আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم

وفادة زياد بن الحارث الصدائي رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ৩৮০২


লাগল এবং অনেকে পেছনে রয়ে গেল ৷ অবশেষে আমি ব্যতীত তার সাথে আর কেউ রইল
না ৷ ফজর সালাতের সময় হয়ে এলে তিনি আমাকে আমান দিতে বললেন ৷ আমি আমান
দিলাম এবং কিছু সময় বাদে একটু পরপর বলতে লাগলাম ইকামাত বলব কি ইয়া
রাসুলাল্লাহ্? তিনি পুর্ব দিকে তাকিয়ে দেখে দেখে আকাশ ফর্সা হওয়ার অপেক্ষা করতে
লাগলেন এবং বলতে থাকলেন-না ৷ পুরোপুরি ফর্সা হয়ে গেলে তিনি বাহনব থেকে নামলেন
এবং প্রাকৃতিক প্রয়োজন সমাধা করার জন্য একটু দুরে গেলেন ৷ তিনি ফিরে এলে ততক্ষণে
তার সাহাবীগণও কাছে কাছে এসে পেলেন ৷ তিনি বললেন, তোমার কাছে পানি আছে কি হে
সুদাই! আমি বললাম জী, না ৷ তবে সামান্য কিছু যা আপনার জন্য যথেষ্ট হবে না ৷ তিনি
বললেন, একটি পাত্রে করে তা আমার কাছে নিয়ে এস ৷ আমি তা নিয়ে আসলে তিনি তার
হাত সে পানিতে রাখলেন ৷ সুদাই (রা) বলেন, দেখলাম তার আৎগুলসমুহের দুআৎগুলের মাঝ
দিয়ে একটি স্রোত ধারা টগবগিয়ে বেরিয়ে আসছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-


“আমার মহান ও মহীয়ান প্রতিপালকের কাছে সংক্যেচ না করলে আমার এ পানি দিয়ে
নিজেরাও পান করতাম, অন্যদেরকেও পান করতাম ৷ ” সাহাবীদের ডেকে বলে দাও, কার কার
পানির প্রয়োজন রয়েছে ৷ আমি সেরুপ ঘোষণা দিয়ে দিলাম ৷ তাদের যার যার ইচ্ছা হল কিছু
নিয়ে নিলেন ৷ তারপর রাসুলাল্পাহ্ (সা) সালাতের উদ্দেশ্যে র্দড়োলেন এবং ৰিলাল (বা)
ইকামাত বলতে উদ্যত হলে রাসুলুলাল্পাহ্ (সা) তাকে বললেন, সুদাই লেড়াকটি আমান দিয়েছে

ণ্ন্াদ্ৰপ্লু গ্রাএ ত্বো @এ; “যে আযান দিয়েছে সেই ইকামাত বলবে ৷ সুদাই (বা) বলেন , আমি
ইকামাত দিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সালাত সমাপ্ত করলে আমি সনদপত্র দুটি নিয়ে তার কাছে
নিয়ে বললড়াম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! এ দুটির ব্যাপারে আমাকে ক্ষমা করুন ৷ তিনি বললেন, কেন?
তোমার আবার কী হল ? আমি বললাম, আমি আপনাকে বলতে শুনেছি যে, মুমিন ব্যক্তির জন্য
আমীর হওয়াতে কল্যান নেই; আমি তো আল্লাহ্ ও তার রাসুলের প্রতি ঈমান এসেছি ৷ আর
আমি শুনেছি, আপনি ঐ সাহায্য প্রার্থীকে বলেছেন, সম্পদশালী হয়েও যে ব্যক্তি মানুষের কাছে
হাত পাতে তা তার জন্য মাথাব্যথা ও উদর পীড়ার কারণ হয় ৷ আমি ৰিত্তবান হয়েও আপনার
কাছে যাকাতের আবেদন করেছিলাম ৷ তিনি বললেন, তা তেমনই ৷ এখন তোমার ইচ্ছা হলে
নিতে পার, ইচ্ছা হলে বাদ দিতে পার ৷ আমি বললাম, আমি নিচ্ছি না ৷ তখন রাসুলাল্লাহ্ (সা)
আমাকে বললেন, তা হলে আমাকে এমন কোন লোকের সন্ধান দাও, যাকে আমি তোমাদের
আমীর নিয়োগ করতে পারি ৷ আমি তার কাছে আগত আমাদের প্রতিনিধিদলের এক ব্যক্তির
কথা বললাম ৷ তিনি তাকে কওমের আমীর ও প্রশাসক নিয়োগ করলেন ৷

পরে আমরা বললাম, ইয়ড়া রাসুলাল্লাহ্ আমাদের এক কুয়াে আছে, শীতকালে তার পানি
আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায় এবং আমরা সেটিকে কেন্দ্র করে সমাজবদ্ধ জীবন যাপন করি ৷
কিন্তু গ্রীষ্মকাল এসে পড়লে তার পানি কমে যায়, তাই আশপাশে পানির খোজে আমাদের
বিক্ষিপ্ত হয়ে যেতে হয় ৷ এখন তো আমরা মুসলমান হয়ে গেলাম, আমাদের আশপাশে যারা
রয়েছে তারা সকলেই আমাদের শত্রু ৷ আমাদের জন্য কুয়োটির ব্যাপারে আল্লাহর কাছে দুআ
করুন, যেন তার পানি আমাদের প্রয়োজনের জন্যে যথেষ্ট হয় ৷ তা হলে আমরা সংঘবদ্ধ


رَسُولَ اللَّهِ؟ ثُمَّ إِذَا الْأُخْرَى أَجْمَلُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ وَأَهْلُكُ؟ قَالَ: " وَأَهْلِي لَعَمْرُ اللَّهِ، مَا أَتَيْتَ عَلَيْهِ مِنْ قَبْرِ عَامِرِيٍّ أَوْ قُرَشِيٍّ مِنْ مُشْرِكٍ، فَقُلْ: أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ مُحَمَّدٌ فَأُبَشِّرُكَ بِمَا يَسُوءُكَ ; تُجَرُّ عَلَى وَجْهِكَ وَبَطْنِكَ فِي النَّارِ ". قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا فَعَلَ بِهِمْ ذَلِكَ وَقَدْ كَانُوا عَلَى عَمَلٍ لَا يُحْسِنُونَ إِلَّا إِيَّاهُ، وَقَدْ كَانُوا يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ مُصْلِحُونَ؟ قَالَ: " ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ بَعَثَ فِي آخِرِ كُلِّ سَبْعِ أُمَمٍ - يَعْنِي نَبِيًّا - فَمَنْ عَصَى نَبِيَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ، وَمَنْ أَطَاعَ نَبِيَّهُ كَانَ مِنَ الْمُهْتَدِينَ ".» هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ جِدًّا وَأَلْفَاظُهُ فِي بَعْضِهَا نَكَارَةٌ وَقَدْ أَخْرَجَهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي كِتَابِ " الْبَعْثِ وَالنُّشُورِ "، وَعَبْدُ الْحَقِّ الْإِشْبِيلِيُّ فِي " الْعَاقِبَةِ "، وَالْقُرْطُبِيُّ فِي كِتَابِ " التَّذْكِرَةِ فِي أَحْوَالِ الْآخِرَةِ " وَسَيَأْتِي فِي كِتَابِ " الْبَعْثِ وَالنُّشُورِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى. [وِفَادَةُ زِيَادِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ] قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو أَحْمَدَ الْأَسَدَابَاذِيُّ بِهَا أَنْبَأَنَا أَبُو بَكْرٍ
পৃষ্ঠা - ৩৮০৩


থাকতে পারব, বিক্ষিপ্ত হওয়ার প্রয়োজন পড়বেনা ৷ তিনি সাতটা কৎকর নিয়ে আসতে
বললেন ৷ তিনি সেগুলিকে হাত দিয়ে রপড়ালেন এবং তাতে দুআ পড়ে দিয়ে বললেন, এ

ৎকরণ্ডলি নিয়ে যাও ৷ কুয়াের কাছে পৌছে গোল আল্লাহর নাম নিয়ে নিয়ে এর এক একটি
ছেড়ে দেবে ৷ সৃদাই (রা) বলেন, আমরা তার কথামতই কাজ করলাম ৷ ফলে আমরা আর
কখনো সে কুয়েড়ার তলা দেখতে পাইনি ৷ সৃনানই আবু দাউদ, তিমমিযী ও ইবনু মাজাতে এ
হাদীসের সমর্থক রিওরারাতে রয়েছে ৷

ওয়াকিদী (র) উল্লেখ করেছেন যে, রাসুলাল্লাহ্ (সা) উমরাতুল-জ্যিছুররড়ানা (জিইররামা থেকে
আগমন করে আদায়কৃত উমরা) এর পরে কায়স ইবন সড়াদ ইবন উরাদা (রা)-কে চারশ’
লোকের বাহিনী সহ সুদাইদের শায়েস্তা করার উদ্দেশ্য তাদের এলাকার পাঠিয়েছিলেন ৷
সুদাইরা একজন দুত পাঠাল এবং সে এই নিশ্চয়তা দিল আমার সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে প্রেরিত
বাহিনী ফেরত নিয়ে নিন, আমি তাদের ষামিন হচ্ছি ৷ তারপর তাদের পনর সদসেরে
প্রতিনিধিদল উপস্থিত হল ৷ তারপর তাদের একশ’ সদস্যের কাকেলা বিদায় হত্তজ্জ অংশগ্রহণ
করে ৷ পরবভীচিত ওয়াকিদী (র) ছাওয়ী (র) যিয়াদ ইবনু হারিছ আসণ্সুদাই (রা) থেকে তার
আযান এর ঘটনা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

রাসুলাল্পাহ্ (সা) সকাশে হারিছ ইবন হাসৃসান
আলবিকরীর প্রতিনিধিত্ব প্রসংড়াপ

ইমাম আহমদ (র) বলেন, যায়দ ইবনুল হুবড়াব (র) (আবু ওয়াইল (র) থেকে, তিনি) হারিছ
অড়াল-ৰিকরী (রা) থেকে, তিনি বলেন, আলা ইবনুল হাযরড়ামী (রা)-এর বিরুদ্ধে রাসুলাল্লাহ্
(সা) এর কাছে অভিযোগ দায়ের করার জন্য আমি সফরে রের হলাম ৷ রাবামা’ অতিক্রম
করার সময় সেখানে আমি একাকিনী বাহন-বিহীন এক তামীযী বৃদ্ধাকে দেখতে পেলাম ৷ বৃদ্ধা
বলল, হে আল্লাহর বান্দা৷ রাসুলাল্লাহ্ (না)-এর কাছে আমার একটা প্রয়োজন রয়েছে ৷ তুমি
কি আমাকে তার কাছে পৌছে দেবে ? হারিছ বলেন, আমি তাকে আমার বাহনে তুলে নিয়ে
মদীনায় পৌছলাম ৷ দেখলাম মসজিদ লোকে লোকারণ্য, একদিকে একটি কাল যুদ্ধ পতাকা
আন্দোলিত হচ্ছে ৷ বিলাল (রা) তরবারী র্কাধে ঝুলিয়ে রাসুলাল্লাহ্ (সা) এর সামনে দাড়িয়ে
রয়েছেন ৷ আমি বললাম এ লোকদের ব্যাপার কি ? তারা বলল, নবী করীম (সা) আমর ইবনুল
আল (রা)-কে কোথায় অভিযান পাঠাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৷

হারিছ (রা) বলেন, আমি বসে পড়লাম ৷ রাসুলাল্লাহ্ (সা) তার ঘরে (কিংবা বর্ণনা সন্দেহে
তার ডেরায় ) চলে গেলেন ৷ আমি প্রবেশের অনুমতি চাইলে আমাকে অনুমতি দেয়া হল ৷
আমি প্রবেশ করে তাকে সালাম করলাম ৷ তিনি বললেন, তোমাদের ও তামীযীদের মাঝে
কোন কিছু ঘটেছে না কি ? আমি বললাম, জী হী, তবে ফলাফল তাদের প্রতিকুলেই গিয়েছে ৷
এদিকে আমি বাহন হারা এক তামীমী বৃদ্ধাকে পথে পেয়ে গিয়েছিলাম, সে আমাকে মদীনায়
বয়ে নিয়ে আমার অনুরোধ করেছিল ৷ সে এখন আপনার দরমায় রয়েছে ৷

তাকে অনুমতি দেয়া হলে সে ঘরে ঢুকল ৷ আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! বনু তামীম ও
আমাদের মাঝে আপনি কোন অম্ভরায় সৃষ্টি করতে চাইলে ৰিজন প্রাম্ভরকে (এ তেল চট্চটে


أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ حَمْدَانَ بْنِ مَالِكٍ الْقَطِيعِيُّ، ثَنَا أَبُو عَلِيٍّ بِشْرُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ، حَدَّثَنِي زِيَادُ بْنُ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيُّ سَمِعْتُ زِيَادَ بْنَ الْحَارِثِ الصُّدَائِيَّ يُحَدِّثُ قَالَ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَايَعْتُهُ عَلَى الْإِسْلَامِ، فَأُخْبِرْتُ أَنَّهُ قَدْ بَعَثَ جَيْشًا إِلَى قَوْمِي، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ارْدُدِ الْجَيْشَ، وَأَنَا لَكَ بِإِسْلَامِ قَوْمِي وَطَاعَتِهِمْ. فَقَالَ لِيَ: " اذْهَبْ فَرُدَّهُمْ ". فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ رَاحِلَتِي قَدْ كَلَّتْ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا فَرَدَّهُمْ. قَالَ الصُّدَائِيُّ: وَكَتَبْتُ إِلَيْهِمْ كِتَابًا، فَقَدِمَ وَفْدُهُمْ بِإِسْلَامِهِمْ، فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا أَخَا صُدَاءٍ إِنَّكَ لَمُطَاعٌ فِي قَوْمِكَ ". فَقُلْتُ: بَلِ اللَّهُ هَدَاهُمْ لِلْإِسْلَامِ. فَقَالَ: " أَفَلَا أُؤَمِّرُكَ عَلَيْهِمْ؟ " قُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَكَتَبَ لِي كِتَابًا أَمَّرَنِي فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مُرْ لِي بِشَيْءٍ مِنْ صَدَقَاتِهِمْ. قَالَ: " نَعَمْ ". فَكَتَبَ لِي كِتَابًا آخَرَ. قَالَ الصُّدَائِيُّ: وَكَانَ ذَلِكَ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، فَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْزِلًا، فَأَتَاهُ أَهْلُ ذَلِكَ الْمَنْزِلِ يَشْكُونَ عَامِلَهُمْ، وَيَقُولُونَ: أَخَذَنَا بِشَيْءٍ كَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَ قَوْمِهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوَ فَعَلَ ذَلِكَ؟ " قَالُوا: نَعَمْ. فَالْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَصْحَابِهِ وَأَنَا فِيهِمْ، فَقَالَ: " لَا خَيْرَ فِي الْإِمَارَةِ لِرَجُلٍ مُؤْمِنٍ ". قَالَ الصُّدَائِيُّ: فَدَخَلَ قَوْلُهُ فِي نَفْسِي، ثُمَّ أَتَاهُ آخَرٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْطِنِي. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ سَأَلَ النَّاسَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى، فَصُدَاعٌ فِي الرَّأْسِ وَدَاءٌ فِي الْبَطْنِ ". فَقَالَ السَّائِلُ: فَأَعْطِنِي مِنَ الصَّدَقَةِ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ اللَّهَ
পৃষ্ঠা - ৩৮০৪


বৃদ্ধাকে) করুন ! আমার কথায় বৃদ্ধা ক্রদ্ধ হয়ে গেল এবং রাগে টগবপ করতে লাগল এবং বলে
উঠল, ইয়া রাসুলাল্লড়াহ্ ! আপনার মুযারীদের আশ্রয় কোথায়? হারিছ বলেন, আমি বললাম, তা
হলে আমার অবস্থা র্দড়াড়ালেড়া সেই পুর্ব প্রচলিত প্রবচনের ন্যায় এে১ এএ১ মৃত্যু মাথায় করে
বয়ে এনেছে’ (খাল কেটে কৃমীর এসেছে) ৷ আমি একে বহন করে আনলাম, অথচ দেখা গেল
সেই আমার বট্টির দৃশমন ৷ আমি আল্লাহ ও তার রাসুলের আশ্রয় দিচ্ছি যেন আমি “আদ
জাতির প্রতিনিধির মত না হই ৷” বৃদ্ধাটি বলল, আদ জাতির প্রতিনিধির ব্যাপারটি আবার কী?
বৃদ্ধার কিন্তু ঘটনাটি ভাল করেই জানা ছিল ৷

কিন্তু তার ইচ্ছে হল হারিছের মুখে ঘটনাঢির বর্ণনা স্বাদ আস্বাদন করা ৷ আমি বললাম,
আদ জাতি দৃর্ভিক্ষ পীড়িত হলে তারা সাহায্য পাওয়ার আশায় কায়ল নামক এক ব্যক্তিকে
প্রতিনিধিরুপে পাঠাল ৷ পথে মুআনিয়া ইবন বাকর-এর সাথে সাক্ষাত হলে করেল তার বাড়িতে
গিয়ে এক মাস মদ-মদিরায় ডুবে থাকল, আর জারাদাতান দুই ফড়িৎ নামের ক্ষীণাঙ্গীনী দুই
গায়িকা তাকে গানে মাতিয়ে রাখল ৷ এক মাস এভাবে কঢািবার পরে সে যুহ্রা পাহাড়রাজির
পথে বেরিয়ে পড়ল এবং এই বলে দুআ করল, ইয়া আল্লাহ তুমি তাে জান যে, কোন রোগীর
চিকিৎসা করার জন্য কিংবা কোন বন্দীকে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য আমি নি ৷ ইয়া
আল্লাহ্! আদকে বৃষ্টি দাও , যেমন তুমি তাদের বৃষ্টি দিতে ! তখন তার মাথার উপর দিয়ে
কয়েক খণ্ড কাল মেঘ ভেসে যেতে লাগল ৷ মেঘের ভিতর থেকে ঘোষণা দেয়া :হল, তুমি
পসন্দ কর ৷ ’ সে এক খণ্ড কাল মেঘের দিকে ইঙ্গিত করলে তার ভিতর থেকে ঘোষণা এল
ছইি আর ছাইয়ের ভাণ্ডাররুগে তা নিয়ে নাও, আদ-এর একটি প্রাণীকেও সে ছেড়ে দিয়ে না ৷ ’
হারিছ বলেন, আমি যতদুর জেনেছি, তাদের উপরে এই এতর্টুকু বাতাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল,
যতটুকু আমার এ আংটিরফাক দিয়ে চলতে পারে ৷ এতেই তাদের সকলের ৰিনাশ সাধিত হল ৷
আবু ওয়াইল (র) বলেন, তিনি যথার্থই বলেছেন এবং এ কারণেই লোকেরা কাউকে
প্রতিনিধিরুপে কোথাও পাঠালে তার যাওয়ার সময় কোন পুরুষ বা নারী তাকে বলে দিত “আদ
প্রতিনিধির মত হয়ো না ৷

তিরমিষী ও নাসাঈ ইবন মাজা ও আহমদ বিভিন্ন সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আবদুর রহমান ইবন আবু উকায়ল (না) ও তার গোত্রের প্রতিনিধিত্ব প্রসঙ্গ

আবু বকর আল বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ ইসহড়াক ইবন মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ
আন-সুসী (র) আবদৃর রহমান ইবন আবু উকায়ল (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
একটি প্রতিনিধি দলের সাথে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে চললাম ৷ “আমরা সেখানে পৌছলে
(মসজিদের) দরজ্বায় উট বসালাম ৷ আমরা তখন যে লােকটির কাছে প্রবেশ করতে মাচ্ছিলাম
মনেবকুলেৱ মাৰে আমাদের চোখে ঐ লোকটির চেয়ে অধিকতর অপসন্দেব আর কোন মানুষ
ছিল না ৷ মোঃ মোঃ করে যখন বেরিয়ে আসজ্জিাম তখন যে লোকটির কাছে আমরা
প্রবেশ সৌং ল্লো ম!ৰে আমাদের চোখে তার চাইতে অধিকচ্য পসন্দনীর কোন
মানুষ স্তি ৰ্ ৷ ধ্াক্ষ্ম ৰ্হম্নে (রা) বলেন আংাদ্যে৷ এক ব্যক্তি জৰেঢ ৰলদ্যে “আপনি
অস্ফো ল্লো ৰ্চ্ছ স্কে (ৰ্এব্ক্ত ব্ক্তষ্নুেব্ক্ত ৰ্া৷ষ্ দ্যো র্পো ব্বালন না
বেল; ৰ্র্ণন্াৰ্ন্াৰী ষ্াব্ক্ত, ব্ক্তমুষ্হৃ শো মোঃ এবং ৰ্গ্ঢাব্ক্ত-


لَمْ يَرْضَ فِي الصَّدَقَاتِ بِحُكْمِ نَبِيٍّ وَلَا غَيْرِهِ، حَتَّى حَكَمَ هُوَ فِيهَا فَجَزَّأَهَا ثَمَانِيَةَ أَجْزَاءٍ، فَإِنْ كُنْتَ مِنْ تِلْكَ الْأَجْزَاءِ أَعْطَيْتُكَ ". قَالَ الصُّدَائِيُّ: فَدَخَلَ ذَلِكَ فِي نَفْسِي أَنِّي غَنِيٌّ وَأَنِّي سَأَلْتُهُ مِنَ الصَّدَقَةِ. قَالَ: ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَشَى مِنْ أَوَّلِ اللَّيْلِ، فَلَزِمْتُهُ وَكُنْتُ قَرِيبًا، فَكَانَ أَصْحَابُهُ يَنْقَطِعُونَ عَنْهُ وَيَسْتَأْخِرُونَ مِنْهُ، وَلَمْ يَبْقَ مَعَهُ أَحَدٌ غَيْرِي، فَلَمَّا كَانَ أَوَانُ صَلَاةِ الصُّبْحِ أَمَرَنِي فَأَذَّنْتُ، فَجَعَلْتُ أَقُولُ: أُقِيمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ فَجَعَلَ يَنْظُرُ نَاحِيَةَ الْمَشْرِقِ إِلَى الْفَجْرِ وَيَقُولُ: " لَا ". حَتَّى إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ نَزَلَ فَتَبَرَّزَ، ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَيَّ وَهُوَ مُتَلَاحِقٌ أَصْحَابَهُ فَقَالَ: " هَلْ مِنْ مَاءٍ يَا أَخَا صُدَاءٍ؟ " قُلْتُ لَا، إِلَّا شَيْءٌ قَلِيلٌ لَا يَكْفِيكَ. فَقَالَ: " اجْعَلْهُ فِي إِنَاءٍ ثُمَّ ائْتِنِي بِهِ ". فَفَعَلْتُ فَوَضَعَ كَفَّهُ فِي الْمَاءِ قَالَ: فَرَأَيْتُ بَيْنَ أُصْبُعَيْنِ مِنْ أَصَابِعِهِ عَيْنًا تَفُورُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْلَا أَنِّي أَسْتَحِي مِنْ رَبِّي، عَزَّ وَجَلَّ، لَسَقَيْنَا وَاسْتَقَيْنَا، نَادِ فِي أَصْحَابِي: مَنْ لَهُ حَاجَةٌ فِي الْمَاءِ؟ " فَنَادَيْتُ فِيهِمْ فَأَخَذَ مَنْ أَرَادَ مِنْهُمْ شَيْئًا، ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الصَّلَاةِ، فَأَرَادَ بِلَالٌ أَنْ يُقِيمَ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ أَخَا صُدَاءٍ أَذَّنَ، وَمَنْ أَذَّنَ فَهُوَ يُقِيمُ ". قَالَ الصُّدَائِيُّ: فَأَقَمْتُ، فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الصَّلَاةَ أَتَيْتُهُ بِالْكِتَابَيْنِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْفِنِي مِنْ هَذَيْنِ. فَقَالَ: " مَا بَدَا لَكَ؟ " فَقُلْتُ: سَمِعْتُكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَقُولُ: " لَا خَيْرَ فِي الْإِمَارَةِ لِرَجُلٍ مُؤْمِنٍ ". وَأَنَا أُومِنُ بِاللَّهِ وَبِرَسُولِهِ، وَسَمِعْتُكَ تَقُولُ لِلسَّائِلِ: " مَنْ سَأَلَ النَّاسَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى فَهُوَ صُدَاعٌ، فِي الرَّأْسِ، وَدَاءٌ فِي الْبَطْنِ ". وَسَأَلْتُكَ وَأَنَا غَنِيٌّ. فَقَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৮০৫
" هُوَ ذَاكَ فَإِنْ شِئْتَ فَاقْبَلْ وَإِنْ شِئْتَ فَدَعْ ". فَقُلْتُ: أَدَعُ. فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَدُلَّنِي عَلَى رَجُلٍ أُؤَمِّرُهُ عَلَيْكُمْ ". فَدَلَلْتُهُ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الْوَفْدِ الَّذِينَ قَدِمُوا عَلَيْهِ، فَأَمَّرَهُ عَلَيْهِمْ، ثُمَّ قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لَنَا بِئْرًا إِذَا كَانَ الشِّتَاءُ وَسِعَنَا مَاؤُهَا وَاجْتَمَعْنَا عَلَيْهَا، وَإِذَا كَانَ الصَّيْفُ قَلَّ مَاؤُهَا فَتَفَرَّقْنَا عَلَى مِيَاهٍ حَوْلَنَا، وَقَدْ أَسْلَمْنَا، وَكُلُّ مَنْ حَوْلَنَا عَدُوٌّ، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا فِي بِئْرِنَا، فَيَسَعَنَا مَاؤُهَا فَنَجْتَمِعَ عَلَيْهِ وَلَا نَتَفَرَّقَ. فَدَعَا بِسَبْعِ حَصَيَاتٍ فَعَرَكَهُنَّ بِيَدِهِ وَدَعَا فِيهِنَّ، ثُمَّ قَالَ: " اذْهَبُوا بِهَذِهِ الْحَصَيَاتِ، فَإِذَا أَتَيْتُمُ الْبِئْرَ فَأَلْقُوا وَاحِدَةً وَاحِدَةً، وَاذْكُرُوا اللَّهَ ". قَالَ الصُّدَائِيُّ: فَفَعَلْنَا مَا قَالَ لَنَا، فَمَا اسْتَطَعْنَا بَعْدَ ذَلِكَ أَنْ نَنْظُرَ إِلَى قَعْرِهَا. يَعْنِي الْبِئْرَ.» وَهَذَا الْحَدِيثُ لَهُ شَوَاهِدُ فِي " سُنَنِ أَبِي دَاوُدَ " وَالتِّرْمِذِيِّ وَابْنِ مَاجَهْ. وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ بَعَثَ بَعْدَ عُمْرَةِ الْجِعْرَانَةِ قَيْسَ بْنَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فِي أَرْبَعِمِائَةٍ إِلَى بِلَادِ صُدَاءٍ فَيُوَطِّئُهَا، فَبَعَثُوا رَجُلًا مِنْهُمْ فَقَالَ: جِئْتُكَ لِتَرُدَّ عَنْ قَوْمِي الْجَيْشَ، وَأَنَا لَكَ بِهِمْ ثُمَّ قَدِمَ وَفْدُهُمْ خَمْسَةَ عَشَرَ رَجُلًا، ثُمَّ رَأَى مِنْهُمْ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مِائَةَ رَجُلٍ. ثُمَّ رَوَى الْوَاقِدِيُّ، عَنِ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ نُعَيْمٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحَارِثِ الصُّدَائِيِّ قِصَّتَهُ فِي الْأَذَانِ. 3 -