سنة ثمان من الهجرة النبوية
بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم أبا بكر الصديق أميرا على الحج سنة تسع
بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم أبا بكر الصديق أميرا على الحج سنة تسع
পৃষ্ঠা - ৩৬৮৮
৷ ঐয়ও ৫ন্তঃ ণ্শ্লো
“আর যখন (হুদায়বিয়ক্ষুয়) অবিচল অপ্ৰতিরােধ্যতড়ার বায়আত নেয়া হল, তখনও এ
আনসাৰীরা ছিল ৰায়আতের প্রথম সারিতে এবং তাতে তারা সামান্য বিচ্যুত না হয়েই তার
সহমর্মীতা সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছে ৷
“মক্কা বিজয় অভিযানেও৩ রাে ছিল তার বাহিনীতে দেহরক্ষী ও সার্বক্ষণিক যোদ্ধা হয়ে;
তাতেও তারা অহেতুক উত্তেজনা বা তাড ড়াডাহুড়ড়ার শি কার হয় নি ৷ ”
-ঠোংগু মোঃ ণ্€-ৰুৰু <শ্রোট্ট^£ মোঃ এ যুঃওর্চু এ৩-১£শ্ শ্রো£এ
“খায়বার অভিযানেও তারা তার বাহিনীর তালিকাভুক্ত সহয়ােদ্ধা; ৰীরদর্পে এগিয়ে চলছিল
শৌর্যভরা দৃর্ধর্ষ তাজা প্রাণ ৷
“ঝলমলে তরবারি হাতে, যারা আন্দেৰ্লিত হয় নিরেট নির্ডেজা ড়াল ঈমানে, কখনো আঘাত
হানে সরাসরি আবার কখনো একেবেকে লক্ষেক্তর অবস্থানডেদে ৷
“আল্লাহর রেযামন্দির অন্বেষায় যেদিন রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুক অভিমুখে সফর করলেন,
সেদিনও; তারা তো ছিল তার অগ্নসারির প৩ কোবাহী দল ৷
“ওয়াই যুদ্ধের ঝানু সহিষ পরিচা ড়ালক; যুদ্ধ যদি এ সেই পড়ে; ওরা তা নিয়ন্ত্রণে রাখে
আ-গা গোড়ড়া অগাভিযান থেকে শুরু করে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত ৷ ”
“এ জাতি-গোষ্ঠীই নবী করীম (না)-এর আনসার-সাহাযক্যেরী বাহিনী, আর এরইি তো
আমার স্বগােত্র; গোত্র-পরিচয়ে মিলিত হতে চাইলে আমি তো এদের এখানেই ধর্ণা দেই ৷”
“আভিজা৩ তা নিয়ে তারা মৃত্যুবরণ করেছে; আর কোন দিন প্রতিজ্ঞা ভন্সের দ্বারা কলুষিত
হয় সি; আর বিনষ্ট হয় নি আল্লাহর রাহে তাদের শাহাদাতের সুধা পান, যখন তারা শহীদ
হ্যয়ছে !
নবম হিজরীর হরুজ্জ আবু বকর সিদ্দীক (না)-কে আমীরুল হজ্জ
নিয়েম্পো ও সুরা তাওবা অবতরণ
মোঃ (৯ হি) মাসে রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে আগত তাঃয়ফবাসীদের প্রতিনিধি
অ্যাং বিশদ ৰিবরণের পর ইবন ইসহাক (র) বলেছেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) রমযানের
ঠো দিম্মালা এবং শাওয়াল ও যিলকদ মাসদ্বয় মদীনায় অবস্থান করলেন ৷ তারপর নবম
[بَعْثُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ أَمِيرًا عَلَى الْحَجِّ سَنَةَ تِسْعٍ]
ذِكْرُ بَعْثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ أَمِيرًا عَلَى الْحَجِّ سَنَةَ تِسْعٍ وَنُزُولِ سُورَةِ " بَرَاءَةَ ".
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ ذِكْرِهِ وُفُودَ أَهْلِ الطَّائِفِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ مَبْسُوطًا. قَالَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَقِيَّةَ شَهْرِ رَمَضَانَ وَشَوَّالًا وَذَا الْقَعْدَةِ، ثُمَّ بَعَثَ أَبَا بَكْرٍ أَمِيرًا عَلَى الْحَجِّ مِنْ سَنَةِ تِسْعٍ ; لِيُقِيمَ لِلْمُسْلِمِينَ حَجَّهُمْ، وَأَهْلُ الشِّرْكِ عَلَى مَنَازِلِهِمْ مِنْ حَجِّهِمْ لَمْ يُصَدُّوا بَعْدُ عَنِ الْبَيْتِ، وَمِنْهُمْ مَنْ لَهُ عَهْدٌ مُؤَقَّتٌ إِلَى أَمَدٍ، فَلَمَّا خَرَجَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَفَصَلَ عَنِ الْمَدِينَةِ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَذِهِ الْآيَاتِ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ التَّوْبَةِ {بَرَاءَةٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى الَّذِينَ عَاهَدْتُمْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَسِيحُوا فِي الْأَرْضِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ} [التوبة: 1] إِلَى قَوْلِهِ: {وَأَذَانٌ مِنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُ} [التوبة: 3] إِلَى آخِرِ الْقِصَّةِ.
ثُمَّ شَرَعَ ابْنُ إِسْحَاقَ يَتَكَلَّمُ عَلَى هَذِهِ الْآيَاتِ، وَقَدْ بَسَطْنَا الْكَلَامَ عَلَيْهَا فِي " التَّفْسِيرِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ، وَالْمَقْصُودُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَعْدَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ ; لِيَكُونَ مَعَهُ، وَيَتَوَلَّى عَلِيٌّ بِنَفْسِهِ إِبْلَاغَ الْبَرَاءَةِ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৬৮৯
হিজরীর হজে মুসলমানদের হজ পরিচালনার জন্য আবু বকর (রা)কে আমীরুল হজ নিযুক্ত
করে পাঠালেন ৷ মুশরিকরা তাদের পুর্বাবস্থানে তাদের প্রচলিত প্রথানুসারে হজ পালন করছিল ৷
তখনও পর্যন্ত বায়তুল্লাহ্ এ আগমন তাদের জন্য নিষিদ্ধ হয় নি এবং তাদের কোন কোন
গোত্রের জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের চুক্তিও ছিল ৷ আবু বকর (বা) তার সহযাত্রী ঘুসলমানদেরকে
সাথে নিয়ে রওনা হয়ে গেলে মদীনায় জনপদ অতিক্রমের পর পরই মহীয়ানগরীয়ান আল্লাহ্
সুরা তাওবার প্রথম দিকের এ আয়াতসমুহ নাযিল করলেন ৷
ণ্ৰুন্ ন্)৷ এ;:ড়ুৰুা৷ জ ৷ স্পো ঠুট্রুব্লুস্পো৷ গ্লুদ্বু ন্১ব্লুল্গুাহ্র ট্রু,ব্লু১া৷ এো৷ ব্লু ,পুট্রুদ্বুম্রা৷ ;£:— ; ৷
৷ ) দ্বুপ্রুহু:া
া
“এটা হচ্ছে সম্পর্কচ্ছেদ, আল্লাহ্ ও রাসুলের পক্ষ থেকে সেই সকল মুশবিকদের সাথে
যাদের সাথে তোমরা পারস্পরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিলে ৷ তারপর তোমরা দেশে
চারমাসকাল ঘোরাফেরা করে নাও এবং জোন রেখো যে, তোমরা আল্পাহ্কে হীনবল করতে
পারবে না এবং আল্পাহ্ কাফিরদেরকে লাঞ্ছিত কার থাকেন ৷ মহান হজের দিনে আল্লাহ্ ও তার
রাসুলের পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি এটা এক ঘোষণা যে, আল্লাহর সাথে যুশরিকদের কোন
সম্পর্ক রইল না এবং তার রাসুলের সাথেও না (৯ : ১-৩) ৷ এভাবে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে
ইবন ইসহাক (ব) এ আয়াতসমুহের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আংলাচনা করেছেন ৷ তাফসীর গ্রন্থে আমি
এগুলির বিশদ আলোচনা কংরছি ৷ যাবতীয় হামৃদ ও অন্যুাহ আল্লাহ্রই ৷ সারকথা হল,
রাসুলুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকর সিদ্দীক (না)-হে পাঠ্যন্সেন ৷ পওে তার সহযোগী হওয়ার জন্য
আলী (রা)-কে পাঠালেন ৷ তবে রাসুল (না)-এর প্রতিনিধিরুপে যুশরিকদেরৰু সাথে
সম্পর্কহীনতা ঘোষণার দাব্লিতু আলী (না)-এর উপরই অর্পিত হল ৷ কেননা, তিনি ছিলেন
রাসুল (না)-এর পৰিবব্যে অন্যতম সদস্য র্তারই চাচাত ভাই ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন,
হাকীম ইবন হার্কীম ইবন আব্বাদ ইবন হুনায়ফ (র) আবু জাফর মুহাম্মদ ইবন আলী (বা)
থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
সুরা বারা (তাওবা) নাযিল হওয়ার পুর্বেই রাসুলুল্পাহ্ (সা) আবু বকর সিদ্দীক (রা) কে
লোকদের হজ্জ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন;র্ত ৷কে বলা হল, এ সুরা ৷টিও যদি
আপনি আবু বকরের কাছে পাঠিয়ে দিতেন! তিনি বললেন, আমার পবিবাবভুক্ত কোন একজনই
এ কর্তব্য আমার পক্ষ থেকে আদায় করতে পারে; তারপর আলী ইবন আবু তালিব (রা)-কে
ডেকে বললেন,
১া৷ ব্লোন্;হু
সুরা বারাআর এই প্রাথমিক অংশ নিয়ে প্রস্থান কর এবং কুরবানীর দিন অর্থাৎ ১০ জিলহজ
মিনার সমাবেশে লোকদের মাঝে এ ঘোষণা দেবে যে, “শুনে রাখ কোন ক ৷ফির জান্নাতে
প্রবেশাধিকা ৷র পাবে না; এ বছরের পরে কো ন যুশরিক হজ পালনের সুযোগ পাবে না; কোন
الْمُشْرِكِينَ نِيَابَةً عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ; لِكَوْنِهِ ابْنَ عَمِّهِ مِنْ عَصَبَتِهِ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي حَكِيمُ بْنُ حَكِيمِ بْنِ عَبَّادِ بْنِ حُنَيْفٍ عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ أَنَّهُ قَالَ: «لَمَّا نَزَلَتْ " بَرَاءَةُ " عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ كَانَ بَعَثَ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لِيُقِيمَ لِلنَّاسِ الْحَجَّ، قِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ بَعَثْتَ بِهَا إِلَى أَبِي بَكْرٍ. فَقَالَ: " لَا يُؤَدِّي عَنِّي إِلَّا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي ". ثُمَّ دَعَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَقَالَ: " اخْرُجْ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ مِنْ صَدِرَ " بَرَاءَةَ " وَأَذِّنْ فِي النَّاسِ يَوْمَ النَّحْرِ إِذَا اجْتَمَعُوا بِمِنًى: أَلَا إِنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ كَافِرٌ، وَلَا يَحُجُّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ، وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ، وَمَنْ كَانَ لَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدٌ فَهُوَ لَهُ إِلَى مُدَّتِهِ ". فَخَرَجَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَلَى نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَضْبَاءِ حَتَّى أَدْرَكَ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ قَالَ: أَمِيرٌ أَوْ مَأْمُورٌ؟ فَقَالَ: بَلْ مَأْمُورٌ. ثُمَّ مَضَيَا فَأَقَامَ أَبُو بَكْرٍ لِلنَّاسِ الْحَجَّ، وَالْعَرَبُ إِذْ ذَاكَ فِي تِلْكَ السَّنَةِ عَلَى مَنَازِلِهِمْ مِنَ الْحَجِّ الَّتِي كَانُوا عَلَيْهَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ، قَامَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَأَذَّنَ فِي النَّاسِ بِالَّذِي أَمَرَهُ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَجَّلَ النَّاسُ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ مِنْ يَوْمِ أَذَّنَ فِيهِمْ ; لِيَرْجِعْ كُلُّ قَوْمٍ إِلَى مَأْمَنِهِمْ وَبِلَادِهِمْ، ثُمَّ لَا عَهْدَ لِمُشْرِكٍ وَلَا ذِمَّةَ إِلَّا أَحَدٍ كَانَ لَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدٌ، فَهُوَ لَهُ إِلَى مُدَّتِهِ، فَلَمْ يَحُجَّ بَعْدَ ذَلِكَ الْعَامِ مُشْرِكٌ، وَلَمْ يَطُفْ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ، ثُمَّ قَدِمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» وَهَذَا مُرْسَلٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৯০
০ : ৷৷ওে fl ই$
৭৮ আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া
উলঙ্গ ব্যক্তি বায়ভুল্লাহ্ তাওয়াফ করবে না ৷ আর আল্লাহ্র রাসুল (না)-এর সাথে যদি কারো
কোন চুক্তি থেকে থাকে, তাহলে তা তার মেয়াদ পুর্তি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে ৷
যথানির্দোশ আলী ইবন আবু তালিব (রা) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিজস্ব বাহন উষ্টী আল
আযবা’র আরেড়াহী হয়ে বেরিয়ে পড়লেন এবং পথিমধ্যেই আবু বকর সিদ্দীক (রা)-এর সাথে
মিলিত হলেন ৷ র্তাকে দেখে আবু বকর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, আঘীর না মামুর দলপতি
হয়ে না সহকর্মী হয়ে? তিনি বললেনববং মামুর আদিষ্ট ও অধীনস্থ হয়ে ৷ পরে দুজন এক
ঘোগে সফর করলেন ৷ আবু বকর (রা) লোকদের হজ অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেন ৷ সাধারণ
(অঘুসলিম) আরবরা এ বছরের এ সময়টিতেও জাহিলিয়্যাত যুগে প্রচলিত তাদের রীতি প্রথার
হজ পালন করছিল ৷ অবশেষে নাহ্র’ জিলহজের দশম দিবসে আলী ইবন আবু তালিব (রা)
জনসমক্ষে দাড়িয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ফরমান অনুসারে ঘোষণা দিলেন এবং ঘোষণার দিন
থেকে অনুর্ধ্ব চার মাসের সময় দিয়ে বললেন, এ সময়ের মধ্যে প্রত্যেক জাতিগােষ্ঠিকে তার
স্বদেশ ও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার উপদেশ দেয়া হচ্ছে ৷ ঐ সময়সীমার পরে কারো
সাথে কোন চুক্তি বা কারো বিষয় কোন প্রকার দায়-দায়িতু অবশিষ্ট থাকবে না; তবে যাদের
রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাথে কোন নির্দিষ্ট মেয়াদের (স্বল্পমেয়াদী) চুক্তি রয়েছে, তা মেয়াদপুর্তি
পর্যন্ত অব্যাহত থক্যেব ৷ফলে পরবর্তী বছর থেকে কোন মুশরিক হল করতে আসে নি এবং
কোন উলঙ্গ ব্যক্তিকে বায়ভুল্পাহ্ তাওয়াফ করতেও দেখা যায় নি ৷তারপর তারা দৃক্রা আবু
বকর ও আলী (বা)! এক সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে ফিরে এলেন ৷ এ সুত্রে হাদীসটির
এ রিওয়ায়াত ঘুরসাল (অসংযুক্ত) ধরনের ৷
এ প্রসঙ্গে বুখায়ী (র)-এর বর্ণনা নিম্নরুপ-
অনুচ্ছেদ : নবম হিজ্জীতে জ্যাতার সাথে আবু বকর (না)-এর হজ্জ সম্পাদন
সুলায়মান ইবন দাউদ আবুর রাবী (র)আবু ছরায়রা (বা) সুত্রে বিদায় হজের পুর্বেকার
যে হজে নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম আবু বকর (রা)-কে আমীর নিয়োগ করেছিলেন ৷
সে (হজ পালনকালে) তিনি (আবু বকর রা) তাকে (আবু হুরায়রা না) সে ঘোষক দলের সাথে
পাঠালেনশ্ যাদের কতব্যি ছিল এ ঘোষণা দেয়া যে, বর্ত্যা৷ন বছরের পরে কোন মুশরিক হঅ
করতে আসতে পারবে না এবং উলঙ্গ কোন লোক বায়তুল্লাহ্ তাওয়ফে করতে পারবে না ৷
অন্যত্র বুখারী (র) বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন ইউসুফ (র)আবু ছরায়রা (রা) সুত্রে
বলেছেন, সেই’ হ্জে আবু বকর (বা) আমাকে ঘোষকদের সাথে পাঠালেন; দশ্ইি জিলহজ
মিনা সমাবেশে এ মর্মে ঘোষণা প্রচারের জন্য তিনি তাদের নিযুক্ত করেছিলেন যে, “এ বছরের
পরে কোন ঘুশরিক হজ করতে পারবে না আর কোন উলঙ্গ লোক আল্লাহর ঘর তাওয়াফ
করতে পারবে না ৷ ” (এ সনদের অন্যতম) রাবী হুমায়দ (র) বলেননবী করীম (সা) পরে
আলী (রা)-া:ক (আবু বকর রা-এর) পিছনে পাঠিয়ে দিয়ে বরােআত তথা সম্পর্কচ্ছেদের
ঘোষণা দেয়ার নির্দেশ দিলেন ৷ আবু হুরায়রা (বা) বলেন, দশ তারিখের মিনা সমাবেশে আলী
(রা)ও আমাদের সাথে থেকে সম্পর্কচ্ছেদ ও দায়িত্যুক্তির ঘোষণা দিলেন ৷ এ বছরের পরে
কোন যুশরিক হজ করতে পারবে না এবং কেউ উলঙ্গ হয়ে বয়েতৃল্লাহ্ তাওয়াফ করতে পারবে
وَقَدْ قَالَ الْبُخَارِيُّ: بَابُ حَجِّ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بِالنَّاسِ سَنَةَ تِسْعٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا فُلَيْحٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ «أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَعَثَهُ فِي الْحَجَّةِ الَّتِي أَمَّرَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهَا قَبْلَ حَجَّةِ الْوَدَاعِ فِي رَهْطٍ يُؤَذِّنُ فِي النَّاسِ أَنْ لَا يَحُجَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ، وَلَا يَطُوفَنَّ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ.» .
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ ثنا اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ «أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: بَعَثَنِي أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فِي تِلْكَ الْحَجَّةِ فِي الْمُؤَذِّنِينَ، بَعَثَهُمْ يَوْمَ النَّحْرِ يُؤَذِّنُونَ بِمِنًى أَنْ لَا يَحُجَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ، وَلَا يَطُوفَنَّ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ. قَالَ حُمَيْدٌ: ثُمَّ أَرْدَفَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَلِيٍّ فَأَمَرَهُ أَنْ يُؤَذِّنَ بِ " بَرَاءَةَ ". قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: فَأَذَّنَ مَعَنَا عَلِيٌّ فِي أَهْلِ مِنًى يَوْمَ النَّحْرِ بِ " بَرَاءَةَ " أَنْ لَا يَحُجَّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ وَلَا يَطُوفَنَّ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ.» .
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ فِي كِتَابِ الْجِهَادِ: حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ «أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ: بَعَثَنِي أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فِيمَنْ يُؤَذِّنُ يَوْمَ النَّحْرِ بِمِنًى. لَا يَحُجُّ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ، وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ. وَيَوْمُ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ يَوْمُ النَّحْرِ، وَإِنَّمَا قِيلَ: الْأَكْبَرُ. مِنْ أَجْلِ قَوْلِ النَّاسِ: الْحَجُّ الْأَصْغَرُ. فَنَبَذَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى النَّاسِ فِي ذَلِكَ الْعَامِ، فَلَمْ يَحُجَّ عَامَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৯১
ন্৷ ৷ ষ্ৰ্াব কিতাবুল জিহাদে’ এ প্রসঙ্গে বুপারী (র) বলেছেন, আবুল ইয়ামান (র)আবু
ক্ষো (বা) সুত্রে বলেছেন, আবু বকর (যা) আমাকে দশ তারীখেৱ মিনা সমাবেশে
ঘোৰ্ষ্মদানকারীদের সাথে পাঠালেন, এ বারের পরে কোনও মুশরিক হজ করতে পারবে না ৷
কোন উলঙ্গ ব্যক্তি বায়ভুল্লাহ্ তাওয়ড়াফ করতে পারবে না ৷ আর আল হাজ্জ্বল আকরার (বড়
হজ)এর দিন হল ইয়ড়াওঘুন নাহ্ৱ, জিলহজ মাসের দশ তারিখের দিনটিই ৷ তবে একে বড়’
নামে আখ্যায়িত করার কারণ হল, সাধারণ লোকেরা উমরাকে ছোট হজ নামে অভিহিত করে
থাকে ৷ যেটি কথা আবু বকর (বা) ঐ বছর লোকদের সামনে উন্মুক্ত ও ব্যাপক ঘোষণা দিলেন,
ফলে (পরের বছর) বিদায় হজ ৱাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর হজ পালনকালে কোনও যুশব্লিককে হ্জ
করতে দেখা গেল না ৷ ইমাম মুসলিম (র)-ও যুহরী সুত্রে উল্লিখিত সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন জাফর (র)(যুহরিয (র) তার পিতা)
আবু হুরায়রা (রা ) থেকেতিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন আলী ইবন আবু তালিব (রা)-
কে (বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে মক্কায়) পাঠালেন, তখন আমিও তার সাথে ছিলাম ৷ তিনি (যুহরিয)
বললেন, আপনারা কি বলে ঘোষণা দিভাে? তারা (?) বললেন, আমরা এই বলে ঘোষণা
দিভাম যে, ঘু’মিন ব্যতীত কেউ জান্নাতে প্রবেশাধিকার পাবে না; বায়তুল্লাহ্-এ কেউ উলঙ্গ
হয়ে তাওয়াফ করতে পারবে না ৷
যার আল্লাহ্র রাসুল (না)-এর সাথে কোন চুক্তি রয়েছে তার সময়সীমা অথবা (তিনি
বললেন) তার মেয়াদ চার মাস ৷ এ চার মাস অতিক্রাত হয়ে গেলেই যুশরিকদের সাথে
আল্লাহ্র কোন দায়-দায়িতু থাকবে না এবং তার রাসুলের না; এ বছরের পরে যুশরিকর৷ এ
ঘরের হজ করতে পারবে না ৷ তিনি বলেন, ঘোষণা দিতে দিতে আমার আওয়াষ ধরে গেল ৷ এ
সনদটি জায়িাদ উত্তম ৷ বিক্ষ্ম যাদের কোন চুক্তি রয়েছে, তাদের সময়সীমা চারযাস
বর্ণনাকারীর এ উজ্যি সুত্র ধরে হাদীসটির গ্রহণযোগ্যতা ক্ষুগ্ন হয়েছে ৷
কেননা, যদিও অনেকেই সব ধরনের চুক্তির ক্ষেত্রেই চার মাস সীমা বেধে দেয়ার মত
পোষণ করেছেন; কিন্তু বিশুদ্ধ অভিমত হল, যাদের সাথে নির্ধারিত সময়ের চুক্তি ছিল, তাদের
জন্য সময়সীমা চুক্তিতে বর্ণিত মেয়াদপুর্তি পর্যন্ত তা যত দিনেরই হোক, চইি তা চার মাসের
অধিক সময়ের জন্যই হোক না কেন (বহাল থাকবে) ৷ আর যাদের সাথে একেবারেই কোন
(চুক্তি বা) মেয়াদ উল্লিখিত চুক্তি ছিল না, তাদেরই জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া
হয়েছিল, চার মাস ৷ এছাড়াও তৃতীয় আর এক ধরনের লোক ছিল ৷ তারা হল সময়সীমা বেধে
দেয়ার এ ঘোষণার পরে চার মাস পুর্ণ হওয়ার আগেই যাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যেত ৷
স্কোক প্রথমােক্ত দলের সাথে সংশ্লিষ্ট করা যায় ৷ যার অর্থ হবে যথাসময় মেয়াদ শেষ
ষ্ষ্শ্ তা চার মাসের কমই হোক না কেন ৷ পক্ষান্তরে, এদের জন্যও সময়সীমা চার মাসে
; ঝুত হওয়ার কথা বলা যায়; কেননা, সম্পুর্ণ চুক্তিবিহীন বা যেয়াদৰিহীনদের জন্য উল্লিখিত
!fifi সময় প্রদানের বিচারে এদের ক্ষেত্রে ঐ সুবিধা সম্প্রসারিত হওয়া অধিকতর
ন্ষ্ষ্ ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷
ষ্ৰ্ ষ্াহ্মদ (র) আরও বলেন, আফ্ফান (র)আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণনা
স্ল্যাং (সা) আবু বকর (রা)-এর সাথে সম্পর্কহীন ও দায়মুজ্যি ঘোষণা পাঠালেন ৷
حَجَّةِ الْوَدَاعِ - الَّذِي حَجَّ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مُشْرِكٌ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ بِهِ نَحْوَهُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُغِيرَةَ عَنِ الشَّعْبِيِّ «عَنْ مُحَرَّرِ بْنِ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنْتُ مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ حِينَ بَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ: مَا كُنْتُمْ تُنَادُونَ؟ قَالَ: كُنَّا نُنَادِي: أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا مُؤْمِنٌ، وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ، وَمَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدٌ فَإِنَّ أَجَلَهُ - أَوْ أَمَدَهُ - إِلَى أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ، فَإِذَا مَضَتِ الْأَرْبَعَةُ الْأَشْهُرُ فَإِنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُ، وَلَا يَحُجُّ هَذَا الْبَيْتَ بَعْدَ الْعَامِ مُشْرِكٌ. قَالَ: فَكُنْتُ أُنَادِي حَتَّى صَحِلَ صَوْتِي.» وَهَذَا إِسْنَادٌ جَيِّدٌ لَكِنْ فِيهِ نَكَارَةٌ مِنْ جِهَةِ قَوْلِ الرَّاوِي: إِنَّ مَنْ كَانَ لَهُ عَهْدٌ فَأَجَلُهُ إِلَى أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ. وَقَدْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا ذَاهِبُونَ، وَلَكِنَّ الصَّحِيحَ أَنَّ مَنْ كَانَ لَهُ عَهْدٌ فَأَجَلُهُ إِلَى أَمَدِهِ بَالِغًا مَا بَلَغَ وَلَوْ زَادَ عَلَى أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ، وَمَنْ لَيْسَ لَهُ أَمَدٌ بِالْكُلِّيَّةِ فَلَهُ تَأْجِيلُ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ، بَقِيَ قِسْمٌ ثَالِثٌ وَهُوَ مَنْ لَهُ أَمَدٌ يَتَنَاهَى إِلَى أَقَلَّ مِنْ أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ مِنْ يَوْمِ التَّأْجِيلِ، وَهَذَا يَحْتَمِلُ أَنْ يَلْتَحِقَ بِالْأَوَّلِ فَيَكُونَ أَجَلُهُ إِلَى مُدَّتِهِ وَإِنْ قَلَّ، وَيَحْتَمِلُ أَنْ يُقَالَ: إِنَّهُ يُؤَجَّلُ إِلَى أَرْبَعَةِ أَشْهُرٍ ; لِأَنَّهُ أَوْلَى مِمَّنْ لَيْسَ لَهُ عَهْدٌ بِالْكُلِّيَّةِ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৯২
তিনি যুল হুযায়ফাতে পৌছলেন এমন সময় নবী করীম (সা) বললেন, <১গ্রা৷ গো মা লোঃ )
;ন্ট্রুহু <ক্রো (,এে “আমি নিজে কিৎবা আমার পরিবারভুক্ত কোন একজনের পক্ষেই তা পৌছানাে
সমীচীন ৷” তাই আলী ইবন আবু তালিব (না)-কে সে দায়িত্ভার দিয়ে তিনি পাঠালেন ৷
তিরমিযী (র) এ হাদীসটি হস্ফোদ ইবন সালামা (র) থেকে রিওয়ায়াত করে মন্তব্য করেছেন ৷
আনাস (রা) সুত্রে বর্ণিত এ রিওয়ারাতটি হাসানও গয়ীব পর্যায়ের ৷
আবদুল্লাহ্ ইবন আহমদ (র)আলী (রা)-এর বরাতে এ মর্মে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্পাহ্
(সা) আবু বকর (রা)-এর পশ্চাতে আলী (রা)-কে পাঠালেন তিনি দ্ভুহক্ষার পৌছে র্তার কাছ
থেকে ঘোষণা পত্রটি দিয়ে নিলেন ৷ আবু বকর (রা) মধ্যপৰ্ থেকে হ্মেত এনে বাসুলুল্পাহ্
(সা) কে বললেন, ইয়া রাসুলল্লোহ্ ! আমার বিষয়ে কি কিছু নক্ষি৷ হয়েছে? তিনি মোঃ,
ষ্
“না তেমন কোন ব্যাপার নয়; তবে জিবৰীল (আ) আমার কাছে এসে আমাকে বললেন,
আপনি স্বয়ং কিংবা আপনার পক্ষে আপনার পরিবারস্থ কেউই এ কর্য সম্পাদন মতে পারে ৷
এ হাদীসের সনদ যেমন দুর্বল তেমনি এর মুল পাঠও অমহ্যায়োগ্য ৷
ইমাম আহমদ (র) বলেন, সুফিয়ান (র)যায়দ ইবন বুছার (র) হামাদানী সুত্রে বলেন,
আমরা আলী (রা)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হজ সম্পাদনের দায়িত্ব দিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (না) যখন
আবু বকর (রা)-কে পাঠালেন, তখন কোন বিষয়ের দায়িত্ব দিয়ে আপনাকে তার সাথে
পাঠানো হয়েছিল ? তিনি বললেন, চারটি বিষয় দিয়ে (এক) ঈমানদার ব্যতীত কেউ জান্নাতে
যাবে না, (দুই) বোন উলস ব্যক্তি বায়তৃল্পাহ্ তাওয়াফ করবে না, (তিন) রাসুলুল্পাহ্ (সা)-
এর সাথে যাদের কোন (নির্দিষ্ট মেয়াদের) চুক্তি রয়েছে, তাদের চুক্তি মেয়াদপুর্তি পর্যন্ত
বলবৎ থাকবে এবং (চার) এ বর্তমান বছরের পরে মুশরিকরা হজ পালনে আসতে পারবে
না ৷ তিরমিযী (র) সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র) সুত্রে মায়দ ইবন আহীল (রা) থেকে
অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ (সুফিয়ান) ছাওরী (র)-ওআলী (রা) থেকে , হাদীসটি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷
আমি বলি, ইবন আবীর হাদীসখানি মামারআলী (রা) সনদে বর্ণনা করেছেন ৷ ইবন
জারীর অন্য এক সনদে বলেন, মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুল হক্যেম (র)আবুস
সাহ্ৰা আল ৰিকরী (র) সুত্রে বলেন, আমি আলী (বা)-কে হজে আকরার (বড় হজ)-এর ঘটনা
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু বকর ইবন আবু কৃহাফা (রা )-
কে পাঠালেন জনতার হজব্রত সম্পাদনের উদ্দেশে; আর আমাকে তীর সাথে পাঠালেন সুরা
তাওবার চল্লিশটি আয়াত দিয়ে ৷ আবু বকর (রা) আরাফাত প্রান্তরে উপনীত হলেন এবং
আরাফা দিবস ৯ই জিলহজ সমবেত লোকদের উদ্দেশ্যে হজের খুতবা দিলেন ৷ খুতৰা সম্পন্ন
করে তিনি আমার দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে বললেন, আলী ! উঠে র্দাড়াও এবং আল্পাহ্র রাসুল (সা)-
এর পয়গাম পৌছিয়ে দাও ৷ আমি উঠে দাড়িয়ে সমাবেশের সামনে সুরা তাওবার (প্ৰখনাংশের)
চল্পিশটি আয়াত তিলাওয়াত করে শ্যেনালাম ৷ তারপর আমরা মিনার গিয়ে গৌছলাম ৷ সেখানে
জামরায় কংকর নিক্ষেপ করলাম, উট কুরবানী করলাম এবং মাথা মুণ্ডালাম ৷ তখন আমার
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ ثنا حَمَّادٌ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ بِ " بَرَاءَةَ " مَعَ أَبِي بَكْرٍ فَلَمَّا بَلَغَ ذَا الْحُلَيْفَةِ قَالَ: " لَا يُبَلِّغُهَا إِلَّا أَنَا أَوْ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي ". فَبَعَثَ بِهَا مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ» وَقَدْ رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ.
وَقَدْ رَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ عَنْ لُوَيْنٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَابِرٍ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ حَنَشٍ عَنْ عَلِيٍّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَرْدَفَ أَبَا بَكْرٍ بَعَلِيٍّ فَأَخَذَ مِنْهُ الْكِتَابَ بِالْجُحْفَةِ، رَجَعَ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ نَزَلَ فِيَّ شَيْءٌ؟ قَالَ: «لَا، وَلَكِنْ جِبْرِيلُ جَاءَنِي فَقَالَ: لَا يُؤَدِّي عَنْكَ إِلَّا أَنْتَ أَوْ رَجُلٌ مِنْكَ ".» وَهَذَا ضَعِيفُ الْإِسْنَادِ، وَمَتْنُهُ فِيهِ نَكَارَةٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ - رَجُلٌ مِنْ هَمْدَانَ - قَالَ: «سَأَلْنَا عَلِيًا: بِأَيِّ شَيْءٍ بُعِثْتَ؟ - يَوْمَ بَعْثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَبِي بَكْرٍ فِي الْحَجَّةِ - قَالَ: بِأَرْبَعٍ ; لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا نَفْسٌ مُؤْمِنَةٌ، وَلَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ عُرْيَانٌ، وَمَنْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ عَهْدٌ فَعَهْدُهُ إِلَى مُدَّتِهِ، وَلَا
পৃষ্ঠা - ৩৬৯৩
يَحُجُّ الْمُشْرِكُونَ وَالْمُسْلِمُونَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا.» وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ - هُوَ ابْنُ عُيَيْنَةَ - عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ السَّبِيعِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ يُثَيْعٍ عَنْ عَلِيٍّ بِهِ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. ثُمَّ قَالَ: وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ فَقَالَ: عَنْ زَيْدِ بْنِ أُثَيْلٍ وَرَوَاهُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ بَعْضِ أَصْحَابِهِ، عَنْ عَلِيٍّ.
قُلْتُ: وَرَوَاهُ ابْنُ جَرِيرٍ، مِنْ حَدِيثِ مَعْمَرٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْحَارِثِ عَنْ عَلِيٍّ.
وَقَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ أَخْبَرَنَا أَبُو زُرْعَةَ وَهْبُ اللَّهِ بْنُ رَاشِدٍ أَخْبَرَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَخْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا مُعَاوِيَةَ الْبَجَلِيَّ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ يَقُولُ: سَمِعْتُ أَبَا الصَّهْبَاءِ الْبَكْرِيَّ وَهُوَ يَقُولُ: سَأَلْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَنْ يَوْمِ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ فَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ أَبَا بَكْرِ بْنَ أَبِي قُحَافَةَ يُقِيمُ لِلنَّاسِ الْحَجَّ، وَبَعَثَنِي مَعَهُ بِأَرْبَعِينَ آيَةً مِنْ " بَرَاءَةَ " حَتَّى أَتَى عَرَفَةَ، فَخَطَبَ النَّاسَ يَوْمَ عَرَفَةَ، فَلَمَّا قَضَى خُطْبَتَهُ الْتَفَتَ إِلَيَّ فَقَالَ: قُمْ