سنة عشر من الهجرة النبوية
حجة الوداع في سنة عشر
بيان أنه عليه الصلاة والسلام لم يحج من المدينة إلا حجة واحدة وأنه اعتمر قبلها ثلاث عمر
পৃষ্ঠা - ৩৮৬৮
তৃডীয়বারের একত্রিত হওয়ার ঘটনা ৷ এ এ ৷ রআওের শ্লেশ্রুত্যি৩ হিজরত সংঘটিত হল (যার
বিশদ বিবরণ যথাস্থানে আমরা প্রদান করে এসেছি) ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷
হযরত জাৰির ইবন আবদুল্লাহ (বা) সুত্রে জাফর ইবন মুহাম্মদ ইবন আলী ইবনুল হুসায়ন
(বা) এর রিওয়ায়াতে রয়েছে জাৰির (বা) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) নয় বছর যাবত মদীনায়
অবস্থান করলেন ৷ তখনো তিনি হজ্জ করেন নি ৷ তারপর লোকদের মাঝে হজ্জ যাত্রার ঘোষণা
দিলেন ৷ ফলে মদীনায় বিশাল জনসমাগম হল ৷ যিলকদের পড়াচ দিন কিৎবা চারদিন বাকী
থাকাকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যাত্রা শুরু করলেন ৷ যুল হুলায়ফায় উপনীত হয়ে তিনি সালাত
আদায় করণেণ, তারপর ওার বাহনে আরোহণ করণোণ ৷ বাহন ওাফ্লো নিয়ে প্রাম্ভরের পথ
বয়সে তিনি তালবিয়ড়া (লাব্বায়কা ) পাঠ করলেন; আমরাও সাথে সাথে লাব্বায়ক উচোরণ
করলাম ৷ আমাদের তখন হজ্জ ব্যতিরেকে অন্য কিছুর নিয়ত ছিল না ৷ মুসলিম (র) বর্ণিত
সুদীর্ঘ হাদীসটি পরে বিবৃত হবে এ হাদীসের ভাষ্য ৷
আবু দুজানা সিমাক ইবন হারশা আর সাঈদী (বা) (মতাতরে) সিবা ইবন
উঃাকাতা আল গিফারী (বা)-কে মদীনায় স্থলাভিষিক্ত করে
রফ্তোহ্ (না)-এর বিদায় হহ্রজ্জ্ব যাত্রা শুরু
মুহাম্মদ ইবন ইগ্হাৰ (র) বলেন দশম হিকর্ভৰীর যিলকদ মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হহ্বজ্জ্বর
প্রস্তুতি নিতে লাগ্দ্যে এবং সেস্ফোকও প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ এ বিষয় আবদুর
রহমান ইবনুল কাসিম (ইবন মুহাম্মদ) (র)ননী জ্জীম (না) সহধ্নীি হযরত স্রাইশা (রা)-
এর বরাতে আমাকে বলেছেন, অইিশা (বা) বলেন, ৰিলকদের পাচ রাত বাকী থাকতে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) হরুজ্জর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লেন ৷ এ সনদটি বেশ উত্তম ৷ ইমাম মালিক (র)
র্তার মুআত্তা গ্রন্থে ইয়াহ্য়ড়া ইবন সাঈদ আলআনসারী (র) হতেআইশা (বা)-এর বরাতে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ এ হাদীসটি সহীহ্ বুখারী-ঘৃসলিমসহ সুনানই নাসাঈ, ইবন মড়াজা ও
মুসান্নাফ ইবন আবু শায়বাতে ইয়াহ্য়ড়া ইবন সাঈদ আল-আনসারী (র) থেকে বিভিন্ন সুত্রে
আইশা (বা) হতে উল্লিখিত হয়েছে তিনি বলেন, আমরা বাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সঙ্গে বের হলাম
যিলকদ মাসের পড়াচদিন বাকী থাকতেই আমরা হজ্জ ব্যতিরেকে আর কিছু ভাবছিলাম না
(সুদীর্ঘ হাদীস) বুখারী (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবু বকর আল-ঘুকড়াদ্দাঘী (র)ইবন
আববাস (বা) সুত্রে তিনি বলেন, নবী করীম (মা) বাবা আচড়িয়ে তেল লাগিয়ে সেলাইৰিহীন
লুঙ্গি পরে ও চাদর পায়ে দিয়ে মদীনা থেকে রওনা করলেন ৷ জাফরান দিয়ে রং করা কাপড়
যা গায়ের তুরেৰু হলদে রং মেখে দেয় তেমন কাপড় ব্যতীত কোন লুঙ্গি ও চাদর ব্যবহার করা
তিনি শিবের করলেন না ৷ যুল হুলায়ফায় সকাল বেলা তিনি নিজের বাহনে আরোহণ করলেন
এবং অবশেষে বায়দা প্রান্তরে উপস্থিত হলেন ৷ এটা ছিল যিলকদের পড়াচ দিন বাকী থাকাকালে
এবং যিলহক্রুজ্জর পড়াচ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তিনি মক্কায় এসে পৌছলেন ৷ বুবারী (র)
এককডাবে এ বংনাি দিয়েছেন ৷
পর্যালোচনা ০ং যিলকদের পড়াচদিন বাকী থাকাকালেশ্ এটা যুলশ্হুলায়ফায় অবস্থানের
সকাল বেলায় কথা হলে ইবন হাঘৃম (র) ইবন ইসহাক (র) এর বক্তব্য যথার্থ হবে ৷ তীর দাবী
৬ ণোণোণো(হ্রান্ব্রা৷€গাে০ওোড়া
[بَيَانُ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ لَمْ يَحُجَّ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَّا حَجَّةً وَاحِدَةً وَأَنَّهُ اعْتَمَرَ قَبْلَهَا ثَلَاثَ عُمَرٍ]
بَابُ بَيَانِ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ لَمْ يَحُجَّ مِنَ الْمَدِينَةِ إِلَّا حَجَّةً وَاحِدَةً وَأَنَّهُ اعْتَمَرَ قَبْلَهَا ثَلَاثَ عُمَرٍ
كَمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ، عَنْ هُدْبَةَ، عَنْ هَمَّامٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عُمَرٍ، كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، إِلَّا الَّتِي فِي حَجَّتِهِ.» الْحَدِيثَ. وَقَدْ رَوَاهُ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ ذَرٍّ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلَهُ.
وَقَالَ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، عَنِ الدَّرَاوَرْدِيِّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ عُمَرٍ ; عُمْرَةٌ فِي شَوَّالٍ وَعُمْرَتَيْنِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ.» وَكَذَا رَوَاهُ ابْنُ بُكَيْرٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৬৯
وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ اعْتَمَرَ ثَلَاثَ عُمَرٍ، كُلُّهُنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ.
وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو النَّضْرِ، ثَنَا دَاوُدُ - يَعْنِي الْعَطَّارَ - عَنْ عَمْرٍو، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عُمَرٍ ; عُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ، وَعُمْرَةُ الْقَضَاءِ، وَالثَّالِثَةُ مِنَ الْجِعْرَانَةِ، وَالرَّابِعَةُ الَّتِي مَعَ حَجَّتِهِ.» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، وَالتِّرْمِذِيُّ، وَالنَّسَائِيُّ، مِنْ حَدِيثِ دَاوُدَ الْعَطَّارِ، وَحَسَّنَهُ التِّرْمِذِيُّ.
وَقَدْ تَقَدَّمَ هَذَا الْفَصْلُ عِنْدَ عُمْرَةِ الْجِعْرَانَةِ وَسَيَأْتِي فِي فَصْلِ مَنْ قَالَ: إِنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، حَجَّ قَارِنًا. وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.
فَالْأُولَى مِنْ هَذِهِ الْعُمَرِ عُمْرَةُ الْحُدَيْبِيَةِ الَّتِي صُدَّ عَنْهَا، ثُمَّ بَعْدَهَا عُمْرَةُ الْقَضَاءِ - وَيُقَالُ: عُمْرَةُ الْقِصَاصِ. وَيُقَالُ: عُمْرَةُ الْقَضِيَّةِ - ثُمَّ بَعْدَهَا عُمْرَةُ الْجِعْرَانَةِ، مَرْجِعَهُ مِنَ الطَّائِفِ حِينَ قَسَّمَ غَنَائِمَ حُنَيْنٍ وَقَدْ قَدَّمْنَا ذَلِكَ كُلَّهُ فِي مَوَاضِعِهِ، وَالرَّابِعَةُ عُمْرَتُهُ مَعَ حَجَّتِهِ، وَسَنُبَيِّنُ اخْتِلَافَ النَّاسِ فِي عُمْرَتِهِ هَذِهِ مَعَ الْحَجَّةِ ; هَلْ كَانَ مُتَمَتِّعًا بِأَنْ أَوْقَعَ الْعُمْرَةَ قَبْلَ الْحَجَّةِ وَحَلَّ مِنْهَا؟ أَوْ مَنَعَهُ مِنَ الْإِحْلَالِ مِنْهَا سَوْقُهُ الْهَدْيَ؟ أَوْ كَانَ قَارِنًا لَهَا مَعَ الْحَجَّةِ؟ كَمَا نَذْكُرُهُ مِنَ الْأَحَادِيثِ الدَّالَّةِ عَلَى ذَلِكَ، أَوْ كَانَ مُفْرِدًا لَهَا عَنِ الْحَجَّةِ بِأَنْ أَوْقَعَهَا بَعْدَ قَضَاءِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৭০
হল নবী করীম (সা) বৃহস্পতিবার মদীনা হতে বের হয়ে জুমআর (পুর্ববর্তী) রাত যুল-
হুলায়ফায় অবস্থান করেন এবং জুমআর দিন সকাল সেখানেই হয় ৷ তা ছিল যিলকদের পচিশ
তারিখ ৷
আর যদি যিলকদের পাচদিন বাকী থাকাকালে বলে ইবন আব্বাস (বা) চুল আচড়ানাে,
তেল লাগানো ও ইয়ার-চাদর পরিবারের পর নবী করীম (না)-এর মদীনা হতে রওনা হওয়ার
দিন বুঝিয়ে থাকেন যেমন আইশা ও জাৰির (বা) বলেছেন যে, যিলকদের পা“চদিন বাকী
থাকতে র্তার৷ মদীনা’ হতে বের হয়েছিলেন ৷ তা হলে ইবন হাঘৃম (রা)-এর বক্তব্য অগ্রাহ্য
হয়ে যাবে এবং তা গ্রহণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে ৷ তখন ভিন্নমতই গ্রহণীয় হবে ৷ কিন্তু
যিলকদকে পুর্ণ ত্রিশদিনের মাস ধরলে রওনা হওয়ার দিনটি শুক্রবার বলা ছাড়া ভিন্ন মতের
অবকাশ থাকবে না (কেননা, ঐ বছরের যিলহজ্জ মাস বৃহস্পতিবারে শুরু হওয়া নিশ্চিত ৷
অতএব, যিলকদ মাস পুর্ণ ত্রিশদিনের মাস হলে পাচদিন বাকী থাকতে অর্থাৎ পচিশ তারিখ
শুক্রবার হতে হয়) ৷ অথচ মদীনা থেকে নবী করীম (সা)-এর শুক্রবার রওনা হওয়াও স্বীকৃত
নয় ৷ কেননা, বুখারী (র)এর রিওয়ায়াতে রয়েছে, মুসা ইবন ইসমাঈল (র)আনাস ইবন
মালিক (বা) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের সাথে নিয়ে মদীনায়
চার বাকআত যুহরের সালাত আদায় করলেন, আর আসর আদায় করলেন যুলহুলায়ফায়
দু’রড়াকআত৷ তারপর সকাল হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করলেন ৷ তারপর বাহনে আরোহণ
করে বায়দা প্রাতরেণ্ গিয়ে উপস্থিত হন ৷ তিনি মহা ড়ান-মহীয়ান আল্লাহর হাম্দ ও তাসবীহ্ পাঠ
করলেন,৩ তারপর হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাধলেন ৷ মুসলিম ও নাসাঈ (র) উভয় এ হাদীস
রিওয়ায়াত করেছেন, কুতায়বা (র)আনাস ইবন মালিক (বা) সুত্রে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) যুহর সালাত মদীনায় চার বাকঅড়াত আদায় করলেন আর আসর যুল-হুলায়ফায় দুই
রাকআত আদায় করলেন ৷ আহমদ (র) বলেছেন, আবদুর রহমান (র)আনড়াস ইবন মালিক
(বা) সুত্রে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুহর মদীনায় চার রাকআত আদায়
করলেন আর আসর আদায় করলেন যুল-হুলায়ফাতে দুই রাকআত ৷ বুখারী (র) মুসলিম আবু
দাউদ, নাসাঈ (র) প্রমুখও বিভিন্ন সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷
আহমদ (র) আরো বলেছেন ইয়াকুব (ব)আনাস ইবন মালিক আল-অড়ানসাৰী (বা)
হতে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) আমাদের সাথে নিয়ে মদীনায় তার মসজিদে যুহর চার
রাকআত আদায় করলেন ৷ তারপর আমাদের নিয়ে আসর আদায় করলেন দুই রাকআত যুল-
হুলায়ফায় বিদায় হদুজ্জ্বর সময় শং কাহীন নিরাপত্তা কোলে (অর্থাৎ এটা সালাতুল খাওফ বা শত্রু
শ্ৎকায় কসর ছিল৷ না ) ৷ এ শেষ সনদে আহমদ (র) একাকী বর্ণনা করেছেন ৷৩ তবে সনদটি
বুখারী যুসলিমের শ ৷র্তড়ানৃরুপ ৷ এসব রিওয়ায়াত রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) এর সফর সুচনা শুক্রবারে
হওয়াকে নিশ্চি৩রব্পে নাব১া> করে দেয় এবং এগুলোর দৃষ্টিতে ইবন হাঘৃম (র)-এর
বক্তব্যানৃসারে বৃহস্পতিবারে সফর আরম্ভ হওয়াও সম্ভব নয় ৷ কেননা সে দিনটি ছিল
যিলকদের চব্বিশ তারিখ ৷ কেননা, সে বছরের যিলহৰ্জ্জর প্রথম তারিখ বৃহস্পতিবার হওয়াতে
কোন দ্বিমত নেই ৷ যেহেতু উপর্বুপরি অকাট্য (তাওয়াতুর) বর্ণনা ও ইজম৷ (সর্বসম্মত) সুত্রে
সাব্যস্ত হয়েছে যে, নবী করীম (সা) আৱাফা তে অবস্থান করেছিলেন শুক্রবার, আ র তা ছিল
€০া৷া
الْحَجَّةِ؟ وَهَذَا هُوَ الَّذِي يَقُولُهُ مَنْ يَقُولُ بِالْإِفْرَادِ كَمَا هُوَ الْمَشْهُورُ عَنِ الشَّافِعِيِّ، وَسَيَأْتِي بَيَانُ هَذَا عِنْدَ ذِكْرِنَا إِحْرَامَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ كَانَ، مُفْرِدًا أَوَمُتَمَتِّعًا أَوْ قَارِنًا.
قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، ثَنَا زُهَيْرٌ، ثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَأَنَّهُ حَجَّ بَعْدَمَا هَاجَرَ حَجَّةً وَاحِدَةً. قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ: وَبِمَكَّةَ أُخْرَى. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ زُهَيْرٍ، وَأَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ - زَادَ الْبُخَارِيُّ: وَإِسْرَائِيلَ - ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ السَّبِيعِيِّ، عَنْ زَيْدٍ. وَهَذَا الَّذِي قَالَهُ أَبُو إِسْحَاقَ مِنْ أَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، حَجَّ بِمَكَّةَ حَجَّةً أُخْرَى ; أَيْ أَرَادَ أَنَّهُ لَمْ يَقَعْ مِنْهُ بِمَكَّةَ إِلَّا حَجَّةٌ وَاحِدَةٌ، كَمَا هُوَ ظَاهِرُ لَفْظِهِ، فَهُوَ بَعِيدٌ، فَإِنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَ بَعْدَ الرِّسَالَةِ يَحْضُرُ مَوَاسِمَ الْحَجِّ، وَيَدْعُو النَّاسَ إِلَى اللَّهِ وَيَقُولُ: «مَنْ رَجُلٌ يُؤْوِينِي حَتَّى أُبَلِّغَ كَلَامَ رَبِّي؟ فَإِنَّ قُرَيْشًا قَدْ مَنَعُونِي أَنْ أُبَلِّغَ كَلَامَ رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ ".» حَتَّى قَيَّضَ اللَّهُ لَهُ جَمَاعَةَ الْأَنْصَارِ يَلْقَوْنَهُ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ، أَيْ عَشِيَّةَ يَوْمِ النَّحْرِ عِنْدَ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ، ثَلَاثَ سِنِينَ مُتَتَالِيَاتٍ، حَتَّى إِذَا كَانُوا آخِرَ سَنَةٍ بَايَعُوهُ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ الثَّانِيَةِ، وَهِيَ ثَالِثُ اجْتِمَاعِهِ لَهُمْ بِهِ، ثُمَّ كَانَتْ بَعْدَهَا،
পৃষ্ঠা - ৩৮৭১
الْهِجْرَةُ إِلَى الْمَدِينَةِ كَمَا قَدَّمْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي مَوْضِعِهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَفِي حَدِيثِ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ تِسْعَ سِنِينَ لَمْ يَحُجَّ، ثُمَّ أَذَّنَ فِي النَّاسِ بِالْحَجِّ، فَاجْتَمَعَ بِالْمَدِينَةِ بَشَرٌ كَثِيرٌ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ أَوْ لِأَرْبَعٍ، فَلَمَّا كَانَ بِذِي الْحُلَيْفَةِ صَلَّى، ثُمَّ اسْتَوَى عَلَى رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا أَخَذَتْ بِهِ فِي الْبَيْدَاءِ لَبَّى، وَأَهْلَلْنَا لَا نَنْوِي إِلَّا الْحَجَّ.» وَسَيَأْتِي الْحَدِيثُ بِطُولِهِ، وَهُوَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " وَهَذَا لَفْظُ الْبَيْهَقِيِّ، مِنْ طَرِيقِ أَحْمَدَ بْنِ حَفْصٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ بِهِ.