আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

بسط البيان لما أحرم به عليه الصلاة والسلام في حجته هذه من الإفراد والتمتع والقران

পৃষ্ঠা - ৩৯০২


হতজ্জর সাথে কিৎবা আগে বা পরে একেবারেই উমর৷ না করা বুঝানো উদ্দেশ্য হয়, তবে কোন
আলিম এহেন মত পোষণ করেছেন বলে আমার জানা নেই ৷ তা ছাড়া এ দাবী তখন আইশা
(রা) প্রমুখ হতে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত রিওয়ায়াত নবী করীম (সা) চারবার উমরা
করেছিলেন, বিদায় হদুজ্জর সাথে আদায়কৃত উমরাটি ব্যতীত যার প্রতিটি ছিল যিলকদ
মাসে ৷ ’-এর সাথে সরাসরি বিরােধপুর্ণ হবে (কিরান শীর্ষক অনুচ্ছেদে এ বিষয়ের বিশদ বর্ণনা
দেয়া হবে) ৷ আল্লাহই সমধিক অবগত ৷

অনুরুপ ইমাম আহমদ (র)-এর মুসনাদে বর্ণিত, তার আর একটি রিওয়ায়াত রাওহ (র)
নবী করীম (সা) এর সহধর্গিনীন্ আইশা (রা) সুত্রে বলেছেন, বিদায় হরুজ্জ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হজ্জ
ও উমরার (সমন্বিত) ইহরাম বীধলেন এবং সাথে কুরবানীর পশু (হাদী) নিলেন; তীর সন্সের
কিছু লোক (শুধু) উমরার ইহরাম বাধলেন এবং হাদী সাথে নিলেন এবং অন্য কিছু লোক
উমরার ইহরাম বাধলেন, তবে তারা কো ন ৷হাদী সাথে নিলেন না ৷ আ ৷ইশা (রা) বলেন, আমি
ছিলাম সে দলে যারা উমরার ইহরাম বাধলেন, তবে আ ৷মি হাদী সাথে নিলাম না ৷ রাসুলুল্লাহ্
যখন মক্কায় উপনীত হলেন তখন বললেন-

ধ্১া, ৰুন্া৷প্রু
ণস্তো ত্া৷ ¢:fl ৷১৷ মোঃ স্ র্টু১গ্ত্রুপ্র ণ্া৷ মোঃ ণ্ঞ্জো ১কুন্৷ ণ্৷ শ্রুণ্ট্র

“ তোমাদের মাঝে যারা উমরার ইহরাম বেধেছে এবং সাথে হাদী নিয়ে এসেছে তারা যেন
বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করে এবং সাফা-মারওয়ায় সাঈ করে, আর তাদের হজ্জ সমাধ৷ না করা
এবং দশ তারিখে তাদের হাদী কুরবানী না করা পর্যন্ত তাদের জন্য যা হারাম হয়েছিল তার
কিছুই হালাল হবে না ৷ আর তোমাদের মাঝে যার৷ উমরার ইহরাম বেধেছে তবে সাথে হাদী
নিয়ে আসে নি, তারা যেন বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করে এবং সাফা মারওয়ায় সাঈ করে,
তারপর চুল ভুাটে ও হালাল হয়ে যায় ৷ পরে যেন (যথাসময়) হত্তজ্জর ইহরাম করে এবং
হাদী কুরবানী করে; অবশ্য যারা তাতে সমর্থ না হয়ে তাদের জন্য হস্কজ্জর দিনগুল্যেতে
তিনটি এবং যখন বা ৷ড়িতে ফিরে যাবে তখন সাতটি (মো ৷ট দশটি) রােয৷ ৷ আ ৷ইশা (রা)
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন হজ্জ যা ছুটে যাওয়ার আশং কা করছিলেন, আগে সমাধা
করলেন, পরে উমরা করলেন ৷ এ হাদীসটিও ইমাম আহমদ (র) এর একক বর্ণনা ৷ এর
কতক শব্দ অপরিচিতি দুষ্ট; তবে কতকের আবার বিশুদ্ধ বর্ণনার সমর্থক’ (শাহিদ)
রয়েছে৷ ৷ত৷ ছাড়া (সনদের দ্বিতীয়) রাৰী সালিহ ইবনুল আখযার (তার শায়খ ইব ন শি ৷হাব)
যুহরী (র) এর সেরা ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত নয়; বিশেষত যখন অন্যান্য রা ৷বী তার প্রতিকুল
বিবরণ দেয় ৷ যেমন এ ক্ষেত্রে তার বর্ণিত কতক শব্দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ৷ তদুপরি হজ্জ যা
ছুটে যাওয়ার আশং কা করছিলেন, আগে আদায় করলেন এবং উমর৷ পিছিয়ে দিলেন ৷
উক্তিটি এ হাদীসের প্রথমাং শের হজ্জ ও উমরার (সমন্বিত) ইহরাম করলেন’ এর সাথে
সঙ্গভিপুর্ণ নয় ৷ কেননা, এ কথার উদ্দেশ্য যদি এমন হয় যে, যে ৷টামুটিভাবে হজ্জ ও উমরা
উভয়ের ইহরাম (অর্থাৎ নিয়াত) করেছিলেন এবং হরুজ্জর কার্যক্রম আগে সম্পন্ন করেন এবং


[بَسْطُ الْبَيَانِ لِمَا أَحْرَمَ بِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ فِي حَجَّتِهِ هَذِهِ مِنَ الْإِفْرَادِ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ] بَابُ بَسْطِ الْبَيَانِ لِمَا أَحْرَمَ بِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فِي حَجَّتِهِ هَذِهِ مِنَ الْإِفْرَادِ وَالتَّمَتُّعِ وَالْقِرَانِ ذِكْرُ الْأَحَادِيثِ الْوَارِدَةِ بِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَانَ مُفْرِدًا رِوَايَةُ عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ فِي ذَلِكَ: قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ: أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي أُوَيْسٍ، وَيَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنِي الْمُنْكَدِرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ»
পৃষ্ঠা - ৩৯০৩


তা সম্পন্ন করার পরে উমরার ইহরাম করলেন ৷ যেমনপ্শ্ ইফরাদের অভিমত পােবণকারিগণ
বলে থাকেন,তবে সেটাই তো আমাদের প্রতিপাদ্য ৷ আর যদি এমন উদ্দেশ্য হয় যে, আগে
থেকেই উমরার ইহরাম করা সত্বেও তার কার্যক্রম পুরোপুরি পিছিয়ে দিয়েছেন তবে,
আলিমগণের মাঝে এহেন অভিমত পােবণকারী এমন কেউ আছেন বলে আমার জানা নেই ৷
আর যদি এ কথার উদ্দেশ্য এমন হয় যে, হয়ুজ্জর কার্যক্রম আদায়ের উমরার কার্যক্রম আদায়
হয়ে গিয়েছে অর্থাৎ উমরাটি হরুজ্জ্বর মাঝে অনুপ্রবিষ্ট’ হয়ে গিয়েছে (বিধায় উমরার জন্য
স্বতন্ত্র তাওরাফ ইত্যাদি কার্যক্রম প্রয়োজনীয় নয়) ৷ তবে, তা তো তাদের বক্তব্য যারা (নবী
করীম (সা) এর হজ্জ) কিরান ধরনের হওয়ার অভিমত পােবণ করেছেন ৷ তবে এ অভিমত
পােবণকারিগণ সে সব হাদীস যাতে এরুপ বর্ণনা রয়েছে যে, নবী কবীম (সরু) ইফরাদ (অর্থাৎ
স্বতন্ত্র ) হজ্জ করেছিলেন এ গুলোর ব্যাখ্যা এভাবে দিয়ে থাকেন যে, তিনি হরুজ্জর জন্যই
(শুধু) স্বতন্ত্র আমল ও কার্যক্রম সমাধা করেছিলেন, যদিও হত্তজ্জর সাথে উমরারও নিয়ত
করেছিলেন (যেহেতু উমরা হসুজ্জর মাঝে অনুপ্রৰিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলে) ৷ তাদের এ ব্যাখ্যার
পিছনে যুক্তি হল এই যে, (র্তীরা বলেন) যে সব বর্ণনাকারী কিরান’ হজ্জ হওয়ার রিওয়ায়ড়াত
করেছেন, র্তীরাই সকলে ইফরাদ হজ্জ হওয়ারও রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বর্ণনা সামনে আসছে
অর্থাৎ র্তীদের দৃষ্টিতে কিরান ও ইফরাদ মুলত অভিন্ন বিষয় ৷ নিয়তের বিচারে কিরান এবং
কার্যক্রমের বিচারে তাই ইফরাদ ৷ আল্লাহ্ই সম্যক অবগত ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবু ঘুআবিয়া (র) জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) হতে, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সৰু) তীর হৰুজ্জ শুধু হভ্রুজ্জর ইহরাম করেছিলেন ৷ এ হাদীসের সনদ মুসলিম,
(র)-এব শর্তানুরুপ উত্তম ৷ বায়হাকী (র) এ হাদীস রিওয়ায়ড়াত করেছেন হাকিম (র)
প্রযুখজাবির (রা) থেকে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর হব্জ্জ (শুধু) হরুজ্জর ইহরাম
করলেন, যার সাথে উমরা ছিল না ৷ এ শেষের বর্ধিত অংশটুকু একান্ত বিরল ধরনের এবং
আহমদ ইবন হাবল (র) এর রিওরায়াত অধিক বিশুদ্ধ ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ সহীহ্
মুসলিমে জাফর ইবন মুহাম্মদ (র) জাৰির (রা) সুত্রে তিনি বলেন, আমরা হভ্রুজ্জর ইহরাম
বীধলড়াম, আমরা হভৈপুজ্জর সময় উমরাও যে করা যায় তা জানতাম না ৷ ইবন মজ্যে রিওয়ায়ড়াত
করেছেন, হিশাম ইবন অস্ফোর (র) জাৰির (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সৰু)
ইফরাদ হজ্জ করেছেন ৷ এটি একটি উত্তম’ সনদ ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবদুল
ওয়াহ্হড়াব আছ-ছাকাফী (র) জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সরু) নিজে এবং তার সাহাবীগণ হত্তজ্জর ইহরাম র্যড়াধলেন; নবী কবীম (সরু) এবং
তালহা (রা) ব্যতীত র্তাদের কারো সাথে হাদী ছিল না (এরপর হাদীসটি আনুপুর্বিক উল্লেখ
করেছেন) ৷ এ দীর্ঘ হাদীস বুখায়ী (র)এর সহীহ্ গ্রন্থে রয়েছে যা পরে আসবে ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইসমাঈল ইবন ঘৃহাম্মদ (র) ইবন্ উমর (রা)-এর বরাতে
বলেন, আমরা নবী করীম (সা) এর সাথে ইফরাদ হয়ুজ্জর ইহরাম র্যড়াবলাম ৷ মুসলিম (র)
তার সহীহ্ গ্রন্থে এ হাদীসখানড়া ভিন্ন সনদে রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷

হাফিজ আবু বকর আলবাবযড়ার (র) বলেছেন, হাসান ইবন আবদুল আষীয ও মুহাম্মদ
ইবন যিসকীন (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সন্ব) হয়ুজ্জর


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا سُرَيْجٌ، ثَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، وَعَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، وَعَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ مِنْ هَذِهِ الْوُجُوهِ عَنْهَا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: قَرَأْتُ عَلَى مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ» وَقَالَ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا مَالِكٌ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ - وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ عُرْوَةَ - عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ.» وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ أَبِي مُصْعَبٍ، عَنْ مَالِكٍ كَذَلِكَ. وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِالْحَجِّ.» وَقَالَ أَحْمَدُ أَيْضًا: ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ، وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ، وَمِنَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَأَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ، فَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ فَأَحَلُّوا حِينَ طَافُوا بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَأَمَّا مَنْ أَهَلَّ بِالْحَجِّ أَوْ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فَلَمْ يُحِلُّوا إِلَى يَوْمِ النَّحْرِ.» وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৯০৪
بْنِ يُوسُفَ وَالْقَعْنَبِيِّ وَإِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي أُوَيْسٍ، عَنْ مَالِكٍ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَحْيَى، عَنْ مَالِكٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ، وَأَهَلَّ نَاسٌ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ، وَأَهَلَّ نَاسٌ بِالْعُمْرَةِ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي عُمَرَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ نَحْوَهُ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، ثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ أَبِي عَلْقَمَةَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ النَّاسَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ فَقَالَ: " مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَبْدَأَ بِعُمْرَةٍ قَبْلَ الْحَجِّ فَلْيَفْعَلْ ". وَأَفْرَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَجَّ وَلَمْ يَعْتَمِرْ.» فَإِنَّهُ حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا، تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَإِسْنَادُهُ لَا بَأْسَ بِهِ، وَلَكِنْ لَفْظُهُ فِيهِ نَكَارَةٌ شَدِيدَةٌ، وَهُوَ قَوْلُهُ: فَلَمْ يَعْتَمِرْ. فَإِنْ أُرِيدَ بِهَذَا أَنَّهُ لَمْ يَعْتَمِرْ مَعَ الْحَجِّ وَلَا قَبْلَهُ، فَهُوَ قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى الْإِفْرَادِ، وَإِنْ أُرِيدَ أَنَّهُ لَمْ يَعْتَمِرْ بِالْكُلِّيَّةِ لَا قَبْلَ الْحَجِّ وَلَا مَعَهُ وَلَا بَعْدَهُ، فَهَذَا مِمَّا لَا أَعْلَمُ أَحَدًا مِنَ الْعُلَمَاءِ قَالَ بِهِ، ثُمَّ هُوَ مُخَالِفٌ لِمَا صَحَّ عَنْ عَائِشَةَ وَغَيْرِهَا مِنْ أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ أَرْبَعَ عُمَرٍ، كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ إِلَّا الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ. وَسَيَأْتِي تَقْرِيرُ هَذَا فِي فَصْلِ الْقِرَانِ مُسْتَقْصًى. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَكَذَا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ قَائِلًا فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৯০৫


অর্থাৎ ইকরাদ ইহরড়াম করলেন ৷ এ হাদীসের সনদ বেশ উত্তম ৷ তবে ছয় গ্রন্থকড়ারপণ তা
আহরণ করেন নি ৷

হাফিজ বায়হাকী (র) রিওয়ায়াত করেছেন, রাওহ্ ইবন উবড়াদা (র) ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে তিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (না) শুধু হভ্রুজ্জর ইহরাম বাধলেন ৷ যিলহয়ুজ্জর চারদিন
অতিক্রাম্ভ হলে তিনি মক্কায় পৌছলেন এবং আমাদের নিয়ে বার্তৃহড়ায়’ (ৰায়তুল্লাহ্র কাছে
কৎকরময় ভুমিতে) ফজরের সালাত আদায় করলেন ৷ তারপর বললেন ৰু৬ৰুপ্রু () এে (,এে
শ্শ্লে ট)এং “যে এটিকে উমরা বানাতে চার যে তা করতে পারে ৷ ” পরে তিনি (বায়হড়াকী)
বলেছেন যে, মুসলিম (র) ও এ হাদীসখানা রিওয়ায়ড়াত করেছেন ৷ আর ইবন আব্বাস (বা)
হতে কাতাদা (র) এর এ রিওয়ায়াত পুর্বে উল্লিখিত হয়েছে যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) যুল হুলায়ফায়
যুহরের সড়ালড়াত আদায় করলেন, পরে তার হাদীর উট নিয়ে আসা হলে সেটির কুজের ডান
পাশে যখম করলেন ৷ পরে তার বাহন নিয়ে আসা হলে তাতে আরোহণ করলেন ৷ তারপর
বাহন তাকে নিয়ে প্রাতরে স্থির হয়ে র্দাড়ালে তিনি হব্লুজ্জর ইহরাম বীবলেন ৷ সহীহ্ যুসলিমে এ
রিওয়ড়ায়াত রয়েছে ৷

হাফিজ আবুল হাসান দারড়া কুতনী’ (র) বলেছেন, হুসায়ন ইবন ইসমাঈল (র)
আসওয়াদ (র) সুত্রে তিনি বলেন, আমি আবু বকর (রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি, তিনি শুধু
হজ্জ করেছেন; উমর (রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি, তিনিও শুধু হজ্জ করেছেন এবং উছমান
(রা)-এর সাথে হজ্জ করেছি, তিনিও শুধু হজ্জ করেছেন ৷ ’ ছাওবী (র) আবু হুসড়ায়ন (র) সুত্রে
এ হাদীসের অনুপড়ামী (ভাবি) হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ এখানে (খলীফাপণের আমলের) এ
বিষয়টি উল্লেখ করার যুক্তি এই যে, বড়াহ্যত ইসলামের এ পুরােধা ব্যক্তিবর্গ (রা) এ আমল
তাওফীকী (অর্থাৎ শরীআত প্রবর্তক নবী করীম (সা) এর অনুসরণের) পদ্ধতিতেই করে
থাকবেন ৷ এ বনািয় শুধু হজ্জ বলতে ইফরাদ হজ্জ বুঝানো হয়েছে ৷ দড়ারা কুতনী (র) আরো
বলেছেন, আবু উবায়দুল্লাহ্ কাসিম ইবন ইসমাঈল ও মুহাম্মদ ইবন মাখলাদ (র) ইবন উমর
(রা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, নবী কৰীম (সা) আত্তাব ইবন আসীদ (র) কে হরুজ্জর
আমীর নিয়োগ করলেন, তিনি ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷

তারপর নবম হিজরীতে আবু বকর (রা)£ক আষীরুল হজ্জ নিয়োগ করলেন, তিনিও
ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর দশম হিজরীতে নবী করীম (সা) (নিজে) হজ্জ করলেন ৷
তিনিও ইফরড়াদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত হয়ে গেল এবং আবু বকর
(বা) খলীফা মনোনীত হলেন ৷ তিনি উমর (রা)-কে আমীকল হজ্জরুপে পাঠালেন ৷ তিনিও
ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর আবু বকর (বা) (নিজে) হজ্জ করতে ৷:পলেন ৷ তিনিও ইফরড়াদ
হজ্জ করলেন ৷ তারপর আবু বকর (রা) এর ওফাত হল এবং উমর (রা) খলীফা মনোনীত
হলেন; তিনি আবদুর রহমান ইবন আওক (রা)-ক্লে হরুজ্জ পাঠালেন, তিনিও ইফরড়াদ হজ্জ
করলেন ৷

তারপর তিনি নিজে হজ্জ করলেন এবং ইফরাদ হজ্জ করলেন ৷ তারপর উছমড়ান (রা)
অবরুদ্ধ হলে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রন্ব)-ভ্রুক জনতার জন্য প্রতিনিধি বানড়ালেন ৷ তিনিও
ইফরড়াদ হজ্জ করলেন ৷ এ সনদে অন্যতম রাৰী রয়েছেন আবদুল্লাহ ইবন উমর আল-উময়ী


رَوْحٌ، ثَنَا صَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ، ثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، أَنَّ عُرْوَةَ أَخْبَرَهُ، أَنَّ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ، وَأَهَلَّ نَاسٌ بِالْعُمْرَةِ وَسَاقُوا الْهَدْيَ، وَأَهَلَّ نَاسٌ بِالْعُمْرَةِ وَلَمْ يَسُوقُوا هَدْيًا. قَالَتْ عَائِشَةُ: وَكُنْتُ مِمَّنْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ وَلَمْ أَسُقْ هَدْيًا، فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ فَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَلَا يَحِلُّ مِنْهُ شَيْءٌ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ وَيَنْحَرَ هَدْيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ، وَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ وَلَمْ يَسُقْ مَعَهُ هَدْيًا فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ لْيُقَصِّرْ وَلْيُحْلِلْ، ثُمَّ لْيُهِلَّ بِالْحَجِّ وَلْيُهْدِ، فَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ ". قَالَتْ عَائِشَةُ: فَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَجَّ الَّذِي خَافَ فَوْتَهُ، وَأَخَّرَ الْعُمْرَةَ.» فَهُوَ حَدِيثٌ مِنْ أَفْرَادِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ، وَفِي بَعْضِ أَلْفَاظِهِ نَكَارَةٌ، وَلِبَعْضِهِ شَاهِدٌ فِي الصَّحِيحِ، وَصَالِحُ بْنُ أَبِي الْأَخْضَرِ لَيْسَ مِنْ عِلْيَةِ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ، لَا سِيَّمَا إِذَا خَالَفَهُ غَيْرُهُ، كَمَا هَاهُنَا فِي بَعْضِ أَلْفَاظِ سِيَاقِهِ هَذَا. وَقَوْلُهُ: فَقَدَّمَ الْحَجَّ الَّذِي يَخَافُ فَوْتَهُ وَأَخَّرَ الْعُمْرَةَ. لَا يَلْتَئِمُ مَعَ أَوَّلِ الْحَدِيثِ: أَهَلَّ بِالْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ. فَإِنْ أَرَادَ أَنَّهُ أَهَلَّ بِهِمَا فِي الْجُمْلَةِ وَقَدَّمَ أَفْعَالَ الْحَجِّ، ثُمَّ بَعْدَ فَرَاغِهِ أَهَلَّ بِالْعُمْرَةِ - كَمَا يَقُولُهُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى الْإِفْرَادِ - فَهُوَ مِمَّا نَحْنُ فِيهِ هَاهُنَا، وَإِنْ أَرَادَ أَنَّهُ أَخَّرَ الْعُمْرَةَ بِالْكُلِّيَّةِ بَعْدَ إِحْرَامِهِ بِهَا فَهَذَا لَا أَعْلَمُ أَحَدًا مِنَ الْعُلَمَاءِ صَارَ إِلَيْهِ، وَإِنْ أَرَادَ أَنَّهُ الْمَقْضِيُّ بِأَفْعَالِ الْحَجِّ عَنْ أَفْعَالِ الْعُمْرَةِ، وَدَخَلَتِ الْعُمْرَةُ فِي الْحَجِّ، فَهَذَا قَوْلُ مَنْ ذَهَبَ إِلَى الْقِرَانِ، وَهُمْ يُؤَوِّلُونَ قَوْلَ مَنْ رَوَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَفْرَدَ الْحَجَّ. أَيْ أَفْرَدَ أَفْعَالَ الْحَجِّ وَإِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৯০৬


(র) ৷ যিনি দুর্বল ৷ তবে হাফিজ বায়হাকী (র) বলেছেন যে, বিশুদ্ধ সনদে এ হাদীসের সমর্থক
(শাহিদ) রিওয়ায়াত রয়েছে ৷

নবী করীম (না) আশা ত্তু হজ্জ পালন করেছিলেন বলে অভিমত

পোষণকা ৷রিগণের প্রসঙ্গ

ইমাম আহমদ (র) বলেন, হাজ্জাজ (র) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সুত্রে বলেন, বিদায়
হৰ্জ্জ রাসুলুল্পাহ্ (সা) হকজ্জর সাথে উমর৷ মিলিয়ে তামাত্তু করেছিলেন ৷ তিনি যুলহুলায়ফায়
ইহরাম বেধে হাদী সঙ্গে নিলেন ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) সুচনায় উমরার ইহরাম করলেন, তারপর
হরুজ্জর ইহরাম র্বীধলেন ৷ লোকদের মাঝে কিছু এমন ছিলেন যারা হাদী সাথে নিয়েছিলেন,
তারা যুলহুলায়ফা হতে হাদী সঙ্গে নিলেন এবং তাদের মাঝে এমন কিছু ছিলেন যারা হাদী
সাথে নিলেন না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় পৌছলে লোকদের বললেন, “তোমাদের মাঝে যারা
হাদী নিয়ে এসেছে তারা হজ্জ সম্পাদন না করা পর্যন্ত তাদের জন্য যা হারাম হয়েছিল তার
কিছুই হালাল হবে না ৷ আর যারা হাদী নিয়ে আসে নি, তারা যেন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে ও
সাফা মারওয়৷ সাঈ করে এবং চুল ছেটে হালাল হয়ে যায়; তারপর (যথাসময়) হজ্জ করে
(তড়ামড়াডু হভ্রুজ্জর) দম’ কুরবানী করে ৷ দম’ কুরবানী করতে যারা সমর্থ না হয়ে তারা যেন
(হহুজ্জর দিনণ্ডলােতে) তিন দিন এবং যখন বাড়িতে ফিরে যাবে তখন সাত দিন সিয়াম পালন
করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় উপনীত হয়ে তাওয়াফ করলেন ৷ প্রথমত হাজ়য়ে আসওয়াদ চুম্বন
করলেন৷ ,
তারপর সাত চক্করের তিনটিতে দ্রুতগতিতে এবং হোলদুলে (বমল করে) চললেন এবং
চার চক্করে স্বাভাবিকভাবে ইাটলেন ৷ বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ শেষ করে মাকামে ইবরাহীমে
দু’রাকআত নামায আদায় করলেন এবং সালাম ফিরিয়ে সাফায় পৌছে সাফা-মারওয়ায় সাঈ
করলেন ৷ তারপর যা কিছু হারাম হয়েছিল তার কিছুই তীর জন্য হালাল হল না যতক্ষণ না
তিনি তার হজ্জ সম্পাদন করলেন এবং দশ তারিখে তীর হাদী কুরবানী করলেন এবং
আরাফাত-মুযদড়ালিফা হতে চলে এসে রায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ (তাওয়াফে যিয়ারত বা ইফায়া)
করলেন ৷ লোকদের মাঝে যারা হাদী সাথে নিয়ে এসেছিলেন, জরাও রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
আমলের অনুরুপ আমল করলেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, হাজ্জ ৷জ (র) উরওয়৷ ইবনুম যুরায়র (র) থেকে এ ময়ে
বর্ণনা করেন যে, আ ৷ইশা (রা) তাকে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে হরুজ্জর সাথে উমরা মিলিয়ে
তামাত্তু’ করার এবং র্তার সাথে অন্য লোকদের তামা ত্তু করার কথা অবগত করেছেন ৷ যেমন
সালিম ইবন আব,দুল্লাহ্ (র) আবদুল্লাহ (ইবন উমর) সুত্রে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সম্পর্কে আমাকে
(উরওয়াকে) অবগত করেছেন ৷ বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদ (র) ও নাসাঈ (র)ও
(সকলে) এ হাদীস উরওয়া আইশা (বা) সুত্রে ইমাম আহমদ (রা)এর বর্ণনার অনুরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ নবী করীম (না)-এর হল্কজ্জর প্ৰকরণ সম্পর্কিত তিনটি অভিমতের
-প্ৰতিটির প্রেক্ষিতেই হাদীসটি জটিল ৷ ইফরাদ অভিমত পােষণক৷ রীদের জন্য জটিল এ কারণে
যে, এতে উমরার কথা রয়েছে হভুজ্জর পুর্বে কিৎব৷ তার সাথেই (অর্থাৎ পরে নয়) ৷ আর বিশেষ


كَانَ قَدْ نَوَى مَعَهُ الْعُمْرَةَ، قَالُوا: لِأَنَّهُ قَدْ رَوَى الْقِرَانَ كُلُّ مَنْ رَوَى الْإِفْرَادَ. كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. رِوَايَةُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فِي الْإِفْرَادِ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْحَجِّ.» إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ عَلَى شَرْطِ مُسْلِمٍ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. عَنِ الْحَاكِمِ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْأَصَمِّ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدِ الْجَبَّارِ، عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ فِي حَجَّتِهِ بِالْحَجِّ لَيْسَ مَعَهُ عُمْرَةٌ.» وَهَذِهِ الزِّيَادَةُ غَرِيبَةٌ جِدًّا، وَرِوَايَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ أَحْفَظُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «أَهَلَلْنَا بِالْحَجِّ لَسْنَا نَعْرِفُ الْعُمْرَةَ» . وَقَدْ رَوَى ابْنُ مَاجَهْ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عَمَّارٍ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ وَحَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، كِلَاهُمَا عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفْرَدَ الْحَجَّ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، ثَنَا حَبِيبٌ - يَعْنِي الْمُعَلِّمَ -
পৃষ্ঠা - ৩৯০৭
عَنْ عَطَاءٍ، حَدَّثَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ بِالْحَجِّ، لَيْسَ مَعَ أَحَدٍ مِنْهُمْ هَدْيٌ إِلَّا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطَلْحَةَ.» وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ، وَهُوَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " بِطُولِهِ، كَمَا سَيَأْتِي عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُثَنَّى، عَنْ عَبْدِ الْوَهَّابِ. رِوَايَةُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ لِلْإِفْرَادِ: قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا عَبَّادٌ - يَعْنِي ابْنَ عَبَّادٍ - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «أَهْلَلْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحَجِّ مُفْرَدًا» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ "، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِالْحَجِّ مُفْرَدًا» وَقَالَ الْحَافِظُ أَبُو بَكْرٍ الْبَزَّارُ: ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَمُحَمَّدُ بْنُ مِسْكِينٍ، قَالَا: ثَنَا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ بِالْحَجِّ.» يَعْنِي مُفْرَدًا. إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. رِوَايَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ لِلْإِفْرَادِ: رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ رَوْحِ بْنِ