আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة إحدى عشرة من الهجرة

فصل في ذكر أمور مهمة وقعت بعد وفاته وقبل دفنه عليه الصلاة والسلام

পৃষ্ঠা - ৪২১৭


ওয়াকিদী ও অন্যান্যরা ওফাত প্ৰসংগে অনেক আজগুবী ও অভিনব বিবরণ দিয়েছেন ৷ আমরা
সেগুলির সনদের দুর্বলতা এবং মুল পাঠের অপ্রামাণ্যতা লক্ষ্য করে তার অধিকাংশই বর্জণ
করাই শ্রেয় মনে করেছি ৷ বিশেষতঃ শেষ যুগের পেশাদার ওয়ায়েজ ওকথকদের উপস্থাপিত
অভিনব ও ঘুখরোচক কাহিনী সমুহ, যার অধিকাংশ্ইি নিঃসন্দেহে জাল ও বানােয়টি ৷ তা ছাড়া
প্রসিদ্ধ গ্রন্থসমুহে বিবৃত সহীহ্ ও হাসান পর্যায়ের হাদীসসমুইে প্রাসংগিক বিশদ বিবরণের জন্য
যথেষ্ট এবং অপরিজ্ঞাত সনদ যুক্ত ও হাদীস নামে প্রচলিত মিথ্যা জাল কথাগুলি দিয়ে গ্রন্থের
কলেবর বৃদ্ধি করার কোন প্রয়োজন কিংবা যৌক্তিকতা নেই ৷ আল্লাহই সম্যক অবগত ৷

রাসুল (না)-এর ওফাতের পরে ও তার দাফনের পুর্বে
সৎঘটিত গুরুত্বপুর্ণ ঘটনাবলী

এ সময়ের ঘটনাবলীর মাঝে সবচাইতে গুরুত্বপুর্ণ ও উল্লেখযোগ্য ইসলাম ও মুসলিম
উম্মাহ্র জন্য সর্বাধিক ররকতপুর্ন ঘটনা হলো আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর হতে বায়আত ও
তীর খিলাফড়াতের প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা ও স্বীকৃতি ৷ এ ঘটনার সুত্র হল, যে দিন রড়াসুলুল্লাহ
(না)-এর ওফাত হল ঠিক যে দিন ভোর বেলায়ই আবু বকর সিদ্দীক (বা) মুসলমানদের ইমাম
হয়ে ফজরের সালাত আদায় করেছিলেন ৷ এ সালাতের সময় রাসুলুল্লাহ (না) তার বিগত
কয়েক দিনের অসুস্থতাজনিত দুর্বলতা ও অচেতনতা হতে সাময়িক সুস্থতা বোধ করেছিলেন
এবং দরযার পর্দা তুলে ধরে আবু বকর (রা)-এর পিছনে সারিবদ্ধ হয়ে সালাত আদায়রত
মুসলমানদের প্রত্যক্ষ করে তিনি আনন্দিত হয়েছিলেন এবং তার চেহারা অনড়াবিল হাসিতে
উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল ৷ এমন কি মুসলমান যুসল্লীবৃন্দ তাদের প্রিয়তম নবীর সুস্থতা দর্শনের
আনন্দাতিশয্যে তাদের সালাতে থাকার কথা ভুলে যেতে বলেছিলেন এমন কি সালাত ছেড়ে
দিয়ে ছুটে আসার উপক্রম করছিলেন এবং আবু বকর (বা) নিজেও নবী করীম (না)-এর
আগমন সম্ভাবনার ইমামের স্থান ছেড়ে দিয়ে পিছনে যুকতাদীর সারিতে শামিল হতে উদ্যত
হয়েছিলেন, তখন নবী করীম (সা) তাদের নিজ নিজ অবস্থার’ থাকার ইংগিত করে পর্দা
ঝুলিয়ে দিলেন এবং এটাই ছিল নবী করীম (সা)কে মুসলমানদের শেষ দর্শন ৷ আবু বকর
(বা) সালাত শেষে নবী করীম (না)-এর কাছে গেলেন এবং আইশা (রা)কে বললেন
রাসুলুল্লাহ (না)-এর অসুস্থতা কম হতে চলেছে দেখছি ৷ আর আজ ৰিনত খারিজার (আবু বকর
(রা)-এর দু’শ্ৰীর একজন যিনি মদীনায় পুর্ব প্রান্তে অবস্থিত সৃনহ্ মহল্লায় বসবাস করতেন)
পালার দিন (তাই সেখান থেকে ঘুরে আসি) ৷ সুতরাং তিনি ঘোড়ার চড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে
রওয়ানা হলেন ৷ ওদিকে রাসুলুল্পাহ (সা)-এর ওফাত হয়ে গেল সে দিনই প্রথম প্রহরের শেষ
দিকে, মতাম্ভরে দুপুরের সময় ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

তার ওফাতের পর সাহারা-ই কিরামের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিল ৷ কেউ বললেন,
বড়াসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেছেন, কেউ বলছিলেন, ইনতিকাল করেন নি ৷ তখন সালিম
ইবন উবারদ (রা) সুনৃহে সিদ্দীক (রা)-এর কাছে গিয়ে র্তাকে রাসুলুল্লাহ (সা)এর ওফাত
সম্পর্কে অবহিত করলেন ৷ সিদ্দীক (রা) খবর পাওয়া মাত্র তার বাড়ি হতে রওয়ানা করে এনে
রাসুলুল্লাহ (না)-এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং তার ঢেহারার আবরণ উন্মুক্ত করে তাকে চুমু


[فَصْلٌ فِي ذِكْرِ أُمُورٍ مُهِمَّةٍ وَقَعَتْ بَعْدَ وَفَاتِهِ وَقَبْلَ دَفْنِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] وَمِنْ أَعْظَمِهَا وَأَجَلِّهَا وَأَيْمَنِهَا بَرَكَةً عَلَى الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ بَيْعَةُ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَذَلِكَ لِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمَّا مَاتَ كَانَ الصِّدِّيقُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَدْ صَلَّى بِالْمُسْلِمِينَ صَلَاةَ الصُّبْحِ، وَكَانَ إِذْ ذَاكَ قَدْ أَفَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِفَاقَةً مِنْ غَمْرَةِ مَا كَانَ فِيهِ مِنَ الْوَجَعِ، وَكَشَفَ سِتْرَ الْحُجْرَةِ، وَنَظَرَ إِلَى الْمُسْلِمِينَ وَهُمْ صُفُوفٌ فِي الصَّلَاةِ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ، فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ وَتَبَسَّمَ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، حَتَّى هَمَّ الْمُسْلِمُونَ أَنْ يَتْرُكُوا مَا هُمْ فِيهِ مِنَ الصَّلَاةِ ; لِفَرَحِهِمْ بِهِ، وَحَتَّى أَرَادَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَتَأَخَّرَ ; لِيَصِلَ الصَّفَّ، فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنْ يَمْكُثُوا كَمَا هُمْ، وَأَرْخَى السِّتَارَةَ، وَكَانَ آخِرَ الْعَهْدِ بِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَلَمَّا انْصَرَفَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنَ الصَّلَاةِ دَخَلَ عَلَيْهِ، وَقَالَ لِعَائِشَةَ: مَا أَرَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا قَدْ أَقْلَعَ عَنْهُ مِنَ الْوَجَعِ، وَهَذَا يَوْمُ بِنْتِ خَارِجَةَ. يَعْنِي إِحْدَى زَوْجَتَيْهِ، وَكَانَتْ سَاكِنَةً بِالسُّنْحِ شَرْقِيِّ الْمَدِينَةِ فَرَكِبَ عَلَى فَرَسٍ لَهُ وَذَهَبَ إِلَى مَنْزِلِهِ، وَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ اشْتَدَّ الضُّحَى مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ. وَقِيلَ: عِنْدَ زَوَالِ الشَّمْسِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ فَلَمَّا مَاتَ وَاخْتَلَفَ الصَّحَابَةُ فِيمَا بَيْنَهُمْ، فَمِنْ قَائِلٍ يَقُولُ: مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِنْ قَائِلٍ: لَمْ يَمُتْ. فَذَهَبَ سَالِمُ بْنُ عُبَيْدٍ وَرَاءَ الصِّدِّيقِ إِلَى السُّنْحِ،
পৃষ্ঠা - ৪২১৮
فَأَعْلَمَهُ بِمَوْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ الصِّدِّيقُ مِنْ مَنْزِلِهِ حِينَ بَلَغَهُ الْخَبَرُ، فَدَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْزِلَهُ وَكَشَفَ الْغِطَاءَ عَنْ وَجْهِهِ وَقَبَّلَهُ، وَتَحَقَّقَ أَنَّهُ قَدْ مَاتَ، فَخَرَجَ إِلَى النَّاسِ فَخَطَبَهُمْ إِلَى جَانِبِ الْمِنْبَرِ، وَبَيَّنَ لَهُمْ وَفَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا قَدَّمْنَا، وَأَزَاحَ الْجِدَالَ، وَأَزَالَ الْإِشْكَالَ، وَرَجَعَ النَّاسُ كُلُّهُمْ إِلَيْهِ، وَبَايَعَهُ فِي الْمَسْجِدِ جَمَاعَةٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَوَقَعَتْ شُبْهَةٌ لِبَعْضِ الْأَنْصَارِ، وَقَامَ فِي أَذْهَانِ بَعْضِهِمْ جَوَازُ اسْتِخْلَافِ خَلِيفَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَتَوَسَّطَ بَعْضُهُمْ بَيْنَ أَنْ يَكُونَ أَمِيرٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَأَمِيرٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، حَتَّى بَيَّنَ لَهُمُ الصِّدِّيقُ أَنَّ الْخِلَافَةَ لَا تَكُونُ إِلَّا فِي قُرَيْشٍ، فَرَجَعُوا إِلَيْهِ، وَأَجْمَعُوا عَلَيْهِ، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ وَنُنَبِّهُ عَلَيْهِ.