আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

ذكر إفاضته صلى الله عليه وسلم إلى البيت العتيق

পৃষ্ঠা - ৪০৮২


বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ না করা পর্যন্ত পুর্বের ন্যায় ইহরাম অবস্থায়ই রয়ে যাবে ৷” আবু দাউদ (র)
ও আহমদ ইবন হাবল ও ইয়াহ্য়৷ ইবন মাঈন (র) ইবন ইসহাক (র) সনদে হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বায়হাকী (বা) হাদীসটি ভিন্ন সুত্রে উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে তাতে
অতিরিক্ত রয়েছে আবু উবায়দা (র) বলেছেন, এবং কায়স বিনৃত মিহ্সান (রা) আমাকে হাদীস
শুনিঃযছেন, তিনি বলেছেন, দশতারিখের বিকেলে (আমার ভ ই) উকাশা ইবন মিহসান বনু
আমাদের একটি দলের সাথে সকলে জামা-কামীস পরে আমার এখান হতে বেরিয়ে গেলেন ৷
পরে রাতের বেলা (ইশার সময়) তারা ফিরে এলেন যার জামা হাতে বহন করে ৷ তখন উন্মু
কায়স তাদের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা তাকে অবহিত করলেন ৷ যেমন রাসুলুল্লাহ (সা)
ওয়াহ্ব ইবন যামআ (রা) ও তার সংগীকে বলেছিলেন ৷

এ হাদীসটি অতি বিরল ও অসমর্থিত ৷ আলিমপণের কেউ অভিমত গ্রহণ করেছেন বলে
আমাদের জানা নেই ৷

নবী কয়ীম (সা) কর্জ্য বায়তুল্পাহ্ব ফরয তাওয়ড়াফ প্রসৎগ

জাবির (রা) বলেছেন, তারপর রাসুলুল্লাহ সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়তুল্লাহ অভিমুখে
চললেন এবং মক্কায় যুহ্র সালাত আদায় করে বনু আবদুল ঘুত্ত৷ ৷লিরের কাছে গিয়ে যারা তখন
যামযম পাড়ে (লোকদের পানি পান করাচ্ছিলেন তাদেরকে বললেন, “হে বনু আছেল মুত্তালিব ৷
পানি তুলতে থাক, তোমাদের পান করানোর কাজে লোকদের প্রভাব ও ঝামেলা সৃষ্টির আশংকা
না থাকলে অবশ্যই আমিও তোমাদের সাথে পানি তুলতাম ৷ তখন তারা তাকে একটি রালতি
এগিয়ে দিলে তিনি তা থেকে পান করলেন (-ঘুসলিম) ৷ এ বর্ণনায় এমন তথ্য রয়েছে যা
প্রতীয়মান করে যে, নবী করীম (সা) দৃপুরের আগেই সওয়ারীতে চড়ে মক্কা শরীফ পৌছে
ছিলেন এবং বাযতুল্লাহ্ তাওয়াফ করছিলেন ৷
তারপর তওয়াফ শেষে সেখানেই যুহ্র সালাত আদায় করলেন ৷ আবার মুসলিম (র)-এর অন্য
একটি বংনাি-মুহাম্মদ ইবন বা ফ্রি (র) (নাফি ) ইবন উমার (রা) সুত্রে এমর্মে রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ
(সা) দশ তা ৷রিখে ইফ৷ যা-ফরয তাওয়াফ করার বপরে মিনায় ফিরে এসে যুহ্র সাচ্ন্ ৷ত আদায়
করলেন ৷” এ হাদীসটি জা ৷বির (রা) এর হাদীসের পরিপন্থী এবং উভয় রিওয়ায়৷ ত-ই মুসলিমের ৷

এখন এ দুই হাদীসের মধ্যে সমন্বয় এভাবে হতে পারে যে, নবী কবীম (সা) মক্কায় যুহ্র
সালাত আদায় করার পরে মিনায় ফিরে এসে লোকদের তীর জন্য প্রর্তীক্ষারত দেখতে পেয়ে
তাদের নিয়ে (আবার) সালাত আদায় করলেন ৷-আল্লাহই সমধিক অবগত ৷ আর যুহ্রের
ওয়াক্ত বিদ্যমান থাকা কালে নবী করীম (সা)এর মিনার ফিরে আসা সম্ভব ছিল ৷ কেননা,
সময়টি গ্রীষ্মকাল ছিল বিধায় দিন ছিল দীর্ঘ ৷

যদিও এ দিনটির প্রথম ভাগে নবী করীম (সা) অনেকগুলি কর্ম-সম্পাদন করেছিলেন ৷
যেমন, ফসা হওয়ার পরে তিনি মুঘৃদালিফ৷ হতে প্রস্থান করেছিলেন, তবে তা ছিল সুঘেদািয়ের
আগে ৷ এরপর মিনায় পৌছে প্রথমে জামরাতুল আকাবায় সাতটি কংকর মারলেন ৷ পরে ফিরে
এসে নিজ হাতে ৩(তষট্টিটি উট কুরবানী করলেন এবং এক শ ৷য়ুত র অবশিষ্ট গুলি হযরত আলী
(রা) জবা ৷ই করলেন ৷ পরে প্রতিটি উটের এক এক টুকর৷ নিয়ে তা একটি ডেগৃচীতে রেখে


[ذِكْرُ إِفَاضَتِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْبَيْتِ الْعَتِيقِ] قَالَ جَابِرٌ: ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْبَيْتِ، فَصَلَّى بِمَكَّةَ الظُّهْرَ، فَأَتَى بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَهُمْ يَسْقُونَ عَلَى زَمْزَمَ، فَقَالَ: «انْزِعُوا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَلَوْلَا أَنْ يَغْلِبَكُمُ النَّاسُ عَلَى سِقَايَتِكُمْ لَنَزَعْتُ مَعَكُمْ ". فَنَاوَلُوهُ دَلْوًا فَشَرِبَ مِنْهُ.» رَوَاهُ مُسْلِمٌ. فَفِي هَذَا السِّيَاقِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، رَكِبَ إِلَى مَكَّةَ قَبْلَ الزَّوَالِ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ لَمَّا فَرَغَ صَلَّى الظُّهْرَ هُنَاكَ. وَقَالَ مُسْلِمٌ أَيْضًا: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفَاضَ يَوْمَ النَّحْرِ، ثُمَّ رَجَعَ فَصَلَّى الظُّهْرَ بِمِنًى.» وَهَذَا خِلَافُ حَدِيثِ جَابِرٍ، وَكِلَاهُمَا عِنْدَ مُسْلِمٍ، فَإِنْ عَمِلْنَا بِهِمَا أَمْكَنَ أَنْ يُقَالَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ صَلَّى الظُّهْرَ بِمَكَّةَ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مِنًى فَوَجَدَ النَّاسَ يَنْتَظِرُونَهُ، فَصَلَّى بِهِمْ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرُجُوعُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، إِلَى مِنًى فِي وَقْتِ الظُّهْرِ مُمْكِنٌ ; لِأَنَّ ذَلِكَ الْوَقْتَ كَانَ صَيْفًا، وَالنَّهَارُ طَوِيلٌ، وَإِنْ كَانَ قَدْ صَدَرَ مِنْهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَفْعَالٌ كَثِيرَةٌ فِي صَدْرِ هَذَا النَّهَارِ ; فَإِنَّهُ دَفَعَ فِيهِ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ بَعْدَ مَا أَسْفَرَ الْفَجْرُ جِدًّا، وَلَكِنَّهُ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ، ثُمَّ قَدِمَ مِنًى فَبَدَأَ بِرَمْيِ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ، ثُمَّ جَاءَ فَنَحَرَ بِيَدِهِ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ بَدَنَةً، وَنَحَرَ عَلِيٌّ بَقِيَّةَ الْمِائَةِ، ثُمَّ أَخَذَ مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ
পৃষ্ঠা - ৪০৮৩


রান্না করা হল ৷ পাক হয়ে গেলে সে থেড়াশত আহার করলেন এবং তার ঝোল পান করলেন ৷
ইত্যবসরে তিনি (যা) মাথা মুণ্ডালেন এবং সুগন্ধি ব্যবহার করলেন ৷

এ সব কিছু থেকে ফারিগ হয়ে তিনি বায়তুল্লাহর উদ্দেশ্যে বাহনে আংরাহণ করলেন ৷
তদুপরি এ দিন নবী করীম একটি গুরুতুপুর্ণ অভিভাষণে জনতাকে সম্বোধন করেছিলেন ৷ তবে
তা তার বায়তুল্লাহ গমনের আগে ছিল নাকি সেখান থেকে মিনার প্রত্যাবর্তনের পরে ছিল তা
আমি সঠিক নির্ণয় করতে পারছি না ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

এ আলোচনার লক্ষ্য হলো নবী কয়ীম (সা) সওয়ারীতে আরোহী হয়ে বায়তুল্লাহ গমন করে
আরোহী অবস্থায় সেখানে সাত বার তাওয়ড়াফ করেছিলেন এবং সাফা-মড়ারওয়ায় সাঈ করেন নি
(যেমন সহীহ্ মুসলিম শরীফে জাবির ও আইশা (বা) হতে প্ৰতিপন্ন হয়েছে) ৷ তারপর যমযম
কুপের পানি এবং যমযমের পানিতে ভেজানাে খৃরমা তিজানাে পানি (নবী স) পান করলেন ৷
এ সব বর্ণনা নবী করীম (না)-এর মক্কায় যুহ্র সালাত আদায় করার অভিমত পােষণকারীদের
বক্তব্যকে জোরদার করে ৷ যেমনটি জাৰির (রা) রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আবার এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, নবী করীম (সা) যুহ্রের ওয়াক্তের শেষ ভাগে মিনার
ফিরে এসে মিনার-ও তীর সাহাবীদের নিয়ে পুনরায় যুহ্র সালাত আদায় করেছিলেন ৷ আর এ
বিষয়টিই ইবন হড়ায্ম (র)-কে জটিলতায় ফেলে দিয়েছে এবং তিনি এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত
দিতে সমর্থ হন নি ৷ অবশ্য সহীহ্ রিওয়ায়াত সমুহের পরস্পর বিরোধী হওয়ার কারণে তার এ
অপরাগতা মেনে নেয়া যায় ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

আবু দাউদ (র) বলেন, আলী ইবন বঙ্কুহার ও আবদুল্লাহ ইবন সাঈদ (র) আইশা (বা)
হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) সে দিনের (দশ তারিখ) শেষ যুহ্র সালাত আদায় করে
ইফড়াযা (ফরম তাওয়ড়াফ) করার উদ্দেশ্যে গমন করলেন ৷ তারপর মিনার প্রত্যাবর্তন করে
আইয়ামে তাশৃরীক’ (১১, ১২, ১৩ যিলহজ্জ)-এর রাতগুলি সেখানে অবস্থান করে (প্রতিদিন)
সুর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার সময় জামরায় কংকর মড়ারলেন ৷ তিনি প্ৰতি জাম্রা সাত টি করে

ৎকর মারেন এবং প্রতি কংকরের সাথে তাকবীর ধ্বনি দেন ৷ ইবন হাঘৃম (র) বলেন, এতে
দেখা যাচ্ছে যে, জাবির ও আইশা (বা) এ বিষয় একমত যে, নবী করীম (সা) দশ তারিখের
যুহ্র সালাত মক্কায় আদায় করেছিলেন ৷ আর এরা দু’জন আল্লাহই সমধিক অবগত ইবন
উমর (রড়া)-এর তুলনায় অধিকতর নির্ভরযোগ্য স্মৃতি শক্তির অধিকারী” এ হচ্ছে ইবন হাঘৃম
(র) এর বক্তব্য ৷ তবে তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয় ৷

কেননা, আইশা (রা) এর এ রিওয়ায়াতটি নবী করীম (সা)এর মক্কায় যুহ্র সালাত আদায়
করার সুস্প্ষ্টি বর্ণনা নয় ৷ কেননা, উল্লিখিত রিওয়ায়াত টি দু’তাবে উদ্ধৃত হয়েছে ৷ যুহ্র সালাত
আদায় করার সময়’ (অথবা যখন’ জুহ্র সালাত আদায় করলেন) র্মোশু শুষ্ণ্ (১১ এবং
যুহ্র সালাত আদায় করা পযম্ভ’ ( )ঙ্-গ্রো ধ্এশ্ ধ্ দুও১) প্রথমটি যা রিওয়ায়াত হিসাবে
অধিকতর গ্রহণযোগ্য বায়তুল্লাহ গমনুের আগে মিনার যুহ্র সালাত আদায় করা প্রমাণ করে
এবং তার সম্ভাব্যতা অস্বীকার করা যায় না ৷ আর দ্বিতীয়টি যদি তা রিওয়ায়াত রুপে সংরক্ষিত
সড়াব্যস্ত হয় মক্কায় যুহ্র সালাত অড়াদড়ায়ুর্জীছুব্লুৰু,দ্বুন্নুলোঃড্রুৰু,ফ্লুররুত পারে ৷ যা ইবন হাঘৃম (র)এর

بَضْعَةً، وَوُضِعَتْ فِي قِدْرٍ، وَطُبِخَتْ حَتَّى نَضِجَتْ، فَأَكَلَ مِنْ ذَلِكَ اللَّحْمِ، وَشَرِبَ مِنْ ذَلِكَ الْمَرَقِ، وَفِي غُضُونِ ذَلِكَ حَلَقَ رَأْسَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَتَطَيَّبَ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ هَذَا كُلِّهِ رَكِبَ إِلَى الْبَيْتِ، وَقَدْ خَطَبَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي هَذَا الْيَوْمِ خُطْبَةً عَظِيمَةً، وَلَسْتُ أَدْرِي أَكَانَتْ قَبْلَ ذَهَابِهِ إِلَى الْبَيْتِ أَوْ بَعْدَ رُجُوعِهِ مِنْهُ إِلَى مِنًى. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ رَكِبَ إِلَى الْبَيْتِ فَطَافَ بِهِ سَبْعَةَ أَطْوَافٍ رَاكِبًا، وَلَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ كَمَا ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " عَنْ جَابِرٍ وَعَائِشَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، ثُمَّ شَرِبَ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ، وَمِنْ نَبِيذٍ بِتَمْرٍ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ. فَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يُقَوِّي قَوْلَ مَنْ قَالَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، صَلَّى الظُّهْرَ بِمَكَّةَ. كَمَا رَوَاهُ جَابِرٌ. وَيَحْتَمِلُ أَنَّهُ رَجَعَ إِلَى مِنًى فِي آخِرِ وَقْتِ الظُّهْرِ، فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ بِمِنًى الظُّهْرَ أَيْضًا، وَهَذَا هُوَ الَّذِي أَشْكَلَ عَلَى ابْنِ حَزْمٍ، فَلَمْ يَدْرِ مَا يَقُولُ فِيهِ، وَهُوَ مَعْذُورٌ لِتَعَارُضِ الرِّوَايَاتِ الصَّحِيحَةِ فِيهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ بَحْرٍ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، الْمَعْنَى، قَالَا: ثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «أَفَاضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ حِينَ صَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مِنًى، فَمَكَثَ بِهَا لَيَالِيَ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ يَرْمِي الْجَمْرَةَ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ، كُلُّ جَمْرَةٍ بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ، يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ.»
পৃষ্ঠা - ৪০৮৪
قَالَ ابْنُ حَزْمٍ: فَهَذَا جَابِرٌ وَعَائِشَةُ قَدِ اتَّفَقَا عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، صَلَّى الظُّهْرَ يَوْمَ النَّحْرِ بِمَكَّةَ، وَهُمَا، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، أَضْبَطُ لِذَلِكَ مِنَ ابْنِ عُمَرَ. كَذَا قَالَ، وَلَيْسَ بِشَيْءٍ، فَإِنَّ رِوَايَةِ عَائِشَةَ هَذِهِ لَيْسَتْ نَاصَّةً أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، صَلَّى الظُّهْرَ بِمَكَّةَ، بَلْ مُحْتَمِلَةٌ ; إِنْ كَانَ الْمَحْفُوظُ فِي الرِّوَايَةِ: حَتَّى صَلَّى الظُّهْرَ. وَإِنْ كَانَتِ الرِّوَايَةُ: حِينَ صَلَّى الظُّهْرَ. وَهُوَ الْأَشْبَهُ ; فَإِنَّ ذَلِكَ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، صَلَّى الظُّهْرَ بِمِنًى قَبْلَ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى الْبَيْتِ، وَهُوَ مُحْتَمِلٌ. وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى أَعْلَمُ. وَعَلَى هَذَا فَيَبْقَى مُخَالِفًا لِحَدِيثِ جَابِرٍ، فَإِنَّ هَذَا يَقْتَضِي أَنَّهُ صَلَّى الظُّهْرَ بِمِنًى قَبْلَ أَنْ يَرْكَبَ إِلَى الْبَيْتِ، وَحَدِيثُ جَابِرٍ يَقْتَضِي أَنَّهُ رَكِبَ إِلَى الْبَيْتِ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ الظُّهْرَ وَصَلَّاهَا بِمَكَّةَ. وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ: أَخَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الزِّيَارَةَ - يَعْنِي طَوَافَ الزِّيَارَةِ - إِلَى اللَّيْلِ. وَهَذَا الَّذِي عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ قَدْ رَوَاهُ النَّاسُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي حُذَيْفَةَ، وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، وَنُوحِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَّرَ الطَّوَافَ يَوْمَ النَّحْرِ إِلَى اللَّيْلِ.» وَرَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةُ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ.
পৃষ্ঠা - ৪০৮৫


অভিমত ৷ কিন্তু এ রুপ সম্ভাবনা যুক্ত দলীল দিয়ে কো ন বি৩ র্কের সুষ্ঠু নিম্পত্তি করা যায়না
আল্লাহ পাকই সমধিক অবগত

যােটকথা প্রথম সম্ভাবনার বিচারে এ হাদীসটি জাবির (রা)-এর হাদীসের পরিপন্থী ৷ কেননা,
এ হাদীসের প্রতিপাদ্য হল, নবী কবীম (সা) বায়তুল্লাহ্র উদ্দেশ্যে সওয়ারীতে আংরাহনের আগে
মিনায় যুহ্র সালাত আদায় করে ছিলেন ৷ আর জাবির (রা)-এর হাদীসের দাবী হল যুহ্র
সালাতের আদায়ের আগে নবী করীম (সা) বায়তৃল্লাহ্র উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন এবং যুহ্র
সালাত সেখানেই আদায় করেছিলেন ৷

অন্য দিকে বুখারী (র) বলেছেন, অ৷ ইশ৷ ও ইবন আব্বাস (রা) হতে আবুয যুবায়র (র)
বলেছেন, নবী করীম (সা) রাত পর্যন্ত বিলম্বিত করলেন অর্থাৎ তাওয়াফে যিয়ারত বুখারী (র)-
র এ সনদৰিহীন হাদীসটি অন্য অনেকে ইয়াহ্য়৷ ইবন স৷ ৷ঈদ আবদুর রহমান ইবন গান্ধী ও
ফারজ ইবন মায়মুন (র) (সুফিয়ান আবুয্ যুবায়র) আইশা ও ইবন আব্বাস (রা)-এর সনদ
যুক্ত করে রিওয়ায়াত করেছেন এ মর্মে যে, “নবী করীম (সা) কুরবানীর দিন (দশ তারীখের)
তাওয়াফ রাত পর্যন্ত বিলম্বিত করেছিলেন ৷ চার সৃনান গ্রন্থ স০ কলক এ হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেছেন সুফিয়ান (র) হতে ঐ সনদে ৷ তিরমিযী (র) মন্তব্য করেছেন এটি হাসান হাদীস ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আইশা ও ইবন উমর (বা) হতে এ মর্মে
যে, রাসুলুল্লাহ (সা) রাতের বেলা (তাওয়াফ) যিয়ারত’ করেছেন ৷” এখন যদি রাত কে
দুপুরের পরের দিকে’ অর্থে প্রয়োগ করা হয়, অর্থাৎ যেন বলা হল বিকেলে ও দিনের শেষাৎশে
তবে তা সঠিক ভিত্তি পেয়ে যাবে ৷ আর যদি সুর্যাস্তের পরের (প্রকৃত রাত) অর্থে প্রয়োগ করা
হয় তবে তা হবে খুবই অবান্তব এবং এ সম্পর্কিত বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ হাদীসসমুহের পরিপন্থী ৷
কেননা, সেওলোতে বলা হয়েছে যে, “নবী করীম (সা) দশ তারিখে দিনের বেলা তাওয়াফ
করেছেন এবং যমযমের পানপাত্র হতে পান করেছেন ৷ ” আর যে তাওয়াফের উদ্দেশ্যে রাতের
বেলা তিনি বায়তৃল্পাহ্ গিয়েছিলেন তা হল বিদায়ী তাওয়াফ ৷ তবে রাবীদের অনেকে সে
তাওয়াফকেও যিয়ারাত তাওয়াফ’ নামে ব্যক্ত করে থাকেন (পরবর্তী আলোচনা দ্ৰ) ৷ কিৎব৷
(রাতের তাওয়াফ হবে) বিদায়ী তাওয়াফের আগে এবং তাওয়াফুসৃ সাদ্র (প্রধান তাওয়াফ)
অর্থাৎ ফরয তাওয়াফের পরে শুধু যিয়ারত ও আল্লাহর ঘরের সাক্ষাতসান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে
আদায়কৃত সাধারণ ও নফল তাওয়াফ (এ বিষয় সম্বলিত হাদীসে আমরা যথাস্থানে উল্লেখ
করব যে, রাসুলুল্লাহ (সা) মিন৷ ৷র রাত সমুহের প্রতি রাতে বায়তুল্লাহ যিয়ারতে গমন করতেন ৷
যা প্রায় অব ৷স্তব) ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত

হাফিয বায়হাকী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আমৃর ইবন কায়স (র) আ ৷ইশা (রা) হতে এ
মমে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তার সহচর বৃন্দকে অনুমতি দিলে তারা দশ তারিখের দুপুরে
বাযতুল্লাহর তাওয়াফে যিয়ারত করলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সা) নিজে তার ত্রীগগকে নিয়ে রাতে
তাওয়াফ যিয়ারত করলেন ৷ এটি একটি অভিনয় বিরল হাদীস এবং তাউস ও উরওয়া ইবনৃঘৃ
যুবায়র (র) এ অভিমত পোষণ করতেন যে, নবী করীম (সা) দশ তারিখের (ফরয) তাওয়াফ
রাত পর্যন্ত বিলম্বিত করেছিলেন ৷ তবে বিশুদ্ধ রিওয়ায়াত সমুহ এবং জমহুরের অভিমতের দাবী
হল নবী কৰীম (সা) দশ তারিখের তাওয়াফ দিনে করেছিলেন এবং তা দুপুরের আগে হওয়াই


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَارَ لَيْلًا. فَإِنْ حُمِلَ هَذَا عَلَى أَنَّهُ أَخَّرَ ذَلِكَ إِلَى مَا بَعْدَ الزَّوَالِ، كَأَنَّهُ يَقُولُ: إِلَى الْعَشِيِّ. صَحَّ ذَلِكَ. وَأَمَّا إِنْ حُمِلَ عَلَى مَا بَعْدَ الْغُرُوبِ فَهُوَ بَعِيدٌ جِدًّا، وَمُخَالِفٌ لِمَا ثَبَتَ فِي الْأَحَادِيثِ الصَّحِيحَةِ الْمَشْهُورَةِ مِنْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، طَافَ يَوْمَ النَّحْرِ نَهَارًا، وَشَرِبَ مِنْ سِقَايَةِ زَمْزَمَ. وَأَمَّا الطَّوَافُ الَّذِي ذَهَبَ فِي اللَّيْلِ إِلَى الْبَيْتِ بِسَبَبِهِ فَهُوَ طَوَافُ الْوَدَاعِ - وَمِنَ الرُّوَاةِ مَنْ يُعَبِّرُ عَنْهُ بِطَوَافِ الزِّيَارَةِ كَمَا سَنَذْكُرُهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ - أَوْ طَوَافُ زِيَارَةٍ مَحْضَةٍ قَبْلَ طَوَافِ الْوَدَاعِ، وَبَعْدَ طَوَافِ الصَّدْرِ الَّذِي هُوَ طَوَافُ الْفَرْضِ. وَقَدْ وَرَدَ حَدِيثٌ سَنَذْكُرُهُ فِي مَوْضِعِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَزُورُ الْبَيْتَ كُلَّ لَيْلَةٍ مِنْ لَيَالِي مِنًى، وَهَذَا بَعِيدٌ أَيْضًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَذِنَ لِأَصْحَابِهِ، فَزَارُوا الْبَيْتَ يَوْمَ النَّحْرِ ظَهِيرَةً، وَزَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ نِسَائِهِ لَيْلًا.» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا أَيْضًا، وَهَذَا قَوْلُ طَاوُسٍ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَّرَ الطَّوَافَ يَوْمَ النَّحْرِ إِلَى اللَّيْلِ. وَالصَّحِيحُ مِنَ الرِّوَايَاتِ، وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ، أَنَّهُ،
পৃষ্ঠা - ৪০৮৬
عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، طَافَ يَوْمَ النَّحْرِ بِالنَّهَارِ، وَالْأَشْبَهُ أَنَّهُ كَانَ قَبْلَ الزَّوَالِ، وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ بَعْدَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا وَهُوَ رَاكِبٌ، ثُمَّ جَاءَ زَمْزَمَ وَبَنُو عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَسْتَقُونَ مِنْهَا، وَيَسْقُونَ النَّاسَ، فَتَنَاوَلَ مِنْهَا دَلْوًا فَشَرِبَ مِنْهُ، وَأَفْرَغَ عَلَيْهِ مِنْهُ. كَمَا قَالَ مُسْلِمٌ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ الضَّرِيرُ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، ثَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ وَهُوَ جَالِسٌ مَعَهُ عِنْدَ الْكَعْبَةِ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَخَلْفَهُ أُسَامَةُ، فَأَتَيْنَاهُ بِإِنَاءٍ فِيهِ نَبِيذٌ فَشَرِبَ، وَسَقَى فَضْلَهُ أُسَامَةَ، وَقَالَ: «أَحْسَنْتُمْ وَأَجْمَلْتُمْ، هَكَذَا فَاصْنَعُوا ".» قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَنَحْنُ لَا نُرِيدُ أَنْ نُغَيِّرَ مَا أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي رِوَايَةٍ عَنْ بَكْرٍ أَنَّ أَعْرَابِيًّا قَالَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: مَالِي أَرَى بَنِي عَمِّكُمْ يَسْقُونَ اللَّبْنَ وَالْعَسَلَ وَأَنْتُمْ تَسْقُونَ النَّبِيذَ؟ أَمِنْ حَاجَةٍ بِكُمْ، أَمْ مِنْ بُخْلٍ؟ فَذَكَرَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ هَذَا الْحَدِيثَ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا قَالَ لِابْنِ عَبَّاسٍ: مَا شَأْنُ آلِ مُعَاوِيَةَ يَسْقُونَ الْمَاءَ وَالْعَسَلَ، وَآلِ فُلَانٍ يَسْقُونَ اللَّبَنَ، وَأَنْتُمْ تَسْقُونَ النَّبِيذَ؟ أَمِنْ بُخْلٍ بِكُمْ أَوْ حَاجَةٍ؟ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: مَا بِنَا بُخْلٌ وَلَا حَاجَةٌ، وَلَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَنَا وَرَدِيفُهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، فَاسْتَسْقَى فَسَقَيْنَاهُ مِنْ هَذَا - يَعْنِي نَبِيذَ السِّقَايَةِ - فَشَرِبَ مِنْهُ، وَقَالَ: «
পৃষ্ঠা - ৪০৮৭


অধিকতর সংগতি পুর্ণ ৷ তবে দুপুরের পরে হওয়ার প্রমাণগত সম্ভাব্যতার বিদ্যমান ৷ আল্লাহই
সমধিক অবগত ৷

এ আলোচনার সার কথা হল নবী করীম (সা) (মিনা হতে) মক্কায় উপনীত হয়ে সওয়ারীতে
আরোহণ করে বড়ায়তুল্লাহ্ এ সাতবার তাওয়াফ করলেন ৷ তারপর যমযম কুপের কাছে গেলেন;
বমু মুত্তালিবে লোকেরা কুয়ো থেকে পানি তুলছিল এবং লোকদের পান করাচ্ছিল ৷ নবী করীম
সেখান হতে একটি রালতি নিলেন এবং তা থেকে পান করলেন ও নিজের গায়ে ঢাললেন ৷ ”
যেমন মুসলিম (র) বর্ণনা করেন মুহাম্মদ ইবন মিনহাল আদষ্দা’রীর (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে
তখন তাকে বলতে ণ্ডনােছন নবী করীম (সা) তার বাহনে করে আগমন করলেন, তার পিছনে
ছিলেন উসামা ৷ আমরা তার কাছে একটা পাত্র নিয়ে এলাম যাতে নাবীয ছিল ৷ তিনি পান
করলেন এবং তার অবগ্রিষ্টিটুকু উসামা কে পান করতে দিলেন এবং বললেন, “সুন্দর করেছো,
উত্তম করেছে৷ ! এ ভাবেই করতে থাকবে ৷ ” ইবন আব্বাস (রা) বলেন, “তাই, রাসুলুল্লাহ (সা)
যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা আমরা পরিবর্তন করতে চাই না ৷” বাকর (র)-এর আর একটি
রিওয়ায়াত রয়েছে, যে, জনৈক যেদুঈন ইবন আব্বাস (রা)-কে বললেন, “কী ব্যাপার,
আপনাদের চাচাত ভাইদের দেখছি, লোকদের মধু আর দুধ পান করারুচ্ছন আর আপনারা
নিজেরা নাবীয পান করাচ্ছেন তা কি অভাবের কারণে নাকি কার্পণের কারণে ? তখন ইবন
আব্বাস (রা) ঐ বেদুইনের কাছে এ হড়াদীসঢি উল্লেখ করলেন ৷ আহমদ (র) আরো বলেন, রাওহ
(র)বাক্র ইবন আবদুল্লাহ (র) হতে এ মর্মে যে, এক ণ্বদুইন এসে ইবন আব্বাস (রা)-কে
বলল, কী ব্যাপার যুআবিয়া পরিবারের লোকেরা পানি ও মধু পান করাচ্ছে; অঘুকরা দুধ পান
করাচ্ছে আর আপনারা নাবীয পানি করাচ্ছেন! তা কি আপনাদের কৃপণতাও জন্যে, নাকি
অনটনেও জন্য? তখন ইবন আব্বাস (রা) বললেন, কৃপণতার আমাদের পায় সি আর অভাবে
অনটনর নয় ৷

তবে, (বিদায় হজ্জ) রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের কাছে এলেন, তার সহ-আরোহী ছিলেন
উসামা ইবন যায়দ (রা) তিনি পানীয় দিতে বললে আমরা এ জিনিস অর্থাৎ নাৰীয পান করতে
দিলাম ৷ তিনি তা থেকে পান করলেন এবং বললেন, “উত্তম করেছে৷ ! এ ভাবেই কর চলবে ৷
আহমদ (র) এ হাদীস রাওহ্ বড়াকও একাধিক সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) হতে (অনুরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন) ৷ বুখারী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, ইসহাক ইবন সুলায়মান (র) ইবন
আব্বাস (রা) হতে এমর্মে যে, রাসুলুল্লাহ (সা) পান ণ্কল্কন্দ্র যমযম (থেকে তোলা পানির
আধারে) এসে পানীয় চাইলেন ৷

তখন আব্বাস (রা) বললেন, হে ফায্ল৷ তোমরা আম্মার কাছে গিয়ে তার নিকট হতে
রাসুলুল্লাহ (সা) এর জন্য পানীয় নিয়ে এসো ! নবী করীম (সা) তখন (আবার) বললেন,
“আমাকে ( এখান থেকেই) পান করিয়ে দিন ! তখন আব্বাস (রা) বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ !
“এরা তো এ পানিতে তাদের হাত ঢুকিয়ে দেয় ৷ নবী করীম (সা) বললেন, আমাকে পান
করতে দিন ! তখন তিনি সেখান থেকে পান করার পরে যমযম এর কাছে গেলেন ৷ তখন তারা
পানি পান করাচ্ছিলেন এবং কাজে লিপ্ত ছিলেন ৷ নবী করীম (সা) বললেন-


" أَحْسَنْتُمْ، هَكَذَا فَاصْنَعُوا ".» وَرَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ رَوْحٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ بَكْرٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ حُسَيْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، وَدَاوُدَ بْنِ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فَذَكَرَهُ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ شَاهِينَ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ إِلَى السِّقَايَةِ فَاسْتَسْقَى، فَقَالَ الْعَبَّاسُ: يَا فَضْلُ اذْهَبْ إِلَى أُمِّكَ فَأْتِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَرَابٍ مِنْ عِنْدِهَا. فَقَالَ: " اسْقِنِي ". فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُمْ يَجْعَلُونَ أَيْدِيَهُمْ فِيهِ. قَالَ: " اسْقِنِي ". فَشَرِبَ مِنْهُ، ثُمَّ أَتَى زَمْزَمَ وَهُمْ يَسْقُونَ، وَيَعْمَلُونَ فِيهَا، فَقَالَ: " اعْمَلُوا فَإِنَّكُمْ عَلَى عَمَلٍ صَالِحٍ ". ثُمَّ قَالَ: " لَوْلَا أَنْ تُغْلَبُوا لَنَزَلْتُ حَتَّى أَضَعَ الْحَبْلَ عَلَى هَذِهِ ". يَعْنِي عَاتِقَهُ، وَأَشَارَ إِلَى عَاتِقِهِ.» وَعِنْدَهُ مِنْ حَدِيثِ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ: سَقَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ زَمْزَمَ، فَشَرِبَ وَهُوَ قَائِمٌ. قَالَ عَاصِمٌ: فَحَلَفَ عِكْرِمَةُ: مَا كَانَ يَوْمَئِذٍ إِلَّا عَلَى بَعِيرٍ. وَفِي رِوَايَةٍ: نَاقَتِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৪০৮৮
عَبَّاسٍ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَافَ بِالْبَيْتِ وَهُوَ عَلَى بَعِيرٍ، وَاسْتَلَمَ الْحَجَرَ بِمِحْجَنٍ كَانَ مَعَهُ. قَالَ: وَأَتَى السِّقَايَةَ فَقَالَ: " اسْقُونِي ". فَقَالُوا: إِنَّ هَذَا يَخُوضُهُ النَّاسُ، وَلَكِنَّا نَأْتِيكَ بِهِ مِنَ الْبَيْتِ. فَقَالَ: " لَا حَاجَةَ لِي فِيهِ، اسْقُونِي مِمَّا يَشْرَبُ مِنْهُ النَّاسُ ".» وَقَدْ رَوَى أَبُو دَاوُدَ، عَنْ مُسَدَّدٍ، عَنْ خَالِدٍ الطَّحَّانِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ وَنَحْنُ نَسْتَقِي، فَطَافَ عَلَى رَاحِلَتِهِ.» الْحَدِيثَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ وَعَفَّانُ، قَالَا: ثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَيْسٍ - وَقَالَ عَفَّانُ فِي حَدِيثِهِ: أَنْبَأَنَا قَيْسٌ - عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ: «جَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى زَمْزَمَ فَنَزَعْنَا لَهُ دَلْوًا فَشَرِبَ ثُمَّ مَجَّ فِيهَا ثُمَّ أَفْرَغْنَاهَا فِي زَمْزَمَ ثُمَّ قَالَ: " لَوْلَا أَنْ تُغْلَبُوا عَلَيْهَا لَنَزَعْتُ بِيَدِي ".» انْفَرَدَ بِهِ أَحْمَدُ وَإِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ.