আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

ذكر إفاضته عليه الصلاة والسلام، من عرفات إلى المشعر الحرام

ذكر إفاضته عليه الصلاة والسلام، من عرفات إلى المشعر الحرام

ذكر إفاضته عليه الصلاة والسلام، من عرفات إلى المشعر الحرام

ذكر إفاضته عليه الصلاة والسلام، من عرفات إلى المشعر الحرام

পৃষ্ঠা - ৪০৪৩


হয়েছিল ৷ ষ্সেটি ছিল জুমুআর দিন আরাফার বিকেল বেলা ৷ বুখারী (র) এটি রিওয়ায়াত
করেছেন হাসান ইবনুস-সাবাহ্ (র)হতে এবং বুখারী অন্য এক রিওয়ড়ায়াতে এবং মুসলিম,
তিরমিযী ও নাসাঈ (র) কায়স ইবন মুসলিম (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে ঐ সনদে উদ্ধৃত করেছেন ৷

আরাফাত হতে নবী বত্মীম (না)-এর আল-মাশআরুল হারাম-মৃযদালিফাঅভিষুখে গমন

জাবির (বা) তার দীর্ঘ হাদীসে বলেছেন, তিনি নবী করীম করতে থাকলেন ৷ অবশেষে
সুর্যড়াস্তের পর দিপন্তে তা হলু (সা) (আরাফা প্রান্তরে) অবস্থান দের আভা মিলিয়ে যেতে থাকলে
যখন সুর্য-বৃত্ত অদৃশ্য হয়ে গেল তখন উসামা (রা)-কে নিজের পিছনে সহ-আরোহী করে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) চলতে শুরু করলেন ৷ তিনি কাসওয়া উদ্রীর লাগাম এমন সজােরে টেনে রাখলেন
যে, তার মাথা তার উরু ছুতে লাগল ৷

তিনি তখন তার জ্ঞান হাত , দিয়ে ইৎগিত করে করে বলছিলেন লোক সকল ! ধীর ন্থিরে ৷

শান্তভাবে (এগিয়ে চল) ! সামনে কোন টিলা পাহাড় পড়লে তাতে চড়া পর্যন্ত উটনীর লাগাম

ঢিলা করে দিতেন ৷ এভাবে মুযদালিফায় পৌছে সেখানে এক আমান ও দুই ইকড়ামতে মাগরিব

ও ইশড়ার সালাতদ্বয় আদায় করলেন এবং এ দুইয়ের মাঝে কোন তাসবীহ (নকল) আদায়
করলেন না ৷ (মুসলিম)

বুখারী (র) আরাফা হতে প্রস্থানকালে চলার গতি ৷

অনুচ্ছেদ শিরোনামে বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন ইউসুফ থেকে বর্ণনা করেন, উসামা (রা)-কে
রাবী উরওয়ার উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসা করা হল-বিদায় হরুজ্জ আরাফা হতে ঘুয়দালিফা যাওয়ার
পথে নবী করীম (সা) কিভাবে পথ চলেছিলেন? তিনি বললেন, সাধারণত তিনি আনাক চালে
চলতেন, তার সামনে ফাকা দেখলে নাস’ চালে চলতেন ৷ রাবী হিশ ৷ম (র) বলেন, নাস হল
আনাক এর চেয়ে দ্রুততর গতি ৷

ইমাম আহম্মদ (র) এবং তিরমিযী (র) ব্যতীত ছয় গ্রন্থকার সকলেই হিশাম ইবন
উরওয়া উসামা ইবন যায়দ (রা) সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো
বলেন, ইয়াকুব (র) উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) হতে তিনি বলেন, আমি অ ৷রাফার শেষ বেলায়
রাসুলুল্লট্রুহ (সা) এর সহ-আরোহী ছিলাম ৷ উসামা (বা) বলেন, সুর্য অস্ত গেলে রাসুলুল্লাহ (সা)
(ষুযদালিফা পানে) চলতে লাপলেন, তিনি যখন পিছনে জনতার ভিড়ের হৈহল্লা শুনতে পেলেন
তখন বললেন- চুৰু৮ণ্^£ন্!-৷ মোঃ জৌ ঠো খ্যাঃ৷ ণ্র্চণ্ডুএং ৷াএগ্রাৰুৰুন্এন্ ষ্১;গ্র ধীরে, লোক সকল!
শান্ত স্থির থাকবে ! দ্রত উট ঘোড়া ছুটানােতে কোন পুন্য নেই ৷ উসামা (রা) বলেন, এভাবে
রাসুলুল্লাহ (সা) লোকদের ভিড় দেখলে অনোক গতিতে চলতেন এবং পথ ফীকা দেখলে উটকে
গতিশীল করতেন ৷ অবশেষে যুযদালিফায় উপনীত হলে তিনি মাগরিব ও ইশড়ার সালাতদ্বয়
একত্রিত করলেন ৷ তারপর ইমাম আহমদ (র) মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রের ইব্রাহীম (র)
উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) সনদেও অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমাদ (র) আরো
বলেন, আবু কামিল (র) ইবন উসামা ইবন যড়ায়দ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,



১ আনাক ( তাে) ও নাসস ( খো’) উঃটর গতি চলার বিশেষ ৷ প্রথমটি ঘাড় উচু করে দােলার তালে
চলা ৷ দ্বিতীয়টি দ্রুত চলার জন্য উটকে উত্তেজিত করা ৷-অনুবাদক


[ذِكْرُ إِفَاضَتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مِنْ عَرَفَاتٍ إِلَى الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ] قَالَ جَابِرٌ فِي حَدِيثِهِ الطَّوِيلِ: «فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ، وَذَهَبَتِ الصُّفْرَةُ قَلِيلًا حِينَ غَابَ الْقُرْصُ، فَأَرْدَفَ أُسَامَةَ خَلْفَهُ، وَدَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ شَنَقَ لِلْقَصْوَاءِ الزِّمَامَ حَتَّى إِنَّ رَأْسَهَا لِيُصِيبُ مَوْرِكَ رَحْلِهِ، وَيَقُولَ بِيَدِهِ الْيُمْنَى: " أَيُّهَا النَّاسُ، السَّكِينَةَ السَّكِينَةَ ". كُلَّمَا أَتَى حَبْلًا مِنَ الْحِبَالِ أَرْخَى لَهَا قَلِيلًا حَتَّى تَصْعَدَ، حَتَّى أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ، فَصَلَّى بِهَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِأَذَانٍ وَاحِدٍ وَإِقَامَتَيْنِ، وَلَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا شَيْئًا.» رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ السَّيْرِ إِذَا دَفَعَ مِنْ عَرَفَةَ. حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سُئِلَ أُسَامَةُ وَأَنَا جَالِسٌ: كَيْفَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسِيرُ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ حِينَ دَفَعَ؟ قَالَ: كَانَ يَسِيرُ الْعَنَقَ، فَإِذَا وَجَدَ فَجْوَةً نَصَّ. قَالَ هِشَامٌ: وَالنَّصُّ فَوْقَ الْعَنَقِ» وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ
পৃষ্ঠা - ৪০৪৪
وَبَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ إِلَّا التِّرْمِذِيَّ مِنْ طُرُقٍ عِدَّةٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَعْقُوبُ، ثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: «كُنْتُ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ. قَالَ: فَلَمَّا وَقَعَتِ الشَّمْسُ دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا سَمِعَ حَطْمَةَ النَّاسِ خَلْفَهُ قَالَ: " رُوَيْدًا أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَيْكُمُ السَّكِينَةَ، إِنَّ الْبِرَّ لَيْسَ بِالْإِيضَاعِ ". قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا الْتَحَمَ عَلَيْهِ النَّاسُ أَعْنَقَ، وَإِذَا وَجَدَ فُرَجَةً نَصَّ، حَتَّى أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَنَزَلَ بِهَا فَجَمَعَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ ; الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ الْآخِرَةِ.» ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، فَذَكَرَ مِثْلَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو كَامِلٍ، ثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ قَيْسِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ قَالَ: «أَفَاضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عَرَفَةَ وَأَنَا رَدِيفُهُ، فَجَعَلَ يَكْبَحُ رَاحِلَتَهُ حَتَّى إِنَّ ذِفْرَاهَا لَتَكَادُ تُصِيبُ قَادِمَةَ الرَّحْلِ،
পৃষ্ঠা - ৪০৪৫


রাসুলুল্লাহ (না) আরাফা হতে মুযদালিফায় চললেন ৷ আমি ছিলাম তার সহ-আরোহী ৷ তিনি
নিজের বাহনের লাগাম এমন শক্ত করে টেনে রাখতে লাগন্সেন-যে তার কর্ণমুল হাওদার সম্মুখ
ভাগ ছুয়ে য ড়াচ্ছিল প্রায় ৷ তিনি বলে চলেছিলেন-
-ট্টোা৷ দুা-৷ ষ্গ্ ওে৷ )া৷৷ গ্লু)দ্বুগ্লুাদ্বুৰু,া৷এ ঞ্জো৷ ণ্ও;া০ গ্রাশ্রোধ্ষ্া৷ষ্
লোক সকল ৷ শৃৎখলা সুস্থিরতা ও ভাব-গন্তীরতা রক্ষা করে চলবে; উট দ্রুত ছুটানােতে
কো ন বিশেষ পুণ্য নেই ৷ নাম সােঈ (র)এ হাদীসটি ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে

যুসলিমের বর্ণনা ৷য় অধিক রয়েছে ৷ উসামা (রা) বলেছেন, এভাবে তিনি ধীর স্থিরতা ৷র সংগে
চলতে চলতে ঘুযদ৷ ৷লিফায় উপনীত হলেন ৷

পথিমধ্যে অবতরণ এবং একত্রিত প্রসংগ :

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আহমদ ইবনুল হাজ্জাজ (র) ,উসামা ইবন যায়দ (বা) হতে,
এ মর্মে বনাি করেন যে, আরাফার দিন তিনি নবী করীম (সা) এর সহ-আরোহী হলেন ৷
অবশেষে গিরিপথে প্রবেশ করলে নবী করীম (না) (বাহন হতে নেমে পড়ে) পেশার করলেন
,তারপর উযু করে পুনরায় আরোহণ করলেন কিন্তু (মাগরিবের) সালাত আদায় করলেন না ৷
ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, আবদুস-সামাদ (র) উসামা ইবন যায়দ (রা) সুত্রে বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) আরাফাত হতে চলে আসার সময় আমি তার সহ-আরোহী ছিলাম ৷ ঘুযদালিফায়
পৌছা পর্যন্ত তার বাহন তার পা উপর্বুপরি না তুলেই চলল, ইমাম আহমদ (র) বলেন, সুফিয়ান
(র) উসাম৷ ইবন যায়দ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (না) তাকে আরাফা হতে সহ-আরোহী
করলেন ৷ পাহাড়ী মােড়ে গুহার কাছে পৌছলে তিনি অবতরণ করে পেশার করলেন ৷ এ বর্ণনায়
রাবী পানি ঢাললেন ( ; গ্রা এ)ফো) বলেন নি ৷ আমি তাকে পানি ঢেলে দিলে তিনি সংক্ষিপ্ত উযু
করলেন ৷ আমি বললাম, সালাত ? তিনি বললেন এশ্০গ্রা ঢক্রোা“সালাত তোমার সম্মুখে ৷”
রাবী বলেন, তারপর যুযদালিফায় পৌছে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর লোকেরা
হাওদা খোলার কাজ সেরে আসলে ইশার সালাত আদায় করলেন ৷ইমাম আহম্মদ (র) এরুপ
সনদেই অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর নাসা ৷ঈ (র) ও ভিন্ন সুত্রে পুর্বানুরুপ সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখ৷ ৷রী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ উসাম৷ ইবন যায়দ (রা) হতে
এ মমে বর্ণনা করেন যে, রাবী কুরায়ব (র) তা ৷কে বলতে শুনেছেন, রাসুলুল্পাহ্ (না) তা ড়ারাফা হতে
চলতে লাগলেন ৷ পথে গিরিপথে অবতরণ করে তিনি পেশ ৷ব করলেন, তারপর সংক্ষিপ্ত উযু
করলেন, আমি তখন তাকে বললাম ৷ সালাত? তিনি বললেন, “সালাত তোমার সামনে রয়েছে ৷
পরে তিনি মুযদালিফায় এসে পুর্ণাঙ্গ উযু করলেন ৷ তারপর সালাতের ইকামত দেয়া হলে
মাগরিরের সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর লোকেরা নিজ নিজ অবতরণ ক্ষেত্রে নিজ নিজ উট
বসিয়ে এল ৷

তারপর সালাতের ইকামত বলা হলে তিনি ইশার সালাত আদায় করলেন এবং এ দৃয়ের
মাঝে (অন্য) কোন সালাত আদায় করলেন না ৷ বুখারী (র), মুসলিম (র) ও নাসাঈ (র) ভিন্ন
ভিন্ন সুত্রে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ কুরায়ব (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা)
আমাকে ফাযল (রা)-এর বরাতে জানিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) জামরায় পৌছা পর্যন্ত


وَيَقُولُ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَيْكُمُ السَّكِينَةَ وَالْوَقَارَ، فَإِنَّ الْبِرَّ لَيْسَ فِي إِيضَاعِ الْإِبِلِ ".» وَكَذَا رَوَاهُ، عَنْ عَفَّانَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ، وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُسَامَةَ بِنَحْوِهِ. قَالَ: وَقَالَ أُسَامَةُ: فَمَا زَالَ يَسِيرُ عَلَى هَيْنَتِهِ حَتَّى أَتَى جَمْعًا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَجَّاجِ، ثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ،، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، «أَنَّهُ أَرْدَفَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عَرَفَةَ حَتَّى دَخَلَ الشِّعْبَ، ثُمَّ أَهْرَاقَ الْمَاءَ وَتَوَضَّأَ، ثُمَّ رَكِبَ وَلَمْ يُصَلِّ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، ثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ أُسَامَةَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ قَالَ: «كُنْتُ رَدِيفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَفَاضَ مِنْ عَرَفَاتٍ، فَلَمْ تَرْفَعْ رَاحِلَتُهُ رِجْلَهَا عَادِيَةً حَتَّى بَلَغَ جَمْعًا.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ
পৃষ্ঠা - ৪০৪৬
ابْنِ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَنِي أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْدَفَهُ مِنْ عَرَفَةَ، فَلَمَّا أَتَى الشِّعْبَ نَزَلَ فَبَالَ، وَلَمْ يَقُلْ: أَهْرَاقَ الْمَاءَ. فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ فَتَوَضَّأَ وَضُوءًا خَفِيفًا، فَقُلْتُ: الصَّلَاةَ. فَقَالَ: " الصَّلَاةُ أَمَامَكَ ". قَالَ: ثُمَّ أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ، ثُمَّ حَلُّوا رِحَالَهُمْ، وَأَعَنْتُهُ ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ.» كَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، فَذَكَرَهُ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ حُرَيْثٍ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ وَمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حَرْمَلَةَ، كِلَاهُمَا عَنْ كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُسَامَةَ. قَالَ شَيْخُنَا أَبُو الْحَجَّاجِ الْمِزِّيُّ فِي " أَطْرَافِهِ ": وَالصَّحِيحُ كُرَيْبٌ عَنْ أُسَامَةَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ: «دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عَرَفَةَ، فَنَزَلَ الشِّعْبَ فَبَالَ، ثُمَّ تَوَضَّأَ فَلَمْ يُسْبِغِ الْوُضُوءَ، فَقُلْتُ لَهُ: الصَّلَاةَ. فَقَالَ: " الصَّلَاةُ أَمَامَكَ ". فَجَاءَ الْمُزْدَلِفَةَ فَتَوَضَّأَ فَأَسْبَغَ، ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ، ثُمَّ أَنَاخَ كُلُّ إِنْسَانٍ بِعِيرَهُ فِي مَنْزِلِهِ، ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَصَلَّى - الْعِشَاءَ - وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا.» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا، عَنِ الْقَعْنَبِيِّ، وَمُسْلِمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، وَالنَّسَائِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৪০৪৭
وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، أَيْضًا. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ وَمُحَمَّدِ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ كَنَحْوِ رِوَايَةِ أَخِيهِمَا مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا: ثَنَا قُتَيْبَةُ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حَرْمَلَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ قَالَ: «رَدَفْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عَرَفَاتٍ، فَلَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الشِّعْبَ الْأَيْسَرَ الَّذِي دُونَ الْمُزْدَلِفَةَ أَنَاخَ فَبَالَ، ثُمَّ جَاءَ فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ الْوَضُوءَ، فَتَوَضَّأَ وُضُوءًا خَفِيفًا. فَقُلْتُ: الصَّلَاةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " الصَّلَاةُ أَمَامَكَ ". فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَصَلَّى، ثُمَّ رَدِفَ الْفَضْلُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَدَاةَ جَمْعٍ. قَالَ كُرَيْبٌ: فَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى بَلَغَ الْجَمْرَةَ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ وَيَحْيَى بْنِ يَحْيَى وَيَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ وَعَلِيِّ بْنِ حُجْرٍ، أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا عُمَرُ بْنُ ذَرٍّ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْدَفَهُ مِنْ عَرَفَةَ. قَالَ: فَقَالَ النَّاسُ: سَيُخْبِرُنَا صَاحِبُنَا مَا صَنَعَ. قَالَ: فَقَالَ أُسَامَةُ: لَمَّا دَفَعَ مِنْ عَرَفَةَ فَوَقَفَ، كَفَّ رَأْسَ رَاحِلَتِهِ، حَتَّى
পৃষ্ঠা - ৪০৪৮


তালবিয়া উচ্চারণ করতে থাকলেন ৷ মুসলিম (র) এ হাদীসখানা বিভিন্ন রাবীর বরাতে বংনাি
করেছেন ৷ ইমাম আহম্মদ (র) বলেন, ওয়ার্কী (র) উসামা ইবন যায়দ (বা) হতে এমর্মে বংনাি
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে আরাফা হতে রওয়ানা কালে সহ-আরোহী করলেন ৷ রাবী
বলেন, তখন লোকেরা বলাবলি করল যে, আমাদের এ সাথী (উসামা) তার (নবী করীম (সা)
এর কর্ম ধারা আমাদের অবহিত করতে পারবে ৷ (রাবী বলেন) উসামা (রা) বলেছেন, আরফো
থেকে চলতে শুরু করলে (প্রথমে) তিনি থেমে পড়লেন, তার বাহনের , মাথা এমন ভাবে
থামিয়ে রাখলেন যে, তার মাথা হাওদার মাঝ বরাবার পৌছে গিয়েছিল-কিৎৰা প্রায় পৌছে
ছিল ৷ তিনি হাতের ইশারায় লোকদের বলছিলেন,শৃৎখলা ! শৃৎখল৷ ! শৃৎখল৷ ! এভাবে মুযদালিফায়
উপনীত হলেন !

তারপর (পরের দিন) ফাযল ইবন আব্বাস (রা)-কে সহ-আরোহী করলেন ! রাবী বল্লেন,
তখন লোকেরা বলাবলি করল, আমাদের এ সাথী (উসামা) তার (নবী সা) এর কর্ম ধারা
আমাদের অবহিত করতে পারবে ৷ পরে ফাযল (রা) বললেন, নবী করীম (সা) মৃদু গতিতে গত
দিনের মতই ধীরে ধীরে চলতে থাকলেন ৷ ওয়াদী মুহাসসার (নিম্মভুমিতে) পৌছলে তিনি চলার
গতি দ্রুততর করে দিলেন, যতক্ষণ না বাহন তাকে নিয়ে সমতল ভুমিতে পৌছল ৷ বুখারী (র)
বলেন,সাঈদ ইবন আবু মারয়াম (র) ইবন আব্বাস (রা)-এর বরড়াতে হাদীস শুনিয়েছেন যে,
আরাফার দিন নবী করীম (সা) ঘুযদালিফার উদ্দেশ্যে চলতে শুরু করলেন ৷ নবী করীম (না)
তার পিছনে প্রচন্ড ইাক ডাক ও উট প্রহার করার আওয়ায শুনতে পেয়ে তার চাবুক দিয়ে তাদের
দিকে ইংগিত করে বললেন, লোক সকল! ক্রোঙ্ ৰুন্নুন্া; তোমরা শান্তি শৃৎখলা বজায় রেখে
চলো; কেননা, উট তড়াড়ানােতে কোন বিশেষ পুণ্য নেই ৷ এ সুত্রে একাকী বুখারী (র) এ
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ! আর ইমাম আহমদ, মুসলিম ও নাসাঈ (র) কর্তৃক আতা ইবন
আবু রাবাহ, ইবন আব্বাস, উসামা ইবন যায়দ (রা)-এ সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াতের বিবরণ
পুর্বেই উল্লেখিত হয়েছে ৷ আল্পাহই সমধিক অবগত ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, এ হাদীস উদ্ধৃত করা কালে অতিরিক্ত বলেছেন ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, তারপরে তার মুযদালিফায় অবতরণ করা পর্যন্ত কোন পড়া তুলে চলাচন্সকারী (অর্থাৎ
কোন বাহন) কে ছুটে এগিয়ে যেতে দেখিনি ৷

ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, হুসায়ন ও আবু নুআয়ম (র) তিনি ইবন আব্বাস (রা)
থেকে এ মর্মে উদ্ধৃত করেছেন যে, আরাফাত ও ঘুযদালিফায় নবী কবীম (সা) যখনই কোথাও
অবতরণ করেকেরেছেন তা শুধু প্ৰশ্রবের জন্য ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াযীদ ইবন হারুন
(র)-আনাস ইবন সীবীন (র) হতে, তিনি বলেন, আমি ইবন উমার (রা)-এর সংগে আরাফাতে
ছিলাম ৷ তিনি কোথাও বের হওয়ার সময় হলে আমিও তার সাথে রেরোতাম ৷ শেষ পর্যন্ত তিনি
ইমামের সাথে প্রথম ওয়াক্ত (যুহর) ও আসর সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর তিনি এবং
আমার সংগীদের নিয়ে আমি ও তার সাথে অবস্থান করলাম ৷ পরে ইমাম মুযদালিফার উদ্দেশ্যে
চলতে শুরু করলে আমরাও তার সাথে চলতে শুরু করলাম ৷ আমরা গিরিপথদ্বয়ের আগের
অপরিসর স্থানে পৌছলে তিনি উট বসালেন ৷ আমরাও উট বসালাম ৷ আমরা অনুমান করছিলাম
যে, তিনি এখানে (মাণরিব) সালাত আদায় করতে মনস্থ করছেন ৷ তখন তার বাহনের দায়িত্


أَصَابَ رَأْسُهَا وَاسِطَةَ الرَّحْلِ أَوْ كَادَ يُصِيبُهُ، يُشِيرُ إِلَى النَّاسِ بِيَدِهِ: " السَّكِينَةَ السَّكِينَةَ السَّكِينَةَ ". حَتَّى أَتَى جَمْعًا، ثُمَّ أَرْدَفَ الْفَضْلَ بْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ: فَقَالَ النَّاسُ: سَيُخْبِرُنَا صَاحِبُنَا بِمَا صَنَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ الْفَضْلُ: لَمْ يَزَلْ يَسِيرُ سَيْرًا لَيِّنًا كَسَيْرِهِ بِالْأَمْسِ، حَتَّى أَتَى عَلَى وَادِي مُحَسِّرٍ، فَدَفَعَ فِيهِ حَتَّى اسْتَوَتْ بِهِ الْأَرْضُ.» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُوَيْدٍ، حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ أَبِي عَمْرٍو مَوْلَى الْمُطَّلِبِ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ مَوْلَى وَالِبَةَ الْكُوفِيِّ، حَدَّثَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، «أَنَّهُ دَفَعَ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عَرَفَةَ، فَسَمِعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَاءَهُ زَجْرًا شَدِيدًا، وَضَرْبًا لِلْإِبِلِ، فَأَشَارَ بِسَوْطِهِ إِلَيْهِمْ، وَقَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، عَلَيْكُمْ بِالسَّكِينَةِ، فَإِنَّ الْبِرَّ لَيْسَ بِالْإِيضَاعِ ".» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ رِوَايَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ وَمُسْلِمٍ وَالنَّسَائِيِّ هَذَا مِنْ طَرِيقِ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُمَرَ. ثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «لَمَّا أَفَاضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عَرَفَاتٍ أَوْضَعَ النَّاسُ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنَادِيًا يُنَادِي: " أَيُّهَا النَّاسُ، لَيْسَ الْبِرُّ بِإِيضَاعِ الْخَيْلِ وَلَا الرِّكَابِ ". قَالَ: فَمَا رَأَيْتُ مِنْ رَافِعَةٍ يَدَيْهَا عَادِيَةً، حَتَّى نَزَلَ جَمْعًا.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا حُسَيْنٌ وَأَبُو نُعَيْمٍ، قَالَا: ثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৪০৪৯
عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ قَالَ: حَدَّثَنِي مَنْ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: «لَمْ يَنْزِلْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ عَرَفَاتٍ وَجَمْعٍ إِلَّا لِيُهَرِيقَ الْمَاءَ» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ: «كُنْتُ مَعَ ابْنِ عُمَرَ بِعَرَفَاتٍ، فَلَمَّا كَانَ حِينَ رَاحَ رُحْتُ مَعَهُ حَتَّى أَتَى الْإِمَامَ، فَصَلَّى مَعَهُ الْأُولَى وَالْعَصْرَ، ثُمَّ وَقَفَ مَعَهُ وَأَنَا وَأَصْحَابٌ لِي حَتَّى أَفَاضَ الْإِمَامُ فَأَفَضْنَا مَعَهُ، حَتَّى انْتَهَيْنَا إِلَى الْمَضِيقِ دُونَ الْمَأْزِمَيْنِ، فَأَنَاخَ وَأَنَخْنَا، وَنَحْنُ نَحْسَبُ أَنَّهُ يُرِيدُ أَنْ يُصَلِّيَ، فَقَالَ غُلَامُهُ الَّذِي يُمْسِكُ رَاحِلَتَهُ: إِنَّهُ لَيْسَ يُرِيدُ الصَّلَاةَ، وَلَكِنَّهُ ذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا انْتَهَى إِلَى هَذَا الْمَكَانِ قَضَى حَاجَتَهُ، فَهُوَ يُحِبُّ أَنْ يَقْضِيَ حَاجَتَهُ.» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُوسَى، ثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: «كَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يَجْمَعُ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ غَيْرَ أَنَّهُ يَمُرُّ بِالشِّعْبِ الَّذِي أَخَذَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَدْخُلُ فَيَنْتَفِضُ، وَيَتَوَضَّأُ وَلَا يُصَلِّي حَتَّى يَجِيءَ جَمْعًا» . تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا آدَمُ، ثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৪০৫০


পালনকাবী গোলাম বলল, তিনি সালাত আদায়ের ইচ্ছা করছেন না ৷ তবে তিনি উল্লেখ করেছেন
যে, নবী করীম (সা) এখানে পৌছলে পেশার করতেন ৷ তাই তিনি (ইবন উমার)-ও এখানে তা
করা পসন্দ করেছেন ৷

বুখাবী (র) বলেন, মুসা জুওয়ায়রিয়া (র) নাফি (র) হতে--তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন
উমর (রা) যুযদালিফায় মাগরিব ও ইশা একত্রিত করে আদায় করতেন ৷ তবে তিনি সে গিরিপথ
দিয়ে চলতেন যে পথে নবী করীম (সা) চলেছিলেন এবং সেখানে প্রবেশ করে ইসতিনজা ও উয়ু
করতেন এবং মুযদালিফায় উপনীত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করতেন না ৷ এ সুত্রে বৃখাবী
(র) একাকী বর্ণনা করেছেন ৷ বুখারী (র) আরো বলেন, তিনি বলেন, আদম ইবন আবু যিব
(র)ইবন উমর (বা) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, নবী করীম (সা) যুযদালিফায়
মম্পোরিব ও ইশা একত্র করে আদায় করলেন, প্রতি সালাত স্বতন্ত্র ইকামতে; এ দুরের মাঝে
কিৎবা এর কোন সালাতের অব্যবহিত পরে তাসবীহ (নফল সালাত) আদায় করেন নি ৷ মুসলিম
(র)-ও অনুরুপ রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷ ইবন উমর (বা) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্পাহ্ (সা)
ঘুযদালিফায় মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করলেন, পরবর্তী বর্ণনায় মুসলিম (র) বলেন,
হারমালা (র) ইবন উমার (রা) সনদে বর্ণিত রিওয়ায়াতে অতিরিক্ত বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
মাপরিব তিন রাকআত আদায় করলেন এবং ইশা আদায় করলেন দুই রাকআত ৷ তাই
আবদুল্লাহ্ (রা)-ও আজীবন মুযদালিফায় অনুরুপ পস্থায় সালাত আদায় করেছেন ৷ তারপর
মুসলিম (র) শুবা, সাঈদ ইবন জ্বায়ের সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র)-এর
পরবর্তী বণর্ন৷ আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র) আবু ইসহাক (র) হতে তিনি বলেন, সাঈদ
ইবন জুবায়র (র) বলেছেন, আমরা ইবন উমর (রা)-এর সংগে (ইফাযা: করে অর্থাৎ) আরাফাত
থেকে রওয়ানা করে মুযদালিফায় পৌছলাম ৷ তিনি আমাদের নিয়ে মাগরিব ও ইশা’ এক
ইমামাতে আদায় করলেন ৷ এরপর ঘরে বসে বললেন রাসুলুল্লাহ (সা) এ , স্থানে আমাদের নিয়ে
এ ভাবেই সালাত আদায় করেছেন ৷ বুখাবী (র) ও নসােঈ (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে অনুরুপ
রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷

বুখারী (র) এর পরবর্তী অনুচ্ছেদ উভয় সালাতের জ্যা স্বতন্ত্র আমান ইকামত প্রসঙ্গ

আমর ইবন খালিদ (র)আবু ইসহাক (র) সুত্রে (তিনি বলেন) আবদুর রহমান ইবন
ইয়াযীদ (র)-কে আমি বলতে শুনেছি, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) হজ্জ পালন করলেন ৷ আমরা
আতামা (ইশা)-র আযানের সময় কিংবা তার কাছাকাছি সময়ে যুযদালিফা-য় পৌছলাম ৷
আবদুল্লাহ (বা) এক ব্যক্তিকে হুকুম করলে সে আমান দিল ও ইকামত বলল ৷ তিনি মাগরির
সালাত আদায় করলেন এবং তারপরে দুই রাকআত আদায় করলেন ৷ তারপর তারা রাতের
খাবার আনিয়ে তা খেলেন ৷ তারপর এক ব্যক্তিকে আদেশ করলে সে আমান দিল ও ইকামত
বলল ৷ তারপর ইশার সালাত দুই রাকআত আদায় করলেন ৷ পরে ফজরের সময় হলে
(একেবারে প্রথম ওয়াক্তে ফজর সালাত আদায় করে) তিনি বললেন, এ দিনের এবং এ
স্থানের এই সালাত ব্যতীত এত আগ মুহুর্তে নবী করীম (সা) অন্য কোন সময় ফজরের সালাত
আদায় করতেন না ৷ ” আবদুল্লাহ (রা) বলেছেন, এ দুই সালাত এমন যা স্থানন্তরিত করা হয়ে
থাকে-মাগরিব আদায় করা হয় লোকজন ঘুয্দালিফায় এসে সমবেত হলে, আর ফজর সালাত


عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «جَمَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِجَمْعٍ، كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا بِإِقَامَةٍ، وَلَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا، وَلَا عَلَى إِثْرِ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِالْمُزْدَلِفَةِ جَمِيعًا. ثُمَّ قَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ قَالَ: «جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ، لَيْسَ بَيْنَهُمَا سَجْدَةٌ، فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثَلَاثَ رَكَعَاتٍ، وَصَلَّى الْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ، فَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ يُصَلِّي بِجَمْعٍ كَذَلِكَ حَتَّى لَحِقَ بِاللَّهِ.» ثُمَّ رَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ وَسَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، «عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، أَنَّهُ صَلَّى الْمَغْرِبَ بِجَمْعٍ وَالْعِشَاءَ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ، ثُمَّ حَدَّثَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ صَلَّى مِثْلَ ذَلِكَ. وَحَدَّثَ ابْنُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَنَعَ مِثْلَ ذَلِكَ» . ثُمَّ رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ سَلَمَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «جَمَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ بِجَمْعٍ صَلَّى الْمَغْرِبَ ثَلَاثًا وَالْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ.» ثُمَّ قَالَ مُسْلِمٌ: ثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ ثَنَا
পৃষ্ঠা - ৪০৫১
إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ قَالَ: قَالَ سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ «أَفَضْنَا مَعَ ابْنِ عُمَرَ حَتَّى أَتَيْنَا جَمْعًا فَصَلَّى بِنَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِإِقَامَةٍ وَاحِدَةٍ، ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ: هَكَذَا صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذَا الْمَكَانِ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْخَطْمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيُّ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَمَعَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِالْمُزْدَلِفَةِ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا فِي الْمَغَازِي، عَنِ الْقَعْنَبِيِّ، عَنْ مَالِكٍ، وَمُسْلِمٍ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ وَاللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ بِهِ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ أَيْضًا، عَنِ الْفَلَّاسِ، عَنْ يَحْيَى الْقَطَّانِ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ مَنْ أَذَّنَ وَأَقَامَ لِكُلِّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا. حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، ثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، «سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ يَقُولُ: حَجَّ عَبْدُ اللَّهِ، فَأَتَيْنَا الْمُزْدَلِفَةَ حِينَ الْأَذَانِ بِالْعَتَمَةِ أَوْ قَرِيبًا مِنْ ذَلِكَ، فَأَمَرَ رَجُلًا فَأَذَّنَ وَأَقَامَ، ثُمَّ صَلَّى الْمَغْرِبَ وَصَلَّى بَعْدَهَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ دَعَا بِعَشَائِهِ فَتَعَشَّى، ثُمَّ أَمَرَ رَجُلًا فَأَذَّنَ وَأَقَامَ - قَالَ عَمْرٌو: لَا أَعْلَمُ الشَّكَّ إِلَّا مِنْ زُهَيْرٍ - ثُمَّ صَلَّى الْعِشَاءَ رَكْعَتَيْنِ، فَلَمَّا طَلَعَ الْفَجْرُ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لَا يُصَلِّي هَذِهِ السَّاعَةَ إِلَّا هَذِهِ الصَّلَاةَ فِي هَذَا الْمَكَانِ مِنْ هَذَا الْيَوْمِ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: هُمَا صَلَاتَانِ تُحَوَّلَانِ عَنْ وَقْتِهِمَا ; صَلَاةُ الْمَغْرِبِ بَعْدَ مَا يَأْتِي النَّاسُ الْمُزْدَلِفَةَ، وَالْفَجْرِ حِينَ يَبْزُغُ
পৃষ্ঠা - ৪০৫২
الْفَجْرُ. قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُهُ» . وَهَذَا اللَّفْظُ، وَهُوَ قَوْلُهُ: وَالْفَجْرِ حِينَ يَبْزُغُ الْفَجْرُ. أَبْيَنُ وَأَظْهَرُ مِنَ الْحَدِيثِ الْآخَرِ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عُمَرَ بْنِ غِيَاثٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى صَلَاةً لِغَيْرِ مِيقَاتِهَا إِلَّا صَلَاتَيْنِ ; جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ، وَصَلَّى الْفَجْرَ قَبْلَ مِيقَاتِهَا.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ وَجَرِيرٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَقَالَ جَابِرٌ فِي حَدِيثِهِ: «ثُمَّ اضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى طَلَعَ الْفَجْرُ، فَصَلَّى الْفَجْرَ حَتَّى تَبَيَّنَ لَهُ الصُّبْحُ بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ. وَقَدْ شَهِدَ مَعَهُ هَذِهِ الصَّلَاةَ عُرْوَةُ بْنُ مُضَرِّسِ بْنِ أَوْسِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ لَامٍ الطَّائِيُّ.» قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا هُشَيْمٌ، ثَنَا ابْنُ أَبِي خَالِدٍ وَزَكَرِيَّا، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ مُضَرِّسٍ قَالَ: «أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِجَمْعٍ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، جِئْتُكَ مِنْ جَبَلَيْ طَيِّءٍ، أَتْعَبْتُ نَفْسِي وَأَنْصَبْتُ رَاحِلَتِي، وَاللَّهِ مَا تَرَكْتُ مِنْ جَبَلٍ إِلَّا وَقَفْتُ عَلَيْهِ، فَهَلْ لِي مِنْ حَجٍّ؟ فَقَالَ: " مَنْ شَهِدَ مَعَنَا هَذِهِ الصَّلَاةَ - يَعْنِي صَلَاةَ الْفَجْرِ - بِجَمْعٍ، وَوَقَفَ مَعَنَا حَتَّى نُفِيضَ مِنْهُ، وَقَدْ أَفَاضَ قَبْلَ ذَلِكَ مِنْ عَرَفَاتٍ لَيْلًا أَوْ نَهَارًا، فَقَدْ تَمَّ حَجُّهُ وَقَضَى تَفَثَهُ ".» وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا، وَأَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةُ مِنْ طُرُقٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ