আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

قصة قوم لوط عليه السلام وما حل بهم من النقمة العميمة

পৃষ্ঠা - ৪০৭

া;

ব্ল £ৰুর্চুব্র ৷ দ্বু,^,পু ৷ পুছুাণ্াপুদ্বু র্দু’, ৷ ; পু,পুছুপ্দ্বুদ্বু ,£দ্বুদ্বুহুট্রুর্ধ
লুতের সম্প্রদায় রাসুলগণকে অস্বীকার করেছিল, যখন ওদের তাই লুত ওদেরকে বলল,
তোমরা কি সাবধান হবে না? আমি তো তোমাদের জন্যে এক বিশ্বস্ত রাসুল ৷ সুতরাং তোমরা
আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর ৷ আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদড়ান
চাই নড়া, আমার পুরস্কার তেড়া জগতসমুহের প্রতিপালকের কাংইে আছে ৷ সৃষ্টির মধ্যে তোমরা
তো কেবল পুরুষের সাথেই উপগত হও এবং৫ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্যে যে
ন্তীলােক সৃষ্টি করেছেন৩ তাদেরকে তোমরা বর্জন করে থাক ৷ তোমরা তো সীমালংঘনকায়ী
সম্প্রদায় ৷ ওরা বলল, হে লুত তুমি যদি নিবৃত্ত না হও, তবে অবশ্যই তুমি নির্বাসিত হবে ৷

লুত বলল, আমি তোমাদের এ কাজকে ঘৃণা করি ৷ হে আমার প্রতিপলেক্ ! আমাকে এবং
আমার পরিবার-পরিজনকে, ওরা যা করে তা থেকে রক্ষা কর ৷ অতঃপর আমি তাকে এবং তার
পরিবড়ার-পরিজন সকলকে রক্ষা করলাম ৷ এক বৃদ্ধা ব্যতীত, যে ছিল পেছনে বয়ে যাওয়া
ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ৷ তারপর অপর সকলকে ধ্বংস করলাম ৷ তাদের উপর শাস্তিমুলক বৃষ্টি বর্ষণ
করেছিলাম, তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল, তাদের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকুষ্ট!
এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে ৷ ৰিহুক্ষ্ম ওদের অধিকাৎশই মুমিন নয় ৷ তোমার প্রতিপালক , তিনি
তো পরাত্রুমশালী, পরম দয়ালু ৷ (২৬ : ১৬০ন্১ ৭৫)

সুরা নামলে আল্লাহ বলেনং :


র্বৃ


(
স্মরণ কর, লুতের কথা, যে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, তোমরা জোনশুনে কেন অশ্লীল কা জ
করছন্ তোমরা কি কাম তৃপ্তির জন্যে নড়ারীকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবো তোমরা তো এক অজ্ঞ
সম্প্রদায় ৷ উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু বলল, লুত পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে
দাও ৷ এরা তো এমন লোক যারা পবিত্র সাজতে চায় ৷ তারপর তাকে ও তার পরিবারবর্গকে
উদ্ধার করলাম, তার ত্রী ব্যতীত; তাকে করেছিলাম ধ্বং সপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত ৷ তাদের উপর
ভয়ংকর বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম; যাদের ডীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল তাদের জন্য এই বর্ষণ ছিল

কত মারাত্মক! (২৭ : ৫৪-৫৮)

সুরা আনৃকাবুতে আল্লাহ বলেন $



ষ্ন্ , ? ট্



[قِصَّةُ قَوْمِ لُوطٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَا حَلَّ بِهِمْ مِنَ النِّقْمَةِ الْعَمِيمَةِ] وَمِمَّا وَقَعَ فِي حَيَاةِ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ مِنَ الْأُمُورِ الْعَظِيمَةِ قِصَّةُ قَوْمِ لُوطٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَمَا حَلَّ بِهِمْ مِنَ النِّقْمَةِ الْعَمِيمَةِ وَذَلِكَ أَنَّ لُوطًا ابْنُ هَارَانَ بْنِ تَارَحَ، وَهُوَ آزَرُ، كَمَا تَقَدَّمَ وَلُوطٌ ابْنُ أَخِي إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ فَإِبْرَاهِيمُ وَهَارَانُ وَنَاحُورُ إِخْوَةٌ كَمَا قَدَّمْنَا، وَيُقَالُ: إِنَّ هَارَانَ هَذَا هُوَ الَّذِي بَنَى حَرَّانَ، وَهَذَا ضَعِيفٌ لِمُخَالَفَتِهِ مَا بِأَيْدِي أَهْلِ الْكِتَابِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَكَانَ لُوطٌ قَدْ نَزَحَ عَنْ مَحَلَّةِ عَمِّهِ الْخَلِيلِ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ بِأَمْرِهِ لَهُ وَإِذْنِهِ، فَنَزَلَ بِمَدِينَةِ سَدُومَ مِنْ أَرْضِ غَوْرِ زُغَرَ، وَكَانَتْ أُمَّ تِلْكَ الْمَحَلَّةِ وَلَهَا أَرْضٌ وَمُعْمَلَاتٌ وَقُرًى مُضَافَةٌ إِلَيْهَا، وَلَهَا أَهْلٌ مِنْ أَفْجَرِ النَّاسِ وَأَكْفَرِهِمْ وَأَسْوَئِهِمْ طَوِيَّةً وَأَرْدَئِهِمْ سَرِيرَةً وَسِيرَةً، يَقْطَعُونَ السَّبِيلَ، وَيَأْتُونَ فِي نَادِيهِمُ الْمُنْكَرَ، وَلَا يَتَنَاهَوْنَ عَنْ مُنْكَرٍ فَعَلُوهُ، لَبِئْسَ مَا كَانُوا يَفْعَلُونَ ابْتَدَعُوا فَاحِشَةً لَمْ يَسْبِقْهُمْ إِلَيْهَا أَحَدٌ مِنْ بَنِي آدَمَ وَهِيَ إِتْيَانُ الذُّكْرَانِ مِنَ الْعَالَمَيْنِ، وَتَرْكُ مَا خَلَقَ اللَّهُ مِنَ النِّسْوَانِ لِعِبَادِهِ الصَّالِحِينَ، فَدَعَاهُمْ لُوطٌ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ تَعَالَى وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَنَهَاهُمْ عَنْ تَعَاطِي هَذِهِ الْمُحَرَّمَاتِ، وَالْفَوَاحِشِ الْمُنْكَرَاتِ، وَالْأَفَاعِيلِ الْمُسْتَقْبَحَاتِ فَتَمَادَوْا عَلَى ضَلَالِهِمْ وَطُغْيَانِهِمْ، وَاسْتَمَرُّوا عَلَى فُجُورِهِمْ وَكُفْرَانِهِمْ، فَأَحَلَّ اللَّهُ بِهِمْ مِنَ الْبَأْسِ الَّذِي لَا يُرَدُّ مَا لَمْ يَكُنْ فِي خَلَدِهِمْ وَحُسْبَانِهِمْ، وَجَعَلَهُمْ مَثُلَةً فِي الْعَالَمِينَ، وَعِبْرَةً يُتَّعِظُ بِهَا
পৃষ্ঠা - ৪০৮




৷ “র্দুাহ্র
৷ ৷শু৷ ৷ ব্লুা&াদ্বু
é ট্রু,র্দ্র ঞ;
াক্ট্র৷ চু,ণ্ড্র,,শ্রো ক্কু প্লুদ্বুাহ্র প্রো;ট্রু^াষ্ট্য এোদ্বু £:াহ্রছু;; ৷ভু৷ ;;;§ ’ ও ত্তহুন্হ্
গ্লুদ্বু ,দ্বুপুড্রুপু

স্মরণ কর লুতের কথা, যে তার সম্প্রদায়কে বলেছিল,ঞে তোমরা তো এমন অশ্লীল কা জ
করছ; যা তোমাদের পুর্বেবিশ্বে কেউ করেনি ৷ তােমরাই তো পুরুষে উপগত হচ্ছ ৷ তােমরাই
তো রাহজোনি করে থাক এবং তােমরাই তো নিজেদের মজলিসে প্রকাশ্যে ঘৃণ্য কাজ করে
থাক ৷ উত্তরে তার সম্প্রদায় শুধু এই বলল, আমাদের উপর আল্লাহর শাস্তি নিয়ে এসো যদি
তুমি সত্যবাদী হও ৷’ সে বলল, হে আমার প্রতিপালক ৷ বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে
আমাকে সাহায্য কর ৷ ’ যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদসহ ইবরাহীমের কাছে
আসল, তারা বণেছিল, আমরা এই জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব ৷ এর অধিবাসীরা
ণ্তা জালিম ৷ ইব্রাহীম বলল , এই জনপদে তাে লুত রয়েছে ৷ তারা বলল, সেখানে কারা আছে
তা আমরা ভাল জানি; আমরা তাে লুতকে ও তার পরিবার-পরিজনবর্পকে রক্ষা কয়বই; তার শ্রী
ব্যতীত; সে তাে পেছনে রয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ৷

এবং যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ লুতের কাছে আসল, তখন তাদের জন্যে সে বিষগ্ন
হয়ে পড়ল এবং নিজকে তাদের রক্ষায় অসমর্থ মনে করল ৷ তারা বলল, ভয় করো না, দুঃখও
করো না ৷ আমরা তোমাকে ও তোমার পরিজনবর্পকে রক্ষা করব, তোমার শ্রী ব্যতীত; সে তো
পেছনে বয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত ৷ আমরা এই জনপদবাসীদের উপর আকাশ থেকে শাস্তি
নাযিল করব, কারণ তারা পাপাচার করেছিল ৷ আমি বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে এতে
একটি স্পষ্ট নিদর্শন রেখেছি ৷ (২৯ : ২৮-৩৫)

সুরা সাফ্ফাতে আল্লাহ বলেনঃ
১ ৷ প্রুক্কুছুঠুধ্ র্চু৮প্রু)


)


,

লুতও ছিল রাসুলগণের একজন ৷ আমি তাকে ও তার পরিবারের সকলকে উদ্ধার
করেছিলাম--এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল পেছনে রয়ে যাওয়া লোকদের অন্তর্ভুক্ত ৷ তারপর


الْأَلِبَّاءُ مِنَ الْعَالِمِينَ؛ وَلِهَذَا ذَكَرَ اللَّهُ تَعَالَى قِصَّتَهُمْ فِي غَيْرِ مَا مَوْضِعٍ مِنْ كِتَابِهِ الْمُبِينِ فَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْأَعْرَافِ: {وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِنَ الْعَالَمِينَ} [الأعراف: 80] {إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِنْ دُونِ النِّسَاءِ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ مُسْرِفُونَ - وَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا أَخْرِجُوهُمْ مِنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ - فَأَنْجَيْنَاهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ - وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَانْظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُجْرِمِينَ} [الأعراف: 81 - 84] [الْأَعْرَافِ: 80 - 84] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ هُودٍ:
পৃষ্ঠা - ৪০৯
{وَلَقَدْ جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَى قَالُوا سَلَامًا قَالَ سَلَامٌ فَمَا لَبِثَ أَنْ جَاءَ بِعِجْلٍ حَنِيذٍ فَلَمَّا رَأَى أَيْدِيَهُمْ لَا تَصِلُ إِلَيْهِ نَكِرَهُمْ وَأَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيفَةً قَالُوا لَا تَخَفْ إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمِ لُوطٍ وَامْرَأَتُهُ قَائِمَةٌ فَضَحِكَتْ فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ قَالَتْ يَاوَيْلَتَى أَأَلِدُ وَأَنَا عَجُوزٌ وَهَذَا بَعْلِي شَيْخًا إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عَجِيبٌ قَالُوا أَتَعْجَبِينَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ رَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ إِنَّهُ حَمِيدٌ مَجِيدٌ فَلَمَّا ذَهَبَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ الرَّوْعُ وَجَاءَتْهُ الْبُشْرَى يُجَادِلُنَا فِي قَوْمِ لُوطٍ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَحَلِيمٌ أَوَّاهٌ مُنِيبٌ يَاإِبْرَاهِيمُ أَعْرِضْ عَنْ هَذَا إِنَّهُ قَدْ جَاءَ أَمْرُ رَبِّكَ وَإِنَّهُمْ آتِيهِمْ عَذَابٌ غَيْرُ مَرْدُودٍ وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا لُوطًا سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالَ هَذَا يَوْمٌ عَصِيبٌ وَجَاءَهُ قَوْمُهُ يُهْرَعُونَ إِلَيْهِ وَمِنْ قَبْلُ كَانُوا يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ قَالَ يَاقَوْمِ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي هُنَّ أَطْهَرُ لَكُمْ فَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِي فِي ضَيْفِي أَلَيْسَ مِنْكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ قَالُوا لَقَدْ عَلِمْتَ مَا لَنَا فِي بَنَاتِكَ مِنْ حَقٍّ وَإِنَّكَ لَتَعْلَمُ مَا نُرِيدُ قَالَ لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ قَالُوا يَالُوطُ إِنَّا رُسُلُ رَبِّكَ لَنْ يَصِلُوا إِلَيْكَ فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِنَ اللَّيْلِ وَلَا يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ إِلَّا امْرَأَتَكَ إِنَّهُ مُصِيبُهَا مَا أَصَابَهُمْ إِنَّ مَوْعِدَهُمُ الصُّبْحُ أَلَيْسَ الصُّبْحُ بِقَرِيبٍ فَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا جَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهَا حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ مَنْضُودٍ مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ وَمَا هِيَ مِنَ الظَّالِمِينَ بِبَعِيدٍ} [هود: 69] [هُودٍ: 69 - 83] .
পৃষ্ঠা - ৪১০


অবশিষ্টদেরকে আমি সম্পুর্ণভাবে ধ্বংস করেছিলাম ৷ তোমরা তো ওদের ধ্বংসাবশেষগুলাে
অতিক্রম করে থাক সকালে ও সন্ধ্যায়, তবুও কি তোমরা অনুধাবন করবে না ? (৩৭ :

সুরা যারিয়াতে হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর মেহমড়ান ও পুত্রের সুসংরাদের ঘটনা উল্লেখ

করার পরঅয়ােহ তাআলা বলেন ৰু ;

র্দুএে

;fi


১))

ইব্রাহীম বলল, হে ফোদ্ররশতাগণ ৷ তোমাদের বিশেষ কাজ কী ? ওরা বলল, আমাদেরকে
এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে ৷ মোঃ উপর নিক্ষেপ করার জন্যে মাটির
শক্ত ঢেলা, যা সীমালংঘনকারীদের জন্যে চিহ্নিত, তোমার প্রতিপাপ্সবেগ্রুব কাছ থােক ৷ সেখানে
যে সব মুযিন ছিল আমি তাদেরকে উদ্ধার করেছিলাম এবং সেখানে একটি পরিবার ব্যতীত
কোন আত্মসমর্পণকারী আমি শ্পাইনি ৷ যারা মর্যন্তুদ শাস্তিক্লে ভয় করে, আমি তাদের জন্যে
তাতে একটি নিদর্শন রেখেছি ৷ (৫১ : ৩১ ৩ ৭)ব্লু

সুরাইনশিকাফে আল্লাহ বলেন :

(

ান্দ্বুপু ণ্ড্র৷ ১া৷





é

ট্টএেঙ্ )¢;§

লুত সম্প্রদায় প্রত্যাখ্যান করেছিল সতর্ককারীদেরকে, আমি ওদের উপর পাঠিয়েছিলাম
পাথরবাহী প্রচণ্ড ঝড় ৷ কিন্তু লুত পরিবারের উপর নয় ৷৩ তাদেরকে আমি উদ্ধার করেছিলাম
রাতের শেযাং যে আমার বিশেষ অনুগ্রহস্বরুপ; যারা তজ্ঞ আমি তাদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত
করে থাকি ৷ লুত ওদেরকে সতক করেছিল আমার শাস্তি সম্পর্কে; কিন্তু ওরা সতর্কবাণী
সম্বন্ধে বিতণ্ডা শুরু করল ৷ ওরা লুতের কাছ থেকে তার মেহমানদেরকে দাবি করল, তখন আমি
ওদের ষ্টিশক্তি লোপ করে দিলাম এবং আমি বললাম, আম্বাদন কর, আমার শান্তি এবং
সত ৷ পরিণাম ৷ ভোরে বিরামহীন শাস্তি তাদেরকে আঘাত করল এবং আমি বললাম,
আস্বাদন কর, আমার শান্তি এবং সতর্করাণীব পরিণাম ৷’ আমি কুরআন সহজ করে দিয়েছি
উপদেশ গ্রহণের জন্যে; অতএব উপদেশগ্রহণকারী কেউ আছে কি ? (৫৪ ৪৩৩-৪ :)


وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْحِجْرِ: {وَنَبِّئْهُمْ عَنْ ضَيْفِ إِبْرَاهِيمَ} [الحجر: 51] إِذْ {دَخَلُوا عَلَيْهِ فَقَالُوا سَلَامًا قَالَ إِنَّا مِنْكُمْ وَجِلُونَ - قَالُوا لَا تَوْجَلْ إِنَّا نُبَشِّرُكَ بِغُلَامٍ عَلِيمٍ - قَالَ أَبَشَّرْتُمُونِي عَلَى أَنْ مَسَّنِيَ الْكِبَرُ فَبِمَ تُبَشِّرُونَ - قَالُوا بَشَّرْنَاكَ بِالْحَقِّ فَلَا تَكُنْ مِنَ الْقَانِطِينَ - قَالَ وَمَنْ يَقْنَطُ مِنْ رَحْمَةِ رَبِّهِ إِلَّا الضَّالُّونَ - قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ - قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمٍ مُجْرِمِينَ - إِلَّا آلَ لُوطٍ إِنَّا لَمُنَجُّوهُمْ أَجْمَعِينَ - إِلَّا امْرَأَتَهُ قَدَّرْنَا إِنَّهَا لَمِنَ الْغَابِرِينَ} [الحجر: 52 - 60] {فَلَمَّا جَاءَ آلَ لُوطٍ الْمُرْسَلُونَ - قَالَ إِنَّكُمْ قَوْمٌ مُنْكَرُونَ} [الحجر: 61 - 62] {قَالُوا بَلْ جِئْنَاكَ بِمَا كَانُوا فِيهِ يَمْتَرُونَ - وَأَتَيْنَاكَ بِالْحَقِّ وَإِنَّا لَصَادِقُونَ - فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ بِقِطْعٍ مِنَ اللَّيْلِ وَاتَّبِعْ أَدْبَارَهُمْ وَلَا يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ وَامْضُوا حَيْثُ تُؤْمَرُونَ - وَقَضَيْنَا إِلَيْهِ ذَلِكَ الْأَمْرَ أَنَّ دَابِرَ هَؤُلَاءِ مَقْطُوعٌ مُصْبِحِينَ - وَجَاءَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَسْتَبْشِرُونَ - قَالَ إِنَّ هَؤُلَاءِ ضَيْفِي فَلَا تَفْضَحُونِ - وَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِ - قَالُوا أَوَلَمْ نَنْهَكَ عَنِ الْعَالَمِينَ - قَالَ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ - لَعَمْرُكَ إِنَّهُمْ لَفِي سَكْرَتِهِمْ يَعْمَهُونَ - فَأَخَذَتْهُمُ الصَّيْحَةُ مُشْرِقِينَ - فَجَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ - إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِلْمُتَوَسِّمِينَ - وَإِنَّهَا لَبِسَبِيلٍ مُقِيمٍ - إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً لِلْمُؤْمِنِينَ} [الحجر: 63 - 77] [الْحِجْرِ: 51 - 77] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الشُّعَرَاءِ:
পৃষ্ঠা - ৪১১


তাফসীর গ্রন্থে এ সব সুরার যথাস্থানে আমরা এই ঘটনার বিশদ আলোচনা করেছি ৷ আল্লাহ
হযরত লুত (আ) ও তার সম্প্রদায় সম্পর্কে কুরআনের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখ করেছেন ৷ আমরা
ইতিপুর্বে কওমে নুহ, কওমে আদ ও কওমে ছামুদ-এর আলোচনায় সেসব উল্লেখ করেছি ৷

এখন আমরা যে সব কথার সার ব-সংক্ষেপ বর্ণনা করব, যা তাদের কর্মনীতি ও পরিণতি
সম্পর্কে কুরআন, হাদীস ও ইতিহাসে বর্ণিত হয়েছে ৷ এ ব্যাপারে আল্লাহর সাহায্য কামনা করি ৷
তাহল, হযরত লুত (আ) তীর সম্প্রদায়কে এক ও লা-শরীক আল্লাহর ইবাদতের দিকে আহ্বান
জানান ৷ সেইসব অশ্লীল কাজ করতে নিষেধ করেন যার উল্লেখ স্বয়ং আল্লাহ তাআলা
করেছেন ৷ কিন্তু একজন লোকও তার আহ্বানে সাড়া দেয়নি এবং তার উপর ঈমান আনেনি ৷
নিষেধকৃত কর্ম থেকে কেউ বিরত থাকেনি ৷ বরং তারা তাদের অবস্থার উপর অটল অবিচল
হয়ে থাকে এবং নিজেদের ভ্রষ্টত৷ ও মুর্থতড়া থেকে বিরত থাকেনি ৷ এমনকি তারা তাদের
রাসুলকে তাদের সমাজ থেকে বহিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করে ৷

রাসুল যখন তাদেরকে উদ্দেশ করে উপদেশ দেন, তখন তারা বিবেক না খাটিয়ে এই এক
উত্তরই দিতে থাকে যে, লুত পরিবারকে তোমরা ৫তামাদেরন্ন্জনপদ থেকে বের করে দাও ৷
কেননা, তারা এমন মানুষ যারা পাকুন্পবিত্র সাজতে চায় ৷ এ কথার মধ্য দিয়ে তারা লুত
পরিবারের নিন্দা কঃাতেগিয়ে তাদের চরম প্রশংসাই করেছে ৷ আবারণ্এটাকেই তারা বহিষ্কারের
কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে ৷ চরম শত্রুত৷ ও ঘৃণা থাকার কারণেই তারা লুতকে এ কথা বলার
সুযোগ পেয়েছে ৷ কিন্তু আল্লাহ হযরত লুত (আ)-কে ও তার পরিবারবর্পকে পবিত্র রাখলেন এবং
সম্মানের সঙ্গে সেখান থেকে তাদেরকে বের করে আনলেন, তবে তার ত্রীকে নয় ৷ আর তার
সম্প্রদায়ের সবাইকে আপন বাসভুমিতে চিরন্থায়ীভাবে থাকতে দিলেন ৷ তবে সে থাকা ছিল
দৃর্পন্ধময় সমুদ্র তরংগের আঘাতে লীন হয়ে ৷ যা ছিল প্রকৃতপক্ষে উত্তপ্ত আগুন ও তাপ প্রবাহ
এবং তার পানি তিক্ত ও লবণাক্ত ৷

তারা নবীকে এরুপ উত্তর তখনই দিয়েছে, যখন তিনি তাদেরকে জঘন্য পাপ ও চরম
অশ্লীলত৷ যা ইতিপুর্বে বিশ্বের কোন লোক করেনি, তা থেকে নিবৃত্ত থাকতে বলেছেন ৷ এ
কারণেই তারা বিশ্ববাসীর জন্যে উদাহরণ ও শিক্ষাপ্রদ হয়ে রয়ে গিয়েছে ৷ এ পাপকর্ম ছাড়াও
তারা ছিনক্ষাই, রাহাজানি করত, পথের সাথীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করত ৷ প্রকাশ্য
ষ্মজলিসে বিভিন্ন রকম নির্লজ্জ কথা বলতাে এবং লজ্জাজনক কাজে লিপ্ত হতো ৷ যেমন সশব্দে
বায়ু ত্যাগ করত ৷ এতে ব্লুকান লজ্জা বোধ করত না ৷ অনেক সময় বড় বড় জঘন্য কাজও
করত ৷ কোন উপদেশদানকারীর উপদেশ ও জ্ঞানী লোকের পরামর্শের প্রতি বিন্দুমাত্র ভ্রাক্ষেপ
করতো না ৷ এ জাতীয় কাজের মাধ্যমে তারা চতুষ্পদ জতুার মত বরং তার চাইতেও অ বন ও
বিভ্রান্ত বলে পরিচয় দিত ৷ তারা তাদের বর্তমান কাজ থেকে বিরত থাকেনি, বিগত পাপ থেকে
অনুশোচনা করেনি এবং ভবিষ্যতে আত্মসৎশোধনের ইচ্ছাও করেনি ৷ অতএব, আল্লাহ তাদেরকে
শক্ত হাতে পাকড়াও করলেন ৷ তারা হযরত লুত (আ) কে বলেছিল ং ৬


(তুমি স৩ তবােদী হয়ে যা কোন আল্লাহর আমার আমাদের জন্যে নিয়ে এস) অর্থাৎ নবী তাদের
যে কঠিন আযাৰের ভয় দেথাচ্ছিলেন তারা সেই আমার কামনা করছিল এবং ভয়াবহ শাস্তির


{كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ الْمُرْسَلِينَ - إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ} [الشعراء: 160 - 161] {إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ - فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ - وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ - أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ - وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ - قَالُوا لَئِنْ لَمْ تَنْتَهِ يَا لُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِينَ - قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُمْ مِنَ الْقَالِينَ - رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ - فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ - إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ - ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ - وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنْذَرِينَ - إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُمْ مُؤْمِنِينَ - وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ} [الشعراء: 107 - 175] [الشُّعَرَاءِ: 160 - 175] .
পৃষ্ঠা - ৪১২


আবেদন জানাচ্ছিল ৷ এই সময় দয়ালু নবী তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানান ৷
তিনি বিশ্ব প্রভু ও রাসুলগণের ইলাহ্-এর নিকট অনাচারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাহায্য প্রার্থনা
করেন ৷ ফলে নবীর মর্যাদা হানিতে আল্লাহর ক্রোধের উদ্রেক হয়, নবীর ক্রোধের জন্যে আল্লাহ
ক্রোধাম্বিভ হন ৷ নবীর প্রার্থনা কবুল করেন এবং তীর প্রার্থিত বন্তু দান করেন ৷ আপন দুত ও
<ফরেশতাগণকে প্রেরণ করেন ৷ তারা আল্লাহর খলীল ইব্রাহীম (আ)-এর কাছে আগমন

করেন ৷ তাকে এক জ্ঞানী পুত্রের সুসংবাদ দেন এবং তারা যে গুরু ত্হ্পুর্ণ ব্যাপার নিয়ে এসেছেন
সে বিষয়টিও তাকে জানান ৷



)

ইবরাহীম বলল, হে ফেরেশতাগণ! আপনাদের আগমনের উদ্দেশ্য কী ? তা ৷রা বলল, আমরা
এক অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি ৷ যাতে তাদের উপর শক্ত ঢেলা নিক্ষেপ করি, যা
সীমাল ত্মনকারীদের শাস্তি দেয়ার জন্যে আপনার প্রুতিপালকের কাছে চিহ্নিত রয়েছে ৷

আল্লাহ বলেন০ :

র্চু, ৷ ধ্প্রু৷ ৷ ৷সৌং ট্রি৷ ৷প্রুা৷দ্ব এে ’ ৷ন্ ,হ্র^ছু^ ন্৷ ’§ ;ন্র্চু ( ঢ়’পুদ্বু
ণ্ংর্মু

১া৷ র্দুপুট্টর্দুদ্বু মোঃ
আর যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ ইবরাহীমের কাছে সুসংবাদ নিয়ে আসল, বৃওখন
তারা বলেছিল, আমরা এই জনপদের অধিবাসীদের ধ্বংস করব ৷ কারণ এর অধিবাসীরা
জালিম ৷ ইব্রাহীম বলল, এই জনপদে তো লুতও আছে ৷ তারা বলল, ওখানে কারা আছে সে
সম্পর্কে আমরা ভালভাবে অবগত আছি ৷ আমরা তাকে ও তার পরিবারবর্পকে অবশ্যই রক্ষা

করব, তবে তার ত্রীকে নয় ৷ সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে ৷ (২৯ : ৩৯)

অৰুলুৰুহ্বৰ্ল্নং :



(“যখন ইবরাহীমের ভীতি দুর হল ও সুসংবাদ জানান হল, তখন সে লুতের প্রসঙ্গ নিয়ে
আমার সাথে বিতর্ক করা আরম্ভ করল) কেননা, ইব্রাহীম (আ) আশা করেছিলেন যে, তারা
খারাপ পথ পরিহার করে ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন করবে ৷

তাই আল্লাহ বলেন :
র্চুপ্পুট্ট


وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ النَّمْلِ: {وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ وَأَنْتُمْ تُبْصِرُونَ أَئِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِنْ دُونِ النِّسَاءِ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ تَجْهَلُونَ فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا أَخْرِجُوا آلَ لُوطٍ مِنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ فَأَنْجَيْنَاهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ قَدَّرْنَاهَا مِنَ الْغَابِرِينَ وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنْذَرِينَ} [النمل: 54] [النَّمْلِ 54 - 58] . وَقَالَ تَعَالَى فِي سُورَةِ الْعَنْكَبُوتِ:
পৃষ্ঠা - ৪১৩


(নিশ্চয়ই ইব্রাহীম বড়ইভৈধর্যশীল, কোমল হৃদয় ও একনিষ্ঠ ইবাদতকারী ৷ হে ইব্রাহীম ! এ
জাতীয় কথাবার্তা থেকে বিরত থাক ৷ তােমার“পালনকর্তার নির্দেশ এসে গেছে এবং তাদের
উপর যে আবার অবশ্যই পতিত হবে) ৷ অর্থাৎ এ প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে অন্যপ্ৰঙ্গঙ্গে কথা বল ৷
কেননা, তাদের ধ্বংস ও নির্মুল করার আদেশ চুড়ান্ত হয়ে গেছে ৷ তোমার পালনকর্তার নির্দেশ
এসে গেছে ৷ অর্থাৎ এ ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়ে গেছে ৷ তার এ নির্দেশ ও শান্তি ফেরাবাব ও
প্রতিহত করার সাধ্য কারও যেই ৷ এ নির্দেশ অপ্রতিরোধ্যতাবে আসবেই ৷ (সুরা হ্রদ : ৭৪ ৭৫ )

সাঈদ ইবন জুবায়র, সুদ্দী, কাতাদা ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) উল্লেখ করেছেন যে,
হযরত ইব্রাহীম (আ) ফেরেশতাদেবকে বলেছিলেন ই; আপনারা কি, এমন কোন জনপদ ধ্বংস
করবেন যে খানে তিনশ’ মুমিন রয়েছে ? তারা বললেন, না ৷ তিনি বললেন, যদি দুশ’ থাকে ?

তারা বললেন না ৷ ইব্রাহীম বললেন, যদি চল্লিশ জন মুমিন থাকেশো তারা বললেন না ৷ তিনি
বললেন, যদি চৌদ্দজন মুমিন থাকে? তারা বললেন তবুও না ৷ ইবন ইসহাক লিখেছেন৪
ইব্রাহীম (আ) এ কথাও বলেছিলেন যে, যদি একজন মাত্র মুমিন থাকে তবে সেই জনপদ
ধ্বংস করাব ব্যাপারে আপনাদের মত কি? জবাবে তারা বললেনং তবুও ধ্বং স করা হবে না ৷
তখন তিনি বললেন, সেখানে তো লুত রয়েছে ৷ তারা বলল,
সেখড়ানে কে আছে তা আমাদের ভালতাবেই জানা আছে’ ৷

আহলি কিতাবদের বর্ণনায় এসেছে যে, ইব্রাহীম (আ) বলেছিলেন, হে আল্লাহ! লুত
সম্প্রদায়ের মধ্যে পঞ্চাশজন সৎকর্মশীল লোক থাকলেও কি আপনি তাদেরকে ধ্বং স করবেনঃ
এভাবে উভয়ের কথােপকথন দশজন পর্যন্ত নেমে আসে ৷ আল্লাহ বলেন, তাদের মধ্যে দশজন
সংকর্মণীল লোক থাকলেও আমি তাদেরকে ধ্বং স করব না ৷

আল্লাহর বাণী৪

াপু১এ
, ;

আর যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ লুতের কাছে আগমন করল তখন তাদের আগমনে
সে দৃশ্চিঅ্যাংস্ত হল এবং বলতে লাগল, আজ অত্যন্ত কঠিন দিন ৷ (সুরা ছদ : ৭৭)

মুফাল্সিরগণ বলেছেন ৷ এই ফেরেশতাগণ ছিলেন হযরত জিবরাঈল (আ), মীকাঈল (আ)
ও ইসৱাফীল (আ) ৷ র্তারা ইব্রাহীম (আ)-এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসেন এবং সাদ্দুম
শহরে এসে উপস্থিত হন ৷ লুত (আ)-এর সম্প্রদায়ের পরীক্ষাস্বরুপ এবং তাদের শাস্তিযােগ্য
হওয়ার চুড়ান্ত প্রমাণস্বরুপ তারা সুদর্শন তরুণ বেশে হাযির হন ৷ হযরত লুত (আ)-এব বাড়িতে
তারা অতিথি হিসাবে ওঠেন ৷ তখন ছিল সুর্য ভোবার সময় ৷ হযরত দুত (আ) তাদের দেখে
ভীত হলেন ৷ মনে মনে ভাবলেন, যদি তিনি আতিথ্য প্রদান না করেন, তবে অন্য কেউ তা
করবে ৷ তিনি তাদেরকে মানুষইভ ৷বলেন ৷ দৃশ্চিস্তা তাকে ঘিরে ধবল ৷ তিনি বললেন, আজ
একটা বড় কঠিন দিন ৷


{وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُمْ بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِنَ الْعَالَمِينَ أَئِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ وَتَقْطَعُونَ السَّبِيلَ وَتَأْتُونَ فِي نَادِيكُمُ الْمُنْكَرَ فَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلَّا أَنْ قَالُوا ائْتِنَا بِعَذَابِ اللَّهِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ قَالَ رَبِّ انْصُرْنِي عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَى قَالُوا إِنَّا مُهْلِكُو أَهْلِ هَذِهِ الْقَرْيَةِ إِنَّ أَهْلَهَا كَانُوا ظَالِمِينَ قَالَ إِنَّ فِيهَا لُوطًا قَالُوا نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَنْ فِيهَا لَنُنَجِّيَنَّهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ وَلَمَّا أَنْ جَاءَتْ رُسُلُنَا لُوطًا سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالُوا لَا تَخَفْ وَلَا تَحْزَنْ إِنَّا مُنَجُّوكَ وَأَهْلَكَ إِلَّا امْرَأَتَكَ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ إِنَّا مُنْزِلُونَ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الْقَرْيَةِ رِجْزًا مِنَ السَّمَاءِ بِمَا كَانُوا يَفْسُقُونَ وَلَقَدْ تَرَكْنَا مِنْهَا آيَةً بَيِّنَةً لِقَوْمٍ يَعْقِلُونَ} [العنكبوت: 28] [الصَّافَّاتِ: 133 - 138] . وَقَالَ تَعَالَى فِي الذَّارِيَاتِ بَعْدَ قِصَّةِ ضَيْفِ إِبْرَاهِيمَ وَبِشَارَتِهِمْ إِيَّاهُ بِغُلَامٍ عَلِيمٍ: {قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمٍ مُجْرِمِينَ لِنُرْسِلَ عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ طِينٍ مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُسْرِفِينَ فَأَخْرَجْنَا مَنْ كَانَ فِيهَا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فَمَا وَجَدْنَا فِيهَا غَيْرَ بَيْتٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَتَرَكْنَا فِيهَا آيَةً لِلَّذِينَ يَخَافُونَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ} [الذاريات: 31] {إِنَّا أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ حَاصِبًا إِلَّا آلَ لُوطٍ نَجَّيْنَاهُمْ بِسَحَرٍ - نِعْمَةً مِنْ عِنْدِنَا كَذَلِكَ نَجْزِي مَنْ شَكَرَ - وَلَقَدْ أَنْذَرَهُمْ بَطْشَتَنَا فَتَمَارَوْا بِالنُّذُرِ - وَلَقَدْ رَاوَدُوهُ عَنْ ضَيْفِهِ فَطَمَسْنَا أَعْيُنَهُمْ فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ - وَلَقَدْ صَبَّحَهُمْ بُكْرَةً عَذَابٌ مُسْتَقِرٌّ - فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ - وَلَقَدْ يَسَّرْنَا الْقُرْآنَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ} [القمر: 34 - 40] [الْقَمَرِ 33 - 40] .
পৃষ্ঠা - ৪১৪


ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে মুজাহিদ, কাতাদা ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) হযরত লুত
(আ)-এর এ কঠিন পরীক্ষার বর্ণনা দিয়েছেন ৷ হযরত লুত (আ) অন্যান্য সময়ে তার
সম্প্রদায়কে নিজের যেহমানদের কাছে ঘেযতে নিষেধ করতেন ৷ এ কারণে তারা লুত (আ)-এর
উপর শর্ত আরোপ করেছিল যে, তিনি নিজের বাড়িতে কাউকে মেহমান হিসেবে রাখবেন না ৷
কিত্তু সেদিন তিনি এমন ণ্লাকদেরকেই মেহমানরুপে দেখতে পেলেন যাদেরকে সরিয়ে দেয়ার
উপায়ও ছিল না ৷

কাতদো (র) বলেন, হযরত লুত (আ) নিজের ক্ষেতে কাজ করছিলেন, এমন সময়
মেহমানগণ তার কাছে উপস্থিত হন এবং তার বাড়িতে মেহমান হওয়ার আবেদন জানান ৷ তিনি
তা প্রত্যাখ্যান করতে লজ্জাবােধ করেন এবং সেখান থেকে তাদেরকে সাথে নিয়ে রওয়ানা হন
এবং তাদের আগে আগে হীটতে থাকেন ৷ তাদের সাথে তিনি এমন ইঙ্গিতপুর্ণ কথা বলতে
থাকেন, যাতে তারা এ জনপদ ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান ৷ হযরত লুত (আ) তাদেরকে
বললেন, হে ভইিয়েরা! এই জনপদের লোকের চেয়ে নিকৃষ্ট ও দৃশ্চরিত্র লোক ধরাপৃষ্ঠে আর
আছে কিনা আমার ণ্ জানা নেই ৷ কিছুদুর অগ্রসর হয়ে তিনি আবার এ কথা উল্লেখ করেন ৷
এভাবে চারবার তাদেরকে কথাটি বলেন ৷ কাতদো (র) বলেন, ফেরেশতাগণ এ ব্যাপারে আদিষ্ট
ছিলেন যে, যতক্ষণ নবী তার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য না দেবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা যেন
তাদেরকে ধ্বংস না করেন ৷

সুদৃদী (র) বলেন, ফেরেশতাগণ ইব্রাহীম (আ)-এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে লুতের
সম্প্রদায়ের উদ্দেশে রওয়ানা হন ৷ দুপুর বেলা তারা সেখানে পৌছেন ৷ সাদৃদুম নদীর তীরে
উপস্থিত হলে হযরত লুত (আ)-এর এক মেয়ের সাথে তাদের সাক্ষাৎ হয় ৷ বাড়িতে পানি
নেয়ার জন্যে যে এখানে এসেছিল ৷ লুত (আ)-এর ছিলেন দুই কন্যা ৷ বড়জনের নাম রায়ছা
এবং ছোট জনের নাম যারাতা ৷ মেয়েটিকে তারা বললেন : ওহেৰু এখানে মেহমান হওয়া যায়
এমন কারও বাড়ি আছে কি ? মেয়েটি বললেন, আপনারা এখানে অপেক্ষা করুন ৷ আমি ফিরে না
আসা পর্যন্ত জনপদে প্রবেশ করবেন না ৷ নিজের সম্প্রদায়ের ব্যাপারে মেয়েঢির অন্তরে
লোকগুলাের প্রতি করুণার উদ্রেক হয় ৷ বাড়ি এসে মেয়েটি পিতাকে সম্বোধন করে বললেন :
পিতা নগর তােরণে কয়েকজন তরুণ আপনার অপেক্ষায় আছেন ৷ তাদের মত সুদর্শন লোক
আমি কখনও দেখিনি ৷ আপনার সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদেরকে না লাঞ্ছিত করে! ইতিপুর্বে
সম্প্রদায়ের লোকজন হযরত লুত (আ)-কে কোন পুরুষ লোককে মেহমান রাখতে নিষেধ করে
দিয়েছিল ৷ যা হোক, হযরত লুত (আ) তাদেরকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং নিজের
পরিবারবর্ণের লোকজন ছাড়া আর কেউ বিষয়টি জানতে পারেনি ৷ কিন্তু লুতের শ্রী বাড়ি থেকে
বের হয়ে জনপদের লোকদের কাছে খবরটি পৌছিয়ে দেয় ৷ সে জানিয়ে দেয় যে, লুতের
বাড়িতে এমন কতিপয় সুশ্রী তরুণ এসেছে যাদের ন্যায় সুন্দর লোক আর হয় না ৷ তখন

লোকজন খুশীতে লুত (আ) এর বাড়ির দিকে ছুটে আসে ৷


আল্লাহর বাণী০

وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذِهِ الْقِصَصِ فِي أَمَاكِنِهَا مِنْ هَذِهِ السُّورَةِ فِي التَّفْسِيرِ، وَقَدْ ذَكَرَ اللَّهُ لُوطًا وَقَوْمَهُ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ مِنَ الْقُرْآنِ، تَقَدَّمَ ذِكْرُهَا مَعَ قَوْمِ نُوحٍ وَعَادٍ وَثَمُودَ. وَالْمَقْصُودُ الْآنَ إِيرَادُ مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ، وَمَا أَحَلَّ اللَّهُ بِهِمْ، مَجْمُوعًا مِنَ الْآيَاتِ وَالْآثَارِ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. وَذَلِكَ أَنَّ لُوطًا عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا دَعَاهُمْ إِلَى عِبَادَةِ اللَّهِ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَنَهَاهُمْ عَنْ تَعَاطِي مَا ذَكَرَ اللَّهُ عَنْهُمْ مِنَ الْفَوَاحِشِ، فَلَمْ يَسْتَجِيبُوا لَهُ وَلَمْ يُؤْمِنُوا بِهِ، حَتَّى وَلَا رَجُلٌ وَاحِدٌ مِنْهُمْ، وَلَمْ يَتْرُكُوا مَا عَنْهُ نُهُوا، بَلِ اسْتَمَرُّوا عَلَى حَالِهِمْ، وَلِمَ يَرْعَوُوا عَنْ غَيِّهِمْ وَضَلَالِهِمْ، وَهَمُّوا بِإِخْرَاجِ رَسُولِهِمْ مِنْ بَيْنِ ظَهْرَانَيْهِمْ، وَمَا كَانَ حَاصِلُ جَوَابِهِمْ عَنْ خِطَابِهِمْ، إِذْ كَانُوا لَا يَعْقِلُونَ: إِلَّا أَنْ قَالُوا {أَخْرِجُوا آلَ لُوطٍ مِنْ قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ} [النمل: 56] فَجَعَلُوا غَايَةَ الْمَدْحِ ذَمًّا يَقْتَضِي الْإِخْرَاجَ، وَمَا حَمَلَهُمْ عَلَى مَقَالَتِهِمْ هَذِهِ إِلَّا الْعِنَادُ وَاللَّجَاجُ، فَطَهَّرَهُ اللَّهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ، وَأَخْرَجَهُمْ مِنْهَا أَحْسَنَ إِخْرَاجٍ، وَتَرَكَهُمْ فِي مَحَلَّتِهِمْ خَالِدِينَ لَكِنْ بَعْدَ مَا صَيَّرَهَا عَلَيْهِمْ بَحْرَةً مُنْتِنَةً ذَاتَ أَمْوَاجٍ، لَكِنَّهَا عَلَيْهِمْ فِي الْحَقِيقَةِ نَارٌ تَأَجَّجُ وَحَرٌّ يَتَوَهَّجُ، وَمَاؤُهَا مِلْحٌ أُجَاجٌ، وَمَا كَانَ هَذَا جَوَابَهُمْ إِلَّا لَمَّا نَهَاهُمْ عَنِ الطَّامَّةِ الْعُظْمَى وَالْفَاحِشَةِ الْكُبْرَى الَّتِي لَمْ يَسْبِقْهُمْ إِلَيْهَا أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الدُّنْيَا؛ وَلِهَذَا صَارُوا مَثُلَةً فِيهَا، وَعِبْرَةً لِمَنْ عَلَيْهَا، وَكَانُوا مَعَ ذَلِكَ يَقْطَعُونَ الطَّرِيقَ، وَيَخُونُونَ الرَّفِيقَ، وَيَأْتُونَ فِي نَادِيهِمْ وَهُوَ مُجْتَمَعُهُمْ وَمَحَلُّ حَدِيثِهِمْ وَسَمَرِهِمُ الْمُنْكَرَ مِنَ الْأَقْوَالِ، وَالْأَفْعَالِ عَلَى اخْتِلَافِ أَصْنَافِهِ حَتَّى قِيلَ: إِنَّهُمْ كَانُوا يَتَضَارَطُونَ فِي مَجَالِسِهِمْ وَلَا يَسْتَحْيُونَ مِنْ مُجَالِسِهِمْ، وَرُبَّمَا وَقَعَ مِنْهُمُ الْفَعْلَةُ الْعَظِيمَةُ فِي الْمَحَافِلِ وَلَا
পৃষ্ঠা - ৪১৫
يَسْتَنْكِفُونَ، وَلَا يَرْعَوُونَ لِوَعْظِ وَاعِظٍ، وَلَا نَصِيحَةٍ مِنْ نَاقِلٍ، وَكَانُوا فِي ذَلِكَ وَغَيْرِهِ كَالْأَنْعَامِ بَلْ أَضَلُّ سَبِيلًا، وَلَمْ يُقْلِعُوا عَمَّا كَانُوا عَلَيْهِ فِي الْحَاضِرِ، وَلَا نَدِمُوا عَلَى مَا سَلَفَ مِنَ الْمَاضِي، وَلَا رَامُوا فِي الْمُسْتَقْبَلِ تَحْوِيلًا، فَأَخَذَهُمُ اللَّهُ أَخَذًا وَبِيلًا، وَقَالُوا لَهُ فِيمَا قَالُوا: {ائْتِنَا بِعَذَابِ اللَّهِ إِنْ كُنْتَ مِنَ الصَّادِقِينَ} [العنكبوت: 29] . فَطَلَبُوا مِنْهُ وُقُوعَ مَا حَذَّرَهُمْ عَنْهُ مِنَ الْعَذَابِ الْأَلِيمِ، وَحُلُولِ الْبَأْسِ الْعَظِيمِ فَعِنْدَ ذَلِكَ دَعَا عَلَيْهِمْ نَبِيُّهُمُ الْكَرِيمُ فَسَأَلَ مِنْ رَبِّ الْعَالَمِينَ وَإِلَهِ الْمُرْسَلِينَ أَنْ يَنْصُرَهُ عَلَى الْقَوْمِ الْمُفْسِدِينَ فَغَارَ اللَّهُ لِغَيْرَتِهِ، وَغَضِبَ لِغَضْبَتِهِ، وَاسْتَجَابَ لِدَعْوَتِهِ، وَأَجَابَهُ إِلَى طِلْبَتِهِ، وَبَعَثَ رُسُلَهُ الْكِرَامَ، وَمَلَائِكَتَهُ الْعِظَامَ فَمَرُّوا عَلَى الْخَلِيلِ إِبْرَاهِيمَ، وَبَشَّرُوهُ بِالْغُلَامِ الْعَلِيمِ، وَأَخْبَرُوهُ بِمَا جَاءُوا لَهُ مِنَ الْأَمْرِ الْجَسِيمِ، وَالْخَطْبِ الْعَمِيمِ {قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ أَيُّهَا الْمُرْسَلُونَ قَالُوا إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمٍ مُجْرِمِينَ لِنُرْسِلَ عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ طِينٍ مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُسْرِفِينَ} [الذاريات: 31] . وَقَالَ: {وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَى قَالُوا إِنَّا مُهْلِكُو أَهْلِ هَذِهِ الْقَرْيَةِ إِنَّ أَهْلَهَا كَانُوا ظَالِمِينَ قَالَ إِنَّ فِيهَا لُوطًا قَالُوا نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَنْ فِيهَا لَنُنَجِّيَنَّهُ وَأَهْلَهُ إِلَّا امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ} [العنكبوت: 31] . وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا ذَهَبَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ الرَّوْعُ وَجَاءَتْهُ الْبُشْرَى يُجَادِلُنَا فِي قَوْمِ لُوطٍ} [هود: 74] . وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ يَرْجُو أَنْ يُنِيبُوا وَيُسْلِمُوا وَيُقْلِعُوا وَيَرْجِعُوا؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَحَلِيمٌ أَوَّاهٌ مُنِيبٌ يَا إِبْرَاهِيمُ أَعْرِضْ عَنْ هَذَا إِنَّهُ قَدْ جَاءَ أَمْرُ رَبِّكَ وَإِنَّهُمْ آتِيهِمْ عَذَابٌ غَيْرُ مَرْدُودٍ} [هود: 75] . أَيْ أَعْرِضْ عَنْ هَذَا، وَتَكَلَّمْ فِي غَيْرِهِ فَإِنَّهُ قَدْ حُتِمَ أَمْرُهُمْ، وَوَجَبَ عَذَابُهُمْ وَتَدْمِيرُهُمْ وَهَلَاكُهُمْ. {إِنَّهُ قَدْ جَاءَ أَمْرُ رَبِّكَ} [هود: 76] . أَيْ قَدْ أَمَرَ بِهِ مَنْ لَا يُرَدُّ أَمْرُهُ، وَلَا يُرَدُّ بِأْسُهُ، وَلَا مُعَقِّبَ لِحُكْمِهِ {وَإِنَّهُمْ آتِيهِمْ عَذَابٌ غَيْرُ مَرْدُودٍ} [هود: 76] .
পৃষ্ঠা - ৪১৬


(ইতিপুর্বে তারা বিভিন্ন রকম পাপকর্মে লিপ্ত ছিল) অর্থাৎ বহু বড় বড় গুনাহর সাথে এই

জঘন্য পাপ কাজও তারা চালিয়ে যেতো ৷

(াদ্র

লুত বলল, হে আমার সম্প্রদায়! এই যে আমার কন্যারা আছে যারা তোমাদের জন্যে
পবিত্রতম ৷

এ কথা দ্বারা হযরত লুত (আ) তার ধর্মীয় ও দীনী কন্যাদের অর্থাৎ তাদের ত্রীদের প্রতি
ইংগিত করেছেন ৷ কেননা, নবীগণ তাদের উম্মতের জন্যে পিতৃতৃল্য ৷ হাদীস ও কুরআনে
এরুপই বলা হয়েছে ৷

আল্লাহ বলেন : ণ্র্বুন্,ম্রর্মুধ্পুপুৰু ধ্ছু৷ ৷দ্বুদ্বু ’§ ষ্০ছুদ্বু৷ ;,^০ র্মু;ট্রুদ্বুশুএ ৷ ষ্এ্দ্বু৷ চা ৷ ৷

নবী মুমিনদের জন্যে৩ তাদের নিজেদের চইিতেও ঘনিষ্ঠতর আর তার ত্রীগণ মু’মিনদের
মা ৷ (৩৩০ : ৬) ৷ কোন কোন সাহারা ও প্রাচীন আলিমগণের মতে নবী মু ’মিনদের পিতা ৷

উপরোক্ত আঘাতের অনুরুপ আর একটি আয়াত এইং
^ণ্’ৰু০, ঢো ;০^০^’ণ্ব্রউও^ণ্ইঐ :এএ এ ব্র>০ণ্£এও ;ওএএশ্রো :; ৷০ওএ :০১এ

(-,প্রুপ্রর্দু০ শু^ও ,;পু^;৷ পুাটু

তোমরা বিশ্বের পুরুষদের কাছে গমন করছ ৷ আর তোমাদের প্ৰতিপালক তোমাদের জন্যে
যে ত্রীকুল সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে পরিত্যাগ করছ; বরং তোমরা এক সীমালংঘনকারী
সম্প্রদায় ৷ (২৬ : ১৬৫)

মুজাহিদ, সাঈদ ইবন জুবড়ায়র, রাবী ইবন আনাস, কাতাদা , সুদ্দী ও মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক
(র) আঘাতের উক্তরুপ ব্যাখ্যা করেছেন এবং এ ব্যাখ্যাই সঠিক ৷ দ্বিতীয় মতটি অর্থাৎ তার
নিজের কন্যাগণ হওয়া ভুল ৷ এটা অড়াহলি কিতাবদের থেকে গৃহীত এবং তাদের কিভাবে অনেক
বিকৃতি ঘটেছে ৷ তাদের আর একটি ভুল উক্তি এই যে, ফেরেশতড়ারা সংখ্যায় ছিলেন দুইজন
এবং রাত্রে তারা লুত (আ)-এর বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেন ৷ এছাড়া আহলি কিতাবগণ এই
ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক অদ্ভুত মিথ্যা উপাখ্যান সৃষ্টি করেছে ৷

আল্লাহর বাণী৪

’) ’


অতএব, আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার মেহমানদের প্রতি অন্যায় আচরণ করে আমাকে
হেয় কর না ৷ তোমাদের মধ্যে কি কোন ভাল মানুষ নেই? (১ ১ : র্দুা৮)

এ আয়াতে হযরত লুত (আ) নিজ জাতিকে অশ্লীল কাজ থেকে বারণ করেছেন ৷ এর
মাধ্যমে তিনি এ কথাৱও সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, তাদের সমাজের একজন লােকও সুস্থ রুচির বা
ভাল স্বভাবের ছিল না; বরং সমাজের সমস্ত লোকই ছিল নির্বোধ, জঘন্য পাপাসক্ত ও নিরেট
কাফির ৷ ফেরেশতাগণও এটাই চাচ্ছিলেন যে, সম্প্রদায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পুর্বেই নবীর


وَذَكَرَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَالسُّدِّيُّ، وَقَتَادَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ جَعَلَ يَقُولُ: أَتُهْلِكُونَ قَرْيَةً فِيهَا ثَلَاثُمِائَةِ مُؤْمِنٍ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَمِائَتَا مُؤْمِنٍ؟ قَالُوا: لَا. قَالَ: فَأَرْبَعُونَ مُؤْمِنًا قَالُوا: لَا. قَالَ: فَأَرْبَعَةَ عَشَرَ مُؤْمِنًا؟ قَالُوا: لَا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ إِلَى أَنْ قَالَ: أَفَرَأَيْتُمْ إِنْ كَانَ فِيهَا مُؤْمِنٌ وَاحِدٌ؟ قَالُوا: لَا. {قَالَ إِنَّ فِيهَا لُوطًا قَالُوا نَحْنُ أَعْلَمُ بِمَنْ فِيهَا} [العنكبوت: 32] . الْآيَةَ. وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ قَالَ: يَا رَبِّ أَتُهْلِكُهُمْ وَفِيهِمْ خَمْسُونَ رَجُلًا صَالِحًا؟ فَقَالَ اللَّهُ: لَا أُهْلِكُهُمْ وَفِيهِمْ خَمْسُونَ صَالِحًا. ثُمَّ تَنَازَلَ إِلَى عَشَرَةٍ، فَقَالَ اللَّهُ: لَا أُهْلِكُهُمْ وَفِيهِمْ عَشَرَةٌ صَالِحُونَ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَمَّا جَاءَتْ رُسُلُنَا لُوطًا سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالَ هَذَا يَوْمٌ عَصِيبٌ} [هود: 77] . قَالَ الْمُفَسِّرُونَ: لَمَّا فَصَلَتِ الْمَلَائِكَةُ مِنْ عِنْدِ إِبْرَاهِيمَ وَهُمْ؛ جِبْرِيلُ، وَمِيكَائِيلُ، وَإِسْرَافِيلُ، أَقْبَلُوا حَتَّى أَتَوْا أَرْضَ سَدُومَ فِي صُورَةِ شُبَّانٍ حِسَانٍ اخْتِبَارًا مِنَ اللَّهِ تَعَالَى لِقَوْمِ لُوطٍ، وَإِقَامَةً لِلْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ، فَاسْتَضَافُوا لُوطًا عَلَيْهِ السَّلَامُ، وَذَلِكَ عِنْدَ غُرُوبِ الشَّمْسِ فَخَشِيَ إِنْ لَمْ يُضِفْهُمْ أَنْ يُضِيفَهُمْ غَيْرُهُ مِنَ الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ، وَحَسِبَهُمْ بَشَرًا مِنَ النَّاسِ وَ {سِيءَ بِهِمْ وَضَاقَ بِهِمْ ذَرْعًا وَقَالَ هَذَا يَوْمٌ عَصِيبٌ} [هود: 77] . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ، وَمُجَاهِدٌ، وَقَتَادَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: شَدِيدٌ بَلَاؤُهُ، وَذَلِكَ لِمَا يَعْلَمُ مِنْ مُدَافَعَتِهِ اللَّيْلَةَ عَنْهُمْ، كَمَا كَانَ يَصْنَعُ بِغَيْرِهِمْ مَعَهُمْ، وَكَانُوا قَدِ اشْتَرَطُوا عَلَيْهِ أَنْ لَا يُضِيفَ أَحَدًا، وَلَكِنْ رَأَى مَنْ لَا يُمْكِنُ الْمَحِيدُ عَنْهُ. وَذَكَرَ
পৃষ্ঠা - ৪১৭


কাছ থেকে তাদের সম্পর্কে তারা কিছু শুনবেন ৷ কিন্তু সম্প্রদায়ের অভিশপ্ত লোকেরা নবীর উত্তম

কথার উত্তরে বললং :

আপনি ভাল করেই জানেন, আপনার কন্যাদের দিয়ে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই ৷
আপনি এও জানেন যে, আমরা কি চাচ্ছি ৷ (১১ : ৭৯)

তারা বলছে, হে লুত! আপনি অবগত আছেন যে, ত্রীদের প্ৰতি আমাদের কোন আকর্ষণ
নেই ৷ আমাদের উদ্দেশ্য কি, তা আপনি ভাল করেই জা নেন ৷ নবীকে উদ্দেশ করে তারা এরুপ
কুৎসিৎ ভাষা ব্যবহার করতে আল্লাহকে একর্টুও ভয় পায়নি ৷ যিনি কঠিন শাস্তিদা৩া ৷ এ ক্রীকারণে

হযরত লুত (আ) বলেছিলেনং : ণ্শ্ৰু-৬ :পুর্চুট্ট

হায়, তোমাদের উপর যদি আমার শক্তি থাকত অথবা যদি আমি নিতে প র৩ড়াম কোন
শক্তিশালী আশ্রয় ৷ ( ১ ১ : ৮০)

অর্থাৎ তিনি কামনা করেছিলেন সম্প্রদায়কে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা যদি হযরত লুতের
থাকত, অথবা তাকে সাহায্যকারী ধনবল বা জনবল যদি থাকত ৩তা হলে তাদের অন্যায় দাবির
উপযুক্ত শাস্তি তিনি দিতে পারতেন ৷

যুহরী (র) আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে মারফুরুপে হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বল্যেছন : সন্দেহ প্রকাশের ব্যাপারে আমরা ইব্রাহীম (আ) এর চাইতে বেশি হকদার ৷ আল্লাহ
লুত (আ) এর উপর রহম করুন ৷ কেননা, তিনি শক্তিশালী অবলম্বনের আশ্রয় প্রার্থনা
করেছিলেন ৷ আমি যদি সেই দীর্ঘকাল জেলখানায় অবস্থান করত ৷ম যেমনি ইউসুফ (আ)
করেছিলেন তবে আমি অবশ্যই আহ্বানকারীর ডাকে সাড়া দিতাম ৷ এ হাদীস আবুয যিনাদ ভিন্ন
সুত্রেও বর্ণনা করেছেন এবং মুহাম্মদ ইবন আমর (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন;
আল্লাহ লুত (আ)-এর উপর রহমত বর্ষণ করুন ৷ কেননা, তিনি শক্তিশালী অবলম্বন অর্থাৎ
আল্লাহর নিকট আশ্রয় কামনা করেছিলেন ৷ এরপর থেকে আল্লাহ যত নবী প্রেরণ করেছেন

তাদেরকে নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী করে সৃষ্টি করেছেন ৷ আল্লাহর বাণীং
৷ ট্রুাষ্ট্র৷ র্চুা;ট্রু

(

০১াদ্বুা১

নগরবাসীরা উল্লসিত হয়ে উপস্থিত হলো ৷ সে বলল, ওরা আমার মেহমান, সুতরাং তোমরা

আমাকে বে-ইজ্জত করো না ৷ আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমাকে হেয় করো না ৷ তারা বলল, হে

লুত! আমরা কি ওে ড়ামাকে দুনিয়া শুদ্ধ লোককে আশ্রয় দিতে নিষেধ করিনিন্ধ্র লুত বলল,
তোমাদের একা ৷স্তই যদি কিছু করতে ৩হয় তাহলে আমার এই কন্যাগণ রয়েছে ৷ (১৫০ ৬৭)

হযরত লুত (আ) সম্প্রদায়ের লোকজনকে তাদের ত্রীদের কাছে যেতে আদেশ দেন এবং

তাদের কু-অভ্যাসের উপর অবিচল থাকার মন্দ পরিণতির কথা জানিয়ে দেন যা অচিরেই তাদের


قَتَادَةُ أَنَّهُمْ وَرَدُوا عَلَيْهِ، وَهُوَ فِي أَرْضٍ لَهُ يَعْمَلُ فِيهَا، فَتَضَيَّفُوهُ فَاسْتَحْيَى مِنْهُمْ وَانْطَلَقَ أَمَامَهُمْ، وَجَعَلَ يُعَرِّضُ لَهُمْ فِي الْكَلَامِ لَعَلَّهُمْ يَنْصَرِفُونَ عَنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ، وَيَنْزِلُونَ فِي غَيْرِهَا، فَقَالَ لَهُمْ فِيمَا قَالَ: وَاللَّهِ يَا هَؤُلَاءِ مَا أَعْلَمُ عَلَى وَجْهِ الْأَرْضِ أَهْلَ بَلَدٍ أَخْبَثَ مِنْ هَؤُلَاءِ، ثُمَّ مَشَى قَلِيلًا، ثُمَّ أَعَادَ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ حَتَّى كَرَّرَهُ أَرْبَعَ مَرَّاتٍ قَالَ: وَكَانُوا قَدْ أُمِرُوا أَنْ لَا يُهْلِكُوهُمْ حَتَّى يَشْهَدَ عَلَيْهِمْ نَبِيُّهُمْ بِذَلِكَ. وَقَالَ السُّدِّيُّ: خَرَجَتِ الْمَلَائِكَةُ مِنْ عِنْدِ إِبْرَاهِيمَ نَحْوَ قَوْمِ لُوطٍ فَأَتَوْهَا نِصْفَ النَّهَارِ، فَلَمَّا بَلَغُوا نَهْرَ سَدُومَ لَقُوا ابْنَةَ لُوطٍ تَسْتَقِي مِنَ الْمَاءِ لِأَهْلِهَا، وَكَانَتْ لَهُ ابْنَتَانِ اسْمُ الْكُبْرَى أَرِيثَا، وَالصُّغْرَى دَغُوْثَا فَقَالُوا لَهَا: يَا جَارِيَةُ هَلْ مِنْ مَنْزِلٍ؟ فَقَالَتْ لَهُمْ: مَكَانَكُمْ، لَا تَدْخُلُوا حَتَّى آتِيَكُمْ. فَرِقَتْ عَلَيْهِمْ مِنْ قَوْمِهَا، فَأَتَتْ أَبَاهَا فَقَالَتْ: يَا أَبَتَاهُ أَرَادَكَ فِتْيَانٌ عَلَى بَابِ الْمَدِينَةِ، مَا رَأَيْتُ وُجُوهَ قَوْمٍ قَطُّ هِيَ أَحْسَنَ مِنْهُمْ، لَا يَأْخُذُهُمْ قَوْمُكَ فَيَفْضَحُوهُمْ. وَقَدْ كَانَ قَوْمُهُ نَهَوْهُ أَنْ يُضِيفَ رَجُلًا، فَجَاءَ بِهِمْ، فَلَمْ يَعْلَمْ أَحَدٌ إِلَّا أَهْلُ الْبَيْتِ، فَخَرَجَتِ امْرَأَتُهُ فَأَخْبَرَتْ قَوْمَهَا فَقَالَتْ: إِنَّ فِي بَيْتِ لُوطٍ رِجَالًا مَا رَأَيْتُ مِثْلَ وُجُوهِهِمْ قَطُّ. فَجَاءَهُ قَوْمُهُ يُهْرَعُونَ إِلَيْهِ.
পৃষ্ঠা - ৪১৮


উপর পতিত হবে ৷ কিভু কোন কিছুতে তারা নিবৃত্ত হল না ৷ বরং নবী য৩ ই তাদেরকে
উপদেশ দেন, তারা৩ তই উত্তেজিত হয়ে যেহমানদের কাছে পৌছার চেষ্টা করে ৷ জ্যি রাতের
শেষে তকদীর তাদেরকে কোথায় পৌছিয়ে দেবে তা তাদের আদৌ জানা ছিল না ৷ এ কারণেই
আল্লাহ তা আলা রাসুলুল্লাহ (সা)-এর জীবনের কসম করে বলেন০ ং



তোমার জীবনের শপথ! ওরা তো মত্ততায় বিমুঢ় হয়েছে ৷ ( ১ ৫ ৭২)
আল্লাহর বাণী৪


এ্যাএ




লুত ওদেরকে আমার কঠে৷ ৷র শাস্তি সম্পর্কে স৩ ক করেছিল ৷ কিন্তু ওরা সতর্কবাণী সম্বন্ধে
বিতণ্ডা শুরু করল ৷ তারা লুতের কাছ থেকে তার মেহমানদেরকে দ বি করল ৷ তখন আমি
ওদের দৃষ্টিশক্তি লোপ করে দিলাম এবং আমি বললাম, আস্বাদন কর আমার শান্তি ও
সতর্কবাণীর পরিণাম ৷ প্রভু ক্তষে বিরামহীন শাস্তি তাদেরকে আঘাত করল ৷ (৫৪০ ৩৬ ৩৮)

মুফাসৃসির ও অন্যান্য আলিম বলেছেন, হযরত লুত (আ) তার সম্প্রদায়কে তার ঘরে
প্রবেশ করতে নিষেধ করেন এবং তাদেরকে বাধা দেন ৷ ঘরের দরজা বন্ধ ছিল ৷ তারা তা খুলে
ভিতরে প্রবেশ করতে উদ্যত হলো ৷ আর হযরত লুত (আ) দরজার বাইরে থােক তাদেরকে
উপদেশ দিতে এবং ড়িতরে যেতে ধারণ করতে থাকেন ৷ উভয় পক্ষের মধ্যে ম্বাদানুবাদ চলতে
থাকে ৷ অবস্থা যখন সঙ্গীন হয়ে আসল এবং ঘটনা লুত (আ)-এর নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার
উপক্রম হল; তখন তিনি বললেন, তোমাদের প্রতিহত করার শক্তি যদি আমার থাকত অথবা
কোন শক্তিশালী অবলম্বনের আশ্রয় নিতে পারতাম৩ তবে তােমাদেরকে উপযুক্তশাস্তি প্রদান
“হে লুত! আমরা তোমার প্রতিপালক প্রেরিত ফেরেশতা ৷ ওরা কখনই তোমার কাছে পৌছতে
পারবে না ৷ (১১ : ৮১) )

মুফাসৃসিরগণ উল্লেখ করেন, জিবরাঈল (আ) ঘর থেকে বেরিয়ে তাদের সম্মুখে আসেন
এবং নিজ ডানার এক প্রান্ত দ্বারা হালকাভাবে তাদের চেহারায় আঘাত করেন ৷ ফলে তাদের
দৃষ্টিশক্তি লোপ পেয়ে যায় ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তাদের চোখ সম্পুর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যায় ৷
এমনকি চেহারায় চোখের কোন চিহ্নই অবশিষ্ট রইলাে না ৷ তারপর তারা দেয়াল হাতড়িয়ে
কোন মতে সেখান থেকে ফিরে যায় ৷ আল্লাহর নবী লুত (আ)-কে ধমক দিতে দিতে বলতে
পারে কাল সকালে আমাদের ও তার মধ্যে বোঝাপড়৷ হবে ৷

আল্লাহবলেন৪ )


وَقَوْلُهُ: {وَمِنْ قَبْلُ كَانُوا يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ} [هود: 78] . أَيْ هَذَا مَعَ مَا سَلَفَ لَهُمْ مِنَ الذُّنُوبِ الْعَظِيمَةِ الْكَبِيرَةِ الْكَثِيرَةِ {قَالَ يَا قَوْمِ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي هُنَّ أَطْهَرُ لَكُمْ} [هود: 78] . يُرْشِدُهُمْ إِلَى غِشْيَانِ نِسَائِهِمْ، وَهُنَّ بَنَاتُهُ شَرْعًا؛ لِأَنَّ النَّبِيَّ لِلْأُمَّةِ بِمَنْزِلَةِ الْوَالِدِ، كَمَا وَرَدَ فِي الْحَدِيثِ، وَكَمَا قَالَ تَعَالَى: {النَّبِيُّ أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ} [الأحزاب: 6] . وَفِي قِرَاءَةِ بَعْضِ الصَّحَابَةِ وَالسَّلَفِ: " وَهُوَ أَبٌ لَهُمْ ". وَهَذَا كَقَوْلِهِ: {أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ أَزْوَاجِكُمْ بَلْ أَنْتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ} [الشعراء: 165] [الشُّعَرَاءِ: 165 - 166] . وَهَذَا هُوَ الَّذِي نَصَّ عَلَيْهِ مُجَاهِدٌ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَالرَّبِيعُ بْنُ أَنَسٍ، وَقَتَادَةُ، وَالسُّدِّيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، وَهُوَ الصَّوَابُ. وَالْقَوْلُ الْآخَرُ خَطَأٌ مَأْخُوذٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ. وَقَدْ تَصَحَّفَ عَلَيْهِمْ، كَمَا أَخْطَئُوا فِي قَوْلِهِمْ: إِنَّ الْمَلَائِكَةَ كَانُوا اثْنَيْنِ، وَإِنَّهُمْ تَعَشَّوْا عِنْدَهُ، وَقَدْ خَبَّطَ أَهْلُ الْكِتَابِ فِي هَذِهِ الْقِصَّةِ تَخْبِيطًا عَظِيمًا. وَقَوْلُهُ: {فَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِ فِي ضَيْفِي أَلَيْسَ مِنْكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ} [هود: 78] نَهْيٌ لَهُمْ عَنْ تَعَاطِي مَا لَا يَلِيقُ مِنَ الْفَاحِشَةِ، وَشَهَادَةٌ عَلَيْهِمْ بِأَنَّهُ لَيْسَ فِيهِمْ رَجُلٌ لَهُ مُسْكَةٌ، وَلَا فِيهِ خَيْرٌ، بَلِ الْجَمِيعُ سُفَهَاءُ فَجَرَةٌ أَقْوِيَاءُ كَفَرَةٌ أَعْتِيَاءُ. وَكَانَ هَذَا مِنْ جُمْلَةِ مَا أَرَادَ الْمَلَائِكَةُ أَنْ يَسْمَعُوا مِنْهُ مِنْ قَبْلِ
পৃষ্ঠা - ৪১৯


ওরা লুতের কাছ থেকে তার যেহমানদেরকে দাবি করল ৷ তখন আমি তাদের দৃষ্টিশক্তি
লোপ করে দিলাম এবং আমি বললামং এখন আমার শান্তি ও সতর্ক বাণীর পরিণাম আস্বাদন
কর ৷ প্রত্যুষে বিরামহীন শান্তি ও তাদের উপর আঘাত হানল ৷ (৫৪ : ৩৭-৩৮)

ফেরেশতাগণ হযরত লুত (আ)-এর কাছে দুটি প্রস্তাব পেশ করেন (১) পরিবার-পরিজন
নিয়ে রাতের শেষে রওয়ানা হয়ে যাবেন (২) কেউ পেছনের দিকে ফিরে তাকাবেন না ৷ অর্থাৎ
সম্প্রদায়ের উপর যখন আমার পতিত হবে এবং আযাবের শব্দ শোনা যাবে তখন কেউ যেন
পশ্চাতে ফিরে না তাকায় ৷ ফেরেশতাগণ আরও জানান যে, তিনি যেন সকলের পেছনে থেকে
সবাইকে পরিচালনা করেন ৷ এ;ৰু, ৰু ৷ ১৷ ৷ এই বাক্যাৎশের দুটি অর্থ হতে পারে ( ১ ) যাওয়ার
সময় তোমার ত্রীকে সাথে নেবে না ৷ এ অবস্থায় ও ; ৷ ,, ৷ এর উপর যবর দিয়ে পড়তে হবে
এবং শুা৷ঞাৰু প্রুা১ থেকে সে ব্যতিক্রম হবে ৷ (২) যাওয়ার পথে দলের কেউ পেছনের
দিকে তড়াকাবে না কিন্তু কেবল তোমার শ্রীই এ নির্দেশ অমান্য করে পেছনের দিকে তাকাবে;
ফলে সম্প্রদায়ের উপর যে আমার আসবে ঐ আযাবে সেও গ্রেফতার হবে ৷ এ অবস্থায় ও ণ্স্পে ৷

; ষ্া র্দুাট্রু;থেকে মুস্তাসৃন৷ (ব্যতিক্রম) হবে ৷ পেশ যুক্ত পাঠ ( ৷ ,, ৷) এ অর্থকে
সমর্থন করে ৷ কিন্তু প্রথম অর্থই অধিকতর স্পষ্ট ৷

সুহায়লী বলেন, লুত (আ)-এর স্তীর নাম ওয়ালিহা এবং নুহ (আ)-এর শ্ৰীর নাম ওয়ালিপা ৷
আগন্তুক ফেরেশতাগণ ঐসব বিদ্রোহী পাপিষ্ঠ, সীমালংঘনকারী নির্বোধ অভিশপ্ত সম্প্রদায়কে
ধ্বংস করা হবে এ সুসংবাদ লুত (আ)-কে শোনান, যারা পরবর্তী যুগের লোকদের জন্যে দৃষ্টান্ত
হয়ে রয়েছে ৷

আল্লাহর বাণী৪ ;, ৷
তাদের প্রতিশ্রুত সময় প্রভাত কাল ৷ আর প্রভাত কাল খুব নিকটে নয় কি?

হযরত লুত (আ) নিজ পরিবারবর্গ নিয়ে বের হয়ে আসেন ৷ পরিবারবর্গ বলতে তার দুটি
কন্যাই মাত্র ছিল ৷ সম্প্রদায়ের অন্য কোন একটি লোকও তার সাথে আসেনি ৷ কেউ কেউ
বলেছেন, তার ত্রীও একই সাথে বের হয়েছিল ৷ কিন্তু সঠিক খবর আল্লাহই ভাল জানেন ৷ তারা
যখন সে এলাকা অতিক্রম করে চলে আসেন এবং সুর্য উদিত হয়, তখন আল্লাহর অলংঘনীয়
নির্দেশ ও অপ্রতিরোধ্য আবার তাদের উপর নেমে আসে ৷ আহলি কিতাবদের মতে
ফেরেশতাগণ হযরত লুত (আ) কে তথায় অবস্থিত একটি পাহাড়ের চুড়ায় উঠতে বলেন ৷ কিন্তু
হযরত লুত (আ) এর নিকট তা অত্যন্ত দৃংসাধ্য ঠেকে ৷৩ তাই তিনি নিকটবর্তী কোন গ্রামে চলে
যাওয়ার প্রস্তাব দেন ৷ ফেরেশতাগণ বললেন, তাই করপ্স ৷ গ্রামে পৌছে সেখানে স্থিত হওয়া
পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করবো এবং তারপরই আমরা আমার অবতীর্ণ করব ৷ আহলি কিতাবগণ
বলেন, যে মতে হযরত লুত (আ) গওরযাগর নামক একটি ক্ষুদ্র গ্রামে চলে যান এবং
সুর্যোদয়ের সাথে সাথে তাদের উপর আল্লাহর আমার নেমে আসে ৷

আল্লাহ তাআলা বলেনং :


গ্লু১ ৷ ব্লুর্চু; ৷র্দুপু১


(( ; ,


أَنْ يَسْأَلُوهُ عَنْهُ فَقَالَ قَوْمُهُ عَلَيْهِمْ لَعْنَةُ اللَّهِ الْحَمِيدِ الْمَجِيدِ مُجِيبِينَ لِنَبِيِّهِمْ فِيمَا أَمَرَهُمْ بِهِ مِنَ الْأَمْرِ السَّدِيدِ: {لَقَدْ عَلِمْتَ مَا لَنَا فِي بَنَاتِكَ مِنْ حَقٍّ وَإِنَّكَ لَتَعْلَمُ مَا نُرِيدُ} [هود: 79] . يَقُولُونَ: عَلَيْهِمْ لِعَائِنُ اللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتَ يَا لُوطُ إِنَّهُ لَا أَرَبَ لَنَا فِي نِسَائِنَا، وَإِنَّكَ لَتَعْلَمُ مُرَادَنَا، وَغَرَضَنَا، وَاجَهُوا بِهَذَا الْكَلَامِ الْقَبِيحِ رَسُولَهُمُ الْكَرِيمَ، وَلَمْ يَخَافُوا سَطْوَةَ الْعَظِيمِ ذِي الْعَذَابِ الْأَلِيمِ؛ وَلِهَذَا قَالَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ} [هود: 80] . وَدَّ أَنْ لَوْ كَانَ لَهُ بِهِمْ قُوَّةٌ أَوْ لَهُ مَنَعَةٌ، وَعَشِيرَةٌ يَنْصُرُونَهُ عَلَيْهِمْ لِيُحِلَّ بِهِمْ مَا يَسْتَحِقُّونَهُ مِنَ الْعَذَابِ عَلَى هَذَا الْخِطَابِ، وَقَدْ قَالَ الزُّهْرِيُّ: عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مَرْفُوعًا «نَحْنُ أَحَقُّ بِالشَّكِّ مِنْ إِبْرَاهِيمَ، وَيَرْحَمُ اللَّهُ لُوطًا لَقَدْ كَانَ يَأْوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ، وَلَوْ لَبِثْتُ فِي السِّجْنِ مَا لَبِثَ يُوسُفُ لَأَجَبْتُ الدَّاعِيَ» . وَرَوَاهُ أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَلْقَمَةَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَى لُوطٍ لَقَدْ كَانَ يَأْوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ» . يَعْنِي اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ «فَمَا بَعَثَ اللَّهُ بَعْدَهُ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا فِي ثَرْوَةٍ مِنْ قَوْمِهِ» . وَقَالَ تَعَالَى: {وَجَاءَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَسْتَبْشِرُونَ قَالَ إِنَّ هَؤُلَاءِ ضَيْفِي فَلَا تَفْضَحُونِ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَلَا تُخْزُونِ قَالُوا أَوَلَمْ نَنْهَكَ عَنِ الْعَالَمِينَ قَالَ هَؤُلَاءِ بَنَاتِي إِنْ كُنْتُمْ فَاعِلِينَ} [الحجر: 67] . فَأَمَرَهُمْ بِقُرْبَانِ نِسَائِهِمْ، وَحَذَّرَهُمُ الِاسْتِمْرَارَ عَلَى طَرِيقَتِهِمْ وَسَيِّئَاتِهِمْ، هَذَا وَهُمْ فِي ذَلِكَ لَا يَنْتَهُونَ وَلَا يَرْعَوُونَ،
পৃষ্ঠা - ৪২০
بَلْ كُلَّمَا نَهَاهُمْ يُبَالِغُونَ فِي تَحْصِيلِ هَؤُلَاءِ الضِّيفَانِ وَيَحْرِصُونَ، وَلَمْ يَعْلَمُوا مَا حَمَّ بِهِ الْقَدَرُ مِمَّا هُمْ إِلَيْهِ صَائِرُونَ، وَصَبِيحَةَ لَيْلَتِهِمْ مُنْتَقِلُونَ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى مُقْسِمًا بِحَيَاةِ نَبِيِّهِ مُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ: {لَعَمْرُكَ إِنَّهُمْ لَفِي سَكْرَتِهِمْ يَعْمَهُونَ} [الحجر: 72] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ أَنْذَرَهُمْ بَطْشَتَنَا فَتَمَارَوْا بِالنُّذُرِ وَلَقَدْ رَاوَدُوهُ عَنْ ضَيْفِهِ فَطَمَسْنَا أَعْيُنَهُمْ فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ وَلَقَدْ صَبَّحَهُمْ بُكْرَةً عَذَابٌ مُسْتَقِرٌّ} [القمر: 36] . ذَكَرَ الْمُفَسِّرُونَ وَغَيْرُهُمْ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ لُوطًا عَلَيْهِ السَّلَامُ جَعَلَ يُمَانِعُ قَوْمَهُ الدُّخُولَ وَيُدَافِعُهُمْ، وَالْبَابُ مُغْلَقٌ، وَهُمْ يَرُومُونَ فَتْحَهُ وَوُلُوجَهُ وَهُوَ يَعِظُهُمْ وَيَنْهَاهُمْ مِنْ وَرَاءِ الْبَابِ، فَلَمَّا ضَاقَ الْأَمْرُ، وَعَسُرَ الْحَالُ قَالَ مَا قَالَ: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ} [هود: 80] . لَأَحْلَلْتُ بِكُمُ النَّكَالَ قَالَتِ الْمَلَائِكَةُ: {يَا لُوطُ إِنَّا رُسُلُ رَبِّكَ لَنْ يَصِلُوا إِلَيْكَ} [هود: 81] . وَذَكَرُوا أَنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ خَرَجَ عَلَيْهِمْ فَضَرَبَ وُجُوهَهُمْ خَفْقَةً بِطَرَفِ جَنَاحِهِ فَطُمِسَتْ أَعْيُنُهُمْ حَتَّى قِيلَ: إِنَّهَا غَارَتْ بِالْكُلِّيَّةِ، وَلَمْ يَبْقَ لَهَا مَحَلٌّ، وَلَا عَيْنٌ، وَلَا أَثَرٌ فَرَجَعُوا يَتَجَسَّسُونَ مَعَ الْحِيطَانِ، وَيَتَوَعَّدُونَ رَسُولَ الرَّحْمَنِ وَيَقُولُونَ: إِذَا كَانَ الْغَدُ كَانَ لَنَا وَلَهُ شَأنٌ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ رَاوَدُوهُ عَنْ ضَيْفِهِ فَطَمَسْنَا أَعْيُنَهُمْ فَذُوقُوا عَذَابِي وَنُذُرِ وَلَقَدْ صَبَّحَهُمْ بُكْرَةً عَذَابٌ مُسْتَقِرٌّ} [القمر: 37] . فَذَلِكَ
পৃষ্ঠা - ৪২১


তারপর যখন আমার আদেশ আসল তখন আমি জনপদকে উল্টিয়ে দিলাম এবং ওদের
উপর ক্রমাগত বর্ষণ করলাম পাথর, কৎকর যা তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল ৷ এটি
জালিমদের থেকে দুরে নয় ৷ (১১ : ৮২)
মুফাসসিরগণ বলেন, হযরত জিবরাঈল (আ) আপন ভাষায় এক প্রান্ত দিয়ে লুত
সম্প্রদায়ের আবাসভুমি গভীর নিচু থেকে উপড়িয়ে নেন ৷ মোট সাতটি নগরে তারা বসবাস
করত , ৷ কারও মতে তাদের সংখ্যা চারশ’ , কারও মতে চার হাজার ৷ সে এলাকার সমস্ত মানুষ,
জীব-ত্তস্থে, ঘরবাড়ি ও ধন-সম্পদ যা কিছু ছিল সবকিছুসহ উঠিয়ে নেয়া হয় ৷ উপরে আকাশের
সীমানা পর্যন্ত উত্তোলন করা হয় ৷ আসমানের এত কাছে নিয়ে যাওয়া হয় যে, সেখানকার
ফেরেশতাগণ মোরগের ডাক ও কুকুরের ঘেউ ঘেউ,আওয়াজ পর্যন্ত শুনতে পান ৷ তারপর
সেখান থেকে উল্টিয়ে নিচে নিক্ষেপ করা হয় ৷ মুজাহিদ (র) বলেন, সর্বপ্রথম যা নিচে এসে
পতিত হয় তা হল তাদের উচু অট্টালিকাসমুহ ৷ ১)এ , :,; ”§ § ঙ্ব্লু শিংর্দুর্দু ৷র্দুটুঠু ছুাট্রু
(তাদের উপর পাথর কঙ্কর বর্যণ করলাম) ঠ)ঠু০ হ্রন্ ফনীি শব্দ, একে আ ৷রবীকরণ করা হয়েছে ৷
অর্থ৪ অত্যধিক শক্ত ও কঠিন ৷া ;ট্ট;;; অর্থ ক্রমাগত ৷ অর্থাৎ আকাশ থেকে একের পর এক
যা তাদের উপর আসতে থাকে ৷ হ০প্রু০০ অর্থ চিহ্নিত ৷ প্রতিটি পাথরের পারে সেই ব্যক্তির
নাম লেখা ছিল যার উপর তা পান্ত হবার জন্যে নির্ধারিত ছিল ৷ যেমন আল্লাহ বলেছেন০ ং
গ্র

(তোমার প্রতিপালকের নিকট চিহ্নিত যা
সীমালংঘনকারীদের জন্যে নির্ধারিত ৷)


আল্লাহর বাণী৪ র্চু,ঠু,শ্রো ৷ দ্বুাপুশু ঠুা£ঠু ৷ ,া০ ভোপু ার্চু ৷০,া০ ৷
তাদের উপর শাস্তিমুলক বৃষ্টি বর্ষণ করেছিলাম ৷ যাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল
তাদের জন্যে এ বৃষ্টি কআ না নিকৃষ্ট (২৬ : ১ ৭৩)


আল্লাহর বাণী০ : ৷ ,

উৎপাটিত আবাসভুমিকে উন্টিয়ে নিক্ষেপ করেছিলেন ৷ ত ৷রপর তা আচ্ছন্ন করে ফেলল কী
সর্বথাসী শাস্তি (৫৩ : ৫৩)

অর্থাৎ আল্লাহ সেই জনপদের ভুখওকে উপরে তুলে নিচের অংশকে উপরে ও উপরের
অংশকে নিচে করে উন্টিয়ে দেন ৷ তারপর শক্ত পাথর-কংকর বর্ষণ করেন অবিরামভাবে যা
তাদের সবাইকে ছেয়ে ফেলে ৷ প্রতিটি পাথরের উপর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম লেখা ছিল ৷ এ
পাথরগুলো ঐ জনপদে উপস্থিত সকলের উপর পতিত হয় ৷ অনুরুপ যারা তখন সেখানে
অনুপস্থিত ছিহুব্ অর্থাৎ মুসাফির, পথিক ও দুরে অবস্থানকারী সকলের উপরই তা পতিত হয় ৷
কথিত আছে যে, হযরত লুত (আ)-এর শ্রী তার সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে থেকে যায় ৷ অপর
মতে বলা হয়েছে যে, সে তার স্বামী ও দুই কন্যার সাথে বেরিয়ে যায় ৷ কিন্তু যখন সে আমার ও
শহর ধ্বংস হওয়ার শব্দ শুনতে পায়, তখন সে পেছনে সম্প্রদায়ের দিকে ফিরে তাকায় এবং
আগের পরের আল্লাহ্র সকল নির্দেশ অমান্য করে ৷ হয়ে আমার সম্প্রদায়’ ! বলে সে বিলাপ
করতে থাকে ৷ তখন উপর থেকে একটি পাথর এসে তার মাথায় পড়ে এবং তাকে চুর্ণ-বিচুর্ণ
করে ফেলে ৷ এভাবে সে নিজ সম্প্রদায়ের ডাগ্যের সাথে একীভুত হয়ে যায় ৷ কারণ, সে ছিল


أَنَّ الْمَلَائِكَةَ تَقَدَّمَتْ إِلَى لُوطٍ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ آمِرِينَ لَهُ بِأَنْ يَسْرِيَ هُوَ وَأَهْلُهُ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ {وَلَا يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ} [هود: 81] يَعْنِي عِنْدَ سَمَاعِ صَوْتِ الْعَذَابِ إِذَا حَلَّ بِقَوْمِهِ. وَأَمَرُوهُ أَنْ يَكُونَ سَيْرُهُ فِي آخِرِهِمْ كَالسَّاقَةِ لَهُمْ. وَقَوْلُهُ: {إِلَّا امْرَأَتَكَ} [هود: 81] عَلَى قِرَاءَةِ النَّصْبِ يَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ مُسْتَثْنًى مِنْ قَوْلِهِ: {فَأَسْرِ بِأَهْلِكَ} [هود: 81] كَأَنَّهُ يَقُولُ: إِلَّا امْرَأَتَكَ فَلَا تَسْرِ بِهَا. وَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ مِنْ قَوْلِهِ: {وَلَا يَلْتَفِتْ مِنْكُمْ أَحَدٌ} [هود: 81] إِلَّا امْرَأَتَكَ أَيْ فَإِنَّهَا سَتَلْتَفِتُ فَيُصِيبُهَا مَا أَصَابَهُمْ، وَيُقَوِّي هَذَا الِاحْتِمَالَ قِرَاءَةُ الرَّفْعِ، وَلَكِنَّ الْأَوَّلَ أَظْهَرُ فِي الْمَعْنَى، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: وَاسْمُ امْرَأَةِ لُوطٍ وَالِهَةُ، وَاسْمُ امْرَأَةِ نُوحٍ وَالِغَةُ. وَقَالُوا لَهُ مُبَشِّرِينَ بِهَلَاكِ هَؤُلَاءِ الْبُغَاةِ الْعُتَاةِ الْمَلْعُونِينَ النُّظَرَاءِ وَالْأَشْبَاهِ الَّذِينَ جَعَلَهُمُ اللَّهُ سَلَفًا لِكُلِّ خَائِنٍ مُرِيبٍ: {إِنَّ مَوْعِدَهُمُ الصُّبْحُ أَلَيْسَ الصُّبْحُ بِقَرِيبٍ} [هود: 81] . فَلَمَّا خَرَجَ لُوطٌ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِأَهْلِهِ، وَهُمُ ابْنَتَاهُ، وَلَمْ يَتْبَعْهُ مِنْهُمْ رَجُلٌ وَاحِدٌ، وَيُقَالُ: إِنَّ امْرَأَتَهُ خَرَجَتْ مَعَهُ فَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَلَمَّا خَلَصُوا مِنْ بِلَادِهِمْ وَطَلَعَتِ الشَّمْسُ فَكَانَ عِنْدَ شُرُوقِهَا جَاءَهُمْ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ مَا لَا يُرَدُّ، وَمِنَ الْبَأْسِ الشَّدِيدِ مَا لَا يُمْكِنُ أَنْ يُصَدَّ، وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ الْمَلَائِكَةَ أَمَرُوهُ أَنْ يَصْعَدَ إِلَى رَأْسِ الْجَبَلِ الَّذِي هُنَاكَ فَاسْتَبْعَدَهُ، وَسَأَلَ مِنْهُمْ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى قَرْيَةٍ قَرِيبَةٍ مِنْهُمْ، فَقَالُوا: اذْهَبْ فَإِنَّا نَنْتَظِرُكَ حَتَّى تَصِيرَ إِلَيْهَا وَتَسْتَقِرَّ فِيهَا ثُمَّ نُحِلَّ بِهِمُ الْعَذَابَ فَذَكَرُوا أَنَّهُ ذَهَبَ إِلَى قَرْيَةِ صُغَرَ الَّتِي يَقُولُ النَّاسُ: غَوْرُ زُغَرَ. فَلَمَّا أَشْرَقَتِ الشَّمْسُ نَزَلَ بِهِمُ الْعَذَابُ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَلَمَّا جَاءَ أَمْرُنَا جَعَلْنَا عَالِيَهَا سَافِلَهَا وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهَا حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ مَنْضُودٍ مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ وَمَا هِيَ مِنَ الظَّالِمِينَ بِبَعِيدٍ} [هود: 82] .
পৃষ্ঠা - ৪২২


তার সম্প্রদায়ের ধর্মে বিশ্বাসী ৷ তাদের সংবাদ সরবরড়াহকারিণী ; হযরত লুত (আ)-এর বাড়িতে

যেহমান আসলে সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে সে সংবাদ পৌছিয়ে দিত ৷ আল্লাহ বলেন :




৷ (াট্রুদ্বু ,
আল্লাহ কাফিরদের জন্যে নুহ ও লুণ্ডে র ত্রীকে দৃষ্টান্ত উপস্থিত করেছেন ৷ ওরা ছিল আমার
বান্দাগণের মধ্যে দু জন সৎকর্মপরায়ণ বান্দার অধীন ৷ কিন্তু ওরাত তাদের সাথে ৰিশ্বাসঘাতকতা
করেছিল ৷ ফলে, নুহ ও মৃত তাদেরকে আল্লাহর শাস্তি থেকে কিছুমাত্র রক্ষা করতে পারল
না ৷ তাই ওদেরকে বলা হল, জাহড়ান্নড়ামে প্রবেশকারীদের সাথে তােমরাও ওতে প্রবেশ কর ৷
(৬৬ : ১ :)
অর্থাৎ তারা নবীদের সাথে দীনের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, নবীর দীন গ্রহণ
করেনি ৷ এখানে এ অর্থ কিছুণ্ডে ই নেয়া যাবে না যে, তারা প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য কােনভাবে
অশ্লীল কাজে জড়িত ছিল ৷ কেননা, আল্লাহ কে ন ব্যভিচারিণীকে কোন নবীর ত্রী হিসেবে
নির্ধারণ করেননি ৷ হযরত ইবন আব্বাস (রা)-সহ অন্যান্য প্রাচীন ও পরবত্তীকািলের ইমাম ও
মুফাস্সিরগণ এ কথাই বলেছেন ৷ র্তারা বলেছেন, কোন নবীর কোন শ্রী কখনও ব্যভিচার
করেননি ৷ যারা এর বিপরীত মত ব্যক্ত করেছেন, তারা বিরাট ভুল করেছেন ৷ ইফ্কের ঘটনায়
কতিপয় ব্যক্তি হযরত আয়েশা (রা)-এর প্রতি অপবাদ দিলে আল্লাহ তাআলা আয়েশা (রা)-এর
পবিত্রতা ঘোষণা করে যে আয়াত নাযিল করেন, তাতে ঐসব মুমিন লোকদেরকে কঠােরভাবে

সতর্ক করেন ৷ আল্লাহর বাণী৪

স্পিপু

ধু

যখন তোমরা মুখে মুখে এ কথা ছড়া ড়াচ্ছিলে এবং এমন বিষয় মুখে উচ্চারণ করছিলে যার
কোন জ্ঞান তোমাদের ছিল না এবং তোমরা একে তৃচ্ছজ্ঞান করছিলে ৷ যদিও আল্লাহর কাছে
এটা ছিল গুরুতর এবং তোমরা যখন এ কথা শুনলে তখন কেন বললে না এ বিষয়ে বলাবলি
করা আমাদের উচিত নয় ৷ আল্লাহ পবিত্র মহান ৷ এতো এক গুরুতর অপবাদ ৷ (২৪ : ১ ৫ ১৬)
অর্থাৎ হে আল্লাহ আপনার নবীর ত্রী এ দো যে জড়িত হয়ে এ থেকে আপনি পবিত্র ৷
আল্লাহ বাণী৪ গো র্দুও (আর এটা জালিমদের থেকে বেশি
দুরে নয়) অর্থাৎ এই শান্তি বেশি দুরে নয় সেইসব লোকদের থেকে যারা লুত (আ) এর
সম্প্রদায়ের ন্যায় কুকর্মে লিপ্ত হবে ৷ এই কারণে কোন কোন আলিম বলেছেন, পুরুষের সাথে
সমকামিতায় লিপ্ত ব্যক্তিকে রজম’ বা পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা হবে, চাই যে বিবাহিত হোক
কিৎবা অবিবাহিত ৷ ইমাম শাফিঈ, ইমাম আহমদ, ইবন হাম্বল (র) প্রমুখ ইমাম এই মত পোষণ


قَالُوا: اقْتَلَعَهُنَّ جِبْرِيلُ بِطَرَفِ جَنَاحِهِ مِنْ قَرَارِهِنَّ، وَكُنَّ سَبْعَ مُدُنٍ بِمَنْ فِيهِنَّ مِنَ الْأُمَمِ يُقَالُ: إِنَّهُمْ كَانُوا أَرْبَعَمِائَةِ أَلْفِ نَسَمَةٍ. وَقِيلَ: أَرْبَعَةُ آلَافِ أَلْفِ نَسَمَةٍ. وَمَا مَعَهُمْ مِنَ الْحَيَوَانَاتِ، وَمَا يَتْبَعُ تِلْكَ الْمُدُنَ مِنَ الْأَرَاضِي وَالْأَمَاكِنِ وَالْمُعْتَمَلَاتِ، فَرَفَعَ الْجَمِيعَ حَتَّى بَلَغَ بِهِنَّ عَنَانَ السَّمَاءِ حَتَّى سَمِعَتِ الْمَلَائِكَةُ أَصْوَاتَ دِيَكَتِهِمْ وَنُبَاحَ كِلَابِهِمْ، ثُمَّ قَلَبَهَا عَلَيْهِمْ فَجَعَلَ عَالِيَهَا سَافِلَهَا. قَالَ مُجَاهِدٌ: فَكَانَ أَوَّلَ مَا سَقَطَ مِنْهَا شُرُفَاتُهَا {وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ حِجَارَةً مِنْ سِجِّيلٍ} [الحجر: 74] . وَالسِّجِّيلُ فَارِسِيٌّ مُعَرَّبٌ، وَهُوَ الشَّدِيدُ الصُّلْبُ الْقَوِيُّ مَنْضُودٍ أَيْ يَتْبَعُ بَعْضُهَا بَعْضًا فِي نُزُولِهَا عَلَيْهِمْ مِنَ السَّمَاءِ مُسَوَّمَةً أَيْ مُعَلَّمَةً مَكْتُوبٌ عَلَى كُلِّ حَجْرٍ اسْمُ صَاحِبِهِ الَّذِي يَهْبِطُ عَلَيْهِ فَيَدْمَغُهُ، كَمَا قَالَ: {مُسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُسْرِفِينَ} [الذاريات: 34] . وَكَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِمْ مَطَرًا فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنْذَرِينَ} [الشعراء: 173] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَالْمُؤْتَفِكَةَ أَهْوَى فَغَشَّاهَا مَا غَشَّى} [النجم: 53] [النَّجْمِ: 53 - 54] . يَعْنِي قَلَبَهَا فَأَهْوَى بِهَا مُنَكَّسَةً عَالِيَهَا سَافِلَهَا، وَغَشَّاهَا بِمَطَرٍ مِنْ حِجَارَةٍ مِنْ سِجِّيلٍ مُتَتَابِعَةٍ مُسَوَّمَةٍ مَرْقُومٍ عَلَى كُلِّ حَجَرٍ اسْمُ صَاحِبِهِ الَّذِي سَقَطَ عَلَيْهِ مِنَ الْحَاضِرِينَ مِنْهُمْ فِي بَلَدِهِمْ وَالْغَائِبِينَ عَنْهَا مِنَ الْمُسَافِرِينَ وَالنَّازِحِينَ وَالشَّاذِّينَ مِنْهَا. وَيُقَالُ: إِنَّ امْرَأَةَ لُوطٍ مَكَثَتْ مَعَ قَوْمِهَا، وَيُقَالُ: إِنَّهَا خَرَجَتْ مَعَ زَوْجِهَا وَبِنْتَيْهَا، وَلَكِنَّهَا لَمَّا سَمِعَتِ الصَّيْحَةَ وَسُقُوطَ الْبَلْدَةِ، وَالْتَفَتَتْ إِلَى قَوْمِهَا وَخَالَفَتْ أَمْرَ رَبِّهَا قَدِيمًا وَحَدِيثًا،
পৃষ্ঠা - ৪২৩


করেন ৷ তারা বর্ণিত সেই হাদীস থেকেও দলীল গ্রহণ করেছেন যা ইবন আব্বাস (রা ) কর্তৃক
মুসনাদে আহমদে ও সুনান গ্রন্থসমুহে বর্ণিত হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন, এমন কোন
লোক যদি তোমরা পাও , যে লুত (আ)এর সম্প্রদায়ের অনুরুপ পাপ কাজে লিপ্ত, তখন সংশ্লিষ্ট
উভয় ব্যক্তিকেই হত্যা কর ৷ ইমাম আবু হানীফা (র) বলেন, পুরুষের সাথে সমকামীকে
পাহাড়ের উপর থেকে নীচে ফেলে দিয়ে তার উপর পাথর নিক্ষেপ করতে হবে; যেভাবে লুতের
সম্প্রদায়ের সাথে করা হয়েছিল ৷ তিনি দলীলরুপে নিম্নোক্ত আয়াত পেশ করেছেন :

^ ’াগ্ গোএেই৷ ! র্টু ০০ গো র্চু০ঠু (এটা জালিমদের থেকে বেশি দুরে নয়) আল্লাহ
তা জানা লুত (-আ) এর সম্প্রদায়ের শুপাটড়া এলাকাকে একটি দৃর্পন্ধময় সমুদ্রে পরিণত করেন ৷ ঐ
সমুদ্রের পানি ও সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার মাটি ব্যবহারের সম্পুর্ণ অনুপযােপী ৷ এভাবে স্মরণীয়
বিধ্বস্ত এলাকাটি পরবর্তীকালের সেইসব মানুষের জন্যে শিক্ষণীয় ও উপদেশ গ্রহণের বন্তুতে
পরিণত হয়েছে, যায়৷ আল্লাহর অবাধ্য হয়, রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে, প্রবৃত্তির অনুসরণ করে
ও আপন মনিবের নাফরমানী করে ৷ এ ঘটনা সে বিষয়েও প্রমাণ বহন করে যে , আল্লাহ তার
মুমিন বান্দাদেরকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন এবং তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে

আলোর দিকে নিয়ে আসেন ৷ আল্লাহর বাণীপ্ত


দু
এ্যাৰু


নিশ্চয় তাতে আছে নিদর্শন, কিন্তু তাদের অধিকাংশই মুমিন নয় ৷ তোমার প্রতিপালক
তিনি ওে ৷ পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু ৷ (২৬৪ ৮ ৯)

আল্লাহর বাণী৪


শ্লে ষ্ণেএ

খ্)ংহু ৰুপুার্বু
তারপর সুর্যোদয়ের সময়ে এক মহানাদ তাদেরকে আঘাত করল এবং আমি জনপদকে
উন্টিয়ে উপর-নীচ করে দিলাম এবং তাদের উপর পাথর-কংকর বর্ষণ করলাম ৷ অবশ্যই এতে
নির্দণন রয়েছে পর্যবেক্ষণ শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের জন্যে ৷ লোক চলাচলের পথের পাশে তা

এখনও বিদ্যমান ৷ এতে অবশ্যই রয়েছে মুমিনদের জন্যে নির্দশন ৷ ( ১ ৫ : ৭৩ ৭ ৭)
( ,
ন্ ট্রু, ত্;ট্রুপুঠু:;পু বলা হয় সেসব লোকদেরকে যারা দুরদৃষ্টিসম্পন্ন হয়ে থাকে ৷ এখানে
দুরদৃষ্টির অর্থ হল এই বিষয়ে চিন্তা করা যে, এ জনপদটি ও৩ তার বড়াসিন্দারা আবাদ হওয়া সত্বেও
কিভাবে আল্লাহ্ তা ধ্বংস ও বিধ্বস্ত করে দিলেন ৷ তিরমিযী ইত্যাদি কিভাবে মারফু হাদীস

বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুল (সা) বলেছেন :


وَقَالَتْ: وَاقَوْمَاهْ. فَسَقَطَ عَلَيْهَا حَجْرٌ فَدَمَغَهَا، وَأَلْحَقَهَا بِقَوْمِهَا إِذْ كَانَتْ عَلَى دِينِهِمْ، وَكَانَتْ عَيْنًا لَهُمْ عَلَى مَنْ يَكُونُ عِنْدَ لُوطٍ مِنَ الضِّيفَانِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِلَّذِينَ كَفَرُوا اِمْرَأَةَ نُوحٍ وَامْرَأَةَ لُوطٍ كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَيْنِ فَخَانَتَاهُمَا فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ اللَّهِ شَيْئًا وَقِيلَ ادْخُلَا النَّارَ مَعَ الدَّاخِلِينَ} [التحريم: 10] . أَيْ خَانَتَاهُمَا فِي الدِّينِ فَلَمْ تَتْبَعَاهُمَا فِيهِ، وَلَيْسَ الْمُرَادُ أَنَّهُمَا كَانَتَا عَلَى فَاحِشَةٍ حَاشَا وَكَلَّا، فَإِنَّ اللَّهَ لَا يُقَدِّرُ عَلَى نَبِيٍّ أَنْ تَبْغِيَ امْرَأَتُهُ، كَمَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَغَيْرُهُ مِنْ أَئِمَّةِ السَّلَفِ وَالْخَلَفِ: مَا بَغَتِ امْرَأَةُ نَبِيٍّ قَطُّ. وَمَنْ قَالَ خِلَافَ هَذَا فَقَدَ أَخْطَأَ خَطَأً كَبِيرًا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى فِي قِصَّةِ الْإِفْكِ لَمَّا أَنْزَلَ بَرَاءَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةَ بِنْتِ الصِّدِّيقِ زَوْجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَالَ لَهَا أَهْلُ الْإِفْكِ مَا قَالُوا فَعَاتَبَ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ وَأَنَّبَ وَزَجَرَ، وَوَعَظَ وَحَذَّرَ. وَقَالَ فِيمَا قَالَ: {إِذْ تَلَقَّوْنَهُ بِأَلْسِنَتِكُمْ وَتَقُولُونَ بِأَفْوَاهِكُمْ مَا لَيْسَ لَكُمْ بِهِ عِلْمٌ وَتَحْسَبُونَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِنْدَ اللَّهِ عَظِيمٌ وَلَوْلَا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ قُلْتُمْ مَا يَكُونُ لَنَا أَنْ نَتَكَلَّمَ بِهَذَا سُبْحَانَكَ هَذَا بُهْتَانٌ عَظِيمٌ} [النور: 15] . أَيْ وَمَا هَذِهِ الْعُقُوبَةُ بِبَعِيدَةٍ مِمَّنْ أَشْبَهَهُمْ فِي فِعْلِهِمْ؛ وَلِهَذَا ذَهَبَ مَنْ ذَهَبَ مِنَ الْعُلَمَاءِ إِلَى أَنَّ اللَّائِطَ يُرْجَمُ سَوَاءٌ كَانَ مُحْصَنًا أَوْ لَا، نَصَّ عَلَيْهِ الشَّافِعِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَطَائِفَةٌ
পৃষ্ঠা - ৪২৪


(«fl !প্রুদ্বুও৷ ) মুমিনের দুরদৃষ্টিকে তোমরা
সমীহ করবে, কেননা সে আল্লাহপ্রদত্ত নুরের সাহায্যে দেখতে পড়ায় ৷ একথা বলে রাসুল (সা)

নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেন০ : ৷ (দুরদৃষ্টিসম্পন্ন
মুমিনদের জন্যে এতে নিদর্শন রয়েছে) ৷ আল্লাহর বাণী৪ ক্কি হুব্লু >;;:£ £ £;’ ৷ , (পথের
পাশে তা এখনও বিদ্যমান) অর্থাৎ যাতায়াতের চালু পথে ঐ জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনও
বিদ্যমান রয়েছে ৷ যেমন অপর আয়াতে বলা হয়েছে০ :

মোঃ র্চুদ্বুভুগুপুর্দু ন্হ্ররুাও (তেড়ামরা তো
তাদের ধ্বংসাবণেষগুলো সকাল-সন্ধ্যায় অতিক্রম করে থাক ৷ তবুও কি তোমরা অনুধাবন

করাৰ্ না? (৩ ৭ ১৩ ৭ ৩৮) অপর আয়াব্লুত আল্লাহ বলেন :

বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে আমি

এতে একটি স্পষ্ট নিদর্শন রেখেছি ৷ (২৯৪ ৩৫)
আল্লাহর বাণী৪



সেখানে যেসব মু মিন ছিল আমি তাদেরকে উদ্ধার করেছিলাম এবং সেখানে একটি পরিবার
ব্যতীত আর কোন মুসলিম গৃহ আমি পাইনি ৷ যারা মর্মন্তুদ শান্তিকে ভয় করে আমি তাদের
জন্যে এর মধ্যে একটি নির্দশন রেখেছি ৷ (৫১ : ৩৫-৩ ৭)

অর্থাৎ লুত (আ)-এর সম্প্রদায়ের জনপদটিকে আমি শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণের জন্যে রেখে
দিয়েছি সেইসব লোকের জন্যে যারা আখিরাতের আযাবকে ভয় করে ৷ না দেখেই আল্লাহকে
ভয় করে, মহান প্রতিপালকের সম্মুখে দণ্ডায়মান হওয়ার ব্যাপারে ভীতসস্ত্রস্ত থাকে, প্রবৃত্তি
পরায়ণত৷ থেকে বিরত থাকে, আল্লাহর নিষিদ্ধ জিনিস থেকে দুরে থাকে ৷ তীর নাফরমানী
থেকে বেচে থাকে এবং লুত (আ)-এর সম্প্রদায়ের মত হওয়ার ব্যাপারে অন্তরে ভয় রাখে

(ণ্ৰুপুণ্ ,; ¢,;, ধ্ :ও ব্লু ন্শু) যে ব্যক্তি কোন জাতির সাথে সাদৃশ্য রাখে সে তাদের
দলভুক্ত ৷ সকল ব্যাপারে পুর্ণ সাদৃশ্য হতে হবে এমন কোন কথা নেই; বরং কোন কোন
ব্যাপারে সাদৃশ্য থাকলেই হয় ৷ যেমন কেউ কেউ বলেছেন, তোমরা যদি সম্পুর্ণরুপে কওমে লুত
না হয়ে থাক, তবে কওমে লুত ণ্তামাদের থেকে খুব বেশি পৃথক নয় ৷ অতএব, যে লোক
জ্ঞানী, বুদ্ধিমান ও আল্লাহ্-ভীরু, সে আল্লাহর যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলবে এবং রাসুলের
আদর্শকে অনুসরণ করবে, সে অবশ্যই হালাল শ্রী ও যুদ্ধবন্দী দাসী ভোগ করবে ৷ শয়তানের
পথে চলতে সে ভয় পাবে ৷ অন্যথায় সে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য হবে এবং নিম্নোক্ত আঘাতের
আওতায় এসে যাবে (জালিমদের থেকে তা বেশি দুরে
নয় ৷)

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড)৫


كَثِيرَةٌ مِنَ الْأَئِمَّةِ، وَاحْتَجُّوا أَيْضًا بِمَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، وَأَهْلُ السُّنَنِ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ وَجَدْتُمُوهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَاقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ» . وَذَهَبَ أَبُو حَنِيفَةَ إِلَى أَنَّ اللَّائِطَ يُلْقَى مِنْ شَاهِقٍ، وَيُتْبَعُ بِالْحِجَارَةِ، كَمَا فُعِلَ بِقَوْمِ لُوطٍ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَمَا هِيَ مِنَ الظَّالِمِينَ بِبَعِيدٍ} [هود: 83] . وَجَعَلَ اللَّهُ مَكَانَ تِلْكَ الْبِلَادِ بَحْرَةً مُنْتِنَةً لَا يُنْتَفَعُ بِمَائِهَا، وَلَا بِمَا حَوْلَهَا مِنَ الْأَرَاضِي الْمُتَاخِمَةِ لِفِنَائِهَا لِرَدَاءَتِهَا وَدَنَاءَتِهَا، فَصَارَتْ عِبْرَةً وَمَثُلَةً، وَعِظَةً وَآيَةً عَلَى قُدْرَةِ اللَّهِ تَعَالَى وَعَظَمَتِهِ وَعِزَّتِهِ فِي انْتِقَامِهِ مِمَّنْ خَالَفَ أَمْرَهُ وَكَذَّبَ رُسُلَهُ، وَاتَّبَعْ هَوَاهُ وَعَصَى مَوْلَاهُ، وَدَلِيلًا عَلَى رَحْمَتِهِ بِعِبَادِهِ الْمُؤْمِنِينَ فِي إِنْجَائِهِ إِيَّاهُمْ مِنَ الْمُهْلِكَاتِ، وَإِخْرَاجِهِ إِيَّاهُمْ مِنَ النُّورِ إِلَى الظُّلُمَاتِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُمْ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ} [الشعراء: 8] [الْحِجْرِ: 73 - 77] . أَيْ مَنْ نَظَرَ بِعَيْنِ الْفِرَاسَةِ وَالتَّوَسُّمِ فِيهِمْ كَيْفَ غَيَّرَ اللَّهُ تِلْكَ الْبِلَادَ وَأَهْلَهَا؟ وَكَيْفَ جَعَلَهَا بَعْدَ مَا كَانَتْ آهِلَةً عَامِرَةً هَالِكَةً غَامِرَةً؟ كَمَا رَوَى التِّرْمِذِيُّ، وَغَيْرُهُ مَرْفُوعًا «اتَّقَوْا فِرَاسَةَ الْمُؤْمِنِ فَإِنَّهُ يَنْظُرُ بِنُورِ اللَّهِ» . ثُمَّ قَرَأَ: {إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِلْمُتَوَسِّمِينَ} [الحجر: 75] .
পৃষ্ঠা - ৪২৫
وَقَوْلُهُ: {وَإِنَّهَا لَبِسَبِيلٍ مُقِيمٍ} [الحجر: 76] أَيْ لَبِطَرِيقٍ مَهْيَعٍ مَسْلُوكٍ إِلَى الْآنَ، كَمَا قَالَ: {وَإِنَّكُمْ لَتَمُرُّونَ عَلَيْهِمْ مُصْبِحِينَ وَبِاللَّيْلِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ} [الصافات: 137] [الْعَنْكَبُوتِ: 35] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَأَخْرَجْنَا مَنْ كَانَ فِيهَا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فَمَا وَجَدْنَا فِيهَا غَيْرَ بَيْتٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ وَتَرَكْنَا فِيهَا آيَةً لِلَّذِينَ يَخَافُونَ الْعَذَابَ الْأَلِيمَ} [الذاريات: 35] [الذَّارِيَاتِ: 35 - 37] . أَيْ تَرَكْنَاهَا عِبْرَةً وَعِظَةً لِمَنْ خَافَ عَذَابَ الْآخِرَةِ وَخَشِيَ الرَّحْمَنَ بِالْغَيْبِ، وَخَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَى فَانْزَجَرَ عَنْ مَحَارِمِ اللَّهِ، وَتَرَكَ مَعَاصِيَهُ وَخَافَ أَنْ يُشَابِهَ قَوْمَ لُوطٍ، وَمَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ فَمِنْ بَعْضِ الْوُجُوهِ؛ كَمَا قَالَ بَعْضُهُمْ. فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا قَوْمَ لُوطٍ بِعَيْنِهِمْ ... فَمَا قَوْمُ لُوطٍ مِنْكُمْ بِبَعِيدِ فَالْعَاقِلُ اللَّبِيبُ الْخَائِفُ مِنْ رَبِّهِ الْفَاهِمُ يَمْتَثِلُ مَا أَمَرَهُ اللَّهُ بِهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَيَقْبَلُ مَا أَرْشَدَهُ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ مِنْ إِتْيَانِ مَا خُلِقَ لَهُ مِنَ الزَّوْجَاتِ الْحَلَالِ، وَالْجَوَارِي مِنَ السَّرَارِيِّ ذَوَاتِ الْجَمَالِ، وَإِيَّاهُ أَنْ يَتَّبِعَ كُلَّ شَيْطَانٍ مَرِيدٍ فَيَحِقَّ عَلَيْهِ الْوَعِيدُ، وَيَدْخُلَ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَمَا هِيَ مِنَ الظَّالِمِينَ بِبَعِيدٍ} [هود: 83] .