আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

ذكر رميه عليه الصلاة والسلام جمرة العقبة وحدها يوم النحر وكيف رماها ومتى رماها

পৃষ্ঠা - ৪০৬৬


র্তার৷ দু’জন অনুরুপ করতেন ৷ যেমন বায়হাকী (র) মিসওয়ার ইবন মাখৃরামা (বা) হতে
বিওয়ায়াড় করেছেন যে, উমর (রা) দ্রুত উট ছোটাতেন এবং বলতেন ৷ হৃাব্র ,১ £ এ,া৷
াৰু,১ গ্লোা,ণ্১া৷ :ৰু১ এা৷শু ৷ৰুা,;প্রু তোমার দিকে হাওদার রশি কেপে কেপে ধাবিত হচ্ছে,
তার ধর্যকর্য খৃস্টানদের ধর্যকর্মের পরিপন্থী ৷

দশ তারিখে নবী করীম (সা) এর শুধু বড় জামরায় কংকর নিক্ষেপ; কংকর নিক্ষেপের পদ্ধতি;
সময় ও স্থান এবং কংকরের সংখ্যা ও কংকর মাবা-র সময় তালবিয়া পাঠ বন্ধ ক্যা প্ৰসৎগ

উসামা, ফাযল ও অন্যান্য সাহাবী (বা) হতে এ বিওয়ারাত আগেই উল্লিখিত হয়েছে যে,
বড় জামরা য় ক০ ×কর মারার সময় পর্যন্ত নবী করীম (না) অবিরাম তালবিয়া উচ্চারণ করতে
থাকেন ৷ বায়হার্কী (র) বলেন, ইমাম আবু উছমান (রা) আবদুল্লাহ (বা) হতে,৩ তিনি বলেন,
আমি নবী করীম (সা) এর প্ৰতি লক্ষ্য রাখতে লাপলাম ৷ বড় জামরায় প্রথম কংকর নিক্ষেপ
করা পর্যন্ত তিনি লাপা৩ার তালবিয়া উচ্চারণ করতে থাকলেন” ৷ ঐ সনদে ইবন খুযায়মা
(র) ইবন আব্বাস সুত্রে ফা য়ল (বা) হতে তিনি বলেন, আ ৷মি আরাফ৷ ৷ত হতে রাসুলুল্পাহ (সা)-
এর স০ ×গে প্রত্যাবর্তন করলাম ৷ তিনি জামরাতুল আকাবা-য় (বড় শয়তানকে) ক০ কর মারা
পর্যন্ত লাগাতার তা ৷লৰিয়া উচ্চারণ করলেন ৷ প্রতিটি ক০ ×করের সাথে তিনি তাকবীর ধ্বনি
দিচ্ছিলেন ৷ শেষ ক০ ×করের সাথে সাথে তালবিয়া বন্ধ করলেন ৷ রায়হাবী (র) বলেছেন, এ
অংশটি বিরল ধরনের বধির্ত কথা, যা ফ৷ যল (বা) হতে ইবন আব্বাস সুত্রের প্রসিদ্ধ বর্ণনা
সমুহে উল্লিখিত ৩হয় নি ৷

যদিও ইবন খুযায়ম৷ (র) এ বর্ণনাটি গ্রহণ করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহড়াক (র) বলেন,
আবান ইবন সালিহ্ (র) ইক্রিমা: (বা) হতে, তিনি বলেন, আমি হুসায়ন ইবন আলী (র)-এর
সৎগে (আরাফা ৷ত হতে) প্ৰস্থান করলাম ৷ জামরাতুল আকাবায় কংকর মারা পর্যন্ত ভীকে
লাপাতার ত ৷লিবিয়া পাঠ করতে শুনলাম ৷ ক০ কর নিক্ষেপের পর তিনি তালবিয়া বন্ধ করলেন ৷
আ৷ ৷মি বললাম, এটা কী করলেন?৩ তিনি বললেন,অ আমি আমার পিতা আ ৷লী ইবন আবৃত তালিব
(রা)-কে জামরাতুল আকাবায় কংকর মারা পর্যন্ত তালবিয়া উচ্চারণ করতে দেখছি ৷ তিনি
আমাকে খবর দিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তাই করতেন ৷ “আর ইতোপুর্বে লায়ছ (র) ইবন

আব্বাস (বা) তার (ছোট) ভাই ফাযল হতে আগত বিওয়ায়াতে উল্লিখিত ৩হয়েছে যে, নবী করীম
(সা) ঘুহাসসির উপত্যাকায় লোকদের ঢিল মার ৷র আকারের ক০ কর সৎগ্নহ করার নির্দেশ
দিয়েছিলেন, যা দিয়ে জামরায় কংকর ম রা৷ হবে (মুসলিম) ৷ আবুল আ ৷লিয়৷ (র) বলেন, আব্বাস
ফাযল (বা) হতে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) দশ তারিখের ভোরে আমাকে বললেন, ;;াশু
ান্ ১ আেএে “এসো আমার জন্য কংকর কুড়িয়ে আন ৷ ” আমি তার জন্য ঢেলার ন্যায় কিছু
কংকর কুড়িয়ে আনলাম ৷ তিনি সেগুলি নিজের হাতে নিয়ে বললেন

:,১া৷ , ,৷ দ্বু;া৷ বাঘুাব্র :া£ প্রু এ্যা৷ ৷১াদ্বু স্া;া৷দ্বু ণ্£াম্াদ্বু প্শ্বদ্বু১ এা১ৰুড় প্খুঠুশ্১ এঙেড়
“এ গুলির আকারের এগুলির আক৷ বের (কৎ কর দিয়েই) ৫৩ ৷মর৷ অবশ্যই বাড়াবাড়ি করবে

না; কেননা, দীনের ব্যাপারে বাড়ার বাড়ি তোমাদের পুর্ববভীচিদর ধ্বৎ স করে দিয়েছে (বয়হাকী)া
আর জাৰির (বা) তীর হাদীসে বলেছেন, অবশেষে মুহাসৃসির নিম্নভুমিতে ৩৩এলে তিনি কিছু গতি


[ذِكْرُ رَمْيِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ وَحْدَهَا يَوْمَ النَّحْرِ وَكَيْفَ رَمَاهَا وَمَتَى رَمَاهَا] ، وَمِنْ أَيِّ مَوْضِعٍ رَمَاهَا، وَبِكَمْ رَمَاهَا، وَقَطْعِهِ التَّلْبِيَةَ حِينَ رَمَاهَا قَدْ تَقَدَّمَ مِنْ حَدِيثِ أُسَامَةَ وَالْفَضْلِ وَغَيْرِهِمَا مِنَ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ، «أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ» . وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْإِمَامُ أَبُو عُثْمَانَ، أَنْبَأَنَا أَبُو طَاهِرِ بْنُ خُزَيْمَةَ، أَنْبَأَنَا جَدِّي - يَعْنِي إِمَامَ الْأَئِمَّةِ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ بْنِ خُزَيْمَةَ - ثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، ثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ عَامِرِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «رَمَقْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ بِأَوَّلِ حَصَاةٍ.» وَبِهِ عَنِ ابْنِ خُزَيْمَةَ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ الشَّيْبَانِيُّ، ثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ قَالَ: «أَفَضْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ مِنْ عَرَفَاتٍ، فَلَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ، ثُمَّ قَطَعَ التَّلْبِيَةَ مَعَ آخِرِ حَصَاةٍ.» قَالَ الْبَيْهَقِيُّ:
পৃষ্ঠা - ৪০৬৭
وَهَذِهِ زِيَادَةٌ غَرِيبَةٌ لَيْسَتْ فِي الرِّوَايَاتِ الْمَشْهُورَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ وَإِنْ كَانَ ابْنُ خُزَيْمَةَ قَدِ اخْتَارَهَا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي أَبَانُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ: «أَفَضْتُ مَعَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، فَمَا أَزَالُ أَسْمَعُهُ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ، فَلَمَّا قَذَفَهَا أَمْسَكَ، فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ فَقَالَ: رَأَيْتُ أَبِي عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ، وَأَخْبَرَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَفْعَلُ ذَلِكَ.» وَتَقَدَّمَ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أَخِيهِ الْفَضْلِ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ النَّاسَ فِي وَادِي مُحَسِّرٍ بِحَصَى الْخَذْفِ الَّذِي يُرْمَى بِهِ الْجَمْرَةُ.» رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَقَالَ أَبُو الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: حَدَّثَنِي الْفَضْلُ قَالَ: «قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةَ يَوْمِ النَّحْرِ: " هَاتِ فَالْقُطْ لِي حَصًى ". فَلَقَطْتُ لَهُ حَصَيَاتٍ مِثْلَ حَصَى الْخَذْفِ، فَوَضَعَهُنَّ فِي يَدِهِ، فَقَالَ: " بِأَمْثَالِ هَؤُلَاءِ، بِأَمْثَالِ هَؤُلَاءِ، وَإِيَّاكُمْ وَالْغُلُوَّ، فَإِنَّمَا أَهْلَكَ مَنْ كَانَ قَبْلَكُمُ الْغُلُوُّ فِي الدِّينِ ".» رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. وَقَالَ جَابِرٌ فِي حَدِيثِهِ: حَتَّى أَتَى بِطْنَ مُحَسِّرٍ فَحَرَّكَ قَلِيلًا، ثُمَّ سَلَكَ الطَّرِيقَ الْوُسْطَى الَّتِي تَخْرُجُ عَلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى، حَتَّى أَتَى الْجَمْرَةَ فَرَمَاهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا مِثْلَ - حَصَى الْخَذْفِ، رَمَى مِنْ
পৃষ্ঠা - ৪০৬৮


বাড়িয়ে দিলেন ৷ তারপর মধ্যবর্তী পথ ধরে চললেন বা বড় জামরা পর্যন্ত পৌছায়, আমরা
পর্যন্ত পৌছলে তিনি সাতটি কংকর মারলেন প্রতি কংকরের সাথে আল্লাহ আকবার ধ্বনি
দিচ্ছিলেন ৷ সে গুলি ছিল ঢিল ছোড়ার কংকরের আকৃতির কংকর মারলেন উপত্যকার নিম্নতুমি
হতে (মুসলিম) ৷
বুখারী (র) বলেন, জাবির (বা) বলেছেন, নবী করীম (সা) দশ তারিখে প্রথম প্রহরে রমী
করলেন এবং তার পরের দিনগুলিতে রমী করলেন দৃপুরের পরে ৷ ” বুখারী-র এ তা’লীকে
(সনদ বিহীন) হাদীসটিই মুসলিম (র) সনদ যুক্ত করে রিওয়ায়াত করেছেন ইবন জুরায়জ-
আবুয যুৰায়র-জাবির (রা) সনদে জাবির (বা) বলেন, নবী করীম (সা) দশ তারিখে জামরার
ৎকর মারলেন প্রথম প্রহরে তবে তার পরের দিন তা ছিল সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে পড়ার পরে ৷
সহীহ্ বুখারী মুসলিমে আমাশ (র) আবদুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (র) হতে, তিনি বলেন,
আবদুল্লাহ (রা) উপত্যকার নিম্নভুমি হতে কংকর মারলে আমি বললাম, হে আবু আবদুর
রহমান! কিছু লোক উপত্যকার উচু ভুমি হতে কংকর মেরে থাকে ৷” তিনি বললেন, “যিনি
ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই তার কলম ! এটাই কংকর নিক্ষেপের র্দাড়ড়াবার স্থান যেখানে সুরা
বাকারা নাযিল করা হয়েছিল ৷ (এ ভাষ্য বখারীণ্র) শুবা (র) হাকাম (র) সুত্রে আবদৃল্লাহ
ইবন মাসউদ (বা) হতে গৃহীত বুখারী (র)-এর হাদীস ভাষ্যে রয়েছে “তিনি (ইবন মাসউদ)
বড় জামরার কাছে এসে বায়তুল্লাহ বাম হাতের দিকে এবং মিনা ডান দিকে রেখে সাতটি
ৎকর মারলেন এবং বললেন, “মার প্রতি সুরা বাকারা নাযিল করা হয়েছিল তিনি এ ভাবেই
রমী করেছেন ৷”

বুখারী (র)-এর পরবর্তী বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন যারা সাতটি কংকর মারেন ৷ প্ৰতি
ৎকরের সময় তাকবীর ধ্বনি দেন এ বিষয়টি নবী করীম (সা) হতে ইবন উমর (রা)
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ জাফর ইবন মুহাম্মদ (র)জাবির (বা) সনদের হাদীসেই এ বিষয়টি
পাওয়া যায় ৷ যেমনটি পুর্বে উল্লেখিত হয়েছে-তিনি বড় জামরার কাছে গিয়ে সাতটি কংকর
মারলেন যার প্রতিটি কংকরের সাথে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করেন ৷ কংকরগুলি ছিল ঢিল
ছেড়াড়ার কংকরের আকারের ৷ বুখারী (র) তার এ অনুচ্ছেদ শিরোনামের অধীনে আমাশ (র)
সুত্রে আবদুল্পাহ ইবন মাসউদ (রা) সনদের হাদীসটি অন্তর্ভুক্ত করেছেন ৷

এ মর্মে যে, তিনি (ইবন মাসউদ) জামরার কাছে এসে উপত্যাকার নিম্নভুযি হতে সাত
ৎকর মারলেন ৷ প্রতিটি কংকরের সাথে তাকবীর ধ্বনি দিচ্ছিলেন ৷” তার পর বললেন, “এ
ন্থান-হতেই যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই তীর কলম! তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) দাড়িয়ে
ছিলেন যীর উপরে সুরা বাকারা নাযিল হয়েছিল ৷” মুসলিম (র)-এর রিওয়ায়াত ইবন জুরায়জ
(র) জাবির ইবন আবদুল্পাহ (বা) সুত্রে বলেন, “ঢেলা ছেড়াড়ার কংকরের ন্যায় সাতটি কংকর
দিয়ে আমি রাসুলুল্পাহ (সা) কে জামরার কংকর নিক্ষেপ করতে দেখেছি ৷”

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াহয়া ইবন যাকারিয়্যা (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, “নবী করীম (সা) দশ তারিখে শেষ (বড়) জামরার কংকর €মরেছিলেন
আরোহী অবস্থায় ৷” তিরমিষী (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আহ্মদ ইবন মানী’
(র)(ইয়াহ্ইয়া ইবন যাকারিয়্যা ইবন আবু যাইদা) এ সনদে এবং এটি হাসান মন্তব্য করেছেন ৷


بَطْنِ الْوَادِي. رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ جَابِرٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، «رَمَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ النَّحْرِ ضُحًى، وَرَمَى بَعْدَ ذَلِكَ بَعْدَ الزَّوَالِ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي عَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ أَسْنَدَهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعَ جَابِرًا قَالَ: «رَمَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَمْرَةَ يَوْمَ النَّحْرِ ضُحًى، وَأَمَّا بَعْدُ فَإِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ.» وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: رَمَى عَبْدُ اللَّهِ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي فَقُلْتُ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، إِنَّ نَاسًا يَرْمُونَهَا مِنْ فَوْقِهَا. فَقَالَ: وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ هَذَا مَقَامُ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ. لَفْظُ الْبُخَارِيِّ. وَفِي لَفْظٍ لَهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ،، أَنَّهُ أَتَى الْجَمْرَةَ الْكُبْرَى، فَجَعَلَ الْبَيْتَ عَنْ يَسَارِهِ، وَمِنًى عَنْ يَمِينِهِ، وَرَمَى بِسَبْعٍ وَقَالَ: هَكَذَا رَمَى الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ مَنْ رَمَى الْجِمَارَ بِسَبْعٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ. قَالَهُ ابْنُ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَهَذَا إِنَّمَا يُعْرَفُ فِي حَدِيثِ جَابِرٍ، مِنْ طَرِيقِ جَعْفَرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪০৬৯
مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ - كَمَا تَقَدَّمَ - أَنَّهُ أَتَى الْجَمْرَةَ فَرَمَاهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ - يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا - حَصَى الْخَذْفِ. وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ فِي هَذِهِ التَّرْجَمَةِ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، «عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ رَمَى الْجَمْرَةَ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ، ثُمَّ قَالَ: مِنْ هَاهُنَا وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ، قَامَ الَّذِي أُنْزِلَتْ عَلَيْهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ» . وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَى الْجَمْرَةَ بِسَبْعٍ مِثْلَ حَصَى الْخَذْفِ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، ثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي الْقَاسِمِ - يَعْنِي مِقْسَمًا - عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَى الْجَمْرَةَ جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ رَاكِبًا.» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ مَنِيعٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، وَقَالَ: حَسَنٌ. وَأَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، عَنْ أَبِي خَالِدٍ الْأَحْمَرِ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ بِهِ. وَقَدْ رَوَى أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيُّ، مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْأَحْوَصِ، عَنْ أُمِّهِ أُمِّ جُنْدُبٍ الْأَزْدِيَّةِ
পৃষ্ঠা - ৪০৭০
আর ইবন মড়াজা (র) হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র) হাজাজ
ইবন আরতাত (র) থেকে ঐ সনদে ৷ এ প্রসংগে আহমদ আবু দাউদ, ইবন মাজড়া! ও বা“য়হাফী
(র) রিওয়ায়াত করেছেন ৷

ইয়ড়াযীদ ইবন যিয়ড়াদ (র) উম্মু জুনদৃব আল-আযদিয়্যা (র) হতে, তিনি বলেন, আমি
রাসুলুল্লাহ (না)-কে উপত্যকার নিম্নভুমি হতে জামরাগুলিংক আরোহী অবস্থায় কংকর মারতে
দেখেছি, প্ৰতি কংকরের সাথে তিনি তড়াকবীর ধ্বনি দিচ্ছিলেন এবং একজন লোক তার পেছন
হতে (রোদ হতে) র্তাকে আড়াল করে রেখেছিল ৷ আমি ল্যেকটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে র্তীরা
বললেন, ইনি হচ্ছেন ফাযল ইবন আব্বাস (রা) ৷ ইতোমধ্যে জনতার তিড় জমে গেলে নবী
করীম (সা) বললেন-


“ লোক সকল! একে অন্যকে পিষে মেরে ফেল না; আর যখন তোমরা জামরায় কংকর
মড়ারবে তখন ঢেলা ছেড়াড়ার কংকরের ন্যায় কংকর দিয়ে মারবে ৷ এ ভাষ্য আবু দাউদ (র)-
এর ৷ তার অন্য একটি রিওয়ায়াত রয়েছে তিনি (উম্মু জুণ্াদুব ) বলেন, ওাখো নবী করীম (সা)-
কে আমি শেষ জামরাটির কাছে সওয়ার অবস্থায় দেখেছি এবং তার আত্গুল সমুহের মাঝে
দেখেছি কংকর; তিনি (নিজেও কংকর মারলেন এবং লোকেরাও কংকর মারলেন এবং তিনি
া:সখানে দীড়ালেন না ৷

ইবন মজাে (রা)-এর রিওয়ায়াতে রয়েছে তিনি (উম্মু জুনদুব) বলেন, “আমি দশ তারিখে
রাসুলুল্লাহ (সা) কে জামরড়াতুল আকাবা-র কাছে দেখেছি তিনি একটি খচচরে’ আরোহী
ছিলেন ৷ তবে এ ক্ষেত্রে খচ্চর’ এর উল্লেখ একান্তই বিরল ৷

মুসলিম (র) রিওয়ায়াত করেছেন জর সহীহ্ গ্রন্থে ইবন জুরায়জ (র) জাবির ইবন
আবদুল্লাহ (বা) সুত্রে বলেন, আমি দশ তারিখে রাসুলুল্লাহ (না)-কে তার বাহনে (উটে) চড়ে
জামরায় কংকর মারতে এবং একথা বলতে শুনেছিষ্


“ তোমাদের হস্কজ্জর নিয়ম কানুন শিখে নাও ! কেননা, আমি জানি না হয়তো আমার এ
হরুজ্জর পরে আমি আর হজ্জ করব না ৷ ” মুসলিম (র) আরো রিওয়ায়াত করেছেন, যায়দ ইবন
আবু উনায়সা (র)-এর উম্মুল হুসায়ন (রা)-এর বরাতে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ
সুত্রের অন্য একটি রিওয়া“য়াতে রয়েছে, “আমি রাসুলুল্লাহ (সা)এর সাথে হজ্জ করলাম-বিদায়
হজ্জ ৷ তখন উসামা ও বিলাল কে দেখলাম, তাদের একজন নবী করীম (না)-এর উটনীর
লাগাম ধরে রয়েছেন এবং অন্য জন তার (হাতে) কাপড় উচু করে নবী করীম (সা) কে
খবতাপ হতে আড়াল করছেন ৷ যতক্ষণ পর্যন্ত না তিনি জামরাতুল আকাবায় কংকর মারা শেষ
করলেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু আহ্মদ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ আয-য়ুবায়রী (র) কুদামড়া
ইবন আবদুল্লাহ আল-কিলাবী (র) সুত্রে এমর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি দশ তারিখে রাসুলুল্লাহ
(সা) কে তার একটি লালচে সাদা উষ্টীরুত উপত্যকার নিম্নভুমি হতে জামরাতুল আকাবাকে রমী

৫০ শে)



قَالَتْ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْمِي الْجِمَارَ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي وَهُوَ رَاكِبٌ يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ، وَرَجُلٌ مِنْ خَلْفِهِ يَسْتُرُهُ، فَسَأَلْتُ عَنِ الرَّجُلِ فَقَالُوا: الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ. فَازْدَحَمَ النَّاسُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، لَا يَقْتُلُ بَعْضُكُمْ بَعْضًا، وَإِذَا رَمَيْتُمُ الْجَمْرَةَ فَارْمُوا بِمِثْلِ حَصَى الْخَذْفِ ".» لَفْظُ أَبِي دَاوُدَ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ قَالَتْ: «رَأَيْتُهُ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ رَاكِبًا، وَرَأَيْتُ بَيْنَ أَصَابِعِهِ حَجَرًا، فَرَمَى وَرَمَى النَّاسُ، وَلَمْ يَقُمْ عِنْدَهَا» . وَلِابْنِ مَاجَهْ: قَالَتْ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ النَّحْرِ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ وَهُوَ رَاكِبٌ عَلَى بَغْلَةٍ.» وَذَكَرَ الْحَدِيثَ، وَذِكْرُ الْبَغْلَةِ هَاهُنَا غَرِيبٌ جِدًّا. وَقَدْ رَوَى مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَرْمِي الْجَمْرَةَ عَلَى رَاحِلَتِهِ يَوْمَ النَّحْرِ وَيَقُولُ: " لِتَأْخُذُوا مَنَاسِكَكُمْ، فَإِنِّي لَا أَدْرِي لَعَلِّي لَا أَحُجُّ بَعْدَ حَجَّتِي هَذِهِ ".» وَرَوَى مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ زَيْدِ بْنِ أَبِي أُنَيْسَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحُصَيْنِ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ الْحُصَيْنِ، سَمِعْتُهَا تَقُولُ: «حَجَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ، فَرَأَيْتُهُ حِينَ رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ، وَانْصَرَفَ وَهُوَ عَلَى رَاحِلَتِهِ يَوْمَ النَّحْرِ
পৃষ্ঠা - ৪০৭১
وَهُوَ يَقُولُ: " لِتَأْخُذُوا مَنَاسِكَكُمْ، فَإِنِّي لَا أَدْرِي لَعَلِّي لَا أَحُجُّ بَعْدَ حَجَّتِي هَذِهِ ".» وَفِي رِوَايَةٍ قَالَتْ: «حَجَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ، فَرَأَيْتُ أُسَامَةَ وَبِلَالًا، وَأَحَدُهُمَا آخِذٌ بِخِطَامِ نَاقَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالْآخَرُ رَافِعٌ ثَوْبَهُ يَسْتُرُهُ مِنَ الْحَرِّ، حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو أَحْمَدَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الزُّبَيْرِيُّ، ثَنَا أَيْمَنُ بْنُ نَابِلٍ، ثَنَا قُدَامَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْكِلَابِيُّ، «أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَمَى الْجَمْرَةَ جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ مِنْ بَطْنِ الْوَادِي يَوْمَ النَّحْرِ عَلَى نَاقَةٍ لَهُ صَهْبَاءَ، لَا ضَرْبٌ، وَلَا طَرْدٌ، وَلَا إِلَيْكَ إِلَيْكَ.» وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ وَكِيعٍ، وَمُعْتَمِرِ بْنِ سُلَيْمَانَ، وَأَبِي قُرَّةَ مُوسَى بْنِ طَارِقٍ الزَّبِيدِيِّ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ أَيْمَنَ بْنِ نَابِلٍ بِهِ. وَرَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ أَبِي قُرَّةَ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَيْمَنَ. وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ بِهِ. وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ مَنِيعٍ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، عَنْ أَيْمَنَ بْنِ نَابِلٍ بِهِ. وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ.