আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

ذكر اعتراف سعد بن عبادة بصحة ما قاله الصديق يوم السقيفة

পৃষ্ঠা - ৪২২৫

সাকীফা (মজলিস ঘরেজমায়েত) দিবসে আবু বকর
সিদ্দীক (রা) এর ভাষণের যথার্থতা সম্পর্কে
সাদ ইবন উবাদা (রা) এর স্বীকৃতি

ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, আফ্ফান (র) হুমায়দ ইবন আবদুর রহমান (বা) হতে, তিনি
বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত হয়ে গেল ৷ তখন আবু বকর (বা) ছিলেন তীর মদীনায়
(সুনৃহ মহল্লার গ্রীষ্ম) নিবাসে ৷ বর্ণনাকায়ী বলেন, তিনি এসে তার চেহারা অনাবৃত করে তাতে
চুমু খেলেন এবং বললেন, আমার মা-বাপ আপনার জন্য উৎসর্পিতা জীবনে ও মরণে আপনি
কতই না সুরভিতা কাবার মালিকের কলম! মুহাম্মদ (সা) ওফাত বরণ করেছেন (পুর্ণ হাদীস
উল্লেখ করেছেন) : বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আবু বকর ও উমর (রা) দ্রুত গতিতে পথ চলে
তাদের (আনসার) কাছে পৌছলেন এবং আবু বকর (রা) কথা বললেন ৷ তার বক্তব্যে তিনি
আনসারদের প্রশংসায় নাযিলকৃত কুরআনের কোন আয়াত এবং এ বিষয়ে রাসুলুল্লাহ (না)-এর
কোনও বাণীই তিনি বাদ দিলেন না ৷ তিনি একথাও বললেন, আপনারা অবশ্যই অবগত
রয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন,

দ্বু

“লোকেরা যদি একটি উপত্যকা দিয়ে চলে, আর আনসাররা অন্য একটি উপত্যকা দিয়ে
চলে তবে আমি (অবশ্যই) আনসারীদের পথ ধরে চলব ৷” (তিনি আরো বললেন) আর হে
সাদ আপনি ভাল করেই জানেন যে রড়াসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, আপনিও তখন (মজলিসে)
উপবিষ্ট ছিলেন-

শ্ণ্গ্র-?গ্র ৫এ ণ্গ্রা-পৌ-’এ ণ্ফো ¢é! তাংগ্রাএ শু )গ্রা শ্রু গ্রেএ ঘে£১ৰু

“কুরায়শ গোত্র এ দীনের (নেতৃতু) বিষয়টির যোগ্য পাত্র; সুতরাং মানব সমাজের ভাল
লোকেরা এ (কুরায়শী)-দের ভালদের অনুপামী আর মন্দ লোকেরা এদের মন্দদের অনুগাঘী ৷
ওখন সাদ (রা) বললেন, যথার্থ বলেছেন, আপনারা আমীর (খলীফা) , আমরা উযীব
(সহযোগী ও শুভানুধ্যায়ী) ৷ ইমাম আহ্মদ (র) আরো বলেন, আলী ইবন আব্বাস (র)যা-
তুসৃ সালাসিল গাঘৃওয়ায় আবু বকর (রা)-এর সহযোদ্ধা রাফি আত-তাঈ (বা) হতে, তিনি
বলেন,-আমি তাদের বড়ায়আত সম্পর্কে কথিত বক্তব্য সম্বন্ধে র্তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম-
তখন আনসাররা যা বলাবলি করেছিল এবং তিনি তাদের সামনে যে কথা বলেছিলেন এবং
উমর (রা) আনসারদের জবাবে যা বলেছিলেন আমাকে এ সবের আগাগােড়া বিবরণ শুনিয়ে
তিনি বললেন যে, রাসুলুল্লাহ (না)-এর অসুস্থতা কালে র্তার নির্দেশে তাদের সকলের সালাতে
আমার ইমাম হওয়ার কথাও উমর (রা) উল্লেখ করলেন ৷ তখন তারা আমার হাতে বড়ায়আত
করল এবং আমিও তাদের বড়ায়আত গ্রহণ করলাম ৷ কারণ, আমার আশংকা হচ্ছিল যে, (তা
না করলে) পরে কোন ভয়াবহ বিশৃৎখলা ও ধর্মত্যাগের ফিতনা দেখা দিতে পারে ৷ ” এটি

ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র ওে র্নো০ ওেতাে

[ذِكْرُ اعْتِرَافِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ بِصِحَّةِ مَا قَالَهُ الصِّدِّيقُ يَوْمَ السَّقِيفَةِ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَوْدِيِّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فِي طَائِفَةٍ مِنَ الْمَدِينَةِ. قَالَ: فَجَاءَ فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ فَقَبَّلَهُ وَقَالَ: فِدًى لَكَ أَبِي وَأُمِّي، مَا أَطْيَبَكَ حَيًّا وَمَيِّتًا، مَاتَ مُحَمَّدٌ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يَتَقَاوَدَانِ حَتَّى أَتَوْهُمْ، فَتَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ، فَلَمْ يَتْرُكْ شَيْئًا أُنْزِلَ فِي الْأَنْصَارِ وَلَا ذَكَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ شَأْنِهِمْ إِلَّا ذَكَرَهُ، وَقَالَ: لَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «لَوْ سَلَكَ النَّاسُ وَادِيًا، وَسَلَكَتِ الْأَنْصَارُ وَادِيًا، سَلَكْتُ وَادِيَ الْأَنْصَارِ» وَلَقِدْ عَلِمْتَ يَا سَعْدُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَأَنْتَ قَاعِدٌ: «قُرَيْشٌ وُلَاةُ هَذَا الْأَمْرِ، فَبَرُّ النَّاسِ تَبَعٌ لِبَرِّهِمْ، وَفَاجِرُهُمْ تَبَعٌ لِفَاجِرِهِمْ» فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ: صَدَقْتَ نَحْنُ الْوُزَرَاءُ وَأَنْتُمُ الْأُمَرَاءُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَخْبَرَنِي يَزِيدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ ذِي عَصْوَانَ الْعَبْسِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪২২৬


একটি সরল ও বেশ উত্তম সনদ ৷ এর মর্মার্থ হল, আবু বকর (রা) নেতৃতৃ গ্রহণে সম্মত
হয়েছিলেন শুধু এ আশংক্যয় যে তা গ্রহণ করার অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের ফলে কোন বড় ধরনের
ফিতনা ও জাতীয় দুর্যোগ মাথড়াচাড়া দিয়ে উঠতে পারে (আল্লাহ তার প্ৰতি তুষ্ট থাকুন এবং
তাকেও তুষ্ট করুন) ৷

গ্রস্থকারের মন্তব্য : এটা ছিল সােমবারে দিন শেষের ঘটনা ৷ পরের দিন মংগল বারের
সকাল হলে লোকেরা মসজিদে সমবেত হল এবং ঘুহাজির আনসার নির্বিশেষে সকলে
ৰায়আত গ্রহণ করলেন ৷ এ সবই হয়েছিল রাসুলুল্লাহ (না)-এর কড়াফন-দাফনের আগে ৷
বুখারী (র) বলেন, ইব্রাহীম ইবন মুসা (র)আনাস ইবন মালিক (রা) বলেন যে, তিনি
উমর (রা)-এর শেষ বক্তৃতাটি শুনেছিলেন, যখন তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাতের পরবর্তী
দিন মিম্বরে বলেছিলেন ৷ আবু বকর (রা) তখন নিরব-নির্বাক বসে ছিলেন ৷ উমর (রা)
বললেন, আমার আশা ছিল রাসুলুল্লাহ (না) আমাদের মাঝে অবস্থান করে আমাদের তত্ত্ববধান
ও পরিচালনা করবেন-অর্থাৎ তিনি বুঝাতে চাচ্ছিলেন যে, তিনি (নবী সা)-ই হবেন র্তাদের
সর্ব শেষ ব্যক্তি ৷ (তিনি বলে চললেন) এখন যদি মুহাম্মদ (সা) ইনতিকাল করে থাকেন, তবে
আল্লাহ তো আপনাদের মাঝে এমন একটি নুর রেখে দিয়েছেন যা দিয়ে আপনারা হিদায়তের
পথে বিদ্যমান থাকতে পারেন ৷ আল্লাহ্ সে নুর দিয়েই মুহাম্মদ (না)-কে হিদায়তের পথে
পরিচালিত করেছিলেন ৷ আর আবু বকর আল্লাহর রাসুলের সৎগী ও সাহাবী; (ছাত্তর গুহার)
দু’জনের দ্বিতীয় জন (অতএব, রাসুল (না)-এর ঘনিষ্ঠ ও একন্তি সহচর) এবং আপনাদের
জাতীয় বিষয়াবলীতে মুসলমানদের মাঝে তিনিই অগ্রণী ও শ্রেষ্ঠ ৷ সুতরাং এগিয়ে আসুন এবং
তীর হাতে বায়আত করুন ৷ এক দল লোক ইভােপুর্বেই বনু সাঈদার মজলিস ঘরে তার হাতে
ৰায়আত হয়েছিলেন ৷ আর এ সর্বব্যাপী বড়ায়আত হচ্ছিল মিম্বরের উপরে ৷

যুহ্রী (র) বলেছেন, আনাস ইবন মালিক (বা) হতে তিনি বলেন, ঐ দিন আমি আবু
বকরকে উদ্দেশ্য করে উমরকে বলতে শ্যুনছিমিম্ববে উঠে বলুন ! তার মিম্বরে না ওঠা পর্যন্ত
তিনি এভাবেই বলতে থাকলেন ৷ তখন উপস্থিত জনতা সকলেই তার হাতে বায়আত্ত করলেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, যুহরী (র)-আনাস ইবন মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন
যে, তিনি বলেন, (বনু সাঈদার) মজলিস ঘরে ৰায়আত অনুষ্ঠানের পরের দিন আবু বকর
(রা) মিম্ববে আসন গ্রহণ করলেন এবং আবু বকরের আগে উমর (রা) দাড়িয়ে কথা বললেন ৷
তিনি আল্লাহর শানে যথোপযােগী হামদ ও ছানা পাঠ করার পর বললেন, লোক সকল! আমি
গতকাল আপনাদের সামনে এমন কিছু কথা বলেছিলাম তা যাই হোক-তা যথার্থ ছিলনা, সে
কথা আমি আল্লাহর কিতাবেও পাইনি, এবং তা এমন কোন অংপীকারও ছিল না যা রাসুলুল্লাহ
(সা) আমাকে বলে গিয়েছিলেন ৷ বরং আমি ভাবতাম যে, রাসুলুল্লাহ (না)-ই আমাদের
পরিচালনা করতে থাকবেন র্তার এ কথার উদ্দেশ্য ছিল, তিনিই হবেন আমাদের শেষ ব্যক্তি ৷
আল্লাহর কসম ! তিনি আপনাদের মাঝে তার যে কিতাব রেখে গিয়েছেন যা দিয়ে আল্লাহর
রাসুল (সা) হিদায়ত প্রাপ্ত হয়ে হিদায়ত বিস্তার করেছিলেন ৷ এখন আপনারা তা আকড়ে ধরে
থাকলে আল্লাহ আপনাদের হিদায়াত নসীব করবেন, যেভাবে আল্লাহ্ ঐ কিতাবকে নবীর জন্য
আলোক বর্ডিংগ বানিয়েছিলেন ৷ এখন আল্লাহ আপনাদের সংহত করেছেন এবং নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব
আপনাদের মধ্যকার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির হাতে সমর্থিত করেছেন, যিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর সহচর এবং


عُمَيْرٍ اللَّخْمِيِّ، عَنْ رَافِعٍ الطَّائِيِّ رَفِيقِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فِي غَزْوَةِ ذَاتِ السَّلَاسِلِ قَالَ: وَسَأَلْتُهُ عَمَّا قِيلَ فِي بَيْعَتِهِمْ، فَقَالَ وَهُوَ يُحَدِّثُهُ عَمَّا تَقَاوَلَتْ بِهِ الْأَنْصَارُ، وَمَا كَلَّمَهُمْ بِهِ، وَمَا كَلَّمَ بِهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْأَنْصَارَ، وَمَا ذَكَّرَهُمْ بِهِ مِنْ إِمَامَتِي إِيَّاهُمْ بِأَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَرَضِهِ، فَبَايَعُونِي لِذَلِكَ وَقَبِلْتُهَا مِنْهُمْ، وَتَخَوَّفْتُ أَنْ تَكُونَ فِتْنَةٌ بَعْدَهَا رِدَّةٌ، وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ. وَمَعْنَى هَذَا أَنَّهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِنَّمَا قَبِلَ الْإِمَامَةَ ; تَخَوُّفًا أَنْ تَقَعَ فِتْنَةٌ أَرْبَى مِنْ تَرْكِهِ قَبُولَهَا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. قُلْتُ: كَانَ هَذَا فِي بَقِيَّةِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ صَبِيحَةَ يَوْمِ الثُّلَاثَاءِ اجْتَمَعَ النَّاسُ فِي الْمَسْجِدِ فَتُمِّمَتِ الْبَيْعَةُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ قَاطِبَةً، وَكَانَ ذَلِكَ قَبْلَ تَجْهِيزِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَسْلِيمًا كَثِيرًا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى ثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّهُ سَمِعَ خُطْبَةَ عُمَرَ الْأَخِيرَةَ حِينَ جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَذَلِكَ الْغَدُ مِنْ يَوْمِ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ صَامِتٌ لَا يَتَكَلَّمُ. قَالَ: كُنْتُ أَرْجُو أَنْ يَعِيشَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى يَدْبُرَنَا - يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنْ يَكُونَ آخِرَهُمْ - فَإِنْ يَكُ مُحَمَّدٌ قَدْ مَاتَ فَإِنَّ اللَّهَ قَدْ جَعَلَ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ نُورًا تَهْتَدُونَ بِهِ، بِهِ هَدَى اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنَّ أَبَا بَكْرٍ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَثَانِيَ اثْنَيْنِ، وَإِنَّهُ أَوْلَى النَّاسِ بِأُمُورِكُمْ، فَقُومُوا فَبَايِعُوهُ. وَكَانَتْ طَائِفَةٌ قَدْ بَايَعُوهُ قَبْلَ ذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৪২২৭


পুহায় অবস্থান কালে দুজনের দ্বিতীয় জন (অর্থাৎ একান্ত ঘনিষ্ট জন) ৷ তাই, উঠুন এবং তীর
আনুগত্যের শপথ নিয়ে তার হাতে বায়আত করুন ৷” উমর (রা)-এর এ বক্তৃতার পরে লোকেরা
(গত দিনের) মজলিস ঘরের বায়আতের পরবর্তী ব্যাপক বায়আত করল ৷ তারপর আবু বকর
(বা) তার বক্তব্য পেশ করলেন ৷ তিনিও আল্লাহ পাকের শানে যথােপযোগী হামৃদ ও ছান৷ পাঠ
করার পরে বললেন, এরপর লোক সকল !

১এ শুএে

খু৷ ওা৷ এপ্লু পেন্ ১াৰু১া৷ ণ্,দ্বু ব্লু১ষ্ ঞা প্াট্রে :৷ এে৷ @ ১১৷ ত্বেমু১ থাঃ ৰু£ৰুব্র ঞব্রা৷,

ঝা ড্রুা )ধ্দ্বু

“আমাকে তোমাদের উপরে কতৃতু দেয়৷ হয়েছে অথচ আমি তোমাদের মাঝে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি
নই! যদি আমি ভাল করি তবে তোমরা আমার সহযোগিতা করবে ৷ আর মন্দ করলে আমাকে
সোজা করে দিবে! সত্যবাদিত৷ হচ্ছে আমানত ও বিশ্বস্ত৩ ৷; মিথ্যাচার হচ্ছে খিয়ানত ও বিশ্বাস
ভৎগ ৷ তোমাদের মাঝের দুর্বল ব্যক্তি আমার কাছে সরল, যতক্ষণ, না তার দুর্বলত৷ ও সমস্যার
সমাধান করে দেই ইনশাআল্লাহ! আর তোমাদের মাঝের সরল ব্যক্তি আমার কাছে দুর্বল,
যতক্ষণ না তার নিকট হতে আমি হক ও প্রাপ্য উসুল করে দেই-ইনশাআল্লাহ! যখনই কোন
জাতি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা বর্জন করে তখনই আল্লাহ্ তাদের জন্য অপমান-লাঞ্চণা
অবধারিত করে দেন ৷ এবং কোন জাতি অশ্লীলতার বিস্তার যটালে আল্লাহ্ তাদেরকে ব্যাপক
দুর্যোগ ও মাহাবিপদে অবশ্যই আক্রান্ত করেন ৷ আমি যতক্ষণ আল্লাহ এবং তার রাসুলের
আনুগত্য করব তোমরা সে পর্যতই আমার অনুগত থাকবে ৷ আর যদি আমি আল্লাহ এবং তার
রাসুলের অবাধ্যত৷ করি তা হলে তোমাদের জন্য আমার আনুগত্যের অধিক৷ ৷র থাকবে না ৷ ”

অবধারিত করে দেন ৷ এবং কোন জা ৩অশ্লীল৩ ৷র বিস্তার যটালে আল্লাহ তাদের কে ব্যাপক
দুর্যোগ ও মাহাবিপদে অবশ্যই আক্রান্ত করেন ৷ আমি যতক্ষন আল্লাহ্ এবং তার রাসুলের
আনুগত্য করব তোমরা সে পর্যতই আমার অনুগত থাকবে ৷ আর যদি আমি আল্লাহ এবং তার
রাসুলের অবাধ্যত৷ করি তা হলে তোমাদের জন্য আমার আনুগত্যের থাকবে না ৷

এবার সালাতের জন্য উঠ!অ আল্লাহ তোমাদের রহম করুন এটি একটি বিশুদ্ধ সনদ ৷ তবে
আমাকে তো মাদের কর্তৃতৃ দেয়৷ হয়েছে অথচ আ ৷মি তোম রুাদর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি নই” আ বু বকরের এ
উক্তিতে রয়েছে তার স্বভাবজাত বিনয় ও শিষ্টাচারের প্রকাশ ৷ অন্যথায় তিনিই যে সাহাবীকুলের
শ্রেষ্ঠ ও মহত্তম ব্যক্তি ছিলেন যে বিষয়টি সর্বজন স্বীকৃত ৷

হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, হাফিযুল হাদীস আবুল হাসান আলী ইবন মুহাম্মদ আলু
ইসৃফরাঈনী (র) আবু সাঈদ খুদ্রী (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর ওফাত হয়ে গেলে লোকেরা সাদ ইবন উবাদ৷ (রা) এর বাড়ীতে সমবেত হল ৷ র্তাদের
মাঝে আবু বকর ও উমর (রা)-ও ছিলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আনসারীদের খভীব দাড়িয়ে
বললেন, আপনারা কি অবগত নন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন মুহাজিরদের অন্তর্ভুক্ত, সুতরাং


فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، وَكَانَتْ بَيْعَةُ الْعَامَّةِ عَلَى الْمِنْبَرِ. قَالَ الزُّهْرِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ سَمِعْتُ عُمَرَ يَقُولُ يَوْمَئِذٍ لِأَبِي بَكْرٍ: اصْعَدِ الْمِنْبَرَ. فَلَمْ يَزَلْ بِهِ حَتَّى صَعِدَ الْمِنْبَرَ، فَبَايَعَهُ النَّاسُ عَامَّةً. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: لَمَّا بُويِعَ أَبُو بَكْرٍ فِي السَّقِيفَةِ، وَكَانَ الْغَدُ جَلَسَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى الْمِنْبَرِ، وَقَامَ عُمَرُ فَتَكَلَّمَ قَبْلَ أَبِي بَكْرٍ فَحَمِدَ اللَّهِ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ كُنْتُ قُلْتُ لَكُمْ بِالْأَمْسِ مَقَالَةً مَا كَانَتْ مِمَّا وَجَدْتُهَا فِي كِتَابِ اللَّهِ، وَلَا كَانَتْ عَهْدًا عَهِدَهُ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنِّي كُنْتُ أَرَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ سَيَدْبُرُ أَمْرَنَا - يَقُولُ: يَكُونُ آخِرَنَا - وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَبْقَى فِيكُمْ كِتَابَهُ الَّذِي بِهِ هَدَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ هَدَاكُمُ اللَّهُ لِمَا كَانَ هَدَاهُ لَهُ، وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ جَمَعَ أَمْرَكُمْ عَلَى خَيْرِكُمْ ; صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ فَقُومُوا فَبَايِعُوهُ. فَبَايَعَ النَّاسُ أَبَا بَكْرٍ بَيْعَةَ الْعَامَّةِ بَعْدَ بَيْعَةِ السَّقِيفَةِ، ثُمَّ تَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ: أَمَّا بَعْدُ أَيُّهَا النَّاسُ فَإِنِّي قَدْ وُلِّيتُ عَلَيْكُمْ وَلَسْتُ بِخَيْرِكُمْ، فَإِنْ أَحْسَنْتُ فَأَعِينُونِي، وَإِنْ أَسَأْتُ فَقَوِّمُونِي، الصِّدْقُ أَمَانَةٌ وَالْكَذِبُ خِيَانَةٌ، وَالضَّعِيفُ فِيكُمْ قَوِيٌّ عِنْدِي حَتَّى أُرِيحَ عَلَيْهِ حَقَّهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَالْقَوِيُّ فِيكُمْ ضَعِيفٌ حَتَّى آخُذَ الْحَقَّ مِنْهُ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، لَا يَدْعُ قَوْمٌ الْجِهَادَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلَّا ضَرَبَهُمُ اللَّهُ بِالذُّلِّ، وَلَا تَشِيعُ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ إِلَّا عَمَّهُمُ اللَّهُ بِالْبَلَاءِ، أَطِيعُونِي مَا أَطَعْتُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ، فَإِذَا عَصَيْتُ اللَّهَ
পৃষ্ঠা - ৪২২৮
وَرَسُولَهُ فَلَا طَاعَةَ لِي عَلَيْكُمْ، قُومُوا إِلَى صَلَاتِكُمْ يَرْحَمْكُمُ اللَّهُ. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ فَقَوْلُهُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: وَلِيتُكُمْ وَلَسْتُ بِخَيْرِكُمْ. مِنْ بَابِ الْهَضْمِ وَالتَّوَاضُعِ، فَإِنَّهُمْ مُجْمِعُونَ عَلَى أَنَّهُ أَفْضَلُهُمْ وَخَيْرُهُمْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ. وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ الْحَافِظُ الْإِسْفَرَايِينِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَلِيٍّ الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا بُنْدَارُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاجْتَمَعَ النَّاسُ فِي دَارِ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ وَفِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ. قَالَ: فَقَامَ خَطِيبُ الْأَنْصَارِ فَقَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَخَلِيفَتُهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ، وَنَحْنُ كُنَّا أَنْصَارَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَنَحْنُ أَنْصَارُ خَلِيفَتِهِ كَمَا كُنَّا أَنْصَارَهُ. قَالَ: فَقَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَقَالَ: صَدَقَ قَائِلُكُمْ. أَمَا لَوْ قُلْتُمْ غَيْرَ هَذَا لَمْ نُتَابِعْكُمْ. وَأَخَذَ بِيَدِ أَبِي بَكْرٍ وَقَالَ: هَذَا صَاحِبُكُمْ فَبَايِعُوهُ. فَبَايَعَهُ عُمَرُ، وَبَايَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ. قَالَ: فَصَعِدَ أَبُو بَكْرٍ الْمِنْبَرَ، فَنَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَلَمْ يَرَ الزُّبَيْرَ. قَالَ: فَدَعَا بِالزُّبَيْرِ فَجَاءَ، فَقَالَ: قُلْتُ: ابْنُ عَمَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحَوَارِيُّهُ، أَرَدْتَ أَنْ تَشُقَّ عَصَا الْمُسْلِمِينَ؟ ! فَقَالَ: لَا تَثْرِيبَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ
পৃষ্ঠা - ৪২২৯


তার খলীফা ও স্থলভিষিক্তও হবেন যুহাজিরদের একজন ৷ আমরা ছিলাম আল্লাহর রাসুলের
আনসার ও সাহায্যকারী; সুতরাং আমরা এখনও তার খলীফার সাহায্যকারী থাকর, যেমন করে
আমরা তার সাহায্যকারী ছিলাম “বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় উমর (রা) দাড়িয়ে বললেন,
আপনাদের মুখপাত্র যথার্থই বলেছেন, তবে যদি আপনারা এর চাইতে অন্য কিছু বলে বসতেন
তবে আমরা আপনাদের হাতে বায়আেত হতাম না ৷ এ কথা বলে তিনি আবু বকরের হাত তুলে
ধরে বললেন, ইনিই আপনাদের নেতা, তার হাতে বায়আত করুন! তখন উমর (বা) তার হাতে
বায়আত করলেন এবং মুহাজির-আনসারগণও তার হাতে বায়আত হলেন ৷ বর্ণনাকাৰী বলেন,
তখন আবু বকর (রা) মিম্বরে উঠে বললেন এবং উপস্থিত জনতার দিকে দৃষ্টিপাত করে যুৰায়র
(রা) কে দেখতে পেলেন না ৷

বর্ণনাকারী বলেন, তখন তিনি যুবায়র-এর নাম ধরে ডাকলেন ৷ তিনি এসে গেলে বললেন,
“ভাবলড়াম, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ফুফাত ভাই এবং তার হাওয়ারী’ , নিঃস্বার্থ নিবেদিত প্রাণ
সহযোগী; তা আপনি কি মুসলমানদের ঐক্যে ফটিল সৃষ্টির সুচনা করতে যাচ্ছেন? তিনি বললেন,
আল্লাহর রাসুলের খলীফা ! না কোন সমস্যা ও আপত্তি নেই ! তখন তিনিও দাড়িয়ে বায়আত গ্রহণ
করলেন ৷ পরে আবু বকর (রা) আবার জনতার মাঝে দৃষ্টি ঘুরিয়ে আলী (রা)-কে দেখতে
পেলেন না ৷ তাই আলী ইবন আবু তালিব (রা)-এর নাম ধরে তিনি ডাকলেন ৷ তিনি এসে
গেলে বললেন, আমি ভাবছিলাম, রড়াসুলুল্লাহ্ (না) এর চড়াচাত ভাই ও তার প্রিয়তমা কন্যা সুত্রে
তার জড়ামড়াতা; আপনি মুসলমানদের ঐক্যে ফটিল ধরাতে যাচ্ছেন? তিনি বললেন, আল্লাহ্র
রাসুল (সা) এর খলীফা ! কোন অভিযোগ নেই ! পরে তিনিও বায়আত করলেন ৷ হাদীসটি
অনুরুপ কিত্বা এর সমর্থক ৷ আবু আলী আলু হাফিজ (র) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
ইবন খুযায়মা (র)-কে আমি বলতে শুনেছি, মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ আমার কাছে এসে এ
হাদীসটি জিজ্ঞাসা করলে আমি তার জন্য এটি একটি চিরকুটে লিখে দিলাম এবং তাকে পড়ে
শুনিয়ে দিলাম ৷ এ হাদীসটি একটি উটের কিংবা এক থলে মুদ্রার সমমুল্যের ৷ বায়হাকী (র)-ও
ভিন্ন সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে তিনি আনসড়াবী মুখ পাত্রের বক্তব্যের জবাব
দানকারী রুপে উমর (রা)-এর স্থানে আবু বকর (রা)-এর নাম উল্লেখ করেছেন ৷ তাতে আরো
রয়েছে যে, যায়দ ইবন ছাবিত (বা) আবু বকর (বা) এর হাত ধরে বললেন, ইনিই আপনাদের
যােগ্যতম নেতা; সুতরাং তার হাতে বায়আত করুন ৷ তারপর তারা রওয়ানা করলেন
(মসজিদের দিকে) এবং আবু বকর (রা) মিম্বরে উঠে বললে জনতার দিকে তাকিয়ে আলী
(রা)-কে দেখতে না পেয়ে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন ৷ তখন একদল আনসড়াবী লোক উঠে
গিয়ে তাকে নিয়ে আসলেন ৷ তারপর পুবস্থিরুপ উল্লেখ করেছেন এবং আলী (রা)-ও পরে
যুবায়র (রা) এর ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ আলী ইবন আসিম (র)-
ও হাদীসটি আবু সাঈদ খুদরী (বা) হতে পুর্বানুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ সনদটি আবু
সাঈদ সাদ ইবন মালিক ইবন সিনান আল থুদরী (বা) হতে গৃহীত হাদীসের ক্ষেত্রে একটি
ৎরক্ষিত এবং অতি উত্তম সনদ ৷ এতে একটি গুবুতু পুর্ণ তথ্য পাওয়া যায় ৷ তা হল নবী
করীম (সা) এর ওফাংতর প্রথম কিৎবা দ্বিতীয় দিলেই আবু বকর (রা)-এর হাতে আলী ইবন
আবু তালিব (রা) এর বায়আত গ্রহণ ৷ বাস্তব ব্যাপারও তাই কোননা, আলী (রা) কখনোই
আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন নি এবং তার পিছনে কোনও সালাতে


اللَّهِ. فَقَامَ فَبَايَعَهُ ثُمَّ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَلَمْ يَرَ عَلِيًّا فَدَعَا بِعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَجَاءَ. فَقَالَ: قُلْتُ: ابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَتَنُهُ عَلَى ابْنَتِهِ أَرَدْتَ أَنْ تَشُقَّ عَصَا الْمُسْلِمِينَ؟ ! قَالَ: لَا تَثْرِيبَ يَا خَلِيفَةَ رَسُولِ اللَّهِ. فَبَايَعَهُ. هَذَا أَوْ مَعْنَاهُ. قَالَ أَبُو عَلِيٍّ الْحَافِظُ: سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ يَقُولُ: جَاءَنِي مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ، فَسَأَلَنِي عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَكَتَبْتُهُ لَهُ فِي رُقْعَةٍ، وَقَرَأْتُهُ عَلَيْهِ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ يَسْوَى بَدَنَةً، فَقُلْتُ: يَسْوَى بَدَنَةً؟ ! بَلْ يَسْوَى بَدْرَةً. وَقَدْ رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ وَأَبِي مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حَامِدٍ الْمُقْرِئِ، كِلَاهُمَا عَنْ أَبِي الْعَبَّاسِ مُحَمَّدِ بْنِ يَعْقُوبَ الْأَصَمِّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ شَاكِرٍ، عَنْ عَفَّانَ بْنِ سَلْمٍ، عَنْ وُهَيْبٍ بِهِ. وَلَكَنْ ذَكَرَ أَنَّ الصِّدِّيقَ هُوَ الْقَائِلُ لِخَطِيبِ الْأَنْصَارِ بَدَلَ عُمَرَ. وَفِيهِ: أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ أَخَذَ بِيَدِ أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ: هَذَا صَاحِبُكُمْ فَبَايِعُوهُ، ثُمَّ انْطَلَقُوا. فَلَمَّا قَعَدَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى الْمِنْبَرِ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَلَمْ يَرَ عَلِيًّا، فَسَأَلَ عَنْهُ، فَقَامَ نَاسٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَأَتَوْا بِهِ. فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ، ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ الزُّبَيْرِ بَعْدِ عَلِيٍّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنِ الثِّقَةِ، عَنْ وُهَيْبٍ، مُخْتَصَرًا. وَقَدْ رَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৪২৩০


অনুপস্থিত থাকেন নি৷ বিশদ আলোচনা পরে আসছে ৷ রিদ্দা : ( ধর্যত্যাগী বিদ্রোহ) দমন
অভিযানে আবু বকর (রা)-কােষমুক্ত তরবারী নিয়ে অগ্রগামী হলে (দৃঢ় সংকল্পতা দেখালে)
যুল-কাস্সা অভিমুখে আলী (রা)-ও তার সহযোদ্ধা হয়েছিলেন ৷ তবে আবু বকর (রা)-এর
সাথে ফাতিমা (না)-এর মনােমালিন্য দেখা দিলে আলী (রা) নবী তনয়ার খাতিরে
সাময়িকভাবে বাহ্যত সম্পকহীনতার ভাব অবলম্বন করেছিলেন ৷ ঘটনার বিবরণে প্রকাশ
ফাতিমা (রা)-এর ধারণা ছিল যে, তিনি কন্যা হিসাবে রাসুল (না)-এর (ব্যক্তি অধিকারে
সংরক্ষিত খাস ভুমির) মীরাছ পাওয়ার অধিকারীণী ৷ যেহেতু তিনি আবু বকর (রা) কর্তৃক
অবহিত করার পুর্ব পর্যন্ত নবী করীম শ্(সা)-এর এ বাণী সম্পর্কে অবগত ছিলেন না যে, নবী
করীম (সা) বলেছেন ন্এন্ন্এঙুশুক্ট ৷ার্ন্ত;ওত্রুএ গ্নেষ্দ্বু >! “আমরা (নবী-রাসুলরা) মীরাছরুপে কোন
কিছু রেখে যাই না; আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা ৷ “ফাতিমা (বা) তার নিজস্ব ধারণা সুত্রে“
ঘীরাছের অধিকার দাবী করলে আবু বকর (বা) উক্ত সুস্পষ্ঠ ভায্যের জোরে তা প্রদানে
অস্বীকৃত হলেন ৷ ঐ বিধান বলেই নবী করীম (না)-এর স্তীগণ ও তার চাচা (আব্বাস)-কেও
কােনরুপ অধিকার প্রদান এবং মীরাছ প্রদানে অস্বীকৃত হলেন (যথাস্থানে বর্ণনা আছে ৷ তখন
ফাতিমা (রা) খায়বার ও ফড়াদাকে অবস্থিত সাদাকার সম্পত্তিতে (আলী কে) তত্তুাবধায়ক রুপে
দায়িত্ব অর্পণের জন্য আবু বকর (রা)-এর কাছে আবেদন জানালেন ৷ কিন্তু আবু বকর (বা)
তার এ আবেদন গ্রহ্যণ সম্মত হলেন না ৷ র্তার যুক্তি ছিল এই যে, নবী করীম (না) যে সব
দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করতেন এবং তিনি যে সব অধিকার সংরক্ষণ করতেন রাসুলের খলীফা
ও স্থলাভিষিক্তরুপে তার যে সব দায়িত্ব কতর্ব্যও অধিকার রয়েছে (মোট কথা ফাতিমা (রা)-
এর আবেদন, গ্রহণে সম্মত হলেন না) ৷ তিনি এ ক্ষেত্রে ছিলেন সত্য-ন্যায়ের অনুপামী
জনকল্যাণকামীও সততাপরায়ণ পুণ্যবান খলীফা ৷ ফলে ফাতিমা (রা)-এর মনে-যিনি অবশেষে
একজন নারীই এবং যিনি স্বভাবজাত চাহিদাঅনুভুতি দুর্বলতার উচর্ধ্ব নন উস্মা ও অসন্তোষের
সৃষ্টি হল এবং মৃত্যু পর্যন্ত সিদ্দীক (রা)-এর সাথে (পুনরায় কোন আলোচনা) কথাবার্তা বললেন
না ৷ এ সব কারণে আলী (বা) কতকাংশে তার মনোরঞ্জন প্রয়োজনীয় মনে করলেন ৷ নবী
করীম (না)-এর ওফাতের ছয় মাস পরে ফাতিমা (রা)-এর ইনতিকাল হল আলী (রা) আবু
বকর (রা)-এর হাতে বায়আতের নবায়ন সমীচীন মনে করলেন ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের বরাতে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দাফনের পুর্বে আলী (রা)-এর বায়আত ও আনৃষৎগিক বিষয় আমরা
আলোচনা করব ৷ এ ছাড়া মাগাষীতে মুসা ইবন উকবা (র) এর উক্তি উল্লিখিত দাবীর বিশুদ্ধতা
প্ৰমাণে অন্যতম সহায়ক ৷ তিনি বলেছেন, সাদ ইবন ইবরাহীম (র) হতে, এ মর্মে যে,
ইব্রাহীম-এর পিতা আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা) ঘটনার সময় উমর (রা)-এর সঙ্গে
ছিলেন, এবং মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রা) যুবায়র (রা)-এর তরবারী ভেৎগে ফেলেছিলেন ৷
তারপর জনতার উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে আবু বকর (বা) তার বাধ্যবাধকতার কথা বর্ণনা করে
বললেন, “আমি দিবা-রাত্রির কোন মুহুর্তে আমীর পদের প্রতি লালায়িত ছিলাম না এবং
প্রকাশ্যে কিৎবা গোপনে এর জন্য কোন তদবীর বা প্রাথর্নাও করি নি ৷” তখন ঘুহাজিরগণ ৷
তার এ বক্তব্যের স্বীকৃতি দিলেন ৷ ওদিকে আলী ও যুবায়র (রা) বললেন, আমাদের উম্মার
কারণ শুধু এতর্টুকু যে, পরামর্শ ক্ষেত্রে আমাদের পেছনে রাখা হয়েছিল ৷ এবং আমরা বিশ্বাস
করি যে, আবু বকরই এ বিষয়ে সর্বাধিক হকদার ব্যক্তি ৷ কেননা তিনি পুহার (একান্ত) সঙ্গী ৷


نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ مَحْفُوظٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي نَضْرَةَ الْمُنْذِرِ بْنِ مَالِكِ بْنِ قِطْعَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ سَعْدِ بْنِ مَالِكِ بْنِ سِنَانٍ الْخُدْرِيِّ، وَفِيهِ فَائِدَةٌ جَلِيلَةٌ وَهِيَ مُبَايَعَةُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِمَّا فِي أَوَّلِ يَوْمٍ أَوْ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي مِنَ الْوَفَاةِ. وَهَذَا حَقٌّ فَإِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ لَمْ يُفَارِقِ الصِّدِّيقَ فِي وَقْتٍ مِنَ الْأَوْقَاتِ، وَلَمْ يَنْقَطِعْ فِي صَلَاةٍ مِنَ الصَّلَوَاتِ خَلْفَهُ، كَمَا سَنَذْكُرُهُ وَخَرَجَ مَعَهُ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ، لَمَّا خَرَجَ الصِّدِّيقُ شَاهِرًا سَيْفَهُ يُرِيدُ قِتَالَ أَهْلِ الرِّدَّةِ كَمَا سَنُبِيِّنُهُ قَرِيبًا، وَلَكِنْ لَمَّا حَصَلَ مِنْ فَاطِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا عَتْبٌ عَلَى الصِّدِّيقِ بِسَبَبِ مَا كَانَتْ مُتَوَهِّمَةً مِنْ أَنَّهَا تَسْتَحِقُّ مِيرَاثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ تَعْلَمْ بِمَا أَخْبَرَهَا بِهِ الصِّدِّيقُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ قَالَ «لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ» فَحَجَبَهَا وَغَيْرَهَا مِنْ أَزْوَاجِهِ وَعَمَّهُ عَنِ الْمِيرَاثِ بِهَذَا النَّصِّ الصَّرِيحِ، كَمَا سَنُبَيِّنُ ذَلِكَ فِي مَوْضِعِهِ، فَسَأَلَتْهُ أَنْ يَنْظُرَ عَلِيٌّ زَوْجُهَا فِي صَدَقَةِ الْأَرْضِ الَّتِي بِخَيْبَرَ وَفَدَكَ، فَلَمْ يُجِبْهَا إِلَى ذَلِكَ ; لِأَنَّهُ رَأَى أَنَّ حَقًّا عَلَيْهِ أَنْ يَقُومَ فِي جَمِيعِ مَا كَانَ يَتَوَلَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ الصَّادِقُ الْبَارُّ الرَّاشِدُ التَّابِعُ لِلْحَقِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَحَصَلَ لَهَا - وَهِيَ امْرَأَةٌ مِنَ الْبَشَرِ لَيْسَتْ بِوَاجِبَةِ الْعِصْمَةِ - عَتْبٌ وَتَغَضُّبٌ، وَلَمْ تُكَلِّمِ الصِّدِّيقَ حَتَّى مَاتَتْ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَاحْتَاجَ عَلِيٌّ أَنْ يُرَاعِيَ خَاطِرَهَا بَعْضَ الشَّيْءِ، فَلَمَّا مَاتَتْ بَعْدَ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَفَاةِ أَبِيهَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى عَلِيٌّ أَنْ يُجَدِّدَ الْبَيْعَةَ مَعَ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَمَا سَنَذْكُرُهُ مِنْ " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، مَعَ مَا تَقَدَّمَ لَهُ مِنَ الْبَيْعَةِ قَبْلَ دَفْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَيَزِيدُ ذَلِكَ صِحَّةً قَوْلُ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ "،
পৃষ্ঠা - ৪২৩১
عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّ أَبَاهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ كَانَ مَعَ عُمَرَ، وَأَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ كَسَرَ سَيْفَ الزُّبَيْرِ ثُمَّ خَطَبَ أَبُو بَكْرٍ، وَاعْتَذَرَ إِلَى النَّاسِ وَقَالَ: وَاللَّهِ مَا كُنْتُ حَرِيصًا عَلَى الْإِمَارَةِ يَوْمًا وَلَا لَيْلَةً، وَلَا سَأَلْتُهَا اللَّهَ فِي سِرٍّ وَلَا عَلَانِيَةٍ. فَقَبِلَ الْمُهَاجِرُونَ مَقَالَتَهُ، وَقَالَ عَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ: مَا غَضِبْنَا إِلَّا لِأَنَّا أُخِّرْنَا عَنِ الْمَشُورَةِ، وَإِنَّا نَرَى أَنَّ أَبَا بَكْرٍ أَحَقُّ النَّاسِ بِهَا، إِنَّهُ لَصَاحِبُ الْغَارِ وَإِنَّا لَنَعْرِفُ شَرَفَهُ وَخَبَرَهُ، وَلَقَدْ أَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصَّلَاةِ بِالنَّاسِ وَهُوَ حَيٌّ. إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.