سنة ثمان من الهجرة النبوية
كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم
قدوم ضمام بن ثعلبة على رسول الله صلى الله عليه وسلم وافدا على قومه بني سعد بن بكر
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৭
ইমাম আহমদ (র) ও ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম আর যুহরী (র)ইবন ইসহাক থেকে
অনুরুপ ব্রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ্ এ হাদীছব্রিওয়য়োভ করেছেন সালামা ইবনুল ফাঘৃল
থেকে, তিনি মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) থেকে ইবন আব্বাস (রা) থেকে অনুরুপ ৷ এ
বর্ণনা অবশ প্রমাণ করে যে যিমাম (রা) মক্কা বিজয়ের আগেই তার কওমের কাছে ফিরে
গিয়েছিলেন ৷ কেননা, উঘৃযা ৰিগ্রহটিকে মক্কা বিজয়ের সময়ই খালিদ ইবন ওলীদ (রা)
মিলমার করে দিয়েছিলেন ৷
ওয়াকিদী (র) বলেছেন, আবু বকর ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু সাবৃরা (ব) ইবন আব্বাস
(রা) থেকে কনাি করেন, তিনি বলেন, বনু সাদ ইবন বকর গোত্র পঞ্চম হিজরীর রজব মাসে
সুঠামদেহী, দুই রেনীধারী যিমাম ইবন ছালাবা (রা) কে প্রতিনিধি বানিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
এর দরবারে পাঠাল ৷ যিমাম এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর সামনে দাড়িয়ে তাকে বিজ্যি প্রশ্ন
করলেন এবং প্রশ্ন করতে তিনি কঠোর তার ও কর্কশ তারা অবলম্বন করলেন ৷ তার প্রশ্নের
বিষয় ছিলপ্শ্ কে জকে রাসুল বানিয়ে পাঠিয়েছে? কি দিয়ে পাঠিয়েছে? এবং ইসলামী
শরীআণ্ডে র জকরী বিষয়গুলো কী কী? রাসুলুল্লাহ্ (না) তার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিলেন ৷ তিনি
মুসলমান হয়ে স্বগোত্রে ফিরে ণ্গলেন ৷ তখন (তা তিনি সম্পুর্ণভাবে শিরক ও অ ংশীৰাদ
নিযুক্ত ৷ তিনি তার কওমের লোকদেরকে তাদের জন্য আদিষ্ট ও নিষিদ্ধ বিষয়ে অবগত
করলেন ৷ ফলে সল্যা নেমে আসা পর্যন্ত ঐ জনপদে ইসলাম কবুল করেনি এমন একটি পুরুষ
বা একটি নড়ারীও অবশিষ্ট রইল না ৷ তারা তখন মসজিদ নিমণি করল এবং আমান দিয়ে তাতে
সালড়াত আদায় করল ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, হাশিম ইবনুল কাসিয় (র)আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে কােন বিষয় জিজ্ঞেস করা আমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা
হয়েছিল ৷ তাই কোন বুদ্ধিদীপ্ত রেদুঈন এসে তাকে কোন বিনয় জিজ্ঞেস করলে আমরা তাতে
আনন্দিত হতাম ৷ কেননা, তাতে দীনের প্রয়োজনীয় কিছু দে ৷নাের আমাদের সুযোগ হত ৷
একবার এক রেদুঈন এসে তাকে বলল, হে মুহাম্মদ ৷ আপনার দুত আমাদের কাছে গিয়ে
বলেছে যে, আপনি দাবী করে থাকেন যে, আল্লাহ্ আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন ৷ নবী
করীয় (সা) বললেন, যে যথার্থটি বল্যেছ ৷ ল্যেকটি বলল, তা হলে আকড়াশসমুহ কে সৃষ্টি
করেছে? তিনি বললেন, আল্লাহ ৷ লোকটি বলল, তা হলে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা কে ? তিনি
বললেন, আল্লাহ ৷ লেড়াকটি বলল, তা হলে এই পর্বতমালা দাড় করিয়ে দিয়ে তাতে কত কি
সৃষ্টি করেছে কে? তিনি বললেন, আল্লাহ ৷ লেড়াকটি বলল, তা হলে আসমানের স্রষ্টা ও যঘীনেব
স্রষ্টা ও পর্বতমালা স্থাপনকড়ারী সত্তার কলম দিয়ে বলছি, আল্লাহ্ই আপনাকে রাসুল করে
পাঠিয়েছেন কি ? তিনি বললেন, ইড়া ৷ ল্যেকটি বলল, আপনার দুত একথাও বলেছে যে, দিন
রাতে আমাদের পাচরার সালাত আদায় করতে হবে ৷ তিনি বললেন, হী ৷ য়থাংইি বলেছে ৷
ল্যেকটি বলল, তা হলে যিনি আপনাকে রাসুল করে পাঠিয়েছেন, তার কলম ! আল্লাহ্ই কি
আপনাকে এরুপ নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হী ৷ ল্যেকটি বলল, আপনার দুত বলেছে
যে, আমাদের বনসম্পদে আমাদের যাকাত আদায় করতে হবে ৷ তিনি বললেন, য়থার্থই
বলেছে ৷ ল্যেকটি বলল, তা হলে যিনি আপনাকে রাসুল বড়ানিয়েছেন তার কন্যা ! সে আল্লাহ্ই
কি আপনাকে এ বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হী ৷ ল্যেকটি বলল, আপনার দুত
عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ وَإِسْلَامُهُ، وَكَيْفَ جَعَلَ اللَّهُ لَهُ نُورًا بَيْنَ عَيْنَيْهِ، ثُمَّ سَأَلَ اللَّهَ فَحَوَّلَهُ لَهُ إِلَى طَرَفِ سَوْطِهِ وَبَسَطْنَا ذَلِكَ هُنَالِكَ، فَلَا حَاجَةَ إِلَى إِعَادَتِهِ هَاهُنَا، كَمَا صَنَعَ الْبَيْهَقِيُّ وَغَيْرُهُ.
[قُدُومُ ضِمَامِ بْنِ ثَعْلَبَةَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَافِدًا عَلَى قَوْمِهِ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ]
ٍ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ نُوَيْفِعٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: بَعَثَتْ بَنُو سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ ضِمَامَ بْنَ ثَعْلَبَةَ وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَدِمَ إِلَيْهِ وَأَنَاخَ بَعِيرَهُ عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ، ثُمَّ عَلَّقَهُ، ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فِي أَصْحَابِهِ وَكَانَ ضِمَامٌ رَجُلًا جَلْدًا أَشْعَرَ ذَا غَدِيرَتَيْنِ، فَأَقْبَلَ حَتَّى وَقَفَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: أَيُّكُمُ ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ". فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ. قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنِّي سَائِلُكَ وَمُغَلِّظٌ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ، فَلَا تَجِدَنَّ فِي نَفْسِكَ. قَالَ: " لَا أَجِدُ فِي نَفْسِي، فَسَلْ عَمَّا بَدَا لَكَ ". فَقَالَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلَهَكَ، وَإِلَهَ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ، وَإِلَهَ مَنْ هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكَ، آللَّهُ بَعَثَكَ إِلَيْنَا رَسُولًا؟ قَالَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلَهَكَ، وَإِلَهَ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ، وَإِلَهَ مَنْ هُوَ كَائِنٌ
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৮
আরও বলেছে যে, বছরে এক মাস আমাদের সিয়াম পালন করতে হবে ৷ তিনি বললেন, যে
বথাইে বলেছে ৷ লােকটি বলল, যিনি আপনাকে রাসুল বড়ানিয়েছেন তার শপথ ! সে আল্লাহ্ই
কি আপনাকে এ বিষয় নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেন, হা ৷ ল্যেকটি বলল, আপনার দুত এ
কথাও বলেছে যে, আমাদের মাঝে যারা আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌছার ব্যাপারে সুস্থ সমর্থ,
তা সে র ২ড্ডা সস্পাম্পে করতে হবে ৷ তিনি বললেন, মথার্থাং বলেছে ৷ বর্ণনাকায়ী বলেন, এর
পরে সােকটি চলে গেল এবং এ কথা বলে পেল, “যিনি আপনাকে রাসুল বানিয়েছেন, তার
কন্যা! এ সব বিষয়ের উপরে কিছু বাড়াবও না, এ থেকে কিছু কমাবােও না ৷ নবী করীম (সা)
বললেন, “ সে যদি যথার্থ বলে থাকে, তার অবশ্যই যে জান্নশ্বতে যাবে ৷ ” আনাস ইবন মালিক
(রা) থেকে একাধিক সনদে ও শব্দের তারতম্যসহ বিশদ বর্ণনাযুক্ত হয়ে এ হড়াদীছখানা সহীহ্
গ্রন্থদ্বয় বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছে ৷ মুসলিম (র) হাদীছখানি
উল্লিখিত আবুন নাবর হাশিম ইবন কাসিমসনভ্রুদই রিওয়ায়াত করেছেন ৷ বুখারী (র) এ
সনদে (অনুচ্ছেদ শিরেন্যেম) রুপে উল্লেখ্য করেছেন এবং অন্য একটি সনন্দে পুৰ্বানুরুপ
রিওয়ায়াত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (ব) বলেছেন, হাজ্জাজ (র) আমির থেকে বংনাি করেন যে, তিনি জানান
ইবন মালিক (রা) কে বলতে বলেছেন আমরা মসজিদ (নববীতে) রাসুলুল্পাহ (না)-এর কাছে
উপবিষ্ট ছিলাম ৷ তখন উটের পিঠে আরোহী এক ব্যক্তি এসে তীর উটটি মসজিদের আঙিনায়
বেধে রেখে এগিয়ে এসে বলল, £তা“মাদের মাঝে মুহাম্মদ কে ?’ রাসুলুল্লাহ (সা)-সাহাবীদেব
মধ্যে হেলান দিয়ে বলা অবস্থার ছিলেন ৷ আনাস (রা) বলেন, আমরা বললাম,হেলান দিয়ে
বলা এই কর্সা ব্যক্তি’ল্যেকটি বলল, হে আবদুল মুত্তালিব পুত্র, রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,
এই যে আমি, বল! ল্যেকটি বলল, £হ মুহাম্মদ! আমি তোমাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করব ৷
আমার জিজ্ঞাসার ধরন কঠোর হবে ৷ তাতে কিন্তু তুমি মনে মনে আমার উপর রেগে যেয়াে না ৷
নবী করীম (সা) বললেন, তোমার যা মনে আসে জিজ্ঞেস করতে পার ৷ ল্যেকটি বলল,
(তামার প্রতিপালক এবং তোমার পুর্ববভীদৈর প্ৰতিপালকের নামে আমি তোমাকে জিজ্ঞেসা
করছি আল্লাহ-ই তোমাকে বিশ্ব মানবের রাসুল রুপে পাঠিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন ণ্শুন্শ্রা
ণ্শ্ও আল্লাহ্ সড়াক্ষী হী ! ল্যেকটি বলল, তা হলে আল্লাহর কসম দিয়ে তোমাকে বলছি, বছরের
এ মাসটিতে আমাদেরকে সিয়াম পালনের নির্দেশ আল্লাহ-ই তোমাকে দিয়েছেন? রাসুলুল্লাহ্
(সা ) বললেন ণ্শুও ণ্ন্ৰুগ্রা ইা৷ আল্লাহর নামে বলছি হ্ ল্যেকটি বলল, আপনার নিয়ে আসা
বিষয়াবলীর প্ৰতি আমি বিশ্বাস স্থাপন করছি ৷ আর আমি আমার সম্প্রদায়ের তন্নে সকলের
দুত ৷ আমর নাম যিমাম ইবন ছালবাে বনু সাদ ইবন বকর গোত্রের প্রতিনিধি ৷ বুখারী, আবু
দাউদ, নাসাঈ , ইববু মাজা প্রমুখ ইমামপণও বিভিন্ন সনদে হাদীসখানা রিওয়ড়ায়াত করেছেন ৷
যিমাদ আল আবদীর প্রতিনিধি রুপে আগমন
হিজরড়াতেব পুর্বে যিমাদ (ইবন ছালবো) আল আবদী (রা)১ মক্কায় রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর
দরবারে এসেছিলেন ৷ প্রতিনিধি রুপে তার যে আগমন এবং তীর নিজের ও র্তার সম্প্রদায়ের
১ ইবনু হিশামের বর্ণনার যিমাম ইবন ছালাবড়া আস নাদী (রঙ ) :
ধ্া৷
بَعْدَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنَّ تَأْمُرَنَا أَنْ نَعْبُدَهُ وَحْدَهُ، وَلَا نُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا، وَأَنْ نَخْلَعَ هَذِهِ الْأَنْدَادَ الَّتِي كَانَ آبَاؤُنَا يَعْبُدُونَ؟ قَالَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلَهَكَ، وَإِلَهَ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ، وَإِلَهَ مَنْ هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نُصَلِّيَ هَذِهِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ؟ قَالَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: ثُمَّ جَعَلَ يَذْكُرُ فَرَائِضَ الْإِسْلَامِ فَرِيضَةً فَرِيضَةً ; الزَّكَاةَ، وَالصِّيَامَ، وَالْحَجَّ، وَشَرَائِعَ الْإِسْلَامِ كُلَّهَا، يَنْشُدُهُ عِنْدَ كُلِّ فَرِيضَةٍ مِنْهَا، كَمَا يَنْشُدُهُ فِي الَّتِي قَبْلَهَا، حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَالَ: فَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَسَأُؤَدِّي هَذِهِ الْفَرَائِضَ، وَأَجْتَنِبُ مَا نَهَيْتَنِي عَنْهُ، ثُمَّ لَا أَزِيدُ وَلَا أَنْقُصُ. ثُمَّ انْصَرَفَ إِلَى بَعِيرِهِ رَاجِعًا. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنْ صَدَقَ ذُو الْعَقِيصَتَيْنِ دَخَلَ الْجَنَّةَ ". قَالَ: فَأَتَى بَعِيرَهُ فَأَطْلَقَ عِقَالَهُ، ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ، فَاجْتَمَعُوا إِلَيْهِ، فَكَانَ أَوَّلَ مَا تَكَلَّمَ بِهِ أَنْ قَالَ: بِئْسَتِ اللَّاتُ وَالْعُزَّى. فَقَالُوا: مَهْ يَا ضِمَامُ اتَّقِ الْبَرَصَ، اتَّقِ الْجُذَامَ، اتَّقِ الْجُنُونَ. فَقَالَ: وَيْلَكُمْ، إِنَّهُمَا وَاللَّهِ لَا يَضُرَّانِ وَلَا يَنْفَعَانِ، إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ رَسُولًا، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ كِتَابًا اسْتَنْقَذَكُمْ بِهِ مِمَّا كُنْتُمْ فِيهِ، وَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنْ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، وَقَدْ جِئْتُكُمْ مِنْ عِنْدِهِ بِمَا أَمَرَكُمْ بِهِ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ. قَالَ: فَوَاللَّهِ مَا أَمْسَى مِنْ ذَلِكَ الْيَوْمِ وَفِي حَاضِرِهِ رَجُلٌ وَلَا امْرَأَةٌ إِلَّا مُسْلِمًا.
পৃষ্ঠা - ৩৭৪৯
قَالَ: يَقُولُ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَمَا سَمِعْنَا بِوَافِدِ قَوْمٍ كَانَ أَفْضَلَ مِنْ ضِمَامِ بْنِ ثَعْلَبَةَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ فَذَكَرَهُ، وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ أَبُو دَاوُدَ مِنْ طَرِيقِ سَلَمَةَ بْنِ الْفَضْلِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ الْوَلِيدِ بْنِ نُوَيْفِعٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِنَحْوِهِ. وَفِي هَذَا السِّيَاقِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ رَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ قَبْلَ الْفَتْحِ ; لِأَنَّ الْعُزَّى خَرَّبَهَا خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ أَيَّامَ الْفَتْحِ.
وَقَدْ قَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَبْرَةَ عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ عَنْ كُرَيْبٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: بَعَثَتْ بَنُو سَعْدِ بْنُ بَكْرٍ فِي رَجَبٍ سَنَةَ خَمْسٍ ضِمَامَ بْنَ ثَعْلَبَةَ وَكَانَ جَلْدًا أَشْعَرَ ذَا غَدِيرَتَيْنِ، وَافِدًا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلَ حَتَّى وَقَفَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ فَأَغْلَظَ فِي الْمَسْأَلَةِ ; سَأَلَهُ عَمَّنْ أَرْسَلَهُ، وَبِمَا أَرْسَلَهُ، وَسَأَلَهُ عَنْ شَرَائِعِ الْإِسْلَامِ، فَأَجَابَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ، فَرَجَعَ إِلَى قَوْمِهِ مُسْلِمًا قَدْ خَلَعَ الْأَنْدَادَ، فَأَخْبَرَهُمْ بِمَا أَمَرَهُمْ بِهِ وَنَهَاهُمْ عَنْهُ، فَمَا أَمْسَى فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ فِي حَاضِرِهِ رَجُلٌ وَلَا امْرَأَةٌ إِلَّا مُسْلِمًا، وَبَنَوُا الْمَسَاجِدَ وَأَذَّنُوا بِالصَّلَاةِ. .
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ ثنا سُلَيْمَانُ - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كُنَّا نُهِينَا أَنْ نَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ شَيْءٍ، فَكَانَ يُعْجِبُنَا أَنْ يَجِيءَ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ الْعَاقِلُ، فَيَسْأَلُهُ وَنَحْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৭৫০
১২২ আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহড়াৰুইান্ামোঃন্তে
ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কিত বিবরণ আমরা ইতােপুর্বে ইমাম আহমাদ (র) এর বরাতে ইয়াহ্য়া
ইবন আদম (র)ইবনু আব্বাস (রা)-এর বর্ণিত হাদীসসহ বিন্তুতভারেপেশ করে এসেছি ৷
তইি এখানে তার পুনরুল্লেখ প্রয়োজনীয় মনে করছি না ৷ (আল্লাহ্রই জন্য সব হড়ামৃদ ও তারই
সব অনুকম্পা ! ) ৷
তায়’ গোত্রের প্রতিনিধি রুপে নারদ আল-থারন (না)-এর আগমন
ইবনু ইসহন্ক (র) বলেন, তার গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে আগমন
করল ৷ দলের সর্দার যায়দ আলু থারল ও সে প্রতিনিধি দলে ছিনুেন ৷ নবী কয়ীম (না)-এর
কাছে এসে তারা তার সাথে আলাপ আলোচনা করল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তাদের ইসলাম গ্রহণের
আহ্বান জানালে র্তারা মুসলমান হয়ে গেলেন এবং নিষ্ঠাবান মুসলমান হিসাবে জীবন যাপন
করেন ৷ যায়দ আল থায়ল সম্পর্কে রাসুলুল্পাহ (সা) বলেছিলেন, তায়’ গোত্রের ৰিশ্বস্ত নন এমন
লোকদের কেউ কেউ আমাকে হাদীছ ওনিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) বলেছেন-
এন্াক্ট্র এেগ্রষ্
“আরবের যে সব লোকের গুণ ও মাহত্যোর কথা আমাকে গােনানাে হয়েছে, তারা আমার
কাছে আসার পরে তাদের দেখে আমি তাদেরকে তাদের সম্পর্কিত বর্ণনার চইিতে নিম্ন স্তরের
পেয়েছি ৷ জ্যি মায়দ আল থারল ছিলেন এর ব্যতিক্রম ৷ কেননা, তার ভিতরে যে পরিমাণ
সদগুণ রয়েছে যে পরিমাণ আমি আগে শুনতে পইিনি ৷”
তারপর রড়াসুলুল্লাহ্ (না) তার নাম আৎশিক পরিবর্তন করে তাকে যায়দ আল থারর
(কল্যাণ পুর্ণ নারদ) নামে অভিহিত করলেন এবং তাকে ফায়দ নামক স্থানটি ও তার
পার্শ্ববর্তী তুখওসমুহ জাগীর রুপে দান করে তার লিখিত সনদ দিয়ে দিলেন ৷ যায়দ স্বগােত্রে
ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবার থেকে রওয়ানা হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-
বললেন, যায়দ মদীনায় জ্বরের হাত থেকে বেচে গেলে ? “(রড়াসুলুল্লাহ্ (না) অবশ্য জ্বর
বুঝানাের জন্য হুম্মা (, ,-এ ) বা উম্মু মিলদাম (ণ্এৰুএ ণ্৷ ) শব্দ ব্যবহার করেননি (তবে তার
স্থলে কী শব্দ ব্যবহার করেছিলেন রানী তা সংক্ষণ করে রাখতে পারেননি) ৷ বর্ণনড়াকারী
বলেন, ফিরতি সফরে নারদ নাজদে এলাকার ফারদা’ নামের কুয়োটির কাছে পৌছলে জ্বরে
আক্রান্ত হলেন এবং তাতে মারা গেলেন ৷ মৃত্যুর উপস্থিতি অনুভব করে তিনি নিদ্যোক্ত
পংক্তিদ্বয় রচনা করেছিলেন ৷
১ ৷ আমার সংগী সাথীরা কাল সকালে পুর্ব দেশের পানে এগিয়ে যাবে; আমি নাজদের
ফারদাতে একটি নির্জন ঘরে পরিত্যক্ত হয়ে থাকর ৷
২ ৷ কতই না এমন দিন ছিল যখন আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে এমন সেবা পরড়ায়ণা
সেবিকার৷ আমার ওশ্রদ্বষা করত, যাদের সেবার কেউ সুস্থ না হলে তার আর জীবনের আশা
থাকতো না ৷
বর্ণনাকারী বলেন, যায়েদের মৃত্যু হয়ে গেলে তার শ্রী নিজের অজ্ঞতা, নির্বুদ্ধিতা ও
ধর্যপরায়ণতার স্বল্পতা বশতঃ স্বামীর সাথে রক্ষিত সনদ ও নথিপত্র তুলে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে
نَسْمَعُ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، أَتَانَا رَسُولُكَ فَزَعَمَ لَنَا أَنَّكَ تَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَكَ. قَالَ: " صَدَقَ ". قَالَ: فَمَنْ خَلَقَ السَّمَاءَ؟ قَالَ: " اللَّهُ ". قَالَ: فَمَنْ خَلَقَ الْأَرْضَ؟ قَالَ: " اللَّهُ ". قَالَ: فَمَنْ نَصَبَ هَذِهِ الْجِبَالَ وَجَعَلَ فِيهَا مَا جَعَلَ؟ قَالَ: " اللَّهُ ". قَالَ: فَبِالَّذِي خَلَقَ السَّمَاءَ، وَخَلَقَ الْأَرْضَ وَنَصَبَ هَذِهِ الْجِبَالَ، آللَّهُ أَرْسَلَكَ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِي يَوْمِنَا وَلَيْلَتِنَا. قَالَ: " صَدَقَ ". قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا زَكَاةً فِي أَمْوَالِنَا. قَالَ: " صَدَقَ ". قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا صَوْمَ شَهْرِ رَمَضَانَ فِي سَنَتِنَا. قَالَ: " صَدَقَ ". قَالَ: فَبِالَّذِي أَرْسَلَكَ، آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: وَزَعَمَ رَسُولُكَ أَنَّ عَلَيْنَا حَجَّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا. قَالَ: " صَدَقَ ". قَالَ: ثُمَّ وَلَّى، فَقَالَ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ نَبِيًّا لَا أَزِيدُ عَلَيْهِنَّ شَيْئًا، وَلَا أَنْقُصُ مِنْهُنَّ شَيْئًا. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَئِنْ صَدَقَ لَيَدْخُلَنَّ الْجَنَّةَ» ". وَهَذَا الْحَدِيثُ مُخَرَّجٌ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " وَغَيْرِهِمَا بِأَسَانِيدَ وَأَلْفَاظٍ كَثِيرَةٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي النَّضْرِ هَاشِمِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَعَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ طَرِيقِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৭৫১
وَأَخْرَجَهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ بِنَحْوِهِ، فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ ثنا لَيْثٌ حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ: «بَيْنَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسًا فِي الْمَسْجِدِ، دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى جَمَلٍ، فَأَنَاخَهُ فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ عَقَلَهُ، ثُمَّ قَالَ: أَيُّكُمْ مُحَمَّدٌ؟ وَرَسُولُ اللَّهِ مُتَّكِئٌ بَيْنَ ظَهْرَانِيهِمْ قَالَ: فَقُلْنَا: هَذَا الرَّجُلُ الْأَبْيَضُ الْمُتَّكِئُ. فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا ابْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَدْ أَجَبْتُكَ ". فَقَالَ الرَّجُلُ: يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي سَائِلُكَ فَمُشْتَدٌّ عَلَيْكَ فِي الْمَسْأَلَةِ فَلَا تَجِدْ عَلَيَّ فِي نَفْسِكَ. فَقَالَ: " سَلْ مَا بَدَا لَكَ ". فَقَالَ الرَّجُلُ: أَنْشُدُكَ بِرَبِّكَ وَرَبٍّ مَنْ كَانَ قَبْلَكَ، آللَّهُ أَرْسَلَكَ إِلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نُصَلِّيَ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسَ فِي الْيَوْمِ وَاللَّيْلَةِ؟ قَالَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: فَأَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ السَّنَةِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ: أَنْشُدُكَ اللَّهَ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنَّ تَأْخُذَ هَذِهِ الصَّدَقَةَ مِنْ أَغْنِيَائِنَا فَتَقْسِمَهَا عَلَى فُقَرَائِنَا؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ نَعَمْ ". قَالَ الرَّجُلُ: آمَنْتُ بِمَا جِئْتَ بِهِ، وَأَنَا رَسُولٌ مَنْ وَرَائِي مِنْ قَوْمِي، وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ، أَخُو بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُوسُفَ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ بِهِ، وَهَكَذَا رَوَاهُ