আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

باب دخول النبي صلى الله عليه وسلم إلى مكة

পৃষ্ঠা - ৩৯৭৬

এবং ছানিয়াতুস সুকলার পথে বের হয়েছিলেন (বুখড়াবী মুসলিম মালিক) ৷ ইবন উমর ও

আইশা (বা) থেকে বখাবী মুসলিম (র) এর অনুরুপ আরো দুটি রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ মোট

কথা নবী কবীম (সা ) এর দৃষ্টি বায়তুল্লাহর উপরে পড়লে তিনি বললেন, শাফিঈ (র)-এর

রিওয়ায়াত সাঈদ ইবন সালিম (র) ইবন জুরায়জ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, নবী কবীম (না)

যখন আল্লাহর মর দেখতেন তখন তার দু’হাত তুলতেন এবং বলতেন-

ণ্€গ্রা

হে আল্লাহ; এঘরের মর্যাদা মড়াহাত্মা সম্মান ও প্রতিপত্তি বাড়িয়ে দিন এবং যারা এ ঘরের
সম্মান করে মর্যাদা দেয়, যারা এ ঘরে হজ্জ ও উমরড়া করে তাদের মর্যাদা সম্মান, মড়াহাত্ম্য ও
পুণ্য বাড়িয়ে দিন (ঘুসন্যদে শাফিঈ) ৷ হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, এ হাদীসটি বনকাতি’১
তবে সুফিয়ান ছাওবী (র) (আবু সাঈদ আশশামী মাধ্যমে) মড়াকহুল (বা) থেকে এর সমর্থনে
(শাহিদ) একটি মুরসাল’২ রিওয়ায়পুত রয়েছে ৷ মড়াকহুল (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন
মক্কায় প্রবেশ করতেন এবং আল্লাহর ঘর দেখতে পেতেন তখন দু’হাত উপরে তুলে আল্লাহ
আকবার ধ্বনি দিতেন এবং বলতেন ৷
াএপ্লুপ্রুহ্র;ও শু;াপ্রুা৷ ৷ স্পো,া৷া

ৰুশ্ড্ডান্ধ্রষ্৭ ঞাএ

হে আল্লাহ আপনিই শান্তি (এর উৎস), আপনার নিবল্ট হতেই শান্তি আসে; তাই সমৃদ্ধ
রাখুন, হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের জীবনকে শান্তিময় করে দিন ৷ হে আল্লাহ্ এ ঘরের
মর্যাদা মড়াহাত্ম্য সম্মান প্রতিপত্তি ও পুণ্য বাড়িয়ে দিন এবং যারা এ ঘরের হজ্জ বা উমরড়া করে
তাদের মর্যাদা মহ্যেত্ম্য সম্মান ও পুণ্য বাড়িয়ে দিন ৷ শাফিঈ (র) আরো বলেন, সাঈদ ইবন
সালিম (র) (ইবন জুরড়ায়জ হতে তিনি ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন (তিনি) নবী
কবীম (সা) বলেহেন হা৩ উচুওে (৩ালা হবে (১) সালাতে; (২) বায়তুল্লাহ দর্শনকালে; (৩)
সফোয়; (৪) মড়ারওয়ায় ; (৫) আরড়াফাতে অবস্থানের অপরাহে (৬) মুযদালিফাতে; ( ৭৮ ) দুই
আমরা-র কাছে এবং (৯) মৃত ব্যক্তির জন্য (জানাবায়) ৷ হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, মুহাম্মদ
ইবন আবদুর রহ্মম্পে ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে এবং (বাকি সুত্রে ) ইবন উমর (রা) সুত্রে এ
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন এবং তা কখনো মড়াওকুক রুপে আবার কখনো মড়ারফু রুপে বর্ণনা
করেছেন ৷ তবে এ রিওয়ায়াতে মৃত ব্যক্তির কথা (৯বং) উল্লেখিত হয়নি ! ইবন আবু লায়লা
(র) বলেছেন, এ রিওয়ায়াতটি সরল নয় ৷

তারপর নবী কবীম (সা) বনু শায়বা দরজা দিয়ে মসজিদুল হারড়ামে প্রবেশ করলেন ৷
হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন ইবন জুবারয়জ (র ) অতো ইবন আবু রড়াবাহ (বা) সুত্রে আমরা
রিওয়ায়াত করেছি ৷ তিনি (আতা) বলেন, ইহরামকরীি যে দিক দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে







১ তাবিঈ পর্যন্ত সনদ সীমিত তার উধের্ধ ৰিছিন্ন ৷
২ সড়াহাবী পর্যন্ত সনদ ৷


[بَابُ دُخُولِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَكَّةَ] َ، شَرَّفَهَا، اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، ثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «بَاتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذِي طُوًى، حَتَّى أَصْبَحَ، ثُمَّ دَخَلَ مَكَّةَ، وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَفْعَلُهُ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ بِهِ. وَزَادَ حَتَّى صَلَّى الصُّبْحَ. أَوْ قَالَ: حَتَّى أَصْبَحَ. وَقَالَ مُسْلِمٌ: ثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، ثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، «أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ لَا يَقْدَمُ مَكَّةَ إِلَّا بَاتَ بِذِي طُوًى حَتَّى يُصْبِحَ وَيَغْتَسِلَ، ثُمَّ يَدْخُلُ مَكَّةَ نَهَارًا، وَيَذْكُرُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ فَعَلَهُ» . وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ بِهِ. وَلَهُمَا مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا دَخَلَ أَدْنَى الْحَرَمِ أَمْسَكَ عَنِ التَّلْبِيَةِ، ثُمَّ يَبِيتُ بِذِي طُوًى. وَذَكَرَهُ. وَتَقَدَّمَ آنِفًا مَا
পৃষ্ঠা - ৩৯৭৭
أَخْرَجَاهُ مِنْ طَرِيقِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَبِيتُ بِذِي طُوًى حَتَّى يُصْبِحَ فَيُصَلِّيَ الصُّبْحَ حِينَ يَقْدَمُ مَكَّةَ، وَمُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ أَكَمَةٍ غَلِيظَةٍ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَقْبَلَ فُرْضَتَيِ الْجَبَلِ الَّذِي بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجَبَلِ الطَّوِيلِ نَحْوَ الْكَعْبَةِ، فَجَعَلَ الْمَسْجِدَ الَّذِي بُنِيَ ثَمَّ يَسَارَ الْمَسْجِدِ بِطَرَفِ الْأَكَمَةِ، وَمُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْفَلَ مِنْهُ عَلَى الْأَكَمَةِ السَّوْدَاءِ تَدَعُ مِنَ الْأَكَمَةِ عَشَرَةَ أَذْرُعٍ أَوْ نَحْوَهَا، ثُمَّ تُصَلِّي مُسْتَقْبِلَ الْفُرْضَتَيْنِ مِنَ الْجَبَلِ الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَ الْكَعْبَةِ.» أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ". وَحَاصِلُ هَذَا كُلِّهِ «أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمَّا انْتَهَى فِي مَسِيرِهِ إِلَى ذِي طُوًى وَهُوَ قَرِيبٌ مِنْ مَكَّةَ مُتَاخِمٌ لِلْحَرَمِ، أَمْسَكَ عَنِ التَّلْبِيَةِ ; لِأَنَّهُ قَدْ وَصَلَ إِلَى الْمَقْصُودِ، وَبَاتَ بِذَلِكَ الْمَكَانِ حَتَّى أَصْبَحَ، فَصَلَّى هُنَالِكَ الصُّبْحَ، فِي الْمَكَانِ الَّذِي وَصَفُوهُ بَيْنَ فُرْضَتَيِ الْجَبَلِ الطَّوِيلِ هُنَالِكَ، وَمَنْ تَأَمَّلَ هَذِهِ الْأَمَاكِنَ الْمُشَارَ إِلَيْهَا بِعَيْنِ الْبَصِيرَةِ، عَرَفَهَا مَعْرِفَةً جَيِّدَةً، وَتَعَيَّنَ لَهُ الْمَكَانُ الَّذِي صَلَّى فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ اغْتَسَلَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، لِأَجْلِ دُخُولِ مَكَّةَ، ثُمَّ رَكِبَ وَدَخَلَهَا نَهَارًا جَهْرَةً عَلَانِيَةً، مِنَ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا الَّتِي بِالْبَطْحَاءِ - وَيُقَالُ: كَدَاءٌ - لِيَرَاهُ النَّاسُ وَيُشْرِفَ عَلَيْهِمْ، وَكَذَلِكَ دَخَلَ مِنْهَا يَوْمَ الْفَتْحِ،» كَمَا ذَكَرْنَاهُ. قَالَ مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ مِنَ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا، وَخَرَجَ مِنَ الثَّنِيَّةِ السُّفْلَى» أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৯৭৮


পারে ৷ তিনি আরো বলেছেন ৷ নবী করীম (সা) বনু শড়ায়ব দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন এবং
বনু মাখযুম দরজা দিয়ে সাফার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন ৷ তারপর বায়হাকী (র) বলেছেন, এ
হাদীস উত্তম মুরসাল ৷ তবে বনু শায়বা দরজা দিয়ে মসজিদুল হড়ারড়ামে প্রবেশ করা মুসতাহাব
হওয়ার ব্যাপারে বায়হাকী (র) আবু দাউদ তায়ালিসী (র) হতে আহরিত তার একটি
রিওয়ায়াত দিয়ে দলীল পেশ করেছেন ৷ হাম্মাদ ইবন সালামা ও কড়ায়স ইবন সাল্লাম (র) আলী
(বা) সুত্রে তিনি বলেন, ন্জুরহুম গোত্রের নির্মাণের পরে যখন কাবা শরীফ বিধ্বস্ত হয়ে গেল
তখন কুরায়শীরড়া তা পুনঃনির্মাণ করল ৷ যখন তারা হাজারে আসওযড়াদ (যথাস্থানে ) স্থাপনের
পর্যায়ে পৌছল তখন কে তা স্থাপন করবে তা নিয়ে তাদের মাঝে কলহের সুত্রপাত হল ৷ পরে
তারা এ সিদ্ধান্তে পৌছল যে ঐ দরজা দিয়ে সবার আগে যে প্রবেশ করবে সেই তা স্থাপন
করবে ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) বনু শায়বা দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন ৷ তখন রড়াসুলুল্লাহ
(সা) একটি কাপড় নিয়ে আসতে বললেন এবং নিজের হাতে তার মাঝখানে পাথরটি তুলে
রেখে দিয়ে প্রতিটি উপগােত্রকে কাপড়ের এক একটি প্রান্ত ধরতে বললেন ৷ এভাবে তারা সেটি
তুলে নিলে রাসুলুল্লাহ (সা) নিজ হাতে তা উঠিয়ে যথাস্থানে স্থাপন করলেন ৷ নবুয়াত
পুর্বকালীন কাবা নিযাণ অধ্যায়ে এ ঘটনার বিশদ বিবরণ আমরা দিয়ে এসেছি ৷ তবে এ
হাদীস দিয়ে ইহরামকারীদের বনু শায়বা দরজা দিয়ে প্রবেশ মুসতাহাব হওয়ার বিষয়টি
প্রশ্নাভীত হয় ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্পামের তাওয়াফের বিবরণ

বুখাবী (র) বলেন, আসৰাগ ইবনুল ফারজ (র) উরওয়ড়া (র) বলেন, আইশা (বা)
আমাকে খবর দিয়েছেন নবী করীম (সা) যখন আগমন করলেন “তখন তিনি প্রথমে উযু
করলেন তারপর তাওয়ড়াফ করলেন ৷ তারপর আবু বকর ও উমর (রা) ও অনুরুপ হজ্জ করেন ৷
উরওয়া (র) বলেন পরে আমি আমার পিতা যুবায়র (রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি ৷ তিনি প্রথম
তাওয়াফ দিয়ে শুরু করলেন ৷ তা ছাড়া ঘুহাজির ও আনসারদেরকেও করতে দেখেছি ৷ আর
আমার মা (আসিয়া রা) আমাকে খবর দিয়েছেন যে, তিনি এবং তার বোন আইশা (আমার
পিতা) যুবায়র এবং অমুক অমুক ব্যক্তি উমরা করেছেন ৷ পরে যখন তারা ককন (ইয়মােনী)
স্পর্শ করলেন তখন তারা হালাল হয়ে গেলেন ৷ এটা বুখড়াৰীর ভাষ্য ৷ অন্যত্রও বুখারী ও
মুসলিম ভিন্ন ভিন্ন সনদে এ হাদীসটি রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ তবে তার (আইশার ) উক্তি
তারপর তা উমরা হালাল নির্দেশ করে যে, নবী করীম (সা) দুই আমলের (হজ্জ ও উমরার )
মাঝে হালাল হননি ৷ আর সর্ব প্রথম রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাওয়ড়াফ শুরু করার আগে হাজরে
আসওয়ড়াদ চুস্বন দিয়ে সুচনা করেন ৷ যেমনটি জাবির (রা) বলেছেন অবশেষে আমরা যখন তার
সাথে বায়তুল্পাহ-এ পৌছলাম তখন রুকন (হাজার আসওয়ড়াদ) চুম্বন করলেন ৷ তারপর তিন
চক্কর রমল করলেন ও চার চক্করে হাটলেন ৷ বুখারী (র) আরো বলেছেন, মুহাম্মদ ই বন কাহীর
(র) উমর (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, তিনি হাজার আসওয়াদের কাছে এলেন এবং
তা ঢুম্বন করে বললেন, “আমি ভাল করেই জানি যে, তুমি একটা পাথর বৈ কিছু নও ৷ ক্ষতিও
করতে পায় না উপকারও করতে পায় না ৷ রড়াসুলুল্লাহ (সা) তোমাকে চুম্বন করছেন, আমি যদি
তা না দেখতাম তবে আমিও তোমাকে চুম্বন করতাম না ৷ মুসলিম (র) এ হাদীস রিওয়ায়াত


وَلَهُمَا مِنْ طَرِيقِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ مَكَّةَ مِنَ الثَّنِيَّةِ الْعُلْيَا الَّتِي فِي الْبَطْحَاءِ، وَخَرَجَ مِنَ الثَّنِيَّةِ السُّفْلَى.» وَلَهُمَا أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ مِثْلُ ذَلِكَ. وَلَمَّا وَقَعَ بَصَرُهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، عَلَى الْبَيْتِ قَالَ مَا رَوَاهُ الشَّافِعِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ ": أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ «، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا رَأَى الْبَيْتَ رَفَعَ يَدَيْهِ وَقَالَ: " اللَّهُمَّ زِدْ هَذَا الْبَيْتَ تَشْرِيفًا وَتَعْظِيمًا وَتَكْرِيمًا وَمَهَابَةً، وَزِدْ مِنْ شَرَفِهِ وَكَرَمِهِ مِمَّنْ حَجَّهُ وَاعْتَمَرَهُ تَشْرِيفًا وَتَكْرِيمًا وَتَعْظِيمًا وَبِرًّا ".» قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: هَذَا مُنْقَطِعٌ، وَلَهُ شَاهِدٌ مُرْسَلٌ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الشَّامِيِّ، عَنْ مَكْحُولٍ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ مَكَّةَ فَرَأَى الْبَيْتَ، رَفَعَ يَدَيْهِ وَكَبَّرَ وَقَالَ: " اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلَامُ، وَمِنْكَ السَّلَامُ، فَحَيِّنَا رَبَّنَا بِالسَّلَامِ، اللَّهُمَّ زِدْ هَذَا الْبَيْتَ تَشْرِيفًا وَتَعْظِيمًا وَتَكْرِيمًا وَمَهَابَةً وَزِدْ مَنْ حَجَّهُ أَوِ اعْتَمَرَهُ تَكْرِيمًا وَتَشْرِيفًا وَتَعْظِيمًا وَبِرًّا ".» وَقَالَ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَنَا سَعِيدُ بْنُ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ: حُدِّثْتُ عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «تُرْفَعُ الْأَيْدِي فِي الصَّلَاةِ، وَإِذَا رَأَى الْبَيْتَ، وَعَلَى الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَعَشِيَّةَ عَرَفَةَ، وَبِجَمْعٍ، وَعِنْدَ الْجَمْرَتَيْنِ، وَعَلَى الْمَيِّتِ ".»
পৃষ্ঠা - ৩৯৭৯
قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَعَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ; مَرَّةً مَوْقُوفًا عَلَيْهِمَا، وَمَرَّةً مَرْفُوعًا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَ ذِكْرِ الْمَيِّتِ. قَالَ: وَابْنُ أَبِي لَيْلَى هَذَا غَيْرُ قَوِيٍّ. ثُمَّ إِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، دَخَلَ الْمَسْجِدَ مِنْ بَابِ بَنِي شَيْبَةَ، قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: رُوِّينَا عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: يَدْخُلُ الْمُحْرِمُ مِنْ حَيْثُ شَاءَ. قَالَ: «وَدَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَابِ بَنِي شَيْبَةَ، وَخَرَجَ مِنْ بَابِ بَنِي مَخْزُومٍ، إِلَى الصَّفَا» ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا مُرْسَلٌ جَيِّدٌ. وَقَدِ اسْتَدَلَّ الْبَيْهَقِيُّ عَلَى اسْتِحْبَابِ دُخُولِ الْمَسْجِدِ مِنْ بَابِ بَنِي شَيْبَةَ، بِمَا رَوَاهُ مِنْ طَرِيقِ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، وَقَيْسٌ وَسَلَّامٌ، كُلُّهُمْ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ عُرْعُرَةَ، عَنْ عَلِيٍّ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ «لَمَّا انْهَدَمَ الْبَيْتُ بَعْدَ جُرْهُمٍ بَنَتْهُ قُرَيْشٌ، فَلَمَّا أَرَادُوا وَضْعَ الْحَجَرِ تَشَاجَرُوا مَنْ يَضَعُهُ، فَاتَّفَقُوا أَنْ يَضَعَهُ أَوَّلُ مَنْ يَدْخُلُ مِنْ هَذَا الْبَابِ، فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَابِ بَنِي شَيْبَةَ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِثَوْبٍ فَوَضَعَ الْحَجَرَ فِي وَسَطِهِ، وَأَمَرَ كُلَّ فَخِذٍ أَنْ يَأْخُذُوا بِطَائِفَةٍ مِنَ الثَّوْبِ، فَرَفَعُوهُ، وَأَخَذَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَضَعَهُ.» وَقَدْ ذَكَرْنَا هَذَا مَبْسُوطًا فِي بَابِ بَنَّاءِ الْكَعْبَةِ قَبْلَ الْبِعْثَةِ. وَفِي الِاسْتِدْلَالِ عَلَى اسْتِحْبَابِ الدُّخُولِ مِنْ بَابِ بَنِي شَيْبَةَ بِهَذَا نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.