سنة عشر من الهجرة النبوية
حجة الوداع في سنة عشر
صفة طوافه صلوات الله وسلامه عليه
পৃষ্ঠা - ৩৯৮০
করেছেন ৷ ইয়াহয়া ইবন ইয়াহয়া প্রমুখ সুত্রে আৰিস ইবন রাবীআ (র) থেকে তিনি বলেন ৷
আমি দেখেছি যে, উমর (রা) হাজারে আসওয়াদে চুঘু খাচ্ছেন এবং বলছেন আমি নিশ্চিত
জানি যে, তুমি একটি পাথর বৈ কিছু নও ৷ কোন ক্ষতি করতে পায় না, কোন উপকারও করতে
পায় না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে যদি না আমি তোমাকে চুমু খেতে দেখতাম তবে আমি তোমাকে
চুমু খেতাম না ৷ তবে এ বর্ণনায় তার উক্তির পর চুযু খেয়েছিলেন বলে উল্লিখিত রয়েছে ৷ কিন্তু
বুখারী-যুসলিমের বণ্নাি উক্তির আগেই চুমু খাওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷
এ মর্মে ইমাম আহমদের একটি রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেনঃ সাঈদ
ইবন আবু মারয়ড়াম (র) আসলাম (র) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, ইবনৃল খাত্তাব (রা) হাজরে
আসওয়ড়াদকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর কলম! আমি ভাল ভাবেই জানি যে, তুমি একটি
পাথর বৈ কিছু নও ৷ লাভ-ক্ষতি করতে পাবনা, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তোমাকে চুম্বন করছেন তা যদি
আমি না দেখতড়াম তবে তোমাকে চুম্বন করতাম না ৷ তারপর তাতে চুম্বন করলেন এবং বললেন
রামল এর সাথে আমাদের কী সম্পর্ক ও দিয়ে তো আমরা ঘুশরিকদের শক্তি প্রদর্শন করেছিলাম;
আর আল্লাহ তো তাদের ধ্বংস করে দিয়েছেন (তাই রামল করা আর জরুরী নয়) ৷ তারপর তিনি
বললেন, একটি বিষয় যা রাসুলুল্লাহ (সা) করেছেন, তাই তা বর্জন করা আমরা পসন্দ করছি না ৷
এ রিওয়ায়াতেও প্রতীয়মান করে যে, চুম্বন হয়েছিল বক্তব্যের পরে ৷
অন্যদিকে বুখারী (র) বলেন হযরত উমর (রা) চুমু খাওয়া যে বক্তব্য প্রদানের আগে ছিল ৷
এ মর্মে বুখারী মুসলিমেও ভিন্ন ভিন্ন রিওয়ায়াত পাওয়া যায় ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ ইমাম
আহমদ (র)-এর অপর একটি রিওয়ায়াতে উমর (রা)-এর উক্তির পর, তাতে অধিক বলেছেন
তারপর তাকে চুমু খেলেন ও জড়িয়ে ধরলেন ৷
ইমাম আহম্মদ (র) আরো বলেন, (হাদীস) আফফান (র) সাঈদ ইবন জুবায়র (র) ইবন
আব্বাস (বা) হতে এ মর্মে যে, উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) রুকুন (ই-য়ামানী হাজারে
আসওয়ড়াদ)-এর উপর ঝুকে পড়লেন এবং বললেন আমি ভাল করেই জানি যে, তুমি একটা
পাথর আমার প্রিয়জনকে যদি আমি না দেখতাম যে, তোমাকে চুম্বন করছেন ও স্পর্শকরছেন
তবে তোমাকে স্পর্শ করতাম না এবং চুম্বন করতাম না ৷
-ব্লুৰুএে১ এ ণ্গ্র :ন্থে ঠুঘ্র
(তোমাদের জন্য রয়েছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর মাঝে উত্তম আদর্শ (৩৩ : ২১) ৷ এটি একটি
বেশ উত্তম ও সরল সনদ ৷ তবে সিহাহ গ্রন্থকারগণ এটি উদ্ধৃত করেন নি ৷
আবু দাউদ তড়ায়ালিসী (র) বলেছেন, মক্কার বাসিন্দা জাফর ইবন উছমান আল কুরাশী (র)
বলেন, ঘুহড়ামদ ইবন আব্বাস ইবন জাফর (র)-কে আমি দেখেছি যে, হাজারে আসওয়“াদকে
চুম্বন করছেন এবং তাতে সিজদা করছেন, তারপর আমাকে বলেছেন তোমার (জাফরের)
মামা ইবন আব্বাস (না)-কে আমি দেখেছি তাকে চুযু খেতে এবং তাতে সিজদা করতে এবং
ইবন আব্বাস (রা) বলেছেন, উমর ইবনুল খাত্তাব (না)-কে আমি দেখেছি তাকে চুমু খেতে
এবং তাতে সিজদা করতে ৷ তারপর উমর (রা) পুর্ব বর্ণিত উক্তিটি করেন ৷ আর আবু য়ালা
[صِفَةُ طَوَافِهِ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ]
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَصْبَغُ بْنُ الْفَرَجِ، عَنِ ابْنِ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: ذَكَرْتُ لِعُرْوَةَ قَالَ: «أَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ أَنَّ أَوَّلَ شَيْءٍ بَدَأَ بِهِ حِينَ قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ تَوَضَّأَ ثُمَّ طَافَ، ثُمَّ لَمْ تَكُنْ عُمْرَةٌ، ثُمَّ حَجَّ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ مِثْلَهُ، ثُمَّ حَجَجْتُ مَعَ أَبِي الزُّبَيْرِ فَأَوَّلُ شَيْءٍ بَدَأَ بِهِ الطَّوَافُ، ثُمَّ رَأَيْتُ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارَ يَفْعَلُونَهُ، وَقَدْ أَخْبَرَتْنِي أُمِّي أَنَّهَا أَهَلَّتْ هِيَ وَأُخْتُهَا وَالزُّبَيْرُ وَفُلَانٌ وَفُلَانٌ بِعُمْرَةٍ، فَلَمَّا مَسَحُوا الرُّكْنَ حَلُّوا.» هَذَا لَفْظُهُ وَقَدْ رَوَاهُ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عِيسَى، وَمُسْلِمٍ، عَنْ هَارُونَ بْنِ سَعِيدٍ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ بِهِ. وَقَوْلُهَا: ثُمَّ لَمْ تَكُنْ عُمْرَةٌ. يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يَتَحَلَّلْ بَيْنَ النُّسُكَيْنِ، ثُمَّ كَانَ أَوَّلَ مَا ابْتَدَأَ بِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، اسْتِلَامُ الْحَجَرِ الْأَسْوَدِ قَبْلَ الطَّوَافِ، كَمَا قَالَ جَابِرٌ: «حَتَّى إِذَا أَتَيْنَا الْبَيْتَ مَعَهُ، اسْتَلَمَ الرُّكْنَ، فَرَمَلَ ثَلَاثًا، وَمَشَى أَرْبَعًا.»
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ، الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ جَاءَ إِلَى الْحَجَرِ فَقَبَّلَهُ وَقَالَ: «إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لَا تَضُرُّ وَلَا تَنْفَعُ، وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ.»
পৃষ্ঠা - ৩৯৮১
وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى وَأَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ وَزُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ وَابْنِ نُمَيْرٍ جَمِيعًا، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: رَأَيْتُ عُمَرَ يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ: «إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لَا تَضُرُّ وَلَا تَنْفَعُ، وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ.»
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ قَالَا: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَابِسِ بْنِ رَبِيعَةَ قَالَ: رَأَيْتُ عُمَرَ أَتَى الْحَجَرَ فَقَالَ: «أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لَا تَضُرُّ وَلَا تَنْفَعُ، وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبَّلَكَ مَا قَبَّلْتُكَ.» ثُمَّ دَنَا فَقَبَّلَهُ. فَهَذَا السِّيَاقُ يَقْتَضِي أَنَّهُ قَالَ مَا قَالَ، ثُمَّ قَبَّلَهُ بَعْدَ ذَلِكَ. بِخِلَافِ سِيَاقِ صَاحِبَيِ " الصَّحِيحِ ". فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا وَكِيعٌ وَيَحْيَى - وَاللَّفْظُ لِوَكِيعٍ - عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَتَى الْحَجَرَ فَقَالَ: «إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لَا تَضُرُّ وَلَا تَنْفَعُ، وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ.» وَقَالَ: ثُمَّ قَبَّلَهُ. وَهَذَا مُنْقَطِعٌ بَيْنَ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ وَبَيْنَ عُمَرَ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا: ثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৯৮২
মাওসিলী (র) তার মুসনাদে ভিন্ন সুত্রে তা উদ্ধৃত করেছেন ৷ আমীরুল মুমিনীন উমর ইবনুল
খাত্তাব (বা) এর যুসনাদ রুপে সংকলিত আমাদের গ্রন্থে এ সব রিওয়ায়াত যাবতীয় সুত্র, ভাষ্য,
সুত্র সস্বন্ধ ও পর্যালোচনা সহ আমরা একত্রে সন্নিবেশিত করেছি ৷ আল্লাহর জন্যই সব হড়ামদ
এবং সব অনুকম্পা ভীরই ৷
া;মাটকথা এ হাদীস উমর ইবনুল খাত্তাব (বা) হতে বিভিন্ন সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ সুত্রগুলি এ
শাত্রের অধিকাৎশ ইমড়ামের দৃষ্টিতে নিশ্চিতভড়াবে তা প্রমাণ করে ৷ তবে নবী করীম (সা) হাজারে
আসওয়াদে সিজদা করেছেন এ সব রিওয়ায়াতে এ ভাষাটি নেই ৷ তার একমাত্র জাফর ইবন
উছমড়ান (র) হতে গৃহিত আবু দাউদ আত-তায়ালিসী (র) এর রিওয়ায়াত এ বিষয়টির প্রতি
ইংগিতবহ ৷ কিন্তু সেটিও মারফু হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট নয় ৷ তবে হাফিজ বড়ারহাকী (র) ভিন্ন
ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন যাতে হযরত উমর (রা)-এর এ উক্তিটিও রয়েছে যে, স্বয়ং
রড়াসুলুল্লাহ (সা)কে এরুপ করত দেখেছেন ৷
বুখারী (র) বলেন, যুসাদ্দাদ (র) যুবায়র ইবন আরাবী (র) হতে ৷ তিনি বলেন, এক ব্যক্তি
হাজারে আসওয়াদ চুম্বন করা সম্পর্কে ইবন উমর (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন ৷
আমি রাসুলুল্লাহপু (না)-কে দেখেছি তা স্পর্শ করতে ও চুম্বন করতে ৷ ল্যেকটি বলল, বলুন তো
ণ্ আমি যদি ভিড়ের মাঝে পড়ে যাই ? বলুন তো আমি যদি অপারগ হয়ে যাই (তাহলে কী
করব?) ৷ ইবন উমর (রা) বললেন, “তোমার বলুন তাে’ ( ;;ন্ণ্ৰু ) টি ইয়ামড়ানে রেখে এসো ৷
আমি তো রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে দেখেছি তা স্পর্শ করতে ও তা চুম্বন করতে ৷ এ রিওয়ায়াত
একাকী বুখারী (র)এর, মুসলিমের নয় ৷ বৃখারী (র) আরো বলেন, মুসাদ্দাদ (র) (নাফি)ইবন
উমর (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা) এ দুটি রুকন (হজােরে আসওয়াদ
ইয়ামনী) স্পর্শ (চুম্বন) করতে দেখার পর হতে সুযোগে দুর্যোগে এ দু’টি স্পর্শ করা ত্যাগ করি
নি ৷ (রাবী উবায়দুল্লাহ বলেন,) আমি নাফি (র)-কে বললাম ৷ ইবন উমর (রা)-কি রুকন দ্বয়ের
মাঝে (স্বাভাবিক ভাবে) হীটতেন? তিনি বললেন, তিনি হেটে যেতেনঃ যাতে তার স্পর্শ (চুম্বন)
করা সহজসথ্যে হয় ৷ আবু দাউদ ও নড়াসাঈ (র) ইয়ড়াহয়া ইবন সাঈদ আল কাত্তান (র) থেকে
ইবন উমর (বা) হতে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রতিটি চক্করে রুকন ইয়ামানী
ও হড়াজারে আসওয়াদ চুম্বন করা ত্যাগ করতেন না ৷ বুখাবী (র) আরো বলেন, আবুল ওয়ালীদ
(র) (সালিম ইবন আবদুল্লাহ তার পিতা) আবদুল্লাহ (বা) হতে তিনি বলেন, দুই ইয়ামানী
রুকন (দক্ষিণের দুই কোণা) ব্যতীত বায়তুল্লাহ্র অন্য কিছু স্পর্শ (চুম্বন) করতে আমি নবী
কৰীম (সা)কে দেখি নি ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ারাত করেছেন ইয়াহয়া ইবন ইয়াহয়া
ও কুতড়ায়বা (র) হতে ৷ মুসলিম (র)-এর অন্য একটি রিওয়ায়ড়াতে রয়েছে যে, তিনি (ইবন
উমর রা) বলেন, আমার ধারণা, নবী করীম (না) দুই শামী রুকন (উত্তর দিকের দুই কােণা)
চুম্বন করা বর্জন করেছেন শুধু এ কারণে যে, যে দুটি ইবরাহীম (আ)-এর বুনিয়াদের উপরে
নির্মিত ছিল না ৷
বৃখাবী (র) আরো বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবু বাকর (র) বলেন, আবুশ শাছা (র) হতে-
তিনি বলেন, (অনুচ্ছেদ) যারা বায়তুল্লাহ্র কোন অংশ হতে বেচে থাকেন (বর্জন করেন)
৫০ শে)
كَثِيرٍ، أَخْبَرَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ لِلرُّكْنِ: «أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لَا تَضُرُّ وَلَا تَنْفَعُ، وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَلَمَكَ مَا اسْتَلَمْتُكَ.» فَاسْتَلَمَهُ. ثُمَّ قَالَ: وَمَا لَنَا وَلِلرَّمَلِ؟ ! إِنَّمَا كُنَّا رَاءَيْنَا بِهِ الْمُشْرِكِينَ، وَلَقَدْ أَهَلَكَهُمُ اللَّهُ. ثُمَّ قَالَ: شَيْءٌ صَنَعَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَا نُحِبُّ أَنْ نَتْرُكَهُ. وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ الِاسْتِلَامَ تَأَخَّرَ عَنِ الْقَوْلِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، ثَنَا وَرْقَاءُ، ثَنَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَبَّلَ الْحَجَرَ وَقَالَ: «لَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ»
وَقَالَ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ ثَنَا حَرْمَلَةُ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، هُوَ ابْنُ يَزِيدَ الْأَيْلِيُّ، وَعَمْرٌو، هُوَ ابْنُ دِينَارٍ. (ح) وَحَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الْأَيْلِيُّ، أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ أَنَّ أَبَاهُ حَدَّثَهُ، أَنَّهُ قَالَ: «قَبَّلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْحَجَرَ ثُمَّ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُ أَنَّكَ حَجَرٌ، وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ» . زَادَ هَارُونُ فِي رِوَايَتِهِ: قَالَ عَمْرٌو: وَحَدَّثَنِي بِمِثْلِهَا زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ أَبِيهِ أَسْلَمَ. يَعْنِي عَنْ عُمَرَ بِهِ. وَهَذَا صَرِيحٌ فِي أَنَّ التَّقْبِيلَ تَقَدَّمَ عَلَى الْقَوْلِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৮৩
عُمَرَ، أَنَّ عُمَرَ قَبَّلَ الْحَجَرَ ثُمَّ قَالَ: «قَدْ عَلِمْتُ أَنَّكَ حَجَرٌ وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبَّلَكَ مَا قَبَّلْتُكَ.» هَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ.
وَقَدْ أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ "، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ قَبَّلَ الْحَجَرَ وَقَالَ: «إِنِّي لَأُقَبِّلُكَ، وَإِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ، وَلَكِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ.»
ثُمَّ قَالَ مُسْلِمٌ: ثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ وَالْمُقَدَّمِيُّ وَأَبُو كَامِلٍ وَقُتَيْبَةُ، كُلُّهُمْ عَنْ حَمَّادٍ، قَالَ خَلَفٌ: ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ قَالَ: رَأَيْتُ الْأَصْلَعَ - يَعْنِي عُمَرَ - يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ: «وَاللَّهِ إِنِّي لَأُقَبِّلُكَ، وَإِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ، وَأَنَّكَ لَا تَضُرُّ وَلَا تَنْفَعُ، وَلَوْلَا أَنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُكَ مَا قَبَّلْتُكَ.» وَفِي رِوَايَةِ الْمُقَدَّمِيِّ وَأَبِي كَامِلٍ: رَأَيْتُ الْأُصَيْلِعَ. وَهَذَا مِنْ أَفْرَادِ مُسْلِمٍ دُونَ الْبُخَارِيِّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَرْجِسَ بِهِ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الْأَعْلَى، عَنْ سُوَيْدِ بْنِ غَفَلَةَ قَالَ: رَأَيْتُ عُمَرَ يُقَبِّلُ الْحَجَرَ وَيَقُولُ: «إِنِّي
পৃষ্ঠা - ৩৯৮৪
২৬৪ আলবিদায়ড়া ওয়ান নিহায়াংমােজ্যো৪
মুআবিয়া (রা) সব কটি রুকন স্পর্শ করতেন ৷ তখন ইবন আব্বাস (যা) তাকে বললেন ৷
(নিয়ম হল) এই যে, (উত্তর দিকের) এ রুকন দু’টি স্পর্শ করা হয় না ৷ তিনি (মুআবিয়া)
বললেন, বায়তৃল্লাহ্র কোন কিছুই ছাড়বার নয় ৷ ইবনুয যুবায়র (র) সবগুলি রুকনই স্পর্শ
করতেন ৷ বুখাবী (র) একাকী এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর মুসলিম (র) বলেন, আবৃত
তাহির (আবৃত তুফায়ল আল বিকৰী র) ইবন আব্বাস (রা)-কে বলতে শুনেছেন, আমি
রাসুলুল্লাহ (না)-কে দুই ইয়ামানী রষ্কন ব্যতীত অন্য কিছু স্পর্শ (চুম্বন ) করতে দেখি নি ৷ এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন মুসলিম (র) একাকী ৷ সুতরাং ইবন উমর (রা)-এর রিওয়ায়াত
এবং ইবন আব্বাস (রা)-এর উক্তি পরস্পরের সমর্থক ৷ অর্থাৎ শাযী রুকনদ্বর চুম্বন করা হবে
না ৷ কেননা, যে দুটি ইবরাহীমী ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত ছিল না ৷ কারণ কুরায়শীদের অর্থ
ৎস্থানের ঘাটতি দেখা দিয়েছিল বিধায় কাবা পুনঃনির্মাণকালে তারা বায়তৃল্লাহ্র উত্তর প্রান্তের
হিজর (হার্তীম) অংশটি কাবা ঘরের বাইরে রেখে দিয়েছিল ৷ বিষয়টি পুর্বে আলোচিত হয়েছে ৷
নবী করীম (সা) আকাৎথা প্রকাশ করেছিলেন যে, তিনি কাবা পুনঃনির্মাণ করবেন এবং
ইবরাহীষী বুনিয়াদে তার পুর্ণতা বিধান করবেন ৷ কিন্তু তার আশংকা হয়েছিল যে, লোকেরা
জাহিলী যুগের নিকটবর্তী অবস্থানে থাকার কারণে তাদের মন তার এ কর্মসুচীকে অপসন্দ
করবে ৷ পরে আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়র (রা)-এর শাসন কালে তিনি কাবা ঘর ভেঙ্গে দিয়ে নবী
করীম (না)-এর প্রদত্ত রুপ রেখার তা পুন৪নির্মাণ করেছিলেন ৷ যে ভাবে তার খালা উম্মুল
মুমিনীন আইশা বিনত (আবু বকর) সিদ্দীক (রা) তাকে অবহিত করেছিলেন ৷ অতএব,
ইবরাহীমী বুনিয়াদে কাবা শরীফ পুন৪নির্মাগের পরে যদি ইবনুয যুবায়র (বা) সব কটি রুকন
(কোন) স্পর্শ করে থাকেন আর আল্লাহর কসম৷ এটাই তার সম্পর্কে সুষ্ঠু ধারণা, তবে তা
তো বেশ উত্তম ৷
আবু দাউদ (র) বলেন, মুসা“দ্দাদ (র) (নাকি) ইবন উমর (বা) হতে, তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তার তাওয়াফে কোন চক্করে রুকন ইয়ামড়ানী ও হাজারে আসওয়াদে চুম্বন ও
স্পর্শ পরিত্যাগ করতেন না ৷ নাসাঈ (র) এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন মুহাম্মদ ইবনৃল
মুছান্না (র) হতে (ঐ সনদে) ৷ নাসাঈ (র) আরো বলেছেন ৷ ইয়াকুব ইবন ইবরাহীম আদ
দাওরাকী (র) আবদুল্লাহ ইবনুস-সাইব (বা) হতে তিনি বলেন, ইয়ামানী করুন ও হাজারে
আসওয়াদের মাঝে (দাড়িয়ে) রড়াসুলুল্লাহ (সা) কে আমি এরুপ দুআ করতে শুনেছি
া;যুঃ
হে আমাদের প্রতিপালক; আমাদের ইহকালে কল্যাণ দিন এবং পরকালেও কল্যান দিন
এবং আমাদের রক্ষা করুন জাহান্নামের আযাব হতে (২ : ২০১) ৷ আর দাউদ (র) এ হাদীসঢি
ভিন্ন সনদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
তিরমিযী (র) বলেন, মাহমুদ ইবন গায়লান (র) জাবির (বা) হতে ৷ তিনি বলেন,
নবী করীম (সা) মক্কায় আগমন করলে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করলেন ৷ তারপর
হাজারে আসওয়াদ ঢুম্বন করে তার ডান দিকে ড্ডাসর হলেন ৷ তারপর তিন চক্করে রমল
করলেন ও চার চক্করে (স্বাভাবিক ভাবে) ইাটলেন ৷ তারপর মাকামে (ইব্রাহীম) এসে
বললেন-মোঃ ণ্প্লুং)রা ণ্সিং ণ্ডে ৷ঙু১হৃ:ব্ষ্ঙু তোমরা ইবরাহীমের র্দাড়াবার ন্থড়ানকে
لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ لَا تَضُرُّ وَلَا تَنْفَعُ، وَلَكِنِّي رَأَيْتُ أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَ حَفِيًّا.» ثُمَّ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ. وَزَادَ: فَقَبَّلَهُ وَالْتَزَمَهُ.
وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ بِلَا زِيَادَةٍ، وَمِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ بِهَذِهِ الزِّيَادَةِ: قَبَّلَ الْحَجَرَ وَالْتَزَمَهُ وَقَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِكَ حَفِيًّا.»
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا وُهَيْبٌ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَكَبَّ عَلَى الرُّكْنِ وَقَالَ: «إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّكَ حَجَرٌ، وَلَوْ لَمْ أَرَ حَبِيبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبَّلَكَ وَاسْتَلَمَكَ مَا اسْتَلَمْتُكَ وَلَا قَبَّلْتُكَ:» {لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ} [الأحزاب: 21] (الْأَحْزَابِ: 21) . وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ قَوِيٌّ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ الْقُرَشِيُّ، مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ قَالَ: رَأَيْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ قَبَّلَ الْحَجَرَ وَسَجَدَ عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: رَأَيْتُ خَالَكَ ابْنَ عَبَّاسٍ قَبَّلَهُ وَسَجَدَ عَلَيْهِ، وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَبَّلَهُ وَسَجَدَ عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ عُمَرُ: «لَوْ لَمْ أَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبَّلَهُ مَا قَبَّلْتُهُ» وَهَذَا
পৃষ্ঠা - ৩৯৮৫
أَيْضًا إِسْنَادٌ حَسَنٌ. وَلَمْ يُخْرِجْهُ إِلَّا النَّسَائِيُّ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عُمَرَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ عَنْهُ، وَأَبُو يَعْلَى الْمَوْصِلِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ " مِنْ طَرِيقِ هِشَامِ بْنِ حُبَيْشِ بْنِ الْأَشْعَرِ، عَنْ عُمَرَ. وَقَدْ أَوْرَدْنَا ذَلِكَ كُلَّهُ بِطُرُقِهِ وَأَلْفَاظِهِ وَعَزْوِهِ وَعِلَلِهِ فِي الْكِتَابِ الَّذِي جَمَعْنَاهُ فِي " مُسْنَدِ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ "، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَبِالْجُمْلَةِ فَهَذَا الْحَدِيثُ مَرْوِيٌّ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ، عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهِيَ تُفِيدُ الْقَطْعَ عِنْدَ كَثِيرٍ مِنْ أَئِمَّةِ هَذَا الشَّأْنِ، وَلَيْسَ فِي هَذِهِ الرِّوَايَاتِ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، سَجَدَ عَلَى الْحَجَرِ إِلَّا مَا أَشْعَرَ بِهِ رِوَايَةُ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ وَلَيْسَتْ صَرِيحَةً فِي الرَّفْعِ.
وَلَكِنْ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي عَاصِمٍ النَّبِيلِ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: رَأَيْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ قَبَّلَ الْحَجَرَ وَسَجَدَ عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: رَأَيْتُ خَالَكَ ابْنَ عَبَّاسٍ قَبَّلَهُ وَسَجَدَ عَلَيْهِ، وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: رَأَيْتُ عُمَرَ قَبَّلَهُ وَسَجَدَ عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ هَكَذَا فَفَعَلْتُ.»
পৃষ্ঠা - ৩৯৮৬
সালাতের স্থানরুগে গ্রহণ কর (২ : ১২৫) ৷ তারপর মাকড়ামকে বায়তুল্লাহ্ ও নিজের
মাঝে রেখে দুরা ৷কআত সালাত আদায় করলেন ৷ দু’রাকআত আদায়ের পরে হড়াজারে
আসৃওয়াদের কাছে গিয়ে তা চুখ্যা করণেন ! ৩ারপর সাফা র উদ্দেশে বের হলেন-
আমার ধারণা-তখন বললেন, এ্যা )এএে এে-ং চ;ন্গ্লুএএঙু ৷দ্বু ,া৷ ঠো “সাফা ও মড়ারওয়া
আল্লাহর নিদর্শন সমুহের অন্যতম” (২ : ১৫৮) ৷ তিরমিযী-র মন্তব্য এ হাদীস হাসান-
সহীহ্ এবং আলিম সমাজ এটি অনুসারে আমল করেন ৷ ইসহড়াক ইবন রাহ্ওয়ায়হ্
(র)-ও এ হাদীসখানা ইয়াহ্য়া ইবন আদম (র) হতে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ১
আর তাবারানী (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ নড়াসাঈ (র) প্রমুখ হতে (ইয়াহ্য়া
ইবন ঐ সনদে ৷
তাওয়াফ কালে নবী করীম (না) এর রমল’ ও তার ইবৃতিবা করার বিবরণ
বুখারী (র) বলেন, আসৃবাগ ইবনৃল ফাবজ (র)সালিম-র্তীর পিতা (আবদুল্লাহ (রা))
হতে, তিনি বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর মক্কা আগমন কালে যখন তিনি কড়াল রুকন’ (হাজারে
আস্ওয়াদ) চুম্বন করে প্রথম তাওয়াফ করতেন তখন তাকে সাত চক্করের তিন চক্করে
দ্রুতবেগে চলতে দেখেছি ৷ মুসলিম (র) এ হাদীসখান৷ ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী
(র) আরো বলেন, মুহাম্মাদ ইবন সাল্লাম (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে, তিনি বলেন, নবী
করীম (সা) হজ্জ ও উমরার তিন চক্করে সাঈ করেছেন (দ্রুতবেগে চলেছেন) এবং চার চক্করে
হেটে চলেছেন ৷ লায়ছ (র)-এর অনুগামী (তাবী) রিওয়ায়াত কারছেন-(কান্থীর) ইবনৃ
উমর সনদে ৷ এটি বুখারী (র)-এর একক বর্ণনা নড়াসাঈ (র)-ও ভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ বুখারী (র) আরো বলেন, ইব্রাহীম ইবনুল মুনৃযির (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে এ
মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ ও উমরায় আগমন কালে প্রথম যে তাওয়াফ
করতেন তাতে তিন চক্করে দ্রুতবেগে চলতেন এবং চার চক্করে হেটে চলতেন ৷ত তারপর দুই
রাক আত সালাত আদায় করতেন, তারপর সফো-মড়ারওয়া-র মাঝে সাঈ করতেন ৷ মুসলিম
(র) এ হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন মুসা ইবন উক্বা (র) থেকে ৷ বুখারী (র) আরো
বলেন, ইব্রাহীম ইবনুল মুনৃযির (র)ইবন উমর (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন প্রথম বারের তাওয়াফের জন্য বায়তুল্লাহ্ প্রদক্ষিণ করতেন তখন তিন
চক্করে দ্রুত চলতেন এবং চার চক্করে হীটতেন ৷ এবং সাফা-মারওয়া-য় প্রদক্ষিণকালে নালার
নিম্নভুমিতে দ্রুত চলতেন ৷ মুসলিম (র) এ হাদীসখান৷ রিওয়ায়াত করেছেন উবারদুল্লাহ্ ইবন
উমর (র) সুত্রে ৷
মুসলিম (র) বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর ইবন আধান আর জুফী (র) ইবন উমর (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হড়াজারে আসৃওয়াদ হতে হাজারে
অড়াসৃওয়ড়াদ পর্বত তিন চক্করে দ্রুত হেটে চলেছেন (রমল করেছেন) এবং চার চক্করে স্বাভ ৷৷ৰিক
হেটেছেন ৷” তারপর মুসলিম (র) ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে এ হাদীসটি একা ৷“ধিকবার রিওয়ায়াত
করেছেন ৷
১ এ ইয়াহ্য়া (র) হলেন তিরমিযী-র শায়খ মাহমুদ (র)-এৱ শায়খ ৷ অতএব উর্ধ্ব সনদ অভিন্ন ৷ অনুবাদক ৷
وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ، أَنْبَأَنَا الطَّبَرَانِيُّ، أَنْبَأَنَا أَبُو الزِّنْبَاعِ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ الْجُعْفِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْجُدُ عَلَى الْحَجَرِ.» قَالَ الطَّبَرَانِيُّ: لَمْ يَرْوِهِ عَنْ سُفْيَانَ إِلَّا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا حَمَّادٌ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ عَرَبِيٍّ قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ ابْنَ عُمَرَ عَنِ اسْتِلَامِ الْحَجَرِ، فَقَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُهُ وَيُقَبِّلُهُ. قَالَ: أَرَأَيْتَ إِنْ زُحِمْتُ؟ أَرَأَيْتَ إِنْ غُلِبْتُ؟ قَالَ: اجْعَلْ " أَرَأَيْتَ " بِالْيَمَنِ ; رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُهُ وَيُقَبِّلُهُ.» تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «مَا تَرَكْتُ اسْتِلَامَ هَذَيْنِ الرُّكْنَيْنِ فِي شِدَّةٍ وَلَا رَخَاءٍ مُنْذُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُهُمَا. فَقُلْتُ لِنَافِعٍ: أَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَمْشِي بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ؟ قَالَ إِنَّمَا كَانَ يَمْشِي لِيَكُونَ أَيْسَرَ لِاسْتِلَامِهِ.»
وَرَوَى أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لَا يَدَعُ أَنْ يَسْتَلِمَ الرُّكْنَ الْيَمَانِيَ وَالْحَجَرَ فِي كُلِّ طَوْفَةٍ.»
পৃষ্ঠা - ৩৯৮৭
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، ثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: «لَمْ أَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُ مِنَ الْبَيْتِ إِلَّا الرُّكْنَيْنِ الْيَمَانِيَيْنِ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، وَقُتَيْبَةَ، عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: «مَا أُرَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرَكَ اسْتِلَامَ الرُّكْنَيْنِ الشَّامِيَّيْنِ إِلَّا أَنَّهُمَا لَمْ يُتَمَّمَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ.»
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ: أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ أَنَّهُ قَالَ: وَمَنْ يَتَّقِي شَيْئًا مِنَ الْبَيْتِ؟ وَكَانَ مُعَاوِيَةُ يَسْتَلِمُ الْأَرْكَانَ، فَقَالَ لَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ: إِنَّهُ لَا يُسْتَلَمُ هَذَانَ الرُّكْنَانِ. فَقَالَ لَهُ: لَيْسَ مِنَ الْبَيْتِ شَيْءٌ مَهْجُورًا. وَكَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ يَسْتَلِمُهُنَّ كُلُّهُنَّ. انْفَرَدَ بِرِوَايَتِهِ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى.
وَقَالَ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ أَنَّ قَتَادَةَ بْنَ دِعَامَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ أَبَا الطُّفَيْلِ الْبَكْرِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ: «لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْتَلِمُ غَيْرَ الرُّكْنَيْنِ الْيَمَانِيَيْنِ.» انْفَرَدَ بِهِ مُسْلِمٌ. فَالَّذِي رَوَاهُ ابْنُ عُمَرَ مُوَافِقٌ لِمَا قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ ; أَنَّهُ لَا يُسْتَلَمُ الرُّكْنَانِ الشَّامِيَّانِ ; لِأَنَّهُمَا لَمْ يُتَمَّمَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ لِأَنَّ قُرَيْشًا قَصَرَتْ بِهِمُ النَّفَقَةُ، فَأَخْرَجُوا الْحَجَرَ مِنَ الْبَيْتِ حِينَ بَنَوْهُ، كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ. وَوَدَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَوْ بَنَاهُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৮৮
فَتَمَّمَهُ عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ، وَلَكِنْ خَشِيَ مِنْ حَدَاثَةِ عَهْدِ النَّاسِ بِالْجَاهِلِيَّةِ فَتُنْكِرُهُ قُلُوبُهُمْ، فَلَمَّا كَانَتْ إِمْرَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ هَدَمَ الْكَعْبَةَ، وَبَنَاهَا عَلَى مَا أَشَارَ إِلَيْهِ، صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا أَخْبَرَتْهُ خَالَتُهُ أُمُّ الْمُؤْمِنِينَ عَائِشَةُ بِنْتُ الصِّدِّيقِ. فَإِنْ كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ اسْتَلَمَ الْأَرْكَانَ كُلَّهَا بَعْدَ بِنَائِهِ إِيَّاهَا عَلَى قَوَاعِدِ إِبْرَاهِيمَ فَحَسَنٌ جِدًّا وَهُوَ وَاللَّهِ الْمَظْنُونُ بِهِ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا مُسَدَّدٌ ثَنَا يَحْيَى عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَّادٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَدَعُ أَنْ يَسْتَلِمَ الرُّكْنَ الْيَمَانِيَ وَالْحَجَرَ فِي كُلِّ طَوْفَةٍ.» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ يَحْيَى.
وَقَالَ النَّسَائِيُّ: ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّائِبِ قَالَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بَيْنَ الرُّكْنِ الْيَمَانِي وَالْحَجَرِ: " رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ» (الْبَقَرَةِ: 201) وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ مُسَدَّدٍ، عَنْ عِيسَى بْنِ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِهِ.
وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: ثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ