سنة إحدى عشرة من الهجرة
فصل في كيفية احتضاره ووفاته عليه الصلاة والسلام
পৃষ্ঠা - ৪১৯৯
ক্ষেত্রে মুকতড়াদিগণ দাড়িয়ে থাকবেন এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বসে পড়া ওয়াজিব ও অনিবার্য হবে; (ঘ)
তবে কেউ কেউ উভয় কুল রক্ষা করে সমন্বয় বিধান করেছেন ৷
তড়ারা বলেছেন, ইমাম বসে বসে সালাত আদায় করার সময় যুক্তড়াদীর জন্য দীড়ানাে
ত্বা বসা উভয়টি জাইয, প্ৰথমােক্ত ৰিধানের কারণে উপবিষ্ট ইমামের পিছনে উপবিষ্ট হয়ে
এবং শেষোক্ত ঘটনার প্রমানে উপৰিষ্ট ইমামের পিছনে দাড়িয়ে সালাত আদায় করা, উভয়
পদ্ধতি বৈধ ও শরীঅড়াত সম্মত ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ভ্র
নবী সাল্লাল্লাহু আলইিহি ওয়াসাল্লামের জীবন সায়াহ্ন ও ওফাত
ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু মুআবিয়া (র) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) হতে, তিনি
বলেন, আমি নবী করীম (না)-এর কাছে গেলাম, তখন তিনি ভীব্রে জ্বরে ভুগছিলেন ; আমি তার
গায়ে হাত বুলালাম এবং বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহা আপনি তো প্রচন্ড জ্বরে ভুগছেন ! তিনি
বললেন, ইশ্, তাই, আমি তোমাদের মত দৃ’জনের জ্বরের প্রচণ্ডতা ভোগ করে থাকি ৷ ” আমি
বললাম তাতে কি আপনার জন্য দ্বিগুণ ছাওয়াব ? তিনি বললেন-
ণ্ত্রা ট্রু১খুব্ ংন্ প্লু ঞ গ্রঠু )শ্১ ক্ট্রএেট্র মোঃ ণ্ৰুএে গ্রছু১ )খুষ্ শুণ্ড্র ¢ : ১প্লু৷ ম্নেণ্ণ্ডড্রুৰু এেশ্রা ব্লু ণ্স্ট্
য়ুৰুদ্বুঞা ওফো৷ ৬১ও
“হী, যার হাতে আমার জীবন তার শপথ! পৃথিবীর বুকে কোনও মুসলমান কোন রোগ
ব্যাধি ইত্যাদিতে আক্রান্ত হয় না, যার দ্বারা আল্লাহ তার গোনড়াহগুলি ঝরিয়ে না দেন ৷ যেমনটি
গাছ তার পাতা ঝরিয়ে দেয় ৷ বুখারী ও মুসলিম (র) হাদীসটি সুলায়মান আলু আমড়াল ইবন
মিহ্রান (র) হতে একাধিক সুত্রে উদ্ধৃত করেছেন ৷ হাফিজ আবু ইয়ালা আল-মাওসিলী (র)
তার মুসনাদে বলেছেন, ইসহাক ইবন আবু ইসরাঈল (জনৈক ব্যক্তি সুত্রে) আবু সাঈদ খুদরী
(বা) হতে, তিনি বলেন, তিনি নিজের হাত নবী করীম (না)-এর পায়ে রাখার পরে বললেন,
আল্লাহর কসম! আপনার জ্বরের প্রচণ্ডতায় আমি তো আপনার গায়ে হাত রাখতে পারছি না ৷ ”
তখন নবী করীম (না) বললেন-
শ্রো
ঠোএ ত্-মিঃন্নী
ংট্ট)ত্রৰু-’ :এ১এশুন্থ ণ্র্চু প্হ্লা-ঠোগু :এ১এশু ঠোএএে
“আমরা নবীগণের জামাআত ৰিপদড়াপদ ও পরীক্ষা আমাদের জন্য দ্বিগুন করা হয়, আবার
ছড়াওয়াবও আমাদের জন্য দ্বিগুণ হয় ৷ কোন নবী উকুন (দ্বার পোকা) ইত্যাদি দিয়ে বিপদগ্রস্ত
হতেন এমন কি তা তার জীবন নাশ করে দিত ৷ কোন নবী তীব্র শীতে বস্ত্রহীনতায় বিপদগ্রস্ত
হয়ে সাবাজুব্বা জড়িয়ে নিতে বাধ্য হতেন ৷ তবুও তারা নিশ্চিতই বিপদ ও পরীক্ষায় আনন্দিত
হতেন যেমন আনন্দিত হতেন সচ্ছলতায় ৷ এ সনদে জনৈক অজ্ঞাত পরিচয় রাবী রয়েছেন,
যার আদৌ কোন পরিচয় পাওয়া যায় নি ৷ আল্লাহ সমাধিক অবগত ৷
বুখারী (র) সুফিয়ান ছাওরী ও শুরা ইবনুল হাজ্জাজ (র) হতে এবং মুসলিম (র) এ দুজন
সহ জারীর (র) হতে (তিনজনই আমড়াশ হতে) (মাসরুক সুত্রে) অইিশা (বা) হতে রিওয়ায়াত
৫ : ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওেড়াড়া
[فَصْلٌ فِي كَيْفِيَّةِ احْتِضَارِهِ وَوَفَاتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ]
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، هُوَ ابْنُ مَسْعُودٍ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُوعَكُ، فَمَسَسْتُهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ لَتُوعَكُ وَعْكًا شَدِيدًا! قَالَ: «أَجَلْ، إِنِّي أُوعَكُ كَمَا يُوعَكُ الرَّجُلَانِ مِنْكُمْ» قُلْتُ: إِنَّ لَكَ أَجْرَيْنِ؟ قَالَ: «نَعَمْ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، مَا عَلَى الْأَرْضِ مُسْلِمٌ يُصِيبُهُ أَذًى مِنْ مَرَضٍ، فَمَا سِوَاهُ إِلَّا حَطَّ اللَّهُ عَنْهُ بِهِ خَطَايَاهُ، كَمَا تَحُطُّ الشَّجَرَةُ وَرَقَهَا» وَقَدْ أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ بِهِ.
وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ، فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ، ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৪২০০
করেছেন, আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর চেয়ে কঠিন ব্যধিতে আক্রান্ত হতে কাউকে
আমি দেখি নি ৷” সহীহ্ বুখারীতে ইয়াযীদ ইবনৃল জাদ (র) আইশা (রা) সনদের হাদীসে
রয়েছে, আইশা (রা) বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) ইনতিকাল করেছেন আমার চিবুক ও কষ্ঠার
মাঝে, সুতরাং (তার মৃত্যু যাতনা প্রত্যক্ষ করার পর) নবী করীম (সা)-এর পরে আর কারো
মৃত্যু-যাতনাকে আমি অপসন্দনীয়তার দৃষ্টিতে দেখব না ৷ সহীহ্ বুখারীর অন্য একটি
রিওয়ায়াতে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন-
প্)ৰুাএ শুএ পৰু১১ং ১১ট্ট মোঃ এে;া১ পে ”$ :াএ
“কঠিনতম বিপদ ও পরীক্ষার সম্মুখীন হন নবীগণ, তারপর পুণ্যবস্ফোণ, ক্রমাম্বয় আদর্শবড়ান
ভাল মানুষ, এ ক্রমধারায় (পরীক্ষা চলে) মানুষ তার দীনদারীর পরিমাণে পরীক্ষার সম্মুখীন ও
বিপদগ্রত হয় ৷ ধর্মপরায়ণতায় কেউ কেউ মযবুত হলে তার পরীক্ষাও কঠিন করা হয় ৷ ইমাম
আহমদ (র) বলেছেন, ইয়াকুব (র) উসামা ইবন যায়দ (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর অসুস্থতা বৃদ্ধি পেলে আমি এবং আমার সাথে অনেক লোক মদীনায় উচু
অঞ্চল হতে (মুল) মদীনায় এসে অবতরণ করলাম এবং রড়াসুলুল্লাহ্ (না) সকাশে উপস্থিত
হলাম ৷ তখন তার জিহ্বা আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছে বিধায় তিনি কথাবার্তা বলতে পারছিলেন না ৷
সুতরাং তিনি নিজের দৃহাত আসমানের দিকে তুলে পুনরায় তা নিজের মুখমণ্ডলের দিকে নামিয়ে
আনছিলেন যাতে আমি বুঝতে পারি যে, তিনি আমার জন্য দুআ করছেন ৷ তিরমিষী (র)
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আবু কুরায়ব সুত্রে এবং মন্তব্য করেছেন, এটি হাসান গারীব ৷
ইমাম মালিক (র) তীর মুআত্তা গ্রন্থে বলেছেন, ইসমাঈল ইবন আবু হার্কীম (র) উমর ইবন
আবদুল আযীয (র)কে বলতে গুনেছেন যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সর্বশ্যেষ যে সব কথা বলেছিলেন
যে সবের মাঝে ছিল তিনি বললেন,
ঞণ্ড্র
“আল্লাহ ইয়াহুদী ও নাসারা ৷দিগকে ধ্বং স করুন! ওরা ওদের নবীগণের সমাধিসমুহকে
সিজদা-স্থলে পরিণত করেছে ৷ আরব ভুমিতে কে ৷ন ৷অবস্থায়ই দুটি ধর্মের অস্তিতৃ থাকবে না ৷
ইমাম মালিক (র) আমীরুল মুমিনীন উমর ইবন আবদুল সাযীয (র) হতে এভাবেই মুরসাল
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ অবশ্য বুখারী ও মুসলিম (র) যুহ্রী (র)-এর হাদীস বরাতে উবায়দুল্লাহ্
ইবন আবদৃল্লাহ্ ইবন উতবার মাধ্যমে আইশা ও ইবন আব্বাস (রা) হতে রিওয়ায়াত করেছেন,
তারা দুজন বলেন ৷ “অসুস্থতা রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে পেয়ে বসলে তিনি তার একটি চাদর টেনে
টোন নিজের মুখের উপরে রাখতে লাপলেন এবং শ্বাস বন্ধ হয়ে আসলে আবার তা চেহারা
থেকে হটিয়ে দিতে লাপলেন ৷ এরকম (অন্থিরতার) অবস্থায় তিনি বললেন,
ম্র৷ ত্রএে
“ইয়াহুদী-বৃস্টানদ্যে! উপর আল্লাহর লানত ওরা ওদের নৰীগণের সমাধিসমুহকে সিজদার
স্থানে পরিণত করেছে ৷ তিনি ওদের কর্মধারার ব্যাপারে (মুসলমানদের) সর্তক করছিলেন ৷
€মাো
سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: وَضَعْتُ يَدِي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: وَاللَّهِ مَا أُطِيقُ أَنْ أَضَعَ يَدِي عَلَيْكَ مِنْ شِدَّةِ حُمَّاكَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّا مَعْشَرَ الْأَنْبِيَاءِ يُضَاعَفُ لَنَا الْبَلَاءُ كَمَا يُضَاعَفُ لَنَا الْأَجْرُ، إِنْ كَانَ النَّبِيُّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ لَيُبْتَلَى بِالْقُمَّلِ حَتَّى يَقْتُلَهُ، وَإِنْ كَانَ الرَّجُلُ لَيُبْتَلَى بِالْعُرْيِ حَتَّى يَأْخُذَ الْعَبَاءَةَ، فَيُجَوِّبُهَا، وَإِنْ كَانُوا لَيَفْرَحُونِ بِالْبَلَاءِ كَمَا تَفْرَحُونَ بِالرَّخَاءِ ".» فِيهِ رَجُلٌ مُبْهَمٌ، لَا يُعْرَفُ بِالْكُلِّيَّةِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَشُعْبَةَ بْنِ الْحَجَّاجِ، زَادَ مُسْلِمٌ: وَجَرِيرٍ، ثَلَاثَتُهُمْ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ الْوَجَعَ عَلَى أَحَدِ أَشَدَّ مِنْهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ حَاقِنَتِي وَذَاقِنَتِي، فَلَا أَكْرَهُ شِدَّةَ الْمَوْتِ لِأَحَدٍ أَبَدًا بَعْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ الَّذِي رَوَاهُ، فِي " صَحِيحِهِ " قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
পৃষ্ঠা - ৪২০১
«أَشَدُّ النَّاسِ بَلَاءً الْأَنْبِيَاءُ، ثُمَّ الصَّالِحُونَ، ثُمَّ الْأَمْثَلُ، فَالْأَمْثَلُ، يُبْتَلَى الرَّجُلُ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ، فَإِنْ كَانَ، فِي دِينِهِ صَلَابَةٌ شُدِّدَ عَلَيْهِ، فِي الْبَلَاءِ.» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، ثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: «لَمَّا ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَبَطْتُ وَهَبَطَ النَّاسُ مَعِي إِلَى الْمَدِينَةِ فَدَخَلْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ أَصْمَتَ، فَلَا يَتَكَلَّمُ، فَجَعَلَ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ يَصُبُّهَا عَلَيَّ، أَعْرِفُ أَنَّهُ يَدْعُو لِي.» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ.
وَقَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ، فِي " مُوَطَّئِهِ " عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ يَقُولُ: كَانَ مِنْ آخِرِ مَا تَكَلَّمَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ قَالَ: «قَاتَلَ اللَّهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى ; اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ، لَا يَبْقَيَنَّ دِينَانِ بِأَرْضِ الْعَرَبِ» هَكَذَا رَوَاهُ مُرْسَلًا، عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، رَحِمَهُ اللَّهُ.
وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪২০২
হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, আবু বকর ইবন আবু রজাে আলু আদীব (র) জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (বা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাতের তিনদিন আগে আমি
তাকে বলতে শুনেছিষ্ মোঃ :গ্রো ৷প্রুও ৷ ”আল্লাহর প্ৰতি সুধারণা’ পোষণ করবে ৷” আমাশ
(র) জাবির (বা) সনদে মুসলিম (র) বর্ণিত কোন কোন হড়াদীসে রয়েছে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বন্ক্কন্ান,শ্ৰুাধ্-৷ ¢- -fi :ন্এ - ষ্ ঙুগ্র ম্বা ণ্£১১ :ও রুপ্রু শ্ব “আল্লাহর প্রতি সুধারথা না নিয়ে তোমাদের
কেউ যেন মৃত্যু পথবাত্রী না হয় ৷” অন্য একটি (হাদীসে কুদসীতে) আল্লাহ তআলা ইরশাদ
করেন, ”আমি আমার প্রতি আমার বান্দার ধারণা
মুতাবিক থাকি ৷ সুতরাং সে যেন আমার প্রতি উত্তম ধারণা রাখে ৷
বায়হাকী (র) আরো বলেন, হাকিম (র) আনাস (বা) হতে, তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর ওফাতের সময় উপস্থিত হলে তার ব্যাপক ও বারংবার উচ্চারিত ওসিয়াত ছিল গ্র ওহ্রা;া
ণ্ন্ধ্রদ্বুাষ্ ৷ ণ্দ্বুা “সালাত এবং তােমাদেও মালিকানাধীন (গোলাম-বীদী) ৷ এমন কি বলতে
বলতে কথাটি তার কণ্ঠে বড় বড় করতে থাকল; তীর জিহ্বা তা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করতে
পারছিলেন না ৷ ” নাসাঈ (র) ও ইবন মাজা (র) হাদীসটি ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আসৃবাত ইবন মুহাম্মাদ (র) আনন্দ ইবন মালিক (র) হতে,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওকাত আসন্নকালে তীর ব্যাপক ভিত্তিক বারংবার উচ্চারিত
ওসিয়াত ছিল “সালাত এবং যা তোমাদের মালিকানা কর্তৃতুড়াধীন (গোলাম-বাদী)! এমন কি
কথাটি বাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বুকের মাঝে ঘড়ঘড় করছিল এবং তার জিহবা তা প্রকাশ করতে
পারছিল না ৷ নাসাঈ ও ইবন মাজা (র) হাদীসটি ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আহমদ (র)
বলেন, বক্র ইবন ঈসা আর-রাসির্কী (র) আলী ইবন আবু তালিব (বা) হতে, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে একটি তখতি নিয়ে আসতে বললেন, যাতে তিনি এমন কিছু লিখে
দেবেন বার পরে তার উম্মত বিভ্রান্ত হবে না ৷ আলী (বা) বলেন, আমার আশংকা হলো যে,
(এখন আমি দুরে গেলে) তার শেষ নিঃশ্বাস আমি পাব না ৷ ” (তাই) আমি বললাম, ”(আপনি
বললে) আমি মুখস্ত করে বাখব এবং ৎরক্ষণ করে রাখব ৷ তিনি (সা) বললেন, , ণ্ন্গুা
ণ্গুক্ট ৰু-প্লু মোঃ মৈএ ওএেগ্লু , শুট্টক্রো-৷ ”আমি ওসিয়ত করছি সালাত, যাকাত এবং তোমাদের
মালিকানা (গোলামবীদী) বিষয়ে ৷” এ সুত্রে আহমদ (র) হাদীসটি একাকী বণ্নাি করেছেন ৷
ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র) বলেন, উম্মু সালামা (বা) হতে, তিনি বলেন, ওফাতের সময়
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বারবার ওসিয়ত বল্মছিলেন ”সালাত এবং তোমাদের মালিকানাধীন! এমন কি
তা তীর বুকের মাঝে আটকে যেতে লাগল এবং জিহবা তা উচ্চারণ করতে পারছিল না ৷ ” নাসাঈ
(র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন হুমড়ায়দ ইবন মাসৃআদা (র) উম্মু সালড়ামা (বা) সনদে অনুরুপ
৷ বায়হাকী (র) বলেছেন, আফ্ফান (র) উম্মু সালমাে (বা) সনদের রিওয়ায়াতটি বিশুদ্ধ ৷ ইবন
মাজা এবং নাসাঈ (র) হাদীসটি ভিন্ন ভিন্ন সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আহমদ (র) বলেন, ইউনুস (র) আইশা (বা) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বললেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমি দেখেছি, তখন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছিলেন, তার কাছে পানি
ভর্তি একটি পেয়ালা ছিল; তিনি নিজের হাত পেয়ালায় ডুবিয়ে পানি দিয়ে নিজের মুখে দিচ্ছিলেন
এবং বলছিলেন, এএেঝা ৰু;ন্গ্লুষু ;,-এণ্ণ্ , ১;-৷ ণ্-ন্ত্র-ম্রা ”ইয়া আল্লাহ ! মৃত্যু যাতনায় আমাকে
عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَا: لَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ، فَإِذَا اغْتَمَّ كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ، فَقَالَ وَهُوَ كَذَلِكَ: «لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى ; اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ» يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا.
وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي رَجَاءٍ الْأَدِيبُ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ، ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ قَبْلَ مَوْتِهِ بِثَلَاثٍ: " أَحْسِنُوا الظَّنَّ بِاللَّهِ ".»
وَفِي بَعْضِ الْأَحَادِيثِ كَمَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ طَلْحَةَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَمُوتَنَّ أَحَدُكُمْ إِلَّا وَهُوَ يُحْسِنُ الظَّنَّ بِاللَّهِ تَعَالَى» وَفِي الْحَدِيثِ الْآخَرِ: يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى «أَنَا عِنْدَ ظَنِّ عَبْدِي بِي، فَلْيَظُنَّ بِي خَيْرًا» .
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَاكِمُ، حَدَّثَنَا الْأَصَمُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الصَّغَانِيُّ، ثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا جَرِيرٌ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَتْ عَامَّةُ وَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ حَضَرَهُ الْمَوْتُ: «الصَّلَاةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ» حَتَّى جَعَلَ يُغَرْغِرُ بِهَا فِي صَدْرِهِ، وَمَا
পৃষ্ঠা - ৪২০৩
সাহায্য করুন ৷ তিরমিষী, নাসাঈ ও ইবন মজাে (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিষী
(র) এটা গরীব বলে মন্তব্য করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়াকী (র) অইিশা (বা) হতে, যে নবী করীম (সা) বলেছেন,
“আমার কাছে সুখকর মনে হয় যে,
জান্নঙ্কতে আইশার হাতের (তালুর) শুভ্রতা দেখতে পেয়েছি ৷ ” এটি আহমদ (র)-এর একক
বর্ণনা সনদ অভিযােগমুক্ত ৷ এবং এটা না অইিশা (রা)-এর প্ৰতি নবী করীম (না)-এর পরম
ভালবাসার প্রমাণবহ ৷ লোকজন তাদের প্রেমাধিক্য প্রকাশে বহুবিধ তার ব্যঞ্জনার আশ্রয় নিয়ে
থাকে; কিন্তু কেউ অর্থবহ সংক্ষিপ্ত উজ্যিত এ প্রকাশ তংগীর পযজ্যি উপনীত হতে পারে নি ৷
এর কারণ হল, তাদের বক্তব্য থাকে বাস্তবতার সাথে সন্বন্ধ বর্জিত বাগড়াম্বর ৷ আর এ বাণীটি
সন্দেহাভীত বাস্তব সত্য ৷
হাম্মাদ ইবন যায়দ (র) অইিশা (রা)-এর বরাতে বলেহ্নেষ্ক যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইনতিকাল করেছেন আমার ঘরে এবং তার ওফাত হয়েসাি আমার বুকে ঠেস দেয়া অবস্থায় ৷
তিনি ইতোপুর্বে অসুস্থ হলে জিবরীল (আ) একটু দৃআ পড়ে তাকে আল্লাহ্র আশ্রয়ে সমর্পণ
করতেন ৷ তইি, আমিও র্তাকে (সব অনিষ্ট হতে) আল্লাহর আশ্রয়ে সমর্পণ করতে গেলে তিনি
নিজের দৃষ্টি আকাশ পানে তুলে বললেন, ষ্ষ্০ মা ১-ণ্ডা ষ্-৭ টু ম্বা ;ন্,া,ও)ত্র ষ্ক্ট “মহান বন্ধুর
সকাশে, বন্ধুর সকাংশ ৷ আবদুর রহমান ইবন আবু বকর (ঘরে) প্রবেশ করলেন, তার হাতে
ছিল একটি তাজা (থেত্ত,য়ুর) শাখা ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন সে ডালটির দিকে তাকাতে থাকলে
আমার ধারণা হল যে, এটার প্রতি তিনি আগ্রহ প্রকাশ করছেন ৷
আইশা (রা) বলেন, সুতরাং আমি সেটি নিয়ে চিবিয়ে নরম করে তা নবী করীম (না)-কে
দিলাম ৷ তিনি সেটি দিয়ে উত্তমরুপে র্দাত মাজ্যলন ৷ পরে তিনি সেটি আমাকে দিতে গেলে তা
তার হাত থেকে পড়ে গেল ৷ আইশা (বা) বলেন, এভাবে দুনিয়ার ণ্শষ দিনে এবং আখিরড়াতের
প্রথম দিনে আল্লাহ পাক তার লালা ও আমার লালা একত্রিত করলেন ৷ বুখারী (র) হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন সুলায়মান ইবন আবীর হাম্মাদ ইবন মায়দ (র) হতে ৷ বায়হাকী (র)
বলেন, হাফিজ আবু আবদুল্লাহ (র) আইশা (রা)-এর বরাতে বলেন যে, তিনি বলতেন,
“আমার জন্য আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের একটি হল এই যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমার পালা’র
দিনে, আমার ঘরে এবং আমার বুকে হেলান দেয়া অবস্থায় ইনতিকাল করেছেন এবং ওফাতের
সময় আল্লাহ্ তার লড়ালা ও আমার লালার মাঝে সম্মিলন ঘটিয়েছেন ৷ ” (এ প্রসংগে) তিনি
পুৰ্বানুরুপ মিসওয়াকের ঘটনা আরো বিশদভাবে উল্লেখ করেন ৷
তাতে তিনি অতিরিক্ত বলেছেন যে,পাত্রে রক্ষিত পানি দিয়ে চেহারা ঘুছতে মুছতে তিনি
বলছিলেন-ৰু ঠো)ৰুম্ ষ্ঝো ণ্ াট্ট ঞা মা fl“)! “লা-ইলাহড়া ইল্পাল্লাহ ! এক আল্লাহ ব্যতীত আর
কোন ইলাহ নেই! নিশ্চয় মৃত্যুর অনেক যাতনা রয়েছে ৷ তারপর ৰামহাতের আৎগুল উচিয়ে
বলতে লাগলেন, “মহান বন্ধুর সকাশে, মহান বন্ধুর সকাশে ৷ এ ভাবে তার ওফাত হয়ে গেল
এবং তার হাত পানিতে (পাত্রে) ঢলে পড়ল ৷” বুখারী (র)-ও হাদীসটি ভিন্ন সনদে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷
يَفِيضُ بِهَا لِسَانُهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا التَّيْمِيُّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كَانَتْ عَامَّةُ وَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ حَضَرَهُ الْمَوْتُ: «الصَّلَاةَ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ» حَتَّى جَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُغَرْغِرُ بِهَا صَدْرُهُ، وَمَا يَكَادُ يَفِيضُ بِهَا لِسَانُهُ. وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ طَرْخَانَ، وَهُوَ التَّيْمِيُّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ لِلنَّسَائِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَاحِبٍ لَهُ، عَنْ أَنَسٍ بِهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا بَكْرُ بْنُ عِيسَى الرَّاسِبِيُّ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ الْفَضْلِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ آتِيَهُ بِطَبَقٍ يَكْتُبُ فِيهِ مَا لَا تَضِلُّ أُمَّتُهُ مِنْ بَعْدِهِ. قَالَ: فَخَشِيتُ أَنْ تَفُوتَنِي نَفْسُهُ. قَالَ: قُلْتُ: إِنِّي أَحْفَظُ وَأَعِي. قَالَ: «أُوصِي بِالصَّلَاةِ وَالزَّكَاةِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَقَالَ يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ: ثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَفِينَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: كَانَ عَامَّةُ وَصِيَّةِ
পৃষ্ঠা - ৪২০৪
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ مَوْتِهِ: «الصَّلَاةَ الصَّلَاةَ، وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ» حَتَّى جَعَلَ يُلَجْلِجُهَا فِي صَدْرِهِ، وَمَا يَفِيضُ بِهَا لِسَانُهُ. وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ مَسْعَدَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زُرَيْعٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ أَنَّ سَفِينَةَ حَدَّثَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَالصَّحِيحُ مَا رَوَاهُ عَفَّانُ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ سَفِينَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ أَيْضًا، وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ سَفِينَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا يُونُسُ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَرْجِسَ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَمُوتُ، وَعِنْدَهُ قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ، فَيُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْقَدَحِ، ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ يَقُولُ «اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى سَكَرَاتِ الْمَوْتِ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، وَابْنُ مَاجَهْ، مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: غَرِيبٌ
পৃষ্ঠা - ৪২০৫
আবু দাউদ তায়ালিসী (র) বলেছেন, শৃবা (র) আইশা (বা) হতে, তিনি বলেন, “আমাদের
মধ্যে এরুপ আলোচনা হতো যে, কোন নবীর ইনতিকাল হয় না যতক্ষণ না তাকে দুনিয়া ও
অখিরাত এ দুটির একটি বেছে নেয়ার ইখতিয়ার দেয়া হয় ৷ আইশা (রা) বলেন, পরে যখন
রাসুলুল্লাহ (না)-এর অন্তিম অসুস্থতা দেখা দিল তখন (একবার) তার গলার আওয়ায বসে
গেলে আমি র্তাকে বলতে শুনলাম
াপ্রুল্গু এ্যা,৷ : প্রু মোঃ, ; ৷ ১,ৰু £ট্ট , ম্পো, ঞা৷ গ্লু ন্ ণ্,ৰু শুণ্; ৰুা৷ ণ্ন্ও৷ ঞা৷ ৫
“ যাদেরকে আল্লাহ নিয়ামত দান করেছেন অর্থাং নবী, সিদ্দীক, শহীদ এবং পুণ্যবানদের
ৎগে (রাখুন!) ওয়া সংপীরুপে কতই না উত্তম” (৪ : ৬৯) ৷ আইশা (রা) বলেন, তখন
আমাদের ধারণা জন্মাল যে, তিনি ইখতিয়ার লাভ করেছেন ৷ “বুখারী-ঘুসলিম (র) হাদীসটি
আহরণ করেছেন শুবা (র) থেকে ৷ যুহ্রী (র) বলেছেন, সাঈদ ইবনুল ঘুসারািব ও উরওয়া
ইবনুবৃ ষুবায়র (র) সহ একদল আলিম আমাকে অবহিত করেন যে, আইশা (রা) বলেছেন,
রাসুলুল্পাহ সুস্থ থাকাকালে বলতেন যে, স্পে ণ্ট্ট হা; ১ত্র৷ গ্লু ন্ :১দ্বুপ্ , ;গ্লুপ্লু ত্রুও- , ষ্ ;ও ষ্; ;ব্লুপ্লু ণ্৷া;া
কােন নৰীকেই ভুলে নেয়া হয় নি যতক্ষণ না র্তাকে ঞ্জান্নাতে তার অবস্থান ক্ষেত্র দেখিয়ে দিয়ে
তাকে ইখৃতিয়ার দেয়া হয়েছে ৷ আইশা (রা) বলেন, পরে যখন রাসুলুল্লাহ (সা) অসুখে
পড়লেন এবং তার মাথা ছিল আমার কেক্রো ৷ তখন কিছু সময়ের জন্য তিনি চেতনা হারিয়ে
ফেললেন ৷ পরে চেতনা ফিরে পেয়ে তিনি নিজের দৃষ্টি ঘরের ছাদে নিবদ্ধ রেখে বললেন-
ষ্ন্ধ্র; মা ;ক্ট্রন্ও)ঐ ণ্-৫-টী ইয়া আল্লাহ ! মহান বন্ধু ! আমি তখন বুঝতে পারলাম যে, এই হচ্ছে
সে হাদীসের বস্তবায়ন যা তিনি সুস্থ থাকা কালে আমাদের বলতেন যে, জ্যন্নাতের অবস্থান
ক্ষেত্র দেখিয়ে ইখতিয়ার না দেয়া পর্যন্ত বহুৰুনও ৷: ত্ত্বন্হ্ নবী(ক তুলে দেয়া হয়নি ৷ ” আইশা
(বা) বলেন, তখন আমি বললাম, ত৷ হদুল এখন আর আপনি আমাদের (সাথে অবস্থানকে)
গ্রহণ করছেন না ! আইশা (বা) আরো বলেছেন, এটাই ছিল রাসুলুল্পাহ (না)-এর উচ্চারিত
অন্তিম বাক্য৪ ষ্৮ য়া এর) মহান বন্ধু! যুহরী (র) হতে একাধিক সুত্রে বুখারীষ্মুসলিম (র)
হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ সুফিয়ন্ন ছাওৰী (র) আইশা (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেন , রাসুলুল্লাহ (সা) তার মাথা আমার কোলে থাকা অবস্থায় চেতনা হারিয়ে ফেলেন ৷ আমি
তার ঢেহারায় হাত বুলিয়ে দিতে লৰুগলব এবং নিরাময়ের দুআ করতে থাকলাম ৷ এমন সময়
তিনি বলে উঠলেন-
১া
“না , বরং আল্পাহ্র কাছে আমার প্রণেনিঃ৷ যিনি মহান বন্ধু বরকতময়, জিবরীল, যীকাঈল ও
ইসৃরাফীল (আ)-এর সংগে !
নাসাঈ (র) হান্নীনটি সুফিয়ান ছহ্ওরী (র) থেকে রিওয়ায়ত করেছেন ৷ বায়হাকী (র) বলেন,
হাফিহ্নর্ব হর্দীস সহবু আবদুল্লাহ (র) প্রমুখ যুবায়র সুত্রে বর্ণনা করেন যে আইশা (রা) র্তাকে
বলেছেন যে ওফাংতর পুর্বে যখন নবী করীম (সা) আইশার বুকে হেলান দিয়েছিলেন, তখন
তিনি
-é;éfi ,—:§ fi; ইয়া আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে রহম করুন এবং আমাকে
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّهُ لَيُهَوِّنُ عَلَيَّ أَنِّي رَأَيْتُ بَيَاضَ كَفِّ عَائِشَةَ، فِي الْجَنَّةِ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ لَا بَأْسَ بِهِ، وَهَذَا دَلِيلٌ عَلَى شِدَّةِ مَحَبَّتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لِعَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا. وَقَدْ ذَكَرَ النَّاسُ مَعَانِيَ كَثِيرَةً فِي كَثْرَةِ الْمَحَبَّةِ، وَلَمْ يَبْلُغْ أَحَدُهُمْ هَذَا الْمَبْلَغَ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا لِأَنَّهُمْ يُبَالِغُونَ كَلَامًا لَا حَقِيقَةَ لَهُ، وَهَذَا كَلَامٌ حَقٌّ لَا مَحَالَةَ وَلَا شَكَّ فِيهِ.
وَقَالَ حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي بَيْتِي، وَتُوُفِّيَ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي، وَكَانَ جِبْرِيلُ يُعَوِّذُهُ بِدُعَاءٍ إِذَا مَرِضَ، فَذَهَبْتُ أَدْعُو بِهِ، فَرَفَعَ بَصَرَهُ إِلَى السَّمَاءِ، وَقَالَ: «فِي الرَّفِيقِ الْأَعْلَى، فِي الرَّفِيقِ الْأَعْلَى» وَدَخَلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَبِيَدِهِ جَرِيدَةٌ رَطْبَةٌ، فَنَظَرَ إِلَيْهَا، فَظَنَنْتُ أَنَّ لَهُ بِهَا حَاجَةً. قَالَتْ، فَأَخَذْتُهَا فَنَفَضْتُهَا فَدَفَعْتُهَا إِلَيْهِ، فَاسْتَنَّ بِهَا أَحْسَنَ مَا كَانَ مُسْتَنًّا، ثُمَّ ذَهَبَ يَتَنَاوَلُهَا، فَسَقَطَتْ مِنْ يَدِهِ. قَالَتْ: فَجَمَعَ اللَّهُ بَيْنَ رِيقِي وَرِيقِهِ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنَ الدُّنْيَا وَأَوَّلِ يَوْمٍ مِنَ الْآخِرَةِ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ بِهِ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنِي أَبُو نَصْرٍ أَحْمَدُ بْنُ سَهْلٍ
পৃষ্ঠা - ৪২০৬
الْفَقِيهُ بِبُخَارَى، ثَنَا صَالِحُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْحَافِظُ الْبَغْدَادِيُّ، ثَنَا دَاوُدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ زُهَيْرٍ الضَّبِّيُّ، ثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، أَنَا ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ أَبَا عَمْرٍو ذَكْوَانَ مَوْلَى عَائِشَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ تَقُولُ: إِنَّ مِنْ نِعْمَةِ اللَّهِ عَلَيَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُوُفِّيَ فِي يَوْمِي، وَفِي بَيْتِي، وَبَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي، وَأَنَّ اللَّهَ جَمَعَ بَيْنَ رِيقِي وَرِيقِهِ عِنْدَ الْمَوْتِ. قَالَتْ دَخَلَ عَلَيَّ أَخِي بِسِوَاكٍ مَعَهُ وَأَنَا مُسْنِدَةٌ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى صَدْرِي فَرَأَيْتُهُ يَنْظُرُ إِلَيْهِ، وَقَدْ عَرَفْتُ أَنَّهُ يُحِبُّ السِّوَاكَ وَيَأْلَفُهُ، فَقُلْتُ: آخُذُهُ لَكَ؟ فَأَشَارَ بِرَأْسِهِ ; أَيْ نَعَمْ. فَلَيَّنْتُهُ لَهُ، فَأَمَرَّهُ عَلَى فِيهِ. قَالَتْ: وَبَيْنَ يَدَيْهِ رِكْوَةٌ أَوْ عُلْبَةٌ فِيهَا مَاءٌ، فَجَعَلَ يُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْمَاءِ، فَيَمْسَحُ بِهَا وَجْهَهُ، ثُمَّ يَقُولُ: «لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، إِنَّ لِلْمَوْتِ لَسَكَرَاتٌ " ثُمَّ نَصَبَ أُصْبُعَهُ الْيُسْرَى، وَجَعَلَ يَقُولُ: " فِي الرَّفِيقِ الْأَعْلَى، فِي الرَّفِيقِ الْأَعْلَى " حَتَّى قُبِضَ، وَمَالَتْ يَدُهُ فِي الْمَاءِ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، سَمِعْتُ عُرْوَةَ يُحَدِّثُ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كُنَّا نُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَمُوتُ حَتَّى يُخَيَّرَ بَيْنَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. قَالَتْ: فَلَمَّا كَانَ مَرَضُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي مَاتَ فِيهِ عَرَضَتْ
পৃষ্ঠা - ৪২০৭
রাফীকে আলার সাথে মিলিত করুন ৷” ৰুখারী-মুসলিম (র) হিশাম ইবন উরওয়া: (র)-এর
বরাতে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) ইয়াকুব (র) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আইশা (রা) বলতেন, রাসুলুল্লাহ
(না) ইস্তিকাল করেছেন আমার বুকে ঠেস দেয়া অবস্থায় এবং আমার পালার দিনে এবং তাতে
আমি (হক নষ্ট করে) কারো প্রতি যুলুম করি নি ৷ তবে আমার বয়সের স্বল্পতা ও অপরিপক্কতার
দরুন রাসুলুল্লাহ (না) আমার কোলে ওফাত বরণ করলেন আর তখন আমি বালিশে তার মাথা
রেখে দিয়ে উঠে গিয়ে নারীদের মাতম-বিলাপে অংশ নিয়ে মুখমণ্ডলে করাঘাত করতে
লাগলাম ৷
ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (র)আইশা (বা)
থেকে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলতেন,
-জৌ : ৷মোঃ খা ৷১ )টু৷ এ এে শো শুরু! ১)এ এ ৰুষ্ক্তা এেম্র ণ্’৷ খো :৫হুই১ মা শু;এ এ ৮
“কোন নবীই এর ব্যতিক্রম নন যে, (প্রথমে) তার আত্মা ভুলে নেয়া হয় তারপর তার
প্রাপ্য বিনিময় (জান্নাত) তাকে দেখিয়ে দিয়ে আত্মা তার কাছে ফেরত পাঠানো হয় এবং তখন
তার কাছে ফেরত পাঠানো কিংবা তার (উর্ধজগতে) মিলিত হওয়া এ দৃয়ের মাঝে ইখৃতিয়ার
দেয়া হয় ৷ আমি তার এ বাণী মনে পেথে রেখেছিলাম ৷ আমি র্তাকে নিজের বুকের সাথে
হেলান দিয়ে রেখেছিলাম ৷ সুতরাং যখন তার ঘাড় ঢলে পড়ল তখন আমি তার দিকে তাকালাম
এবং বললাম “তাকে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে ৷ তখন তিনি যা আগে বলেছিলেন আমি তার বাস্ত
বতা উপলব্ধি করলাম ৷ (এর আগে) তিনি যখন দৃষ্টি তুলে তাকিয়েছিলেন তখন আমি তাকে
দেখেছিলাম ৷ আইশা (বা) বলেন, তখন আমি বলেছিলাম ৷ এখন তা হলে, আল্লাহর কসম !
আমাদের আর গ্রহণ করবেন না ৷ তখন তিনি বলেছিলেন ৷ মহান বন্ধুর সংগে জান্নড়াতে;
আল্লাহ যাদের অনুগৃহীত করেছেন নবীগণ সিদ্দীকগণ, শহীদগণ এবং নেককারগণের সংগে;
ওরা কতইনা উত্তম বন্ধু ৷ আহমদ (র) একাকী এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন;
সিহাহ্সিত্তার সংকলকগণ তা উদ্ধৃত করেন নি ৷
ইমাম আহ্মদ (র) বলেন, আফ্ফান (র)অইিশা (বা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)-
কে ভুৰে ;নযা হল, তখন তার মাথা ছিল আমার বুকে ৷ আইশা (বা) বলেন, তার শেষ নিঃশ্বাস
বেরিয়ে এলে তার চাইতে সুরভিত কোন ঘ্রাণ আমি আর কোন দিন পইি নি ৷ এটি একটি সহীহ্
সনদ যা সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের শতানুরুপ, তবে ছয় গ্রন্থের কোন গ্রন্থকারই তা উদ্ধৃত করেন নি ;
ৰায়হাকী (র) হাদীসটি জ্যি সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ
আলহাজ্জি (র)উম্মু সালামা (বা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যে দিন ইনতিকাল
ৰ্ল্পলেন, আমি তার বুকে হাত রাখলাম ৷ এরপর অনেক সপ্তাহ চলে গেল, আমি পানাহার করতাম
ষ্টধু (গোসল) করতাম কিন্তু আমার হাত হতে মিশৃকের প্রাণ তিরোহিত হচ্ছিল না ৷
ষ্হেমদ (র) বলেন, আফ্ফান ও বাহ্য্ (র) আবু বুরদার (র) হতে তিনি বলেন, আমি
ঘাশ্ব৷ (রা)-এর কাছে গেলাম ৷ তিনি ইয়ামানে তৈরী হয় এমন একটি লুঙ্গি এবং মুলাব্বাদা
ন্মঃ প্ক্ষিত একটি চাস্ব্ আমাদের সামনে বের করে দিয়ে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এ দুই
لَهُ بُحَّةٌ. فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيَّيْنِ وَالصِّدِّيقَيْنِ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَظَنَنَّا أَنَّهُ كَانَ يُخَيَّرُ. وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ.
وَقَالَ الزُّهْرِيُّ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ وَعُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فِي رِجَالٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَهُوَ صَحِيحٌ: «إِنَّهُ لَمْ يُقْبَضْ نَبِيٌّ حَتَّى يَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ، ثُمَّ يُخَيَّرُ» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَلَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَأْسُهُ عَلَى فَخِذِي غُشِيَ عَلَيْهِ سَاعَةً، ثُمَّ أَفَاقَ، فَأَشْخَصَ بَصَرَهُ إِلَى سَقْفِ الْبَيْتِ، وَقَالَ «اللَّهُمَّ الرَّفِيقَ الْأَعْلَى» فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَدِيثُ الَّذِي كَانَ حَدَّثَنَاهُ وَهُوَ صَحِيحٌ: «إِنَّهُ لَمْ يُقْبَضْ نَبِيٌّ قَطُّ حَتَّى يَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ ثُمَّ يُخَيَّرُ» قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقُلْتُ: إِذًا لَا تَخْتَارُنَا. قَالَتْ عَائِشَةُ: كَانَتْ تِلْكَ الْكَلِمَةُ آخَرَ كَلِمَةٍ تَكَلَّمَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الرَّفِيقَ الْأَعْلَى ". أَخْرَجَاهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهِ.
وَقَالَ سُفْيَانُ، هُوَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: أُغْمِيَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي حِجْرِي، فَجَعَلْتُ أَمْسَحُ وَجْهَهُ، وَأَدْعُو لَهُ بِالشِّفَاءِ، فَقَالَ: «لَا، بَلْ أَسْأَلُ اللَّهَ الرَّفِيقَ الْأَعْلَى الْأَسْعَدَ مَعَ جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ» رَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ وَغَيْرُهُ، قَالُوا: ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ
পৃষ্ঠা - ৪২০৮
কাপড় পরিহিত অবস্থায় ওফাত প্রাপ্ত হয়েছেন ৷ নাসাঈ (র) ব্যতিরেকে জামাআতের (ছয়
গ্রন্থকারের) সকলেই এ হাদীসটি একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিরমিযী (র) এটি
হ্াড়াড়ানসহীহ্ মন্তব্য করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, বাহ্য্ (র)ইয়াফীদ ইবন বারনুস (র) হতে, তিনি বলেন,
আমার একজন সংগীসহ আমরা অইিশা (রা)-এর কাছে গিয়ে তার কাছে প্রবেশের অনুমতি
চাইলাম ৷ তিনি আমাদের জন্য একটি বালিশ এগিয়ে দিয়ে নিজের জন্য পর্দা টেনে দিলেন,
তখন আমার সংপীটি বলল, হে উম্মুল মুমিনীন! ইরাক (এা;এা) সম্পর্কে আপনার অভিমত
কি? তিনি বললেন, ইরাক আবার কী ? তখন আমি আমার সংগীর কাধে ধোচা দিলে আইশা
(বা) বললেন, থামাে! সাথীকে ব্যথা দিচ্ছে৷ কেন? তারপর বললেন, ইরাক তো ঋতৃ স্রড়াবা
তোমরা তফুই বলবে যা মহান মহিয়ান আল্লাহ এ সম্পর্কে বলেছেন ৷ তারপর বললেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে এক চাদরে আবৃত করে নিতেন এবং আমার মাথা ধরে সােহাগ
করতেন-তখন আমার ও তার মাঝে একটি মাত্র কাপড়ের আবরণ থাকত এবং আমি তখন
ঋতৃবতী থাকতাম ৷ পরে তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখনই আমার দরযা অতিক্রম করে
যেতেন তখন কোন না কোন একটি কথা আমাকে বলে যেতেন যা দিয়ে আল্লাহ্ আমাকে
উপকৃত করতেন ৷
এভাবে একদিন তিনি চলে গেলেন কিন্তু কিছুই বললেন না ৷ আমার চলে গেলেন, কিছুই
বললেন না, এ ভাবে দুবার কিৎবা তিনবার গেলেন ! তখন আমি দাসীকে বললাম, “আমার
জন্য দরযার কাছে একটি বালিশ ৰিছিয়ে দাও : আর আমি মাথায় পট্টি বাধলাম তখন নবী
করীম (সা) আমার কাছ দিয়ে যেতে যেতে বললেন, ঞ; ৮া:;াণ্ “আইশা! তোমার কী
হয়েছে? আমি বললাম, মাথায় পীড়া বোধ করছি ৷ তিনি বললেন, উহ! আমারও তো ভীষণ
মাথা ব্যথা ! একটু পরেই তাকে একটি যেঢাি চাদরে জড়িয়ে নিয়ে আসা হল এবং আমার ঘরে
এসে তিনি অন্য সহধর্মিনীদের কাছে খবর ণাঠালেন এবং বললেন, “আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি
এবং পালা করে তোমাদের ঘরে ঘরে যাওয়ার সামর্থ হারিয়ে ফেলেছি ৷ তাই তোমরা আমাকে
অনুমতি দিলে আমি আইশার কাছে থাকর ৷ তখন থেকে আমি তার সেরা শুশ্রুষা করতড়াম
এবং ইতােপুর্বে আমি কোন রোগীর সেবা করতে অভ্যস্ত ছিলাম না ৷ এরকম অবস্থায়
একদিনের ঘটনা ৷ তার মাথা ছিল আমার র্কাধের উপর, হঠাৎ তার মাথা আমার মাথার দিকে
এগিয়ে পড়লে আমি ভাবলাম যে, আমার মাথায় (মুখে) তার কোন চাহিদা’ রয়েছে ৷ তখন
তার মুখ হতে একটি শীতল ফোটা বের হয়ে আমার বুকের ঢালুতে পড়ল ৷ তাতে আমার গা
শিহরিত হয়ে উঠল ৷ তখন আমি ধারণা করলাম যে, তিনি চেতনা হারিয়ে ফেলেছেন ৷ এসময়
আমি তাকে একটি কাপড় দিয়ে আবৃত করে দিলাম ৷ তখন উমর ও যুপীরা ইবন শুবা (রা)
এসে অনুমতি চাইলে তাদের দুজনকে অনুমতি দিয়ে আমি নিজের সামনে পর্দা টেনে দিলাম ৷
তখন উমর (রা) র্তাকে দেখে বললেন, “ হায় ! চেতনা হীনত৷ ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর এ
অচেতনতড়া কতই না গভীর ! পরে র্তীরা দুজন উঠে যেতে লাগলেন এবং দরযার কাছে
পৌছলে ঘুগীরা বললেন, হে উমর! রড়াসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেছেন ! তখন আমি বললাম
তুমি মিথ্যা বলেছ, বরং তুমি এমন একজন লোক যে ফিত্না ও বিশৃৎখলায় উসৃকানী দিতে
الْأَصَمُّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، ثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَصْغَتْ إِلَيْهِ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ وَهُوَ مُسْنِدٌ إِلَى صَدْرِهَا يَقُولُ «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي، وَأَلْحِقْنِي بِالرَّفِيقِ» أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ ثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ عَبَّادٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي وَفِي دَوْلَتِي، وَلَمْ أَظْلِمْ فِيهِ أَحَدًا، فَمِنْ سَفَهِي وَحَدَاثَةِ سِنِّي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ وَهُوَ فِي حِجْرِي، ثُمَّ وَضَعْتُ رَأْسَهُ عَلَى وِسَادَةٍ وَقُمْتُ أَلْتَدِمُ مَعَ النِّسَاءِ، وَأَضْرِبُ وَجْهِي.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، ثَنَا كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا تُقْبَضُ نَفْسُهُ، ثُمَّ يَرَى الثَّوَابَ، ثُمَّ تَرُدُّ إِلَيْهِ، فَيُخَيَّرُ بَيْنَ أَنْ تُرَدَّ إِلَيْهِ وَبَيْنَ أَنْ يَلْحَقَ» فَكُنْتُ قَدْ حَفِظْتُ ذَلِكَ مِنْهُ، فَإِنِّي لَمُسْنِدَتُهُ إِلَى صَدْرِي، فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ حِينَ مَالَتْ عُنُقُهُ، فَقُلْتُ: قَدْ قَضَى، فَعَرَفْتُ الَّذِي قَالَ، فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ
পৃষ্ঠা - ৪২০৯
حِينَ ارْتَفَعَ فَنَظَرَ. قَالَتْ: قُلْتُ: إِذًا وَاللَّهِ لَا يَخْتَارُنَا، فَقَالَ: «مَعَ الرَّفِيقِ الْأَعْلَى، فِي الْجَنَّةِ " مَعَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينِ وَالصِّدِّيقِينِ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَئِكَ رَفِيقًا» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، أَنْبَأَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَأَسُهُ بَيْنَ سَحْرِي وَنَحْرِي. قَالَتْ: فَلَمَّا خَرَجَتْ نَفْسُهُ لَمْ أَجِدْ رِيحًا قَطُّ أَطْيَبَ مِنْهَا. وَهَذَا إِسْنَادٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحَيْنِ وَلَمْ يُخَرِّجْهُ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِ الْكُتُبِ السِّتَّةِ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَنْبَلِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَفَّانَ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ ثَنَا يُونُسُ، عَنْ أَبِي مَعْشَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ أَبِي عُرْوَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: وَضَعْتُ يَدِي عَلَى صَدْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ مَاتَ، فَمَرَّتْ بِي جُمَعٌ آكُلُ وَأَتَوَضَّأُ، وَمَا يَذْهَبُ رِيحُ الْمِسْكِ مِنْ يَدِي.
وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ وَبَهْزٌ، قَالَا: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، ثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلَالٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ، فَأَخْرَجَتْ إِلَيْنَا إِزَارًا غَلِيظًا
পৃষ্ঠা - ৪২১০
তালবাস ৷ আল্লাহ মুনাফিকদের ৰিনাশ করে না দেয়া পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল ব্বাবন
না ৷ আইশা (রা) বলেন, এরপরে আবু বকর (বা) এলে আমি পর্দা তুলে দিলাম ৷ তিনি তার
দিকে দৃষ্টি দিয়ে বলে উঠলেন, ইন্ন৷ লিল্লাহি ওয়া ইন্ন৷ ইলায়হি রাজিউন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) তো
ইনতিকাল করেছেন ৷
তারপর তার মাথার কাছে গিয়ে নিজের মুখ নামিয়ে (তাকে) কপালে চুমু খেলেন ৷ তারপর
বললেন, ওয়া নাবিয়্যাহ হয়ে নবীজী ! তারপর মাথা তৃললেন এবং আবার নিজের মুখ নামিয়ে
তার কপালে চুমু খেলেন; তারপর বললেন, ওয়া সাফিয়্যাহ৷ হে আল্লাহ্র মনোনীত জন! পরে
মাথা তুলে আবার মুখ নামিয়ে এসে তার কপালে চুমু খেলেন এবং পরে বললেন, ওয়া
খালীলাহ্! হে আল্লাহর বন্ধু ! রাসুলুল্লাহ (সা) ইনতিকাল করেছেন ৷ এ কথা বলে আবু বকর
মসজিদের দিকে বেরিয়ে গেলেন, সেখানে তখন উমর (রা) কথা বলছিলেন এবং লোকদের
সামনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ৷ তিনি বলছিলেন, “আল্লাহ মুনাফিকদের বিনাশ না করা পর্যন্ত
রাসুলুল্লাহ্র ওফাত হতে পারে না ৷” তখন আবু বকর (বা) কথা বললেন, আল্লাহর হামদ ও
ছানা পাঠ করার পরে বললেন, আল্লাহ্ পাক ইবশাদ কররুছনন্মুইএে ণ্শুএাঙু এদ্বু০ এ্যা তুমি
মরণশীল ওরাও মরণশীল (৩৯ : ৩) পুর্ণ আয়াত তিলাওয়াত করলেন ৷
গ্লুপ্রুপ্রু ণ্£হুাম্বুণ্৷ হ্া; ৷ ঞ,৷ ;ৰুত্রু :১৷ ;া)া৷ এ্া,ব্ল : এ; ১ব্ল এ,গ্লু মু৷ মোঃ ৮,
(এবং মুহাম্মদ একজন রাসুল মাত্র; তার আগে অনেক রাসুল গত হয়েছেন ৷ সুতরাং যদি
সে মারা যায় অথবা সে হত্যার শিকার হয়, তবে তোমরা কি পিছন দিকে ফিরে যাবে ? এবং
যে পিছন দিকে ফিরে যাবে (৩ : ১৪ ৪) পুর্ণ আয়াত তিলাওরাত করলেন ৷
তারপর বললেন, সৃতরাৎয যারা আল্লাহর ইবাদাত করেছে তারা জোন র ৷থুক আল্লাহ্
চিরঞ্জীব, মৃত্যুবরণ করবেন না ৷ আর যারা মুহাম্মাদের পুজা করত তাে, মুহাম্মদ তো মারা
গেলেন ৷ ” তখন উমর (রা) বললেন ৷ এ আয়াতও কি আল্লাহ্র কিভাবে রয়েছে ৷ আমার তো
ঘোজই ছিল না যে এসব আয়াত কুরআনে রয়েছে !” পরে উমর (রা) বললেন, “এই তো
আবু বকর ইনিই মুসলমানদের (বিভক্তিতে) সম্মিলন ক্ষেত্র ৷ সুতরাং সকলে তার হাতে
বায়াআত কর, তার হাতে বায়আত কর ৷ আবু দাউদ (র) এবং শামাইল গ্রন্থে তিরমিষী (র)
মারহুম ইবন আবদুল আযীয আল সাত্তার (র) সুত্রে ঐ সনদে হাদীসটির অংশবিশেষ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ আল-হাফিজ (র) আইশা
(রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে তিনি বলেছেন, আবু বকর (রা) সুনৃহ (মহল্লা) এ অবস্থিত তার
বাড়ি থেকে একটি ঘোড ায় চড়ে মদীনায় এসে মসজিদে প্রবেশ করলেন ৷ কিন্তু সেখানে কোন
কথা না বলে আ ৷ইশা (রা) এর কাছে খেলেন এবংব ৷সুলুল্পাহ (সা)-কে দেখার উদ্দেশ্যে তার
কাছে খেলেন ৷ তাকে তখন একখানি বুটিদার চাদর দিয়ে আচ্ছাদিত করে রাখা হয়েছিল ৷
আবু বকর (রা) নবী করীম (সা) এর ঢেহ ৷রা উন্মুক্ত করলেন এবং ঝুকে পড়ে চুযু খেলেন ও
পরে কেদে ফেলবেন ৷ তারপর বললেন, “ইয়া রাসুলুল্লাহা আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য
কুরবান! আল্লাহর কসম! আল্লাহ কখনোই আপনা তে দুটি মৃত্যু সমবেত করবেন না ৷ আর যে
مِمَّا صُنِعَ بِالْيَمَنِ، وَكِسَاءً مِنَ الَّتِي يَدْعُونَ الْمُلَبَّدَةَ، فَقَالَتْ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ فِي هَذَيْنِ الثَّوْبَيْنِ. وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا النَّسَائِيَّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا بَهْزٌ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنْبَأَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ بَابَنُوسَ قَالَ: ذَهَبْتُ أَنَا وَصَاحِبٌ لِي إِلَى عَائِشَةَ، فَاسْتَأْذَنَّا عَلَيْهَا، فَأَلْقَتْ لَنَا وِسَادَةً، وَجَذَبَتْ إِلَيْهَا الْحِجَابَ، فَقَالَ صَاحِبِي: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، مَا تَقُولِينَ فِي الْعِرَاكِ؟ قَالَتْ: وَمَا الْعِرَاكُ؟ فَضَرَبْتُ مَنْكِبَ صَاحِبِي، فَقَالَتْ: مَهْ آذَيْتَ أَخَاكَ. ثُمَّ قَالَتْ: مَا الْعِرَاكُ! الْمَحِيضُ، قُولُوا: مَا قَالَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ الْمَحِيضُ. ثُمَّ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَوَشَّحُنِي وَيَنَالُ مِنْ رَأْسِي، وَبَيْنِي وَبَيْنَهُ ثَوْبٌ وَأَنَا حَائِضٌ. ثُمَّ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا مَرَّ بِبَابِي مِمَّا يُلْقِي الْكَلِمَةَ يَنْفَعُنِي اللَّهُ بِهَا، فَمَرَّ ذَاتَ يَوْمٍ، فَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا، ثُمَّ مَرَّ فَلَمْ يَقِلْ شَيْئًا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا، فَقُلْتُ: يَا جَارِيَةُ، ضَعِي لِي وِسَادَةً عَلَى الْبَابِ، وَعَصَبْتُ رَأْسِي فَمَرَّ بِي، فَقَالَ: «يَا عَائِشَةُ مَا شَأْنُكِ؟» فَقُلْتُ: أَشْتَكِي رَأْسِي، فَقَالَ «أَنَا، وَارَأْسَاهْ!» فَذَهَبَ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلَّا يَسِيرًا حَتَّى جِيءَ بِهِ مَحْمُولًا فِي كِسَاءٍ، فَدَخَلَ عَلَيَّ، وَبَعَثَ إِلَى النِّسَاءِ، فَقَالَ «إِنِّي قَدِ اشْتَكَيْتُ،
পৃষ্ঠা - ৪২১১
وَإِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَدُورَ بَيْنَكُنَّ، فَأْذَنَّ لِي، فَلْأَكُنْ عِنْدَ عَائِشَةَ» فَكُنْتُ أُمَرِّضُهُ، وَلَمْ أُمَرِّضْ أَحَدًا قَبْلَهُ، فَبَيْنَمَا رَأْسُهُ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى مَنْكِبِي إِذْ مَالَ رَأْسُهُ نَحْوَ رَأْسِي، فَظَنَنْتُ أَنَّهُ يُرِيدُ مِنْ رَأْسِي حَاجَةً، فَخَرَجَتْ مِنْ فِيهِ نُقْطَةٌ بَارِدَةٌ، فَوَقَعَتْ عَلَى ثَغْرَةِ نَحْرِي، فَاقْشَعَرَّ لَهَا جِلْدِي، فَظَنَنْتُ أَنَّهُ غُشِيَ عَلَيْهِ، فَسَجِيَّتُهُ ثَوْبًا، فَجَاءَ عُمَرُ وَالْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ، فَاسْتَأْذَنَا، فَأَذِنْتُ لَهُمَا وَجَذَبْتُ إِلَيَّ الْحِجَابَ، فَنَظَرَ عُمَرُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: وَاغَشْيَاهْ! مَا أَشَدَّ غَشْيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ قَامَا، فَلَمَّا دَنَوَا مِنَ الْبَابِ قَالَ الْمُغِيرَةُ: يَا عُمَرُ، مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: كَذَبْتَ بَلْ أَنْتَ رَجُلٌ تَحُوسُكَ فِتْنَةٌ ; إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَمُوتُ حَتَّى يُفْنِيَ اللَّهُ الْمُنَافِقِينَ. قَالَتْ: ثُمَّ جَاءَ أَبُو بَكْرٍ فَرَفَعْتُ الْحِجَابَ، فَنَظَرَ إِلَيْهِ، فَقَالَ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ أَتَاهُ مِنْ قِبَلِ رَأْسِهِ، فَحَدَرَ فَاهُ، فَقَبَّلَ جَبْهَتَهُ ثُمَّ قَالَ: وَانَبِيَّاهْ! ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ حَدَرَ فَاهُ، وَقَبَّلَ جَبْهَتَهُ، ثُمَّ قَالَ: وَاصَفِيَّاهْ! ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ وَحَدَرَ فَاهُ وَقَبَّلَ جَبْهَتَهُ، وَقَالَ: وَاخَلِيلَاهْ! مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَخَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ وَعُمَرُ يَخْطُبُ النَّاسَ، وَيَتَكَلَّمُ وَيَقُولُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَمُوتُ حَتَّى يُفْنِيَ اللَّهُ الْمُنَافِقِينَ. فَتَكَلَّمَ أَبُو بَكْرٍ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ {إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ} [الزمر: 30] . حَتَّى فَرَغَ مِنَ الْآيَةِ. {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ} [آل عمران: 144] . حَتَّى فَرَغَ مِنَ الْآيَةِ، ثُمَّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৪২১২
মৃত্যু আপনার জন্য লিখে দেয়া হয়েছিল, তা তো তিনি আপনি বরণ করেছেন ৷” যুহ্রী (র)
বলেন, আবু সলমা (র) ইবন আব্বাস (রা) হতে রিওয়ায়াত করেছেন যে, আবু বকর (বা)
(আইশার হুজর হতে) বের হয়ে লোকদের সাথে কথা বলতে লর্গলেন ৷ তিনি বললেন, উমর
বসা কিন্তু উমর (রা) বসতে অস্বীকৃত হলেন ৷ তিনি আবার বললেন, উমর! বলে পড়! উমর
(রা) এবরও বসতে স্বীকৃর্ভ হলেন না তখন আবু বকর (র)ভ ৩ষণ পুর্ববর্তী হমদ ও ছানা
পাঠ শুরু করলে লোকেরা র্তর দিকে মনেযোগী হল তিনি বললেন, এরপর আপনাদের মাঝে
যারা মুহম্মেদের পুজা করত, (তারা জেনে রাখুক) মুহাম্মদ (সা) ইনতিকাল করেছেন আর
যারা আল্লাহর ইৰাদত করত তারা জেনে র খুক আল্লাহ চিরঞ্জীব, তার মৃত্যু নেই! আল্লাহ
তা আলা ইরশদ করেছেন-
ধ্প্লুণ্ড্র
(৩ : ১৪৪) বর্ণনাকায়ী বলেন, আল্লাহ্র কলম মনে হচ্ছিল যে, আবু বকর (বা)
আয়াতটি তিলাওয়াত করার আগে পর্যন্ত লোকেরা অবগতই ছিল না যে, আল্লাহ পাক এ
আয়াতটি নাযিল করেছিলেন লোকেরা তখন আয়৩ টি মুখে মুখে লুফে নিল এবং মজলিসে
এমন একজন লোকও ছিল না য কে তা তিলাওয়াত ৩করতে শোনা গেল না যুহবী (র) আরো
বলেছেন, সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (র) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, উমর (রা) বলেছেন,
“আল্লাহ্র কসম ব্যাপারটি এ ছাড়া আর কিছুই নয় যে, আবু বকর যখন আয়াতিটি
তিলাওয়াত করলেন তখনই আমার উপলব্ধি হল যে, হী এটাই বাস্তব ও মহা সত ত আমি
যেন অবশ হয়ে গেলাম , আমার পা দুখনি আমাকে দাড় করিয়ে রাখতে পারছিল না এমন
কি আমি মাটিতে পড়ে গেলাম আবু বকরের তিলাওয়াত শুনে আমার বোধোদয় হল যে,
রসুলুল্লাহ (সা) সত্যই ইনতিকাল করেছেনা” বুখরী (র) হদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন
ইয়হ্য় ইবন বুকায়র (ব ) সুত্রে
হাফিজ বয়হার্কী (র) ইবন লহীআ (র) সুত্রেররাসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত বিষয়ক
আলোচনায় উরওয়া ইবনুঘৃ ঘুবয়র (র) হতেতিনি বলেন, “উমর ইবনুল খত্তাব (বা)
দাড়িয়ে লোকদের সামনে বক্তৃতা করতে লাগলেন এবং হুমকি দিতে লপলেন এই বলে-যে
বলবে মারা গিয়েছেন’ তাকে খুন করবো এবং কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবাে তিনি
বলতে লাগলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) চেতনা হারিয়েছেন কেউ তিনি মারা গেছেন বললে তকে
খুন করা হবে, কােট ফেলা হবে ” ওদিকে আমর ইবন কয়েস ইবন যইদ ইবনুল আলম
ইবন উন্মু মাকতুম (রা) মসজিদের শেষ প্রান্তে তিলাওয়াত করছিলেন,
মসজিদে সমবেত লোকদের কন্নর ঢেউ উঠছিল কেউ কারো কথা শোনার অবকাশ ছিল
না তখন আব্বাস ইবনুল মুত্তালিব (বা) লোকদের সামনে বেরিয়ে এসে বললেন “লোক
সকল! রসুলুল্লাহ (না)-এর ওফাত সম্পর্কে তোমাদের কারো কাছে র্তার কোন বাণী-
অংগীকর রয়েছে কি? তবে তা আমাদের শোনাও তর বলল, না তিনি বললেন, উমর
فَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، فَإِنَّ اللَّهَ حَيٌّ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، فَقَالَ عُمَرُ: وَإِنَّهَا لَفِي كِتَابِ اللَّهِ؟ ! مَا شَعَرْتُ أَنَّهَا فِي كِتَابِ اللَّهِ. ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، هَذَا أَبُو بَكْرٍ، وَهُوَ ذُو شَيْبَةِ الْمُسْلِمِينَ، فَبَايِعُوهُ، فَبَايَعُوهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، فِي " الشَّمَائِلِ " مِنْ حَدِيثِ مَرْحُومِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارِ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ بِهِ بِبَعْضِهِ.
وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مِلْحَانَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ أَقْبَلَ عَلَى فَرَسٍ مِنْ مَسْكَنِهِ بِالسُّنْحِ، حَتَّى نَزَلَ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ، فَلَمْ يُكَلِّمِ النَّاسَ حَتَّى دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَيَمَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُسَجًّى بِبُرْدِ حِبَرَةٍ، فَكَشَفَ عَنْ وَجْهِهِ، ثُمَّ أَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَبَّلَهُ، ثُمَّ بَكَى، ثُمَّ قَالَ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَاللَّهِ لَا يَجْمَعُ اللَّهُ عَلَيْكَ مَوْتَتَيْنِ أَبَدًا، أَمَّا الْمَوْتَةُ الَّتِي كُتِبَتْ عَلَيْكَ فَقَدْ مُتَّهَا.
قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَحَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ خَرَجَ وَعُمَرُ
পৃষ্ঠা - ৪২১৩
“তোমার কি এ বিষয় কিছু জানা আছে? তিনিও বললেন, না ৷ তখন আব্বাস (বা) বললেন,
লোক সকল! সাক্ষী থাক ! রাসুলুল্লাহ (সা) তার ওফাত (না হওয়া) সম্পর্কে কারো কাছে কোন
বাণী-অং র্গীক৷ ৷র রেখে গিয়েছেন বলে কেউ সাক্ষ্য দিচ্ছেনা ৷ যে আল্লাহ ব্যতীত আর কোন
ইলাহ্ নেই! তার কন্যা! রাসুলুল্পাহ (সা) অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করছেন ৷ রর্ণনাকারী
বলেন, ওদিকে আবু বকর (বা) জ৷ ৷র সুনহ (মহল্পা)-র বাড়ী হতে একটি রাহনে চড়ে এসে
মসজিদের দরযায় অবতরণ করলেন ৷ তিনি বিপর্যস্ত ও দুঃখ ভ ৷রক্রান্ত হয়ে আসবেন ৷ প্রথমে
তিনি আপন কন্যা অইিশা (রা) এর ঘরে প্রবেশ অনুমতি চাইলেন ৷ আ ৷ইশা (রা) জাকে
অনুমতি দিলেন তিনি প্রবেশ করলেন ৷ ওদিকে রাসুলুল্লা হ (সা) এর ওফাত হয়ে যাওয়ায়
র্তাকে বিছানায় (শুইয়ে) রেখে মহিলারা জার পাশে সমবেত ছিলেন ৷ জারা এখন নিজেদের মুখ
ওড়না আবৃত করে আবু বকর (বা) হতে পর্দা করলেন ৷
তবে আইশা (বা) ছিলেন এর ব্যতিক্রম ৷ তখন আবু বকর (রা) রাসুলুল্লাহ (সা)এর চেহারা
উন্মুক্ত করে ইাটু (গড়ে রসলেন এবং তাকে চুমু খেতে ও বমদাত লাগলেন ৷ এবং বললেন ৷
“ইবনুল খাত্তাব যা বলছে তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয় ৷ র্ষার হাতে আমার জীবন জার শপথ !
রাসুলুল্লাহ (না) ওফাত বরণ করেছেন ৷ ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! আপনার উপরে আল্লাহর রহমত বর্ধিত
হোক ৷ জীবনে ও মরণে আপনি কতই না সুন্দর সুরভিত ৷ এরপর জাকে আচ্ছাদিত করে দিয়ে
দ্রুত মসজিদের দিকে বেরিয়ে গেলেন এবং লোকদের ডিংগিয়ে ডিংগিয়ে মিম্বর পর্যন্ত পৌছলেন ৷
আবু বকর কে জার দিকে আগত দেখে উমর (রা) বসে পড়লেন ৷ আবু বকর (বা) মিম্বরের
পাশে দাড়িয়ে লোকদের সম্বোধন করলেন ৷ তারা বসে গিয়ে নিবব হলে আবু বকর (বা) জার
তড়াশাহ্হুদ (হামৃদ ও দুরুদ) পাঠ করলেন এবং বললেন, মহান মহীয়ান আল্লাহর নবী তোমাদের
মাঝে হারাতে থাকাকালেই স্বয়ং তার কাছে তার মৃত্যুর আগাম শোক সংবাদ ও পুরভিাষ
দিয়েছিলেন এবং তোমাদের কাছেও তোমাদের মৃত্যুসংৰাদ জানিয়ে দিয়েছেন ৷ মৃত্যুই
অনিবার্য ৷ (মৃত্যুর হাত হতে কারো রেহাই নেই) এমন কি এক মাত্র মহান মহীয়ান আল্লাহ
ব্যতীত কেউ বিদ্যম৷ ৷ন থা ৷কবে না ৷ আল্লাহ তাআ ৷ল৷ ইরশাদ করেছেন এশ্যে ১৷ ৷ মোঃ ৮১
-হেঞা)প্রী ঞ প্লে ণ্এ১ ১এ তখন উমর (রা) বললেন, এ আয়া ৷তটি কুরআন শরীফে রয়েছে ?
আল্লাহর কসম আমার তা (যেন) জা ৷নাই ছিল না যে, এ আয়াত টি আজকের আগে নাযিল করা
হয়েছে ! আল্লাহ তা আলা মুহাম্মদ (না)-কে আরো বলেছেন ৷া র্দু মৈং ণ্ন্ণ্ন্ওাস্ ঙা,াএ এা৷ আপনি
মরণশীল, তাদেরও মরতে হবে (৩৯ : ৩০) ৷
আল্লাহ তাআলা আরো ইরশ ৷ড়াদ কারন এোচ্ গ্রিও১া৷ ণ্া৷ মশুধ্ শ্বা এা৷ণ্ড্র হুষ্১ণ্ট্টন্ এও
-০ প্রুএ গ্রএ আল্লাহর সত্তু৷ ব্যতীত সব কিছুই ধ্বংসশীল ৷ বিধান তারই এবং তারই নিকট
তোমরা প্ৰত্যাবতিত হবে ৷ (২৮০ : ৮৮) তিনি আরো ইরশাদ করেন-
ণ্ষ্এৰুৰ্বা১ ৷ ক্রো৯এ১ এও) “—) শুই^ ১ ঠোএ ত্রৈ-ত্তীং ষ্ঠাং ঠেৰু
“ভু-পৃষ্ঠে যা কিছু আছে সবই নশ্বর; অবিনশ্বর (করল তোমরা প্ৰতিপালকের সত্তুা, যিনি
মহিমাময়, মহানুতব (৫৫ : ২৬-২ ৭) ৷ তিনি আরো ইরশাদ করেন-
ড়ু ণ্ক্রোা
يُكَلِّمُ النَّاسَ. فَقَالَ: اجْلِسْ يَا عُمَرُ. فَأَبَى عُمَرُ أَنْ يَجْلِسَ، فَقَالَ: اجْلِسْ يَا عُمَرُ، فَأَبَى عُمَرُ أَنْ يَجْلِسَ، فَتَشَهَّدَ أَبُو بَكْرٍ، فَأَقْبَلَ النَّاسُ إِلَيْهِ، فَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ، فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ فَإِنَّ اللَّهَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ. قَالَ: فَوَاللَّهِ لَكَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ أَنْزَلَ هَذِهِ الْآيَةَ، حَتَّى تَلَاهَا أَبُو بَكْرٍ، فَتَلَقَّاهَا مِنْهُ النَّاسُ كُلُّهُمْ، فَمَا سُمِعَ بَشَرٌ مِنَ النَّاسِ إِلَّا يَتْلُوهَا.
قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَأَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ أَنَّ عُمَرَ قَالَ: وَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ سَمِعْتُ أَبَا بَكْرٍ تَلَاهَا، فَعَرَفْتُ أَنَّهُ الْحَقُّ، فَعَقِرْتُ حَتَّى مَا تُقِلُّنِي رِجْلَايَ، وَحَتَّى هَوَيْتُ إِلَى الْأَرْضِ، وَعَرَفْتُ حِينَ سَمِعْتُهُ تَلَاهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَاتَ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ بُكَيْرٍ بِهِ.
وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ لَهِيعَةَ، ثَنَا أَبُو الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ فِي ذِكْرِ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: وَقَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَخْطُبُ النَّاسَ وَيَتَوَعَّدُ مَنْ قَالَ: مَاتَ. بِالْقَتْلِ وَالْقَطْعِ، وَيَقُولُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَشْيَتِهِ لَوْ قَدْ قَامَ قَتَلَ وَقَطَعَ. وَعَمْرُو بْنُ قَيْسِ بْنِ زَائِدَةَ بْنِ الْأَصَمِّ بْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فِي مُؤَخَّرِ الْمَسْجِدِ يَقْرَأُ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ.
পৃষ্ঠা - ৪২১৪
وَالنَّاسُ فِي الْمَسْجِدِ يَبْكُونَ، وَيَمُوجُونَ لَا يَسْمَعُونَ، فَخَرَجَ عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى النَّاسِ، فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، هَلْ عِنْدَ أَحَدٍ مِنْكُمْ مَنْ عَهْدٍ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي وَفَاتِهِ فَلْيُحَدِّثْنَا؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: هَلْ عِنْدَكَ يَا عُمَرُ مِنْ عِلْمٍ؟ قَالَ: لَا. فَقَالَ الْعَبَّاسُ: أَشْهَدُ أَيُّهَا النَّاسُ، أَنَّ أَحَدًا لَا يَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَهْدٍ عَهِدَهُ إِلَيْهِ فِي وَفَاتِهِ، وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَقَدْ ذَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَوْتَ. قَالَ: وَأَقْبَلَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، مِنَ السُّنْحِ عَلَى دَابَّتِهِ حَتَّى نَزَلَ بِبَابِ الْمَسْجِدِ، وَأَقْبَلَ مَكْرُوبًا حَزِينًا، فَاسْتَأْذَنَ فِي بَيْتِ ابْنَتِهِ عَائِشَةَ، فَأَذِنَتْ لَهُ فَدَخَلَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ تُوُفِّيَ عَلَى الْفِرَاشِ وَالنِّسْوَةُ حَوْلَهُ، فَخَمَّرْنَ وُجُوهَهُنَّ، وَاسْتَتَرْنَ مِنْ أَبِي بَكْرٍ إِلَّا مَا كَانَ مِنْ عَائِشَةَ، فَكَشَفَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَنَى عَلَيْهِ يُقَبِّلُهُ، وَيَبْكِي وَيَقُولُ: لَيْسَ مَا يَقُولُهُ ابْنُ الْخَطَّابِ شَيْئًا، تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا أَطْيَبَكَ حَيًّا وَمَيِّتًا. ثُمَّ غَشَّاهُ بِالثَّوْبِ، ثُمَّ خَرَجَ سَرِيعًا إِلَى الْمَسْجِدِ يَتَخَطَّى رِقَابَ النَّاسِ، حَتَّى أَتَى الْمِنْبَرَ، وَجَلَسَ عُمَرُ حِينَ رَأَى أَبَا بَكْرٍ مُقْبِلًا إِلَيْهِ، وَقَامَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى جَانِبِ الْمِنْبَرِ، وَنَادَى النَّاسَ فَجَلَسُوا وَأَنْصَتُوا، فَتَشَهَّدَ أَبُو بَكْرٍ بِمَا عَلِمَهُ مِنَ التَّشَهُّدِ، وَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، نَعَى نَبِيَّهُ إِلَى نَفْسِهِ وَهُوَ حَيٌّ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ، وَنَعَاكُمْ إِلَى أَنْفُسِكُمْ، وَهُوَ الْمَوْتُ حَتَّى لَا يَبْقَى أَحَدٌ إِلَّا اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، قَالَ تَعَالَى {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ} [آل عمران: 144] الْآيَةَ. فَقَالَ عُمَرُ هَذِهِ الْآيَةُ فِي الْقُرْآنِ؟ ! وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُ أَنَّ هَذِهِ الْآيَةَ أُنْزِلَتْ قَبْلَ الْيَوْمِ.
পৃষ্ঠা - ৪২১৫
“জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে ৷ কিয়ামতে তর দিন তােমাদেরকে তোমাদের কর্মফল
পুর্ণ মাত্রায় দেয়া হবে (৩৪ ১৮৫) ৷
আবু বকর (বা) আরো বললেন, আল্লাহ তাআলা মুহাম্মদ (না)-কে জীবন দিয়েছিলেন
এবং ততদিন বিদ্যমান রেখেছিলেন যতদিনে তিনি আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন,
আল্লাহর আদেশ প্রকাশ করেছেন ৷ আল্লাহর রিসালাত ও পয়গাম পৌছে দিয়েছেন এবং
আল্লাহর পথে জিহাদ করেছেন ৷ এরপর আল্লাহ তাকে ঐ অবস্থায় তুলে নিয়েছেন ৷ তিনি তো
তােমাদেরকে যথার্থ পথের উপর রেখে গিয়েছেন ৷ সুতরাং এখন কেউ ধ্বং স হলে তা হবে
একমাত্র প্রমাণপ্রাপ্তি ও নিরাময়’ ব্যবস্থার পরে (অর্থাৎ যে নিজের ধ্বংসের দায়িতৃ অন্যের
ঘাড়ে চাপাতে পারবে না) ৷ সুতরাংঅাল্লাহ যার প্রতিপালক তা আল্লাহ তো চিরঞ্জীব, তার মৃত্যু
নেই ৷ আ র যারা মুহাম্মদের পুজা করেছে এবৎত ড়াকে ইলাহ এর মর্যাদার অতিসিক্ত করেছে,
তার ইলাহ তো হালাক হয়ে গেল ৷ অতএব, লোক সকল ৷ আল্লাহ্কে ভয় করে চল, তোমাদের
দীনকে মযবুত আকড়ে ধর এবং তোমাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা রাখো ৷ কেননা,
আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত, আল্লাহর কালিমা পুর্ণতাপ্রাপ্ত এবং যে আল্লাহকে সাহায্য করবে ও তার
দীনকে স্বমযদািয় অধিষ্ঠিত করবে আল্লাহ তার সাহায্যকারী ৷ আল্লাহর কিতাব আমাদের মাঝে
রয়েছে ৷ তা হচ্ছে নুর ও জ্যেন্তি শিক্ষা ও নিরাময় ৷ এবং তা দিয়ে আল্লাহ পথ দেখিয়েছেন
মুহাম্মদ (না)-কে ৷ তাতে রয়েছে আল্লাহর হালাল ও হারামের বিধান ৷ আল্লাহর কসমা
আল্লাহর সৃষ্টি জগতের যে কেউ আমাদের বিরুদ্ধে সেনা সমাবেশ ঘটালে তার আমরা তােয়াক্কা
করব না (কেননা) আল্লাহর তরবারি কােষমুক্ত; তা আমরা এখনও রেখে দেই নি৷ আমরা
আল্লাহর রাসুল (না)-এর সংগে থেকে যে ভাবে জিহাদ করেছি এখনও আমাদের প্রতিপক্ষ ও
বিরুদ্ধৰাদীদের সাথে জিহাদ অব্যাহত রাখব ৷ সুতরাং কেউ বাড়াবাড়ি করতে চাইলে তা সে
আত্মঘাভীরুপেই করবে ৷
এ সারগর্ত ও অতাবিত ভাষণের পর মুহাজিরগণ আবু বকর (রা)-এর সংগে রাসুলুল্লাহ
(সা) এর কাছে ফিরে গেলেন ৷ এ পর্যায়ে রাবী নবী করীম (না)-এর গোসল, কাফন, তার
জানাযার সলােত ও তার দাফন সম্পর্কিত বিবরণ দেন ৷ (আমরা অবিলম্বে যথাস্থানে সে সবের
প্রমাণ সমৃদ্ধ বিবরণ উপস্থাপন করব ইনশা আল্লাহ তাআলা) ৷
ওয়াকিদী (র) তার উস্তাদপণের বরাতে উল্লেখ করেছেন, তারা বলেছেন রাসুলুল্লাহ (সা)-
এর ওফাতের ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দিলে কেউ বলল তিনি ইনতিকাল করেছেন, অন্য কেউ
বলল, তিনি ইনতিকাল করেন নি ৷ তখন আসমা’ বিনত উমায়স (বা) তার হাত রাসুলুল্লাহ
(না)-এর দুই র্কাধের মাঝে রেখে দিয়ে বললেন: রাসুলুল্লাহ (সা) নিশ্চিতরুপেই ইনতিকাল
করেছেন ৷ (কেননা) তার প্রীবা-সন্ধি হতে নবুয়তের মােহর তুলে নেয়া হয়েছে ৷ সুতরাং এ
আলামত দিয়েই তার ওফাত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় ৷ হাফিজ বায়হাকী (র) ও তার
দালাইলুন নাবুওয়্যাহ গ্রন্থে ওয়াকিদী সুত্রে অনুরুপ উদ্ধৃত করেছেন ৷ তিনি দুর্বল রাবী এবং তার
শায়খ ও উর্ধতন রাবীদেরও নাম পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে না ৷ তদুপরি রিওয়ায়াতটি সর্ব
বিবেচনায় ঘুনকাতি’ সনদ বিচ্ছিন্ন এবং প্রামাণ্য বর্ণনার পরিপন্থী ৷ তা ছাড়াও এতে রয়েছে
চরম অভিনবত, অর্থাৎ নবুওয়ড়াতের মােহর উঠিয়ে নেওয়ার দাবী ৷ আল্লাই সমধিক অবগত
وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ} [الزمر: 30] وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَهُ لَهُ الْحُكْمُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ} [القصص: 88] وَقَالَ تَعَالَى {كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ وَيَبْقَى وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ} [الرحمن: 26]
[آلِ عِمْرَانَ: 185] ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ عَمَّرَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبْقَاهُ حَتَّى أَقَامَ دِينَ اللَّهِ، وَأَظْهَرَ أَمْرَ اللَّهِ، وَبَلَّغَ رِسَالَةَ اللَّهِ وَجَاهَدَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، ثُمَّ تَوَفَّاهُ اللَّهُ عَلَى ذَلِكَ، وَقَدْ تَرَكَكُمْ عَلَى الطَّرِيقَةِ، فَلَنْ يَهْلِكَ هَالِكٌ إِلَّا مِنْ بَعْدِ الْبَيِّنَةِ وَالشِّفَاءِ، فَمَنْ كَانَ اللَّهُ رَبَّهُ، فَإِنَّ اللَّهَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا وَيُنَزِّلُهُ إِلَهًا فَقَدْ هَلَكَ إِلَهُهُ، فَاتَّقُوا اللَّهَ أَيُّهَا النَّاسُ، وَاعْتَصِمُوا بِدِينِكُمْ، وَتَوَكَّلُوا عَلَى رَبِّكُمْ، فَإِنَّ دِينَ اللَّهِ قَائِمٌ، وَإِنَّ كَلِمَةَ اللَّهِ تَامَّةٌ، وَإِنَّ اللَّهَ نَاصِرٌ مَنْ نَصَرَهُ، وَمُعِزٌّ دِينَهُ، وَإِنَّ كِتَابَ اللَّهِ بَيْنَ أَظْهُرِنَا، وَهُوَ النُّورُ وَالشِّفَاءُ، وَبِهِ هَدَى اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَفِيهِ حَلَالُ اللَّهِ وَحَرَامُهُ، وَاللَّهِ لَا نُبَالِي مَنْ أَجْلَبَ عَلَيْنَا مِنْ خَلْقِ اللَّهِ، إِنَّ سُيُوفَ اللَّهِ لَمَسْلُولَةٌ مَا وَضَعْنَاهَا بَعْدُ، وَلَنُجَاهِدَنَّ مَنْ خَالَفَنَا كَمَا جَاهَدْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَا يُبْقِيَنَّ أَحَدٌ إِلَّا عَلَى نَفْسِهِ. ثُمَّ انْصَرَفَ، وَانْصَرَفَ مَعَهُ الْمُهَاجِرُونَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي غُسْلِهِ وَتَكْفِينِهِ وَالصَّلَاةِ عَلَيْهِ وَدَفْنِهِ.
قُلْتُ: كَمَا سَنَذْكُرُهُ مُفَصَّلًا بِدَلَائِلِهِ وَشَوَاهِدِهِ. إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.
وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ عَنْ شُيُوخِهِ، قَالُوا: وَلَمَّا شُكَّ فِي مَوْتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ
পৃষ্ঠা - ৪২১৬
بَعْضُهُمْ: مَاتَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمْ يَمُتْ. وَضَعَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ يَدَهَا بَيْنَ كَتِفَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَتْ: قَدْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ رُفِعَ الْخَاتَمُ مِنْ بَيْنِ كَتِفَيْهِ. فَكَانَ هَذَا الَّذِي قَدْ عُرِفَ بِهِ مَوْتُهُ. هَكَذَا رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي كِتَابِهِ " دَلَائِلُ النُّبُوَّةِ " مِنْ طَرِيقِ الْوَاقِدِيِّ، وَهُوَ ضَعِيفٌ، وَشُيُوخُهُ لَمْ يُسَمَّوْا، ثُمَّ هُوَ مُنْقَطِعٌ بِكُلِّ حَالٍ، وَمُخَالِفٌ لِمَا صَحَّ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ، وَهُوَ رَفْعُ الْخَاتَمِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ. وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ وَغَيْرُهُ فِي الْوَفَاةِ أَخْبَارًا كَثِيرَةً فِيهَا نَكَارَاتٌ وَغَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ، أَضْرَبْنَا عَنْ أَكْثَرِهَا صَفْحًا ; لِضَعْفِ أَسَانِيدِهَا وَنَكَارَةِ مُتُونِهَا، وَلَا سِيَّمَا مَا يُورِدُهُ كَثِيرٌ مِنَ الْقُصَّاصِ الْمُتَأَخِّرِينَ وَغَيْرُهُمْ، فَكَثِيرٌ مِنْهُ مَوْضُوعٌ لَا مَحَالَةَ، وَفِي الْأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ وَالْحَسَنَةِ وَالْمَرْوِيَّةِ فِي الْكُتُبِ الْمَشْهُورَةِ غُنْيَةٌ عَنِ الْأَكَاذِيبِ وَمَا لَا يُعْرَفُ سَنَدُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.