আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

فصل في إيراد حديث جابر بن عبد الله رضي الله عنه في حجة رسول الله صلى الله عليه وسلم

পৃষ্ঠা - ৩৯৬৪


আমরা সমীচীন মনে করছি ৷ প্রথমে হাদীসটির মুলপাঠ উল্লেখ করার পরে আমরা তার সমর্থক
(শাইিদ) রিওয়ায়াতগুলাে উল্লেখ করব ৷ আল্লাহ সহায়!

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ (র) মুহাম্মদ সুত্রে বলেন যে, তিনি
বলেছেন জা ৷বির (রা) এর কাছে গেলাম, তিনি তখন বনু সালিমায় অবস্থান করেছিলেন ৷
আমরা জ ৷কে রা সুলুল্লাহ্ (সা) এর হজ্জ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি আমাদেরকে
জানালেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) নয় বছর যাবত ৩হজ্জ না করে মদীনায় অবস্থান করেন ৷ তারপর
সাধারণ্যে ঘোষণা দেয়া হল যে, র৷ সুলুল্পা হ্ (না) এ বছর হজ্জ পালন করবেন ৷ বর্ণনাক৷ রী
(জাবির) বলেন, ফলে মদীনায় অনেক লোকের সমাগম হল যাদের প্রত্যেকের বাসনা ছিল
রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা) এর সাথে হজ্জ করা এবং তিনি যা যা করবেন তা করা ৷ যিলকদ মাসের পাচ
দিন বাকী থাকতে রাসুলুল্লা হ্ (সা) বের হলেন ৷ আমরাও তার সাথে বের হলাম ৷ অবশেষে
তিনি যুলহুলায়ফ৷ য় উপনীত হলে আসমা বিনত উমায়স (রা) মুহাম্মদ ইবন আবু বকর (রা)-
কে প্ৰসব করে নিফস্ফোস্থ৷ হলেন ৷ তাই তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে লোক পা ৷ঠিট্য় জা নত্তুত

চাইলেন যে, তিনি কী করবেন? জবাবে নবী করীম (সা) বললেন ;;দ্বু;; প্রু,া;ন্;;;৷ ণ্ট্ট ষ্এঞা
-ষ্াব্৷ ণ্ট্ট “গোসল করে নাও তারপর ণ্;কান কাপড় দিয়ে পট্টি’ জড়িয়ে নাও, তারপর ইহরাম
ৰীধো ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হলেন এবং যখন জ ৷র ৷উটনী তাকে নিয়ে প্রান্তরে স্থির
হয়ে দাড়ালো তখন তাওহীদ সহ তালৰিয়া পড়লেন--

এাএ;ভো য় এা;৷া, এ৷ এো, ৰু;;১া৷ ষ্৷ এ;;৷ এ৷ এ;,:; য় এএ এ ; ;৷ স্পোা৷৷ এ; ;৷ ,
গ্লু এা;;;;া৷ ৷ ;

লোকেরা ত ৷লবিয়া উচ্চারণ করতে লাগল ৷ তারা সুউচ্চ আসমানস্মুহেৱ অধিক্র্তা এবংএ

ধরনের অন্যান্য শব্দ বেশী বলছিন ৷ নবী করীম (না) তা শুনেও আপত্তি করেন নি ৷ আমার
দৃষ্টি সীমা পর্যন্ত নজর দৌডিংয় জ৷ ৷মি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে আরোহী ও পথচ৷ বীদের
দেখতে পেলাম, জার পিছরুনও তেমনি, তার ডান দিকেও( তমনি এবং তার বাম দািকও
তেমনি লোকে লোক ৷রণ৷ দেখতে পেলাম ৷ জা ৷বির (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) তখন
আমাদের মাঝে এমন অবস্থায় তার উপরে কুরআন অবতীর্ণ হলো ৷ তিনি তার ব্যাখ্যা জানতেন
এবং সে অনুসারে তিনি যে কোন আমল করতেন আমরাও সে আমল করতাম ৷ আমরা যখন
বের হই তখন হজ্জ ব্যতীত আমাদের অন্য কিছুর নিয়ত ছিল না ৷ অবশেষে আমরা কাবায়
উপনীত হলে নবী করীম (সা) হাজার ৰুআসওয়াদ চুম্বন করলেন; তারপর তাওয়াফের তিন
চক্করে রমল’ করলেন এবং চার চক্করে স্বাভাৰিকভাবে ছুাটলেন ৷ তাওয়াফ শেষ করে তিনি
মাকামে ইব্রাহীম-এর দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তার পুেছনে দু’রাকআত সালাত আদায়
করলেন ৷

তারপর তিলাওয়াত করলেন ষ্ট্ঞা ণ্:স্তো)গ্লু৷ ণ্াণ্গ্;; এ ৷,১;;া, “ এবৎ (বলেছিলাম)
তোমরা ইবরাহীমের র্দাড়াবার স্থানকে ণ্সালাতের স্থানরুপে গ্রহণ কর” (২ : ১২৫) ৷ আহমদ
(র) বলেন, আবু আবদুল্পাহ্শুবলেছেন, সে দু’রাকআতে তিনিসুরা ইখলাস ও কাফিরুন
পড়েছিলেন ৷ তারপর হাজার আসওয়াদ চুম্বন করে সাফার উদ্দেশ্যে বের হলেন ৷ (সেখানে)


[فَصْلٌ فِي إِيرَادِ حَدِيثِ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي حَجَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] وَهُوَ وَحْدَهُ مَنْسَكٌ مُسْتَقِلٌّ، رَأَيْنَا أَنَّ إِيرَادَهُ هَاهُنَا أَنْسَبُ ; لِتَضَمُّنِهِ التَّلْبِيَةَ وَغَيْرَهَا مِمَّا سَلَفَ وَمَا سَيَأْتِي، فَنُورِدُ طُرُقَهُ وَأَلْفَاظَهُ، ثُمَّ نُتْبِعُهُ بِشَوَاهِدِهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي مَعْنَاهُ، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ: «أَتَيْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ وَهُوَ فِي بَنِي سَلَمَةَ، فَسَأَلْنَاهُ عَنْ حَجَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَدَّثَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَثَ فِي الْمَدِينَةِ تِسْعَ سِنِينَ لَمْ يَحُجَّ، ثُمَّ أُذِّنَ فِي النَّاسِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاجٌّ هَذَا الْعَامَ. قَالَ: فَنَزَلَ الْمَدِينَةَ بَشَرٌ كَثِيرٌ، كُلُّهُمْ يَلْتَمِسُ أَنْ يَأْتَمَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَفْعَلَ مَا يَفْعَلُ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَشْرٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ وَخَرَجْنَا مَعَهُ، حَتَّى إِذَا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ نَفِسَتْ أَسْمَاءُ بِنْتُ عُمَيْسٍ بِمُحَمَّدِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَيْفَ أَصْنَعُ؟ قَالَ: " اغْتَسِلِي ثُمَّ اسْتَثْفِرِي بِثَوْبٍ، ثُمَّ أَهِلِّي ". فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ نَاقَتُهُ عَلَى الْبَيْدَاءِ، أَهَلَّ بِالتَّوْحِيدِ: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ، لَا شَرِيكَ لَكَ ". وَلَبَّى النَّاسُ، وَالنَّاسُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৬৫


তিলাওয়াত করলেন ণ্£ৰুা৷ গ্লুএে ণ্ষ্ঠাং ও,প্রুা৷দ্বু ক্রো৷ ঞা সফো-মাব্রঘো আল্লাহ্র নিদর্শনসমুহের
অন্যতম (২ : ১৫৮) ৷ তারপর তিনি বললেন ১ ন্নুা৷ ৷া৷ ৷,প্রু ৷ ৰু ;১ “আল্লাহ্ যা দিয়ে শুরু
করেছেন আমরাও তা দিয়েই শুরু করব ৷” এরপর তিনি সাফায় চড়দুলন ৷ সেখানে যখন
বায়তুল্লাহ্র দিকে দৃষ্টি করলেন তখন তা ৷কবীর (আল্লা ল্লাহু আকবার) ধ্বনি দিলেন এবং বললেন-



“আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই যিনি একক, তার কোন নশরীক নেই, র্তাবই রাজ্য-
বাজহু , হামৃদ্ তা৷রই; আর তিনি সব কিছুদুত ক্ষমতড়াবান ৷ আল্লাহ ব্যতীত আর কাে ন ইলাহ্
নুেই, যিনি একক; তিনি তার ওয়াদ৷ পুর্ণ করেছেন, তিনি তার ঙ্রাদ৷ সত্য বানিদুয়ছেন; আর
তিনি একাকী সব দলবলকে পরাস্ত কিংবা (বলেন) পর৷ ভুত করেছেন ৷’ তারপর (আরো)
দু আ করলেন এবং আব৷ ৷র এই কথাগুলো বললেন ৷ তারপর (নমে এলেন ৷ যখন তার
পদযুগল উপত্যকার সমতলে স্থির হতে লাগল, তখন তিনি দ্রুত পদে চললেনৰু ৷ আবার যখন
চড়াই পথে চড়ত্তে লাপদুলন তখন স্বাভাবিক ইাটলেন ৷ তারপর মারওয়ড়ায় এসে তাদুর্তচড়লেন
এবং যখন বাযতুল্লাহ্র দিকে দৃষ্টি দিলেন তখন সেখানে তেমনই বললেন, যেমন সাফায়
আদুরাহণ করে বলেছিলেন ৷ তারপর যখন সপ্তম স৷ ঈ শেষে মারওয়ড়ায় পৌছদুলন তখন
বললেন-
ণ্এ দো

ম্ভগ্লুধ্রু;
“লোক সকল! আমার ব্যাপার যা আমি পরে বুঝেছি, তা যদি আগে বুঝতে পারতাম তবে
আমি হাদী নিয়ে আসতাম না এবং অবশ্যই এটিকে উমরায় পরিণত করতাম ৷ সুতরাং যার
সাথে হাদী নেই সে যেন হালাল হয়ে যায় এবং এটিকে উমরারুপে গণ্য করে ৷” তখন লোকেরা
(প্রায়) সকলেই হালাল হয়ে গেল ৷ তখন সুরাক৷ ইবন মালিক ইবন জুছুম (রা) যিনি
উপত্যকা ৷র নিম্নভুমিদুত ছিলেন ৷ বললেন, ইয়া৷ র ৷সুলাল্পাহ্! দুক রল আমাদের এ বছরের জন্যই
নাকি চিরকালের জন্য? রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন এক হাতের আঙ্গুলুত লো অন্য হাতের
আঙ্গুলতদুলার মাঝে ঢুকিয়ে বললেন এ্যা চিরদিলের জন্য এ কথা তিনি তিনবার বললেন ৷
তারপর রলদুলনণ্ন্

, এ১১

“কিয়ামতের দিন পর্যন্ত উমরার (সময়) হদুজ্জর (সময়ের) মাঝে প্রবিষ্ট হয়ে গেল ৷

বর্ণনাকাৰী (জাবির) বলেন, ধ্ৰুদিবেঃগ্রালী (বা) ইয়ামান থেকে কিছু হাদী নিয়ে এলেন এবং
রাসুলুল্লাহ্ (না)-ও মদীনায় হাদী হতে কিছু হাদী নিয়ে এসেছিলেন ৷ তিনি লক্ষ্য করলেন যে,
ফাতিমা (বা) হালাল হয়ে গিয়েদুছন এবং ষ্ রঙ্গীন কাপড় পরেদুছন ও সৃরম৷ ব্যবহার করেছেন ৷
আলী (বা) তা অপসন্দ “করলে তিনি বললেন, “আমার আব্বাজান আমাকে এরুপ করতে নির্দেশ
দিয়েছেন ৷ ইয়াহ্য়৷ (র) বলেন, আলী (রা) কুফায় বলেদুছন(জাফরশ্ণ্(র) বলেছেন এ পরবর্তী
অংশটুকু জাবির (রা) উল্লেখ করেন নি) , আমি রাগে চটে গিয়ে ফাতিমার কথিত বিষয়ে


يَزِيدُونَ: ذَا الْمَعَارِجِ. وَنَحْوَهُ مِنَ الْكَلَامِ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْمَعُ، فَلَمْ يَقُلْ لَهُمْ شَيْئًا، فَنَظَرْتُ مَدَّ بَصَرِي بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ رَاكِبٍ وَمَاشٍ، وَمِنْ خَلْفِهِ مِثْلُ ذَلِكَ، وَعَنْ يَمِينِهِ مِثْلُ ذَلِكَ، وَعَنْ شِمَالِهِ مِثْلُ ذَلِكَ. قَالَ جَابِرٌ: وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا، عَلَيْهِ يَنْزِلُ الْقُرْآنُ، وَهُوَ يَعْرِفُ تَأْوِيلَهُ، وَمَا عَمِلَ بِهِ مِنْ شَيْءٍ عَمِلْنَاهُ، فَخَرَجْنَا لَا نَنْوِي إِلَّا الْحَجَّ، حَتَّى إِذَا أَتَيْنَا الْكَعْبَةَ، فَاسْتَلَمَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَجَرَ الْأَسْوَدَ، ثُمَّ رَمَلَ ثَلَاثَةً، وَمَشَى أَرْبَعَةً، حَتَّى إِذَا فَرَغَ عَمَدَ إِلَى مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ، فَصَلَّى خَلْفَهُ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ قَرَأَ: {وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى} [البقرة: 125] (الْبَقَرَةِ: 125) قَالَ أَحْمَدُ: وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ - يَعْنِي جَعْفَرًا -: فَقَرَأَ فِيهِمَا بِالتَّوْحِيدِ وَقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ. ثُمَّ اسْتَلَمَ الْحَجَرَ، وَخَرَجَ إِلَى الصَّفَا، ثُمَّ قَرَأَ: {إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ} [البقرة: 158] (الْبَقَرَةِ: 158) . ثُمَّ قَالَ: " نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ ". فَرَقِيَ عَلَى الصَّفَا، حَتَّى إِذَا نَظَرَ إِلَى الْبَيْتِ كَبَّرَ، ثُمَّ قَالَ: " لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ، أَنْجَزَ وَعْدَهُ، وَصَدَقَ عَبْدَهُ، وَهَزَمَ - أَوْ غَلَبَ - الْأَحْزَابَ وَحْدَهُ ". ثُمَّ دَعَا، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى هَذَا الْكَلَامِ ثُمَّ نَزَلَ، حَتَّى إِذَا انْصَبَّتْ قَدَمَاهُ فِي الْوَادِي رَمَلَ، حَتَّى إِذَا صَعِدَ مَشَى حَتَّى أَتَى الْمَرْوَةَ، فَرَقِيَ عَلَيْهَا حَتَّى نَظَرَ إِلَى الْبَيْتِ، فَقَالَ عَلَيْهَا كَمَا قَالَ عَلَى الصَّفَا، فَلَمَّا كَانَ السَّابِعُ عِنْدَ الْمَرْوَةِ قَالَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنِّي لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ، لَمْ أَسُقِ الْهَدْيَ، وَلَجَعَلْتُهَا عُمْرَةً، فَمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ هَدْيٌ فَلْيَحِلَّ، وَلْيَجْعَلْهَا عُمْرَةً ". فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ، فَقَالَ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمٍ وَهُوَ فِي أَسْفَلِ الْوَادِي: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلِعَامِنَا هَذَا أَمْ
পৃষ্ঠা - ৩৯৬৬


ফাতওয়া জিজ্ঞেস করার জন্য রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে গিয়ে বললাম , ফাতিমা রঙ্গীন কাপড়
পরেছেন, সৃরমা লাগিয়েছেন এবং বলেছেন যে, আমার আববাজান আমাকে হুকুম করেছেনা
নবী কবীম (সা) বললেন, যে সত্য বলেছে, সে সত্য বলেছে, আমি তাকে ঐ বিষয় হুকুম
দিয়েছি ৷ আর জাবির (রা)-এর বর্ণনায় এবং নবীকবীম (সা) আলী (রা)-কে বললেন ণ্-
এ্যা “তুমি কী বলে ইহরাম বেধেছো ? তিনি বললেন, আমি বলেছি, ইয়া আল্লাহ্! আমি
ইহরাম বীধছি সেরুপ যেরুপ ইহরাম বেধেছেন আপনার রাসুল (সা) ৷ তিনি বললেন, আর
আমার সাথে হাদীও রয়েছে ৷ নবী কবীম (সা) বললেন এে ১াদ্বু “তবে তুমি হালাল হয়ো
না ৷” বর্ণনাকারী (জাৰির) বলেন, আলী (রা) ইয়ামান হতে যে হাদী নিয়ে এসেছিলেন এবং
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) যা নিয়ে এসেছিলেন তার মোট সংখ্যা ছিল একশ’ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজ
হাতে তেষট্টিটি কুরবানী করলেন ৷ তারপর আলী (রা)-কে দিলে তিনি অবশিষ্টগুলো কুরবানী
করলেন ৷ নবী কবীম (সা) তার হাদীতে আলী (রা)১কে শবীক করে নিলেন ৷ তারপর প্রতিটি
কুরবানী হতে টুকরা কোট নেয়ার হুকুমদািলন, সেগুলো একটি ইড়াড়িতে রথো হল (এবং
পাক্বানাে হল) ৷ পরে তারা দুজন সে গোশত খেলেন এবং ঝোল পান করলেন ৷ তারপর
রড়া সুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ,াএ -এে $ ষ্ৰুশ্৩ ষ্ ৷াৰুন্৯ এ)১ও fi “এখানে আমি কুরবানী করেছি,
তবে মিনার সবটইি কুরবানী ক্ষেত্র ৷ তিনি আরাফায় অবস্থান’ করে বললেন, ষ্-ক্তা এ্যাস্
;দ্বু, $ হ্ণ্া) ঙু “আমি এখানে উকুফ (অবস্থান) করেছি, তবে আরাফার সবটইি উকুফের
স্থান ৷ আর ঘুযদালিফায় অবস্থান করে বললেন ৰুৰুওগ্লু ৷শুা$ ম্ক্টত্র১)এাঙু ৰু-গ্শু১১ খোঙু আমি
এখানে অবস্থান করেছি, তবে গোটা মৃযদালিফইি অবস্থান ক্ষেত্র ৷ ইমাম আহমদ (র) এভাবেই
এ হাদীস উপস্থাপন করেছেন এবং এর শেষ অংশ যথেষ্ট সংক্ষিপ্ত করেছেন ৷
ইমাম মুসলিম (র) তার সহীহ্-এর মানাসিক অধ্যায়ে এ হাদীসঢি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আমরা যথাস্থানে মুসলির্মও আহমদ (র)-এর বণ্টাড়া-বার্বধানেৱ অতিরিক্ত অংশ চিহ্নিত করে
এনৈছিৰু তা ছিল আর্নী (রা)-কে বলা নবী কবীম (না)-এর বাণী, “সে সত্য বলেছে, সে সত্য
বলেছে ৷” (পুর্ববর্তী ৰ্ণ্নাি ব্যবধান) ছুগ্ এে,>ও : এ্যা ৷১া “তুমি যখন হরুজ্জর ইহ্রাম
বেধেছ তখন কী বলেছ? আলী (বা) বললেন, আমি বলেছি, ইয়া আল্লাহ্ ! আমি সেরুপ ইহরড়াম
বেধেছি ৷ যেরুপ ইহরাম আপনার রাসুল (সা) বেধেছেন ৷ আলী (বা) বললেন, আমার সাথে
তো হাদী রয়েছে ! নবী কবীম (সা) বললেন, তবে তুমি হালাল হবে না ৷ বর্ণনাকাবী বলেন,
ইয়ামান থেকে আলী (রা)-এর নিয়ে আসা হাদী দল এবং ৱালুলুল্লাহ্ (সা) যা এসেছিলেন তা
ৎথ্যায় ছিল একশ’ ৷ বর্গনাকারী বলেন, তখন (প্রায়) সব (লকিই হালাল হল এবং তারা চুল
হেটে নিল ৷ কিন্তু নবী কবীম (সা) এবং যার যার সাথে হড়ার্দীছিল তারা হালাল হলেন না ৷ পরে
তালবিয়া (৮ই যিলহজ্জ)-এর দিন এলে তারা মিনা অভিমুখে চললেন ৷ তখন র্তারা হভ্রুজ্জর
ইহরাম বীধলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-ও বড়াহনে আরোহণ করলেন এবং সেখানে (মিনার) গিয়ে
যুহর, আসর, মাগরিব, ইশা ও (পরবর্তী) ফজর সালড়াতসমুহ আদায় করলেন ৷ তারপর সুর্য
উদিত হওয়া পর্যন্ত কিছুসময় অপেক্ষা করে রইলেন ৷ তিনি তার একটি পশমী-তড়াবু লাগাবার
নির্দেশ দিলে তা নামিরায় তার জন্য লাগানো হল ৷ রাসৃলুল্লাহ্ (সা) তখন চলতে লাগলেন ৷
কুরইিশীদের এ বিষয় কোন দ্বিধা ফ্লি না যে, নবী কবীম (সা) মাশআরুল হারাম’ (যুযদালিফা)


لِلْأَبَدِ؟ فَشَبَّكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَابِعَهُ، فَقَالَ: " لِلْأَبَدِ ". ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. ثُمَّ قَالَ: " دَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ". قَالَ: وَقَدِمَ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ بِهَدْيٍ، وَسَاقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُ مِنْ هَدْيِ الْمَدِينَةِ هَدْيًا، فَإِذَا فَاطِمَةُ قَدْ حَلَّتْ وَلَبِسَتْ ثِيَابًا صَبِيغًا وَاكْتَحَلَتْ، فَأَنْكَرَ ذَلِكَ عَلِيٌّ عَلَيْهَا، فَقَالَتْ: أَمَرَنِي بِهِ أَبِي. قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ بِالْكُوفَةِ - قَالَ جَعْفَرٌ: قَالَ أَبِي: هَذَا الْحَرْفُ لَمْ يَذْكُرْهُ جَابِرٌ -: فَذَهَبْتُ مُحَرِّشًا أَسْتَفْتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الَّذِي ذَكَرَتْ فَاطِمَةُ، قُلْتُ: إِنَّ فَاطِمَةَ لَبِسَتْ ثِيَابًا صَبِيغًا وَاكْتَحَلَتْ، وَقَالَتْ: أَمَرَنِي بِهِ أَبِي. قَالَ: " صَدَقَتْ صَدَقَتْ صَدَقَتْ، أَنَا أَمَرْتُهَا بِهِ ". وَقَالَ جَابِرٌ: وَقَالَ لِعَلِيٍّ: " بِمَ أَهْلَلَتَ؟ " قَالَ: قُلْتُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أُهِلُّ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُكَ. قَالَ: وَمَعِي الْهَدْيُ. قَالَ: " فَلَا تَحِلَّ ". قَالَ: وَكَانَ جَمَاعَةُ الْهَدْيِ الَّذِي أَتَى بِهِ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ، وَالَّذِي أَتَى بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةً، فَنَحَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ، ثُمَّ أَعْطَى عَلِيًّا فَنَحَرَ مَا غَبَرَ، وَأَشْرَكَهُ فِي هَدْيِهِ، ثُمَّ أَمَرَ مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ، فَجُعِلَتْ فِي قِدْرٍ فَأَكَلَا مِنْ لَحْمِهَا، وَشَرِبَا مِنْ مَرَقِهَا، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ نَحَرْتُ هَاهُنَا، وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ ". وَوَقَفَ بِعَرَفَةَ فَقَالَ: " وَقَفْتُ هَاهُنَا، وَعَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ ". وَوَقَفَ بِالْمُزْدَلِفَةِ وَقَالَ: " وَقَفْتُ هَاهُنَا، وَالْمُزْدَلِفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ ".» هَكَذَا أَوْرَدَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ هَذَا الْحَدِيثَ، وَقَدِ اخْتَصَرَ آخِرَهُ جِدًّا. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ مُسْلِمُ بْنُ الْحَجَّاجِ فِي الْمَنَاسِكِ مِنْ " صَحِيحِهِ "، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৬৭


এই অবস্থান করবেন (আরাফাতে যাবেন না) ৷ যেমন’শু জাহিলী যুগে কুরাইশীদের নিয়ম ছিল ৷
কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) অতিক্রম করে আরাফ৷ পর্যন্ত চলে পেলেন ৷ সেখানে নামিরারর্তার জন্য ণ্
র্তাবু স্থাপন করা হয়েছে, দেখতে; পেলেন ৷ তাই সেখানে অবতরণ করলেন ৷ সুর্য (পশ্চিমে) ঢলে
পড়লে তিনি বাহন কা সওয়া’ (উটনীটি) নিয়ে আসতে বললেন ৷ণ্ তখন তীর জন্য উটনীর পিঠে
গদী তাট৷ হল ৷ তিনি উপত্যকা ৷র সম৩ লভুমিতে এসে লোকদের সামনে খৃতব৷ দিলেন ৷ তাতে
তিনি
া১া১ ণ্র্চু১ঠু৷ এেএ ৷১১ ণ্র্চু )গ্লুট্ট দ্বু ৷১১ ণ্র্চুপ্দ্বুপ্লু ও০ )১ৰু ণ্র্চুওা: ণ্া )শ্ ণ্ম্রাযুঃাদ্বু ণ্র্চুণ্ন্ণ্ণ্১ fl!
এদ্বু৷ গোদ্বু ন্ণ্ড্রুহ্রষ্গ্লু নাঠুঞঙ্ষ্৷ ণ্ধ্^১ন্নু র্দুড্রু< ক্রুণ্ষ্ এেংও ৷ন্১১ট্ট১ হ্ৰুএ১এে৷ )৷ গ্রা১ব্লু ৰু ;ট্র এর্চু )§
ণ্১
শ্রু-ন্ধ্এ জৌন্
মোঃ ৷ড্রুব্লুন্াদ্বুঝা£ র্চুগ্লুপ্রু
(দৌ) ণ্ন্নী
ৰুষ্,া;৷ও ৷ এান্হ্রষ্ও

র্টতোমাদের রক্ত ও ণ্তামাদের সম্পুদ ণ্তামাদের জন্য, মর্যাদা সম্পন্ন তোমাদের এ মাসে
তোমাদের এ নগরে তোমাদের এ ;দিনটির মর্ষাদ্ার,ন্যায় ৷ শুনে রেখো৷ জাহিলিয়্যাতের সবকিছু
আমার দৃ’পায়ের তলায় রহিত ৷ জাহিলী ঘুন্থগর রক্তপণ’ রহিত ৷ প্রথম রক্তপণ যা আমি রহিত
ঘোষণা করছি ৷ আমাদের নিজ গোষ্ঠীর রক্তপণ, ইবন রাবীআ ইবনুল হারিছ-এর রক্তপণ, বনু
সাদ গোত্রে সে (ধাত্রীমাতার) দুধপান রত ছিল, হুযায়লীরা তাকে হত্যা করে ৷ জাহিলী যুগের
সুদ রহিত; প্রথম সুদ যা আমি রহিত ঘোষণা করছি ৷ আমাদের প্রাপ্য আব্বাস ইবন আবদুল
যুত্তা ৷লিবের সুদ তা সম্পুংইি রহিত ৷ না ৷রীদের ব্যাপারে অ ৷ল্লাহ্কে ভয় করে চলবে; ৫কননা,
তোমরা তাদের গ্রহণ করেছ, আ ল্লাহ্ৱ আমানত’-এর মাধ্যমে এবং তাদের লজ্জাস্থ ন তোমরা
হালাল করেছ আল্লাহ-র কালিমা ৷র সাহায্যে৷ তাদের উপর ভে,ামাদের ,হক এই যে, তা ৷রা
তোমাদের বিছানাগুলে৷ এমন কাউকে মাড়াতে দেবে না, যাদের তোমরা অপসন্দ কর ৷ যদি
তারা তা করে বসে, তবে তাদের প্রহার করতে পারবে আঘাত সৃষ্টিকারী নয় এমন প্রহারে ৷ আর
তোমাদের উপর তাদের হক, সঙ্গত পরিমাভৈণ তাদের থােরপোষ ৷

আর তোমাদের কাছে এমন একটি বিষয় রেখে যাচ্ছি, যার পরে তোমরা পথহার৷ হবে না
যদি তোমরা তা মযবুত জাকড়ে থাক ৷ তা হল আল্লাহর কিতাব ! তোমরা আমার বিষয়
জিজ্ঞাসিত হবে, (বল তো) তোমরা তখন কী বলবে? উপস্থিত লোকজন বললেন, আমরা সাক্ষ্য
দেব যে, আপনি অবশ্যই পৌছে দিয়েছেন, আপনি কল্যাণ কামন৷ করেছেন এবং আপনি
(যথাযথ) দায়িতৃ পালন করেছেন ৷ তখন নবী করীম (না) তার শাহাদাত’ আব্দুল আকাশের
দিকে তুলে এবং সমবেত জনতার দিকে নামিয়ে ইঙ্গিত করে বললেন ১শুণ্ট্ট১৷ ণ্ন্া৷৷ ১শুন্র্মী ণ্ন্া৷া
“ইয়া আল্পাহ্ সাক্ষী থাক! ইয়৷ আল্লাহ্ সাক্ষী থাক ! কথাটি তিনি তিনবার বললেন ৷


أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، كِلَاهُمَا عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، فَذَكَرَهُ. وَقَدْ أَعْلَمْنَا عَلَى الزِّيَادَاتِ الْمُتَفَاوِتَةِ مِنْ سِيَاقِ أَحْمَدَ وَمُسْلِمٍ إِلَى «قَوْلِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لِعَلِيٍّ: " صَدَقَتْ صَدَقَتْ، مَاذَا قُلْتَ حِينَ فَرَضْتَ الْحَجَّ؟ " قَالَ: قُلْتُ: اللَّهُمَّ إِنِّي أُهِلُّ بِمَا أَهَلَّ بِهِ رَسُولُكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: " فَإِنَّ مَعِي الْهَدْيَ فَلَا تَحِلَّ ". قَالَ: فَكَانَ جَمَاعَةُ الْهَدْيِ الَّذِي قَدِمَ بِهِ عَلِيٌّ مِنَ الْيَمَنِ وَالَّذِي أَتَى بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةً. قَالَ: فَحَلَّ النَّاسُ كُلُّهُمْ وَقَصَّرُوا إِلَّا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ هَدْيٌ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ تَوَجَّهُوا إِلَى مِنًى فَأَهَلُّوا بِالْحَجِّ، وَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى بِهَا الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ وَالْفَجْرَ، ثُمَّ مَكَثَ قَلِيلًا حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ، وَأَمَرَ بِقُبَّةٍ لَهُ مِنْ شَعْرٍ، فَضُرِبَتْ لَهُ بِنَمِرَةَ، فَسَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا تَشُكُّ قُرَيْشٌ إِلَّا أَنَّهُ وَاقِفٌ عِنْدَ الْمَشْعَرِ الْحَرَامِ، كَمَا كَانَتْ قُرَيْشٌ تَصْنَعُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، فَأَجَازَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَتَى عَرَفَةَ، فَوَجَدَ الْقُبَّةَ قَدْ ضُرِبَتْ لَهُ بِنَمِرَةَ فَنَزَلَ بِهَا، حَتَّى إِذَا زَاغَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِالْقَصْوَاءِ فَرُحِلَتْ لَهُ، فَأَتَى بَطْنَ الْوَادِي، فَخَطَبَ النَّاسَ وَقَالَ: " إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ حَرَامٌ عَلَيْكُمْ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ، هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، أَلَا كُلُّ شَيْءٍ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ تَحْتَ قَدَمَيَّ مَوْضُوعٌ، وَدِمَاءُ الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعَةٌ، وَإِنَّ أَوَّلَ دَمٍ أَضَعُ مِنْ دِمَائِنَا دَمُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৬৮


তারপর আযান ইকামত হলো এবং যুহর সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর (শুধু) ইকামত
হলো এবং আসর সালাত আদায় করলেন এবং এ দুই সালাতের মাঝে কোন সালাত আদায়
করলেন না ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (না) বাহনে চড়ে ওকুফ স্থলে চলে এলেন ৷ তখন তিনি তার
উটনী কাসওয়ার পেটের অংশ পাথর খণ্ডগুলেড়ার দিকে রাখলেন এবং পদাতিকদের টিলাকে
রাখলেন তার সামনের দিকে এবং তিনি কিবলামুখী হয়ে থাকলেন ৷ এভাবে অবস্থান করতে
থাকলেন ৷ যতক্ষণ না সুর্য অস্ত গেল ৷ অর্থাৎ হলদে বর্ণ কমে আসতে লাগল, এমনকি
সুর্যগােলকটি ডুবে গেল ৷ তখন উসামা ইবন যায়দ (রা)-কে নিজের পিছুনৈ সহ-আরােহী করে
রাসুলুল্লাহ্ (না) চলতে লাগলেন ৷ তিনি তখন কাসওয়ার লাগান টেনে ধরলেন এমনভাবে যে,
তার মাথা তার পায়ের গদীর পেছনের সাথে লেগে যাচ্ছিল ৷ তিনি তখর্নর্তার ডান হাত দিয়ে
ইশারা করেছিলেন ব্লুওপ্লু&৷ হ্ট্রুৰু ;হ্রপ্রু৷ গ্রাগ্রা ৷গ্লুপ্রু ৷ “লোক সকল ! শান্ত থাকে৷ ! স্থির থাকে৷ !
যখনই তিনি কোন পাহাড়ের কাছে পৌছতেন তখন উটনীকে (লাপাম) ঢিল দিতেন যাতে সে
উপরে উঠতে পারে ৷ এভাবে তিনি যুযদালিফায় পৌছলেন ৷ সেখানে মাগরিব ও ইশার সালাত
আদায় করলেন, এক আযান ও দুই ইকামাত দিয়ে ৷ এ দুইয়ের মাঝে তাসবীহ’ (নকল
সালাত) আদায় করলেন না ৷

তারপর রাসুলুল্লাহ্ (না) সৃবহে সাদিক হওয়া পর্যন্ত শুয়ে থাকলেন ৷ তারপর ভোরের আলো
পুর্ণ স্পষ্ট হলে এক আযান ও দুই ইকামাত দিয়ে ফজর সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর
কাসওয়ায় আরোহণ করে আল মাশআরুল হারাম’-এ গিয়ে কিবলাযুখী হয়ে দুআ করলেন ৷
তখন তিনি আল্লাহর হামদ (আলহামদুলিল্লাহ্), তাকবীর (আল্লাহ ক্রুঙুহ্া৷কবার) , তাহলীল-তাওহীদ
(কালিমইি শাহাদাত) পড়লেন ৷ ৰুআকাশ খুব ফর্স৷ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান
করলেন ৷ তারপর সুর্যোদয়ের প্রাক্কালে সেখান থেকে চলতে শুরু করলেন এবং ফাঘৃল ইবন
আব্বাস (রা)-কে সহ-আরােহী বানালেন ৷ ফায্ল (বা) ছিলেন সৃকেশী ও উজ্জ্বল সুন্দর
চেহারার অধিকারী ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না) চলতে শুরু করলে কতক হড়াওদানাশীনা’ মহিলা যেতে
লাপলেন ৷ ফাঘৃল (বা) তাদের দিকে তাকাতে লাগলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) ফাযলের
ঢেহারার উপরে তার হাত রেখে দিলেন ৷ ফাঘৃল (বা) তার হাত অন্য দিকে সরিয়ে দিতে
উদ্যত হলে রাসুলুল্লাহ্ (না) ও অন্য দিক হতে ফাযলের চেহারায় হাত ফিরিয়ে দিলেন ৷ তখন
ফাঘৃল (বা) অন্য দিক থেকে চেহারা ফিরিয়ে দেখতে লাগলেন ৷ ১ তারপর নবী করীম (সা)
ঘুহাসৃসার নিম্রতুমিতে পৌছলে একটু দ্রুত চললেন ৷ তারপর মাঝের পথ ধরে চললেন যেটি
জামরাতুল কুবরা’ (বড় শয়তান) পর্যন্ত পৌছে ৷ অবশেষে গাছের নিকটবর্তী জামরাটির কাছে
পৌছলেন ৷ সেটিকে সাতটি কঙ্কর মারলেন, প্রতিটি কঙ্কর যাবার সময় তিনি তাকবীর ধ্বনি ন্
দিচ্ছিলেন ৷ উপত্যকার নিম্নভুমি হতে কঙ্কর নিক্ষেপ করলেন ৷ তারপর কুরবানী ক্ষেত্রের দিকে
অগ্রসর হলেন এবং নিজ হাতে তেষট্টিটি কুরবানী করার পরে আলী (রা)-কে দিলে তিনি
অবশিষ্টগুলো কুরবানী করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) আলী (রা)-াক তার হাদীতে শয়ীক; করে
নিলেন ৷ তারপর প্রতিটি উট হতে এক টুকরো করে কেটে নেয়ার হুকুম দিলেন ৷ টুকরাগুলো
একটি ভুাড়িতে রেখে পাকানাে হল ৷ তখন তারা দু’জন সে গোশত খেলেন; এবং তার বোন



১ এখানে উল্লেখ যে, ঐ সময় ফাষ্ল (রা) ছিলেন ১২১৩ বছরের কিশোর ৷ ষ্অনুবাদক


ابْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ، كَانَ مُسْتَرْضِعًا فِي بَنِي سَعْدٍ فَقَتَلَتْهُ هُذَيْلٌ، وَرِبَا الْجَاهِلِيَّةِ مَوْضُوعٌ، وَأَوَّلُ رِبًا أَضَعُهُ رِبَانَا ; رِبَا الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَإِنَّهُ مَوْضُوعٌ كُلَّهُ، وَاتَّقُوا اللَّهَ فِي النِّسَاءِ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانَةِ اللَّهِ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ، وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَلَّا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ، فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ، وَقَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا لَنْ تَضِلُّوا بَعْدَهُ إِنِ اعْتَصَمْتُمْ بِهِ ; كِتَابَ اللَّهِ، وَأَنْتُمْ تُسْأَلُونَ عَنِّي ; فَمَا أَنْتُمْ قَائِلُونَ؟ " قَالُوا: نَشْهَدُ أَنَّكَ قَدْ بَلَّغْتَ وَنَصَحْتَ وَأَدَّيْتَ. فَقَالَ بِأُصْبُعِهِ السَّبَّابَةِ يَرْفَعُهَا إِلَى السَّمَاءِ، وَيَنْكُتُهَا إِلَى النَّاسِ: " اللَّهُمَّ اشْهَدْ، اللَّهُمَّ اشْهَدْ ". ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ أَذَّنَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ، ثُمَّ أَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ، وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا شَيْئًا، ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَتَى الْمَوْقِفَ، فَجَعَلَ بَطْنَ نَاقَتِهِ الْقَصْوَاءِ إِلَى الصَّخَرَاتِ، وَجَعَلَ جَبَلَ الْمُشَاةِ بَيْنَ يَدَيْهِ، وَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتَّى غَرَبَتِ الشَّمْسُ، وَذَهَبَتِ الصُّفْرَةُ قَلِيلًا حَتَّى غَابَ الْقُرْصُ، وَأَرْدَفَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ خَلْفَهُ، وَدَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ شَنَقَ لِلْقَصْوَاءِ الزِّمَامَ، حَتَّى إِنَّ رَأْسَهَا لِيُصِيبُ مَوْرِكَ رَحْلِهِ، وَيَقُولُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى:
পৃষ্ঠা - ৩৯৬৯


পান করলেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বাহনে আরোহণ করে বায়তুল্লাহ্য় উদ্দেশ্যে চললেন
এবং মক্কায় যুহর সালাত আদায় করলেন ৷ পরে বনু আবদুল ঘুত্তালিবেরৎকাছে পেলেন, তারা
তখন যমযম-এয় কাছে ণ্লাকদের পানি তুলে দিচ্ছিল ৷ তখন তিনি বললেন-


“ঘুত্তা ৷লিবীরা! (পানি) তুলতে থাক; যদি না তোমাদের পানি সরবরা হেব কাজে তোমাদের
উপরে দো কদের ঝামেলা ও চাপ সৃষ্টির অ ৷শৎকা থাকত, তবে আ ৷যিও অবশ্যই তোমাদের সাথে
(পা নি) তুলতাম ’ জরা ত কে একটি বড়ালভী এগিয়ে দিলে তিনি তা থেকে গান করলেন (এ
পর্যন্ত মুসলিম র এর রিওয়ায়া ৷ত) ৷ তারপর মুসলিম (র) এ হ দীসখানা অনুরুপ রিওয়ায়াত
করেছেন জাবির (বা) সুত্রে ৷ আবুসিনান-এর কাহিনী সে যে জাহিলী যুগের লোকদের সাথে
খালি পিঠে পাধায় আরোহী হয়ে (হরুজ্জ্বর সময়) চলাচল করত তা উল্লেখ করেছেন এবং (এ
কথাও) যে, র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন “আমি এখানে কুরবানী করলাম, তবে মিন৷ পুরোটইি
কুরবানী ক্ষেত্র;ত তাই তোমরা তোমাদের আস্তা নাম (৩ নবুত্তে) কুরবাবী করতে পার;অ আমি এখানে
ওকুফ (অবস্থান) করেছি তবে যে টা অ রোফা ইি ওকুফ স্থল এবংঅ মি(মুযদা ৷লিফায়) এখানে
অবস্থান করেছি তবে গোটা ঘুযদালিফাই অবস্থান ক্ষেত্র ৷

আবু দাউদ ও নাসাঈ (র) এ হাদীস তার দীর্ঘ পরিসরসহ বিভিন্ন রাবী হতে রিওয়ায়ড়াত
করেছেন (যাদের রিওয়ারা ৷তে ৰিষয়গত ও শব্দগত:কিছুটা প্ক্ষারতম্য রয়েছে)া

হজ্জ ও উমরা পলােম মদীনা থেকে মক্কা স্বামনকালে নবী কবীম (সা) এর
সালাত আদায়ের স্থ ত্বনসমুহেৱ আলোচনা

বুখারী (র) বলেছেন, মদীনা ভিমুখী পথের মসজিদসমুহ এবং নবী করীম (সা) এর স ৷লাত
আদায়ের স্থানসমুহ ৷ মুহাম্মদ ইবন আবু বকর আ ল যুকা ড়াদ্দাযী (র)মুসা ইবন উকবা (র)
সুত্রে বলেন, আমি সালিম ইবন আবদুল্লাহ্কে পথে কিছু কিছু স্থান খুজে বের করতে দেখেছি;
যে সব স্থানে তিনিসালাত আদায় করতেন এবং হাদীস বর্ণনা করতেন যে, তার পিতা ঐ সব
স্থানে সালাত আদায় করতেন এবং এই (কথাও বলঃক্তা) যে, তিনি (সালিংমর€পিতা) নবী
করীম (না)-কে ঐ সব স্থানে সালাত আদায় করতে দেখেছেন ৷ আর (মুসা বলেন) নড়াফি (র)
ইবন উমর (বা) হতে আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (ইবন উমর) ঐ সকল স্থানে সালাত
আদায় করেছেন ৷ আমি (মুসা) সালিম (র) কে জিজ্ঞেস করেছি, আমার জানা মতে তিনি নাফি
(র)-এর সাথে সব কটি স্থানের ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন ৷ তবে তারা দু’জন
রাওহার উচুভুমিতে অবস্থিত মসজিদের ক্ষেত্রে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন ৷১ বুখারী (র) বলেন,
ইব্রাহীম ইবনুল মুনযির (র) নাফি (র) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন উমর
(রা) র্তাকে খবর’ দিয়েছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার উমরা করার সময় এবং তীর হরুজ্জর
সফরে, যখন তিনি (বিদায়) হজ্জ করলেন, যুল-হুলায়কার বাবলা’ গাছের তলায় যুল
হুলায়ফাতে যে মসজিদ রয়েছে তার (কাছাকাছি) স্থানে অবতরণ করতেন ৷ ঐ পথ রেখার



১ রাওহা ( ণ্ট্১;)) মদীনা হতে প্রায় ৩৬ মাইল রে একটি মনযিল ৷ অনুবাদক


" أَيُّهَا النَّاسُ، السَّكِينَةَ السَّكِينَةَ ". كُلَّمَا أَتَى جَبَلًا مِنَ الْجِبَالِ أَرْخَى لَهَا قَلِيلًا حَتَّى تَصْعَدَ، حَتَّى أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ، فَصَلَّى بِهَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ بِأَذَانٍ وَإِقَامَتَيْنِ، وَلَمْ يُسَبِّحْ بَيْنَهُمَا شَيْئًا، ثُمَّ اضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى طَلَعَ الْفَجْرُ، فَصَلَّى الْفَجْرَ حِينَ تَبَيَّنَ لَهُ الصُّبْحُ بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ، ثُمَّ رَكِبَ الْقَصْوَاءَ حَتَّى أَتَى الْمَشْعَرَ الْحَرَامَ، فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ، فَدَعَاهُ وَكَبَّرَهُ وَهَلَّلَهُ وَوَحَّدَهُ، فَلَمْ يَزَلْ وَاقِفًا حَتَّى أَسْفَرَ جِدًّا، وَدَفَعَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَأَرْدَفَ الْفَضْلَ بْنَ الْعَبَّاسِ، وَكَانَ رَجُلًا حَسَنَ الشَّعْرِ، أَبْيَضَ وَسِيمًا، فَلَمَّا دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّتْ ظُعُنٌ يَجْرِينَ، فَطَفِقَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهِنَّ، فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ عَلَى وَجْهِ الْفَضْلِ، فَحَوَّلَ الْفَضْلُ وَجْهَهُ إِلَى الشِّقِّ الْآخَرِ يَنْظُرُ، فَحَوَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ مِنَ الشِّقِّ الْآخَرِ عَلَى وَجْهِ الْفَضْلِ، فَصَرَفَ وَجْهَهُ مِنَ الشِّقِّ الْآخَرِ يَنْظُرُ، حَتَّى إِذَا أَتَى بَطْنَ مُحَسِّرٍ، فَحَرَّكَ قَلِيلًا، ثُمَّ سَلَكَ الطَّرِيقَ الْوُسْطَى الَّتِي تَخْرُجُ عَلَى الْجَمْرَةِ الْكُبْرَى، حَتَّى أَتَى الْجَمْرَةَ الَّتِي عِنْدَ الشَّجَرَةِ، فَرَمَاهَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ - يُكَبِّرُ مَعَ كُلِّ حَصَاةٍ مِنْهَا - حَصَى الْخَذْفِ، رَمَى مِنْ بَطْنِ الْوَادِي، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى الْمَنْحَرِ فَنَحَرَ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ بِيَدِهِ، ثُمَّ أَعْطَى عَلِيًّا فَنَحَرَ مَا غَبَرَ، وَأَشْرَكَهُ فِي هَدْيِهِ، ثُمَّ أَمَرَ مِنْ كُلِّ بَدَنَةٍ بِبَضْعَةٍ، فَجُعِلَتْ فِي قِدْرٍ فَطُبِخَتْ، فَأَكَلَا مِنْ لَحْمِهَا وَشَرِبَا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৯৭০
مَرَقِهَا، ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَفَاضَ إِلَى الْبَيْتِ، فَصَلَّى بِمَكَّةَ الظُّهْرَ، فَأَتَى بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَسْقُونَ عَلَى زَمْزَمَ، فَقَالَ: " انْزِعُوا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَلَوْلَا أَنْ يَغْلِبَكُمُ النَّاسُ عَلَى سِقَايَتِكُمْ، لَنَزَعْتُ مَعَكُمْ ". فَنَاوَلُوهُ دَلْوًا فَشَرِبَ مِنْهُ» . ثُمَّ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ عُمَرَ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ، فَذَكَرَهُ بِنَحْوِهِ، وَذَكَرَ قِصَّةَ أَبِي سَيَّارَةَ، وَأَنَّهُ كَانَ يَدْفَعُ بِأَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ عَلَى حِمَارٍ عُرْيٍ، وَأَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «نَحَرْتُ هَاهُنَا وَمِنًى كُلُّهَا مَنْحَرٌ، فَانْحَرُوا فِي رِحَالِكُمْ، وَوَقَفْتُ هَاهُنَا، وَعَرَفَةُ كُلُّهَا مَوْقِفٌ، وَوَقَفْتُ هَاهُنَا، وَجَمْعٌ كُلُّهَا مَوْقِفٌ» ". وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ بِطُولِهِ عَنِ النُّفَيْلِيِّ وَعُثْمَانَ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ وَهِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ وَسُلَيْمَانِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - وَرُبَّمَا زَادَ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ الْكَلِمَةَ وَالشَّيْءَ - أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ جَعْفَرٍ، بِنَحْوٍ مِنْ رِوَايَةِ مُسْلِمٍ، وَقَدْ رَمَزْنَا لِبَعْضِ زِيَادَاتِهِ عَلَيْهِ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ أَيْضًا وَالنَّسَائِيُّ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنْ جَعْفَرٍ بِهِ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ أَيْضًا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ بِبَعْضِهِ، وَعَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ هَارُونَ الْبَلْخِيِّ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بِبَعْضِهِ.