আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

حجة الوداع في سنة عشر

الموضع الذي أهل منه عليه الصلاة والسلام

পৃষ্ঠা - ৩৮৯৩


বুখারী (র) আরো বলেছেন, অনুচ্ছেদ : বাহন সোজা হয়ে র্দাড়াবার পর যারা তালবিয়া
উচ্চারণ করেন আবু আসিম (র), ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, নবী করীম
(সা)কে নিয়ে তার বাহন সোজা হয়ে র্দাড়াৰার সময় তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷ মুসলিম
ও নাসাঈ (র) এ হাদীসটি (উল্লিখিত সনদে) ইবন জুরায়জ (র) হতে রিওয়ারাত করেছেন ৷
মুসলিম (র) আরো বলেছেন, আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র), ইবন উনার (বা) থেকে তিনি
বলেন ৷ রাসুলুল্পাহ্ (না) যখন বাহনের পা দানীতে তার পা রাখলেন এবং তার বাহন তাকে নিয়ে
উঠে র্দাড়াল তখন ঘুল-হলায়ফায় তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷ এ বর্ণনা সুত্র একাকী
মুসলিম (র)-এর ৷ বুখারী মুসলিম (র) অন্য একটি সুত্রে উবায়দুল্পাহ্ ইবন উমর (র) , ইবন উমর
(রা) সনদে হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন ৷

বুখারী (র)-এর পরবর্তী বর্ণনা ও কিবলামুখী হয়ে তালবিয়া উচ্চারণ প্ৰসংগে, আবু মামার
(র) বলেছেন, নাফি (র) হতে ৷ তিনি বলেন, ইবন উমর (রা) যুল-হুলায়ফায় ফজরের সলোত
আদায় করার পর তার বাহন প্রস্তুতির নির্দেশ দিতেন, তখন তাতে ণদী আটা হলে তিনি তাতে
আরোহণ করতেন ৷ বাহন তাকে নিয়ে সোজা হয়ে র্দাড়ালে তিনি কিংলামুখী হয়ে র্দাড়াতেন,
পরে তালবিয়া পাঠ করতে থাকতেন ৷ হারাম শরীফ উপনীত হওয়া পর্যন্ত এভাবে চলতো ৷
তারপর তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিতেন ৷ অবশেষে ঘু-তুওয়ায় উপনীত হলে সেখানে রাত
কাটাতেন ৷ ফজরের সলোত আদায়ের পরে গোসল করতেন এবং বলতেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)
এমন করেছেন ৷ তারপর বুখারী (র) বলেছেন, গোসল করার বিষয় ইসমাঈল (র) , আয়ুৰে (র)
সুত্রে সমার্থক রিওয়ায়াত রয়েছে ৷ মুসলিম এবং আবু দাউদও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

তারপর বুখারী (র) বলেছেন, সুলায়মান আবুর-রাবী (র), নাফি (র) হতে ৷ তিনি বলেন,
ইবন উমার (বা) মক্কা অভিমুখে সফর করার নিয়ত করলে, এমন তেল মাখতেন যাতে কোন
সুঘ্রাণ থাকতো না ৷ তারপর যুল-হুলায়ফার মসজিদে পৌছে সালাত আদায় করতেন ৷ তারপর
বাহনে চড়তেন ৷ তার বাহন তাকে নিয়ে সোজা হয়ে র্দাড়ালে ইহরাম বাধ্তেনঃ ৷ তারপর
বলতেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমি এভাবেই করতে দেখেছি ৷ এ সুত্রে বুখারী (র) এ হাদীসটি
একাকী বর্ণনা করেছেন ৷ আর মুসলিম (র) রিওয়ায়াত করেছেন কুতায়বা (র) ইবন উমর
(রা) সুত্রে তিনি বলেন, তোমাদের এ খােলা প্রাতর যেখানে (ইহরাম করা)-এর কথা বলে
তোমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নামে মিথ্যা আরোপ করে থাক, আল্লাহর কলম; রাসুলুল্পাহ্ (না)
(ঐ) গাছঢির কাছে ছাড়া অন্য কোন স্থান হতে ইহরাম ৰীধেন নি ৷ তিনি ইহরাম বেধেছিলেন,
যখন তার উট তাকে নিয়ে র্দাড়িয়েছিল ৷ এ হাদীসটি ইবন উমর (রা)-এর পুর্বোল্পিখিত
রিওয়ায়াত ও এখানকার রিওয়ায়াতগুলির মাঝে সমন্বয় সাধন করে ৷ তা এভাবে যে, ইইরাম
হয়েছিল (পরবর্তী সময় নির্মিত) মসজিদের কাছ থেকেই ৷ তবে তা ছিল তার আরোহণ এবং
বাহন তাকে নিয়ে বায়দা প্রাম্ভরে অর্থাৎ সমতল ভুমিতে সোজা হয়ে র্দাড়াবার পরে ৷ আর তা
ছিল বায়দা প্ৰম্ভেরে (ইহরামের স্থানরুপে জনতার মাঝে) পরিচিত স্থানটির কাছে পৌছার
আগেই ৷

তাছাড়া বুখারী (র) অন্যত্র বলেছেন, মুহাম্মদ ইবন আবু বকর আল মুকাদ্দাযী (র),
আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে তিনি বলেন, নবী করীম (সা) মাথা আচড়ানাে, তেল


[الْمَوْضِعُ الَّذِي أَهَلَّ مِنْهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ] بَابُ بَيَانِ الْمَوْضِعِ الَّذِي أَهَلَّ مِنْهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَاخْتِلَافِ النَّاقِلِينَ لِذَلِكَ، وَتَرْجِيحِ الْحَقِّ فِي ذَلِكَ ذِكْرُ مَنْ قَالَ أَنَّهُ أَحْرَمَ مِنَ الْمَسْجِدِ الَّذِي بِذِي الْحُلَيْفَةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ تَقَدَّمَ الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنْ عُمَرَ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي الْعَقِيقِ يَقُولُ: " أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ ".» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ الْإِهْلَالِ عِنْدَ مَسْجِدِ ذِي الْحُلَيْفَةِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ثَنَا سُفْيَانُ، ثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، سَمِعْتُ سَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، سَمِعْتُ بْنَ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، ثَنَا مَالِكٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَاهُ يَقُولُ: «مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ. يَعْنِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ.» وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৪
عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ وَنَافِعٍ وَحَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ فَذَكَرَهُ، وَزَادَ: فَقَالَ: " لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ". وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ قَالَ: «قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: بَيْدَاؤُكُمْ هَذِهِ الَّتِي تَكْذِبُونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا، مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ إِلَّا مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ.» وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ خِلَافُ هَذَا كَمَا يَأْتِي فِي الشِّقِّ الْآخَرِ، وَهُوَ مَا أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ طَرِيقِ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، فَذَكَرَ حَدِيثًا فِيهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ قَالَ: «وَأَمَّا الْإِهْلَالُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ.» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي خُصَيْفُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجَزَرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ: «قُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ: يَا أَبَا الْعَبَّاسِ، عَجَبًا لِاخْتِلَافِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي إِهْلَالِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَوْجَبَ! فَقَالَ: إِنِّي لَأَعْلَمُ النَّاسِ بِذَلِكَ، إِنَّمَا كَانَتْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ، فَمِنْ هُنَاكَ اخْتَلَفُوا ; خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَاجًّا، فَلَمَّا صَلَّى فِي مَسْجِدِهِ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْهِ أَوْجَبَ فِي مَجْلِسِهِ، فَأَهَلَّ بِالْحَجِّ حِينَ فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ.» فَسَمِعَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ، فَحَفِظُوا عَنْهُ، ثُمَّ رَكِبَ فَلَمَّا اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ أَهَلَّ، وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ، وَذَلِكَ أَنَّ النَّاسَ إِنَّمَا كَانُوا يَأْتُونَ أَرْسَالًا، فَسَمِعُوهُ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৫


লাগানো এবং লুঙ্গি ও চাদর গায়ে দেয়ার পর তিনি ও তার সাহাবীণণ মদীনা থেকে চলতে
লাগলেন ৷ কোনও ধরনের চাদর-লুঙ্গি পরিধান নিষেধ করলেন না ৷ তবে জাফরানী বংকৃত
কাপড় যা দেহ-ত্ককে রং গিয়ে দেয়, তা ছাড়া তারপর যুল হুলায়ফায় সকাল করলেন এবং
তার বাহনে আরোহণ করলেন ৷ বাহন প্রাতরের বুকে সোজা হয়ে র্দাড়ালেগু তিনি ও তার
সহচরণণ তালবিয়৷ উচ্চারণ করলেন এবং তিনি কুরবানীর উটকে মালা পরালেন ৷ এটা ছিল
জিলকদ মাসের পাচ দিন বাকী থাকতে ৷ তারপর (মক্কায় পৌছে) তিনি বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ
করলেন এবং সাফাওয়া-মারওয়ার মাঝে সাঈ করলেন ৷ কিন্তু, কুরবানীর পশু সাথে থাকার
করেংণ তিনি হালাল হলেন না ৷ কেননা, তিনি হাদীকে মালা পবিয়েছিলেন ৷ হাদীর উট
মক্কার চড়৷ ৷ই অঞ্চলে হ জ্জান রক্ষিত ছিল ৷ তিনি হরুজ্জর ইহরাম-ত ৷লবিয়৷ শুরু করলেন ৷
তবে ইতো ৩াপুর্বের তাওয়াফের পরে তিনি আরাফাত থেকে ফিরেঅ অসা৷ পর্যন্ত পুনরায়
(তাওয়াফের উদ্দেশ্যে) বা বা শরীফের নিকটবর্তী হলেন না ৷

তবে সাথীদের হুকুম দিয়েছিলেন, তারা যেন বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়ায়
দৌড়াবার পরে মাথা ছেটে নেয় এবং (উমরার ইহরাম হতে) হালাল হয়ে যায় ৷ এ নির্দেশ ছিল
তাদের জন্য যাদের সাথে মালা পরানো হাদীর উট ছিল না ৷ এদের মাঝে যার যার সাথে
তাদের শ্ৰীর৷ ছিল, সে ত্রী এবং সুগন্ধি ও (া;সলাইযুক্ত) কাপড় তাদের জন্য হালাল হল ৷
একাকী বুখারী (র) এ হাদীস বর্ণনা করেছেন ৷ আর ইমাম আহমদ (র) রিওয়ায়াত করেছেন,
বাহ্য ইবন আসাদ, হাজ্জাজ, রাওহ্ ইবন উবাদ৷ ও আফ্ফান ইবন মুসলিম (র) সকলে ইবন
আব্বাস (বা) সুত্রে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুল-হুলায়ফায় (পরের দিনের) যুহর সালাত
আদায় করলেন, তারপর তার হাদীর উটটি নিয়ে আসতে বললেন ৷ তারপর তার কুজের ডান
পাশে যখম করে তার রক্ত লেপটে দিলেন এবং তাকে দুটি চপ্পলের মালা পবিয়ে দিলেন ৷
তারপর র্তার রাহর্ননিয়ে আসতে বললেন ৷ বাহনটি (তাকে নিয়ে) খোলা মাঠে সোজা হয়ে
র্দাড়ালে তিনি হরুজ্জর তালবিয়৷ ষ্ উচ্চারণ করলেন ৷ আহমদ (র), মুসলিম (র) এবং সুনান
সংকলকবৃন্দ তাদের সংকলনসমুহেও হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন আব্বাস (বা) হতে
বিভিন্ন সুত্রে আহরিত এ বিওয়ায়াতসমুহের ভাষ্য হল নবী করীম (না)-এর বাহন তাকে নিয়ে
সোজা হয়ে র্দাড়াবার পরে তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন ৷ সনদের বিচারে এ
রিওয়ায়াতগুলাে সাঈদ ইবন ষুবায়র সুত্রে ইবন আব্বাস (বা) হতে আহরিত থুসায়ফ আল-
জাবারী (র)-এর বিওয়ায়াতের তুলনায় অধিকতর প্রামাণ্য ও বিশুদ্ধ ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷ অনুরুপ বাহন তাকে নিয়ে সোজা দীড়ালে তা ৷র ইহরাম ত ৷লবিয়৷ ৷র বিশদ রর্ণনাযুক্ত
রিওয়ায়াত গুলাে অন্যান্য বিওয়ায়াতের চেয়ে অ্যাধিক৷ ৷রযােগ্য হবে ৷ কেননা, বাহন তাকে নিয়ে
স্থির হলে মসজিদের কাছ হতেই তার ইহরাম বাধার মজবুত সম্ভাবনা বিদ্যমান ৷ অতএব,
বাহনে আরোহণ সম্বলিত বিওয়ায়াতে অতিবিক্ত ইল্ম’ ও বিষয় থাকা ৷র যুক্তিতে তা অন্যান্য
বিওয়ায়াতের তুলনায় অগ্ৰাধিকার পাবে ৷ আল্লাহ্ইত৷াল জানেন ৷

মােটকথা , এ প্রসঙ্গে আনাস (রা) থেকে প্রাপ্ত রিওয়ায়াত পরস্পর ৰিরােধিতামুক্ত ৷ অনুরুপ,
সহীহ্ মুসলিমে জাফর সাদিক (র) সুত্রীয়জাবির ইবন’ আবদুল্লাহ্ (রা)-এর সুদীর্ঘ
রিওয়ায়াত (পরবর্তীতে উল্লিখিত হবে) (নবী করীম (না)-এর বাহন তাকে নিয়ে সোজা হলে
তিনি তালবিয়৷ উচ্চারণ করলেন)-ও দ্বন্দ্ব ও দ্ব্যর্থতামুক্ত ৷ জাবির ইবন আবদুল্লাহ (বা) হতে


حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ يُهِلُّ، فَقَالُوا: إِنَّمَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ. ثُمَّ مَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا عَلَا شَرَفَ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ، وَأَدْرَكَ ذَلِكَ مِنْهُ أَقْوَامٌ، فَقَالُوا: إِنَّمَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ حِينَ عَلَا شَرَفَ الْبَيْدَاءِ. وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أَوْجَبَ فِي مُصَلَّاهُ، وَأَهَلَّ حِينَ اسْتَقَلَّتْ بِهِ نَاقَتُهُ، وَأَهَلَّ حِينَ عَلَا شَرَفَ الْبَيْدَاءِ. فَمَنْ أَخَذَ بِقَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَهَلَّ فِي مُصَلَّاهُ إِذَا فَرَغَ مِنْ رَكْعَتَيْهِ. وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ جَمِيعًا، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ عَبْدِ السَّلَامِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ خُصَيْفٍ بِهِ نَحْوَهُ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُ أَحَدًا رَوَاهُ غَيْرَ عَبْدِ السَّلَامِ. كَذَا قَالَ، وَقَدْ تَقَدَّمَ رِوَايَةُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ لَهُ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْهُ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ، عَنِ الْحَاكِمِ، عَنِ الْقَطِيعِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَحْمَدَ، عَنْ أَبِيهِ، ثُمَّ قَالَ: خُصَيْفٌ الْجَزَرِيُّ غَيْرُ قَوِيٍّ، وَقَدْ رَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ بِإِسْنَادٍ لَهُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: إِلَّا أَنَّهُ لَا يَنْفَعُ مُتَابَعَةُ الْوَاقِدِيِّ، وَالْأَحَادِيثُ الَّتِي وَرَدَتْ فِي ذَلِكَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَغَيْرِهِ أَسَانِيدُهَا قَوِيَّةٌ ثَابِتَةٌ، وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. قُلْتُ: فَلَوْ صَحَّ هَذَا الْحَدِيثُ لَكَانَ فِيهِ جَمْعٌ لِمَا بَيْنَ الْأَحَادِيثِ مِنَ الِاخْتِلَافِ، وَبَسْطُ الْعُذْرِ لِمَنْ نَقَلَ خِلَافَ الْوَاقِعِ، وَلَكِنْ فِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ، ثُمَّ قَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ عُمَرَ خِلَافُ مَا تَقَدَّمَ عَنْهُمَا، كَمَا سَنُنَبِّهُ عَلَيْهِ وَنُبَيِّنُهُ، وَهَكَذَا ذَكَرَ مَنْ قَالَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَهَلَّ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৬
قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «صَلَّى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، وَبِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ بَاتَ حَتَّى أَصْبَحَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، فَلَمَّا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَاسْتَوَتْ بِهِ أَهَلَّ» وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، وَمُسْلِمٌ، وَأَهْلُ السُّنَنِ، مِنْ طُرُقٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ وَإِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ أَنَسٍ. وَثَابِتٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «وَأَمَّا الْإِهْلَالُ فَإِنِّي لَمْ أَرَ رَسُولَ اللَّهِ يُهِلُّ حَتَّى تَنْبَعِثَ بِهِ رَاحِلَتُهُ» . وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ رِوَايَةِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ كَانَ يَرْكَبُ رَاحِلَتَهُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، ثُمَّ يُهِلُّ حِينَ تَسْتَوِي بِهِ قَائِمَةً» وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ مَنْ أَهَلَّ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، ثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «أَهَلَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ قَائِمَةً.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৭

রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইহ্রাম ও তালবিয়া পাঠের স্থান নির্ণয়
এবং বচ্নািকারীদের মতবিরোধ ও তার মীমাংসা

আওযাঈ (র)উমর (বা) থেকে বর্ণিত, বুখড়ারীর হাদীস ইতোপুর্ধে উল্লিখিত হয়েছে ৷
যাতে উমার (রা ) বলেছেন, ওমাদিল আকীকে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে বলতে ওনেছি, আমার
প্রতিপালকের নিকট হতে একজন আগন্তুক আমার কাছে এসে বললেন, এ বরকতময়
উপত্যকায় সড়ালাত আদায় করুন এবং বলুন হৰুজ্জর সাথে উমরা ৷ বৃখারী (র) আরো
বলেছেন অনুচ্ছেদ : যুল-হুলায়ফা মসজিদের কাছে ইহরাম ও তালৰিয়া পাঠ ও আলী ইবন
আবদুল্লাহ (র)আবদৃল্লাহ্ ইবন উমার (রা) বলেন বড়াসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদ অর্থাৎ যুল-
হুলায়ফার মসজিদএর নিকট ব্যতীত অন্য কোথাও ইহরাম ৰীধেন নি ৷ ইবন মড়াজা ব্যতিরেকে
সিহাহ সিত্তার ইমামণণ সকলেই এ হাদীস (উল্লিখিত সনদের মধ্যবর্তী রড়াবী) মুসা ইবন
উকবা (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে বিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র)-এর অন্য একটি বিওরয়োতে
অতিরিক্ত রয়েছে ৷ তিনি (নবী করীম সা) তখন বললেন, লাব্বায়েক ৷ বৃখারী মুসলিমের অন্য
একটি রিওয়য়োতে (মালিক, মুসা, সালিম) রয়েছে যে, সালিম (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন
উমর (রা) বলেছেন, তোমাদের এ খোলা মাঠ, যাতে ৷তােমরা (ইহরাম বিষয়ে) রাসুলুল্লাহ্
(সা)এব নামে মিথ্যা আরোপ করে থাক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইহরাম করেছিলেন মসজিদের
কাছে থেকে ৷ আবার এই ইবন উমর (রা) হতেই এর বিপরীত বচ্নাি রয়েছে ৷ যেমন
প্রতিপক্ষে আলোচনা করা হবেণ্ যা বৃখারী, ফুসলিম (ব) তাদের সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে মালিক (র)
ইবন উমর (রা) সুত্রে বংনাি করেছেন যে, আবদুল্লাহ (ইবন উমর রা ) বললেন, তবে ইহরাম ও
তালবিয়া পাঠের বিষয়টি তা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ইহরাম-তালবিয়া পাঠ করতে প্রত্যক্ষ
করি নি যতক্ষণ না তীর বাহন তাকে নিয়ে দ্রুত চলতে শুরু করল ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াকুব (র)সাঈদ ইবন জুৰায়র (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)কে আমি বললড়াম , হে আবুল আব্বাস ! বাসুলুল্লাহ্
(সা) এর ইহরড়াম-তালবিয়া ব্যাপারে যে, কখন তিনি তা সম্পাদন করলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
এর সড়াহড়াবীণণেব পরস্পর বিরোধী বর্ণনায় আমরা তাজ্জব যাচ্ছি ৷ তিনি বললেন, আমি-ই এ
বিষয়ে সর্বাধিক অবগত ব্যক্তি ৷ রাসুলুল্লট্রুহ্ (সা) যেহেতু (মদীনা থেকে) মাত্র একবার-ই হজ্জ
করেছিলেন ৷ তাই তাদের মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে ৷ রড়াসুলুল্লাহ্ (না) হত্তজ্জ্বর উদ্দেশ্যে বের
হলেন ৷ পরে যখন যুল-হুলায়ফায় তার সালাতের স্থানে ইহরাম বীধার উদ্দেশ্যে দু’রাকআত
নামায আদায় করলেন এবং ঐ বসা অবস্থায় তার হত্তজ্জর ইহরামের নিয়ত করলেন ৷ তখন
কিছু লোক জর কাছে তা শুনতে গেল এবং তারা তাই স্মরণ রড়াখল ৷ তারপর তিনি বড়াহনে
আরোহণ করলেন; পরে যখন তার বাহন র্তাকে নিয়ে স্থির হয়ে র্দাড়াল তখন তিনি তালবিমা
উচ্চারণ করলেন এবং অন্য কিছু লোক তখন র্তার নিকট হতে তা স্মরণ রাখল্যে, এর কারণ
হল এই যে, লোকেরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে আসছিল, তাই তাদের এক দল শুনতে পেল


وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا وَضَعَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ وَانْبَعَثَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ قَائِمَةً أَهَلَّ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ.» انْفَرَدَ بِهِ مُسْلِمٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ عَنْهُ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ الْإِهْلَالِ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ، قَالَ أَبُو مَعْمَرٍ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: «كَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا صَلَّى الْغَدَاةَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ أَمَرَ بِرَاحِلَتِهِ فَرُحِلَتْ، ثُمَّ رَكِبَ، فَإِذَا اسْتَوَتْ بِهِ اسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ قَائِمًا، ثُمَّ يُلَبِّي حَتَّى يَبْلُغَ الْحَرَمَ، ثُمَّ يُمْسِكُ، حَتَّى إِذَا جَاءَ ذَا طُوًى بَاتَ بِهِ حَتَّى يُصْبِحَ، فَإِذَا صَلَّى الْغَدَاةَ اغْتَسَلَ، وَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَلَ ذَلِكَ.» ثُمَّ قَالَ: تَابَعَهُ إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ فِي الْغُسْلِ. وَقَدْ عَلَّقَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا هَذَا الْحَدِيثَ فِي كِتَابِ الْحَجِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عِيسَى، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ. وَأَسْنَدَهُ فِيهِ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيِّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ هُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ زُهَيْرِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، وَعَنْ أَبِي الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيِّ وَغَيْرِهِ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ أَبِي تَمِيمَةَ السَّخْتِيَانِيِّ بِهِ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৮
حَنْبَلٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ أَبُو الرَّبِيعِ، ثَنَا فُلَيْحٌ، عَنْ نَافِعٍ قَالَ: «كَانَ ابْنُ عُمَرَ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، إِذَا أَرَادَ الْخُرُوجَ إِلَى مَكَّةَ ادَّهَنَ بِدُهْنٍ لَيْسَ لَهُ رَائِحَةٌ طَيِّبَةٌ، ثُمَّ يَأْتِي مَسْجِدَ ذِي الْحُلَيْفَةِ فَيُصَلِّي، ثُمَّ يَرْكَبُ فَإِذَا اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ قَائِمَةً أَحْرَمَ، ثُمَّ قَالَ: هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَفْعَلُ.» تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَرَوَى مُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «بَيْدَاؤُكُمْ هَذِهِ الَّتِي تَكْذِبُونَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهَا، وَاللَّهِ مَا أَهَلَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ حِينَ قَامَ بِهِ بَعِيرُهُ.» وَهَذَا الْحَدِيثُ يَجْمَعُ بَيْنَ رِوَايَةِ ابْنِ عُمَرَ الْأُولَى وَهَذِهِ الرِّوَايَاتِ عَنْهُ، وَهُوَ أَنَّ الْإِحْرَامَ كَانَ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ، وَلَكِنْ بَعْدَمَا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَاسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ - يَعْنِي الْأَرْضَ - وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الْمَكَانِ الْمَعْرُوفِ بِالْبَيْدَاءِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، ثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، حَدَّثَنِي كُرَيْبٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ،
পৃষ্ঠা - ৩৮৯৯


আওযাঈ (র) সুত্রে বুখারী (র) রিওয়ায়৷ ত করেছেন যে, যুল হুলায়ফায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
ইহরামতালবিয়া পাঠের সময় ছিল, যখন তার বাহন৩ তাকে নিয়ে স্থির দাড়িয়েছিল (এ সব
রিওয়ায়াত বাহনা ৷রোহী হওয়ার পরে ইহরাম-তা লবিয়া পাঠফেই প্রমাণ করে) তবে আইশা
বিনৃত সাদ (র) হতে বর্ণিত মুহাম্মদ ইবন ইসহাক ইবন ইয়াসার (র)-এর হাদীস সাদ
বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আল ফার’-এর পথ ধরে চললে তালবিয়ড়া উচ্চারণ করতেন, যখন
তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির হত ৷ আর অন্য কোন পথ ধরে চড়লে প্রাম্ভরের চড়াইয়ে উঠার
পরে তালবিয়া উচ্চারণ করতেন ৷ আবু দ ৷উদ (র), বায়হাকী (র) ও ইবন ইসহাক (র) সুত্রে এ
হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ হাদীস ৰিৱলতা ও অপ্রামাণ্যতা দোষযুক্তৃ ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷

মাে,টকথা উল্লিখিত সব সুত্রেই সুনিশ্চিত কিৎবা প্রায় সুমিশ্চিতভা রে প্রতীয়মান হয় যে, নবী
করীম আলা ৷ইহিস সালাম সালাং৩ তর পরেই এবং তার বাহনে আরোহণ করার পরে বাহন তাকে
নিয়ে চলতে শুরু করার পরেই তিনি ইহরাম রেধেছিলেন ৷ সেই সাথে ইবন উমর (রা)-এর
তার রিওয়ড়ায়াতে অধিক তথ্য প্রদান করেছেন যে, তিনি (সা) তখন কিবলামুথী ছিলেন ৷

নবী করীম (সা) এর হজ্জ র্কীরুপ ছিল? ইফরাদ, তামাত্তু নাকি কিরলোঃ

এ প্রসঙ্গে উম্মুল মুমিনীন আইশা (রা)-এর রিওয়ায়াত আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন
ইদরীস ইমাম শ্ ৷ড়াফিঈ (র) বলেন, মালিক (র)অ আইশা (বা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) ইফরাদ (উমরাবিহীন শুধু) হজ্জ করেছিলেন ৷ মুসলিম (র) ইমাম আহমদ,
ইবন মাজা ও নাসাঈ (র) বিভিন্ন সনদে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আহমদ (র) আরো বলেন,
ইসহাক ইবন ঈসা (র)আ ড়াড়াইশ ড়া(রা) হতে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ হ(সা) ইফরাদ হজ্জ
করেছিলেন ৷ আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবদুর রহমান (র) আইশা (রা) সুত্রে৩ তিনি
বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে বের হলাম ৷ আমাদের মাঝে কেউ কেউ হহ্বজ্জর
ইহরাম বাধলো এবং আমাদের কেউ (কউ উমরার ইহরাম বী ধলাে ৷ আমাদের কেউ কেউ হজ্জ
ও উমরা উভয়টির ইহরাম রীধালা ৷ রাসুলুল্লাহ্শ্ (না) (শুধু) হরুজ্জর ইহরাম বাধলেন ৷ যারা
উমরার ইহরাম বেধেছিলেন, র্তারা বায়তুল্লাহ্র তাওয়াক ও সাফা-মারওয়ড়ায় সাঈ করার পর
হালাল হয়ে গেলেন ৷ আর র্যারা হজ্জ কিংবা হজ্জ ও উমরার ইহরাম বেধেছিলেন ৷ র্তারা দশ

তারিখ’ পর্যন্ত হালাল হল না ৷ বুখারী (র), মুসলিম (র) ও আহমদ (র)৩ ভিন্ন ভিন্ন সুত্রে
হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

তবে আহমদ (র) অন্য এক বর্ণনায় কুতায়বা ইব ন সাঈদ (র) আইশা (রা) ’ সুত্রে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হহুজ্জ লোকদের নির্দেশ দিয়ে বললেন, যে ব্যক্তি
হরুজ্জর আগে উমরা দিয়ে শুরু করতে চায় সে তাই করুক, আর রাসুলুল্লাহ্ (সা) নিজে শুধু
হৰজ্জর নিয়ব্রুত করলেন, উমরার নিয়াত করলেন না ৷ এটি অতিশয় বিরল একটি হাদীস যা
আহমদ ইবন হাম্বল (র) এককভাবে বর্ণনা করেছেন ৷ তবে এর সনদে কোন ত্রুটি নেই ৷ কিন্তু
এর কোন কোন শব্দ একান্তই আঃহণযােগ্য, তা হল এবং তিনি উমরা করেন নি ( ণ্দু-শ্-হ্র ণ্-ন্এ),
কেননা, এ কথার উদ্দেশ্য যদি হ্যজ্জর সাথে বা তার আগে উঃমরা না করা বুঝানো হয়, তবে
তা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইফরাদ হত্তজ্জর অভিমত পােষণকারীদের অনুকুল হবে ৷ আর যদি


رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «انْطَلَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْمَدِينَةِ بَعْدَمَا تَرَجَّلَ وَادَّهَنَ وَلَبِسَ إِزَارَهُ وَرِدَاءَهُ، هُوَ وَأَصْحَابُهُ، فَلَمْ يَنْهَ عَنْ شَيْءٍ مِنَ الْأَرْدِيَّةِ وَالْأُزُرِ تُلْبَسُ إِلَّا الْمُزَعْفَرَةَ الَّتِي تَرْدَعُ عَلَى الْجِلْدِ، فَأَصْبَحَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ، حَتَّى اسْتَوَى عَلَى الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ هُوَ وَأَصْحَابُهُ، وَقَلَّدَ بُدْنَهُ، وَذَلِكَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ، فَقَدِمَ مَكَّةَ لِأَرْبَعِ لَيَالٍ خَلَوْنَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ، وَسَعَى بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَلَمْ يُحِلَّ مِنْ أَجْلِ بُدْنِهِ ; لِأَنَّهُ قَلَّدَهَا، ثُمَّ نَزَلَ بِأَعْلَى مَكَّةَ عِنْدَ الْحَجُونِ وَهُوَ مُهِلٌ بِالْحَجِّ، وَلَمْ يَقْرَبِ الْكَعْبَةَ بَعْدَ طَوَافِهِ بِهَا حَتَّى رَجَعَ مِنْ عَرَفَةَ، وَأَمَرَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ وَبَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، ثُمَّ يُقَصِّرُوا مِنْ رُءُوسِهِمْ، ثُمَّ يُحِلُّوا، وَذَلِكَ لِمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ بَدَنَةٌ قَلَّدَهَا، وَمَنْ كَانَتْ مَعَهُ امْرَأَتُهُ فَهِيَ لَهُ حَلَالٌ، وَالطِّيبُ وَالثِّيَابُ» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ بَهْزِ بْنِ أَسَدٍ وَحَجَّاجٍ، وَرَوْحِ بْنِ عُبَادَةَ، وَعَفَّانَ بْنِ مُسْلِمٍ، كُلُّهُمْ عَنْ شُعْبَةَ قَالَ: أَخْبَرَنِي قَتَادَةُ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبَا حَسَّانَ الْأَعْرَجَ الْأَجْرَدَ وَهُوَ مُسْلِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَصْرِيُّ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الظُّهْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ، ثُمَّ دَعَا بِبَدَنَتِهِ فَأَشْعَرَ صَفْحَةَ سَنَامِهَا الْأَيْمَنِ، وَسَلَتَ الدَّمَ عَنْهَا، وَقَلَّدَهَا نَعْلَيْنِ، ثُمَّ دَعَا بِرَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ بِالْحَجِّ.» وَرَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ هُشَيْمٍ، أَنْبَأَنَا أَصْحَابُنَا، مِنْهُمْ شُعْبَةُ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ. ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ أَيْضًا عَنْ رَوْحٍ، وَأَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ، وَوَكِيعِ
পৃষ্ঠা - ৩৯০০
بْنِ الْجَرَّاحِ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتُوَائِيِّ، عَنْ قَتَادَةَ بِهِ نَحْوَهُ. وَمِنْ هَذَا الْوَجْهِ رَوَاهُ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ " وَأَهْلُ السُّنَنِ فِي كُتُبِهِمْ. فَهَذِهِ الطُّرُقُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مِنْ أَنَّهُ، ( «عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَهَلَّ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ أَصَحُّ» وَأَثْبَتُ مِنْ رِوَايَةِ خُصَيْفٍ الْجَزَرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَهَكَذَا الرِّوَايَةُ الْمُثْبِتَةُ الْمُفَسِّرَةُ أَنَّهُ أَهَلَّ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ الرَّاحِلَةُ مُقَدَّمَةٌ عَلَى الْأُخْرَى، لِاحْتِمَالِ أَنَّهُ أَحْرَمَ مِنْ عِنْدِ الْمَسْجِدِ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، وَيَكُونُ رِوَايَةُ رُكُوبِهِ الرَّاحِلَةَ فِيهَا زِيَادَةُ عِلْمٍ عَلَى الْأُخْرَى. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرِوَايَةُ أَنَسٍ فِي ذَلِكَ سَالِمَةٌ عَنِ الْمُعَارِضِ، وَهَكَذَا رِوَايَةُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ جَعْفَرٍ الصَّادِقِ، عَنْ أَبِيهِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِي الْحُسَيْنِ زَيْنِ الْعَابِدِينَ، عَنْ جَابِرٍ فِي حَدِيثِهِ الطَّوِيلِ الَّذِي سَيَأْتِي، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهَلَّ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ. سَالِمَةٌ عَنِ الْمُعَارِضِ.» وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ مِنْ طَرِيقِ الْأَوْزَاعِيِّ، سَمِعْتُ عَطَاءً، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، «أَنَّ إِهْلَالَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ حِينَ اسْتَوَتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ.»
পৃষ্ঠা - ৩৯০১
فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ قَالَتْ: «قَالَ سَعْدٌ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَخَذَ طَرِيقَ الْفُرْعِ أَهَلَّ إِذَا اسْتَقَلَّتْ بِهِ رَاحِلَتُهُ، وَإِذَا أَخَذَ طَرِيقَ أُحُدٍ أَهَلَّ إِذَا عَلَا عَلَى شَرَفِ الْبَيْدَاءِ.» فَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالْبَيْهَقِيُّ، مِنْ حَدِيثِ ابْنِ إِسْحَاقَ، وَفِيهِ غَرَابَةٌ وَنَكَارَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. فَهَذِهِ الطُّرُقُ كُلُّهَا دَالَّةٌ - عَلَى الْقَطْعِ أَوِ الظَّنِّ الْغَالِبِ - أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَحْرَمَ بَعْدَ الصَّلَاةِ وَبَعْدَمَا رَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَابْتَدَأَتْ بِهِ السَّيْرَ. زَادَ ابْنُ عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ: وَهُوَ مُسْتَقْبِلٌ الْقِبْلَةَ.