سنة عشر من الهجرة النبوية
حجة الوداع في سنة عشر
صلاة النبي صلى الله عليه وسلم بوادي العقيق
পৃষ্ঠা - ৩৮৮২
স্বপহ্মে টানতে পারেন, যাতে বলা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুলহুলায়ফায় রাত কটিড়ান্সেন;
তাববুশঘে সকাল হলে তিনি ফজর সালাত আদায় করলেন, তারপর তার বড়াহনে আরোহণ
করলেন ৷ বাহন প্রাম্ভরে গিয়ে উপস্থিত হলে তিনি হজ্জ ও উমরত্ত্বর ইহরাম বীধলেন ৷ তবে এ
হাদীসের সনদে তাজ্ঞাতনামা জনৈক ব্যক্তি রয়েছেন; সম্ভবত তিনি আবু কিলাবা (র) ৷ আল্লাহই
সমধিক অবগত ৷
ইমাম মুসলিম (র) বলেন, ইয়াহয়া ইবন হাবীব আল হারিহী (র) আইশা (রা) সুত্রে, তিনি
বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে সুগন্ধি মাখিয়ে দিলাম, তারপর তিনি তার সহবর্মিণীদের
সান্নিধ্যে গমন করেন ৷ তারপর ইহরাম বীধলেন, তখনও তীর সুগন্ধি ছড়াচ্ছিল ৷ বুখারী (র) এ
হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন শুবা (র) সুত্রে ৷ আবার বুখত্ত্বরী মুসলিম (র) উভয় তা উদ্ধৃত
করেছেন আবু আওয়নাে (র) সুত্রে (এ সনদে মুসলিম (র)-এর অতিরিক্ত বর্ণনা রয়েছে) ৷
অনুরুপ মিসআর ও সুফয়ান ইবন সাঈদ ছাওয়ী (র) এ চারজন পুর্বোল্লিখিত সনদে ৷ এ ছাড়া
ইবরাহীম ইবন মুহাম্মদ ইবনৃল মুনতাশির (ব) ( এর পিতা মুহাম্মদ (র) হতে নেয়া মুসলিম (র)-
এর একটি রিওয়ায়াত রয়েছে মুহাম্মদ (র) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রড়া)এর কাছে
সুগন্ধি মাখিয়ে ইহরাম সম্পাদনকারী ব্যক্তির মাসআলা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, সুপন্ধি
ছড়াতে ছড়াতে মুহরিম হব তা আমি পসন্দ করি ণ্া৷ ; তেমন করার চেয়ে আমি আলকাতরড়া
মাখড়াব তা বরং আমার কাছে অধিক পসন্দনীয় ৷ (এ জবাব শুনতে পেয়ে) আইশা (রা)
বললেন, রব্বসুলুল্লাহ্ (সা) (ক তার ইহরামের সময় আমি সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছিলাম ৷ তারপর
তিনি তার দ্রীদেব কাছে ঘুরে এসেছেন; তাবপরে মুহরিম হয়েছেন ৷
মুসলিম (র) বর্ণিত এ ভাম্যের দাবী হল স্তীদের সাথে মিলনের আগে নবী করিম ( সৰু )
সুগন্ধি মাখতেন, যাতে তা তার নিজের কাছে সৃখকর ও দ্রীদের কাছে পছন্দনীয় হয় ৷ তারপর
জানাবভে এর জন্য গোসল এবং সে সাথে ইহরামের গোসলের সময় ইহরামেব উদ্দেশ্যে
নীিয় বার সুপন্ধি ব্যবহার করতেন ৷ যেমন তিবমিযী ও নড়াসড়াঈ (ব) আবদুর রহমান ইবন
আবয যিনড়াদ (র)যড়ায়দ ইবন ছাৰিত (রা ) সুত্রের হাদীস রিওয়য়োত করেছেন যে , তিনি
(যারদ রা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে ইহরামের জন্য থেলােমেলা ভাবে গোসল করতে দেখেছেন ৷ এ
হাদীস সম্পর্কে তিরমিযী (র)-র মন্তব্য হল একক সুত্রীয় উত্তম (হাসান পরীব) ইমাম আহমদ
(র) বলেন, যাকারিয়া ইবন আদী (র)আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন ইহরাম বীধার ইচ্ছা করতেন তখন র্তার মাথা (সুগন্ধিযুক্ত) খিতমী ও
উসমান (মাস) দিয়ে ধুইতেন এবং তার কিছু তেল মাথায় দিতেন ৷ এটা আহমদ (র)-এর
একক বর্ণনা ৷ আবু আবদুল্লাহ্ মুহাম্মদ ইবন ইদরীস শাফিঈ (র) বলেন, সুফিয়ান ইবন
উরব্বয়ন৷ (র ) , আইশা (রা ) সুত্রে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) কে তার ইহরাম র্বীধড়ার সময় এবং
ইহরাম খোলার সময় আমি সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি ৷ আমি (উরওয়া) র্তাকে বললাম, (কান
সুগন্ধি দিয়ে? তিনি বললেন, সব চাইতে উত্তম সুগন্ধি দিয়ে ৷ মুসলিম ও বুখাবী (র) ভিন্ন ভিন্ন
সুত্রে এ হাদীসটি বংনাি করেছেন ৷
বৃখায়ী (র) আরো বলেছেন, আবদুল্পাহ্ ইবন ইউসুফ (র) আইশা (রা ) থেকে তিনি বলেন,
আর্মি রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-ফে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম তার ইহরামেব জন্য, যখন তিনি ইহরাম
وَالسَّلَامُ، أَشْهَرُ وَأَعْرَفُ مِنْ أَنْ تَخْفَى عَلَى النَّاسِ، بَلْ هَذَا الْحَدِيثُ مُنْكَرٌ شَاذٌّ لَا يَثْبُتُ مِثْلُهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
[صَلَاةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي الْعَقِيقِ]
فَصْلٌ (صَلَاةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي الْعَقِيقِ)
تَقَدَّمَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، صَلَّى الظُّهْرَ بِالْمَدِينَةِ أَرْبَعًا، ثُمَّ رَكِبَ مِنْهَا إِلَى الْحُلَيْفَةِ، وَهِيَ وَادِي الْعَقِيقِ، فَصَلَّى بِهَا الْعَصْرَ رَكْعَتَيْنِ، فَدَلَّ عَلَى أَنَّهُ جَاءَ الْحُلَيْفَةَ نَهَارًا فِي وَقْتِ الْعَصْرِ، فَصَلَّى بِهَا الْعَصْرَ قَصْرًا، وَهِيَ مِنَ الْمَدِينَةِ عَلَى ثَلَاثَةِ أَمْيَالٍ، ثُمَّ صَلَّى بِهَا الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ، وَبَاتَ بِهَا حَتَّى أَصْبَحَ فَصَلَّى بِأَصْحَابِهِ، وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ جَاءَهُ الْوَحْيُ مِنَ اللَّيْلِ بِمَا يَعْتَمِدُهُ فِي الْإِحْرَامِ.
كَمَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ «عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ أُتِيَ فِي الْمُعَرَّسِ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّكَ بِبَطْحَاءَ مُبَارَكَةٍ.» وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ بِهِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، ثَنَا الْوَلِيدُ وَبِشْرُ بْنُ بَكْرٍ قَالَا: ثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، ثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৩
يَقُولُ: «سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَادِي الْعَقِيقِ يَقُولُ: " أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتٍ مِنْ رَبِّي، فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ» ". تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. فَالظَّاهِرُ أَنَّهُ أَمَرَهُ عَلَيْهِ، الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بِالصَّلَاةِ فِي وَادِي الْعَقِيقِ هُوَ أَمْرٌ بِالْإِقَامَةِ بِهِ إِلَى أَنْ يُصَلِّيَ صَلَاةَ الظُّهْرِ ; لِأَنَّ الْأَمْرَ إِنَّمَا جَاءَهُ فِي اللَّيْلِ، وَأَخْبَرَهُمْ بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ، فَلَمْ يَبْقَ إِلَّا صَلَاةُ الظُّهْرِ، فَأُمِرَ أَنْ يُصَلِّيَهَا هُنَالِكَ، وَأَنْ يُوقِعَ الْإِحْرَامَ بَعْدَهَا، وَلِهَذَا قَالَ: " أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتٍ مِنْ رَبِّي عَزَّ وَجَلَّ فَقَالَ: صَلِّ فِي هَذَا الْوَادِي الْمُبَارَكِ وَقُلْ: عُمْرَةً فِي حَجَّةٍ ". وَقَدِ احْتُجَّ بِهِ عَلَى الْأَمْرِ بِالْقِرَانِ فِي الْحَجِّ، وَهُوَ مِنْ أَقْوَى الْأَدِلَّةِ عَلَى ذَلِكَ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ قَرِيبًا.
وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أُمِرَ بِالْإِقَامَةِ بِوَادِي الْعَقِيقِ إِلَى صَلَاةِ الظُّهْرِ، وَقَدِ امْتَثَلَ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ ذَلِكَ، فَأَقَامَ هُنَالِكَ، وَطَافَ عَلَى نِسَائِهِ فِي تِلْكَ الصَّبِيحَةِ، وَكُنَّ تِسْعَ نِسْوَةٍ، وَكُلُّهُنَّ خَرَجَ مَعَهُ وَلَمْ يَزَلْ هُنَالِكَ حَتَّى صَلَّى الظُّهْرَ. كَمَا سَيَأْتِي فِي حَدِيثِ أَبِي حَسَّانَ الْأَعْرَجِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ ثُمَّ أَشْعَرَ بَدَنَتَهُ ثُمَّ رَكِبَ فَأَهَلَّ» . وَهُوَ عِنْدَ مُسْلِمٍ.
وَهَكَذَا قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا رَوْحٌ، ثَنَا أَشْعَثُ - هُوَ ابْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ - عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ رَكِبَ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৪
র্বাধতেন এবং তীর ইহরাম খুলে হালাল হওয়ার জন্য, বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফের আগে ভাগে ৷
মুসলিম (র) আরো বলেছেন, আবদ ইবন হুমায়দ (র)অ আইশা (বা) থেকে, তিনি বলেন, বিদায়
হরুজ্জ ইহরাম বাধা ও খোলার সময় আমি আমার দু’হড়াত দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে যারীরাহ
সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি ৷ মুসলিম (র) সুফিয়ড়ান ইবন উয়ায়নড়া (র) (যুহরী) , আইশা (বা) সুত্রে
আর একটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আইশা (রা) বলেন, আমি আমার এ দু’হাত দিয়ে রাসুলুল্লাহ্
(সা) কে সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি, তার ইহরামের জন্য ৷ যখন তিনি ইহরাম বেধেছেন এবং তীর
হালাল হওয়ার জন্য তার বায়তুল্লাহ্ তাওয়ফে করার আগে ৷
মুসলিম (র) আরো বলেন, আহমাদ ইবন মানী ও ইয়াকুব আদ দাওরাকী (র), আইশা
(বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আ ৷মি নবী করীম (সা) কে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতড়াম র্তার
ইহরাম বাবা ও তার হালাল হওয়ার আগে এবং নড়াহর দিবসে (জিলহাজ্জ্বর দশ তারিখে) র্তার
বায়ভুল্লাহ্ তাওয়াফ করার আগে, যেশৃকষুক্ত সুগন্ধি দিয়ে ৷ মুসলিম (র) বলেন, আবু বকর
ইবন আবুশ্ ৷ড়ায়বা ও যুহায়র ইবন হারব (র) আ ৷ইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর সিথিতে মেশ কের ঔশ্বর্য, যখন তিনি তাল্বিয়া পাঠ করছিলেন, যেন আমি
এখনও দেখতে পাচ্ছি ৷ মুসলিম (র) ও বুথারী বিভিন্ন সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আবু দাউদ তায়ালিসী (র) বলেন, আশআছ (র) আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, মনে হয় যেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চুলের গোড়া ওলিং৩ , তার ইহরাম অবস্থায়, সুগন্ধির
ঔজ্জ্বল্য আমার নজরে ভাসছে ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান (র) আ ইিশা (বা) হতে,
তিনি বলেন নবী করীম (সা) এর ইহরাম বাধার কয়েকদিন পরেও যেন আমি তার সিথিতে
সুগন্ধির ঝলক দেখতে পাচ্ছি ৷ আবদুল্লাহ ইবনৃয যুবায়র আ ল হুমড়ায়দী (র) বলেন, সুফিয়ান
ইবন উয়ায়ন৷ (রা) আ ইশা (বা) থেকে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না)-এর সিথিতে তার
ইহরামের তিন দিন পরে আমি সুগন্ধি দেখেছি ৷
এ সব হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নবী করীম (সা) গোসলের পরে সুগন্ধি ব্যবহার
করেছিলেন ৷ কেননা, গোসলের আগে সুগন্ধি লাগানো হয়ে থাকলে গোসল তা ( ধুয়ে) শেষ
করে দিত এবং তার কোন চিহ্ন বিশেষত ইহরড়ামের তিন দিন পরেও অবশিষ্ট থাকত না ৷
পুর্বসুরীদের অনেকে, যীদের মাঝে ইবন উমর (রা) উন্থল্লখযোগ্য, ইহরড়ামের প্ৰক্কালে সুগন্ধি
ব্যবহার মাকরুহ হওয়ার অভিমত পোষণ করেছেন ৷ তবে আমরা আইশা (বা) হতে ইবন উমর
(রা) সুত্রের হাদীস ও রিওয়ায়াত করেছি ৷ যেমন, হাফিয বায়হার্কী (র) বলেন, আবুল হুসায়ন
ইবন বুশরান (র) ইবন উমার (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি আইশা (বা) থেকে ৷ এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে তার ইহরামের সময় উত্তম দামী
সুগন্ধি মাখিয়ে দিয়েছি ৷ এ সনদঢি একক ও বিরল উৎসের ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (না) তার
মাথায় আঠালাে বস্তু লাপিয়েছেন যাতে তা তীর মাথার সুগন্ধিকে রক্ষা করতে পারে এবং ধুলা
বা বালু জমে যাওয়া থেকে উত্তমভাবে হিফাজত হয় ৷ মালিক (র) ইবন উমর (রা) সুত্রে
১ যারীরাহ ( ৪ )া)১ ) উন্নতমানের সুগন্ধি বিশেষ, সুগন্ধি রেণু ৷ অনুবাদক
رَاحِلَتَهُ فَلَمَّا عَلَا شَرَفَ الْبَيْدَاءِ أَهَلَّ.»
وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ حَنْبَلٍ، وَالنَّسَائِيِّ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ رَاهَوَيْهِ عَنِ النَّضْرِ بْنِ شُمَيْلٍ عَنْ أَشْعَثَ، بِمَعْنَاهُ، وَعَنْ أَحْمَدَ بْنِ الْأَزْهَرِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ أَشْعَثَ أَتَمَّ مِنْهُ. وَهَذَا فِيهِ رَدٌّ عَلَى ابْنِ حَزْمٍ حَيْثُ زَعَمَ أَنَّ ذَلِكَ فِي صَدْرِ النَّهَارِ.
وَلَهُ أَنْ يَعْتَضِدَ بِمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَيُّوبَ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَنَسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَاتَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ حَتَّى أَصْبَحَ، فَصَلَّى الصُّبْحَ ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ حَتَّى إِذَا اسْتَوَتْ بِهِ الْبَيْدَاءَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ وَحَجٍّ.» وَلَكِنْ فِي إِسْنَادِهِ رَجُلٌ مُبْهَمٌ وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ أَبُو قِلَابَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৫
قَالَ مُسْلِمٌ فِي " صَحِيحِهِ ": حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، ثَنَا خَالِدٌ - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ قَالَ: «سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يَطُوفُ عَلَى نِسَائِهِ، ثُمَّ يُصْبِحُ مُحْرِمًا يَنْضَحُ طِيبًا»
وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ - زَادَ مُسْلِمٌ: وَمِسْعَرٍ وَسُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ الثَّوْرِيِّ - أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْتَشِرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ عَنِ الرَّجُلِ يَتَطَيَّبُ ثُمَّ يُصْبِحُ مُحْرِمًا. قَالَ: مَا أُحِبُّ أَنِّي أُصْبِحُ مُحْرِمًا أَنْضَحُ طِيبًا لَأَنْ أَطَّلِيَ بِقَطِرَانٍ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَفْعَلَ ذَلِكَ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: أَنَا طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ إِحْرَامِهِ، ثُمَّ طَافَ فِي
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৬
বলেছেন যে, নবী করীম (সা)-এর সহধর্মিণী হযরত হাফস৷ (রা) বললেন, ইয়৷ রাসুলুল্পাহ্!
ব্যাপারটি কী যে, লোকেরা তাদের উমর৷ হতে হালাল হয়ে গেল ৷ অথচ আপনি আপনার উমরা
হতে হালাল হলেন না ? তিনি বললেন,
);§ এেন্১১ ৷ );১ ১২১ ওা১১ এগ্রদ্বুদ্বু ব্লোম্দুগ্লু এ১গ্লু! , ,ন্া৷
(চুল ৰিন্যস্ত রাখার উদ্দেশ্যে) আ ৷মি আমার মাথায় আঠালো দ্রব্য ব্যবহার করেছি এবং
আমার কুররানীৱ উটের (গলায়) কিলাদা (চামড়া, চপ্পল ইত্যাদির তৈরী মালা) পরিয়েছি, (দশ
তারিখে) কুরবানী করা পর্যন্ত অ৷ ৷মি হালাল হচ্ছি না ৷ বুখারী ও মুসলিম (র)৩ তাদের সহীহ্
গ্রন্থদ্বয়ে মা ৷লিক (র) এর বরাতে এ হাদীস উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ ছাড়া নাফি (র) হতেও এ
হাদীসের একাধিক সুত্র রয়েছে ৷
বড়ায়হাকী (র) বলেন, হাকিম (র) ইবন উমর (বা) হতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মধু দিয়ে তা ৷র মাথা আঠ৷ ৷লাে করেছিলেন ৷ এ সনদঢি উত্তম ৷৩ তারপর নবী
করীম (সা)৩ তার কুরবানীর উটটিকে (যখম করে) চিহ্নিত করলেন এবং যুল-হুলাফায় সেটিকে
মালা পরালেন ৷ লায়ছ (র) ইবন উমর সুত্রে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হরুজ্জ হজ্জ ও
উমরা মিলিয়ে তামাভু হজ্জ আদায় করেছিলেন এবং কুরবানীর পশু সাথে নিয়েছিলেন অর্থাৎ
যুল-হুলায়ফা হতে নিজের সাথে কুরবানীর উট পরিচালিত করেছিলেন ৷ পুর্ণাৎগ হাদীসের
বিবরণ পরবর্তীতে আসবে ৷ এ হাদীস সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে রয়েছে ৷ পরবর্তী আলোচনায় এ হাদীসের
পর্যালোাচনাও করা হবে, ইনশাআল্লাহ্ ৷ মুসলিম (র) বলেছেন, মুহাম্মদ ইবনুল মুছান্ন৷ (র)
ইবন আব্বাস (রা)-এর বরাতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুল-হুলায়ফায়
পৌছলে তার উটনী নিয়ে আসতে বললেন এবং তার কুজের ডান পাশে যখম করে রক্ত লেপটে
দিলেন এবং তাকে দৃখানি চপ্পলের মালা পরিয়ে দিলেন ৷
তারপর তিনি তার বাহনে আরোহণ করলেন ৷ সুনান গ্রন্থের চতুষ্টয় স কলণগণ আবু দাউদ,
তিরমিষী, নাসাঈ, ইবন মাজা এ হাদীসখান৷ ক ৷তাদা (র) থেকে একা ৷ধিক সুত্রে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ এ হাদীস নির্দেশ করে যে, নবী করীম (সা)৩ তার পবিত্র হাত ৩দিয়েই ঐ উটনীটি
চিহ্নিত করেন ও মালা পরানাের কাজ সম্পাদন করেছিলেন এবং অবশিষ্ট কুরবানীর
পশুগুলোকে যখম করা ও তাদের মালা পরাবার দা ৷য়িত ৩অন্যদেরকে অর্পণ করেছিলেন ৷ কারণ
কুরবানীর পশু ছিল উল্লেখযোগ্য সং খ্যক একশউটি কিংবা তা ৷র চেয়ে সামান্য কম ৷ তিনি তার
পবিত্র হাতে তেষট্টিটি উট যবেহ করেছিলেন এবং আ ৷লী (রা) কে দায়িৎ দিলে তিনি বাকীগুলি
যবেহ করেছিলেন ৷
এ প্রসং গে জা ৷বির (রা) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, আলী (রা) ইয়ড়ামান থেকে নবী করীম
(সা) এর জন্য কুরবানীর পশু নিয়ে এসেছিলেন ৷ ইবন ইসহাক (র)-এর বিবরণে রয়েছেন যে,
নবী করীম (সা) তার কুরবানীর উটে আলী (রা)-কে শবীক করেছিলেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷ অন্যদের বর্ণনায় রয়েছে নবী করীম (সা) ও আলী (বা) মিলে মোট একশত উট
কুরবানী করেছিলেন ৷ এ বংনাির ভিত্তিতে বলা যায় যে, এ সব পশু তিনি যুলহুলায়ফা থেকে
সাথে নিয়েছিলেন কিৎবা কিছু সং খ্যক পথে ইহরাম অবস্থায় কিনে নিয়েছিলেন ৷
৭
نِسَائِهِ ثُمَّ أَصْبَحَ مُحْرِمًا.» وَهَذَا اللَّفْظُ الَّذِي رَوَاهُ مُسْلِمٌ يَقْتَضِي أَنَّهُ كَانَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَطَيَّبُ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ عَلَى نِسَائِهِ، وَكَأَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَطَيَّبَ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ عَلَى نِسَائِهِ ; لِيَكُونَ ذَلِكَ أَطْيَبَ لِنَفْسِهِ وَأَحَبَّ إِلَيْهِنَّ، ثُمَّ لَمَّا اغْتَسَلَ مِنَ الْجَنَابَةِ وَلِلْإِحْرَامِ تَطَيَّبَ أَيْضًا لِلْإِحْرَامِ طِيبًا آخَرَ.
كَمَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِيهِ «أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَجَرَّدَ لِإِهْلَالِهِ وَاغْتَسَلَ.» وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ غَرِيبٌ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُحْرِمَ غَسَلَ رَأْسَهُ بِخَطْمِيٍّ وَأُشْنَانٍ، وَدَهَنَهُ بِشَيْءٍ مِنْ زَيْتٍ غَيْرِ كَثِيرٍ.» الْحَدِيثُ تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ.
وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عُرْوَةَ، سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ: «سَمِعْتُ عَائِشَةَ تَقُولُ: طَيَّبْتُ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৭
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُرْمِهِ وَلِحِلِّهِ. قُلْتُ لَهَا: بِأَيِّ طِيبٍ؟ قَالَتْ: بِأَطْيَبِ الطِّيبِ.» وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ وُهَيْبٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَخِيهِ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ بِهِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَنْبَأَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كُنْتُ أُطَيِّبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِإِحْرَامِهِ حِينَ يُحْرِمُ، وَلِحِلِّهِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ.»
وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُرْوَةَ أَنَّهُ سَمِعَ عُرْوَةَ وَالْقَاسِمَ يُخْبِرَانِهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ بِذَرِيرَةٍ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ لِلْحِلِّ وَالْإِحْرَامِ» .
وَرَوَى مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ،
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৮
রাসুলুল্পাহ (সা) এর ইহরাম ও তালবিয়৷ পাঠের স্থান নির্ণয়
এবং বর্ণনাকারীদের মতবিরোধ ও তার মীমাষ্স৷
আওযাঈ (র) উমর (রা) থেকে বর্ণিত, বুখায়ীর হাদীস ইতোপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷
যাতে উমার (রা) বলেছেন, ওয়াদিল আকীকে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-£ক বলতে তনেছি, আমার
প্ৰতিপালকের নিকট হতে একজন আগন্তুক আমার কাছে এসে বললেন, এ বরকতময়
উপত্যকায় সালাত আদায় করুন এবং বলুন হব্লুজ্জর সাথে উমর৷ ৷ বুখারী (র) আরো
বলেছেন অনুচ্ছেদ৪ ষুল হুলায়কা মসজিদের কাছে ইহরাম ও তালবিয়৷ পাঠ৪ ংআলী ইবন
আবদুল্লাহ (র)আবদুল্পাহ্ ইবন উমার (রা) বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদ অর্থাৎ বুল-
হুলায়ফার মসজিদ-এর নিকট ব্যতীত অন্য কোথাও ইহরাম ৰীধেন নি ৷ ইবন মাজা বাতিরেকে
সিহাহ সিত্তার ইমামণণ সকলেই এ হাদীস (উল্লিখিত সনদের মধ্যবর্তী বাবী) মুসা ইবন
উকৰা (র) হতে ৩বিতিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র) এর অন্য একটি রিওয়ায়ড়াতে
অতিরিক্ত রয়েছে ৷ তিনি (নবী করীম সা) তখন বললেন, লাব্বায়েক ৷ বুখারী মুসলিমের অন্য
একটি রিওয়ায়াতে (মালিক, মুসা, সালিম) রয়েছে যে, সালিম (র) বলেন, ৩া৷রদুস্নাহু ইর ন
উমর (রা) বলেছেন, তোমাদের এ খোলা মাঠ, যাতে (ত ৷মরা (ইহরাম বিষয়ে) রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর নামে মিথ্যা আরোপ করে থাক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) ইহরাম করেছিলেন মসজিদের
কাছে থেকে ৷ আবার এই ইবন উমর (রা) হতেই এর বিপরীত বর্ণনা রয়েছে ৷ যেমন
প্রতিপক্ষে আলোচনা করা হবে-ব যাবুখারী, মুসলিম (র)ত তাদের সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে মালিক (র)
ইবন উমর (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন যে, আবদুল্লাহ (ইবন উমর রা) বললেন,ত তবে ইহরাম ও
তালবিয়৷ পাঠের বিষয়টি তা আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) £ক ইহরাম-তালবিয়৷ পাঠ করতে প্রত্যক্ষ
করি নি যতক্ষণ না তার বাহন৩ তাকে নিয়ে দ্রুত চলতে শুরু করল ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইয়াকুব (র)সাঈদ ইবন জুবায়র (র) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) কে আমি বললাম, (হ আবুল আব্বাস ’ রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর ইহরাম-৩ ৷লবিয়৷ ব্যাপারে যে, কখন তিনি তা সস্পা ধ ন করলেন ৷ রাসুণুহুমাহু (সা)-
এর সাহাবীণণের পরস্পর বিরোধী বর্ণনায় আমরা তাজ্জব যাচ্ছি ৷ তিনি বললেন, আমি ই এ
বিষয়ে সৰ্বাধিক অবগত ব্যক্তি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) যেহেতু (মদীনা থেকে) মাত্র একবার ই হজ্জ
করেছিলেন ৷ তাই তাদের মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হভ্রুজ্জর উদ্দেশ্যে বের
হলেন ৷ পরে যখন যুল হলায়ফায় তার সালাতের স্থানে ইহরাম বাধার উদ্দেশে ৷৷ দু রাকআত
নামায আদায় করলেন এবং ঐ বসা অবস্থায়ত তার হভ্রুজ্জর ইহরামের নিয়ত করলেন ৷ তখন
কিছু লোক তার কাছে তা শুনতে গেল এবং তারা তাই স্মরণ রাখল ৷ তারপর তিনি বাহনে
আরোহণ করলেন; পরে যখন তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির হয়ে র্দাড়াল তখন তিনি তালবিয়া
উচ্চারণ করলেন এবং অন্য কিছু লোক তখন তার নিকট হতে তা স্মরণ রাখলো, এর কারণ
হল এই যে, লোকেরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে আসছিল, তাই তাদের এক দল শুনতে পেল
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ هَاتَيْنِ لِحُرْمِهِ حِينَ أَحْرَمَ، وَلِحِلِّهِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ.»
وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَيَعْقُوبُ الدَّوْرَقِيُّ، قَالَا: ثَنَا هُشَيْمٌ، أَنْبَأَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كُنْتُ أُطَيِّبُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يُحْرِمَ، وَيَوْمَ النَّحْرِ قَبْلَ أَنْ يَطُوفَ بِالْبَيْتِ بِطِيبٍ فِيهِ مِسْكٌ.»
وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ قَالَا: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الْمِسْكِ فِي مَفَارِقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُلَبِّي.»
ثُمَّ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ وَغَيْرِهِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الْمِسْكِ فِي مَفْرِقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ، كِلَاهُمَا عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৮৯
عَنْهَا. وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ.
وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الطِّيبِ فِي أُصُولِ شَعْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُحْرِمٌ.»
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَنَا حَمَّادٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى وَبِيصِ الطِّيبِ فِي مَفْرِقِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ أَيَّامٍ وَهُوَ مُحْرِمٌ.»
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ الْحُمَيْدِيُّ: ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، ثَنَا عَطَاءُ بْنُ السَّائِبِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «رَأَيْتُ الطِّيبَ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯০
আল-বিদড়ায়ড়া ওয়ান নিহড়ায়ড়া ২১ ১
তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির দাড়ড়াবার সময় তিনি তালৰিয়া উচ্চারণ করেছেন ৷ তা ইি তারা
(তাদের অভিজ্ঞতা মতে) বলতে লাগল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তো তালবিয়ড়া উচ্চারণ করেছিলেন
যখন তার উট তাকে নিয়ে স্থির হয়ে দীড়িয়েছিল ৷ তারপর বাসুলুল্লাহ্ (সা) চলতে লাগলেন,
যখন তিনি বায়দা প্রাতরের চড়াইতে উঠলেন তখন (আবার) তালবিয়া উচ্চারণ করলেন, তখন
অন্য কিছু লোক তা তাদের স্মরণে রাখলো এবং তারা বলতে লাগলো যে, বাসুলুল্লাহ্ (সা) তো
তড়ালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন যখন বয়েদা প্রাম্ভরের চড়াইতে উঠেছিলেন ৷ আল্লাহর কসমা
তিনি অবশ্যই নিয়ত (ও ইহরাআঃতড়ালবিয়া) তড়ালৰিয়া করেছিলেন তার বাসায় পড়ার স্থানে এবং
তালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন যখন তার বাহন তাকে নিয়ে স্থির সড়াড়িয়েছিল্ এবং তালবিয়া
উচ্চারণ করেছিলেন যখন তিনি বায়দড়া প্রান্তরের চড়াইতে উঠেছিলেন তখনও ৷
অতএব, যারা আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা)-এর উক্তি গ্রহণ করেছেন যে, নবী কবীম (সা)
র্তার নামাযের স্থানে ইহরড়াম-তড়ালবিয়া উচ্চারণ করেছিলেন, ? তিরমিবী ও নড়াসাঈ (র) উভয়
কুতায়বা (র)থুসায়ফ (র) থেকে এ হাদীসটি অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন এবং তিরমিবী
(র) মন্তব্য করেছেন, একক সুত্রীয় উত্তম; (কুতায়বার উর্ধ্বত ন রাবী) আবদুস সালাম (র)
ব্যতীত আর (কউ তা রিওয়ায়ড়াত করেন নি ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রে খুসায়ফ (র)
সুত্রে ইমাম আহমদ (র)-এর রিওয়ায়াত ৩ইতোপুর্বে উল্লিখিত হয়েছে ৷
গ্রন্থকারের মস্তব্য৪ ংউক্ত হাদীসটি সহীহ্ সড়াবস্তে হলে তা সং শ্রিট হাদীসসমুহের মধ্যে
সমন্বয় সাধন করতে পড়ারত এবং বাস্তবে এর পরিপস্থি বর্ণনক্যেবীদের বর্ণনার কারণরুপে গৃহীত
হতে পড়ারভো কিন্তু এর সনদে দৃর্বলতা রয়েছে ৷ এ ছাড়া ইবন উমর ও ইবন আব্বাস (বা)
হতে তাদের পুর্বোল্লিখিত রিওয়ায়াতের বিপরীত রিওয়ায়াত ও রয়েছে (পরবর্তীতে তার ব্যাখ্যা
বিশ্লেষণ পেশ করা হবে) ৷ যারা এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, নবী কবীম (সা) তার বাহন
তাকে নিয়ে স্থির দাড়ালে তালৰিয়া উচ্চারণ করেছিলেন তারাও অনুরুপ রিওয়ায়তে উল্লেখ
করেছেন ৷
বুখাবী (র) বলেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) , আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন যে, নবী কবীম (সা) মদীনায় চার রাকআত (যুহর) আদায় করলেন এবং
মুলহুলায়ফায় দুই বাকআত আদড়ায় করলেন, তারপর যুল-হুলায়ফায় রাত যাপন করলেন ৷
পরে যখন তার বাহনে আরোহণ করলেন এবং বাহন তড়াদুক নিয়ে স্থির হন, তখন তিনি
তালৰিয়া উচ্চারণ করলেন ৷
আর বুখড়াবী, মুসলিম (র) ও সুনান গ্রছসমুহের সং কলকবৃন্দ (পুর্বোল্লিজ্যি সনদের) মুহাম্মদ
ইবনুল মুনকার্দির (র) এবং ইবরাহীম ইবন মড়ায়েসারড়া (র) হতে বিভিন্ন সুত্রে আবাস (বা)
থেকে এ হাদীসটি রিওয়য়ােত করেছেন ৷ ওদিকে সহীহ্ গ্রন্থদ্বয়ে রয়েছে মালিক (র)ইবন
উমর (রা) থেকে বর্ণিত হাদীস, ইবন উমর (রা) বলেন, ইহরাম তালবিয়ড়া বিষয়টি তা আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) (ক ত ড়ালৰিয়ড়া উচ্চারণ করতে প্রত্যক্ষ করি নি, যতক্ষণ তার বাহন তাকে নিয়ে
দ্রুত চলতে শুরু করে নি ৷ সহীহ্ গ্রন্থদ্বরে ইবন ওয়ড়াহব (র) , ইবন উমর সুত্রে এ মর্মে
রিওয়ড়ায়াত রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুলহুলায়ফায় তার বড়াহনে আরোহণ করার পরে তা
তাকে নিয়ে সোজা হয়ে সড়াড়ান্সে তিনি তালবিয়া উচ্চারণ করলেন ৷
فِي مَفْرِقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ثَالِثَةٍ وَهُوَ مُحْرِمٌ.»
فَهَذِهِ الْأَحَادِيثُ دَالَّةٌ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تَطَيَّبَ بَعْدَ الْغُسْلِ، إِذْ لَوْ كَانَ الطِّيبُ قَبْلَ الْغُسْلِ لَذَهَبَ بِهِ الْغُسْلُ، وَلَمَا بَقِيَ لَهُ أَثَرٌ، وَلَا سِيَّمَا بَعْدَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ يَوْمِ الْإِحْرَامِ، وَقَدْ ذَهَبَ طَائِفَةٌ مِنَ السَّلَفِ، مِنْهُمُ ابْنُ عُمَرَ إِلَى كَرَاهَةِ التَّطَيُّبِ عِنْدَ الْإِحْرَامِ.
وَقَدْ رَوَيْنَا هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ ; فَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ بِبَغْدَادَ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمِصْرِيُّ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ بْنِ صَالِحٍ، ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْغَمْرِ، ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: «طَيَّبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْغَالِيَةِ الْجَيِّدَةِ عِنْدَ إِحْرَامِهِ.» وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ عَزِيزُ الْمَخْرَجِ، ثُمَّ إِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَبَّدَ رَأْسَهُ لِيَكُونَ أَحْفَظَ لِمَا فِيهِ مِنَ الطِّيبِ، وَأَصْوَنَ لَهُ مِنَ اسْتِقْرَارِ التُّرَابِ وَالْغُبَارِ. قَالَ مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ: إِنَّ حَفْصَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا شَأْنُ النَّاسِ حَلُّوا مِنَ الْعُمْرَةِ وَلَمْ تَحِلَّ أَنْتَ مِنْ عُمْرَتِكَ؟ قَالَ: " إِنِّي لَبَّدْتُ رَأْسِي، وَقَلَّدْتُ هَدْيِي فَلَا أَحِلُّ حَتَّى أَنْحَرَ ".» وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯১
مَالِكٍ وَلَهُ طُرُقٌ كَثِيرَةٌ عَنْ نَافِعٍ.
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا الْحَاكِمُ، أَنْبَأَنَا الْأَصَمُّ، أَنْبَأَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى، ثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، ثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَبَّدَ رَأْسَهُ بِالْغُسْلِ. وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، ثُمَّ إِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَشْعَرَ الْهَدْيَ وَقَلَّدَهُ وَكَانَ مَعَهُ بِذِي الْحُلَيْفَةِ.»
قَالَ اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ: «تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ وَأَهْدَى، فَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ.» وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ بِتَمَامِهِ وَهُوَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَالْكَلَامُ عَلَيْهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ.
وَقَالَ مُسْلِمٌ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، ثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، هُوَ الدَّسْتُوَائِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي حَسَّانَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ دَعَا بِنَاقَتِهِ فَأَشْعَرَهَا فِي صَفْحَةِ سَنَامِهَا الْأَيْمَنِ، وَسَلَتَ الدَّمَ وَقَلَّدَهَا
পৃষ্ঠা - ৩৮৯২
نَعْلَيْنِ، ثُمَّ رَكِبَ رَاحِلَتَهُ» وَقَدْ رَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةُ مِنْ طُرُقٍ عَنْ قَتَادَةَ، وَهَذَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، تَعَاطَى هَذَا الْإِشْعَارَ وَالتَّقْلِيدَ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ فِي هَذِهِ الْبَدَنَةِ، وَتَوَلَّى إِشْعَارَ بَقِيَّةِ الْهَدْيِ وَتَقْلِيدَهُ غَيْرُهُ، فَإِنَّهُ قَدْ كَانَ هَدْيٌ كَثِيرٌ ; إِمَّا مِائَةُ بَدَنَةٍ، أَوْ أَقَلَّ مِنْهَا بِقَلِيلٍ، وَقَدْ ذَبَحَ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ ثَلَاثًا وَسِتِّينَ بَدَنَةً، وَأَعْطَى عَلِيًّا فَذَبَحَ مَا غَبَرَ.
وَفِي حَدِيثِ جَابِرٍ أَنَّ عَلِيًّا قَدِمَ مِنَ الْيَمَنِ بِبُدْنٍ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَفِي سِيَاقِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَشْرَكَ عَلِيًّا فِي بُدْنِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَذَكَرَ غَيْرُهُ أَنَّهُ ذَبَحَ هُوَ وَعَلِيٌّ يَوْمَ النَّحْرِ مِائَةَ بَدَنَةٍ. فَعَلَى هَذَا يَكُونُ قَدْ سَاقَهَا مَعَهُ مِنْ ذِي الْحُلَيْفَةِ، وَقَدْ يَكُونُ اشْتَرَى بَعْضَهَا بَعْدَ ذَلِكَ وَهُوَ مُحْرِمٌ.