سنة ثمان من الهجرة النبوية
كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم
قدوم جرير بن عبد الله البجلي وإسلامه
পৃষ্ঠা - ৩৭৮৮
কার্যকরী হলো ৷ তিনি দৃআ করেছিলেন, ইয়া আল্লাহ! তাকে স্থিরতা দান করুন এবং তাকে
হিদায়াতপ্রাও ও পথ প্রদর্শক করুন! ফলে এরপরে তিনি আর কখনো ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে
যান নি ৷ তিনি তার কওমের দেড়শ’ দৃর্ধর্ষ আহমাসা নিয়ে যুল খালাসা অভিযানে রওনা হয়ে
গেলেন এবং উপাসনালয়টি ধ্বংস করে তা পুড়িয়ে দিমােন ৷ তার ও পা ণ্ষ্ধু১ প দেখলে মনে হত
যেন পড়াচড়ার দপদগে য়া ভরা উট ৷ অভিযান শেরে আবীর (রা) আবু আরবাত নামের এক
দ্রুতপামী সাওয়ারকে এই সুসংবাদের বর্তোবাহীরুপে নবী কবীম (সা) এর কাছে পাঠালেন ৷
বিজয়ের সৃসংবব্বদ শুনে নবী কবীম (সা) আহমব্বস’ সােড় সাওয়ড়ার ও পদাতিকদের জন্য পাচ
পড়াচবড়ার বরকতের দুআ করলেন ৷ হড়াদীসখানি বুখাবী-মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে বিনদতাবে
বর্ণিত হয়েছে ৷ মক্কা বিজয় প্রসঙ্গে খালিদ ইবনুল ওলীদ (রড়া)-এর হাতে বড়ায়তুল উবযা’ ধ্বংস
হওয়ার আলোচনার পরে প্রাসঙ্গিক বিষয় হিসেবে আমরা এ বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করে
এসেছি ৷ বাহ্যত জড়াবীর (রা) এর ইসলাম গ্রহণের সময়টি ছিল মক্কা বিজয়ের বেশ পরে ৷
কারণ, ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, হিশাম ইরনুল কাসিম (র) জাবীর ইবন আবদুল্লাহ
আল-বড়াজালী (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, আমি মুসলমান হয়েছিলাম সুরা মইিদা নাযিল
হওয়ার পরে ৷ আমি মুসলমান হওয়ার পরে রত্বসুলুল্লাহ্ (না)-কে উযুতে পা ধোয়ার পরিবর্তে
মােজার উপরে মড়াসেহ করতে দেখেছি ৷ আহমদ (র) একাকী এ রিওয়ায়াত উল্লেখ করেছেন এবং
এর সনদ রেশ উত্তম, যদি না মধ্যবর্তী রড়াবী মুজাহিদ (র) ও আবীর (রড়া)এর মাঝে সংযোগ-
ছিন্নতা থেকে থাকে ৷ এছাড়া বুখাবী-মুসলিমে উল্লিখিত হয়েছে যে, আবদুল্লাহ ইবন নাসউদ (রা)
এর শাগিরদগণ সোজা মাসেহ সম্পর্কিত জারীর (রড়া)এর হাদীসে আনপাপ্লুত হওেন ৷ এ কারণে
যে, আবীর (রা) সুরা মাইদা নাযিল হওয়ার পরে ম্সলমান হয়েছিলেন ৷২
বিদায় হজ্যের আলোচনায় বিবৃত হয়ে যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা) জাবীর (রা) কে বলেছিলেন,
“আবীর ! লোকদের আওয়াজ থামিয়ে শুনতে বলবিণেষভাংব আবীর (রা) কে আওয়াজ
থামড়াতে বলার কারণ হল ৷ তিনি ছিলেন বয়সে বালক এবং গায়ে পতরে মোটা সােটা৩ তার
আকার এমন কি তার জুতার দৈর্ঘ্য ছিল এক হাত ৷ তিনি ছিলেন লুশ্ৰী ঢেহড়ারড়ার অধিকারী ৷ তা
সত্বেও তিনি সবসময় দৃষ্টি অবনত করে রড়াখওেণ্৷ ৷ এ কারণে বিশুদ্ধ সনদে তার এ রিওয়ড়ায়াত
পাওয়া যায়ণ্শ্তিনি বলেন (অনাত্মীয়ার দিকে) হঠাৎ নজর পড়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমি
ব্ক্তকৃচুল্লাহ্ (না)-কে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম ৷ তিনি বললেন, এ)ণ্এহু এ)শ্ষ্টন্ধ্ “ তোমার দৃষ্টি
ষ্ৰনত করে ফেলার ৷
দ্যোড়াহ্ (সা) সকাশে ইয়ামানের অন্যতম রজাে ওয়াইল ইবন হুজ্বর ইবন রড়াবীআ ইবন
সৈব্র অ্যাহাযরড়াযী ইবন হুনড়ায়দ এর প্রতিনিধিরুপে আগমন ৷
১ ক্টক্সৰ্ৰ স্বীকুষ্তিপ্রাপ্ত যােদ্ধাদের আহমাস (বীরশ্রেষ্ঠ বা বীর উত্তম) নামে অভিহিত করা হত ৷
২ সুত্র স্খাইদার টবুতে পা ধোয়ার হকুম রয়েছে ৷ সৃতরাৎ এ সুরা নাযিল হওয়ার পরবর্তী সময়ে মোযা
ঘ্নে ঙ্গ র্বিন্থ ব্রিতয়ায়ন্ত সাবস্তে হলে মাসেহ বৈধ হওয়া অবহিত ও সর্বকালীনরুপে প্রমাণিত হতে পারে ৷
ত্রুক্রে
স্বষ্ ণ্গ্দুব্ক্ত ণ্ডু ষ্ৰে ক্সব্রহে ৰ্!র অর্থ শিশু, প্রায় তরুণ কিশোর ৷ তবে শব্দটি :প্লু (সায়িতান ) হলে অর্থ
-fi ষ্ মোঃ দ্দৌ ৰ্র্ধ্বব স্রন্ওরক্তে অনেক দুরে পৌছে ৷
[قُدُومُ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ وَإِسْلَامُهُ]
قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو قَطَنٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شِبْلٍ قَالَ: وَقَالَ جَرِيرٌ: «لَمَّا دَنَوْتُ مِنَ الْمَدِينَةِ أَنَخْتُ رَاحِلَتِي، ثُمَّ حَلَلْتُ عَيْبَتِي، ثُمَّ لَبِسْتُ حُلَّتِي، ثُمَّ دَخَلْتُ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ فَرَمَانِي النَّاسُ بِالْحَدَقِ فَقُلْتُ لِجَلِيسِي: يَا عَبْدَ اللَّهِ، ذَكَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: نَعَمْ، ذَكَرَكَ بِأَحْسَنِ الذِّكْرِ. فَبَيْنَمَا هُوَ يَخْطُبُ إِذْ عُرِضَ لَهُ فِي خُطْبَتِهِ، وَقَالَ: " يَدْخُلُ عَلَيْكُمْ مِنْ هَذَا الْبَابِ أَوْ مِنْ هَذَا الْفَجِّ مِنْ خَيْرِ ذِي يَمَنٍ إِلَّا أَنَّ عَلَى وَجْهِهِ مَسْحَةَ مَلَكٍ ". قَالَ جَرِيرٌ: فَحَمِدْتُ اللَّهَ، عَزَّ وَجَلَّ، عَلَى مَا أَبْلَانِي» : وَقَالَ أَبُو قَطَنٍ: فَقُلْتُ لَهُ: سَمِعْتَهُ مِنْهُ؟ أَوْ: سَمِعْتَهُ مِنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ شِبْلٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. ثُمَّ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ وَإِسْحَاقَ بْنِ يُوسُفَ، وَأَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْفَضْلِ بْنِ مُوسَى ثَلَاثَتُهُمْ عَنْ يُونُسَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ،
পৃষ্ঠা - ৩৭৮৯
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شِبْلٍ - وَيُقَالُ: ابْنُ شُبَيْلٍ - عَنْ عَوْفٍ الْبَجَلِيِّ الْكُوفِيِّ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، وَلَيْسَ لَهُ عَنْهُ غَيْرُهُ.
وَقَدْ رَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرٍ بِقِصَّتِهِ: «يَدْخُلُ عَلَيْكُمْ مِنْ هَذَا الْبَابِ رَجُلٌ عَلَى وَجْهِهِ مَسْحَةُ مَلَكٍ ".» الْحَدِيثُ وَهَذَا عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ ".
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ قَيْسٍ، عَنْ جَرِيرٍ قَالَ: «مَا حَجَبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنْذُ أَسْلَمْتُ، وَلَا رَآنِي إِلَّا تَبَسَّمَ فِي وَجْهِي» . وَقَدْ رَوَاهُ الْجَمَاعَةُ إِلَّا أَبَا دَاوُدَ مِنْ طُرُقٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ عَنْهُ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " زِيَادَةٌ: «وَشَكَوْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي لَا أَثْبُتُ عَلَى الْخَيْلِ، فَضَرَبَ بِيَدِهِ فِي صَدْرِي،» وَقَالَ: «اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ، وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا ".»
وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ، عَنْ قُتَيْبَةَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ قَيْسٍ عَنْهُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৯০
আবু উমার ইবনু আবদুল বার (র) বলেছেন, ওয়ইিল হাদ্রামাওত অঞ্চলের অন্যতম
গোত্রপ্রধান ছিলেন এবং তার পিতা ছিলেন একজন সামম্ভ রাজা ৷ কথিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ্
(না) তার আগমনের আগেই সাহাৰীদের কাছে আগাম সুসৎ বাদ দিয়ে বলেছিলেন ৷ ণ্<প্রুও৷ ,ন্
এঙুগ্রা :ক্রো ন্ঞা “অবশিষ্ট রাজপুত্রটিও তোমাদের কাছে আসছে” ৷
ওয়াইল এসে পড়লে রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিজের পাশে বসালেন এবং
তার জন্য নিজের চাদর বিছিয়ে দিয়ে তাকে সম্মান দেখালেন এবং বললেন ,,এ এএধ্-ষ্ “
-০-৬ ৬ : শ্ছাএে ঞাদ্বু “হে আল্লাহ্৷ ওয়াইল তার সন্তান ও তার সন্তানের সন্তানদের বরকত
দিন ৷ নবী করীম (সা) তাকে হাদ্রামাউত-এ বিভিন্ন উপ গোত্রের শাসনকর্তা নিয়োগ করে তার
সাথে তিনটি চিঠি দিয়েদিলেন ৷ একটি চিঠি ছিল ঘুহাক্তির ইবন আৰু উমায়্যার নামে ৷ একটি
গোত্রপ্রধান ও রাজাদের নামে এবং তাকে একটি অঞ্চলে ক্তায়াগা দিয়ে দিলেন এবং মুআবিয়া
ইবন আবু সুফিয়ান (বা) কে তার সাথে পাঠালেন ৷ আবু সুফিয়ান (বা) পায়ে হেটে তার সাথে
চললেন ৷ তিনি ওয়াইলের কাছে পাথুরে মরুর খরতাপের পায়ে হাটার অসুৰিধার কথা বললে
ওয়াইল বলল, উংটর ছায়ায় ছায়ায় পথ চলো ৷ ম্বুআবিয়া (বা) বললেন, তাতে আমার পায়ের
কি জুড়াবে ? আমাকে তাে তোমার (পিছনে বসিয়ে) সহ-আরােহী করে নিতে পার ৷ ওয়া ৷ইল
বললেন, চুণ থাকা রাজাদের সহ-আরোহী হওয়ার যোগ্য৩ ৷ তোমার নেই ৷ এ ঘটনার পরেও
ওয়া ৷ইল দীর্ঘদিন বেচে ছিলেন ৷ মুআৰিয়া (রা) যখন খলীফা ও আমিরুল মুমিনীন, তখন
একবার ওয়াইল তার দরবারে প্রতিনিধি হয়ে এসেছিলেন ৷ মু আৰিয়া (বা) তার কথা স্মরণ
করতে পারলেন ৷ তবুও তাকে উঞ্চ সযর্ধনা জা ৷নিয়ে কাছে বসালেন এবং সেদিনের ঘটনা তাকে
স্মরণ করিয়ে দিলেন ৷ তাকে মুল্যবান উপচৌকন গ্রহণের অনুরোধ করলে ওয়াইল তাতে
অসম্মতি জানিয়ে বললেন, আমার চেয়ে যার অধিক প্রয়োজন রয়েছে এমন কাউকে তা দিয়ে
দেবেন ৷ হাফিজ বায়হাকী (র) এ আলোচনার আৎশিক উল্লেখ করেছেন এবং বুখারী (র) তার
তারিখ গ্রন্থে বিষয়টির কতক বিবরণ দিয়েছেন বলেও বায়হাকী (র) ইংগিত করেছেন ৷ ইমাম
আহমাদ (র) বলেছেন ৷ হাজ্জাজ (র) (আলকামাহর পিতা) ওয়াইল থেকে এ মর্মে বর্ণনা করেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে একটি ভুমি জায়পীররুপে দিয়েছিলেন ৷ তিনি আরো বলেন, আমার
সাথে মুআবিয়াকে পাঠালেন এ কথা বলে যে, তাকে ঐ ভুমি দিয়ে দিবে কিৎবা তিনি
বলেছিলেন তাকে তাতে কর্মকর্তা নিয়োগ করবে ৷ ওয়াইল বলেন, (পথে) ঘুআৰিয়৷ আমাকে
বলল, আমাকে তোমার উটের পিছনে বসিয়ে নাও ৷
আমি বললাম, তুমি রাজাদের সহ-আরোহী হতে পড়ার না ৷ ওয়াইল বলেন, তখন সে বলল,
আমাকে তোমার জুত৷ পরতে দাও ৷ আমি বললাম উটেব ছায়াকে জুতারুপে ব্যবহার করনা
কেন? ওয়াইল বলেন, মুআবিয়৷ (বা) খলীফা মনোনীত হলে আমি তার দরবারে গেলাম ৷ তিনি
আমাকে তার সাথে মসনদে বসালেন এবং পুর্ববর্তী সে ঘটনাটি স্মরণ করিয়ে দিলেন ৷
(মধ্যবর্তী রাবী) সিমাক (র) বলেন, ওয়াইল বলেন, তখন আমার মনে হল হার, যদি তাকে
উটের পিঠে আমার সামনে তুলে নিতাম ৷
আবু দা ৷উদ ও তিরমিযী (র) শু বা (ব) সুত্রে এ হাদিসটি রিওয়ায়াত করেছেন এবং
তিরমিযী (র)৩ তাকে বিশুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন ৷
وَزَادَ فِيهِ: «يَدْخُلُ عَلَيْكُمْ مِنْ هَذَا الْبَابِ رَجُلٌ عَلَى وَجْهِهِ مَسْحَةُ مَلَكٍ ".» فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ.
قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَمْرٍو عُثْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ السَّمَّاكُ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ سَلَّامٍ السَّوَّاقُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ الْخُرَاسَانِيُّ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ عُمَرَ الْأَحْمَسِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «بَعَثَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " يَا جَرِيرُ، لِأَيِّ شَيْءٍ جِئْتَ؟ " قُلْتُ: أُسْلِمُ عَلَى يَدَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: فَأَلْقَى عَلَيَّ كِسَاءً، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: " إِذَا أَتَاكُمْ كَرِيمُ قَوْمٍ فَأَكْرِمُوهُ ". ثُمَّ قَالَ: " يَا جَرِيرُ، أَدْعُوكَ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، وَالْقَدَرِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ، وَتُصَلِّيَ الصَّلَاةَ الْمَكْتُوبَةَ، وَتُؤَدِّيَ الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ ". فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ لَا يَرَانِي إِلَّا تَبَسَّمَ فِي وَجْهِي.» هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «بَايَعْتُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৯১
رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى إِقَامِ الصَّلَاةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالنُّصْحِ لِكُلِّ مُسْلِمٍ.» وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ بِهِ، وَهُوَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ جَرِيرٍ بِهِ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، ثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ شَقِيقٍ - يَعْنِي أَبَا وَائِلٍ -، عَنْ جَرِيرٍ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اشْتَرِطْ عَلَيَّ فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِالشَّرْطِ. قَالَ: «أُبَايِعُكَ عَلَى أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ لَا تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا، وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ، وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ، وَتَنْصَحَ الْمُسْلِمَ، وَتَبْرَأَ مِنَ الْمُشْرِكِ ".» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ جَرِيرٍ. وَفِي طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنِ الْأَعْمَشِ وَعَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي نُخَيْلَةَ، عَنْ جَرِيرٍ بِهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَرَوَاهُ أَيْضًا، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قُدَامَةَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ مُغِيرَةَ، عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৭৯২
লাকীত ইবন আমির আল-মুনতাফিক আবু রাযীন আল-উকায়লীর ন্
প্রতিনিধিরুপে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দরবারে আগমন
আবদুল্লাহ ইব ন ইমাম আহমাদ (র) বলেন, ইবরাহীম ইবন হামযা ইবন মুহম্মদ ইবন
হামযা ইবন মুসআব ইবনুয যুবায়র আয-যুবায়রী (রা) আমার কাছে লিখলেন, তোমার কাছে
এ হড়াদীসটি লিখে পাঠাচ্ছি, আমি তা মুহাদ্দিছপনের সামনে পেশ করেছি এবং যেমন আমি
তোমার কাছে লিখছি তেমন-ই শুনেছি ৷ তুমি এ হাদীসখন্মো বর্ণনা করতে পার ৷ আবদুর
রাহমান ইবনৃল মুপীরা আল-হিযামী (র) লার্কীত ইবন আমির (রা) সুত্রে বচ্নাি করেন (অন্য
একটি রিওয়াতে আসিম ইবন লাকীত) (রা)-বলেন, লার্কীত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে
প্রতিনিধিরুপে বের হলেন, তার সংপী ছিলেন নড়াহীক ইবন আসিম ইবন মালিক ইবনুল
যুনতাফিক ৷ লাকীত (বা) বলেন, আমি ও আমার সংপী বেরিয়ে পড়লাম এবং রজব মাসের
শেষ দিকে আমরো মদীনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে উপস্থিত হলাম ৷ আমরা যখন তার
কাছে পৌছলাম তখন তিনি সরে ফজরের নামায শেষ করেছেন ৷ তিন থুতব৷ দেয়ার উদ্দেশ্যে
লোকদের সামনে দাড়িয়ে বললেন,
৷ শ্লোাপ্রুা৷ ৷ প্রুা
,৷ ৰু ,,:;, ;প্রু১১ মোঃ ;) ধ্াৰু৷ ণ্শু শ্ব ৷ ঞা ঞ , এ,ব্লু, ৷ এে ণ্াণ্৷ ৷ ,া৷দ্বুন্নু শ্যিব্র ক্রো দু;,া
াসৌং৷ ১’ট ৷ )টুহুন্পুষ্
া
লোক সকল ! শ্যেন! আজ চারদিন যাবত আমি তোমাদের কাছে আমার আওয়ায গোপন
করে রেখেছি ৷ গােন ! এখন আমি তোমাদের কিছু ৷শানড়াতে চাই, শোনা তোমাদের মাঝে এমন
কেউ আছে কি যাকে তার সম্প্রদায় এই দায়িতু দিয়ে পাঠিয়েছে যে, যাও আল্লাহর রাসুল কী
বলেন, তা আমাদের পক্ষ হয়ে উত্তমরুপে জেনে শুনে আস ৷ তাই আমার বলছি (কান খুলে মন
দিয়ে) শুনে নাও ! এমন না , হয় যে, তার মনের ফিসফিসানি কিৎবা সাথীর বকবকানী তাকে
অমনোযােগী করে দেয় কিৎবা বিভ্রান্তি বিচ্যুতি তাকে ভুলিয়ে দেয় ৷ গােন৷ আমি দায়িত্বশীল
এবং আমি দীনের দাওয়াত পৌছে দিয়েছি তো ? তাই কান পেতে শ্যেনতে থাক ৷ আর জীবনে
বেচে থাক ৷ শোন! স্থির হয়ে বসাে (শান্ত নিরব হয়ে) বলো; লার্কীত (বা) বলেন, লোকেরা
বসে পড়ল এবং আমি ও আমার সাথী উঠে দীড়ালাম ৷ যখন বুঝলাম যে, তার মন ও দৃষ্টি
আমাদের প্ৰতি পুর্ণ নিবদ্ধ হয়েছে, তখন বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আপনার কাছে অদৃশ্য
জগতের কী কী ইলম রয়েছে? আল্লাহর কসম ! তিনি হাসলেন এবং মাথা ঝাকালেন ৷ তিনি
বুঝে ফেলেছিলেন যে, আমি র্তাকে পরীক্ষায় ফেলতে চাচ্ছি ৷ তিনি বললেন,
ণ্গ্রা >“ মোঃ শ্ন রু৮-ভো ঞ গ্রামোঃধ্ হ্র:ওৰুএএহু এ্যা-শ্রা)ং é!» এএ
وَائِلٍ، وَالشَّعْبِيِّ، عَنْ جَرِيرٍ بِهِ. وَرَوَاهُ عَنْ جَرِيرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَيْرَةَ، رَوَاهُ أَحْمَدُ مُنْفَرِدًا بِهِ. وَابْنُهُ عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ جَرِيرٍ، رَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا مُنْفَرِدًا بِهِ. وَأَبُو جَمِيلَةَ وَصَوَابُهُ أَبُو نُخَيْلَةَ، وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا وَالنَّسَائِيُّ. وَرَوَاهُ أَحْمَدُ أَيْضًا، عَنْ غُنْدَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ جَرِيرٍ، فَذَكَرَهُ، وَالظَّاهِرُ أَنَّ هَذَا الرَّجُلَ هُوَ أَبُو نُخَيْلَةَ الْبَجَلِيُّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ ذَكَرْنَا بَعْثَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ حِينَ أَسْلَمَ إِلَى ذِي الْخَلَصَةِ - بَيْتٍ كَانَ يَعْبُدُهُ خَثْعَمٌ وَبُجَيْلَةُ، وَكَانَ يُقَالُ لَهُ: الْكَعْبَةُ الْيَمَانِيَةُ. يُضَاهُونَ بِهِ الْكَعْبَةَ الَّتِي بِمَكَّةَ، وَيَقُولُونَ لِلَّتِي بِبَكَّةَ: الْكَعْبَةُ الشَّامِيَّةُ. وَلِبَيْتِهِمْ: الْكَعْبَةُ الْيَمَانِيَةُ. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا تُرِيحُنِي مِنْ ذِي الْخَلَصَةِ؟ ". فَحِينَئِذٍ شَكَى إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ لَا يَثْبُتُ عَلَى الْخَيْلِ، فَضَرَبَ بِيَدِهِ الْكَرِيمَةِ فِي صَدْرِهِ حَتَّى أَثَّرَتْ فِيهِ وَقَالَ: " اللَّهُمَّ ثَبِّتْهُ، وَاجْعَلْهُ هَادِيًا مَهْدِيًّا ". فَلَمْ يَسْقُطْ بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ فَرَسٍ، وَنَفَرَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৭৯৩
ذِي الْخَلَصَةِ فِي خَمْسِينَ وَمِائَةِ رَاكِبٍ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ أَحْمَسَ، فَخَرَّبَ ذَلِكَ الْبَيْتَ، وَحَرَّقَهُ حَتَّى تَرَكَهُ مِثْلَ الْجَمَلِ الْأَجْرَبِ، وَبَعَثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشِيرًا يُقَالُ لَهُ: أَبُو أَرْطَاةَ. فَبَشَّرَهُ بِذَلِكَ، فَبَرَّكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى خَيْلِ أَحْمَسَ وَرِجَالِهَا خَمْسَ مَرَّاتٍ.» وَالْحَدِيثُ مَبْسُوطٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا، كَمَا قَدَّمْنَاهُ بَعْدَ الْفَتْحِ اسْتِطْرَادًا بَعْدَ ذِكْرِ تَخْرِيبِ بَيْتِ الْعُزَّى عَلَى يَدَيْ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ.
وَالظَّاهِرُ أَنَّ إِسْلَامَ جَرِيرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ كَانَ مُتَأَخِّرًا عَنِ الْفَتْحِ بِمِقْدَارٍ جَيِّدٍ، فَإِنَّ الْإِمَامَ أَحْمَدَ قَالَ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُلَاثَةَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ مَالِكٍ الْجَزَرِيِّ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ، قَالَ: إِنَّمَا أَسْلَمْتُ بَعْدَ مَا أُنْزِلَتِ الْمَائِدَةُ، وَأَنَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ بَعْدَ مَا أَسْلَمْتُ. تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَهُوَ إِسْنَادٌ جَيِّدٌ، اللَّهُمَّ إِلَّا أَنْ يَكُونَ مُنْقَطِعًا بَيْنَ مُجَاهِدٍ وَبَيْنَهُ.
وَثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " أَنَّ أَصْحَابَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ كَانَ يُعْجِبُهُمْ حَدِيثُ جَرِيرٍ فِي مَسْحِ الْخُفِّ ; لِأَنَّ إِسْلَامَ جَرِيرٍ إِنَّمَا كَانَ بَعْدَ نُزُولِ الْمَائِدَةِ،