سنة إحدى عشرة من الهجرة
ذكر أمره عليه الصلاة والسلام أبا بكر الصديق رضي الله عنه أن يصلي بالصحابة أجمعين
পৃষ্ঠা - ৪১৮৩
لَكَذُوبٌ، وَإِنِّي لَنَئُومٌ. فَقَالَ: عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَيْحَكَ أَيُّهَا الرَّجُلُ لَقَدْ سَتَرَكَ اللَّهُ، لَوْ سَتَرَتْ عَلَى نَفْسِكَ! فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَهْ يَا ابْنَ الْخَطَّابِ فُضُوحُ الدُّنْيَا أَهْوَنُ مِنْ فُضُوحِ الْآخِرَةِ. اللَّهُمَّ ارْزُقْهُ صِدْقًا وَإِيمَانًا، وَأَذْهِبْ عَنْهُ النَّوْمَ إِذَا شَاءَ " ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عُمَرُ مَعِي وَأَنَا مَعَ عُمَرَ وَالْحَقُّ بَعْدِي مَعَ عُمَرَ» وَفِي إِسْنَادِهِ وَمَتْنِهِ غَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ.
[ذِكْرُ أَمْرِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنْ يُصَلِّيَ بِالصَّحَابَةِ أَجْمَعِينَ]
َ مَعَ حُضُورِهِمْ كُلِّهِمْ وَخُرُوجِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَصَلَّى وَرَاءَهُ مُقْتَدِيًا بِهِ فِي بَعْضِ الصَّلَوَاتِ عَلَى مَا سَنَذْكُرُهُ، وَإِمَامًا لَهُ وَلِمَنْ بَعْدَهُ مِنَ الصَّحَابَةِ
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَعْقُوبُ، ثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: وَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪১৮৪
বললে তখন আমি একমত্রে এ ধারণইি করেছিলাম যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) এ ব্যাপারে আমাকে
হুকুম করেছেন, তা না হলে তো আমি সালাতে ইমামতি করতাম না ৷ বর্ণনাকারী (ইবন যামৃআ
বলেন, আমি বললাম, অল্লোহর কসম! রাসুলুল্লাহ্ (না) (সরাসরি আপনাকে বলার জন্য )
আমাকে হুকুম করেন নি, তবে আমি যখন আবু বকরকে দেখতে পেলাম না তখন সালাতে
ইমামতির জন্য উপন্থিতদের মাৰে৷ আপনাকে যােগ্যতম মনে করলাম ৷ আবু দাউদ (র)-ও
অনুরুপ ষুহ্রী (র) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেহ্নে৷ ৷ আর ইউনুস ইবন বুকায়র (র) হাদীসটি
অনুরুপ রিওায়ায়াত করেছেন ৷ ইবন ইস্হাক আবদুল্লাহ ইবন যামৃআ (বা) সুত্রে উল্লেখ
করেছেন ৷ আবু দাউদ (র) আরো বলেছেন, আহমদ ইবন সালিহ্ (র) আবদুল্লাহ ইবন যাম্আ
(বা) (উবায়দুল্লাহু ইবন আবদুল্লাহ ইবন উত্বাকে) খবর দিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম
(সা) যখন উমর (রা)-এর আওয়ায শুনলেন, ইবন যাম্আ বলেন, নবী করীম (সা) বের হয়ে
এলেন, (অর্থাৎ) হুজরা থেকে মাথা গলিয়ে দেখার পরে বললেন শ্বা :শ্মোঃ-৷ ,£-, ১৷ শ্বম্বু
হ্ৰুএে ;,-- শ্লো “না, না, ইবন আবু কুহড়াফা (আবু বকর) ব্যতীত অন্য কেউ লোকদের
সালাতে ইমামতি করবে না ৷ তিনি তা বলছিলেন অসম্ভষ্টির সাথে ৷
বুখারী (র) বলেন উমর ইবন হাফস (র) আসৃওয়াদ (র) হতে, তিনি বলেছেন, আমরা
আইশা (রা)-এর কাছে ছিলাম এবং আমরা সালাতে নিয়মানুবর্তিতা ও অধ্যাবসায় এবং তার
গুরুত্ব প্রদান বিষয় আলোচনা করছিলাম ৷ অইিশা (রা) বললেন, নবী করীম (না) যখন সে
অসুস্থতার আক্রান্ত হলেন যাতে তিনি ইন্তিকাল করেন তখন সালাত-এর সময় উপস্থিত হলে
ৰিলাল (রা) আযান দিলেন ৷ নবী করীম (সা) বললেন, “আবু বকরকে লোকদের নিয়ে সালাত
আদায় করতে বল ৷ তখন র্তাকে বলা হল,আবু বকর একজন কোমল প্রাণ মানুষ, তিনি যখন
আপনার স্থানে র্দাড়াবেন তখন লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে সমর্থ হবেন না ৷ নবী
করীম (না) তার আদেশের পুনরাবৃত্তি করলে র্তারাও তাদের কথার পুনরুক্তি করলেন ৷ নবী
করীম (সা) তৃতীয়বার তার হুকুমের পুনরুক্তি করলেন ৷ তিনি বললেন শুএেঙুন্নু ৰু া , :ম্রা
ফ্রোগ্রাঙ্ মোঃ )র্ন্তহুষ্ট-া »» “তোমরা তাে দেখছি ইউসুফ (আ)-এর যুগে নারীদের মত ৷ ১
আবু বকরকে বল লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করতে ৷ তখন আবু বকর (রা) (সালাত
আদায়ের জন্য) বের হলেন ৷ পরে (কোন এক সালাতের সময়) নবী করীম (না) (রোগের
প্রকোপ কমে গিয়ে) একটু হাল্কা বোধ করলে দুজন লোকের র্কাধে ভর করে বের হলেন, আমি
ন্ যেন (এখনও) দেখছি র্তার পা দুখানি, রোগ ভাবে (মাটিতে) দাগ কোট যাচ্ছে ৷ নবী করীম
(সা) এর উপস্থিতি টের পেয়ে আবু বকর (বা) (ইমামের স্থান হতে) পিছনে সরে যেতে উদ্যত
হলে নবী করীম (সা) র্তাকে ইৎগিতে নিজ স্থানে থাকতে বললেন ৷ এভাবে তাকে নিয়ে আসা
হলে তিনি তার (আবু বকরের) পাশে বসে পড়লেন ৷ মধ্যবর্তী রাবী আমাস (র)-কে জিজ্ঞাসা
করা হল, তবে কি তখন নবী করীম (সা) সালাত আদায় করছিলেন এবং আবু বকর তাকে
১ ইউসুফ (আ)-এর সহচরী অর্থাৎ অযীয়ের শ্রীর চা-চহ্রক্রা আহবানে আগত শহরের সম্রাস্ত নারীগণ যেভাবে
উচ্চ প্ৰসংশার জালে আবদ্ধ করে ইউসুফ (আ)-কে সঠিক পন্থা হতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল ৷ তােমরাও
তেমনি আমাকে আমার যথার্থ করণীয় হতে বিচ্যুত করতে সচেষ্ট হচ্ছে৷ ৷ অনুবাদক
أَسَدٍ قَالَ: «لَمَّا اسْتُعِزَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا عِنْدَهُ فِي نَفَرٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، دَعَا بِلَالٌ لِلصَّلَاةِ، فَقَالَ: " مُرُوا مَنْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ " قَالَ: فَخَرَجْتُ فَإِذَا عُمَرُ فِي النَّاسِ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ غَائِبًا فَقُلْتُ: قُمْ يَا عُمَرُ فَصَلِّ بِالنَّاسِ. قَالَ: فَقَامَ، فَلَمَّا كَبَرَّ عُمَرُ سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَوْتَهُ، وَكَانَ عُمَرُ رَجُلًا مُجْهِرًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَأَيْنَ أَبُو بَكْرٍ؟ ! يَأْبَى اللَّهُ ذَلِكَ وَالْمُسْلِمُونَ، يَأْبَى اللَّهُ ذَلِكَ وَالْمُسْلِمُونَ " قَالَ: فَبَعَثَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَجَاءَ بَعْدَ مَا صَلَّى عُمَرُ تِلْكَ الصَّلَاةَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَمْعَةَ: قَالَ لِي عُمَرُ: وَيْحَكَ مَاذَا صَنَعْتَ يَا ابْنَ زَمْعَةَ، وَاللَّهِ مَا ظَنَنْتُ حِينَ أَمَرْتَنِي إِلَّا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَكَ بِذَلِكَ، وَلَوْلَا ذَلِكَ مَا صَلَّيْتُ. قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ مَا أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنْ حِينَ لَمْ أَرَ أَبَا بَكْرٍ رَأَيْتُكَ أَحَقَّ مَنْ حَضَرَ بِالصَّلَاةِ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ. وَرَوَاهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عُتْبَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، فَذَكَرَهُ.
পৃষ্ঠা - ৪১৮৫
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، ثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَمْعَةَ أَخْبَرَهُ بِهَذَا الْخَبَرِ، قَالَ: «لَمَّا سَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَوْتَ عُمَرَ. قَالَ ابْنُ زَمْعَةَ: خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَطْلَعَ رَأْسَهُ مِنْ حُجْرَتِهِ، ثُمَّ قَالَ " لَا لَا لَا، لِيُصَلِّ لِلنَّاسِ ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ " يَقُولُ ذَلِكَ مُغْضِبًا»
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، ثَنَا أَبِي، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ الْأَسْوَدُ: «كُنَّا عِنْدَ عَائِشَةِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَذَكَرْنَا الْمُوَاظَبَةَ عَلَى الصَّلَاةِ وَالتَّعْظِيمَ لَهَا، قَالَتْ: لَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَضَهُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَحَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَأَذَّنَ بِلَالٌ، فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ أَسِيفٌ، إِذَا قَامَ مَقَامَكَ لَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ. وَأَعَادَ فَأَعَادُوا لَهُ، فَأَعَادَ الثَّالِثَةَ، فَقَالَ " إِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ
পৃষ্ঠা - ৪১৮৬
অনুসরণ করে সালাত আদায় করছিলেন, আর লোকেরা আবু বকরের সালাতের অনুকরণে
সালাত আদায় করছিল ? আমান (র) তার মাথা দিয়ে ইংগিত করলেন, হী ৷ এরপরে বুৰ্াৰী
(র) বলেছেন, আবু দাউদ (র) শুবড়া (র) হতে এ হাদীসের অংশবিশেষ রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আর আমাশ (র) হতে গৃহীত রিওয়ায়াতে আবু ঘুআৰিয়ড়া (র) অধিক বলেছেন “নবী করীম
(সা) আবু বকর (রা) এর বাম দিকে উপবেশন করলেন এবং আবু বকর (বা) দাড়িয়ে সালাত
আদায় করছিলেন ৷ বুখড়ারী (র) র্তার গ্রন্থের একাধিক স্থানে এবং মুসলিম , নড়াসাঈ ও ইবন মজো
(র) আমান (র) হতে একাধিক সুত্রে ঐ সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী (র)
আরো বলেন, অবেদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র) আইশা (বা) হতে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি
বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) তার অসুস্থতার সময় বললেন, আবু বকরকে লোকদের নিয়ে
সালাত আদায় করতে বল ! ইবন শিহড়াব (র) বলেন, উবায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ (র) আইশা
(রা) এর বরাতে আমাকে খবর’ দিয়েছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি এ বিষয় নবী কৰীম
(সা)কে বিকল্প প্রস্তাব দিলাম ৷ এ বিকল্প প্রস্তাব দানে আমাকে উদ্বুদ্ধ করছিল ৷ শুধু আমার এ
দৃশ্চিত্তা যে, লোকের আবু বকরকে (অপয়া) মনে করবে এবং শুধু আমার এ উপলব্ধি যে, যে
কেউ তীর স্থানে র্দড়োয়ে লোকেরা র্তাকে কুলক্ষ্যণ মনে করবেই ৷ তাই, আমি চাচ্ছিলাম যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকরকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে বলুন ৷
আবদুর রাঘৃযাক (র) যুহ্রী (র) সনদে সহীহ্ যুসলিমে রয়েছে (যুহ্রী বলেন) হাঘৃযা
আবদুল্লাহ ইবন উমর (র) আইশা (বা) হতে আমাকে খবর দিয়েছেন, তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্
(না) যখন আমার ঘরে এলেন তখন বললেন, “আবু বকরকে বলে দাও, লোকদের নিয়ে
সালাত আদায় করতে ৷” “আইশা (রা) বলেন, আমি বললায়, ইয়ড়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আবু বকর
একজন কোমল প্রাণ মানুষ কুরআন পাঠ করতে লাগলে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন না ৷
তাই, আপনি যদি আবু বকর ব্যতীত অন্য কাউকে আদেশ করতেন ! ” আইশা (রা ) বলেছেন,
(এরুপ বলার পিছনে) আমার মাঝে কাজ করছিল শুধু এই দুশ্চিন্তা যে, সর্বড়াগ্রে রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর স্থানে র্দাড়ড়ানাে ব্যক্তিকে লোকেরা কুলক্ষাণ মনে করবে ৷ আইশা (রা) বলেন, তাই,
দুবার কিংবা তিন বার আমি তার কাছে পুনঃপুনঃ অড়াবদার জানড়ালাম ৷ তিনি বললেন এ- ন্া
শু-ঞণ্ডা চ--া১ন্এ :র্ন্তএএি ,াহ্নক্লো :এগ্রা-৷ আবু বকরই লোকদের নিয়ে (ইমামতি করে) স্যলাত
আদায় করবেন; তোমরা নিশ্চয় ইউসুফ (আ) এর যুগের নারীদের তুল্য ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে
আবদুল মালিক ইবন উমায়র (র)-এর বরাতে, আবু মুসার পিতা হতেও অনুরুপ রিওয়ায়াত
রয়েছে তাতে অতিরিক্ত আছে ৷ বর্ণনাকারী বলেন, সুতরাং রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায়ই
আবু বকর (লোকদের ইমাম হয়ে) সালড়াত আদায় করলেন ৷
ইমাম আহমদ (র) আবদুর রহমান ইবন মাহ্দী (র) , উবড়ায়দুল্লাহ ইবন আবদুল্লাহ (র)
হতে, তিনি বলেন, আইশা (রা)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে আমি বললাম , রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর
অসুস্থতা সম্পর্কে আপনি আমাকে হাদীস ণ্শানায়েন কি? তিনি বললেন, “কেন নয়? রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর অসুস্থতা প্রবল্ট হল ৷ তিনি বললেন, প্রুগ্রো ,,াৰু ক্ট লোকরা কি সালাত আদায়
করেছে? আমরা বললাম, জী না ৷ র্তীরড়া আপনার প্রতীক্ষ্যয় রয়েছে ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ৷ তিনি
بِالنَّاسِ " فَخَرَجَ أَبُو بَكْرٍ فَصَلَّى، فَوَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفْسِهِ خِفَّةً فَخَرَجَ يُهَادَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رِجْلَيْهِ تَخُطَّانِ الْأَرْضَ مِنَ الْوَجَعِ، فَأَرَادَ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يَتَأَخَّرَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَكَانَكَ، ثُمَّ أُتِيَ بِهِ حَتَّى جَلَسَ إِلَى جَنْبِهِ. قِيلَ لِلْأَعْمَشِ: فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلَاتِهِ وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ؟ فَقَالَ بِرَأْسِهِ نَعَمْ» . ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ بَعْضَهُ، وَزَادَ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ جَلَسَ عَنْ يَسَارِ أَبِي بَكْرٍ، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي غَيْرِ مَا مَوْضِعٍ مِنْ كِتَابِهِ، وَمُسْلِمٌ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ، مِنْهَا مَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، وَمُسْلِمٍ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ وَيَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪১৮৭
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِي مَرَضِهِ: " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ " قَالَتْ عَائِشَةُ: قُلْتُ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ مَقَامَكَ، لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ، فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ، فَقُلْتُ لِحَفْصَةَ: قُولِي لَهُ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ إِذَا قَامَ فِي مَقَامِكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ، فَمُرْ عُمَرَ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ، فَفَعَلَتْ حَفْصَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَهْ إِنَّكُنَّ لَأَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ لِلنَّاسِ " فَقَالَتْ حَفْصَةُ لِعَائِشَةَ: مَا كُنْتُ لِأُصِيبَ مِنْكِ خَيْرًا» . وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى ثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ ثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ فِي مَرَضِهِ فَكَانَ يُصَلِّي بِهِمْ. قَالَ عُرْوَةُ: فَوَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ نَفْسِهِ خِفَّةً، فَخَرَجَ فَإِذَا أَبُو بَكْرٍ يَؤُمُّ النَّاسَ، فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ اسْتَأْخَرَ، فَأَشَارَ إِلَيْهِ أَنْ كَمَا أَنْتَ. فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِذَاءَ أَبِي بَكْرٍ إِلَى جَنْبِهِ، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلَاةِ
পৃষ্ঠা - ৪১৮৮
বললেন এ্যা ষ্-গ্ ণ্ধ্ প্-ষ্ ১১ ১ গামলায় আমার জন্য পানি ঢেলে দাও, আমরা তা
করলাম ৷ অইিশা (বা) বলেন, তিনি গোসল করার পরে উঠে র্দাড়াতে গেলে সংজ্ঞা হারিয়ে
ফেললেন ৷ পরে চেতনা ফিরে পেয়ে বললেন, গ্রাগ্রা এশ্া লোকেরা কি সালাত আদায়
করেছে? আমরা কালাম দ্বী না, তারা আপনার প্রতীক্ষায় রয়েছে ইয়া বা সুল ৷ল্পাহ্ ! তিনি
বললেন, আমার জন্য গামলায় পানি চোল দাও ৷” আমরা তা করলাম ৷ তখন তিনি গোসল
করলেন ৷ পরে র্দড়ােডে উদ্যত হলে তিনি চেতনা হারিয়ে ফেললেন ৷
তারপর চেতনা ফিরে পেয়ে বললেন, “লোকেরা কি সালাত আদায় করেছে ?” আমরা
বললাম ল্লী, না ৷ র্তার৷ আপনার জন্য অপেক্ষা কাছে ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! তিনি বললেন, আমার
জন্য গামলায় পানির ব্যবস্থা কর ৷ আমরা তা করলে তিনি গোসল করলেন এবং পরে উঠে
র্দাড়াতে গেলে চেতনা হারিয়ে ফেললেন ৷ পরে চেতনা ফিরে পেয়ে বললেন, লোকেরা কি
সালাত আদায় করেছে ? আমরা বললাম, জী না, ইয়া রাসুলাল্পাহ ! তারা আপনার প্রভীক্ষায়
রয়েছে ৷” অইিশা বলেন, লোকেরা মসজিদে নিশ্চল হয়ে ইশার সালাতের জন্য রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর প্রভীক্ষা করছিল ৷
তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করার জন্য আবু বকর (রা)-এর
কাছে লোক পাঠালেন ৷ আবু বকর (বা) ছিলেন কোমল প্রাণ মানুষ ৷ তইি তিনি বললেন, হে
উমর! লোকদের সালাতে ইমামতি করুন !” তিনি বললেন, “এ বিষয় অগ্নগণ্য ৷ ” তখন তিনি
(আবু বকর) ঐ দিনগুলিতে তাদের সালাতে ইমামতি করলেন ৷ পরে (একদিন) রাসুলুল্লাহ্
(সা) খানিকটা সুস্থতা বোধ করলে দুইজন লোকের উপর (ভর দিয়ে) যুহ্র সালাতের জন্য
বের হলেন ৷ সে দুজনের একজন হলেন আব্বাস (রা) ৷ আবু বকর (রা) (সালাতে থেকে)
তাকৈ (আগমন উদ্যত) দেখতে পেয়ে পিছনে সরে যেতে লাগলে নবী করীম (সা) র্তাকে
ইৎগিত করলেন যেন, পিছনে সরে না যান এবং ঐ দৃজনকে বললে র্তারা তাকে তার (আবু
বকরের) পাশে বসিয়ে দিলেন ৷ তখন আবু বকর (বা) দাড়িয়ে সালাত আদায় করতে থাকলেন
এবং রাসুলুল্পাহ্ (সা) বসে বসে সালাত আদায় করলেন ৷” (আইশার বর্ণনা সমান্ত) উবায়দৃল্লাহ
(র) বলেন, পরে আমি ইবন আব্বাস (রা)-এর কাছে গিয়ে তাকে বললাম, “ রাসুলুল্পাহ্ (সা)-
এর অসুস্থতা কালীন ঘটনাবলী সম্পর্কে আইশা (বা) আমাকে যা শুনিয়েছেন তা আপনার
কাছে উপস্থাপন করব কি ? “তিনি বললেন, আচ্ছা তা করতে পার ৷ তখন আমি র্তাকে
(আনুপুর্বিক্) বিবরণ দিলে তিনি তার কিছুই অস্বীকার করলেন না ৷ তবে তিনি এতটুকু
বললেন, আব্বাসের সাথে অন্য যে লোকটি ছিলেন, তিনি (আইশা) কি তোমার কাছে তার
নাম বলেছেন ? আমি বললাম, জী না ৷ তিনি বললেন, তিনি হলেন আলী (বা) ৷ বুখারী ও
মুসলিম (র) উভয় আহমদ ইবন ইউনুস (র), (যাইদা) হতেও (ঐ সনদে) হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে,“তখন আবু বকর (বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সালাতের
অনুসরনে দাড়িয়ে সালাত আদায় করতে লাগলেন; আর লোকেরা আবু বকরের সালাতের
অনুসরণে সালাত আদায় করছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ছিলেন উপবিষ্ট ৷ বায়হাকী (র) বলেছেন,
এ বর্ণনায় প্রতীয়মান হয় যে, এ সালাতে নবী করীম (সা) অ্যাবর্তী হয়ে (বসে) ছিলেন এবং
আবু বকর (বা) রাসুল (সা)-এর সালাতের সাথে নিজের সালাতকে সম্পৃক্ত করে দিয়েছিলেন ৷
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ بِهِ.
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «لَمَّا اشْتَدَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَعُهُ، قِيلَ لَهُ فِي الصَّلَاةِ، فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ، إِذَا قَامَ مَقَامَكَ لَمْ يُسْمِعِ النَّاسَ مِنَ الْبُكَاءِ. فَقَالَ: " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " فَعَاوَدَتْهُ مِثْلَ مَقَالَتِهَا، فَقَالَ: " أَنْتُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ، مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ» قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَأَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: لَقَدْ عَاوَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ، وَمَا حَمَلَنِي عَلَى مُعَاوَدَتِهِ إِلَّا أَنِّي خَشِيتُ أَنْ يَتَشَاءَمَ النَّاسُ بِأَبِي بَكْرٍ، وَإِلَّا أَنِّي عَلِمْتُ أَنَّهُ لَنْ يَقُومَ مَقَامَهُ أَحَدٌ إِلَّا تَشَاءَمَ النَّاسُ بِهِ، فَأَحْبَبْتُ أَنْ يَعْدِلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ إِلَى غَيْرِهِ.
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: وَأَخْبَرَنِي حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «لَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْتِي قَالَ: " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ
পৃষ্ঠা - ৪১৮৯
أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ، إِذَا قَرَأَ الْقُرْآنَ لَا يَمْلِكُ دَمْعَهُ، فَلَوْ أَمَرْتَ غَيْرَ أَبِي بَكْرٍ. قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا بِي إِلَّا كَرَاهِيَةُ أَنْ يَتَشَاءَمَ النَّاسُ بِأَوَّلِ مَنْ يَقُومُ فِي مَقَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: فَرَاجَعْتُهُ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلَاثًا. فَقَالَ " لِيُصَلِّ بِالنَّاسِ أَبُو بَكْرٍ فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ» .
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «مَرِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " فَقَالَتْ عَائِشَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ أَبَا بَكْرٍ رَجُلٌ رَقِيقٌ، مَتَى يَقُمْ مَقَامَكَ لَا يَسْتَطِعْ يُصَلِّي بِالنَّاسِ. قَالَ: فَقَالَ " مُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ، فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ يُوسُفَ " قَالَ: فَصَلَّى أَبُو بَكْرٍ حَيَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ، فَقُلْتُ: أَلَا تُحَدِّثِينِي عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَتْ: بَلَى، ثَقُلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " أَصَلَّى النَّاسُ؟ " فَقُلْنَا: لَا، هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ: " ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ " فَفَعَلْنَا، قَالَتْ: فَاغْتَسَلَ، ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ: " أَصَلَّى النَّاسُ؟ " قُلْنَا: لَا، هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ
পৃষ্ঠা - ৪১৯০
আইশা (বা) হতে আসওয়ড়াদ ও উরওয়া (র) অনুরুপই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তদ্রাপ , ইবন
আব্বাস (বা) হতে আরকাম ইবন শুরাহ্বীল (র)-এর রিওয়ড়ায়াতও , অর্থাৎ এখানে উদ্দিষ্ট বিষয়
হল আহমদ (র) এর রিওয়ায়াত ইয়াহ্যা ইবন যাকারিয়্যা ইবন আবু যাইদা (র) (আরকাম
ইবন শুরড়াহ ৰীল সুত্রে ) ইবন আব্বাস (বা) হতে তিনি বলেন, পুর্বানৃরুপ বর্ণনা করে তাতে
অতিরিক্ত যোগ করেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) গিয়ে আবু বকরের পাশে তার বাম দিকে বসে পড়লেন
এবং আবু বকর (বা) যে আয়াত পর্যন্ত পৌছেছিলেন সে আয়াত হতে তিলাওয়াত আরম্ভ
করলেন ৷ পরে আহমদ (র) ওয়ার্কী (র) আরকাম (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে আরো বিশদ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ওয়াকী (র) তার বর্ণনায় কখনও বলতেন, “আবু বকর (রা) নবী করীম
(সা)এর ইকতিদা অনুগমন করছিলেন এবং লোকেরা আবু বকর (রা)-এর ইকতিদা অনুগমন
করছিল ৷ ” ইব ন মাজা (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আলী ইবন মুহাম্মদ (র), ইবন
আব্বাস (বা) সুত্রে অনুরুপ ৷ পক্ষান্তরে; ইমাম আহ্ মদ (র) বলেছেন, শাবাব৷ ইবন যাওয়ার
(র) আইশা (রা) হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার যে অসুস্থতার ইন্তিকাল করেছিলেন
তাতে তিনি আবু বকরের পিছনে’ উপবিষ্ট হয়ে সালাত আদায় করেছেন ৷” তিরমিযী ও নাসাঈ
(র)ও হাদীসটি শুবা বরাতে রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিরমিযী (র) হাসান সাহীহ বলে মন্ত
যা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র ) আরো বলেন, বকর ইবন ঈসা (র) (শুবা) (মসবৃকৃক) আইশা
(র) হতে এ মর্মে যে, আবু বকর (রা) লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন, রাসুলুল্লাহ্
(মা) ছিলেন (ঘুক্তাদীদের) কাতারে ৷ বায়হাকী (র) বলেছেন, আবুল হুসায়ন ইবন ফাষ্ল
আল-কাত্তান (র) আইশা (বা) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকরের পিছনে
(মুক্তড়াদী হয়ে) সালাত আদায় করেছেন ৷
এ সনদটি বেশ উত্তম (জাব্যিদ) সনদ; তবে (ছয়) গ্রহকারগণ তা উদ্ধৃত করেন নি ৷
বায়হাকী (র) বলেছেন, অনুরুপ হুমায়দ (র) আনাস ইবন মালিক (বা) হতে এবং ইউনুস (র)
হাসান (রা) হতে হাদীসটি মুরসালরুপে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ পরে আবার হাদীসটি সনদযুক্ত
রিওয়ায়াত করেছেন, হুশায়ম (র) সুত্রে (হুশায়ম-ইউসুস-হসােন এবং হুশায়ন-হুময়েদ-আনাস
ইবন মালিক) এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন, আবু বকর (বা) তখন লোকদের নিয়ে
সালাত আদায় করছিলেন ৷ তিনি (না) গিয়ে তার পাশে উপবেশন করলেন ৷ তখন তার পায়ে
ছিল একটি চাদব, যার দুপ্রান্ত তিনি বিপরীত যুথী করে (দু’র্কাধে ফেলে) রেখেছিলেন ৷ তিনি
তখন তার (আবু বকরের) সালাত অনুসারে (মুক্তাদী হয়ে) সালাত আদায় করলেন ৷
বায়হাকী (র) বলেন, আলী ইবন আহমদ ইবন আবদান (র) আনাস (বা) সুত্রে বলেছেন,
রাসৃলুল্লাহ্ (সা) শেষ যে সালাত জামাআতের সাথে আমার করেছেন তা তিনি আদায়
করেছিলেন আবু বকরের পিছনে এক কাপড়ে তা চাদরের ন্যায় জড়িয়ে ৷
ন্থকারের মন্তব্য : এটি একটি বেশ উত্তম সনদ, যা সহীহ্ (বৃখারী) গ্রন্থের শতইনৃকং
তবে (হয়) গ্রন্থকরগণ তা উ’জ্বও করেন নি ৷ এ ছড়ো মানুষের (ক্তাম হৃষ্ন্:তর ৷ স্:ঘ আন্হ্ব
<দ্বু৩ ন্থ ন্ ;ণ্ :ণ্হু ক — ইহি ওকসাল্লাক্রুমর £শ্ন্ট্টষ ঙ্গাল্ভ এ অতিরিক্ত স্ৰুবৃক্তিটুকু ক্রে;ছুব বহন
করে ন্ হারহই হু৷ ক্রুল্হ্বমষ্ন্ ইব ন্ষ্ হিন্ ন্ষ্ল্ ও ইহ্বন্হ্হ্ভ্র ইবন্ অ বুৰে ৷হুদ্ ন্ষ্ট্রব্রুও ভ্রুণ্ন্ন্ হ্
হতে ক্টন্হুশ্ন্খ কশুরক্রু-হপ্শ্ যে ন্ই“ ষ্কম্বীম ৰু ন্৷ ভ্র’বৃ বকং ৷রর্দা-£ব শ্যিন্£ন ণ্ন্ন্মোস্তু আঃন্ন্হ্ব
اللَّهِ. قَالَ " ضَعُوا لِي مَاءً فِي الْمِخْضَبِ " فَفَعَلْنَا فَاغْتَسَلَ، ثُمَّ ذَهَبَ لِيَنُوءَ فَأُغْمِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ فَقَالَ " أَصَلَّى النَّاسُ؟ " قُلْنَا: لَا هُمْ يَنْتَظِرُونَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَتْ: وَالنَّاسُ عُكُوفٌ فِي الْمَسْجِدِ يَنْتَظِرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِصَلَاةِ الْعِشَاءِ، فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ بِأَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَجُلًا رَقِيقًا، فَقَالَ: يَا عُمَرُ صَلِّ بِالنَّاسِ. فَقَالَ: أَنْتَ أَحَقُّ بِذَلِكَ. فَصَلَّى بِهِمْ تِلْكَ الْأَيَّامَ، ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَدَ خِفَّةً، فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ، أَحَدُهُمَا الْعَبَّاسُ لِصَلَاةِ الظُّهْرِ، فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِيَتَأَخَّرَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ أَنْ لَا يَتَأَخَّرَ، وَأَمْرَهُمَا فَأَجْلَسَاهُ إِلَى جَنْبِهِ، فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي قَائِمًا، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي قَاعِدًا» . قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: فَدَخَلْتُ عَلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، فَقُلْتُ: أَلَا أَعْرِضُ عَلَيْكَ مَا حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ عَنْ مَرَضِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: هَاتِ. فَحَدَّثْتُهُ فَمَا أَنْكَرَ مِنْهُ شَيْئًا، غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: سَمَّتْ لَكَ الرَّجُلَ الَّذِي كَانَ مَعَ الْعَبَّاسِ؟ قُلْتُ: لَا. قَالَ هُوَ عَلِيٌّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ يُونُسَ، عَنْ زَائِدَةَ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ: فَجَعَلَ أَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ قَائِمٌ، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلَاةِ أَبِي بَكْرٍ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَاعِدٌ.
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَفِي هَذَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَقَدَّمَ فِي هَذِهِ الصَّلَاةِ، وَعَلَّقَ أَبُو بَكْرٍ
পৃষ্ঠা - ৪১৯১
করলেন ৷ একখানি কাপড়, চাদর পরিধান করে, তার দৃ’প্রান্ত বিপরীত সুখী করে (র্কাধের
উপর) রেখে, পরে যখন র্দাড়াবার ইচ্ছা ব্বলেন, তখন বললেন, “আমার জন্য উসামা ইবন
যড়ারদকে ডেকে আন ৷ উর্সামা এসে গেলে তিনি নিজের পিঠ তার বুকের সাথে লাগ্যালন
(এবং উঠে র্দাড়ালেন) ৷ এ সালাতই ছিল জব আদায় কৃত শেষ সালাত ৷ বায়হাকী বলেন, এ
বণ্নাি থেকে প্রতীয়মান হয় যে, এ সালাত ছিল ওফাতের দিন সোমবারের ফজর সালাত ৷
কেননা, তা-ই হ্নি^৷ তার আদায়কৃত গেম সালাত ৷ কেননা, এ কথা প্রমাণিত যে, তিনি
সোমবার প্রথম প্রহরে ইন্তিকাপ্স করেছিলেন ৷
গ্রস্থুকারের কথা : বায়হাকী(র) তার কথিত এ বক্তবটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ (সম্ভবত) মুসা
ইবন উক্বার মাপাযী’ গ্রন্থ থেকে হুবহু ৷ কেননা, মুসা (র) অনুরুপই উল্লেখ করেছেন, আবুল
আসৃওয়াদ (র) ও উরওয়া (র) হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ জ্যি এ বত্তল্যটি দুর্বল ও
অসমর্থিত, বরৎ এটি হবে জামাআতের সাথে আদায়কৃত নবী করীম (না)-এর শেষ সালাত ৷
যেমন পুর্বোল্লিখিত্ত একটি রিওয়ারাতে এরুর্পবিবৃত হয়েছে ৷ আর মুল হাদীস যেহেতু এক
ও অত্যি ৷ সুতরাং নির্গয়বিহীন ও উন্মুক্ত (সুত্লাক) বর্ণনাকে নির্ণয়যুক্ত বিশিষ্ট (ষুকায়াদ)
বর্ণনার অধীন বস্মা হবে ৷ সুজ্ঞাৎ এ কথা বলার অবকাশ থাকছে না যে, তা ওফাত দিবস
ণ্সামবারের ফজরের সালাত ছিল ৷ কেননা, সে সালাত তিনি জামাআতের সাথে আদায়
করেন নি, বরৎ দৃর্বলতার কারণে নবী কবীম (সা) সে সালাত আদায় করেছিলেন তীর
হুজরায় ৷ এ ব্যাপারে আমার কাছে প্রমাণ হল সহীহ্ গ্রন্থে বুখারী (র)-এর বিবৃতি আবুল
ইয়ামান (র) আনাস ইবন মালিক (রা)-এর বরাতে খবর দিয়েছেন, তিনি ছিলেন নবী কবীম
(না)-এর সার্বক্ষণিক খাদিম ও বিশ্বত সহচর, এ মর্মে যে নবী করীম (সা) যে অসুস্থতার
ইন্তিকাল করলেন, যে সময় আবু বকর (রা) তাদের (ইমাম) হয়ে সালাত আদায় বম্মতেন ৷
এভাবে সোমবার (সকালে) তারা সালাতে সারিবদ্ধ ছিলেন ৷
তখন নবী কবীম (সা) তীর হুড্ডার পদা তুলে আমাদের দিকে তাকালেন; তিনি তখন
র্দাড়িয়েছিলেন এবং তার চেহারা যুবারক ছিল হাসিতে উদ্ভাসিত ৷ যেন তা পবিত্র গ্রন্থের
পাতা ৷ নবী করীম (না)-কে দেখার কারণে আমাদের আনন্দাতিশয্যে বিশৃৎখল ও আত্মহারা
হওয়ার উপক্রম হয়েছিল ৷ আবু বকর (রা) কাতারে নাযিল হওয়ার উদ্দেশ্যে পিছু হট্তে
উদ্যত হলেন ৷ কারণ তিনি ভেবেছিলেন যে, নবী করীম (সা) সালাতের জন্য বেরিয়ে
আসছেন ৷ তখন নবী করীম (সা) আমাদের ইংগিত করলেন যে, তোমরা তোমাদের
সালাত পুর্ণ করে নাও ৷ পরে তিনি পর্দা ছেড়ে দিলেন এবং ঐ দিনই ইস্তিকাল বম্মলেন ৷
“মুসলিম (র) এ হাদীসটি জ্যি সুত্রের রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী (র) পরবর্তী রিওরায়াত
১ অর্থ উসুন (মুলনীতি) শাক্সের বিধান মতে কোন অতিরিক্ত বর্ণনা বিহীন ভাষ্য (যাকে পরিভাষায়
মুত্লাক ফ্লো শ্ উন্মুক্ত বলা হয়) অতিরিক্ত বর্ণনা যুক্ত ভাষ্যের (পরিভাষার মুকায়্যাদাও সীমিত ও সৎকীর্ণ)
সমান্তরালে প্রয়োগ করা হবে ৷ এটাই অজ্জি বিষয় পরস্পর বিরোধী বর্ণনাসমুহের ভৈবপয়ীত্য নিরসনের স্বীকৃত
পন্থা ৷-অনুৰাদক
صَلَاتَهُ بِصَلَاتِهِ
قَالَ: وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْأَسْوَدُ وَعُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْأَرْقَمُ بْنُ شُرَحْبِيلَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. يَعْنِي بِذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ. حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْأَرْقَمِ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «لَمَّا مَرِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، ثُمَّ وَجَدَ خِفَّةً فَخَرَجَ، فَلَمَّا أَحَسَّ بِهِ أَبُو بَكْرٍ أَرَادَ أَنْ يَنْكِصَ، فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ يَسَارِهِ، وَاسْتَفْتَحَ مِنَ الْآيَةِ الَّتِي انْتَهَى إِلَيْهَا أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ» . ثُمَّ رَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَرْقَمَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِأَطْوَلَ مِنْ هَذَا. وَقَالَ وَكِيعٌ مَرَّةً: فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ يَأْتَمُّ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ يَأْتَمُّونَ بِأَبِي بَكْرٍ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَرْقَمَ بْنِ شُرَحْبِيلَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِنَحْوِهِ.
وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا شَبَابَةُ بْنُ سَوَّارٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ قَاعِدًا فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ» . وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ حَسَنٌ صَحِيحٌ.
পৃষ্ঠা - ৪১৯২
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا بَكْرُ بْنُ عِيسَى، سَمِعْتُ شُعْبَةَ بْنَ الْحَجَّاجِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ صَلَّى بِالنَّاسِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الصَّفِّ» .
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ الْفَضْلِ الْقَطَّانُ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، أَنْبَأَنَا يَعْقُوبُ بْنُ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ» . وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَكَذَلِكَ رَوَاهُ حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَيُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلًا.
ثُمَّ أَسْنَدَ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ هُشَيْمٍ ; أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ هُشَيْمٌ: وَأَنْبَأَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ وَأَبُو بَكْرٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ، فَجَلَسَ إِلَى جَنْبِهِ وَهُوَ فِي بُرْدَةٍ قَدْ خَالَفَ بَيْنَ طَرَفَيْهَا فَصَلَّى بِصَلَاتِهِ» .
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَأَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ، ثَنَا عُبَيْدُ بْنُ شَرِيكٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي حُمَيْدٌ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسًا يَقُولُ: «آخَرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ الْقَوْمِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ مُلْتَحِفًا بِهِ، خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ» . قُلْتُ: وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ عَلَى شَرْطِ الصَّحِيحِ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَهَذَا التَّقْيِيدُ جَيِّدٌ بِأَنَّهَا آخَرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا مَعَ النَّاسِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৪১৯৩
আবু মামার (র) , আনাস ইবন মালিক (বা) হতে, তিনি বলেন, নবী করীম (সা) তিন দিন
বের হলেন না ৷ এদিকে সালাতের ইমামাত বলা হলে আবু বকর (বা) (যথারীতি) ড্ডাবভী
হয়ে গেলেন ৷ ওদিকে নবী করীম (না) বললেন, পদা তুলে দাও ৷ পর্দা তুলে দিলে তীর
ঘুখমণ্ডল উজ্জ্বল হয়ে উঠল ৷ তার চেহারা যখন উদ্ভাসিত হল তখন আমাদের মনে হল যে,
আমরা নবী কবীম (না)-এর ঢেহারার চাইতে অধিকতর মােহনীয় কোন দৃশ্য আমরা কোন
দিন দেখি নি ৷” নবী কবীম (না) তখন তার হাত দিয়ে আবু বকরকে অগ্নবর্তী থাকার
ইংগিত করলেন ৷ তিনি পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন ৷
তারপর ওফাত পর্বত আর মসজিদে আগমন করতে সমর্থ হলেন না ৷” মৃসলিম (র)
ভিন্ন সনদে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ সুতরাং এ হাদীসটি পুর্বোল্লির্থিত দাবীর স্পষ্ট
প্রমাণ যে, নবী করীম (সা) সোমবারের ফজর সালাত জনতার সাথে আদায় করেন নি এবং
তিনি তাদের কাছে থেকে (পেয়ে বারের মত) চলে যাওয়ার পর তিন দিন যাবত তাদের
কাছে আর আলেননি ৷ সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, শেব যে সালাত তিনি র্তাদের সাথে
আদায় করেছিলেন তা হবে যুহর সালড়াত ৷ যেমন, আইশা (না)-এর পুর্বোল্লিখিত হাদীসে
স্পষ্ট বিবৃত হয়েছে এবং তা হবে বৃহস্পতিবারের ঘটনা ৷ শনিবারেরও নয় £রাববারেরও
নয় যা নাকি মুসা ইবন উকবার মাগাযীর দুর্বল সুত্রে বড়ায়হড়াকী (র) উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ
ছাড়াও আমাদের অনৃকুলে রয়েছে আমাদের পুর্বোল্লিখিত বৃহস্পতিবার যুহর সালাতের পরে
প্রদত্ত নবী করীম (না)-এর ভাষণ এবং তিন দিন জামাআত হতে তীর বিচ্ছিন্ন থাকার
বিবরণ ৷ দিন তিনটি হল শুক্র, শনি ও রবিবার, পুর্ণ তিন দিন ৷ যুহ্বী (র) আবু বকর: ইবন
আবু সড়াবরড়া (রা) এর ররাতে বলেছেন, “আবু বকর (রা) র্তাদের নিয়ে সতের ওয়াক্ত
সালাত আদায় করেছিলেন ৷ অন্যান্যরা বলেছেন, বিশ ওয়াক্ত সালাত ৷” আল্লাহই সমধিক
অবগত ৷ তারপর সোমবারের প্রত্যুষে তাদের দিকে শেষবারের মত তাকিয়ে তাদের নিকট
থেকে বিদায় (নন ৷ তীর সে মােহনীয় দৃষ্টিপাতে আনন্দে আত্মহারা হওয়ার দরুন তাদের
সালাতে বিঘ্র সৃষ্টির উপক্রম হয়েছিল ৷ এ দর্শনই ছিল প্রিয় নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়ড়াসাল্লমোঃক সাহাবী জনতার শেষ দর্শন এবং র্তাদের অবস্থা থেকে এ অভিব্যতিঃ৷ প্রকাশ
ঘটছিল ৷ (কবির ভাষায়)-
“যুহুর্তের বিরহে মরমে পশিল বিচ্ছেদের অসহ জ্বালড়া , হাশর অবধি সে বিচ্ছেদ জ্বালা সইব
কেমনে বল ৷”
বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, হাফিজ বায়হাফী (র)এর ন্যায় ভীক্ষ্ণবী হাদীস বিশারদ এ
হাদীসটি উল্লিখিত দুই সুত্রেই বর্ণনা করেছেন এবং বৈপরীতা নিরসনে তিনি যা বলেছেন তার
সড়ার কথা হল সম্ভবত নবী করীম (সা) প্রথম রাকড়াআতের সময় পর্দায় আড়ালে ছিলেন; পরে
দ্বিতীয় রাকআতের সময় বেরিয়ে এসে আবু বকর (রড়া)-এর পিছনে সালাত আদায়
করেছিলেন ৷ যেমন উরওয়৷ (র)-ও মুসা ইবন উক্বা (র) বলেছেন এবং বিষয়টি আনাস ইবন
৫০ ৷ড়া
وَقَدْ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ وَيَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ بُرْدٍ مُخَالِفًا بَيْنَ طَرَفَيْهِ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَقُومَ قَالَ: " ادْعُ لِي أَسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ " فَجَاءَ فَأَسْنَدَ ظَهْرَهُ إِلَى نَحْرِهِ، فَكَانَتْ آخِرَ صَلَاةٍ صَلَّاهَا» .
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: فَفِي هَذَا دَلَالَةٌ أَنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ كَانَتْ صَلَاةَ الصُّبْحِ مِنْ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ يَوْمَ الْوَفَاةِ ; لِأَنَّهَا آخِرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا لِمَا ثَبَتَ أَنَّهُ تُوُفِّيَ ضُحَى يَوْمِ الِاثْنَيْنِ. وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ الْبَيْهَقِيُّ أَخَذَهُ مُسَلِّمًا مِنْ " مَغَازِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ " فَإِنَّهُ كَذَلِكَ ذَكَرَ. وَكَذَا رَوَى أَبُو الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، وَذَلِكَ ضَعِيفٌ، بَلْ هَذِهِ آخَرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا مَعَ الْقَوْمِ، كَمَا تَقَدَّمَ تَقْيِيدُهُ فِي الرِّوَايَةِ الْأُخْرَى، وَالْحَدِيثُ وَاحِدٌ فَيُحْمَلُ مُطْلَقُهُ عَلَى مُقَيَّدِهِ، ثُمَّ لَا يَجُوزُ أَنْ تَكُونَ هَذِهِ صَلَاةَ الصُّبْحِ مِنْ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ يَوْمِ الْوَفَاةِ، لِأَنَّ تِلْكَ لَمْ يُصَلِّهَا مَعَ الْجَمَاعَةِ، بَلْ فِي بَيْتِهِ لِمَا بِهِ مِنَ الضَّعْفِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ.
وَالدَّلِيلُ عَلَى ذَلِكَ مَا قَالَ الْبُخَارِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، وَكَانَ تَبِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَدَمَهُ وَصَحِبَهُ، «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ كَانَ يُصَلِّي لَهُمْ فِي
পৃষ্ঠা - ৪১৯৪
وَجَعِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ الِاثْنَيْنِ وَهُمْ صُفُوفٌ فِي الصَّلَاةِ فَكَشَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتْرَ الْحُجْرَةِ يَنْظُرُ إِلَيْنَا وَهُوَ قَائِمٌ كَأَنَّ وَجْهَهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ، تَبَسَّمَ يَضْحَكُ، فَهَمَمْنَا أَنْ نَفْتَتِنَ مِنَ الْفَرَحِ بِرُؤْيَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَكَصَ أَبُو بَكْرٍ عَلَى عَقِبَيْهِ لِيَصِلَ الصَّفَّ، وَظَنَّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَارِجٌ إِلَى الصَّلَاةِ، فَأَشَارَ إِلَيْنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ أَتِمُّوا صَلَاتَكُمْ، وَأَرْخَى السِّتْرَ، فَتُوُفِّيَ مِنْ يَوْمِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ وَصَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ وَمَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ.
ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، ثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «لَمْ يَخْرُجِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثًا، فَأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ، فَذَهَبَ أَبُو بَكْرٍ يَتَقَدَّمُ، فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ: " عَلَيْكُمْ بِالْحِجَابِ " فَرَفَعَهُ فَلَمَّا وَضَحَ وَجْهُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا نَظَرْنَا مَنْظَرًا كَانَ أَعْجَبَ إِلَيْنَا مِنْ وَجْهِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ وَضَحَ لَنَا، فَأَوْمَأَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ إِلَى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَتَقَدَّمَ، وَأَرْخَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحِجَابَ، فَلَمْ يَقْدِرْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ، عَنْ أَبِيهِ بِهِ. فَهَذَا أَوْضَحُ دَلِيلٍ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يُصَلِّ يَوْمَ الِاثْنَيْنِ صَلَاةَ الصُّبْحِ مَعَ النَّاسِ، وَأَنَّهُ كَانَ قَدِ انْقَطَعَ عَنْهُمْ ; لَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ ثَلَاثًا.
পৃষ্ঠা - ৪১৯৫
মালিক (রা) এর কাছে অজ্ঞাত ৷ কিত্ৰা তিনি হাদীসের অংশবিশেষ উল্লেখ করেছেন এবং তার ,
শেষ অংশের উল্লেখ থেকে বিরত থেকেছেন ৷ (আমার মতে ) বায়হাকী (র)-এর এ সমন্বয়
প্রয়াস বাস্তবতা হতে যথেষ্ট দুরের ৷ কেননা, আনাস (বা) পরিস্কার বলেছেন যে, “ইনতিকাল
পর্যন্ত তিনি আর তাতে (অর্থাৎ আমাআতে হাবিব হতে) সমর্থ হন নি ৷” অন্য এক বিওয়ায়াতে
তিনি বলেছেন, “এটাই ছিল তার শেষ দর্শন ৷ আর এ ধরনের ক্ষেত্রে সাহাবীর উক্তি তাবিঈ
উক্তির তুলনায় অগ্রপণ্য ৷ আল্লাহ্ব সমধিক অবগত ৷
এ আলোচনায় আমাদের লক্ষ্য হল ইসলামের সর্ব প্রধান আমলী রুক্ন ও প্রধান কর্মসুচী
সালাতের ক্ষেত্রে আল্লাহর রাসুল (সা) আবু বকর সিদ্দীক (না)-কেই সকল সাহাবীর ইমাম
রুপে অগবর্তী করে দিয়েছিলেন ৷ শায়খ আবুল হাসান আশআবী (র) বলেছেন, স্বয়ং রাসুলুল্লাহ্
(সা) কর্তৃক তাকে ইমাম নিযুক্ত করা দীন-ইসলামের একটি সর্বজন স্বীকৃত ব্যাপার ৷” তিনি
আরো বলেছেন, এবং তাকে অগ্নবর্তী করে দেয়া এ কথারও প্রমাণ বহন করে যে, তিনি
সাহারা-ই কিরামের মাঝে সৰ্বাধিক প্রজ্ঞে ও শ্রেষ্ঠ কুরআনবিদ ছিলেন ৷ কেননা, সকল
আলিমের কাছে সর্বসম্মত বিশুদ্ধ বলে স্বীকৃত হাদীসে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেস্ফো
ষ্এ ৷ফুওএে ()ৰুব্ল
“কওমের ইমামত করবে আল্লাহর কিতাবের সম্পর্কে সৰ্বাধিক জ্ঞানী ব্যক্তি ৷ কুরআনের
ইলুমে র্তারা সম পযায়ের হলে র্তাদেব মাঝে শ্রেষ্ঠ হাদীসবিশারদ; সুন্নাহ্র ইলুমে জরা সম
পর্যায়ের হলে তার তাদের মাঝে বয়োজ্যেষ্ঠ এবং বয়সে সকলে সমান হলে তাদের মাঝে
ইসলাম গ্রহণ প্রবীণ ও অগ্রবর্তী ব্যক্তি ৷ (আমার মতে) আশআরী (র)-এর এ অভিমতটি
স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার উপযুক্ত ৷ এ ছাড়া এখানে লক্ষণীয় যে, উল্লিখিত সব কটি বিশেমণই
সমবেত হয়েছে মহান সিদ্দীকের মাঝে (আল্লাহ তার প্রতি রাষী থাকুন এবং র্তাকে তুষ্ট
করুন) ৷
প্রসংগত বিভিন্ন সহীহ্ রিওয়ড়ায়াত সুত্রে প্রমাণিত কোন কোন সলােতে আবু বকর (রা)-এর
পিছনে নবী করীম (না)-এর সলোত আদায় এবং অন্যান্য বিশুদ্ধ বিওয়ড়াতের বর্ণনামতে নবী
করীম (না)-এর অনুগামী যুক্তাদী হয়ে সালাত আদায়, এ দৃয়ের মাঝে মুলত কোন বিরোধ
নেই ৷ কেননা, এ দুটি ভিন্ন ভিন্ন সময় ও ভিন্ন ভিন্ন সলােতের ঘটনা ৷ যেমন ইমাম শাফিঈ (র)
প্রমুখ হাদীস বিশারদ ও বিদ্বানবর্গ স্পষ্ট ব্যক্ত করেছেন ৷
প্রন্সংণিক আলোনাে : নবী কবীম (না)-এর উপবিষ্ট হয়ে সালাত আদায় এবং আবু বকর
(রা)-এর র্দাড়ানাে অবস্থায় নবী কয়ীম (না)-এর ইক্তিদা এবং অন্যান্য মুসল্লীপণেরও দাড়িয়ে
আবু বকর (রা)-এর ইক্তিদা (যা আলোচ্য হাদীসের উপজীব্য) ৷ এ ঘটনার সুত্রে ইমাম
মালিক, শাফিঈ ও অন্যান্য বিশিষ্ট আলিমগণ বিশেষত ইমাম বুখারী (র) এ বিষয়ের পুর্ববর্তী
বিধান রহিত হওয়ার অভিমত রক্তে করেছেন এবং নবী করীম (সা) ওফাত-পুর্ব অসুস্থতাকালীন
এ আমলকে র্তাদের এ অভিমতের দলীলরুপে উপস্থাপন করেছেন ৷ পুর্ববর্তী বিধান সাব্যস্ত
হয়েছে বুখারী যুসলিমের সমন্বিত রিওয়ড়ায়াত সুত্রে ৷ বর্ণনা মতে নবী কবীম (সা) একবার
قُلْنَا فَعَلَى هَذَا يَكُونُ آخِرُ صَلَاةٍ صَلَّاهَا مَعَهُمُ الظَّهْرَ، كَمَا جَاءَ مُصَرَّحًا بِهِ فِي حَدِيثِ عَائِشَةَ الْمُتَقَدِّمِ، وَيَكُونُ ذَلِكَ يَوْمَ الْخَمِيسِ لَا يَوْمَ السَّبْتِ، وَلَا يَوْمَ الْأَحَدِ كَمَا حَكَاهُ الْبَيْهَقِيُّ عَنْ " مَغَازِي مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ "، وَهُوَ ضَعِيفٌ ; لِمَا قَدَّمْنَا مِنْ خُطْبَتِهِ بَعْدَهَا، وَلِأَنَّهُ انْقَطَعَ عَنْهُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةَ، وَالسَّبْتِ، وَالْأَحَدِ، وَهَذِهِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ كَوَامِلُ.
وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ صَلَّى بِهِمْ سَبْعَ عَشْرَةَ صَلَاةً. وَقَالَ غَيْرُهُ: عِشْرِينَ صَلَاةً. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ بَدَا لَهُمْ وَجْهُهُ الْكَرِيمُ صَبِيحَةَ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ فَوَدَّعَهُمْ بِنَظْرَةٍ كَادُوا يَفْتَتِنُونَ بِهَا، ثُمَّ كَانَ ذَلِكَ آخِرَ عَهْدِ جُمْهُورِهِمْ بِهِ، وَلِسَانُ حَالِهِمْ يَقُولُ، كَمَا قَالَ بَعْضُهُمْ:
وَكُنْتُ أَرَى كَالْمَوْتِ مِنْ بَيْنِ سَاعَةٍ ... فَكَيْفَ بِبَيْنٍ كَانَ مَوْعِدَهُ الْحَشْرُ
وَالْعَجَبُ أَنَّ الْحَافِظَ الْبَيْهَقِيَّ أَوْرَدَ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ هَاتَيْنِ الطَّرِيقَيْنِ، ثُمَّ قَالَ مَا حَاصِلُهُ: فَلَعَلَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، احْتَجَبَ عَنْهُمْ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ، ثُمَّ خَرَجَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ، فَصَلَّى خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ، كَمَا قَالَ عُرْوَةُ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَخَفِيَ ذَلِكَ عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَوْ أَنَّهُ ذَكَرَ بَعْضَ الْخَبَرِ وَسَكَتَ عَنْ آخِرِهِ. وَهَذَا الَّذِي ذَكَرَهُ أَيْضًا بَعِيدٌ جِدًّا ; لِأَنَّ أَنَسًا قَالَ: فَلَمْ يَقْدِرْ عَلَيْهِ حَتَّى مَاتَ. وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: فَكَانَ ذَلِكَ آخِرَ الْعَهْدِ بِهِ. وَقَوْلُ الصَّحَابِيِّ مُقَدَّمٌ عَلَى قَوْلِ التَّابِعِيِّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدَّمَ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ إِمَامًا لِلصَّحَابَةِ كُلِّهِمْ فِي
পৃষ্ঠা - ৪১৯৬
الصَّلَاةِ الَّتِي هِيَ أَكْبَرُ أَرْكَانِ الْإِسْلَامِ الْعَمَلِيَّةِ.
قَالَ الشَّيْخُ أَبُو الْحَسَنِ الْأَشْعَرِيُّ: وَتَقْدِيمُهُ لَهُ أَمْرٌ مَعْلُومٌ بِالضَّرُورَةِ مِنْ دِينِ الْإِسْلَامِ. قَالَ: وَتَقْدِيمُهُ لَهُ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ أَعْلَمُ الصَّحَابَةِ وَأَقْرَؤُهُمْ ; لِمَا ثَبَتَ فِي الْخَبَرِ الْمُتَّفِقِ عَلَى صِحَّتِهِ بَيْنَ الْعُلَمَاءِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ، فَإِنْ كَانُوا فِي الْقِرَاءَةِ سَوَاءً فَأَعْلَمُهُمْ بِالسُّنَّةِ، فَإِنْ كَانُوا فِي السُّنَّةِ سَوَاءً فَأَكْبُرُهُمْ سِنًّا، فَإِنْ كَانُوا فِي السِّنِّ سَوَاءً فَأَقْدَمُهُمْ سِلْمًا» قُلْتُ: وَهَذَا مِنْ كَلَامِ الْأَشْعَرِيِّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، مِمَّا يَنْبَغِي أَنْ يُكْتَبَ بِمَاءِ الذَّهَبِ، ثُمَّ قَدِ اجْتَمَعَتْ هَذِهِ الصِّفَاتُ كُلُّهَا فِي الصِّدِّيقِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، وَصَلَاةُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلْفَهُ فِي بَعْضِ الصَّلَوَاتِ، كَمَا قَدَّمْنَا بِذَلِكَ الرِّوَايَاتِ الصَّحِيحَةَ، لَا يُنَافِي مَا رُوِيَ فِي " الصَّحِيحِ " أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ائْتَمَّ بِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ ; لِأَنَّ ذَلِكَ فِي صَلَاةٍ أُخْرَى، كَمَا نَصَّ عَلَى ذَلِكَ الشَّافِعِيُّ وَغَيْرُهُ مِنَ الْأَئِمَّةِ، رَحِمَهُمُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ
فَائِدَةٌ: اسْتَدَلَّ مَالِكٌ وَالشَّافِعِيُّ وَجَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ، وَمِنْهُمُ الْبُخَارِيُّ، بِصَلَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، قَاعِدًا، وَأَبُو بَكْرٍ مُقْتَدِيًا بِهِ قَائِمًا، وَالنَّاسُ بِأَبِي بَكْرٍ، عَلَى نَسْخِ قَوْلِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فِي الْحَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৭
উপবিষ্ট অবস্থায় র্তার কতক সাহাৰীকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন ৷ কারণ তিনি একটি
ঘোড়ার পিঠ হতে পড়ে যাওয়ার কারণে তার পাজরে আঘাত পেয়েছিলেন ৷ সাহাবীগণ তার
পিছনে (দাড়িয়ে) সালাত আদায় করতে শুরু করলে, তিনি তাদের বলে পড়ার ইৎগিত
করলেন ৷ সালাত সমাপনাতে তিনি বললেন-
ণ্শ্গ্র
এে৷ (;)াদ্বু,) প্রু,াপ্রু
“এণ্ডাবেই তো যার হাতে আমার জীবন তার কন্যা তোমরা করে থাক পারসিক ও
রোমানদের ন্যায় আচরণ ৷ ওরা ওদের প্রধানদের সামনে দাড়িয়ে থাকে আর নেতারা থাকে
উপবিষ্ট (না, এমন করো না)৷ ৷তিনি আরো বললেন ইএড়াম গ্রহণের উদ্দেশ্যই হল, তার
অনৃণমন করা ৷ তাই ইমাম তাক্বীর বললে তোমরা তহ্বকবীর বলবে ৷ তিনি রুকু করলে
তোমরা রুকু করবে, তিনি রুকু হতে মাথা তৃললে তােমরাও মাথা তুলবে; তিনি সিজদা
করলে তােমরাও সিজদায় যাবে এবং ইমাম বসে বসে সালাত আদায় করলে তোমরাও
সকলেই বসে বসে সালাত আদায় করবে ৷ বিদ্বান ও ঘুজতাহিদ আলিমগণ বলেছেন,
পরবর্তীতে ওফা৩ তপুর্ব অসুস্থতাকালে নবী করীম (সা) বসে বলে তাদের ইমড়ামত করেছেন এবং
তারা র্দাড়৷ ৷নাে ছিলেন ৷ সুতরাং পুর্ববর্তী বিধান রহিত হওয়া প্রমাণিত হল ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷
তবে এ অভিমতের প্রতিকুল অভিমত পােযণকারীগণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ হতে এর বিভিন্ন জবাব
উপস্থাপন করেছেন ৷ (কিতাবুল আহ্কাম আলকাবীর এ প্রসৎগে বিশদ আলোচনার উপযোগী
ণ্ক্ষাত্র সে সব জবাবের সারসংক্ষেণ হল (ক) কারো কারো মতে এ শেষোক্ত সালাতে সাহাবীগণ
উপবিষ্ট ছিলেন, নবী করীম (না)-এর পুর্ববর্তী নির্দো৷ অনুসরণে ৷ শুধু আবু বকর (রা) একাকী
দীড়িয়েছিলেন বিশেষ প্রয়োজনে, অর্থাৎ নবী কয়ীম (না)-এর অবস্থা ঘুসল্লীদের পােচবীভুত করার
উদ্দেশ্যে; (খ) কারো কারো মতে প্রকৃতপক্ষে এ সালাতে আবু বকর (রা)-ই ইমাম ছিলেন (যেমন
পুর্ববর্তী কোন কোন রিওয়ায়াতে স্পষ্ট বিবরণ রয়েছে) ৷ তবে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রতি আবু বকর
(রা)-এর পরম আদর ও গ্রিষ্টিাচার রোধের কারনে তিনি অগ্রবর্তী না হয়ে বরং বাহ্যত তীর মুক্তাদী
ও অনৃগামী রুপে আচরণ করছিলেন ৷ তা হলে এখন বলা যায়, নবী করীম (সা) ইমামের জন্য
ইমাম ছিলেন ৷ সাধারণ ঘুসল্লীদের ইমাম ছিলেন না ৷ সাধারণ ঘুসল্লীরা যেহেতু আবু বকর (রা)-
এর পিছনে মুক্তাদী ছিলেন এবং র্তীদের ইমাম (আবু বকর) যেহেতু দাড়িয়ে ছিলেন, তইি
ঘুসল্লীগণ ও র্দ৷ ড়িয়ে স ৷লাত আদায় করেছেন ৷ অপরদিকেড়া র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) এর অনুকরণে সিদ্দীক
(রা)ন নাবস৷ র কারণ হল৩ তিনিই ছিলেন মুলত কওমের ইমাম এবং তদুপরি তিনি কওমের কাছে
নবী করীম ( সা) এর কর্ম ধারা, আচার-আচরণ, উঠা-বসা ইত্যাদি পৌছে দেয়ার দায়িতৃ পালন
করছিলেন ৷ আল্লাহ্ই সমাধিক অবগত; (গ) কেউ কেউ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে ইমাম যখন
দাড়িয়ে সালাত শুরু করেন এবং কোন কারণবশত সালাতের মাঝে বসে পহ শ্ন্ সে ;আঃ ন্ভ্রব্
পিছনে সালাত আদায় করা যেমন উল্লিখিত ঘটনা ঘটেজ্জি এবং শুরু হতে ঝস বমুন্ সালাত
আদায়কারী ইমামের পিছনে সালাত অদ্দোয় বলা, এ দৃয়ের স্চ্ক বিবরন পার্থক্য রয়েছে ক্ষ্ মোঃ
الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ «حِينَ صَلَّى بِبَعْضِ أَصْحَابِهِ قَاعِدًا، وَقَدْ وَقَعَ عَنْ فَرَسٍ فَجُحِشَ شِقُّهُ فَصَلَّوْا وَرَاءَهُ قِيَامًا فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ اجْلِسُوا، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: " كَذَلِكَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ تَفْعَلُونَ كَفِعْلِ فَارِسَ وَالرُّومِ ; يَقُومُونَ عَلَى عُظَمَائِهِمْ وَهُمْ جُلُوسٌ. وَقَالَ إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا، وَإِذَا سَجَدَ فَاسْجُدُوا، وَإِذَا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعُونَ» قَالُوا: ثُمَّ إِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَمَّهُمْ قَاعِدًا، وَهُمْ قِيَامٌ فِي مَرَضِ الْمَوْتِ، فَدَلَّ عَلَى نَسْخِ مَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ تَنَوَّعَتْ مَسَالِكُ النَّاسِ فِي الْجَوَابِ عَنْ هَذَا الِاسْتِدْلَالِ عَلَى وُجُوهٍ كَثِيرَةٍ، مَوْضِعُ ذِكْرِهَا كِتَابُ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
وَمُلَخَّصُ ذَلِكَ أَنَّ مِنَ النَّاسِ مَنْ زَعَمَ أَنَّ الصَّحَابَةَ جَلَسُوا لِأَمْرِهِ الْمُتَقَدِّمِ، وَإِنَّمَا اسْتَمَرَّ أَبُو بَكْرٍ قَائِمًا لِأَجْلِ التَّبْلِيغِ عَنْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ قَالَ: بَلْ كَانَ أَبُو بَكْرٍ هُوَ الْإِمَامُ فِي نَفْسِ الْأَمْرِ كَمَا صَرَّحَ بِهِ بَعْضُ الرُّوَاةِ كَمَا تَقَدَّمَ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ لِشِدَّةِ أَدَبِهِ مَعَ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُبَادِرُهُ بَلْ يَقْتَدِي بِهِ، فَكَأَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، صَارَ إِمَامَ الْإِمَامِ، فَلِهَذَا لَمْ يَجْلِسُوا لِاقْتِدَائِهِمْ بِأَبِي بَكْرٍ، وَهُوَ قَائِمٌ وَلَمْ يَجْلِسِ الصِّدِّيقُ لِأَجْلِ أَنَّهُ إِمَامٌ، وَلِأَنَّهُ يُبَلِّغُهُمْ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَرَكَاتِ وَالسَّكَنَاتِ وَالِانْتِقَالَاتِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ قَالَ فَرْقٌ بَيْنَ أَنْ يَبْتَدِئَ
পৃষ্ঠা - ৪১৯৮
الصَّلَاةَ خَلْفَ الْإِمَامِ فِي حَالِ الْقِيَامِ فَيَسْتَمِرَّ فِيهَا قَائِمًا وَإِنْ طَرَأَ جُلُوسُ الْإِمَامِ فِي أَثْنَائِهَا كَمَا فِي هَذِهِ الْحَالِ، وَبَيْنَ أَنْ يَبْتَدِئَ الصَّلَاةَ خَلْفَ إِمَامٍ جَالِسٍ فَيَجِبُ الْجُلُوسُ لِلْحَدِيثِ الْمُتَقَدِّمِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَمِنَ النَّاسِ مَنْ قَالَ: هَذَا الصَّنِيعُ وَالْحَدِيثُ الْمُتَقَدِّمُ دَلِيلٌ عَلَى جَوَازِ الْقِيَامِ وَالْجُلُوسِ وَإِنَّ كُلًّا مِنْهُمَا سَائِغٌ جَائِزٌ ; الْجُلُوسُ لِمَا تَقَدَّمَ وَالْقِيَامُ لِلْفِعْلِ الْمُتَأَخِّرِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.