আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة عشر من الهجرة النبوية

بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم الأمراء إلى أهل اليمن

পৃষ্ঠা - ৩৮৪০


কথা শুনে মুআয (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আসন্ন ৰিরহ আশঙ্কায় কেদে ফেললেন ৷ তারপর
ৰিবগ্ন বদলে মদীনায় পানে দৃষ্টি ঘোরালেন ৷ নবী করীম (সা) বললেন-

“আমার অধিকতর সাব্লিধ্যের লোক হল যুত্তাকীরা ৷ তারা যে কোন দেশ গোত্রের হোক
এবং যেখানে থাকুক না কেন ৷ আহমদ (র) পরবর্তী রিওয়ায়াত নিয়েছেন আবুল ইয়ামান
(র)আসিম ইবন হুমারদ আস সাকুনী (র) থেকে এ মর্মে যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) তাতে
অতিরিক্ত আছে তখন আরো বলেছিলেন-
-এক্রো এ,ও ম

া:হ মুআয! কেদাে না, কান্নার অনেক উপযোগী সময় রয়েছে ! (তা ছাড়া) কান্না মুলত
শয়তানের পক্ষ থেকে ৷ ইমাম আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবুল মুগীরা (র) মুআয (না)
থেকে এ মর্মে যে, তিনি বলতেন, রাসুলুস্লাহ্ (সা) আমাকে ইরামানে পাঠালেন ৷ তিনি আমাকে
বললেন,

াক্টন্স্পী :-ৰুণ্ :;এে ণ্ওহুপ্-ঢ ন্-ন্ন্নুশু১ ণ্১-ন্ প্-ষ্ র্থাং ঐএগু , দুশু: ষ্ এে)শুৰুগ্ধ )-ংন্ ঠো এ-এে
(০,ওগ্লু)
হয়ত, তুমি আমার কবর ও মসজিদের পাশ দিয়ে পথ চলবে; তোমাকে আমি এমন একটি
সম্প্রদায়ের কাছে পাঠাচ্ছি যাদের হৃদয় কোমল, যারা ন্যারের ভিত্তিতে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়
(কথাটি তিনি দৃ’বার বললেন) ৷ সুতরাং তাদের মাঝে যারা তোমার অনুণামী হয়ে তাদের
সহায়তা নিয়ে তাদের মধ্যকার অবাধ্যদের সাথে যুদ্ধ করবে ৷ ফলে তারা ইসলামের দিকে
ফিরে আসবে ৷ এমন কি শ্রী তার স্বামীর সাথে, সন্তান তার জনকের সাথে এবং তইি ভাইয়ের
সাথে প্রতিযোগীতা করে দীনের পথে ফিরে আসবে ৷ তুমি সাকুন’ ও সাকাসিক’ পােত্রদ্বরের
মাঝে অবস্থান করবে ৷

এ হাদীসে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যে, পরবর্তী সময়ে মুআয (বা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে
মিলিত হওয়ার অবকাশ পাবেন না ৷ বাস্তবেও তাই ঘটেছিল ৷ কেননা, বিদায় হজ্জ পর্যন্ত মুআয
(রা) ইয়ামড়ানেই অবস্থানরত ছিলেন ৷ এদিকে হচ্ছে আকবর (বিদায় হজ্জএর একাশি দিন
পরে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাত হয়ে যায় ৷ তাই যে সব হাদীসে এর বিপরীত বর্ণনা পরিদৃষ্ট
হয় যেমন, ইমাম আহমদ (র) বলেন, ওয়াকী (র)মুআয (রা) থেকে বর্ণনা করেন এ মর্মে
যে, তিনি ইয়ামান থেকে ফিরে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আমি ইয়ামানে কিছু লোক
এমন দেখেছি যারা একে অন্যকে সিজদা করে ৷ আমরাও কি আপনাকে সিজদা করবো না ?

তিনি বললেন-
“আমি কোন মানুষকে অন্য কোন মানুষের সামনে সিজদাবনত হওয়ার হুকুম করতে চইিলে
দ্রীদের হুকুম দিতাম, তারা যেন তাদের স্বামীদের সিজদা করে ৷” আহমদ (র) এ হাদীসখানা


أَقْدَامِكُمْ ". فَقَالَ يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ الْمَدَانِ: أَمَا وَاللَّهِ مَا حَمِدْنَاكَ وَلَا حَمِدْنَا خَالِدًا قَالَ: " فَمَنْ حَمِدْتُمْ؟ " قَالُوا: حَمِدْنَا اللَّهَ الَّذِي هَدَانَا بِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " صَدَقْتُمْ ". ثُمَّ قَالَ: " بِمَ كُنْتُمْ تَغْلِبُونَ مَنْ قَاتَلَكُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ؟ ". قَالُوا: لَمْ نَكُ نَغْلِبُ أَحَدًا: قَالَ: " بَلَى، قَدْ كُنْتُمْ تَغْلِبُونَ مَنْ قَاتَلَكُمْ ". قَالُوا: كُنَّا نَغْلِبُ مَنْ قَاتَلَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَّا كُنَّا نَجْتَمِعُ وَلَا نَتَفَرَّقُ، وَلَا نَبْدَأُ أَحَدًا بِظُلْمٍ، قَالَ: " صَدَقْتُمْ " ثُمَّ أَمَّرَ عَلَيْهِمْ قَيْسَ بْنَ الْحُصَيْنِ.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى قَوْمِهِمْ فِي بَقِيَّةِ شَوَّالٍ، أَوْ فِي صَدْرِ ذِي الْقَعْدَةِ. قَالَ: ثُمَّ بَعَثَ إِلَيْهِمْ بَعْدَ أَنْ وَلَّى وَفْدُهُمْ عَمْرَو بْنَ حَزْمٍ ; لِيُفَقِّهَهُمْ فِي الدِّينِ، وَيُعَلِّمَهُمُ السُّنَّةَ وَمَعَالِمَ الْإِسْلَامِ، وَيَأْخُذَ مِنْهُمْ صَدَقَاتِهِمْ، وَكَتَبَ لَهُ كِتَابًا عَهِدَ إِلَيْهِ فِيهِ عَهْدَهُ، وَأَمَرَهُ أَمْرَهُ. ثُمَّ أَوْرَدَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَقَدْ قَدَّمْنَاهُ فِي وَفْدِ مُلُوكِ حِمْيَرَ مِنْ طَرِيقِ الْبَيْهَقِيِّ، وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ نَظِيرَ مَا سَاقَهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ بِغَيْرِ إِسْنَادٍ. [بَعْثُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأُمَرَاءَ إِلَى أَهْلِ الْيَمَنِ] ِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ، يَدْعُونَهُمْ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ بَعْثِ أَبِي مُوسَى وَمُعَاذٍ إِلَى الْيَمَنِ قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ،
পৃষ্ঠা - ৩৮৪১


ইবন নুমায়র (ব)মুআয ইবন জ্যবাল (রা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ম্বআয (রা) ইয়ামান
থেকে ফিরে এলেন ৷ তিনি বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ৰু আমি কিছু লোককে দেখেছি (অনুরুপ
অর্থমম্পন্ন) এ বর্ণনা ন্স্পের্কে আমাদের বক্তব্য ৷ হাদীসটি ঘুরে ফিরে জভৈনক ব্যক্তি’ অর্থাৎ
নাম-পরিচয় অজ্ঞাত এক ব্যজ্যি সুত্র মাধ্যমে ৰিবৃত হচ্ছে ৷ আর এ ধরনের বর্ণনা তেমন
প্রামাণ্য বলে স্বীকৃত ৩নর ৷ বিশেষত এর বিপরীতে নির্তরখেগ্যে ও উল্লেখযোগ্য বড়াবীদের বর্ণনা
বিদ্যমান ৷ তাদের মতে যুআব যখন শাম (সিরিয়া ) থেকে ফিরে এলেন এটা তখনকার ঘটনা,
(ইয়ামান থেকে প্রত্যাবর্তনের পরের ঘটনা নয় ৷)

আহমদ (র)-এর অন্যান্য প্রাসঙ্গিক রিওয়ায়ত ইব্রাহীম ইবন মাহ্দী (ব)যুআয ইবন

জাবড়াল (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন ৰু-ন্১র্ট গ্লুওারু

র:৷ শ্বা ণ্শ্রা শ্ব @! ও; ” “জান্নড়াতের চাবিগুচ্ছ এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, এক আল্লাহ ব্যতীত
আর কোন ইলাহ্ নেই ৷”

ইমাম আহমদ (র) ওয়াকী (র)ফ্লুআয (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)

বলেছিলেনরুিগু

”হে ঘুআয ! মন্দেব পিছনে তলে করবে, তার তাল মন্দকে’ মুছে দেবে; মান্যুবর সাথে
উত্তম আচরণ করবে ৷” ওয়াকী (র) বলেন, আমার পাণ্ডুলিপিতে দেখলাম “আবু যার (রা)
থেকে অর্থাৎ (সম্ভবত) প্রথমবড়ারে র্তার কাছে শুনেছিলেন ৷ (ওমাকী (র) এর শায়খ) সুফিয়ান
(র) মাঝে মাঝে বলতেন “মুআয (বা) থেকে, (অর্থাৎ তার কাছ থেকেও সম্ভবত এ হাদীসের
রিওয়ায়াত রয়েছে) ৷

পরবর্তী রিওয়ায়াতে ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইসমাঈল (র)যুআযং (বা) থেকে, তিনি
বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাকে উপদেশ দিন ৷ তিনি বললেন এশ্ন্ধ্র গ্রা১ ডো ঞা
“যেখানেই থাক আল্লাহ্কে ভয় করে চলবে ৷” যুআব বললেন, আরাে কিছু বলুন ৷ তিনি
বললেন, “মন্দ করার পরে ভাল করবে, ভাল মন্দকে মুছে দিয়ে ৷” ঘুআয (রা) বললেন, আরো
কিছু বলুন ৷ তিনি বললেন, মানুষের সঙ্গে উত্তম আচরণ করবে ৷” তিরঘিযী (র) তীর আল-
জ্যমি গ্রন্থে এ হাদীস মাহমুদ ইবন পারলাম (র) থেকে উক্ত সনদে রিওয়ায়াত করেছেন এবং
মন্তব্য করেছেন, হাসান’ উত্তম ৷

আতরড়াফ এ আমাদের শারখ বলেছেন, এ হাদীসের অনৃপামী হাসানী (৩ তড়াবী) রিওমায়াত
পাওয়া যায় ফুমায়ল (র)হাবীব (ব) মাধ্যমে উংল্লখিত সনদে ৷

আহমদ (র) আরো বলেছেন, আবুল ইয়ামান (ব) যুআয ইবন জ্যবাল (বা) থেকে বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে দশটি বিষয়ের বিশেষ উপদেশ দিয়েছেন ৷ তিনি বলেছেন-



১ মানুষ মানুষকে সিজদা করার বিষয় ইয়ামানের তুলনায় অধিকতর পারস্য স স্কৃতি প্রভাবিত শাক্ষুমর
ক্ষেত্রেই অধিকতর সমীচীন ৷ তবে কোন হাদীছ ৰিশারদের মতে ঘুআরের একবারের প্রড্যামমন স্বীকৃত এবং
রাসুল (সা) এর ভবিষ্যদ্বাণী এ প্রত্যাপমনের পরবর্তী গমনকষ্কলে প্রযোজ্য ৷


حَدَّثَنَا مُوسَى، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ قَالَ: «بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا مُوسَى وَمُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ إِلَى الْيَمَنِ. قَالَ: وَبَعَثَ كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى مِخْلَافٍ. قَالَ: وَالْيَمَنُ مِخْلَافَانِ. ثُمَّ قَالَ: " يَسِّرَا وَلَا تُعَسِّرَا، وَبَشِّرَا وَلَا تُنَفِّرَا ". - وَفِي رِوَايَةٍ: " وَتَطَاوَعَا وَلَا تَخْتَلِفَا " - فَانْطَلَقَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا إِلَى عَمَلِهِ قَالَ: وَكَانَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا إِذَا سَارَ فِي أَرْضِهِ، وَكَانَ قَرِيبًا مِنْ صَاحِبِهِ أَحْدَثَ بِهِ عَهْدًا، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَسَارَ مُعَاذٌ فِي أَرْضِهِ قَرِيبًا مِنْ صَاحِبِهِ أَبِي مُوسَى فَجَاءَ يَسِيرُ عَلَى بَغْلَتِهِ حَتَّى انْتَهَى إِلَيْهِ، فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ وَقَدِ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ النَّاسُ، وَإِذَا رَجُلٌ عِنْدَهُ قَدْ جُمِعَتْ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ، فَقَالَ لَهُ مُعَاذٌ: يَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ قَيْسٍ، أَيُّمَ هَذَا؟ قَالَ: هَذَا رَجُلٌ كَفَرَ بَعْدَ إِسْلَامِهِ. قَالَ: لَا أَنْزِلُ حَتَّى يُقْتَلَ. قَالَ: إِنَّمَا جِيءَ بِهِ لِذَلِكَ، فَانْزِلْ. قَالَ: مَا أَنْزِلُ حَتَّى يُقْتَلَ. فَأَمَرَ بِهِ فَقُتِلَ، ثُمَّ نَزَلَ فَقَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ كَيْفَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ؟ قَالَ: أَتَفَوَّقُهُ تَفَوُّقًا. قَالَ: فَكَيْفَ تَقْرَأُ أَنْتَ يَا مُعَاذُ؟ قَالَ: أَنَامُ أَوَّلَ اللَّيْلِ، فَأَقُومُ وَقَدْ قَضَيْتُ جُزْئِي مِنَ النَّوْمِ، فَأَقْرَأُ مَا كَتَبَ اللَّهُ لِي، فَأَحْتَسِبُ نَوْمَتِي كَمَا أَحْتَسِبُ قَوْمَتِي.» انْفَرَدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ دُونَ مُسْلِمٍ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا إِسْحَاقُ، ثَنَا خَالِدٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৮৪২
بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ فَسَأَلَهُ عَنْ أَشْرِبَةٍ تُصْنَعُ بِهَا فَقَالَ: " مَا هِيَ؟ " قَالَ الْبِتْعُ وَالْمِزْرُ - فَقُلْتُ لِأَبِي بُرْدَةَ: مَا الْبِتْعُ؟ قَالَ: نَبِيذُ الْعَسَلِ، وَالْمِزْرُ نَبِيذُ الشَّعِيرِ - فَقَالَ: " كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ ".» رَوَاهُ جَرِيرٌ وَعَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ، أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ أَبِي مَعْبَدٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ حِينَ بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ: " إِنَّكَ سَتَأْتِي قَوْمًا أَهْلَ كِتَابٍ فَإِذَا جِئْتَهُمْ فَادْعُهُمْ إِلَى أَنْ يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لَكَ بِذَلِكَ، فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لَكَ بِذَلِكَ، فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّ اللَّهَ قَدْ فَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ فَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوا لَكَ بِذَلِكَ، فَإِيَّاكَ وَكَرَائِمَ أَمْوَالِهِمْ، وَاتَّقِ دَعْوَةَ الْمَظْلُومِ، فَإِنَّهُ لَيْسَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ اللَّهِ حِجَابٌ ".» وَقَدْ أَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ مِنْ طُرُقٍ مُتَعَدِّدَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৪৩


গ্লু , গ্লুব্লু১:ন্ ব্লু,৷ এা,,৷ :াগ্লু (এহুগ্রা,) ওেন্ন্ই ম্মুগ্লু ণ্ ও )১দ্বু ণ্ষ্া:ণ্, :াগ্লু এোদুা ৷ এ,ন্: শৃ
১ হৃন্নু
:া ণ্৷ স্পোঢু এগ্রম্র ও,হু১ঙ ৰুা£ ৰু ,,ৰুএ ণ্া১া১ন্ ৷ )ণ্,ণ্১ :,প্রুট্টাত্ত ১াদ্বু াৰু৷ ৷ ড়ুণ্১ ৰু ,ষ্ ণ্;াদ্রগ্লুপ্রু
স্পোাপ্রু
এা : ণ্ৰুপুাণ্ ৫শু )ৰু শ্বড্রু গ্রাড্রুা () গ্রাপ্রু; ড্রো; শুাওওাগ্লু এোদ্বু ণ্ৰুান্নু এেগ্লু ৷১গ্লু প্রুশ্রো
১ আল্লাহর সাথে কা ৷উকে ৷রীক করবে না; তোমাকে খুন করা হলেও, তোমাকে পুড়িয়ে
মারা হলেও;
, ২ তােমড়ার পিতামাতড়ার অবাধ্য হবে না যদিও তারা তোমাকে তোমার শ্রী পরিজন ও
সহায়-সম্পত্তি হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আদেশ করেন;
৩ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও ফরয সালাত বর্জন করবে না ৷ কেননা, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভারে
ফরম সালাত বর্জন করে, তার ব্যাপারে আল্লাহ্র যিম্মা ও নিরাপত্তা রহিত হয়ে যায়;
৪ কখনো মদ পান করবে না; কেননা, মদই সব পাপ ও অশ্লীলতার মুল;
৫ পাপ হতে দুরে থাকবে ৷ কেননা, পাপ আল্লাহর ক্রোধ’ অবতারণ করে; ৬ কখনো যুদ্ধ
ক্ষেত্রে থেকে পলায়ন বহ্ববে না যদিও মানুষ মরতে থাকে;
৭ যখন মানুষ (মহামরীি আকারে) ব্যাপক মৃত্যুতে আক্রান্ত হয় এর ৎ তৃনিও তাদের মাঝে
অবস্থানরত হও, তখন অবিচল থাকবে;
৮ ৰুতামার সাধ্য-সামর্থ্য অনুপাতে তোমার পরিজনের ব্যয় নির্বাহ করলে;
৯ অধীনস্থদের গ্রিষ্টিড়াচার শিক্ষাদানে শৈথিল্য দেখাবে না এবং
১০ মহান মহীয়ান আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধান উদ্দেশ্যে পরিবার-পরিজনদের ভালবাসার ৷

ইমাম আহমদ (র) আরো বলেন, ইউনুস (র)যুআয ইবন জাবাল (বা) থেকে বর্ণনা
করেন, এ মর্মে যে, তাকে ইয়ামানে পাঠাৰার সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন, ’ ৰিলাসিতা
থেকে তুমি আত্মরক্ষা করে চলবে; কেননা, আল্লাহর বান্দাগণ এতটুকুও বিলাসী হন না ৷
আহমদ (র) আরো বলেন, সুলায়মান (র)মুআয (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) র্তড়াকে ইয়ামড়ানে পাঠালেন এবং আমাকে নির্দেশ দিলেন যেন প্রত্যেক প্রাপ্ত
বয়স্ক ব্যক্তির নিকট থেকে এক দীনার (জিঘৃয়া) আদায় করি কিংবা তার সমমুল্যের
মা৩া৷ফির’২ নিতে ৩বললেন ৷ আর প্রতি চল্লিশটি গরুতে একটি মুসিন্ন৷ (৩ তভীয় বছরে পড়েছে
এমন) এবং প্ৰতি ত্রিশটি গরুতে একটি ভারী ৷ (দ্বিতীয় বছরে পড়েছে এমন বয়সের) গরু
(যাকাত) উসুল করার আদেশ দিলেন ৷ আর বৃষ্টির পানিতে সেচকৃত জমির উৎপন্ন ফসল হতে
বিশ ভাগের এক ভাগ আদায় করার আদেশ দিলেন ৷ আবু দ ৷উদ (র) আবু মুআবিয়া (র)
থেকে এবং নাসাঈ (র) মুহাম্মদ ইবনঃ ইসহাক (র) থেকে উল্লিখিত রুপে এ হাদীস রিওয়ায়াত



১ এাপ্রুা
২ মাআফিয় ( fi») ইয়ামানে তৈরি কাপড় বিশেষ মিহিন আট৷ বা ছাতু বা পােষণযোগ্য যে কোন শষ্যবীজ ৷


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا صَفْوَانُ، حَدَّثَنِي رَاشِدُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ السَّكُونِيِّ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: «لَمَّا بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ خَرَجَ مَعَهُ يُوصِيهِ، وَمُعَاذٌ رَاكِبٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي تَحْتَ رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ: " يَا مُعَاذُ، إِنَّكَ عَسَى أَلَّا تَلْقَانِي بَعْدَ عَامِي هَذَا، وَلَعَلَّكَ أَنْ تَمُرَّ بِمَسْجِدِي هَذَا وَقَبْرِي ". فَبَكَى مُعَاذٌ جَشَعًا لِفِرَاقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ الْتَفَتَ بِوَجْهِهِ نَحْوَ الْمَدِينَةِ فَقَالَ: " إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِي الْمُتَّقُونَ مَنْ كَانُوا وَحَيْثُ كَانُوا» ". 3 - ثُمَّ رَوَاهُ عَنْ أَبِي الْيَمَانِ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ رَاشِدِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ حُمَيْدٍ السَّكُونِيِّ، «أَنَّ مُعَاذًا لَمَّا بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ خَرَجَ مَعَهُ يُوصِيهِ، وَمُعَاذٌ رَاكِبٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي تَحْتَ رَاحِلَتِهِ، فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ: " يَا مُعَاذُ، إِنَّكَ عَسَى أَلَّا تَلْقَانِي بَعْدَ عَامِي هَذَا، وَلَعَلَّكَ أَنْ تَمُرَّ بِمَسْجِدِي هَذَا وَقَبْرِي ". فَبَكَى مُعَاذٌ جَشَعًا لِفِرَاقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " لَا تَبْكِ يَا مُعَاذُ، لِلْبُكَاءِ أَوَانٌ، الْبُكَاءُ مِنَ الشَّيْطَانِ ".» وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، ثَنَا صَفْوَانُ، حَدَّثَنِي أَبُو زِيَادٍ
পৃষ্ঠা - ৩৮৪৪


করেছেন ৷ চার সুনান গ্রন্থের ও ইবন মাজা সঙ্কলক ইমামণ ণ এ হাদীসখানা, আমাশ (র)
মুআয (বা) থেকে একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আহমদ (র) বলেন, যুআবিয়া (র)ঘুআয (বা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
ইয়ামানবাসীদের যাকাত উসুল করার কাজে পাঠালেন ৷ তিনি আমাকে হুকুম দিলেন যেন গরুর
প্ৰতি ত্রিশ সং খ্যা থেকে একটি করে তাবী আদায় করি ৷ হারুন (র) বলেন,ত তাবী হল জায৷ বা
জাযাআ (দ্বিতীয় বছরে পদার্পণকায়ী নয় বা মাদী বাছুর) ৷ আর প্রতি চল্লিশ সংখ্যা থেকে একটি
করে মুসিন্ন৷ (ত ততীয় বছরে পদার্পণকারী পাভী) আদায় করি ৷ ইয়ামানবাসীর৷ আমাকে চল্লিশ ও
পঞ্চাশের মধ্যবর্তী, বাট ও সতুরের মধ্যবর্তী এবং আশি ও নব্বই এর মধ্যবর্তী একক সং থ্যা
হতেও যাকাত গ্রহণের প্রস্তাব দিল ৷ কিন্তু আমি তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানা লাম ৷ আমি তাদের
বললাম, আমি এ বিষয় রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে জিজ্ঞেস করে দেখব ৷ ণ্

আমি এসে নবী করীম (সা) কে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি আমাকে প্রতি ত্রিশটি হতে
একটি ভারী, প্রতি চল্লিশটি হতে একটি মুসিন্না, যটিটি হতে দুটি তাবী , সতুরটি হতে একটি
মুসিন্ন৷ ও একটি ভারী, আশিটি হতে ৩দুটি ঘুসিন্না, ৷নব্বইটি হতে৩ তিনটি যুসিন্না,এ একশ’টি হতে
একটি ঘুসিন্ন৷ ও দুটি তাবী, একশ দশটি হতে দু টি মুসিন্ন৷ ও একটি ভারী এবং একশ ৷’বিশটি
হতে তিনটি মুসিন্ন৷ ৷অথবা চারটি তাবী গ্রহণে র নির্দেশ দিলেন ৷ ঘুআয (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাকে হুকুম করলেন আমি যেন মধ্যবর্তী একক ও তান ৷ ৎখ্যা থেকে কিইে উসৃল না
করি, যতক্ষণ না মুসিন্ন৷ বা জায৷ (ত ৷ৰী ) ধার্য হওয়ার সং থ্যায় উপনীত তহয় ৷ তিনি এ কথাও
বলেছেন যে, আওকাস ( ওোওষ্র্ট)এ নিধস্লিত যাকাত নেই ৷ এ হাদীস ইমাম আহমদ (র)-
এর একক বর্ণিত ৷ এ হাদীস প্রতীয়মান করে যে, মুআয (বা) ইয়ামানে যাওয়ার পরে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে ফিরে এসেছিলেন ৷ তবে বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে তিনি ইয়ামান যাওয়ার
পরে আর নবী কৰীম (সা) কে দেখার সুযোগ প্া৷ন নি ( যেমন পুর্ববর্তী হাদীসে ৰিবৃত হয়েছে) ৷

এছাড়া আবদুর রাঘৃযাক (ব) বলেছেন, মামার (ব)উবাই ইবন কাব ইবন মালিক (বা)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, মুআয ইবন জাবাল (বা) ছিলেন আদর্শ ও সুশ্ৰী দানশীল
তরুণ গোত্রের শ্রেষ্ঠ তকণদের অন্যতম ৷ কেউ তার কাছে হাত থেকে ৰিঘুখ হত না ৷ ফলে
তিনি ঋণত৷ ৷রে জর্জরিত হয়ে পতণোণ ৷ তা৷ পাওনাপারত্রের শান্ত করার জন্য রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর কাছে আরেঞ্চা করলেন ৷ রাসুণুমাং (না) সে পাওনাদারদের কাছে সুপারিশ করলেন ৷
কিন্তু তারা পাওন৷ কমাতে সম্মত হল না ৷ কারো কথায় যদি কারো করয রইি৩করণ বিধি ব ও
ও আইনত জরুরী হত তাহলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কথার যুআয়ের জন্য অবশ ৷৷ই তা রহিত
হত ৷ বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ( না) তাকে ডেকে এনেত তার সহায় সম্পদ বেচে দিয়েত
পাওনদ্যোরদের মাঝে বন্টন করে দিতে লা ৷ণলেন ৷ বর্ণনাকরী বলেন, যুআয (বা) তখন রিক্তহস্ত
হয়ে পড়লেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হরুজ্জর উদ্দেশ্যে গমনের প্রাক্কালে ঘুআয (বা)-কে ইয়ামানে
(শাসক নিয়োগ করে) পাঠালেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, মুআয (বা) হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি
(রাসুলের অনুমতি নিয়ে) সর্বপ্রথম এ রাষ্টীয় সম্পদ দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করলেন ৷ বংনািকাবী









১ একবচনে ষ্এই; খুত বা দোষ ও ব্যাধিগ্রস্ত পশু; দুই দশকের মধ্যবর্তী একক ও ভগ্নসংথ্যা ৷


يَحْيَى بْنُ عُبَيْدٍ الْغَسَّانِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ قُطَيْبٍ، عَنْ مُعَاذٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ: " لَعَلَّكَ أَنْ تَمُرَّ بِقَبْرِي وَمَسْجِدِي، فَقَدْ بَعَثْتُكَ إِلَى قَوْمٍ رَقِيقَةٍ قُلُوبُهُمْ، يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ مَرَّتَيْنِ، فَقَاتِلْ بِمَنْ أَطَاعَكَ مِنْهُمْ مَنْ عَصَاكَ، ثُمَّ يَفِيئُونَ إِلَى الْإِسْلَامِ، حَتَّى تُبَادِرَ الْمَرْأَةُ زَوْجَهَا، وَالْوَلَدُ وَالِدَهُ، وَالْأَخُ أَخَاهُ، فَانْزِلْ بَيْنَ الْحَيَّيْنِ ; السَّكُونِ وَالسَّكَاسِكِ ".» وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ إِشَارَةٌ وَظُهُورٌ وَإِيمَاءٌ إِلَى أَنَّ مُعَاذًا، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَا يَجْتَمِعُ بِالنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ، وَكَذَلِكَ وَقَعَ ; فَإِنَّهُ أَقَامَ بِالْيَمَنِ حَتَّى كَانَتْ حَجَّةُ الْوَدَاعِ، ثُمَّ كَانَتْ وَفَاتُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ بَعْدَ أَحَدٍ وَثَمَانِينَ يَوْمًا مِنْ يَوْمِ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ مُعَاذٍ، «أَنَّهُ لَمَّا رَجَعَ مِنَ الْيَمَنِ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْتُ رِجَالًا بِالْيَمَنِ يَسْجُدُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ، أَفَلَا نَسْجُدُ لَكَ؟ قَالَ: " لَوْ كُنْتُ آمِرًا بَشَرًا أَنْ يَسْجُدَ لِبَشَرٍ، لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا ".» وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنِ ابْنِ نُمَيْرٍ، عَنِ الْأَعْمَشِ سَمِعْتُ أَبَا ظَبْيَانَ يُحَدِّثُ عَنْ رَجُلٍ، مِنَ الْأَنْصَارِ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ: أَقْبَلَ مُعَاذٌ مِنَ الْيَمَنِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي رَأَيْتُ رِجَالًا. فَذَكَرَ مَعْنَاهُ. فَقَدْ دَارَ عَلَى رَجُلٍ مُبْهَمٍ، وَمِثْلُهُ لَا يُحْتَجُّ بِهِ، لَا سِيَّمَا
পৃষ্ঠা - ৩৮৪৫
وَقَدْ خَالَفَهُ غَيْرُهُ مِمَّنْ يُعْتَدُّ بِهِ فَقَالُوا: لَمَّا قَدِمَ مُعَاذٌ مِنَ الشَّامِ. كَذَلِكَ رَوَاهُ أَحْمَدُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَفَاتِيحُ الْجَنَّةِ شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ".» وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا وَكِيعٌ، ثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنْ مُعَاذٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " يَا مُعَاذُ، أَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ، تَمْحُهَا وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ ".» قَالَ وَكِيعٌ: وَجَدْتُهُ فِي كِتَابِي، عَنْ أَبِي ذَرٍ، وَهُوَ السَّمَاعُ الْأَوَّلُ وَقَالَ سُفْيَانُ مَرَّةً: عَنْ مُعَاذٍ. ثُمَّ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنْ مُعَاذٍ أَنَّهُ قَالَ: «يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوْصِنِي فَقَالَ: " اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ ". قَالَ: زِدْنِي. قَالَ: " أَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا ". قَالَ: زِدْنِي. قَالَ: " خَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ» وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ فِي " جَامِعِهِ " عَنْ مَحْمُودِ بْنِ غَيْلَانَ، عَنْ وَكِيعٍ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ بِهِ، وَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৮৪৬


বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাতের পরে আবু বকর (রা) খিলাফতের দায়িত্বভার গ্রহণের
পরে মুআয (রা) ইয়ড়ামান থেকে তার কাছে আসলেন ৷ উমর (রা) তার কাছে এসে বললেন,
তুমি আমার পরামর্শ (মনে চললে আমি বলব যে, এসব সম্পদ আবু বকর (রা)-এর হাতে
তুলে দাও, তিনি তোমাকে দিয়ে দিলে তখন তা নিয়ে নেবে ৷ ঘুআয (রা) বললেন, আমি
তাকে দিতে যাব কেন? রাসুলুল্লাহ্ (না) তো আমার ক্ষতিপুরণের উদ্দেশ্যেই আমাকে নিয়োগ
করে পাঠিয়েছিলেন ৷ মুআয (রা) অস্বীকৃত হলে উমর (রা) আবু বকর (রা)-এর কাছে গিয়ে
বললেন, এ ল্যেকটির কাছে খবর পাঠিয়ে তার আহরিত সম্পদের অংশ বিশেষ (বায়তুল
সালে) নিয়ে নিন এবং কিছু অংশের তাকে অনুমতি দিয়ে দিন ৷ আবু বব্ব (রা) বললেন, আমি
তা করতে যাচ্ছি না ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার পুনবসািনর উঃদ্দশেইি-তাকে নিয়োগ করে
পুড়াঠিয়েছিলেন ৷ সুতরাং তার কাছ থেকে আমি কিছুই (নব না ৷

বর্ণনাকারী বলেন, পরদিন সকালে মুআয (বা) উমর (না)-এর কাছে গিয়ে বললেন, আপনি
যা বলেছিলেন, তা করা ব্যতিরেকে আমার কোন ণত্যন্তর নেই দেখছি! আমি গত রাতে স্বপ্নে
দেখলাম (পরবর্তী বর্ণনার আবদুর রন্বৃষ্যক (র)-এর ধারণা মতে) আমাকে জাহান্নড়ামের দিকে
টেনে হেচড়ে নেয়া হচ্ছে আর আপনি আমার কােমর ধরে রেখেছেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, যুআম
(রা) তার সঞ্চিত সযুদর সম্পদ নিয়ে আবু বব্ব (রা)-এর কাছে আসলেন ৷ এমনকি তিনি
তার ব্যবহারের লাঠিটিও বাদ দিলেন না এবং কমন করে বললেন যে, তিনি কোন কিছুই
গোপন করে রাখেন নি ৷ বপনাকারী বলেন, তখন আবুবকঃ (বা) বলেন, “ওসব তােমাব্রই;
আমি তার কিছুই নিচ্ছি না ৷ আবু ছাওর (র)কাব ইবন মালিক (বা) সুত্রে এটি ৰিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তবে তার বংনািতে অতিরিক্ত আছে যে, অবশেষে মক্কা বিজয়ের সময় এলে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুআম (রা)-কে ইয়ড়ামানের একটি অঞ্চলের শাসনকর্তারুপে পাঠালেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ওফাত পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন ৷ তারপর আবু বকর (রা)-এর
খিলাফতকালও অতিক্রাম্ভ হল ৷ এরপরে তিনি সিরিয়া অভিমুখে চলে যান ৷

বায়হাকী বলেন, একথা আমরা আগেই আলোচনা করে এসেছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
মক্কাবাসীদের তালীমের উদ্দেশ্যে আত্তাব ইবন আসীদ (রা)-এর সাথে ঘুআয (রা)-কে মক্কায়
প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিলেন ৷ এছাড়া তিনি তাবুক অভিযানেও অংশ্যাহণ করেছিলেন ৷
অতএব ইয়ামড়ানে তার নিযুক্তি তাবুকের পরে হওয়াই অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ আল্লাহ্ই সমধিক
অবগত ৷

পরবর্তী বণ্নািয় বায়হাকী (র) মুআয (রা)-এর স্বপ্ন সম্পর্কিত ঘটনার একটি সমথকি বর্ণনা
(শাহিদ) উল্লেখ করেছেন ৷ অড়ামড়াশ (র) সুত্রেআবদুল্লাহ্ (না) থেকে বর্ণিত তাতে একথাও
রয়েছে যে, জর আনীত সম্পদের মাঝে কিছু পােলামও ছিল এবং সেগুলোও তিনি আবু বকর
(রা)-এর কাছে উপস্থিত করেছিলেন ৷ আবু বকর (রা) তাকে সমুদর সম্পদ ফিরিয়ে দিলে
তিনি গোলড়ামগুলোও ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন ৷ তারপর তিনি সালাতে র্দাড়ালে গোলামরাও সকলে
তার সাথে সালাতে দাড়িয়ে গেল ৷ সালাত শেষ করে তিনি বললেন, তোমরা কার উদ্দেশ্যে
সালাত আদায় করেছ? তারা বলল, “আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে ৷” তিনি বললেন, তাহলে তোমরা
তারই উদ্দেশ্যে মুক্ত ও আযাদ ৷ অর্থাৎ তিনি সকলকেই যুক্ত করে দিলেন ৷


حَسَنٌ. قَالَ شَيْخُنَا فِي " الْأَطْرَافِ ": وَتَابَعَهُ فُضَيْلُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ وَالْأَعْمَشِ، عَنْ حَبِيبٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: «أَوْصَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَشْرِ كَلِمَاتٍ قَالَ: " لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ شَيْئًا وَإِنْ قُتِلْتَ وَحُرِّقْتَ، وَلَا تَعُقَّنَّ وَالِدَيْكَ وَإِنْ أَمَرَاكَ أَنْ تَخْرُجَ مِنْ أَهْلِكَ وَمَالِكَ، وَلَا تَتْرُكَنَّ صَلَاةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا ; فَإِنَّ مَنْ تَرَكَ صَلَاةً مَكْتُوبَةً مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ ذِمَّةُ اللَّهِ، وَلَا تَشْرَبَنَّ خَمْرًا ; فَإِنَّهُ رَأَسُ كُلِّ فَاحِشَةٍ، وَإِيَّاكَ وَالْمَعْصِيَةَ ; فَإِنَّ بِالْمَعْصِيَةِ يَحِلُّ سَخَطُ اللَّهِ، وَإِيَّاكَ وَالْفِرَارَ مِنَ الزَّحْفِ وَإِنْ هَلَكَ النَّاسُ، وَإِذَا أَصَابَ النَّاسَ مَوْتٌ وَأَنْتَ فِيهِمْ فَاثْبُتْ، وَأَنْفِقْ عَلَى عِيَالِكَ مِنْ طَوْلِكَ، وَلَا تَرْفَعْ عَنْهُمْ عَصَاكَ أَدَبًا، وَأَخِفْهُمْ فِي اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ".» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يُونُسُ، ثَنَا بَقِيَّةُ، عَنِ السَّرِيِّ بْنِ يَنْعُمَ، عَنْ مُرِيحِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৮৪৭


০ : ৷৷ওে fl ই$

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ১৮৯

ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহম্মেদ ইবন জাকর (র)হিম্স এর বাসিন্দা মুআয (রা)-
এর কতক শাগরিদের বরাতে হযরত মুআয (বা) হতে বচ্নাি করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
র্তাকে ইয়ামানে নিয়োগ দিয়ে পাঠাবার সময় বললেন প্ঞা এ) গ্র৯ );: ;) ৫ংংন্ ধ্ষ্া$
“কোন বিষয় কায়সালা দেয়ার প্রয়োজন দেখা দিলে তুমি কোন পস্থায় কাও৷ কর রে ? ” তিনি
বললেন, “আল্লাহর কিভাবে যেমন আছে, তেমন কায়সালা করব ৷ নবী কয়ীম (সা) বললেন,
— এং ধ্-ত্রঞ্জে ;;-শু প্লে£ ণ্এ ডাঃ যদি আল্লাহর কিভাবে ৰিষয়ড়াদির সমাধান না থাকে ? তিনি
বললেন, তবে আল্লাহর রাসুলের সৃন্নাহ্ অনুসরণ করব ৷ নবী কৰীম (সা ) বললেন মোঃ é (াৰু-ং
এম এ,) হ্এণ্ ধ্,এ আল্লাহর রাসৃলের সৃন্নড়াহ্ণ্ এ যদি তা না থাকে ? তিনি বললেন, আমি
তখন আমার (বুদ্ধি ও মেধা দিয়ে) ইজতিহাদ’ করব ৷ এতে আমি ত্রুটি করবো না ৷ মুআয
(রা) বলেন, এ কথায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার বুকে থাপ্পড় দিয়ে বললেন-

ন্াদু৷ ৷ ;)প্রুগ্লু র্জে;প্রুপ্লু এে ;াওা এপ্রুগ্লু এছুা ষ্ ৰু ;১া৷ ন্াট্রু৷ এো

“সব হামুদ সে আল্লাহর যিনি রাসুলুল্লাহ্র মনোনীত দুতকে এমন বিষয়ের তাওফীক
দিয়েছেন যার প্রতি রয়েছে আল্লাহর রাসুলের সন্তুষ্টি ৷ ” আহমদ (র) এ হাদীস ওয়ড়াকী (র)
শুবা (র) সুত্রেও উল্লিখিত সনদ ও শব্দে রিওয়য়োত করেছেন ৷ আবু দাউদ ও তিরমিযী শুবা
থেকে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিযী মন্তব্য করেছেন, এ সুত্র ব্যতীত অন্য কোন
মাধ্যমে আমরা এ হাদীসটি পাই নি এবং আমার মতে এ সনদ মুত্তাসিল’ নয় ৷ ইবন মাজা (র)
শুরা সুত্রে একটি দুর্বল সুত্রে এ হাদীসখানড়া রিওযয়ােত করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) প্রাসঙ্গিক বচ্নািয বলেন, মুহাম্মদ ইবন জা কর ও ইয়ড়াহ্য়া সাঈদ
(র) আবুল আসওয়াদ আদ্-দীলী (র) থেকে, তিনি বলেন, মুআয (রা) ইরামানে
অবস্থানকালে জনৈক ইয়াহুদীর মীরাছের ৰিযয়ে র্তার কাছে উত্থাপন করা হল ৷ ইয়াহুদী তার
এক মুসলমান ভাইকে রেখে মারা গিয়েছিল ৷ মুআয (রা) বললেন, আল্লাহর রাসুল (সা )
তো বলেছেন ৷াণ্-ইন্ষ্ ট্টএ ন্-ষ্)£ ণ্আে৷ : “ইসলাম বাড়িয়ে দেয় , কমিয়ে দেয় না ৷ ” এ মুল
বিধির ভিত্তিতে তিনি মুসলমান ভাইকে মৃত কাফির ভাইয়ের মীরাছের অধিকার দিলেন ৷ আবু
দাউদ (র) ইবন বুরাযদা (র ) সুত্রে উল্লিখিত সনদে এ হাদীসখানা রিওয়ারাত করেছেন ৷
তিনি মুআৰিয়া ইবন সুফিরান (রা) থেকেও এ মাযহড়াব উদ্ধৃত করেছেন এবং কাষী ইরাহ্রা
ইবন মামার (র) ও পুর্বসুবী ধর্মরেত্তাগঃণর একটি দল থেকে এরুপ অভিমত বর্ণনা
করেছেন ৷ ইমামগণের মাঝে ইসহ্যক ইবন রাহওরড়ায়হও এ অভিমত পোষণ করেছেন ৷

তবে জমহুর এ মতের বিরোধিতা করেছেন ৷ চার ইমাম এবং র্তাদের অনুসারী শাগরিদগ ণ
এ বিরোধী মতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন ৷ র্তাদের দলীল হল বৃখারী ও মুসলিমের বিশুদ্ধ
রিওয়ায়াত ৷ উসড়ামা ইবন যদ্বয়দ (রা) থেকে বর্ণিত, তাতে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা )
বলেছেন )ওশ্রো,গ্ ণ্এখো ১ষ্ ষ্ ণ্া৷ গ্লুন্নুশ্রো ত্রগ্লুৰু ৷ ১ষ্ কাফির মুসলমানের ওয়ারিছ হয়ে না ;
মুসলমানও কাফিরেব মীরাছ পাবে না ৷

এ আলোচনার মুখ্য উদ্দেশ্য এ কথা প্রমাণ করা যে, মুআয (রা) ইয়ামানে নবী করীম
(সা) এর পক্ষ হতে কাযী ও যুদ্ধবিগ্রহে হাকিম এবং যাকাতের উসুলকারী ছিলেন ৷ পুর্বোল্লিখিত

৫০ শে)



" إِيَّاكَ وَالتَّنَعُّمَ، فَإِنَّ عِبَادَ اللَّهِ لَيْسُوا بِالْمُتَنَعِّمِينَ ".» وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ، ثَنَا أَبُو بَكْرٍ - يَعْنِي ابْنَ عَيَّاشٍ - ثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مُعَاذٍ قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْيَمَنِ، وَأَمَرَنِي أَنْ آخُذَ مِنْ كُلِّ حَالِمٍ دِينَارًا، أَوْ عَدْلَهُ مِنَ الْمَعَافِرِ، وَأَمَرَنِي أَنْ آخُذَ مِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ بَقَرَةً، مُسِنَّةً، وَمِنْ كُلِّ ثَلَاثِينَ بَقَرَةً تَبِيعًا حَوْلِيًّا، وَأَمَرَنِي فِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ الْعُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالدَّوَالِي نِصْفُ الْعُشْرِ.» وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي مُعَاوِيَةَ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الْأَعْمَشِ كَذَلِكَ. وَقَدْ رَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ الْأَرْبَعَةِ، مِنْ طُرُقٍ عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ مُعَاذٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا مُعَاوِيَةُ، عَنْ عَمْرٍو وَهَارُونَ بْنِ مَعْرُوفٍ قَالَا: ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ الْحَكَمِ، أَنَّ مُعَاذًا قَالَ: «بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُصَدِّقُ أَهْلَ الْيَمَنِ، فَأَمَرَنِي أَنْ آخُذَ مِنَ الْبَقَرِ مِنْ كُلِّ ثَلَاثِينَ تَبِيعًا - قَالَ هَارُونُ: وَالتَّبِيعُ الْجَذَعُ أَوِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৪৮
الْجَذَعَةُ - وَمِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ مُسِنَّةً، فَعَرَضُوا عَلَيَّ أَنْ آخُذَ مَا بَيْنَ الْأَرْبَعِينَ وَالْخَمْسِينَ، وَمَا بَيْنَ السِّتِّينَ وَالسَّبْعِينَ، وَمَا بَيْنَ الثَّمَانِينَ وَالتِّسْعِينَ، فَأَبَيْتُ ذَلِكَ، وَقُلْتُ لَهُمْ: حَتَّى أَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ. فَقَدِمْتُ فَأَخْبَرْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَرَنِي أَنْ آخُذَ مِنْ كُلِّ ثَلَاثِينَ تَبِيعًا، وَمِنْ كُلِّ أَرْبَعِينَ مُسِنَّةً، وَمِنَ السِّتِّينَ تَبِيعَيْنِ، وَمِنَ السَّبْعِينَ مُسِنَّةً وَتَبِيعًا، وَمِنَ الثَّمَانِينَ مُسِنَّتَيْنِ، وَمِنَ التِّسْعِينَ ثَلَاثَةَ أَتْبَاعٍ، وَمِنَ الْمِائَةِ مُسِنَّةٍ وَتَبِيعَيْنِ، وَمِنَ الْعَشَرَةِ وَمِائَةٍ مُسِنَّتَيْنِ وَتَبِيعًا، وَمِنَ الْعِشْرِينَ وَمِائَةٍ ثَلَاثَ مُسِنَّاتٍ أَوْ أَرْبَعَةَ أَتْبَاعٍ. قَالَ: وَأَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَّا آخُذَ فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ شَيْئًا، إِلَّا أَنْ يَبْلُغَ مُسِنَّةً أَوْ جَذَعًا. وَزَعَمَ أَنَّ الْأَوْقَاصَ لَا فَرِيضَةَ فِيهَا. وَهَذَا مِنْ أَفْرَادِ أَحْمَدَ، وَفِيهِ دَلَالَةٌ عَلَى أَنَّهُ قَدِمَ بَعْدَ مَصِيرِهِ إِلَى الْيَمَنِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،» وَالصَّحِيحُ أَنَّهُ لَمْ يَرَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ ذَلِكَ كَمَا تَقَدَّمَ فِي الْحَدِيثِ. وَقَدْ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ شَابًّا جَمِيلًا سَمْحًا، مِنْ خَيْرِ شَبَابِ قَوْمِهِ، لَا يُسْأَلُ شَيْئًا إِلَّا أَعْطَاهُ، حَتَّى كَانَ عَلَيْهِ دَيْنٌ أَغْلَقَ مَالَهُ، فَكَلَّمَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَنْ يُكَلِّمَ غُرَمَاءَهُ، فَفَعَلَ، فَلَمْ يَضَعُوا لَهُ شَيْئًا، فَلَوْ تُرِكَ لِأَحَدٍ بِكَلَامِ أَحَدٍ، لَتُرِكَ
পৃষ্ঠা - ৩৮৪৯


ইবন আব্বাস (র৷ ) এর হাদীসের মর্মানুসাংর ঐ এলাকার যাকাত তার কাছেই সংগৃহীত হত ৷
এছাড়াও তিনি জনসমড়াজে বিশে ৷ব গ্রেষ্ঠরু তুর অধিকারী ছিলেন বিধায় পাচ ওয়াক্ত সালাতে তাদের
ইমামতিও করভ্রু৩ ন ৷ যেমনটি বৃখারী (র) এর বর্ণনার রয়েছে ৷ সৃলামমান ইবন হাবব
(র)আমর ইবন মায়মুন (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে, মু আয (রা ) ইয়ামানে আগমন করলে
তাদের ফজবের নামাযে ইমামতি করলেন এবং সালাতে তিনি এ্যাস্ ণ্প্রুঞা)হু৷ ঞা ১;ওাগ্লু
(আল্লাহ্ ইবরাহীম (আ)-কে খলীলরুপে বরণ করেছেন) আয়ড়াতটি তিলাওয়াত করলে উপস্থিত
মুসল্লীদের একজন বলল, ণ্প্লুখো)া৷ ();১ ;প্রুদ্র ১দ্বু৷ ইবরড়াহীম (আ) এর চোখ জুড়িয়েছে
বটে ৷ ’ এ হাদীস বুখারী (র)এর একাকী’ বর্ণিত ৷

বুখারী (র) এর পরবর্তী বর্ণনা-

বিদায় হতজ্জর পুর্বে হযরত আলী ও খালিদ ইবনুল
ওয়ালীদকে ইয়ামানে নিয়োগ প্রসঙ্গ

আহমদ ইবন উসমান (র)আবু ইসহাক সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, বারা
ইবন আমির (রা)ং£ক আমি বলতে শুনেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খালিদ ইবনুল ওলীদ (রা)এর
সাথে আমাদেরকে ইয়ামানে পাঠালেন ৷ বার৷ (রা) বলেন, পরে আলী (রা)-(ক খালিদ (রা)
এর স্থলাভিষিক্ত করে পাঠালেন এবং তাকে এ করমান দিলেন খালিদের সহযোগী বাহিনীকে
বলবে, তাদের মাঝে যার ইচ্ছা তোমার সাথে সেখানে থেকে যেতে পারবে, আর কারো মনে
চাইলে সে চলে আদতেও পারবে ৷ (বর্ণনাকারী বলেন) আমি ছিলাম আলী (রা)-এর সাথে বয়ে
যাওয়া দলের একজন ৷ এ অভিযানে আমি বেশ কতক উকির৷ ংনীিম৩থ্যাব্প চ্ণ্া৷৩ করি ৷ এ
সুত্রে হাদীসটি বুখারী (র) এর একক বর্ণনা ৷

বুখারী (র) এর পরবর্তী বর্ণনা ও মুহাম্মদ ইবন বাশৃশার (র)বুরায়দ৷ সুত্রে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন যে, নবী কৰীম (সা) গনীমতের খুমুস’ (বায়তুল মালের জন্য নির্ধারিত পঞ্চমাৎশ)
উসুল করার উদ্দেশ্যে আলী (রা) কে (ইয়ড়ামানে অবস্থানরত) খালিদ ইবনুল ওলীদ (রা)-এর
কাছে পাঠালেন ৷ আমি আলী (রা)-£ক পদন্দ করতাম না ৷ সকালে দেখলাম , আলী (রা)
গোসল করে এসেছেন ৷ ১ আমি খালিদ (রা)£ক বললাম, এ লোবল্টার কাণ্ড কারখানা দেখঃছেন
না প্ আমরা ৷নবী করীম (সা) এর কাছে ফিরে আসলে আমি বিষরটি তার কাছে উত্থাপন
করলাম ৷ তিনি বললেন, বৃরায়দা! তুমি আলীর প্ৰতি বৈরিত৷ পোষণ কর? আমি বললাম, জী
হা ৷ নবী করীম (সা) বললেন, এ্যা১ ষ্এে )া£৷ স্পো৷ প্রু১ ব৷ ()এে মোঃ ১’ “ং তার প্রতি
ৰিদ্বিষ্ট হয়াে না, কেননা, গনীমতেরপ্ পঞ্চমাৎশে তার আরো ৷অঘিক অধিকার রয়েছে ৷ এ সুত্রেও
এটি বুখারী একক বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, ইরাহ্য়া ইবন সাঈদ (র)(আবু মিজলাম (র) ও বুরায়দা
(রড়া)-এর দুই ছেলের উপস্থিতিতে এ কটি মজলিসে) আবদুল্লাহ্ ইবন বৃরায়দ৷ (রা) বললেন,
আবু (?) বরারদ৷ (রা) আমাকে হাদীস শুনিরেছেন, তিনি বলেন, আমি আলী (বা)-এর প্রতি







১ অর্থাৎ রাতে তিনি গনীমতে প্রাপ্ত বাদী ব্যবহার করেছেন ৷ অনৃবড়াদক


لِمُعَاذٍ بِكَلَامِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: فَدَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَبْرَحْ أَنْ بَاعَ مَالَهُ، وَقَسَمَهُ بَيْنَ غُرَمَائِهِ. قَالَ: فَقَامَ مُعَاذٌ وَلَا مَالَ لَهُ. قَالَ: فَلَمَّا حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ لِيَجْبُرَهُ. قَالَ: فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ تَجَرَ فِي هَذَا الْمَالِ مُعَاذٌ. قَالَ: فَقَدِمَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ مِنَ الْيَمَنِ وَقَدْ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَاءَ عُمَرُ إِلَى مُعَاذٍ فَقَالَ: هَلْ لَكَ أَنْ تُطِيعَنِي فَتَدْفَعَ هَذَا الْمَالَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ، فَإِنْ أَعْطَاكَهُ فَاقْبَلْهُ؟ قَالَ: فَقَالَ مُعَاذٌ: لِمَ أَدْفَعُهُ إِلَيْهِ، وَإِنَّمَا بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَجْبُرَنِي؟! فَلَمَّا أَبَى عَلَيْهِ انْطَلَقَ عُمَرُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ: أَرْسِلْ إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فَخُذْ مِنْهُ وَدَعْ لَهُ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ، إِنَّمَا بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَجْبُرَهُ، فَلَسْتُ آخِذًا مِنْهُ شَيْئًا. قَالَ: فَلَمَّا أَصْبَحَ مُعَاذٌ انْطَلَقَ إِلَى عُمَرَ فَقَالَ: مَا أَرَانِي إِلَّا فَاعِلَ الَّذِي قُلْتَ، إِنِّي رَأَيْتُنِي الْبَارِحَةَ فِي النَّوْمِ - فِيمَا يَحْسَبُ عَبْدُ الرَّزَّاقِ قَالَ - أُجَرُّ إِلَى النَّارِ وَأَنْتَ آخِذٌ بِحُجْزَتِي. قَالَ: فَانْطَلَقَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ بِكُلِّ شَيْءٍ جَاءَ بِهِ، حَتَّى جَاءَهُ بِسَوْطِهِ، وَحَلَفَ لَهُ أَنَّهُ لَمْ يَكْتُمْهُ شَيْئًا. قَالَ: فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: هُوَ لَكَ لَا آخُذُ مِنْهُ شَيْئًا.» وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ ثَوْرٍ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ فَذَكَرَهُ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: حَتَّى إِذَا كَانَ عَامُ فَتْحِ مَكَّةَ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى طَائِفَةٍ مِنَ الْيَمَنِ أَمِيرًا، فَمَكَثَ حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَدِمَ فِي
পৃষ্ঠা - ৩৮৫০


এতই বিদ্বেষ পোষণ করতাম যে, আর কখনো আমি কারো প্ৰতি অত ৰিদ্বেষ পোষণ করি নি ৷
তিনি এও বললেন যে, আমি কুরায়শী এক ব্যক্তিকে শুধু এ জন্য ভালরাসতাম যে, তিনি আলী
(রা)এর প্ৰতি বিদ্বেষ পোষণ করতেন ৷ বর্ণনড়াকারী (বুরায়দা) বলেন, যে কুরায়শী লোকটিকে
একদল ঘোড় সওয়ারের অধিনায়ক করে পাঠানো হলে আমি তার সঙ্গী হলড়াম ৷ আলী (রা) এর
প্ৰতি তীর ৰিদ্বেষই আমাকে তীর সান্নিধ্য গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমরা কিছু
যুদ্ধবন্দী পেয়ে গেলাম ৷ তখন দল নেতা খুমুস উলুলকারী পাঠাবার আবেদন জানিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে চিঠি পাঠালেন ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, (নবী করীম সা ) আমাদের
কাছে আলী (রা)-কে পাঠড়ালেন ৷ বন্দীদের মাঝে সেরা বন্দীনী এক তকণী ছিল ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, আলী খুঘুস বুঝে নিলেন এবং ভাগবাটোয়ারা করলেন এবং (সকালে) যখন বের
হলেন তখন তার মাথা থেকে পানির কেটিড়া পড়িয়ে পড়ছিল ৷ আমরা বললাম, আবুল হাসান শু১
একী ব্যাপার? তিনি বললেন, তোমরা কি বন্দীনীদের মাঝে যে কিংশারীটিকে দেখ নি?
বড়াটোয়ারা থুযুস উসুল করলে আমি সেটি খুঘুসের’ অন্তর্ভুক্ত করি ৷ পরবর্তী বণ্টান সেটি নবী
পরিবারের অংশে২ পড়ে এবং সে সুত্রে তা আমার ভাগে পড়ে এবং রাতে আমি তাকে ব্যবহার’
করি ৷ বর্ণনড়াকারী বলেন, তখন দললেত৷ নবী করীম (সা)এর কাছে চিঠি পড়াঠাচ্ছিলেন ৷ আমি
বললাম, আমাকেও পাঠিয়ে দিন ৷ তিনি আমাকে যাকাত বিভাগের দায়িতুড়াধিকাবীরুপে পাঠাতে
সম্মত হলেন ৷ (নববী দরবারে পৌছে) আমি চিঠি পড়ে শ্যেনড়াতে লাগলাম এবং (মাঝে মাঝে)
বলতে থাকলাম যথার্থ লিখেছেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, চিঠি পাঠের এক পর্যায়ে নবী করীম (সা)
আমার হাত ও চিঠিটি থামিয়ে ধরে বললেন, ৷-ওঢ , ;;;;ৰু ;:ৰু৷ তুমি কি আলীর প্ৰতি বিদ্বেষ পোষণ
কর ? আমি বললাম, জী হী ৷ তিনি বললেন-
ত্রু শু৷ ট্টাএ

ছো ফোৰু

“না, তার প্রতি ৰিদ্বেষ পোষণ করো না ! হী , তার প্রতি ভালবাসা রেখে থাকলে তার ভালবাসা
আরো বাড়িয়ে দাও ! কেননা, যীর অধিকারে মুহাম্মদের জীবন তার শপথ ৷ পনীমতের পঞ্চমাংশে
আলী পরিবারের প্রাপ্য অংশ অবশ্যই একটি কিশোরী যীদীর চাইতে বেশী ৷ বর্ণনাকারী (বুরায়দা
রা) বলেন, নবী করীম (সা)-এর এ উক্তির পরে মানবকুলের মাঝে আলী (রা)-এর চাইতে
অধিকতর প্রিয় আমার কাছে আর কেউ ছিল না ৷

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, আবান ইবন সালিহ (র)আঘৃর ইবন শাস আল
আসলড়ামী (বা) সুত্রে যিনি হুদায়ৰিয়ড়ায় উপস্থিত সাহাবী জামাআতের অন্যতম ছিলেন ৷ তিনি
বলেন, আমি আলী (রা) ইবন আবু তালিব-এর সে ঘোড়সওয়ার বাহিনীর সদস্য ছিলাম ৷ যার
নেতৃত্ব দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে ইয়ামানে পাঠিয়েছিলেন ৷ আলী (বা) আমার সাথে কিছু
একটা দুর্ব্যবহার করলে আমি মনে মনে তার উপর রেগে থাকলাম ৷ মদীনায় ফিরে এলে আমি



১ পুত্র আবুল হাসান (রা)ণ্এর নামানুসারে আলী (রা) এর কুনিয়াত হাসানের বাপ ৷
২ আল কুরাআনে বিবৃত বণ্টনের ধারায় বায়তুল মালের পঞ্চমাংশে নবী পরিবার ও যুল কুরবা-নবী করীম
, (সা) এর আত্মীয়দের একটি অংশ রয়েছে; যাদের জন্য যাকাত নিষিদ্ধ ৷ অনুবাদক


خِلَافَةِ أَبِي بَكْرٍ، وَخَرَجَ إِلَى الشَّامِ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ قَدَّمْنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَخْلَفَهُ بِمَكَّةَ مَعَ عَتَّابِ بْنِ أُسَيْدٍ لِيُعَلِّمَ أَهْلَهَا، وَأَنَّهُ شَهِدَ غَزْوَةَ تَبُوكَ فَالْأَشْبَهُ أَنَّ بَعْثَهُ إِلَى الْيَمَنِ كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ لِقِصَّةِ مَنَامِ مُعَاذٍ شَاهِدًا مِنْ طَرِيقِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَأَنَّهُ كَانَ مِنْ جُمْلَةِ مَا جَاءَ بِهِ عَبِيدٌ فَأَتَى بِهِمْ أَبَا بَكْرٍ، فَلَمَّا رَدَّ الْجَمِيعَ عَلَيْهِ رَجَعَ بِهِمْ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي، فَقَامُوا كُلُّهُمْ يُصَلُّونَ مَعَهُ، فَلَمَّا انْصَرَفَ. قَالَ: لِمَنْ صَلَّيْتُمْ؟ قَالُوا: لِلَّهِ. قَالَ: فَأَنْتُمْ لَهُ عُتَقَاءُ، فَأَعْتَقَهُمْ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَمْرِو بْنِ أَخِي الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنْ نَاسٍ مِنْ أَصْحَابِ مُعَاذٍ مِنْ أَهْلِ حِمْصَ، عَنْ مُعَاذٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ قَالَ: " كَيْفَ تَصْنَعُ إِنْ عَرَضَ لَكَ قَضَاءٌ؟ " قَالَ: أَقْضِي بِمَا فِي كِتَابِ اللَّهِ. قَالَ: " فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي كِتَابِ اللَّهِ؟ " قَالَ: فَبِسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: " فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ ". قَالَ: أَجْتَهِدُ بِرَأْيِي، لَا آلُو. قَالَ: فَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدْرِي ثُمَّ قَالَ: " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَفَّقَ رَسُولَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَا يُرْضِي رَسُولَ اللَّهِ ".» وَقَدْ رَوَاهُ أَحْمَدُ، عَنْ وَكِيعٍ، وَعَنْ عَفَّانَ، عَنْ شُعْبَةَ، بِإِسْنَادِهِ وَلَفْظِهِ. وَأَخْرَجَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৮৫১
أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ، مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ عِنْدِي بِمُتَّصِلٍ. وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْهُ، إِلَّا أَنَّهُ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدِ بْنِ حَسَّانَ - وَهُوَ الْمَصْلُوبُ أَحَدُ الْكَذَّابِينَ - عَنْ عُبَادَةَ بْنِ نُسَيٍّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ عَنْ مُعَاذٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَدْ رَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ وَيَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي حَكِيمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ، عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ الدُّئِلِيِّ قَالَ: «كَانَ مُعَاذٌ بِالْيَمَنِ، فَارْتَفَعُوا إِلَيْهِ فِي يَهُودِيٍّ مَاتَ وَتَرَكَ أَخًا مُسْلِمًا، فَقَالَ مُعَاذٌ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّ الْإِسْلَامَ يَزِيدُ وَلَا يَنْقُصُ ". فَوَرَّثَهُ.» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، مِنْ حَدِيثِ ابْنِ بُرَيْدَةَ بِهِ. وَقَدْ حُكِيَ هَذَا الْمَذْهَبُ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَرَوَاهُ يَحْيَى بْنُ يَعْمَرَ الْقَاضِي، وَطَائِفَةٌ مِنَ السَّلَفِ، وَإِلَيْهِ ذَهَبَ إِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ، وَخَالَفَهُمُ الْجُمْهُورُ، وَمِنْهُمُ الْأَئِمَّةُ الْأَرْبَعَةُ وَأَصْحَابُهُمْ، مُحْتَجِّينَ بِمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ