سنة ثمان من الهجرة النبوية
كتاب الوفود الواردين إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم
بداية مقدم الوفود إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৩৬৯৭
বর্ণনাকারীর নিজস্ব অভিমত মাত্রণ্ষ্ যার সম্ভাবনা ক্ষীণ (কেননা, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী উছমান
(রা) এর কবরে অবতরণের প্রশ্নই নেই) ৷
কেননা, রাসুলদৃহিতা উম্মু কুলছুম ব্যতীত উছমান (রা)-এর অন্য কোন শ্রী থাকার তেমন
সম্ভাবনা নেই ৷ এ বছরই আয়লার রাজা, জারব৷ আর রুহবড়াসীরা এবং দুমাতুল জানদাল-এর
অধিকর্তারা সন্ধিবদ্ধ হয়, যথাস্থানে এ সরের বিবরণ প্রদত্ত হয়েছে ৷ এ বছরই একটি যুনাফিক
উপদলের নির্মিত মসজিদরুপী ষড়যস্তের আখড়া বিরার মসজিদ ধ্বংস করে দেয়া হয় এবং
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশে তা ভশ্মীতুত করা হয় ৷ এ বছরের রমযানে ছার্কীফের প্রতিনিধি
দল এসে স্বগােত্রের পক্ষে সন্ধিপত্র সাক্ষর করে নিরাপত্তার সনদ নিয়ে ফিরে যায় এবং লাত’
বিগহ ভেঙ্গে চুরমড়ার করা হয় ৷ একটু আগেই এর বিবরণ দেয়া হয়েছে ৷ এ বছরের শেষ ভাগে
ধরাপৃষ্ঠ থেকে বিদায় নেয় মুনাফিক প্রধান অতিশপ্ত’ আবদুল্লাহ ইবন উবাই ৷ এর কয়েক মাস
আগে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর তাবুক অবস্থানকালে (এ বিষয় সম্পৃক্ত হাদীস ও বর্ণনার প্রামাণ্যতা
সাপেক্ষে) মৃত্যুবরণ করেন ৷ মুআবিয়া ইবন মুআবিয়া আললায়হী কিৎবা আল ঘৃযানী (বা)
এবং রাসুলুল্লাহ্ (না) তার জানাযার ইমড়ামতি করেন ৷ এ বছরই আবু বকর (বা) রাসুল (সা)-
এর নির্দেশে মুসলিম জনতাকে নিয়ে (প্রথমবারের মত নিয়মিত) হল সম্পাদন করেন ৷
আর এ বছরই আরবের বিভিন্ন £গাত্রউপগােত্রের প্রতিনিধি দলসমুহের ব্যাপক আগমন
ঘটে ৷ যে কারণে “প্রতিনিধি দল বর্ষ’ নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে ৷ আমরা ইমাম বুখাৰী
(র) প্রমুখ-এর পদাঙ্ক অনুসরণে তাই এখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের আলোচনার জন্য একটি পুর্ণাঙ্গ ও
স্বতন্ত্র অধ্যায় সন্নিবেশিত করছি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না) সকাশে প্রতিনিধি দলসমুহের আগমন
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কা বিজয় সম্পন্ন করলেন, তাবুক
অভিযান থেকে অবসর হলেন, ছাকীফ গোত্রীয়রা আনুগত্যের বায়আত করল; তারপর শুরু হল
চারদিক থেকে আরবীয় প্রতিনিধি দলের আগমন ৷ ইবন হিশাম (র) বলেন, আবু উরায়দা
আমাকে বলেছেন যে, এসব ছিল নবম বর্ষে এবং এ বছরটিকে সানাতুল উফুদ’ বা
প্রতিনিধিদল বর্ষ’ নামে অভিহিত করা হয় ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, আরব জাতি তাদের
ইসলামে দীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে এ কুরায়শ গোত্রটির পটপরিবর্তানর প্রতীক্ষায় ছিল ৷ কেননা,
কৃরড়ায়শই ছিল সকল গোত্রের পুরােধাও নিয়ন্ত্রক, হারাম শরীফ ও বায়তুল্লাহর সান্নিধ্যে
বসবাসকারী ইসমাঈল ইবন ইবরাহীম (আ)-এর প্রত্যক্ষ বংশধর ৷ আরব নেতৃত্বের এ
সত্যটিকে অস্বীকার করার জো ছিল না ৷ ওদিকে কৃরায়শীরাই রাসুলুল্লাহ (সা) এর বিকদ্ধাচরণ
ও তার সাথে লাগাতার সংঘর্ষের সুচনা করেছিল ৷ সুতরাং মক্কা বিজয় ও কুরায়শীদের জর
নিকট আত্মসমর্থ্যণর ফলে ও মক্কাবড়াসীরা ইসলামের পদানত হলে অন্যান্য আরবর৷ উপলব্ধি
করলো যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)ন্এর সাথে শত্রুতা পোষণ এবং ৎঘাত ও যুদ্ধ জিইয়ে রাখার
সামর্থ্য আর তাদের নেই ৷ ফলে তারা দলে দলে (যেমন মহীয়ান আল্লাহ স্বয়ং ইরশাদ
করেছেন) আল্লাহর দীনে দাখিল হতে লাগল এবং চতুল্কি থেকে এ দীনের কেন্দ্রাতিমুখে
কাফেলাসমুহের আগমন শুরু হলো ৷ যেমনটি আল্লাহ তাআলা তার নবীর কাছে বিষয়টির
অবতারণা করেছেন-
[كِتَابُ الْوُفُودِ الْوَارِدِينَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
[بِدَايَةُ مَقْدَمِ الْوُفُودِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: لَمَّا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ وَفَرَغَ مِنْ تَبُوكَ وَأَسْلَمَتْ ثَقِيفٌ وَبَايَعَتْ، ضَرَبَتْ إِلَيْهِ وُفُودُ الْعَرَبِ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: حَدَّثَنِي أَبُو عُبَيْدَةَ أَنَّ ذَلِكَ فِي سَنَةِ تِسْعٍ، وَأَنَّهَا كَانَتْ تُسَمَّى سَنَةَ الْوُفُودِ - قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَإِنَّمَا كَانَتِ الْعَرَبُ تَرَبَّصُ بِإِسْلَامِهَا أَمْرَ هَذَا الْحَيِّ مِنْ قُرَيْشٍ ; لِأَنَّ قُرَيْشًا كَانُوا إِمَامَ النَّاسِ وَهَادِيَهُمْ، وَأَهْلَ الْبَيْتِ وَالْحَرَمِ، وَصَرِيحَ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، وَقَادَةَ الْعَرَبِ، لَا يُنْكِرُونَ ذَلِكَ، وَكَانَتْ قُرَيْشٌ هِيَ الَّتِي نَصَبَتِ الْحَرْبَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخِلَافَهُ، فَلَمَّا افْتُتِحَتْ مَكَّةُ وَدَانَتْ لَهُ قُرَيْشٌ، وَدَوَّخَهَا الْإِسْلَامُ، عَرَفَتِ الْعَرَبُ أَنَّهُمْ لَا طَاقَةَ لَهُمْ بِحَرْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا عَدَاوَتِهِ، فَدَخَلُوا فِي دِينِ اللَّهِ - كَمَا قَالَ عَزَّ وَجَلَّ - أَفْوَاجًا، يَضْرِبُونَ إِلَيْهِ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ، يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى لِنَبِيِّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: {إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا} [النصر: 1] (النَّصْرِ: 1 - 3) أَيْ فَاحْمَدِ اللَّهَ عَلَى مَا أَظْهَرَ مِنْ دِينِكَ، وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا.
وَقَدْ قَدَّمْنَا حَدِيثَ عَمْرِو بْنِ سَلَمَةَ قَالَ: وَكَانَتِ الْعَرَبُ تَلَوَّمُ بِإِسْلَامِهِمْ
পৃষ্ঠা - ৩৬৯৮
ৰ্ৰ্ন ত্মসৰে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে
প্রবেশ করতে দেখরে; তখন তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশ০ সাসহ পবিত্রত৷ ও মহিমা ঘোষণা
করার এবং তার ক্ষমা প্রার্থনা করবে, তিনি তো তাওবা কবুলকারী” (১১০ সুরা আন-নাসর) ৷
অর্থাৎ তোমার দীনের প্রতিষ্ঠা লাভের প্রেক্ষিতে আল্লাহর প্রশ০ সা করবে এবং তার কাছে
মাগফিরাত কামনা করবে ৷ কারণ (এমন করলে) তিনি বান্দার তাওবা কবুল করে থাকেন এবং
বান্দার প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন ৷ এ প্রসঙ্গের বিন্তুত বিবরণ সম্বলিত আমুর ইবন মাসলামা
(বা) বর্ণিত হাদীস আমরা ইতােপুর্বে উল্লেখ করে এসেছি ৷ যার সংক্ষেপ হল গোটা আরব
পক্ষের বিজয়ের প্রতীক্ষায় ছিল; এটি ফায়সালা হয়ে গেলে তারা ইসলাম গ্রহণ করবে ৷ তারা
তো বলতেই থাকত এ লোকটাকে তার কওমের সাথে বুঝতে দাও; যদি ওদের৷ উপরে তার
প্রাধান্য জমাতে পারে, তাহলে সে সতই নবী সাব্যস্ত হবে ৷ সুতরাং মক্কা বিজয় বাস্তবায়িত
হলে প্রতিটি কওম অ্যাবর্তী হওয়ার প্রতিযােগীতার সাথে ইসলামে দাখিল হতে লাগল ৷ আমার
কওমও ইসলাম গ্রহণে অগ্রণী ভুমিকায় ছিল ৷ আমাদের কওমের প্রতিনিধি ফিরে এসে যা
বলেছিল তা হল “আল্লাহর কসম! একজন সত্য নবীর সান্নিধ্যে থেকেই তোমাদের কাছে
আসছি; তিনি বলে থাকেন,
গ্রাএই ণ্ৰুএন্ৰুধ্ ণ্ৰু০১এ৭ ণ্ৰু০-০
“অমুক সময় অমুক সালাত এবং অমুক সময় অমুক সালাত আদায় করবে ৷ সালাতের সময়
আগত হলে তোমাদের পক্ষে একজন আমান দেবে এবং তোমাদের মাঝে কুরআনের অধিকতর
জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি তোমাদের ইমামতি করবে ৷”
( আমৃর (বা) পুর্ণ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন) এ হাদীসের বিবরণ রয়েছে সহীহ্ বুখারী
ধস্কারের মন্তব্য : মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) এবং র্তার পরবভীচিদর মাঝে ওয়াকিদী ও
ৰুধ্রীি (র) এবং আরও পরে বায়হাকী (র) প্রমুখ এমন অনেক প্রতিনিধি দলের তালিকা ও
ৰিৰ্ৰ্ন দিয়েছেন যাদের আণমনকাল ছিল নবম হিজয়ী বর্ষে ৷
নৌ মক্কা ৰিজয়েরও আগে এর প্রমাণ থােদ আল্লাহর কালামেও ইরশাদ হয়েছে-
১ন্া
অেমাদের মধ্যে যারা মক্কা বিজয়ের পুর্বে ব্যয় করেছে ও লড়াই করেছে তারা এবং
র্মো সমান নয় ৷ তারা মর্যাদার শ্রেষ্ঠ ওদের অপেক্ষা; যারা পরবভীকািলে ব্যয় করেছে ও
গ্ইেৰ্ৰ্রছে ৷ তবে আল্পাহ্ ভৈয় দলেরই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন (৫৭ : ১০) এছাড়া
الْفَتْحَ فَيَقُولُونَ: اتْرُكُوهُ وَقَوْمَهُ، فَإِنَّهُ إِنْ ظَهَرَ عَلَيْهِمْ فَهُوَ نَبِيٌّ صَادِقٌ. فَلَمَّا كَانَتْ وَقْعَةُ أَهْلِ الْفَتْحِ بَادَرَ كُلُّ قَوْمٍ بِإِسْلَامِهِمْ، وَبَدَرَ أَبِي قَوْمِي بِإِسْلَامِهِمْ، فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ: جِئْتُكُمْ وَاللَّهِ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ حَقًّا، قَالَ: " صَلُّوا صَلَاةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا وَصَلَاةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا، فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ، وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْثَرُكُمْ قُرْآنًا ". وَذَكَرَ تَمَامَ الْحَدِيثِ وَهُوَ فِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ ".
قُلْتُ: وَقَدْ ذَكَرَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ ثُمَّ الْوَاقِدِيُّ وَالْبُخَارِيُّ ثُمَّ الْبَيْهَقِيُّ بَعْدَهُمْ، مِنَ الْوُفُودِ مَا هُوَ مُتَقَدِّمٌ تَارِيخَ قُدُومِهِمْ عَلَى سَنَةِ تِسْعٍ، بَلْ وَعَلَى فَتْحِ مَكَّةَ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {لَا يَسْتَوِي مِنْكُمْ مَنْ أَنْفَقَ مِنْ قَبْلِ الْفَتْحِ وَقَاتَلَ أُولَئِكَ أَعْظَمُ دَرَجَةً مِنَ الَّذِينَ أَنْفَقُوا مِنْ بَعْدُ وَقَاتَلُوا وَكُلًّا وَعَدَ اللَّهُ الْحُسْنَى} [الحديد: 10] (الْحَدِيدِ: 10) . وَتُقَدَّمَ قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الْفَتْحِ: «لَا هِجْرَةَ، وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ ".» فَيَجِبُ التَّمْيِيزُ بَيْنَ السَّابِقِ مِنْ هَؤُلَاءِ الْوَافِدِينَ عَلَى زَمَنِ الْفَتْحِ مِمَّنْ يُعَدُّ وُفُودُهُ هِجْرَةً، وَبَيْنَ اللَّاحِقِ لَهُمْ بَعْدَ الْفَتْحِ مِمَّنْ وَعَدَهُ اللَّهُ خَيْرًا وَحُسْنًى، وَلَكِنْ لَيْسَ فِي ذَلِكَ كَالسَّابِقِ لَهُ فِي الزَّمَانِ وَالْفَضِيلَةِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. عَلَى أَنَّ هَؤُلَاءِ الْأَئِمَّةَ الَّذِينَ اعْتَنَوْا بِإِيرَادِ الْوُفُودِ قَدْ تَرَكُوا فِيمَا أَوْرَدُوهُ أَشْيَاءَ لَمْ يَذْكُرُوهَا، وَنَحْنُ نُورِدُ بِحَمْدِ اللَّهِ وَمَنِّهِ مَا ذَكَرُوهُ، وَنُنَبِّهُ عَلَى مَا يَنْبَغِي التَّنْبِيهُ عَلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ، وَنَذْكُرُ مَا وَقَعَ لَنَا مِمَّا أَهْمَلُوهُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، وَبِهِ الثِّقَةُ وَعَلَيْهِ التُّكْلَانُ.
وَقَدْ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُمَرَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيُّ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৬৯৯
নবী করীম আলায়হিস সালামের এ বাণীও পুর্বে উদ্ধৃত হয়েছে মক্কা বিজয়ের দিন তিনি
বলেছিলেন প্রোঙু ১শু৫১ ()$; :;১১১ ১ “এখন থেকে (মক্কা হতে মদীনায় বিধিণ৩ ত) হিজরত
নেই; তবে জিহাদ ও নিয়ত এ আমল চিরক৷ ল অব্যাহত থাকবে ৷
অতএব, মদীনাভিঘুখী প্রতিনিধি দলসমুহের মাঝে স্তরৰিন্যাস ও পার্থক্য নির্ণয় জরুরী ৷ একটি
স্তব্র হল মক্কা বিজয়ের পুর্বে আগমনকারীদের, যাদের আগমন হিজরতরুপে স্বীকৃত ৷ অন্য স্তরটি
হল মক্কা বিজয়ের পরবর্তী সময় আগমনকাবী থোত্রীয় প্রতিনিধি দলসমুহের; যাদের জন্যও আল্লাহ্
কল্যাণ ও পুণ্যের ওয়াদ৷ করেছেন ৷ কিন্তু সময়ের পার্থক্য ও মাহাঅোর বিচারে এরা পুর্ববর্জীদর
সমতুল্য হতে পারে না ৷ আল্লা ইে সমধিক অবগত ৷ এ ছাড়া প্রতিনিধি দল বিষয়ক আলোচনায়
গুরুতৃারোপ সত্বেও পুর্ববর্তীদের আলোচনা থেকে অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য বাদ পড়ে গিয়েছে ৷
আমরা শ্আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অপার অনৃখহে পুর্বসুরীদের আলোচনা সংেক্ষ্যপ উল্লেখ করার
সাথে সাথে সে বিষয় প্রয়োজনীয় ঢিকা-টিপ্পনী ও সংশোধন-সংযোজনসহ আমাদের প্রাপ্ত তথ্যাদি
র্তাদের পরিত্যক্ত বিষয়গুলোও সাধ্যমত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ্!
ওয়াকিদী (র) বলেন, কাহীর ইবন আবদুল্লাহ আল মুযানী (র)র্তার দাদা থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) সকাশে সর্বপ্রথম আগমনকারী প্রতিনিধি দল হল
মুযার’ গোত্রের শাখা মুযায়না’-র চারশ ৷’ সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি কাফেলাঢি ৷ এদের আগমন
হয়েছিল পঞ্চম হিজরীর রজব মাসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাদের স্বদেশ ভুমিতে অবস্থান করাকেই
তাদের জন্য হিজরত তভুল্য’ সাব্যস্ত করে দিলেন ৷ তিনি বললেন,
ণ্ড্রা
“তোমরা তোমাদের বাড়ি-ঘরে থেকেই ন্মুহাজির সাব্যস্ত হবে ৷ সুতরাং তোমরা ণ্তামাদের
ধন-সম্পদের মাঝে ফিরে যাও” ৷ ফলে র্তার৷ ভীদের আবাসভুমিতে ফিরে গেল ৷ তারপর
ওয়াকিদী (র) হিশাম ইবনৃল কা ৷লবী (র) থেকে৩ারই সনদে উল্লেখ করেছেন যে, যুযায়ন৷ থেকে
সর্বাগ্রে আগমনকা ৷রী ব্যক্তি ছিলেন খুয৷ ৷ঈ ইবন আবৃদ নৃহুম এবং তার সাথে ছিল তার স্বগােত্রীয়
আরও দশজন ৷ তিনি তার কওমের পক্ষে রাসুলুল্লাহ্র হাতে ইসলামের বায়আত করলেন ৷ কিন্তু
কওমের কাছে ফিরে গেলে তাদের ব্যাপারে তার ধারণার ব্যতিক্রম দেখতে পেয়ে হতাশ হলেন ৷
কওম তীর প্রতি তেমন সাড়া দিল না ৷ এ অবস্থা জানতে পাের রাসুলুল্লাহ্ (সা) করি হাসৃসান
ইবন ছাবিত (রা) কে নির্দেশ দিলেন, থুযাঈর নিন্দা না হয়, এমনভাবে কটাক্ষ করে কবিতা
রচনা কর ৷ তিনি সে মত কয়েকটি পংক্তি রচনা করলেন ৷ এগুলো খুযাঈর কাছে পৌছলে তিনি
গোত্রের ণ্লাকদের কাছে এ ব্যাপারে অনৃযোগ করলেন ৷ তখন তারা সমবেত হয়ে ইসলাম গ্রহণ
করলে খুযাঈ তাদের নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ৷খদমতে হ যিব হলেন ৷ মক্কা বিজয়ের দিন-
সেদিন পর্যন্ত তাদের সং খ্যা হাজ জারের ঘরে পৌছেছিলণ্প্ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মুযায়না ৷কবীলার
পতাকাবাহী নিযুক্ত করেছিলেন এ খুয৷ ৷ঈকেই ৷ বর্ণনাক ৷রী বলেন, ইনি হলেন আবদুল্লাহ যুল-
বিজাদায়ন (দৃই কম্বলধারী অ ৷বদুল্লাহ্) এর ভাই ৷
অনুচ্ছেদ : তামীম প্রতিনিধি দলের আগমন প্রসঙ্গ
ইমাম বুখারী (র) বলেন, আবু নুআয়ম (র)ইমরান ইবন হুসায়ন (না) থেকে, তিনি
বলেন, একদল বনু তামীম নবী করীম (না)-এর কাছে এলে তিনি বললেন, “হে তামীষীরা ৷
أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: كَانَ أَوَّلَ مَنْ وَفَدَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مُضَرَ أَرْبَعُمِائَةٍ مِنْ مُزَيْنَةَ، وَذَلِكَ فِي رَجَبٍ سَنَةَ خَمْسٍ، فَجَعَلَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْهِجْرَةَ فِي دَارِهِمْ وَقَالَ: «أَنْتُمْ مُهَاجِرُونَ حَيْثُ كُنْتُمْ، فَارْجِعُوا إِلَى أَمْوَالِكُمْ ".» فَرَجَعُوا إِلَى بِلَادِهِمْ.
ثُمَّ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ الْكَلْبِيِّ بِإِسْنَادِهِ، أَنَّ أَوَّلَ مَنْ قَدِمَ مِنْ مُزَيْنَةَ خُزَاعِيُّ بْنُ عَبْدِ نُهْمٍ وَمَعَهُ عَشَرَةٌ مِنْ قَوْمِهِ، فَبَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى إِسْلَامِ قَوْمِهِ، فَلَمَّا رَجَعَ إِلَيْهِمْ لَمْ يَجِدْهُمْ كَمَا ظَنَّ فِيهِمْ، فَتَأَخَّرُوا عَنْهُ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ أَنْ يُعَرِّضَ بِخُزَاعِيٍّ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَهْجُوَهُ، فَذَكَرَ أَبْيَاتًا، فَلَمَّا بَلَغَتْ خُزَاعِيًّا شَكَى ذَلِكَ إِلَى قَوْمِهِ، فَحَمُوا لَهُ، وَأَسْلَمُوا مَعَهُ، وَقَدِمَ بِهِمْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ الْفَتْحِ دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لِوَاءَ مُزَيْنَةَ - وَكَانُوا يَوْمَئِذٍ أَلْفًا - إِلَى خُزَاعِيٍّ هَذَا. قَالَ: وَهُوَ أَخُو عَبْدِ اللَّهِ ذِي الْبِجَادَيْنِ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: بَابُ وَفْدِ بَنِي تَمِيمٍ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي صَخْرَةَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مُحْرِزٍ الْمَازِنِيِّ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ قَالَ: «أَتَى نَفَرٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " اقْبَلُوا الْبُشْرَى يَا بَنِي تَمِيمٍ ". قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ بَشَّرْتَنَا فَأَعْطِنَا. فَرُئِيَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ، فَجَاءَ نَفَرٌ مِنَ الْيَمَنِ، فَقَالَ: " اقْبَلُوا الْبُشْرَى إِذْ لَمْ يَقْبَلْهَا بَنُو تَمِيمٍ ". قَالُوا: قَدْ قَبِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ.» ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ أَنَّ
পৃষ্ঠা - ৩৭০০
ণ্র্চু ষ্
“ ৎঘাত ও লুঠতরাজকালে কত শত গোত্রের দর্প আমরা চুর্ণ করে দিয়েছি; মর্যাদার
মাহাত্ম্য অনুসরণীয় তো বটে ৷
“আমরা দৃর্তিক্ষকালে আমাদের দস্তরখানের খাবার ৰিতরিত হয় দেদার সে ভুনা কবােব;
যদি না সংকট আসন গেড়ে বলে ও বিপদ স্থায়ী রুপ নেয় ৷
¢-“ং§ ণ্ন্ :fi :তৈ ঠো ষ্ঠাং ণ্ন্তণ্ন্ম্পো,৷দ্রৰুত্র ফ্লোগ্রা ৷গ্এন্ ধ্-^গ্লু
“যেমন দেখতেই পচ্ছে, লোক সমাজের সর্দার শ্রেণী সারাদেশ থেকে সাহায্যের আশায়
আমাদের কাছে ছুটে ছুটে আসে; তখন আমরা দান দক্ষিণা করি ৷
“আমরা তখন সুস্থ-সবল উটপাল যবইি করতে থাকি আমাদের এ মরুনিৰাসে; আগন্তুক
অতিথিবৃন্দের জন্য; যারাই অতিথি হন তারা পরিতৃপ্তির সাথে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন ৷
এে
“কোন গোত্রের সাথে আমরা গৌরব প্রতিযোগিতার যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে তুমি শুধু এমনটিই
দেখবে যে, তারা মরে ৰিনাশ হচ্ছে আর ছিন্ন শির জাতিতে পরিণত হচ্ছে ৷ (অথবা তুমি দেখবে
না যে আমরা যে কোন গোত্রের সাথে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হচ্ছি) তবে হা যে গোত্রটি
ধনেজনে বলীয়ড়ান হয়ে সুসংগঠিত গোত্রে পরিণত হয়েছে ওদের মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় ৷
ওে
“সুতরাং ঐ ক্ষেত্রে মারা আমাদের সাথে পাল্লা দিতে আসে আমরা ওদের যথার্থ পরিচয়
নিয়ে সেই, ফলে সে গোত্র ফিরে যায় এমনভাবে যে তাদের নাস্তানাবুদ হওয়ার খবর কানে
কানে ছড়িয়ে পড়ে ৷
শ্রুত্ত )ড্ পৌা
“আমরাই অন্যদের প্রাধান্য অস্বীকার করে থাকি; আমাদের নেতৃত্ব শ্রেষ্ঠতু অস্বীকার করার
দৃর্যতি হয় নি কারো; কীর্তি ও কৃতিত্বের গৌরবে আমরা এভাবেই উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হয়ে
থাকি ৷ ”
ইবন ইসহাক (র) বলেন, হাসৃসান ইবন ছাবিত সে সময়টিতে উপস্থিত ছিলেন না ৷
রাসুলুল্লাহ্ তার কাছে লোক পাঠালেন ৷ তিনি (হড়াসৃসান) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
কাছে পৌছলে প্রতিপহ্মের করি দাড়িয়ে তার বক্তব্য পেশ করল ৷ আমিও তার মত করেই তার
উক্তির প্রত্যক্ষ পাল্টা জবাব দিলাম ৷ মোটকথা, যাব রিকান তার কবিতা শেষ করলে রড়াসুলুল্লাহ্
(সা ) হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা)-কে বললেন, হাসৃসান ! তুমি দাড়িয়ে লোকট্যর বক্তব্যের জবাব
দাও ৷ হড়াসৃসান (বা) তার কবিতা শুরু করলেন-
ابْنَ جُرَيْجٍ أَخْبَرَهُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ «قَدِمَ رَكْبٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَمِّرِ الْقَعْقَاعَ بْنَ مَعْبَدِ بْنِ زُرَارَةَ. فَقَالَ عُمَرُ: بَلْ أَمِّرِ الْأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: مَا أَرَدْتَ إِلَّا خِلَافِي. فَقَالَ عُمَرُ: مَا أَرَدْتُ خِلَافَكَ. فَتَمَارَيَا حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا، فَنَزَلَتْ {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُقَدِّمُوا بَيْنَ يَدَيِ اللَّهِ وَرَسُولِهِ} [الحجرات: 1] (الْحُجُرَاتِ: 1) حَتَّى انْقَضَتْ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ بِأَلْفَاظٍ أُخَرَ، قَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ} [الحجرات: 2] الْآيَةَ.
وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا قَدِمَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وُفُودُ الْعَرَبِ، قَدِمَ عَلَيْهِ عُطَارِدُ بْنُ حَاجِبِ بْنِ زُرَارَةَ بْنِ عُدُسٍ التَّمِيمِيُّ فِي أَشْرَافِ بَنِي تَمِيمٍ، مِنْهُمْ ; الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ التَّمِيمِيُّ وَالزِّبْرِقَانُ بْنُ بَدْرٍ التَّمِيمِيُّ أَحَدُ بَنِي سَعْدٍ، وَعَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ وَالْحَبْحَابُ بْنُ يَزِيدَ وَنُعَيْمُ بْنُ يَزِيدَ وَقَيْسُ بْنُ الْحَارِثِ وَقَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ أَخُو بَنِي سَعْدٍ، فِي وَفْدٍ عَظِيمٍ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَمَعَهُمْ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيُّ وَقَدْ كَانَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ وعُيَيْنَةُ شَهِدَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتْحَ مَكَّةَ وَحُنَيْنًا وَالطَّائِفَ، فَلَمَّا قَدِمَ
পৃষ্ঠা - ৩৭০১
ফিহ্র খ্যন্দানের শীর্ষস্থানীররা এবং তাদের ভ্রড়াতৃশ্রেণী জনতার সামনে তুলে রয়েছে এমন
রাজপথের দিশা যা অনুসরণীর ৷
“যে পথ ও জীবনধারা পসন্দ করে তেমন সকল ল্যেকই, যাদের প্রকৃতি’ হল আল্লাহ্র
তাকওয়া; যা সার্বিক কল্যাণ সাধনের হেতু ৷
াগ্লু ন্নুও ৷১৷ ণ্এৰু
“ওরা এমন সম্প্রদায় যারা যুদ্ধের ময়দানে নামলে শত্রুদের ক্ষতিগ্রস্ত করে ছাড়ে; আর
স্বপক্ষীরদের উপকার রর্তাতে চাইলে তা তাদের দোর গোড়ার পৌছিয়ে দেয় ৷
“ওটা ওদের জন্ম জন্মাম্ভরের স্বতাব; নতুন কিছু নয়; জেনে রাখা ভাল নতুন নতুন আচরণ
হচ্ছে নিকৃষ্টতম আচরণ ৷
“যদি লোকদের মাঝে তাদের পরবর্তী স্তরের অ্যাণী কেউ থেকে থাকে, তা হলে প্রতিটি
অগ্রণী (দল) তাদের (কাছাকাছি এবং তাদের) চাইতে নিম্নতর ঐ অগ্রণী স্তরের অনুগাযী ৷
৷ গ্লু;ব্র ,
প্রতিরোধকালে তাদের পাঞ্জা যা ফেলে দেয়, তা লোকেরা তুলে উঠার না; আর তারা যা
তুলে ধরে তা লোকেরা ফেলে নীচু করে দেয় না ৷ অর্থাৎ সভ্রম ও মর্যাদার শীর্ষে অবস্থান করে ৷
“কখনো লোকদের সাথে প্রতিদ্বচ্ছিতায় অবতীর্ণ হলে তাদের লোকেরইি প্রতিযোগিতায়
জয়মাল্য ছিনিয়ে নেয়, আর ঐতিহ্যের অধিকারীদের সাথে বদান্যতার প্রতিযোগিতায় এল এরা
ওদের হটিরে দের ৷
া )র্ন্তট্র হ্শ্;া
ওরা পুত চরিত্রের অধিকারী; ওহীর মধ্যে বিবৃত হয়েছে ওদের পুত পৰিত্রতা ৷ ওরা
লালায়িতহয় না, লোড ওদের কখনো ধ্বংস করে না ৷
ণ্ঠে
প্রতিবেশীদের প্ৰতি অনুগ্রহ বর্ষণে তাদের কার্পণ্য নেই লালসার কোন বস্তু তাদেরকে স্পর্শ করে না ৷
ব্লু )১া৷ রুৰু;ম্পুা৷ ষ্১৷ ৷১া
যখন কোন ণ্গাত্রের বিপক্ষে আমরা যুদ্ধের পতাকা উডচীন করি, আমরা (ভালুক চালে) হামাগুড়ি
দিয়ে কিংবা অতর্কিতে তাদের কাছে পৌছে না, নীল পাভী ও বন্য শিকারকে প্রতারণাপ্রলুব্ধ ক্যার জ্যা
সহত্রে’১ প্রাণী যেমন ঢাদে ঢেলে থাকে (বরং আমরা প্রকাশ্যে ও প্রচণ্ড বিক্রাম আঘাত হানতে অভ্যস্ত) ৷
১ র্চু,ন্ট্র বহুবচনে ত্রুশ্ শ্খো মাধ্যম, উপায় ৷ বন্য শিকারী প্রাণীর নাখে মিতালী পাতাবার জন্য শিকারীরা যে
পাের মানা প্রাণী ব্যবহার করে, যারা বন্য প্রাণীর সাথে তার জমিয়ে তাকে শিকারীর র্ফাদে ফেলে ৷
وَفْدُ بَنِي تَمِيمٍ كَانَا مَعَهُمْ فَلَمَّا دَخَلُوا الْمَسْجِدَ نَادَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ وَرَاءِ حُجُرَاتِهِ ; أَنِ اخْرُجْ إِلَيْنَا يَا مُحَمَّدُ. فَآذَى ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ صِيَاحِهِمْ، فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، جِئْنَاكَ نُفَاخِرُكَ، فَأْذَنْ لِشَاعِرِنَا وَخَطِيبِنَا. قَالَ: " قَدْ أَذِنْتُ لِخَطِيبِكُمْ فَلْيَقُلْ ". فَقَامَ عُطَارِدُ بْنُ حَاجِبٍ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي لَهُ عَلَيْنَا الْفَضْلُ وَالْمَنُّ وَهُوَ أَهْلُهُ، الَّذِي جَعَلَنَا مُلُوكًا، وَوَهَبَ لَنَا أَمْوَالًا عِظَامًا نَفْعَلُ فِيهَا الْمَعْرُوفَ، وَجَعَلَنَا أَعَزَّ أَهْلِ الْمَشْرِقِ وَأَكْثَرُهُ عَدَدًا، وَأَيْسَرَهُ عُدَّةً، فَمَنْ مِثْلُنَا فِي النَّاسِ؟ أَلَسْنَا بِرُءُوسِ النَّاسِ وَأُولِي فَضْلِهِمْ؟ فَمَنْ فَاخَرَنَا فَلْيُعَدِّدْ مِثْلَ مَا عَدَّدْنَا، وَإِنَّا لَوْ نَشَاءُ لَأَكْثَرْنَا الْكَلَامَ، وَلَكِنْ نَسْتَحِي مِنَ الْإِكْثَارِ فِيمَا أَعْطَانَا، وَإِنَّا نُعْرَفُ بِذَلِكَ، أَقُولُ هَذَا لَأَنْ تَأْتُوا بِمِثْلِ قَوْلِنَا، وَأَمْرٍ أَفْضَلَ مِنْ أَمْرِنَا. ثُمَّ جَلَسَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ أَخِي بَنِي الْحَارِثِ بْنِ الْخَزْرَجِ: " قُمْ فَأَجِبِ الرَّجُلَ فِي خُطْبَتِهِ ". فَقَامَ ثَابِتٌ فَقَالَ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ خَلْقُهُ قَضَى فِيهِنَّ أَمْرُهُ، وَوَسِعَ كُرْسِيَّهُ عِلْمُهُ، وَلَمْ يَكُ شَيْءٌ قَطُّ إِلَّا مِنْ فَضْلِهِ، ثُمَّ كَانَ مِنْ قُدْرَتِهِ أَنْ جَعَلَنَا مُلُوكًا، وَاصْطَفَى مِنْ خَيْرِ خَلْقِهِ رَسُولًا، أَكْرَمَهُ نَسَبًا، وَأَصْدَقَهُ حَدِيثًا، وَأَفْضَلَهُ حَسَبًا، فَأَنْزَلَ عَلَيْهِ كِتَابًا، وَائْتَمَنَهُ عَلَى خَلْقِهِ، فَكَانَ خِيرَةَ اللَّهِ مِنَ الْعَالَمِينَ، ثُمَّ دَعَا النَّاسَ إِلَى الْإِيمَانِ بِهِ، فَآمَنَ بِرَسُولِ اللَّهِ الْمُهَاجِرُونَ مِنْ قَوْمِهِ وَذَوِي رَحِمِهِ، أَكْرَمُ النَّاسِ أَحْسَابًا، وَأَحْسَنُ النَّاسِ وُجُوهًا، وَخَيْرُ النَّاسِ فِعَالًا، ثُمَّ كَانَ أَوَّلَ الْخَلْقِ إِجَابَةً
পৃষ্ঠা - ৩৭০২
াগ্লুক্ট্র১
“যুদ্ধ আমাদের পারে তার নখর বসালে আমরা তার উরুর্ধ্ব অবস্থান করি তাকে আমাদের
কাবুতে রাখি; যেমন দল ছুট ব্যক্তি যুদ্ধের নখরাক্রমণে ভীত হয়ে পড়ে ৷”
০দ্বুগ্লুগুএপ্লু ১’
“এরা শত্রুদের পরাস্ত করলে সে জন্য পর্ব প্রকাশ করে না ৷ আবার কখনো আক্রান্ত হলে
কাপুরুষতা বা সস্ত্রম্ভতা তাদের অস্থির করে তুলে না ৷
দ্বু১গু
কঠিন যুদ্ধক্ষেত্রে যখন মৃত্যু চোখের সামনে নাচানাচি করে, ওরা তখন (ইয়ামড়ানের) হড়ালয়া
বনভুমির পেশী বিশিষ্ট সিংহ দল ৷
“ওরা যখন রাগের মাথায় থাকে তখন তাকে ক্ষমাস্বরুপ যা যতটুকু দেয়৩ তা ততটুকু
নিয়েই তুষ্ট থাক; ওরা যে বিষয়টি না করে দেয়, তাই যেন তোমার লক্ষ্য না হয় ৷”
৫গ্রাএ শুএ্ :দ্বু
ওদের সাথে সং ঘাতে লিপ্ত হওয়ার মানে হলো অকল্যাণের মাঝে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মা ন্হুতি
দেয়া যে অকল্যাণের মাঝে সাতরে যেড়ায় উট-ঘোড়ারা; অতএব, সাবধান! ওদের সাথে
শক্রতা ত্যাগ কর : ’
৫ন্ঠোট্ট ;া,শ্নো ;ও ,ত্রে ৷১৷ জো ও ট্রেএ শ্রোব্লুহু এেৰ্বা
“মহান সেই কওম, আল্লাহর রাসুল (সা) যাদের আদর্শ ও পুরােধা; যখন নাকি অন্যান্যদের
মত ও পথ বিতিন্নমুখী ও বিক্ষিপ্ত ৷
ণ্গ্লুন্ এে১মৌ
তাদের আঙ্গিনড়ায় আমার এ স্তুতি কাব্যের ভালি নিবেদন করছে এমন একটি হৃদয়, যাকে
তার প্রিয় বিষয়ে প্রবল শক্তি জােগায় এক বয়ন-শিল্পশ্দক্ষ রসনা ৷
৷ ণ্ণ্,১ঙ
“কেননা, গোত্রকুলের মাঝে ওরাই সকলের সেরা; তা মানুষেরা বাস্তব ও তথ্যভিত্তিক বক্তব্য
পেশ করুক কিৎবা হাসি ও ঠট্টিড়াচ্ছলে কোন মন্তব্য করুক ৷
ইবন হিশাম (র) বলেন, বনু তামীম গোত্রের কবিতা সম্পর্কে অভিজ্ঞ জনৈক জ্ঞানী ,ব্যক্তি
আমাকে অবহিত করেছেন যে, বনু তামীম প্রতিনিধি দলের সদস্যরুপে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে
আগমন করলে করি যাবরিকান যে কবিতা আবৃত্তি করেছিল তা নিম্নরুপ-
এএে,ওা
আপনার কাছে আমাদের আগমনের উদ্দেশ্য বিভিন্ন উৎসব ও পর্ব অনুষ্ঠানকালে
লোকদের মাঝে যখন বিরোধ সুচিত হয়, তখন যেন তারা আমাদের শ্রেষ্ঠৎ অনুধাবন
করতে পারে ৷
ণ্এএেস্ এৰু-১হা এেতৈ শুএ ধো ছোদ্বু (fi হেৰু শুএ তাংগ্রা পুিএএশু শু é
১ ২ ণোমোঃ(হ্রাশ্রোা৪র্নো০ওেতাে
وَاسْتَجَابَ لِلَّهِ حِينَ دَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْنُ، فَنَحْنُ أَنْصَارُ اللَّهِ وُزَرَاءُ رَسُولِهِ، نُقَاتِلُ النَّاسَ حَتَّى يُؤْمِنُوا، فَمَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ مَنَعَ مَالَهُ وَدَمَهُ، وَمَنْ كَفَرَ جَاهَدْنَاهُ فِي اللَّهِ أَبَدًا، وَكَانَ قَتْلُهُ عَلَيْنَا يَسِيرًا، أَقُولُ قَوْلِي هَذَا، وَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ لِي وَلَكُمْ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ، وَالسَّلَامُ عَلَيْكُمْ. فَقَامَ الزِّبْرِقَانُ بْنُ بَدْرٍ فَقَالَ:
نَحْنُ الْكِرَامُ فَلَا حَيٌّ يُعَادِلُنَا ... مِنَّا الْمُلُوكُ وَفِينَا تُنْصَبُ الْبِيَعُ
وَكَمْ قَسَرْنَا مِنَ الْأَحْيَاءِ كُلِّهِمْ ... عِنْدَ النِّهَابِ وَفَضْلُ الْعِزِّ يُتَّبَعُ
وَنَحْنُ يُطْعِمُ عِنْدَ الْقَحْطِ مُطْعِمُنَا ... مِنَ الشِّوَاءِ إِذَا لَمْ يُؤْنَسِ الْقَزَعُ
بِمَا تَرَى النَّاسُ تَأْتِينَا سُرَاتُهُمْ ... مِنْ كُلِّ أَرْضٍ هُوِيًّا ثُمَّ نَصْطَنِعُ
فَنَنْحَرُ الْكُومَ عَبْطًا فِي أَرْوِمَتِنَا ... لِلنَّازِلِينَ إِذَا مَا أُنْزِلُوا شَبِعُوا
فَمَا تَرَانَا إِلَى حَيٍّ نُفَاخِرُهُمْ ... إِلَّا اسْتَفَادُوا فَكَانُوا الرَّأْسَ يُقْتَطَعُ
فَمَنْ يُفَاخِرُنَا فِي ذَاكَ نَعْرِفُهُ ... فَيَرْجِعُ الْقَوْمُ وَالْأَخْبَارُ تُسْتَمَعُ
إِنَّا أَبَيْنَا وَلَمْ يَأْبَى لَنَا أَحَدٌ ... إِنَّا كَذَلِكَ عِنْدَ الْفَخْرِ نَرْتَفِعُ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ غَائِبًا فَبَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ حَسَّانُ: فَجَاءَنِي رَسُولُهُ، فَأَخْبَرَنِي أَنَّهُ إِنَّمَا دَعَانِي لِأُجِيبَ شَاعِرَ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৩
بَنِي تَمِيمٍ. قَالَ: فَخَرَجْتُ وَأَنَا أَقُولُ:
مَنَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ إِذْ حَلَّ وَسْطَنَا ... عَلَى أَنْفِ رَاضٍ مِنْ مَعَدٍّ وَرَاغِمِ
مَنَعْنَاهُ لَمَّا حَلَّ بَيْنَ بُيُوتِنَا ... بِأَسْيَافِنَا مِنْ كُلِّ بَاغٍ وَظَالِمِ
بِبَيْتٍ حَرِيدٍ عِزُّهُ وَثَرَاؤُهُ ... بِجَابِيَةِ الْجَوْلَانِ وَسْطَ الْأَعَاجِمِ
هَلِ الْمَجْدُ إِلَّا السُّؤْدُدُ الْعَوْدُ وَالنَّدَى ... وَجَاهُ الْمُلُوكِ وَاحْتِمَالُ الْعَظَائِمِ
قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَيْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَامَ شَاعِرُ الْقَوْمِ فَقَالَ مَا قَالَ، عَرَضْتُ فِي قَوْلِهِ، وَقُلْتُ عَلَى نَحْوِ مَا قَالَ. قَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ الزِّبْرِقَانُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ: " قُمْ يَا حَسَّانُ فَأَجِبِ الرَّجُلَ فِيمَا قَالَ ". فَقَالَ حَسَّانُ:
إِنَّ الذَّوَائِبَ مِنْ فِهْرٍ وَإِخْوَتِهِمْ ... قَدْ بَيَّنُوا سُنَّةً لِلنَّاسِ تُتَّبَعُ
يَرْضَى بِهَا كُلُّ مَنْ كَانَتْ سَرِيرَتُهُ ... تَقْوَى الْإِلَهِ وَكُلَّ الْخَيْرِ يَصْطَنِعُ
قَوْمٌ إِذَا حَارَبُوا ضَرُّوا عَدُوَّهُمْ ... أَوْ حَاوَلُوا النَّفْعَ فِي أَشْيَاعِهِمْ نَفَعُوا
سَجِيَّةٌ تِلْكَ مِنْهُمْ غَيْرُ مُحْدَثَةٍ ... إِنَّ الْخَلَائِقَ فَاعْلَمْ شَرُّهَا الْبِدَعُ
إِنْ كَانَ فِي النَّاسِ سَبَّاقُونَ بَعْدَهُمُ ... فَكُلُّ سَبْقٍ لِأَدْنَى سَبْقِهِمْ تَبَعُ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৪
“এ মাহাত্ম্য যে; প্ৰল্টি এলাকায় আমরাই মানব সমাজের শীর্ষস্থানীয় এবং এ কথা যে,
হিজায ভুমিতে দারিম’ খান্দানের তুলনা নেই ৷”
ণ্ব্রা;ন্ান্;া৷
“আর আমরা চিহ্রধারী’ বীরযোদ্ধাকে হটিয়ে দেই, যদি সে অহং প্রকাশে বাড়াবাড়ি করে;
আর অপ্রতিদ্বন্দী উদ্ধত গর্দানের খুলিতে আঘাত হানি ৷
“আর (যাতে লোকদের জানা হয়ে যায় যে) যে কোন আক্রমণ অভিংান লব্ধ লুটের সম্পদে
আমরা অইিনত চতুর্থাংশের অধিকারী,১ সে আক্রমণ আরবীয় নাজ্বদ এলাকাসয় পরিচালিত
হোক, কিৎরা আজমীদের কোন দেশে ৷ ”
যাবৃরিকানের প্রতিপক্ষে হাসৃসান (রা) জবাব দেয়ার জন্য দাড়িয়ে গেলেন ৷ তিনি বললেন,
ণ্ওা৷স্এ৷ ৰুা৷ওপ্রুা, এ,াপ্রুা৷ :প্রুব্লু ব্লু প্রুএ্যা ৷ ১ণ্যেম্১৷ ১স্পো ১৷ ৷ ১ ১৷ ঞ
“আভিজাত্য তা তো হল সুপ্রাচীন নেতৃতৃ, বদান্যতা, রাজকীয় মর্যাদাবােধ্ ও বড় বড়
ঝক্কি-ঝড়ামেলার দায় বহন ৷”
“আমরা নবী মুহাম্মদ (না)-এর সহায়তায় অবতীর্ণ হয়েছি, তাকে সসম্মানে আশ্রয় দিয়েছি
যুআদ্দ বংশের তুষ্ট ও অতুষ্ট লোকদের অহমিকার পরােয়া না করেই ৷”
এমন একটি জনগােষ্ঠির সহায়তায় যাদের মুল অস্তিতৃ আজমী (অনারৰ) দেশের বুকের
উপরে গোলড়ান উপত্যকায় অপ্রতিরোধ্য শিকড় বিস্তার করে রয়েছে ৷ ২
ণ্ৰুট্ট্র ড্রু
“আমাদের মাঝে তার শুভ পদার্পণের পরে আমরা আমাদের অমি দিয়ে প্রতিটি উদ্ধত-
অনাচারীর বিরুদ্ধে তার সহায়তা করেছি ৷ ”
ণ্ওআে
“আমরা আমাদের সন্তান-সন্ততিদের দিয়ে তার সামনে রক্ষাব্যুহ রচনা করেছি এবং গনীমত
লব্ধ সম্পদের ক্ষেত্রে তার জন্য আমাদের মন প্রাণ সন্তোষে নিবেদিত ৷
ণ্এএিঝা ঞ্জীস্টিংফো
“দু’ধারী সুডীক্ষ্ণ তরবারি দিয়ে আমরা লোকদের আঘাত হেনেছি, ফলে তারা দলে দলে
তার দীনের প্ৰতি আনুগত্য ঘোষণা করেছে ৷ ”
১ প্ধ্রুএ)^প্রী এক-চতুর্থাংশ ৷ জাহিলিয়াত যুগের সমর বিধান অনুযায়ী যুদ্ধলব্ধ লুটের মালে এক-চতুর্থাংশ
সম্পদ অথবা রবি মৌসুমে ফসল উৎপাদনকারী কিৎবা রবি মৌসুমে প্রসবকারিণী উটের উপরে কোন গোত্র বা
গোত্রপতির আইনগত অধিকার ৷
২ গোলড়ান অঞ্চলে মুহাম্মদ (সা) এর পিতৃপুরুষ ইবরাহীম (আ) এর বংশীয় আভিজাত্যের প্রতি ইঙ্গিত ৷
لَا يَرْقَعُ النَّاسُ مَا أَوْهَتْ أَكُفُّهُمْ
عِنْدَ الدِّفَاعِ وَلَا يُوهُونَ مَا رَقَعُوا ... إِنْ سَابَقُوا النَّاسَ يَوْمًا فَازَ سَبْقُهُمُ
أَوْ وَازَنُوا أَهْلَ مَجْدٍ بِالنَّدَى مَتَعُوا ... أَعِفَّةٌ ذُكِرَتْ فِي الْوَحْيِ عِفَّتُهُمْ
لَا يَطْمَعُونَ وَلَا يُرْدِيهِمْ طَمَعُ ... لَا يَبْخَلُونَ عَلَى جَارٍ بِفَضْلِهِمُ
وَلَا يَمَسُّهُمْ مِنْ مَطْمَعٍ طَبَعُ ... إِذَا نَصَبْنَا لِحَيٍّ لَمْ نَدِبَّ لَهُمْ
كَمَا يَدِبُّ إِلَى الْوَحْشِيَّةِ الذَّرَعُ ... نَسْمُوا إِذَا الْحَرْبُ نَالَتْنَا مَخَالِبُهَا
إِذَا الزَّعَانِفُ مِنْ أَظْفَارِهَا خَشَعُوا ... لَا يَفْخَرُونَ إِذَا نَالُوا عَدُوَّهُمُ
وَإِنْ أُصِيبُوا فَلَا خُورٌ وَلَا هُلُعُ ... كَأَنَّهُمْ فِي الْوَغَى وَالْمَوْتُ مُكْتَنِعٌ
أُسْدٌ بِحَلْيَةَ فِي أَرْسَاغِهَا فَدَعُ ... خُذْ مِنْهُمْ مَا أَتَوْا عَفْوًا إِذَا غَضِبُوا
وَلَا يَكُنْ هَمُّكَ الْأَمْرَ الَّذِي مَنَعُوا ... فَإِنَّ فِي حَرْبِهِمْ فَاتْرُكْ عَدَاوَتَهُمْ
شَرًّا يُخَاضُ عَلَيْهِ السُّمُّ وَالسَّلَعُ ... أَكْرِمْ بِقَوْمٍ رَسُولُ اللَّهِ شِيعَتُهُمْ
إِذَا تَفَاوَتَتِ الْأَهْوَاءُ وَالشِّيَعُ ... أَهْدَى لَهُمْ مِدْحَتِي قَلْبٌ يُؤَازِرُهُ
فِيمَا أُحِبُّ لِسَانٌ حَائِكٌ صَنَعُ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৫
ণ্১ৰুাৰুঙি এষ্ ব্লু)১ট্রগ্লু
কুরায়শদের শ্রেষ্ঠ সভানকে আমরাই জন্ম দিয়েছি; বনু হাশিম পরিবারে কল্যাণের নবীকে
আমরাই জন্ম দিয়েছি ৷
ণ্এঞাষ্ এৰুট্ট
দারেমীরা৷ অত পর্ব করো না; কারণ মর্যাদা-আভিজাত্যের আলোচনা ক্ষেত্রে ঐ গর্বসমুহ
বিপদের রুপ নিতে পারে ৷
ণ্ৰুইএ ৷ট্টএপৌ গ্রুশুৰুণ্শ্ ণ্শুশ্মৈং
“তোমরা আমাদের সাথে পর্ব করে বোকামী ও হেৎলাপনড়ার পরিচয় দিয়েছো; অথচ তোমরা
হলে আমাদের সেবাদাস, কেউ বা ধাত্রী, কেউ বা গৃহপরিচড়ারিকা ৷”
ণ্১া৷ঞ্জোধ্ এ গ্রদ্বৈ
“এখন তোমরা যদি জানের হিফাজত ও গণীমতের হিস্সারুপে বণ্টন হয়ে যাওয়া থেকে
তোমাদের সম্পদের হিফাজত করার উদ্দেশ্যে এসে থাকে৷ ৷
“তা হলে অংশীবাদী বর্জন করে ইসলাম গ্রহণ কর (আত্মসমর্পণ কর) এবং অনারব
কাফেরদের বেশ-ভুষা পরিধান কর না ৷ ”
ইবন ইসহড়াক (র) বলেন, হড়াসৃসান ইবন ছাবিত (বা) তার কবিতা শেষ করলে আক্রা ইবন
হাবিস (বা) বললেন, আমার জন্মদাতার শপথ! এ কাব্য প্রতিভা নিঃসন্দেহে আল্পাহ্ প্রদত্ত;
তার পক্ষের বক্তা আমাদের বক্তার চাইতে অধিকতর বাশ্মী; আর তার করি আমাদের কবির
চাইতে অধিকতর কাব্য প্রতিভাসম্পন্ন এবং তাদের ধ্বনি আমাদের ধ্বনির চাইতে উচ্চতর ৷
বর্ণনাকারী বলেন, প্রত্যিযাগিতড়া শেষে আগত প্রতিনিধি দলের সকলেই ইসলাম গ্রহণ করল ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) তাদের যথাযােগ্য উপহার-উপটোকন দিয়ে সমাদৃত করলেন ৷ আম্র ইবনৃল
আহ্তাম ছিলেন দলে সর্বকনিষ্ঠ ৷ তাই লোকেরা তাকে র্তাবুতে রেখে এসেছিলেন ৷ কায়স ইবন
আসিম আমরের প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিল ৷ সে বলে উঠল, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ! আমাদের এক ক্ষুদে
তরুণ র্তাবুতে রয়ে গিয়েছিল ৷ তার স্বরে তাচ্ছিল্যের ভাব প্রকাশ পাচ্ছিল ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্
(না) তাকেও অন্যান্য সদস্যদের সমতুল্য উপহার দিলেন ৷ আম্র ইবনুল আহ্তাম তার প্রতি
কায়সের তাচ্ছিল্যের কথা জানতে পেরে তাকে ব্যাস করে কবিতা রচনা করলেন ৷
“অলস নিতম্ব ৰিছিয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিলে, রাসুল (না)-এর দরবারে বসে আমাকে ব্যাস
করে, কিন্তু সত্য কথা বলার সাহস তোমার হল না ৷
আমরা তো তোমাদের উপর সমুজ্জ্বল নেতৃতু দিয়ে এসেছি; আর তোমাদের নেতৃতু
ফোকলা হয়ে লেজের উপরে মুখ থুবড়ে পড়েছে ৷
হাফিয বায়হাকী (র) রিওরায়াত করেছেন, ইয়াকুব ইবন সুফিয়ান (র)ঘৃহাম্মদ ইবনুয
যুবায়র আল-হানজালী (র) থেকেতিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে যাবৃরিকান ইবন
বদর, কায়স ইবন আসিম ও আমৃর ইবনৃল আহ্তাম (রা) প্রমুখ আগমন করলেন ৷ নবী করীম
(সা) আমর ইবনুল আহ্তামকে বললেন, যাবৃরিকান সম্পর্কে তোমার মন্তব্য আমাকে বল; আর এ
৯ ১
فَإِنَّهُمْ أَفْضَلُ الْأَحْيَاءِ كُلِّهِمُ ... إِنْ جَدَّ فِي النَّاسِ جَدُّ الْقَوْلُ أَوْ شَمَعُوا
وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَأَخْبَرَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ أَنَّ الزِّبْرِقَانَ لَمَّا قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَفْدِ بَنِي تَمِيمٍ قَامَ فَقَالَ:
أَتَيْنَاكَ كَيْمَا يَعْلَمُ النَّاسُ فَضْلَنَا ... إِذَا اخْتَلَفُوا عِنْدَ احْتِضَارِ الْمَوَاسِمِ
بِأَنَّا فُرُوعُ النَّاسِ فِي كُلِّ مَوْطِنٍ ... وَأَنْ لَيْسَ فِي أَرْضِ الْحِجَازِ كَدَارِمِ
وَأَنَّا نَذُودُ الْمُعْلِمِينَ إِذَا انْتَخَوْا ... وَنَضْرِبُ رَأْسَ الْأَصْيَدِ الْمُتَفَاقِمِ
وَأَنَّ لَنَا الْمِرْبَاعَ فِي كُلِّ غَارَةٍ ... نُغِيرُ بِنَجْدٍ أَوْ بِأَرْضِ الْأَعَاجِمِ
قَالَ: فَقَامَ حَسَّانُ فَأَجَابَهُ فَقَالَ:
هَلِ الْمَجْدُ إِلَّا السُّؤْدُدُ الْعَوْدُ وَالنَّدَى ... وَجَاهُ الْمُلُوكِ وَاحْتِمَالُ الْعَظَائِمِ
نَصَرْنَا وَآوَيْنَا النَّبِيَّ مُحَمَّدًا ... عَلَى أَنْفِ رَاضٍ مِنْ مَعَدٍّ وَرَاغِمِ
بِحَيٍّ حَرِيدٍ أَصْلُهُ وَثَرَاؤُهُ ... بِجَابِيَةِ الْجَوْلَانِ وَسْطَ الْأَعَاجِمِ
نَصَرْنَاهُ لَمَّا حَلَّ بَيْنَ دِيَارِنَا ... بِأَسْيَافِنَا مِنْ كُلِّ بَاغٍ وَظَالِمِ
جَعَلْنَا بَنِينَا دُونَهُ وَبَنَاتِنَا ... وَطِبْنَا لَهُ نَفْسًا بِفَيْءِ الْمَغَانِمِ
وَنَحْنُ ضَرَبْنَا النَّاسَ حَتَّى تَتَابَعُوا ... عَلَى دِينِهِ بِالْمُرْهَفَاتِ الصَّوَارِمِ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৬
০ : ৷৷ওে fl ই$
৯২ আল-বিদায়৷ ওয়ান নিহায়া
লোক (কায়স) সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই ৷ আমার ধারণা কায়স সম্পর্কে
আগে থেকে অবহিত ছিলেন ৷ আমৃর বললেন, তার সামনে সকলে তার অনুগত সে ভাবলেশ ৷হীন
অহৎকা র ও পাস্তীর্যের অধিকারী এবং পশ্চাতের বিষয়ে সতর্ক সং ৎরক্ষণকাৰী ৷ যাবৃরিকান এ মন্তব্য
শুনে বললেন, তার কথা যে বলেছে, তবে সে একথাও জানে যে তার ঐ বর্ণনার চাইতে আমি
অবশ্যই শ্রেষ্ঠ ৷ বর্ণনাক ৷য়ী বলেন, তখন আমৃর বলল, আল্লাহর কলম! তোমার সম্পর্কে আমি যা
জানি তা হল, তুমি হচ্ছে৷ বিশাল বপু, স ৎকীর্ণ আস্তাবলের মালিক, আহম্মক বাপের সন্তান আর
ইতর মামা র ভ ৷গ্নে ৷ পরে সে বলল, ইয়৷ ৷রাসুলাল্লাহ্! উভয় বক্তব্যেই আমি সত্যবাদিত৷ রক্ষা
করেছি ৷ প্রথমে সে আমাকে সন্তুষ্ট করেছিল, তাই আমি তার সম্পর্কে আমার জানা তার ভাল
গুণগুলোর উল্লেখ করেছিলাম, পরে সে আমাকে রাগিয়ে দিলে তার সম্পর্কে আমার জানা মন্দ
কথাগুলো ও বলে দিলাম ৷ বণ্নািকায়ী বলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ৩১১ ;)ঞা ৰুএ
“কোন কোন তাবণে যাদুকরী হয়ে থাকে ৷ এ বর্ণন৷ সুত্রে এটি যুরসাল পর্যায়ের ৷ বায়হাকী (র)
বলেন, অন্য একটি সুত্রে হাদীছটি ম’াওসুল রুপেও বর্ণিত হয়েছে ৷ আবু জাফর কাযিল ইবন
আহমদ আল-ঘুসতামিলী (র)ইবন আব্বাস ং(রা) থেকে বর্ণনা করেন, ৷ তিনি বলেন, একবার
তামীম গোত্রের কায়স ইবন আসিম, যাবৃরিকান ইবন বদর ও আমৃর ইবনৃল আহতাম৩ তাযীমী
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর দরব৷ রে বসা ৷ছিল ৷ এ সময় যাবৃরিকান আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে পর্ব ভরে
বলল, ইয়৷ ৷রাসুলাল্লাহ্ৰু আমি তামীম গোত্রের ৷:নতা,ত তাদের মাঝে বরেণ্য ও অনুসরগীয় ৷ অত্যাচার
থেকে তাদেরকে রক্ষা করি এবৎ তাদের প্রাপ্য অধিকার উসৃল করে দেই ৷ এ আম রও আমার দাবী
সমর্থন করবে ৷ তখন আমর ইবনৃল আহ্তাম বলল, যে অবশ্যই চাপড়াবাজ, অগ্রপশ্চাত
ৎরক্ষণকারী এবৎ তার নীচতা সত্বেও বরেণ্য ৷
তখন মাবৃরিকা ৷ন বলল, আল্লাহর কসম ইয়৷ রাসুল৷ ল্লাহ্!৫ সে যা বলেছে তা ৷র চাইতে ভাল কথা
আমার সম্পর্কে যে জা নে, কিন্তু বিদ্বেব তাকে স৩ গোপনে উদ্বুদ্ধ করেছে ৷ আমৃর ইবনৃল আহ্তাম
বলল, আমি তোমাকে হিৎস৷ করব? আল্লাহর কসম! তুমি ইতর মাঘুর ত ৷প্নে (মাতৃকুল নিম্নশ্রেণীর),
ইদানিৎ সম্পদের অবিকা ৰী নতুন ধনী, আহম্মক বাপের সন্তান (পিতৃকুলও নিম্নস্তরের) এবৎ
সমাজে নিম্নস৷ রির ফেলন৷ লোক ৷ ইয়৷ ৷রাসুলাল্লাহ শু আল্লাহর কসম ৷ প্রথমবারে ও আ ৷মি সত্য
বলেছি, আর শেববারেও মিথ্যার আশ্রয় নেই নি ৷ তবে আমার স্বতাব হল, আমার যেবাজ ভাল
থাকলে কারো সম্পর্কে আমার জানা ভাল গুণের কথইি বলি, আর যেযাজ বিপড়ে গেলে আমার
দৃষ্টিতে ৩তার যা মন্দ পরিচয় তাই তুলে বরি ৷ সুতরাৎঅ আমি নিঃসন্দেহে উভয় বারই সত্য কথা
বলেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, স্পো গ্রাএ৷াএ ,)াক কারো কারো বক্তৃতায় যাদৃ থাকে ৷ ” এ
বর্ণনার সনদ অতি পরিচিত ৷
এদের আগমনের কারণ বর্ণনায় ওয়াকিদী (র) উল্লেখ করেছেন, যে এর৷ খুযাঈদের বিরুদ্ধে
অস্ত্র শানিয়েছিল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) উয়ায়ন৷ ইবন বদর (রা)-কে পাঠালেন পঞ্চাশজন
য়ুজাহিদের অধিনায়কতৃ দিয়ে ৷ যাদের মাঝে একজনও যুহাজির বা আনসার ছিলেন না ৷ দলপতি
১ যে হাদীছের সনদে শেষ রাবীরুপে সাহাৰীর নাম উল্লিখিত না হয় তাকে ঘুরসাল ( এগু,ন্ অসৎযুক্ত বা
উন্মুক্ত) বলে ৷ এর বিপরীতে রয়েছে মা ওসুল ( এ রু প্রু ব৷ ফো সং ৎযুক্ত বা সম্পৃক্ত) ৷ আমার সাহাবীর
নাম উল্লিখিত নবী (না) এর সাথে অসম্পৃক্ত রিওয়ায়াতকেও (ব্যাপক অর্থে) মুরসাল বলা হয় ৷
وَنَحْنُ وَلَدْنَا مِنْ قُرَيْشٍ عَظِيمَهَا
وَلَدْنَا نَبِيَّ الْخَيْرِ مِنْ آلِ هَاشِمِ ... بَنِي دَارِمٍ لَا تَفْخَرُوا إِنَّ فَخْرَكُمْ
يَعُودُ وَبَالًا عِنْدَ ذِكْرِ الْمَكَارِمِ ... هَبِلْتُمْ عَلَيْنَا تَفْخَرُونَ وَأَنْتُمُ
لَنَا خَوَلٌ مِنْ بَيْنِ ظِئْرٍ وَخَادِمِ ... فَإِنْ كُنْتُمُ جِئْتُمْ لِحَقْنِ دِمَائِكُمْ
وَأَمْوَالِكُمْ أَنْ تُقْسَمُوا فِي الْمَقَاسِمِ ... فُلَا تَجْعَلُوا لِلَّهِ نِدًّا وَأَسْلِمُوا
وَلَا تَلْبَسُوا زِيًّا كَزِيِّ الْأَعَاجِمِ
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا فَرَغَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ مِنْ قَوْلِهِ، قَالَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ: وَأَبِي إِنَّ هَذَا لَمُؤَتًّى لَهُ، لَخَطِيبُهُ أَخْطَبُ مِنْ خَطِيبِنَا، وَلَشَاعِرُهُ أَشْعَرُ مِنْ شَاعِرِنَا، وَلَأَصْوَاتُهُمْ أَعْلَى مِنْ أَصْوَاتِنَا. قَالَ: فَلَمَّا فَرَغَ الْقَوْمُ أَسْلَمُوا، وَجَوَّزَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَحْسَنَ جَوَائِزَهُمْ، وَكَانَ عَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ قَدْ خَلَّفَهُ الْقَوْمُ فِي رِحَالِهِمْ، وَكَانَ أَصْغَرَهُمْ سِنًّا، فَقَالَ قَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ، وَكَانَ يَبْغُضُ عَمْرَو بْنَ الْأَهْتَمِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ قَدْ كَانَ رَجُلٌ مِنَّا فِي رِحَالِنَا، وَهُوَ غُلَامٌ حَدَثٌ. وَأَزْرَى بِهِ. فَأَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَ مَا أَعْطَى الْقَوْمَ، فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ حِينَ بَلَغَهُ أَنَّ قَيْسًا قَالَ ذَلِكَ يَهْجُوهُ:
ظَلِلْتَ مُفْتَرِشَ الْهَلْبَاءِ تَشْتُمُنِي ... عِنْدَ الرَّسُولِ فَلَمْ تَصْدُقْ وَلَمْ تُصِبِ
سُدْنَاكُمْ سُؤْدُدًا رَهْوًا وَسُؤْدُدُكُمْ ... بَادٍ نَوَاجِذُهُ مُقْعٍ عَلَى الذَّنْبِ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৭
উয়ড়ায়ন৷ তাদের এগা রজন পুরুষ, এগা রজন নারী ও তিনজন শিশু-কিশোর বন্দী করে তা ৷নলেন ৷ এ
বন্দীদের খাতিরে তাদের নেতারা আসতে বাধ্য হল ৷ এদের স০ খ্যা ছিল নব্বই কিংবা আ ৷শিজন ৷
উল্লেখমোঃাব্র ছিল উত ৷রিদ, যাবৃরিকান, কায়স ইবন আসিম, কায়স ইবনৃল হ রিছ, নৃ আয়ম ইবন
সাদ, আকর৷ ইবন হাবিস, রাব৷ ইবনুল হারিছ ও আমর ইবনুল আহতাম ৷ বিলাল (বা) জহরের
আমান দেয়ার পরক্ষণে তারা এসে মসজ্যিদ প্রবেশ করল ৷ লোকেরা তখন সলোঃতর জন্য
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হুজর৷ থেকে বেরিয়ে আসার প্রতীক্ষায় ছিলেন ৷ আগন্তুকেরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে
হুজরাসমুহের বাইরে থেকে চিৎকার দিয়ে তাকে ডাকতে লাগল ৷ তখন তাদের এ আচরণের
নিন্দাসুচক আয়াত নাযিল হল ৷ এরপর ওয়াকিদী তাদের বক্তা ও কবির বিষয় আলোচনা করেছেন
এবং উল্লেখ করেছেন যে নবী কবীম (সা) তাদের প্রত্যেককে বার উকিয়ার অধিকহারে রৌপ্য মুদ্রা
(প্রায় পাচশ’ দিরহড়াম) উপচৌকনরুপে দিয়েছিলেন ৷ তবে কনিষ্ঠতম সদস্য আমৃর ইবনুল
আহতামের বয়সে ছোট হওয়ার কারণে পাচ উকিয়া দিয়েছিলেন ৷ আ ৷ল্লাহ্ই সমধিক অবগত
ইবন ইসহাক (র) বলেন, এদের সম্পবেইি আল্লাহ পাকের এ বাণী না ৷যিল হল
; ,
ষ্’ণ্ছু১এ এটুংণ্ ঠোএ ণ্€-ন্ এব্লু-ব্লু গ্রব্রো ণ্গো
“যারা ঘরের পেছন থেকে উচচস্বরে ডাকে, তাদের অধিকাংইি নিবেধি ৷ তুমি বের হয়ে
, তাদের কাছে আসা পর্যন্ত যদি“ তারা ধৈর্যধারণ করত, তাই তাদের জন্য উত্তম হত ৷ আল্লাহ্
ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৪৯ : ৪ ৫) ৷
ইবন জারীর (র) বলেন, আবু আম্মার আল হ্লায়ন ইবন হ্বায়ছ আল মারওয়াষী (র)বারা
(বা) সুত্রে “যারা ঘরের পিছন থেকে চিৎকার করে তোমাকে ডাকে আয়াত সম্পর্কে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তিরাসুলুলাহ্ (সাএর কাছে এসে বলল, “হে মুহাম্মদ! কারো জন্য
আমার ন্তুতি তার জন্য সৌন্দর্যবর্ধক আর আমার কুৎসা বর্ণনা তার জন্য কলঙ্কস্বরুপ ৷ নবী করীম
(সা) বললেন, ঐ ব্যাপারটি মহীয়ান-গবীয়ান আল্লাহর অধিকারে ( অর্থাৎ ইজ্জত দেয়া ও
বেইজ্জত করা একমাত্র আল্লাহ্রই অধিকা ৷রে ৷ কোন মানুষের হাতে নয় ৷) এ হাদীসের সনদ
উত্তম ও অবিচ্ছিন্ন ৷ হাসান বসবী ও কা৩ ড়াদ৷ (র) থেকে এ বিওয়ায়া তটি ঘুরসাল’ রুপে বণিতি
হয়েছে ৷ ইমাম আহমদের রিওয়ায়াতে চিংক৷ ৷রকা ৷বী লোকটির নামও উল্লিখিত হয়েছে৷ ৷তিনি
বলেন, আফ্ফা ন (র)অ ৷কর৷ ইবন হাবিল (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনিই এভাবে রাসুলুল-
াহ্ (না)-কে ইয়৷ মুহাম্মদ ! ইয়৷ মুহাম্মদ! বলে ডেকেছিলেন ৷ অন্য একটি রিওয়ায়াতে রয়েছে-
ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ৰু কিন্তু নবী করীম (না) তার ড ৷কে জব৷ ব দেননি ৷ তখন লোকটি বলে ইয়া
রাসুলাল্পাহ্!ক কারো জন্য আমার স্তুতিত ৷র সৌন্দর্যবর্ধক এবং কারো “ব্যাপারে আমার বক্তব্য তার
জন্যে কলঙ্কস্বরুপ ৷ নবী করীম (সা) বললেন, ঐ বিষয়টি মহান আল্লাহ্রই অধিকারে ৷
বনুতামীমের ফষীলভ প্রসঙ্গ
বুখারী (র) বলেন, যুহায়র ইবন হাবৃব (র)আবু হুরায়র৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
তিনি বলেছেন, তিনটি কারণে যা আ ৷মি বনু তাষীম সম্পর্কে রাসুলুলাহ্ (সা) কে বলতে
শুনেছি আমি তাদের তা ৷লবেসেই যাবং (১) দ ৷জ্জালের বিরুদ্ধে আমার উম্মতের মাঝে তারা
€মাো
وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الزُّبَيْرِ الْحَنْظَلِيِّ قَالَ: «قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الزِّبْرِقَانُ بْنُ بَدْرٍ وَقَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ وَعَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ فَقَالَ لِعَمْرِو بْنِ الْأَهْتَمِ: " أَخْبِرْنِي عَنِ الزِّبْرِقَانِ فَأَمَّا هَذَا فَلَسْتُ أَسْأَلُكَ عَنْهُ ". وَأَرَاهُ كَانَ قَدْ عَرَفَ قَيْسًا. قَالَ: فَقَالَ: مُطَاعٌ فِي أَدْنَيْهِ، شَدِيدُ الْعَارِضَةِ، مَانِعٌ لِمَا وَرَاءَ ظَهْرِهِ. فَقَالَ الزِّبْرِقَانُ: قَدْ قَالَ مَا قَالَ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنِّي أَفْضَلُ مِمَّا قَالَ. قَالَ: فَقَالَ عَمْرٌو: وَاللَّهِ مَا عَلِمْتُكَ إِلَّا زَمِرَ الْمُرُوءَةِ، ضَيِّقَ الْعَطَنِ، أَحْمَقَ الْأَبِ، لَئِيمَ الْخَالِ. ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ صَدَقْتُ فِيهِمَا جَمِيعًا ; أَرْضَانِي فَقُلْتُ بِأَحْسَنِ مَا أَعْلَمُ فِيهِ، وَأَسْخَطَنِي فَقُلْتُ بِأَسْوَءَ مَا أَعْلَمُ فِيهِ. قَالَ: فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا ".» وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رُوِيَ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مَوْصُولًا أَخْبَرَنَا أَبُو جَعْفَرٍ كَامِلُ بْنُ أَحْمَدَ الْمُسْتَمْلِي ثنا مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ بْنِ عُثْمَانَ الْبَغْدَادِيُّ ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحُسَيْنِ الْعَلَّافُ بِبَغْدَادَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حَرْبٍ الطَّائِيُّ أَنْبَأَنَا أَبُو سَعْدِ بْنُ الْهَيْثَمِ بْنِ مَحْفُوظٍ عَنْ أَبِي الْمُقَوِّمِ يَحْيَى بْنِ يَزِيدَ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৮
হবে সৰ্বাধিক কঠোর; (২) অইিশা (না)-এর জনৈক! র্বাদী ঐ গোত্রের ছিল; ংরাসুলুলাহ্ (সা)
বললেন, ওকে আনন্দ করে দাও ৷ কেননা, ওত্যে ইসমাঈল (আ)-এর বংশধর; (৩) তাদের
সাদাকা নিয়ে আসা হলে নবী কয়ীম (সা) বলেছিলেন, এ হচ্ছে এমন এক কওমের সাদাকা
অথবা তিনি বলেছিলেন আমার কওমেব সাদাক৷ ৷ ইমাম মুসলিম (র) ও যুহায়র ইবন হাবৃব
(র) থেকে এ হাদীছটি অনুরুপ ব্লিওরায়াত করেছেন ৷ এ হাদীছখানা কাতাদা (র) প্রমুখের
বর্ণনাকে আংশিক খণ্ডন করে এবং হামসাে কাব্য সৎকলনে গৃহীত বনু তামীমের কুৎসামুলক
কবিতা প্রত্যাখ্যান করে সে কবিতায় বলা হয়েছে তাষীমীরা ইতরামীর ব্যাপারে কাতা’
পাখির চইিতে অধিকতর পারদর্শী; ওরা কল্যাণের পথে চলতে শুরু করলেও তা বিভ্রান্তিতে
পর্যবসিত হয় ৷ তাষীমীরা এমন ভীতুব ডিম যে উকুনের পিঠে আরােহী কোন চাম-উকুনকে দুর
থেকে দেখলেও ওরা লেজ গুটিয়ে দৌড়তে থাকে ৷
আবদুস কারন গোত্রের প্রতিনিধিদ্যা প্রষ্স্তো
তামীমী প্রতিনিধিদলের আঙ্গেল্দো শেষ করে বুৰ্াৰী (র) বলেছেন, “অনুচ্ছেদ ও আবদুল
কায়স প্রতিনিধিদল আবু ইসহাৰু (র)আবু হামৃধ্৷ (র) সুত্রে বলেন, আমি ইবন আব্বাস
(রা)-কে বললাম, আমার মটকাগুলির মাৰে একটিকে আমার জন্য খুরম৷ তিন্ধিন্নে রাখা হয়,
স্বাদু হলে আমি তা পান করি ৷ একটু বেশী পরিমাণে তা দান করেন দীর্ঘ সময় ধরে কোন
মজলিসে বসলে তার মাদকতায় আমার লজ্জা পাওয়ার (মত কোন কিছু করে বসার) আশংকা
হয় ৷ (এ বিষয় আপনার ফত্ওয়৷ কি ?) তিনি বললেন, আবদৃল কায়স গোত্রের প্রতিনিধিদল
রাসুলুল্লাহ (সা)-এৱ সকাশে আগমন করল ৷ তিনি বললেন,
-;দ্রলোঃ শ্ব১ গ্রষ্ম্রশু ):শ্ণ্ ণ্মোঃ রুহু১)ষ্
স্বাগতম ! হে কওম ! লাঞ্চনা ও অনুতাপের শংকামুক্ত ৷ তারা বলল, ইয়৷ রাসুলুল্লাহ ! আপনার
এবং আমাদের মাঝে মুমার গোত্রের মুশরিকদের অবস্থান, তইি আমরা (যুদ্ধ নিষিদ্ধ থাকার)
পবিত্র মাসগুলি ব্যতীত অন্য সময় আপনার কাছে আমার অবকাশ পাই না ৷ সুতরাং আপনি
আমাদের একটা সংক্ষিপ্ত নির্দেশনা দিয়ে দিন, যে অনুসারে আমল করলে আমরা জান্নাতে প্রবেশ
কবতে পারব ৷ তা ছাড়া আমরা অন্যান্যদেরকেও যে দিকে দাওয়াত দোবা ৷ ” তিনি বললেন-
ফো৷ ১া
“চারটি বিষয় আমি তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি আর চারটি বিষয় নিষেধ করছি ৷ (প্রথম চারটি
বিষয়) আল্লাহ্র প্রতি ঈমান ; তোমরা কি জান আল্লাহর প্রতি ঈমান কাকে বলে ? (তা হল)
একমাত্র আলাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ না থাকার সাক্ষ্য দেয়া, নামায প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত
আদায় করা, রমযানের সিয়াম পালন করা এ ছাড়া তোমরা গণীমতেব এক পঞ্চমাংশ
(ৰায়তৃল সালে) জমা দেবে ৷ আর চারটি বিষয় নিষেধ করছি লাউয়ের খােল, গাছের কাণ্ড বা
পৌড়া খোদাই করে তৈরী পাত্র, সবুজ রংয়ের পলিশ দেয়৷ কলস এবং আলকাতরার পলিশ
দেয়৷ কলসে খুরমা ইত্যাদি ভিজ্যিয় তৈরী পানীয় ৷ ”
الْحَكَمِ عَنْ مِقْسَمٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «جَلَسَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ وَالزِّبْرِقَانُ بْنُ بَدْرٍ وَعَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ التَّمِيمِيُّونَ، فَفَخَرَ الزِّبْرِقَانُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا سَيِّدُ بَنِي تَمِيمٍ، وَالْمُطَاعُ فِيهِمْ وَالْمُجَابُ، أَمْنَعُهُمْ مِنَ الظُّلْمِ، وَآخُذُ لَهُمْ بِحُقُوقِهِمْ، وَهَذَا يَعْلَمُ ذَلِكَ. يَعْنِي عَمْرَو بْنَ الْأَهْتَمِ فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ: إِنَّهُ لَشَدِيدُ الْعَارِضَةِ، مَانِعٌ لِجَانِبِهِ، مُطَاعٌ فِي أَدْنَيْهِ. فَقَالَ الزِّبْرِقَانُ: وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَقَدْ عَلِمَ مِنِّي غَيْرَ مَا قَالَ، وَمَا مَنَعَهُ أَنْ يَتَكَلَّمَ إِلَّا الْحَسَدُ. فَقَالَ عَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ: أَنَا أَحْسُدُكَ؟ ! فَوَاللَّهِ إِنَّكَ لَلَئِيمُ الْخَالِ، حَدِيثُ الْمَالِ، أَحْمَقُ الْوَالِدِ، مُضَيَّعٌ فِي الْعَشِيرَةِ. وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَقَدْ صَدَقْتُ فِيمَا قُلْتُ أَوَّلًا، وَمَا كَذَبْتُ فِيمَا قُلْتُ آخِرًا، وَلَكِنِّي رِجْلٌ إِذَا رَضِيتُ قُلْتُ أَحْسَنَ مَا عَلِمْتُ، وَإِذَا غَضِبْتُ قُلْتُ أَقْبَحَ مَا وَجَدْتُ، وَلَقَدْ صَدَقْتُ فِي الْأُولَى وَالْأُخْرَى جَمِيعًا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ سِحْرًا» وَهَذَا إِسْنَادٌ غَرِيبٌ جِدًّا.
وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ سَبَبَ قُدُومِهِمْ وَهُوَ أَنَّهُ كَانُوا قَدْ شَهَرُوا السِّلَاحَ عَلَى خُزَاعَةَ، فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُيَيْنَةَ بْنَ بَدْرٍ فِي خَمْسِينَ لَيْسَ فِيهِمْ أَنْصَارِيٌّ وَلَا مُهَاجِرِيٌّ، فَأَسَرَ مِنْهُمْ أَحَدَ عَشَرَ رَجُلًا، وَإِحْدَى عَشْرَةَ امْرَأَةً، وَثَلَاثِينَ صَبِيًّا، فَقَدِمَ رُؤَسَاؤُهُمْ بِسَبَبِ أُسَرَائِهِمْ، وَيُقَالُ: قَدِمَ مِنْهُمْ تِسْعُونَ أَوْ ثَمَانُونَ رَجُلًا فِي ذَلِكَ، مِنْهُمْ ; عُطَارِدٌ وَالزِّبْرِقَانُ وَقَيْسُ بْنُ عَاصِمٍ وَقَيْسُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৭০৯
الْحَارِثِ وَنُعَيْمُ بْنُ سَعْدٍ وَالْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ وَرَبَاحُ بْنُ الْحَارِثِ وَعَمْرُو بْنُ الْأَهْتَمِ فَدَخَلُوا الْمَسْجِدَ وَقَدْ أَذَّنَ بِلَالٌ الظُّهْرَ، وَالنَّاسُ يَنْتَظِرُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَخْرُجَ إِلَيْهِمْ، فَعَجِلَ هَؤُلَاءِ، فَنَادَوْهُ مِنْ وَرَاءِ الْحُجُرَاتِ، فَنَزَلَ فِيهِمْ مَا نَزَلَ. ثُمَّ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ خَطِيبَهُمْ وَشَاعِرَهُمْ، وَأَنَّهُ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ، أَجَازَهُمْ عَلَى كُلِّ رَجُلٍ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةٍ وَنَشًّا، إِلَّا عَمْرَو بْنَ الْأَهْتَمِ فَإِنَّمَا أُعْطِيَ خَمْسَ أَوَاقٍ لِحَدَاثَةِ سِنِّهِ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَنَزَلَ فِيهِمْ مِنَ الْقُرْآنِ قَوْلُهُ تَعَالَى: {إِنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِنْ وَرَاءِ الْحُجُرَاتِ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ وَلَوْ أَنَّهُمْ صَبَرُوا حَتَّى تَخْرُجَ إِلَيْهِمْ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [الحجرات: 4] .
قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ الْمَرْوَزِيُّ حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى عَنِ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ فِي قَوْلِهِ: {إِنَّ الَّذِينَ يُنَادُونَكَ مِنْ وَرَاءِ الْحُجُرَاتِ} [الحجرات: 4] قَالَ: «جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّ حَمْدِي زَيْنٌ وَذَمِّي شَيْنٌ. فَقَالَ: ذَاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ مُتَّصِلٌ.
وَقَدْ رُوِيَ عَنِ الْحَسَنِ الْبَصْرِيِّ وقَتَادَةَ مُرْسَلًا عَنْهُمَا، وَقَدْ وَقَعَ تَسْمِيَةُ هَذَا الرَّجُلِ ; فَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ ثنا وُهَيْبٌ ثنا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنِ الْأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ أَنَّهُ «نَادَى رَسُولَ