سنة عشر من الهجرة النبوية
حجة الوداع في سنة عشر
حجة النبي صلى الله عليه وسلم كيف كانت
পৃষ্ঠা - ৩৮৬৬
ষ্ : শ্যেম্পো ধরনের হজ্জ উমরা আদায় করেছিলেন ৷ অর্থাৎ হস্কজ্জর আগে উমরা
গ্ষ্ল্টো এবং তা থেকে হালাল’ হয়ে গিয়েছিলেন কিংবা (খ) হড়াদী’১ সাথে নিয়ে
মোঃ মিঃ হাললে হতে পারেন নি ৷ দুই : তিনি হরুজ্জর সাথে সম্মিলিতভাবে উমরা
মোঃ ন্ন্ব্বান২ ধরনের হজ্জ সম্পাদন করেছিলেন ৷ এ দাবীর প্রমাণবহ হাদীস
ন্নে ফ্যাস্থানে উল্লেখ করব ৷ তিন : কিৎবা তিনি উমরা থেকে সম্পুর্ণ পৃথকরুপে হজ্জ আদায়
ন্সর ইব্বাদং ধরনের হজ্জ পালন করেছিলেন ৷ অর্থাৎ হজ্জ সম্পাদনের পরে উমরা আদায়
ৰদ্বছিলেন ৷ নবী করীম (না)-এর ইফরাদ হজ্জ পালনের অভিমত পোষণকারিগণ এক্ষেত্রে
ইফরাদের অনুরুপ ব্যাখ্যাই দিয়েছেন ৷ যেমনটি ইমাম শাফিঈ (র)-এর অভিমত বলে প্রসিদ্ধি
রয়েছে ৷ নবী করীম (সা) ইহরাম শুরু করার সময় ইফরড়াদ কিৎবা কিরান কিৎবা তামাডু এর
নিয়ত করেছিলেন এ বিষয়ের আলোচনা ক্ষেত্রে আমরা বিষয়টির নিষ্পত্তির প্রয়াস পাব ৷
বুখারী (র) বলেন, আমৃর ইবন খালিদ (র)যায়দ ইবন আরকাম (বা) হতে এ মর্মে
বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সা) উনিশঢি পাযওয়া (যুদ্ধ) করেছেন এবং হিজরত করে
যাওয়ার পরে তিনি একবার মাত্র হজ্জ পালন করেছেন; (মধ্যবর্তী রড়াবী) আবু ইসহাক (র)
বলেন, আর (এর আগে) মক্কায় তিনি আর একটি হজ্জ আদায় করেছিলেন ৷ মুসলিম (র) এ
হড়াদীসটি আহরণ করেছেন যুহায়র (র) থেকে ৷ তবে আবু ইসহাক (র)-এর এ বক্তব্য যে, নবী
করীম (সা) মক্কায় আর একটি হজ্জ আদায় করেছেন ৷ যাতে বাহ্যত তিনি বুঝাতে চেয়েছেন
যে, মক্কা শরীফে তিনি একবারের অধিক হজ্জ করেন নি ৷ এ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় ৷ কেননা,
রিসালাতপ্রাপ্তির পরে নবী করীম (সা) হস্কজ্জর মওসৃমে নিয়মিত উপস্থিত থেকে লোকদের
আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিতেন এবং তাদের বলতেন-
— এ্যা১ এ ১০ ঞ
“এমন কোন পুরুষ রয়েছে যে আমাকে আশ্রয় দেবে, যাতে আমি আমার প্ৰতিপালকের
বাণী পৌছিয়ে দিতে পারি; কেননা, কুরায়শীরা আমার মহান ও মহীয়ান প্ৰতিপালকের বাণী
পৌছিয়ে দেয়ায় আমাকে বাধা দিয়েছে ৷ অবশেষে আল্লাহ তার জন্য আনসায়ীদের দলটিকে
নিবেদিত করে দিলেন, যারা আকাবার রাতে’ অর্থাৎ জিলহরুজ্জর দশ তারিখের সল্যায়
জামরড়াতুল আকাবার’ কাছে পর পর তিন বছর তার সাথে সাক্ষাত করেন এবং এর শেষ বছরে
তারা তার হাতে আকাবার দ্বিতীয় বায়আত সম্পাদন করেন ৷ এটি ছিল তার সাথে তাদের
১ তামাত্ত্ব (প্লুৰু^১ ) বহিরাগত হাজীদের জন্য প্রথমে শুধু উমরার ইহরামে উমরা সম্পাদনের পর (ইহরাম খুলে
হালাল হয়ে) পুনরায় হ্যজ্জর নিকটবর্তী সময়ে শুধু হভ্রুজ্জর ইহরাম বেধে তা সম্পাদন করাকে তামাভু হজ্জ বলে
এবং এরুপ হজ্জ আদায়কারীকে যুতামাত্তি’ বলে ৷ তামাডু শব্দটির অর্থ ফায়দ৷ হাসিল করা, উপকার লাভ করা ৷
২ মক্কা শরীফে জবাই করার উদ্দেশ্যে হাজী সাহেবান যে পশু (উট) সাথে নিয়ে যান, তাকে হাদী’ বলা হয় ৷
৩ কিরান ( @)এ ) একসাথে হজ্জ ও উমরার সম্মিলিত ইহরাম বেধে প্রথমে উমরা আদায় করে (হড়ালাল না
হয়ে) যথাসময় ঐ ইহরাম দিয়ে হজ্জ আদায় করা হলে তাকে কিরান; (সম্মিলিত) হজ্জ এবং এরুপ হজ্জ
আদায়কারীকে কারিন বলা হয় ; অনুৰাদক
৪ হ₹জ্জর সময় শুধুমাত্র হন্থজ্জর ইহরাম বেধে (উমরা সংযুক্ত না করে) তা আমার করলে তাকে ইফরাদ
(একক বা স্বতন্ত্র) হজ্জ এবং এরুপ হজ্জ আদায়কারীকে যুফরিদ বলা হয় ৷ অনুবাদক
[حَجَّةُ الْوَدَاعِ فِي سَنَةِ عَشْرٍ]
[حَجَّةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ كَانَتْ]
كِتَابُ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فِي سَنَةِ عَشْرٍ
وَيُقَالُ لَهَا حَجَّةُ الْبَلَاغِ، وَحَجَّةُ الْإِسْلَامِ، وَحَجَّةُ الْوَدَاعِ ; لِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، وَدَّعَ النَّاسَ فِيهَا، وَلَمْ يَحُجَّ بَعْدَهَا. وَسُمِّيَتْ حَجَّةَ الْإِسْلَامِ ; لِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، لَمْ يَحُجَّ مِنَ الْمَدِينَةِ غَيْرَهَا، وَلَكِنْ حَجَّ قَبْلَ الْهِجْرَةِ مَرَّاتٍ قَبْلَ النُّبُوَّةِ وَبَعْدَهَا. وَقَدْ قِيلَ: إِنَّ فَرِيضَةَ الْحَجِّ نَزَلَتْ عَامَئِذٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ تِسْعٍ. وَقِيلَ: سَنَةَ سِتٍّ. وَقِيلَ: قَبْلَ الْهِجْرَةِ. وَهُوَ غَرِيبٌ جِدًّا. وَسُمِّيَتْ حَجَّةَ الْبَلَاغِ ; لِأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، بَلَّغَ النَّاسَ شَرْعَ اللَّهِ فِي الْحَجِّ قَوْلًا وَفِعْلًا، وَلَمْ يَكُنْ بَقِيَ مِنْ دَعَائِمِ الْإِسْلَامِ وَقَوَاعِدِهِ شَيْءٌ إِلَّا وَقَدْ بَيَّنَهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، فَلَمَّا بَيَّنَ لَهُمْ شَرِيعَةَ الْحَجِّ وَوَضَّحَهُ وَشَرَحَهُ أَنْزَلَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَيْهِ وَهُوَ وَاقِفٌ بِعَرَفَةَ: {الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا} [المائدة: 3] (الْمَائِدَةِ: 3) وَسَيَأْتِي إِيضَاحٌ لِهَذَا كُلِّهِ.
وَالْمَقْصُودُ ذِكْرُ حَجَّتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، كَيْفَ كَانَتْ، فَإِنَّ النَّقَلَةَ اخْتَلَفُوا فِيهَا اخْتِلَافًا كَثِيرًا جِدًّا، بِحَسَبِ مَا وَصَلَ إِلَى كُلٍّ مِنْهُمْ مِنَ الْعِلْمِ، وَتَفَاوَتُوا فِي ذَلِكَ تَفَاوُتًا كَثِيرًا، لَا سِيَّمَا مَنْ بَعْدَ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، وَنَحْنُ نُورِدُ بِحَمْدِ اللَّهِ وَعَوْنِهِ وَحُسْنِ تَوْفِيقِهِ مَا ذَكَرَهُ الْأَئِمَّةُ فِي كُتُبِهِمْ مِنْ هَذِهِ الرِّوَايَاتِ، وَنَجْمَعُ بَيْنَهَا جَمْعًا يُثْلِجُ قَلْبَ مَنْ تَأَمَّلَهُ وَأَنْعَمَ النَّظَرَ فِيهِ، وَجَمَعَ بَيْنَ طَرِيقَتَيِ الْحَدِيثِ وَفَهِمِ مَعَانِيهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِاللَّهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ. وَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৩৮৬৭
اعْتَنَى النَّاسُ بِحَجَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتِنَاءً كَثِيرًا مِنْ قُدَمَاءِ الْأَئِمَّةِ وَمُتَأَخِّرِيهِمْ، وَقَدْ صَنَّفَ الْعَلَّامَةُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ حَزْمٍ الْأَنْدَلُسِيُّ، رَحِمَهُ اللَّهُ، مُجَلَّدًا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ أَجَادَ فِي أَكْثَرِهِ، وَوَقَعَ لَهُ فِيهِ أَوْهَامٌ، سَنُنَبِّهُ عَلَيْهَا فِي مَوَاضِعِهَا، وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.