৃইবন্ধু ও দুই সং গী জিবরীল ও মিকাঈল (আ) ৷
তারপর ইসরাফীল, তারপর মৃত্যুর ফিরিশতা ফিরিশ ৷তাদের একটি বা ৷হিনী সহ তাদের উপরে
শাস্তি বর্ষিত হোক ! আর (মানুষের মাঝে) আমার জানাযা সালাতের সুচনা করবে আমার
পরিবারের পুরুষেরা, এরপর তাদের নারীরা ৷ (এরপর) তোমরা আমার কাছে প্রবেশ করবে
ছোট ছোট দলে এবং এক একজন করে ৷ আর তোমরা ক্রন্দকারিনী দের দিয়ে এবং ইনিয়ে
বিনিয়ে মাতম ও আর্ত চিৎকার দিয়ে আমাকে কষ্ট দেবে না ৷ আর আমার সাহাবী (সহচর)-
দের মাঝে যারা অনুপস্থিত থাকবে তাদের কাছে আমার তরফ থেকে সালাম পৌছিয়ে দািব ৷
তোমাদের আমি সাক্ষী করলাম যে, যারা ইসলামে প্রবেশ করবে এবং আজ হতে কিয়ামতের
দিন পর্যন্ত আমার এ দীনের ক্ষেত্রে আমার অনুপমন করবে তাদের আমি সালাম জানাচ্ছি ৷ ”
আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহা আপনাকে আপনার কবরে রাখবে কে? তিনি বললেন,
“আমার পরিজনের পুরুষেরা নৈকট্য ও আত্মীয়তার ক্রম অনুসারে ফিরিশতাদের সংগে, যারা
তোমাদের দেখতে পান এমন স্থান হতে যে তোমরা তাদের দেখতে পাও না ৷” এ বংনি৷ শেষে
১ যে যত অধিক ঘনিষ্ঠ তার অধিকার ততবেশী এই নিয়মে ৷ অনুবাদক
نَذِيرٌ مُبِينٌ، أَنْ لَا تَعْلُوا عَلَى اللَّهِ فِي عِبَادِهِ وَبِلَادِهِ ; فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لِي وَلَكُمْ: " {تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ} [القصص: 83] " [الْقَصَصِ: 83] وَقَالَ: " {أَلَيْسَ فِي جَهَنَّمَ مَثْوًى لِلْمُتَكَبِّرِينَ} [الزمر: 60] " [الزُّمَرِ: 60] قُلْنَا: فَمَتَى أَجَلُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ قَدْ دَنَا الْأَجَلُ، وَالْمُنْقَلَبُ إِلَى اللَّهِ، وَالسِّدْرَةُ الْمُنْتَهَى، وَالْكَأْسُ الْأَوْفَى، وَالْفُرُشُ الْأَعْلَى. قُلْنَا: فَمَنْ يُغَسِّلُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: رِجَالُ أَهْلِ بَيْتِي الْأَدْنَى فَالْأَدْنَى، مَعَ مَلَائِكَةٍ كَثِيرَةٍ يَرَوْنَكُمْ مِنْ حَيْثُ لَا تَرَوْنَهُمْ. قُلْنَا: فَفِيمَ نُكَفِّنُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ فِي ثِيَابِي هَذِهِ إِنْ شِئْتُمْ، أَوْ فِي يَمَنِيَّةٍ، أَوْ فِي بَيَاضِ مِصْرَ. قُلْنَا: فَمَنْ يُصَلِّي عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَبَكَى وَبَكَيْنَا. وَقَالَ: مَهْلًا، غَفَرَ اللَّهُ لَكُمْ، وَجَزَاكُمْ عَنْ نَبِيِّكُمْ خَيْرًا، إِذَا غَسَّلْتُمُونِي وَحَنَّطْتُمُونِي وَكَفَّنْتُمُونِي، فَضَعُونِي عَلَى شَفِيرِ قَبْرِي، ثُمَّ اخْرُجُوا عَنِّي سَاعَةً، فَإِنَّ أَوَّلَ مَنْ يُصَلِّي عَلَيَّ خَلِيلَايَ وَجَلِيسَايَ ; جِبْرِيلُ وَمِيكَائِيلُ، ثُمَّ إِسْرَافِيلُ، ثُمَّ مَلَكُ الْمَوْتِ مَعَ جُنُودٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، عَلَيْهِمُ السَّلَامُ، وَلْيَبْدَأْ بِالصَّلَاةِ عَلَيَّ رِجَالُ أَهْلِ بَيْتِي، ثُمَّ نِسَاؤُهُمْ، ثُمَّ ادْخُلُوا عَلَيَّ أَفْوَاجًا وَفُرَادَى، وَلَا تُؤْذُونِي بِبَاكِيَةٍ وَلَا بِرَنَّةِ وَلَا بِصَيْحَةٍ، وَمَنْ كَانَ غَائِبًا مِنْ أَصْحَابِي فَأَبْلِغُوهُ عَنِّي السَّلَامَ، وَأُشْهِدُكُمْ بِأَنِّي قَدْ سَلَّمْتُ عَلَى مَنْ دَخَلَ فِي الْإِسْلَامِ وَمَنْ تَابَعَنِي فِي دِينِي هَذَا، مُنْذُ الْيَوْمِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ قُلْنَا: فَمَنْ يُدْخِلُكَ قَبْرَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ رِجَالُ أَهْلِ بَيْتِي الْأَدْنَى فَالْأَدْنَى مَعَ مَلَائِكَةٍ كَثِيرَةٍ يَرَوْنَكُمْ مِنْ حَيْثُ لَا تَرَوْنَهُمْ» ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: تَابَعَهُ أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ عَنْ سَلَّامٍ الطَّوِيلِ وَتَفَرَّدَ بِهِ سَلَّامٌ الطَّوِيلُ.
পৃষ্ঠা - ৪২৪১
قُلْتُ: وَهُوَ سَلَّامُ بْنُ سَلْمٍ. وَيُقَالُ: ابْنُ سُلَيْمٍ. وَيُقَالُ ابْنُ سُلَيْمَانَ. وَالْأَوَّلُ أَصَحُّ، التَّمِيمِيُّ السَّعْدِيُّ الطَّوِيلُ. يُرْوَى عَنْ جَعْفَرٍ الصَّادِقِ، وَحُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، وَزَيْدٍ الْعَمِّيِّ وَجَمَاعَةٍ، وَعَنْهُ جَمَاعَةٌ أَيْضًا مِنْهُمْ ; أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، وَأَسَدُ بْنُ مُوسَى، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْبَزَّارُ، وَعَلِيُّ بْنُ الْجَعْدِ، وَقَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ. وَقَدْ ضَعَّفَهُ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَيَحْيَى بْنُ مَعِينٍ، وَالْبُخَارِيُّ، وَأَبُو حَاتِمٍ، وَأَبُو زُرْعَةَ، وَالْجُوزَجَانِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ، وَكَذَّبَهُ بَعْضُ الْأَئِمَّةِ، وَتَرَكَهُ آخَرُونَ.
لَكِنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ بِهَذَا السِّيَاقِ بِطُولِهِ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ مِنْ غَيْرِ طَرِيقِ سَلَّامٍ هَذَا، فَقَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْأَحْمَسِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُحَارِبِيُّ، عَنِ ابْنِ الْأَصْبَهَانِيِّ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَنْ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِطُولِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبَزَّارُ: وَقَدْ رَوَى هَذَا عَنْ مُرَّةَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ بِأَسَانِيدَ مُتَقَارِبَةٍ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْأَصْبَهَانِيِّ لَمْ يَسْمَعْ هَذَا مِنْ مُرَّةَ، وَإِنَّمَا هُوَ عَمَّنْ أَخْبَرَهُ عَنْ مُرَّةَ، وَلَا أَعْلَمُ أَحَدًا رَوَاهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ غَيْرَ مُرَّةَ.