আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

تقديمه صلى الله عليه وسلم الضعفة من أهله بالليل فيقفون بالمزدلفة ويدعون ويقدم إذا غاب القمر

পৃষ্ঠা - ৪০৫৩


আদায় করা হয় ফজরের ওয়াক্ত উকি মারা মাত্র ৷ আবদুল্লাহ (রা) বলেন, নবী করীম (না)-কে
আমি তা করতে দেখেছি ৷ ণ্

তবে এ রিওরায়াতের “ফজর সালাত ফজরের ওয়াক্ত উকি মারা মাত্র”-উক্তিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে
হাফস ইবন উমর ইবন গিয়াছ (র)আবদৃল্লাহ ইবন মাসউদ (বা) হতে আহরিত বুখারী (র)
এর অন্য একটি রিওয়ায়াত হতে অধিকতর বিশদ ও স্পষ্ট ৷ কারণ তাতে বলা হয়েছে
“রাসুলুল্লাহ (না)-কে সালাতের নির্ধারিত সময় ব্যতীত কোন সালাত আদায় করতে দেখি নি,
কিন্তু দুটি সালাত (মুবৃদালিফায়) নাগরিক ও ইশা তিনি একত্রিত করেছেন এবং ফজর সালাত
আদায় করেছেন তার (নির্ধারিত) সময়ের আগে ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন
আবু ঘুআবিয়া ও জায়ীর (র) সুত্রে ঐ সনদে ৷ জাবিব (বা) তার হড়াদীসে বলেছেন “র্তারপর
রাসৃলুল্লাহ (সা) শুয়ে থাকলেন ফজরের সময় হওয়া পর্যন্ত ৷ সুরুবৃহ (সাদিক) স্পষ্ট হয়ে উঠলেই
তিনি আযড়ান ও ইকামত সহকারে ফজর সালাত আদায় করলেন ৷ ”-র্তার সাথে এ সালাতে হাযির
ছিলেন উরওয়া: ইবন যুযাররিস ইবন আওস ইবন হারিছা: ইবন লাম’ আত্-তাঈ (রা) ৷ এ
প্রসত্গে ইমাম আহমদ (র) বলেন, হুশায়ম (র)উরওয়া ইবন ঘুযাররিস (রা) থেকে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেন, আমি নবী করীম (না)-এর কাছে পৌছলাম-যখন তিনি ঘুঘৃদালিফায়
ছিলেন ৷ আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ ৷ “আমি আপনার সকাশে এসেছি সুদুর তায় পার্বত্য
এলাকা হতে ৷ নিজে ক্লান্তি সহ্য করেছি, আমার বড়াহনকেও শীর্ণ করেছি ৷ আল্লাহর কসম৷ পথে
যে কোন পাহাড় অতিক্রম করেছি, তাতে কিছুক্ষণ অবস্থান’ করে এসেছি-তাতে আমার হজ্জ
হয়ে যাবে কী? তিনি বললেন-
১এ ব্লু

এ্পুর ব্লোণ্দ্বুএ গ্রা১ ;হুব্র শ্নো১;াদ্বুা

“যারা আমাদের সাথে এ সালাতে অর্থাৎ ফজর সালাতে মুঘৃদালিফায় হাযির থাকল এবং
এখান হতে প্রস্থান করা পর্যন্ত আমাদের সাথে অবস্থান করল এবং ইভােপুর্বে দিনে কিংবা রাতে
আরাফাত হতে প্রস্থড়ান করে এসেছে তাদের হজ্জ পুর্ণ হয়েছে এবং তাদের (আল কুরআনে
বর্ণিত) ময়লা-আবর্জনা দুরীভুত হয়েছে ৷” চার স্নান গ্রন্থ সংকলকগন এবং ইমাম আহমদ
(র) ও শাবী (র)-এর বরাতে উরওয়া ইবন মুযাররিস (রা) হতে এ হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন এবং তিরমিযী (র) একে হাসান সাহীহ বলে মন্তব্য করেছেন ৷

নারী ও দুর্বল্দের আগে তাগেমুয্দান্সিফা হতে প্ৰস্থান প্রসংগ

রাসুলুল্লাহ্ (সা) জড়ার পরিবার বর্গের একটি দলকে সাধারণ জনতার ভিড়ের আগে
রাতের বেলা মুয্দালিফা হতে মিনা-য় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ৷ এ প্ৰসংগে বুখারী (র) বলেন,
“অনুচ্ছেদ : যারা তাদের পরিবারের দুর্বল লোকদের রাতের বেলা আগে পাঠিয়ে দেয় এবং
তারা নিজেরা মুয্দালিফায় অবস্থান করে দুআ করতে থাকে এবং ঐ রাতের চাদ ডুবে
যাওয়ার পরে মিনার চলে যায় তাদের প্ৰসংগ ৷ ইয়াহ্য়া ইবন বৃকায়র (র) (ইবন শিহাব
বলেন) সালিম (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (বা) তার পরিবারের দুর্বলদের আগে
পাঠিয়ে দিতেন আর তারা রাতের বেলা আল মাশআরুল হারাম’ মুঘৃদালিফায় অবস্থান


مُضَرِّسٍ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. [تَقْدِيمُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الضَّعَفَةَ مِنْ أَهْلِهِ بِاللَّيْلِ فَيَقِفُونَ بِالْمُزْدَلِفَةِ وَيَدْعُونَ وَيُقَدِّمُ إِذَا غَابَ الْقَمَرُ] فَصْلٌ (تَقْدِيمُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الضَّعَفَةَ مِنْ أَهْلِهِ بِاللَّيْلِ فَيَقِفُونَ بِالْمُزْدَلِفَةِ وَيَدْعُونَ وَيُقَدِّمُ إِذَا غَابَ الْقَمَرُ) وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدَّمَ طَائِفَةً مِنْ أَهْلِهِ بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ اللَّيْلِ قَبْلَ حَطْمَةِ النَّاسِ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ إِلَى مِنًى. قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ مَنْ قَدَّمَ ضَعَفَةَ أَهْلِهِ بِاللَّيْلِ فَيَقِفُونَ بِالْمُزْدَلِفَةِ وَيَدْعُونَ وَيُقَدِّمُ إِذَا غَابَ الْقَمَرُ. حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، ثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: قَالَ سَالِمٌ «كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُقَدِّمُ ضَعَفَةَ أَهْلِهِ فَيَقِفُونَ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ بِلَيْلٍ، فَيَذْكُرُونَ اللَّهَ مَا بَدَا لَهُمْ ثُمَّ يَدْفَعُونَ قَبْلَ أَنْ يَقِفَ الْإِمَامُ وَقَبْلَ أَنْ يَدْفَعَ، فَمِنْهُمْ مَنْ يَقْدَمُ مِنًى لِصَلَاةِ الْفَجْرِ، وَمِنْهُمْ مَنْ يَقْدَمُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَإِذَا قَدِمُوا رَمَوُا الْجَمْرَةَ، وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَقُولُ: أَرْخَصَ فِي أُولَئِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ جَمْعٍ بِلَيْلٍ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا سُفْيَانُ، أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৪০৫৪
أَبِي يَزِيدَ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: «أَنَا مِمَّنْ قَدَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْمُزْدَلِفَةِ فِي ضَعَفَةِ أَهْلِهِ» . وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «بَعَثَ بِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ جَمْعٍ بِسَحَرٍ مَعَ ثَقَلِهِ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ،، ثَنَا سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، عَنِ الْحَسَنِ الْعُرَنِيِّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَدَّمَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; أُغَيْلِمَةَ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ عَلَى حُمُرَاتِنَا فَجَعَلَ يَلْطَحُ أَفْخَاذَنَا بِيَدِهِ، وَيَقُولُ: " أَبَنِيَّ لَا تَرْمُوا الْجَمْرَةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ". قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: مَا إِخَالُ أَحَدًا يَرْمِي الْجَمْرَةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ.» وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ فَذَكَرَهُ. وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنِ الثَّوْرِيِّ بِهِ، وَالنَّسَائِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ وَأَخْرَجَهُ ابْنُ مَاجَهْ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ، كِلَاهُمَا عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ مِسْعَرٍ وَسُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، كِلَاهُمَا عَنْ سَلَمَةَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪০৫৫


করে যতক্ষণ ইচ্ছামত দুআ করতে থাকতেন এবং পরে ইমামের অবস্থান ও প্ৰস্থানের আগেই
তারা মিনার উদ্দেশ্যে প্রস্থান করতেন ৷ তাদের কেউ কেউ ফজর সালাতের সময় মিনায় পৌছে
যেতেন আর কেউ বা তার একটু পরে পৌছাতেন ৷ তারা সেখান পৌছে জামবৃায় কৎকর নিক্ষেপ
করতেন ৷ ইবন উমর (রা) বলতেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) এদের ব্যাপারে বিশেষ অনুমতি
দিয়েছেন ৷ সৃলায়মান ইবন হাবৃব (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে, তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাকে রাতের বেলা মুযদালিফা হতে পাঠিয়ে দিলেন ৷” বুখায়ী (র) আরো বলেন, আলী ইবন
আবদুল্লাহ (র) আবদুল্লাহ ইবন আবু ইয়াযীদ (র) ইবন আব্বাস (রা)-কে বলতে শুনেছেন,
“মুঘৃদালিফার রাতে নবী করীম (সা) তীর পরিবারের দুর্বলদের মাঝে যাদের আগে পাঠিয়ে
দিয়েছিলেন আমিও ছিলাম তাদের একজন ৷ ” মুসলিম (র) এ হাদীস খানা রিওয়ায়াত করেছেন
ইবন জুরায়জ (র) সুত্রে ৷ ইবন আব্বাস (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুযদালিফা হতে শেষ রাতে
তীর পরিবারের আলবাব-পত্র ও নারীগণের সাথে আমাকে প্ৰতুষে পা৷ঠিয়ে দিয়েছিলেন ৷

ইমাম অ ড়াহমদ (র) বলেন, সুফিয়ান ছাওরী (র) ইবন৷ আরব লাল (বা) হতে, বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের বনু ঘুত্তা ৷লিবের কিশো ৷রদের আমাদের দুর্বলতায়
খাতিরেআসবাব পত্রের দায়িত্ব দিয়ে আগে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তিনি আমাদের (মনো রঞ্জনের
উদ্দেশ্যে) র্তার হাত দিয়ে, আমাদের উরুতে কোমল স্পর্শ দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, “আমার
ছেলেরা ! সুর্য উদয়ের আগে কিন্ত রাযী (শয়তানকে কং কর নিক্ষেপ) কর না ৷ আহমদ (র)
আবদুর রহমান ইবন মাহ্দী (র) হতেও এ হাদীসখানা অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ
(র) এ হাদীস এবং নাসাঈ (র) ও ইবন মাজা (র) আহমদ ও তাবারাণী বিজ্যি সনদে অনুরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷

বুখারী (র) আরো বলেছেন, ঘুসাদ্দাদ (র) আসমা (রা)র আযাদকৃত গোলাম আবদুল্লাহ
(র) হতে-আসমা (রা) সর্ম্পকে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, জ ৷র যুযদালিফায় অবস্থানের রাতে
তিনি সেখানে অবতরণ করলেন এবং সালাত ৩(নফল) আদায়ে নিম১প্ন হলেন ৷ কতক্ষণ সাল ৷ত
আদায়ের পরে বললেন, ও ছেলে ! দেখো তাে ৷ চাদ ডুরেছে কি না? আমি বললাম, না ৷ তখন
তিনি আরো কিছুক্ষণ সালাত আদায়ের পরে বললেন, চাদ অস্ত গিয়েছে কি ? আমি বললাম, ত্মী
হ’ তিনি বললেন, তবে রওয়ান৷ হওয়ার ব্যবস্থা কর ৷ আমরা প্ৰস্থা নের ব্যবস্থা করলাম এবং
(মিন৷ ৎণ্দ্ধপ্টিমাখ) চললাম ৷ এমন কি তিনি জা ৷মরায় কং কর মেরে ফিরে আসলেন এবং তার
অবস্থান স্থলে পৌছে ফজরের সাল ৷ত আদায় করলেন ৷ আ ৷মি তাকে বললাম, আশা ৷জ জান, আমার
মনে হয় আমরা আধার থাকভ্রুজী সালাত আদায় করে ফেল্লাম ! তিনি বললেন, হে বৎস ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) নারীদের জন্য এ অনুমতি দিয়েছেন ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত
করেছেন ইবন জুরায়জ (র) সুত্রে ঐ সনদে ৷ সুতরাং এখানে যেমন উল্লেখ করা হল-হযরত
আসমা’ বিনৎ (আবু বকর) সিদ্দীক (রা) ফজর হওয়ার আগে জ্যমরায় কৎকর মারা যদি
তাওকীফী’ অর্থাৎ নবী করীম (না)-এর পক্ষ হতে শরীআত সম্মত অনুমোদন রুপে হয়ে থাকে
তবে তার এ রিওয়ায়াত ইবন আব্বাস (রা)-এর (পুর্ববর্তী) রিওয়ায়াতের তুলনায় অগাধিকার
পাবে ৷ কেননা, আসমা’ (রা)-এর হাদীসের সনদ ইবন আব্বাসের হাদীসের সনদের তুলনায়



১ শেষ বয়সে হযরত আসমা (রা) দৃষ্টিশক্তি হা ৷রিয়ে ফেলেছিলেন ৷ অনুবাদক


كُهَيْلٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، ثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنِ الْأَعْمَشِ،، عَنِ الْحَكَمِ بْنِ عُتَيْبَةَ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «مَرَّ بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ النَّحْرِ وَعَلَيْنَا سَوَادٌ مِنَ اللَّيْلِ، فَجَعَلَ يَضْرِبُ أَفْخَاذَنَا وَيَقُولُ: " أَبَنِيَّ، أَفِيضُوا وَلَا تَرْمُوا الْجَمْرَةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ".» ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ الْمَسْعُودِيِّ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَعَفَةَ أَهْلِهِ مِنَ الْمُزْدَلِفَةِ بِلَيْلٍ، فَجَعَلَ يُوصِيهِمْ أَلَّا يَرْمُوا جَمْرَةَ الْعَقَبَةِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ.» وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عُقْبَةَ، ثَنَا حَمْزَةُ الزَّيَّاتُ عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَدِّمُ ضَعَفَةَ أَهْلِهِ بِغَلَسٍ، وَيَأْمُرُهُمْ. يَعْنِي أَلَّا يَرْمُوا الْجَمْرَةَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ.» وَكَذَا رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ غَيْلَانَ، عَنْ بِشْرِ بْنِ السَّرِيِّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حَبِيبٍ. قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: وَهُوَ ابْنُ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. فَخَرَجَ حَمْزَةُ الزَّيَّاتُ مِنْ عُهْدَتِهِ، وَجَادَ إِسْنَادُ الْحَدِيثِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৪০৫৬
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ مَوْلَى أَسْمَاءَ، «عَنْ أَسْمَاءَ أَنَّهَا نَزَلَتْ لَيْلَةَ جَمْعٍ عِنْدَ الْمُزْدَلِفَةِ، فَقَامَتْ تُصَلِّي، فَصَلَّتْ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَتْ: يَا بُنَيَّ هَلْ غَابَ الْقَمَرُ؟ قُلْتُ: لَا. فَصَلَّتْ سَاعَةً ثُمَّ قَالَتْ: هَلْ غَابَ الْقَمَرُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَتْ: فَارْتَحِلُوا. فَارْتَحَلْنَا فَمَضَيْنَا حَتَّى رَمَتِ الْجَمْرَةَ، ثُمَّ رَجَعَتْ فَصَلَّتِ الصُّبْحَ فِي مَنْزِلِهَا فَقُلْتُ لَهَا: يَا هَنْتَاهُ، مَا أُرَانَا إِلَّا قَدْ غَلَّسْنَا. فَقَالَتْ: يَا بُنَيَّ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَذِنَ لِلظُّعُنِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِهِ. فَإِنْ كَانَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ الصِّدِّيقِ رَمَتِ الْجِمَارَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ كَمَا ذُكِرَ هَاهُنَا عَنْ تَوْقِيفٍ، فَرِوَايَتُهَا مُقَدَّمَةٌ عَلَى رِوَايَةِ ابْنِ عَبَّاسٍ ; لِأَنَّ إِسْنَادَ حَدِيثِهَا أَصَحُّ مِنْ إِسْنَادِ حَدِيثِهِ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يُقَالَ: إِنَّ الْغِلْمَانَ أَخَفُّ حَالًا مِنَ النِّسَاءِ وَأَنْشَطُ، فَلِهَذَا أُمِرَ الْغِلْمَانُ بِأَلَّا يَرْمُوا قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ، وَأُذِنَ لِلظُّعُنِ فِي الرَّمْيِ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ ; لِأَنَّهُمْ أَثْقَلُ حَالًا وَأَبْلَغُ فِي التَّسَتُّرِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَإِنْ كَانَتْ أَسْمَاءُ لَمْ تَفْعَلْهُ عَنْ تَوْقِيفٍ، فَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ مُقَدَّمٌ عَلَى فِعْلِهَا، لَكِنْ يُقَوِّي الْأَوَّلَ قَوْلُ أَبِي دَاوُدَ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَلَّادٍ الْبَاهِلِيُّ، ثَنَا يَحْيَى، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَخْبَرَنِي مُخْبِرٌ «عَنْ أَسْمَاءَ أَنَّهَا رَمَتِ الْجَمْرَةَ بِلَيْلٍ. قُلْتُ: إِنَّا رَمَيْنَا الْجَمْرَةَ
পৃষ্ঠা - ৪০৫৭
بِلَيْلٍ! قَالَتْ: إِنَّا كُنَّا نَصْنَعُ هَذَا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، ثَنَا أَفْلَحُ بْنُ حُمَيْدٍ، عَنِ الْقَاسِمِ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «نَزَلْنَا الْمُزْدَلِفَةَ، فَاسْتَأْذَنَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَوْدَةُ أَنْ تَدْفَعَ قَبْلَ حَطْمَةِ النَّاسِ، وَكَانَتِ امْرَأَةً بَطِيئَةً، فَأَذِنَ لَهَا، فَدَفَعَتْ قَبْلَ حَطْمَةِ النَّاسِ، وَأَقَمْنَا نَحْنُ حَتَّى أَصْبَحْنَا، ثُمَّ دَفَعْنَا بِدَفْعِهِ، فَلَأَنْ أَكُونَ اسْتَأْذَنْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَمَا اسْتَأْذَنَتْ سَوْدَةُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ مَفْرُوحٍ بِهِ.» وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ، عَنِ الْقَعْنَبِيِّ عَنْ أَفْلَحَ بْنِ حُمَيْدٍ بِهِ. وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ بِهِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ - يَعْنِي ابْنَ عُثْمَانَ - عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: «أَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأُمِّ سَلَمَةَ لَيْلَةَ النَّحْرِ، فَرَمَتِ الْجَمْرَةَ قَبْلَ الْفَجْرِ، ثُمَّ مَضَتْ فَأَفَاضَتْ، وَكَانَ ذَلِكَ الْيَوْمَ الَّذِي يَكُونُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: يَعْنِي عِنْدَهَا.» انْفَرَدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ، وَهُوَ إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ، رِجَالُهُ ثِقَاتٌ.