قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام
ذكر مولد إسحاق عليه الصلاة والسلام
পৃষ্ঠা - ৩৬৯
অদ্ভুত ব্যাপার ও তারা বলল, আল্লাহর কাজে তুমি বিস্ময় বোধ করছ? হে পরিবারবর্গ৷ তোমাদের
প্রতি রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ ৷ তিনি প্রশৎসার্ভু ও সম্মানার্দু ৷ (সুরা হ্রদ : ৬৯ ৭৪)
আল্লাহর বাণীং
ণ্ব্লুাণ্
গ্লু,হু;;;;; ৷ ব্লু; ষ্ব্লু; ১া; ;; ৷; এ;: ; ;া; ১;ব্লু;;; র্চু;; র্দুস্থু; ৷ ’ ;পু’;দ্বু;
এবং ওদেরকে বল, ইবরাহীমের অতিথিদের কথা, যখন ওরা তার নিকট উপস্থিত হয়ে
বলল, সালাম’ ৷ তখন সে বলেছিল, আমরা তোমাদের আগমনে আতৎকিত ৷’ তারা বলল
ভয় করিও না, আমরা তামাকে এক জ্ঞানী পুত্রের শুভ সংবাদ দিচ্ছি’ ৷ সে বলল, তোমরা কি
আমাকে শুভ সংবাদ দিচ্ছ আমি বার্ধকগ্রেস্ত হওয়া সত্বেও ? তোমরা কি বিষয়ে শুভ সং বাদ
দিচ্ছ? ওরা বলল, ’আমরা স৩ দ্র সংবাদ দিচ্ছি, সুতরাং তুমি হতাশ হইও না ৷ সে বলল, যারা
পথভ্রষ্ট তারা ব্যতীত আর কে তার প্রতিপালকের অনুগ্রহ হতে হতাশ হয়? (সুরা হিজ্বরং ;
৫ ১ ৫৬)
আল্লাহর বাণী৪
এ;
’
ণ্ম্বু
তোমার নিকট ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কাি যখন ওরা তার
কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, সালাম ৷ উত্তরে সে বলল, সালাম ৷ এরা তো অপরিচিত লোক ৷
তারপর ইব্রাহীম তার ত্রীর নিকট গেল এবং একটি মাংসল গরুর বাছুর তাজা অবস্থায় নিয়ে
আসল ও তাদের সামনে রাখল এবং বলল, তোমরা খাচ্ছ না কেন? এতে ওদের সম্পর্কে তার
মনে ভীতির সঞ্চার হল ৷ ওরা বলল, ভীত হয়ে৷ না ৷ ’ তারপর ওরা তাকে এক জ্ঞানী পুত্র
সন্তানের সুসংবাদ দিল ৷ তখন তার ন্তী চিৎকার করতে করতে আসল এবং পাল চাপড়িয়ে বলল ,
এই বৃদ্ধা বন্ধ্যার সন্তান হবো তারা বলল, তোমার প্রতিপালক এরুপই বলেছেন, তিনি প্রজ্ঞাময়,
সর্বজ্ঞ ৷ (সুরা যারিয়াত : ২৪ ৩০)
[ذِكْرُ مَوْلِدِ إِسْحَاقَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ]
قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَاقَ نَبِيًّا مِنَ الصَّالِحِينَ وَبَارَكْنَا عَلَيْهِ وَعَلَى إِسْحَاقَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَظَالِمٌ لِنَفْسِهِ مُبِينٌ} [الصافات: 112] . وَقَدْ كَانَتِ الْبِشَارَةُ بِهِ مِنَ الْمَلَائِكَةِ لِإِبْرَاهِيمَ وَسَارَةَ لَمَّا مَرُّوا بِهِمْ مُجْتَازِينَ ذَاهِبِينَ إِلَى مَدَائِنِ قَوْمِ لُوطٍ لِيُدَمِّرُوا عَلَيْهِمْ لِكُفْرِهِمْ وَفُجُورِهِمْ، كَمَا سَيَأْتِي بَيَانُهُ فِي مَوْضِعِهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَلَقَدْ جَاءَتْ رُسُلُنَا إِبْرَاهِيمَ بِالْبُشْرَى قَالُوا سَلَامًا قَالَ سَلَامٌ فَمَا لَبِثَ أَنْ جَاءَ بِعِجْلٍ حَنِيذٍ فَلَمَّا رَأَى أَيْدِيَهُمْ لَا تَصِلُ إِلَيْهِ نَكِرَهُمْ وَأَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيفَةً قَالُوا لَا تَخَفْ إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمِ لُوطٍ وَامْرَأَتُهُ قَائِمَةٌ فَضَحِكَتْ فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ قَالَتْ يَاوَيْلَتَى أَأَلِدُ وَأَنَا عَجُوزٌ وَهَذَا بَعْلِي شَيْخًا إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عَجِيبٌ قَالُوا أَتَعْجَبِينَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ رَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ إِنَّهُ حَمِيدٌ مَجِيدٌ} [هود: 69]
[الذَّارِيَاتِ: 24 - 30] .
পৃষ্ঠা - ৩৭০
يَذْكُرُ تَعَالَى أَنَّ الْمَلَائِكَةَ قَالُوا وَكَانُوا ثَلَاثَةً؛ جِبْرِيلَ، وَمِيكَائِيلَ، وَإِسْرَافِيلَ، لَمَّا وَرَدُوا عَلَى الْخَلِيلِ حَسِبَهُمْ أَوَّلًا أَضْيَافًا فَعَامَلَهُمْ مُعَامَلَةَ الضُّيُوفِ شَوَى لَهُمْ عِجْلًا سَمِينًا مِنْ خِيَارِ بَقَرِهِ، فَلَمَّا قَرَّبَهُ إِلَيْهِمْ وَعَرَضَ عَلَيْهِمْ لَمْ يَرَ لَهُمْ هِمَّةً إِلَى الْأَكْلِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَذَلِكَ لِأَنَّ الْمَلَائِكَةَ لَيْسَ فِيهِمْ قُوَّةُ الْحَاجَةِ إِلَى الطَّعَامِ فَنَكِرَهُمْ إِبْرَاهِيمُ: {وَأَوْجَسَ مِنْهُمْ خِيفَةً قَالُوا لَا تَخَفْ إِنَّا أُرْسِلْنَا إِلَى قَوْمِ لُوطٍ} [هود: 70] . أَيْ لِنُدَمِّرَ عَلَيْهِمْ فَاسْتَبْشَرَتْ عِنْدَ ذَلِكَ سَارَةُ غَضَبًا لِلَّهِ عَلَيْهِمْ وَكَانَتْ قَائِمَةً عَلَى رُءُوسِ الْأَضْيَافِ، كَمَا جَرَتْ بِهِ عَادَةُ النَّاسِ مِنَ الْعَرَبِ وَغَيْرِهِمْ، فَلَمَّا ضَحِكَتِ اسْتِبْشَارًا بِذَلِكَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . أَيْ بَشَّرَتْهَا الْمَلَائِكَةُ بِذَلِكَ {فَأَقْبَلَتِ امْرَأَتُهُ فِي صَرَّةٍ} [الذاريات: 29] . أَيْ فِي صَرْخَةٍ {فَصَكَّتْ وَجْهَهَا} [الذاريات: 29] أَيْ كَمَا يَفْعَلُ النِّسَاءُ عِنْدَ التَّعَجُّبِ، وَقَالَتْ: {يَا وَيْلَتَا أَأَلِدُ وَأَنَا عَجُوزٌ وَهَذَا بَعْلِي شَيْخًا} [هود: 72] . أَيْ كَيْفَ يَلِدُ مِثْلِي وَأَنَا كَبِيرَةٌ وَعَقِيمٌ أَيْضًا {وَهَذَا بَعْلِي} [هود: 72] أَيْ زَوْجِي شَيْخًا، تَعَجَّبَتْ مِنْ وُجُودِ وَلَدٍ وَالْحَالَةُ هَذِهِ؛ وَلِهَذَا قَالَتْ: {إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عَجِيبٌ - قَالُوا أَتَعْجَبِينَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ رَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ إِنَّهُ حَمِيدٌ مَجِيدٌ} [هود: 72 - 73] . وَكَذَلِكَ تَعَجَّبَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اسْتِبْشَارًا بِهَذِهِ الْبِشَارَةِ وَتَثْبِيتًا لَهَا وَفَرَحًا بِهَا
পৃষ্ঠা - ৩৭১
এখানে মেহমান অর্থ ফেরেশতা যারা মানুষের আকৃতি ধারণ করে এসেছিলেন, এরা
ৎখ্যায় ছিলেন তিনজন ও জিবরাঈল (আ), মীকাঈল (আ) ও ইসরাফীল (আ) ৷ হযরত
ইবরাহীম (আ)-এর বাড়িতে এসে তিনি মেহমানরুপে গণ্য করেন এবং মেহমানদের সাথে যে
রকম আচরণ করা হয় সে রকম আচরণ করেন ৷ সুতরাং তিনি তার পােয়ালের সবচাইতে
হৃষ্টপুষ্ট একটি বাছুর ভুনা করে তাদের সামনে পেশ করেন ৷ কিন্তু তিনি আহারের প্রতি তাদের
কো ৷নই আগ্নহ দেখতে পেলেন না ৷ কেননা, ফেরেশতাদের আহারের কোন প্রয়োজন হয় না ৷
’
তাদের সম্বন্ধে তার মনে৩ ভীতিঃ সঞ্চার
হল ৷ তারা বলল, ডীত হয়ো না, আমরা লুতে তর সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি ৷ অর্থাৎ
তাদেরকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে ৷ এ সময় শ্রী সারাহ্ আল্লাহর ক্রোধে লুতের সম্প্রদায়ের শাস্তির
কথা শুনে আনন্দিত হন ৷ সারাহ্ মেহমানদের সামনেই দণ্ডায়মান ছিলেন যেমনি আরব ও
অনারবদের মধ্যে নিয়ম প্রচলিত আছে ৷ সারাহ্ যখন ঐ সংবাদ শুনে হেসে দেন তখন আল্লাহ
তাকে সুসৎবাদ
(তারপর আমি৩ ৷কে ইসহাকের ও ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকুরের সুসৎবাদ দিলাম) অর্থাৎ
ফেরেশতারা তাকে এ বিষয়ে সুসৎ বাদ দেন ৷ ;;:’é ধ্^,ণ্ ৰুশুএ;প্ ’ ^ ১ (তখন তার শ্রী
চিৎকার করতে করতে সম্মুখে আসল ৷) (এবং নিজের পাল
চাপড়িয়ে বলতে €fififi);>!ংfi§ যেভাবে মেয়ে লোকেরা অবাক হলে করে থাকে ৷ ট্রুএাৰুএ
আশ্চর্য! আমি জননী হব, অথচ
এখন আমি বৃদ্ধা এবং এই আমার স্বামী বৃদ্ধ) অর্থাৎ আমার মত একজন বৃদ্ধা ও বন্ধ্য৷ মহিলা কী
করে সন্তান জন্ম দিতে পারে আর আমার স্বামীও এই বৃদ্ধ! এ অবস্থায় সন্তান হওয়ার সৎ ৷দে
তিনি আশ্চর্যবােধ করেন ৷৩ তাই তিনি বলেনং ) ^ ৷ঞ এটা অবশ্যই এক
অদ্ভুতব্যাপাব ৷) ,
ষ্দ্বুধ্)×র্চু
(ওরা বলল, আল্লাহর কাজে আপনি বিম্ময়বােধ করছেন ? হে পরিবারবর্গ৷ তোমাদের প্ৰতি
রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ ৷ তিনি প্রশৎসার অধিকারী ও সম্মানের অধিকারী ৷)
ইবরাহীম (আ) ও এ সুসৎ বাদ পেয়ে ও ত্রীর খুশীর সাথে শরীক হয়ে এবং ন্তীর মনে দৃঢ়তা
সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিজেও আশ্চর্যবােধ করেন ৷
’
এ
ইবরাহীম বলল, তে ৷মরা কি আমাকে শুভ সংবাদ দিচ্ছ আমি বার্ধক্যগ্রস্ত হওয়া সত্বেও?
তোমরা কি বিষয়ে শুভ সংবাদ দিচ্ছ? তারা বলল, আমরা সত্য সংবাদ দিচ্ছি ৷ সুতরাং আপনি
হতাশ হবেন না ৷
{قَالَ أَبَشَّرْتُمُونِي عَلَى أَنْ مَسَّنِيَ الْكِبَرُ فَبِمَ تُبَشِّرُونَ قَالُوا بَشَّرْنَاكَ بِالْحَقِّ فَلَا تَكُنْ مِنَ الْقَانِطِينَ} [الحجر: 54] .
পৃষ্ঠা - ৩৭২
এই বাক্য দ্বারা সুসংবাদকে দৃঢ়তর করা হয়েছে ৷ তারপর ফেরেশ্ ৷তাগণ ইব্রাহীম (আ) ও
সারাহকে এক জ্ঞানী পুত্র সন্তানের (ঝু ¢£ ব্লুর্বুাষ্;) সুসংবাদ দিলেন ৷ অর্থাৎ ইসহাক (আ) ও
তার ভাইয়ের কথা ৷ ইসমাঈল (আ) কে আল্লাহ বিভিন্ন গুণের ও মর্যাদার অধিকারী বলে
কুরআনে উল্লেখ করেছেন যেমন ণ্া বা ধৈর্যশীল-যা তার অবস্থার সাথে খুবই সাম
স্যপুর্ণ ৷ তাছ৷ ড়৷ ওয়াদ৷ পালনকারী এবং সহনশীল বলেও তার উল্লেখ করা হয়েছে ৷
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন০ ং
(আ ৷মি তাকে ইসহাকের ও ইসহাকের পর ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম ৷) এ আয়াত দ্ব৷ ৷রাই
মুহাম্মদ ইবন কা ব আল কুরাজী (র) প্রমুখ দলীল পেশ করেছেন যে, যাকে যবেহ-এর হুকুম
করা হয়েছিল তিনি হলেন ইসমাঈল (আ)-ইসহাক (আ) নন ৷ কেননা ইসহাক (আ)-কে
যবেহ করার হুকুম দেয়া যুক্তিযুক্ত হতে পারে না ৷ যেহেতু সুসংবাদ দেয়৷ হয়েছে যে, তিনি বেচে
থাকবেন এবং তার ইয়াকুব্ নামক একজন সন্তানও জন্মগ্রহণ করবে ৷ কিন্তু ইসহাক শ্রুন্নুধ্
শব্দটি ধ্,দ্বু; শব্দ থেকে নির্গত যার অর্থ পরে হওয়া বা পরে আসা ৷
আহ্লি কিতাবদের মতে, ফেরেশতাদের সম্মুখে ভুন৷ করা ব্াছুরের সাথে রুটি , তিনটা
মশক, ঘি ও দুধ আনা হয় এবং ফেরেশতাগণ তা থেয়েও ছিলেন ৷ কিন্তু ফেরেশতাদের খাওয়ার
মতটি এক চরম ভ্রাস্তি বৈ কিছু নয় ৷ কারও কারও মতে ফেরেশতাগণ আহার করতে
চেয়েছিলেন, কিভু খাদ্যদ্রব্য তখন বা৩ ৷সে মিশে যায় ৷ আহ্লি কিতাবদের মতে, আল্লাহ
ইব্রাহীম (আ) কে বলেনং : তোমার শ্ৰীকে সারা ( ৷ ) ৷) বলে ভেকো না, বরং সে হচ্ছে
(ও,£) সারাহ্ ৷ আমি তাকে বরকত দান করব এবং তাকে পুত্র সন্তান দান করব ৷ সে
পুত্রকেও বরকতময় করব ৷ তার বংশ থেকে অনেক গোত্র হবে এবং সে বংশে অনেক
রাজা-বাদশাহর জন্ম হবে ৷ একথা শুনে ইব্রাহীম (আ) শুকরিয়া আদায়ের জন্যে সিজদায় পড়ে
যান ৷ তিনি মনে মনে চিন্তা করে হাসেন এবং বলেন, আমার বয়স যখন একশ’র উপরে এবং
সারাহ্র বয়স নব্বই এখন আমাদের সন্তান হবে ! ইব্রাহীম (আ) প্রার্থনা করেন, হে আল্লাহ !
ইব্রাহীম যদি আপনার সম্মুখে লালিত-পালিত হত ! আল্লাহ বলেন : হে ইব্রাহীম ৷ আমি আমার
নিজের কসম করে বলছি, তোমার শ্রী সারাহ্ অবশ্যই পুত্র সন্তান প্রসব করবে ৷ তার নাম হবে
ইসহাক ৷ সে দীর্ঘজীবী হবে এবং আমার আশিস ধন্য হবে সে এবং তার পরবর্তী ব০ ×শধররা ৷
ইসমাঈলের ব্যাপারে৫ তামার প্রার্থনা ৷কবুল করেছি ৷৩ তাকে বরকত দান করেছি ৷ আমি তাকে
বড় করেছি ও যথেষ্ট সমৃদ্ধি দিয়েছি ৷ ত ৷র বংশে বারজন বাদশাহর জন্ম হবে৷ তাকে আমি এক
বিশাল ব্×শের প্রধান বানাব ৷ এ বিষয়ে ইতিপুর্বে আলোচনা করা হয়েছে ৷ আল্লাহই সর্বশু
আল্লাহর বাণী৪
(আমি তাকে ইসহাকের ও ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম ৷) এ আয়াত
থেকে প্রমাণিত হয় যে, বিবি সারাহ্ নিজ পুত্র ইসহাক ও ইসহাকের পুএ ইয়াকুব (নাতি ) এর
দ্বারা আনন্দ লাভ করবেন ৷ অর্থাৎ ইব্রাহীম (আ) ও সারাহ্র জীবদ্দশায় ইয়াকুবের জন্ম হবে
أَكَّدُوا الْخَبَرَ بِهَذِهِ الْبِشَارَةِ، وَقَرَّرُوهُ مَعَهُ فَبَشَّرُوهُمَا {بِغُلَامٍ عَلِيمٍ} [الحجر: 53] وَهُوَ إِسْحَاقُ وَأَخُوهُ إِسْمَاعِيلُ غُلَامٌ حَلِيمٌ مُنَاسِبٌ لِمَقَامِهِ وَصَبْرِهِ. وَهَكَذَا وَصَفَهُ رَبُّهُ بِصِدْقِ الْوَعْدِ وَالصَّبْرِ. وَقَالَ فِي الْآيَةِ الْأُخْرَى: {فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . وَهَذَا مِمَّا اسْتَدَلَّ بِهِ مُحَمَّدُ بْنُ كَعْبٍ الْقُرَظِيُّ، وَغَيْرُهُ عَلَى أَنَّ الذَّبِيحَ هُوَ إِسْمَاعِيلُ، وَأَنَّ إِسْحَاقَ لَا يَجُوزُ أَنْ يُؤْمَرَ بِذَبْحِهِ بَعْدَ أَنْ وَقَعَتِ الْبِشَارَةُ بِوُجُودِهِ وَوُجُودِ وَلَدِهِ يَعْقُوبَ الْمُشْتَقِّ مِنَ الْعَقِبِ مِنْ بَعْدِهِ.
وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّهُ أَحْضَرَ مَعَ الْعِجْلِ الْحَنِيذِ وَهُوَ الْمَشْوِيُّ رَغِيفًا مِنْ مَلَّةٍ فِيهِ ثَلَاثَةُ أَكْيَالٍ وَسَمْنٌ وَلَبَنٌ، وَعِنْدَهُمْ أَنَّهُمْ أَكَلُوا، وَهَذَا غَلَطٌ مَحْضٌ. وَقِيلَ: كَانُوا يُورُونَ أَنَّهُمْ يَأْكُلُونَ، وَالطَّعَامُ يَتَلَاشَى فِي الْهَوَاءِ، وَعِنْدَهُمْ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لِإِبْرَاهِيمَ: أَمَّا سَارَةُ امْرَأَتُكَ فَلَا يُدْعَى اسْمُهَا سَارَا، وَلَكِنِ اسْمُهَا سَارَةُ، وَأُبَارِكُ عَلَيْهَا، وَأُعْطِيكَ مِنْهَا ابْنًا وَأُبَارِكُهُ، وَيَكُونُ لِلشُّعُوبِ، وَمُلُوكُ الشُّعُوبِ مِنْهُ. فَخَرَّ إِبْرَاهِيمُ عَلَى وَجْهِهِ يَعْنِي سَاجِدًا وَضَحِكَ قَائِلًا فِي نَفْسِهِ: أَبَعْدَ مِائَةِ سَنَةٍ يُولَدُ لِي غُلَامٌ، أَوْ سَارَةُ تَلِدُ وَقَدْ أَتَتْ عَلَيْهَا تِسْعُونَ سَنَةً؟ وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ لِلَّهِ تَعَالَى: لَيْتَ إِسْمَاعِيلَ يَعِيشُ قُدَّامَكَ! فَقَالَ اللَّهُ لِإِبْرَاهِيمَ: بِحَقِّي إِنَّ امْرَأَتَكَ سَارَةَ تَلِدُ لَكَ غُلَامًا
পৃষ্ঠা - ৩৭৩
এবং তাকে দেখে উভয়ের চোখ জুড়াবে ৷ যেমন জুড়াবে পুত্র ইসহাককে পেয়ে ৷
এই অর্থ যদি গ্রহণ করা না হয় তাহলে ইসহাকের সাথে তার বংশের সবাইকে বাদ দিয়ে
কেবল ইয়াকুবের উল্লেখ করার কোন অর্থ হয় না ৷ যখনই নিল্টিভ৷ ৷বে ইয়াকুবের নাম উল্লেখ
করা হয়েছে, তখনই নিশ্চিতভাবে বুঝতে হবে যে, ইব্রাহীম (আ) ও সারাহ্ ইয়াকুবকে পেয়ে
সেরুপ খুশী হবেন ও আনন্দ উপভোগ করবেন, যেরুপ খুশী ও আনন্দ উপভোগ করবেন তীর
পিতা ইসহাকের জন্মের দরুন ৷ আল্লাহর বাণীঘ্র
আমি তাকে দান করেছি ইসহাক ও ইয়াকুব ৷ প্রন্ব তক্যেকই আমি পথ প্রদর্শন করেছি ৷
( সুবা আনআমং ৮৪) আল্লাহর বাণী৪
মোঃ
অতঃপর ইব্রাহীম যখন তাদেরকে এবং আল্লাহ বর্তীত তারা আর যাদের পুজা
করত-তাদের সবাইকে পরিত্যাগ করল ৷ তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব ৷
(সুরা মাবয়াম০ : ৪৯)
এ আয়াতটি উল্লেখিত অভিমত কে আরও শক্তিশালী করেছে ৷ বুখারী ও মুসলিমের একটি
হাদীসও এই মত কে সমর্থন করে ৷ আবু যর (রা) সুত্রে বর্ণিত, তিনি বলেনং আমি একদা
জিজ্ঞেস করলাম, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ ! সর্বপ্রথম নির্মিত মসজিদ কে ৷নৃটি? তিনি বললেন, মসজিদুল
হারম ৷ আমি বললাম, তারপর কো ৷নটি ? তিনি বললেন, মসজিদুল আক্সা ৷ আমি বললাম, এ
দৃ’ মসজিদের নির্মাণের মধ্যে ব্যবধান কত ? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর ৷ আমি বললাম, এর
পরবর্তী মর্যাদাসম্পন্ন মসজিদ কে ৷নৃটিষ্ তিনি বললেন, এর পরে সব জায়গা সমান ৷ যেখানেই
সালাতের সময় হয় সেখানেই পড়ে নাও; কেননা সকল জায়গাই সালাত আদায়ের উপযুক্ত ৷
আহ্লি কিতাবদের মতে, হযরত ইয়াকুব (আ) মসজিদে আক্সা নির্মাণ করেন ৷ এর অপর
নাম মসজিদে ঈলিয়া বায়তু ল মুকাদ্দাস ৷ এটাও উল্লেখিত হাদীসের বর্ণনার সভ্যতার
প্রমাণবহ ৷ এ হিসাবে ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) কর্তৃক মসজিদুল হারম নির্মাণের চল্লিশ
বছর পর ইয়াকুব (যার অপর নাম ইসমাঈল) (আ) কর্তৃক মসজিদে আক্সা নির্মাণের তথ্য
পাওয়া যায় ৷ এই সাথে আরও প্রমাণিত হয় যে, ইবরাহীম (আ) ও ইসমাঈল (আ) যখন
মসজিদুল হারম নির্মাণ করেন তখন ইসহাক (আ) বত তমান ছিলেন ৷ কেননা ইররাহীম (আ)
যখন দু আ করেছিলেন তখন বলেছিলেন-আ ৷ল্লাহর বাণীং
া
ঢ়;াণ্র্টু
এ্যাং;স্
০
وَتَدْعُو اسْمَهُ إِسْحَاقَ إِلَى مِثْلِ هَذَا الْحِينِ مِنْ قَابَلٍ، وَأُوَاثِقُهُ مِيثَاقِي إِلَى الدَّهْرِ، وَلِخَلَفِهِ مِنْ بَعْدِهِ، وَقَدِ اسْتَجَبْتُ لَكَ فِي إِسْمَاعِيلَ، وَبَارَكْتُ عَلَيْهِ وَكَبَّرْتُهُ وَنَمَّيْتُهُ جَدًّا كَبِيرًا، وَيُولَدُ لَهُ اثْنَا عَشَرَ عَظِيمًا، وَأَجْعَلُهُ رَئِيسًا لِشَعْبٍ عَظِيمٍ، وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذَا بِمَا تَقَدَّمَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
فَقَوْلُهُ تَعَالَى: {فَبَشَّرْنَاهَا بِإِسْحَاقَ وَمِنْ وَرَاءِ إِسْحَاقَ يَعْقُوبَ} [هود: 71] . دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهَا تَسْتَمْتِعُ بِوُجُودِ وَلَدِهَا إِسْحَاقَ، ثُمَّ مِنْ بَعْدِهِ يُولَدُ وَلَدُهُ يَعْقُوبُ أَيْ يُولَدُ فِي حَيَاتِهِمَا لِتَقَرَّ أَعْيُنُهُمَا بِهِ. كَمَا قَرَّتْ بِوَالِدِهِ. وَلَوْ لَمْ يُرِدْ هَذَا لَمْ يَكُنْ لِذِكْرِ يَعْقُوبَ وَتَخْصِيصِ التَّنْصِيصِ عَلَيْهِ مِنْ دُونِ سَائِرِ نَسْلِ إِسْحَاقَ فَائِدَةٌ، وَلَمَّا عُيِّنَ بِالذِّكْرِ دَلَّ عَلَى أَنَّهُمْ يَتَمَتَّعَانِ بِهِ وَيُسَرَّانِ بِمَوْلِدِهِ، كَمَا سُرَّا بِمَوْلِدِ أَبِيهِ مِنْ قَبْلِهِ. وَقَالَ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ كُلًّا هَدَيْنَا} [الأنعام: 84] . وَقَالَ تَعَالَى: {فَلَمَّا اعْتَزَلَهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ} [مريم: 49] . وَهَذَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ ظَاهِرٌ قَوِيٌّ، وَيُؤَيِّدُهُ مَا ثَبَتَ فِي الصَّحِيحَيْنِ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ مِهْرَانَ الْأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ أَوَّلَ؟ قَالَ: الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ. قُلْتُ: ثُمَّ أَيُّ؟ قَالَ: الْمَسْجِدُ الْأَقْصَى. قُلْتُ: كَمْ بَيْنَهُمَا؟ قَالَ: أَرْبَعُونَ سَنَةً.
পৃষ্ঠা - ৩৭৪
এ ৷
<,’ ১
এ
স্মরণ কর, ইব্রাহীম বলেছিল , হে আমার প্রতিপ৷ ৷লক ! এই নগরীকে নিরাপদ করে৷ এবং
আমাকে ও আমার পুত্রগণকে প্রতিমা পুজা থেকে দুরে রেখ ৷ হে আমার প্রতিপালক৷ এ
প্রতিমাগুলাে বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে ৷ সুতরাং যে আমার অনুসরণ করবে সেই আমার
দলতুক্ত, কিন্তু কেউ আমার অরাধ্য হলে তুমি তো ক্ষমড়াশীল, পরম দয়ালু ৷ হে আমার
প্রতিপালক৷ আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় তোমার
পবিত্র ঘরের নিকট, হে আমাদের প্রতিপালক ! এজংন্য যে, ওরা যেন সালাত কায়েম করে ৷
অতএব, তুমি কিছু লোকের অন্তর ওদের প্রতি অনুরাপী করে দাও এবং ফলাদি দ্বারা ওদের
রিয্কের ব্যবস্থা করিও , যাতে ওরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ৷ হে আমাদের প্রতিপালক ! তুমি তো
জান, যা আমরা গোপন করি ও যা আমরা প্রকাশ করি, অড়াকাশমগুলী ও পৃথিবীর কিছুই আল্লাহর
নিকট গোপন থাকে না ৷ প্রশংসা আল্লাহ্রই প্রাপ্য, যিনি আমাকে আমার বার্ধকাে ইসমাঈল ও
ইসহাককে দান করেছেন ৷ আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রার্থনা শুনে থাকেন ৷ হে আমার
প্রতিপালক! আমাকে সালাত কায়েমকারী কর এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও ৷ হে
আমাদের প্রতিপালক ! আমার প্রার্থনা কবুল কর ৷ হে আমাদের প্রতিপালক ! যেদিন হিসাব হবে
সেদিন আমাকে আমার পিতড়ামাতাকে এবং মুমিনগণকে ক্ষমা করো ! (১৪ : ৩৫ : ১)
সুলায়মান ইবন দাউদ (আ) সম্পর্কে হাদীসে যা বর্ণিত হয়েছে অর্থাৎ তিনি যখন বায়তৃল
মুকাদ্দাস নির্মাণ করেন তখন আল্লাহর নিকট তিনটি জিনিস চেয়েছিলেন ৷ নিম্নের আঘাতের
ব্যাখ্যার আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছিং
সুলায়মান বলল, হে আমার রব! আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন সাম্রাজ্য দ্বুান
করুন, যার অধিকারী আ ৷মি ছাড়া আর কেউ না হয় ৷ (সুরা সাদং ৩৫)
সুলায়মান (আ)-এব আলােচনায়ও আমরা এ বিষয়ে উল্লেখ করব ৷ এর অর্থ তিনি
বায়তুল মুকাদ্দাসকে পুনঃনির্মাণ করেন ৷ কেননা পুব্লুকী উল্লেখ করা হয়েছে যে, উভয় মসজিদের
নির্মাণের মধ্যে চল্লিশ বছরের ব্যবধান ৷ কিছু! সুলায়মান (আ) ও ইব্রাহীম (আ) এর মধ্যে
চল্লিশ বছরের ব্যবধানের কথা কেউ বলেন নি ৷ কেবলমাত্র ইবন হিব্বান (র) তার তাকাসীম
ও আনওয়া’ গ্রন্থে এর উল্লেখ করেছেন ৷ কিন্তু তার আগে বা পরে অন্য কেউ এ মত পোষণ
করেন নি ৷
قُلْتُ: ثُمَّ أَيُّ؟ قَالَ: ثُمَّ حَيْثُ أَدْرَكْتَ الصَّلَاةَ فَصَلِّ فَكُلُّهَا مَسْجِدٌ» . وَعِنْدَ أَهْلِ الْكِتَابِ أَنَّ يَعْقُوبَ عَلَيْهِ السَّلَامُ هُوَ الَّذِي أَسَّسَ الْمَسْجِدَ الْأَقْصَى، وَهُوَ مَسْجِدُ إِيلِيَا، وَهُوَ مَسْجِدُ بَيْتِ الْمَقْدِسِ شَرَّفَهُ اللَّهُ. وَهَذَا مُتَّجِهٌ، وَيَشْهَدُ لَهُ مَا ذَكَرْنَاهُ مِنَ الْحَدِيثِ.
فَعَلَى هَذَا يَكُونُ بِنَاءُ يَعْقُوبَ، وَهُوَ إِسْرَائِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بَعْدَ بِنَاءِ الْخَلِيلِ وَابْنِهِ إِسْمَاعِيلَ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بِأَرْبَعِينَ سَنَةً سَوَاءً، وَقَدْ كَانَ بِنَاؤُهُمَا ذَلِكَ بَعْدَ وُجُودِ إِسْحَاقَ؛ لِأَنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَّا دَعَا قَالَ فِي دُعَائِهِ كَمَا قَالَ تَعَالَى: {وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ فَمَنْ تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي وَمَنْ عَصَانِي فَإِنَّكَ غَفُورٌ رَحِيمٌ رَبَّنَا إِنِّي أَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُمْ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاءِ رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ} [إبراهيم: 35]
[ص: 35] .
পৃষ্ঠা - ৩৭৫
وَكَمَا سَنُورِدُهُ فِي قِصَّتِهِ فَالْمُرَادُ مِنْ ذَلِكَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ. أَنَّهُ جَدَّدَ بِنَاءَهُ، كَمَا تَقَدَّمَ مِنْ أَنَّ بَيْنَهُمَا أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَلَمْ يَقُلْ أَحَدٌ إِنَّ بَيْنَ سُلَيْمَانَ وَإِبْرَاهِيمَ أَرْبَعِينَ سَنَةً سِوَى ابْنِ حِبَّانَ فِي تَقَاسِيمِهِ وَأَنْوَاعِهِ، وَهَذَا الْقَوْلُ لَمْ يُوَافَقْ عَلَيْهِ وَلَا سُبِقَ إِلَيْهِ.