سنة عشر من الهجرة النبوية
حجة الوداع في سنة عشر
الجواب عن حديث الطيالسي أن رسول الله نهى أن يجمع بين الحج والعمرة
পৃষ্ঠা - ৩৯৪৯
এভাবে বলেছিলেন, আপনারা জা নেন নি যে, এ বিষয়টি নিয়েধ করা হয়েছে অর্থাৎ তিনি
(ক্রিয়ার কর্তৃরুপ ব্যবহার না করে) কর্মরুপ ব্যবহার করেছিলেন ৷ কিন্তু পরবর্তী রাবী সেটিকে
নবী করীম (সা) এর সাথে সম্পৃক্ত (করে কর্তৃরুপে রুপান্তরিত করে নিষের করেছেন’রুপে
ব্যক্ত) করেছেন এবং তাতে ভ্রান্তির শিকার হয়েছেন ৷ কেননা, হভ্রুজ্জর ঘুতঅড়া যিনি নিষেধ
করতেন, তিনি হলেন উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) ৷ তবে তার এ নিষেধ ও হারাম’ সাব্যস্ত করার
রুপে এবং চুড়াত পর্যায়ের ছিল না (যেমন পুর্বে আলোচনা করে এসেছি) ৷ বরং তার
নিয়েধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল রাতে হজ্জ হতে ভিন্ন করে উমরার জন্য স্বতন্ত্র সফর করে আসা হয়
এবং তার ফলে রায়তুল্লাহ্র যিরারতে আগমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ৷ আর যেহেতু সাধারণ
সাহাবীগণ (বা) তাকে খুব বেশী সমীহ করতেন ৷
তাই প্রায়শ মুখের উপরে তার ব্যিরাধিতা বা তার সাথে দ্বিমত পােষণের দৃসােহস তারা
দেখাতেন না ৷ অথচ তার পুত্র আবদুল্লাহ্ (র)-ও এ বিষয়ে তার সাথে ভিন্নমত পােবণ করতেন
এবং তাকে এ কথা বলা হলো যে, আপনার পিতা- ভৈতড়া তা (হক্রুজ্জর আগে উমরা করা) নিষেধ
কর ওে ণ্রু ; তিনি ণ্যাওেণ, “আমার আশঙ্কা হয় যে, তোমাদের উপরে আন্দামান হতে পাথর না
বর্নিত হয় £ রাসুলুল্লা হ্ (সা) তো নিজে তা করেছেন ৷ তা হলে রাসুলুল্লড্রু :(সা)-এর সুন্নাত
অনুসরণ করা হবে নাকি উমর ইরনৃল থাত্তাব (রা) এর আচরিত রীতির অনুসরণ করা হবে?
অনুরুপ উহুমান (রা) তা নিষেধ করতেন আর আলী ইবন আবু তালিব (রা) তীর বিরোধিতা
করেছেন (পুবেই আলোচনা হয়েছে) ৷ আলী (রা) বলতেন, কোন মানুষের কথায় আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সুন্নাহ্ পরিত্যাগ করব না ৷ আর ইমরান ইবন হুসায়ন (রা) পরিস্কার
বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সঙ্গে তামাত্তু (কিরান) করেছি; তারপর তা হারাম
সাব্যস্ত করে কুরআন নাযিল হয় নি এবং রাসুলুল্লাহ্ (না)-ও তার ওফাত পর্যন্ত তা নিষেধ করে
যান নি ৷ (বুখারী-যুসলিম)সহীহ্ মুসলিমে সাদণ্ৰু (রা) হতে বর্ণনা রয়েছে যে, তিনি মুআবিরা
(রা)ণ্ণ্এর যুতআর অস্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, আমরা তো রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সঙ্গে থেকে তা করেছি, যখন নাকি এ ল্যেকটি মক্কায় কাফিররুপে জীবন-যাপন করছিল ৷ অর্থাৎ
যুআৰিরা (রা) ন্
গ্রস্থুকারের বক্তব্য : রাসুলুল্লাহ্ (সা) কিরান হজ্জ করেছেন এবং এর আনুষঙ্গিক
রিওয়ড়ায়াতসমুহ ইতোপুর্বে বিবৃত হয়েছে ৷ আর বিদায় হজ্জ ও রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর ওফাতের
মাঝে এক শি দিন (এর বেশী) ও ছিল না এবং প্রায় চল্লিশ্ হাজার সাহাবী (বা) তার হজ্জ
বিষয়ক উক্তিসমুহ গুনেছেন এবং এ সং ক্রান্ত কার্যকলাপ প্রত্যক্ষ করেছেন ৷ সুতরাং এত অধিক
লোক তার যে হজ্জ প্রত্যক্ষ করলেন তাতে যদি তিনি কিরান নিষিদ্ধ করতেন তবে সাহাবীগণের
মাত্র একজন তা বর্ণনা করা এবং তাদের মাঝে শ্রো তা-অগ্রোতা এক সমষ্টির তা প্রত্যাখ্যান করার
মত পরিস্থিতি সৃষ্টির অবকাশ হত না ৷ আর এ সব কিছু প্রমাণ করে যে, ঐ বিষয়টি উল্লিখিত
রুপে মুআ ড়াৰিয়া (রা) হতে ংস রক্ষিত নয় ৷ অল্লোহ্ই সমধিক অবগত ৷
আবু দাউদ (র) বলেন, আহমদ ইবন সালিহ (র) স ন্মঈদ ইবনুল ঘুসায়িব্লব (র)এর
বরাতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) ১ এর জনৈক সাহাবী উমর ইবনুল থাত্তাব
(রা) এর কাছে এসে এ মর্মে সাক্ষ্য দিলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তার অন্তিম
ণোণোণো (হ্র ৷ ড়াব্র ওে দো : ৫০ তো
وَقَّاصٍ «تَمَتَّعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهَذَا - يَعْنِي مُعَاوِيَةَ - يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ بِالْعُرُشِ. يَعْنِي بِمَكَّةَ» . وَإِنَّمَا يُرِيدُ بِهَذَا إِحْدَى الْعُمْرَتَيْنِ ; إِمَّا الْحُدَيْبِيَةَ أَوِ الْقَضَاءَ، فَأَمَّا عُمْرَةُ الْجِعْرَانَةِ فَقَدْ كَانَ مُعَاوِيَةُ قَدْ أَسْلَمَ ; لِأَنَّهَا كَانَتْ بَعْدَ الْفَتْحِ، وَحَجَّةُ الْوَدَاعِ بَعْدَ ذَلِكَ سَنَةَ عَشْرٍ، وَهَذَا بَيِّنٌ وَاضِحٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[الْجَوَابُ عَنْ حَدِيثِ الطَّيَالِسِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ نَهَى أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ]
فَصْلٌ (الْجَوَابُ عَنْ حَدِيثِ الطَّيَالِسِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ نَهَى أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ)
إِنْ قِيلَ: فَمَا جَوَابُكُمْ عَنِ الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ، وَاسْمُهُ حَيْوَانُ بْنُ خَالِدٍ «، أَنَّ مُعَاوِيَةَ قَالَ لِنَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ صُفَفِ النُّمُورِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: وَأَنَا أَشْهَدُ. قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ لُبْسِ الذَّهَبِ إِلَّا مُقَطَّعًا؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ يُقْرَنَ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ لَا. قَالَ: وَاللَّهِ إِنَّهَا لَمَعَهُنَّ.»
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫০
قَالَ: كُنْتُ فِي مَلَأٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ مُعَاوِيَةَ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: «أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ، أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ جُلُودِ النُّمُورِ أَنْ يُرْكَبَ عَلَيْهَا؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: وَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نَهَى عَنْ لِبَاسِ الذَّهَبِ إِلَّا مُقَطَّعًا؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: وَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نَهَى عَنِ الشُّرْبِ فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: وَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نَهَى عَنِ الْمُتْعَةِ؟ - يَعْنِي مُتْعَةَ الْحَجِّ - قَالُوا: اللَّهُمَّ لَا. قَالَ: أَمَا إِنَّهَا مَعَهُنَّ.»
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ، أَنَّهُ شَهِدَ مُعَاوِيَةَ وَعِنْدَهُ جَمْعٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُمْ مُعَاوِيَةُ: «أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ رُكُوبِ جُلُودِ النُّمُورِ؟ قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ لُبْسِ الْحَرِيرِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ يُشْرَبَ فِي آنِيَةِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ. قَالَ: أَتَعْمَلُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ جَمْعٍ بَيْنَ حَجٍّ وَعُمْرَةٍ؟ قَالُوا: اللَّهُمَّ لَا. قَالَ: فَوَاللَّهِ إِنَّهَا لَمَعَهُنَّ.» وَكَذَا رَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، وَزَادَ: وَلَكِنَّكُمْ نَسِيتُمْ. وَكَذَا رَوَاهُ أَشْعَثُ بْنُ بَزَّارٍ، وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫১
২৪৬ আলৰিদায়৷ ওয়াননিহায়া
অসুস্থতার সময় flfi§ আগে উমরা পালন নিষেধ করতে শুনেছেন ৷ প্রথমত এ সনদটি
সমালোচনার উরুর্ধ্ব নয় ৷ দ্বিতীয়ত এ সাহাবী বলতে যদি মুআৰিয়া (রা)-£ক বুঝানে হয়, তবে
সে বিষয় ইতোপুর্বেই আলোচিত হয়েছে; এ ছাড়া নিয়েয়াজ্ঞাটি যুতঅ৷ (তামাত্তু) সম্পর্কিত
কিরান সম্পর্কিত নয় ৷ আর সে সাহাবী অন্য কেউ হল্যেব্তাতে কিছুটা জটিলতা অবশ্যই
রয়েছে, তবুও তাও কিরান সম্পর্কিতনয় ৷ : আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷
ইহরামকালে হজ্জ উমরা নির্দিষ্ট না বম্মা সম্পর্কিত রিওয়ায়াত ষ্ক যারা বলেছেন যে, নবী
করীম (সা) প্রথমদিকে হজ্জ বা উমরার কথা নির্দিষ্ট করে ইহরাম বার্ধেন নি, পরে তা নির্দিষ্ট
করেছিলেন তাদের প্রমাণের উৎস পর্যালোচনা ইমাম শাফিঈ (র) সম্পর্কেণ্ড কথিত হয়েছে যে,
তিনি এ পদ্ধতিকে উত্তম বলেছেন, তবে এটি তার নামে উদ্ধৃত দুর্বল অসমর্থিত উক্তি ৷ ইমাম
শাফিঈ (র) বলেন, সুফিয়ান (র) (ইবন তাউস, ইব্রাহীম ইবন মায়সার৷ ও হিশাম ইবন
ণ্হুজায়র (র) সুত্রে এরা) তাউস (র)-(ক বলতে তনেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনা হতে বের
হলেনঃ, তখন তিনি হজ্জ-উমরার কথা নির্দিষ্ট করে না বলে আসমানী কায়সালার প্রভীক্ষায়
ছিলেন, তারপর তার সাফা-মারওয়ায় অবস্থানকালে ফায়সালা নাযিল হল ৷ তখন তিনি তার
সাহাবীপণকে হকৃম দিলেন তোমাদের মধ্যে যারা হভ্রুজ্জর ইহরাম বেধেছে এবং তার ন্সীথে হাদী
আনে নি, তারা সেটিকে উমরায় পরিণত করবে এবং বললেন-
“আমার ব্যাপার যা আমি পরে বুঝেছি তা যদি আভ্রুষ্৷ বুঝতে পারতাম তবে হাদী নিয়ে
ন্ জানতাম না; কিন্তু আমি তো মাথায় আট৷ জড়িয়েছি এবং আমার হাদী সাথে নিয়ে এসেছি;
অতএব আমার হাদী হালাল’ হওয়ার ক্ষেত্র ব্যভীরেকে আমার জন্য হালাল হওয়ার অবকাশ
নেই ৷ ” তখন সুরাক৷ ইবন মালিক (বা) তীর সামনে দাড়িয়ে বললেন, “ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্!
আমাদের জন্য চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়ে দিন যেন আজই র্তাদের জন্ম হয়েছে আমাদের এ
উমরাটি শুধু আমাদের এ বছরের জন্য (সীমিত) নাকি অনন্তকালের জন্য (উন্মুক্ত)? তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ;
“(না) বরং অনতকালের জন্য, কিয়ড়ামত পর্যতকালের জন্য হরুজ্জর মাঝে উমরা প্রৰিষ্ট হয়ে
গিয়েছে ৷ ” বর্ণনাকারী বলেন, ইতোমধ্যে ইয়ামান হতে আলী (বা) এসে পৌছলে রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, তুমি কী বিষয়ের ইহরাম করেছ ? তিনি বললেন, (একজনের বর্ণনা) আপনার
সকাশে হড়াযির! নবী কবীয় (সা) এর ন্যায় ইহরাম সহকারে (অন্যজানর বর্ণনা) আপনার
সকাশে হাযির৷ নবী কয়ীম (সা) এর ন্যায় হজ্জ সহকারে! এ হাদীস (তাৰিঈ) তাউস (র) এর
মুরসাল (অসং যুক্ত) এবং এতে বিরলতা ও রয়েছে ৷ তাছাড়া শাফিঈ (র) এর নীতি হল
অন্য সনদ দ্বারা সমর্থিত না হলে শুধু মুরসাল রিওয়ায়াত তিনি গ্রহণ করেন না; তবে যদি
অগত্যা তা প্রবীণ ;তাবিঈগণের রিওয়ায়া-ত হয় ৷ (যেমন, তার আর রিসালাহ’-র বক্তব্য ব্যাখ্যা
করা হয়েছে) কেননা, প্রবল ধারণান্ করা যায় যে, প্রবীণ তাবিঈগণ সাহাবীগণের নিকট হতেই
وَهَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، بِأَصْلِهِ. وَرَوَاهُ مَطَرٌ الْوَرَّاقُ، وَبَيْهَسُ بْنُ فَهْدَانَ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ فِي مُتْعَةِ الْحَجِّ. فَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ أَبِي شَيْخٍ الْهُنَائِيِّ بِهِ. وَهُوَ حَدِيثٌ جَيِّدُ الْإِسْنَادِ، وَيُسْتَغْرَبُ مِنْهُ رِوَايَةُ مُعَاوِيَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، النَّهْيَ عَنِ الْجَمْعِ بَيْنَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَلَعَلَّ أَصْلَ الْحَدِيثِ النَّهْيُ عَنِ الْمُتْعَةِ، فَاعْتَقَدَ الرَّاوِي أَنَّهَا مُتْعَةُ الْحَجِّ، وَإِنَّمَا هِيَ مُتْعَةُ النِّسَاءِ، وَلَمْ يَكُنْ عِنْدَ أُولَئِكَ الصَّحَابَةِ رِوَايَةٌ فِي النَّهْيِ عَنْهَا، أَوْ لَعَلَّ النَّهْيَ عَنِ الْإِقْرَانِ فِي التَّمْرِ، كَمَا فِي حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ، فَاعْتَقَدَ الرَّاوِي أَنَّ الْمُرَادَ الْقِرَانُ فِي الْحَجِّ، وَلَيْسَ كَذَلِكَ، أَوْ لَعَلَّ مُعَاوِيَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِنَّمَا قَالَ: أَتَعْلَمُونَ أَنَّهُ نُهِيَ عَنْ كَذَا؟ فَبَنَاهُ لِمَا لَمْ يُسَمَّ فَاعِلُهُ، فَصَرَّحَ الرَّاوِي بِالرَّفْعِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَوَهِمَ فِي ذَلِكَ ; فَإِنَّ الَّذِي كَانَ يَنْهَى عَنْ مُتْعَةِ الْحَجِّ إِنَّمَا هُوَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَلَمْ يَكُنْ نَهْيُهُ عَنْ ذَلِكَ عَلَى وَجْهِ التَّحْرِيمِ وَلَا الْحَتْمِ، كَمَا قَدَّمْنَا، وَإِنَّمَا كَانَ يَنْهَى عَنْهَا لِتُفْرَدَ عَنِ الْحَجِّ بِسَفَرٍ آخَرَ ; لِتَكْثُرَ زِيَارَةُ الْبَيْتِ، وَقَدْ كَانَ الصَّحَابَةُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، يَهَابُونَهُ كَثِيرًا، فَلَا يَتَجَاسَرُونَ عَلَى مُخَالَفَتِهِ غَالِبًا وَكَانَ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৫২
মুরসা ল (অসংযুক্ত) বিওয়ায়াত বর্ণনা করে থাকবেন ৷ (যাতে রাসুল (সা) এর সাথে হাদীসের
হ্যৌগ প্রতিপন্ন করা যায় ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷
কিন্তু এ মুরসা ল রিওয়ায়াতটি ঐ ধরনের নয়; বরং এঢি^পুর্যোল্লিথিস্তু সব হাদীস ইফরাদ,
তাম৷ ৷ত্তু ও কিবান সম্পর্কিত সব হাদীসের বিপরীত এবং ঐওলো যেমন বর্ণিত হয়েছে সবই
মুসনাদ ও স০ যুক্ত বর্ণনা ৷ সুতবাং সেগুলো ৷ই বিধান মতে অগাধিকায়য়োগ৷ ৷ ত্যছ৷ ৷ড়া ঐগুলো
এমন একটি (অতিরিক্ত) বিষয় সাব্যম্ভকারী যা এ মুবসড়াল হাদীসে নেই ৷ আর বিধান মতে
ইতিবাচক (সাব্যম্ভকা রীা) হাদীস নেতিবাচক ;(অসাব্যস্তকারী) হাদীসের চেয়ে অগ্রাধিক৷ রযোগ্য
যদি উভয় প্রক৷ র (সনদের বিচারে) সমতুল্য হয় ৷ অথচ বতমান আলোচ্য ক্ষেত্রে একদিকে
রয়েছে মুসনাদ ও সহীহ্ এবং অপরদিকে মুরসাল যা সনদ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে
প্ৰমাণ’ রুপে দাড়াতে পারে না ৷ আল্লাহ তা আল ৷৷ই সমধিক অবগত
(অন্য একটি বিওয়ায়াত) হা ৷ফিজ আবু বকর বায়হার্কী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ আল
হাফিজ (র)(আসওয়াদ) আ ৷ইশ৷ (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সাথে বের হলাম, তখন আমরা হজ্জ ও উমরা (-এর কোন একটি নির্দিষ্ট করে)
উল্লেখ করি নি ৷ আমরা (মক্কায়) উপনীত হলে তিনি আমাদের হালাল হয়ে যাওয়ার নির্দেশ
দিলেন ৷ প্রত্যাধর্ত্যনয় রাত এলে সার্কিয়া৷ বিনৃত হুয়ায় (রা)ন্থন্এব ঋতুস্রাব শুরু হল ৷ নবী
করীম (না) (তা জানতে পেয়ে) বললেন, মনে হচ্ছে ও তােমাদেবকে আটকিয়ে রাখবে ৷ তিনি
আবার বললেন, দশ তারিখে তড়াওয়াফ করেছিলে কি? তিনি বললেন, হী ৷ নবী করীম (সা)
বললেন, তবে চলো’ ৷ আইশা (রা) বলেন, আমি বললাম, ইয়া বাসুলাল্লাহ্৷ আমি তো উমবার
ইহবাম বাধি নি ৷ তিনি বললেন, ণ্ঠু-গ্ম্রা (১^ এে>শ্গুৰুআক্ট তবে যাও তানঈম হতে উমবার ইহবাম
বেধে আলো ৷ বর্ণনাকাবী (আসণ্ডয়াদ) বলেন, তখন তার ভাই আর সাথে চট্রুালেন ৷ আইশা
আপনাদের একত্রিত হতে হবে ৷ বায়হাকী (র) এভারেই হাদীসটি বিওয়ায়াত করেছেন ৷ আর
বুখারী (র) এ ণ্ হাদীস ৰুণ্রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুহাম্মদ (র) (যিনি ইয়াহ্য়৷ আয-যুহালী র-এর
পুত্র) ঐ সনদে তবে, তাতে তিনি বলেছেন, “আমরা বাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে বের হলাম
আমরা হজ্জ ব্যতীত অন্য কিছুর আলোচনা করি নি ৷ এ বর্ণনা আইশ৷ (বা) হতে বর্ণিত
পুর্বোল্লিখিত হাদীসসমুহের সাথে অধিক সঙ্গতিপুর্ণ ৷ তবে মুসলিম (ব) রিওয়ায়াত করেছেন,
সুওয়ায়দ ইবন সাঈদ (র)(আসওয়াদ) আ ৷ইশা (রা) সুত্রে তিনি বলেন, “আমরা ব ৷সুলুল্লাহ্
(না) এর সাথে বের হলাম আমরা হজ্জ বা উমরা কো ৷ন টিবই উল্লেখ করি নি ৷” অন্য দিকে
বুখারী ও ঘুসলি ম (র) মানসুর (র)(আসওয়াদ) আইশা (রা) সুত্রে এটা উদ্ধৃত করেছেন,
তিনি বলেন, “আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে বের হলাম, আমরা সেটিকে হজ্জ ব্যতীত অন্য
কিছু মনে করি নি ৷” এটি অধিকতর বিশুদ্ধ ও প্রামাণ্য ৷ অ ৷ল্লাহ্ সমধিক অবগত ৷
এ সুত্রেই তার (আইশা রা ) অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে, “আমরা তালবিয়া পাঠ করতে
করতে বের হলাম, তবে আমরা হজ্জ বা উমরা কো ৷নটিবই উল্লেখ করছিলাম না” এ হাদীসের
অবশ্য এভাবে বা৷খ্যা দেয়া যায় যে, তালৰিয়াব সাথেন্র্তাব৷ হজ্জ বা উমবার কথা উল্লেখ করতেন
না, যদিও ইহরাম বীধায় মুহুর্তে তারা তা “নির্দিষ্ট করে নিয়েছিলেন ৷ যেমন আনাস (রা)এর
يُخَالِفُهُ، فَيُقَالُ لَهُ: إِنَّ أَبَاكَ كَانَ يَنْهَى عَنْهَا. فَيَقُولُ: لَقَدْ خَشِيتُ أَنْ يَقَعَ عَلَيْكُمْ حِجَارَةٌ مِنَ السَّمَاءِ، قَدْ فَعَلَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَفَسُنَّةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُتَّبَعُ أَمْ سُنَّةُ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ؟ وَكَذَلِكَ كَانَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَنْهَى عَنْهَا، وَخَالَفَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ - كَمَا تَقَدَّمَ - وَقَالَ: لَا أَدَعُ سُنَّةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِقَوْلِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ. وَقَالَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ «تَمَتَّعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ قُرْآنٌ يُحَرِّمُهُ، وَلَمْ يَنْهَ عَنْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى مَاتَ.» أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ ". وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " «عَنْ سَعْدٍ أَنَّهُ أَنْكَرَ عَلَى مُعَاوِيَةَ إِنْكَارَهُ الْمُتْعَةَ، وَقَالَ: قَدْ فَعَلْنَاهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهَذَا يَوْمَئِذٍ كَافِرٌ بِالْعُرُشِ. يَعْنِي مُعَاوِيَةَ، أَنَّهُ كَانَ حِينَ فَعَلُوهَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَافِرًا بِمَكَّةَ يَوْمَئِذٍ.»
قُلْتُ: وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، حَجَّ قَارِنًا، بِمَا ذَكَرْنَاهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ فِي ذَلِكَ، وَلَمْ يَكُنْ بَيْنَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَبَيْنَ وَفَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا أَحَدٌ وَثَمَانُونَ يَوْمًا، وَقَدْ شَهِدَ تِلْكَ الْحَجَّةَ مَا يُنَيِّفُ عَلَى أَرْبَعِينَ أَلْفَ صَحَابِيٍّ قَوْلًا مِنْهُ وَفِعْلًا، فَلَوْ كَانَ قَدْ نَهَى عَنِ الْقِرَانِ فِي الْحَجِّ الَّذِي شَهِدَهُ مِنْهُ النَّاسُ ; لَمْ يَنْفَرِدْ بِهِ وَاحِدٌ مِنَ الصَّحَابَةِ، وَيَرُدَّهُ عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْهُمْ مِمَّنْ سَمِعَ مِنْهُ وَمَنْ لَمْ يَسْمَعْ، فَهَذَا كُلُّهُ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ هَذَا هَكَذَا لَيْسَ مَحْفُوظًا عَنْ مُعَاوِيَةَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.