سنة إحدى عشرة من الهجرة
ما وقع فيها من مرض الرسول صلى الله عليه وسلم ووفاته
পৃষ্ঠা - ৪১৪৩
একাদশ হিজরী সাল
এ বছরের নতুন চাদ উকি দিল যখন বিদায় হজ্জ শেষে নবী করীম (না)-এর মুবারক বাহন
মদীনা ঘুনাওয়ারায় ফিরে এসে থামলো এ বছরের ঘটনাবলীর তালিকায় রয়েছে অনেক
গুরুত্বপুর্ণ ও উল্লেখ্যযাগ্য ঐতিহাসিক ঘটনা ৷ সেগুলির মাঝে সর্বাধিক মর্যান্তিক হচ্ছে রাসুলুল্লাহ
(সা) এর ওফাত ৷ তবে কিনা তা র ওফাংতর মর্মার্থ হল আল্লাহ পাক তাকে অস্থায়ী জগত হতে
জান্নাতের সুউচচ মর্যাদা ও উন্নত অবস্থানে স্থানান্তরিত করে দেন, যার চাইতে উন্নত ও সঘুজ্জ্বল
কোন মর্যাদা নেই যেমন, মহান আল্লাহ তা জানা ইরশ দ করেন-
-ব্লেত্রএওৰুগ্র : )১ব্র;ষ্ দ্বু
“ণ্তমার জন্য পরবর্তী সময় (আ খিরাত) পুর্ববর্তী সময় (দুনিয়া) অপেক্ষা ণ্শ্রয় অচিরেই
তোমার প্ৰতিপালক তোমাকে (অক্বাহ) দান করবেন, যাতে তুমি সন্তুষ্ট হয়ে” (৯৩ : : ৫ )
আল্লাহ তা আলা তার প্রিয় নবীকে যে ৰিসালাতের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন তা পৌছিয়ে
দেয়ার কর্তব্য প্রতিপালনের পরে এবং উম্মতের কল্যাণ কামনা, দুনিয়া আখিরাতে তাদের জন্য
কল্যাণকর রুপে অবগত বিযয়া দিতে তাদের পথ নির্দো দান এবং তাদের জন্য অনিষ্ট ও
ক্ষতিকর বিষয়াদির নিযেধা জ্ঞা ও স৩ তর্কীকিরণ এ সব গুরু দায়িত্ব সুচড়া রুভ বে প্ৰতিপালনের পর
আল্লাহ পাক তাকে নিজ সান্নিধ্যে তুলে নিলেন সহীহ্ গ্রন্থকা রদ্বয় উমর ইবনুল খাত্তা ন (বা)
হতে সংশ্রিষ্ঠ বিষয়ে যে রিওয়ায়াত উপস্থাপন করেছেন তাতে বলা হয়েছে যে,
আয়তটি আরফা ত দিবস শুক্রবারে রাসুলুল্লাহ (না)-এর আরাফাত অবস্থান কালে নাযিল
হয়েছিল যা পুর্বেই আলোচিত হয়েছে ৷ এ ছাড়া, বেশ উত্তম সুত্রে আমরা রিওয়ায়াত করেছি
যে, এ আয়াত নাযিল হওয়ার সময় উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) কেদে দিয়েছিলেন তখন তাকে
তার এ কন্নর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন “পুর্ণতার পরে তো
অপুর্ণতা ব্যতীত কিছুই থাকে না (জােয়রের শে ষেই তো ভাটির টান শুরু হয়) অর্থাৎ তিনি
যেন এ আয়াতে নবী করীম (সা) এর ওফাং তর পুর্বাভায পেয়েছিলেন ইবন জুরয়জ (র)
সুত্রে জ বির (রা) এর সনদে বর্ণিত মুসলিম শরীফের হদীসে নবী করীম (সা) এ দিকে
ইৎগিত দিয়েছিলেন এভাবে যে, রসুলুল্লাহ (সা) জামরাতুল আকবর কাছে থেমে র্দড়লেন
এবং আমাদের (সাহাবীদের) বললেন ১১
“তোমাদের হজ্জ্ব-উমরার রীতিনীতি আমার কাছে শিখে নাও, এমন হতে পারে যে, আমার এ
বছরের পরে আমি আর হজ্জ পালনে অসব না ”
এ ছাড়া মুসা ইবন উবায়দা আর-রবােযী (র)ইবনৃ উমর (রা) সনদে উদ্ধৃত হাদীস
শাস্তের দুই হাফিজ মনীষী আবু বকর অল-বয্যর ও বয়হকী (র) এর রিওয়ায়াতও আমরা
ণোমোঃ ওেতাে
[سَنَةُ إِحْدَى عَشْرَةَ مِنَ الْهِجْرَةِ]
[مَا وَقَعَ فِيهَا مِنْ مَرَضِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَفَاتِهِ]
اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَقَدِ اسْتَقَرَّ الرِّكَابُ الشَّرِيفُ النَّبَوِيُّ بِالْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ الْمُطَهَّرَةِ مَرْجِعَهُ مِنْ حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَقَدْ وَقَعَتْ فِي هَذِهِ السَّنَةِ أُمُورٌ عِظَامٌ، مِنْ أَعْظَمِهَا خَطْبًا وَفَاةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَكِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، نَقَلَهُ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ مِنْ هَذِهِ الدَّارِ الْفَانِيَةِ إِلَى النَّعِيمِ الْأَبَدِيِّ فِي مَحَلَّةٍ عَالِيَةٍ رَفِيعَةٍ، وَدَرَجَةٍ فِي الْجَنَّةِ لَا أَعْلَى مِنْهَا وَلَا أَسْنَى، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَلَلْآخِرَةُ خَيْرٌ لَكَ مِنَ الْأُولَى - وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى} [الضحى: 4 - 5]
[الضُّحَى: 4، 5] . وَذَلِكَ بَعْدَ مَا أَكْمَلَ أَدَاءَ الرِّسَالَةِ الَّتِي أَمَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى بِإِبْلَاغِهَا، وَنَصَحَ أُمَّتَهُ، وَدَلَّهُمْ عَلَى خَيْرِ مَا يَعْلَمُهُ لَهُمْ، وَحَذَّرَهُمْ وَنَهَاهُمْ عَمَّا فِيهِ مَضَرَّةٌ عَلَيْهِمْ فِي دُنْيَاهُمْ وَأُخْرَاهُمْ.
وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا رَوَاهُ صَاحِبَا " الصَّحِيحِ " مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ قَالَ: نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا} [المائدة: 3] يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ.
পৃষ্ঠা - ৪১৪৪
গাঘৃওয়৷ ও সমরাভিযানসমুহ এবং তার প্রেরিত পত্রাবলী ও দুতপণের বিষয় মুহাম্মদ ইবন
ইসহাক ইবন ইয়াসার, আবু জাফর ইবন জারীর ও আবু বক্র বায়হার্কী প্রমুখ (র) ইমামপণের
ওফাত পুর্ববর্তী শিরোনামে উপস্থাপিত আলোচনার সার সংক্ষেপ পাঠক সমীপে পেশ করব ৷
তারপর মুল বিষয় ওফাতুন্নড়াবী (সা) এর বিশদ আলোচনা করব ৷
সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে যায়দ ইবন আরকাম (বা) হতে আগত আবু ইসহড়াক আস-সৃবায়ঈ (র)-এর
হাদীসে রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) উনিশটি পাঘৃওয়া’১ পরিচালনা করেছেন এবং হিজরাতের
পরে একবার, অর্থাৎ বিদায় হজ্জ পালন করেছেন ৷ এর পরে আর কোন হজ্জ করেন নি ৷ আবু
ইসহাক বলেছেন, আর একটি ( (হজ্জ) মক্কায় থাকাকালে ৷ এরুপ বর্পনইি দিয়েছেন আবু
ইস্হাক আপ সুবায়ঈ (র) ৷ যায়দ ইবনুল হুবাব (রা) বলেছেন, সুফিয়ান ছাওরী (র) জাবির
(বা) হতে, এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তিনবার হজ্জ পালন করেছেন, দুটি হজ্জ
হিজরাতের আগে এবং একটি হিজরাতের পরে ৷ যার সাথে উমরাও ছিল এবং ছিষট্টটি উট
নিয়ে গিয়েছিলেন ৷ আর আলী (রা) ইয়ামড়ান হতে নিয়ে এসেছিলেন একশটি পুর্ণ হওয়ার
অবশিষ্টগুলি ৷ এ ছাড়া, সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের বরাতে আনাস ইবন মালিক (রা) প্রমুখ একাধিক
সাহাৰী হতে ইতোপুর্বে উল্লেখ করে এসেছি যে, নবী করীম (সা) চার বার উমর৷ পালন
করেছিলেন ৷ হুদায়বিয়ার উমরা, কাযা উমরা, জিঈবৃরানা হতে (ইহরাম)কৃত উমরা এবং
বিদায় হজের সাথে আদায়কৃত উমরা ৷
পায্ওয়া প্রসংগ : বুখারী (র) আবু আসিম অনৃ-নুবায়ল (র)সালামা ইবনুল আক্ওয়া
(বা) সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি (সালামা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর সাথে আমি
সাতটি গাঘৃওয়৷ অভিযানে অংশ গ্রহণ করেছি ৷ আর যায়দ ইবন হারিছা (রা)-এর সাথে নয়টি
অভিযানে রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে আমাদের আমীর নিয়োগ করতেন ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে কুতায়বড়া
(র) সালাম৷ (বা) সনদে বিবৃত হয়েছে ৷ সালামড়া (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর সংগে
সাতটি গাবৃওয়া অভিযানে আমি অংশ্যাহণ করেছি; আর তিনি যে সব বাহিনী পাঠাতেন তার
নয়টি অভিযানে ৷ কখনো আমাদের আমীর হতেন আবু বকর (যা) আবার কখনো আমীর
হতেন উসাম৷ ইবন যায়দ (বা) ৷ সহীহ্ ৰুখাবীতে ইসরাঈল (র)বারা (রা) সনদের হাদীস ৷
যারা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) পনরটি পাঘৃওয়৷ অভিযান পরিচালনা করেছেন ৷ বুখারী-
মুসলিমেশুবা (র) , যারা (রা)-এর হাদীস, রাসুলুল্লাহ (সা) উনিশটি পাঘৃওয়া অভিযান
পরিচালনা করেছেন, যার মধ্যে সতেরটিতে তিনি (বারা ) নবী করীম (সা)-এর সাথে উপস্থিত
ছিলেন, যার প্রথমটি ছিল আল উশায়রস্ফো’ চ),১গ্রা কিৎবা আলু উসায়র ( স্পে’) ৷
মুসলিম (র) আহমদ ইবন হাবল (র) সুত্রে ইবন বুরায়দ৷ তার পিতা হতে সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন যে, তিনি (বুরায়দা) রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সাথে ষোলটি পাঘৃওয়ায় অংশ
গ্রহণ করেছেন ৷ মুসলিম (র)-এর অন্য একটি রিওয়াযাতে হুসায়ন ইবন ওয়াকিদ (র)
বুরায়দা (বা) হতে এ মর্মে যে, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সাথে উনিশটি গাঘৃওয়া অভিযানে
১ পাঘৃওয়৷ ও বড় ধরনের নমরাভিযান এবং সারিয়্যা ছোট ধরনের সমরাভিযান ৷ তবে হাদীস ও ইসলামী
ইতিহাসের পরিভাষায় স্বয়ং নবী করীম (না)-এর অংশ্যাহণকৃত সমরাভিযান গায ওয়৷ নামে এবং নবী কৰীম
(সা) কর্তৃক অন্য কাউকে আমীর করে প্রেরিত অভিযানকে সারিয়ব্রুা নামে অভিহিত করা হয় ৷ অনুবাদক ৷
وَرُوِّينَا مِنْ طَرِيقٍ جَيِّدٍ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ حِينَ نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ بَكَى، فَقِيلَ: مَا يُبْكِيكَ؟ فَقَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ بَعْدَ الْكَمَالِ إِلَّا النُّقْصَانُ. وَكَأَنَّهُ اسْتَشْعَرَ وَفَاةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَدْ أَشَارَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِلَى ذَلِكَ فِيمَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَفَ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ وَقَالَ لَنَا: " خُذُوا عَنِّي مَنَاسِكَكُمْ ; فَلَعَلِّي لَا أَحُجُّ بَعْدَ عَامِي هَذَا» .
وَقَدْ قَدَّمْنَا مَا رَوَاهُ الْحَافِظَانِ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ الرَّبَذِيِّ، عَنْ صَدَقَةَ بْنِ يَسَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: نَزَلَتْ هَذِهِ السُّورَةُ: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ} [النصر: 1] . فِي أَوْسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ، فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ الْوَدَاعُ، فَأَمَرَ بِرَاحِلَتِهِ الْقَصْوَاءِ فَرُحِّلَتْ. ثُمَّ ذَكَرَ خُطْبَتَهُ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ كَمَا تَقَدَّمَ.
وَهَكَذَا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ; حِينَ سَأَلَهُ عَنْ تَفْسِيرِ هَذِهِ السُّورَةِ بِمَحْضَرِ كَثِيرٍ مِنَ الصَّحَابَةِ ; لِيُرِيَهُمْ فَضْلَ ابْنِ عَبَّاسٍ وَتَقَدُّمَهُ وَعِلْمَهُ، حِينَ لَامَهُ بَعْضُهُمْ عَلَى تَقْدِيمِهِ وَإِجْلَاسِهِ لَهُ مَعَ مَشَايِخِ بَدْرٍ، فَقَالَ: إِنَّهُ مِنْ حَيْثُ تَعْلَمُونَ. ثُمَّ سَأَلَهُمْ وَابْنُ عَبَّاسٍ حَاضِرٌ عَنْ تَفْسِيرِ هَذِهِ السُّورَةِ {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ - وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا - فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا} [النصر: 1 - 3]
[: 1 - 3] .
পৃষ্ঠা - ৪১৪৫
ৎশঃাহণ করেছেন, যার মাঝে আটঢিদুত তক্ষে সং ঘর্ষ হয়েছে ৷ এ সনদুদ তার আর একটি
রিওয়ায়াদুত আরো রয়েছে যে, নবী করীম (সা) চব্বিশটি সারিয়্যা বাহিনী পাঠিদুয়দুছন এবং
লড়াই করেছেন বদর, উহুদ, আহ্যাব (খন্দক) , মুরায়সী, খায়বার, মক্কা বিজয় ও হুনায়ন-এর
অভিযানসমুহে ৷ সহীহ্ ঘুসলিদুম জাৰির (বা) হতে আবুবৃ-ষুবায়র (র) এর হাদীস ৷ এ মর্মে
যে, রাসুলুল্লাহ (সা) একুশটি সমরাভিযান পরিচালনা করেছেন, যার মাঝে উনিশটি অভিযানে
আমি তীর সাথে অৎশ্যাহণ করেছি ৷ বদর এবং উহুদুদ আমি আমার পিতার ধারণ করার কারণে
ৎশ নিতে পারিনি ৷ উহুদুদর যুদ্ধে আমার আব্বা শহীদ হয়ে যাওয়ার পর হতে নবী করীম
(না)-এর পরিচালিত কোন পাঘৃওয়া-অভিযাদুন আমি অনুপস্থিত থাকি নি ৷
আবদুর রাঘৃযাক (র) বলেন, মামার (র) যুহ্রী (র) সুত্রে বলেছেন যে তিনি বলেন, সাঈদ
ইবনুল মুসায়্যাব (র)-দুক আমি বলতে শুদুনছি রাসুলুল্লাহ (সা) আঠারটি পাঘৃওয়৷ অভিযান
পরিচালনা করেছেন ৷ যুহ্রী (র) বলেন, কখনো তাদুক চব্বিশঢি পাঘৃওয়া”ও বলতে শুদুনছি ৷
তাই, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি না যে, ব্যাপারটিদুত আমার স্মৃতি বিভ্রাট ঘটেছে কিৎবা
তা পরবর্তী সময়ে তারই কাছে শ্রুত কোন বিষয় ৷ কড়া৩াদ৷ (র) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
াউনিশ্ টি সমরাভিযান করেছেন, যার মাঝে আটটিদুত প্ৰতক্ষে লড়৷ ই হয়েছে এবংচ চব্বিশটি
বাহিনী (অন্যদের পরিচ৷ ৷লনায়) পাঠিদুয়দুছন৷ ৷সুতরাং তার গায্ওয়া ও সারিয়্যার সমষ্টি হবে
দুততাল্লিশ ৷ সং শ্লিষ্ট বিবয়াভিজ্ঞ ইমামগণ এবং মাঝে রাবীপদুণর উরওয়৷ ইব নৃষ্ যুবায়র, যুহ্রী
ও মুসা ইবন উক্ব৷ এবং মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন ইয়াসার (র) প্রমুখ উল্লেখ করেছেন যে,
নবী করীম (সা) দ্বিতীয় ইিজরী সনের রামাযাদুন বদর যুদ্ধ পরিচালনা করেন, তারপর তৃতীয়
ইিজরীর শাওয়াদুল উহুদ যুদ্ধ, চতুর্থ ইিজরীর মতান্তরে পঞ্চম ইিজরীর শাওয়াদুল খন্দক
(পরিথা) ও বনু কুরায়যা অভিযান, পঞ্চম ইিজরীর শাবান মাসে বনুল মুসতালিদুকর বিরুদ্ধে
মুরায়সী অভিযান, সপ্তম ইিজরীর সফর মাসে খায়বা র অভিযান তদুবষ্ কারো ক ৷দুর৷ মদুত ষষ্ঠ
হিজরীদুত এবং তথ্য বিশ্লেষদুণ ষষ্ঠ ইিজরীর শেষ ভাগ এবং সপ্তম ইিজরীর সুচনা য় খড়ায়বার
অভিযা ৷ন সং ঘটিত হয় ৷ তারপর আট ইিজরীর রামাযাদুন মক্কা ৷বাসীদুদর বিরুদ্ধে (মক্কা বিজয়),
হাওয়াযিন অভিয৷ ৷ন ও তা ৷ইফ অবরোধ যথাক্রমে অষ্টম ইিজরীর শাওয়৷ ল ও যিলহজ্জ মাসের
কোন অং শে (বিশদ বর্ণনা পুর্ববর্তী অনুদুচ্ছদসমুহে দ্রষ্টব্য) ৷ অষ্টম হিজরীতে মক্কা র না ৷ইব
প্রশাসক আত্তাব ইবন আসাদ (বা) লোকদের নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন ৷ তারপর নবম
হিজরীদুত হজ্জ পরিচালনা করেন আবু বকর সিদ্দীক (বা) ৷ তারপর দশম হিজরীতে দুখাদ
রাসুলুল্লাহ (সা) মুসলমানদের সাথে নিয়ে হজ্জ সম্পাদন করেন ৷
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) আরো বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর বরকতময় সত্তার
উপস্থিতি ধন্য পাঘৃওয়ার সং খ্যা সমষ্টি সাতাশ ৷ ( ১ ) ৷৷য্ওয়৷ ওয়াদ্দান, যা পাযুওয়া-আব ওয়া’
নামে পরিচিত; (২) রাঘৃওয়৷ (দু; >-শু) পর্বতমালার কাছে পাঘৃওয়া বুয়াত , (৩) ইয়ামবু
সমতল ভুমিতে পাঘৃওয়৷ আলু উশায়রা; (৪) প্রথম বদর অভিযান কুরয ইবন জাবিরদুক
দমদুনর উদ্দেশ্যে; (৫) বিখ্যাত বদর যুদ্ধ বা বড় বদর যাতে কুরায়শী সর্দারর৷ নিহত হয়;
১ বর্তমান সৌদী আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমে মক্কা ও ইয়ামবু এর মধ্যবর্তী একটি পর্বত শ্রেণী ৷ অনুবাদক
فَقَالُوا: أُمِرْنَا إِذَا فُتِحَ لَنَا أَنْ نَذْكُرَ اللَّهَ وَنَحْمَدَهُ وَنَسْتَغْفِرَهُ. فَقَالَ: مَا تَقُولُ يَا ابْنَ عَبَّاسٍ؟ فَقَالَ: هُوَ أَجَلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نُعِيَ إِلَيْهِ. فَقَالَ عُمَرُ: لَا أَعْلَمُ مِنْهَا إِلَّا مَا تَعْلَمُ. وَقَدْ ذَكَرْنَا فِي تَفْسِيرِ هَذِهِ السُّورَةِ مَا يَدُلُّ عَلَى قَوْلِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِنْ وُجُوهٍ، وَإِنْ كَانَ لَا يُنَافِي مَا فَسَّرَهَا بِهِ الصَّحَابَةُ أَيْضًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ.
وَكَذَلِكَ مَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ صَالِحٍ مَوْلَى التَّوْأَمَةِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا حَجَّ بِنِسَائِهِ قَالَ: «إِنَّمَا هِيَ هَذِهِ الْحَجَّةُ، ثُمَّ الْزَمْنَ ظُهُورَ الْحُصُرِ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ فِي " سُنَنِهِ " مِنْ وَجْهٍ آخَرَ جَيِّدٍ.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّ النُّفُوسَ اسْتَشْعَرَتْ بِوَفَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، وَنَحْنُ نَذْكُرُ ذَلِكَ وَنُورِدُ مَا رُوِيَ فِيمَا يَتَعَلَّقُ بِهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ وَالْآثَارِ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ، وَلْنُقَدِّمْ عَلَى ذَلِكَ مَا ذَكَرَهُ الْأَئِمَّةُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، وَأَبُو جَعْفَرِ بْنُ جَرِيرٍ، وَأَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ فِي هَذَا الْمَوْضِعِ قَبْلَ الْوَفَاةِ ; مِنْ تَعْدَادِ حِجَجِهِ وَغَزَوَاتِهِ وَسَرَايَاهُ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ إِلَى الْمُلُوكِ، فَلْنَذْكُرْ ذَلِكَ مُلَخَّصًا مُخْتَصَرًا، ثُمَّ نُتْبِعُهُ بِالْوَفَاةِ.
فَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ،
পৃষ্ঠা - ৪১৪৬
(৬) রনু সৃলায়ম অভিযান যা কৃদার১ জলাশয় পর্বত সম্প্রসারিত হয়েছিল; (৭) আবু সুফিয়ান
ইবন হড়াবব এর বিরুদ্ধে গাবওরা সাবীক (ছাতু অভিযান); (৮) গাত্ফান অভিযান, যাবু-
আমর অভিযান নামেও পরিচিত; (৯) নাজ্বরান অভিযান, হিজাব-এর একটি খনিজ এলাকা;
(১০) উহুদ যুদ্ধ; (১১) হামরড়াউলু আসাদ অভিযান; (১২) রনু নাযীর অভিযান; (১৩) নাখৃল
এলাকার যাতুররিকা অভিযান; (১৪) শেষ বদর; (১৫) দুযাতুলু-জানদাল অভিযান; (১৬)
খন্দক (পরিযা) বুদ্ধ; (১ ৭) বনু কৃরায়যা অভিযান; (১৮) হুযায়ল এর শাখা বনু লিহ্য়ড়ানের
বিরুদ্ধে অভিযান; (১৯) য়ু-করোদ অভিযান; (২০) খুযাআর অন্তর্গত বনু মুসৃতালিক অভিযান;
(২১) হুদায়বিরা অভিযান, এতে লড়াই উদ্দেশ্য ছিল না ৷ মুশরিকেরা র্তাকে উমরা পালনে বাধা
দিয়েছিল; (২২) খাররার অভিযান; (২৩) উমরাতুল কাযা; (২৪) মক্কা বিজয় অভিযান; (২৫)
হুনায়ন অভিযান; (২৬) তাইফ অভিযান এবং (২৭) তাবুক অভিযান ৷ ইবন ইসহাক (র)
বলেছেন, এগুলির মাঝে নয়টি গাবওরার তিনি (সা) লড়াই করেছেন ৷ বদর (বড়), উহুদ,
খন্দক , বনু কুরারযা, মুসৃতালিক, খড়াররার, ফাত্হ্ (মক্কা বিজয়), হুনায়ন ও তাইফ অভিযান ৷
অড়ানুবংগিক প্রমড়াণাদিসহ এসব অভিযান সম্পর্কিত যুক্তিসহ বিশদ আলোচনা আমরা ইতােপুর্বে
পরিবেশন করে এসেছি আল্পাহ্রই জন্য যাবতীয় হড়ামৃদ ৷
ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, নবী করীম (সা) কর্তৃক প্রেরিত ক্ষুদ্র বাহিনী, প্রতিনিধি দল
এবং সাবিয়্যা সমুহের সংখ্যা ছিল আটত্রিশ ৷ তারপর তিনি এগুলির বিশদ বিবরণ দিয়েছেন ৷
আল্লাহ্র ফযলে আমরা যথান্থানে এর প্রায় সবগুলির আলোচনা সন্নিবেশিত করে এসেছি ৷
আমরা এখানে ইবন ইসহাক (র) প্রদত্ত বিবরণের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করেছি (১)
ছানিয়্যাতুলমুররা (মুবরা গিরিপথ) এর নিকটে প্রেরিত উবায়দা ইবনুল হারিছ (রা) এর
অভিযান (২) ঈসএর উপকুলবর্তী এলাকার হামুযা ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা) এর
অভিযান ৷ কোন কোন বর্ণনাকার এ দ্বিতীয়টিচক উবায়দার অভিযানের পুর্ববর্তী সাৰাস্ত
করেছেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত (পুর্বাল্যেচনড়া দ্রষ্টব্য) (৩) জিরার অভিমুখে সাদ ইবন
আবু ওয়াক্কাস (রড়া)-এর কাফেলা (৪) বাজীলা অভিমুখে আবদুল্লাহ ইবন জাহ শ (রা)-এর
অভিযান; (৫) কারাদা অভিমুখে যায়দ ইবন হারিছা (রা)-এর অভিযান; (৬) কাব ইবনুল
অম্পোরাফকে দমনে মুহাম্মদ ইবন যাসলামা (রা) এর নৈশ অভিযান; ( ৭ ) রাজী অভিমুখে
মড়ারছাদ ইবন আবু যারছাদ (রা )-এর অভিযান; (৮) ৰীরৈ মাউন৷ অভিমুখে মুবঘির ইবন
আমুর (রা) এর অভিযান; (৯) যুলপ্কাসৃসার উদ্দেশ্যে প্রেরিত আবু উবড়ায়দা (রা) অভিযান;
(১০) রনু আমির অঞ্চলের মরুবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত উমর ইবনৃল খন্ডোব (রড়া)এর
অভিযান; (১ ১) ইয়ামান অভিমুখে আলী (রা)এর অভিযান; ( ১ ২) কুদায়দ অভিমুখে গালিব
ইবন আবদুল্লাহ আলু-কত্বলবী (রড়া)-এর অভিযান ৷ এ বাহিনী ভৈনশ অভিযানে বনুল যালুহরুক
আক্রমণ করে তাদের পরাস্ত করে এবং তাদের কতককে নিহত করে তাদের পশুপাল তাড়িয়ে
নিয়ে আসলে তাদের একটি বাহিনী পশুপাল উদ্ধারের জন্য পাল্টা আক্রমণে উদ্বুদ্ধ হয় ৷ কিন্তু
তারা প্রতিপহ্মের কাছাকাছি পৌছলে চলে প্লাবিত একটি উপত্যকা তাদের গতি রুখে দেয় ৷ এ
অভিযানেই বন্দী হয়েছিলেন হারিছ ইবন মালিক ইবনুল রারসা ৷ ইবন ইসহাক এ প্রসৎগটি
«أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَحَجَّ بَعْدَ مَا هَاجَرَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ، وَلَمْ يَحُجَّ بَعْدَهَا.» قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: وَوَاحِدَةً بِمَكَّةَ. كَذَا قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ السَّبِيعِيُّ.
وَقَدْ قَالَ زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّ ثَلَاثَ حَجَّاتٍ ; حَجَّتَيْنِ قَبْلَ أَنْ يُهَاجِرَ، وَحَجَّةً بَعْدَ مَا هَاجَرَ، مَعَهَا عُمْرَةٌ، وَسَاقَ سِتًّا وَثَلَاثِينَ بَدَنَةً، وَجَاءَ عَلِيٌّ بِتَمَامِهَا مِنَ الْيَمَنِ» .
وَقَدْ قَدَّمْنَا عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، مِنْهُمْ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " «أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ ; عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَعُمْرَةَ الْجِعْرَانَةِ وَالْعُمْرَةَ الَّتِي مَعَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ» .
وَأَمَّا الْغَزَوَاتُ فَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنْ أَبِي عَاصِمٍ النَّبِيلِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَ غَزَوَاتٍ، وَمَعَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ تِسْعَ غَزَوَاتٍ يُؤَمِّرُهُ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.»
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ يَزِيدَ، عَنْ سَلَمَةَ قَالَ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَ غَزَوَاتٍ، وَفِيمَا يَبْعَثُ مِنَ الْبُعُوثِ تِسْعَ غَزَوَاتٍ، مَرَّةً عَلَيْنَا أَبُو بَكْرٍ، وَمَرَّةً عَلَيْنَا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ.»
পৃষ্ঠা - ৪১৪৭
তিনবার বললেন, তখন আবু যায়দ ইবন আম্র নামে আগন্তুক দলের এক ব্যক্তি বলল, ইয়া
রাসুলল্লাহৰু যারা জীবিত রয়েছে, আমাদের খাতিরে তাদের মুক্ত করে দিন; আর যারা নিহত
হয়েছে তাদের বিষয়টি আমার এ পদতলে (রহিত করার দায়-দায়িতু আমি গ্রহণ করব) ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ (না) তাদের সাথে আলী ইবন আবু তালিব (রা)-কে পাঠাবার ঘোষণা দিলেন ৷
আলী (বা) বললেন, যায়দ তো আমার আনুগত্য মেনে নিতে স্বীকৃত হবে না ৷ ”
তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বিশেষ নির্দশন স্বরুপ স্বীয় তরবারী আলী (রা)-কে দিয়ে দিলেন ৷
আলী (বা) তাদেরই একটি উটে করে তাদের সাথে সফর শুরু করলেন এবং ফায়ফড়া’ আল-
ফাহ্লাতায়ন (দুই পাহাড়ের মরু প্রাম্ভর)-এ যায়দ (রা)-ও তার বাহিনীর সাক্ষাত গেলেন এবং
তাদের আহরিত যাবতীয় সামগ্রী ও বন্দীদের যথাযথ অবস্থায় পেয়ে গেলেন ৷ আলী (বা)
ন্ প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের লুষ্ঠিত সব কিছুই প্রত্যার্পণ করলেন, একটা কিছুও তাদের
অপ্রাপ্ত রইল না (২২) ওয়াদি-ল কুরায় বসবাসরত বনু ফামারা অভিমুখে যায়দ ইবন হারিছা
(রা)এর আর একটি অভিযান ৷ এতে তার সহযোদ্ধাদের অনেবেইি শহীদ হন ৷ শহীদদের
মাঝে জকে (যায়দ) আঘাতে জর্জরিত অবস্থায় খুজে পাওয়া গেল ৷ তিনি ফিরে এলে শপথ
করলেন যে, পুনরায় ওদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা না করা পর্যন্ত তিনি ত্রী গমন করবেন
না ৷ জর যখম শুকিয়ে গিয়ে সুস্থ হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি বাহিনী দিয়ে পুনরায় র্তাকে
অভিযানে পাঠড়ালেন ৷ ওয়াদিল কুরায় তিনি শত্রুদের নিধন করলেন এবং উম্মু কারফা ফাতিমা
বিনৃত রাবীআ ইবন বদরকে বন্দী করলেন ৷ সে ছিল মালিক ইবন হুযায়ফড়া ইবন বদ্রএর
কাছে এবং তার সাথে র্তার একটি কন্যাও ছিল ৷
যায়দ ইবন হারিছা (বা) কায়স ইবনুল মিসহার আলু ইয়ামুয়ীকে হুকুম করলে তিনি উম্মু
কারফাকে হত্যা করলেন এবং তার কন্যাটিকে জীবিত রাখলেন ৷ উম্মু কারফা ছিল এক
অভিজাত পরিবারের নারী এবং আভিজাতা প্রকাশে তার নাম প্রবাদতুল্য প্রসিদ্ধ ছিল ৷ তার ঐ
কন্যাটি (গনীমতের বন্টিত অংশরুপে) সালামা ইবনুল আক্ওয়া (রা)-এর ভাগে পড়ে ৷
রাসুলুল্লাহ (না) তার কাছে কন্যাটিকে হেবা করে দিতে বললে সালামা (বা) তাকে নবী করীম
(সা) এর হাতে সমর্পণ করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তখন তাকে হেবা হিসাবে তার মামা হুয্ন
ইবন আবু ওয়াহব (রা)-এর হাতে তুলে দিলেন ৷ র্তীরই গর্ভে তার এক পুত্র আবদুর রহমানের
ণ্ জন্ম হয়; (২৩) খায়বার অভিমুখে দুইবার প্রেরিত আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহার অভিযান ৷ প্রথম
বারের ঘটনার বিবরণঃ এ অভিযানে ইউসায়র ইবন রিযামকে হত্যা করা হয় ৷ ইউসায়র
রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য গাত্ফানীদের সৎঘবদ্ধ করতো ৷ তাই,
রাসুলুল্লাহ (মা) (তাকে দমন করার লক্ষে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)-এর অধীনে একটি
বাহিনী পাঠালেন ৷ এ বাহিনীর অন্যতম মুজাহিদ ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন উনায়স (বা) ৷ বাহিনী
ইউসায়র এ র এলাকায় পৌছে যুদ্ধে অবতীর্ণ না হয়ে বিভিন্ন উপায়ে তাকে রাসুলুল্লাহ (সা) এর
সমীপে উপস্থিত করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে লাগল ৷ ফলে সে কড়াফেলার সাথে রওয়ড়ানা হয়ে
গেল ৷ কিন্তু খায়বার হতে হয় মাইল দুরবর্তী কারকারা-য় পৌছেই ইউসায়র তার এ সফর
সিদ্ধান্তে অণু৩াপ অণু৩ব করতে লাগল ৷ আবদুল্লাহ ইবন উনায়স (বা) তার এ মনােভাবের
কথা আচ করতে পারলেন, তাকে তরবারী ব্যবহারে উদ্যত দেখে আবদুল্লাহ তরবারীর আঘাতে
وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمْسَ عَشْرَةَ غَزْوَةً.»
وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، شَهِدَ مَعَهُ مِنْهَا سَبْعَ عَشْرَةَ، أَوَّلُهَا الْعُشَيْرُ أَوِ الْعُسَيْرُ.»
وَرَوَى مُسْلِمٌ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، عَنْ مُعْتَمِرٍ، عَنْ كَهَمْسِ بْنِ الْحَسَنِ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّهُ غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِتَّ عَشْرَةَ غَزْوَةً» . وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ مِنْ طَرِيقِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّهُ غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، قَاتَلَ مِنْهَا فِي ثَمَانٍ.» وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ بِهَذَا الْإِسْنَادِ: وَبَعَثَ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ سَرِيَّةً، قَاتَلَ يَوْمَ بَدْرٍ وَأُحُدٍ، وَالْأَحْزَابِ، وَالْمُرَيْسِيعِ وَقُدَيْدٍ، وَخَيْبَرَ، وَمَكَّةَ، وَحُنَيْنٍ.
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا إِحْدَى وَعِشْرِينَ غَزْوَةً، غَزَوْتُ مَعَهُ مِنْهَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً،
পৃষ্ঠা - ৪১৪৮
তার পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন ৷ ইউসায়র ও শাওহাত’ কাঠের একটি বীক৷ লাঠি দিয়ে
আবদুল্লাহ (রা)-এর মাথায় সজােরে আঘাত করে তাকে গুরুতর যখন করে ৷ তখন মুসলিম
বাহিনীর প্রতিটি সদস্য ভীদের প্রত্যেকের কাছের ইয়াহুদীর উপরে ঝাপিয়ে পড়ে তাদেরকে
হত্যা করেন ৷ তবে একজন লোক ৫কড়ানরকমে দৌড়ে পালাল ৷ আবদুল্লাহ ইবন উনায়সৃ (বা)
ফিরে এলে রাসুলুল্লাহ (সা) তার মাথায় লালা লাগিয়ে দিলেন, ফলে তীর য়খঃমের পচন
নিবারিত হল এবং কষ্টের উপশম হয় ৷
আমার (গ্রন্থকারের) ধারণা দ্বিতীয় অভিযানটি ছিল খায়বারে (ইয়ড়াহুদীদের কাছে বর্গা পত্তনী
দেয়া) খেজুয়ের উৎপাদন পরিমাণ সম্পর্কে আগাম পরিমাণ নির্ধারণের উদ্দেশ্যে ৷ আল্লাহই
সৰ্বাধিক অবগত; (২৪) খায়বড়ার অভিমুখে উবায়দুল্লাহ ইবন আতীক ও তার সংর্গীদের
অভিযান, এরা আবু রাফি ইয়াহুদীকে নিধনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন; (২৫) খালিদ ইবন
সুফিয়ান ইবন নুবড়ায়হ্কে দমনের লক্ষেক্ত প্রেরিত আবদুল্লাহ ইবন উনায়স (রা)-এর অভিযান
তারা প্ৰতিপক্ষ্যক আরফোতে হত্যা করেন ব্ল ইবন ইসহাক (র) এ ক্ষেত্রে তার ঘটনার দীর্ঘ
বিবৃতি দিয়েছেন ৷ (আমাদের গ্রন্থে পঞ্চম হিজবীর আলোচনায় তা বিবৃত হয়েছে ৷ আল্লাহই
সমধিক অবগত); (২৬) যায়দ ইবন হারিছা , আরব ও আবদুল্লাহ ইবন রাওয়ড়াহা (বা), তিন
সেনাধ্যক্ষের শাম (সিরিয়া) সীমান্তের ঘু’তা অভিযান যাতে তারা তিন জনই পরপর শাহাদাত
বরণ করেছিলেন (পুর্বে আলোচিত হয়েছে); (২৭) শাম (সিরিয়া) দেশের য়ড়াতু-আত্লাহ্
অভিমুখে কাব ইবন উমায়র (আসর) (রা)-এর অভিযান ৷ এতে এ বাহিনীর সকলেই শাহাদাত
বরণ করেন; (২৮) তাযীম-এর শাখা বনুলু “আমার অভিমুখে প্রেরিত উয়ায়না ইবন হিসৃন ইবন
হুযায়ফা ইবন বদর (বা)এর অভিযান ৷ এ বাহিনী প্রভিপক্ষের উপর অতর্কিত আক্রমণ
চালিয়ে তাদের অনেক লোককে হতাহত করে ৷ পরে তাদের প্রতিনিধিদল বন্দীদের ব্যাপারে
আলোচনার উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (সা) সকাশে উপনীত হলে নবী কবীর (না) তাদের কতককে
সরাসরি যুক্তি দিয়ে দেন এবং অন্য কতককে ঘুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেন; (২৯) রনু
যুবরড়া-র অঞ্চলাভিমুখে গালিব ইবন আবদুল্লাহ (রা) এর আর একটি অভিযান ৷ এতে যুবরা-র
অন্যতম মিত্র জুহায়নড়ার শাখা হুরশো গোত্রের মিরদড়াস ইবন নড়াহীক নিহত হয় ৷ উসামা ইবন
যায়দ (বা) ও অন্য একজন আনসাবী ব্যক্তি তাকে হত্যা করেন ৷ ভীরত্ব দুজন তাকে নাগালে
পেয়ে গেলেন ৷ তারা র্তরবাবী উত্তোলন করলে মিরদাস বলে উঠল ঞা ১’ ৷ শ্া৷ ১’ (এক আল্লাহ
ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই) ৷ তারা দুজন (উসামা ও আনসাবী) ফিরে এলে রাসুলুল্লাহ
(সা) তাদের শক্ত ভন্থসন৷ করলেন ৷ সে (তা শুধু জীবন রক্ষার উপায় হিসাবে কালিমা
বলেছিল’ ৷ এ কথা বলে ভীর৷ দুজন নিজেদের দোব স্থালনের যুক্তি পেশ করলেন ৷
তখন নবী কবীম (সা) উসামা (রা)-ফে বললেন, হ্যা (১১ এ্যা ;াণ্শু “তুমি কি তার হৃদয়
চিরে দেখেছিলে এবং বার বার তিনি উসামা (রা)ফে বলতে লাগলেন শ্ঞা ১’৷ ৰুা৷ ১া ঞ (,এে
রু^ষ্ন্শ্রো ণ্ফু-৷ কিয়ামতের দিন লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ্-এর জবড়ারে তোমার পক্ষে (ক দীড়ারে?”
উসামা (রা) বলেছেন, নবী কবীর (না) এ বাক্যটি এত অধিক পুনরুক্তি করতে লাপলেন যে,
আমার এমন বাসনাও হতে লাগল যে, যদি এ ঘটনার আগ পর্যন্ত আমি ঘুসলমানই না হতাম
(বা হাদীসটি পুরুকী আলোচিত হয়েছে); (৩০) বনু আয়র৷ অঞ্চলের যাতুসৃ সালাসিল অভিমুংখ
وَلَمْ أَشْهَدْ بَدْرًا وَلَا أُحُدًا، مَنَعَنِي أَبِي، فَلَمَّا قُتِلَ أَبِي يَوْمَ أُحُدٍ لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ غَزْوَةٍ غَزَاهَا.»
وَقَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ قَالَ: سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ يَقُولُ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانِيَ عَشْرَةَ غَزْوَةً. قَالَ: وَسَمِعْتُهُ مَرَّةً أُخْرَى يَقُولُ: أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ غَزْوَةً. فَلَا أَدْرِي أَكَانَ ذَلِكَ وَهْمًا أَوْ شَيْئًا سَمِعَهُ بَعْدَ ذَلِكَ» .
وَقَالَ قَتَادَةُ: «غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعَ عَشْرَةَ، قَاتَلَ فِي ثَمَانٍ مِنْهَا، وَبَعَثَ مِنَ الْبُعُوثِ أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ، فَجَمِيعُ غَزَوَاتِهِ وَسَرَايَاهُ ثَلَاثٌ وَأَرْبَعُونَ» .
وَقَدْ ذَكَرَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، وَالزُّهْرِيُّ، وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَئِمَّةٍ هَذَا الشَّأْنِ، «أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، قَاتَلَ يَوْمَ بَدْرٍ فِي رَمَضَانَ مِنْ سَنَةِ اثْنَتَيْنِ، ثُمَّ فِي أُحُدٍ فِي شَوَّالٍ سَنَةَ ثَلَاثٍ، ثُمَّ فِي الْخَنْدَقِ وَبَنِي قُرَيْظَةَ فِي شَوَّالٍ أَيْضًا مِنْ سَنَةِ أَرْبَعٍ، وَقِيلَ: خَمْسٍ. ثُمَّ فِي بَنِي الْمُصْطَلِقِ بِالْمُرَيْسِيعِ فِي شَعْبَانَ سَنَةَ خَمْسٍ، ثُمَّ فِي خَيْبَرَ فِي صَفَرٍ سَنَةَ سَبْعٍ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ: سَنَةَ سِتٍّ. وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ فِي أَوَّلِ سَنَةِ سَبْعٍ وَآخِرِ سِنَةِ سِتٍّ، ثُمَّ قَاتَلَ
পৃষ্ঠা - ৪১৪৯
আমৃর ইবনুল আস (রা)-এর অভিযান ৷ এ গোত্রটি আরবদের সিরিয়া গমনে উদ্বুদ্ধ করত এবং
মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াত ৷ আমর (রা)-কে পাঠানোর পিছনে যুক্তি ছিল এই যে,
আস ইবন ওয়াইল-এর যা ছিল বালী’ গোত্রের যেয়ে ৷ এ কারণে তাদেরকে দলে ভিড়াবার
উদ্দেশ্যে অড়ামর (রা)-কে পাঠানো হল, যাতে আত্মীয়তার দাবীতে তার আহবান তাদের মাঝে
অধিক কার্যকর প্রতিপন্ন হয় ৷ আমর (রা) সালসাল নামে তাদের একটি কুপের কাছে পৌছলে
তীর মনে শত্রুদের ব্যাপারে ভীতির সঞ্চার হল ৷
তাই তিনি রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে সাহায্যকারী বাহিনী চেয়ে পাঠালেন ৷ রড়াসুলুল্লাহ (না)
আবু উবায়দা ইবনুল জাবৃবাহ্ (রা)-এর পরিচালনাবীনে একটি বাহিনী পাঠিয়ে দিলেন ৷ আবু
বকর ও উমর (রা)-ও ছিলেন এ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ৷ এরা সকলে তীর কাছে পৌছে পেলে
আম্র (বা) নিজেকে সম্মিলিত বাহিনীর আমীর ঘোষণা করে বললেন, আপনারা তাে আমার
সাহায্যকারী বাহিনীরুপে প্রেরিত হয়েছেন ৷ আবু উবায়দা (বা) এতে আপত্তি করলেন না ৷ তিনি
ছিলেন সহজ সরল ও পার্থিব বিষয়ে নিমেহি কোমল প্রকৃতির ৷ তাই তিনি আমর (রা)-এর
নেতৃত্বে মেনে নিলেন ৷ ফলে আমৃর (রা) র্তাদের সকলের ইমাম হয়ে সালাত আদায় করতেন
এবং ফিরে এ মে তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ “আপনার কাছে সর্বাধিক প্রিয় লোক কে? নবী
করীম (সা) বললেন, আইশা ৷ আমৃর (রা) বললেন, তবে পুরুষদের মাঝে? নবী করীম (সা)
বললেন, তার (আইশার) পিতা; (৩১) ঘাত্ন-আদম অভিমুখে আবদুল্লাহ ইবন আবু হাদ্রাদ
(রা)-এর অভিযান ৷ এ অভিযান ছিল মক্কা বিজয়ের আগে এবং এয়ুজী সংঘটিত হয়েছিল
মুহাল্লাম ইবন জাছুছাসার ঘটনা ৷
সপ্তম হিজবীর ঘটনাবলীর আওতায় এর বিশদ বিবরণ ইতোপুর্বেন্থ আলোচিত হয়েছে;
(৩২) পাবা অভিমুখে ইবন আবু হাদরাদ (রা)-এর অন্য একটি অভিযান; (৩৩) দুমাতুল-
জানৃদাল অভিমুখে আবদুর রহমান ইবন আওফ (রা)-এর অভিযান ৷ এ অভিযানের প্রস্তুতি
পর্বের প্রাসংগিক ঘটনা বর্ণনায় মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, আমার কাছে অবিশ্বম্ভ নয়
এমন ব্যক্তিআতা’ ইবন আবু রাবাহ (র) হতে, তিনি বলেন, কোন মানুষ পাগড়ী বীধার
সময় পাগড়ী (শামলা) ঝুলিয়ে দেয়ার বিষয় জনৈক বসৃরাবাসী ব্যক্তিকে আমি আবদুল্লাহ ইবন
উমর (রা)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করতে শুনলাম ৷ আতা’ বলেন; জবাবে আবদুল্লাহ (বা)
বললেন, ইনৃশাআল্লাহ্ এ বিষয় আমি তোমাকে যথাযথ খবর’ দিচ্ছি ৷ তুমি জেনে নাও যে,
আমি নবী কবীম (সড়া)এর মসজিদে তার সাহাবীগণের দশ জনের একটি জামাআতে দশম
ব্যক্তিরুপে উপস্থিত ছিলাম ৷ (১) আবু বকর, (২) উমর, (৩) উছমান, (৪ ) আলী, (৫) আবদুর
রহমান ইবন আওফ, (৬) আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ, (৭) মুআয ইবন জাবাল, (৮) হুযায়ফা
ইবনৃল ইয়ামান, (৯) আবু সাঈদ খুদরী এবং (১০) আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে উপস্থিত
ছিলাম ৷ তখন এক আনসারী তরুণ উপস্থিত হয়ে রাসুলল্লাহ (সা)কে সালাম ছিল এবং বসে
পড়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! মু’মিনদের মাঝে শ্রেষ্ঠ কে? নবী করীম (সা) বললেন ,ৰু;ন্া
থ্রে১ “যে তাদের মাঝে চরিত্রগুণে উত্তম ৷ ” অড়ানসারী বললো, তবে, ঘু’মিনদের মাঝে সর্বাধিক
ধীমান কে ? নবী কবীম (সা) বললেন-
أَهْلَ مَكَّةَ فِي رَمَضَانَ سَنَةَ ثَمَانٍ، وَقَاتَلَ هَوَازِنَ وَحَاصَرَ أَهْلَ الطَّائِفِ فِي شَوَّالٍ وَبَعْضِ ذِي الْقَعْدَةِ سَنَةَ ثَمَانٍ، كَمَا تَقَدَّمَ تَفْصِيلُهُ، وَحَجَّ فِي سَنَةِ ثَمَانٍ بِالنَّاسِ عَتَّابُ بْنُ أَسِيدٍ نَائِبُ مَكَّةَ ثُمَّ فِي سَنَةِ تِسْعٍ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ، ثُمَّ حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمُسْلِمِينَ سَنَةَ عَشْرٍ»
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ جَمِيعُ مَا غَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَفْسِهِ الْكَرِيمَةِ سَبْعًا وَعِشْرِينَ غَزْوَةً ; غَزْوَةَ وَدَّانَ وَهِيَ غَزْوَةُ الْأَبْوَاءِ ثُمَّ غَزْوَةَ بُوَاطٍ مِنْ نَاحِيَةِ رَضْوَى ثُمَّ غَزْوَةَ الْعُشَيْرَةِ مِنْ بَطْنِ يَنْبُعَ ثُمَّ غَزْوَةَ بَدْرٍ الْأُولَى يَطْلُبُ كُرْزَ بْنَ جَابِرٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَدْرٍ الْعُظْمَى الَّتِي قَتَلَ اللَّهُ فِيهَا صَنَادِيدَ قُرَيْشٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي سُلَيْمٍ حَتَّى بَلَغَ الْكُدْرَ، ثُمَّ غَزْوَةَ السَّوِيقِ يَطْلُبُ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ غَطَفَانَ وَهِيَ غَزْوَةُ ذِي أَمَرٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ نَجْرَانَ - مَعْدِنٍ بِالْحِجَازِ - ثُمَّ غَزْوَةَ أُحُدٍ ثُمَّ حَمْرَاءَ الْأَسَدِ ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي النَّضِيرِ، ثُمَّ غَزْوَةَ ذَاتِ الرِّقَاعِ مِنْ نَخْلٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَدْرٍ الْآخِرَةِ، ثُمَّ غَزْوَةَ دُومَةِ الْجَنْدَلِ، ثُمَّ غَزْوَةَ الْخَنْدَقِ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي قُرَيْظَةَ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي لِحْيَانَ مِنْ هُذَيْلٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ ذِي قَرَدٍ، ثُمَّ غَزْوَةَ بَنِي الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ، ثُمَّ غَزْوَةَ الْحُدَيْبِيَةِ لَا يُرِيدُ قِتَالًا فَصَدَّهُ الْمُشْرِكُونَ، ثُمَّ غَزْوَةَ خَيْبَرَ ثُمَّ عُمْرَةَ الْقَضَاءِ، ثُمَّ غَزْوَةَ الْفَتْحِ، ثُمَّ غَزْوَةَ حُنَيْنٍ ثُمَّ غَزْوَةَ الطَّائِفِ ثُمَّ غَزْوَةَ تَبُوكَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ قَاتَلَ مِنْهَا فِي تِسْعِ غَزَوَاتٍ ; غَزْوَةِ بَدْرٍ وَأُحُدٍ، وَالْخَنْدَقِ،
পৃষ্ঠা - ৪১৫০
“ইবন আওফ ! এ (পতাকা)-টি নাও, সম্মিলিত শক্তিতে আল্লাহর রাহে লড়াই করবে,
তোমরা লড়বে তাদের সাথে যারা আল্লাহর সাথে কুফবী করে; খিয়ানত ও বিশ্বাসঘাতকতা
করবে না; নিহত ব্যক্তিকে নাক কান কেটে বিকৃত করবে না, কোন শিশুকে হত্যা করবে না ৷ এ
হচ্ছে আল্লাহর অংপীকার এবং তোমাদের জন্য তোমাদের নবীর আদর্শ ৷ এ সময় আবদুর
রহমান ইবন আওফ (বা) পতাকা হাতে নিলেন ৷ ইবন হিশাম (র) বলেছেন, তখন ইবন
আওফ দুমাতুল জানৃদাল অভিমুখে যাত্রা করলেন; (৩৪) আবু উবায়দা ইবনুল জাররাস্থ (রা)
এর বাহিনী, তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় তিনশত অশ্বারােহী এবং র্তাদের গন্তব্য ছিল সমুদ্র
উপকুলবর্তী এলাকা ৷ নবী করীম (সা) এ বাহিনীকে এক বস্তা খুরমা পাথেয়রুপে দিয়েছিলেন ৷
এ অভিযানেই আমার মাছের ঘট না ঘটেছিল ৷ সাগরের তরংগ এক বিশাল মাছ তাদের জন্য
সৈকত ঠেলে দিয়েছিল এবং তারা সকলে মিলে প্রায় এক মাস যাবত মাছ খেয়ে খেয়ে হৃষ্ট-পুষ্ট
হয়ে গিয়েছিলেন ৷ তারা মাছটির অনেকগুলি টুকরা কেটে নিয়ে নিজেদের সাথে করে রাসুলল্লাহ
(না)-এর কাছে ফিরে এসেছিলেন এবং তাকে তা হতে পাবার জন্য হাদিয়া দিলে তিনি তা
থেয়েও ছিলেন ৷ যেমনটি পুর্বেই আলোচিত হয়েছে ৷ ইবন হিশাম (র) বলেছেন, ইবন ইসহাক
(র) এ স্থানে একটি অভিযানের কথা উল্লেখ করেন নি ৷ তাহল যুবায়র ইবন আলী ও তার
সংগীদের (বা) শহীদ করার পরে আবু সুফিয়ান সাখৃর ইবন হাবৃবকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে
প্রেরিত আম্র ইবন উমায়ব্রুড়া আঘৃ যামারী (রা)-এর বাহিনী ৷ এ সম্পর্কিত ঘটনা আমরা
ইতোপুর্বে উল্লেখ করে এসেছি ৷ আম্র ইবন উমায়ার অন্যতম সংগী ছিলেন জাববার ইবন
সাখৃর (বা) ৷ তবে তারা দু’জন আবু সুফিয়ানকে হত্যা করার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন নি ৷
বরং অন্য এক ব্যক্তিকে হত্যা করে খুবায়ব (রা)-কে শুলী কাষ্ঠ হতে নামিয়ে নিয়ে এসেছিলেন;
(৩৫) সালিস ইবন উমায়র বাককাঈর (রা) অভিযান যা বনু আম্র ইবন আওফের অন্যতম
আবু ইফ্ক এর বিরুদ্ধে প্রেরিত হয়েছিল ৷ রাসুলল্লাহ (সা) হারিছ ইবন সুওয়য়দ ইবনুস্
সামিতকে হত্যার নির্দেশ প্রদান করলে (পুবদ্রিলাচনা দ্র ) ইবন ইফ্ক এর মুনাফিকী ও কপটতা
প্রকাশ পেয়ে যায় ৷ হারিহ এর জন্য শোক পাথা এবং নতুন ধর্ম গ্রহণের নিন্দাবাদ করে সে
কবিতা রচনা করেছিল ৷ আল্পাহ্ তাকে কুশ্ৰী করুন ৷ দীর্ঘকাল ধরে জীবন-যাপন করছি ৷ কোন
পরিবার বা কোন সমাজ দেখিনি যারা চুক্তিবদ্ধ মিত্রের আহ্বানে অভিজাত ও বাহাদুর কায়লা-র
সন্তানদের চেয়ে, অধিক অংগীকার পুরণকারী ও বিশ্বস্ত ৷
যারা পাহাড় বসিয়ে দেয় কিন্তু নিজেরা বিনীত হতে জানে না ৷ তাদের দ্বিধা বিভক্ত করল
এক আরোহী হড়ালাল, হারাম ও বৈধ-অরৈধ যার কাছে একাকার ৷ হায় ! যদি তোমার ইজ্জত,
আভিজাত্যের মান রক্ষা করতে ৷ কিৎবা রাজকীয় মর্যাদার অধিকড়ারীদের আনুগত্য করতে ৷”
রাসুলুল্লাহ (সা) এ কবিতার বিষয় অবগত হয়ে বললেন ৷ এপ্লু১১এ ৷১শুন্ ণ্৷ ঞ ” কে আছে
আমার পক্ষ থেকে এ উক্তির জবাব দিবে ? তখন সালিম ইবন উমায়র নবী করীম (সা) এর
আহবানে সাড়া দিয়ে আবু ইফ্ক কে হত্যা করে আসলেন ৷ এ প্রসংগে উমামা আলু মাযীদিয়্যা
কবিতা রচনা করেছিলেন-
ঞ১ ধ্াট্রর্চুট্টা
জো) )১£ ক্লেঠু;; ৷১১২ নীিগ্যে;হুশ্লোস্লেপুৰু-ণ্ডামোঃশ্বাএ্যা গ্লু১ ত্এে১১ গ্রা ১১
وَقُرَيْظَةَ، وَالْمُصْطَلِقِ، وَخَيْبَرَ، وَالْفَتْحِ، وَحُنَيْنٍ، وَالطَّائِفِ.
قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ كُلُّهُ مَبْسُوطًا فِي أَمَاكِنِهِ بِشَوَاهِدِهِ وَأَدِلَّتِهِ. وَلِلَّهِ الْحَمْدُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَكَانَتْ بُعُوثُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَسَرَايَاهُ ثَمَانِيًا وَثَلَاثِينَ، مِنْ بَيْنِ بَعْثٍ وَسَرِيَّةٍ. ثُمَّ شَرَعَ، رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي ذِكْرِ تَفْصِيلِ ذَلِكَ.
وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ كُلَّهُ أَوْ أَكْثَرَهُ مُفَصَّلًا فِي مَوَاضِعِهِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَلْنَذْكُرْ مُلَخَّصَ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ ; بَعْثُ عُبَيْدَةَ بْنِ الْحَارِثِ إِلَى أَسْفَلِ ثَنِيَّةِ الْمَرَةِ. ثُمَّ بَعْثُ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِلَى السَّاحِلِ مِنْ نَاحِيَةِ الْعِيصِ، وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُقَدِّمُ هَذَا عَلَى بَعْثِ عُبَيْدَةَ، كَمَا تَقَدَّمَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. بَعْثُ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ إِلَى الْخَرَّارِ. بَعْثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ إِلَى نَخْلَةَ. بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ إِلَى الْقَرَدَةِ. بَعْثُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ إِلَى كَعْبِ بْنِ الْأَشْرَفِ. بَعْثُ مَرْثَدِ بْنِ أَبِي مَرْثَدٍ إِلَى الرَّجِيعِ. بَعْثُ الْمُنْذِرِ بْنِ عَمْرٍو إِلَى بِئْرِ مَعُونَةَ. بَعْثُ أَبِي عُبَيْدَةَ إِلَى ذِي الْقَصَّةِ. بَعْثُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِلَى تُرْبَةَ فِي أَرْضِ بَنِي عَامِرٍ. بَعْثُ عَلِيٍّ إِلَى الْيَمَنِ. بَعْثُ غَالِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْكَلْبِيِّ إِلَى الْكَدِيدِ فَأَصَابَ بَنِي الْمُلَوَّحِ، أَغَارَ عَلَيْهِمْ فِي اللَّيْلِ، فَقَتَلَ طَائِفَةً مِنْهُمْ وَاسْتَاقَ نَعَمَهُمْ، فَجَاءَ نَفِيرُهُمْ فِي طَلَبِ النَّعَمِ، فَلَمَّا اقْتَرَبُوا حَالَ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَهُمْ وَادٍ مِنَ السَّيْلِ، وَأَسَرُوا فِي مَسِيرِهِمْ هَذَا
পৃষ্ঠা - ৪১৫১
আল্লাহর দীন এবং মহান মানব মুহাম্মদ (সা) কে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছ ! কসম ! যে
তোমাকে বীর্যপাত করেছে কতই নিকৃষ্ট যে বীর্যপ!ত করেছে একজন৩ তাওহীদ বাদী তোমাকে
শেষ রাতে একটি বল্লমের আঘাত উপহার দিয়েছে; আবু ইফ্ক বুড়াে বয়সে নিয়ে নাও ওটি !
(৩৬) বনু উম!য়্যা ইবন য!য়দ-এর মহিলা কবি আসৃম!’ বিনত ম!রওয়!নকে হত্যার
উদ্দেশ্যে প্রেরিত উম!য়র ইবন অ!দী অ!ল্-খিত মী (রা) এর অভিযান এ অ!সমড়া ইসলাম ও
মুসলমানদের সম্পর্কে বাংগ কবিতা রচনা করত ! পুর্বোল্লিখিত অ৩!বু ইফ্ক নিহত হলে আসম!
তার মুনাফিকী ও কপটতা !র পর্দা উন্মো চিত করে দেয় এবং এ প্ৰস০ গে কবিতা রচনা করে !
চরম দুর্দশা! বনু ম! !লিক, বনুন না !বীত ও আওফ গোষ্ঠীর জন্য; চরম দুর্দশা বনুল খ!যর!জ
৫গ!ষ্ঠীর! তোমরা অনুগ৩ ! স্বীকা !র করে নিয়েছে! এক বিজ! র্তীয় ভিনদেশীর যে লোকটি ঘুর!দ
গোষ্ঠীরও নয় ম!যহিজ্জ গোষ্ঠীরও নয় !৫ তোমাদের ম!থাগুলোর (৫নতৃবর্গের) নিধন যজ্ঞের পরেও
তাকে আশা ভরস!র পাত্র বানিয়ে রেখেছো, এ যে মর! গাছে নতুন পাতা গজ!ব!র দুর!শা !
হায় ! নেই কী আত্মমর্য!দ!বােধে উদ্বুদ্ধ কোন বাহাদুর যে, সুযে!গের সদ্বব্যহ!র করে এ
আশাব!দের রশি ছিড়ে দিতে ৩প!রে এর জবাবে হ!সৃসান ইবন ছ! !বিত (রা) পাল্টা কবিতা
রচনা করলেন বনু ওয়া !ইল, বনু ওয়া !কিফ ও খি৩ যীর!, বনুল-খ!যব!জ ব্যতিরেকে ! যখন
কপ!ল গোড়ার! নির্বৃদ্ধি৩ !র দরুন নিজেদের চরম সর্বন!শ ডেকে অ!নে ! অ!ন্দে!লিত করে
ঐতিহ্যময় প ! র ! !>! ৩ ও বদ!ণ!৩!র অধিকারী এক তরুণকে; ভেতরে ব! !ইরে স্বভ!বে-অ!চরণে
অভিজাত ! সে তরুণ ধুলা লুষ্ঠিত করে দিল ঐ অভিজাতপর্বী সুপথ বিদ্বেষী অপদ!র্থদের,
তাতে সে কোন অন্যায় করেনি !
ৰিনৃত
০!;)এ “বিনত ম!রওয়!নের ব্যবস্থা করে দিয়ে আমাকে শান্ত করবে কী কেউ ?” উম!য়র ইবন
আদী (বা) তা’ শুনেছিলেন ! সন্ধ্য! ঘনিয়ে এলে ঐ রাতেই তিনি বিনত ম!রওয়!নের বাড়ীতে
ভৈনশ অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করলেন ৷ তার পর সকালে এসে বললেন, ইয়! র!সুল!ল্লাহ !
তাকে খতম করে দিয়েছি! র!সুলুল্লাহ্ “উম!য়র
তুমি আল্লাহ এবং তার র!সুলকে সহায়তা করেছ !” উম!য়র বললেন, ইয়! র!সুলুল্লাহ্ ! তা
ব্যাপারে কি আমার উপর কে
ওতে তুমি দু ’টো বে!চ!রও অ!শং ক! করে! ন! ! তখন উম!য়র (র!) তার স্বগােত্রে ফিরে
গেলেন ! গোত্রের লে!করা তখন বিনত ম!রওয়!নের হত্যার ব্যাপারে তর্ক বিতর্ক ও মতবিরোধ
করছিল! বিনত ম!রওয়!নের ছিল প!চ পুত্র ! উম!য়র (র!) বললেন, “আমিই তাকে খুন
করেছি; এখন তোমরা সদলবলে আমার বিরুদ্বে চক্র!ন্ত কর এব০ তাতে আমাকে কোন
অবকাশ দেয়ার প্রয়োজন নেই ! এটাই ছিল প্রথম দিন, যে দিন খি৩ মীদের ম!ঝে ইসলাম
সগৌরবে অ!৩ তা প্রকাশ করল ! ফলে ইসলামের প্ৰতিপত্তি দর্শনে সেদিন গোত্রের অনেক লোক
ইসলামের ছ!য়!৩ তলে আশ্রয় নিল !
অভিযান তালিকায় এর পরে রয়েছে (৩৭) ছুম!ম! ইবন উঃছ!ল আলু হ!ন!ফী (রা)-কে
পাকড়!ওকারী বাহিনীর কথা এবং তার ইসলাম গ্রহণের কাহিনী! সহীহ্ হ!দীসসমুহের
ণোণোণো
الْحَارِثَ بْنَ مَالِكِ بْنِ الْبَرْصَاءِ. وَقَدْ حَرَّرَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذَا هَاهُنَا، وَتَقَدَّمَ بَيَانُهُ. بَعْثُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِلَى أَرْضِ فَدَكَ. بَعْثُ أَبِي الْعَوْجَاءِ السُّلَمِيِّ إِلَى بَنِي سُلَيْمٍ، أُصِيبَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ. بَعْثُ عُكَّاشَةُ إِلَى الْغَمْرَةِ. بَعْثُ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الْأَسَدِ إِلَى قَطَنٍ، وَهُوَ مَاءٌ بِنَجْدٍ لِبَنِي أَسَدٍ. بَعْثُ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ إِلَى الْقُرَطَاءِ مِنْ هَوَازِنَ. بَعْثُ بَشِيرِ بْنِ سَعْدٍ إِلَى بَنِي مُرَّةَ بِفَدَكَ، وَبَعْثُهُ أَيْضًا إِلَى نَاحِيَةِ حُنَيْنٍ. بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ إِلَى الْجَمُومِ مِنْ أَرْضِ بَنِي سُلَيْمٍ. بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ إِلَى جُذَامٍ مِنْ أَرْضِ بَنِي خُشَيْنٍ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَهِيَ مِنْ أَرْضِ حِسْمَى. وَكَانَ سَبَبُهَا، فِيمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَغَيْرُهُ، أَنَّ دِحْيَةَ بْنَ خَلِيفَةَ لَمَّا رَجَعَ مِنْ عِنْدِ قَيْصَرَ وَقَدْ أَبْلَغَهُ كِتَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُوهُ إِلَى اللَّهِ، فَأَعْطَاهُ مِنْ عِنْدِهِ تُحَفًا وَهَدَايَا، فَلَمَّا بَلَغَ وَادِيًا فِي أَرْضِ بَنِي جُذَامٍ يُقَالُ لَهُ: شَنَارٌ. أَغَارَ عَلَيْهِ الْهُنَيْدُ بْنُ عَوْصٍ وَابْنُهُ عَوْصُ بْنُ الْهُنَيْدِ الصُّلَيْعِيَّانِ، وَالصُّلَيْعُ بَطْنٌ مِنْ جُذَامٍ، فَأَخَذَا مَا مَعَهُ، فَنَفَرَ حَيٌّ مِنْهُمْ قَدْ أَسْلَمُوا، فَاسْتَنْقَذُوا مَا كَانَ أُخِذَ لِدِحْيَةَ فَرَدُّوهُ عَلَيْهِ، فَلَمَّا رَجَعَ دِحْيَةُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، وَاسْتَسْقَاهُ دَمَ الْهُنَيْدِ وَابْنِهِ عَوْصٍ، فَبَعَثَ حِينَئِذٍ زَيْدَ بْنَ حَارِثَةَ فِي جَيْشٍ إِلَيْهِمْ، فَسَارُوا إِلَيْهِمْ مِنْ نَاحِيَةِ الْأَوْلَاجِ، فَأَغَارَ بِالْمَاقِصِ مِنْ نَاحِيَةِ الْحَرَّةِ، فَجَمَعُوا مَا وَجَدُوا مِنْ مَالٍ وَنَاسٍ، وَقَتَلُوا الْهُنَيْدَ وَابْنَهُ وَرَجُلَيْنِ مِنْ بَنِي الْأَحْنَفِ وَرَجُلًا مِنْ بَنِي خَصِيبٍ، فَلَمَّا احْتَازَ زَيْدٌ أَمْوَالَهُمْ وَذَرَارِيَّهِمُ اجْتَمَعَ نَفَرٌ مِنْهُمْ بِرِفَاعَةَ بْنِ زَيْدٍ، وَكَانَ قَدْ جَاءَهُ كِتَابٌ مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪১৫২
উদ্ধৃতিতে এ সম্পন্ধীয়ি আলোচনা আমরা ইতোপুর্বে পেশ করে এসেছি ৷ ইবন হিশাম (র)
উল্লেখ করেছেন যে, এ ছুমামা (রা)-ই হচ্ছেন যে ব্যক্তি যার প্রসংগে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছিলেন- প্£শ্হুষ্ রুস্-আে ষ্ন্৷ মোঃ ;এশ্রোদ্বু ১১৮ ৰু ,এে ধ্,এন্ এওৰুৰু ঞ)ৰুশ্রা “ঈমানদার এক
আতে খায় আর কাফির খায় সাত আতে ৷ কেননা ইসলাম গ্রহণের পর ছুমড়ামা (রা)-এর
খাবারের পরিমাণ কমে গিয়েছিল ৷ আরো উল্লেখ করেছেন, ছুমড়ামা (রা) মদীনা হতে প্ৰস্থান
করে উমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় উপনীত হলেন এবং তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷ মক্কাবাসীরা
তাকে তাতে বাধা দিতে আসলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেন এবং ইয়ড়ামামা থেকে
মক্কাবাসীদের জন্য আগত রসদ বন্ধ করে দেয়ার পাল্টা হুমকি দিলেন ৷ ইয়ামামড়ায় ফিরে গিয়ে
সত্যসত্যই তিনি মক্কাগাযী শস্য চালানোর রসদ বন্ধ করে দিলেন ৷ শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার কাছে পত্র লিখে পাঠালে পুনরায় তিনি রসদ পাঠানোর অনুমতি দিলেন ৷ বনু হানীফার
জনৈক রাবির ভাষায়-
-ণ্ফো,)ণ্ডন্ণ্ম্বা এ
“সে বাহাদুর আমাদেরই লোক যিনি পবিত্র মাসে ইহরাম করে মক্কাতে আবু সুফিয়ানের
নাকের ডপায় তালবিয়া ধ্বনি উচ্চারণ করেছিলেন ৷ ”
(৩৮) ভ্রাতৃ হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আলকড়ামা ইবন মুজাঘৃযায আলু মিদলাজী (না)-এর
অভিযান ৷ ঘু-কারাদ অভিযানে ওয়াক্কাস ইবন মুজায্যায শাহাদত বরণ করলে আলকড়ামা
(বা) দুশমনের পশ্চদ্বাবনের অনুমতি চাইলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) জকে একটি বাহিনীর আমীর
নিযুক্ত করে অভিযানের অনুমতি দিলেন ৷ অভিযানে রওয়ানা হওয়ার পর আলকাম৷ একটি
ছোট্ট দলকে অ্যাবর্তী অভিযানের অনুমতি দিয়ে আবদুল্লাহ ইবন হুযাফ৷ (রা)-কে তাদের নেতা
মনোনীত করলেন ৷ আবদুল্লাহ (রা) ছিলেন কৌতুক প্রবণ ও মারাত্মক ধরনের রসিকতায়
অভ্যস্ত লোক ৷ তিনি আগুন জ্বালাবার হুকুম দিলেন এবং তার অধীনস্ত বাহিনীকে তাতে ঝাপ
দিতে আদেশ করলেন ৷ তাদের কেউ কেউ (দল নেতার আদেশ মেনে নিয়ে) ঝাপ দিতে
উদ্যত হলে আবদুল্লাহ (রা) বললেন, আমি তো রসিকতা করছিলাম ৷ নবী কৰীম (না)-এর
কাছে এ ঘটনার খবর পৌছলে তিনি বললেন-০গ্লুৰুও ও ১াএ্ন্ ত্রা ষ্াষ্এ্যা ণ্£)শু৷ প্রু; “আল্লাহর
অবাধ্যতার কোন আদেশ কেউ তোমাদের করলে তোমরা তার আনুগত্য করবে না ৷” এ
সম্পর্কিত হাদীস বিবৃত হয়েছে, ইবন হিশাম (র) , দারওয়ারদী (র) আবু সাঈদ খুদরী (রা)
সনদে ৷ কুরঘৃ ইবন জাবির (রা) এর বাহিনী একদল ৰিদ্রোহীকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাজীলার শাখা
কায়স গোত্রের একদল লোক মদীনায় এসেছিল ৷ মদীনায় আবহাওয়া তাদের সাস্থোর প্রতিকুল
হল এবং তারা ব্যধিগ্রস্ত হয়ে পড়ন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে তার (সাদাকার) উট পালের
বিচরণ ক্ষেত্রে গিয়ে তার পেশার ও দুধ ব্যবহারের নির্দেশ দিলেন ৷ তাতে তারা সুস্থ হয়ে উঠলে
পালের যিম্মাদার রাখলে, তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর গোলাম ইয়াসার (রা)-কে হত্যা করল ৷
তারা প্রথমে তাকে যবাই করে তার দু’চোখে র্কাটা বিধিয়ে রাখল (এবং অংণপ্ৰতাংণ কেটে
বিকৃত করল) এবং (দুগ্ধবতী) উটগুলি তাড়িয়ে নিয়ে গেল ৷ তখন নবী করীম (সা) সাহাবীদের
একটি দলসহ কুবৃয ইবন জাবির (রা)-কে তাদের পাকড়াও করার জন্য পাঠালেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর ঘু-কারাদ ণড়াযওয়া থেকে প্রত্যাবর্তন কালে এ বাহিনী বাজীলার ঐ বিদ্রোহী দলটিকে ন্
رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ، فَقَرَأَهُ عَلَيْهِمْ رِفَاعَةُ، فَاسْتَجَابَ لَهُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ وَلَمْ يَكُنْ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ يَعْلَمُ بِذَلِكَ، فَرَكِبُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ فِي ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، فَأَعْطَوْهُ الْكِتَابَ، فَأَمَرَ بِقِرَاءَتِهِ جَهْرَةً عَلَى النَّاسِ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ أَصْنَعُ بِالْقَتْلَى؟ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: أَبُو زَيْدِ بْنُ عَمْرٍو: أَطْلِقْ لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ كَانَ حَيًّا، وَمَنْ قُتِلَ فَهُوَ تَحْتَ قَدَمِي هَذِهِ. فَبَعَثَ مَعَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَقَالَ عَلِيٌّ: إِنَّ زَيْدًا لَا يُطِيعُنِي. فَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيْفَهُ عَلَامَةً، فَسَارَ مَعَهُمْ عَلَى جَمَلٍ لَهُمْ، فَلَقُوا زَيْدًا وَجَيْشَهُ وَمَعَهُمُ الْأَمْوَالُ وَالذَّرَارِيَّ بِفَيْفَاءِ الْفَحْلَتَيْنِ، فَسَلَّمَهُمْ عَلِيٌّ جَمِيعَ مَا كَانَ أُخِذَ لَهُمْ لَمْ يَفْقِدُوا مِنْهُ شَيْئًا. بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ أَيْضًا إِلَى بَنِي فَزَارَةَ بِوَادِي الْقُرَى، فَقُتِلَ طَائِفَةٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَارْتَثَّ هُوَ مِنْ بَيْنِ الْقَتْلَى، فَلَمَّا رَجَعَ آلَى أَنْ لَا يَمَسَّ رَأْسَهُ غُسْلٌ مِنْ جَنَابَةٍ حَتَّى يَغْزُوَهُمْ أَيْضًا، فَلَمَّا اسْتَبَلَّ مِنْ جِرَاحِهِ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَانِيًا فِي جَيْشٍ، فَقَتَلَهُمْ بِوَادِي الْقُرَى، وَأَسَرَ أُمَّ قِرْفَةَ فَاطِمَةَ بِنْتَ رَبِيعَةَ بْنِ بَدْرٍ، وَكَانَتْ عِنْدَ مَالِكِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ، وَمَعَهَا ابْنَةٌ لَهَا، فَأَمَرَ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ قَيْسَ بْنَ الْمُسَحَّرِ الْيَعْمَرِيَّ، فَقَتَلَ أُمَّ قِرْفَةَ وَاسْتَبْقَى ابْنَتَهَا، وَكَانَتْ مِنْ بَيْتِ شَرَفٍ، يُضْرَبُ بِأُمِّ قِرْفَةَ الْمَثَلُ فِي عِزِّهَا، وَكَانَتْ بِنْتُهَا مَعَ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، فَاسْتَوْهَبَهَا مِنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَوَهَبَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِخَالِهِ حَزْنِ بْنِ أَبِي وَهْبٍ، فَوَلَدَتْ لَهُ ابْنَهُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ. بَعْثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ إِلَى خَيْبَرَ مَرَّتَيْنِ ; إِحْدَاهُمَا الَّتِي أَصَابَ فِيهَا الْيُسَيْرَ بْنَ رِزَامٍ،
পৃষ্ঠা - ৪১৫৩
(রা)-৫কও ঐ বাহিনীর অর্ন্তভুক্ত হওয়ার দাবী করেছেন তারা ৰিভ্রাস্তির শিকার হয়েছেন ৷
কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অসুস্থতা যখন কঠিন আকার ধারণ করে তখন উসামা বাহিনী
জুরুফে’ ভীবুতে অবস্থান করছিল ৷
ওদিকে নবী করীম (সা) আবু বকর (রা)-কে লােকেদের সালাতে ইমামতি করার নিদের্শ
দিয়েছিলেন, যা’ পরে আসছে ৷ তা হলে বিশ্ব জগতের প্রতিপালক রাববুল আলামীনের দুত ও
রাসুলের অনুমোদনক্রমে ইমামুল ঘুসলিমীনরুপে বরিত হওয়্যা সত্বেও তিনি কি করে বাহিনীর
তালিকাভুক্ত হবেন? আর তর্কের খাতিরে বহিনীর সাথে তার তালিকাভুক্তি মেনে নেয়া হলেও
খােদ শরীআত প্রবর্তক নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামই তো তীকে ব্যতিক্রম সাব্যস্ত
করেছেন এবং তা-ও করেছেন ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বপ্রধান করুন ও স্তম্ভ সালাতে ইমাম
নিযুক্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে ৷ ’
পরে নবী করীম আলাইহিস সালাতু ওয়াস্সালামএর ওফাত হয়ে গেল (আবু বকর)
সিদ্দীক (বা) উসামা (রা)কে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা)কে রেখে যাওয়ার অনুরোধ করলে
তিনি তাকে থলীফাতুল মুসলিযীন সিদ্দীক (রা)-এর কাছে অবস্থান করার অনুমতি দেন এবং
খলীফা আবু বকর সিদ্দীক (বা) উসামা বাহিনীর অভিযানের সিদ্ধান্ত কার্যকরী করেন ৷ বিশদ
বর্ণনা যথাস্থানে আসছে ইনৃশাআল্লাহ ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাতের পুৰ্বাভাষ সম্পর্কিত আয়াত ও হাদীসসমুহ : রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এর ওফাত পুর্বকালীন অসুস্থতার সুচনা প্রসংগ : অড়াল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন-
ষ্ঠাংশৌ
মোঃ)প্লুম্রাদ্বু):ঙ্ ণ্ব্লুগ্লুহুওদ্বু ণ্এত্র ওওওা১ ধ্ );দ্বুদ্বু এও :দ্বু১এগ্র ণ্ৰুণ্ন্তু ণ্:স্ণ্ণ্ :ঞে ১শ্রো গ্রাহুহ্র
ড্রোরৈ
০ওএে৷ <গ্লু১৷ ঞ প্রু এেহ্ ১দ্বু এপ্রুগুগ্লু শ্ব৷ মোঃ দ্বু এেঙুষ্৷ টু ষ্ণেম্বু ৷ ঙুশ্রো ওন্ষ্;৷ প্রু )ঙ
é“ এেট্রু-?ন্ধ্রুশু ড্রো ঞা শুগ্রি
ঞগ্লুর্ন্তশ্রোগ্
তুমি তো মৃত্যু পথযাত্রী এবং ওরাও মৃত্যুপথ যাত্রী ৷ তারপর কিয়ামতের দিন ৫তড়ামরা
পরস্পর তোমাদের প্রতিপালকের সামনে বাকবিতণ্ডা করবে (৩৯ : ৩০-৩ ১ ) ৷ আল্লাহ তাআলা
আরো বলেন, “আমি তোমার আগে আর কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিমি; সুতরাং
তোমার মৃত্যু হলেই ওরা কি চিরজীবি হয়ে থাকবে ?” জীব মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করার, আমি
ভাল ও মন্দ দিয়ে তোমাদের বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই নিকট তোমরা
১ সিরিয়া অভিমুথী উসামা বাহিনী গঠিত হয়েছিল আবু বকর (রা)-কে সালাতে ইমামতি করার নির্দেশ
প্রদানের আগে ৷ সুতরাং অন্যান্য প্রবীণ মুহাজিরদের সাথে র্তড়ারও তালিকাভুক্তি অসম্ভব ব্যাপার নয় ৷ এ ছাড়া
প্ৰমাণ্য বর্ণনায় এমনও পাওয়া যায় যে, উমর (রা)-কে রেখে যাওয়ার ব্যাপারে যেমন অনুরোধ করেছিলেন ৷
খিলাফতের দায়িত্ব পালনের যুক্তিতে তিনি নিজের জন্যও নৈতিকভাবে অনুমতি নিয়ে তালিকা মুক্ত হয়েছিলেন ৷
দ্র মাওলানা তফাজ্জ্বল হুসায়ন হযরত মুহাম্মদ মুম্ভফা পৃ ৯২৪ ৷
ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র সে ও র্নো : ৫০ তো
وَكَانَ يَجْمَعُ غَطَفَانَ لِغَزْوِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ فِي نَفَرٍ، مِنْهُمْ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ، فَقَدِمُوا عَلَيْهِ، فَلَمْ يَزَالُوا يُرَغِّبُونَهُ ; لِيُقْدِمُوهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَارَ مَعَهُمْ، فَلَمَّا كَانُوا بِالْقَرْقَرَةِ عَلَى سِتَّةِ أَمْيَالٍ مِنْ خَيْبَرَ نَدِمَ الْيُسَيْرُ عَلَى مَسِيرِهِ، فَفَطِنَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ وَهُوَ يُرِيدُ السَّيْفَ، فَضَرَبَهُ بِالسَّيْفِ فَأَطَنَّ قَدَمَهُ، وَضَرَبَهُ الْيُسَيْرِ بِمِخْرَشٍ مِنْ شَوْحَطٍ فِي رَأْسِهِ فَأَمَّهُ، وَمَالَ كُلُّ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى صَاحِبِهِ مِنَ الْيَهُودِ فَقَتَلَهُ، إِلَّا رَجُلًا وَاحِدًا أَفْلَتَ عَلَى رِجْلَيْهِ، فَلَمَّا قَدِمَ ابْنُ أُنَيْسٍ تَفَلَ فِي رَأْسِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَقِحْ جُرْحُهُ وَلَمْ يُؤْذِهِ.
قُلْتُ: وَأَظُنُّ الْبَعْثَ الْآخَرَ إِلَى خَيْبَرَ لَمَّا بَعَثَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، خَارِصًا عَلَى نَخِيلِ خَيْبَرَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. بَعْثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَتِيكٍ وَأَصْحَابِهِ إِلَى خَيْبَرَ فَقَتَلُوا أَبَا رَافِعٍ الْيَهُودِيَّ. بَعْثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ إِلَى خَالِدِ بْنِ سُفْيَانَ بْنِ نُبَيْحٍ، فَقَتَلَهُ بِعُرَنَةَ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّتَهُ هَاهُنَا مُطَوَّلَةً، وَقَدْ تَقَدَّمَ ذِكْرُهَا فِي سَنَةِ خَمْسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. بَعْثُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ وَجَعْفَرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَوَاحَةَ إِلَى مُؤْتَةَ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ فَأُصِيبُوا، كَمَا تَقَدَّمَ. بَعْثُ كَعْبِ بْنِ عُمَيْرٍ إِلَى ذَاتِ أَطْلَاحٍ مِنْ أَرْضِ الشَّامِ فَأُصِيبُوا جَمِيعًا أَيْضًا. بَعْثُ عُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ إِلَى بَنِي الْعَنْبَرِ مِنْ تَمِيمٍ، فَأَغَارَ عَلَيْهِمْ، فَأَصَابَ مِنْهُمْ أُنَاسًا، وَسَبَى مِنْهُمْ أُنَاسًا،
পৃষ্ঠা - ৪১৫৪
পুনআেনীত হবে (২১ : ৩৪-৩৫) ৷ তিনি আরো ইরশাদ করেন (জীব মাত্রই মৃত্যুস্বাদ গ্রহণ
করবে), কিবামত্যে৷ দিন তােমাদেরকে ণ্তড়ামাদের কর্মফল পুর্ণ মাত্রায় দেয়া হবে ৷ যাকে আগুন
হতে দুরে রাখা হল এবং জান্নাতে দাখিল করা হল সে-ই সফলকাম এবং পার্থিব জীবন ছলনড়াময়
ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়”(৩ : ১৮৫) ৷ অন্যত্র তিনি ইরশাদ করেন ৷ “মুহাম্মাদ একজন রাসুল
বৈ নন ৷ তার পুর্বে অনেক রাসুল গত হয়েছেন ৷
সুতরাং যদি তিনি মারা যান অথবা তাকে হত্যা করা হয় তবে তোমরা কি পৃষ্ঠপ্ৰদর্শন
করবে ? এবং কেউ পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলে সে কখনােও আল্লাহর ক্ষতি করবে না ৷ বরং আল্লাহ
শীঘ্রই শুক্র আদায়কারীদের পুরস্কৃত করবেন (৩ : ১৪৪) ৷ এই শেষের আয়াতটিই সে
আয়াত, যা আবু বকর (রা) তিলড়াওয়াত করেছিলেন, রাসুল (সা) এর ওফাত দিবসে মসজ্যিদ
সমবেত সাহাবীগণের সামনে ৷ ল্যেকেদের তা শুনে মনে হতে লাগল যেন ইতেড়াপুর্টব তারা
আয়ড়াতটি শুনে নি ৷
এ ছাড়াও আল্লাহ তাআলড়া বলেছেন ,
এই হ্র-ণ্হু১-ষ্ ব্লুচ্ৰুশুংন্হুণ্ ধ্রু-ৰুাও-ংণ্া :শ্রীৰু :এঠু ণ্ব্লু :১র্দুব্লুওর্দ্র ,াট্রুা৷ এ্যা১দ্বু র্দুৰুশুৰুন্ও ;ন্ও৩৷ ;;:;ব্ৰ ;াহ্ন ৷ওা
’ ’ , ৷ট্রু৷ ঠুট্রু ; ৷দ্বু ণ্াপু৷ ন্ বু,হু;বুণুৰুাদ্বু
“যখন এসে যাবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়, এবং তুমি দেখবে মানুষকে দলে দলে আল্লাহর
দীনে প্রবেশ করতে ৷ তখন তুমি তোমার প্ৰতিপালকের প্রসংশাসহ তার পৰিত্রতা ঘোষণা করতে
থাকবে ৷ তিনি তো তাওবা কবুলকারী (১১০ : ১-৩) ৷ এ সুরা সম্পর্কে উমর ইবনৃল খাত্তাব ও
ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, এ হচ্ছে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মৃত্যু ঘোষণা, যা তাকে আগাম
পরিবেশন করা হয়েছে ৷ ইবন উমর (রা) বল্যেছন, বিদায় হভৈজ্জ আইয়্যামে তড়াশরীকের মধ্যম
(মধ্যবর্তী) দিনে এ সুরাটি নাযিল হয়েছিল ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) অনুধাবন করছিলেন যে, এ হচ্ছে বিদায় রাতা ৷ তাই তিনি লোকদের সামনে
ভাষন দিলেন এবং তাতে প্রয়োজনীয় আদেশ-নিষেধ বর্ণনা করলেন ৷ যেমনটি পুর্বে আলোচিত
হয়েছে ৷ জাৰির (রা) বলেছেন, আমি দেখেছি রাসুলুল্লাহ্ (সা) জামরাগুলিতে কংকর মারার পর
থেমে র্দাড়ালেন এবং বললেন, “তোমরা আমার নিকট হতে তোমাদের হজ্জ-উমরার নিয়মাবলী
লিখে নাও ৷ কেননা সম্ভবত আমার এ বছরের পরে আমি আর হজ্জ করব না ৷ ” নবী করীম (না)
তার কন্যা ফাতিমা (রা) কে বলেছিলে (বিশদ বর্ণনা পরে আসছে) ৷
এেএৰু
শুা ১৷ ধ্ন্াএদ্দুহ্র৷ খু৷ গ্রা১
“জিবরীল (আ) প্ৰতি বছর আমাকে একবার করে কুরআন শরীফ শুনাতেন ৷ কিন্তু এ বার তিনি
আমাকে তা দৃবার শুনালেন ৷ আমার ধারণা, আমার শেষ সময়ের নিকটবর্তীতাই এর কারণ ৷”
সহীহ্ বুখারীতে আবু বক্র ইবন আয়্যাশ (র) আবু হুরায়রা (রা) সনদের হাদীসে রয়েছে তিনি
(আবু হুরায়রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্ৰতি রমযান মাসে (শেষ) দশ দিনের ইতিকাফ করতেন ৷
কিন্তু তার ওফাতের বছর বিশ দিন ইতিকাফ করলেন ৷ প্ৰতি বছর এক বার র্তাকে (পুর্ণ) কুরআন
শুনানাে হতো ৷ আর তার ওফাতের বছর র্তাকে দু’বার কুরআন শুনানাে হয় ৷
ثُمَّ رَكِبَ وَفْدُهُمْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَسْرَاهُمْ، فَأَعْتَقَ بَعْضًا وَفَدَى بَعْضًا. بَعْثُ غَالِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَيْضًا إِلَى أَرْضِ بَنِي مُرَّةَ، فَأُصِيبَ بِهَا مِرْدَاسُ بْنُ نَهِيكٍ حَلِيفٌ لَهُمْ مِنَ الْحُرَقَةِ مِنْ جُهَيْنَةَ، قَتَلَهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَرَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ أَدْرَكَاهُ، فَلَمَّا شَهَرَا السِّلَاحَ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. فَلَمَّا رَجَعَا لَامَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَدَّ اللَّوْمِ، فَاعْتَذَرَا بِأَنَّهُ مَا قَالَ ذَلِكَ إِلَّا تَعَوُّذًا مِنَ الْقَتْلِ، فَقَالَ لِأُسَامَةَ هَلَّا شَقَقْتَ عَنْ قَلْبِهِ؟ ! وَجَعَلَ يَقُولُ لِأُسَامَةَ «مَنْ لَكَ بِلَا إِلَهٍ إِلَّا اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟» قَالَ أُسَامَةُ: فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنْ لَمْ أَكُنْ أَسْلَمْتُ قَبْلَ ذَلِكَ. وَقَدْ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ بِذَلِكَ. بَعْثُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ إِلَى ذَاتِ السَّلَاسِلِ مِنْ أَرْضِ بَنِي عُذْرَةَ يَسْتَنْفِرُ الْعَرَبَ إِلَى أَرْضِ الشَّامِ وَذَلِكَ أَنَّ أُمَّ الْعَاصِ بْنِ وَائِلٍ كَانَتْ مِنْ بَلِيٍّ، فَلِذَلِكَ بَعَثَ عَمْرًا يَسْتَنْفِرُهُمْ ; لِيَكُونَ أَنْجَعَ فِيهِمْ، فَلَمَّا وَصَلَ إِلَى مَاءٍ لَهُمْ يُقَالُ لَهُ: السَّلْسَلُ. خَافَهُمْ، فَبَعَثَ يَسْتَمِدُّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَرِيَّةً ; فِيهِمْ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ، وَعَلَيْهَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ، فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَيْهِ تَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ كُلِّهِمْ عَمْرٌو، وَقَالَ: إِنَّمَا بُعِثْتُمْ مَدَدًا لِي. فَلَمْ يُمَانِعْهُ أَبُو عُبَيْدَةَ ; لِأَنَّهُ كَانَ رَجُلًا سَهْلًا لَيِّنًا، هَيِّنًا عَلَيْهِ أَمْرُ الدُّنْيَا، فَسَلَّمَ لَهُ وَانْقَادَ مَعَهُ، فَكَانَ عَمْرٌو يُصَلِّي بِهِمْ كُلِّهِمْ، وَلِهَذَا لَمَّا رَجَعَ قَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ النَّاسِ أَحَبُّ إِلَيْكَ؟ قَالَ " عَائِشَةُ " قَالَ فَمِنَ الرِّجَالِ قَالَ " أَبُوهَا» بَعْثُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حَدْرَدٍ إِلَى بَطْنِ إِضَمٍ، وَذَلِكَ قَبْلَ فَتْحِ مَكَّةَ وَفِيهَا قِصَّةُ مُحَلِّمِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪১৫৫
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেছেন, জিলহজ মালেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হজ্জ থেকে
ফিরে এলেন ৷ মাসের অবশিষ্ট দিনগুলিসহ ঘুহাররম ও সফর মাস মদীনায় অবস্থান করলেন
এবং উসামা ইবন যায়দ (রা) কে অভিযানে পাঠাবার ঘোষণা দিলেন ৷ লোকজন যখন এ
অবস্থায় (অভিযানের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত) ছিল তখন সফর মাসের শে য রা৩ গুলিতে ৎবা
রবীউল আওয়াল মাসের প্রথম তা ৷গে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সে অসুস্থতার সুচনা হল যাতে
আল্লাহ তাকে তুলে নিয়েছিলেন, তার পসন্দের রহমত ও মর্যাদার জগতে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সড়া)-এর এ অসুস্থতার সুচনা সম্পর্কে আমি যে বিবরণ পেয়েছি তা হল নবী
করীয় (সা) মধ্য রাতে বাকী পােরম্ভানের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন এবং সেখানে
কবরবাসীদের জন্য মাগফিরাতের দুআ করলেন, তারপর নিজের পরিজনদের কাছে ফিরে
গেলেন ৷ পরবর্তী সকাল হতে তার অসুস্থতার সুচনা হল ৷ ইবন ইসহাক (র) আরো বলেন,
আবদুল্লাহ ইবন জাফর (র) রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর আযাদকৃত গোলাম আবু মুওয়াহিবা (বা)
হতে বংনাি করেন তিনি বলেন, মাঝরাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে জাগিয়ে তুলে দিয়ে
আবু মুওয়ায়হিবা এ বার্কীবাসীদের জন্য ইসৃতিগফার করতে আমি অদিষ্ট হয়েছি ৷৩ তা,ই
আমার সাথে চল ৷” ৩া৷মি তার সাথে চলমান ৷ যখন তিনি তাদের মাঝে গিয়ে দাড়ালেন, তখন
বললেন-
ভো৷ এা ;ব্র৷ প্রুন্ান্নু ফ্রোগ্রা ব্লু ;,৷ ৮ এ্ৰুন্নু ণ্দ্দু:ষ্ৰুষ্৷ ৮, ণ্ও৷ ঞা এাঞ্জো৷ @ ৷ ৷খু ণ্ও,া; ণ্)া৷
ম্পু ব্লু-ন্ত্র চুম্মুা
“কবর বাসীর৷ ! তােমদের উপর শান্তি বর্ধিত হোক ! লোকজন যার মাঝে রয়েছে তার
তুলনায় তোমরা যার মাঝে রয়েছে তা তোমাদের জন্য সুখবর হোক ! ফিতনা যেয়ে আসছে
তাধার রাতের টুকরাগুলির মত, যার পরবর্তীটি পুর্ববর্তীটির সাথে লেগে রয়েছে; পরেরটি
আগের টির চাইতে নিকৃষ্ট ৷” এরপর আমার দিকে লক্ষ্য করে বললেন,
এ্যাএ
“আবু মুওয়ায়াহিবা ! পৃথিবীর তাণ্ডারসমুহের চাবিংওচ্ছ ও তাতে স্থায়ী থাকার এবং তার
পরে জান্নাত (এর প্রভাব) আমাকে দেয়া হয়েছে ৷ তারপর আমাকে ঐ সব বিষয় এবং আমার
প্ৰতিপালকের সাক্ষাত সান্নিধ্য ও জ ৷ন্নাত ৩এ দুয়ের মাঝে ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে ৷ ” বর্ণনাকারী
বলেন, আ ৷মি বললাম, আমার মা বাবা আপনার জন্য উৎসগীতি ! তা হলে আপনি পৃথিবীর
তাণ্ডারসমুহের চাবিগুচ্ছ ও তাতে স্থায়িতৃ এবং তার পরে জান্নাত গ্রহণ করুন না ! তিনি
বললেন ন্থ১১এাগ্লু ধ্াগ্লু :শ্রো এপ্লু;াহ্৷ ১ণ্া৷ ব্লুার্ধাশুগ্র ৷ষ্ এ৬ ) না; আল্লাহর কসম! হে আবু
মুওয়ায়হিবা “আ মি আমার প্ৰতিপড়ালকের সাক্ষাত সান্নিধ্য ও জ ৷ন্নাত বেছে নিয়েছি ৷ তারপর
তিনি বার্কীবাসীদের জন্য ইস্তিগৃফা র করে ফিরে চললেন ৷ এরপরেই রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সে
অসুস্থতার সুচনা হল যাতে আল্লাহ জকে তুলে নিলেন ৷ প্রসিদ্ধ (ছয়) গ্রন্থসমুহের সংকলকপণ
এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেন নি ৷
جَثَّامَةَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ مُطَوَّلًا فِي سَنَةِ سَبْعٍ. بَعْثُ ابْنِ أَبِي حَدْرَدٍ أَيْضًا إِلَى الْغَابَةِ. بَعْثُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ إِلَى دُومَةِ الْجَنْدَلِ.
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَجُلًا مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ يَسْأَلُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ إِرْسَالِ الْعِمَامَةِ مِنْ خَلْفِ الرَّجُلِ إِذَا اعْتَمَّ. قَالَ: فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: أُخْبِرُكَ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، عَنْ ذَلِكَ بِعِلْمٍ ; كُنْتُ عَاشِرَ عَشَرَةِ رَهْطٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسْجِدِهِ ; أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيٌّ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ، وَابْنُ مَسْعُودٍ، وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ، وَحُذَيْفَةُ بْنُ الْيَمَانِ، وَأَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ، وَأَنَا، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذْ أَقْبَلَ فَتًى مِنَ الْأَنْصَارِ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ جَلَسَ، فَقَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ الْمُؤْمِنِينَ أَفْضَلُ؟ قَالَ " أَحْسَنُهُمْ خُلُقًا ". قَالَ فَأَيُّ الْمُؤْمِنِينَ أَكْيَسُ؟ قَالَ " أَكْثَرُهُمْ ذِكْرًا لِلْمَوْتِ، وَأَحْسَنُهُمُ اسْتِعْدَادًا لَهُ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ بِهِ، أُولَئِكَ الْأَكْيَاسُ " ثُمَّ سَكَتَ الْفَتَى، وَأَقْبَلَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ الْمُهَاجِرِينَ، خَمْسُ خِصَالٍ إِذَا نَزَلْنَ بِكُمْ، وَأَعُوذُ بِاللَّهِ أَنْ تُدْرِكُوهُنَّ ; إِنَّهُ لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ حَتَّى يُعْلِنُوا بِهَا إِلَّا ظَهَرَ فِيهِمُ الطَّاعُونُ، وَالْأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ فِي أَسْلَافِهِمُ الَّذِينَ مَضَوْا، وَلَمْ يَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِلَّا أُخِذُوا بِالسِّنِينَ وَشِدَّةِ الْمُؤْنَةِ وَجَوْرِ السُّلْطَانِ، وَلَمْ يَمْنَعُوا الزَّكَاةَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ إِلَّا مُنِعُوا الْقَطْرَ مِنَ السَّمَاءِ، فَلَوْلَا الْبَهَائِمُ مَا مُطِرُوا، وَمَا نَقَضُوا عَهْدَ اللَّهِ وَعَهْدَ رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ، فَأَخَذَ بَعْضَ مَا كَانَ فِي
পৃষ্ঠা - ৪১৫৬
(আমাকে কাফন পরার, তামার জানাযা সালাত আদায় করব এবং (আমাকে দাফন করব ৷
আইশা (বা) বলেন আমি বললাম, আল্লাহর কলম! আমার তো নিশ্চি৩ ই মনে হয় যেন, এমন
করলে তো আপনি আমার ঘরে ফিরে এসেই সেখানে আপনার (অন্য) কোন শ্ৰীকে নিয়ে বাসর
করবেন ৷ ” আইশা (রা) বলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মৃদু হাসলেন এবং তার অসুস্থতা নিয়েই
তিনি সহধর্মিনীগণের ঘরে ঘরে পালা রক্ষা করতে লাপলেন ৷ অবশেষে মায়মুনা (রা)ণ্এব ঘরে
তীর অসুস্থতা কঠিন আকার ধারণ করলে তিনি সহধর্মিনীগণকে সেখানে ডাকলেন এবং আমার
ঘরে সেবা ড্ডাষা পওেয়ন্র ;গ্র; ওা£দর ক৷ ৷ছে ৩াপুনতি হ্ব>াইণে ওার৷ সকলে অণুমতি দিয়ে
দিলেন ৷ আ ৷ইশা ৷৷(রা) বলেনঃ তখন বাসুলুল্লাহ্ (সা ) তার হুন্দালের দুজন লোকের উপর ভর
দিয়ে বের হয়ে আসলেন্ একভ্রুণ্ষ্ হ্হুণ্ন্ষ্হুল্ ইবন অব্বর্চস এবং ভ্রন্যে একন্ধ্রন লোক ৷ তার মাথায়
&
ছিল পট্টি বাধা এবং র্তহ্’ পধ্ন্ হু গ : ৷ৰু,স্ ণ <’ ট্টষ্ হল ?
এভাবে তিনি আমার বৰ্র €প্হুরুলন ; <; < বব ট্টনায়ধুপ্লা ২ (র) বলেন, আমি তখন
ইবন আব্বাস (বহ্ব ) ব্লুক কহু বুন্শ্নত্বলে ম্পি বললেন ৩াম কি জান, দ্বিতীয় ল্যেকটি কে ?
তিনি হলেনঅ ল ইবন অকৃবু তৰুলিব (রা) এ হাদড়াসের অনেক সমর্থক রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ যা
পরে আসছে ৷ বায়হফী (র) হাড়াকম (র) নাইশা (রা) সুত্রে প্রায় অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আমার মনে হচ্ছে রাসু ল্লাহ্ (না) নিউযোনিয়া জাতীয় ব্যধিতে আক্রান্ত হয়েছেন;৩ ৩ইি তাকে
মুখে ওষুধের ফৌটা দেয়ার ব্যবস্থা কর ৷ তারা তাকে মুখে ওযুধের কে টা দিলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
চেতনা ফিরে পেয়ে বললেন, fl» ঞহু গ্র-এ “এ কাজ কে করেছে?” ৷ননন আপনার চাচা
আব্বাস; তার আশঙ্কা হয়েছিল যে, নিউমে ৷নিয়া আপনাকে আক্রমণ করেছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন “ওটা তো হয়ে থাকে শয়তানের পক্ষ হতে, আল্লাহ্ তাকে আমার উপরে
প্রতিপত্তি দিবেন না; আমার চাচা আব্বাস ব্য৩ তীত ঘরের কাউকে বাদ না দিয়ে প্রত্যেকের মুখে
ওষুধ ঢেলে দিতে হবে ৷ তখন ঘরের সকলের মুখে ওষুধ ঢেলে দেয়া হল ৷ ণ্ণ্ঙ্কুনকি মায়মুনা
(রা) রোযাদাব ছিলেন, তাকেও বাদ দেয়া হল না এবং এসব করা হল বস্নেধ্ ( ণ্া৷ ) এর
দৃষ্টির সামনে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন আমার ঘরে অসৃস্থতাকাল ৷ন লেক শুশ্রুন্বণ্ প্ান্ : বার জন্য
তীর সহধর্মিণীগণের কাছে অনুমতি ভৈ>ইিণো ৩ার৷ ণ্ডান১া৷র্ডি দিয়ে ন্বদলেন প্ < < ণ্ প্ বর্ণনা
পুবন্থিরুপ ৷ তবে সেখানে ফযল ইবন ত ৷ব্বাসেব স্থলে আব্বাস (বা ) এ ব নাম রয়েছে
বুখারী (র) সাঈদ ইবন উকায়র আবদুল্লাহ ইবন উৎবা সুত্রে খবর দিয়েছেন যে, নবী
করীম (সা) এর সহধর্মিণী আ ৷ইশা (রা) বলেছেন, বা’সুলুল্লাহ্ (না) যখন রােপভারে শ্ৰুয্যাশায়ী
হলেন এবং তীর বব্রা’ধি প্রকট আকার ধারণ করল (বাকী অংশ পুবন্থিরুপ) ৷
পরবউকািলে নবী সহধর্মিনী আইশা (রা) বলতেন যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন আমার ঘরে
আগমন করলেন এবং তীর অসুস্থতা আরো প্রকট হল তখন তিনি বললেন ;স্পে ০ ৷,শুও ; ),:
হু)শুড়ুাও ) ঠো১ওণ্১ খ্-১ক্ট ৫গু তাংা৷৷ ব্লুা শুৰু,:; ,,এে “আমার উপরে সাত মশ্ক প্ষ্টদ্ ঢেলে
দাও, যেগুলির মুখের বাধন খোলা হয়নি ৷ আশা করছি আমি লে ক ধে < ;হু
ন্, ১
বৃষ্গ্বৃব
১ বন্ধন খোলা হহ্; নিঅ র্খাৎ পৃর্ণটি ৩৷ কিহুবর্কু বড়াবৃত :ল্দো গ্রু হ হ ৩ সে ক ; হ্ত্ন্ ২ :; ; < <ষ্ণ্ৰুশ্ :
দ্র প্রিচ্ছন্নভ্র শ্ক্ষ বক্রুক্তৃহু (বৃকবব টিক ভ্রবল্দ্বন্ন ৷ শ্শ্-ট্টস্কৃবস্বদ্ব
ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওোড়া
أَيْدِيهِمْ، وَمَا لَمْ يَحْكُمْ أَئِمَّتُهُمْ بِكِتَابِ اللَّهِ وَتَحَيَّرُوا فِيمَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَّا جَعَلَ اللَّهُ بَأْسَهُمُ بَيْنَهُمْ» قَالَ: ثُمَّ أَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ أَنْ يَتَجَهَّزَ لِسَرِيَّةٍ بَعَثَهُ عَلَيْهَا، فَأَصْبَحَ وَقَدِ اعْتَمَّ بِعِمَامَةٍ مِنْ كَرَابِيسَ سَوْدَاءَ، فَأَدْنَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ نَقَضَهَا، ثُمَّ عَمَّمَهُ بِهَا، وَأَرْسَلَ مِنْ خَلْفِهِ أَرْبَعَ أَصَابِعَ أَوْ نَحْوًا مِنْ ذَلِكَ. ثُمَّ قَالَ: هَكَذَا " يَا ابْنَ عَوْفٍ فَاعْتَمَّ ; فَإِنَّهُ أَحْسَنُ وَأَعْرَفُ " ثُمَّ أَمَرَ بِلَالًا أَنْ يَدْفَعَ إِلَيْهِ اللِّوَاءَ، فَدَفَعَهُ إِلَيْهِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَصَلَّى عَلَى نَفْسِهِ ثُمَّ قَالَ: " خُذْهُ يَا ابْنَ عَوْفٍ، اغْزُوا جَمِيعًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَقَاتَلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ، لَا تَغُلُّوا وَلَا تَغْدِرُوا وَلَا تُمَثِّلُوا وَلَا تَقْتُلُوا وَلِيدًا "، فَهَذَا عَهْدُ اللَّهِ وَسِيرَةُ نَبِيِّهِ فِيكُمْ، فَأَخَذَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ اللِّوَاءَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: فَخَرَجَ إِلَى دُومَةِ الْجَنْدَلِ. بَعْثُ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ وَأَصْحَابِهِ، وَكَانُوا قَرِيبًا مِنْ ثَلَاثِمِائَةِ رَاكِبٍ إِلَى سِيفِ الْبَحْرِ، وَتَزْوِيدُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِيَّاهُمْ جِرَابًا مِنْ تَمْرٍ، وَفِيهَا قِصَّةُ الْعَنْبَرِ، وَهِيَ الْحُوتُ الْعَظِيمُ الَّذِي دَسَرَهُ الْبَحْرُ، وَأَكْلُهُمْ كُلِّهِمْ مِنْهُ قَرِيبًا مِنْ شَهْرٍ حَتَّى سَمِنُوا، وَتَزَوَّدُوا مِنْهُ وَشَائِقَ - أَيْ شَرَائِحَ - حَتَّى رَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَطْعَمُوهُ مِنْهُ، فَأَكَلَ مِنْهُ، كَمَا تَقَدَّمَ بِذَلِكَ الْحَدِيثُ.
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَمِمَّا لَمْ يَذْكُرِ ابْنُ إِسْحَاقَ مِنَ الْبُعُوثِ - يَعْنِي هَاهُنَا - بَعْثُ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ لِقَتْلِ أَبِي سُفْيَانَ صَخْرِ بْنِ حَرْبٍ بَعْدَ مَقْتَلِ خُبَيْبِ
পৃষ্ঠা - ৪১৫৭
ও তাদের অৎগীকার নেবাে ৷” আইশা (রা) বলেন, আমরা তখন তাকে নবী সহধর্মির্নী হড়াফ্সা
(রা)-এর একটি মামলায় বসালাম এবং তার উপর বর্ণিত পাত্র হতে পানি ঢালতে লাগলড়াম
এমনকি তিনি তার হাত দিয়ে আমাদের দিকে ইংগিত করে বুঝালেন যে, তোমরা যথেষ্ট
করেছ ৷ আইশা (রা) বলেন, পরে তিনি লোকদের কাছে (মসজিদে) বেরিয়ে গিয়ে তাদের
নিয়ে সালাত আদায় করলেন এবং তাদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷ বুখারী (র) তার সহীহ্-এর
একাধিক অনুচ্ছেদে এবং মুসলিম (র) ও যুহ্রী (র) হতে ঐ সনদে হাদীসঢি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷
বুখারী (র) আরো বলেছেন, ইসমাঈল (র) আইশা (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেছে যে, যে
অসুস্থতার রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাত হলো, যে অসুস্থতা কালে তিনি (বার বার) জিজ্ঞাসা
করতেন ৷ মোঃ গ্র ঞা ষ্১ং “ ঞা “আগামী কাল আমি কার ঘরে থাকর ? আগামী কাল আমি
কার ঘরে থাকর? উদ্দেশ্য ছিল আইশা (রা)-এর ঘরে থাকার দিন করে হবে? তখন তার
সহধর্মিনীপণ জর যেখানে মর্জি সেখানে থাকার ব্যাপরে সম্মতি জানালেন ৷ তখন তিনি
আইশার ঘরে থাকতে লাপলেন এবং সেখানেই ওফাত বরণ করলেন ৷ আইশা (বা) বলেছেন,
পালার হিসাব মতে যে দিন তার আমার ঘরে থাকার কথা ছিল সেদিনই আমার ঘরে তীর
ওফাত হল ৷ আল্লাহ্ র্তাকে তুলে নিলেন যখন তার মাথা ছিল আমার বুকের উপর এবং আমার
লালা মিশে গিয়েছিল (আমার চাবিয়ে দেয়৷ মিসওয়াক ব্যবহার করার কারণে) তার লালার
ৎগে ৷ আইশা ম্(রা) বলেন, আবদুর রহমান ইবনঃ আবু বকর (রা) মরে ঢুকলেন, তার কাছে
একটি মিসৃওয়াক ছিল যা দিয়ে তিনি মিসৃওয়াক করছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার দিকে দৃষ্টি
দিলে আমি তাকে বললাম, আবদুর রহমান, আমাকে এ মিসৃওয়াকটি দিন ! তিনি সেটি আমাকে
এগিয়ে দিলে আমি তা চিৰিয়ে নরম করে দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে এগিয়ে দিলাম ৷ তিনি
আমার বুকে হেলান দিয়ে মিসৃওয়াক করলেন ৷” এ সুত্রে হাদীসটি বুখারী (র)-এর একক
বর্ণনা ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র)আইশা (বা) হতে, তিনি
বলেন, নবী করীম (সা) ওফাতবরণ করলেন, তখন তিনি ছিলেন আমার চিবুক ও কণ্ঠার
মাঝে ৷ সুতরাং নবী কবীম (না)-এর ওফাতকালীন অবস্থা প্রত্যক্ষ করার পরে আমি আর কারো
জন্য মৃত্যু যাতনাকে অপসন্দনীয় মনে করি না ৷
বুথারী (র) আরো বলেন, হায়্যান (র) আইশা (না) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
অসুস্থতা বোধ করলে যুআবৃ ৰিযাত’ (সুরা ফালাক ও সুরা নড়াস)-এ পাঠ করে নিজের পায়ে কু
দিতেন এবং হাত দিয়ে পা মুছে নিতেন ৷ পরে যখন তিনি তার যে অসুস্থতার আক্রান্ত হলেন,
যাতে তার ওফাত হল তখন আমি যে ঘুআবৃবিযাত পড়ে তাকে ফু দিতে লাগলাম যেগুলি
দিয়ে তিনি নিজে কু দিতেন ৷ নবী করীম (না)-এর হাত দিয়েই তার দেহ মুছিয়ে দিতে
লাগলাম, মুসলিম (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন, ইবন ওয়াহ্ব (র)যুহ্রী সনদের এবং
ফাল্লাস (র) ও মুসলিম (র) মুহাম্মদ ইবন হাতিম (র) সুত্রে
সহীহ্ গ্রস্থদ্বয়ে আবু আওয়ানা (র) আইশা (বা) সমদে উদ্ধৃত হয়েছে, তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পরিবারের নারীগণ তার কাছে সমবেত হলেন ৷ তাদের একজনও বাদ
থাকলেন না ৷ কাতিমা (রা)-ও হেটে হেটে আসলেন ৷ তার হীটার ধরন তীর পিতার হীটার
بْنِ عَدِيٍّ وَأَصْحَابِهِ. فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا قَدَّمْنَاهُ، وَكَانَ مَعَ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ جَبَّارُ بْنُ صَخْرٍ، وَلَمْ يَتَّفِقْ لَهُمَا قَتْلُ أَبِي سُفْيَانَ، بَلْ قَتَلَا رَجُلًا غَيْرَهُ، وَأَنْزَلَا خُبَيْبًا عَنْ جِذْعِهِ. وَبَعْثُ سَالِمِ بْنِ عُمَيْرٍ أَحَدِ الْبَكَّائِينَ إِلَى أَبِي عَفَكٍ أَحَدِ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَكَانَ قَدْ نَجَمَ نِفَاقُهُ حِينَ قَتَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَارِثَ بْنَ سُوَيْدِ بْنِ الصَّامِتِ، كَمَا تَقَدَّمَ، فَقَالَ يَرْثِيهِ وَيَذُمُّ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، الدُّخُولَ فِي الدِّينِ:
لَقَدْ عِشْتُ دَهْرًا وَمَا إِنْ أَرَى ... مِنَ النَّاسِ دَارًا وَلَا مَجْمَعَا
أَبَرَّ عُهُودًا وَأَوْفَى لِمَنْ ... يُعَاقِدُ فِيهِمْ إِذَا مَا دَعَا
مِنَ اوْلَادِ قَيْلَةَ فِي جَمْعِهِمْ ... يَهُدُّ الْجِبَالَ وَلَمْ يَخْضَعَا
فَصَدَّعَهُمْ رَاكِبٌ جَاءَهُمْ ... حَلَالٌ حَرَامٌ لَشَتَّى مَعَا
فَلَوْ أَنَّ بِالْعِزِّ صَدَّقْتُمُ ... أَوِ الْمُلْكِ تَابَعْتُمُ تُبَّعَا
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ لِي بِهَذَا الْخَبِيثِ؟ فَانْتُدِبَ لَهُ سَالِمُ بْنُ عُمَيْرٍ هَذَا، فَقَتَلَهُ. فَقَالَتْ أُمَامَةُ الْمُرَيْدِيَّةُ فِي ذَلِكَ
تُكَذِّبُ دِينَ اللَّهِ وَالْمَرْءَ أَحْمَدَ ... لَعَمْرُ الَّذِي أَمْنَاكَ بِئْسَ الَّذِي يُمْنِي
পৃষ্ঠা - ৪১৫৮
হায়া
৩ ৭ :
ধরন হতে একটু ও ভিন্ন ছিল না ৷ নবী করীম (সা) বললেন ষ্,-ব্লু১ ঠা ত্রু১১;এ “স্বাগতম ৷ আমার
কন্যা ! পরে তাকে নিজের ডান কিৎব৷ বাম পাশে বসালেন ৷ পরে তার কানে কানে কিছু
বললে তিনি কেধে ৷ ৷শ্ষ্ লে ন ৷ আংহ্রৰুর কানেকা নে কিছু বললে ফাতিমা (বা) হেসে উঠলেন ৷
আমি (আ ৷ইশ ৷৷)৩ তখন তাকে বললাম, রাসুলুল্লাহ্ (না) নিলে ৷ষ করে তে আমার সাথেই কানে কানে
কথা বলেলন তবুও তুমি কাং ছে৷ ? পরে ফড়া ৷তিম৷ (রা) চলে যেতে ৬ প্য৩ হলে আমি তাকে
বললাম, রাসুলুল্লাহ্ (না) তোমাকে গোপনে কী বলেছেন তা আমার বলো না ? ফাতিমা (বা)
বললেন, “ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর রহস্য ফাস করতে আমি প্রস্তুত নই ৷ ”
পরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত হয়ে গেলে আমি তাকে (ফাতিমাকে) বললাম, তোমার
উপরে আমার যে হক ও অধিকার রয়েছে তার দাবীতে তোমাকে আমি জিজ্ঞাসা করছি;
আমাকে তোমার বলতেই হবে ৷” সে বলল, অবশ্য এ রন (বলা যেতে পারে) সে বলতে
লাগল-প্ৰথম বারে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে কানে কত্ত্বক্রুন বললেন, জিবয়ীল (আ) প্রতি বছর
আমাকে একবার কুরআন শরীফ শুনাতেন অথচ এ বছর :ি০ি আমাকে দু’বার তা শুনিরেছেন ৷
“এবং আমি মনে করি যে, ৩া৷ ম ৷ র ধুঙু৷ র ষ্মোঃ ত্ত্ব:ণ্<ণ্ন্ঢ<; é? হওয়া ব্যতীত এর অন্য কোন কারণ
নেই ৷ তাই, ঙুমি আদু;া৷ হুধ্হুক ৩য় করে ভোরে এবং সবর অবলম্বন করএে ৷ তোমার ওশ্যে আমি
কতইনড়া উত্তম পুর্বসুরী’ ! “গুার একথা শুনে আমি কেদেছিলাম ৷ আবার তিনি কানে কানে
আমাশো বললেন ৷ আ ধ্ন্ ৷ র মৃত্যুর পর তুমিই সবার আগে আমার সাথে মিলিত হবে-
ব্লু০শ্রা ক্রো
তুমি কি এতে তুষ্ট হতে পড়ার না যে, তুমিই জান্নাতের ঈমানদার নাৰীকুলের কিংবা (তিনি
বলেছিলেন) এ উম্মতের নারীকুলের সর্দার হবে ৷ ” এ কথা শৃনে আমি (হলেছিলাম ৷ আইশা
(বা) হতে এ হাদীসের আরো একাধিক বর্ণনা সুত্র রয়েছে ৷
আলী ইবন আবদুল্লাহ (র) , আইশা (রা) সনদে বুখাবী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আইশা
(রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অসুস্থতা কালে আমরা তার মুখে ওষুধ ঢেলে দিলাম ৷ তিনি
আমাদের ইংগিত করতে লাপলেন যে “আমাকে মুখে ওষুধ ঢেলে দিও না ৷ ” আমরা বলাবলি
করলাম, ” ওষুধের প্ৰতি রোগীর স্বভাবজাত অনীহা ৷ পরে তিনি চেতনা ফিরে পেয়ে বললেন,
“আমি কি তোমাদের নিষেধ করি নি যে, আমার মুখে ওষুধ ঢেলে দিও না ! ? আমরা বললাম,
আমরা মনে করেছিলাম এটা বুঝি ওষুধের প্রতি অসুস্থ ব্যক্তির অনীহা ৷ তখন তিনি বললেন,
ঘরের (কউ বাকী থাকবে না, যায় মুখে ওষুধ ঢেলে দেয় না হবে; আর আমি (তা) দেখতে
থাকর; তবে আব্বাসকে নয়, কেননা তিনি তে আমাদের মধ্যে ছিলেন না ৷ বুখারী (র)
বলেছেন, ইবন আবুঘৃ যিনাদ (র) আাইং ৷৷ (রা) ননদে নবী করীম (না) হতে হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷
বুখায়ী (র) বলেন, ইউনুস (র) আইশা (রা) সুত্রে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে অসুস্থতার
ওফা৩ পা৩ করলেন ৩া৷৩ তিনি বলওেন,
১ এর্মী
حَبَاكَ حَنِيفٌ آخِرَ اللَّيْلَ طَعْنَةً
أَبَا عَفَكٍ خُذْهَا عَلَى كِبَرِ السِّنِّ
وَبَعْثُ عُمَيْرِ بْنِ عَدِيٍّ الْخَطْمِيِّ لِقَتْلِ الْعَصْمَاءِ بِنْتِ مَرْوَانَ مِنْ بَنِي أُمَيَّةَ بْنِ زَيْدٍ، وَكَانَتْ تَهْجُو الْإِسْلَامَ وَأَهْلَهُ، وَلَمَّا قُتِلَ أَبُو عَفَكٍ الْمَذْكُورُ أَظْهَرَتِ النِّفَاقَ وَقَالَتْ فِي ذَلِكَ:
بِاسْتِ بَنِي مَالِكٍ وَالنَّبِيتِ
وَعَوْفٍ وَبِاسْتِ بَنِي الْخَزْرَجِ ... أَطَعْتُمْ أَتَاوِيَّ مِنْ غَيْرِكُمْ
فَلَا مِنْ مُرَادٍ وَلَا مَذْحِجِ ... تُرَجُّونَهُ بَعْدِ قَتْلِ الرُّءُوسِ
كَمَا يُرْتَجَى مَرَقُ الْمُنْضَجِ ... أَلَا أَنِفٌ يَبْتَغِي غِرَّةً
فَيَقْطَعَ مِنْ أَمَلِ الْمُرْتَجِي
قَالَ: فَأَجَابَهَا حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ فَقَالَ:
بَنُو وَائِلٍ وَبَنُو وَاقِفٍ ... وَخَطْمَةُ دُونَ بَنِي الْخَزْرَجِ
مَتَى مَا دَعَتْ سَفَهًا وَيْحَهَا ... بِعَوْلَتِهَا وَالْمَنَايَا تَجِي
فَهَزَّتْ فَتًى مَاجِدًا عِرْقُهُ ... كَرِيمَ الْمَدَاخِلِ وَالْمَخْرَجِ
فَضَرَّجَهَا مِنْ نَجِيعِ الدِّمَا ... ءِ بَعْدَ الْهُدُوِّ فَلَمْ يَحْرَجِ
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ بَلَغَهُ ذَلِكَ: " أَلَا آخِذٌ لِي مِنَ ابْنَةِ مَرْوَانَ "
পৃষ্ঠা - ৪১৫৯
পথহার৷ হবে না ৷ ” তখন তারা (উপস্থিত লোকজন) মতবিরোধ করল ৷ কেউ বলল, লিখিয়ে
নাও ৷ কেউ বলল, এ অসুস্থতার সময় কষ্ট দেয়ার প্রয়োজন নেই ! অ ৷ল্লাহ্র কিতাব আমাদের
জন্য যথেষ্ট হবে ৷ অথচ নবীর সাক্ষাতে কলহ বিরোধ লযীচীন নয় ৷ তার৷ (কেউ কেউ) বলল,
তার অবস্থা কি, তিনি (কি তার অসুস্থতার প্রচণ্ডতায়) আসংলগ্ন কথা বলছেন? আচ্ছা, তাকে
জিজ্ঞাসা করে নাও ৷ তখন তারা পুনরায় তীর কাছে জিজ্ঞাস্য করতে গেলে তিনি বললেন ৷
প-ঠো ওণ্-এএ ষ্-এে)এ-ন্ ৭-,ত্রএ fl এে১এৰুএ ঐ;রুওএ “আমাকে আমার অবস্থায় থাকতে দাও ৷ কেননা,
আমি যার মধ্যে রয়েছি তা তোমরা যে দিকে আমাকে আহ্বান করছ তার চাইতে উওম ৷”
এরপর তিনি তাদের তিনটি বিষয়ের ৩৷ ৷ পর ৩ করে রপ লে ন
ঐএ ঠুএপ্ত)ষ্টুশ্গ্লুড়ু৷ ষ্গ্র্চু১ৰ্)১ধ্
“(এক) আরব উপদ্বীপ হতে মুশারকওদর রাহ্ধন্ার কর <: ( ই) প্ৰাও৷ ণ্ম্ ধ দ৫৷ ও পু৩ৰু;দর
উপচৌকনাদি দেবে ৷ যেমনটি আমি তাদের দিতাম এবং ( নৈ ) তৃত্তীয়টি বলার ব্যাপারে তিনি
নীরর৩ ৷ অবলম্বন করলেন ৷ কিৎব৷ তিনি তা বলো <ৰুলন তবে আনি তা ভুলে গিয়েছি’ ৷ বুখারী
(র) এ হাদীসটি তার গ্রন্থের অন্য একটি স্থানে এবং মুসলিম (র) ও সুফিয়ান ইবন উয়ায়না
(র) সুত্রে ঐ লনধে রি ওহ্ৰু ৷ র৷ ৩ কণ্,রহুছুন ৷ পরবর্তী বংনািয় বুখারী (র) বলেছেন, আলী ইবন
আবদুল্লাহ, ইবন আব্বাস (র) হাত, তিনি বলেন, বাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাত যখন লন্নিকট
হল মরে তখন অনেক ৷লাক ছিল তখন নবী করীম (সা) বললেন, ১৷ ৷াত্তে ণ্গ্র এ্যা৷ ৷ফ্রাং
৷ ১া৷ :১ ৷ প্রুা;শুও “ এসো তোমাদের একটি লিপি লিখে দিয়ে যা ৷ই, যার পরে তোমরা কখনো
বিএা৷ওর শি৷ কার হয়ে না ৷ ” তখন উপস্থিতরুদর কেউ কেউ বলল, ব্যাধির প্ৰকােপ রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে পরাভুত করে ফেলেছে, আর তোমাদের কাছে তো (দীনের পুর্ণতা প্ৰদও ) আল
কুরআন রয়েছে ; আল্লাহর কিতাবই আমাদের জন্য যথেষ্ট ৷
এভাবে ঘরের লোকেরা মতভেদ করল এবং বিতণ্ডায় লিপ্ত হল ৷ তাদের কেউ বলছিল,
(তার) কাছে (কাগজ কলম) এগিয়ে দাও, তিনি তোমাদের জন্য একটি লিপি লিখিয়ে দিয়ে
যাবেন ৷ যার পরে তোমরা পথ হার৷ হবে না ৷ অন্য কেউ অন্য কিছু বলছিল ৷ যখন র্তারা
মতবিরােধের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ৷;ষ্ণ্এঙুও “ ( এ খনি থেকে)
উঠে যাও ৷ ” রাৰী বলেন, এ পর্যায়ে ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, বিপদ ! মহা বিপদ ৷ !
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং উপস্থিত লে৷ করুদ র জ়ন৷ তার একটি পত্র লিখে দেয়ার মাঝে তাদের
ৰিরোধ্ ও বিতণ্ডা ৷র করণে যে প্ৰতিবন্ধকত৷ সৃষ্টি হল৩ তা চিরদিলের জন্য এক সমাধানবিহীন
সমস্যা হয়ে রয়েছে ৷ মুসলিম (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন মুহাম্মদ ইবন রাফি ও
আবদুল্লাহ ইবন হুমায়দ৷ (র) (আবদুর রাঘৃযাক) হতে অনুরুপ ৷ বুখঃাবী (র) মামার ও ইউনুস
(র) সুত্রে ঐ সনদে হাদীসটি তার সহীহ্ গ্রন্থের আরো একাধিক স্থানে সন্নিবেশিত করেছেন ৷
শীঅ৷ ও ৩ানা৷ ন৷ রা৷ তিলপন্থী ক৩ক হ্ল মেধার পণ্ডিত এ হাদীসের সুত্র ধরে কল্পনার ফ্লাদ্যো
বিচরণ করতে শুরু করেছে ৷ ৩াপের প্ৰওোওকর দাবী হল নবী কয়ীম (ল) ঐ পত্রে এমন
একটি বিষয় লিখে দিতে চেয়েছিলেন যা তাদের ট্টরর ন্ত্বওণ্;ত্ র কল্প না প্লু ষ্ওও তাদের
নিজেদের পসন্দ মাফিক তার৷ নবী করীম (সা) এর নামে ন্রে প কপুরক্রুছনএ সব দাবামৃ
৫০ ৷ড়া
فَسَمِعَ ذَلِكَ عُمَيْرُ بْنُ عَدِيٍّ، فَلَمَّا أَمْسَى مِنْ تِلْكَ اللَّيْلَةِ سَرَى عَلَيْهَا فَقَتَلَهَا، ثُمَّ أَصْبَحَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَتَلْتُهَا. فَقَالَ " نَصَرْتَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يَا عُمَيْرُ " قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ عَلَيَّ شَيْءٌ مِنْ شَأْنِهَا؟ قَالَ: " لَا يَنْتَطِحُ فِيهَا عَنْزَانِ " فَرَجَعَ عُمَيْرٌ إِلَى قَوْمِهِ وَهُمْ يَخْتَلِفُونَ فِي قَتْلِهَا، وَكَانَ لَهَا بَنُونَ خَمْسَةٌ، فَقَالَ: أَنَا قَتَلْتُهَا فَكِيدُونِي جَمِيعًا ثُمَّ لَا تُنْظِرُونَ. فَذَلِكَ أَوَّلُ يَوْمٍ عَزَّ الْإِسْلَامُ فِي بَنِي خَطْمَةَ، فَأَسْلَمَ مِنْهُمْ بَشَرٌ كَثِيرٌ لَمَّا رَأَوْا مِنْ عِزِّ الْإِسْلَامِ. ثُمَّ ذَكَرَ الْبَعْثَ الَّذِينَ أَسَرُوا ثُمَامَةَ بْنَ أُثَالٍ الْحَنَفِيَّ، وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ فِي إِسْلَامِهِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ فِي الْأَحَادِيثِ الصِّحَاحِ، وَذَكَرَ ابْنُ هِشَامٍ أَنَّهُ هُوَ الَّذِي قَالَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «الْمُؤْمِنُ يَأْكُلُ فِي مِعَيً وَاحِدٍ، وَالْكَافِرُ يَأْكُلُ فِي سَبْعَةِ أَمْعَاءٍ» لِمَا كَانَ مِنْ قِلَّةِ أَكْلِهِ بَعْدَ إِسْلَامِهِ، وَأَنَّهُ لَمَّا انْفَصَلَ عَنِ الْمَدِينَةِ دَخَلَ مَكَّةَ مُعْتَمِرًا وَهُوَ يُلَبِّي، فَنَهَاهُ أَهْلُ مَكَّةَ عَنْ ذَلِكَ فَأَبَى عَلَيْهِمْ، وَتَوَعَّدَهُمْ بِقَطْعِ الْمِيرَةِ عَنْهُمْ مِنَ الْيَمَامَةِ فَلَمَّا عَادَ إِلَى الْيَمَامَةِ مَنَعَهُمُ الْمِيرَةَ حَتَّى كَتَبَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعَادَهَا إِلَيْهِمْ. وَقَالَ بَعْضُ بَنِي حَنِيفَةَ
وَمِنَّا الَّذِي لَبَّى بِمَكَّةَ مُحْرِمَا
بِرَغْمِ أَبِي سُفْيَانَ فِي الْأَشْهُرِ الْحُرْمِ
وَبَعَثَ عَلْقَمَةَ بْنِ مُجَزِّزٍ الْمُدْلِجِيِّ ; لِيَأْخُذَ بِثَأْرِ أَخِيهِ وَقَّاصِ بْنِ مُجَزِّزٍ يَوْمَ قُتِلَ بِذِي قَرَدٍ، فَاسْتَأْذَنَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; لِيَرْجِعَ فِي آثَارِ الْقَوْمِ، فَأَذِنَ لَهُ وَأَمَّرَهُ عَلَى طَائِفَةٍ مِنَ النَّاسِ، فَلَمَّا قَفَلُوا أَذِنَ لِطَائِفَةٍ مِنْهُمْ فِي التَّقَدُّمِ، وَاسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ حُذَافَةَ، وَكَانَتْ فِيهِ دُعَابَةٌ، فَاسْتَوْقَدَ نَارًا وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَدْخُلُوهَا، فَلَمَّا
পৃষ্ঠা - ৪১৬০
মুতাশাবিহ১ দিয়ে প্রামাণীকরণ এবং মুহকঘে’ বর্জনের প্রয়াস মাত্র ৷ (যা বৈধ পন্থা নয়) ৷
আহ্লে সুন্নাত ক্তামড়াঅর্ষভ (ন্শ্দ্রয়প্ভু শু;,ত্রৰু ও এণ্দ্বুণ্ণ্ৰুত্ত্বণ্ক্ট্রৰু বিংণ্ন ও গবেযকবর্ণ) মহকত্ত্বম’ কে
প্রমাণরুক্রুপ্ গ্রহণ করে ৰুতশবিৰুক মুহকমের ন্খে ন্ৰুম্পৃৰু করে থাকেন এবং
ও ৩
মহান ণ্ৰুন্থে হন্ৰু ণ্ন্ ও প্ইহ্ন ভ্রষ্ষ্ণ্হ প্কর ণ্;ন্ ৰু বচ্ন্ শ্ন’খ্ র এটাই শ্রকহ্রভর ইলষ্মে
প্ৰড্ডা<ৰুশ্লে ও ণুহ্রএৰু স্ৰু<৷ ণ্ৱওওও ন্ণ্প্ল্লু ঙ্ণুহ্ ; প্ন্ £ন্দুন্ন্নন্ন্গুট্ট একুস্ প্র্শ্বন্ম্ভন্ন হ্ র্টবুহু :শৃনক
নামী দামী বা তল পন্থী ও বিভ্রান্ত ; গু< ণ্ণ্ র
সত্য ও ন্যৰুয় পথেও অনুসরণ করা এবং ৩১ € পা ট্রুৰুন্<£ ষ্ধ্ < ড :ণ্শ্<ব্লু ;হ্ : < § : হ্; :
থাকা (
ধোননৰু, ণাওব ৷বৰু>এে, রাসুপুল্লাহ্ (সা) যা লিদ্যোয শের র ইচ্ছে কণ্;র ব্র্দুছুস্কেণ্ তা তার
উদ্দেশ্যের স্পষ্ট অভিব্যক্তি সহ বিভিন্ন সহীহ্ হাদীলে প্রাঞ্জল ভাষায় <ৰুৰু৩ ২ ত্ ; £কণ্শ্ণ্শ্
ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, ঘুআস্মিল (র) (ইবন আবু যুলায়কা) আইশ্ (রা) হতে, তিনি
বলেন, “যখন সে অসুস্থতা দেখা দিল যাতে রপুিলুল্লাহ্ (সা)৫ক তুলে নেয়া হল তখন ৰু তিনি
বললেন,
প
ধ্
া
ষ্
শু
ন্ )
( ৭
, ৷
০
(৭
( ৭
১
আবু বকর ও তার ছেলে (আবদুর রহমান) কে আমার কাছে ডেকে আন যাতে কোন
লালসাকারী আবু বকরের বিষয়টিতে লালায়িত না হয় এবং কোন বাসনা পােষণকারী তাতে
বাসনা পােযন না করে ৷
“তারপর বললেন :,,ৰুণ্ব্লুফুশু গ্রষ্ক১ ;ঞা ন্ ৰুএ (আচ্ছা ঠিক আছে) আল্লাহ এবং
ঈমানদারগণ তা ( আবু বকর ত্)ন্ ও ৩ গ্রণ্প্ণু কৰুক্লো ণে ৰুফ্লু হু ) প্ৰচ্যাথ্যান করবেন ৷” দু’বাৱ
বললেন ) আইশা (ব ) বলেন (বাস্তবেও হল তাই) আল্লাহ তা রহিত করলেন এবং
ঈমানদারগণ ণ্ন্ তা প্ন্ত্যাখ্যান করলেন ৷ এ সুত্রে আহমদ (র) হাদীসটি একাকী বর্ণনা
করেছেন ন্ আহমদ (ব ) আরো বলেছেন, আবু ঘুআবিয়া (র) আইশা (রা) হতে, তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর অসুস্থতা ভারী ও প্রকট হয়ে গোল তিনি আবদুর রহমান ইণ্হুন আবু বকর
(রা)-ফে বললেন
রু দ্বুঙা ঞ& পৌষ্
“ভ্রশদ্শ্র কাছে কোন হাড় বা (কাঠ, হড়ে বাপ্ শেথরের ) পাত নিয়ে আল, আমি আবু বকর
সম্পর্কে কএং ) ন্ল্লী ;ল লিখে দিয়ে যাব, যাতে তার সাথে কেউ বিবাে ধ করতে না আসে ৷ ”
তখন ত্ত্ববনুর রন্ মান উঠতে উদ্যত হলে নবী করীম (সা) বললেন, ( ();০ণ্১৩১এএষ্দ্বু ঞা ষ্া
)ত্: প্ষ্ক প্ এ;ৰুণ্১ এন্ট্টষ্১ন্ণ্ “আল্লাহ এবং ঈমানপারগণ এম্বীকার করবেন তোমার সাথে কোন
ব্যিরত্ত্বধে লিপ্ত হওয়াকে গ্ “হে আবু বকর !” এ সুত্রেও হাদীসটি একাকী ইমাম আহমদ (র)
১ কুরআন ও হাদীসে যে সব আয়াত ও বাণীমলা ড়ার অর্থ ও ভাষা দ্ব্যর্থত বিহীন ও সুস্পষ্ট প্রা ঞ্জল সেগুলিকে
কাম ( ণ্ও১শু) সুদৃঢ়তা সম্পন্ন) বলে আর দ্ব্যর্থতা সম্পন্ন ও সাদৃ ত্বদ্রপুর্ণ ভ (ষ্যসমুহব্লুক বলা হয় ঘুতাশ ড়া:বিহ (প্ (’শ্রুৰু
সাদৃশ্য পুর্ণ অস্পষ্ট ) ৷ শরীআতে তর উসুল ও মুলনীতি অনুসারে মুতাশাবীহএর আয়াত ও হাদীলের সে অংইি
গ্রহণযোগ্য যা সংশ্লিষ্ট বিষয় ঘুহকাম আয়াত ও হাদীস প্রতিপন্ন করে থাকে ৷ অনৃবাদক
-—— : ৮
ণোমোঃ (হ্র ৷ ড়াব্র সে ও র্নো : ৫০ তো
عَزَمَ بَعْضُهُمْ عَلَى الدُّخُولِ قَالَ: إِنَّمَا كُنْتُ أَضْحَكُ. فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَمَرَكُمْ بِمَعْصِيَةِ اللَّهِ فَلَا تُطِيعُوهُ» وَالْحَدِيثُ فِي هَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ هِشَامٍ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَكَمِ بْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ.
وَبَعَثَ كُرْزَ بْنَ جَابِرٍ لِقَتْلِ أُولَئِكَ النَّفَرِ الَّذِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ وَكَانُوا مِنْ قَيْسِ كُبَّةَ مِنْ بَجِيلَةَ، فَاسْتَوْخَمُوا الْمَدِينَةَ وَاسْتَوْبَئُوهَا، فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَخْرُجُوا إِلَى إِبِلِهِ فَيَشْرَبُوا مِنْ أَبْوَالِهَا وَأَلْبَانِهَا، فَلَمَّا صَحُّوا قَتَلُوا رَاعِيَهَا، وَهُوَ يَسَارٌ مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ذَبَحُوهُ وَغَرَزُوا الشَّوْكَ فِي عَيْنَيْهِ، وَاسْتَاقُوا اللِّقَاحَ، فَبَعَثَ فِي آثَارِهِمْ كُرْزَ بْنَ جَابِرٍ فِي نَفَرٍ مِنَ الصَّحَابَةِ، فَجَاءَ بِأُولَئِكَ النَّفَرِ مِنْ بَجِيلَةَ مَرْجِعَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنْ غَزْوَةِ ذِي قَرَدٍ، فَأَمَرَ فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، وَسُمِلَتْ أَعْيُنُهُمْ، وَهَؤُلَاءِ النَّفَرُ إِنْ كَانُوا هُمُ الْمَذْكُورِينَ فِي حَدِيثِ أَنَسٍ الْمُتَّفَقِ عَلَيْهِ: أَنَّ نَفَرًا ثَمَانِيَةً مِنْ عُكْلٍ أَوْ عُرَيْنَةَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ. الْحَدِيثَ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُمْ هُمْ، فَقَدْ تَقَدَّمَ قِصَّتُهُمْ مُطَوَّلَةً، وَإِنْ كَانُوا غَيْرَهُمْ فَهَا قَدْ أَوْرَدْنَا عُيُونَ مَا ذَكَرَهُ ابْنُ هِشَامٍ وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَغَزْوَةُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ إِلَى الْيَمَنِ، غَزَاهَا مَرَّتَيْنِ، قَالَ أَبُو عَمْرٍو الْمَدَنِيُّ: بَعَثَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا إِلَى الْيَمَنِ، وَخَالِدًا فِي جُنْدٍ آخَرَ، وَقَالَ إِنِ اجْتَمَعْتُمْ فَالْأَمِيرُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ قَالَ: وَقَدْ ذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৪১৬১
বর্ণিত ৷ বুখারী (র) রিওয়ায়াত করেছে ইয়াহয়া ইবন ইয়াহ্য়া (ব) আইশা (বা) হতে, তিনি
বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
-ওেহ্নশ্ৰুহ্নিশু ৰুগ্ৰুশু^ৰুভো ওেআে এএৰু£ ¢ ৰু€ংৰুএ ¢é) এৰু€ ড্রেম্নষ্ «:“ প্লে )র্ণী ঠো মোঃ fl
“আমি ইচ্ছা করছি যে, আবু বকর ও তীর ছেলের কাছে সংবাদ পাঠিয়ে অংপীকার ঘোষণা
করে যাব-এ আশংকায় যে, দাবীদাররা দাবী করে বলবে কিৎবা বাসনা পোষণকাবীবা বাসনা
করতে শুরু করবে ৷ পরে বললেন১ শুহুৰু,া ষ্ ণ্ধো ণ্গু১৷ দ্বু :গ্লু১দ্বুগ্রা ণ্গু১াদ্বু দ্বু৷ ঞা ড্রেহুরু ৰু
-();শুএেলোঃ “আল্লাহ প্রত্যাখ্যান করবেন এবং মু’মিনগণ প্রতিরোধ করবেন ৷ কিৎবা নবী
কবীম (সা) বলেছিলেন, আল্লাহ্ প্রত্যিবাধ করবেন এবং মুমিনগণ প্রত্যাখ্যান করবেন” (অর্থাৎ
আবু বকর ব্যতীত অন্য কারো ( তৃতৃ) ৷
সহীহ্ বুখারী ও মুসলিম শরীফে রয়েছে ইবরড়াহীম ইবন সাদ (র) মুহম্মেদ (ইবন জুবায়র
ইবন মুত্ইম)-এর পিতা (জুবায়র) (বা) হতে, তিনি বলেন, একটি মেয়েলোক রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর কাছে এসে (কোন কিছু পাওয়ার আবেদন জানিয়ে) ছিল ৷ নবী করীম (না) তাকে
আবার আসতে বললে সে বলল দেখুন (বলে দিন) হৃদি আমি এসে আপনাকে না পাই (সে
যেন নবী কবীম (সা)-এব ওফাত হয়ে যাওয়ার কথা বলতে চাচ্ছিল) তখন আমি কী করব?
নবী করীম (সা) বললেন, )র্ন্তআে ,-’ ষ্ষ্১-ন্এ ণ্এ ;; “আমাকে না পেলে তুমি আবু বকরের
কাছে যাবে ৷” বাহ্যত (ময়েলোকটি নবী করীম (সা)কে এ কথা বলেছিল তার যে অসুস্থতার
সময় যাতে তিনি ওফাত বরণ করেছিলেন ৷ তবে আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷
এ ছাড়া নবী করীম (সা) তার ওফাতের পাচ দিন আগে বৃহস্পতিবার একটি অভীব
গুবুতুপুর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন যাতে তিনি সকল সাহাৰীর তুলনায় (আবু বকর) সিদ্দীক (রা)-এর
মড়াহাত্ম্য শ্রেষ্ঠতৃ ৰিবৃত করে দিয়েছিলেন ৷ সেই সাথে রয়েছে সকল সাহাৰীর উপস্থিতিতে
তাদের সকলের ইমামত করার ব্যাপারে নবী করীম (সা)-এর সুস্পষ্ট নিদের্শ ৷ বর্ণনা পরে
আসছে ৷ এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি তার লিপিতে যা লিখে দেয়ার ইচ্ছা করেছিলেন, তার
এ ভাষণটি ছিল তারই বিকল্প ৷ এ মড়াহান অভিভড়াষণের আগে নবী করমী (সা) গোসল
করেছিলেন ৷ ঘরের লোকেরা এমন সাতটি মশক হতে তীর প’ায়ে পানি ঢাললেন, যেগুলোর
মুখের বাবন’ খোলা হয়নি ৷ এ বিষয়টি সাত’ সংখ্যা যােগে নিরাময় লাভ সম্পর্কিত ৷ অন্যত্র
এ বিষয় অনেক হাদীস উদ্ধৃত হয়েছে ৷ মোট কথা, বাসুলুল্লাহ্ (সা) গোসল করার পরে বের
হয়ে এসে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন; তারপর তাদের সামনে ভাষণ দিলেন ৷
আইশা (বা) বর্ণিত পুভ্রুবল্লিখিত হাদীসে যেমন বলা হয়েছে ৷
১ বুখারী, খলীফা মনোনয়ন অনুচ্ছেদে ( ২য় খণ্ড ১০৭১ পৃ) রয়েছে fl ণ্ট্ট “এরপর আমি মনে মনে)
বললাম অর্থাৎ নবী করীম (না) যখন আবু বকরকে ডাকার ইচ্ছা করেছিলেন তখনই তার মনে পরবর্তী
কথাটির উদয় হয়েছিল ; অনুবাদক
ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْثَ خَالِدٍ، وَلَمْ يَذْكُرْهُ فِي عَدَدِ الْبُعُوثِ وَالسَّرَايَا، فَيَنْبَغِي أَنْ تَكُونَ الْعِدَّةُ فِي قَوْلِهِ تِسْعَةً وَثَلَاثِينَ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ إِلَى الشَّامِ وَأَمَرَهُ أَنْ يُوَطِّئَ الْخَيْلَ تُخُومَ الْبَلْقَاءِ وَالدَّارُومَ مِنْ أَرْضِ فِلَسْطِينَ، فَتَجَهَّزَ النَّاسُ، وَأَوْعَبَ مَعَ أُسَامَةَ الْمُهَاجِرُونَ الْأَوَّلُونَ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَهُوَ آخِرُ بَعْثٍ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بَعْثًا وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، فَطَعَنَ النَّاسُ فِي إِمَارَتِهِ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنْ تَطْعَنُوا فِي إِمَارَتِهِ فَقَدْ كُنْتُمْ تَطْعَنُونَ فِي إِمَارَةِ أَبِيهِ مِنْ قَبْلُ، وَايْمُ اللَّهِ إِنْ كَانَ لَخَلِيقًا لِلْإِمَارَةِ، وَإِنْ كَانَ لَمِنْ أَحِبِّ النَّاسِ إِلَيَّ، وَإِنَّ هَذَا لَمِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ بَعْدَهُ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ. وَقَالَ: حَدِيثٌ صَحِيحٌ حَسَنٌ. وَقَدِ انْتَدَبَ كَثِيرٌ مِنَ الْكِبَارِ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ الْأَوَّلِينَ وَالْأَنْصَارَ فِي جَيْشِهِ، فَكَانَ مِنْ أَكْبَرِهِمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، وَمَنْ قَالَ: إِنَّ أَبَا بَكْرٍ كَانَ فِيهِمْ. فَقَدْ غَلِطَ ; فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اشْتَدَّ بِهِ الْمَرَضُ وَجَيْشُ أُسَامَةَ مُخَيِّمٌ بِالْجُرْفِ، وَقَدْ أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ بِالنَّاسِ، كَمَا سَيَأْتِي، فَكَيْفَ يَكُونُ فِي الْجَيْشِ وَهُوَ إِمَامُ الْمُسْلِمِينَ بِإِذْنِ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ؟ ! وَلَوْ فُرِضَ أَنَّهُ كَانَ قَدِ انْتُدِبَ مَعَهُمْ، فَقَدِ اسْتَثْنَاهُ الشَّارِعُ مِنْ بَيْنِهِمْ بِالنَّصِّ عَلَيْهِ لِلْإِمَامَةِ فِي الصَّلَاةِ الَّتِي هِيَ أَكْبَرُ أَرْكَانِ الْإِسْلَامِ، ثُمَّ لَمَّا تُوُفِّيَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ اسْتَطْلَقَ الصِّدِّيقُ مِنْ أُسَامَةَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَأَذِنَ لَهُ فِي الْمُقَامِ عِنْدَ الصِّدِّيقِ، وَنَفَّذَ الصِّدِّيقُ جَيْشَ أُسَامَةَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ وَتَفْصِيلُهُ فِي مَوْضِعِهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى.