আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

ذكر ثناء الله ورسوله الكريم على عبد الله وخليله إبراهيم

পৃষ্ঠা - ৩৮৩

;,শু০দ্বু ৷


এবং তাকে দান করেছিলাম ইসহাক ও ইয়াকুব ও ওদের প্ররুত ব্রুককে সৎপথে পরিচালিত

করেছিলাম, পুর্বে নুহ্কেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম এবং তার বা শধর দাউদ, সৃলায়মান,
আইয়ুব, ইউসুফ, মুসা ও হারুনকেও; আর এভা ৷বেই সৎকর্যপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করি এবং
যাকারিয়া, য়াহ্য়া , ঈসা এবং ইল্য়াসকেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম, এরা সকলে
সজ্জনদের অন্তভুক্তি ৷ আরও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম ইসমাঈল, আল-য়াসাআ, ইউনুস ও
লুতকে; এবং শ্রেষ্ঠতু দান করেছিলাম বিশ্ব জগতের উপর প্রত্যেককে এবং এদের পিতৃ-পুরুষ ,
বংশধর এবং ভ্রাতৃবৃন্দের কতককে; তাদেরকে মনোনীত করেছিলাম এবং সরল পথে পরিচালিত
করেছিলাম ৷ (সুরা আনআমং ৮৪ ৮৭)

প্রসিদ্ধ মতে, “§ ০ট্রু (তার বা শধরদের) বলতে এখানে হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে
বুঝান হয়েছে ৷ হযরত লুত (আ) যদিও হযরত ইব্রাহীম (আ) এর ভাতিজা তবুও অন্যদের
প্রাধান্য হেতৃ তাকেও বং শধর হিসাবে বলা হয়েছে ৷ অপর একদল আলিমের মতে তার
বলতে হযরত নুহ (আ) কে বুঝান হয়েছে ৷ পুর্বে আমরা নুহ (আ)-এর আলোচনায় এ বিষয়ের
উল্লেখ করেছি ৷ আল্পাহই সর্বজ্ঞ ৷ আল্লাহর বাণীং

আমি নুহ এবং ইব্রাহীমকে রাসুলরুপে প্রেরণ করেছিলাম এবং তাদের বং শধরগণের জন্যে
স্থির করেছিলাম নবুওত ও কিতাব ৷ (সুরা হড়াদীদং ২৬)

হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর পরে আসমান থেকে যত কিতাব যত নবীর উপর নাযিল
হয়েছে, তারা সকলেই নিশ্চিতভাবে তড়ার বংশধরদের অন্তর্ভুক্ত ৷ এটা এমন একটা সম্মান যার
কোন তুলনা হয় না ৷ এমন একটা সুমহড়ান মর্যাদা যার তুলা আর কিছুই নেই ৷ কারণ, হযরত
ইব্রাহীম (আ) এর ঔরসে দুই মহান পুত্র সম্ভানের জন্ম হয় ৷ হাজেরার গর্ভে ইসমাঈল এবং
সারাহ্র গর্ভে ইসহাক ৷ ইসহাকের পুত্র ইয়াকুব তার অপর নাম ছিল ইসরাঈল ৷ পরবর্তী
বংশধরগণ এই ইসরাঈলের নামেই বনী ইসরাঈল নামে অভিহিত হয়ে থাকে ৷ এই ইসরাঈলী
বংশে এতো বিপুল সংখ্যক নবীর আগমন ঘটে, যাদের সঠিক সংখ্যা তাদেরকে প্রেরণকারী
আল্লাহ ব্যতীত আর কেউই জানেন না ৷ অব্যাহতভাবে এই বংশেই নবী-রাসুলগণ আসতে
থাকেন এবং হযরত ঈসা ইবন মারয়াম (আ) পর্যন্ত পৌছে সে ধারার সমাপ্তি ঘটে ৷ অর্থাৎ ঈসা
ইবন মারয়াম (আ) ইসরাঈল বৎব্শর শেষ নবী ৷ অপরদিকে হযরত ইসমাঈল (আ)এর
সভানগণ আরবের বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত হয়ে আরব ভুমিতেই বসবাস করতে থাকেন ৷ তার
সন্তানদের মধ্যে সর্বশেষ নবী খাত তড়ামুল আম্বিয়া, বনী আদমের শ্রেষ্ঠ সন্তান, দুনিয়া ও
আখিরাতের গৌরব রবি মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন হাশিম আল
কুরড়ায়শী আল-মকী ওয়াল মাদানী ব্যতীত অন্য কোন নবীর আগমন ঘটেনি ৷ ইনিই হলেন সেই
মহামানব যীর দ্বারা সমগ্র মানব জাতি গৌরবাষিত ৷ আদি-অম্ভ সকল মানুষের ঈর্ষার পাত্র ৷


[ذِكْرُ ثَنَاءِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ الْكَرِيمِ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ وَخَلِيلِهِ إِبْرَاهِيمَ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ قَالَ إِنِّي جَاعِلُكَ لِلنَّاسِ إِمَامًا قَالَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي قَالَ لَا يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ} [البقرة: 124] . لَمَّا وَفَّى مَا أَمَرَهُ رَبُّهُ بِهِ مِنَ التَّكَالِيفِ الْعَظِيمَةِ جَعَلَهُ لِلنَّاسِ إِمَامًا يَقْتَدُونَ بِهِ. وَيَأْتَمُّونَ بِهَدْيِهِ، وَسَأَلَ اللَّهَ أَنْ تَكُونَ هَذِهِ الْإِمَامَةُ مُتَّصِلَةً بِسَبَبِهِ وَبَاقِيَةً فِي نَسَبِهِ وَخَالِدَةً فِي عَقِبِهِ، فَأُجِيبَ إِلَى مَا سَأَلَ وَرَامَ وَسُلِّمَتْ إِلَيْهِ الْإِمَامَةُ بِزِمَامٍ، وَاسْتُثْنِيَ مِنْ نَيْلِهَا الظَّالِمُونَ، وَاخْتُصَّ بِهَا مِنْ ذُرِّيَّتِهِ الْعُلَمَاءُ الْعَامِلُونَ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِ النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ وَآتَيْنَاهُ أَجْرَهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ} [العنكبوت: 27] . وَقَالَ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ كُلًّا هَدَيْنَا وَنُوحًا هَدَيْنَا مِنْ قَبْلُ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ دَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ وَأَيُّوبَ وَيُوسُفَ وَمُوسَى وَهَارُونَ وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ وَزَكَرِيَّا وَيَحْيَى وَعِيسَى وَإِلْيَاسَ كُلٌّ مِنَ الصَّالِحِينَ وَإِسْمَاعِيلَ وَالْيَسَعَ وَيُونُسَ وَلُوطًا وَكُلًّا فَضَّلْنَا عَلَى الْعَالَمِينَ وَمِنْ آبَائِهِمْ وَذُرِّيَّاتِهِمْ وَإِخْوَانِهِمْ وَاجْتَبَيْنَاهُمْ وَهَدَيْنَاهُمْ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ} [الأنعام: 84] عَائِدٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَى الْمَشْهُورِ وَلُوطٌ، وَإِنْ كَانَ ابْنَ أَخِيهِ إِلَّا أَنَّهُ دَخَلَ فِي الذُّرِّيَّةِ تَغْلِيبًا، وَهَذَا هُوَ الْحَامِلُ لِلْقَائِلِ الْآخَرِ أَنَّ الضَّمِيرَ عَلَى نُوحٍ، كَمَا قَدَّمْنَا فِي قِصَّتِهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৮৪


সহীহ্ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন :
অর্থাৎ-“আমি এমন এক মর্যাদাপুর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত হন যে, আমার কাছে পৌছার জন্যে
প্রাত্যবেইি লালায়িত হবে; এমনকি ইব্রাহীম (আ) ও ৷ ’ এই বাক্যের দ্বারা রাসুলুল্লাহ (সা)
প্রকারাতরে হযরত ইব্রাহীম (আ) এর ভুয়সী প্রশংসা করেছেন ৷ এ থেকে স্পষ্টভা ৷বে বোঝা যায়

যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর পরে অন্য সব মানুষের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতে হযরত ইব্রাহীম
(আ)-ই শ্রেষ্ঠ মানুষ ও সম্মানিত পুরুষ ৷

ইমাম বুখাৰী (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা ) হাসান (রা)-কে
কোলে নিয়ে বলতেন, আমি তোমাদের দৃই তইিয়ের জন্যে সেরুপ আশ্রয় চাই, যেরুপ আশ্রয়
চেয়েছিলেন তোমাদের আদি পিতা ইব্রাহীম (আ) ইসমাঈল ও ইসহাকের জন্যে ৷ আমি আশ্রয়
চাই আল্লাহ্র পরিপুর্ণ কালেমাহ্ দ্বারা প্রাতাক শয়তান ও বিষাক্ত সরীসৃপ থেকে এবং প্রত্যেক
ক্ষতিকর চোখের দৃষ্টি থেকে ৷ সুনান হাদীসের প্রম্বুকারপণও মানসুর (র ) সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ আল্পাহ্ বলেন০ ং




এ ৷ ৷ ণ্পুন্ ৷

)

যখন ইব্রাহীম বলল, হে আমার প্রতিপালক৷ কিভাবে তুমি মৃতকে জীবিত কর আমাকে
দেখাও ৷ তিনি বললেন, তবে কি তুমি বিশ্বাস করনি৷ সে বলল, কেন করব না, তবে এটি
কেবল আমার চিত্ত প্রশাস্তির জন্যে ৷ তিনি বললেন, তবে চারটি পাখি লও এবং সেগুলোকে
তোমার বশীভুত করে লও ৷ তারপর তাদের এক এক অংশ এক এক পাহাড়ে স্থাপন কর ৷
তারপর তাদেরকে ডাক দাও ওরা দ্রুতগতিতে তোমার নিকট আসবে ৷ জেনে রেখো , আল্লাহ্
প্রবল পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ৷ (সুরা বাকারা : ২৬০)

আল্লাহ্র নিকট হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর এই প্রশ্ন সম্পর্কে মুফাসৃসিরগণ বহু কথা
লিখেছেন, আমরা তাফসীর গ্রন্থে সে সবের বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ সারকথা এই যে,
ইব্রাহীম (আ)-এর প্রার্থনা আল্লাহ্ কবুল করেন ৷ আল্লাহ্ তাকে চার প্রকার পাখি সংগ্রহ করার
নির্দেশ দেন ৷ এই চার প্রকার পাখি কি কি ছিল সে বিষয়ে মুফড়াসৃসিরগণের মতভেদ আছে ৷ যাই
হোক, উক্ত পাথিগুলােকে কেটে তাদের মাংস ও পাখা ইত্যাদি খণ্ড-বিখণ্ড করে সবগুলো মিলিয়ে-
মিশিয়ে চারটি ভাগে বিভক্ত করে এবং এক এক ভাগ এক এক পাহাড়ে রাখতে বলেন ৷ তারপর
প্রত্যেকটি পাখির নাম ধরে আল্লাহ্র নামে ডাকতে বলেন ৷ ইব্রাহীম (আ) যখন একটি একটি
করে পাখির নাম ধরে ডাকেন, তখন প্রত্যেক পাহাড় থেকে ঐ পাখির খণ্ডিত মাংস ও পাখ৷ উড়ে
এসে একত্রিত হতে থাকে এবং পুর্বে যেরুপ ছিল সেরুপ পুর্ণাঙ্গ পাখিতে পরিণত হতে থাকে ৷
আর ইব্রাহীম (আ) সেই মহান সভার কুদরত ও ক্ষমতা প্রত্যক্ষ করেন, যিনি কোন কিছুকে হও


وَقَالَ تَعَالَى: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا وَإِبْرَاهِيمَ وَجَعَلْنَا فِي ذُرِّيَّتِهِمَا النُّبُوَّةَ وَالْكِتَابَ} [الحديد: 26] . الْآيَةَ. فَكُلُّ كِتَابٍ أُنْزِلَ مِنَ السَّمَاءِ عَلَى نَبِيٍّ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ بَعْدَ إِبْرَاهِيمَ الْخَلِيلِ فَمِنْ ذُرِّيَّتِهِ وَشِيعَتِهِ، وَهَذِهِ خِلْعَةٌ سَنِيَّةٌ لَا تُضَاهَى، وَمَرْتَبَةٌ عَلِيَّةٌ لَا تُبَاهَى، وَذَلِكَ أَنَّهُ وُلِدَ لَهُ لِصُلْبِهِ وَلَدَانِ ذَكَرَانِ عَظِيمَانِ؛ إِسْمَاعِيلُ مِنْ هَاجَرَ، ثُمَّ إِسْحَاقُ مِنْ سَارَةَ، وَوُلِدَ لِهَذَا يَعْقُوبُ وَهُوَ إِسْرَائِيلُ الَّذِي يَنْتَسِبُ إِلَيْهِ سَائِرُ أَسْبَاطِهِمْ فَكَانَتْ فِيهِمُ النُّبُوَّةُ، وَكَثُرُوا جِدًّا بِحَيْثُ لَا يَعْلَمُ عَدَدَهُمْ إِلَّا الَّذِي بَعَثَهُمْ، وَاخْتَصَّهُمْ بِالرِّسَالَةِ وَالنُّبُوَّةِ حَتَّى خُتِمُوا بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ. وَأَمَّا إِسْمَاعِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَكَانَتْ مِنْهُ الْعَرَبُ عَلَى اخْتِلَافِ قَبَائِلِهَا، كَمَا سَنُبَيِّنُهُ فِيمَا بَعْدُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَلَمْ يُوجَدْ مِنْ سُلَالَتِهِ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ سِوَى خَاتَمِهِمْ عَلَى الْإِطْلَاقِ وَسَيِّدِهِمْ، وَفَخْرِ بَنِي آدَمَ فِي الدُّنْيَا، وَالْآخِرَةِ؛ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ هَاشِمٍ الْقُرَشِيِّ الْهَاشِمِيِّ الْمَكِّيِّ ثُمَّ الْمَدَنِيِّ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، فَلَمْ يُوجَدْ مِنْ هَذَا الْفَرْعِ الشَّرِيفِ وَالْغُصْنِ الْمُنِيفِ سِوَى هَذِهِ الْجَوْهَرَةِ الْبَاهِرَةِ، وَالدُّرَّةِ الزَّاهِرَةِ، وَوَاسِطَةِ الْعِقْدِ الْفَاخِرَةِ، وَهُوَ السَّيِّدُ الَّذِي يَفْتَخِرُ بِهِ أَهْلُ الْجَمْعِ، وَيَغْبِطُهُ الْأَوَّلُونَ وَالْآخِرُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَقَدْ ثَبَتَ عَنْهُ فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ، كَمَا سَنُورِدُهُ أَنَّهُ قَالَ: «سَأَقُومُ مَقَامًا يَرْغَبُ إِلَيَّ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ» . فَمَدَحَ إِبْرَاهِيمَ أَبَاهُ مِدْحَةً عَظِيمَةً فِي هَذَا السِّيَاقِ، وَدَلَّ كَلَامُهُ عَلَى أَنَّهُ أَفْضَلُ الْخَلَائِقِ بَعْدَهُ عِنْدَ الْخَلَّاقِ فِي هَذِهِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৫


(কুন) বললে সাথে সাথেই তা হয়ে যায় ৷ ইব্রাহীম (আ) এর ডাকের সাথে ঐ পাখিগুলাে তার
দিকে দৌড়িয়ে আসতে থাকে ৷ উড়ে আমার চেয়ে দৌড়ে আসার মধ্যে আল্লাহর কুদরত অধিক
সুম্পৃষ্ট হয়ে ওঠে ৷ কেউ কেউ বলেছেন, আল্লাহ্র হুকুম অনুযায়ী ইব্রাহীম (আ) পাখিগুলাের
মাথা কেটে নিজের হাতে রেখে দিয়েছিলেন ৷ বাকি অংশ পাহাড় থেকে উড়ে আসলে তিনি মাথা
ফেলে দিতেন ৷ ফলে মাথাগুলো সংশ্লিষ্ট পাখির দেহের সাথে গিয়ে লেগে যেত ৷ অতএব,
আল্পাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ সেই ৷ আল্লাহ মৃতকে জীবিত করতে পারেন এ ব্যাপারে
ইব্রাহীম (আ) এর ইল্মে ইয়াকীন (দৃঢ় বিশ্বাস) ছিল ৷ এতে কোন সন্দেহ নেই ৷ কিত্তু তিনি
তা খোলা চোখে দেখতে চেয়েছিলেন মাত্র ৷ যাতে ইলমে ইয়াকীন আয়নুল ইয়াকীনে’ উন্নীত
হয় ৷ আল্লাহ্ তার প্রার্থনা মঞ্জুর করেন ও আশা পুরণ করেন ৷ আল্লাহ্র বাণীং

রুিা৷ ;া র্বৃ;ট্রু১া৷দ্বু ৰু)ক্ট্রর্দ্ধ; ৷ ;;া,;৷ ১;র্চু ন্হ্;;,;৷ ’ ^শুন্’ া হুকু ন্৷ ;এে৷ ৷ শুা£র্মু৷ ৷র্বু ;

;, এে ;,,াশ্ন্১৷ ণ্;; ৷ , ,ৰু;রুপুৰু


;,র্চু;াহু ,; ৷
, ৷

হে কিতাবিগণ৷ ইব্রাহীম সম্বন্ধে কেন তোমরা তর্ক কর, অথচ তাওরাত ও ইনজীল তো
তার পরেই অবতীর্ণ হয়েছিল? তোমরা কি বুঝ নাম্র দেখ, যে বিষয়ে তোমাদের সামান্য জ্ঞান
আছে তোমরাই তাে সে বিষয়ে তর্ক করেছ, তবে যে বিষয়ে তোমাদের কােনই জ্ঞান নেই যে
বিষয়ে কেন তর্ক করছ? আল্লাহ জ্ঞাত আছেন এবং তোমরা জ্ঞাত নও ৷ ইব্রাহীম ইহুদী ও ছিল
না, খৃক্টানও ছিল না; সে ছিল একনিষ্ঠ, আত্মসমর্পণকারী এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল
না ৷ যারা ইবরাহীমের অনুসরণ করেছিল তারা এবং এই নবী ও যারা ঈমান এন্যেছ মানুষের
মধ্যে তারা ইবরাহীমের ঘনিষ্ঠতম ৷ আল্লাহ্ মুমিনদের অভিভাবক ৷ (সুরা আল-ইমরান
৬৫ ৬৮ )

ইয়াহুদ ও নাসারা প্রভ্রু ত্যবেইি দ বি করত যে, ইব্রাহীম (আ) তাদেরই লোক ৷ আল্লাহ
তাদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে ইব্রাহীম (আ)-কে তা ৷দের দলভুক্ত হওয়ার অপবাদ থেকে মুক্ত
করেন ৷ তিনি তাদের চরম মুর্থতা ও জ্ঞা ৷দের স্বল্পত৷ ৷এই বলে প্রকাশ করে দেন যে, তাওরাত ও

ইনজীল তো তার যুগের পরেই নাযিল হয়েছে ৷

অর্থাৎ তিনি কিভাবে তোমাদের ধর্মের লোক হবেন, যখন দুনিয়া থেকে তার বিদায়ের
বহু যুগ পরে তাওরাত ইনজীল নাযিল হয়েছে অর্থাৎ তোমাদের শরীয়ত এসেছে ৷ এ কারণেই
আল্লাহ্ বলেছেন০ : ;, ,া^;; ১াষ্ ৷ তোমরা কি এ সামান্য বিষয়টিও বুঝ না?

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়৷ (১ম খণ্ড) ৪৮-

পুো,৷াম্রা৷৪গাে০ €০া৷া


الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يُكْشَفُ عَنْ سَاقٍ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَوِّذُ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ، وَيَقُولُ: إِنَّ أَبَاكُمَا كَانَ يُعَوِّذُ بِهِمَا إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ» . وَرَوَاهُ أَهْلُ السُّنَنِ مِنْ حَدِيثِ مَنْصُورٍ بِهِ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ أَرِنِي كَيْفَ تُحْيِ الْمَوْتَى قَالَ أَوَلَمْ تُؤْمِنْ قَالَ بَلَى وَلَكِنْ لِيَطْمَئِنَّ قَلْبِي قَالَ فَخُذْ أَرْبَعَةً مِنَ الطَّيْرِ فَصُرْهُنَّ إِلَيْكَ ثُمَّ اجْعَلْ عَلَى كُلِّ جَبَلٍ مِنْهُنَّ جُزْءًا ثُمَّ ادْعُهُنَّ يَأْتِينَكَ سَعْيًا وَاعْلَمْ أَنَّ اللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ} [البقرة: 260] . ذَكَرَ الْمُفَسِّرُونَ لِهَذَا السُّؤَالِ أَسْبَابًا بَسَطْنَاهَا فِي التَّفْسِيرِ وَقَرَّرْنَاهَا بِأَتَمِّ تَقْرِيرٍ، وَالْحَاصِلُ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ أَجَابَهُ إِلَى مَا سَأَلَ فَأَمَرَهُ أَنْ يَعْمِدَ إِلَى أَرْبَعَةٍ مِنَ الطُّيُورِ، وَاخْتَلَفُوا فِي تَعْيِينِهَا عَلَى أَقْوَالٍ، وَالْمَقْصُودُ حَاصِلٌ عَلَى كُلِّ تَقْدِيرٍ، فَأَمَرَهُ أَنْ يُمَزِّقَ لُحُومَهُنَّ وَرِيشَهُنَّ، وَيَخْلِطَ ذَلِكَ بَعْضَهُ فِي بَعْضٍ، ثُمَّ يُقَسِّمُهُ قِسَمًا، وَيَجْعَلَ عَلَى كُلِّ جَبَلٍ مِنْهُنَّ جُزْءًا فَفَعَلَ مَا أُمِرَ بِهِ، ثُمَّ أُمِرَ أَنْ يَدْعُوَهُنَّ بِإِذْنِ رَبِّهِنَّ، فَلَمَّا دَعَاهُنَّ جَعَلَ كُلُّ عُضْوٍ يَطِيرُ إِلَى صَاحِبِهِ، وَكُلُّ رِيشَةٍ تَأْتِي إِلَى أُخْتِهَا حَتَّى اجْتَمَعَ بَدَنُ كُلِّ طَائِرٍ عَلَى مَا كَانَ عَلَيْهِ، وَهُوَ يَنْظُرُ إِلَى قُدْرَةِ الَّذِي يَقُولُ
পৃষ্ঠা - ৩৮৬


আল্লাহ আরও বলেন০ :
ঢুংদ্বু ৷দ্বু @


ইবরাহীম ইহুদীও ছিল না, নাসারাও ছিল না, বরং সে ছিল একনিষ্ঠ আত্মসমর্পণকারী ৷ সে
ঘুশরিকও ছিল না ৷ ’ আল্পাহ্ এখানে স্পষ্ট বলেছেন যে, ইব্রাহীম ছিলেন দীনে হানীফের উপর
প্রতিষ্ঠিত ৩৷ দীনে হানীফ বলা হয় স্বেচ্ছায় বাতিলকে পরিত্যাগ করে হককে গ্রহণ করা এবং

আন্তরিকভাবে তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা ৷ এই দীনে হানীফ ইহুদী, খৃষ্টান ও মুশরিকদের ধর্ম

থেকে সম্পুর্ণ পৃথক ৷ আল্লাহ্ হশ্বলেনং :
১ ঠের্চুৰু

)




ষু)মোঃ

” ”
হৈংগ্রস্পে খু এ স্পোঢ়


াপুঠু থ্রে ৷
র্চু ণ্ব্লু^এ৷ ৷ ঢে৷ ৷ ৰুাগ্লু ৷
হ্রর্বৃ,দ্বুষ্কৃ
৷ ”





” ”



র্পার্চের্দুার্দু৷ ৷ ৷ৰুঠু «fl ৷


لِلشَّيْءِ: كُنْ فَيَكُونُ فَأَتَيْنَ إِلَيْهِ سَعْيًا لِيَكُونَ أَبْيَنَ لَهُ وَأَوْضَحَ لِمُشَاهَدَتِهِ مِنْ أَنْ يَأْتِينَ طَيَرَانًا. وَيُقَالُ: إِنَّهُ أُمِرَ أَنْ يَأْخُذَ رُءُوسَهُنَّ فِي يَدِهِ فَجَعَلَ كُلُّ طَائِرٍ يَأْتِي فَتَلْقَاهُ رَأْسُهُ فَيَتَرَكَّبُ عَلَى جُثَّتِهِ كَمَا كَانَ، فَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. وَقَدْ كَانَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَعْلَمُ قُدْرَةَ اللَّهِ تَعَالَى عَلَى إِحْيَاءِ الْمَوْتَى عِلْمًا يَقِينًا لَا يَحْتَمِلُ النَّقِيضَ، وَلَكِنْ أَحَبَّ أَنْ يُشَاهِدَ ذَلِكَ عِيَانًا، وَيَتَرَقَّى مِنْ عِلْمِ الْيَقِينِ إِلَى عَيْنِ الْيَقِينِ فَأَجَابَهُ اللَّهُ إِلَى سُؤَالِهِ، وَأَعْطَاهُ غَايَةَ مَأْمُولِهِ. وَقَالَ تَعَالَى: {يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لِمَ تُحَاجُّونَ فِي إِبْرَاهِيمَ وَمَا أُنْزِلَتِ التَّوْرَاةُ وَالْإِنْجِيلُ إِلَّا مِنْ بَعْدِهِ أَفَلَا تَعْقِلُونَ هَا أَنْتُمْ هَؤُلَاءِ حَاجَجْتُمْ فِيمَا لَكُمْ بِهِ عِلْمٌ فَلِمَ تُحَاجُّونَ فِيمَا لَيْسَ لَكُمْ بِهِ عِلْمٌ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ مَا كَانَ إِبْرَاهِيمُ يَهُودِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا وَلَكِنْ كَانَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ وَهَذَا النَّبِيُّ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ} [آل عمران: 65] . أَيْ فَكَيْفَ يَكُونُ عَلَى دِينِكُمْ، وَأَنْتُمْ إِنَّمَا شُرِعَ لَكُمْ مَا شُرِعَ بَعْدَهُ بِمُدَدٍ مُتَطَاوِلَةٍ؟ وَلِهَذَا قَالَ: {أَفَلَا تَعْقِلُونَ} [آل عمران: 65] إِلَى أَنْ قَالَ: {مَا كَانَ إِبْرَاهِيمُ يَهُودِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا وَلَكِنْ كَانَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ} [آل عمران: 67] . فَبَيَّنَ أَنَّهُ كَانَ عَلَى دِينِ اللَّهِ الْحَنِيفِ، وَهُوَ الْقَصْدُ إِلَى الْإِخْلَاصِ، وَالِانْحِرَافُ عَمْدًا عَنِ الْبَاطِلِ إِلَى الْحَقِّ الَّذِي هُوَ مُخَالِفٌ لِلْيَهُودِيَّةِ وَالنَّصْرَانِيَّةِ وَالْمُشْرِكِيَّةِ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَمَنْ يَرْغَبُ عَنْ مِلَّةِ إِبْرَاهِيمَ إِلَّا مَنْ سَفِهَ نَفْسَهُ وَلَقَدِ اصْطَفَيْنَاهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الْآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ إِذْ قَالَ لَهُ رَبُّهُ أَسْلِمْ قَالَ أَسْلَمْتُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ وَوَصَّى بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَابَنِيَّ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ أَمْ كُنْتُمْ شُهَدَاءَ إِذْ حَضَرَ يَعْقُوبَ الْمَوْتُ إِذْ قَالَ لِبَنِيهِ مَا تَعْبُدُونَ مِنْ بَعْدِي قَالُوا نَعْبُدُ إِلَهَكَ وَإِلَهَ آبَائِكَ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِلَهًا وَاحِدًا وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ تِلْكَ أُمَّةٌ قَدْ خَلَتْ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَلَكُمْ مَا كَسَبْتُمْ وَلَا تُسْأَلُونَ عَمَّا كَانُوا يَعْمَلُونَ وَقَالُوا كُونُوا هُودًا أَوْ نَصَارَى تَهْتَدُوا قُلْ بَلْ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قُولُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَمَا أُوتِيَ النَّبِيُّونَ مِنْ رَبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا آمَنْتُمْ بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوْا وَإِنْ تَوَلَّوْا فَإِنَّمَا هُمْ فِي شِقَاقٍ فَسَيَكْفِيكَهُمُ اللَّهُ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ صِبْغَةَ اللَّهِ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ صِبْغَةً وَنَحْنُ لَهُ عَابِدُونَ قُلْ أَتُحَاجُّونَنَا فِي اللَّهِ وَهُوَ رَبُّنَا وَرَبُّكُمْ وَلَنَا أَعْمَالُنَا وَلَكُمْ أَعْمَالُكُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُخْلِصُونَ أَمْ تَقُولُونَ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطَ كَانُوا هُودًا أَوْ نَصَارَى قُلْ أَأَنْتُمْ أَعْلَمُ أَمِ اللَّهُ وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ كَتَمَ شَهَادَةً عِنْدَهُ مِنَ اللَّهِ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ} [البقرة: 130] [الْبَقَرَةِ: 130 - 140] .
পৃষ্ঠা - ৩৮৭


যে নিজেকে নির্বোধ করেছে সে ব্যতীত ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ হতে আর কে বিমুখ হবো
পৃথিবীতে তাকে আমি মনোনীত করেছি; পরকালেও সে সৎ কর্যপরায়ণগণের অন্যতম ৷ তার
প্ৰতিপালক যখন তাকে বলেছিলেন, অড়াত্মসমর্পণ কর’, সে ব্লেছিল , জগতসমুহের
প্রতিপালকের নিকট আত্মসর্মপণ করলাম ৷’ এবং ইব্রাহীম ও ইয়াকুব এ সম্বন্ধে তাদের
পুত্রগণকে নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, হে পুত্রগণ ! আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে এ দীনকে মনোনীত
করেছেন ৷ সুতরাং আত্মসমর্পণকাবী না হয়ে তোমরা কখনও মৃত্যুবরণ করিও না ৷ ’ ইয়াকুবের
নিকট যখন মৃত্যু এসেছিল তোমরা কি তখন উপস্থিত ছিলে? সে যখন পুত্রগণকে জিজ্ঞেস
করেছিল, আমার পরে তোমরা কিসের ইবাদত করবো” তারা তখন বলেছিল, আমরা আপনার
ইলাহ্-এর ও আপনার পিতৃ-পুরুষ ইব্রাহীম, ইসমাঈল ও ইসহাকের ইলাহ্-এরই ইবাদত
করব ৷ তিনি একমাত্র ইলাহ্ এবং আমরা তার নিকট আত্মসমর্পণকারী ৷ ’ সেই উম্মত অতীত
হয়েছে ওরা যা অত্তনি করেছে তা ওদের, তোমরা যা অর্জন কর তা তোমাদের ৷ তারা যা করত
সে সম্বন্ধে তােমাদেরকে কোন প্রশ্ন করা হবে না ৷ তারা বলে, ইহুদী বা খৃপ্টান হও, ঠিক পথ
পাবে ৷ ’ বল, বরং একনিষ্ঠ হয়ে আমরা ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করব এবং সে মুশরিকদের
অন্তর্ভুক্ত ছিল না ৷’ তোমরা বল, আমরা আল্লাহ্তে ঈমান রাখি এবং যা আমাদের প্রতি এবং
ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব্ ও তার বংশধরপণের প্ৰতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং যা
তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে মুসা, ঈসা ও অন্যান্য নবীকে দেয়া হয়েছে ৷ আমরা তাদের
মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তার নিকট আত্মসমর্পণকায়ী ৷ তোমরা যাতে ঈমান
এনেছ তারা যদি সেরুপ ঈমান আসে তবে নিশ্চয় তারা সৎপথ পাবে ৷ আর যদি তারা মুখ
ফিরিয়ে নেয়, তবে তারা নিশ্চয়ই বিরুদ্ধতাবাপন্ন ৷ তাদের বিরুদ্ধে তোমার জন্যে আল্লাহ্ই
যথেষ্ট ৷ তিনি সর্বশ্রোতড়া, সর্বজ্ঞ ৷ আমরা গ্রহণ করলাম আল্লাহ্র রং, ব্ঙে আল্লাহ্ অপেক্ষা কে
অধিকতর সুন্দর ? এবং আমরা তারই ইবাদতকারী ৷ বল , আল্পাহ্ সম্বন্ধে তোমরা কি আমাদের
সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হতে চাওন্ যখন তিনি আমাদের প্রতিপালক এবং তােমাদেরও প্ৰতিপালক !
আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের এবং আমরা তার প্রতি অকপট ৷
তোমরা কি বল যে, ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধরগণ ইহুদী কিৎবা
খৃন্টান ছিল ?

বল, তোমরা বেশি জান, না আল্লাহ্?’ আল্লাহর নিকট হতে তার কাছে যে প্রমাণ আছে তা
যে গোপন করে তার অপেক্ষা অধিকতর জালিম আর কে হতে পারে? তোমরা যা কর আল্লাহ সে
সম্বন্ধে অনবহিত নন ৷ (২ : ১৩০ ১৪ :)

আল্লাহ হযরত ইব্রাহীম (আ)-কে ইহুদী বা খৃক্টান হওয়ার অপবাদ থেকে মুক্ত করে
সুস্পষ্টভাবে বলে দেন যে, তিনি একনিষ্ষ্ঠক্টেসদ্বুড়ামানঞ্জিলুন এবং তিনি ঘুশরিকও ছিরুলন না ৷ এ

কারণে আল্লাহ্তাআলা বলেছেন : ও ৷ র্টু,া


মানুষের মধ্যে ইব্রাহীম (আ)-এর ঘনিষ্ঠতম তারা, যারা তাকে অনুসরণকব্লু র ৷ ’ তার
সময়ে যারা তার অনুসারী ছিল এবং তার পরে যারা তার দীন গ্রহণ করেছে ৷ “ ৷ ৷ ১গুদ্বু

(এবং এই নবী) অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ (সা) ৷ কেননা যেই দীনে-হানীফকে আল্লাই ইব্রাহীম
(আ)-এর জন্যে মনোনীত করেছিলেন সেই দীনে-হানিফকেই তিনি মুহাম্মদ (সা)-এর জন্য
মনোনীত করেছেন ৷ তদুপরি মুহাম্মদ (না)-এর দীনকে তিনি পুর্ণতা দান করেছেন এবং তাকে
এমন সব নিয়ামত দান করেছেন যা অন্য কোন নবী বা রাসুলকে ইতিপুর্বে দান করেননি ৷


فَنَزَّهَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ خَلِيلَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنْ أَنْ يَكُونَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا، وَبَيَّنَ أَنَّهُ إِنَّمَا كَانَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَلَمْ يَكُنْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ؛ وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ} [آل عمران: 68] . يَعْنِي الَّذِينَ كَانُوا عَلَى مِلَّتِهِ مِنْ أَتْبَاعِهِ فِي زَمَانِهِ وَمَنْ تَمَسَّكَ بِدِينِهِ مِنْ بَعْدِهِمْ {وَهَذَا النَّبِيُّ} [آل عمران: 68] يَعْنِي مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِنَّ اللَّهَ شَرَعَ لَهُ الدِّينَ الْحَنِيفَ الَّذِي شَرَعَهُ لِلْخَلِيلِ وَكَمَّلَهُ اللَّهُ تَعَالَى لَهُ،
পৃষ্ঠা - ৩৮৮
وَأَعْطَاهُ مَا لَمْ يُعْطِ نَبِيًّا وَلَا رَسُولًا قَبْلَهُ، كَمَا قَالَ تَعَالَى: {قُلْ إِنَّنِي هَدَانِي رَبِّي إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ دِينًا قِيَمًا مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ} [الأنعام: 161] [النَّحْلِ: 120 - 123] . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا رَأَى الصُّوَرَ فِي الْبَيْتِ لَمْ يَدْخُلْ حَتَّى أَمَرَ بِهَا فَمُحِيَتْ، وَرَأَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ بِأَيْدِيهِمَا الْأَزْلَامُ، فَقَالَ: قَاتَلَهُمُ اللَّهُ، وَاللَّهُ إِنِ اسْتَقْسَمَا بِالْأَزْلَامِ قَطُّ» . لَمْ يُخْرِجْهُ مُسْلِمٌ، وَفِي بَعْضِ أَلْفَاظِ الْبُخَارِيِّ «قَاتَلَهُمُ اللَّهُ لَقَدْ عَلِمُوا أَنَّ شَيْخَنَا لَمْ يَسْتَقْسِمْ بِهَا قَطُّ» . فَقَوْلُهُ أُمَّةً أَيْ قُدْوَةً إِمَامًا مُهْتَدِيًا دَاعِيًا إِلَى الْخَيْرِ يُقْتَدَى بِهِ فِيهِ {قَانِتًا لِلَّهِ} [النحل: 120] أَيْ خَاشِعًا لَهُ فِي جَمِيعِ حَالَاتِهِ وَحَرَكَاتِهِ وَسَكَنَاتِهِ حَنِيفًا أَيْ مُخْلِصًا عَلَى بَصِيرَةٍ وَلَمْ يَكُ مِنَ الْمُشْرِكِينَ {شَاكِرًا لِأَنْعُمِهِ} [النحل: 121] . أَيْ قَائِمًا بِشُكْرِ رَبِّهِ بِجَمِيعِ جَوَارِحِهِ مِنْ قَلْبِهِ وَلِسَانِهِ وَأَعْمَالِهِ
পৃষ্ঠা - ৩৮৯


ৰুমাল্লাহ্ বলেনঃ




স্পএেঠে হে
গ্লু
)
,াট্রু৷ এোর্চু

& পা
ঞা ৷
বল, আমার প্রতিপালক আমাকে সৎপথে পরিচালিত করেছেন ৷ এটাই সু-প্রতিষ্ঠিত দীন
ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ, সে ছিল একনিষ্ঠ এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না ৷ বল, আমার
সালাত, আমার ইৰাদত, আমার জীবন ও আমার মরণ জগত তসমুহের প্রতিপালক আল্লাহরই
উদ্দেশে ৷ তার কোন শরীক নেই এবং আমি এরুপই আদিষ্ট হয়েছি এবং আত্মসমর্পণকারীদের

মধ্যে আমিই প্রথম ৷ (৬ : ১৬১ ১৬৩)
আল্লাহ আরো বলেন :
১৷ ট্রুট্রু



৷ দ্বু

ইবরাহীম ছিল এক উম্মত আল্লাহর অনুগত , একনিষ্ঠ এবং সে মুশরিকদের অম্ভভুক্তি ছিল
না ৷ সে ছিল আল্লাহর অনুগহের জন্যে কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাকে মনোনীত করেছিলেন এবং তাকে
সরল পথে পরিচালিত করেছিলেন ৷ আমি তাকে দুনিয়ার দিয়েছিলাম মঙ্গল এবং আখিরাতেও
সে নিশ্চয়ই সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম ৷ এখন আমি তোমার প্রতি প্ৰত্যাদেশ করলাম, তুমি
একনিষ্ঠ ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয় ৷ (১৬ :
১ ২০ ১ ২৩ )

ইমান বুখারী (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) কাবা ঘরের
মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখে তাতে প্রবেশ করেননি ৷ অতঃপর তার হুকুমে সেগুলো মুছে ফেলা হয় ৷
তিনি কাবাঘরে হযরত ইবরাহীম (আ) ও হযরত ইসমাঈল (আ)-এর মুর্ডিং হাতে জুয়ার তীর
দেখতে পান ৷ এ দেশে তিনি বলেন, যারা এরুপ বানিয়েছে তাদেরকে আল্লাহ নিপাত করুক ৷
আল্লাহর কসম, তারা দু’জনের কেউই জুয়ার৩ তীর বের করেন নি ৷ আয়াতে উল্লিখিত উম্মাত
( ৷ ) অর্থ নেতা ও পথপ্রদর্শক ৷ যিনি মঙ্গলের দিকে মানুষকে আহ্বান করেন এবং সে
ব্যাপারে তাকে অনুসরণ করা হয় ৷ ৭াপু (’:(§ এর অর্থ সর্বাবস্থায়-চলাফেরার প্রতি মুহুর্তে
আল্লাহকে ভয় করে চলা ^ৰু অর্থ তৰুম্ভার্বৃষ্ঠির সাথে আ ৷ম্ভরিক হওয়া ৷

;,ট্রব্লুস্পো ৷ ;ব্লু ৰু কুা ণ্াদ্বু ¢;’,:;’ ৷দ্বুষ্কৃা; অর্থ সমস্ত অঙ্গ প্ৰত্যঙ্গ দিয়ে পালন
কর্ত্যর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ৷ যথা অন্তর, জিহ্বা ও কর্ম ইত্যাদির মাধ্যমে ৷ ৷শুদ্বুহু৷ অর্থ




اجْتَبَاهُ أَيِ اخْتَارَهُ اللَّهُ لِنَفْسِهِ وَاصْطَفَاهُ لِرِسَالَتِهِ وَاتَّخَذَهُ خَلِيلًا، وَجَمَعَ لَهُ بَيْنَ خَيْرَيِ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْسَنُ دِينًا مِمَّنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ وَاتَّبَعَ مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125] . يُرَغِّبُ تَعَالَى فِي اتِّبَاعِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ؛ لِأَنَّهُ كَانَ عَلَى الدِّينِ الْقَوِيمِ وَالصِّرَاطِ الْمُسْتَقِيمِ، وَقَدْ قَامَ بِجَمِيعِ مَا أَمَرَهُ بِهِ رَبُّهُ، وَمَدَحَهُ تَعَالَى بِذَلِكَ فَقَالَ: {وَإِبْرَاهِيمَ الَّذِي وَفَّى} [النجم: 37] . وَلِهَذَا اتَّخَذَهُ اللَّهُ خَلِيلًا، وَالْخُلَّةُ هِيَ غَايَةُ الْمَحَبَّةِ، كَمَا قَالَ بَعْضُهُمْ: قَدْ تَخَلَّلْتَ مَسْلَكَ الرُّوحِ مِنِّي ... وَبِذَا سُمِّيَ الْخَلِيلُ خَلِيلًا وَهَكَذَا نَالَ هَذِهِ الْمَنْزِلَةَ خَاتَمُ الْأَنْبِيَاءِ وَسَيِّدُ الرُّسُلِ؛ مُحَمَّدٌ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، كَمَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ وَغَيْرِهِمَا مِنْ حَدِيثِ جُنْدَبٍ الْبَجَلِيِّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، وَابْنِ مَسْعُودٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللَّهَ اتَّخَذَنِي خَلِيلًا، كَمَا اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا» . وَقَالَ أَيْضًا فِي آخِرِ خُطْبَةٍ خَطَبَهَا «أَيُّهَا النَّاسُ لَوْ كُنْتُ مُتَّخِذًا مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ خَلِيلًا لَاتَّخَذْتُ أَبَا بَكْرٍ خَلِيلًا، وَلَكِنَّ صَاحِبَكُمْ خَلِيلُ اللَّهِ» . أَخْرَجَاهُ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ، وَثَبَتَ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، وَابْنِ مَسْعُودٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৯০


আল্লাহ তাকে নিজের জন্যে মনোনীত করেন ৷ রিসালাতের দায়িত্ব দেয়ার জন্যে বাছাই করেন ৷
নিজের বন্ধুরুপে গ্রহণ করেন এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ তাকে দান করেন ৷
আল্লাহর বাণীং





দীনের ব্যাপারে সেই ব্যক্তি অপেক্ষা কে উত্তম, যে সত্কর্মপরায়ণ হয়ে আল্লাহর কাছে
আত্মসমর্পণ করে এবং একনিষ্ঠভাবে ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করে ৷ আল্লাহ ইবরাহীমকে
বন্ধুরুপে গ্রহণ করেছেন৷ (৪ : ১২৫)

এখানে আল্লাহ হযরত ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করার জন্যে উৎসাহিত করেছেন ৷
কেননা, তিনি ছিলেন মজবুত দীন ও সরল পথের উপর সু প্রতিষ্ঠিত ৷ আল্লাহ র্তাচক যা যা
করার আদেশ দিয়েছিলেন তিনি তার সব কিছুই যথাযথভাবে পালন করেছেন ৷ আল্লাহ নিজেই
তার প্রশং সায় বলেছেন ণ্১দ্বু ঠুএে ৷ ণ্ হু০০, দ্বু (এবং ইবরাহীমের কিভাবে, যে পালন
করেছিল তার দায়িত্ব (৫৩৩৭) ৷ এ কারণেই আল্লাহ তাকে খলীল রুপে গ্রহণ করেন ৷ খলীল

বলা হয় সেই বন্ধুকে যার প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা থাকে ৷ যেমন কোন কবি বলেছেনং :
অর্থাৎ-আমার অন্তরকে সে ভালবাসা দিয়ে জয় করে নিয়েছে আর এ কারণেই অন্তরঙ্গ
বন্ধুকে খলীল বলা হয় ৷ অনুরুপভাবে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (না)-ও আল্লাহর খলীল হওয়ার
মর্যাদা লাভ করেছিলেন ৷ সহীহ্ বুখারী , মুসলিম ইত্যাদি গ্রন্থে জুনদুব আল বাজালী , আবদুল্লাহ
ইবন আমর ও ইবন মাসউদ (বা) থেকে বর্ণিত ৷
রাসুল (সা) বলেছেন : হে জনমলীে ৷ জোন ব্লেখে৷ আল্লাহ আমাকে তার খলীলরুপে গ্রহণ
করেছেন, যেভাবে তিনি ইবরাহীমকে খলীল রুপে গ্রহণ করেছিলেন :
জীবনের শেষ ভাষণে রাসুল (সা) বলেছিলেন :
৷ গ্রৰু ৷

স্কোএ —
হে জনগণ ! পৃথিবীর অধিবাসীদের মধ্যে কাউকে যদি আমি খলীল হিসাবে গ্রহণ করতাম,

তবে অবশ্যই আবু বকর (রা)-কে আমার খলীল বানাতাম ন্ ৷ কিন্তু তোমাদের এই সাথী আল্লাহর
খলীল ৷

এ হাদীস বুখারী ও মুসলিমে আবু সাঈদ খুদরী (বা) সুত্রে বর্ণিত হয়েছে ৷ তা ছাড়া
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রা) , ইবন আব্বাস (রা) ও ইবন মাসউদ (বা) সুত্রে এ হাদীসখানা
অন্যান্য কিতাবেও বর্ণিত হয়েছে ৷ সহীহ্ বুখারীতে আমর ইবন মায়মুন (রা) থেকে বর্ণিত ৷
তিনি বলেন, হযরত মুআয (বা) ইয়ামানে গমন করেন ৷ তখন সবাইকে নিয়ে ফজরের সালাত


وَرَوَى الْبُخَارِيُّ فِي صَحِيحِهِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ قَالَ: «إِنَّ مُعَاذًا لَمَّا قَدِمَ الْيَمَنَ صَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَقَرَأَ: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125] . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ: لَقَدْ قَرَّتْ عَيْنُ أُمِّ إِبْرَاهِيمَ» . وَقَالَ ابْنُ مَرْدَوَيْهِ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أُسَيْدٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ الْجُوزْجَانِيُّ بِمَكَّةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الْحَنَفِيُّ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَلَسَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْتَظِرُونَهُ فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا دَنَا مِنْهُمْ سَمِعَهُمْ يَتَذَاكَرُونَ فَسَمِعَ حَدِيثَهُمْ، وَإِذَا بَعْضُهُمْ يَقُولُ: عَجَبٌ أَنَّ اللَّهَ اتَّخَذَ مِنْ خَلْقِهِ خَلِيلًا، فَإِبْرَاهِيمُ خَلِيلُهُ. وَقَالَ آخَرُ: مَاذَا بِأَعْجَبَ مِنْ أَنَّ اللَّهَ كَلَّمَ مُوسَى تَكْلِيمًا. وَقَالَ آخَرُ: فَعِيسَى رُوحُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ. وَقَالَ آخَرُ: آدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ. فَخَرَجَ عَلَيْهِمُ فَسَلَّمَ. وَقَالَ: قَدْ سَمِعْتُ كَلَامَكُمْ، وَعَجَبَكُمْ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلُ اللَّهِ وَهُوَ كَذَلِكَ، وَمُوسَى كَلِيمُهُ وَهُوَ كَذَلِكَ، وَعِيسَى رُوحُهُ وَكَلِمَتُهُ وَهُوَ كَذَلِكَ، وَآدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ وَهُوَ كَذَلِكَ أَلَا وَإِنِّي حَبِيبُ اللَّهِ، وَلَا فَخْرَ، أَلَا وَإِنِّي أَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ، وَلَا فَخْرَ، وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يُحَرِّكُ حَلْقَةَ بَابِ الْجَنَّةِ فَيَفْتَحُهُ اللَّهُ فَيُدْخِلُنِيهَا وَمَعِي فُقَرَاءُ الْمُؤْمِنِينَ، وَأَنَا أَكْرَمُ الْأَوَّلِينَ وَالْآخَرِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا فَخْرَ» . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَهُ شَوَاهِدُ مِنْ وُجُوهٍ أُخَرَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৯১


আদায় করেন এবং কিরাআতে এ আয়াতে তিলাওয়াত করেনঃ ,

(আল্লাহ ইবরাহীমকে খলীলরুপে গ্রহণ করেন) তখন উপস্থিত একজন বললেন, ইবরাহীমের
মায়ের চোখ কতই না শীতল হয়েছিল ৷ ইবন মারদুয়েহ (র) ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, একদা রাসুল (না)-এর কতিপয় সাহারা তার জন্য অপেক্ষমাণ দিলেন ৷ এক পর্যায়ে
তিনি বের হয়ে আসেন ৷ কাছাকাছি এলে তিনি শুনতে পান-শ্এরা যেন কিছু একটা বলাব্লি
করছেন ৷ তখন সেখানে থেমে গিয়ে তিনি তাদের থেকে শুনতে পান যে, কেউ একজন বলছেন,
কী আশ্চর্য! আল্লাহ তারই সৃষ্টি মানুষের মধ্য থেকে খলীল’ বানিয়েছেন ইবরাহীম তার
খলীল ৷ আর একজন বলছেন, কী আশ্চর্য ! আল্লাহ মুসার সাথে কথাবার্তা বলেছেন ৷ অপরজন
বলছেন, ঈসা তো আল্লাহর রুহ্ ও কালিমাহ্ ৷ অন্য আর একজন বলছেন, আদম (আ)-কে
আল্লাহ বাছাই করে নিয়েছেন ৷ অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সা) তাদের সম্মুখে আসেন এবং বলেন,
আমি তোমাদের কথাবার্তা ও বিস্মিত হওয়ার কথা শুনতে পেয়েছি ৷ ইব্রাহীম (আ) আল্লাহর
খলীল , তিনি তাই ছিলেন, মুসা (আ) আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন তিনিও তা-ই ছিলেন, ঈসা
(আ) আল্লাহর রুহ্ ও কালিমাহ্ তিনি ঠিক তাই ছিলেন ৷ আদম (আ)-কে আল্লাহ বাছাই
করেছিলেন, এবং তিনি তেমনই ছিলেন ৷ জেনে রেখ, আমি আল্লাহর হাবীব (পরম বন্ধু) এতে
আমার কোন অহংকার নেই ৷ জেনে ব্লেখ, আমিই প্রথম সুপারিশকারী এবং আমার সুপারিশই
প্রথম শোনা হবে, এতে আমার কোন অহংকার নেই ৷ আমিই সে ব্যক্তি যে সর্বপ্রথম জান্নাতের
দরজার কড়া নাড়বে ৷ অতঃপর তা খুলে আমাকে ভিতরে প্রবেশ করানো হবে ৷ তখন আমার
সাথে থাকবে দরিদ্র মুমিনগণ; কিয়ামতের দিন প্রাথমিক যুগের ও শেষ যুগের সকল মানুষের
মধ্যে সবচাইতে সম্মানিত আমিই, এতে আমার কোন অহংকার নেই ৷ এই সনদে হাদীসটি
গরীব’ পর্যায়ের বটে ৷ তবে অন্যান্য সনদে এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷ আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ ৷

হাকিম (র) তার মুসতড়াদরাকে’ ইবন আব্বাস (রা)-এর উক্তি উল্লেখ করেছেন ৷ ইবন
আব্বাস (রা) বলেছেন : তোমরা কি অস্বীকার করতে পারবে যে, খলীল হওয়ার সৌভাগ্য
হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর ৷ আল্লাহর সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হযরত মুসা (আ)-এর এবং
আল্লাহর দীদার লাভের সৌভাগ্য মুহাম্মদ (না)-এর ৷ ইবন আবু হাতিম (র) ইসহড়াক ইবন
বাশৃশার (র) সুত্রে বর্ণনা করেন, আল্লাহ যখন ইব্রাহীম (আ)-কে খলীলরুপে বরণ করে নেন,
তখন তার অন্তরের মধ্যে ভীতি পেড়ে বসে, এমনকি পাখি যেমন আকাশে ওড়ার সময় ডানা
ঝাপটানাের আওয়াজ হয় তেমনি তার অন্তর থেকে উৎপন্ন ভীতির আওয়াজ দুর থেকে শোনা
যেত ৷ উবায়দ ইবন উমায়র (রা) বলেন, ইবরাহীম (আ) সর্বদাই অতিথি আপ্যায়ন করতেন ৷
একদিন তিনি অতিথির সন্ধানে ঘর থেকে বের হলেন ৷ কিন্তু কোন অতিথি পেলেন না ৷
অবশেষে ঘরে ফিরে এসে দেখেন একজন মানুষ ঘরের মধ্যে দাড়িয়ে আছে ৷ তিনি জিজ্ঞেস
করলেন, ওহে আল্লাহর বান্দা! আমার বিনা অনুমতিতে কে তোমাকে আমার ঘরে প্রবেশ
করাল? লোকটি বলল, এ ঘরের মালিকের অনুমতিক্রমেই আমি এতে প্রবেশ করেছি ৷ ইব্রাহীম
(আ) জিজ্ঞেস করলেন, তোমার পরিচয় কী ? সে বলল, আমি রুহ কবজকারী মালাকুল মওত ৷
আমাকে আমার প্রতিপালক তার এক বন্দোর নিকট এই সু-সংবাদ দিয়ে প্রেরণ করেছেন যে,
তাকে আল্লাহ খলীল রুপে গ্রহণ করেছেন ৷ ইব্রাহীম (আ) বললেন, সেই বান্দাটি কো আল্লাহর
কসম, এ সংবাদটি যদি আমাকে দিতে! তিনি কোন দুরতম এলাকায় অবস্থান করলেও আমি


وَرَوَى الْحَاكِمُ فِي مُسْتَدْرَكِهِ مِنْ حَدِيثِ قَتَادَةَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «أَتُنْكِرُونَ أَنْ تَكُونَ الْخُلَّةُ لِإِبْرَاهِيمَ، وَالْكَلَامُ لِمُوسَى، وَالرُّؤْيَةُ لِمُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ» . وَقَالَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ: حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ الْسُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَسَارٍ قَالَ: لَمَّا اتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا أَلْقَى فِي قَلْبِهِ الْوَجَلَ حَتَّى إِنْ كَانَ خَفَقَانُ قَلْبِهِ لَيُسْمَعُ مِنْ بُعْدٍ، كَمَا يُسْمَعُ خَفَقَانُ الطَّيْرِ فِي الْهَوَاءِ. وَقَالَ عُبَيْدُ بْنُ عُمَيْرٍ: كَانَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يُضِيفُ النَّاسَ، فَخَرَجَ يَوْمًا يَلْتَمِسُ إِنْسَانًا يُضِيفُهُ فَلَمْ يَجِدْ أَحَدًا يُضِيفُهُ، فَرَجَعَ إِلَى دَارِهِ فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلًا قَائِمًا، فَقَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ مَا أَدْخَلَكَ دَارِي بِغَيْرِ إِذْنِي؟ قَالَ: دَخَلْتُهَا بِإِذْنِ رَبِّهَا. قَالَ: وَمَنْ أَنْتَ؟ قَالَ: أَنَا مَلَكُ الْمَوْتِ أَرْسَلَنِي رَبِّي إِلَى عَبْدٍ مِنْ عِبَادِهِ أُبَشِّرُهُ بِأَنَّ اللَّهَ قَدِ اتَّخَذَهُ خَلِيلًا. قَالَ: مَنْ هُوَ، فَوَاللَّهِ إِنْ أَخْبَرْتَنِي بِهِ، ثُمَّ كَانَ بِأَقْصَى الْبِلَادِ لَآتِيَنَّهُ، ثُمَّ لَا أَبْرَحُ لَهُ جَارًا حَتَّى يُفَرِّقَ بَيْنَنَا الْمَوْتُ. قَالَ: ذَلِكَ الْعَبْدُ أَنْتَ. قَالَ: أَنَا! قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَبِمَ اتَّخَذَنِي رَبِّي خَلِيلًا؟ قَالَ: بِأَنَّكَ تُعْطِي النَّاسَ وَلَا تَسْأَلُهُمْ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَقَدْ ذَكَرَهُ اللَّهُ تَعَالَى فِي الْقُرْآنِ كَثِيرًا فِي غَيْرِ مَا مَوْضِعٍ بِالثَّنَاءِ عَلَيْهِ وَالْمَدْحِ لَهُ، فَقِيلَ: إِنَّهُ مَذْكُورٌ فِي خَمْسَةٍ وَثَلَاثِينَ مَوْضِعًا، مِنْهَا خَمْسَةَ عَشَرَ فِي الْبَقَرَةِ وَحْدَهَا، وَهُوَ أَحَدُ أُولِي الْعَزْمِ الْخَمْسَةِ الْمَنْصُوصِ عَلَى أَسْمَائِهِمْ
পৃষ্ঠা - ৩৯২


তার নিকট যেতাম এবং আমৃতু ব্র সেখানেই অবস্থান করতাম ৷ মালাকুল মওত বললেন-
আপনিই হচ্ছেন সেই বান্দ৷ ৷ ইবরাহীম (আ) বললেন, আমিঃ তিনি বললেন, হ্যা, আপনিই ৷
ইবরাহীম (আ) বললেন, আল্লাহ আমাকে কি কারণে তার খলীলরুপে গ্রহণ করলেন? তিনি
জবাব দিলেন, কারণ এই যে, আপনি মানুষকে দান করেন তাদের কাছে কিছু চান না ৷ ইবন
আবুহাতিম (র) এ ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷

আল্লাহ হযরত ইবরাহীম (আ) এর এই গুণের কথা উল্লেখ করে কুরআনের বহু স্থানে তার

প্ৰশ০ যা করেছেন ৷ কেউ কেউ বলেছেন, কুরআনের পয়ত্রিশ জায়গায় এর উল্লেখ রয়েছে ৷

তন্মধ্যে কেবল সুরা বকােরায় পনের জায়গায় তার উল্লেখ করা হয়েছে ৷ হযরত ইবরাহীম (আ)

সেই পাচজন উলুল-আয্ম (দৃঢ় প্রতিজ্ঞ) নবীর অন্যতম, নবীগণের মধ্যে যাদের নাম আল্লাহ

তাআলা কুরআনের দুইটি সুরার অর্থাৎ সুরা আহযাব ও সুরা শুরায় বিশেষভাবে উল্লেখ
করেছেন ৷ আয়াত দু’টি হলো : (



স্মরণ কর , যখন আমি নবীদের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম এবং তোমার নিকট

থেকেও এবং নুহ, ইব্রাহীম , মুসা এবং ঈসা ইবন মারযামের নিকট থেকে ৷ আমি তাদের নিকট

থেকে গ্রহণ করেছিলাম দৃঢ় অঙ্গীকার ৷ (সুরা আহযাব : ৭)

আল্লাহর বাণী৪
(

আল্লাহ তোমাদের জন্যে বিধিবদ্ধ করেছেন সেই দীন যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নুহ্কে ,
আর যা ওহীর মাধ্যমে পাঠিয়েছি তোমার নিকট এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মুসা ও
ঈসাকে এ কথা বলে যে, তোমরা দীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে মতভেদ কর না ৷ (সুরা
শুরা : ১৩)

উক্ত পড়াচজন উলুল আয্ম নবীদের মধ্যে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (না)-এর পরেই হযরত
ইবরাহীম (আ)-এর স্থান ৷ (মিরাজ রজনীতে) তিনি হযরত ইবরাহীম (আ)-কে সপ্তম
আকাশের উপরে বায়তুল মামুরে হেলান দেয়৷ অবস্থায় দেখেছিলেন ৷ যেখানে প্রতিদিন সত্তর
হাজার ফেরেশতড়া ইবাদত করার জন্যে প্রবেশ করেন এবং আর কখনও দ্বিতীয়বার সেখানে
প্রবেশের সুযোগ র্তাদের আসে না ৷ আর শুরায়ক ইবন আবু নুমায়র হযরত আনাস (বা) সুত্রে
মিরাজ সম্পর্কের হাদীসে যে বর্ণনা করেছেন, ইবরাহীম (আ) ষষ্ঠ আকাশে এবং মুসা (আ)
সপ্তম আকাশে ছিলেন, উক্ত হাদীসে রাৰী শুরায়কএর ব্যাপারে মুহাদ্দিসগণ সমালোচনা
করেছেন ৷ সুতরাং প্রথম হাদীসই সঠিক ও বিশুদ্ধ ৷


تَخْصِيصًا مِنْ بَيْنِ سَائِرِ الْأَنْبِيَاءِ فِي آيَتَيِ الْأَحْزَابِ وَالشُّورَى، وَهُمَا قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَإِذْ أَخَذْنَا مِنَ النَّبِيِّينَ مِيثَاقَهُمْ وَمِنْكَ وَمِنْ نُوحٍ وَإِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ وَأَخَذْنَا مِنْهُمْ مِيثَاقًا غَلِيظًا} [الأحزاب: 7] . وَقَوْلُهُ: {شَرَعَ لَكُمْ مِنَ الدِّينِ مَا وَصَّى بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَى وَعِيسَى أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ} [الشورى: 13] . الْآيَةَ، ثُمَّ هُوَ أَشْرَفُ أُولِي الْعَزْمِ بَعْدَ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ الَّذِي وَجَدَهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فِي السَّمَاءِ السَّابِعَةِ مُسْنِدًا ظَهْرَهُ بِالْبَيْتِ الْمَعْمُورِ الَّذِي يَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفًا مِنَ الْمَلَائِكَةِ ثُمَّ لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ آخِرَ مَا عَلَيْهِمْ، وَمَا وَقَعَ فِي حَدِيثِ شَرِيكِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسٍ فِي حَدِيثِ الْإِسْرَاءِ؛ مِنْ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ فِي السَّادِسَةِ وَمُوسَى فِي السَّابِعَةِ، فَمِمَّا انْتُقِدَ عَلَى شَرِيكٍ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَالصَّحِيحُ الْأَوَّلُ. ثُمَّ مِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّ إِبْرَاهِيمَ أَفْضَلُ مِنْ مُوسَى الْحَدِيثُ الَّذِي قَالَ فِيهِ: «وَأَخَّرْتُ الثَّالِثَةَ لِيَوْمٍ يَرْغَبُ إِلَيَّ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهَذَا هُوَ الْمَقَامُ الْمَحْمُودُ الَّذِي أَخْبَرَ عَنْهُ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ بِقَوْلِهِ: «أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا فَخْرَ» . ثُمَّ ذَكَرَ اسْتِشْفَاعَ النَّاسِ بِآدَمَ، ثُمَّ بِنُوحٍ، ثُمَّ بِإِبْرَاهِيمَ، ثُمَّ مُوسَى، ثُمَّ عِيسَى فَكُلُّهُمْ يَحِيدُ عَنْهَا، حَتَّى يَأْتُوا مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَقُولُ: «أَنَا لَهَا أَنَا لَهَا» . الْحَدِيثَ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا
পৃষ্ঠা - ৩৯৩
عَبْدُ اللَّهِ، حَدَّثَنِي سَعِيدٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَكْرَمُ النَّاسِ؟ قَالَ: أَتْقَاهُمْ. قَالُوا: لَيْسَ عَنْ هَذَا نَسْأَلُكَ. قَالَ: فَيُوسُفُ نَبِيُّ اللَّهِ ابْنُ نَبِيِّ اللَّهِ ابْنِ نَبِيِّ اللَّهِ ابْنِ خَلِيلِ اللَّهِ. قَالُوا: لَيْسَ عَنْ هَذَا نَسْأَلُكَ. قَالَ: فَعَنْ مَعَادِنِ الْعَرَبِ تَسْأَلُونِي؟ خِيَارُهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الْإِسْلَامِ إِذَا فَقِهُوا» . وَهَكَذَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ أُخَرَ، وَمُسْلِمٌ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْقَطَّانِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، وَهُوَ ابْنُ عُمَرَ الْعُمَرِيُّ بِهِ. ، ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: قَالَ أَبُو أُسَامَةَ، وَمُعْتَمِرٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْتُ: وَقَدْ أَسْنَدَهُ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ مِنْ حَدِيثِهِمَا، وَحَدِيثِ عَبْدَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ بِشْرٍ أَرْبَعَتُهُمْ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَذْكُرُوا أَبَاهُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْكَرِيمَ ابْنَ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ اللَّهِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْكَرِيمَ ابْنَ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْكَرِيمُ ابْنُ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৯৪


ইমাম আহমদ (ব) আবুহুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :


এে;
একজন সম্মানিত পুত্র যার পিতাও ছিল সম্মানিত ৷ তার পিতাও ছিল সম্মানিত এবং তার

পিতাও ছিল সম্মানিত ৷ এরা হল ইউসুফ, তার পিতা ইয়াকুব ৷৩ তার পিতা ইসহড়াক এবং তার

পিতা ইবরাহীম খলীল (আ) ৷ ইমাম আহমদ (র) এ হাদীসটি এককভ ড়াবে বর্ণনা করেছেন ৷

হযরত মুসা (আ) থেকে হযরত ইব্রাহীম (আ) যে শ্রেষ্ঠ এ বিষয়টি নিম্নোক্ত হাদীসের দ্বারা
প্রতীয়মান হয় ৷ যেখানে বলা হয়েছে :

অর্থাৎ তৃড়ীয় যে বৈশিষ্ট্যটি আমাকে দান করা হয়েছে তা সেইদিন দেয়া হবে, যেই দিন
সমস্ত মানুষ আমার প্রতি আকৃষ্ট হবে, এমনকি ইবরাহীমও ৷

এ হাদীস ইমাম মুসলিম উবাই ইবন কাব (রা) সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ আর তাহল
মাকামে মাহ্মুদ’ ৷ রাসুল (সা) পুর্বেই তা জানিয়ে দিয়েছেন এই বলে যে, কিয়ামতের দিন
আমি হব বনী আদমের সর্দার এবং এতে আমার অহংকার নেই ৷ ’ ঐ হাদীসে এর পর বলা
হয়েছে যে মানুষ সুপারিশ পাওয়ার জন্যে আদম (আ) এর কাছে যাবে, তারপর নুহ, তারপরে
ইব্রাহীম, তারপরে মুসা ও তারপরে ঈসা (আ) এর কাছে যাবে ৷ প্রত্যেকেই সুপারিশ করতে
অস্বীকার করবেন ৷ সবশেষে মুহাম্মদ (সা) এর কাছে যাবে ৷ তখন তিনি বলবেন, আমিই এর
যোগ্য ৷ এটা আমারই কাজ ৷’ বুখারী শরীফে বিভিন্ন জায়গায় এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷ ইমাম
মুসলিম ও নাসাঈ ইবন উমর আল আময়ী সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম বুখারী (র) আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রসুলুল্পাহ (স)-কে জিজ্ঞেস করা
হয়, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! অধিক সম্মানিত মানুষ কো রসুলুল্লাহ (সা) বললেন : অধিকতর মুত্তাকী
ব্যক্তি ৷ তারা বললেন : আমরা আপনাকে এ কথা জিজ্ঞেস করি নাই ৷ পরে তিনি বললেন, তা
হলে ইউসুফ; যিনি আল্লাহর নবী, তার পিতাও আল্লাহর নবী, তার পিতাও আল্লাহর নবী এবং
তার পিতা আল্লাহ্র খলীল ৷ সাহাবাগণ বললেন : আমরা এটাও জিজ্ঞেস করিনি ৷ তিনি
বললেন, তা হলে কি তোমরা আরবদের উৎসসমুহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছা তবে গােন :
জাহিলী যুগে যারা উত্তম ছিল, ইসলামী যুগেও তারাই উত্তম, যদি তারা ব্যুৎপত্তিসম্পন্ন হয় ৷
বুখারী, নাসাঈ ও আহমদ (র) বিভিন্ন সুত্রে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (ব)
ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বংনাি ৷,করেন রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন৪ হাশরের ময়দানে মানুষকে
নগ্ন পায়ে, উলঙ্গ ও খাত্নাবিহীন অবস্থায় উঠান হবে ৷ সর্বপ্রথম ইব্রাহীম (আ) কে কাপড়

পরান হবে ৷ এরপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত পাঠ করেন :াশু প্রুপু১ ’ পুট্রুন্ শু১৷ রুর্চু fl$

যে অবস্থায় আমি প্রথমে সৃষ্টি করেছি ঐ অবন্থায়ই পুনরায় উঠার ৷ ’ (২১ আম্বিয়া : ১০৪)

ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র) উভয়েই এ হাদীসটি ভিন্ন সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ হযরত
ইব্রাহীম (আ)-এর এই বিশেষ ফযীলত ও সম্মানের কারণে তিনি মাকামে মাহমুদের


إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ» . تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ طَرِيقِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهِ. فَأَمَّا الْحَدِيثُ الَّذِي رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي مُغِيرَةُ بْنُ النُّعْمَانِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُحْشَرُ النَّاسُ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا فَأَوَّلُ مَنْ يُكْسَى إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ» . ثُمَّ قَرَأَ {كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ} [الأنبياء: 104] . فَأَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، وَشُعْبَةَ بْنِ الْحَجَّاجِ، كِلَاهُمَا عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ النُّعْمَانِ النَّخَعِيِّ الْكُوفِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِهِ. وَهَذِهِ الْفَضِيلَةُ الْمُعَيَّنَةُ لَا تَقْتَضِي الْأَفْضَلِيَّةَ بِالنِّسْبَةِ إِلَى مَا قَابَلَهَا مِمَّا ثَبَتَ لِصَاحِبِ الْمَقَامِ الْمَحْمُودِ الَّذِي يَغْبِطُهُ بِهِ الْأَوَّلُونَ وَالْآخِرُونَ، وَأَمَّا الْحَدِيثُ الْآخَرُ الَّذِي قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ هُوَ الثَّوْرِيُّ، عَنْ مُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا خَيْرَ الْبَرِيَّةِ فَقَالَ: " ذَاكَ إِبْرَاهِيمُ» . فَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الثَّوْرِيِّ، وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِدْرِيسَ، وَعَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، وَمُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ أَرْبَعَتُهُمْ عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَهَذَا مِنْ بَابِ الْهَضْمِ، وَالتَّوَاضُعِ مَعَ وَالِدِهِ الْخَلِيلِ عَلَيْهِ السَّلَامُ، كَمَا قَالَ: «لَا تُفَضِّلُونِي عَلَى الْأَنْبِيَاءِ» . وَقَالَ «لَا تُفَضِّلُونِي عَلَى مُوسَى فَإِنَّ النَّاسَ يُصْعَقُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَأَكُونُ أَوَّلَ مَنْ يُفِيقُ فَأَجِدُ مُوسَى
পৃষ্ঠা - ৩৯৫


অধিকারীর’ তুলনায় অধিক সম্মানিত হয়ে মাননি ৷ যে মাকামে মাহমুদের জন্যে প্রথম থেকে
শেষ পর্যন্ত সবাই ঈর্ষাম্বিত হবেন ৷

ইমাম আহমদ (র) আনাস ইবন মালিক (রা ) সুত্রে বর্ণনা করেনষ্ক এক ব্যক্তি রাসুল
রাসুল (সা) বললেন,
তিনি হলেন হযরত ইব্রাহীম (আ) ৷ ইমাম মুসলিমও এ হাদীসটি বিভিন্ন মাধ্যমে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিরমিযী (র) একে সহীহ ও হাসান বলেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) এ কথাটি আপন
পিতৃ পুরুষ হযরত ইব্রাহীম (আ) এর সম্মানার্থে বিনয় প্রকাশ স্বরুপ বলেছেন ৷ যেমন তিনি
বলেছেনং অন্য নবীদের উপরে তোমরা আমাকে প্রাধান্য দিও না ষ্পু; ন্£প্ণ্ম্রা)
( ৷ -ট্রু১া ৷ তিনি আরও বলেছেন ং তোমরা আমাকে মুসার উপর শ্রেষ্ঠত্ডু দান করো ন ৷
কারণ, কিয়ামতের দিন সকল মানুষ বেছুশন্হয়ে পড়ে থাকবে ৷ অতঃপর সর্বপ্রথম আমার ছুশ
ফিরে আসবে ৷ কিন্তু আমি উঃঠ দেখতে পাব মুসা (আ) আল্লাহর আরশের স্তম্ভ ধরে দাড়িয়ে
আছেন ৷ আমি জানি না, মুসা (আ) ক্লি আমার পুর্বেই ভুশপ্রাপ্ত হবেন, না কি তুর পাহাড়ে বেছুশ
হওয়ার বদলাস্বরুপ এ রকম করা হবো এই সব বর্ণনা থাকা সত্বেও মুহাম্মদ (সা) এর
কিয়ামতের দিন বনী আদমের শ্রেষ্ঠ সন্তান ও সর্দার হওয়াতে কোন ব্যত্যয় ঘটবে না ৷ কেননা,
মুতাওয়াতির সুত্রে একথা প্রমাণিত যে, কিয়ামতের দিন তিনিই হবেন ণ্া!াগ্লু তথা
মানবকুল শ্রেষ্ঠ ৷

অনুরুপতাবে মুসলিম শরীফে উবাই ইবন বা ব সুত্রে বর্ণিত হাদীস আমাকে যে তিনটি
বিশেষত্ব দান করা হয়েছে তার তৃতীয়টি সেদিন দেয়৷ হয়ে, যেদিন সকল মানুষ আমার প্রতি
আকৃষ্ট হবে ৷ এমনকি ইবরাহীমও’ ৷ এর দ্বারা রাসুলুল্লাহ (সা) এর শ্রেষ্ঠতুই প্রমাণিত হয় ৷
হযরত মুহাম্মদ (সা) এর পরেই হযরত ইব্রাহীম (আ) এর শ্রেষ্ঠতু ও উলুল আয্ম রাসুল
প্রমাণিত হবার কারণে সালাতের মধ্যে তাশাহ্হুদে ইব্রাহীম (আ) এর উল্পেখ করতে
মুসল্লীদেরকে আদেশ দেওয়া হয়েছে ৷ যেমন বুথারী ও মুসলিমে কাব ইবন আজুরা (রা) প্রমুখ
থেকে বর্ণিত হয়েছে ৷ কাব বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ! আপনার প্রতি

সালাম তো আমরা জানি, কিন্তু আপনার প্রতি সালাত র্কীভাবেঃ জবাবে রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, তোমরা বলবে০ ং

(হে আল্পাহ্ ! মুহাম্মদের প্রতি ও তার পরিবার বর্গের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন যেমনি
আপনি ইবরাহীমের উপর ও তার পরিৰারবর্গের উপরে রহমত বর্ষণ করেছিলেন ৷ আর
মুহাম্মদের প্রতি এবং তার পরিবারবার্গর প্রতি বরকত দান করুন ৷ যেমনি আপনি ইবৃরাহীমের
উপর ও তার পরিবারবর্গের প্রতি বরকত দান করেছিলেন ৷ আপনি অত্যধিক প্রশংসিত ও
সম্মানিত) ৷
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৪৯-


بَاطِشًا بِقَائِمَةِ الْعَرْشِ، فَلَا أَدْرِي أَفَاقَ قَبْلِي أَمْ جُوزِيَ بِصَعْقَةِ الطُّورِ» . وَهَذَا كُلُّهُ لَا يُنَافِي مَا ثَبَتَ بِالتَّوَاتُرِ عَنْهُ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ مِنْ أَنَّهُ سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ. وَكَذَلِكَ حَدِيثُ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ فِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ «وَأَخَّرْتُ الثَّالِثَةَ لِيَوْمٍ يَرْغَبُ إِلَيَّ الْخَلْقُ كُلُّهُمْ حَتَّى إِبْرَاهِيمُ» . وَلَمَّا كَانَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ أَفْضَلَ الرُّسُلِ وَأُولِي الْعَزْمِ بَعْدَ مُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ أُمِرَ الْمُصَلِّي أَنْ يَقُولَ فِي تَشَهُّدِهِ مَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، وَغَيْرِهِ قَالَ: قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا السَّلَامُ عَلَيْكَ قَدْ عَرَفْنَاهُ، فَكَيْفَ الصَّلَاةُ عَلَيْكَ؟ قَالَ: «قُولُوا: اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، وَبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ» . وَقَالَ تَعَالَى: {وَإِبْرَاهِيمَ الَّذِي وَفَّى} [النجم: 37] . قَالُوا: وَفَّى جَمِيعَ مَا أُمِرَ بِهِ. وَقَامَ بِجَمِيعِ خِصَالِ الْإِيمَانِ وَشُعَبِهِ، وَكَانَ لَا يَشْغَلُهُ مُرَاعَاةُ الْأَمْرِ الْجَلِيلِ عَنِ الْقِيَامِ بِمَصْلَحَةِ الْأَمْرِ الْقَلِيلِ، وَلَا يُنْسِيهِ الْقِيَامُ بِأَعْبَاءِ الْمَصَالِحِ الْكِبَارِ عَنِ الصِّغَارِ قَالَ عَبْدُ الرَّزَّاقِ: أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ {وَإِذِ ابْتَلَى إِبْرَاهِيمَ رَبُّهُ بِكَلِمَاتٍ فَأَتَمَّهُنَّ} [البقرة: 124] . قَالَ: ابْتَلَاهُ اللَّهُ بِالطَّهَارَةِ خَمْسٌ فِي الرَّأْسِ، وَخَمْسٌ فِي الْجَسَدِ فَأَمَّا الَّتِي فِي الرَّأْسِ؛ قَصُّ الشَّارِبِ، وَالْمَضْمَضَةُ، وَالسِّوَاكُ، وَالِاسْتِنْشَاقُ، وَفَرْقُ
পৃষ্ঠা - ৩৯৬


é
আল্লাহর বাণীং : §§ ৰু^ব্লু;া৷ ণ্পু১১০শু!ৰু “আর ইব্রাহীম তার দ যিও পুর্ণ করেছিল ৷”

অর্থাৎ র্তাকে যত প্রকার হুকুম করা হয়েছিল তিনিত তার সবগুলোই পালন করেছিলেন ৷ ঈমানের
সমস্ত গুণাগুণ ও সকল শাখা ৰু প্রশাখা তিনি আয়ত্ত করেছিলেন ৷ কোন বড় ও জটিল সমস্যাই
র্তাকে কোন ছোট হুকুম পালনেও বাধা দিতে পারেনি এবং বড় ধরনের হুকুম পালনের ক্লা ন্তি
তাকে ছোট ধরনের হুকুয়ুদ্বুালনে বিরত রাখেনি ৷ আবদুর রাঘৃযাক (র) ইবন আব্বাস (রা)
সুত্রে নিম্নের আয়াত ১াদ্বু (স্মরণ কর
ইবরাহীমকে৩ার প্রতিপালক কয়েকটি বিষয়ে পর্বীক্ষ৷ নিলে তিনি সবগুলোই পুরণ করেন) এর
ব্যাখ্যার বলেছেন০ : আল্লাহ্ ইব্রাহীমকে মাথা সংক্রান্ত পাচ প্রকার, পবিত্রত৷ এবং দেহের
অবশিষ্ট অংশ সংক্রান্ত পাচ প্রকার পবিত্রতার হুকুম দ্বারা পরীক্ষা করেছেন ৷ মাথার পড়াচ প্রকার
এই : (১) পোফ কাটা (২) কুলি করা (৩) মিসৃওয়াক করা (৪) পানি দ্বারা নাক পরিষ্কার করা
(৫) মাথার চুলের সিথি কাটা ৷ অবশিষ্টশরীরের পড়াচ প্রকার হন ( ১) নখ কাটা (২) নাভীর
নীচের গশম মুণ্ডন (ও) খাতৃন৷ করা (৪) বগলের পশমউঠান (জ) থেশাব-পায়খানার পর পানি
দ্বারা শৌভ করা ৷ ইবন আবু হাতিম এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ আবদুর রাঘৃযাক বলেন, সাঈদ
ইবনুলৰু মুসাব্যিব, মুজাহিদ, শাবী, নখঈ, আবু সালিহ্ ও আবুল জালদও অনুরুপ হাদীস বর্ণনা
করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিমে আবুহ্বায়্রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছেন :
মানুষের স্বভারগত পরিচ্ছন্নত৷ পড়াচটি ( ১ ) খাত নাণ্ করা (২) গৌর কর্ম করা (৩) পেড়াক কাটা
(৪) নখ কাটা (৫) বগলের পশম উঠান ৷ সহীহ মুসলিম ও সুনান প্রন্থাদিতে আয়েশা (রা) সুত্রে
বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, স্বভাবগত পরিচ্ছন্নতা দশটি ( ১ ) পোফ ছুাটা (২ ) দাড়ি লম্বা
হতে দেয়৷ (৩) মিসওয়াককরা (৪ ) পানি দ্বারা নাক পরিষ্কার করা (৫) নখ কাটা (৬) দেহের
গ্রন্থি পানি দ্বারা ধোয়া (৭) বগলের পশম উঠান (৮) নাভীর নীচের অংশে ফৌর করা ৷ (৯)
পানি দ্বারা ইসতিনজা করা (১০) খাত্নাণ্করা ৷ খাত্নার সময়ে তার (ইব্রাহীম (আ)-এর)
বয়স সম্পর্কে আলোচনা পরে আসছে ৷ যাই হোক নিষ্ঠা, আত্তরিকতা ও একাগ্রতড়ার সাথে
ইবড়াদত-বন্দেগী হযরত ইবরাহীম (আ)-কে শরীরের যত্ন নেয়া, প্রত্যেক অংগ-প্রত্যৎগের হক
আদায় করা, সৌন্দর্য রক্ষা করা এবং যে জিনিসগুলো ক্ষতিকর ছিল যথাং : :অধিক পরিমাণ চুল,
বড় নখ, দাতের ময়লা ও দাগ দুর করা থেকে অন্নুনােযােগী করে রাখত না ৷ সুতরাৎএ
ৰিষয়গুলােও আল্লাহ্ কর্তৃক ইবরাহীমের প্রশংসা ( ১গ্লু é; ৷ ণ্ ণ্গু০ঔাএ) (ইব্রাহীম তার
কর্তব্য বাস্তবায়ন করেছে)-এর অন্তর্ভুক্ত ৷

,

, জান্নাতে হযরত ইবরাহীম (আ)-এর প্রাসাদ

হাফিজ আবু বকর আল বাঘৃযার (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা)
বলেছেনং জান্নাতের মধ্যে মনি-মুক্ত৷ দ্বারা নির্মিত একটি অতি মনােরম প্রাসাদ রয়েছে ৷ কোন
ভাৎপাচুরা বা ফাটল তাতে ণ্নইণ্ ৷ অ ল্লাহ তার খলীলের জন্যে এটি তৈরি করেছেন ৷ আল্লাহ্র
মেহমান হিসেবে তিনি তাতে থাকবেন ৷ বাঘৃযার (র) আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে অনুরুপ হাদীস
বর্ণনা ৷করেছেন ৷ অতং পর বাযুযার (র) বলেন, এই হাদীসের বর্ণনাকারী হামমাদ ইবন স ৷লামা


الرَّأْسِ. وَأَمَّا الَّتِي فِي الْجَسَدِ؛ تَقْلِيمُ الْأَظْفَارِ، وَحَلْقُ الْعَانَةِ، وَالْخِتَانُ، وَنَتْفُ الْإِبِطِ، وَغَسْلُ أَثَرِ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ بِالْمَاءِ. رَوَاهُ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ. وَقَالَ: وَرُوِيَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَمُجَاهِدٍ، وَالشَّعْبِيِّ، وَالنَّخَعِيِّ، وَأَبِي صَالِحٍ، وَأَبِي الْجَلْدِ نَحْوُ ذَلِكَ. قُلْتُ: وَفِي الصَّحِيحَيْنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الْفِطْرَةُ خَمْسٌ؛ الْخِتَانُ، وَالِاسْتِحْدَادُ، وَقَصُّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمُ الْأَظْفَارِ، وَنَتْفُ الْإِبِطِ» . وَفِي صَحِيحِ مُسْلِمٍ، وَأَهْلِ السُّنَنِ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ شَيْبَةَ الْعَبْدَرِيِّ الْمَكِّيِّ الْحَجَبِيِّ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَشْرٌ مِنَ الْفِطْرَةِ؛ قَصُّ الشَّارِبِ، وَإِعْفَاءُ اللِّحْيَةِ، وَالسِّوَاكُ، وَاسْتِنْشَاقُ الْمَاءِ، وَقَصُّ الْأَظْفَارِ، وَغَسْلُ الْبَرَاجِمِ، وَنَتْفُ الْإِبِطِ، وَحَلْقُ الْعَانَةِ، وَانْتِقَاصُ الْمَاءِ يَعْنِي الِاسْتِنْجَاءَ» . وَسَيَأْتِي فِي ذِكْرِ مِقْدَارِ عُمُرِهِ الْكَلَامُ عَلَى الْخِتَانِ، وَالْمَقْصُودُ أَنَّهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ كَانَ لَا يَشْغَلُهُ الْقِيَامُ بِالْإِخْلَاصِ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، وَخُشُوعُ الْعِبَادَةِ الْعَظِيمَةِ عَنْ مُرَاعَاةِ مَصْلَحَةِ بَدَنِهِ، وَإِعْطَاءِ كُلِّ عُضْوٍ مَا يَسْتَحِقُّهُ مِنَ الْإِصْلَاحِ وَالتَّحْسِينِ، وَإِزَالَةِ مَا
পৃষ্ঠা - ৩৯৭


থেকে কেবল য়াযীদ ইবন হারুন ও নযর ইবন শুমায়লী মারকু হিসেবে হাদীসটি বর্ণনা
করেছেন ৷ ঐ দু’জন বাদে অন্য সবাই মওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ৷ এই ত্রুটি না
থাকলে হাদীসটি সহীহ্-এর শর্তে উত্তীর্ণ হ্যতা, বিন্দু ইমাম বুখারী ও মুসলিম (র) এটি
বর্ণনা করেননি ৷

ইব্রাহীম (আ)-এর আকৃতি-অবয়ব

ইমাম আহমদ (র) জাবির (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন : আমার
সম্মুখে পয়গম্বরগণকে ৫প্যা করা হয় ৷তন্মধ্যে মুসা (আ) শানুয়া গোত্রের ণ্লাকদের অনুরুপ
দেখতে পাই ৷ ঈসা ণ্ ইবন মারয়াম (আ)-কে অনেকটা উরওয়া ইবন মাসউদের মত এবং
ইব্রাহীম (আ)-কে অনেকটা দাহ্য়া কালবীর মত দেখতে পাই ৷ এ সনদে ও এ পাঠে ইমাম
আহমদ (র) একাই এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) আসওয়াদ ইবন আব্বাস
(বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন : আমি ঈসা ইবন মারয়সে , মুসা ও ইব্রাহীম
(আ)-ণ্ক দেখেছি ৷ তন্মধ্যে ঈসা (আ) ছিলেন গৌরবর্ণ, চুল ঘন কাল, বক্ষদেশ প্রশস্ত ৷ আর
মুসা (আ) ছিলেন ধুসরবর্ণ ও বলিষ্ঠ দেহী ৷ সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন : আর ইব্রাহীম (আ) ?
রাসুলুল্লাহ (স) বললেন, তোমাদের সাথীর দিকে তড়াকাও অর্থাৎ তার নিজের দিকে ইঙ্গিত
করেন ৷ ইমাম বুখারী মুজাহিদ সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইবন আব্বাস (রা) থেকে শুন্যেছন
;যে, লোকজন তার সম্মুখে দাজ্জাশের প্রসঙ্গ দিয়ে আলোচনা করছিল এবং বলছিল, দাজ্জালের
চক্ষুদ্বয়ের মধ্যখানে লিখিত থাকবে কাফিৱ ( এ-ব্র এ ) ৷ ইবন আব্বাস (রা) বললেন, আমি
রাসুলুল্লাহ (স)-এর কাছে এ কথা শুনি নাই ৷ বরং তিনি বলেছেন : ইব্রাহীম (আ) কে যদি
দেখতে চাও, তবে তোমাদের সাথীর প্রতি তড়াকাও ৷ আর মুসা (আ) হলেন, যনচুল্, ধুসর রং
বিশিষ্ট ৷ তিনি একটি লাল উটের উপর ন্উপবিষ্ট-যার নাকের রশি খেজুর গাছের ছালের তৈরি ৷
আমি যেন দেখতে পাচ্ছি তিনি এ অবস্থায় উপত্যকার দিকে নেমে আসছেন ৷ বৃখারী ও মুসলিম
(র) এ হাদীসটি ভিন্ন সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বৃখারী (র) কিতড়াবুল হজ্জ’ ও কিতাবুল
লিবাসে’ এবং মুসলিম (র)ও আবদুল্লাহ-ইবন আওন সুত্রে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন ৷

হযরত ইব্রাহীম , (আ)-এর ইনতিকাল ও তার বয়স প্রসঙ্গ ষ্

ইবন জারীর (র) তার ইতিহাস গ্রন্থে লিখেছেন, হযরত ইব্রাহীম (আ) নমরুদ (ইবন
কিনআন)-এর যুগে জন্মগ্রহণ করেন ৷ কথিত আছে যে, এই নমরুদই ছিল প্রসিদ্ধ বাদশাহ
যাহ্হাক ৷ সে দীর্ঘ এক হাজার বছর যাবত বাদশাহী করেছিল বলে মরে করা হয়ে থাকে ৷তার
শাসন আমল ছিল জুলুম-অত্যাচারে পরিপুর্ণ ৷ কোন কোন ইতিহাসবিদের মতে, এই নমরুদ
ছিল বনু রাসিব গোত্রের লোক ৷ এই গোত্রেই হযরত নুহ (আ) প্রেরিত হয়েছিলেন ৷ নমরুদ ঐ
সময় সমগ্র দুনিয়ার বাদশাহ ছিল ৷ ইতিহড়াসবিদগণ উল্লেখ করেছেন, একদা আকাশে একটি
নক্ষত্র উদিত হয় ৷ তার জ্যোতির সম্মুখে সুর্য ও চন্দ্র নিম্প্রড হয়ে যায় ৷ এ অবস্থায় লোকজন
ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে ৷ নমরুদ বিচলিত হয়ে দেশের সব গণক ও জ্যোতির্বিদদের একত্র করে


يَشِينُ مِنْ زِيَادَةِ شَعْرٍ أَوْ ظُفُرٍ، أَوْ وُجُودِ قَلَحٍ أَوْ وَسَخٍ، فَهَذَا مِنْ جُمْلَةِ قَوْلِهِ تَعَالَى فِي حَقِّهِ مِنَ الْمَدْحِ الْعَظِيمِ {وَإِبْرَاهِيمَ الَّذِي وَفَّى} [النجم: 37] .