سنة عشر من الهجرة النبوية
حجة الوداع في سنة عشر
نزول النبي صلى الله عليه وسلم بالأبطح شرقي مكة
পৃষ্ঠা - ৪০১৬
নিয়ে বেরিয়ে এসে তার সামনে সেটি পুতে দিলে রাসুলুল্পাহ্ (সা) সালাত আদায় করলেন
বাতহায় কিন্তু আবদুর রাঘৃযাক (র) বলেন, তাকে (উর্ধ্বতন রাবী সুফিয়ান কে আমি মক্কায়
কথাটি বলতে শুনেছি) তার সামনে দিয়ে (সুতরাং রুপে ব্যবহৃত বল্লমের অপর পাশ দিয়ে)
কুকুর, নারী ও মধ্যে চলাচল করছিল এবং তার পায়ে শোভা পাচ্ছিল এক জোড়া লাল পোষাক
আজো যেন, আমি তার পায়ের গোছাদ্বয়ের ঔজ্জ্বল্য দেখতে পাচ্ছি ৷ বর্ণনাকারী আরো বলেন,
আমি আবতাহে নবী কবীম (না)-এর কাছে উপস্থিত হলাম ৷ তিনি তখন একটি লাল র্তাৰুতে
অবস্থান করছিলেন ৷ বিলাল (না) তখন নবী করীম (না)-এর উযুর অবগ্রিষ্টি পানি নিয়ে বেরিয়ে
এলেন ৷ (তখন সে পানির বরকত লাভের জন্য হৈচৈ পড়ে গেল) কেউ কিছু পেল, কেউ ছিটা
ফৌটা পেয়ে ধন্য হলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, বিলাল (বা) আযান দিলেন ৷ আমি তার মুখ
ঘুরানাে প্রত্যক্ষ করছিলাম, কখনো এদিকে বা কখনো ওদিকে অর্থাৎ ড্যান বীমে ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, তারপর তার জন্য একটি ক্ষুদে বল্লম পুতে দেয়া হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বেরিয়ে এলেন,
তখন তার পরিধড়ানে ছিল একটি লাল জুব্বা কিং বা লাল জে ৷ড়া পোষাক (জামা ও লুৎর্গী), আমি
যেন (এখনও) তার গোছাদ্বয়ের ঔজ্জ্বল্য দেখতে পা ড়াচ্ছি ৷ তিনি আমাদের নিয়ে একটি বল্লম
সামনে রেখে যুহর কিৎবা আসর সালাত দুই রাকআত আদায় করলেন ৷ (সামনে দিয়ে)
নির্বিবাদে যেয়ে লোক, কুকুর ও মধ্যে চলাচল করছিল ৷
তারপর মদীনায় ফিরে আসা পর্যন্ত দু বাকআত করে আদায় করতে থাকলেন ৷ বর্ণনাকারী
কখনো কখনো বলেছেন-যুহর এবং আসর, দু রাকআত (করে) আদায় করলেন ৷ প্রধান
ইমামদ্বয় তাদের দুই সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীস সুফিয়ান ছাওরী (র)-এর বরাতে উদ্ধৃত করেছেন ৷
আহমদ (র) আরো বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন জাফর (র) আবু জুহায়ফা (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুপুর বেলা ক০ করময় মাঠে বেরিয়ে এসে উযু করলেন
এবং যুহর দুই রাকআত আদায় করলেন ৷ তখন তার সামনে (সুতরাং রুপে) ছিল একটি ছোট্ট
বল্লম ৷ এ রিওয়ায়াতে আওন অতিরিক্ত যোগ করেছেন ৷ আমাদের সামনে দিয়ে মধ্যে ও নারীরা
চলাচল করছিল ৷ (মুহাম্মদ ইবন জাফরের অন্যতম শায়খ) হাজ্জাজ (বা) এ হাদীসে
অতিরিক্ত বলেছেন ৷ তারপর লোকেরা দাড়িয়ে তার হাত ধরে ধরে তা নিজেদের মুখমওলে
লাগিয়ে নিচ্ছিল ৷ আবু জুহায়ফা (রা) বলেন, আমিও তার হাত ধরলাম এবং তা আমার মুখে
লাগালাম ৷ আমি অনুভব করলাম যে, বরফের চাইতে শীতল ও মিশকের চাইতে অধিকতর
সুগন্ধিযুক্ত ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ের গ্রন্থকারদ্বয় শুবা (র)-এর হাদীস সংগ্রহ হতে এ হাদীস পুর্ণাৎগ
আহরণ করেছেন ৷
অনুচ্ছেদ : মিনা অভিমুখে যাত্রা ও নবী জ্জীম (না)-এর ভাষণ ও ইহৰাম তালবিয়া প্রসংগ
পুবেই যেমন বিবৃত করেছি, নবী করীম (সা) রবিবার হতে বুধবার পর্যন্ত আবতাহে অবস্থান
করলেন এবং হড়াদীবিহীন লোকেরা হালাল হয়ে গেল ৷ আলী (বা) এ সময় ইয়ামান হতে তার
সহযাত্রী মুসলমান কাফেলা ও অর্থ সম্পদ সহকারে আগমন করলেন ৷ প্রথম বারের তাওয়াফের
পরে নবী করীম (সা) আর কাবায় ফিরে পেলেন না ৷ তারপর নবী করীম (সা) বৃহস্পতিবারের
সকালে আবতাহে সে দিনের ফজর সালাত আদায় করলেন ৷ এ দিনটি ইয়াওঘুততারবিয়া
নামে অভিহিত এবং এ দিন মিনা অভিমুখে যাত্রা করা হয়, বিধায় এদিকে মিনা দিবসও বলা
رَأَى مَا عِنْدَهُمْ مِنْ ذَلِكَ قَالَ لَهُمْ: «لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ لَمَا سُقْتُ الْهَدْيَ وَلَجَعَلْتُهَا عُمْرَةً ".» أَيْ لَوْ أَعْلَمُ أَنَّ هَذَا يَشُقُّ عَلَيْكُمْ لَكُنْتُ تَرَكْتُ سَوْقَ الْهَدْيِ حَتَّى أَحِلَّ كَمَا أَحْلَلْتُمْ. وَمِنْ هَاهُنَا تَتَّضِحُ الدَّلَالَةُ عَلَى أَفْضَلِيَّةِ التَّمَتُّعِ كَمَا ذَهَبَ إِلَيْهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَخْذًا مِنْ هَذَا، فَإِنَّهُ قَالَ: لَا أَشُكُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ قَارِنًا، وَلَكِنَّ التَّمَتُّعَ أَفْضَلُ لِتَأَسُّفِهِ عَلَيْهِ. وَجَوَابُهُ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يَتَأَسَّفْ عَلَى التَّمَتُّعِ لِكَوْنِهِ أَفْضَلَ مِنَ الْقِرَانِ فِي حَقِّ مَنْ سَاقَ الْهَدْيَ، وَإِنَّمَا تَأَسَّفَ عَلَيْهِ لِئَلَّا يَشُقَّ عَلَى أَصْحَابِهِ فِي بَقَائِهِ عَلَى إِحْرَامِهِ وَأَمْرِهِ لَهُمْ بِالْإِحْلَالِ، وَلِهَذَا وَاللَّهُ أَعْلَمُ لَمَّا تَأَمَّلَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ هَذَا السِّرَّ، نَصَّ فِي رِوَايَةٍ أُخْرَى عَنْهُ عَلَى أَنَّ التَّمَتُّعَ أَفْضَلُ فِي حَقِّ مَنْ لَمْ يَسُقِ الْهَدْيَ ; لِأَمْرِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، مَنْ لَمْ يَسُقِ الْهَدْيَ مِنْ أَصْحَابِهِ بِالتَّمَتُّعِ، وَأَنَّ الْقِرَانَ أَفْضَلُ فِي حَقِّ مَنْ سَاقَ الْهَدْيَ كَمَا اخْتَارَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِنَبِيِّهِ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَأَمْرِهِ لَهُ بِذَلِكَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[نُزُولُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْأَبْطَحِ شَرْقِيَّ مَكَّةَ]
فَصْلٌ (نُزُولُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْأَبْطَحِ شَرْقِيَّ مَكَّةَ)
ثُمَّ سَارَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، بَعْدَ فَرَاغِهِ مِنْ طَوَافِهِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَأَمْرِهِ بِالْفَسْخِ لِمَنْ لَمْ يَسُقِ الْهَدْيَ، وَالنَّاسُ مَعَهُ حَتَّى نَزَلَ بِالْأَبْطَحِ شَرْقِيَّ مَكَّةَ فَأَقَامَ هُنَالِكَ بَقِيَّةَ يَوْمِ الْأَحَدِ وَيَوْمَ الِاثْنَيْنِ وَالثُّلَاثَاءِ وَالْأَرْبِعَاءِ، حَتَّى صَلَّى الصُّبْحَ مِنْ يَوْمِ الْخَمِيسِ، وَكُلُّ ذَلِكَ يُصَلِّي بِأَصْحَابِهِ هُنَالِكَ، وَلَمْ يَعُدْ إِلَى الْكَعْبَةِ مِنْ