আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

خروج النبي صلى الله عليه وسلم من أسفل مكة

পৃষ্ঠা - ৪১২৩


তবে ইমাম আহ্মদ (র)-এর রিওয়ায়াত : আবু মুআবিয়া (র), উম্মু সালামা (বা) হতে এ
মর্মে যে, রড়াসুলুল্লাহ (না) তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন নাহর’ (দশম) দিবসে ফজর সালাতের
সময় মক্কায় নবী করীম (সা)-এর সাথে মিলিত হতে ৷ সনদের বিচারে এ হাদীস সরল এবং
বুখারী-মুসলিম সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের শর্তানুরুপ ৷ কিন্তু অন্য কোন ইমাম এ হাদীসটির এরুপ পাঠ
উদ্ধৃত করেন নি ৷ তবে সম্ভবত নাহ্র দিবস ()১শ্রা ণ্ঙুন্ন্) শব্দটি কোন রড়াবীর বিচ্যুতি কিংবা
(লিপিকারের অসতর্কতার ফল ৷ শব্দটি হবে নাহ্র দিবস ( )ণ্ড্রং ণ্ঙু-)) প্ৰস্থড়ান দিবস) ৷ বুখারী
(র) হতে উদ্ধৃত আমাদের রিওয়ায়াত এ ব্যাখ্যা সমর্থন করে ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

এ অলেড়াচনায় আমাদের লক্ষ্য হল নবী করীম (সা) ফজরের সালাত আদায় করার পর
বায়ভুল্লাহ্-এ সাতবার তাওয়ড়াফ করেন এবং বাবা ঘরের হাজারে আসওয়ড়াদ সংলগ্ন কোণ ও
কাবা ঘরের দরজার মধ্যবর্তী মুলতাযাম’-এ দাড়িয়ে মহানমহীয়ান আল্লাহ্র কাছে দুআ
করতে থাকেন এবং কাবা-র দেয়ালের সাথে নিজের শরীর লাগিয়ে রাখেন ৷ ” ছাওরী (র)
বলেন, ঘুছান্নড়া ইবনুসৃ সাব্বাহ্ (র) আম্র ইবন শৃআয়র (তার পিতা), তার দাদা হতে,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-কে আমি দেখেছি মুল্তাযাম-এ তার মুখ ও বুক লাগিয়ে
রাখতে

মন্তব্য : মুছান্না দুর্বল রাবী ৷

মক্কা হতে প্রত্যাবর্তন প্রসৎগ

তারপর নবী করীম (সা) মক্কার নিন্নাঞ্চল হতে প্ৰস্থান শুরু করলেন ৷ যেমন আইশা (বা)
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) মক্কায় আগমন করেছিলেন, মক্কার উর্চু অঞ্চল দিয়ে এবং নির্গরন
করেছিলেন নিচু এলাকা দিয়ে ৷ বুখারী, মুসলিম (র) এ হাদীসঢি উদ্ধৃত করেছেন ৷ ইবন উমর
(র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) (মক্কায়) প্রবেশ করেছিলেন বাত্হার দিককার উচু পাহাড়ী সােড়
দিয়ে এবং প্রস্থান করেছিলেন নিম্ন অঞ্চলের পাহাড়ী মোড় দিয়ে (বুখারী মুসলিম) ৷ অন্য একটি
ভায্যে রয়েছে কাদা’ (চড়াই) এর দিক থেকে প্রবেশ করেছিলেন এবং কুদা (উৎরাই) এর দিক
থেকে প্রস্থান করেছিলেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ফুযায়ল (র) জাবির (বা) হতে ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) মক্কা হতে নির্গমন করেছিলেন সুর্যাস্তের সময় এবং সারিফ পর্যন্ত না পৌছে
তিনি (মাগরিব) সালাত আদায় করেন নি ৷ সড়ারিক’ হল মক্কা হতে নয় মাইল দুরে ৷ এ
হাদীসটি অতি বিরল ধরনের; এ ছাড়া এর সনদের অন্যতম রাবী আজলাহ্ বিতর্কিত ব্যক্তি ৷
সম্ভবত এটি বিদায় হজ্জ ব্যতীত অন্য কোন সময়ের ঘটনা ৷ কেননা, নবী করীম (সা) বিদায়
হরুজ্জ বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেছিলেন ফজর সালাতের পরে (পুর্বের বংনাি দ্রষ্টব্য) তা হলে,
সুর্যাস্ত পর্যন্ত প্রস্থান ৰিলম্বিত করার কারণ কি? সুতরাং এ বর্ণনা অতি দুর্বল ৷ তবে ইবন হাঘৃম
(র) এর দাবী যদি যথার্থ বলে স্বীকৃত হয় যে, নবী করীম ’ (সা) বায়তুল্লাহ্ এ তীর বিদায়ী
তাওয়াফের পরে মক্কা হতে যুহাসৃসাবে ফিরে এসেছিলেন ৷ তবে এ ব্যাপারে তিনি আইশা
(রড়া)-এর উক্তি ব্যতীত আর কোন প্রমাণ উপস্থাপন করেন নি ৷ আইশা (বা) যখন তানৃঈশ
হতে তার উমরা সম্পাদন করে ফিরে আসছিলেন তখন তার চড়াই অতিক্রম কালে এবং নবী


رِوَايَةِ الْبُخَارِيِّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمَّا فَرَغَ مِنْ صَلَاةِ الصُّبْحِ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا، وَوَقَفَ فِي الْمُلْتَزَمِ بَيْنَ الرُّكْنِ الَّذِي فِيهِ الْحَجَرُ الْأَسْوَدُ وَبَيْنَ بَابِ الْكَعْبَةِ، فَدَعَا اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، وَأَلْزَقَ خَدَّهُ بِجِدَارِ الْكَعْبَةِ. قَالَ الثَّوْرِيُّ، عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُلْزِقُ وَجْهَهُ وَصَدْرَهُ بِالْمُلْتَزَمِ.» الْمُثَنَّى ضَعِيفٌ. [خُرُوجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ] فَصْلٌ (خُرُوجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ) ثُمَّ خَرَجَ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ، كَمَا قَالَتْ عَائِشَةُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ مِنْ أَعْلَاهَا، وَخَرَجَ مِنْ أَسْفَلِهَا» أَخْرَجَاهُ. وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا الَّتِي بِالْبَطْحَاءِ، وَخَرَجَ مِنَ الثَّنِيَّةِ السُّفْلَى.» رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ. وَفِي لَفْظٍ: دَخَلَ مِنْ كَدَاءٍ، وَخَرَجَ مِنْ كُدًى. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، ثَنَا أَجْلَحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَكَّةَ عِنْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ،
পৃষ্ঠা - ৪১২৪
فَلَمْ يَصِلْ حَتَّى أَتَى سَرِفًا، وَهِيَ عَلَى تِسْعَةِ أَمْيَالٍ مِنْ مَكَّةَ» . وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَأَجْلَحُ فِيهِ نَظَرٌ، وَلَعَلَّ هَذَا فِي غَيْرِ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَإِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَمَا قَدَّمْنَا طَافَ بِالْبَيْتِ بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ، فَمَاذَا أَخَّرَهُ إِلَى وَقْتِ الْغُرُوبِ؟! هَذَا غَرِيبٌ جِدًّا، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مَا ادَّعَاهُ ابْنُ حَزْمٍ صَحِيحًا مِنْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، رَجَعَ إِلَى الْمُحَصَّبِ مِنْ مَكَّةَ بَعْدَ طَوَافِهِ بِالْبَيْتِ طَوَافَ الْوَدَاعِ، وَلَمْ يَذْكُرْ دَلِيلًا عَلَى ذَلِكَ إِلَّا قَوْلَ عَائِشَةَ حِينَ رَجَعَتْ مِنَ اعْتِمَارِهَا مِنَ التَّنْعِيمِ، فَلَقِيَتْهُ مُصْعِدَةً وَهُوَ مُنْهَبِطٌ عَلَى أَهْلِ مَكَّةَ، أَوْ مُنْهَبِطَةً وَهُوَ مُصْعِدٌ. قَالَ ابْنُ حَزْمٍ: الَّذِي لَا شَكَّ فِيهِ أَنَّهَا كَانَتْ مُصْعِدَةً مِنْ مَكَّةَ وَهُوَ مُنْهَبِطٌ ; لِأَنَّهَا تَقَدَّمَتْ إِلَى الْعُمْرَةِ، وَانْتَظَرَهَا حَتَّى جَاءَتْ، ثُمَّ نَهَضَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ إِلَى طَوَافِ الْوَدَاعِ، فَلَقِيَهَا مُنْصَرِفَةً إِلَى الْمُحَصَّبِ مِنْ مَكَّةَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ مَنْ نَزَلَ بِذِي طُوًى إِذَا رَجَعَ مِنْ مَكَّةَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّهُ كَانَ إِذَا أَقْبَلَ بَاتَ بِذِي طُوًى، حَتَّى إِذَا أَصْبَحَ دَخَلَ، وَإِذَا نَفَرَ مَرَّ بِذِي طُوًى، وَبَاتَ بِهَا حَتَّى يُصْبِحَ، وَكَانَ يَذْكُرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ.» هَكَذَا ذَكَرَ هَذَا مُعَلَّقًا بِصِيغَةِ الْجَزْمِ، وَقَدْ أَسْنَدَهُ هُوَ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ بِهِ، لَكِنْ لَيْسَ فِيهِ ذِكْرُ الْمَبِيتِ بِذِي طُوًى فِي الرَّجْعَةِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.