আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

ذكر صفة إبراهيم عليه السلام

পৃষ্ঠা - ৩৯৯
[ذِكْرُ صِفَةِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يُونُسُ، وَحُجَيْنٌ قَالَا: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «عُرِضَ عَلَيَّ الْأَنْبِيَاءُ؛ فَإِذَا مُوسَى ضَرْبٌ مِنَ الرِّجَالِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، وَرَأَيْتُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ، وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا صَاحِبُكُمْ يَعْنِي نَفْسَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَرَأَيْتُ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَإِذَا أَقْرَبُ مَنْ رَأَيْتُ بِهِ شَبَهًا دِحْيَةُ» . تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَبِهَذَا اللَّفْظِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَسْوَدُ بْنُ عَامِرٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عُثْمَانَ يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ، وَمُوسَى، وَإِبْرَاهِيمَ؛ فَأَمَّا عِيسَى فَأَحْمَرُ جَعْدٌ عَرِيضُ الصَّدْرِ، وَأَمَّا مُوسَى فَآدَمُ جَسِيمٌ» . قَالُوا لَهُ: فَإِبْرَاهِيمُ؟ قَالَ: «انْظُرُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ» . يَعْنِي نَفْسَهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا بَيَانُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا النَّضْرُ، أَنْبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٌ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ وَذَكَرُوا لَهُ الدَّجَّالَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ مَكْتُوبٌ: كَافِرٌ أَوْ ك ف ر فَقَالَ: لَمْ أَسْمَعْهُ. وَلَكِنَّهُ قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَّا إِبْرَاهِيمُ فَانْظُرُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ، وَأَمَّا مُوسَى فَجَعْدٌ آدَمُ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ مَخْطُومٍ
পৃষ্ঠা - ৪০০


উভয়ে দাফনকড়ার্য সম্পাদন করেন ৷ ইবনুল-কালবী বলেছেন, ইবরাহীম (আ) দৃ’শ বছর বয়সে
ইনতিকাল করেন ৷ আবু হাতিম ইবন হিব্বান তার সহীহ’ গ্রন্থে মুফাযযল আবু হুরায়রা (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেন, হযরত ইবরাহীম (আ) বাটালীর সাহায্যে খাত্না করান ৷ তখন তার বয়স
হ্নিশু একশ’ বিশ বছর ৷ এরপর তিনি আশি বছর কাল জীবিত থাকেন ৷ হাফিজ ইবন আসাকির
(র) আবুহুরায়রা (রা) সুত্রে এ হাদীসখানা মওকুফ’ভারে বর্ণনা করেছেন ৷

তারপর ইবন হিব্বান (র) এ হাদীস যারা মড়ারফু ভাবে বর্ণনা করেছেনত তাদের বর্ণনাকে
বাতিল বলে অভিহিত করেছেন, যেমন মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ (র) আবু হুরায়রা (রা) থেকে
বর্ণিত ৷ নবী করীম (সা) বলেছেন, ইবরাহীম (আ) যখন একশ’ বিশ বছর বয়সে উপনীত হন,
তখন খাতনা করান এবং এরপর আশি বছর জীবিত থাকেন ৷ আর তিনি কাদুম (ছুতারের
বাইস) দ্বারা খাত্না করিয়েছিলেন ৷ হাফিজ ইবন আসাকির (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ নবী করীম (সা) বলেছেন ৪ৰুইবরাহীম (আ) যখন খাত্না করান তখন তার বয়স ছিল
আশি বছর ৷ ইবন হিব্বান আবদুর রায্যাক থেকে বর্ণনা করেছেন যে, কাদুম একটা গ্রামের
নাম ৷ আমার জানা মতে সহীহ’ গ্রন্থে যা এসেছে তা এই যে, ইবরাহীম (আ) যখন খাত্না
করান তখন তিনি আশি বছর বয়সে পৌছেন ৷ অন্য বর্ণনায় তীর বয়স ছিল আশি বছর ৷ এ
দু’টি বর্ণনার কােনটিতেই এ কথা নেই যে, তিনি পরে কত দিন জীবিত ছিলেন ৷ আল্লাহই
সম্যক অবগত ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল তাফসীরে ওকী’র মধ্যে যিয়াদড়াত থেকে উদ্ধৃত
করেছেন ৷ আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেছেন : ইবরাহীম (আ) সর্বপ্রথম
পায়জামা পরিধান করেন, সর্বপ্রথম মাথার চুলে সিথি কাটেন, সর্বপ্রথম শুক্ষীর কর্ম করেন,
সর্বপ্রথম খাত্না করান কাদুমের সাহায্যে ৷ তখন তার বয়স ছিল একশ বিশ বছর এবং
তারপরে আশি বছর জীবিত থাকেন ৷ তিনিই সর্বপ্রথম অতিথিকে আহার করান, সর্বপ্রথম
পৌঢ়ত্বে উপনীত ৩হন ৷ এ মওকুফ হাদীসটি মারফু হাদীসেরই অনুরুপ ৷ ইবন হিব্বান (র) এ
ব্যাপারে ভিন্ন মত পোষণ করেন ৷
ইমাম মালিক (র) সাঈদ ইবনুল মুসায়িবে (রা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ ইবরাহীম (আ)-ই
প্রথম ব্যক্তি যিনি অতিথিকে আহার করান এবং প্রথম মানুষ যিনি খাত্না করান, সর্বপ্রথম
তিনিই গৌফ ছুড়াটেন, সর্বপ্রথম তিনিই পৌঢ়ত্নের শুভ্রতা প্রত্যক্ষ করেন ৷ ইবরাহীম (আ)
বললেন, হে আমার প্রতিপালক ৷ এটা কী ? আল্লাহ বললেন, এ হল মর্যাদা ৷ ইবরাহীম (আ)
বললেন, হে প্রতিপালক ৷ তা হলে আমার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করে দিন ৷ ইয়াহয়া ও সাঈদ
ব্যতীত অন্য সবাই আরও কিছু বাড়িয়ে বলেছেন যেমন : তিনিই সর্বপ্রথম লোক যিনি পৌফ
ছোট করেন, সর্বপ্রথম ৫ক্ষীরকর্য করেন, সর্বপ্রথম পায়জামা পরিধান করেন ৷ হযরত ইবরাহীম
(আ) এর কবর, তার পুত্র ইসহাক (আ) এর কবর ও তার পৌত্র ইয়াকুব (আ) এর কবর
মুরাব্বা’ নামক গোরন্তানে যা হযরত সুলায়মান ইবন দাউদ (আ) হিবরুন (ৰুণ্ডট্টা০া৷ ) শহরে
তৈরি করেছিলেন ৷ বর্তমানে এর নাম বালাদৃল খলীল (খলীলের শহর) ৷ ১ বনী ইসরাঈলের যুগ
থেকে আমাদের এই যুগ পর্যন্ত বংশ ও জাতি পরম্পরায় ধারাবাহিকভাবে এ কথাই চলে আসছে
যে, হযরত ইবরাহীম (আ)-এর কবর মুরাব্বাতে অবস্থিত ৷ সুতরাং কথাটা যে সঠিক , তা
নিশ্চিতভড়াবে বলা চলে ৷ তবে কোন নির্ভরযোগ্য সুত্রে তার কবর কোনটি তা নির্ণিত হয়নি ৷



১ সম্প্রতিকালে শহরটি খলিলীয়া নামে পরিচিতি ৷


بِخُلْبَةٍ، كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ انْحَدَرَ فِي الْوَادِي» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا فِي كِتَابِ الْحَجِّ، وَفِي اللِّبَاسِ، وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنِ ابْنِ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ بِهِ.