আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة تبوك

পৃষ্ঠা - ৩৬১৩

খুন্ ন্’দ্রণ্ষ্ট ক্ট্রছুঠু
“হে মুমিনগণ! কাফিরদের মধ্যে যারা তোমাদের নিকটবর্তী তাদের সাথে যুদ্ধ কর এবং
তারা যেন তোমাদের মাঝে কঠোরতা দেখতে পায় ৷ জেনে য়েখো, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে
রয়েছেন” (৯ং ১২৩) ৷
তাবুক যুদ্ধের বছরে যখন রাসুলুল্লাহ (না) বোমকদের সাথে যুদ্ধাভিযানের সিদ্ধান্ত নিলেন,
তখন প্রচণ্ড গরম পড়েছিল এবং মুসলমানদের তখন অনটন চলছিল তইি তিনি বিষয়টি মুসলিম
জনতার কাছে স্পষ্ট ভাষায় প্রকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যন্ত এলাকার আরব গোত্রওলিকে তার
সহগামী হওয়ার জন্য আহ্বান জানালেন ৷ ফলে প্রায় ত্রিশ হাজারের এক বিশাল বাহিনী তার
সাথে যোগ দিলষ্যেমনটি শীঘ্রই বর্ণিত হবে ৷ কিন্তু কিছু লোক তার এই উদাত্ত আহ্বানে সাড়া
দিল না ৷ বিনা ওযরে পিছিয়ে থাকা এ মুনাফিক ও শিথিলতা প্রদর্শনকারী মুসলমানাদরকে
আল্লাহ্ পাক ভর্চুসনা করলেন ৷ তাদের এরুপ আরােণর নিন্দা করে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ
করলেন এবং তাদের চরম লাঞ্চুনার হুশিয়ারী দিয়ে কুরআনের আয়াত নাযিলশ্রুকরলেন ৷ জন-
সাধারাণ্য যারত্বিলাওয়াভ হতে থাকল ৷ তাদের বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে সুরা তাওনায় বার বিশদ
বিবরণ আমি তাফসীর গ্রন্থে পেশ করেছি ৷ সাথে সাথে আল্লাহ্ তাআলা ঈমানদারদের সৰ্বাবস্থায়
যুদ্ধাভিযানে বেরিয়ে পড়ার নির্দেশ দিলেন ৷ যেমন ইরশাদ করেছেন-

া,শ্ ,প্রু, ৷

“অভিযানে বেরিয়ে পড়, হাসক৷ অবস্থায় কিংবা ভারী অবস্থায় এবং তোমাদের সম্পদ ও
তোমাদের জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ সাধনায় রত থাকে৷ ৷ এটাই তোমাদের জন্য উত্তম,
যদি তোমরা জানতে ৷ আশু লাভের সম্ভাবনা থাকলে ও সফর সহজ হলে তারা অবশ্যই আপনার
অনুসরণ করত ৷ কিন্ত যাত্রা পথ তাদের কাছে সুদীর্ঘ মনে হল ৷ তারা আল্লাহর নামে শপথ করে
বলল, পারলে আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে বের হতাম ৷’ ওরা নিজেদের ধ্বং স করছে ৷
আর ওরা যে মিথ্যাবাদী তা তো আল্লাহ্ জানেনই” (৯ন্ত্র : ১ ৪২) ৷ এর পরবর্তী আয়াতসমুহও
এ বিষয় সংশ্লিষ্ট ৷ এ সুরারই অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে
৷ ,দ্বু,এে ৷;;দ্বু



মুষিনরা যেন সকলে এক সংগে যুদ্ধাভযানে বের না হয় ৷ তাদের প্রত্যেক দলের একটি
অংশ বেরিয়ে পড়ে না বেল ? যাতে করে তারা দীনের জ্ঞান আহরণ করতে পারে এবং তাদের
স্বজাত্যিক সতর্ক করতে পারে-যখন তারা তাদের কাছে ফিরে আসবে, যাতে তারা সঙ্ঘর্শ্ব হয়’
(৯ : ১২২) ৷

কোন কোন মনীষীব মতে এ শেষোক্ত আয়াত পুর্ববর্তী আয়াতের বিধান রহিত করেছে ৷
আর কারো কারো মতে ভেমনটি নয় ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

ইবন ইসহাক বলেন-, তারপর রাসৃলুল্লাহ (সা) নবম হিজ্জীর জিলহজ্জ থেকে রজব মাস পর্যন্ত
মদীনায় অবস্থান করার পর রােমক্যদর বিরুদ্ধে অভিযান প্রস্তুতির নির্দেশ দিলেন ৷ প্রাথমিক




[غَزْوَةُ تَبُوكَ] [أَسْبَابُ الْغَزْوَةِ وَتَجْهِيزُ الْجَيْشِ] سَنَةُ تِسْعٍ مِنَ الْهِجْرَةِ ذِكْرُ غَزْوَةِ تَبُوكَ فِي رَجَبٍ مِنْهَا. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا وَإِنْ خِفْتُمْ عَيْلَةً فَسَوْفَ يُغْنِيكُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ إِنْ شَاءَ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ حَكِيمٌ قَاتِلُوا الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلَا بِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ} [التوبة: 28] (التَّوْبَةِ: 28، 29) رُوِيَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَمُجَاهِدٍ وَعِكْرِمَةَ وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَقَتَادَةَ وَالضَّحَّاكِ وَغَيْرِهِمْ، أَنَّهُ لَمَّا أَمَرَ اللَّهُ تَعَالَى أَنْ يُمْنَعَ الْمُشْرِكُونَ مِنْ قُرْبَانِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ فِي الْحَجِّ وَغَيْرِهِ قَالَتْ قُرَيْشٌ: لَيَنْقَطِعَنَّ عَنَّا الْمَتَاجِرُ وَالْأَسْوَاقُ أَيَّامَ الْحَجِّ، وَلَيَذْهَبَنَّ مَا كُنَّا نُصِيبُ مِنْهَا. فَعَوَّضَهُمُ اللَّهُ عَنْ ذَلِكَ بِالْأَمْرِ بِقِتَالِ أَهْلِ الْكِتَابِ حَتَّى يُسْلِمُوا أَوْ يُعْطُوا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ. قُلْتُ: فَعَزَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قِتَالِ الرُّومِ; لَأَنَّهُمْ أَقْرَبُ النَّاسِ إِلَيْهِ وَأَوْلَى النَّاسِ بِالدَّعْوَةِ إِلَى الْحَقِّ; لِقُرْبِهِمْ إِلَى الْإِسْلَامِ وَأَهْلِهِ. وَقَدْ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى:
পৃষ্ঠা - ৩৬১৪


যুগের আলিমগণের মধ্যে যুহয়ী, ইয়াযীদ, ইবন রুমান, আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর, আসিম ইবন
উমার ইবন কাতাদ৷ (র) প্রমুখ তড়াবুক অভিযান সম্পর্কে তাদের প্রাপ্ত তখ্যাদির বিবরণ
দিয়েছেন ৷ তাদের প্রত্যেকের বর্ণনা অন্যের বর্ণনার সম্পুরক ৷ তাদের বক্তব্য এরুপ দাড়ায় যে,
রাসুলুল্লাহ (সা) তার সাহাবীগণের রোম অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিলেন ৷ তখন
জনজীবনে ছিল অতা ৷,বণ্অনটন প্রচণ্ড পরম ও দেশব্যাপী দুর্তিক্ষ ৷

অপরদিকে নঙু ন ফসল থেকে আসছিল ৷ ফলে লোকেরা তাদের পাক৷ ফল ও ফসল এবং
বাড়ী ঘরের ছায়াত্৩ লে থাকাকেই বেশী প্রিয় মনে করছিল এবং চরম স কটে যেরা এ সময়টাতে
অভিযানে যেতে অনীহাপ্রস্ত ছিল ৷ রাসৃলুল্লাহ (সা) ইতো ৷পুর্বের যে কোন যুদ্ধ মাত্র ৷য় উদ্দিষ্ট
ক্ষেত্রের প্রচ্ছন্ন ইংগিত দিতেন কিন্তু তাবুক অভিযান ছিল এর ব্যতিক্রম ৷ এ অভিযানে পথের
দুর্গমতা ও দুরতৃ, সময়ের ন ৷যুকতা ও উদ্দিষ্টশ ৷ত্রুর প্রবল সৎ থ্যাধিক্যের কথা বিবেচনা করে তিনি
ব্যাপা ৷রটি স্পষ্টভ৷ ৷রে বলে দিলেন ৷ যাতে করে লোকেরা প্রয়োজনীয় প্রম্ভভিন্ব ৩গ্রহণ করতে পারে ৷
তাই তিনি তাদেরকে জিহাদ মাত্রার নির্দেশ দিয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন যে, এবারে তার লক্ষ্য
হচ্ছে রোমকরা ৷

এ অভিযানের প্রস্তুতি পর্বে তিনি একদিন বনু সালামার অন্যতম ব্যক্তি জুদ ইবন কায়সাকে
বললেন, “ওহে জুদ ; এ বছর বনু আসফার তথা গৌরবর্ণের রোমকদের সাথে লড়াই করার ইচ্ছা
কি তোমার আছে ? সে বলল, হয়া রাসুলাল্লাহ৷ দয়া করে আমাকে ঝামেলায় না ফেলে মদীনায়
রয়ে যাওয়ার অনুমতি দিবেন কি ? দোহাই আল্লাহর! আমার স্বগােত্রীয়রা ভাল করেই আসে যে,
আমার চইিতে অধিক নারী লিলু আর কো ন পুরুষ নেই; তাই আমার আশংকা হয় যে, রোমীয়
রাৎগ৷ রমণীদের দেখলে আমি নিজেকে স যত রাখতে পারব না ৷ এর জবাবে রাসুলুল্পাহ (সা)
তাকে এড়িয়ে গিয়ে বললেন, “ঠিক আছে, তোমাকে অব্যাহতি দিলাম ৷” এ জুদ সম্বহ্মেই আল্লাহ্
তাআল৷ এ আয়াত নাযিল করলেন

-র্মু,ন্,ৰুষ্ৰু;;এা,“

“এবং তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে বলে, অড়ামাকে অব্যাহতি দিন এবং আমাকে
ফিতনায় ফেলবেন না ৷ শুনে রেখো, ওরা ফিতনায় পড়ে রয়েছেই ৷ আর জাহান্নাম তো কাফিরদের
যেষ্টন করেই আছে (৯ : ৪৯) ৷

আর ঘুনাফিকদের একদল পরস্পরকে বলল, এই ণরমে অভিযা ৷নে যের হয়াে না ৷ এ উক্তির

উৎস ছিল জিহ দে অনীহা, ইসলামের সভ্যতায় সন্দেহ এবৎর বাসুলুল্লাহ (সা) এর ব্যাপারে গুজব
ছড়াবার ম্পৃহ৷ ৷ আল্লাহ্ পাক তাদের সম্পকে “নাযিল করলেন,

গ্লুর্দুব্রা ’ৎ ’ ১া ৷১ ’€ ’ ’ র্চুন্ব্লুদ্বু,র্দুব্লুঝু ৷ ৷হুশৃ;া৷“’ “ংশু৷ ,হুহুহ্রক্ট্রা,া ,ঘ্র৷ ৷,,ট্; হুখুভ্রুা৷ন্নুন্নু
,) র্টা;>

“এবং তারা বলল, গরমের মধ্যে অভিযানে বের হয়াে না ৷ ’ বলুন, জাহড়ান্নামের আগুন প্রচণ্ড
উত্তাপময়, যদি তারা বুঝত ৷ অতএব তারা অল্প হেসে নিক, তারা প্রচুর র্কীদবে, তাদের কৃতকর্মের
ফলস্বরুপ (৯ : ৮১৮২) ৷


{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قَاتِلُوا الَّذِينَ يَلُونَكُمْ مِنَ الْكُفَّارِ وَلْيَجِدُوا فِيكُمْ غِلْظَةً وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ مَعَ الْمُتَّقِينَ} [التوبة: 123] (التَّوْبَةِ: 123) فَلَمَّا عَزَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى غَزْوِ الرُّومِ عَامَ تَبُوكَ وَكَانَ ذَلِكَ فِي حَرٍّ شَدِيدٍ وَضِيقٍ مِنَ الْحَالِ، جَلَّى لِلنَّاسِ أَمْرَهَا وَدَعَا مَنْ حَوْلَهُ مِنْ أَحْيَاءِ الْأَعْرَابِ لِلْخُرُوجِ مَعَهُ، فَأَوْعَبَ مَعَهُ بَشَرٌ كَثِيرٌ، كَمَا سَيَأْتِي، قَرِيبًا مِنْ ثَلَاثِينَ أَلْفًا، وَتَخَلَّفَ آخَرُونَ، فَعَاتَبَ اللَّهُ مَنْ تَخَلَّفَ مِنْهُمْ لِغَيْرِ عُذْرٍ مِنَ الْمُنَافِقِينَ وَالْمُقَصِّرِينَ، وَلَامَهُمْ وَوَبَّخَهُمْ وَقَرَّعَهُمْ أَشَدَّ التَّقْرِيعِ، وَفَضَحَهُمْ أَشَدَّ الْفَضِيحَةِ، وَأَنْزَلَ فِيهِمْ قُرْآنًا يُتْلَى وَبَيَّنَ أَمْرَهُمْ فِي سُورَةِ " بَرَاءَةَ " كَمَا قَدْ بَيَّنَّا ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي " التَّفْسِيرِ " وَأَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِالنَّفْرِ عَلَى كُلِّ حَالٍ. فَقَالَ تَعَالَى: {انْفِرُوا خِفَافًا وَثِقَالًا وَجَاهِدُوا بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ لَوْ كَانَ عَرَضًا قَرِيبًا وَسَفَرًا قَاصِدًا لَاتَّبَعُوكَ وَلَكِنْ بَعُدَتْ عَلَيْهِمُ الشُّقَّةُ وَسَيَحْلِفُونَ بِاللَّهِ لَوِ اسْتَطَعْنَا لَخَرَجْنَا مَعَكُمْ يُهْلِكُونَ أَنْفُسَهُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ} [التوبة: 41] ثُمَّ الْآيَاتِ بَعْدَهَا. ثُمَّ قَالَ تَعَالَى: {وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنْفِرُوا كَافَّةً فَلَوْلَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ} [التوبة: 122] فَقِيلَ: إِنَّ هَذِهِ نَاسِخَةٌ لِتِلْكَ. وَقِيلَ: لَا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ مَا بَيْنَ ذِي الْحِجَّةِ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৩৬১৫
১৮ আদ-ৰিদান্না অ্যান

ইবন হিশাম বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন হারিছা (র) তার পিতা সুত্রে তার দাদা থেকে এ
হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্পাহ (না)-এর কাছে সংবাদ পৌছলো যে, একদল
মুনাফিক জাসুম মহল্লায় অবস্থিত সৃওয়ড়ায়লিম ইয়াহুদীর বাড়িতে সমবেত হয়ে তাবুক অভিযানে
রাসুলুল্লাহ (না)-এর সহণামী হওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য লোকদের নিরুৎসাহিত করছে ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) তালহা ইবন উবায়দৃল্লাহ (রা)-এর নেতৃত্বে সাহাবীদের একটি ক্ষুদ্র দল
সেখানে পাঠালেন এবং তাদেরকে সুওয়ায়ালিমের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন ৷
তালহা (বা) এ হুকুম পালন করলেন ৷ এ সময় যাহহাক ইবন খলীফা ঘরের পিছন দিয়ে
টপকাতে গিয়ে তার পা ভেঙ্গে গেল ৷ তার অন্যান্য সংগী-সাথীরা হুড়মুড় করে পালিয়ে বীচল ৷
এ প্ৰসংগে যাহ্হাক রচিত কবিতায় রয়েছে-

(কবিতা ৪) আল্লাহর ঘরের কসম ! মুহাম্মদের (লোকদের) লাগানো আগুন মাহ্হাক ও ইবন
উবায়রিককে দিয়ে বয়ে ঝলসে ফেলছিল প্রায়; তা জ্বলতে লাগল আর সুওয়ায়লিমের কুড়ে
ঘরঢি রেষ্টন করে ফেলল ৷ আমি তখন আমার ভঙ্গো পা আর কনুইয়ে হামাগৃড়ি দিয়ে র্দাড়াবার
ব্যর্থ চেষ্টা করছিলাম ৷

তোমাদের ৰিদায়ী সালাম ৷ এমন কাজ কস্মিনকালেও আর করতে যাচ্ছি না ৷ আতংকে
মরবার উপক্রম হয়েছে ৷ আগুন যাকে জাপটে ধরে, সে তো পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবেই ৷

ইবন ইসহাক বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) তার সফরের চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিলেন এবং
লোকদের পুর্গোদ্যমে দ্রুততর প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিলেন ৷ সম্পদশালীদের আল্লাহর বাহে
বাহন প্রদান ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করলেন ৷ বিত্তবান লোকেরা ছাওমাবের
নিয়তে বাহনের ব্যবস্থা করে দিলেন ৷ উছমান ইবন আফফান (বা) এত বিশাল পরিমাণ সম্পদ
ব্যয় করলেন যে, অন্য কেউ তার মত করতে পারেননি ৷ এ বিষয়ে ইবন হিশাম বলেন, আমার
নিকট ৰিশ্বস্ত এক ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন যে, উছমান (বা) সংকটকালীন বাহিনী তথা তাবুক
অভিযানের বাহিনীর জন্য এক হজাের দীন্যর ব্যয় করেন ৷ তইি বাসুলুল্লাহ (না) তার দৃআয়
বললেন, ইয়ড়া আল্পাহ্ ৷ আপনি উছমানের প্রতি সন্তুষ্ট হোন কেননা, আমি তার প্রতি সন্তুষ্ট ৷ ”

ইমাম আহমদ (র) বলেন, হারুন ইবন মারুফ (র) আব্দুর রহমান ইবন সামুবা (বা)-
এর আযাদকৃত গোলাম কুছছ৷ (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (না) যখন
সংকটকালীন বাহিনীর প্রম্ভতিপর্ব সম্পাদন করছিলেন, তখন উছমান ইবন আফফান (বা)
তীর কাপড়ে বেধে এক হাজার দীনার নিয়ে নবী কবীম (না)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে
সেগুলি তার কোলে ঢেলে দিলেন ৷ নবী কবীম (সা) সেগুলি তার হাতে নিয়ে নড়োচাড়া
করছিলেন আর বলছিলেন, “আজকের পরে ইবনুল অড়াফফড়ান যে কোন আমল করুক না
কেন, তা তার কোন ক্ষতি করবে না ৷ তিরমিষী এ হাদীসখানা উদ্ধৃত করে বর্ণনাটি হাসান
গাবীব বলে মন্তব্য করেছেন (একক সুত্র) ৷

আব্দুল্লাহ ইবন আহ্মদ (র) তার পিতার সনদেআবৃদুর রহমান ইবন হুবাব আস-
সৃলামী (বা) থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, নবী কবীম (সা) সংকটকালীন বাহিনীর
ব্যাপারে উৎসাহ ব্যঞ্জক খুতবা দিলেন ৷ তখন উহমান (বা) বললেন, গদী ও হাওদাসহ একশ’
উটের দায়িৎ আমি নিচ্ছি ৷ বর্ণন্যকারী বলেন, নবী কবীম (সা) মিমরের এক ধাপ নীচে নেমে


رَجَبٍ - يَعْنِي مِنْ سَنَةِ تِسْعٍ - ثُمَّ أَمَرَ النَّاسَ بِالتَّهَيُّؤِ لِغَزْوِ الرُّومِ. فَذَكَرَ الزُّهْرِيُّ وَيَزِيدُ بْنُ رُومَانَ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ وَعَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ وَغَيْرُهُمْ مِنْ عُلَمَائِنَا، كَلٌّ يُحَدِّثُ عَنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ مَا بَلَغَهُ عَنْهَا، وَبَعْضُ الْقَوْمِ يُحَدِّثُ مَا لَمْ يُحَدِّثْ بَعْضٌ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ أَصْحَابَهُ بِالتَّهَيُّؤِ لِغَزْوِ الرُّومِ، وَذَلِكَ فِي زَمَانِ عُسْرَةٍ مِنَ النَّاسِ وَشِدَّةٍ مِنَ الْحَرِّ وَجَدْبٍ مِنَ الْبِلَادِ، وَحِينَ طَابَتِ الثِّمَارُ، فَالنَّاسُ يُحِبُّونَ الْمُقَامَ فِي ثِمَارِهِمْ وَظِلَالِهِمْ، وَيَكْرَهُونَ الشُّخُوصَ فِي الْحَالِ مِنَ الزَّمَانِ الَّذِي هُمْ عَلَيْهِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَلَّ مَا يَخْرُجُ فِي غَزْوَةٍ إِلَّا كَنَّى عَنْهَا إِلَّا مَا كَانَ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ فَإِنَّهُ بَيَّنَهَا لِلنَّاسِ، لِبُعْدِ الْمَشَقَّةِ وَشِدَّةِ الزَّمَانِ وَكَثْرَةِ الْعَدُوِّ الَّذِي يُصْمَدُ إِلَيْهِ لِيَتَأَهَّبَ النَّاسُ لِذَلِكَ أُهْبَتَهُ، فَأَمَرَهُمْ بِالْجِهَادِ وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ يُرِيدُ الرُّومَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ وَهُوَ فِي جِهَازِهِ ذَلِكَ لِلْجَدِّ بْنِ قَيْسٍ أَحَدِ بَنِي سَلِمَةَ: " يَا جَدُّ هَلْ لَكَ الْعَامَ فِي جِلَادِ بَنِي الْأَصْفَرِ؟ " فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَوَتَأْذَنُ لِي وَلَا تَفْتِنِّي، فَوَاللَّهِ لَقَدْ عَرَفَ قَوْمِي أَنَّهُ مَا رَجُلٌ بِأَشَدَّ عَجَبًا بِالنِّسَاءِ مِنِّي، وَإِنِّي أَخْشَى إِنْ رَأَيْتُ نِسَاءَ بَنِي الْأَصْفَرِ أَنْ لَا أَصْبِرَ. فَأَعْرَضَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: " قَدْ أَذِنْتُ لَكَ ". فَفِي الْجَدِّ أَنْزَلَ اللَّهُ هَذِهِ الْآيَةَ: {وَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ ائْذَنْ لِي وَلَا تَفْتِنِّي أَلَا فِي الْفِتْنَةِ سَقَطُوا وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيطَةٌ بِالْكَافِرِينَ} [التوبة: 49] (التَّوْبَةِ: 49) وَقَالَ قَوْمٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ: لَا تَنْفِرُوا فِي الْحَرِّ. زَهَادَةً فِي الْجِهَادِ وَشَكًّا فِي الْحَقِّ وَإِرْجَافًا بِالرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِمْ {" وَقَالُوا لَا تَنْفِرُوا فِي الْحَرِّ قُلْ نَارُ جَهَنَّمَ أَشَدُّ حَرًّا لَوْ كَانُوا يَفْقَهُونَ فَلْيَضْحَكُوا قَلِيلًا وَلْيَبْكُوا كَثِيرًا جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ "} [التوبة: 81] (التَّوْبَةِ: 81، 82) . قَالَ ابْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي الثِّقَةُ، عَمَّنْ حَدَّثَهُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَارِثَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ نَاسًا مِنَ الْمُنَافِقِينَ يَجْتَمِعُونَ فِي بَيْتِ سُوَيْلِمٍ الْيَهُودِيِّ - وَكَانَ بَيْتُهُ عِنْدَ جَاسُومَ - يُثَبِّطُونَ النَّاسَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ طَلْحَةَ بْنَ عُبَيْدِ اللَّهِ فِي نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَأَمَرَهُ أَنْ يُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بَيْتَ سُوَيْلِمٍ فَفَعَلَ طَلْحَةُ فَاقْتَحَمَ الضَّحَّاكُ بْنُ خَلِيفَةَ مِنْ ظَهْرِ الْبَيْتِ، فَانْكَسَرَتْ رِجْلُهُ، وَاقْتَحَمَ أَصْحَابُهُ فَأَفْلَتُوا،» فَقَالَ الضَّحَّاكُ فِي ذَلِكَ: كَادَتْ وَبَيْتِ اللَّهِ نَارُ مُحَمَّدٍ ... يَشِيطُ بِهَا الضَّحَّاكُ وَابْنُ أُبَيْرِقِ وَظَلْتُ وَقَدْ طَبَّقْتُ كَبْسَ سُوَيْلِمٍ ... أَنُوءُ عَلَى رِجْلِي كَسِيرًا وَمِرْفَقِي سَلَامٌ عَلَيْكُمْ لَا أَعُودُ لِمِثْلِهَا ... أَخَافُ وَمَنْ تَشْمَلْ بِهِ النَّارُ يُحْرَقِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَدَّ فِي سَفَرِهِ وَأَمَرَ النَّاسَ بِالْجِهَازِ وَالِانْكِمَاشِ، وَحَضَّ أَهْلَ الْغِنَى عَلَى النَّفَقَةِ وَالْحُمْلَانِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَحَمَلَ رِجَالٌ
পৃষ্ঠা - ৩৬১৬
আল-বিদায়া ওয়ান নিহাহইন্ংন্ংণ্ডে ১৯

আবার উদ্দীপনাময়ী ভাষণ দিলেন ৷ তখন উছমান (রা) বললেন, গদী ও হাওদাসহ আরো
একশ উটের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি রাসুলুল্লাহ (না)-কে এভাবে
তার হাত দোলাতে দেখলাম (সুত্রের মধ্যবর্তী অন্যতম বর্ণনাকারী) আব্দুস সামাদ এ বর্ণনা
দেওয়ার সময় ৰিস্ময়াবিতুত ও মুগ্ধ ব্যক্তির ভঙ্গিমায় তার হাত দোলালেন ৷ নবী করীম (সা)
বললেন, এর পরে যে কোন আমলই করুক না কেন, উছমানের উপরে কিছু বর্তাবে না ৷

তিরমিষী (র) মুহাম্মদ ইবন ইয়াসার (র)উছমান পরিবারের আযাদকৃত গোলাম আবু
মুহাম্মদ সাকান ইবনুল মুগীরা (রা) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করে মন্তব্য করেছেন বর্ণনাটি
পরীব পর্যায়ের ৷

বায়হাকী (র) এ রিওয়ায়ড়াতটি উদ্ধৃত করেছেন ৷ তবে তাতে তিনি তিনবার ভাষণ দেওয়া
এবং গদী ও হাওদাসহ তিনশ উটের দায়িত্ব গ্রহণের কথা উল্লেখ করেছেন ৷ আব্দুর রহমান
বলেন, আমি নিজে রাসুলুল্লাহ (না)-কে মিম্বরের উপরে একথা বলতে শুনেছি যে, এরপরে
কিৎবা (বর্ণনা সন্দেহে, তিনি বলেছেন) এ দিনের পরে (কোনও আমল) উছমানের ক্ষতি
করবে না ৷ ’

আবু দাউদ তায়ালিসী (র) বলেন, আবু আওয়ানা (রা)আল-আহনাফ ইবন কায়স (বা)
থেকে বর্ণনা করেন, তেনি বলেন, (বিদ্রোহী উছমান ঘাতকদের মদীনা অবরােধকালে) আমি
সাদ ইবন আবু ওয়াককাস, আলী, যুবায়র ও তালহা (রা)-কে সম্বোধন করে উছমান (রা)-কে
বলতে শুনেছিষ্আল্লাহ্র নামে কসম দিয়ে তোমাদের বলছি, তোমরা কি জান যে, রাসুলুল্পাহ
(সা) ইরশাদ করেছেন, “ ৎকটকালীন (তড়াবুক) বাহিনীকে যে সমরেড়াপকরণ সরবরাহ করবে,
আল্লাহ্ তার মাগফিরাত করবেন ৷” তখন আমি যুদ্ধোপকরণ দিয়ে তাদের সাজিয়ে দিলাম ৷
এমনকি তারা প্রয়োজনীয় (নগণ্য) লড়াণাম-রশিরও অভাব বোধ করছিল না ৷ এ কথা কি সত্য
নয় ? তারা বললেন, হী , আল্পাহ্ সাক্ষী ৷

নাসায়ী (র) এ হাদীসখানি উল্লেখিত সনদে হুসায়ন (রা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷

ওযরের কারণে পিছিয়ে থাকা ত্রুদনকারী ও অন্যান্যদের প্রসংগ

আল্লাহ্ তা আলা ইরশাদ করেন-
ষ্ষ্ষ্ন্ ষ্ধ্রু ট্রিঠুহ্র


গ্ৰ৷ ৰ্ৰন কোন সুরা অবতীর্ণ হয় এ মর্মে যে, আল্পাহ্র প্ৰতি ঈমান আন এবং রাসুলের
রা ষ্কা দিহ্যদ ল ৷ তখন তাদের মধ্যকার যাদের শক্তি সামর্থ রয়েছে, তারা তোমার
ৰ্!মৌ মা! এবং বলে, আমাদের রেহাই দিন, যারা বসে থাকে আমরা তাদের সংগে
fl! ৷ ষ্ৰ্৷ মোঃ সাথে অবস্থান করা পসন্দ করেছে এবং তাদের আর
হ্যে ৰ্ন্৷ ম্মে ৰ্দে তার! বুঝতে পারে না ৷ জ্যি রাসুল এবং যারা তার সংগে ঈমান
-fl fl ষ্াদেৰ্ মোঃ দিরে আল্পাহ্র পদে ন্বিহােদ লোঃ জো ন্যেই মোঃ


مِنْ أَهْلِ الْغِنَى وَاحْتَسَبُوا، وَأَنْفَقَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ نَفَقَةً عَظِيمَةً لَمْ يُنْفِقْ أَحَدٌ مِثْلَهَا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ فَحَدَّثَنِي مَنْ أَثِقُ بِهِ أَنَّ عُثْمَانَ أَنْفَقَ فِي جَيْشِ الْعُسْرَةِ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ أَلْفَ دِينَارٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ ارْضَ عَنْ عُثْمَانَ فَإِنِّي عَنْهُ رَاضٍ ".» . وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ ثنا ضَمْرَةُ ثنا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَوْذَبٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ كَثِيرٍ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: «جَاءَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَلْفِ دِينَارٍ فِي ثَوْبِهِ حِينَ جَهَّزَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ. قَالَ: فَصَبَّهَا فِي حِجْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَلِّبُهَا بِيَدِهِ، وَيَقُولُ: " مَا ضَرَّ ابْنُ عَفَّانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ الْيَوْمِ» وَرَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ وَاقِعٍ عَنْ ضَمْرَةَ بِهِ. وَقَالَ: حَسَنٌ غَرِيبٌ. وَقَالَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَحْمَدَ فِي " مُسْنَدِ " أَبِيهِ: حَدَّثَنِي أَبُو مُوسَى الْعَنَزِيُّ. حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ حَدَّثَنِي سَكَنُ بْنُ الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنِي الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي هِشَامٍ عَنْ فَرْقَدٍ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ خَبَّابٍ السُّلَمِيِّ قَالَ: «خَطَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَثَّ عَلَى جَيْشِ الْعُسْرَةِ، فَقَالَ عُثْمَانُ
পৃষ্ঠা - ৩৬১৭
بْنُ عَفَّانَ: عَلَيَّ مِائَةُ بَعِيرٍ بِأَحْلَاسِهَا وَأَقْتَابِهَا. قَالَ: ثُمَّ نَزَلَ مِرْقَاةً مِنَ الْمِنْبَرِ ثُمَّ حَثَّ، فَقَالَ عُثْمَانُ: عَلَيَّ مِائَةٌ أُخْرَى بِأَحْلَاسِهَا وَأَقْتَابِهَا. قَالَ: فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بِيَدِهِ هَكَذَا يُحَرِّكُهَا، وَأَخْرَجَ عَبْدُ الصَّمَدِ يَدَهُ، كَالْمُتَعَجِّبِ: " مَا عَلَى عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ هَذَا» وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ بَشَّارٍ عَنْ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ عَنْ سَكَنِ بْنِ الْمُغِيرَةِ أَبِي مُحَمَّدٍ مَوْلًى لِآلِ عُثْمَانَ بِهِ. وَقَالَ: غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ عَمْرِو بْنِ مَرْزُوقٍ عَنْ سَكَنِ بْنِ الْمُغِيرَةِ بِهِ. وَقَالَ: ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَإِنَّهُ الْتَزَمَ بِثَلَاثِمِائَةِ بَعِيرٍ بِأَحْلَاسِهَا وَأَقْتَابِهَا. قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: «فَأَنَا شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ: " مَا ضَرَّ عُثْمَانُ بَعْدَهَا " أَوْ قَالَ: " بَعْدَ الْيَوْمِ» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَمْرِو بْنِ جَاوَانَ عَنِ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ: «سَمِعْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ يَقُولُ لِسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَلِيٍّ وَالزُّبَيْرِ وَطَلْحَةَ: أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَنْ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ " فَجَهَّزْتُهُمْ حَتَّى مَا يَفْقِدُونَ
পৃষ্ঠা - ৩৬১৮
মোঃ জ্জান্দু৷ নিহাহৃৰুন্ংংং

ক্কা ম্পোষ্ল্দোম ৷ আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্নড়াত , যার নিম্ন
ন্মো নদী বয়ে চলে, যেখানে তারা স্থায়ী হবে, এটাই মহা সাফল্য ৷ মরুবাসীদের মধ্যে কিছু
অজুহাত পেশ করতে আসলো ণ্লাকেরা যাতে করে অব্যাহতি পেতে পারে এবং যারা
আল্পাহ্কে, তার রাসুলকে মিথ্যা কথা বলেছিল তারা বসে রইল ৷ তাদের মধ্যে যারা কুফরী
করেছে অচিরেই তাদের বেদনাদায়ক শান্তি হবে ৷ যারা দুর্বল, যারা পীড়িত এবং বাবা ব্যয়
নির্বাহে অসমর্থ তাদের কোন অপরাধ নেই ৷ যদি তারা আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি অবিমিশ্র
অনুরাগী হয়, যারা সৎকর্যশীল তাদের বিরুদ্ধে কোন অতািবাগের হেতৃ নেই ৷ আল্লাহ
ক্ষমড়াশীল, পরম দয়াবান ৷ আর তাদেরও কোন অপরাধ নেই বাবা বাহনের জন্য আসলে তুমি
তাদেরকে বলেছিলে, তােমাদের জন্য কোন বাহন আমি পাচ্ছি না ৷’ তারা অ্যাং ভরা চোখে
ফিরে গেল এ দু৪থে যে, ব্যয় করার মত সামর্থ তাদের নেই ৷ অত্যিযাগের হেতৃ ভো রয়েছে
তাদের বিরুদ্ধে যারা ৰিত্তবান হওয়া সত্বেও তোমার কাছে অব্যাহতি ঢেয়েছে ৷ তারা অভ
পুররাসিনীদের সংগে থাকা পসন্দ করেছিল ৷ আল্পাহ্ তাদের অন্তর সােহর করে দিয়েছিল, ফলে
তারা বুঝতে পারে না” (৯ : ৮৬-৯৩) ৷

আল্লাহর গোকর যে, তাফসীর গ্রন্থে এ আয়াতসমুহের ব্যাখ্যার আমি যথেষ্ট আলোচনা
করেছি ৷ এখানে উদ্দিষ্ট হচ্ছে, অশ্রুসিক্তদের কথা আলোচনা করা, যারা রাসুলুল্লাহ (না)-এর
দরবারে এ বাসনা নিয়ে হাযির হয়েছিল যে, তিনি তাদেরকে বাহন দিবেন, যাতে করে তারা এ
যুদ্ধে তার সহযোগী হতে পারেন ৷ কিন্তু তারা তার কাছে আরোহণ যোগ্য বাহন না পেয়ে
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে এবং কিছু ব্যয় করতে না পারার আক্ষো:প র্কাদতে তাদতে
ফিরে গিয়েছিলেন ৷

ইবন ইসহড়াক বলেন, আনসারী ও অন্যদের সহ এদের সংখ্যা ছিল লাভ ও (১) আমর ইবন
আওফ গোত্রের সালিম ইবন উমায়র; (২) বনু হারিছার উলবা ইবন যায়দ; (৩) বনু মাযিন
ইবন নাজ্জারের আবু লায়লা আব্দুর রহমান ইবন কাব; (৪) বনু সালমড়ার আমর ইবন আল
হস্ফোম ইবনুল জামুহ; (৫) আব্দুল্লাহ ইবনুল মুগাফকাল আল-মুযড়ানী তবে কারো কারো মতে
ইনি ছিলেন আব্দুল্লাহ ইবন হামর১ আল-ঘুযড়ানী; (৬) বনু ওয়াকিফ-এর হারামী ইবন আব্দুল
আনা ও (৭) ইরবায ইবন সারিরাঃ আল ফাযারী (বা) ৷

ইবন ইসহাক বলেন, আমার কাছে এ তথ্য পৌছেছে যে, ইবন ইয়ামীন ইবন উমায়র ইবন
কাব আন-নাযড়ারী আবু লায়লা ও আবদুল্লাহ ইবনুল মুগাফফালের সাথে দেখা করলেন ৷ তখন
তারা দুজন তাদছিলেন ৷ তিনি বললেন, আপনাদের কান্নার কারণ কি? তারা বললেন, আমরা
বাহন লাভের উদ্দেশ্যে রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি আমাদের বাহন
রুপে দিতে পারেন এমন কিছু তার কাছে পেলাম না ৷ আর আমাদের নিজেদের কাছেও তার
অভিযান সহগামী হওয়ার সামর্থ নেই ৷ তখন ইবন ইয়ামীন তাদের দৃ’জনকে তার একটি
পানিবাহী উট দিলেন, এবং পাথেয় স্বরুপ কিছু খুরমাও দিলেন ৷ তারা পালাক্রমে বাহনে চড়ার
নিরতে উটের পিঠে হাওদা চড়ালেন এবং নবী করীম (না)-এর সহগামী হলেন ৷



১ সম্ভবতঃ ছাপার ভুলে আমরকে হামর বলা হয়েছে ৷


خِطَامًا وَلَا عِقَالًا قَالُوا: اللَّهُمَّ نَعَمْ» وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ حُصَيْنٍ بِهِ. [فَصْلٌ فِي مَنْ تَخَلَّفَ مَعْذُورًا مِنَ الْبَكَّائِينَ وَغَيْرِهِمْ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَإِذَا أُنْزِلَتْ سُورَةٌ أَنْ آمِنُوا بِاللَّهِ وَجَاهِدُوا مَعَ رَسُولِهِ اسْتَأْذَنَكَ أُولُو الطَّوْلِ مِنْهُمْ وَقَالُوا ذَرْنَا نَكُنْ مَعَ الْقَاعِدِينَ - رَضُوا بِأَنْ يَكُونُوا مَعَ الْخَوَالِفِ وَطُبِعَ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لَا يَفْقَهُونَ - لَكِنِ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ جَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ وَأُولَئِكَ لَهُمُ الْخَيْرَاتُ وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ - أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ - وَجَاءَ الْمُعَذِّرُونَ مِنَ الْأَعْرَابِ لِيُؤْذَنَ لَهُمْ وَقَعَدَ الَّذِينَ كَذَبُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ سَيُصِيبُ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ - لَيْسَ عَلَى الضُّعَفَاءِ وَلَا عَلَى الْمَرْضَى وَلَا عَلَى الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ مَا يُنْفِقُونَ حَرَجٌ إِذَا نَصَحُوا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ مَا عَلَى الْمُحْسِنِينَ مِنْ سَبِيلٍ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ - وَلَا عَلَى الَّذِينَ إِذَا مَا أَتَوْكَ لِتَحْمِلَهُمْ قُلْتَ لَا أَجِدُ مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ تَوَلَّوْا وَأَعْيُنُهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ حَزَنًا أَلَّا يَجِدُوا مَا يُنْفِقُونَ - إِنَّمَا السَّبِيلُ عَلَى الَّذِينَ يَسْتَأْذِنُونَكَ وَهُمْ أَغْنِيَاءُ رَضُوا بِأَنْ يَكُونُوا مَعَ الْخَوَالِفِ وَطَبَعَ اللَّهُ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ} [التوبة: 86 - 93] (التَّوْبَةِ: 86 - 93) قَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى تَفْسِيرِ هَذَا كُلِّهِ فِي " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬১৯

তোমার দাবী আমরা অবশ্যই পুরণ করছি ৷ বর্ণনাকাবী বলেন, তখন আবু মুসা (বা) তাদের
কঃয়কজ্জাক নিয়ে সেই লোকদের কাছে গেলেন, যারা প্রথমে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর অস্বীকৃতি
ও পরে র্তার বাহনদানের প্রত্যক্ষদর্শী রুপে তার কথাবার্তা শ্যুনছিলেন ৷ তারা আবু মুসা (রা)-
এর সাথে আগত লোকদের কাছে তার বক্তব্যের অবিকল বক্তব্যই ব্যক্ত করে তার
সতবােদীতার সাক্ষ্য দিলেন ৷

বুখারী ও মুসলিম (র) উভয়ে আবু কুরায়ব (র) সুত্রে আবু মুসা (বা) থেকে উক্ত হাদীসখানি
তাদের স্ব স্ব গ্রন্থে গ্রহণ করেছেন ৷ আবু মুসা (বা) থেকে গৃহীত তাদের আর একটি
রিওয়ায়াতে রয়েছে-আবু মুসা (বা) বলেন, আশআরী গোত্রের একটি ছোট দল নিয়ে আমি
ৱাসুলুল্লাহ (সা) এর খিদমতে আসলাম ৷ উদ্দেশ্য, তিনি আমাদের বাহন দিবেন ৷ তিনি
বললেন, আল্লাহর কলম ! আমি তোমাদের বাহন দিব না ৷ আর আমার কাছে এমন কিছু £নইও
যা তোমাদের বাহনরুপে দিতে পারি ৷ আবু মুসা (বা) বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ (না)-এর
কাছে গণীমত লব্ধ উট নিয়ে আসা হল ৷ তখন তিনি আমাদের জন্য উজ্জ্বল সাদা কুজৰিশিষ্ট
ছয়টি উটের হুকুম দিনে আমরা সেগুলি গ্রহণ করলাম ৷ পরে আমরা বলাবলি করলাম যে,
আমরা হয়তো রাসুলুল্পাহ (না)-কে তার কসমের ব্যাপারে অমনােযোগী করে ফেলেছি ৷
আল্লাহর কলম! এভাবে আমরা (আমাদের বাহনে) বরকত পাব না ৷ তাই, তাকে কসমের
বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা তার কাছে ফিরে গিয়ে বললাম, (আপনি তাে বাহন
না দেওয়ার কলম করেছিলেন) তিনি বললেন-

ঞষ্এ

আমি তো তোমাদের বাহন দেই নি; বরং আল্লাহ্ই তোমাদের বাহন দিয়েছেন ৷”
একটু পরেই বললেন, আল্লাহর কলম ! আমি ইনশাআল্লাহ্ যখনই কোন কলম করি না
কেন, তার বিপরীত কাজটি তার চাইতে উত্তম প্ৰতিভাত হওয়া মাত্র সে উত্তম কাজটিই
আমি সম্পাদন করি এবং কসমের কাফফারা আদায় করে দেই ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন,
মুসলমানদের একদল লোকের নবী করীম (না)-এর দরবারে অনুপস্থিতি দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে
গিয়েছিল ৷ এমনকি তাবুক অভিযানে তারা রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে পশ্চাতেই রয়ে গিয়েছিল ৷
তবে তাদের মনে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল না ৷ তাদের মধ্যে ছিলেন বনু সালিমা গোত্রের করি
তার ইবন মালিক ইবন আবু আর (না), বনু আমর ইবন আওফ গোত্রের যুরারা ইবন রাবী
(বা) , বনু ওয়াকিফ গোত্রের হিলাল ইবন উমাইয়া (না) ও বনু সালিম ইবন আওফ গোত্রের
আবু খায়ছামা (বা) ৷ এরা সকলেই ছিলেন সত্যনিষ্ঠ ও ইসলামের ব্যাপারে কপটতার
অতিযোগমুক্ত ৷

গ্রহকারেৱ মন্তব্য : এদের প্রথম তিন জনের ঘটনা একটু পরে বিশদতাবে বিবৃত হচ্ছে
এবং এ তিন জনের কথাই আল্লাহ্ পাক এ আয়াতে বর্ণনা করেছেন-

ঢুও


وَالْمَقْصُودُ ذِكْرُ الْبَكَّائِينَ الَّذِينَ جَاءُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَحْمِلَهُمْ، حَتَّى يَصْحَبُوهُ فِي غَزْوَتِهِ هَذِهِ، فَلَمْ يَجِدُوا عِنْدَهُ مِنِ الظَّهْرِ مَا يَحْمِلُهُمْ عَلَيْهِ، فَرَجَعُوا وَهُمْ يَبْكُونَ ; تَأَسُّفًا عَلَى مَا فَاتَهُمْ مِنِ الْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَالنَّفَقَةِ فِيهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانُوا سَبْعَةَ نَفَرٍ مِنَ الْأَنْصَارِ وَغَيْرِهِمْ ; فَمِنْ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ سَالِمُ بْنُ عُمَيْرٍ وَعُلْبَةُ بْنُ زَيْدٍ أَخُو بَنِي حَارِثَةَ، وَأَبُو لَيْلَى عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ كَعْبٍ أَخُو بَنِي مَازِنِ بْنِ النَّجَّارِ، وَعَمْرُو بْنُ الْحُمَامِ بْنِ الْجَمُوحِ أَخُو بَنِي سَلِمَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُغَفَّلِ الْمُزَنِيُّ وَبَعْضُ النَّاسِ يَقُولُونَ: بَلْ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الْمُزَنِيُّ. وَهَرَمِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَخُو بَنِي وَاقِفٍ، وَعِرْبَاضُ بْنُ سَارِيَةَ الْفَزَارِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَبَلَغَنِي أَنَّ ابْنَ يَامِينَ بْنَ عُمَيْرِ بْنِ كَعْبٍ النَّضَرِيَّ لَقِيَ أَبَا لَيْلَى وَعَبْدَ اللَّهَ بْنَ مُغَفَّلٍ وَهُمَا يَبْكِيَانِ، فَقَالَ: مَا يُبْكِيكُمَا؟ قَالَا: جِئْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَحْمِلَنَا، فَلَمْ نَجِدْ عِنْدَهُ مَا يَحْمِلُنَا عَلَيْهِ، وَلَيْسَ عِنْدَنَا مَا نَتَقَوَّى بِهِ عَلَى الْخُرُوجِ مَعَهُ. فَأَعْطَاهُمَا نَاضِحًا لَهُ فَارْتَحَلَاهُ، وَزَوَّدَهُمَا شَيْئًا مِنْ تَمْرٍ، فَخَرَجَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. زَادَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَمَّا عُلْبَةُ بْنُ زَيْدٍ فَخَرَجَ مِنَ اللَّيْلِ، فَصَلَّى مِنْ لَيْلَتِهِ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ بَكَى وَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنَّكَ أَمَرْتَ بِالْجِهَادِ وَرَغَّبْتَ فِيهِ، ثُمَّ لَمْ تَجْعَلْ عِنْدِي مَا أَتَقَوَّى بِهِ، وَلَمْ تَجْعَلْ فِي يَدِ رَسُولِكَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَحْمِلُنِي عَلَيْهِ، وَإِنِّي أَتَصَدَّقُ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ بِكُلِّ مَظْلَمَةٍ أَصَابَنِي فِيهَا ; فِي مَالٍ أَوْ جَسَدٍ أَوْ عِرْضٍ. ثُمَّ أَصْبَحَ مَعَ النَّاسِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَيْنَ
পৃষ্ঠা - ৩৬২০

বুখারী ও মুসলিম (র) উভয়ে শুবা (র) সুত্রে সাদ ইবন আবু ওয়াক্কড়াস (বা) থেকে এ
হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবু দাউদ তায়ালিসী (র) তার যুসনাদ গ্রন্থে বলেছেন,
শুবা (র)সাদ ইবন আবু ওয়ড়াককাস থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, তাবুক
অভিযান কালে বাসুলুল্লাহ (সা) আলী (বা)-কে মদীনায় রেখে যেতে চাইলে তিনি বললেন, ইয়া
বাসুলাল্লাহ! আমাকে নারী ও শিশুদের তত্ত্বাবধায়ক বানিয়ে যাচ্ছেন ? তিনি বললেন-

তুমি কি আমার সাথে এমনভাবে সম্পৃক্ত হওয়া পসন্দ কর না, যেভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন
হারুন (আ) মুসা (আ) এর সাথে ? তবে কি না, আমার পরে আর কোন নবী নেই ৷ ’ বৃখারী ও
মুসলিম (র) ও শুবা (র) থেকে বিভিন্ন সনদে অনুরুপ রিওয়ায়াত উদ্ধৃত করেছেন ৷ এ ছাড়া
বুখারী (র) এ হাদীসটি শুবা (র) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমাদ (র) বলেন, কুতারবা ইব;ন সাঈদ (র) সাদ সুত্রে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আলী (বা) কে লক্ষ্য করে বাসুলুল্লাহ (সা) কে আমি বলতে ওদ্ভনছি, যখন তিনি তার
কোন যুদ্ধাতিযড়ানে পমনকালে আলী (বা)-কে তার স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন তখন আলী (বা)
বলেছিলেন, ইয়া বাসুলাল্লাহ৷ আপনি আমাকে নারী ও শিশুদের সাথে পশ্চাতে রেখে যাচ্ছেন ?
তিনি ইরশাদ করলেন

“আলী! তুমি কি আমার তুলনায় তেমন মর্যাদার হওয়া পসন্দ কর না, যেমন মর্যাদা ছিল
মুসা (আ) এর তুলনায় হারুন (আ)-এর ৷ তবে, আমার পরে আর কোন নবী নেই কিন্তু ৷”

মুসলিম ও তিরমিষী (র) ও কুতায়বা (র) থেকে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আবার
মুসলিম ও মুহাম্মদ ইবন আব্বাস (র)শ্ষ্এবা উভরে হাতিম ইবন ইসমড়াঈল (র) থেকে বর্ধিত
আকারে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিরমিয়ী (র) মন্তব্য করেছেন এ বর্ণনা সুত্রে হদীসখানি
হসােনণ্গায়ীব’-(এককসুত্রে বর্ণিত উত্তম হাদীস) ৷

আবু খায়সামা (বা) প্রসংগ : ইবন ইসহড়াক (র) বলেন, রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর সফর
আরম্ভ করার বেশ কিছু দিন পরে এক প্রচণ্ড পরমের দিনে আবু খড়ায়সামা (বা) তার পরিবার
পরিজনের মধ্যে ফিরে আসলেন ৷ তিনি দেখলেন যে, তার দেয়াল ঘেবা বাগান-বাড়িতে তার দু
শ্রী দুটি তাবুতে প্রভীক্ষারত ৷ তারা প্রত্যেকে আপন আপন তাবুতে পানি ছিটিয়ে স্নিগ্ধ করেছেন
এবং স্বামীর জন্য ঠাণ্ডা পানি ও খাবারের ব্যবস্থা করে রেখেছেন ৷ বাড়িতে ঢুকে তারা দরজায়
দাড়িয়ে, তিনি তাদের উভয়কে দেখলেন এবং তার জন্য তাদের ব্যবস্থাপনা প্রত্যক্ষ করে
বললেন, বাসুলুল্লাহ (সা) মরুর লু হাওয়ার ঝাপটা ও প্রখর তাপের মাঝে রয়েছেন ৷ আর
আবু খড়ায়সামা স্নিগ্ধ ছড়ায়ায় টটকা খাবার ও সুন্দরী ত্রীর জড়াচলে তার ৰিত্ত ভৈবভবের মধ্যে
অবস্থান করবে এটা ইনসাফের ব্যাপার হতে পারে না ৷ আল্লাহ্র কসম! আমি তোমাদের
কারো তাবৃতেই প্রবেশ করছি না ৷

যতক্ষণ না আল্লাহ্র রাসুল (সা)এর সাথে মিলিত হচ্ছি ৷ তোমরা আমার জন্য পাথেয়র
ব্যবস্থা করে দাও ৷ ’ তারা তা করে দিলে আবু খায়সামা (বা) তার উট নিয়ে এসে তার পিঠে
হাওদা বসালেন এবং বাসুলুল্লাহ (সা) এর অনুপমন করে দ্রুত পথ অতিক্রম করে তার তাবুতে
উপণীত হওয়ার প্রাক্কালে তার সাথে মিলিত হলেন ৷ পথে আবু খড়ায়ছামা (বা)-এর সাথে


الْمُتَصَدِّقُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ؟ " فَلَمْ يَقُمْ أَحَدٌ ثُمَّ قَالَ: " أَيْنَ الْمُتَصَدِّقُ؟ فَلْيَقُمْ ". فَقَامَ إِلَيْهِ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَبْشِرْ، فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَقَدْ كُتِبْتَ فِي الزَّكَاةِ الْمُتَقَبَّلَةِ» ". وَقَدْ أَوْرَدَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ هَاهُنَا حَدِيثَ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ فَقَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ ثنا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الْحَارِثِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «أَرْسَلَنِي أَصْحَابِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ لَهُمُ الْحُمْلَانَ، إِذْ هُمْ مَعَهُ فِي جَيْشِ الْعُسْرَةِ، وَهُوَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، إِنَّ أَصْحَابِي أَرْسَلُونِي إِلَيْكَ لِتَحْمِلَهُمْ. فَقَالَ: " وَاللَّهِ لَا أَحْمِلُكُمْ عَلَى شَيْءٍ ". وَوَافَقْتُهُ وَهُوَ غَضْبَانُ وَلَا أَشْعُرُ، فَرَجَعْتُ حَزِينًا مِنْ مَنْعِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمِنْ مَخَافَةِ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ وَجَدَ فِي نَفْسِهِ عَلَيَّ، فَرَجَعْتُ إِلَى أَصْحَابِي فَأَخْبَرْتُهُمْ بِالَّذِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ أَلْبَثْ إِلَّا سُوَيْعَةً إِذْ سَمِعْتُ بِلَالًا يُنَادِي: أَيْنَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَيْسٍ؟ فَأَجَبْتُهُ فَقَالَ: أَجِبْ، رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُوكَ. فَلَمَّا أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " خُذْ هَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ وَهَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ وَهَذَيْنِ الْقَرِينَيْنِ ". لِسِتَّةِ أَبْعِرَةٍ ابْتَاعَهُنَّ حِينَئِذٍ مِنْ سَعْدٍ فَقَالَ: " انْطَلِقْ بِهِنَّ إِلَى أَصْحَابِكَ، فَقُلْ:
পৃষ্ঠা - ৩৬২১


পশ্চড়াদবর্তীদের বিষয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর মন্তব্য প্রসৎগ

ইউনুস ইবন বুকায়র (র)আবদুল্লাহ ইবন মড়াসউদ (রা) থেকে তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সা) তাবৃক অভিযানে রওয়ানা হলে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন অযুহাতে পেছনে থেকে যেতে
লাগল ৷ এদের কারো বিষয় সাহাবীগণ বলতেন, ইরা রাসুলাল্লাহ ! অমুক পিছনে রয়ে গিয়েছে ৷
তিনি বলতেন, ৫ছড়ে দাও তার মাঝে কোন কল্যাণ থাকলে অচিরেই আল্লাহ তাকে
তোমাদের সাথে মিলিত করবেন; আর অন্য কিছু হলে তো আল্লাহ্ তা থেকে তোমাদের
নিরাপদ করেছেন ৷” এক সময় বলা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আবুযর (রা) পিছনে রয়ে গিয়েছেন,
তার উট তাকে দেরী করিয়ে দিয়েছে ৷ তিনি জর সম্বন্ধেও একই কথা বললেন-“ছেড়ে দাও !
র্তার মাঝে কোন কল্যাণ থেকে থাকলে অচিরেই আল্লাহ্ জকে তোমাদের সাথে মিলিত
করবেন; আর অন্য রকম হলে তো আল্লাহ্ তা থেকে তোমাদের নিরাপদ করেছেন ৷

এ দিকে আবুযর (বা) তার মন্থর গতি উটকে পালাগালি করলেন ৷ কিন্তু তাতেও তার
মহুরতা না কমলে তিনি নিজের আসরাবপত্র কাধে তুলে নিলেন এবং পায়ে হেটে রাসুলুল্লাহ
(সা) এর অনুপমনে এগিয়ে চললেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) কোন মধ্যবর্তী মনযিলে অবস্থান
নিলেন ৷ তখন মুসলিম কাফেলার একজন পর্যবেক্ষক দুরে তাকিয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহা
দুরের ঐ ল্যেকটি পায়ে হেটে পথ অতিক্রম করছে ৷ আল্লাহর কসম ! ৮ সে তো আবুযরই ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, fi ন্হুধ্ (ন্ও এ যেন আবুযর হয় ৷ লোকেরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে পথিককে
পর্যবেক্ষণ করে বললেন, ইয়া রাসুলাল্পাহ্ ৷ আল্লাহর কসম ! সে তো আবুযরই ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন-


আল্লাহ্ আবুযরকে রহম করুন ৷ সে একাকী চলছে, একাকী মৃতুবরণ করবে আর একাকী
পুনরুথিত হবে ৷

এ প্রসংগে বংনািকারী বলেন, আবুযর (রা) থেটিড়া জীবন সেভাবেই কাটিয়েছিলেন ৷ তিনি
এক সময় রাবযায়১ নির্বাসিত হলেন ৷ তার মৃত্যু সমাপত হলে তিনি দ্রী ও গোলামকে বললেন,
আমার মৃত্যু হলে তোমরা দুজন রাতের বেলা আমাকে গোসল দেবে এবং কাফন পরিয়ে
আমার লাশ প্রধান সড়কের উপর রেখে দেবে এবং তোমাদের নিকট দিয়ে পমনকারী প্রথম
কাফেলাকে বলবে, ইনি আবুযর ৷ ’ যথা সময় তীর মৃত্যু হলে স্তী ও গোলাম মৃতের অত্তিম
অসিয়ত পালন করলেন ৷ তখন একটি কাফেলা দৃষ্টি গোচর হল ৷ তাদের অবপতির পুর্বেই
জদের বড়াহনওলো পথিমধ্যে রাখা জানাযা মাড়িয়ে যাওয়ার উপত্রুম করল ৷ দেখা গেল, ইবন
মাসউদ (রা) কুফাবাসীদের একটি কাকেলা নিয়ে কোথাও যাচ্ছেন ৷ তিনি বললেন, কী
ব্যাপার ? তাকে বলা হল, এটা আবুযর (রা)-এর লাশ ৷ ইবন মাসউদ (রা) চিৎকার করে
কেদে উঠলেন এবং বললেন, “আল্লাহর রাসুল (সা) সত্যই বলেছিলেন যে, আল্লাহ্ আবুযরকে



১ রাবড়াযা (ডট্টহুা) মদীনা থেকে কিছু দুরে একটি নির্জন স্থানের নাম ৷


إِنَّ اللَّهَ - أَوْ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ - يَحْمِلُكُمْ عَلَى هَؤُلَاءِ فَارْكَبُوهُمْ ". فَقُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَحْمِلُكُمْ عَلَى هَؤُلَاءِ، وَلَكِنْ وَاللَّهِ لَا أَدَعُكُمْ حَتَّى يَنْطَلِقَ مَعِي بَعْضُكُمْ إِلَى مَنْ سَمِعَ مَقَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ سَأَلْتُهُ لَكُمْ، وَمَنْعَهُ لِي فِي أَوَّلِ مَرَّةٍ، ثُمَّ إِعْطَاءَهُ إِيَّايَ بَعْدَ ذَلِكَ، لَا تَظُنُّوا أَنِّي حَدَّثْتُكُمْ شَيْئًا لَمْ يَقُلْهُ. فَقَالُوا لِي: وَاللَّهِ إِنَّكَ عِنْدَنَا لَمُصَدَّقٌ وَلَنَفْعَلَنَّ مَا أَحْبَبْتَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ أَبُو مُوسَى بِنَفَرٍ مِنْهُمْ، حَتَّى أَتَوُا الَّذِينَ سَمِعُوا مَقَالَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَنْعِهِ إِيَّاهُمْ، ثُمَّ إِعْطَائِهِ بَعْدُ، فَحَدَّثُوهُمْ بِمَا حَدَّثَهُمْ بِهِ أَبُو مُوسَى سَوَاءً» وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ جَمِيعًا، عَنْ أَبِي كُرَيْبٍ عَنْ أَبِي أُسَامَةَ. وَفِي رِوَايَةٍ لَهُمَا، عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: «أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَهْطٍ مِنَ الْأَشْعَرِيِّينَ لِيَحْمِلَنَا، فَقَالَ: " وَاللَّهِ مَا أَحْمِلُكُمْ، وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ عَلَيْهِ ". قَالَ ثُمَّ جِيءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَهْبِ إِبِلٍ، فَأَمَرَ لَنَا بِسِتِّ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى، فَأَخَذْنَاهَا، ثُمَّ قُلْنَا: تَغَفَّلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمِينَهُ وَاللَّهِ لَا يُبَارَكُ لَنَا. فَرَجَعْنَا لَهُ فَقَالَ: " مَا أَنَا حَمَلْتُكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ حَمَلَكُمْ ". ثُمَّ قَالَ: " إِنِّي وَاللَّهِ، إِنْ شَاءَ اللَّهُ، لَا أَحْلِفُ
পৃষ্ঠা - ৩৬২২
রহম করুন, যে একাকী পথ চলছে, একাকী মৃত্যুবরণ করবে আর একাকী পুনরুথিত
হবে ৷ তখন তিনি বাহন থেকে নেমে এসে নিজের দায়িত্বে মৃতের জন্য জানাযা ও দাফনের
ব্যবস্থা করলেন ৷ এ হাদীসের সনদ হাসান পর্যায়ের ৷ তবে ছিহাহ গ্রন্থসমুহে এ রিওয়ায়াত
বর্ণিত হয়নি ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেছেন, আব্দুর রা যযা ক (ব) আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন
উকায়ল (ব) অ ৷ল্লাহ্ পাকের এ ক লা৷ম- :স্পো৷ ণ্শ্রুণ্ণ্শুম্ ৰু,দ্র : স্ ১’১৷ (,াপ্লু১ট্ট৷ “(যায়৷ সংকট কালে
তার অনুপমন করেছিল) প্রসং ×গে আমাদের খবর দিয়েছেন ৷ ”

তিনি বলেন, দু জন দু’ জন ও তিন তিন জনে একটি বাহন উট নিয়ে তারা তাবুক
অভিযানে বেরিয়ে পড়লেন ৷ তারা বের হয়েছিলেন প্রচণ্ড পরমের সময় ৷ একদিন গিপাসা
তাদের করে করে ফেললে তারা তাদের উটের ভুড়ি নিংড়িয়ে তার পানি পান করার
উদ্দেশ্যে সেগুলিকে যবাই করতে লাপলেন ৷ এমনই ছিল পানি সংকট, অর্থ সংকট ও বাহন
ৎকটের অবস্থা ৷

আবদুল্লাহ ইবন ওয়াহব (র) বলেছেন, আমর ইবনৃল হারিস (র)আবৃদুল্লাহ ইবন
আব্বাস (রা) সুত্রে র্বণন৷ করেছেন যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-কে বলা হল, সংবল্টপুর্ণ
সময়ের বিষয় আমাদেরকে কিছু শুনান ৷ উমর (রা) বললেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আমরা তাৰুক
অভিযানে বের হলাম ৷ আমরা মধ্যবর্তী একটি মনযিলে অবস্থান নিলাম ৷ সেখানে তীব্র পিপাসা
আমাদের করে করে ফেলল ৷ এমনকি আমাদের মনে হতে লাগল যে, পিপাসায় আমাদের
ঘাড়ের রগের বীধন ছিড়ে যাবে ৷ আমাদের কেউ তার বাহনের খোজ খবর নিতে গেলে এমন
প্রবল ধারণা না নিয়ে ফিরে আসত না যে, এখনই তার গর্দড়ানের রগ ছিড়ে যাবে ৷ এ দুর্যোগের
কারণে কেউ কেউ তীর উট যবাই করে তার ভুড়ির ণ্লদ নিংড়িয়ে পানি পান করত এবং
অবশিষ্ট কিছু থাকলে তা কলিজ৷ বরাবর বুঝে না ৷লিশ করে একটু শান্তি খুজত ৷ পরিস্থিতির এ
ভয়াবহতা দেখে আবুবকর সিদ্দীক (রা) বললেন-

ইয়৷ রাসুলা ল্লাহৰু দু আ র মাধ্যমে কল্যাণ প্রদানে আল্লাহ আপনাকে অভ্যস্ত করেছেন ৷ তাই

আপনি আমাদের জন্য আল্লাহর ক ৷ছে দু আ করুন ৷ তিনি বললেন, তোমারও ত ৷ই পসন্দ ?
তিনি বললেন, জী হা, বর্ণনাক ৷রী বলেন, তখন নবী করীম (সা) তা ৷র দু হতে আকাশের দিকে
তুলে ধরলেন এবং আসমানের বা ৷রী বর্ষণের উপক্রম না হওয়া পর্যন্ত হাত নামালেন না
তারপর আকাশ মুষলধারে বারি বর্ষণ করল এবং লোকেরা যার কাছে যা ছিল তা পানি ভর্তি
করে ফেলল ৷ আমরা এ ব্যাপারটি প্রত্যক্ষ করতে গিয়ে দেখলাম যে, তা বাহিনীর বেষ্টনী
সীমা অতিক্রম করেনি ৷ এ হাদীসের সনদ উত্তম তবে সিহ৷ ৷হ গ্রন্থসমুহের ইমামপণ এ সনদে
হাদীসখানি রিওয়ায়াত করেন নি ৷

আসিম ইবন উম৷ ৷র ইবন৷ কাত ৷দা (র)-এর গোত্রীয় একদল লোকের উপস্থিতিতে ইবন ইসহাক
উল্লেখ করেছেন যে, এ ঘটনা ঘটেছিল তাবুক বাহিনীর ’হিজর’ এলাকায় অবস্থানকালে ৷ সে সময়
তারা তাদের জনৈক মুনাফিক সাথীকে বলেছিল, রে দৃর্ভাপা! এ বারি বর্ষণের ঘটনার পরেও কি
তীর রাসুল হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ আছে ? জবাবে লোকটি বলে উঠল, ও তো একখান৷ চলম্ভ


عَلَى يَمِينٍ فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا إِلَّا أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَتَحَلَّلْتُهَا ".» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ نَفَرٌ مِنِ الْمُسْلِمِينَ أَبْطَأَتْ بِهِمُ النِّيَّةُ حَتَّى تَخَلَّفُوا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَيْرِ شَكٍّ وَلَا ارْتِيَابٍ ; مِنْهُمْ كَعْبُ بْنُ مَالِكِ بْنِ أَبِي كَعْبٍ أَخُو بَنِي سَلِمَةَ، وَمُرَارَةُ بْنُ رَبِيعٍ أَخُو بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، وَهِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ أَخُو بَنِي وَاقِفٍ، وَأَبُو خَيْثَمَةَ أَخُو بَنِي سَالِمِ بْنِ عَوْفٍ، وَكَانُوا نَفَرَ صِدْقٍ لَا يُتَّهَمُونَ فِي إِسْلَامِهِمْ. قُلْتُ: أَمَّا الثَّلَاثَةُ الْأُوَلُ فَسَتَأْتِي قِصَّتُهُمْ مَبْسُوطَةً قَرِيبًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى، وَهُمُ الَّذِينَ أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِمْ: {وَعَلَى الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ خُلِّفُوا حَتَّى إِذَا ضَاقَتْ عَلَيْهِمُ الْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ وَضَاقَتْ عَلَيْهِمْ أَنْفُسُهُمْ وَظَنُّوا أَنْ لَا مَلْجَأَ مِنَ اللَّهِ إِلَّا إِلَيْهِ} [التوبة: 118] (التَّوْبَةِ: 118) وَأَمَّا أَبُو خَيْثَمَةَ فَإِنَّهُ عَادَ وَعَزَمَ عَلَى اللُّحُوقِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، كَمَا سَيَأْتِي. [خُرُوجُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى تَبُوكَ وَخَلْفَهُ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَلَى أَهْلِهِ] فَصْلٌ (خُرُوجُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى تَبُوكَ وَاسْتِخْلَافُهُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى أَهْلِهِ) . قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: ثُمَّ اسْتَتَبَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَفَرُهُ وَأَجْمَعَ السَّيْرَ، فَلَمَّا خَرَجَ يَوْمَ الْخَمِيسِ ضَرَبَ عَسْكَرَهُ عَلَى ثَنِيَّةِ الْوَدَاعِ،
পৃষ্ঠা - ৩৬২৩
وَمَعَهُ زِيَادَةٌ عَلَى ثَلَاثِينَ أَلْفًا مِنَ النَّاسِ، وَضَرَبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ عَدُوُّ اللَّهِ عَسْكَرَهُ أَسْفَلَ مِنْهُ، وَمَا كَانَ فِيمَا يَزْعُمُونَ بِأَقَلِّ الْعَسْكَرَيْنِ، فَلَمَّا سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَخَلَّفَ عَنْهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ فِي طَائِفَةٍ مِنَ الْمُنَافِقِينَ وَأَهْلِ الرَّيْبِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَاسْتَخْلَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمَدِينَةِ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ الْأَنْصَارِيَّ قَالَ: وَذَكَرَ الدَّرَاوَرْدِيُّ أَنَّهُ اسْتَخْلَفَ عَلَيْهَا عَامَ تَبُوكَ سِبَاعَ بْنَ عُرْفُطَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَخَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ عَلَى أَهْلِهِ وَأَمَرَهُ بِالْإِقَامَةِ فِيهِمْ فَأَرْجَفَ بِهِ الْمُنَافِقُونَ، وَقَالُوا: مَا خَلَّفَهُ إِلَّا اسْتِثْقَالًا لَهُ وَتَخَفُّفًا مِنْهُ. فَلَمَّا قَالُوا ذَلِكَ أَخَذَ عَلِيٌّ سِلَاحَهُ، ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى لَحِقَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ نَازِلٌ بِالْجُرْفِ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالُوا فَقَالَ «: كَذَبُوا وَلَكِنِّي خَلَّفْتُكَ لِمَا تَرَكْتُ وَرَائِي، فَارْجِعْ فَاخْلُفْنِي فِي أَهْلِي وَأَهْلِكَ، أَفَلَا تَرْضَى يَا عَلِيُّ أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى، إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي» ؟ فَرَجَعَ عَلِيٌّ وَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرِهِ. ثُمَّ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ سَعْدٍ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِعَلِيٍّ هَذِهِ الْمَقَالَةَ وَقَدْ رَوَى الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ هَذَا الْحَدِيثَ مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৬২৪
وَقَدْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ فِي " مُسْنَدِهِ ": حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: خَلَّفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتُخَلِّفُنِي فِي النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ فَقَالَ: «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى غَيْرَ أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» وَأَخْرَجَاهُ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ شُعْبَةَ نَحْوَهُ. وَعَلَّقَهُ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا مِنْ طَرِيقِ أَبِي دَاوُدَ عَنْ شُعْبَةَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَهُ - وَخَلَّفَهُ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ، فَقَالَ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُخَلِّفُنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ - فَقَالَ: «يَا عَلِيُّ أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدِي؟» رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَالتِّرْمِذِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ زَادَ مُسْلِمٌ: وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ كِلَاهُمَا عَنْ حَاتِمِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ أَبَا خَيْثَمَةَ رَجَعَ بَعْدَ مَا سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَّامًا
পৃষ্ঠা - ৩৬২৫


মেঘের কাণ্ডা (এতে রাসুল হওয়ার প্রমাণের কি আছে?) তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ (না)-এর উটনী হারিয়ে গেলে সাহাবীগণ তার সন্ধানে বেরিয়ে পড়লেন ৷ রাসুলুল্লাহ
(না) তার কাছে উপস্থিত উমার৷ ইবন হাযম আল আনসারী (বা) কে বললেন, এক ব্যক্তি বলেছে,
এই মুহাম্মদ তোমাদেরকে তার নবী হওয়ার দাবী করে এবং আসমানের খবর শুনায় অথচ তার
নিজের উটনীটি কোথায় তা সে জানে না ৷ একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন-

“আমি তো আল্লাহ্র কসম ! আল্লাহ আমাকে যা জানিয়ে দেন তা ছাড়া কোন কিছুই জানি
না ৷ আর আল্লাহ অবশ্যই উপত্যকায় তার হদীস আমাকে জানিয়ে দিয়েছেন ৷ একটি গাছ তার
লাপামের দড়ির সাথে জড়িয়ে তাকে আটকে ব্লেখেছে ৷” তখন তারা সেখানে গিয়ে উটনীটি নিয়ে
আসলেন ৷ পরে উমার৷ (বা) জানতে পারলেন যে, এ উক্তি করেছিল যায়দ ইবনুল লুসায়ত ৷ আর
উমার৷ (রা) রাসুলুল্লাহ (না)-এর খিদমতে হাযির হওয়ার পুর্বক্ষাণও উক্ত যায়দ উমারা (রা) এর
তাবুতেই অবস্থান করছিল ৷ তাই উমার৷ (রা) ফিরে গিয়ে ক্রোধে যায়দের ঘাড় মটকাৰ্ত উদ্ধত
হলেন ৷ তিনি বললেন-

আমার তাবুতে একটা আস্ত বিভিষীকা অবস্থান করছে আর আমি তার বিন্দুমাত্র খবর রাখি
না ৷ আল্লাহর দুশমন৷ আমার এখান থেকে বেরিয়ে যা ৷ আর কখনো যেন (তার ছায়া দেখতে না
পাই ৷ কেউ কেউ বলেছেন যে, এ যায়দ পরে তওবা করে র্থাটি ঈমানদার হয়েছিলেন ৷ আবার
কেউ কেউ বলেছেন যে, আমৃভ্যু সে অকল্যাণের জন্য অভিযুক্ত ছিল ৷

হাফিয বায়হাকী (র) বলেন, আমরা ইবনু মাসউদ (রা) থেকে বাহন হারানোর ঘটনার
সাথে সাদৃশ্যপুর্ণ হাদীস রিওয়ায়াত করেছি ৷ তারপর তিনি আমাশ (র) সুত্রে বর্ণিত হাদীস
রিওয়ায়াত করেন ৷ ইমাম আহমাদ (র) সে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন আবু মুআবিয়া
আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে অথবা আবু সাঈদ থুদরী (রা) থেকে ৷ তিনি বলেন, তাবুক অভিযান
কালে তীব্র ক্ষুৎ পপাসা লোকদের পর্বুদস্ত করলে তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আপনি কি
আমাদের অনুমতি দেবেন? তাহলে আমরা আমাদের পানিবাহী উটগুলি যবাই করে যেতে পারি
এবং আমাদের পায়ে যেগুলির চর্বি মালিশ করতে পারি ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন-

তা ই কর ৷ তখন উমর (রা) এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এমন করা হলে তো বাহনের
স্বল্পতা দেখা দেবে ৷ তার চ ইতে বরং আপনি এখনো পর্যন্ত লোকদের কাছে বিদ্যমান
যৎসামান্য পাথেয় নিয়ে এক স্থানে সঞ্চিত করতে বলুন এবং তাতে তাদের জন্য বরকতের
দু আ করে দিন ৷ আল্লাহর কাছে আমাদের আশ ৷,৩ তিনি তাতে বরকত দেবেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, হী তাই ঠিক ৷ তিনি চামড়ার একটি দস্তরখান আনিয়ে তা বিছিয়ে দিলেন ৷ তারপর
লোকদের তাদের কাছে থাকা অবগ্রিষ্টি পাথেয় নিয়ে আসতে বললেন ৷ লোকেরা মার কাছে যা
ছিল তা নিয়ে আসতে লাগল ৷ কেউ এক মুঠাে ভুট্টা নিয়ে আসলেন, কেউ আনলেন এক মুঠাে
খেজুর, আবার কেউ কেউ নিয়ে অ্যাসলেন রুটির টুকরো ৷

এভাবে বিছানাে চামড়ার উপরে সামান্য পরািমণ জমা হয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ (না) তাতে
বরকতের দুআ করলেন ৷ তারপর তাদের বললেন, তোমরা তোমাদের পাত্রগুলোতে তুলে
নিতে থাক ৷ ভীর৷ যার র্ষার পাত্র ভরে নিতে থাকলেন ৷ এমনকি বাহিনীর কাছে বিদ্যমান সব


إِلَى أَهْلِهِ فِي يَوْمٍ حَارٍّ، فَوَجَدَ امْرَأَتَيْنِ لَهُ فِي عَرِيشَيْنِ لَهُمَا فِي حَائِطِهِ، قَدْ رَشَّتْ كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا عَرِيشَهَا، وَبَرَّدَتْ فِيهِ مَاءً، وَهَيَّأَتْ لَهُ فِيهِ طَعَامًا، فَلَمَّا دَخَلَ قَامَ عَلَى بَابِ الْعَرِيشِ فَنَظَرَ إِلَى امْرَأَتَيْهِ وَمَا صَنَعَتَا لَهُ، فَقَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الضِّحِّ وَالرِّيحِ وَالْحَرِّ وَأَبُو خَيْثَمَةَ فِي ظِلٍّ بَارِدٍ وَطَعَامٍ مُهَيَّأٍ وَامْرَأَةٍ حَسْنَاءَ، فِي مَالِهِ مُقِيمٌ! مَا هَذَا بِالنَّصَفِ. ثُمَّ قَالَ: وَاللَّهِ لَا أَدْخُلُ عَرِيشَ وَاحِدَةٍ مِنْكُمَا حَتَّى أَلْحَقَ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهَيِّئَا زَادًا. فَفَعَلَتَا، ثُمَّ قَدَّمَ نَاضِحَهُ فَارْتَحَلَهُ، ثُمَّ خَرَجَ فِي طَلَبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَدْرَكَهُ حِينَ نَزَلَ تَبُوكَ وَقَدْ كَانَ أَدْرَكَ أَبَا خَيْثَمَةَ عُمَيْرُ بْنُ وَهْبٍ الْجُمَحِيُّ فِي الطَّرِيقِ يَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَرَافَقَا، حَتَّى إِذَا دَنَوْا مِنْ تَبُوكَ قَالَ أَبُو خَيْثَمَةَ لِعُمَيْرِ بْنِ وَهْبٍ: إِنَّ لِي ذَنْبًا فَلَا عَلَيْكَ أَنْ تَخَلَّفَ عَنِّي حَتَّى آتِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَفَعَلَ حَتَّى إِذَا دَنَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ النَّاسُ: هَذَا رَاكِبٌ عَلَى الطَّرِيقِ مُقْبِلٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُنْ أَبَا خَيْثَمَةَ ". فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هُوَ وَاللَّهِ أَبُو خَيْثَمَةَ. فَلَمَّا بَلَغَ أَقْبَلَ فَسَلَّمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُ: " أَوْلَى لَكَ يَا أَبَا خَيْثَمَةَ! ". ثُمَّ أَخْبَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْخَبَرَ، فَقَالَ خَيْرًا، وَدَعَا لَهُ بِخَيْرٍ» . وَقَدْ ذَكَرَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ قِصَّةَ أَبِي خَيْثَمَةَ بِنَحْوٍ مِنْ سِيَاقِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ وَأَبْسَطَ، وَذِكَرَ أَنَّ خُرُوجَهُ، عَلَيْهِ السَّلَامُ، إِلَى تَبُوكَ
পৃষ্ঠা - ৩৬২৬
كَانَ فِي زَمَنِ الْخَرِيفِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَقَالَ أَبُو خَيْثَمَةَ، وَاسْمُهُ مَالِكُ بْنُ قَيْسٍ، فِي ذَلِكَ: لَمَّا رَأَيْتُ النَّاسَ فِي الدِّينِ نَافَقُوا ... أَتَيْتُ الَّتِي كَانَتْ أَعَفَّ وَأَكْرَمَا وَبَايَعْتُ بِالْيُمْنَى يَدِي لِمُحَمَّدٍ ... فَلَمْ أَكْتَسِبْ إِثْمًا وَلَمْ أَغْشَ مُحَرَّمَا تَرَكْتُ خَضِيبًا فِي الْعَرِيشِ وَصِرْمَةً ... صَفَايَا كِرَامًا بُسْرُهَا قَدْ تَحَمَّمَا وَكُنْتُ إِذَا شَكَّ الْمُنَافِقُ أَسْمَحَتْ ... إِلَى الدِّينِ نَفْسِي شَطْرَهُ حَيْثُ يَمَّمَا قَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ بُرَيْدَةَ بْنِ سُفْيَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ الْقُرَظِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «لَمَّا سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى تَبُوكَ جَعَلَ لَا يَزَالُ الرَّجُلُ يَتَخَلَّفُ، فَيَقُولُونَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَخَلَّفَ فُلَانٌ. فَيَقُولُ: " دَعُوهُ، إِنْ يَكُ فِيهِ خَيْرٌ فَسَيُلْحِقُهُ اللَّهُ بِكُمْ، وَإِنْ يَكُ غَيْرَ ذَلِكَ فَقَدْ أَرَاحَكُمُ اللَّهُ مِنْهُ ". حَتَّى قِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَخَلَّفَ أَبُو ذَرٍّ وَأَبْطَأَ بِهِ بَعِيرُهُ. فَقَالَ: " دَعُوهُ، إِنْ يَكُ فِيهِ خَيْرٌ فَسَيُلْحِقُهُ اللَّهُ بِكُمْ، وَإِنْ يَكُ غَيْرَ ذَلِكَ فَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৩৬২৭
أَرَاحَكُمُ اللَّهُ مِنْهُ ". فَتَلَوَّمَ أَبُو ذَرٍّ بَعِيرَهُ، فَلَمَّا أَبْطَأَ عَلَيْهِ أَخَذَ مَتَاعَهُ فَجَعَلَهُ عَلَى ظَهْرِهِ، ثُمَّ خَرَجَ يَتَّبِعُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاشِيًا، وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ مَنَازِلِهِ، وَنَظَرَ نَاظِرٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ مَاشٍ عَلَى الطَّرِيقِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كُنْ أَبَا ذَرٍّ ". فَلَمَّا تَأَمَّلَهُ الْقَوْمُ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هُوَ وَاللَّهِ أَبُو ذَرٍّ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا ذَرٍّ يَمْشِي وَحْدَهُ، وَيَمُوتُ وَحْدَهُ، وَيُبْعَثُ وَحْدَهُ» . قَالَ: فَضَرَبَ الدَّهْرُ مِنْ ضَرْبِهِ، وَسُيِّرَ أَبُو ذَرٍّ إِلَى الرَّبَذَةِ فَلَمَّا حَضَرَهُ الْمَوْتُ أَوْصَى امْرَأَتَهُ وَغُلَامَهُ فَقَالَ: إِذَا مِتُّ فَاغْسِلَانِي وَكَفِّنَانِي مِنَ اللَّيْلِ، ثُمَّ ضَعَانِي عَلَى قَارِعَةِ الطَّرِيقِ، فَأَوَّلُ رَكْبٍ يَمُرُّونَ بِكُمْ فَقُولُوا: هَذَا أَبُو ذَرٍّ. فَلَمَّا مَاتَ فَعَلُوا بِهِ كَذَلِكَ، فَاطَّلَعَ رَكْبٌ، فَمَا عَلِمُوا بِهِ حَتَّى كَادَتْ رِكَابُهُمْ تَطَأُ سَرِيرَهُ، فَإِذَا ابْنُ مَسْعُودٍ فِي رَهْطٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ فَقَالَ: مَا هَذَا؟ فَقِيلَ: جِنَازَةُ أَبِي ذَرٍّ. فَاسْتَهَلَّ ابْنُ مَسْعُودٍ يَبْكِي، وَقَالَ: صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا ذَرٍّ يَمْشِي وَحْدَهُ، وَيَمُوتُ وَحْدَهُ، وَيُبْعَثُ وَحْدَهُ» . فَنَزَلَ فَوَلِيَهُ بِنَفْسِهِ حَتَّى أَجَنَّهُ. إِسْنَادُهُ حَسَنٌ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৬২৮


পাত্রই র্তীরা ভরে ফেললেন ৷ এছাড়া র্তীরা যখন তৃপ্তি ভরে খাওয়ার পরও কিছু বেচে রইল ৷
তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমি সাক্ষ্য দেই যে, এক আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ
নেই; এবং আমি অবশেই আল্পাহ্র রসুল দ্বিধাহীনভড়াবে যে কেউ এ বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর
সাথে মিলিত হবে ভীকে জান্নড়াতে প্ৰবেশে বাধা দেওয়া হবে না ৷ ’

ইমাম মুসলিম (র) এ হাদীসখানি আবু কুরায়ব (র) আমাশ (র) সুত্রে উল্লেখিত সনদে
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম আহমদ (র) হড়াদীসখানি আবু হুরায়রা (বা) থেকে রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ তবে এ রিওয়ায়াতে তিনি তড়াবুক’ নামটি উল্লেখ না করে বলেছেন “রাসুলুল্লাহ
(সা) স্বয়ং অংশ গ্রহণ করেছিলেন এমন কোন যুদ্ধে এ ঘটনাটি ঘটেছিল ৷

তাবুক অভিযান কালে রাসুলুল্লাহ (সা) এর হিজর এলাকায় অবস্থিত ছামুদ
জাতির আবাসস্থল অতিক্রম করার কথা

ইব ন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) হিজর অতিক্রমকালে সেখানে অবতরণ
করলেন ৷ লোকজন সেখানকার কুয়াে থেকে পানি ভুললেন ৷ বিকেল হলে রাসুলুল্লাহ (না)
বললেন, এ কুয়োর পানি তোমরা এতটুকুও পান করবে না, তা দিয়ে সালারুতর জন্য উযুও
করবে না ৷ আর তা দিয়ে রুটি তৈরীর যে আটা মড়াখিয়েছ তা উটকে খাইয়ে দাও ৷ €তড়ামরা
নিজেরা তার কিছুই খাবে না ৷” ইবন ইসহাক (র) এ বিবরণটি সনদ বিহীনভাবে এভাবে উদ্ধৃত
করেছেন ৷ আর ইমাম আহমাদ (র) বলেছেন, ইয়ামুর ইবন বিশর (র) আবদুল্লাহ ইবন উমার
(রা) থেকে র্বণনা করেন যে, হিজর অতিক্রমকালে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, “যারা নিজেদের
উপর জুলুম অনাচার করেছিল, তাদের বাসস্থানে তোমরা কান্নারত অবস্থা ব্যতিরেকে প্রবেশ
কর না এ অড়াশংকায় যে, যে দুর্দশা তাদেরকে পেয়ে বলেছিল, তা তােমাদেরকেও যেন
পাের না বলে ৷ ”তিনি নিজে হড়াওদড়ায় থেকেই চাদরে চেহারা ঢেকে নিলেন ৷ বৃখারী (র)ও
হাদীসখানি উল্লেখিত সনদে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইমাম মালিক (র) ইবন উমার
(রা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (না) তার সংপীদের বললেন, “কড়ান্নড়ারত
হওয়া ব্যতীত এ আযাবে নিপতিতদের মাঝে প্রবেশ কর না; আর কান্নারত হতে না পারলে
ওদের এলাকায় প্রবেশই কর না এ আশংকায় যে, যে বিপদ তাদের উপর পতিত হয়েছিল
তা তোমাদের উপরও যেন পতিত না হয় ৷ বৃখারী (র) এ হাদীসখানি উল্লেখিত সনদে ইমাম
মালিক ও সুলায়মান ইবন বিলাল (র) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ মুসলিম (র) অন্য একটি
সুত্রে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তবে সকলের রিওয়ায়ড়াতই আব্দুল্লাহ ইবন দীনার (র)
সুত্রে বর্ণিত ৷

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আবদুস সামাদ (র) ইবন উমার (রা) সুত্রে বলেন, তাবুক
অভিযানে রাসুলুল্লাহ (সা) লোকদের নিয়ে হিজার ছামুদের পরিত্যক্ত বাড়ি ঘরের কাছে অবস্থান
নিলেন ৷ ছামুদ জাতি যে সব কুয়াের পানি ব্যবহার করতো লোকজন সেগুলি থেকে পানি তুলে
আটা মাখড়াল এবং উনানে গোশতের হাড়ি চড়াল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) হাড়িগুলো উলটিয়ে
ফেলে দেওয়ার হুকুম দিলেন এবং মাখড়ান আটা উট পালকে খাইয়ে দেওয়ার হুকুম দিলেন ৷


مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {الَّذِينَ اتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ الْعُسْرَةِ} [التوبة: 117] (التَّوْبَةِ: 117) . قَالَ: خَرَجُوا فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ الرَّجُلَانِ وَالثَّلَاثَةُ عَلَى بَعِيرٍ وَاحِدٍ، وَخَرَجُوا فِي حَرٍّ شَدِيدٍ، فَأَصَابَهُمْ فِي يَوْمٍ عَطَشٌ حَتَّى جَعَلُوا يَنْحَرُونَ إِبِلَهُمْ لِيَعْصِرُوا أَكْرَاشَهَا وَيَشْرَبُوا مَاءَهَا، فَكَانَ ذَلِكَ عُسْرَةً فِي الْمَاءِ وَعُسْرَةً فِي النَّفَقَةِ وَعُسْرَةً فِي الظَّهْرِ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ عَنْ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي عُتْبَةَ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قِيلَ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ: حَدِّثْنَا عَنْ شَأْنِ سَاعَةِ الْعُسْرَةِ. فَقَالَ عُمَرُ: خَرَجْنَا إِلَى تَبُوكَ فِي قَيْظٍ شَدِيدٍ، فَنَزَلْنَا مَنْزِلًا وَأَصَابَنَا فِيهِ عَطَشٌ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّ رِقَابَنَا سَتَنْقَطِعُ، حَتَّى إِنْ كَانَ أَحَدُنَا لَيَذْهَبُ فَيَلْتَمِسُ الرَّحْلَ فَلَا يَرْجِعُ حَتَّى يَظُنَّ أَنَّ رَقَبَتَهُ سَتَنْقَطِعُ، حَتَّى إِنَّ الرَّجُلَ لَيَنْحَرُ بَعِيرَهُ فَيَعْتَصِرُ فَرْثَهُ فَيَشْرَبُهُ، ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ عَلَى كَبِدِهِ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ يَا رَسُولَ اللَّهِ «، إِنَّ اللَّهَ قَدْ عَوَّدَكَ فِي الدُّعَاءِ خَيْرًا، فَادْعُ اللَّهَ لَنَا. فَقَالَ: " أَتُحِبُّ ذَلِكَ؟ " قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَرَفَعَ يَدَيْهِ نَحْوَ السَّمَاءِ، فَلَمْ يُرْجِعْهُمَا حَتَّى قَالَتِ السَّمَاءَ، فَأَظَلَّتْ ثُمَّ سَكَبَتْ، فَمَلَئُوا مَا مَعَهُمْ، ثُمَّ ذَهَبْنَا نَنْظُرُ فَلَمْ نَجِدْهَا جَاوَزَتِ الْعَسْكَرَ» إِسْنَادُهُ جَيِّدٌ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ
পৃষ্ঠা - ৩৬২৯
مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، عَنْ رِجَالٍ مِنْ قَوْمِهِ أَنَّ هَذِهِ الْقَضِيَّةَ كَانَتْ وَهُمْ بِالْحِجْرِ، وَأَنَّهُمْ قَالُوا لِرَجُلٍ مَعَهُمْ مُنَافِقٌ: وَيْحَكَ! هَلْ بَعْدَ هَذَا مِنْ شَيْءٍ؟ ! فَقَالَ سَحَابَةٌ مَارَّةٌ. وَذَكَرَ أَنَّ نَاقَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَلَّتْ، فَذَهَبُوا فِي طَلَبِهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَارَةَ بْنِ حَزْمٍ الْأَنْصَارِيِّ - وَكَانَ عِنْدَهُ -: إِنَّ رَجُلًا قَالَ: هَذَا مُحَمَّدٌ يُخْبِرُكُمْ أَنَّهُ نَبِيٌّ وَيُخْبِرُكُمْ خَبَرَ السَّمَاءِ وَهُوَ لَا يَدْرِي أَيْنَ نَاقَتُهُ. وَإِنِّي وَاللَّهِ لَا أَعْلَمُ إِلَّا مَا عَلَّمَنِي اللَّهُ، وَقَدْ دَلَّنِي اللَّهُ عَلَيْهَا، هِيَ فِي الْوَادِي قَدْ حَبَسَتْهَا شَجَرَةٌ بِزِمَامِهَا ". فَانْطَلَقُوا فَجَاءُوا بِهَا فَرَجَعَ عُمَارَةُ إِلَى رَحْلِهِ، فَحَدَّثَهُمْ عَمَّا جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خَبَرِ الرَّجُلِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِمَّنْ كَانَ فِي رَحْلِ عُمَارَةَ: إِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ زَيْدُ بْنُ اللُّصَيْتِ وَكَانَ فِي رَحْلِ عُمَارَةَ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَ، فَأَقْبَلَ عُمَارَةُ عَلَى زَيْدٍ يَجَأُ فِي عُنُقِهِ وَيَقُولُ: إِنَّ فِي رَحْلِي لَدَاهِيَةً وَأَنَا لَا أَدْرِي، اخْرُجْ عَنِّي يَا عَدُوَّ اللَّهِ، فَلَا تَصْحَبْنِي. فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: إِنَّ زَيْدًا تَابَ. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: لَمْ يَزَلْ مُصِرًّا حَتَّى هَلَكَ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رَوَيْنَا مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ شَبِيهًا بِقِصَّةِ الرَّاحِلَةِ. ثُمَّ رَوَى مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৩৬৩০
مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَوْ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ - شَكَّ الْأَعْمَشُ - قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَصَابَ النَّاسَ مَجَاعَةٌ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَوْ أَذِنْتَ لَنَا فَنَنْحَرُ نَوَاضِحَنَا، فَأَكَلْنَا وَادَّهَنَّا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " افْعَلُوا ". فَجَاءَ عُمَرُ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ فَعَلْتَ قَلَّ الظَّهْرُ، وَلَكِنِ ادْعُهُمْ بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ، وَادْعُ اللَّهَ لَهُمْ فِيهَا بِالْبَرَكَةِ، لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَ فِيهَا الْبَرَكَةَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ ". فَدَعَا بِنِطَعٍ فَبَسَطَهُ، ثُمَّ دَعَا بِفَضْلِ أَزْوَادِهِمْ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بِكَفِّ ذُرَةٍ، وَيَجِيءُ الْآخَرُ بِكَفٍّ مِنَ التَّمْرِ، وَيَجِيءُ الْآخَرُ بِكِسْرَةٍ حَتَّى اجْتَمَعَ عَلَى النِّطَعِ مِنْ ذَلِكَ شَيْءٌ يَسِيرٌ، فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَرَكَةِ، ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: " خُذُوا فِي أَوْعِيَتِكُمْ ". فَأَخَذُوا فِي أَوْعِيَتِهِمْ حَتَّى مَا تَرَكُوا فِي الْعَسْكَرِ وِعَاءً إِلَّا مَلَئُوهُ وَأَكَلُوا حَتَّى شَبِعُوا، وَفَضَلَتْ فَضْلَةٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ لَا يَلْقَى اللَّهَ بِهَا عَبْدٌ غَيْرُ شَاكٍّ فَيُحْجَبُ عَنِ الْجَنَّةِ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ أَبَى كُرَيْبٍ عَنْ أَبَى مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ بِهِ. وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ مِنْ حَدِيثِ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَلَمْ يَذْكُرْ غَزْوَةَ تَبُوكَ بَلْ قَالَ: كَانَ فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا.
পৃষ্ঠা - ৩৬৩১


লোকেরা তার যে নির্দেশ পালন করল ৷ তারপর তিনি তাদের নিয়ে প্রস্থান করে সেই কুয়োর
কাছে অবস্থান নিলেন, যে কুয়াে থেকে আল্লাহ্র উটনী১ পানি পান করত ৷ তিনি আযাবে
নিপতিত কওমের এলাকায় প্রবেশ করতে নিষেধ করে লোকদের বললেন, “আমার আশংকা
হয় যে, তাদের উপর যে আমার এসেছিল তা ণ্তড়ামাদের উপরও না এসে পড়ে ৷

অতএব তোমরা সেখানে প্রবেশ কর না ৷” এ সনদে হাদীসখানি বুখারী মুসলিম (র)-এর
শর্তানুরুপ তবে সিহাহ প্রহুসমুহের ইমামগণ উক্ত সনদে এ হড়াদীসখানি রিওয়ায়াত করেননি ৷
বুখারী ও মুসলিম (র) হড়াদীসখানি গ্রহণ করেছেন আনাস ইবন ইয়ার (র) নাফি ইবন উমার
(বা) সনদে ৷ বুখারী (র) উসামা (রা) থেকে এ হাদীসের সমার্থক রিওয়ায়াত থাকার কথা
উল্লেখ করেছেন ৷ আর মুসলিম (র) শুআয়ব ইবন ইসহাক (র) নাফি (র) সুত্রে হড়াদীসখানি
রিওয়ায়াত করেছেন ৷

ইমাম আহমাদ (র) বলেছেন, আব্দুর রড়াঘৃয়াক (র)জাবির (রা) সুত্রে তিনি বলেন, নবী
করীম (সা) হিজর অতিক্রম করার সময় বললেন, তােমরা মুজিযা দেখবার দাবী কর না ৷
কেননা, সালিহ (আ)-এর কওম সে দাবী করেছিল ৷ ফলে মুজিযড়ার উট এ পথ দিয়ে কুয়ােতে
নামত আর ঐ পথ দিয়ে বেরিয়ে যেত ৷ পরে তারা তাদের প্রতিপালকের হুকুমের অরাধ্য হয়ে
তাকে আঘাত করে মেরে ফেলল ৷ সে একদিন তাদের পানি পান করত, আর তারা একদিন
তার দুধ পান করত ৷ তবু তারা তাকে মেরে ফেলল ৷ ফলে এমন তীব্র নিনাদ তাদের আক্রমণ
করল যে, আল্লাহর হারামে’ অবস্থানকারী তাদের একটি লোক ব্যতীত আসমানের নীচে
বসবাসকারী তাদের প্রতিটি লোককে আল্লাহ চিরতরে নিস্তব্ধ করে দিলেন ৷ লোকেরা জিজ্ঞেস
করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ৷ সে একটি লোক কে ? তিনি বললেন, তার নাম ছিল আবু রুগাল; সে-
ও আল্লাহর হারাম’ থেকে বেরিয়েশ্আসলে সেই আমার তাকে পাকড়াও করল, যা তার
স্বজাতিকে পাকড়াও করেছিল ৷ এ হাদীসের সনদ সহীহ্ বিশুদ্ধ ৷ তবে সিহাহ প্রন্থসমুহের
ইমামগণ তা রিওয়ায়াত করেননি ৷

ইমাম আহমাদ (র) বলেন, য়াযীদ ইবন হারুন (র)মুহাম্মদ ইবন আবু কাবশা আল

আনমারী (র)-এর পিতা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, তাবুক অভিযানের পথে লোকেরা

হিজরবাসীদের এলাকায় প্রবেশ করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ল ৷ রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে এ

ৎবাদ পৌছলে লোকদের মাঝে ঘোষণা দেওয়া হল সালাতের জামাতে হাযির হও !

বর্ণনাকারী বলেন, আমি তখন রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে আসলাম ৷ তিনি তখন তার উটের

গতি নিয়ন্ত্রণ করতে করতে বলছিলেন-


“আল্লাহ যাদের উপর গযব নাযিল করেছেন, এমন কওমের এলাকায় তোমরা প্রবেশ করছ
কেন ?” এক ব্যক্তি আওয়ায করে বলল, এ জাতির প্রতি বিস্ময়বােধের কারণে ৷ তিনি বললেন,



১ আল কুরআনে উল্লেখিত সালেহ (আ) এর উটনীষ্য়া আল্লাহর পক্ষ থেকে যুজিমা স্বরুপ র্তাকে দেওয়া
হয়েছিল ৷


[ذِكْرُ مُرُورِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَهَابِهِ إِلَى تَبُوكَ بِمَسَاكِنِ ثَمُودَ وَصَرْحَتِهِمْ بِالْحِجْرِ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ مَرَّ بِالْحِجْرِ نَزَلَهَا وَاسْتَقَى النَّاسُ مِنْ بِئْرِهَا، فَلَمَّا رَاحُوا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «: لَا تَشْرَبُوا مِنْ مِيَاهِهَا شَيْئًا، وَلَا تَتَوَضَّئُوا مِنْهُ لِلصَّلَاةِ، وَمَا كَانَ مِنْ عَجِينٍ عَجَنْتُمُوهُ فَأَعْلِفُوهُ الْإِبِلَ، وَلَا تَأْكُلُوا مِنْهُ شَيْئًا» هَكَذَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بِغَيْرِ إِسْنَادٍ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَعْمَرُ بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ - هُوَ ابْنُ الْمُبَارَكِ - أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ، «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَرَّ بِالْحِجْرِ قَالَ: " لَا تَدْخُلُوا مَسَاكِنَ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ إِلَّا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ، أَنْ يُصِيبَكُمْ مَا أَصَابَهُمْ» . وَتَقَنَّعَ بِرِدَائِهِ وَهُوَ عَلَى الرَّحْلِ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ وَعَبْدِ الرَّزَّاقِ كِلَاهُمَا عَنْ مَعْمَرٍ بِإِسْنَادِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِأَصْحَابِهِ: «لَا تَدْخُلُوا عَلَى هَؤُلَاءِ الْقَوْمِ الْمُعَذَّبِينَ إِلَّا أَنْ تَكُونُوا بَاكِينَ، فَإِنْ لَمْ تَكُونُوا بَاكِينَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৩২


ণ্ওও,১গ্ ম্রশ্রো
(১শ্ং ঢেষ্ষ্এএ ন্ন্ ৰু ণ্এ--ন্ ক্রীৰু-ন্মোএ ক্রো ণ্ব্লু-ষ্ষ্এন্-’ ৰুশুম-ন্ ম্ fl” (এও ) এশ্মৈংএ ন্ফ্রাং:ন্ৰুৰুম্ট্রি ণ্র্ন্তএস্-ষ্
আমি কি তােমাদেরকে এর চ ইতে অধিকতর বিস্ময়কর ব্যপায়ের স বাদ দেবাে না ?
(তা হল) তােমাদেরই মাঝের এক ব্যক্তি তোমাদের আগে যা হয়েছে আর পরে যা হবে তার
ৎবাদ তোমাদের কাছে পরিবেশন করেন৷ অতএব তোমরা অবিচল থাক সঠিক পথে
থাকো! কেননা, আল্পাহ্ <;তামাদের আযাব দিতে কোন কিছুর তােয়াক্কা করেন না ৷ আর
অচিরেই এমন জা ড়াতির আগমন ঘটবে যারা নিজেদের উপর থেকে কোন বিপদ প্রতিহত
করতে পারবে না ৷”

এ হাদীসের সনদ হাসান পর্যায়ের : তবে সিহাহ এর স কলকগণ তা রিওয়ায়াত করেননি ৷
ইউনুছ ইবন বুকা য়র (র) ইবন ইসহাক (র) থেকে আল আব্বাস ইবন সাহল ইবন সা দ
আস সাঈদী (রা) কিংবা (বর্ণনা সন্দেহে) আল আব্বাস ইবন মাস (বা) বর্ণনা করেন যে,
রাসুলুল্লাহ (না) যখন হিজর অতিক্রম করছিলেন, তখন সেখানকার কোন কুয়াের পানি ব্যবহার
করাতে নিষেধ করা সাথে সাথে আংরা বলেন-

ম; ঠোষ্ ং,ন্নু;ও

কোন সংগীকে সাথে না নিয়ে আজ রাতে তোমাদের কেউ একাকী বের হবে না ৷ কিন্তু বনু
সাইদার দুই ব্যক্তি ব্যতীত লোকেরা রাসুলুল্লাহ (না)-এর এ হুকুম তালিম করল : তাদের
একজন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বের হয় অনজেন বের হয় তার একটি উটের সন্ধানে ৷
প্রথমেক্তে জনকে পথে শ্বাসরুদ্ধ করা হয় ৷ আর উটের সন্ধানে বেরিয়ে পড়া লোকটিকে প্রবল
বায়ু তুলে নিয়ে তায়’ পাহাড়ের এলাকায় ফেলে দেয় : রাসুলুল্লাহ (না)-কে এ বিষয় জানানো

হলে তিনি বললেন, “কোন সংগীকে সাথে না নিয়ে একাকী বের হতে আমি কি তোমাদের
নিষেধ করিনি ?”

তারপর শ্বাসরুদ্ধকৃত লোকটির জন্য তিনি দৃআ করলে সে আংরাগ্য লাভ করে আর দ্বিতীয়
ব্যক্তি রাসুলুল্পাহ (সা) তাবুক থেকে ফিরে আসার পর তার সাথে মিলিত হয় ৷ তবে ইবন ইসহাক
(র) সুত্রে যিয়াদ (র)-এর রিওয়ড়ায়াতে রয়েছে যে, রাসুলুল্পাহ (সা) মদীনায় ফিরে এলে তায়’-
এর বাসিন্দারা এ লোকটিকে তার খিদমতে হাদিয়া রুপে পাঠায় !

ইবন ইসহাক (র) বলেন, অবৃদুল্লাহ ইবন আবু বকর (র) আমাকে বলেছেন যে, আব্বাস

ইবন সাহল (বা) তার কাছে ঐ লোক দুজনের নাম ব্যক্ত করেছিলেন ৷ তবে সাথে সাথে তিনি
তা গোপন রাখতেও বলেছিলেন ৷ তাই তিনি আর আমার কাছে নাম দুটি ব্যক্ত করেন নি ৷

ইমাম আহমাদ (র) বলেন, আফ্ফড়ান (র)আবু হুমায়দ আস সাঈদী (রা) থেকে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন যে, তা ন্বুক অভিযানড়া কা লে আমরা ওয়া দিল কুরা’য় পৌছলে সেখানে এক
মহিলাকে তার বাগানে দেখতে পেলাম ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তা ড়ার সহচরদের বললেন, ঙুশ্ )১ষ্


فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ، أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلَ مَا أَصَابَهُمْ ".» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ وَمِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ حَدَّثَنَا صَخْرٌ - هُوَ ابْنُ جُوَيْرِيَةَ - عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ عَامَ تَبُوكَ الْحِجْرَ عِنْدَ بُيُوتِ ثَمُودَ، فَاسْتَقَى النَّاسُ مِنَ الْآبَارِ الَّتِي كَانَتْ تَشْرَبُ مِنْهَا ثَمُودُ، فَعَجَنُوا وَنَصَبُوا الْقُدُورَ بِاللَّحْمِ، فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهْرَقُوا الْقُدُورَ، وَعَلَفُوا الْعَجِينَ الْإِبِلَ، ثُمَّ ارْتَحَلَ بِهِمْ حَتَّى نَزَلَ بِهِمْ عَلَى الْبِئْرِ الَّتِي كَانَتْ تَشْرَبُ مِنْهَا النَّاقَةُ، وَنَهَاهُمْ أَنْ يَدْخُلُوا عَلَى الْقَوْمِ الَّذِينَ عُذِّبُوا فَقَالَ: إِنِّي أَخْشَى أَنْ يُصِيبَكُمْ مِثْلُ مَا أَصَابَهُمْ فَلَا تَدْخُلُوا عَلَيْهِمْ» وَهَذَا الْحَدِيثُ إِسْنَادُهُ عَلَى شَرْطِ " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَلَمْ يُخْرِجُوهُ، وَإِنَّمَا أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَنَسِ بْنِ عِيَاضٍ أَبِي ضَمْرَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ بِهِ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَتَابَعَهُ أُسَامَةُ عَنْ نَافِعٍ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ شُعَيْبِ بْنِ إِسْحَاقَ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৩৩
¢ংfl ৪৩ :
“এ বাগানের ফল-ফসলের পরিমাণ অনুমান কর তো ৷ ” লোকেরা যে যার মত অনুমান করল ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) অনুমান করলেন দশ ওয়াসক ৷ ১ রাসুলুল্লাহ (সা) মহিলাঢিকে বললেন-

“আমরা ফিরে আসা পর্যন্ত এ বাগানের উৎপন্ন ফল-ফসলের সংরক্ষণ করে রাখবে ৷

বর্ণনড়াকারী বলেন, তারপর তিনি তাবুকে উপনীত হওয়া পর্যন্ত সফর অব্যাহত রাখলেন ৷
সেখানে পৌছে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,

ঠো-ৰুং ঢোস্রপ্লু-ট্রি এস্পা “ £)$ ইে^হী এ১এ ত্রৈ-প্লুহী ক্রো১রু’ হীএ ং-¥ ৷১ৰু১ন্’পু ন্এ্যা ণ্গ্রাং ৎশ্১€ন্ৰুমা এ-ষ্

“শোন ! আজ রাতে তোমাদের উপর দিয়ে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যাবে ৷ সুতরাং কেউ যেন এ
রাতে বের না হয় ৷ যাদের উট রয়েছে, তারা যেন সেগুলির বীধন মযবুত করে রাখে ৷

(বর্ণনড়াকারী) আবু হুমায়দ (বা) বলেন, আমরা মযবুত করে উট বেধে রাখলাম ৷ রাতের
বেলা প্রচণ্ড বায়ু প্রবাহ আমাদের উপর দিয়ে বয়ে গেল ৷ এক ব্যক্তি তার মাঝে বের হলে
বাতাসের ঝাপটা তাকে তায়’ পাহাড়ের কাছে নিয়ে গেল ৷

এ সময় আয়লা২-র সামন্ত রাজা (-র দুত) রাসুলুল্লাহ (সা)এর দরবারে হাজিরী দিলেন ৷
রাজা রাসুলুল্লাহ (না)-কে একটি সাদা রঙের খচ্চর হাদিয়া দিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (না) তাকে
খেলাত স্বরুপ চাদর’ দিলেন এবং তাকে নিরাপত্তাপত্র লিখে দিলেন ৷ এরপর তিনি আমাদের
নিয়ে ফিরে চললেন ৷ ফিরতি পথে ওয়াদিল কুরায় পৌছলে তিনি বাগানের মালিক সেই মহিলাকে
বললেন, তোমার বাগানে কি পরিমাণ ফসল হল ? সে বলল, দশ ওয়াসক যা রাসুলুল্লাহ (সা)
অনুমাণ করেছিলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, আমি একটু দ্রুত ফিরতে চাই; ণ্তামাদের
কেউ দ্রুত যেতে চাইলে সে যেন দ্রুত চলে ৷ বর্গনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) রওয়ানা হলেন ৷
আমরাও তার সাথে চললাম ৷ মদীনায় কাছাকাছি পৌছলে তিনি বললেন-

এ হল তাবা (পবিত্র মদীনা) ৷ উহুদ পাহাড় দৃষ্টি গোচর হলে তিনি বললেন, এ হল উহুদ ৷
যে আমাদের ভালৰাসে, আমরাও তাকে ভালবাসি ৷ আমি ভোমাদেরকে আনসায়ীদের মাঝে
শ্রেষ্ঠ গোত্র সম্পর্কে অবহিত করব কি ? আমরা বললাম, অবশ্যই ইয়া রাসুলল্লোহা

তিনি বললেন-
;১ন্ধ্র শুএ ণ্ট্ট
“আনসারীদের শ্রেষ্ঠ গোত্র হচ্ছে নাজ্জার গোত্র ৷ তারপর আব্দুল আশহাল গোত্র, তারপর

বনু সাঈদা, তারপর আনসারীদের প্রতিটি গোত্রেই কল্যাণ রয়েছে ৷ বুখারী ও মুসলিম (র)
আমর ইবন রাহয়া (র) থেকে একাধিক সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷



১ এক ওয়াসক ( প্রুশু) ৬০ না অর্থাৎ পড়াচ মনের কিছু অধিক; ২০০ কিলোগাম ৷
২ ঈলা বা আয়লা তৎকালীন আরবের উত্তর সীমান্তে রোমান সীমান্ত বন্দর ৷ বর্তমান জর্দানের বন্দর
আয়লা’ বা আয়লাত এর কাছাকাছি অবস্থিত ছিল ৷ অনুবাদক


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: لَمَّا مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحِجْرِ قَالَ: «لَا تَسْأَلُوا الْآيَاتِ، فَقَدْ سَأَلَهَا قَوْمُ صَالِحٍ فَكَانَتْ تَرِدُ مِنْ هَذَا الْفَجِّ، وَتَصْدُرُ مِنْ هَذَا الْفَجِّ، فَعَتَوْا عَنْ أَمْرِ رَبِّهِمْ فَعَقَرُوهَا، وَكَانَتْ تَشْرَبُ مَاءَهُمْ يَوْمًا وَيَشْرَبُونَ لَبَنَهَا يَوْمًا، فَعَقَرُوهَا، فَأَخَذَتْهُمْ صَيْحَةٌ، أَهْمَدَ اللَّهُ مِنْ تَحْتِ أَدِيمِ السَّمَاءِ مِنْهُمْ، إِلَّا رَجُلًا وَاحِدًا كَانَ فِي حَرَمِ اللَّهِ " قِيلَ: مَنْ هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " هُوَ أَبُو رِغَالٍ فَلَمَّا خَرَجَ مِنَ الْحَرَمِ أَصَابَهُ مَا أَصَابَ قَوْمَهُ» إِسْنَادُهُ صَحِيحٌ، وَلَمْ يُخَرِّجُوهُ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنَ أَوْسَطَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي كَبْشَةَ الْأَنْمَارِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «لَمَّا كَانَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ تَسَارَعَ النَّاسُ إِلَى أَهْلِ الْحِجْرِ يَدْخُلُونَ عَلَيْهِمْ، فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنُودِيَ فِي النَّاسِ: الصَّلَاةُ جَامِعَةٌ. قَالَ: فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُمْسِكٌ بَعِيرَهُ وَهُوَ يَقُولُ: " مَا تَدْخُلُونَ عَلَى قَوْمٍ غَضِبَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ؟ " فَنَادَاهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ: نَعْجَبُ مِنْهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " أَفَلَا أُنَبِّئُكُمْ بِأَعْجَبَ مِنْ ذَلِكَ؟ رَجُلٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ يُنَبِّئُكُمْ بِمَا كَانَ قَبْلَكُمْ وَمَا هُوَ كَائِنٌ بَعْدَكُمْ، فَاسْتَقِيمُوا وَسَدِّدُوا، فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَعْبَأُ بِعَذَابِكُمْ شَيْئًا، وَسَيَأْتِي قَوْمٌ لَا يَدْفَعُونَ عَنْ أَنْفُسِهِمْ شَيْئًا» . إِسْنَادُهُ حَسَنٌ وَلَمْ يُخْرِجُوهُ. وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৬৩৪

বনু আমির-এর প্রতিনিধি দল
আমির ইবনুত তুফায়ল ও আরবাদ ইবন মাকীস এর ঘটনা

ইবন ইসহ!ক বলেন, বনু আমির গোত্রের প্রতিনিধি দল ব!সুলুল!হ (সা) এর দরবারে
এলো ৷ দলের মাঝে ছিল আমির ইবনুত তৃফায়ল, আরব!দ ইবন মার্কীল ইবন জ!য্ ইবন
জ! ফর ইবন খ!লিদ ও স্ফো!ৱ (মত ত!ন্তার হ!র!!ন) ইবন সালমা ইবন মালিক ইবন জাফর ৷ এ
তিনজনই ছিল গোত্রপতি ! আল্লাহর দৃশমন আমির ইবনুত তুফায়ল রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে
এসেছিল প্ৰত !রণ!র মাধ্যমে তাকে হত্যা করার উদ্দেশে! ৷ তার গোত্রের লোকেরা তাকে
বলেছিল, আবু আমির ! লোকের! দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করছে,৩ তুমিও মুসলমান হয়ে যাও !
যে বলছিল, আল্লাহর কলম ! আমি (তা প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে, গোটা আরব আমার পসাংক
অনুসারী না হওয়া পর্যন্ত আমি ক্ষান্ত হব না ৷ আর তোমরা এখন আমাকে এ কুরায়শী যুবভ্রুকর
অকু!!মী হতে বলছে! ? পরে সে আরব!দকে বললে! , গ্লুল!কর্টির কাছে আমরা পৌছে গেলে আমি
তাকে তােমার ব!!পারে অমনােয়ে!পী করে ফেলব ৷ আর তা করা মাত্র তুমি তরব!রি নিয়ে তার
উপরে চড়াও হবে ! রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে আমির ইরণু৩ ঙুক!রল র লল , হে
মুহাম্মদ! চল, আমরা এক!স্তে কথা বলি ! তিনি বললেন, ১! :১১ ৰু ঞা ষ্ @শ্ প্রুত্ত এে,! ন্ fl; ১!
এ এ; প্রু! না, আল্লাহর কলম! যত ক্ষণ না তুমি একমাত্র আল্লাহর প্ৰতি ঈমান আনবে ৷ আমির
আবার বলল, মুহাম্মদ ! চল, একটু একাকী কথা বলি ৷ এভাবে কথা বলে সে র!সুলুল্লাহ (স!)-
এর মনযােগ নিজের দিকে আকৃষ্ট করে এবং আরব!দ তার উপর অর্পিত কাজটি সমাধা করবে
এ প্রভীক্ষ!য় থাকলে! ৷ কিন্তু আরবদে যেন কোন কিছুর দিশা করে উঠতে পারছিল না ৷ আ !মির
আববদ্যোক সাড়াহীন দেখতে পেয়ে আবার বলল, মুহাম্মদ, চল নির্জনে কথা বলি ৷ নবী কবীর
(স!) বললেন, না, যতক্ষণ না তুমি ল! শরীক একক আল্লাহকে বিশ্বাস করছে! !! র!সুলুল্লাহ (সা)
বার বার অস্বীকৃতি ৩জ্ঞাপন করলে আমির বলে উঠল, !শ্ !!ন! আল্লাহর কলম! ঘোড় সওয়!র ও
পদাতিক বাহিনী দিয়ে আমি এ শহর ঘের!ও করে ফেলব ৷ এ হুমর্কী দিয়ে চলে যেতে ল!পলে
র!সুলুল্লাহ (স!) বললেন, এ,াএএ এ ৰুা১ ,;৮ খো! ণ্শুএ!! “ইয়! আল্লাহ! আমির ইবনৃত তুফায়লের
ব্যাপারে আমার জন্য আপনিই যথেষ্ট হোন ! ” প্রতিনিধি দল ব!সুলুল্লাহ্ (সা) এর দরব!র থেকে
অতিক্রা !ত হওয়ার পরে আমির আরব!দকে বলল, আমি তে !মাকে য! বলেছিল!ম আর কী হল !
আল্লাহর কলম ! পৃথিবীর বুকে আমার জীবনের জন্য তোমার চ! !ইতে অধিক ভীতিপ্ৰদ আর
কোন লোক ছিল না ৷ আর এখন আল্লাহর দোহ!ই! আজকের দিনের পরে তে !মাকে বিন্দুম!ত্র
ভয় আমি আর পাব ন! ৷ আরব!দ বলল, নিবেধি হয়ে! ন! ! তাড়!হুড়া করে! ন! ৷ অল্লোহ্র
কলম! যতব!রই আমি তোমার নির্দেশ!নুসারে কাজ করতে উদ্যত হয়েছি, ততবড়ার তুমি আমার
ও £লড়াকটির মাঝে ঢুকে পড়ে বার সেধেছে! ! তুমি ছাড়! আর কোন লোক তখন আমার
দৃষ্টিন্থগাচর হচ্ছিল ন! ৷ বল, অবশেষে তরব!রি দিয়ে আমি কি তোমাকে আঘাত হ!নতাম?
আঃশৰে তার! স্বদ্যেশর উদ্দেশে! পাড়ি জমাল ৷ পথে আল্লাহ পাক আমিবকে প্লেগে আক্রান্ত
ৰ্ত্তনা এবং এভাবে সালুল গোত্রীয় এক রমণীর বাড়িতে তার মৃত্যু হয় ! আমির ব!!চ্ছিল্ড




حَزْمٍ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ - أَوْ عَنِ الْعَبَّاسِ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ الشَّكُّ مِنِّي - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ مَرَّ بِالْحِجْرِ وَنَزَلَهَا اسْتَقَى النَّاسُ مِنْ بِئْرِهَا، فَلَمَّا رَاحُوا مِنْهَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلنَّاسِ: «لَا تَشْرَبُوا مِنْ مَائِهَا شَيْئًا، وَلَا تَتَوَضَّئُوا مِنْهُ لِلصَّلَاةِ، وَمَا كَانَ مِنْ عَجِينٍ عَجَنْتُمُوهُ فَأَعْلِفُوهُ الْإِبِلَ وَلَا تَأْكُلُوا مِنْهُ شَيْئًا، وَلَا يَخْرُجَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمُ اللَّيْلَةَ إِلَّا وَمَعَهُ صَاحِبٌ لَهُ ". فَفَعَلَ النَّاسُ مَا أَمَرَهُمْ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا رَجُلَيْنِ مِنْ بَنِي سَاعِدَةَ، خَرَجَ أَحَدُهُمَا لِحَاجَتِهِ، وَخَرَجَ الْآخَرُ فِي طَلَبِ بَعَيرٍ لَهُ ; فَأَمَّا الَّذِي ذَهَبَ لِحَاجَتِهِ، فَإِنَّهُ خُنِقَ عَلَى مَذْهَبِهِ، وَأَمَّا الَّذِي ذَهَبَ فِي طَلَبِ بَعِيرِهِ، فَاحْتَمَلَتْهُ الرِّيحُ حَتَّى أَلْقَتْهُ بِجَبَلَيْ طَيِّئٍ، فَأُخْبِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ فَقَالَ: " أَلَمْ أَنْهَكُمْ أَنْ يَخْرُجَ رَجُلٌ إِلَّا وَمَعَهُ صَاحِبٌ لَهُ؟ " ثُمَّ دَعَا لِلَّذِي أُصِيبَ عَلَى مَذْهَبِهِ فَشُفِيَ، وَأَمَّا الْآخَرُ فَإِنَّهُ وَصَلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ مَرْجِعِهِ مِنْ تَبُوكَ - وَفِي رِوَايَةِ زِيَادٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ أَنَّ طَيِّئًا أَهْدَتْهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ» - قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدْ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ الْعَبَّاسَ بْنَ سَهْلٍ سَمَّى لَهُ الرَّجُلَيْنِ، لَكِنَّهُ اسْتَكْتَمَهُ إِيَّاهُمَا، فَلَمْ يُحَدِّثْنِي بِهِمَا. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ ثنا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৬৩৫


ইমাম মালিক (র) বলেন, আবুয যুবড়ায়র (র)মুআয ইবন জাবাল (রা) সুত্রে খবর
দিরেহ্নে৷ যে, তারা তাবুক অভিযানে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সহযাত্রী ছিলেন ৷ এ সফরে তিনি যুহর
ও আসর সালাতদ্বয় একত্রিত করে এবং মাগরিব ও ইশা’র সালাতদ্বয় একত্রিত করে আদায়
ব্বতেন ৷ ১ বর্ণনাকায়ী বলেন, একদিন তিনি সালাত বিলম্বিত করলেন ৷ যুহরের শেষ ওয়াক্তে
তিনি তাবু থেকে বের হয়ে যুহর ও আসর একত্রে আদায় করলেন ৷ তারপর তিনি তাবুতে ফিরে
াগলেন এবং পুনরায় (মাপরিবের শেষ ওয়াক্তে) বের হয়ে মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায়
ক্যালেন ৷ তারপর বললেন,
০৷ এেগ্লুাৰুা৷
এে )শুা

“ইনশাআল্লাহ্ আগামীকাল তোমরা তাবুকের কুয়াের কাছে পৌছবে ৷ তবে পুবাহ্নের আলো
ছড়িয়ে পরার আগে তোমরা সেখানে পৌছবে না ৷ তোমাদের যে কেউই সেখানে আগে
পৌছাক না কেন, সে যেন আমার পৌছড়ার পুর্বে সেখানকার পানি স্পর্শ না করে ৷

বর্ণনাকারী বস্তু ন, ভ্রন্বড়ামবা সেখানে পৌছে দেখলাম, দু’ব্যক্তি আমাদের আগেই সেখানে
পৌছে গিয়েছে, আর কুয়াে থেকে জুতার চিকন ফিতার ন্যায় পানির একটি ক্ষীণ ধারা প্রবা ত
হচ্ছে ৷ রাসুলুল্লাহ (না) ঐ দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা এর পানি এবস্টুও স্পর্শ
করেছ কি ? তারপর রাসুলুল্লাহ (সা ) তাতে তীর মুখমণ্ডল ও দুই হাত ধুয়ে হাত মুখ ধোয়া
পানি কুয়োর মুখে ঢেলে দিলেন ৷ কুয়ােটি প্রবল ধারায় প্রবাহিত হতে লাগল এবং লোকেরা
সেখান থেকে পানি তুলে নিতে লাগল ৷ পরে রাসুলুল্লাহ (না) বললেন,

এো১ ১ ব্লুন্নু এক্ট্র এোশুা প্রু)১ :৷ ওাৰু; এ; এএে: :৷ এ:গ্লুপ্লু ! ১৮শুাৰু
হে মুআয ! তোমার জীবন দীর্ঘ হলে অদুর ভবিষ্যতে তুমি দেখতে পারে যে, এর আশপাশ
সবুজ বা৩বোগিচায় ভরে গিয়েছে ৷ মুসলিম (র) এ হড়াদীসখানি মালিক (র) সুত্রে রিওয়ায়ড়াত
করেছেন ৷



১ সাধারণত যুহরের শের ওয়াক্তে ঘুহর এবং আসরের শুরু ওয়াক্তে আসর; অনুরুপ মাগরিবের শেষ
ষ্!!ন্তে মাশরিব এবং ইশার শুরু ওয়াক্তে ইমোঃমোঃলোঃপ্রুল্লুরিঃৰুল্গুব্লে জন্য এভাবে দুই ওয়াক্তের সালাত একত্রিত

«خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ تَبُوكَ حَتَّى جِئْنَا وَادِيَ الْقُرَى، فَإِذَا امْرَأَةٌ فِي حَدِيقَةٍ لَهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: " اخْرُصُوا ". فَخَرَصَ الْقَوْمُ وَخَرَصَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةَ أَوْسُقٍ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمَرْأَةِ: " أَحْصِي مَا يَخْرُجُ مِنْهَا حَتَّى أَرْجِعَ إِلَيْكِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ ". قَالَ: فَخَرَجَ حَتَّى قَدِمَ تَبُوكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّهَا سَتَهُبُّ عَلَيْكُمُ اللَّيْلَةَ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَلَا يَقُومَنَّ فِيهَا رَجُلٌ، فَمَنْ كَانَ لَهُ بَعِيرٌ فَلْيُوثِقْ عِقَالَهُ ". قَالَ أَبُو حُمَيْدٍ فَعَقَلْنَاهَا، فَلَمَّا كَانَ مِنَ اللَّيْلِ، هَبَّتْ عَلَيْنَا رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَقَامَ فِيهَا رَجُلٌ فَأَلْقَتْهُ فِي جَبَلِ طَيِّئٍ، ثُمَّ جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ مَلِكُ أَيْلَةَ، فَأَهْدَى لِرَسُولِ اللَّهِ بَغْلَةً بَيْضَاءَ، وَكَسَاهُ رَسُولُ اللَّهِ بُرْدًا، وَكَتَبَ لَهُ بِبَحْرِهِمْ، ثُمَّ أَقْبَلَ وَأَقْبَلْنَا مَعَهُ، حَتَّى جِئْنَا وَادِيَ الْقُرَى، فَقَالَ لِلْمَرْأَةِ: " كَمْ جَاءَتْ حَدِيقَتُكِ؟ " قَالَتْ: عَشَرَةُ أَوْسُقٍ، خَرْصَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي مُتَعَجِّلٌ، فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَتَعَجَّلَ فَلْيَفْعَلْ ". قَالَ: فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ وَخَرَجْنَا مَعَهُ، حَتَّى إِذَا أَوْفَى عَلَى الْمَدِينَةِ قَالَ: " هَذِهِ طَابَةُ ". فَلَمَّا رَأَى أُحُدًا قَالَ: " هَذَا أُحُدٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ دُورِ الْأَنْصَارِ؟ " قُلْنَا: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " خَيْرُ دُورِ الْأَنْصَارِ بَنُو النَّجَّارِ، ثُمَّ دَارُ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ ثُمَّ دَارُ بَنِي سَاعِدَةَ ثُمَّ فِي كُلِّ دُورِ الْأَنْصَارِ خَيْرٌ» . وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى بِهِ نَحْوَهُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৩৬
وَقَالَ الْإِمَامُ مَالِكٌ رَحِمَهُ اللَّهُ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَامِرِ بْنِ وَاثِلَةَ أَنَّ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ أَخْبَرَهُ «أَنَّهُمْ خَرَجُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ تَبُوكَ فَكَانَ يَجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ، وَبَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ. قَالَ: فَأَخَّرَ الصَّلَاةَ يَوْمًا، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا، ثُمَّ دَخَلَ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّكُمْ سَتَأْتُونَ غَدًا، إِنْ شَاءَ اللَّهُ عَيْنَ تَبُوكَ، وَإِنَّكُمْ لَنْ تَأْتُوهَا حَتَّى يَضْحَى النَّهَارُ، فَمَنْ جَاءَهَا فَلَا يَمَسَّ مِنْ مَائِهَا شَيْئًا حَتَّى آتِيَ " قَالَ: فَجِئْنَاهَا وَقَدْ سَبَقَ إِلَيْهَا رَجُلَانِ، وَالْعَيْنُ مِثْلُ الشِّرَاكِ تَبِضُّ بِشَيْءٍ مِنْ مَاءٍ، فَسَأَلَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَلْ مَسَسْتُمَا مِنْ مَائِهَا شَيْئًا؟ " قَالَا: نَعَمْ. فَسَبَّهُمَا وَقَالَ لَهُمَا مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ، ثُمَّ غَرَفُوا بِأَيْدِيهِمْ مِنَ الْعَيْنِ قَلِيلًا قَلِيلًا حَتَّى اجْتَمَعَ فِي شَيْءٍ، ثُمَّ غَسَلَ رَسُولُ اللَّهِ فِيهِ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ، ثُمَّ أَعَادَهُ فِيهَا، فَجَرَتِ الْعَيْنُ بِمَاءٍ كَثِيرٍ، فَاسْتَقَى النَّاسُ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا مُعَاذُ يُوشِكُ إِنْ طَالَتْ بِكَ حَيَاةٌ أَنْ تَرَى مَا هَاهُنَا قَدْ مُلِئَ جِنَانًا» . وَأَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ مَالِكٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৩৭

তাবুকের পথে খেজুর কাণ্ডে হেলান দিয়ে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) — এর খুতবা দান প্রসৎগ

ইমাম আহমাদ (র) রিওয়ায়াত করেছেন, আবুন নাঘৃর হাশিম ইবনুল কাসিম, ইউনুস ইবন
মুহাম্মদ আল যুআদ্দিব ও হাজ্জাজ ইবন মুহাম্মদ (র) আবু সাঈদ আল থুদরী (রা ) থেকে
বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রড়াসুলুল্লাহ (সা) তাবুক অভিযান কালে থু৩ তব৷ দিলেন ৷ তখন
তিনি একটি খেজুর কাণ্ডে (হলান দিয়ে বলেছিলেন ৷ থুতবড়ায় তিনি বললেন,

ম্মুা
ন্এ১এি

আমি কি তােমাদেরকে সর্বোত্তম ব্যক্তি ও সর্ব নিকৃষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করব না ? যে
ব্যক্তি তার ঘোড়ার পিঠে কিংবা তার উটের পিঠে কিংবা পদব্রজে আমৃত্যু আল্লাহর পথে জিহাদ
করে যায় সে সঝোওম ব্যক্তিদের অড়র্ভু জ; আর যে যে পরােয়া পাপাচাবী ব্যক্তি আল্লাহর
কিতাব পড়ার পরেও তার কোন কিছুরণ্ তায়াক্কা করে না , সে সর্ব নিকৃষ্টদের অন্তর্ভুক্ত ৷ নাসাঈ
(র) এ হাদীসখানি কুতায়ব৷ (র) থেকে উল্লেখিত ননদে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি বলেছেন,
এ সনদে অন্যতম বাৰী আবুল খাত্তাব সম্পর্কে আমি অবগত নই ৷

রায়হড়াকী (র) ইয়াকুব ইবন মুহাম্মদ আর যুহরী (র) সুত্রে উকব৷ ইবন আমির আল জুহানী
(রা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ তিনি ব ণে ন , ণ্১াণ্য়ুর১ যুদ্ধে আমরা রাসুলুল্লাহ (সা)এব সহগামী
হলাম ৷ পথে কােন এক মনযিলে রাসুলুল্লাহ (সা ) ঘুমিয়ে পড়লেন এবৎ সকালের সুর্য এক বন্ধুর
বরাবর উচু হওয়ার আগ পর্যন্ত তার চো ৷খ খুলল না ৷ এ স্যার জেগে উঠা তই তিনি বললেন, হে
বিলালৰু আমাদের পক্ষে কজরের ওয়াক্তের প্ৰতি নজর বাখবে এ কথা কি তোমাকে আগেই
বলে রাখিনি ? ৰিলাল (বা) বললেন, ইয়৷ রাসুলাল্লাহশু ঘুম আমাকে তেমনই পেয়ে বসেছিল,
যেমনটহ্অ আপনাকে পেয়ে বসেছিল ৷ বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ (সা) জ তার যে অবস্থান
ক্ষেত্র ছেড়ে একটু সরে এসে সেখানে স্যলাত আদায় করলেন এ বা দিনের অধিকাৎ শ সময় ও
রাতম্ভব স্ফর করে সকাল রেলা তাৰুকে উপনীত হলেন ৷ সেখানে যথাথোগ্য ভাষায় আল্লাহ্
পাকেরহ প্হ্ ও ছানা পাঠ করার পর তার তাতিভাবণে তিনি বললেন,

ঞাসু




[ذِكْرُ خُطْبَتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ إِلَى تَبُوكَ] َ إِلَى نَخْلَةٍ هُنَاكَ. رَوَى الْأَمَامُ أَحْمَدُ عَنْ أَبِي النَّضْرِ هَاشِمِ بْنِ الْقَاسِمِ وَيُونُسَ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمُؤَدِّبِ وَحَجَّاجِ بْنِ مُحَمَّدٍ ثَلَاثَتُهُمْ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ أَبِي الْخَطَّابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ تَبُوكَ خَطَبَ النَّاسَ وَهُوَ مُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَى نَخْلَةٍ فَقَالَ: " أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ النَّاسِ وَشَرِّ النَّاسِ؟ إِنَّ مِنْ خَيْرِ النَّاسِ رَجُلًا عَمِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَلَى ظَهْرِ فَرَسِهِ، أَوْ عَلَى ظَهْرِ بَعِيرِهِ، أَوْ عَلَى قَدَمَيْهِ، حَتَّى يَأْتِيَهُ الْمَوْتُ، وَإِنَّ مِنْ شَرِّ النَّاسِ رَجُلًا فَاجِرًا جَرِيئًا يَقْرَأُ كِتَابَ اللَّهِ لَا يَرْعَوِي إِلَى شَيْءٍ مِنْهُ» . وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ قُتَيْبَةَ عَنِ اللَّيْثِ بِهِ. وَقَالَ: أَبُو الْخَطَّابِ لَا أَعْرِفُهُ. وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَعْقُوبَ بْنِ مُحَمَّدٍ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عِمْرَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُصْعَبِ بْنِ مَنْظُورِ بْنِ جَمِيلِ بْنِ سِنَانٍ أَخْبَرَنِي أَبِي، سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ يَقُولُ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، فَاسْتَرْقَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يَسْتَيْقِظْ حَتَّى كَانَتِ الشَّمْسُ قَيْدَ رُمْحٍ
পৃষ্ঠা - ৩৬৩৮


এেঐৰু^প্শ্রীএগু-ন্এ
ণ্এে ;,, ৷) ১১ ১া ঞাঙুড্রু ম্মু প্রুষ্ মোঃা৷ গ্লুণ্যে ৷গ্লুৰু১ ১া৷ ১৷ ত্রু৭ৰু ১ সে গ্রাশ্রো ৰুণ্যে
ষ্কস্শ্ ঞ্জো ধেন্এএ এেএগ্রো
ৰুৰু
এ-ইন্ষ্১ ংগ্রএ ণ্মোঃ পুিৰুএ-? ফোরৈ মোঃ ষ্ঠাংফোরৈ ন্নীৰু€ণ্৯ প্পুি১ ষ্ঠাং ঠোগ্রাএ ত্যুঃগ্রৰু
ণ্ন্£ষ্ এৰু^ এঘ্র এৰুক্রোন্এৰুন্এ ধ্-পৌ ধ্--মাের্ন্ত ধ্া,ঞ্জো মৈংৰুন্এ :এ১ন্নী ()ং খ্যাঃ এক্রোন্এ :ঞাৰু
শ্লেগ্লু
প্রুশ্রোগ্লু দ্বুপ্লু১ ড়ুগ্রা
^ৰুষ্ষ্ ত্র;ষ্শ্ন্স১ষ্-শু (১ং এে ঠের্মীএ ঠুএৰু ষ্ঠাংটুংন্নীন্ ঝাত্রেএ এস্পেশু ট্রোংটুশ্ঠো ধ্-ন্ট্ঞাএ %-é)§ এ€এ ঠোল্টেণ্ং
স্মিএ ন্শ্ংএ১ৰু ন্ঠোণ্ং ন্শ্ংএম্পু

ণ্ত্তো স্পা
ব্লেসুপ্রুশ্গ্লু শুএগ্লুন্নুণ্; ণ্শু এেৰুএখু ট্রু প্লুপ্লুন্নু£;
তারপর লোক সকল সর্বাধিক সত্য ভাষণ আল্লাহর কিতাব; সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য অবলম্বন
হচ্ছে তাকওয়ার কালিম; শ্রেষ্ঠ দীন হচ্ছে ইব্রাহীম (আ) এর দীন; শ্রেষ্ঠ সুন্নত হচ্ছে মুহাম্মদ
(না)-এর সুন্নত; সর্বাধিক অভিজাত বাহন হচ্ছে আল্লাহর যিকর ৷ সর্বোত্তম কাহিনী হচ্ছে এ
আলকুরআনঃ ৷ সর্বাধিক গুরুতুপুর্ণ ব্যাপার হচ্ছে আল্লাহর নির্ধারিত ফরজসমুহ এবং সর্ব
নিকৃষ্ট৩ তম ব্যাপার হল ৰিদআত ব নব উদ্ভ দাবিত ব্যাপারসমুহ সুন্দরতম অর্দশ নবীপণের
আদর্শ সর্বাধিক মর্যাদার মৃত্যু হচ্ছে শহীদপণের মৃঙু >বম৩ম ৩জ্যোহু হল হিপ য়ওেব পরে
পােমরাহী উত্তম আমল তা, যা বলোঃং বন্ব ৬ওম হপায় য়৩ তা, যা অনুসৃত হয় জঘন্যতম
অন্ধতু, অত্তরের অন্ধতু ৷ উপরের (বা৩ ব) হ৩ ণঢেব (গ্র ২৩ র ) হ ওেব ঢেয়ে উত্তম য স্বল্প
ও পরিমিত, তা পাফলতি সৃষ্টিকারী অধিকের চাইতে উত্তম ৷ মৃত্যুর লগ্রে অপারগতার অজুহাত
হচ্ছে নিকৃষ্টতম অজুহাত কিয়মত দি ব পের ৩ণু৩প নিনু১ষ্ট৩ম ৩ণু৩প ণোব১ সমাজে এমন
কিছু ল্যেকও রয়েছে, যার বিলন্বে ছাড়া জুমুঅ জামাঅতে আসে ন ৷

এমন কিছু ল্যেকও রয়েছে, যারা গাফলতি করে আল্লাহর নাম নেয় না ৷ মিথ্যাবদী রসনা
ক্ষান্যতম পাপের অকর ৷ মনের প্ৰচুইে সর্বোত্তম প্রাচুর্য ৷ উত্তম পাথেয় হল তাকওয় ৷
হিকমাত ও প্রজ্ঞার শীর্ষে হল মহীয়ানশ্গয়ীয়ান আল্লাহর ভয় ৷ হৃদয় মঝে গ্রথিত বিষয়সমুহেব
মাঝে উত্তম হল ইয়কীন ও অবিচল বিশ্বাস ৷ দ্বিধা ও সংশয় হচ্ছে কুফর পর্যায়ভুক্ত ৷ মতের
জ্জন্যে উচ্চ স্বরে ৰিলাপ হচ্ছে জ হিলিয়্যাতের কাজ আমনত (গণীমঙে তর সাল থেকে) চুরি ও
জ্বাহোন্নন্মের খড়কুটো স্বরুপ অশ্লীল বনবৰু>র্চা হব ল সে ব বশ জ মদ হচেছ সকল পাপের
আঃ নয়ীশ শয়তানের ফাদ যৌবন উন্মাদন বিংশষ নিকৃষ্ট৩ তম উপার্জন সুদের উপার্জন ৷
ৰিকুষ্টতম উদরপুর্তি ইয়াতীমের সম্পদ গ্রাস ৷৩ ভাগ্যবান সে, যে অন্যের অবস্থা দেখে শিক্ষা












قَالَ: " أَلَمْ أَقُلْ لَكَ يَا بِلَالُ اكْلَأْ لَنَا الْفَجْرَ؟ " فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ذَهَبَ بِي مِنَ النَّوْمِ مِثْلُ الَّذِي ذَهَبَ بِكَ. قَالَ: فَانْتَقَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مَنْزِلِهِ غَيْرَ بَعِيدٍ، ثُمَّ صَلَّى وَسَارَ بَقِيَّةَ يَوْمِهِ وَلَيْلَتِهِ، فَأَصْبَحَ بِتَبُوكَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، أَمَّا بَعْدُ ; فَإِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ، وَأَوْثَقَ الْعُرَى كَلِمَةُ التَّقْوَى، وَخَيْرَ الْمِلَلِ مِلَّةُ إِبْرَاهِيمَ، وَخَيْرَ السُّنَنِ سُنَّةُ مُحَمَّدٍ، وَأَشْرَفَ الْحَدِيثِ ذِكْرُ اللَّهِ، وَأَحْسَنَ الْقَصَصِ هَذَا الْقُرْآنُ، وَخَيْرَ الْأُمُورِ عَوَازِمُهَا، وَشَرَّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا، وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ الْأَنْبِيَاءِ، وَأَشْرَفَ الْمَوْتِ قَتْلُ الشُّهَدَاءِ، وَأَعْمَى الْعَمَى الضَّلَالَةُ بَعْدَ الْهُدَى، وَخَيْرَ الْأَعْمَالِ مَا نَفَعَ، وَخَيْرَ الْهَدْيِ مَا اتُّبِعَ، وَشَرَّ الْعَمَى عَمَى الْقَلْبِ، وَالْيَدَ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى، وَمَا قَلَّ وَكَفَى خَيْرٌ مِمَّا كَثُرَ وَأَلْهَى، وَشَرَّ الْمَعْذِرَةِ حِينَ يَحْضُرُ الْمَوْتُ، وَشَرَّ النَّدَامَةِ يَوْمُ الْقِيَامَةِ، وَمِنَ النَّاسِ مَنْ لَا يَأْتِي الْجُمُعَةَ إِلَّا دُبْرًا، وَمِنَ النَّاسِ مَنْ لَا يَذْكُرُ اللَّهَ إِلَّا هَجْرًا، وَمِنْ أَعْظَمِ الْخَطَايَا اللِّسَانَ الْكَذَّابَ، وَخَيْرَ الْغِنَى غِنَى النَّفْسِ، وَخَيْرَ الزَّادِ التَّقْوَى، وَرَأْسَ الْحِكْمَةِ مَخَافَةُ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، وَخَيْرَ مَا وَقَرَ فِي الْقُلُوبِ الْيَقِينُ، وَالِارْتِيَابَ مِنِ الْكُفْرِ، وَالنِّيَاحَةَ مِنْ عَمَلِ الْجَاهِلِيَّةِ، وَالْغُلُولَ مِنْ جُثَى جَهَنَّمَ، وَالشِّعْرَ مِنْ إِبْلِيسَ، وَالْخَمْرَ جِمَاعُ الْإِثْمِ، وَالنِّسَاءَ حَبَائِلُ الشَّيْطَانِ، وَالشَّبَابَ شُعْبَةٌ مِنَ الْجُنُونِ، وَشَرَّ الْمَكَاسِبِ كَسْبُ الرِّبَا، وَشَرَّ الْمَآكِلِ أَكْلُ مَالِ الْيَتِيمِ، وَالسَّعِيدَ مَنْ وُعِظَ بِغَيْرِهِ، وَالشَّقِيَّ مَنْ شَقِيَ فِي بَطْنِ أُمِّهِ، وَإِنَّمَا يَصِيرُ
পৃষ্ঠা - ৩৬৩৯
أَحَدُكُمْ إِلَى مَوْضِعِ أَرْبَعَةِ أَذْرُعٍ، وَالْأَمْرُ إِلَى الْآخِرَةِ، وَمِلَاكَ الْعَمَلِ خَوَاتِمُهُ، وَشَرَّ الرَّوَايَا رَوَايَا الْكَذِبِ، وَكُلَّ مَا هُوَ آتٍ قَرِيبٌ، وَسِبَابَ الْمُؤْمِنِ فُسُوقٌ، وَقِتَالَ الْمُؤْمِنِ كُفْرٌ، وَأَكْلَ لَحْمِهِ مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ، وَحُرْمَةَ مَالِهِ كَحُرْمَةِ دَمِهِ. وَمَنْ يَتَأَلَّ عَلَى اللَّهِ يُكْذِبْهُ، وَمَنْ يَسْتَغْفِرْهُ يَغْفِرْ لَهُ، وَمَنْ يَعْفُ يَعْفُ اللَّهُ عَنْهُ، وَمَنْ يَكْظِمْ يَأْجُرْهُ اللَّهُ، وَمَنْ يَصْبِرْ عَلَى الرَّزِيَّةِ يُعَوِّضْهُ اللَّهُ، وَمَنْ يَبْتَغِ السُّمْعَةَ يُسَمِّعِ اللَّهُ بِهِ، وَمَنْ يَصْبِرْ يُضَعِّفِ اللَّهُ لَهُ، وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ يُعَذِّبْهُ اللَّهُ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَلِأُمَّتِي، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَلِأُمَّتِي، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَلِأُمَّتِي ". قَالَهَا ثَلَاثًا ثُمَّ قَالَ: " أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ لِي وَلَكُمْ» وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَفِيهِ نَكَارَةٌ وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ بِالصَّوَابِ. وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ قَالَا: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ غَزْوَانَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ نَزَلَ بِتَبُوكَ وَهُوَ حَاجٌّ، فَإِذَا رَجُلٌ مُقْعَدٌ، فَسَأَلَهُ عَنْ أَمْرِهِ فَقَالَ: سَأُحَدِّثُكَ حَدِيثًا فَلَا تُحَدِّثْ بِهِ مَا سَمِعْتَ أَنِّي حَيٌّ ; «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ بِتَبُوكَ إِلَى نَخْلَةٍ فَقَالَ: " هَذِهِ قِبْلَتُنَا ". ثُمَّ صَلَّى إِلَيْهَا. قَالَ: فَأَقْبَلْتُ وَأَنَا غُلَامٌ أَسْعَى حَتَّى مَرَرْتُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا، فَقَالَ: " قَطَعَ صَلَاتَنَا قَطَعَ اللَّهُ أَثَرَهُ» . قَالَ: فَمَا قُمْتُ عَلَيْهَا إِلَى يَوْمِي هَذَا ثُمَّ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ التَّنُوخِيِّ عَنْ مَوْلَى
পৃষ্ঠা - ৩৬৪০


গ্রহণ করে ৷ দৃর্ডাগা সে , যে মাতৃপর্ভেহ দুর্তাগা ৷ তোমাদের প্ৰভ্রুতাকের ণ্শব পতব্য তার হাত’
আসল বিচার্য হচ্ছে আথেরাত (অর্থাৎ আখিরৰ্তের মুক্তি বা শাস্তি) ৷ আমলের মানদণ্ড তাহৃ
সমাপ্তিস্তর ৷ নিকৃষ্টতন বিবৃতি হচ্ছে মিথ্যা বিবৃতি ৷ মা আসবেই, তা নিকটবর্তী ৷ ঈমানদারয়ে
গালগােলি করা ফালেকী কাজ ৷ ঈমানদারের সাথে হানড়াহানি কুফরী কাজ ৷ (গীবত করে
ঈমানদারের থেম্পোত খাওয়া আল্লাহর অবাধ্যতদ্যেরুপ ৷ ঈমানদারের সম্পদের মর্যাদা তাহ্
রক্তের মর্যাদাতুল্য ৷ অহেতুক আল্লাহ্র নামে কসম করার দুঃসাহসীকে আল্লাহ্ মিথ্যাবড়ার্দ
প্রতিপন্ন করেন ৷ তার কাছে মাপফিরাত কড়ামনাকত্বৰীকে তিনি ক্ষমা করেন ৷ মার্জনাকাৰীৰে
আল্লাহ্ও মার্জনড়া করেন ৷ ত্রেণর সম্বরনকাৰীকে আল্লাহ্ তার বিনিময় দেন ৷ বিপয়ুঢ
ধৈর্যধারনকড়ারীকে আল্লাহ্ গ্রতিদান দেন ৷ খ্যাতি সন্ধানীকে আল্লাহ্ (পার্থিব) খ্যাতি দিয়ে দেন
সবরকত্ত্ববীকে আল্লাহ্ দ্বিগুণ দেন ৷ যে আল্লাহর নাফরমানী করে, আল্লাহ্ তাকে আমার দেন
ইয়া আল্লাহ্! আমাকে এবং আমার উম্মতকে মাফ করুন ৷ ইর৷ আল্লাহ্৷ আমাকে এবং আমাহৃ
উনতেকে ক্ষমা করুন ৷ ইয়া আল্লাহ্শু আমাকে এবং আমার উম্মতকে মাণফিরাত করুন ৷ ( ণ্শুএঐ
ত্রুএে১’ড্রু ব্লেট্ট,াঔা:) কথাটি তিনি :িনরার বললেন ৷ ৩ারপর বললেন, “আমি আমার জন্য এবদ্ব
ৰুতামাদের জন্য মাপফিরাত কামনা করছি ৷ ” এ হাদীসখড়ানি পরীব পর্যায়ের এবং এটা কিছুট
মুনকার পর্যায়ের ৷ এবং এর সনদে দুর্বলতড়া বিদ্যমান ৷ অড়াল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

আবু দাউদ (র) বলেন, আহমাদ ইবন সাঈদ আল হামদানী ও সুলারমান ইবন দাউদ (রট্রু
সাঈদ ইবন পাযাওয়ান (বা) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি হত্রুজ্জর সফরে তাবুবে
অবতরণ করলেন ৷ সেখানে জনৈক পংগু ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে তাকে তার পংগুত্নের ব্যাপারুহৃ
জিজ্ঞাসা করলেন ৷ সে বলল, আমি এখনই তোমাকে একখানি হাদীস শুনাচ্ছিছু আমাহৃ
অনুরোধ , যতদিন তুমি শুনরে যে, আমি জীবিত রয়েছি, ততদিন তুমি তা কারো কাছে বত্তে
করবে না ৷ “রাসুলুল্লাহ (সা) তাবুকে একটি খেজুর গাছের কাছে অবতরণ করলেন এবৰু
বললেন, “এ দিকেই আমাদের কিবলা ৷ তারপর সে পাছটির দিকে মুখ করে দাড়িয়ে সালাত্
শুরু করলেন ৷ বচ্নািকারী বলেন, আমি যে দিকে দ্রুত এগিয়ে আসছিলাম ৷ তখন আমি উচ্ছভ্রু
তরুণ ৷ আমি রাসুল (না) ও জর খেজুর গাছের মাঝ দিয়ে চলে থেললাে ৷ তিনি বললেন, হে
আমাদের সালাত কর্তন করেছে, আল্লাহ্ তার পদচারণা কর্তন করুন ৷” (বর্ণনাকারী বলেন, সে
দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি আর আমার এ পায়ে ভর দিয়ে র্দড়াড়াতে পারি না ৷) তারপর আৰু
দাউদ (র) সাঈদ ইবন অড়াযীয অড়াত্-তড়ানুথী (র)ইয়ড়াযীদ ইবন নামিরান (বা ) থেকে অৰুরুণ্
রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইয়াষীদ (র) বলেনঃ, তাবুকে আমি এক পংগুকে দেখলাম ৷ (স রলল
আমি একটি মাধ্যম আরােহী হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সম্মুখ থেকে পথ অতিক্রম করলাম
তিনি তখন সড়ালড়াত আদায় করছিলেন ৷ তিনি বললেন, ইয়া আল্লাহ্৷ তার পদচারণা রহিত কভ্রুন্
দিন ৷ তারপর থেকে আমি আর পা দিয়ে হাটতে পারি না ৷ অন্য এক বিওয়ফ্লোতে রয়েছে “৫:
আমাদের সল্যেত কর্তন করেছে, আল্লাহ; তার পদচারণা কর্তন করুন ৷ ”

মুআবিয়া ইবন আবু মুআবিয়া (বা) — এর জানাযা প্রসংণ

বায়হাকী (র) ইয়াঘীদ ইবন হারুন (র)আনাস ইবন মালিক (বা ) সুত্রে বলেন, আমহ
রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে তাবুকে অবস্থান করছিলাম ৷ সুর্য পরিচ্ছন্ন ঔজ্জ্বল্য নিয়ে উদিত হল




لِيَزِيدَ بْنِ نِمْرَانَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ نِمْرَانَ قَالَ: رَأَيْتُ بِتَبُوكَ مُقْعَدًا فَقَالَ: مَرَرْتُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا عَلَى حِمَارٍ، وَهُوَ يُصَلِّي، فَقَالَ: " اللَّهُمَّ اقْطَعْ أَثَرَهُ ". فَمَا مَشَيْتُ عَلَيْهَا بَعْدُ وَفِي رِوَايَةٍ: " قَطَعَ صَلَاتَنَا قَطَعَ اللَّهُ أَثَرَهُ ". . [ذِكْرُ الصَّلَاةِ عَلَى مُعَاوِيَةَ بْنِ مُعَاوِيَةَ] َ إِنْ صَحَّ الْخَبَرُ فِي ذَلِكَ. رَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ أَخْبَرَنَا الْعَلَاءُ أَبُو مُحَمَّدٍ الثَّقَفِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ: «كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَبُوكَ، فَطَلَعَتِ الشَّمْسُ بِضِيَاءٍ وَشُعَاعٍ وَنُورٍ لَمْ أَرَهَا طَلَعَتْ فِيمَا مَضَى، فَأَتَى جِبْرِيلُ رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ: " يَا جِبْرِيلُ، مَا لِي أَرَى الشَّمْسَ الْيَوْمَ طَلَعَتْ بِضِيَاءٍ وَنُورٍ وَشُعَاعٍ لَمْ أَرَهَا طَلَعَتْ فِيمَا مَضَى؟ " قَالَ: ذَلِكَ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ مُعَاوِيَةَ اللَّيْثِيَّ مَاتَ بِالْمَدِينَةِ الْيَوْمَ، فَبَعَثَ اللَّهُ إِلَيْهِ سَبْعِينَ أَلْفَ مَلَكٍ يُصَلُّونَ عَلَيْهِ. قَالَ: " وَمِمَّ ذَاكَ؟ " قَالَ: بِكَثْرَةِ قِرَاءَتِهِ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] بِاللَّيْلِ
পৃষ্ঠা - ৩৬৪১
وَالنَّهَارِ، وَفِي مَمْشَاهُ وَفِي قِيَامِهِ وَقُعُودِهِ، فَهَلْ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ أَقْبِضَ لَكَ الْأَرْضَ فَتُصَلِّيَ عَلَيْهِ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". قَالَ: فَصَلَّى عَلَيْهِ ثُمَّ رَجَعَ» . وَهَذَا الْحَدِيثُ فِيهِ غَرَابَةٌ شَدِيدَةٌ وَنَكَارَةٌ وَالنَّاسُ يُسْنِدُونَ أَمْرَهُ إِلَى الْعَلَاءِ بْنِ زَيْدٍ هَذَا، وَقَدْ تَكَلَّمُوا فِيهِ. ثُمَّ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَانَ أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُبَيْدٍ الصَّفَّارُ حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ عَلِيٍّ أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ حَدَّثَنَا مَحْبُوبُ بْنُ هِلَالٍ عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ: «جَاءَ جِبْرِيلُ فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، مَاتَ مُعَاوِيَةُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْمُزَنِيُّ أَفَتُحِبُّ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَيْهِ؟ قَالَ: " نَعَمْ ". فَضَرَبَ بِجَنَاحِهِ، فَلَمْ يَبْقَ مِنْ شَجَرَةٍ وَلَا أَكَمَةٍ إِلَّا تَضَعْضَعَتْ لَهُ. قَالَ: فَصَلَّى وَخَلْفَهُ صَفَّانِ مِنَ الْمَلَائِكَةِ، فِي كُلِّ صَفٍّ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ. قَالَ: قُلْتُ: " يَا جِبْرِيلُ، بِمَا نَالَ هَذِهِ الْمَنْزِلَةَ مِنَ اللَّهِ؟ " قَالَ: بِحُبِّهِ {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] يَقْرَؤُهَا قَائِمًا وَقَاعِدًا، وَذَاهِبًا وَجَائِيًا، وَعَلَى كُلِّ حَالٍ. قَالَ عُثْمَانُ: فَسَأَلْتُ أَبِي: أَيْنَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: بِغَزْوَةِ تَبُوكَ بِالشَّامِ، وَمَاتَ مُعَاوِيَةُ بِالْمَدِينَةِ، وَرُفِعَ لَهُ سَرِيرُهُ حَتَّى نَظَرَ إِلَيْهِ وَصَلَّى عَلَيْهِ» . وَهَذَا أَيْضًا مُنْكَرٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৪২


তেমন উজ্জ্বল কিরণ ও দ্যুতির বাহার উদীয়মান সুর্যে আমি আর কখনো দেখিনি ৷ জিবরীল (আ)
রাসুলুল্লাহ (না)-এর কাছে আসলে তিনি বললেন, হে জিববীল ! এমন কি ব্যাপার মটল যে, আজ
সুর্য এত ঐজ্জ্বল্য নিয়ে উদীত হল ৷ উদীয়মান সুর্যের এমন কিরণ ও দ্যুতি ইতােপুর্বে দেখা যায়
নি তো ৷ তিনি বললেন, এর কারণ হল এই যে, মুআবিয়া ইবন আবু মুআৰিয়া আল লায়হী (বা)
আজ মদীনায় ইনতিকাল করেছেন ৷ আল্লাহ পাক তার জ্যনাযার সালাতের জন্য সত্তর হাজার

ফেরেশতা পাঠিয়ে দিয়েছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন-

“সে এমন মর্যাদা পেলকি কারণে ?” জিবরীল (আ) বললেন, দিনে-রাতে, হাটতে-চলতে,
উঠতে-বসতে বেশী বেশী কুল হুওয়াল্লাহ্ (সুরা ইখলাস) তিলাওয়াতের কারণে ৷

ইয়ড়া রাসুলাল্লাহ ! আপনার মন কি এমন চায় যে, আমি আপনার জন্য যমীনের দুরতু
ৎকুচিত করে দিই ৷ যাতে করে আপনি এখানে থেকেই তার জানাযা প ৬৫৩ প ৷এে ন ? তিনি
বললেন, হী ৷ বণ্টা“াকাবী বলেন, তখন তিনি তার জানাযা আদায় করলেন ৷ তবে হাদীস

বিশরদগণ এ হাদীসের সনদের সমালোচনা করেছেন ৷

পরবর্তী বর্ণনায় বায়হার্কী (র) বলেছেন, আলী ইবন আহমাদ ইবন আবদান (র)আনাস
(রা) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, জিবরীল (আ) এসে বললেন, হে মুহাম্মদ! মুআবিয়া
ইবন আবু ঘুআবিয়া আল যুযানী (বা) ইনতিকাল করেছেন, আপনি কি তার জানাযার সালাত
আদায় করা পসন্দ করেন ? তিনি বললেন, হী ৷ জিবরীল (আ) তখন তার পাখা দিয়ে আঘাত
করলেন ৷ ফলে গাছপালা ও টিলা-পাহাড় সমতলে মিশে পেল ৷ বর্ণনাকাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ ,
(সা) জড়ানাযার সালাত আদায় করলেন এবং প্ৰতি কাতারে সত্তর হাজার ফেরেশতার দু’টি কাতার
তার পিছনে সালাত আদায় করলেন ৷ বর্ণনাকারী বলেন, নবী কয়ীম (সা) বললেন, হে জিবরীল !

আল্লাহর কাছে সে এত মর্যাদা পেল কি করে ? তিনি বললেন-



সুরা ইখলাস (কুল হুওয়াল্লাহ) এর প্রতি তার অনুরাণের কারণে ? যা সে উঠতেবসরুত,
চলতে-ফিরতে তথা সর্বাবস্থায় তিলাওয়াত করত ৷ (সনদেব মধ্যবর্তী রাবী) উসমান (র)
বলেন, আমি আমার পিতা আল হায়ছাম (র)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি (নবী সা )
কোথায় ছিলেন ? তিনি বললেন, শাম (বৃহত্তর সিরিয়া) দেশে তাবুক অভিযানে ৷ আর ঘুআৰিয়া
(বা) ইনতিকাল করেছিলেন মদীনায় ৷ তার জানাযার খাটিয়া তার দৃষ্টি সীমায় তুলে ধরা
হয়েছিল ৷ এমন কি তিনি তা দেথছিলেন এবং সালাত আদায় করেছিলেন (এ সুত্রে
রিওয়ড়ায়াতটি অসমর্থিত) ৷

তাবুকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সমীণে কায়সার

(সিজার) এর দুতের আগমন প্রসংগ

ইমাম আহমাদ (র) বলেন, ইসহাক ইবন ঈসা (র) সাঈদ ইবন আবু রাশিদ (র) সুত্রে
বলেন যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে প্রেরিত হিরাফ্লিয়াসের দুত আত্-তানৃখী-
এর সাথে আমি হিমস’ নগরীতে সাক্ষাত করলাম ৷ তিনি ছিলেন আমার প্রতিবেশী এবং
রার্ধকেব্রুর শেষ সীমার উপনীত ৷ সম্ভবত তার বয়স তখন নব্বই পার হয়ে শতকের ঘর ছু ছুই


[قُدُومُ رَسُولِ قَيْصَرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَبُوكَ] قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ قَالَ: لَقِيتُ التَّنُوخِيَّ رَسُولَ هِرَقْلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحِمْصَ، وَكَانَ جَارًا لِي شَيْخًا كَبِيرًا قَدْ بَلَغَ الْفَنَدَ أَوْ قَرُبَ. فَقُلْتُ: أَلَا تُخْبِرُنِي عَنْ رِسَالَةِ هِرَقْلَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرِسَالَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى هِرَقْلَ؟ فَقَالَ: بَلَى، «قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَبُوكَ، فَبَعَثَ دِحْيَةَ الْكَلْبِيَّ إِلَى هِرَقْلَ فَلَمَّا أَنْ جَاءَهُ كِتَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا قِسِّيسِي الرُّومِ وَبَطَارِقَتَهَا، ثُمَّ أَغْلَقَ عَلَيْهِ وَعَلَيْهِمُ الدَّارَ، فَقَالَ: قَدْ نَزَلَ هَذَا الرَّجُلُ حَيْثُ رَأَيْتُمْ، وَقَدْ أَرْسَلَ إِلَيَّ يَدْعُونِي إِلَى ثَلَاثِ خِصَالٍ، يَدْعُونِي إِلَى أَنْ أَتْبَعَهُ عَلَى دِينِهِ، أَوْ عَلَى أَنْ نُعْطِيَهُ مَالَنَا عَلَى أَرْضِنَا وَالْأَرْضُ أَرْضُنَا، أَوْ نُلْقِيَ إِلَيْهِ الْحَرْبَ، وَاللَّهِ لَقَدْ عَرَفْتُمْ فِيمَا تَقْرَءُونَ مِنَ الْكُتُبِ لَيَأْخُذَنَّ مَا تَحْتَ قَدَمِي فَهَلُمَّ فَلْنَتَّبِعْهُ عَلَى دِينِهِ أَوْ نُعْطِهِ مَالَنَا عَلَى أَرْضِنَا. فَنَخَرُوا نَخْرَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ حَتَّى خَرَجُوا مِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৬৪৩


রন্ গিয়ে তার সামনে আসন নিলাম এবং পত্রটি তার হাতে তুলে দিলাম ৷ তিনি তা নিজের
প রেখে বললেন

;;ৰুা৷ :এ্যা) “তোমার গোত্র পরিচয় কি ?” আমি বললাম, আমি তানুখ গোত্রীর ৷ ’ তিনি বললেন

তোমাদের পুর্ব পুরুষ ইররাহীম (আ) এর শিরক মুক্ত পরিওদ্ধ ধর্ম ইসলাম গ্রহণে তোমার

হ রয়েছে কি ?

মাযি বললাম, এ মুহুর্তে তো আমি একটি জাতির দুত এবং একটি ধর্মের অনুসারী ৷৩ তাই

ক্র কাছে প্ৰত্যাবর্তানর আগে আমি ধর্ম পরিবর্তন করতে পারি না ৷ তিনি মৃদু হেসে
আন শরীফের আয়াত) উদ্ধৃত করে বললেন

প্লুম্রষ্টু;;ব্লুাব্লু ণ্গ্রি ১র্ন্তদ্বু é(ং:; ;;হ্নৰু £; ছুহ্র৷ রুম ;§$; ধ্;;দ্বুন্;৷ ); চু;১ট্রুৰুপু ? এব্লুৰু
তুমি যাকে প ৷সন্দ কর ইচ্ছা করলেই তাকে সৎ পথে আনতে পারবে না ৷ তবে আল্লাহ্ই
ৰৰু ইচ্ছা সৎপথে নিয়ে আসেন এবং তিনি ভাল জানেন সৎপথ অনুসারীদের (২৮ ? ৫৬) ৷
া৷
মোঃ চেন্ধ্রা ৰুএা৷

হ তানুথী শ্যেন আমি (পারস্য সম্রাট) খঃসকর কাছে দাওয়াত পত্র পাঠিয়ে ছিলাম ৷
ন্নাহ্ তাকে ও তার সাম্রাজ্যকে চুর্ণ ৰিচুর্ণ করে দিবেন ৷ আমি (আৰিসিনিয়া সম্রাট) ন ৷জ্জাশীর
ছও একটি পত্র পাঠিয়েছিলাম, সে তা ছিড়ে ফেলেছেন ৷ আল্লাহ তাকে ও তার রাজাকে
ার্ণ করবেন ৷ আর তোমাদের স্ম্রাটের কাছেও একটি পত্র পাঠিয়েছিলাম, তিনি তা রেখে
য়ছেন ৷ জীবনে য৩ দিন কল্যাণ থাকবে ততদিন লোকেরা তার কাছ থেকে বিপদ ও দুর্যোগ
তই থাকবে ৷” আমি মনে মনে বললাম, আমার মনীব যে তিনটি বিষয়ের ব্যাপারে বিশেষ
র্দশ দিয়েছিলেন, এটি সেগুলির একটি ৷ তখন আমি তুণীর থেকে একটি তীর তুলে নিয়ে তা
য় কথাটি আমার তরবারীর পাশে ৷লিখে রাখলাম ৷

তারপর তিনি তার বাম পাশে উপৰিষ্ট এক ব্যক্তির হাতে পাত্রটি তলে দিলেন ৷ আমি
নাম, আপনার হয়ে যিনি পত্রটি আমাকে পড়ে শুনাচ্ছেন,৩ তার পরিচয় কি ? তারা বলল,
াবিয়া (ইবন আবু সুফিরান (রা) ৷ আমি শুনতে পেলাম, আমার মনিবের পাঠানো চিঠিতে
াভ্রুছ “আপনি আমাকে এমন জান্নাভ্রু৩ তর প্ৰতি আহ্বান জানাচ্ছেন যার প্রশস্ততা পরিধি
মােন ও মমীন তুলা; যা ঘুত্তাকীদের জন্য তৈরী করা হয়েছে, তা হলে জাহান্নাম গেল
থায় ? এ প্রশ্ন শুনে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, সুবহানাল্লাহ ১ঞা৷ ণ্া ৷১৷ এ্যান্ শ্লো
নর আগমন সুচিত হলে রাত কাথার যায় ?’ বর্ণনাকারী (৩ তানুখী) বলেন, আমি তীর দান
ক একটি ভীর তুলে নিয়ে রাত বিষয়ক এ কথাটি আমার তরবারীর খা৷:প লিখে নিলাম ৷
পাঠ শে র হলেও তিনি বললেন--


بَرَانِسِهِمْ، وَقَالُوا: تَدْعُونَا إِلَى أَنْ نَذَرَ النَّصْرَانِيَّةَ أَوْ نَكُونَ عَبِيدًا لِأَعْرَابِيٍّ جَاءَ مِنَ الْحِجَازِ؟ فَلَمَّا ظَنَّ أَنَّهُمْ إِنْ خَرَجُوا مِنْ عِنْدِهِ أَفْسَدُوا عَلَيْهِ الرُّومَ رَفَأَهُمْ وَلَمْ يَكَدْ، وَقَالَ: إِنَّمَا قُلْتُ ذَلِكَ لَكُمْ لِأَعْلَمَ صَلَابَتَكُمْ عَلَى أَمْرِكُمْ. ثُمَّ دَعَا رَجُلًا مِنْ عَرَبِ تُجِيبَ كَانَ عَلَى نَصَارَى الْعَرَبِ، قَالَ: ادْعُ لِي رَجُلًا حَافِظًا لِلْحَدِيثِ عَرَبِيَّ اللِّسَانِ أَبْعَثُهُ إِلَى هَذَا الرَّجُلِ بِجَوَابِ كِتَابِهِ. فَجَاءَ بِي فَدَفَعَ إِلَيَّ هِرَقْلُ كِتَابًا، فَقَالَ: اذْهَبْ بِكِتَابِي إِلَى هَذَا الرَّجُلِ، فَمَا سَمِعْتَ مِنْ حَدِيثِهِ فَاحْفَظْ لِي مِنْهُ ثَلَاثَ خِصَالٍ ; انْظُرْ هَلْ يَذْكُرُ صَحِيفَتَهُ الَّتِي كَتَبَ إِلَيَّ بِشَيْءٍ، وَانْظُرْ إِذَا قَرَأَ كِتَابِي فَهَلْ يَذْكُرُ اللَّيْلَ، وَانْظُرْ فِي ظَهْرِهِ هَلْ بِهِ شَيْءٌ يُرِيبُكَ. قَالَ: فَانْطَلَقْتُ بِكِتَابِهِ حَتَّى جِئْتُ تَبُوكَ، فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ بَيْنَ ظَهْرَانِي أَصْحَابِهِ مُحْتَبِيًا عَلَى الْمَاءِ، فَقُلْتُ: أَيْنَ صَاحِبُكُمْ؟ قِيلَ: هَا هُوَ ذَا. فَأَقْبَلْتُ أَمْشِي حَتَّى جَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ كِتَابِي، فَوَضَعَهُ فِي حِجْرِهِ ثُمَّ قَالَ: " مِمَّنْ أَنْتَ؟ " فَقُلْتُ: أَنَا أَخُو تَنُوخَ. قَالَ: " هَلْ لَكَ إِلَى الْإِسْلَامِ الْحَنِيفِيَّةِ مِلَّةِ أَبِيكَ إِبْرَاهِيمَ؟ " قُلْتُ: إِنِّي رَسُولُ قَوْمٍ وَعَلَى دِينِ قَوْمٍ، لَا أَرْجِعُ عَنْهُ حَتَّى أَرْجِعَ إِلَيْهِمْ. فَضَحِكَ وَقَالَ: {إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ وَلَكِنَّ اللَّهَ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ} [القصص: 56] (الْقَصَصِ: 56) يَا أَخَا تَنُوخَ، إِنِّي كَتَبْتُ بِكِتَابٍ إِلَى كِسْرَى فَمَزَّقَهُ، وَاللَّهُ مُمَزِّقُهُ وَمُمَزِّقُ مُلْكِهِ، وَكَتَبْتُ إِلَى النَّجَاشِيِّ بِصَحِيفَةٍ فَخَرَّقَهَا وَاللَّهُ مُخَرِّقُهُ وَمُخَرِّقُ مُلْكِهِ، وَكَتَبْتُ إِلَى صَاحِبِكَ بِصَحِيفَةٍ فَأَمْسَكَهَا، فَلَنْ يَزَالَ النَّاسُ يَجِدُونَ مِنْهُ بَأْسًا مَا دَامَ فِي الْعَيْشِ خَيْرٌ ". قُلْتُ: هَذِهِ إِحْدَى الثَّلَاثِ الَّتِي أَوْصَانِي بِهَا صَاحِبِي. فَأَخَذْتُ سَهْمًا مِنْ جَعْبَتِي فَكَتَبْتُهُ فِي جِلْدِ سَيْفِي، ثُمَّ إِنَّهُ نَاوَلَ الصَّحِيفَةَ رَجُلًا عَنْ يَسَارِهِ، قُلْتُ: مَنْ صَاحِبُ كِتَابِكُمُ الَّذِي يَقْرَأُ لَكُمْ؟ قَالُوا: مُعَاوِيَةُ. فَإِذَا فِي كِتَابِ صَاحِبِي: تَدْعُونِي إِلَى جَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِينَ، فَأَيْنَ النَّارُ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " سُبْحَانَ اللَّهِ! أَيْنَ اللَّيْلُ إِذَا جَاءَ النَّهَارُ؟ ! " قَالَ: فَأَخَذْتُ سَهْمًا مِنْ جَعْبَتِي فَكَتَبْتُهُ فِي جِلْدِ سَيْفِي. فَلَمَّا أَنْ فَرَغَ مِنْ قِرَاءَةِ كِتَابِي، قَالَ: " إِنَّ لَكَ حَقًّا وَإِنَّكَ رَسُولٌ، فَلَوْ وَجَدْتُ عِنْدَنَا جَائِزَةً جَوَّزْنَاكَ بِهَا، إِنَّا سُفْرٌ مُرْمِلُونَ ". قَالَ: فَنَادَاهُ رَجُلٌ مِنْ طَائِفَةِ النَّاسِ، قَالَ: أَنَا أُجَوِّزُهُ فَفَتَحَ رَحْلَهُ، فَإِذَا هُوَ يَأْتِي بِحُلَّةٍ صَفُّورِيَّةٍ فَوَضَعَهَا فِي حِجْرِي، قُلْتُ: مَنْ صَاحِبُ الْجَائِزَةِ؟ قِيلَ لِي: عُثْمَانُ. ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ: " أَيُّكُمْ يُنْزِلُ هَذَا الرَّجُلَ؟ " فَقَالَ فَتًى مِنَ الْأَنْصَارِ: أَنَا. فَقَامَ الْأَنْصَارِيُّ وَقُمْتُ مَعَهُ حَتَّى إِذَا خَرَجْتُ مِنْ طَائِفَةِ الْمَجْلِسِ نَادَانِي رَسُولُ اللَّهِ فَقَالَ: " تَعَالَ يَا أَخَا تَنُوخَ ". فَأَقْبَلْتُ أَهْوِي إِلَيْهِ حَتَّى كُنْتُ قَائِمًا فِي مَجْلِسِي الَّذِي كُنْتُ
পৃষ্ঠা - ৩৬৪৪

“তুমি একজন দুত; তাই তোমার কিছু অধিকার রয়েছে ৷ উপচৌকন দেওয়ার মত কিছু
আমাদের সংগ্রহে এসে গেলে তা দিয়ে তোমাকে উপচৌকন দিব ৷ এখন তো আমরা খালি হাত
মুসাস্কির ৷

বর্ণনাকাৰী বলেন, তখন সমবেত লোকদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি তাকে আওয়ায দিয়ে
বলল, আমি তাকে উপচৌকন দিয়ে দিচ্ছি ৷ ’ এ কথা বলে সে তার জাম্বিল থুলল, দেখলাম
কি, এক জোড়া সোনালী বর্ণ বস্ত্র নিয়ে এসে যে তা আমার কোলে রেখে দিল ৷ আমি বললাম ,
উপচৌকন প্রদানকারী ইনি কে ? আমাকে বলা হল, উছমান (বা) ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ (সা)
বললেন, ৰুগ্লু!৷ ৷১১ এ)১প্লু ণ্ওপ্রু৷ “এ যেহমানের যেহমানদারী করবে কে ?

এক আনসারী তরুণ বলল, আমি ৷ ’ আনসাৰী উঠে দীড়ালে আমিও তার সাথে চলতে
লাগলাম ৷ মজলিসের চৌহদ্দি পার হয়ে যেতে লাগলে রাসুলুল্লাহ (সা) আমাকে ডেকে বললেন,
(ব্লু,ত্ত্ব গ্র ৷খু এে) “ এস হে তানুখী!” আমি এগিয়ে যে স্থানে র্দাড়ালাম , যেখানে একটু আগে
তার সামনে আমি , বসে ছিলাম ৷ তিনি পিঠ থেকে চাদর সরিয়ে দিয়ে বললেন, এে ৰু প্রুণ্ প্৷া১১
; )হ্র “ তোমার প্রতি আদিষ্ট (তৃতীয়) বিষয়টিন জন্য এদিক দিয়ে এস ৷

তখন আমি তার পিঠে দৃষ্টি নিবন্ধ করলাম ৷ দেখি কি, তার স্কন্ধ-সন্ধিতে হিমহিমা’
ঘাসফুলের ন্যায় (পাওযবড়ান ফুলের আকৃতির) নবুয়তের মােহর ৷ ’ এ বর্ণনাটি গরীব পর্যায়ের ৷
তবে এর সনদ ত্রুটি মুক্ত ৷ ইমাম আহমাদ (র) একক ভাবে তা রিওয়ায়াত করেছেন ৷

তাবুক থেকে ফেরার পুর্বে আবৃরুহ ও আরো বাসীদের সাথে এবং আলো
রাজ্যের সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সন্ধি প্ৰসংগ

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) ৩াধুণ্ডে উপনী৩ হ্ণে আরলা এর শাসক ইয়াহনা
ইবন রুবা রড়াসুলুল্লাহ (না)-এর দরবারে হাজির হলেন এবং জিঘৃয়া প্রদানে স্বীকৃত হয়ে তার
সাথে সন্ধিবদ্ধ হলেন ৷ আলো ও আযরুহ-এর অধিবাসীরাও জিবৃয়া প্রদানে স্বীকৃত হল ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে সন্ধি-সনদ লিখে দিলেন ৷ যা তাদের কাছে সংরক্ষিত ছিল ৷ ইয়াহনা
ইবন করা ও আয়লাবাসীদেব প্রদত্ত সন্ধি-সনদে তিনি লিখলেন,



ণ্ৰ্ন্:এা প্রু ণ্শুচুৰুন্নুৰু ন্থএ্যা ঞা দ্বু ড়ুা দ্বুপ্লু ঞ শ্লো ষ্ট্র৷ ৷ ;গ্লুপ্রু স্টে১া৷ মোঃ , প্রুওা৷ এ ত্রু;শু৷ : ষ্ট্র১

তাংঙা প্রশ্ন
স্পে § ঠো প্রশ্ন এা দ্বু১গ্রপ্লু এে!এ৬ ম্মুদ্বু ধ্এদ্বুঐঠো :ৰুএ ট্রুঞ্চঠুএপ্লু এ! এ১৷ শ্ব ধ্ৰুদ্বু
“যেহেরবান দয়ালু আল্লাহ্র নামেশ্আল্লাহ্ ও আল্লাহ্র রাসুল ও নবী মুহাম্মদ (সা) এর
পক্ষ থেকে এ নিরাপত্তা পত্র ইয়ড়াহনা ইবন করা ও আয়লাবাসীদের জন্য; জলেস্থলে চলমান
তাদের ও নৌবহরের জন্য আল্লাহ্ ও নবী মুহাম্মদ (সা) এর জিম্মা এবং তাদের মিত্রবর্গ

শাম, য়ামান ও উপকুলীয়বাসীদের জন্য ৷ তবে তাদের কেউ বিশৃৎখলা সৃষ্টি করলে তার
সম্পদ তার জীবনের জন্য রক্ষাকবচ হবে না এবং সে ক্ষেত্রে যে ভ্রুকড়ান মানুষ তা অধিকার


بَيْنَ يَدَيْهِ، فَحَلَّ حُبْوَتَهُ عَنْ ظَهْرِهِ، وَقَالَ: " هَاهُنَا امْضِ لِمَا أُمِرْتَ بِهِ ". فَجُلْتُ فِي ظَهْرِهِ، فَإِذَا أَنَا بِخَاتَمٍ فِي مَوْضِعِ غُضُونِ الْكَتِفِ مِثْلِ الْحَجْمَةِ الضَّخْمَةِ.» هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَإِسْنَادُهُ لَا بَأْسَ بِهِ تَفَرَّدَ بِهِ الْإِمَامُ أَحْمَدُ. [ذِكْرُ مُصَالَحَتِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مَلِكَ أَيْلَةَ وَأَهْلَ جَرْبَاءَ وَأَذْرُحَ] َ وَهُوَ مُخَيِّمٌ عَلَى تَبُوكَ قَبْلَ رُجُوعِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا انْتَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى تَبُوكَ أَتَاهُ يُحَنَّةُ بْنُ رُؤْبَةَ صَاحِبُ أَيْلَةَ، فَصَالَحَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَعْطَاهُ الْجِزْيَةَ، وَأَتَاهُ أَهْلُ جَرْبَاءَ وَأَذْرُحَ فَأَعْطَوْهُ الْجِزْيَةَ، وَكَتَبَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كِتَابًا فَهُوَ عِنْدَهُمْ، فَكَتَبَ لِيُحَنَّةَ بْنِ رُؤْبَةَ وَأَهْلِ أَيْلَةَ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذِهِ أَمَنَةٌ مِنَ اللَّهِ وَمُحَمَّدٍ النَّبِيِّ رَسُولِ اللَّهِ لِيُحَنَّةَ بْنِ رُؤْبَةَ وَأَهْلِ أَيْلَةَ، سُفُنِهِمْ وَسَيَّارَتِهِمْ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ، لَهُمْ ذِمَّةُ اللَّهِ وَمُحَمَّدٍ النَّبِيِّ وَمَنْ كَانَ مَعَهُمْ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ وَأَهْلِ الْيَمَنِ وَأَهْلِ الْبَحْرِ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৪৫
فَمَنْ أَحْدَثَ مِنْهُمْ حَدَثًا فَإِنَّهُ لَا يَحُولُ مَالُهُ دُونَ نَفْسِهِ، وَإِنَّهُ طَيِّبٌ لِمَنْ أَخَذَهُ مِنَ النَّاسِ، وَإِنَّهُ لَا يَحِلُّ أَنْ يَمْنَعُوهُ مَاءً يَرِدُونَهُ وَلَا طَرِيقًا يَرِدُونَهُ مِنْ بَرٍّ أَوْ بَحْرٍ» . زَادَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ بَعْدَ هَذَا. وَهَذَا كِتَابُ جُهَيْمِ بْنِ الصَّلْتِ وَشُرَحْبِيلَ بْنَ حَسَنَةَ بِإِذْنِ رَسُولِ اللَّهِ. قَالَ يُونُسُ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ وَكَتَبَ لِأَهْلِ جَرْبَاءَ وَأَذْرُحَ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ، هَذَا كِتَابٌ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ رَسُولِ اللَّهِ لِأَهْلِ جَرْبَاءَ وَأَذْرُحَ، أَنَّهُمْ آمِنُونَ بِأَمَانِ اللَّهِ وَأَمَانِ مُحَمَّدٍ، وَأَنَّ عَلَيْهِمْ مِائَةَ دِينَارٍ فِي كُلِّ رَجَبٍ، وَمِائَةَ أُوقِيَّةٍ طَيِّبَةٍ وَأَنَّ اللَّهَ عَلَيْهِمْ كَفِيلٌ بِالنُّصْحِ وَالْإِحْسَانِ إِلَى الْمُسْلِمِينَ، وَمَنْ لَجَأَ إِلَيْهِمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ". قَالَ: وَأَعْطَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْلَ أَيْلَةَ بُرْدَهُ مَعَ كِتَابِهِ أَمَانًا لَهُمْ» . قَالَ: فَاشْتَرَاهُ بَعْدَ ذَلِكَ أَبُو الْعَبَّاسِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ بِثَلَاثِمِائَةِ دِينَارٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৪৬


করলে তা তার জন্য হালাল বলে পরিগণিত হবে ৷ আর জলেস্থলে কোন পানির ক্ষেত্র বা
জলপখে তারা অবতরণ করলে তা থেকে অন্যদের বিরত রাখার অনুমোদন তাদের জন্য
থাকবে না ৷”

ইবন ইসহাক (র) থেকে বর্ণিত ইউনুস ইবন বুকায়র (র)-এর রিওয়ায়াতে একটু অধিক
বিবরণ রয়েছে ৷ এ পত্র জুহায়ম ইবনুস সালত ও শুরাহবীল ইবন হাসনাে-এর সাক্ষাতে
আল্লাহ্র রাসুল (সা) এর অনুমোদন সুত্রে প্রদত্ত ৷

ইবন ইসহাক (র) থেকে উদ্ধৃত করে ইউনুস (র) আরো বলেছেন, জারবা ও আযরুহ
বাসীদের প্রদত্ত সন্ধি সনদে তিনি লিখলেন,

এ১গ্ ড্রেন্শ্রা গ্র১মোঃ এএ ৷ ষ্ট্রুার্চু এি১হ্১


ইহা আল্লাহ্র নবী ও রাসুল (না)-এর পক্ষ থেকে আবকহ ও জারবা বড়াসীদেরকে প্রদত্ত
সনদ ৷ তারা আল্লাহ্ প্রদত্ত নিরাপত্তা ও মুহাম্মদ (সা) প্রদত্ত নিরাপত্তার অধিকারে শ্ ৎকামুক্ত ৷
আর তারা প্রতি রজব মাসে একশ’ দীনার (স্বর্ণ মুদ্রা) ও একশ’ উকিয়া দিরহাম (চার হাজার
রৌপ্য মুদ্রা) (জিঘৃরা) আদায় করবে ৷ আর ইসলাম ও মুসলিম জাতির প্রতি এবং তাদের কাছে
আশ্রয় গ্রহণকারী মুসলমানদের সাথে সদাচরণ ও কল্যাণ কড়ামনার ব্যাপারে আল্লাহ্ই তাদের
তত্ত্বাবধায়ক ৷ বণ্নািকায়ী বলেন, আয়লাবাসীদের জন্য নিরাপত্তার প্রর্তীকস্বরুপ নবী করীম (সা)

তার সনদপত্রের সাথে তার চাদর মুৰারকও দিয়ে দিলেন ৷ বর্ণনাকারী আরো বলেন, পরবর্তী

সময়ে আবুল আব্বাস আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র) তিনশত দীনাংরর বিনিময়ে সে ঢাদরখানা
খরিদ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন ৷

রাসুলুল্লাহ (না)-এর নির্দেশে দুমা : আল-জানদাল এর শাসক উকায়দির-এর বিরুদ্ধে
খালিদ ইবন ওয়ালীদ (রা) এর অভিযান

ইবন ইসহাক (র) বলেন, তারপর রাসুলুল্লাহ (সা) খালিদ ইবনৃল ওয়ালীদ (রা)-কে তােক
পাঠালেন এবং তাকে উকায়দির ইবন মালিক-এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ
দিলেন ৷ সে হল কিনানা: গোত্রের সামন্ত রজাে উকায়দির ইবন আবদুল মালিক ৷ সে ছিল খৃস্ট
ধর্মানুসাবী ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) খালিদ (রা)-কে বলে দিয়েছিলেন যে, খো৷ ম্পো :১: ন্পু ঞা
তুমি তাকে ৰুনাে গরু শিকারে মগ্ন অবস্থায় পেয়ে যাবে ৷ খালিদ (রা) অভিযানে বেরিয়ে
পড়লেন এবং রাতের প্রথম প্রহরে দুর্গের দৃষ্টি সীমায় পৌছে গেলেন ৷ রাতটি ছিল প্রীল্মকালের
জোৎস্না রাত ৷ উকায়দির তার শ্ৰীকে নিয়ে প্রাসাদের ছাদে সান্ধ্য বিনোদন করছিলেন ৷ বুনো
পরুগুল্যে দুর্গ ৷;তারণে শিং ঘষছিল ৷ উকায়দির পত্নী স্বামীকে বলল, এমন মনােহর দৃশ্য কি
তুমি কখনো দেখেছ ? সে বলল, না ৷ আল্লাহ্র কলম! রানী বলল, (শিকারের) এমন সুবর্ণ
সুযোগ কি কেউ হেলায় হারায় ? রাজা বলল, €কউ না ৷ ’ তারপর নীচে নেমে এসে ঘোড়া
তৈরী করার হুকুম দিল ৷ ঘোড়ার জ্বিন পড়ানো হলে সে বেরিয়ে পড়ল ৷ সাথে ছিল পরিবারের


[بَعْثُهُ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى أُكَيْدِرِ دَوْمَةَ] قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَا خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ فَبَعَثَهُ إِلَى أُكَيْدِرِ دَوْمَةَ وَهُوَ أُكَيْدِرُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ ; رَجُلٌ مِنْ كِنْدَةَ، كَانَ مَلِكًا عَلَيْهَا، وَكَانَ نَصْرَانِيًّا، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِخَالِدٍ: " إِنَّكَ سَتَجِدُهُ يَصِيدُ الْبَقَرَ ". فَخَرَجَ خَالِدٌ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ حِصْنِهِ بِمَنْظَرِ الْعَيْنِ، وَفِي لَيْلَةٍ مُقْمِرَةٍ صَائِفَةٍ، وَهُوَ عَلَى سَطْحٍ لَهُ، وَمَعَهُ امْرَأَتُهُ، وَبَاتَتِ الْبَقَرُ تَحُكُّ بِقُرُونِهَا بَابَ الْقَصْرِ، فَقَالَتْ لَهُ امْرَأَتُهُ: هَلْ رَأَيْتَ مِثْلَ هَذَا قَطُّ؟ ! قَالَ لَا وَاللَّهِ! قَالَتْ: فَمَنْ يَتْرُكُ هَذَا؟ قَالَ: لَا أَحَدَ. فَنَزَلَ فَأَمَرَ بِفَرَسِهِ فَأُسْرِجَ لَهُ، وَرَكِبَ وَمَعَهُ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ، فِيهِمْ أَخٌ لَهُ يُقَالُ لَهُ: حَسَّانُ. فَرَكِبَ وَخَرَجُوا مَعَهُ بِمَطَارِدِهِمْ، فَلَمَّا خَرَجُوا تَلَقَّتْهُمْ خَيْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخَذَتْهُ وَقَتَلُوا أَخَاهُ، وَكَانَ عَلَيْهِ قَبَاءٌ مِنْ دِيبَاجٍ مُخَوَّصٍ بِالذَّهَبِ، فَاسْتَلَبَهُ خَالِدٌ فَبَعَثَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ قُدُومِهِ عَلَيْهِ. قَالَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: رَأَيْتُ قَبَاءَ أُكَيْدِرٍ حِينَ قُدِمَ بِهِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ الْمُسْلِمُونَ يَلْمِسُونَهُ بِأَيْدِيهِمْ وَيَتَعَجَّبُونَ مِنْهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَعْجَبُونَ مِنْ هَذَا؟ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَمَنَادِيلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فِي الْجَنَّةِ أَحْسَنُ مِنْ هَذَا» . . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ إِنَّ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ لَمَّا قَدِمَ بِأُكَيْدِرٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ
পৃষ্ঠা - ৩৬৪৭


একটি ক্ষুদে দল ৷ হাসসান নামে তার এক ভাই ঘোড়া নিয়ে ভাইয়ের সংগে বেরিয়ে পড়ল ৷
পরিবারের সদস্যরা শিকারের সড়কি বল্লম সাথে মিল ৷ কিছু দুর বেরিয়ে আসতেই নবী করীম
(না)-এর অশ্ববাহিনী তাদের পথ বোধ করে দাড়াল এবং উকায়দিরকে গ্রেফতার করল ও তার
৩াইধ্বক ২৩১ ৷ করল ৷ বপীর গায়ে ছিল স্বর্ণখচিত রেশ্ামের তৈরী একটি বহু মুল্য কাবা’ ৷
খালিদ (বা) তা গণীনত ও যুদ্ধ লব্ধ সম্পদ হিসাবে খুলে নিলেন এবং নিজের মদীনায় ফেরার
পুর্বেই তা রাসুলুল্লাহ (সা) এর খিদমতে পাঠিয়ে দিলেন ৷

বপনড়াকারী ইবন ইসহাক (র) বলেন, আসিন ইবন উমার ইবন কাতদাে আনড়াস ইবন
মালিক (রা) সুত্রে আমাকে বর্ণনা দিয়েছেন যে, তিনি বলেন, উকারদিরকে রাসুলুল্লাহ (সা) এর
কাছে নিয়ে আসার সময় কাবাটি আমি প্রত্যক্ষ করেছি ৷ মুসলমানগণ হাত দিয়ে তা স্পর্শ
করছিলেন আর তার কােমলতায় মুগ্ধ হচ্ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন,



া১১ এ প্রুা৷১র্ণী ব্লু১ ১পু৷ ধো ট্রম্০ শুরু ১; পুপ্লু১ক্রো :১,াব্লু র্ত্যন্াট্রুদ্বু প্রুম্রাড্রুদ্বু৷ ৷১১ এ : ব্লুন্াশ্ স্টুা৷

“ এতেই তোমরা হতবাক হচ্ছে৷ ! অথচ জান্নাতে সাদ ইবন মুআয (রা)-এর (হাত)
রুমালও এর চেয়ে উৎকৃষ্টতর ও অধিকতর মোলায়েম হবে ৷ ”

ইবন ইসহাক (র) বলেন, পরে খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রা) উকড়ায়দিভ্রুক নিয়ে রাসুলুল্লাহ
(সা)এৱ দরবারে হাযির হলে , তিনি তার জীবন রক্ষার ঘোষণা দিলেন এবং জিবৃরা আদায়ের
শর্তে সন্ধিবদ্ধ হলে তাকে মুক্ত করে দিলেন ৷ উকায়দির তার এলাকায় ফিরে গেল ৷ বনু তায়’
এর কবি বুজায়র ইবন বাজ্বরা: ঘটনাটি তার কবিতার ধরে রাখলেন,

এপ্লু :ম্রও

“মহীয়ড়ান সত্তুাষ্নীল গাভীগুলাের পরিচালনাকারী; আমি প্রত্যক্ষ করলাম যে, আল্লাহ্ প্রতিটি
অ্যাবর্তীর (বা নীল গাভীর পড়ালের সর্দার)-কে পথের দিশা দেন ৷ ”

এ তাবুক প্রধান (রাসুলুল্লাহ (সা))-এর প্ৰতি যার অনীহা থাকে, থাক; আমরা তো জিহড়াদ
করে যেতে আদিষ্ট হয়েছি (আমরা তা করেই যাব) ৷

রায়হার্কী (র) উল্লেখ করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এ কবির জন্য দৃআ করে বলেছিলেন-

“আল্লাহ্ তোমার র্দাতগুলো অটুট রাখুন” (অর্থাৎ (তড়ামাকে দীর্যাযু করুন এবং তোমার
ঘুখমণ্ডলের সজীবতা অক্ষুগ্ন রাখুন) ৷ ফলে তার বয়স সত্তর বছর পার হয়ে গেলেও তার
একটিও র্দাত নড়েনি ৷

ইবন লাহীআহ উরওয়াহ (র) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) তাবুক
থেকে ফেরার পুর্বক্ষণে চারশ’ বিশ জন সােড় নওয়াব দিয়ে খালিদ (রা)-কে দুমা:-র
উকায়দিরের বিরুদ্ধে অভিযানে পাঠালেন ৷ তারপর তিনি পুর্বোল্লিখিত বর্ণনার অনুরুপ বর্ণনা
দিয়েছেন ৷ তবে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, খালিদ (রা) কৌশল অবলম্বন করে তাকে দুর্গের
বাইরে আসতে বাধ্য করেছিলেন ৷ তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, খালিদ (রা) উকায়দি সহ
আটশ যুদ্ধবন্দী, এক হাজার উট, চারশ’ ধর্ম ও চারশ বলুন রাসুলুল্লাহ (না)-এর খিদমতে


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَقَنَ لَهُ دَمَهُ فَصَالَحَهُ عَلَى الْجِزْيَةِ، ثُمَّ خَلَّى سَبِيلَهُ، فَرَجَعَ إِلَى قَرْيَتِهِ، فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي طَيِّئٍ - يُقَالُ لَهُ: بُجَيْرُ بْنُ بَجْرَةَ - فِي ذَلِكَ: تَبَارَكَ سَائِقُ الْبَقَرَاتِ إِنِّي ... رَأَيْتُ اللَّهَ يَهْدِي كُلَّ هَادِ فَمَنْ يَكُ حَائِدًا عَنْ ذِي تَبُوكَ ... فَإِنَّا قَدْ أُمِرْنَا بِالْجِهَادِ وَقَدْ حَكَى الْبَيْهَقِيُّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِهَذَا الشَّاعِرِ: «لَا يَفْضُضِ اللَّهُ فَاكَ» . فَأَتَتْ عَلَيْهِ تِسْعُونَ سَنَةً مَا تَحَرَّكَ لَهُ فِيهَا ضِرْسٌ وَلَا سِنٌّ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ عَنْ عُرْوَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ خَالِدًا مَرْجِعَهُ مِنْ تَبُوكَ فِي أَرْبَعِمِائَةٍ وَعِشْرِينَ فَارِسًا إِلَى أُكَيْدِرِ دَوْمَةَ. فَذَكَرَ نَحْوَ مَا تَقَدَّمَ، إِلَّا أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّهُ مَاكَرَهُ حَتَّى أَنْزَلَهُ مِنَ الْحِصْنِ، وَذَكَرَ أَنَّهُ قَدِمَ مَعَ أُكَيْدِرٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَمَانُمِائَةٍ مِنَ السَّبْيِ، وَأَلْفُ بَعِيرٍ، وَأَرْبَعُمِائَةِ دِرْعٍ، وَأَرْبَعُمِائَةِ رُمْحٍ، وَذَكَرَ أَنَّهُ لَمَّا سَمِعَ عَظِيمُ أَيْلَةَ يُحَنَّةُ بْنُ رُؤْبَةَ بِقَضِيَّةِ أُكَيْدِرِ دَوْمَةَ أَقْبَلَ قَادِمًا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيُصَالِحَهُ، فَاجْتَمَعَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَبُوكَ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَوْسٍ عَنْ بِلَالِ بْنِ يَحْيَى أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ كَانَ عَلَى الْمُهَاجِرِينَ فِي غَزْوَةِ دُومَةِ الْجَنْدَلِ، وَخَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ عَلَى الْأَعْرَابِ فِي غَزْوَةِ دُومَةِ الْجَنْدَلِ. . فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৪৮


আল-ৰিদায়া ওয়ান নিহান্ধ্ণ্ইংৰু৪ ৪৩

পেশ করেছিলেন ৷ তার বর্ণনায় আরো রয়েছে যে, আয়লা প্রধান ইয়াহান্না ইবন রুবা

উকায়র্দিরের পর্বিণর্ডির কথা শুনে সব্ধিবদ্ধ হওয়ার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায়ই রাসুলুল্লাহ (সা)এর
দরবারে হাযির হয়েছিলেন ৷ ফলে তাকুক রাসুলুল্লাহ (না)-এর সযীপে তাদের দুজনের
একত্রিত আগমন ঘটেছিল ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

ইউনুস ইবন বুকায়র (র)বিলাল ইবন ইয়াহয়া (র) থেকে দুমাতুল জড়ানৃদাল অভিযানে
আবু বকর সিদ্দীক (রা) যুহাজিরদের সেনাপতি ছিলেন, আর খালিদ ইবনৃল ওয়ালীদ (রা)
যেদুইনদের দায়িত্বে ছিলেন ৷ অল্লোহ্ই সমধিক অবগত ৷

তাবুক থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন

ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) উনিশ রাতের মত (অর্থাৎ বিশ দিনের কম)
সময় তাবুকে অবস্থান করার পরে মদীনায় উদ্দেশ্যে ফিরতি সফর শুরু করলেন ৷ বর্ণনাকারী
বলেন, পথে ওয়াদি আল মুশাক্কাক নামক উপত্যকায় পাথর ফেটে নিপর্ত ক্ষীণ ধারার
প্রবহমান একটি ফোরারা ছিল ৷ যার পানি একজন দুজন কিৎবা তিনজন পথিকের পিপাসা
মেটাতে পারত ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন-

এ্যা১ প্রুও; এে ণ্াস্ মোঃ ওে ;গ্রো এ্যা১ নৌ ৷১ব্র ষ্ঠাং

“যারা ঐ ফোয়ারার কাছে আমাদের আগে পৌছবে, তারা আমাদের পৌছা পর্যন্ত তার পানি
একটুও তুলবে না ৷ ”

বর্পনাকারী বলেন, ঘুনাফিকদের একটি ছোট দল তার পুর্বে সেখানে পৌছে তার সব পানি
তুলে নিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) সেখানে পৌছে ফোয়ারার কাছে র্দাড়ালেন ৷ কিন্তু তাতে পানির
কোন চিহ্ন দেখতে না পেয়ে বললেন, এ ফোয়ারার কাছে আমাদের আগে কে পৌছেছে ?’
তাকে বলা হল, ইয়া রাসুলল্লোহ! অমুক অমুক ৷ তিনি বললেন, আমার আগমনের পুর্বে তার
পানি তুলতে আমি কি তাদের নিষেধ করিনি ? তখন তিনি তাদের অভিসম্পাদ দিলেন ও
তাদের জন্য বদদুআ করলেন ৷ তারপর সেখানে অবতরণ করে ক্ষীণ ধারাঢির কাছে হাত
রেখে আল্লাহ্ মালুম তিনি কি যেন তার হাতে ঢড়ালতে থাকলেন ৷ তারপর তা ধারামুখে ছিটিয়ে
দিলেন এবং ফোয়ারা মুখটি হাত দিয়ে মুছে দিলেন ৷ পরে দীর্ঘ সময় ধরে দুআ করলেন ৷
ফলে পাথর বিদীর্ণ করে পানি বেরুতে লাগল ৷ দর্শক শ্রোতাদের মনে হচ্ছিল, বড্রের গুমগুম
আওয়াঘের ন্যায় আওয়ড়ায করে পানি বেরিয়ে আসছে ৷ লোকেরা পানি পান করল এবং যার
যার প্রয়োজন মত তুলে রাখল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন

“এই ৰু^এ শ্যে ওে ৰু^ প্লোপৌএ এে-ন্গ্রা ধ্ট্টন্তপ্রু স্পো রুৰুং ত্রুংগু ষ্ঠাং ) ণ্ৰু:১ইষ্ এেগ্র
“ তোমরা অনেক দিন বেচে থাকলে কিৎবা (বর্ণনা সন্দেহ) তিনি বললেন, তোমাদের মাঝে

যারা অনেক দিন বেচে থাকবে তারা শুনতে পারে যে, এ পানির আশপাশে এ উপত্যকায় সবুজ
শ্য“ামলের সমারােহ ঘটছে ৷”

ইবন ইসহাক (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইবরাহীম ইবনৃল হারিছ আত-তায়ষী (র)
আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) সুত্রে বর্ণনা করতেন যে, মাঝ রাতে আমি জেগে উঠলাম, তখন


[إِقَامَةُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَبُوكَ] فَصْلٌ (إِقَامَةُ الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَبُوكَ) . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَأَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً بِتَبُوكَ لَمْ يُجَاوِزْهَا، ثُمَّ انْصَرَفَ قَافِلًا إِلَى الْمَدِينَةِ. قَالَ وَكَانَ فِي الطَّرِيقِ مَاءٌ يَخْرُجُ مِنْ وَشَلٍ، يَرْوِي الرَّاكِبَ وَالرَّاكِبَيْنِ وَالثَّلَاثَةَ، بِوَادٍ يُقَالُ لَهُ: وَادِي الْمُشَقَّقِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَبَقَنَا إِلَى ذَلِكَ الْمَاءِ فَلَا يَسْتَقِيَنَّ مِنْهُ شَيْئًا حَتَّى نَأْتِيَهُ ". قَالَ: فَسَبَقَهُ إِلَيْهِ نَفَرٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ فَاسْتَقَوْا مَا فِيهِ، فَلَمَّا أَتَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَفَ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرَ فِيهِ شَيْئًا فَقَالَ: " مَنْ سَبَقَنَا إِلَى هَذَا الْمَاءِ؟ " فَقِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ فُلَانٌ وَفُلَانٌ. فَقَالَ: " أَوَلَمْ أَنْهَهُمْ أَنْ يَسْتَقُوا مِنْهُ حَتَّى آتِيَهُ؟ " ثُمَّ لَعَنَهُمْ وَدَعَا عَلَيْهِمْ، ثُمَّ نَزَلَ فَوَضَعَ يَدَهُ تَحْتَ الْوَشَلِ، فَجَعَلَ يَصُبُّ فِي يَدِهِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَصُبَّ، ثُمَّ نَضَحَهُ بِهِ وَمَسَحَهُ بِيَدِهِ، وَدَعَا بِمَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدْعُوَ، فَانْخَرَقَ مِنَ الْمَاءِ - كَمَا يَقُولُ مَنْ سَمِعَهُ - مَا إِنَّ لَهُ حِسًّا كَحِسِّ الصَّوَاعِقِ، فَشَرِبَ النَّاسُ وَاسْتَقَوْا حَاجَتَهُمْ مِنْهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَئِنْ بَقِيتُمْ أَوْ مَنْ بَقِيَ مِنْكُمْ لَيَسْمَعَنَّ بِهَذَا الْوَادِي وَهُوَ أَخْصَبُ مَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَمَا خَلْفَهُ» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ كَانَ يُحَدِّثُ قَالَ: قُمْتُ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ وَأَنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، فَرَأَيْتُ شُعْلَةً مِنْ نَارٍ فِي نَاحِيَةِ الْعَسْكَرِ، فَاتَّبَعْتُهَا أَنْظُرُ إِلَيْهَا. قَالَ: فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَإِذَا عَبْدُ اللَّهِ ذُو الْبِجَادَيْنِ قَدْ مَاتَ وَإِذَا هُمْ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৪৯


রাসুলুল্লাহ (না)-এর সাথে তাবুক অভিযানে ছিলাম ৷ দেখলাম, বাহিনীর এক প্রান্তে একটি
আগুনের শিখা জ্বলছে ৷ সেটা কি তা দেখার জন্য আমি যে দিকে এগিয়ে গেলাম ৷ দেখি কি,
সেখানে রয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা), আবু বকর (রা) ও উমর (রা) ৷ আরো দেখলাম, যুল
বিজাদায়ন (দুই কম্বলওয়ালা) আব্দুল্লাহ ইনতিকাল করেছেন এবং তারা তার জন্য কবর খনন
করেছেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) কবরের মাঝে দাড়িয়ে আর আবু বকর ও উমর (রা) লাশ তার
দিকে এগিয়ে দিচ্ছেন ৷ তিনি তখন বলছিলেন, ণ্ওগ্র ছো ষ্া১১ৰু “তোমাদের ভাইকে আমার
কাছে এগিয়ে দাও ৷” র্তার৷ দু’জন লাশ কবরে নামিয়ে দিলেন ৷ তাকে কিবলামুথী করে শুইয়ে
দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন, নশ্; গ্রাএপ্লুএেন্ ধ্শ্; ৷ন্ৰু ::াগ্লু ধ্£১-হ্রমোঃষ্ ১ন্ষ্ শুা৷ ণ্শু-শ্রা ইয়া আল্লাহ !
আমি এ যাবত তার উপর তুষ্ট ছিলাম ৷ আপনিও তার উপর তুষ্ট হোন ৷ ” বর্ণনাকারী বলেন,
বর্ণনার এ পর্যায়ে ইবনু মাসউদ (বা) তার মনােবাঞ্চা প্রকাশ করে বলতেন, হায় আমি যদি এ
কবরের বাসিন্দা হতাম ৷ প্

ইবন হিশাম (র) বলেন, যুল ৰিজাদায়ন’ নামকরণের কারণ হল ইসলাম গ্রহণ করার পর
তিনি হিজরত করতে মনস্থ করলে তার গোত্র তাকে বাধা দিল এবং তার জন্য সংকট সৃষ্টি
করল ৷ এ সুযোগে তিনি বেরিয়ে পড়লেন ৷ তখন তার পারে একটি মোটা কম্বল ব্যতিরেকে
আর কোন বস্ত্র ছিল না ৷ তিনি সেটিকে দুই ভাগ করে এক অংশ দিয়ে লুৎগি রুপে পরলেন
এবং অপর অংশ চাদর রুপে গায়ে দিলেন ৷ এভাবে রাসুলুল্লাহ (না)-এর খিদমতে হাযির হলে
তার নাম পড়ে গেল যুল বিজাদায়ন-দুই কম্বলধারী ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, ইবনৃ শিহাব যুহরী (র) আবু রুহ্ম কুলছুম ইবনুল হুসায়ন
আল-গিফারী (রা) ইনি হ্পারধিয়ার নুষ্মন্ ৩লে বায়আত গ্রহণকারী সাহাবীগণের অন্যতম ৷
তিনি বলতেন, তাবুক অভিযানে আমি রাসুলুল্লাহ (সা)এর সাথে ছিলাম ৷ এক রাতে আমি
তার সহ্যাত্রী হলাম ৷ তখন আমরা অড়াখমার অঞ্চলে সফর করছিলাম ৷ আমার ভীষণ তন্দ্রা
পেল ৷ আমি সযত্নে জাগ্রত থাকার প্রয়াস পাচ্ছিলাম ৷ কেননা, আমার বাহন নবী করীম (সা)-
এর বাহনের পাশাপাশি চলছিল ৷ আর এ নিবল্টবর্তী অবস্থানের কারণে পা-দনীিতে তার পায়ের
সাথে আমার ছেড়ায়া লেগে যাওয়ার আশংকা ছিল ৷ তাই আমি আমার বাহনটি সতর্ক নিয়ন্ত্রণে
রেখে চলছিলাম ৷ কিন্তু পথিমধ্যে একসময় নিদ্রা আমাকে পরাভুত করে ফেললে আমার বাহন
তার বাহনকে ধাক্কা দিল এবং পাদানীতে তার পায়ের উপর চাপ লাগল ৷ তখন তার ইস’
আওয়ড়াজে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল ৷ আমি বললাম , ইয়া রাসুলাল্লাহ৷ আমার জন্য ইসতিগফার
করুন ৷ তিনি বললেন, এগিয়ে চল ৷

তারপর তিনি তাবুক অভিযান থেকে পশ্চাতে অবস্থানকারীদের গিফার গোত্রের লোকদের
সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে লাগলেন এবং আমি তাকে সে বিষয়ে বলতে থাকলাম ৷ এক
পর্যায়ে তিনি আমাকে বললেন-

ণ্শুণ্ঠফুট্রু১ধ্স্ ধো
“লাল বর্ণের চেহড়ারায় দীর্ঘকড়ার মড়াকুন্দ লোকদের খবর কি ? আমি তাদের পিছিয়ে থাকার
বিষয় র্তাকে বর্ণনা করলাম ৷




قَدْ حَفَرُوا لَهُ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حُفْرَتِهِ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ يُدَلِّيَانِهِ إِلَيْهِ، وَإِذَا هُوَ يَقُولُ: " أَدْنِيَا إِلَيَّ أَخَاكَمَا ". فَدَلَّيَاهُ إِلَيْهِ، فَلَمَّا هَيَّأَهُ لِشِقِّهِ قَالَ: «اللَّهُمَّ إِنِّي قَدْ أَمْسَيْتُ رَاضِيًا عَنْهُ فَارْضَ عَنْهُ» . قَالَ: يَقُولُ ابْنُ مَسْعُودٍ: يَا لَيْتَنِي كُنْتُ صَاحِبَ الْحُفْرَةِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ إِنَّمَا سُمِّيَ ذَا الْبِجَادَيْنِ ; لِأَنَّهُ كَانَ يُرِيدُ الْإِسْلَامَ، فَمَنَعَهُ قَوْمُهُ وَضَيَّقُوا عَلَيْهِ، حَتَّى خَرَجَ مِنْ بَيْنِهِمْ وَلَيْسَ عَلَيْهِ إِلَّا بِجَادٌ، وَهُوَ الْكِسَاءُ الْغَلِيظُ فَشَقَّهُ بِاثْنَتَيْنِ، فَائْتَزَرَ بِوَاحِدَةٍ وَارْتَدَى بِالْأُخْرَى، ثُمَّ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسُمِّيَ ذُو الْبِجَادَيْنِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَذَكَرَ ابْنُ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ عَنِ ابْنِ أُكَيْمَةَ اللَّيْثِيِّ عَنِ ابْنِ أَخِي أَبِي رُهْمٍ الْغِفَارِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا رُهْمٍ كُلْثُومَ بْنَ الْحُصَيْنِ وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ يَقُولُ: «غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ تَبُوكَ، فَسِرْتُ ذَاتَ لَيْلَةٍ مَعَهُ وَنَحْنُ بِالْأَخْضَرِ، وَأَلْقَى اللَّهُ عَلَيَّ النُّعَاسَ، فَطَفِقْتُ أَسْتَيْقِظُ وَقَدْ دَنَتْ رَاحِلَتِي مِنْ رَاحِلَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيُفْزِعُنِي دُنُوُّهَا مِنْهُ ; مَخَافَةَ أَنْ أُصِيبَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ فَطَفِقْتُ أَحُوزُ رَاحِلَتِي عَنْهُ حَتَّى غَلَبَتْنِي عَيْنِي فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ فَزَاحَمَتْ رَاحِلَتِي رَاحِلَتَهُ وَرِجْلُهُ فِي الْغَرْزِ، فَلَمْ أَسْتَيْقِظْ إِلَّا بِقَوْلِهِ: " حَسِّ ". فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتَغْفِرْ لِي. قَالَ: " سِرْ ". فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُنِي
পৃষ্ঠা - ৩৬৫০


তিনি আবার ৷শুগু “ক্ষুদে কােকড়ানাে চুল কালো
লোকদের খবর কি ? আমি বললাম, আল্লাহর কলম! আমাদের মাঝে এ ধরনের লোকদের
পরিচয়-অবস্থিতি তাে আমার জানা নেই ৷ তিনি বললেন, ৰু১ট্রুণ্ প্াহ্র;৷ ণ্;;১ ণ্প্লুপু স্লে১া ৰু ,১প্রু
“নিশ্চয়ই আছে ৷ শাবাকাসাদাখ কুয়াের এলাকায় যারা পশু চরায় ৷ ” আমি তখন গিফাবীদের
মাঝে তাদের অবস্থান স্মরণ করার চেষ্টা করে প্রথমে ব্যর্থ হলাম ৷ কিন্তু তখনই আবার আমার
মনে পড়ল যে, ওরা তো আসলাম গোত্রের একটি শাখা ৷ যারা আমাদের (পিফারীদের) সাথে
মিত্রতা বদ্ধ ৷ তখন আমি বললাম, হা, ইয়৷ রাসুলাল্লাহ৷ ওরা আনলামীদের একটি শাখা গোত্র ৷
আমাদের সাথে মিত্রতাবদ্ধ ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) বললেন, “তাদের উটপালের মধ্য হতে একটি
উটের পিঠে একজন স্বতং র্ত মুজাহিদকে আল্লাহর রাস্তায় পাঠিয়ে দিতে কোন জিনিস
তাদেরকে বিরত রাখল ? আমার আপন জ্যাদর মাঝে যাদের পশ্চ৷ ৷তবর্তিতা আমার জন্য
অধিকতর পীড়াদায়ক-ত ৷র৷ হল যুহাজির আনসার গিফার ও আসলাম গোত্রের লোকজন ৷

ইবনৃ লাহী আ (র) ফরওয়াহ্ ইবনুবৃ ৰুবারর (র) থেকে বর্ণনা করেন ৷ কারণ, বাসুলুল্লাহ
(সা) তাবুক থেকে মদীনায় উদ্দেশ্যে জ্যিতি সফরে রওয়ানা করলেন ৷ য়ুনাফিকদের একটি দল
পথে অবস্থিত কোন গিরিপথে তার উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে তাকে খঃাদে ফেলে দেওয়ার
চক্রাত করল ৷ তিনি তাদের এ অ্যাংর খবর পেয়ে গেলেন ৷ তাই তিনি মুল বাহিনীকে
সমতলের পথ ধরে চলার হুকুম দিয়ে নিজে পাহাড়ী পথ অবলম্বন করলেন ৷ ষড়যন্ত্রকারীরাও
মুখােশাবৃত হয়ে তার সাথে পাহাড়ী পথ ধ্রল ৷ রাসৃলুল্লাহ (সা) আম্মার ইবন ইয়াসির (বা) ও
হুযায়ফা ইবনৃল ইয়ামান (রা)-কে তীর সাথে পায়ে হেটে স্কোর হুকুম দিলেন ৷ আম্মার (বা) তার
বাহনের লাগাম হাতে এবং হষায়ফ্৷ (বা) পিছন থেকে উট ছুাকাতে হীকাতে চলতে লাগলেন ৷
চলতে চলতে রাংতঃ আধারে র্তীরা নিকটেই ঢক্রাম্ভকারীদের কােলাহল শুনতে পেলেন ৷
রাসুলুল্লাহ (সা) এর মেযাজে বিরক্তি ও অসন্তুষ্টি দেখা দিল ৷ হুযায়ফা (রা)৩ তা উপলব্ধি করে
পিছনে ফিরে কে ৷৷লাহলক ৷রীদের কাছে পৌছলেন ৷ তখন তার হাতে ছিল একটি ণ্ক ৷কড়া মাথা
লাঠি ৷ তিনি ওদের বাহনওলির মাথায় তার লাঠি ঠুকতে লাগলেন ৷ হুযায়ফা (বা) কে দেখে
তাদের ধারণা হল যে, ৷ ও তা দেব ৩য়ং কর য়৬য়প্রের কথা জেনে ফেলেছেন ৷ তাই৩ ৷র৷ দ্রুত
হটে গিয়ে মুল বাহিনীর সাথে মিশে গেল ৷ হুযায়ফা (বা) এগিয়ে এসে রাসুলুল্লাহ ( সা)-এর সাথে
মিলিত হলেন ৷ তিনি দ্রুত চলার হুকুম দিলে তারা দ্রুতগতিতে গিরিপথটি অতিক্রম করে
সমতলের লোকদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) হুযায়ফা (বা) কে
বললেন, ঐ লোকগুলিকে তুমি চিনতে পেরেছ ? তিনি বললেন, রাতের আমারে ওদের বাহনওলি
ছাড়া কাে ন বা৷ওনক ৷ ৷>নরু৩ পাব৷ আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি ৷ ৩ারপর ৷ ৩ ৷ ন বলণেন, €তষ্মেরা
দুজন এই দলটির ব্যাপারে জা ন কি ? তারা বললেন, ত্মী ন৷ ৷ তখন তিনি তার উপরে তাদের
আক্রমণের চক্রাস্তের কথা এ দু জনকে অবহিত করলেন এবং৩ তাদের নাম ব্যক্ত করে তাদের
দুজনকে তা গোপন রাখতে বললেন ৷ ৩ার৷ বল ণে ন ইয়৷ রাসুলাল্লাহভ্র আপনি কি তাদের কভ্রল
করার হুকুম দেবেন ন৷ ? তিনি বললেন,












عَمَّنْ تَخَلَّفَ عَنْهُ مِنْ بَنِي غِفَارٍ، فَأُخْبِرُهُ بِهِ، فَقَالَ وَهُوَ يَسْأَلُنِي: " مَا فَعَلَ النَّفَرُ الْحُمْرُ الطِّوَالُ الثِّطَاطُ الَّذِينَ لَا شَعْرَ فِي وُجُوهِهِمْ؟ " فَحَدَّثْتُهُ بِتَخَلُّفِهِمْ قَالَ: " فَمَا فَعَلَ النَّفَرُ السُّودُ الْجِعَادُ الْقِصَارُ؟ " قَالَ: قُلْتُ: وَاللَّهِ مَا أَعْرِفُ هَؤُلَاءِ مِنَّا. قَالَ: " بَلَى، الَّذِينَ لَهُمْ نَعَمٌ بِشَبَكَةِ شَدَخٍ ". فَتَذَكَّرْتُهُمْ فِي بَنِي غِفَارٍ، فَلَمْ أَذْكُرْهُمْ، حَتَّى ذَكَرْتُ أَنَّهُمْ رَهْطٌ مِنْ أَسْلَمَ كَانُوا حُلَفَاءَ فِينَا، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أُولَئِكَ رَهْطٌ مِنْ أَسْلَمَ حُلَفَاءُ فِينَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَا مَنَعَ أَحَدَ أُولَئِكَ حِينَ تَخَلَّفَ أَنْ يَحْمِلَ عَلَى بَعِيرٍ مِنْ إِبِلِهِ امْرَأً نَشِيطًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ؟ إِنَّ أَعَزَّ أَهْلِي عَلَيَّ أَنْ يَتَخَلَّفَ عَنِّي ; الْمُهَاجِرُونَ وَالْأَنْصَارُ وَغِفَارٌ وَأَسْلَمُ» . . وَقَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ أَبِي الْأَسْوَدِ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ: لَمَّا قَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ تَبُوكَ إِلَى الْمَدِينَةِ، هَمَّ جَمَاعَةٌ مِنَ الْمُنَافِقِينَ بِالْفَتْكِ بِهِ، وَأَنْ يَطْرَحُوهُ مِنْ رَأْسِ عَقَبَةٍ فِي الطَّرِيقِ، فَأُخْبِرَ بِخَبَرِهِمْ، فَأَمَرَ النَّاسَ بِالْمَسِيرِ مِنَ الْوَادِي، وَصَعِدَ هُوَ الْعَقَبَةَ، وَسَلَكَهَا مَعَهُ أُولَئِكَ النَّفَرُ وَقَدْ تَلَثَّمُوا، وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ وَحُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ أَنْ يَمْشِيَا مَعَهُ عَمَّارٌ آخِذٌ بِزِمَامِ النَّاقَةِ وَحُذَيْفَةُ يَسُوقُهَا، فَبَيْنَمَا هُمْ يَسِيرُونَ إِذْ سَمِعُوا بِالْقَوْمِ قَدْ غَشُوهُمْ، فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَبْصَرَ حُذَيْفَةُ غَضَبَهُ، فَرَجَعَ إِلَيْهِمْ وَمَعَهُ مِحْجَنٌ، فَاسْتَقْبَلَ وَجُوهَ رَوَاحِلِهِمْ بِمِحْجَنِهِ، فَلَمَّا رَأَوْا حُذَيْفَةَ ظَنُّوا أَنْ قَدْ أُظْهِرَ عَلَى مَا أَضْمَرُوهُ مِنَ الْأَمْرِ الْعَظِيمِ، فَأَسْرَعُوا حَتَّى خَالَطُوا النَّاسَ، وَأَقْبَلَ حُذَيْفَةُ حَتَّى أَدْرَكَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৫১


মুহাম্মদ (সা) তার সহচরদের হত্যা করে’ এমন কথা লোকেরা রলড়াবলি করুক তা আমি
পসন্দ করি না ৷ ’

ইবনু ইসহাক (র) এ ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তার বর্ণনায় রয়েছে যে, নবী করীম
(সা) শুধু হুযায়ফা ইবনুল য়ামান (বা) কেই তাদের নড়াম-ধাম জানিয়ে দিয়েছিলেন এবং এটাই
অধিকতর যুক্তি সংগত ৷ আল্লাহই সর্বজ্বধিক অবগত৷ ’

আবুদ দারদা (রা) এর একটি উক্তিও এ বক্তব্য সমর্থন করে ৷ কেননা, কোনও প্রসং গে
তিনি ইবনু মাসউদ (রা) এর সাগিরদ আলকামা (র) কে বলেছিলেন-“তোমাদের মাঝে
অর্থাৎ কুফাবাসীদের মাঝে কি রাসুল (সা) এ র দি ণ্৷ র ৷ ৫৩ র লহা>র ইবণু মাসউদ (রা) নেই ?
তোমাদের মাঝে কি রাসুল (সা) এর রহস্যের ধারক-যা একমাত্র সে ব্যতিরেকে আর কেউ
জড়ানেনন্, অর্থাৎ হুযারফা (রা) যেই? তোমাদের মাঝে কি সেই ব্যক্তি যেই যাকে আল্লাহ
পাক মুহাম্মদ ( না) এর জবানীতে শ দ্বয়৩ ড়ান থেকে পড়ানড়াহ দিয়েছেন অর্থাৎ আত্মার (রা) ষ্
এছাড়া আমরা আযীরুল মু ’মিনড়ান উমর (রা) থেকেও এরুপ ৰিওয়ায়াত বর্ণনা করছি যে,
তিনি হুযায়ফা (রা) কে বলেছিলেন, “ তোমাকে আল্লাহর নামে কসম দিয়ে বলছি, আমার
নাম কি তাদের মাঝে রয়েছে ?” তিনি বললেন, জী না ৷ তবে আপনি ব্যতীত আর কাউকে
সম্ভাব্য অভিযোগ থেকে মুক্ত ঘোষণা করব না ৷ (অর্থাৎ আর কেউ এভাবে জিজ্ঞাসা করলে তাকে
হী বা না জবাব দিব না ৷ যাতে প্রকারান্তরে রাসুল (না)-এর রহস্য ফীস না হয়ে
যায় ৷ অনুরাদক) ৷

আমার মতে তাদের স০ খ্যা ছিল চৌদ্দ জন ৷ তবে কেউ কেউ বলেছেন বারো জন ৷ ইবনু
ইসহাক (র) বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা) হুযায়ফা (রা) কে৩ তাদের কাছে পাঠালে
তিনি তাদেরকে তার কাছে সমবেত করলেন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ (সা) তাদেরকে তাদের
কর্মকাণ্ড ও তার বিরুদ্ধে তাদের চক্রান্তের কথা অবহিত করলেন ৷ এ পর্যায়ে ইবনু ইসহড়াক
(র) তাদের নামের পুর্ণাঙ্গ তালিকা পেশ করে মন্তব্য করেছেন যে, এদের সম্বন্ধেই মহীয়ানঃ
পরীয়ান আল্লাহ নাযিল করলেন, গ্রাপ্লু ণ্ষ্ ঙ্ঘ স্পেঙু “তারা বা সংকল্প করেছিল তা করতে
পারে নি (৯ : ৭৪) ৷

রায়হাকী (র) বর্ণনা করেছেন, মুহাম্মদ ইবন মাসলামড়া (র) হুযায়ফা ইবনৃল য়ামান (বা)
থেকে-তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না)-এর বাহন উটনীর লাপাম ধরে তার আগে আগে
চলছিলাম ৷ আর আম্মার (রা) পিছন থেকে উট হাকাচ্ছিলেন ৷ কিৎবা আমি পিছন থেকে
হাকাচ্ছিলাম আর আত্মার (বা) তার আগে আগে লাপাম টেনে চলছিলেন ৷ আমরা পাহা,
মাটির কাছাকাছি পৌছলে বারো জন আরোহীকে তার পথ বোধ করে দাড়িয়ে থাকতে
দেখলাম ৷ বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (না) এর মনোযোগ আকর্ষণ করলাম ৷ তিনি
তাদেরকে চ্যালেঞ্চ করলে তারা পালিয়ে পা ঢাকা দিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদেরকে বললেন,
লোকগুলিকে তোমরা চিনতে পােরছ ? আমরা বললাম, জী না, ইয়া রড়াসুলাল্লাহা তারা তো
মুখোশাবৃত ছিল ৷ তবে আমরা তাদের রাহনগুলো চিনতে পেরেছি ৷ তিনি বললেন,





১ এ ধরনের গোপন বিষয়াদি একমাত্র হুযায়ফা (বা) র কাছেই সং রক্ষিত থাকত ৷-ন্ অনুবাদক


رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَمَرَهُمَا فَأَسْرَعَا حَتَّى قَطَعُوا الْعَقَبَةَ، وَوَقَفُوا يَنْتَظِرُونَ النَّاسَ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُذَيْفَةَ: " هَلْ عَرَفْتَ هَؤُلَاءِ الْقَوْمَ؟ " قَالَ: مَا عَرَفْتُ إِلَّا رَوَاحِلَهُمْ فِي ظُلْمَةِ اللَّيْلِ حِينَ غَشِيتُهُمْ. ثُمَّ قَالَ: " عَلِمْتُمَا مَا كَانَ مِنْ شَأْنِ هَؤُلَاءِ الرَّكْبِ؟ " قَالَا: لَا. فَأَخْبَرَهُمَا بِمَا كَانُوا تَمَالَئُوا عَلَيْهِ، وَسَمَّاهُمْ لَهُمَا وَاسْتَكْتَمَهُمَا ذَلِكَ فَقَالَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَفَلَا تَأْمُرُ بِقَتْلِهِمْ؟ فَقَالَ: " أَكْرَهُ أَنْ يَتَحَدَّثَ النَّاسُ أَنَّ مُحَمَّدًا يَقْتُلُ أَصْحَابَهُ ". . وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ هَذِهِ الْقِصَّةَ، إِلَّا أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا أَعْلَمَ بِأَسْمَائِهِمْ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ وَحْدَهُ، وَهَذَا هُوَ الْأَشْبَهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَيَشْهَدُ لَهُ قَوْلُ أَبِي الدَّرْدَاءِ لِعَلْقَمَةَ صَاحِبِ ابْنِ مَسْعُودٍ: أَلَيْسَ فِيكُمْ - يَعْنِي أَهْلَ الْكُوفَةِ - صَاحِبُ السَّوَادِ وَالْوِسَادِ؟ - يَعْنِي ابْنَ مَسْعُودٍ - أَلَيْسَ فِيكُمْ صَاحِبُ السِّرِّ الَّذِي لَا يَعْلَمُهُ غَيْرُهُ؟ - يَعْنِي حُذَيْفَةَ - أَلَيْسَ فِيكُمُ الَّذِي أَجَارَهُ اللَّهُ مِنَ الشَّيْطَانِ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ - يَعْنِي عَمَّارًا. وَرَوَيْنَا عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ لِحُذَيْفَةَ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ بِاللَّهِ أَنَا مِنْهُمْ؟ قَالَ: لَا وَلَا أُبَرِّئُ بَعْدَكَ أَحَدًا. يَعْنِي حَتَّى لَا يَكُونَ مُفْشِيًا سِرَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قُلْتُ: وَقَدْ كَانُوا أَرْبَعَةَ عَشَرَ رَجُلًا وَقِيلَ: كَانُوا اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ إِلَيْهِمْ حُذَيْفَةَ بْنَ الْيَمَانِ فَجَمَعَهُمْ لَهُ فَأَخْبَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ وَبِمَا تَمَالَئُوا عَلَيْهِ. ثُمَّ سَرَدَ ابْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৬৫২


দ্বু১ধ্এৰু ৬; ৰু )দ্বুগ্লু১ম্র ; ১দ্বু ড়ু০ট্রু প্রুব্রএ ণ্দ্বুৰু ষ্ এ এগ্লুট্রষ্ট্রক্রোক্ট প্শ্বটু১
“এরা কিয়ামত পর্যন্ত চলমান মুনাফিক পােষ্ঠির অন্তর্ভুক্ত ৰু আর ওদের সংকল্পের কথা কি
তোমরা অনুধাবণ করেছ ?
আমরা বললড়াম ,জী না ৷ তিনি বললেন,
ৰু€-ৰু^ ংএঘ্রন্ন্নী ক্রোন্ é ত্রা এস্পেএ ধ্,?ন্ং১এপ্লু ঠো fi)
“তাদের ইচ্ছা ছিল গিরিপখে আল্লাহর রাসুলকে আক্রমণ করে তাকে সেখানে ফেলে
দেওয়া ৷ ”
আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি তাদের গোত্রের কাছে কেন করমানঃ পাঠাচ্ছেন না,
যাতে করে প্রতি গোত্র তাদের অভিযুক্ত ব্যক্তির ছিন্ন মস্তক আপনার কাছে পাঠিয়ে দেয় ? তিনি
বললেন-

ন্টিংব্লুওণ্১

আরবরা পরস্পরে এমন কথা বলাবলি করবে যে, মুহাম্মদ তার দলের সহায়তায় লড়াই
করে করে অবশেষে আল্লাহ তাকে বিজয়ী করলে তাদের বিপক্ষে হত্যাযজ্ঞ চালাতে শুরু
করেছে ৷ তা আমি পসন্দ করি না ৷ ” তারপর বললেন, ন্এএএ fl; ণ্শুশু ণ্পৌ ইয়া আল্লাহ !
তাদের পায়ে দৃবায়লা নিক্ষেপ করুন ৷ আমরা বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! দুবায়লা কি ? তিনি
বললেন-

চুে০ি
“তা হল অজােনর শিষ্য, যা তাদের প্রত্যঙ্গের মর্মমুলে মৃত্যুবান রুপে আঘাত হানরে, তাতে
সে হলোক হার যাবে ৷

সাহীহ মুসলিমে রয়েছে শুবা (র)কায়স ইবন উবাদা (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, আমি আত্মার (রা)কে বললাম, আচ্ছা, আলী (রা) এর ব্যাপারে আপনারা যে কর্মপন্থা
অনুসরণ করলেন, বলুন তো, তা কি আপনাদের নিজস্ব (ইজতিহাদী) অভিমত ছিল, নাকি
এমন কোন বিষয় ছিল যার অংগীকার আল্লাহর রাসুল (না) আপনাদের কাছ থেকে নিয়েছিলেন
? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসুল (না) আমাদের নিকট থেকে এমন কোন বিষয় অংপীকার নেন
নি, যা আপামর মুসলিম জনতার কাছ থেকে যেন নি ৷ তবে হুযায়ফা (রা) রাসুলুল্লাহ (না)
থেকে আমাকে খবর দিয়েছেন যে, তিনি বলেছেন,
স্পে é হে^১ত্রী হ্রএগু ৰুভ্রুন্-’১ ন্-ইছা ওেগ্রী১ং-? >? গ্রাৰুষ্ংৰু’ ণ্€ট্টগ্রা এে ষ্-ং এ^ৰুৰুণ্শ্ শ্রো ষ্-হুৰু১এেন্ ত্এ



“আমার আলহড়ারের মাঝে এমন বার জন ঘুনাফিক রয়েছে, যাদের আট জন ততক্ষণ পর্যন্ত
জাপ্লাওে প্ররেশ করতে পারবে না ৷ যতক্ষণ না কোন উট সুইয়ের ছিদ্র দিয়ে প্ৰৰিষ্ট হয় ৷ ”

কাতাদা (র) থেকে অন্য একটি সুত্রের রিওয়ায়াতে রয়েছে ; আমড়ার উম্মতের মাঝে বার
জন যুনাফিক রয়েছে, যারা সুইয়ের ছিদ্র দিয়ে প্ৰবিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত জান্নড়াতে প্রবেশ করবেঃ

ণোণোণো (হ্র ৷ ড়াব্র ওে দো : ৫০ তো



إِسْحَاقَ أَسْمَاءَهُمْ، قَالَ: وَفِيهِمْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَهَمُّوا بِمَا لَمْ يَنَالُوا} [التوبة: 74] (التَّوْبَةِ: 74) . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ مُحَمَّدِ بْنِ سَلَمَةَ عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ قَالَ: «كُنْتُ آخِذًا بِخِطَامِ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقُودُ بِهِ وَعَمَّارٌ يَسُوقُ النَّاقَةَ - أَوْ أَنَا أَسُوقُ وَعَمَّارٌ يَقُودُ بِهِ - حَتَّى إِذَا كُنَّا بِالْعَقَبَةِ إِذَا أَنَا بِاثْنَيْ عَشَرَ رَاكِبًا قَدِ اعْتَرَضُوهُ فِيهَا. قَالَ: فَأَنْبَهْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَرَخَ بِهِمْ فَوَلَّوْا مُدْبِرِينَ، فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " هَلْ عَرَفْتُمُ الْقَوْمَ؟ ". قُلْنَا: لَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ كَانُوا مُتَلَثِّمِينَ، وَلَكِنَّا قَدْ عَرَفْنَا الرِّكَابَ. قَالَ: " هَؤُلَاءِ الْمُنَافِقُونَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهَلْ تَدْرُونَ مَا أَرَادُوا؟ ". قُلْنَا: لَا. قَالَ: " أَرَادُوا أَنْ يَزْحَمُوا رَسُولَ اللَّهِ فِي الْعَقَبَةِ فَيُلْقُوهُ مِنْهَا ". قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَوَ لَا تَبْعَثُ إِلَى عَشَائِرِهِمْ حَتَّى يَبْعَثَ إِلَيْكَ كُلُّ قَوْمٍ بِرَأْسِ صَاحِبِهِمْ؟ قَالَ: " لَا، أَكْرَهُ أَنْ تُحَدِّثَ الْعَرَبُ بَيْنَهَا أَنَّ مُحَمَّدًا قَاتَلَ بِقَوْمٍ، حَتَّى إِذَا أَظْهَرَهُ اللَّهُ بِهِمْ أَقْبَلَ عَلَيْهِمْ يَقْتُلُهُمْ ". ثُمَّ قَالَ: " اللَّهُمَّ ارْمِهِمْ بِالدُّبَيْلَةِ ". قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَا الدُّبَيْلَةُ؟ قَالَ: " شِهَابٌ مِنْ نَارٍ يَقَعُ عَلَى نِيَاطِ قَلْبِ أَحَدِهِمْ فَيَهْلِكُ» . .
পৃষ্ঠা - ৩৬৫৩
وَفِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ طَرِيقِ شُعْبَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ قَيْسِ بْنِ عَبَّادٍ قَالَ: قُلْتُ لِعَمَّارٍ: أَرَأَيْتُمْ صَنِيعَكُمْ هَذَا فِيمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ عَلِيٍّ ; أَرَأْيًا رَأَيْتُمُوهُ أَمْ شَيْئًا عَهِدَهُ إِلَيْكُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: مَا عَهِدَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا لَمْ يَعْهَدْهُ إِلَى النَّاسِ كَافَّةً، وَلَكِنْ حُذَيْفَةُ أَخْبَرَنِي عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «فِي أَصْحَابِي اثَنَا عَشَرَ مُنَافِقًا، مِنْهُمْ ثَمَانِيَةٌ لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ» . وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ عَنْ قَتَادَةَ: «إِنَّ فِي أُمَّتِي اثْنَيْ عَشَرَ مُنَافِقًا لَا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى يَلِجَ الْجَمَلُ فِي سَمِّ الْخِيَاطِ، ثَمَانِيَةٌ مِنْهُمْ تَكْفِيكَهُمُ الدُّبَيْلَةُ ; سِرَاجٌ مِنَ النَّارِ يَظْهَرُ بَيْنَ أَكْتَافِهِمْ حَتَّى يَنْجُمَ مِنْ صُدُورِهِمْ» . . قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَرَوَيْنَا عَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّهُمْ كَانُوا أَرْبَعَةَ عَشَرَ، أَوْ خَمْسَةَ عَشَرَ، وَأَشْهَدُ بِاللَّهِ أَنَّ اثْنَيْ عَشَرَ مِنْهُمْ حَرْبٌ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ، وَعَذَرَ ثَلَاثَةً أَنَّهُمْ قَالُوا: مَا سَمِعْنَا الْمُنَادِي وَلَا عَلِمْنَا بِمَا أَرَادَ. وَهَذَا الْحَدِيثُ قَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ فِي " مُسْنَدِهِ " قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ - هُوَ ابْنُ هَارُونَ - أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جُمَيْعٍ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ: «لَمَّا أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخِذٌ بِالْعَقَبَةِ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৫৪


০ : ৷৷ওে fl ই$

৪৮ আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া

ন৷ ৷” তাদের মাঝে আট জনের জন্য দৃবায়লা ই যথেষ্ট হয়ে, তা হল আগুনের শিখা, যা
তাদের স্কন্ধ সন্ধি দিয়ে ঢুকে বুক ফুড়ে (বর হয়ে ৷ ”

হাফিজ বায়হাকী (র) বলেন, হুযায়ফা (রা) থেকে আমরা এরুপ রিওয়ারাত ও পেয়েছি যে,
তারা ছিল চৌদ্দ জন কিৎব৷ পনের জন ৷ আর আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি যে,
তাদের মাঝে বার জন ইহকাল ও পরকালে আল্লাহ এবং তীর রাসুলের সাথে যুদ্ধ ঘোবণাকায়ী
সাব্যস্ত হয়ে ৷ অবশিষ্ট তিন জনের ওয়র কবুল করা হয়েছে ৷ কেননা,৩ তারা বলেছিলেন যে,
আমরা ঘোবকের ঘোষণা শুনতে পাইনি এবং নবী করীম (সা) এর ইচ্ছা সম্পর্কেও আমরা
জানতাম না ৷ ইমাম আহমাদ (র)৩ তার ঘুসনাদ গ্রন্থে এ হাদীলটি রিওরায়াত করেছেন ৷

ইয়াযীদ ইবন হারুন (র) আবৃ৩ তুফায়ল (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন,
রাস্ফুপুল্লাহ (সা) তাবুক থেকে প্রত্যাবর্তন কালে একজন ঘোষককে হুকুম দিলে সে এরুপ
ঘোষণা দিল “র ৷ সুলুল্লাহ্ (সা) পাহাড়ী পথ ধরে চলবেন, সৃতরাৎ অন্য কেউ সে পথে যাবে
না ৷ পরে যখন হুযায়ফা (রা) সামনে থেকে রাসুলের বাহন টেনে নিচ্ছিলেন আর আত্মার (রা)
পিছন থেকে হাকিয়ে নিচ্ছিলেন, তখন একদল মুখোশধাবী লোক দ্রুত গতিতে এগিয়ে এলে
অন্মোর (রা)শ্ কে ঘিরে ফেলল ৷ আত্মার (রা) ঘুরে দাড়িয়ে বাহনগুলোর মুখে আঘাত করতে
লাগলেন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) হুযায়ফা (রা)কে বললেন, হয়েছে, হয়েছে, চল এবং রাসুলুল্লাহ
(সা) উপত্যকা থেকে সমতলে অবতরণ করলেন ৷ ততক্ষণ আত্মার (রা) ফিরে এলে তিনি
বললেন, ও আত্মার! তুমি লোকগুলোকে চিনতে পেয়েছি কি ?’ তিনি বললেন, প্রায় সব কটি
বাহন আমি চিনেছি, কিন্তু আরােহীরা ছিল যুখেশোবৃত৷ ৷তিনি বললেন, ওদের উদ্দেশ্য কি ছিল,
তা কি তুমি জান ? তিনি বললেন, আল্লাহ এবং তার রাসুলই সর্বাধিক অবগত ৩৷ তিনি বললেন,
তাদে র উদ্দেশ্য ছিল আল্লাহর রাসুলকে আক্রমণ করে তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়া ৷ বচ্নািকারী
বলেন, এ বর্ণনা প্রসংগে একবার আত্মার (রা) নবী কয়ীম (সা) এর একজন সাহাবীর সাথে
কানাঘুব৷ করলেন ৷ লোকটিকে তিনি বললেন, আল্লাহর দোহ ই দিয়ে ওে তামাকে বলছিতু
জান, গিরিপথের ঘটনায় লোক সং থ্যা কত ছিল ? সে বলল, চৌদ্দ জন ৷ আত্মার (রা) বললেন,
তুমিও যদি তাদের একজন হয়ে থাক,৩ তাহলে তারা ছিল পরের জন ৷ তিনি বললেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) তাদের মাঝে তিন জনের ওমর গ্রহণ করেছিলেন ৷ কেননা, তারা বলেছিল যে,
আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর ঘোষকের ঘোষণা শুনতে পাইনি এবং ঐ দলটির উদ্দেশ্যও
আমলের জানা ছিল না ৷ আত্মার (রা) বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, অবগ্রিষ্টি বার জন দুনিয়া
ও আখেরাতে আল্লাহ এবং তার রাসুলের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোবণক্যেরী রুপে সাবম্ভে হয়ে ৷

মসজিদে যিরার এর ঘটনা
আল্লাহ তাআল৷ ইরশাদ করেন

“এবং যারা মসজিদ নির্মাণ ”করেছে ক্ষতিসাবন, কুফরী ও যু মিনদের মাঝে বি ৬দ সৃষ্টির
উদ্দেশ্যে এবং ইতােপুভৈর্ব আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে যে ব্যক্তি যুদ্ধ করেছে, তার গোপন


فَلَا يَأْخُذْهَا أَحَدٌ. فَبَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُودُهُ حُذَيْفَةُ وَيَسُوقُهُ عَمَّارٌ إِذْ أَقْبَلَ رَهْطٌ مُتَلَثِّمُونَ عَلَى الرَّوَاحِلِ، فَغَشُوا عَمَّارًا وَهُوَ يَسُوقُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَقْبَلَ عَمَّارٌ يَضْرِبُ وُجُوهَ الرَّوَاحِلِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُذَيْفَةَ: " قُدْ قُدْ ". حَتَّى هَبَطَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا هَبَطَ نَزَلَ وَرَجَعَ عَمَّارٌ قَالَ: " يَا عَمَّارُ هَلْ عَرَفْتَ الْقَوْمَ؟ " قَالَ: قَدْ عَرَفْتُ عَامَّةَ الرَّوَاحِلِ، وَالْقَوْمُ مُتَلَثِّمُونَ. قَالَ: " هَلْ تَدْرِي مَا أَرَادُوا؟ " قَالَ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: " أَرَادُوا أَنْ يَنْفِرُوا بِرَسُولِ اللَّهِ فَيَطْرَحُوهُ ". قَالَ: فَسَارَّ عَمَّارٌ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: نَشَدْتُكَ بِاللَّهِ، كَمْ تَعْلَمُ كَانَ أَصْحَابُ الْعَقَبَةِ؟ قَالَ: أَرْبَعَةَ عَشَرَ. فَقَالَ: إِنْ كُنْتُ فِيهِمْ فَقَدْ كَانُوا خَمْسَةَ عَشَرَ. قَالَ: فَعَذَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْهُمْ ثَلَاثَةً قَالُوا: مَا سَمِعْنَا مُنَادِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا عَلِمْنَا مَا أَرَادَ الْقَوْمُ. فَقَالَ عَمَّارٌ: أَشْهَدُ أَنَّ الِاثْنَيْ عَشَرَ الْبَاقِينَ حَرْبٌ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الْأَشْهَادُ.» . [قِصَّةُ مَسْجِدِ الضِّرَارِ] قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مَسْجِدًا ضِرَارًا وَكُفْرًا وَتَفْرِيقًا بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ وَإِرْصَادًا لِمَنْ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ مِنْ قَبْلُ وَلَيَحْلِفُنَّ إِنْ أَرَدْنَا إِلَّا الْحُسْنَى وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ - لَا تَقُمْ فِيهِ أَبَدًا لَمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ أَحَقُّ أَنْ تَقُومَ فِيهِ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ - أَفَمَنْ أَسَّسَ بُنْيَانَهُ عَلَى تَقْوَى مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانٍ خَيْرٌ أَمْ مَنْ أَسَّسَ بُنْيَانَهُ عَلَى شَفَا جُرُفٍ هَارٍ فَانْهَارَ بِهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ - لَا يَزَالُ بُنْيَانُهُمُ الَّذِي بَنَوْا رِيبَةً فِي قُلُوبِهِمْ إِلَّا أَنْ تَقَطَّعَ قُلُوبُهُمْ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ} [التوبة: 107 - 110] (التَّوْبَةِ: 107 - 110) وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى تَفْسِيرِ مَا يَتَعَلَّقُ بِهَذِهِ الْآيَاتِ الْكَرِيمَةِ فِي كِتَابِنَا " التَّفْسِيرِ " بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ كَيْفِيَّةَ بِنَاءِ هَذَا الْمَسْجِدِ الظَّالِمِ أَهْلُهُ، وَكَيْفِيَّةَ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِخَرَابِهِ مَرْجِعَهُ مِنْ تَبُوكَ قَبْلَ دُخُولِهِ الْمَدِينَةَ. وَمَضْمُونُ ذَلِكَ ; أَنَّ طَائِفَةً مِنَ الْمُنَافِقِينَ بَنَوْا صُورَةَ مَسْجِدٍ قَرِيبًا مِنْ مَسْجِدِ قُبَاءٍ وَأَرَادُوا أَنْ يُصَلِّيَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ ; حَتَّى يَرُوجَ لَهُمْ مَا أَرَادُوهُ مِنَ الْفَسَادِ وَالْكُفْرِ وَالْعِنَادِ، فَعَصَمَ اللَّهُ رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الصَّلَاةِ فِيهِ، وَذَلِكَ أَنَّهُ كَانَ عَلَى جَنَاحِ سَفَرٍ إِلَى تَبُوكَ، فَلَمَّا رَجَعَ مِنْهَا فَنَزَلَ بِذِي أَوَانٍ - مَكَانٌ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْمَدِينَةِ سَاعَةٌ - نَزَلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ فِي شَأْنِ هَذَا الْمَسْجِدِ، وَهُوَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {وَالَّذِينَ اتَّخَذُوا مَسْجِدًا ضِرَارًا وَكُفْرًا وَتَفْرِيقًا بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ وَإِرْصَادًا لِمَنْ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ مِنْ قَبْلُ} [التوبة: 107] الْآيَةَ. أَمَّا قَوْلُهُ: (ضِرَارًا) فَلِأَنَّهُمُ أَرَادُوا مُضَاهَاةَ مَسْجِدِ قُبَاءٍ، (وَكُفْرًا) بِاللَّهِ لَا لِلْإِيمَانِ بِهِ، (وَتَفْرِيقًا) لِلْجَمَاعَةِ عَنْ مَسْجِدِ قُبَاءٍ {وَإِرْصَادًا لِمَنْ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ مِنْ قَبْلُ} [التوبة: 107] وَهُوَ أَبُو عَامِرٍ الرَّاهِبُ الْفَاسِقُ، قَبَّحَهُ اللَّهُ، وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا دَعَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْإِسْلَامِ فَأَبَى عَلَيْهِ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৫৫


ঘীটিস্বরুপ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে, তারা অবশ্যই শপথ করলে, আরো সদুতদ্দাশ্যই তা করেছি ৷ ’
আল্লাহ সাক্ষী, তারা তো মিথ্যাবাদী ৷ তুমি তাতে কখনো (সালাংতর উদ্দেশ্যে) র্দাড়িয়ো না ৷
যে মসজিদের ভিত্তি প্রথম দিন থেকেই স্থাপিত হয়েছে তাকওয়ার উপরে, তাই তোমার
সালাতের জন্য অধিকতর উপযোগী ৷ সেখানে এমন লোক আছে যারা পবিত্রতা অর্জন
ভালবাসে এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদের আল্লাহ পসন্দ করেন ৷

যে ব্যক্তি তার ঘরের ভিত্তি আল্লাহ ভীতি ও আল্লাহর সম্ভষ্টির উপর স্থাপন করে, সেই উত্তম,
না ঐ ব্যক্তি উত্তম যে, তার ঘরের ভিত্তি স্থাপন করে এক থাদের ধ্বংসেড়াম্মুখ কিনারায়, ফলে যা
তাকেসহ জাহান্নামের আগুনে পতিত হয় ? আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে পথ প্রর্দশন করেন না ৷

তাদের সে ঘর যা তারা নিমর্সণ করেছে তা তাদের অন্তরে সন্দেহের কারণ হয়ে থাকবে-
যে পর্যন্ত না তাদের অন্তর ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় (৯ : ১ : ৭ ১ ১ : ) ৷
এ আয়াতসমুহের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ বিষয়ে আমার তাফসীর গ্রন্থে যথেষ্ট
আলোকপাত করেছি ৷

অনাচার প্রবল এ লোকদের এ মসজিদ নির্মাণ প্ৰসংগ এবং তাবুক থেকে প্রত্যাবর্তনকালে
মদীনায় প্রবেশের পুর্বাহ্নে রাসুল (সা) কর্তৃক মসজিদটি মিসমার করে দেওয়ার নির্দেশ প্রসংগটি
ইবনু ইসহাক বিশদ৩াবে আলোচনা করেছেন ৷ সে আলোচনার সার কথা হল, মুনাফিকদের
একটি দল কুবা মসজিদের কাছে কাছে মসজিদের আকার-আকৃতি দিয়ে একটি ঘর তৈরী করল ৷
তাদের পরিকল্পনা ছিল যে, রাসুলুল্লাহ (না) তাতে উদ্বোধনী সালাত আদায় করে দিলে তাদের
দুরভিসন্ধি তথা শৃৎখলা ৩ৎগের এবং কুষত্রী ও হটকারীতার পথ সুগম হয়ে যাবে ৷ কিন্তু আল্লাহ
তার রাসুলকে সেখানে সালাত আদায় করা থেকে বিরত রেখে হিফাফ্তে করলেন ৷ আর তা হল
এভাবে, তিনি তখন তাবুক অভিযানে যাওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন ৷ সেখান থেকে ফেরার পথে
তিনি ষী আওয়ান’ মদীনা থেকে এক ঘন্টা দুরত্বের স্থানে অবস্থানকালে এ মসজিদ সম্পর্কে
পুর্বোক্ত ওহী নাযিল হয় ৷ (ঞ :^ গ্এন্এ্যা ষ্এট্ট১র্নী ফোণ্ড)

দুরভিসন্ধিমুলক ও ক্ষতিকর৩৮; বলার যুক্তি হল-তাদের উদ্দেশ্য ছিল কুবা মসজিদের
প্রতিকুলে প্ৰতিযােপীতায় অবতীর্ণ হওয়া ৷ আর কুফরী ক্রিয়াকাণ্ড (াগ্লুএ£ ) এ জন্য যে, আল্লাহর
প্ৰতি ঈমানের হলে এ ক্ষেত্রে কার্যকরী ছিল তার প্রতি কুফরী ৷ আর ৷গ্রন্বণ্ বিভেদ সৃষ্টি করণে’ এ
কারণে যে, কুবা মসজিদের মুসল্লী জামড়াআতে বিভক্তি সৃষ্টির প্রয়াস ছিল ৷ ক্রো-শ্যা ইভােপুর্বেহ
আল্লাহ ও তীর রাসুলের বিপক্ষে যুদ্ধে লিপ্ত ব্যক্তির জন্য ঘীটি ও আখড়াব্যক্তিটি হল রাহিব আবু
আমির ফাসিক আল্লাহ তাকে কুৎসিত করুন ৷ পুর্ববর্তী ঘটনা এরুপ আল্লাহর রাসুল (না) তাকে
ইসলাম গ্রহণের দাওয়াত দিলে যে তা প্রত্যাখ্যান করল এবং মক্কায় গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের
উত্তেজিত করে তুলল ৷ ফলে সংঘটিত হল উহুদের যুদ্ধ ৷ যার বিবরণ ইতােপুর্বে পেশ করা হয়েছে ৷
এখানে তার চক্রাম্ভ সফল না হওয়ায় সে রাসুলের বিরুদ্ধে সাহায্য লাভের উদ্দেশ্যে রোম সম্রাট
কায়সারের দরবারে উপনীত হল ৷ আবু আমির ছিল হিরাক্লিয়াসের ধর্মাবলম্বী অন্যতম আরব
খৃস্টান ৷ সেখানে থেকে সে রং বেরং-এর প্রতিশ্রুতি ও ভবিষ্যতের রংগীন আশার আশ্বাস দিয়ে
মদীনায় তার সহযোপীদের কাছে চিঠি-পত্র পাঠাতাে ৷ শয়তান তো শুধুমাত্র প্রতারণামুলক
প্রআিচ্ছি দিয়ে থাকে ৷ এভাবে তার চিঠি পত্র ও দুতের ঘন ঘন গমনাগমন চলতে থাকত ৷ এক


ذَهَبَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ فَاسْتَنْفَرَهُمْ فَجَاءُوا عَامَ أُحُدٍ فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا قَدَّمْنَاهُ، فَلَمَّا لَمْ يَنْهَضْ أَمْرُهُ ذَهَبَ إِلَى مَلِكِ الرُّومِ قَيْصَرَ ; لِيَسْتَنْصِرَهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ أَبُو عَامِرٍ عَلَى دِينِ هِرَقْلَ مِمَّنْ تَنْصَرَّ مَعَهُمْ مِنَ الْعَرَبِ، وَكَانَ يَكْتُبُ إِلَى إِخْوَانِهِ الَّذِينَ نَافَقُوا يَعِدُهُمْ وَيُمَنِّيهِمْ، وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلَّا غُرُورًا، فَكَانَتْ مُكَاتَبَاتُهُ وَرُسُلُهُ تَفِدُ إِلَيْهِمْ كُلَّ حِينٍ، فَبَنَوْا هَذَا الْمَسْجِدَ فِي الصُّورَةِ الظَّاهِرَةِ، وَبَاطِنُهُ دَارُ حَرْبٍ وَمَقَرٌّ لِمَنْ يَفِدُ مِنْ عِنْدِ أَبِي عَامِرٍ الرَّاهِبِ وَمُجَمِّعٌ لِمَنْ هُوَ عَلَى طَرِيقَتِهِمْ مِنَ الْمُنَافِقِينَ، وَلِهَذَا قَالَ تَعَالَى: {وَإِرْصَادًا لِمَنْ حَارَبَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ مِنْ قَبْلُ} [التوبة: 107] . ثُمَّ قَالَ: {وَلَيَحْلِفُنَّ} [التوبة: 107] . أَيِ الَّذِينَ بَنَوْهُ {إِنْ أَرَدْنَا إِلَّا الْحُسْنَى} [التوبة: 107] أَيْ إِنَّمَا أَرَدْنَا بِبِنَائِهِ الْخَيْرَ. قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {وَاللَّهُ يَشْهَدُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ} [التوبة: 107] . ثُمَّ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لِرَسُولِهِ: {لَا تَقُمْ فِيهِ أَبَدًا} [التوبة: 108] فَنَهَاهُ عَنِ الْقِيَامِ فِيهِ لِئَلَّا يُقَرِّرَ أَمْرَهُ، ثُمَّ أَمَرَهُ وَحَثَّهُ عَلَى الْقِيَامِ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ، وَهُوَ مَسْجِدُ قُبَاءٍ لِمَا دَلَّ عَلَيْهِ السِّيَاقُ، وَالْأَحَادِيثُ الْوَارِدَةُ فِي الثَّنَاءِ عَلَى تَطْهِيرِ أَهْلِهِ مُشِيرَةٌ إِلَيْهِ، وَمَا ثَبَتَ فِي " صَحِيحِ مُسْلِمٍ " مِنْ أَنَّهُ مَسْجِدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يُنَافِي مَا تَقَدَّمَ ; لِأَنَّهُ إِذَا كَانَ مَسْجِدُ قُبَاءٍ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ فَمَسْجِدُ الرَّسُولِ أَوْلَى بِذَلِكَ وَأَحْرَى، وَأَثْبَتُ فِي الْفَضْلِ مِنْهُ وَأَقْوَى، وَقَدْ أَشْبَعْنَا الْقَوْلَ فِي ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " وَلِلَّهِ الْحَمْدُ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا نَزَلَ بِذِي أَوَانٍ دَعَا مَالِكَ بْنَ الدُّخْشُمِ وَمَعْنَ بْنَ عَدِيٍّ - أَوْ أَخَاهُ عَاصِمَ بْنَ عَدِيٍّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَأَمَرَهُمَا أَنَّ يَذْهَبَا إِلَى هَذَا
পৃষ্ঠা - ৩৬৫৬


পর্যায়ে তারা মসজিদরাপী এ ঘরটি তৈরী করল, যা মুলত ছিল যুদ্ধের আখড়া এবং আবু আমিব
রাহিবের নিকট থেকে আগত প্রতিনিধিবর্গ ও তাদের অনুগাঘী মুনাফিকদের নিরাপদ অন্তোনা এ
কারণেই আল্লাহ পাক তারাঘাষণায় বলেছেন “আল্লাহ এবং তার রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধকারীদের
আখড়া তারপর ইরশাদ করেছেন, আেপ্রু অর্থাৎ ঐ ঘরের নির্মাতারা অবশ্যই কসম করে
বলবে ব্লেও১১া শ্বাাযুঃা () অর্থাৎ এ নির্মাণে আমাদের উদ্দেশ্য একান্ত নির্ভেজাল ও মহৎা
জবাবে আল্লাহ্ পাকের ইরশাদ :দ্বুহুট্রথ্রে ণ্ধ্াওা ১ৰুট্টণ্ডু fl; “আল্লাহ সাক্ষ্য দেন যে, ওরা নিশ্চিতই
শুধু মিথ্যাবাদী ৷ তারপর আল্লাহ তার রাসুলকে উদ্দেশ্য করে বলেনা১-গ্া শ-১গু ণ্দ্বুঘু শ্ব সেখানে আপনি

মুহুর্তের জন্যও অবস্থ ন করবেন না’ এ নিষেধাজ্ঞ জ্ঞার কারণ হল, যাতে তার অবস্থান ওদের
উদ্দেশ্যের সাার্থকতঅ আনয়নে সহায়ক না হয় ৷ বরৎঅ আ ল্লাহ তাকে নির্দেশ দিয়ে অনুপ্রাণিত করলেন
যে মসজিদে অবস্থা নের ব্যাপারে, সৃচনালগ্ন থােকইা যা র বুনিয়া দ রয়েছে তাকওয়া ও খােদা ভীতির
উপরো সেটি হল কুবা মসজিদ ৷ কেননা, আয়া তেব পুর্বাপর বর্ণনা সং যুক্তি এ দাৰী প্রমাণ করে
এবং কুফাবাসীদের তা রাহাত প্রীতির প্রশৎ সায় বর্ণিত হাদীসসমুহেও বিষয়টির প্ৰতি ইঙ্গিত মিলো
তবে মুসলিম শরীফে যে ত কাওয় র বুনিয়াদ সম্বলিত মসজিদ’ বলে মসজিদে নববী’ কে বুঝানো
হয়েছে, তা আমাদের বর্তমান বর্ণনার সাথে স ঘাত সৃষ্টি করবে না

কেননা, কুবা মসজিদ সম্পর্কে যদি সুচনা লগ্ন থেকে তাকওয়ার উপরে ভিত্তিকৃত’ বিশেষণ
কার্যকর হতে পারে, তাহলে নববী মসজিদ তো এ গুণের অধিকতর উপযোগী ও অধিকারীা বরৎ
তার মাহাত্ম্য তো আরো মযবুত ও সুদৃঢ়া তাফসীর গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷
আলহামদু লিল্লাহ ৷ মোট কথা রাসুলুল্লাহ (সা) ঘী আওযানে অবস্থান কালে মালিক ইবনৃদ দুখৃশুম
াআন ইবন আদী শ্অথবা তার ভাই আসিম ইবন আদী (রা)-কে ডেকে পাঠালেন এবং
অনাচরীিদের নির্মিত এ মসজিদের কাছে গিয়ে সেটি ভাীভুত করে ফেলার নির্দেশ দিলেনা তারা
দু’জন গিয়ে সেটিৰ্ক৩ ভুত করে দিলে লেখানে অবস্থা নকারীরা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেলা

ইবনু ইসহাক বলেন, এ নিমার্ন্তণ অং শঃাহণকাবীরা ছিল বার জনা তারা হল৪ (১) খিযাম
ইবন খালিদ তার বসত বাড়ীর কাছেই কথিত মসজিদটি তৈরী করা হয়েছিল; (২) ছালারাঃ
ইবন হাতির; (৩) কার ইবন কুশায়র; (৪) আবু হাবীবা ইবনুল আযআর; (৫) সাহল ইবন
হুনায়ফ (বা) এর তাই আব্বাদ ইবন হুনায়ফ; (৬) জারিয়া ইবন আমির ও তার পুত্রদ্বয়;
(৭) মুজাম্মা; (৮) যায়দ; (৯) নাবতাল ইবনুল হারিছ; (১০) বাথুরাজ (ইযাখরুজ)ণ্ন্বনু
যাবীআর সাথে সম্পৃক্ত; (১১) বাজাদ ইবন উসমান-যাবীআ গোত্রের এবং (১২) বনু
উমাইয়ার ওদীআ ইবন ছাবিতা

আমার মতে এ তাবুক অভিযানেই রাসুলুল্লাহ (না) তার সাহাবী আবদুর রহমান ইবন
আওফ (রা)-এর যুকতাদী হয়ে ফজরের সালাত আদায় করেছিলেনা এ সালাতে তিনি
ইমামের সাথে শুধু দ্বিতীয় রাকআত পেয়েছিলেনা ঘটনাটি ছিল এরুপ যে, রাসুলুল্লাহ (সা) উযু
করতে গেলেনা তার সাথে ছিলেন আল মুগীরা ইবন শুবা (রা)া কিন্তু পৌছতে তার বিলম্ব
হয়ে গেলা তাই সালাতের জন্য ইকামাত বলা হলে আব্দুর রহমান ইবন আওফ ইমামের
ঘুসল্পায় দাড়ালেন ৷ তিনি সালাত সমাপনী সালাম করলে লোকেরা যটনাটিকে প্রবল রুপে
নিলা রাসুলুল্লাহ (সা) তা অনুভব করে লোকদের বললেন, ণ্ত্তন্১ম্ ন্াঙু ণ্১১এে১া “তোমরা চমৎকার

৫০াড়া

الْمَسْجِدِ الظَّالِمِ أَهْلُهُ فَيُحَرِّقَاهُ بِالنَّارِ، فَذَهَبَا فَحَرَّقَاهُ بِالنَّارِ، وَتَفَرَّقَ عَنْهُ أَهْلُهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ الَّذِينَ بَنَوْهُ اثْنَيْ عَشَرَ رَجُلًا وَهُمْ خِذَامُ بْنُ خَالِدٍ - وَفِي جَنْبِ دَارِهِ كَانَ بِنَاءُ هَذَا الْمَسْجِدِ - وَثَعْلَبَةُ بْنُ حَاطِبٍ وَمُعَتِّبُ بْنُ قُشَيْرٍ وَأَبُو حَبِيبَةَ بْنُ الْأَزْعَرِ وَعَبَّادُ بْنُ حُنَيْفٍ أَخُو سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ وَجَارِيَةُ بْنُ عَامِرٍ وَابْنَاهُ مُجَمِّعٌ وَزَيْدٌ وَنَبْتَلُ بْنُ الْحَارِثِ وَبَحْزَجٌ وَهُوَ إِلَى بَنِي ضُبَيْعَةَ، وَبِجَادُ بْنُ عُثْمَانَ وَهُوَ مِنْ بَنِي ضُبَيْعَةَ، وَوَدِيعَةُ بْنُ ثَابِتٍ وَهُوَ إِلَى بَنِي أُمَيَّةَ. قُلْتُ: وَفِي غَزْوَةِ تَبُوكَ هَذِهِ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلْفَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ صَلَاةَ الْفَجْرِ، أَدْرَكَ مَعَهُ الرَّكْعَةَ الثَّانِيَةَ مِنْهَا، وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَهَبَ يَتَوَضَّأُ وَمَعَهُ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَأَبْطَأَ عَلَى النَّاسِ، فَأُقِيمَتِ الصَّلَاةُ فَتَقَدَّمَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ فَلَمَّا سَلَّمَ النَّاسُ أَعْظَمُوا مَا وَقَعَ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَحْسَنْتُمْ وَأَصَبْتُمْ ". وَذَلِكَ فِيمَا رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ قَائِلًا: حَدَّثَنَا. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجَعَ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ، فَدَنَا مِنَ الْمَدِينَةِ فَقَالَ: «إِنَّ بِالْمَدِينَةِ أَقْوَامًا مَا سِرْتُمْ مَسِيرًا وَلَا قَطَعْتُمْ وَادِيًا إِلَّا كَانُوا مَعَكُمْ ". فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهُمْ بِالْمَدِينَةِ؟ ! قَالَ: " وَهُمْ بِالْمَدِينَةِ، حَبَسَهُمُ الْعُذْرُ» . تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৫৭


ও সঠিক কাজটিই করেছ ৷ ঘটনাটি বুখা ৷রী (র) (আমাদের হাদীস শুনিয়েছেন) তাঃষ্য
রিওয়ায়াত করেছেন ৷

বুখারী (র) বলেন, আহমাদ ইবন মুহাম্মদ (র) আনাস ইবন মালিক (বা) থেকে বর্ণনা
করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তাবুক থেকে প্রত্যাবর্তন করছিলেন, মদীনায় নিকটবর্তী হলে তিনি
বললেন,

“মদীনায় এমন এক দল লোক রয়েছে যে, এ অভিযা ৷ব্বন তোমরা যত পথ অতিক্রম করেছ
এবং যত উপত্যকা পাড়ি দিয়েছ, তা ড়ারা তোমাদের সষ্ ×গেই ছিল” ৷

সাহাৰীগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ত ড়ারা মদীনায় অবস্থা ন করা সত্বেও ? তিনি বললেন,
);১গ্ৰা ণ্,দুন্;১১ হ্ষ্ট্রৰুা১এখ্৷ ণ্গ্র াব৷ মদীনায় অবস্থান করা সত্বেও, কেননা, ওমর তাদের
আটকে রেখেছিল” ৷ এ সুত্রে বর্ণনা টি একক ৷

বুখা ৷রী (র) আরও বলেন, খ ৷লিদ ইবন ইবন ম ৷খলাদ (র)আবু হুমায়দ (না) থেকে
বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা) এর সংগে তাবুক থেকে ফিরছিলাম,
মদীনায় নিকটবর্তী হলেও তিনি বললেন, “এ হল তা ৷বাং পবিত্র নগরী, আর এ হল উহুদ পাহাড়
যে আমাদের ভালবাসে এ র × আমরাও যাকে তা ৷লরাসি ৷” মুসলিম (র) এ হাদীসখানি সৃলায়মান
ইবন বিলাল (র) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

বুখারী (র) আরো বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (র)আস সাইব ইবন য়াষীদ (রা)
থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, এ কথা আমার স্মরণ আছে যে, তাবুক অভিযান থেকে
ফেরার সময় রাসুলুল্লাহ (না)-কে সর্শ্বধনা দেওয়ার জন্য আমি বালকদলের সাথে বের হয়ে
ছানিয়দ্রাতৃল ওবাদ পর্যন্ত গিয়েছিলাম ৷ আবু দাউদ ও তিরমিযী (র) এ রিওয়ায়াতটি উল্লিখিত
সনদে সুফিয়ান ইবন উয়ায়না (র) থেকে গ্রহণ করেছেন এবং তিরমিযী এটিকে হাসান সহীহ্
বলে মন্তব্য করেছেন ৷

বায়হাকী (র) বলেছেন, আবু নাসর ইবন কাতদো (র) ইবনু আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (না) মদীনায় উপনীত হলে নারী ও বালক-বালিকার দল
গাইতে লাগল-


“পুর্ণ শ“শী উদয় হল, ছানিয়ব্রুাতুল ওয়াদা-এর কোলে; শুকর আদায় করা লাযিম, যাবৎ
ভাকেন থােদার দাঈ ৷ বায়হাকী (র) বলেন, যেহেতু আমাদের আলিমগণ এ পংক্তিমালা নবী
করীম (না) তাবুক থেকে প্রত্যাবর্তনকালে ছানিয়্যাতুল ওয়ড়াদা’ দিয়ে অতিক্রম করার সময়
গীত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন-তাই আমরা এখানেও তা উল্লেখ করলাম ৷ আল্লাহই
সৰ্বাধিক অবগত ৷



১ বুখারী (র) এর ৷উ১১ ভাষ্যযুক্ত রিওয়ায়াত অধিকতর মযবুত ও প্রামাণ্য


وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ يَحْيَى عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ قَالَ: أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ، حَتَّى إِذَا أَشْرَفْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ قَالَ: «هَذِهِ طَابَةُ، وَهَذَا أُحُدٌ ; جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ» . وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: أَذْكُرُ أَنِّي خَرَجْتُ مَعَ الصِّبْيَانِ نَتَلَقَّى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى ثَنِيَّةِ الْوَدَاعِ مُقْدَمَهُ مِنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ بِهِ، وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو نَصْرِ بْنُ قَتَادَةَ أَخْبَرَنَا أَبُو عَمْرِو بْنُ مَطَرٍ سَمِعْتُ أَبَا خَلِيفَةَ يَقُولُ: سَمِعْتُ ابْنَ عَائِشَةَ يَقُولُ: لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، جَعَلَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ وَالْوَلَائِدُ يَقُلْنَ: طَلَعَ الْبَدْرُ عَلَيْنَا ... مِنْ ثَنِيَّاتِ الْوَدَاعْ وَجَبَ الشُّكْرُ عَلَيْنَا مَا دَعَا لِلَّهِ دَاعْ قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَهَذَا يَذْكُرُهُ عُلَمَاؤُنَا عِنْدَ مَقْدَمِهِ الْمَدِينَةَ مِنْ مَكَّةَ، لَا أَنَّهُ لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ مِنْ ثَنِيَّاتِ الْوَدَاعِ عِنْدَ مَقْدَمِهِ مِنْ تَبُوكَ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ، فَذَكَرْنَاهُ هَاهُنَا أَيْضًا. قَالَ الْبُخَارِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ: حَدِيثُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৫৮


বুখরীি (র) বলেন“, কাৰ ইবন মালিক (বা)-এর হাদীস : ইয়াহরা ইবন বুকায়র (র)
আব্দুল্লাহ ইবন কাব ইবন মালিক থেকে বর্ণনা করেনকাব (রা) দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে ফেলার
পরে তার সম্ভন্যেদর মাঝে ইনিই পিতার সহচররপে দায়িত্ব পালন করতেন ৷ আমি কাব ইবন
মালিককে তাবুক অভিযান থেকে পিছিয়ে থাকার বিষয় বলতে শুনেছি ৷ তিনি বলেছেন,
রাসুলুল্লাহ (সা) যে সব যুদ্ধ স্বয়ং পরিচালনা করেছিলেন, তাবুক অভিযান ব্যভিরেকে তার
কােনটিতেই আমি অনুপস্থিত ছিলাম না ৷ তবে হা, আমি বদর অভিযানেও অনুপ ত ছিলাম,
কিন্তু বদরে অনুপস্থিতিব জন্য কাউকেই অভিযুক্ত করা হয়নি ৷ কেননা, বদরে (মুলত যুদ্ধের
পরিকল্পনা ছিল না) রাসুলুল্লাহ (সা) কুরায়শদের বাণিজ্য কাংফলা অবরােধের উদ্দেশ্যে বের
হয়েছিলেন ৷ অবশেষে আল্লাহ পাক অনিধারিতভাবে তাদের ও শত্রুদের পরস্পর সম্মুখীন করে
দিলেন ৷ আমি তো (হিজরত পুর্বকালীন) আকাবার বায়আতের রাতে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর
সযীপে উপস্থিত ছিলাম ৷ যেখানে আমরা ইসলামের বিষয় দৃঢ় অংগীকারাবদ্ধ হয়েছিলাম ৷

আর সে রাতের উপস্থিতির বিনিময়ে বদরে উপস্থিতি আমার কাছে অধিকতর পসন্দীয় নয় ৷
যদিও জন সমাজে বদর আকাবার তুলনায় অধিকতর আলোচিত ও প্রসিদ্ধ ৷ সে যাই হোক,
আমার ঘটনা হল এই যে, ঐ অভিযান থেকে পিছিয়ে থাকার সময় আমি যেমন সরল ও
সংগতিপুর্ণ ছিলাম, তেমন অন্য কোন সময় ছিলাম না ৷ আল্লাহর কসম ৷ এর আগে কখনো
আমার কাছে একত্রে দু’টি বাহন উট ছিল না ৷ অথচ ঐ অভিযানের সময় আমি দুটি বাহন
সংগ্রহ করে রেখেছিলাম ৷ এর আগে পর্যন্ত কোন অভিযানের পরিকল্পনা করলে রাসুলুল্লাহ (সা)
দ্ব্যর্থবােধক শব্দ প্রয়োগ করে উদ্দিষ্ট স্থান গোপন রাখতেন ৷ কিন্তু এ অভিযানে তিনি রওযানা
হলেন তিনি প্রচণ্ড গরমেব সময়, সফর ছিল দুব-দুরান্তের আর প্রতিপক্ষ ছিল সংখ্যা ও সরঞ্জামে
বিশাল ৷ তাই তিনি মুসলমানদের কাছে ব্যাপারটি থােলাসা করে দিলেন, যাতে তারা তাদের
অভিযানের যথাযোগ্য প্রস্তুতি নিতে পারে ৷ তিনি তাদেরকে তার অভীষ্ট স্থানের কথা পরিস্কার
জানিয়ে দিলেন ৷ এ অভিযানে রাসুলুল্লাহ (সা)-এর সাথে মুসলমানরা ছিল অপণিত, যাদের
ৎখ্যা লিখিতভাবে সংরক্ষিত ছিল না ৷ কাব (রা) বলেন, তাই কেউ পালিয়ে বাচতে চাইলে
সে এ ধারণা করতে পারত যে, যতক্ষণ না তার ব্যাপারে ওহী নাযিল হচ্ছে, ততক্ষণ সে
আত্মগােপন করে থাকতে পারবে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এ অভিযানে গিয়েছিলেন যখন ফল (পাক
ধরার কারণে) এবং ছায়া (পরমের ম্ভীব্রেতার কারাণ) প্রিয় ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) এবং তার
সহগামী মুসলমানগণ সফর প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেন ৷ আমি প্রতি সকালে তাদের সাথে রওয়ানা
করার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়তাম আর কোন কিছু সমাধা না করেই ফিরে
আসতড়াম ৷ আর মনে মনে বলতাম, আমি তো যে কোন মুহুণ্ডেইি বেরিয়ে পড়তে সক্ষম ৷
এভাবে আমার দ্বিধা দীর্যায়িত হল ৷ আর লোকদের প্রস্তুতি প্রচেষ্টা ভীব্রতর হল , ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) এবং র্তার সহপামী ঘুসলমানগণ রওয়ানা হয়ে গেলেন ৷ অথচ আমি তখনও আমার
প্রস্তুতির কিছুই সমাধা করে সারিনি ৷ মনকে প্রবােধ দিলাম, এক দুই দিনের মধ্যেই প্রস্তুতি
সম্পন্ন করে তাদের সাথে গিয়ে মিলিত হন ৷ তারা মদীনা ত্যাগ করার পরে আমি প্রস্তুতি
নেওয়ার জন্য বের হলাম ৷ কিন্তু কিছু সমাধা না করেই ফিরে এলাম ৷ আমার সকালে বের
হলাম এবং কিছু না করেই ফিরে এলাম ৷ আমার এ অবস্থা চলতে থাকল আর তারা দ্রুত পথ
অতিক্রম করে গেলেন এবং যুদ্ধের সময় ফুরিয়ে এল আর ৷ তখনও আমার ইচ্ছা হচ্ছিল যে,


حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ - وَكَانَ قَائِدَ كَعْبٍ مِنْ بَنِيهِ حِينَ عَمِيَ - قَالَ: سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُ حِينَ تَخَلَّفَ عَنْ قِصَّةِ تَبُوكَ، قَالَ كَعْبٌ: «لَمْ أَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا إِلَّا فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، غَيْرَ أَنِّي كُنْتُ تَخَلَّفْتُ فِي غَزْوَةِ بَدْرٍ، وَلَمْ يُعَاتَبْ أَحَدٌ تَخَلَّفَ عَنْهَا، إِنَّمَا خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُرِيدُ عِيرَ قُرَيْشٍ، حَتَّى جَمَعَ اللَّهُ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ عَدُوِّهِمْ عَلَى غَيْرِ مِيعَادٍ، وَلَقَدْ شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ حَتَّى تَوَاثَقْنَا عَلَى الْإِسْلَامِ، وَمَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِهَا مَشْهَدَ بَدْرٍ، وَإِنْ كَانَتْ بَدْرٌ أَذْكَرَ فِي النَّاسِ مِنْهَا، كَانَ مِنْ خَبَرِي أَنِّي لَمْ أَكُنْ قَطُّ أَقْوَى وَلَا أَيْسَرَ حِينَ تَخَلَّفْتُ عَنْهُ فِي تِلْكَ الْغَزَاةِ، وَاللَّهِ مَا اجْتَمَعَتْ عِنْدِي قَبْلَهُ رَاحِلَتَانِ قَطُّ، حَتَّى جَمَعْتُهُمَا فِي تِلْكَ الْغَزْوَةِ، وَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ يُرِيدُ غَزْوَةً إِلَّا وَرَّى بِغَيْرِهَا، حَتَّى كَانَتْ تِلْكَ الْغَزْوَةُ، غَزَاهَا رَسُولُ اللَّهِ فِي حَرٍّ شَدِيدٍ، وَاسْتَقْبَلَ سَفَرًا بَعِيدًا، وَمَفَازًا، وَعَدُوًّا كَثِيرًا، فَجَلَّى لِلْمُسْلِمِينَ أَمْرَهُمْ، لِيَتَأَهَّبُوا أُهْبَةَ غَزْوِهِمْ، فَأَخْبَرَهُمْ بِوَجْهِهِ الَّذِي يُرِيدُ، وَالْمُسْلِمُونَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَثِيرٌ، وَلَا يَجْمَعُهُمْ كِتَابٌ حَافِظٌ - يُرِيدُ الدِّيوَانَ - قَالَ كَعْبٌ: فَمَا رَجُلٌ يُرِيدُ أَنْ يَتَغَيَّبَ إِلَّا ظَنَّ أَنْ سَيَخْفَى لَهُ مَا لَمْ يَنْزِلْ فِيهِ وَحْيُ اللَّهِ، وَغَزَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ الْغَزْوَةَ حِينَ طَابَتِ الثِّمَارُ وَالظِّلَالُ، وَتَجَهَّزَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْمُسْلِمُونَ مَعَهُ، فَطَفِقْتُ أَغْدُو ; لِكَيْ أَتَجَهَّزَ مَعَهُمْ، فَأَرْجِعُ وَلَمْ أَقْضِ شَيْئًا، فَأَقُولُ فِي نَفْسِي: أَنَا قَادِرٌ عَلَيْهِ. فَلَمْ يَزَلْ يَتَمَادَى بِي حَتَّى اشْتَدَّ بِالنَّاسِ الْجِدُّ، فَأَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ وَالْمُسْلِمُونَ مَعَهُ وَلَمْ أَقْضِ مِنْ جَهَازِي شَيْئًا، فَقُلْتُ: أَتَجَهَّزُ بَعْدَهُ بِيَوْمٍ أَوْ يَوْمَيْنِ، ثُمَّ أَلْحَقُهُمْ. فَغَدَوْتُ بَعْدَ أَنْ فَصَلُوا لِأَتَجَهَّزَ فَرَجَعْتُ وَلَمْ أَقْضِ شَيْئًا، ثُمَّ غَدَوْتُ ثُمَّ رَجَعْتُ وَلَمْ أَقْضِ شَيْئًا، فَلَمْ يَزَلْ بِي حَتَّى أَسْرَعُوا وَتَفَارَطَ الْغَزْوُ، وَهَمَمْتُ أَنْ أَرْتَحِلَ فَأُدْرِكَهُمْ - وَلَيْتَنِي فَعَلْتُ - فَلَمْ يُقَدَّرْ لِي ذَلِكَ، فَكُنْتُ إِذَا خَرَجْتُ فِي النَّاسِ بَعْدَ خُرُوجِ رَسُولِ اللَّهِ فَطُفْتُ فِيهِمْ، أَحْزَنَنِي أَنِّي لَا أَرَى إِلَّا رَجُلًا مَغْمُوصًا عَلَيْهِ النِّفَاقُ، أَوْ رَجُلًا مِمَّنْ عَذَرَ اللَّهُ مِنِ الضُّعَفَاءِ، وَلَمْ يَذْكُرْنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى بَلَغَ تَبُوكَ، فَقَالَ وَهُوَ جَالِسٌ فِي الْقَوْمِ بِتَبُوكَ: " مَا فَعَلَ كَعْبٌ؟ " فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ حَبَسَهُ بُرْدَاهُ وَنَظَرُهُ فِي عِطْفَيْهِ. فَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ: بِئْسَ مَا قُلْتَ، وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا عَلِمْنَا عَلَيْهِ إِلَّا خَيْرًا. فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ: فَلَمَّا بَلَغَنِي أَنَّهُ تَوَجَّهَ قَافِلًا حَضَرَنِي هَمِّي، وَطَفِقْتُ أَتَذَكَّرُ الْكَذِبَ وَأَقُولُ: بِمَاذَا أَخْرُجُ مِنْ سَخَطِهِ غَدًا؟ وَاسْتَعَنْتُ عَلَى ذَلِكَ بِكُلِّ ذِي رَأْيٍ مِنْ أَهْلِي، فَلَمَّا قِيلَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَظَلَّ قَادِمًا، زَاحَ عَنِّي الْبَاطِلُ، وَعَرَفْتُ أَنِّي لَنْ أَخْرُجَ مِنْهُ أَبَدًا بِشَيْءٍ فِيهِ كَذِبٌ، فَأَجْمَعْتُ صِدْقَهُ، وَأَصْبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَادِمًا، وَكَانَ إِذَا قَدِمَ مِنْ سَفَرٍ بَدَأَ بِالْمَسْجِدِ، فَيَرْكَعُ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ جَلَسَ لِلنَّاسِ، فَلَمَّا فَعَلَ ذَلِكَ جَاءَ الْمُخَلَّفُونَ فَطَفِقُوا يَعْتَذِرُونَ إِلَيْهِ، وَيَحْلِفُونَ لَهُ، وَكَانُوا بِضْعَةً وَثَمَانِينَ رَجُلًا، فَقَبِلَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৫৯


অতি দ্রুত গিয়ে তাদের সাথে মিলিত হব ৷ শ্ষ্হায়, তেমনও যদি করতাম ৷ কিন্তু তা আমার
কপালের লিখন ছিল না ৷ এ দিকে বাসুলুল্লাহ (সা) রওয়ড়ানা করে যাওয়ার পর থেকে আমি
যখনই বাড়ি ছেড়ে বের হতাম এবং ঘুরে রেড়াতাম, তখন এ ব্যাপারটি আমাকে পীড়া দিত যে,
কট্টর মুনাফিক কিছুবা দৃর্বল-অসমর্থ হওয়ার কারণে আল্লাহ যাদের অপারগতড়া মনজুর করেছেন,
তেমন লোক ব্যতীত আর একটা পুরুষও দেখতে থেতাম না ৷

তাবুকে উপনীত হওয়ার পুর্ব পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (না) আমার কথা আলোচনা করলেন না ৷
তাবুকে পৌছে বাহিনীর দরবারে তিনি বললেন, কাব এর কি খবর ?’ বনু সালিমার এক ব্যক্তি
বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহা তার দু’প্রস্ত পোশাক ও নিজের পার্শ্বদ্বয়ের প্রতি দৃষ্টি তাকে আটকে
ণ্রখেছে ৷ মুআয ইবন জাবাল (রা) বললেন, তুমি অতি মন্দ কথা বলেছ ? আল্লাহর কসম ৷
ইয়া রাসুলাল্লাহা তার বিষয় আমরা কল্যাণ বৈ কিছু আমি না ৷ ’ রাসুলুল্লাহ (সা) তখন নীরব
রইলেন ৷

কাব ইবন মালিক (বা) বলেন, যখন আমি সংবাদ পেলাম যে, তিনি ফিরতি সফর শুরু
করেছেন, তখন যত সব চিন্তা আমাকে পেয়ে বসল ৷ আমি মনে মনে নানা ফন্দি-ফিকির
করতে লাগলাম এবং যে কথা বলে আগামী দিনে তার ক্রোধানল থেকে রেহইি পেতে পারব
তা আওড়াতে লাগলাম ৷ এবং এ ব্যাপারে আমার পরিবারের প্রত্যেক ধীমান ব্যক্তির সহায়তা
নেওয়ার প্রয়াস পেলাম ৷ যখন সংবাদ হল যে, রাসুলুল্লাহ (সা) এই এসে পড়লেন, তখন
আমার মিথ্যার জারিজুরি হারিয়ে গেল এবং স্বত৪সিদ্ধভাবে এ কথা বুঝতে পারলাম যে, যিথ্যার
লেশ মাত্র রয়েছে এমন কোন কথা বলে আমি রেহাই পাব না ৷ তাই তার সমীপে সত্য বলার
দৃঢ় সংকর করলাম ৷ রাসুলুল্পাহ (সা) পুর্বাহ্নে শুভাগমণ করলেন ৷ তার নিয়ম ছিল, সফর থেকে
ফিরে এলে প্রথমে মসজিদে গিয়ে দু রাকআত সালাত আদায় করে আগত লোকদের দিকে মুখ
করে বসতেন ৷ তা করার পর অভিযান থেকে পিছিয়ে থাকা লোকেরা এসে তার কাছে
নিজেদের ওযর-অপারগতা পেশ করতে লাগল এবং সত্যবাদীতা প্রমাণের জন্য হলফ করতে
লাগল ৷ এদের সংখ্যা ছিল আশির উপরে ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তাদের বাহ্যিক বক্তব্য মনজুর করে
তাদের (পুনঃ) বায়আত করে নিতে লাগলেন এবং তাদের জন্য ইসতিগফার করলেন ৷ আর
তাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার সােপর্দ করলেন মহীয়ান-গরীয়ড়ান আল্লাহর হাতে ৷

আমিও তার কাছে এসে তাকে সালাম করলে তিনি কষ্ট ব্যক্তির হাসি হাসলেন এবং পরে
বললেন, “এদিকে এস ৷” আমি পায়ে পায়ে হেটে এসে তার সামনে বসলে তিনি বললেন,
“কোন বিষয় তোমাকে পিছিয়ে রাখল ? তুমি কি তোমার বাহন উট খরিদ করেছিলে না ?
আমি বললাম, জী হী, আল্লাহর কলম! আজ যদি আমি আপনি ব্যতীত পৃথিবীর অন্য কোন
মানুষের সকাশে উপবিষ্ট হতাম, তাহলে অবশ্যই ভাবতড়াম যে, কোন মিথ্যা ওযরের আশ্রয়
নিয়ে র্তার ক্রোধ থেকে রেহাই পাব ৷ আমার রয়েছে কথায় মার-প্যাচ খাটাবার প্রতিভা ৷ কিন্তু
আল্লাহর কসম! আমি ভাল করেই জানি, আজ যদি আমি আপনাকে এমন কোন মিথ্যা বলি,
যাতে আপনি আমার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যান, তাহলে অতি সতৃর এমন হবে যে, আল্লাহ
আপনাকে আমার উপর রাগাম্বিত করে দেবেন ৷ আর যদি আপনাকে সত্য কথা বলি, যাতে
আপনি আমার উপর রাগ করবেন, তাহলে তাতে আমি আল্লাহ্র ক্ষমার আশা রাখি ৷ না,


مِنْهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَانِيَتَهُمْ، وَبَايَعَهُمْ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمْ، وَوَكَلَ سَرَائِرَهُمْ إِلَى اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ، فَجِئْتُهُ، فَلَمَّا سَلَّمْتُ عَلَيْهِ تَبَسَّمَ تَبَسُّمَ الْمُغْضَبِ، ثُمَّ قَالَ: " تَعَالَ ". فَجِئْتُ أَمْشِي حَتَّى جَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ لِي: " مَا خَلَّفَكَ؟ أَلَمْ تَكُنْ قَدِ ابْتَعْتَ ظَهْرَكَ؟ " فَقُلْتُ: بَلَى، إِنِّي وَاللَّهِ لَوْ جَلَسْتُ عِنْدَ غَيْرِكَ مِنْ أَهْلِ الدُّنْيَا لَرَأَيْتُ أَنْ سَأَخْرُجُ مِنْ سَخَطِهِ بِعُذْرٍ، وَلَقَدْ أُعْطِيتُ جَدَلًا، وَلَكِنِّي وَاللَّهِ لَقَدْ عَلِمْتُ لَئِنْ حَدَّثْتُكَ الْيَوْمَ حَدِيثَ كَذِبٍ تَرْضَى بِهِ عَنِّي، لَيُوشِكَنَّ اللَّهُ أَنْ يُسْخِطَكَ عَلَيَّ، وَلَئِنْ حَدَّثْتُكَ حَدِيثَ صِدْقٍ تَجِدُ عَلَيَّ فِيهِ، إِنِّي لَأَرْجُو فِيهِ عَفْوَ اللَّهِ، لَا وَاللَّهِ مَا كَانَ لِي مِنْ عُذْرٍ، وَاللَّهِ مَا كُنْتُ قَطُّ أَقْوَى وَلَا أَيْسَرَ مِنِّي حِينَ تَخَلَّفْتُ عَنْكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَّا هَذَا فَقَدَ صَدَقَ، فَقُمْ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ فِيكَ ". فَقُمْتُ، وَثَارَ رِجَالٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ فَاتَّبَعُونِي فَقَالُوا لِي: وَاللَّهِ مَا عَلِمْنَاكَ كُنْتَ أَذْنَبْتَ ذَنْبًا قَبْلَ هَذَا، وَلَقَدْ عَجَزْتَ أَنْ لَا تَكُونَ اعْتَذَرْتَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَا اعْتَذَرَ إِلَيْهِ الْمُخَلَّفُونَ، وَقَدْ كَانَ كَافِيكَ ذَنْبَكَ اسْتِغْفَارُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَكَ. فَوَاللَّهِ مَا زَالُوا يُؤَنِّبُونَنِي حَتَّى هَمَمْتُ أَنْ أَرْجِعَ فَأُكَذِّبَ نَفْسِي، ثُمَّ قُلْتُ لَهُمْ: هَلْ لَقِيَ هَذَا مَعِي أَحَدٌ؟ قَالُوا: نَعَمْ، رَجُلَانِ قَالَا مِثْلَ مَا قُلْتَ، وَقِيلَ لَهُمَا مِثْلَ مَا قِيلَ لَكَ. فَقُلْتُ: مَنْ هُمَا؟ قَالُوا: مُرَارَةُ بْنُ الرَّبِيعِ الْعُمْرِيُّ وَهِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ الْوَاقِفِيُّ. فَذَكَرُوا لِي رَجُلَيْنِ صَالِحَيْنِ قَدْ شَهِدَا بَدْرًا فِيهِمَا أُسْوَةٌ، فَمَضَيْتُ حِينَ ذَكَرُوهُمَا لِي، وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمُسْلِمِينَ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৬৬০


সাঃ কলম! আমার কোনই ওমর অসুবিধা ছিল না ৷ আবারও আল্লাহ্র কলম ৷ এবারের
পশ্চাদংর্তীতার সময়ের মত এত অধিকতর সৃস্থ-সবল ও সঙ্গতিসম্পন্ন আর কখনো ছিলাম না ৷
রাসুসৃস্লাহ্ (সা) বললেন, এ,ব্লৰু দুা৷ স্পো ৰু ণ্ৰু ণ্দ্বু ৰুদ্বুওৰু াব্লুএ ৷ ১ৰুষ্া৷ “হা ৷ এ তো সত্য
কথাই বলল ৷ আচ্ছা, যাও যাবৎ না আল্লাহ তোমার ব্যাপারে কোন ফায়সালা দেন ৷” আমি
উঠে পড়লাম ৷ (আমার গোত্র) বনু স৷ ৷লিমার একদল লোক দৌড়ে এসে আমাকে ভর্চুসনা
করতে লাগল ৷ তারা বলল, ইতােপুর্বে তুমি কো ন অপরাধে লিপ্ত হয়েছ বলে আমাদের জানা
নেই, তবুও তোমার সাধ্যে কুলাল না যে, অন্যান্য পশ্চ৷ ৷দবর্তীর৷ যেমন অপরাগত৷ পেশ করেছে
তেমন কোন ওমর তুমিও রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর খিদমতে নিবেদন করতে ৷ তোমার জন্য
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইসৃতিগফার তোমার গোনাহের কাফ্ফারারুপে যথেষ্ট হয়ে যেত! তারা
আমাকে এমন তীব্র ভাষায় ভহ্সন৷ করতে লাগল যে, অবশেষে আমারও ইচ্ছা হতে লাগল যে,
আমি ফিরে গিয়ে আমার পুর্ব ভাষ্য প্রত্যাহার করি ৷ এ পর্যায়ে আমি তাদের জিজ্ঞেস করলাম ৷
আমার মত এমন অবস্থা আর কারো হয়েছে কি ? তার৷ বলল, “হী, আরও দুজন লোক; তারা
তোমার মতই বক্তব্য পেশ করেছে এবং তোমাকে যা বলা হয়েছে, তাদেরকেও তাই বলা
হয়েছে ৷” আমি বাংলায়, সে দুজন কে কে? তার৷ বলল, মুরার৷ ইবনুর রাবী আল আমরী ও
হিলাল ইবন উমাইয়৷ আল ওয়াকিফী ৷ আমি দেখলাম, তারা দুজন ভাল মানুষের নাম উচ্চারণ
করল, যায়৷ ছিলেন বদরে অংশগ্রহণের মর্যাদার ভুষিত এবং যাদের মাঝে পাওয়া যেতে পারে
অনুসরণীয় আদর্শ ৷ এ দু’জনের নাম নেয়া হলে আমি আমার পুর্ব সংকল্পে অবিলে থাকার
সিদ্ধান্ত নিলাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) পশ্চাদবর্তীদের মধ্য হতে শুধু আমাদের এ তিনজনের সাথে
সকল মুসলমানের বাক্যালাপ নিষিদ্ধ করে দিলেন ৷ লোকেরা আমাদের থেকে দুরত্বে অবস্থান
করতে লাগল এবং আমাদের প্রতি বিরুপভাব দেখাল, এমন কি দেশটি যেন আমার কাছে
অপরিচিত হয়ে গেলো ৷ এ যেন আমার পরিচিতি যে দেশ নয় ৷
এভাবে আমাদের দীর্ঘ পঞ্চাশটি দিন অতিবাহিত হল ৷ আমার ঐ দুই সাথী তারা আত্মসমর্পণ
করে যার যার ঘরে অবরুদ্ধ হয়ে কেদে কেদে কটিালেন ৷ দলের মাঝে আমি ছিলাম তরুণ ও
সুঠাম সরল ৷ আমি ঘর থেকে বের হতাম ৷ মুসলমানদের সাথে জামাআতে সালড়াত আদায়
করতাম এবং হাটে-বাজারে ঘুরে বেড়াতাম, কিন্তু একটা লোকও আমার সাথে কথা বলত না ৷
আমি রাসুলুল্লা হ্ (সা) এর খিদমতেও হ যিব হতাম এবং সালাত পরবর্তী মজলিসে উপবেশনকালে
তাকে সালাম করে মনকে জিজ্ঞেস ক্যাতাম-

আমার সালামের জবাবে তা ৷র পবিত্র ঠোর্ট কি নড়ে উঠল, না কি উঠল না ? পরবর্তীতে তার
কাছাক৷ ৷ছি দাড়িয়ে সালড়াত আদায় করতাম এবং চে ৷র৷ দৃষ্টিতে ৩তার দিকে লক্ষ্য করতাম ৷ আমি
সালাতে মনযোগী হলে তিনি আমার দিকে তাকাতেন আর আমি তার দিকে দৃষ্টি ফেরড়ালে তিনি
মুখ ঘুরিয়ে নিতেন ৷ অবশেষে লোকদের কঠােরতা দীর্ঘ মেয়াদী হয়ে গোলে একদিন আমি
ইটিতে ছুাটতে গিয়ে আবু কত ৷দ৷ আমার জ্ঞাতি ভাই এবং প্রিয়তম ব্যক্তির বাগানের দেয়াল
টপকালাম্ ৷ আমি তাকে সালাম করলাম ৷ আল্পাহ্র কসম ! সে আমার সালামের জবাব দিল
না ৷ আমি বললাম, আবু কাতাদা৷ তোমাকে আল্লাহর দোহাই লাগে ! তুমি তো জান যে, আল্লাহ
এবং তীর রাসুলকে আমি ভালবাসি ৷ কিন্তু হায় সে যে নিরব! আমি পুনরায় তাকে দােহাই


كَلَامِنَا أَيُّهَا الثَّلَاثَةُ مِنْ بَيْنِ مَنْ تَخَلَّفَ عَنْهُ، فَاجْتَنَبَنَا النَّاسُ وَتَغَيَّرُوا لَنَا، حَتَّى تَنَكَّرَتْ فِي نَفْسِي الْأَرْضُ، فَمَا هِيَ الَّتِي أَعْرِفُ، فَلَبِثْنَا عَلَى ذَلِكَ خَمْسِينَ لَيْلَةً، فَأَمَّا صَاحِبَايَ فَاسْتَكَانَا وَقَعَدَا فِي بُيُوتِهِمَا يَبْكِيَانِ، وَأَمَّا أَنَا فَكُنْتُ أَشَبَّ الْقَوْمِ وَأَجْلَدَهُمْ، فَكُنْتُ أَخْرُجُ فَأَشْهَدُ الصَّلَاةَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَطُوفُ فِي الْأَسْوَاقِ وَلَا يُكَلِّمُنِي أَحَدٌ، وَآتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأُسَلِّمُ عَلَيْهِ وَهُوَ فِي مَجْلِسِهِ بَعْدَ الصَّلَاةِ، فَأَقُولُ فِي نَفْسِي: هَلْ حَرَّكَ شَفَتَيْهِ بِرَدِّ السَّلَامِ عَلَيَّ أَمْ لَا؟ ثُمَّ أُصَلِّي قَرِيبًا مِنْهُ فَأُسَارِقُهُ النَّظَرَ، فَإِذَا أَقْبَلْتُ عَلَى صَلَاتِي أَقْبَلَ إِلَيَّ، وَإِذَا الْتَفَتُّ نَحْوَهُ أَعْرَضَ عَنِّي، حَتَّى إِذَا طَالَ عَلَيَّ ذَلِكَ مِنْ جَفْوَةِ النَّاسِ، مَشَيْتُ حَتَّى تَسَوَّرْتُ جِدَارَ حَائِطِ أَبِي قَتَادَةَ وَهُوَ ابْنُ عَمِّي وَأَحَبُّ النَّاسِ إِلَيَّ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَوَاللَّهِ مَا رَدَّ عَلَيَّ السَّلَامَ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا قَتَادَةَ أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمُنِي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ؟ فَسَكَتَ، فَعُدْتُ لَهُ فَنَشَدْتُهُ فَسَكَتَ، فَعُدْتُ لَهُ فَنَشَدْتُهُ فَقَالَ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَفَاضَتْ عَيْنَايَ وَتَوَلَّيْتُ حَتَّى تَسَوَّرْتُ الْجِدَارَ. قَالَ: وَبَيْنَا أَنَا أَمْشِي بِسُوقِ الْمَدِينَةِ إِذَا نَبَطِيٌّ مِنْ أَنْبَاطِ أَهْلِ الشَّامِ مِمَّنْ قَدِمَ بِطَعَامٍ يَبِيعُهُ بِالْمَدِينَةِ يَقُولُ: مَنْ يَدُلُّنِي عَلَى كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ؟ فَطَفِقَ النَّاسُ يُشِيرُونَ لَهُ، حَتَّى إِذَا جَاءَنِي دَفَعَ إِلَيَّ كِتَابًا مِنْ مَلِكِ غَسَّانَ، فَإِذَا فِيهِ: أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّهُ قَدْ بَلَغَنِي أَنَّ صَاحِبَكَ قَدْ جَفَاكَ، وَلَمْ يَجْعَلْكَ اللَّهُ بِدَارِ هَوَانٍ وَلَا مَضْيَعَةٍ، فَالْحَقْ بِنَا نُوَاسِكَ، فَقُلْتُ لَمَّا قَرَأْتُهَا: وَهَذَا أَيْضًا مِنَ الْبَلَاءِ، فَتَيَمَّمْتُ بِهَا التَّنُّورَ فَسَجَرْتُهُ بِهَا حَتَّى إِذَا
পৃষ্ঠা - ৩৬৬১


দিলাম ৷ কিন্তু সে যথারীতি নিরব! তৃতীয়বার তাকে দােহাই দিলে সে বলল “আল্লাহ এবং তার
রাসুলই সমধিক অবগত ৷” আমার দৃ’চোখ ভরে পানি এল ৷ আমি উল্টাপায় ফিরে দেয়াল
টপকালাম ৷

কাব (বা) বলেন, একদিনের ঘটনা আমি মদীনায় বাজারে ঘুরাঘৃৰি করছিলাম, শুনি কি
সিরিয়ার অধিবাসী জনৈক নড়াবাতী ব্যক্তি মদীনায় খাদ্যসামগ্রী বিক্রির উদ্দেশ্য আগত
ব্যবসায়ীদের একজন আওয়ড়ায দিচ্ছে কাব ইবন মালিকের সন্ধান আমাকে কি দিতে পার?
ণ্লাকেরা আমার দিকে ইঙ্গিত করে তাকে দেখাতে লাগল ৷ আেকটি আমার কাছে এসে (এক
টুকরা রেশমী কাপড়ে ঘোড়া) পাসৃসানী রাজার একটি চিঠি আমার হাতে তুলে দিল ৷ পড়ে
দেখি কি “পর সমাচার, আমি জানতে পেয়েছি যে, তোমার কর্তা তোমাকে নিপীড়ন করেছে ৷
তুমি তো মর্যাদাহীন ও ফালতু ব্যক্তি নও ৷ তুমি আমাদের এখানে এসে পড়াে, আমরা তোমার
প্ৰতি সহমর্মিতা দেখার ৷” পত্র পাঠে আমি মনে মনে বললাম, এটাও আর একটা পরীক্ষা, আমি
অবলীলায় চিঠিটি চুলায় নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে দিলাম ৷ দিন এভাবে গড়াতে থাকলাে ৷ পঞ্চাশ
দিনের মধ্যে চল্লিশ দিনের মাথায় আল্লাহ্র রাসুল (না)-এর দুত এসে আমাকে বলল, আল্লাহ্র
রাসুল তোমাকে তোমার শ্রী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার হুকুম করেছেন ৷ আমি বললাম, তাকে কি
তালাক’ দিয়ে দেব নাকি অন্য কিছু করব? দুত বলল, না, তার থেকে পৃথক থাকবে এবং তার
সাথে সহবাস করবে না ৷ আমার সাথীদের কাছেও অভিন্ন আদেশনামা পাঠান হল ৷ আমি
আমার স্তীকে বললাম, বাপের বাড়ি চলে যাও এবং এ ব্যাপারে আল্লাহ্ ফায়সালা না দেয়া
পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবে ৷

কাব (বা) বলেন, হিলাল ইবন উমইিয়ার শ্রী রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে বলল, ইয়া
রাসুলুল্পাহ্! হিলাল ইবন উমাইয়া এক দুর্বল বৃদ্ধ; তার কোন খাদিম নেই; আমি তাকে সেবা
করা কি আপনি অপসন্দ করবেন? তিনি বললেন, এ১;ন্ধ্রপ্লু ¥ :ঘ্র ষ্১৷ না; তবে সে তোমার
সাথে সহবাস করতে পারবে না ৷ সে বলল, “আল্লাহ্র কলম! এ ব্যাপারে তার কােনই আগ্রহ
নেই ৷ আল্লাহ্র কসম! ঘটনার সে দিন থেকে আজ পর্যন্ত কেদে কেদেই কাটিয়ে দিয়েছে ৷”
এমতাবস্থায় আমার (কাব-এর) পরিবারের কেউ কেউ আমাকে বলল, তুমি যদি তোমার শ্রীর
ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর অনুমতি নিয়ে নিতে যেমন হিলাল ইবন উমাইয়ার খিদমতের
জন্য তার শ্রী অনুমতি নিয়েছে ! আমি বললাম, আল্লাহ্র কলম! এ ব্যাপারে আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা)এর অনুমতি চাইতে যাব না ৷ কেননা, জানি আমি এক সুঠাম যুবক, শ্রীর ব্যাপারে
অনুমতি চাইতে গেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে কীনা কি বলেনঃ

কাব (রা) বলেন, এরপরে আমার প্রভীক্ষার আরও দশ দিন অতিক্রক্তে হল এবং রাসুলুল্লাহ্
(সা) আমাদের সাথে বক্যে-ৰিনিময় নিষিদ্ধ করার পর থেকে পঞ্চাশ দিন পুর্ণ হল ৷ পঞ্চাশতম রাত
গিয়ে ভোরে আমি আমাদের বাড়ির কোন এক ঘরের ছাদে ফজরের সালাত আদায় করছিলাম ৷
আমি সালাতড়াতে সেই বিবাদ ভারাক্রাম্ভ অবস্থায় বসা ছিলাম, যেমন মহান আল্লাহ্ বর্ণনা দিয়েছেন-
“আমার অস্তিত্ব আমার কাছে ভারী হয়ে গিয়েছে, আর পৃথিবী তার ব্যাপক বিন্তুতি সত্বেও আমার
কাছে সংর্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে ৷” শুনি কি মালা পাহাড়ের চুড়ড়ায় উঠে কোন চিংকারকারী তার পুর্ণ
শক্তিতে চিৎকার দিয়ে বলছে, হে কাব৷ তোমার জন্য শুভ সংবাদ ! শুনামাত্র আমি সিজদাবনত


مَضَتْ أَرْبَعُونَ لَيْلَةً مِنَ الْخَمْسِينَ، إِذَا رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِينِي فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَعْتَزِلَ امْرَأَتَكَ. فَقُلْتُ: أُطَلِّقُهَا أَمْ مَاذَا أَفْعَلُ؟ قَالَ: لَا بَلِ اعْتَزِلْهَا وَلَا تَقْرَبْهَا. وَأَرْسَلَ إِلَى صَاحِبَيَّ بِمِثْلِ ذَلِكَ، فَقُلْتُ لِامْرَأَتِي: الْحَقِي بِأَهْلِكِ فَتَكُونِي عِنْدَهُمْ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ فِي هَذَا الْأَمْرِ. قَالَ كَعْبٌ: فَجَاءَتِ امْرَأَةُ هِلَالِ بْنِ أُمَيَّةَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هِلَالَ بْنَ أُمَيَّةَ شَيْخٌ ضَائِعٌ لَيْسَ لَهُ خَادِمٌ فَهَلْ تَكْرَهُ أَنْ أَخْدِمَهُ؟ قَالَ: " لَا وَلَكِنْ لَا يَقْرَبْكِ ". قَالَتْ: إِنَّهُ وَاللَّهِ مَا بِهِ حَرَكَةٌ إِلَى شَيْءٍ، وَاللَّهِ مَا زَالَ يَبْكِي مُنْذُ كَانَ مِنْ أَمْرِهِ مَا كَانَ إِلَى يَوْمِهِ هَذَا. فَقَالَ لِي بَعْضُ أَهْلِي: لَوِ اسْتَأْذَنْتَ رَسُولَ اللَّهِ فِي امْرَأَتِكَ كَمَا أَذِنَ لِامْرَأَةِ هِلَالِ بْنِ أُمَيَّةَ أَنْ تَخْدِمَهُ. فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَا أَسْتَأْذِنُ فِيهَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَا يُدْرِينِي مَا يَقُولُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اسْتَأْذَنْتُهُ فِيهَا وَأَنَا رَجُلٌ شَابٌّ! قَالَ: فَلَبِثْتُ بَعْدَ ذَلِكَ عَشْرَ لَيَالٍ، حَتَّى كَمَلَتْ لَنَا خَمْسُونَ لَيْلَةً مِنْ حِينِ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ عَنْ كَلَامِنَا، فَلَمَّا صَلَّيْتُ الْفَجْرَ صُبْحَ خَمْسِينَ لَيْلَةً وَأَنَا عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِنَا، فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ عَلَى الْحَالِ الَّتِي ذَكَرَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، قَدْ ضَاقَتْ عَلَيَّ نَفْسِي، وَضَاقَتْ عَلَيَّ الْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ، سَمِعْتُ صَوْتَ صَارِخٍ أَوْفَى عَلَى جَبَلِ سَلْعٍ بِأَعْلَى صَوْتِهِ: يَا كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ أَبْشِرْ. فَخَرَرْتُ سَاجِدًا وَعَرَفْتُ أَنْ قَدْ جَاءَ فَرَجٌ، وَآذَنَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَوْبَةِ اللَّهِ عَلَيْنَا حِينَ صَلَّى صَلَاةَ الْفَجْرِ، فَذَهَبَ النَّاسُ يُبَشِّرُونَنَا، وَذَهَبَ قِبَلَ صَاحِبَيَّ مُبَشِّرُونَ، وَرَكَضَ رَجُلٌ إِلَيَّ فَرَسًا وَسَعَى سَاعٍ مِنْ أَسْلَمَ، فَأَوْفَى عَلَى الْجَبَلِ، وَكَانَ الصَّوْتُ أَسْرَعَ مِنَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৬২


হন্সাম ৷ আমি বুঝতে পারলাম যে, সংকট কেটে গিয়েছে, প্রশস্ততার দৃরার উন্মুক্ত হয়েছে ৷ ও দিকে
ঘটনা হয়েছিল এই যে, ফজরের সালাত আদায়ক৷ ৷লে ব ৷সুলুল্লা হ (না) আর ল্লাহ্র পক্ষ থেকে
আমাদের তাওবা কবুল হওয়ার ঘোষণা দিলেন ৷ লোকেরা আমাদেরকে সুসৎ বাদ দেয়া র উদ্দেশ্যে
বেরিয়ে পড়ল ৷ আম র সাথীদ্বয়ের কাছেও সুসৎ ৷দ ব ৷হকের৷ গেল ৷ আমার কাছে আল ৷র জন্য
এক ব্যক্তি ঘোড ৷দৌড়৷ ৷ল ৷ অ ৷সলাম গোত্রের এক ব্যক্তি পাহাড় ভুড়৷ য় উঠল ৷ আওয়ায তার
গতিতে যোড়াকে হার মানাল ৷ আমি যার আওয়ায শুনতে ৫পয়েছিলাম, সে লোকটি সশরীরে
আমার কাছে পৌছলে আনন্দে আ ৷মি আ ৷মার কাপড় জে ৷ড়া খুলে তার সুসৎব বাদ প্রদানের বিনিময়ে
তাকে পরিয়ে দিল৷ ৷ম ৷ অ ৷ল্লাহ্র কলম! তখন এ দৃ টি ছাড় আমার আর কোন কাপড় ছিল না ৷
তাই আ ৷মি দুখ৷ না কাপড় ধার করে পরলাম ৷ তারপর রাসুলুল্লা হ্ (সা)এর খিদমতে হ যিরা
দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ৷ দলে দলে লোক আমাকে তাওবা কবুলের সুসৎবাদ দিয়ে
অভিনন্দন জানাতে লাগল ৷ তারা বলতে লাগল, আল্লাহ যে তাওবা কবুল করলেন তা তোমার জন্য
যুবাৱক হোক কাব (বা) বলেন, এভাবে আ ৷মি মসজিদে প্রবেশ করে দেখলাম, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
লোকজন পরিরেষ্টিত হয়ে উপবিষ্ট রয়েছেন ৷ ত ৷লহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ আমাকে দেখে ছুটণ্ডে ছুটতে
এসে আমার মা ৷থে মুসাফাহা করলেন এবং আমাকে মুব৷ ৷রকবাদ জানালেন ৷ আল্লাহর কলম!
যুহাজিরদের মাঝে ঐ একটি লোক ব্যতীত আর কেউ আমার জন্য র্দাড়াল না ৷ আ তালহ৷ (রা)-
এর এ সৌজন্যের কথা কোন দিন ভুলব না ৷

কাব (বা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে সালাম করলাম ৷ তখন তার পুত চেহারা
আনন্দে জ্বলজ্বল করছিল তিনি বললেন, তোমার ম৷ তোমাকে প্ৰসব করার পর অবধি তোমার
জন্য সর্বাধিক মঙ্গলময় দিনের সুসৎ বাদ নাও ৷ আ ৷ঘি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এটা আপনার
পক্ষ থেকে না ৷কি আল্লাহর পক্ষ থেকে? তিনি বললেন, না, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর প্রকৃতি ছিল যে, তিনি আনন্দিত হলে তার চেহারা এমন উজ্জ্বল হয়ে যেত,
যেন তা চীদের টুকরা; আমরা তা সহজেই উপলব্ধি করতে পারতাম ৷

তীর সামনে বসে পড়ে আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার তাওবার একাৎশ এটাও
হবে যে, আমি আমার সহায়-সম্পদ আল্লাহ্ এবং জর রাসুলের জন্য সাদাক৷ করে তা থেকে
বিঘুক্ত হব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,


“তোমার মালের কতকাৎশ নিজের জন্য রেখে দাও এটাই তোমার জন্য উত্তম হবে ৷” আমি
বললাম, তা হলে খায়বারে প্রাপ্ত আমার পনীমতের অংশ আ ৷মি রেখে দিচ্ছি? আমি আরও
বললাম, “ইয়া রাসুলাল্লা হ আল্লাহ তো আমাকে সত্য কথনের বদৌলতেই৷ না ৷ত দিয়েছেন;
তাই এটাও আমার তাওবা যে, যদ্দিন বেচে থাকর, সত্য ব্যতিরেকে কোন কথা বলব না ৷”
আল্লাহ্র কসম! রাসুলুল্লাহ্ (সা)কে আমার এ কথা বলার পর থেকে আল্লাহ পাক সত্য ভাষণের
কারণে কোনও মুসলমানকে আমার চাইতে উত্তম প্রাচুর্যনমৃদ্ধ করেছেন, এমন কারো কথা আমার
জানা নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে আমার এ কথা বলার পর থেকে আমার আজিকার এ দিন পর্যন্ত
আমি মিথ্যা একটি কথাও বলি নি৷ আর আমার আশা, আমার ভবিষ্যত জীবনেও আল্লাহ্
আমাকে হিফাজত করবেন ৷


الْفَرَسِ، فَلَمَّا جَاءَنِي الَّذِي سَمِعْتُ صَوْتَهُ يُبَشِّرُنِي نَزَعْتُ لَهُ ثَوْبَيَّ فَكَسَوْتُهُ إِيَّاهُمَا بِبُشْرَاهُ، وَاللَّهِ مَا أَمْلِكُ غَيْرَهُمَا يَوْمَئِذٍ، وَاسْتَعَرْتُ ثَوْبَيْنِ فَلَبِسْتُهُمَا، وَانْطَلَقْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَلَقَّانِي النَّاسُ فَوْجًا فَوْجًا يُهَنِّئُونِي بِالتَّوْبَةِ يَقُولُونَ: لِيَهْنِكَ تَوْبَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ. قَالَ كَعْبٌ: حَتَّى دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ، فَإِذَا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ حَوْلَهُ النَّاسُ، فَقَامَ إِلَيَّ طَلْحَةُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ يُهَرْوِلُ حَتَّى صَافَحَنِي وَهَنَّأَنِي وَاللَّهِ مَا قَامَ إِلَيَّ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ غَيْرُهُ وَلَا أَنْسَاهَا لِطَلْحَةَ. قَالَ كَعْبٌ: فَلَمَّا سَلَّمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَبْرُقُ وَجْهُهُ مِنَ السُّرُورِ: " أَبْشِرْ بِخَيْرِ يَوْمٍ مَرَّ عَلَيْكَ مُنْذُ وَلَدَتْكَ أُمُّكَ ". قَالَ: قُلْتُ: أَمِنْ عِنْدِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَمْ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ؟ قَالَ: " لَا بَلْ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ ". وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سُرَّ اسْتَنَارَ وَجْهُهُ حَتَّى كَأَنَّهُ قِطْعَةُ قَمَرٍ، وَكُنَّا نَعْرِفُ ذَلِكَ مِنْهُ، فَلَمَّا جَلَسْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ مِنْ تَوْبَتِي أَنْ أَنْخَلِعَ مِنْ مَالِي صَدَقَةً إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمْسِكْ عَلَيْكَ بَعْضَ مَالِكَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ". قُلْتُ فَإِنِّي أُمْسِكُ سَهْمِي الَّذِي بِخَيْبَرَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ اللَّهَ إِنَّمَا نَجَّانِي بِالصِّدْقِ، وَإِنَّ مِنْ تَوْبَتِي أَلَّا أَتَحَدَّثَ إِلَّا صِدْقًا مَا بَقِيتُ. فَوَاللَّهِ مَا أَعْلَمُ أَحَدًا مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَبْلَاهُ اللَّهُ فِي صِدْقِ الْحَدِيثِ مُنْذُ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحْسَنَ مِمَّا أَبْلَانِي، مَا تَعَمَّدْتُ مُنْذُ ذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى يَوْمِي هَذَا كَذِبًا، وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ يَحْفَظَنِي اللَّهُ فِيمَا بَقِيتُ، وَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {لَقَدْ تَابَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ} [التوبة: 117] إِلَى قَوْلِهِ: {وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ} [التوبة: 119] فَوَاللَّهِ مَا أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيَّ مِنْ نِعْمَةٍ قَطُّ بَعْدَ أَنْ هَدَانِي لِلْإِسْلَامِ أَعْظَمَ فِي نَفْسِي مِنْ صِدْقِي لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا أَكُونَ كَذَبْتُهُ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৬৩
আল-বিদায়া ওয়ান ৫৭

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ জর রাসুলের প্রতি আয়াত নাযিল করেলন fl

“আল্লাহ অনুগ্রহ পরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসড়ারদিগের প্ৰতি,
এবং (তোমরা) সত্যরাদীদিগের অন্তর্ভুক্ত হও” (৯ : ১ ১ ৭ ১ ১ ৯ ) ৷ তাই আল্লাহর কসম করে
বলছি, আল্লাহ আমাকে ইসলাম গ্রহণের হিদায়াত প্রদানের নিয়ড়ামতের পরে রাসুলুল্লাহ (সা)-
এর কাছে সত্য বলার তাওফীক প্রদানই আমার দৃষ্টিতে তীর সবচাইতে বড় নিরামতরুপে
ৰিরে০ি৩ ৷ কারণ তার ফলে এমন হয় নি যে, আমি কি ভীর কাছে মিথ্যা বলতাম, আর
মিথুকরা যেমন ধ্বংস হয়েছে আমিও তেমনি ধ্বংস হয়ে যেতাম ৷

কেননা, মিথ্যারাদীদের প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক যখন ওহী নাযিল করলেন, তখন কোন ব্যক্তির
জন্য কথিত চরম মন্দ কথাই তাদের প্রসঙ্গে বললেন ৷ আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করলেন-


ক্রোঠু , “ ন্শ্ দ্বণ্ঠুন্ চুপ্ট্রুংব্রৰুস্ফুাৰুশ্লো১শুণ্ন্শ্গ্ঠুণ্হুণুঠুসৌংম্পু ম্পুদ্াৰুণ্এ;শ্ এঞ্জি ” £ব্রশু : ১সৌংর্শীষ্ট্টশ্
“তোমরা তাদের কাছে ফিরে আসলে তারা আল্লাহর শপথ করবে যাতে তোমরা তাদেরকে
উপেক্ষা কর ৷ আল্লাহ্ সত্যত্যাগী সম্প্রদায়ের প্রতি তুষ্ট হবেন না (৯ : ৯৫-৯৬) ৷

কাব (রা) বলেন, বিশেষ করে আমাদের তিনজনকে প্ৰভীক্ষা’ করতে বলা হয়েছিল ৷ মারা
এসে মিথ্যা শপথ করে রাসুলের বাহ্যিক মঞ্জুরী লাভ করছিল এবং তিনি তাদের পুন৪ রায়আত
করে নিয়ে তাদের জন্য ইসৃতিপফার করছিলেন ৷ তাদের থেকে পৃথক করে রাসুলুল্লাহ (সা)
আমাদের ব্যাপারটি স্থগিত রেখে দিলেন এবং আল্লাহর ফায়সালা হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি ৰিলম্বিত
থাকে ৷ এ ৰিষয়েই আল্লাহ তাআলা বলেছেন, র্ণীঙুএগ্রী১ ঞম্রা হ্নহুদ্ত্তগ্রো ষ্দ্যু “এবং (তিনি ক্ষমা
করলেন) অপর তিনজনকেও যাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত স্থগিত’ রাখা হয়েছিল (৯ : ১ ১৮) ৷

এ আয়াতে ৷ড্রুদ্বুা; শব্দ দিয়ে আল্লাহ আমাদের যুদ্ধ থেকে পশ্চাতবডীতিার কথা উল্লেখ
করেন নি, বরং এখানে শব্দটির অর্থ তিনি যে আমাদের প্ৰভীক্ষায় রেখেছিলেন এবং যারা
হলফসহ ওমর-অজুহাত পেশ করলে তা কবুল করা হয়েছিল তাদের থেকে আমাদের বিষয়টি
ৰিলন্বিত রাখা হয়েছিল তাই বুঝানো হয়েছে ৷

মুসলিম (র) যুহ্বী (র) এর সনদ মাধ্যমে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ মুহাম্মদ ইবন ইসহাক
(র) ও যুহ্রী (র) থেকে বুখারী (র)-এর বর্ণনানুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আমার তাফসীর’
গ্রন্থে আমি ইমাম আহমদ (র)এর মুসনাদের ররাতে তা বর্ণনড়া করেছি ৷ এ বর্ণনায় কিছু
অতিরিক্ত কথাও রয়েছে ৷

পশ্চাদবতীদৈর প্রসঙ্গ
আলী ইরন তালহা আল ওরালিবী (র) আল্লাহ তাআলার রাণী-




: ধ্ৰুন্ র্দু--ণ্ ইে নাঃএএদ্ভহুহ্রপ্রুথ্ ঢু দ্র ঢঠু;ষ্টুঝু;হুক্রে;ন্প্রুৰু কুপুব্লুদ্বুছুশুব্লুন্ট্রু ব্লুশুঠুট্ট্রুদ্বু
ন্টুট্রিটুদ্বুণ্ট্রুন্নন্নুব্লুন্নুবুদ্বুশু:
এবং অপর কতক লোকে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা এক সৎকর্মের সাথে

মার অসৎকর্ম মিশ্রিত করেছে; আল্লাহ হয়ত তাদের ক্ষমা করবেন; আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম


فَأَهْلِكَ كَمَا هَلَكَ الَّذِينَ كَذَبُوا، فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لِلَّذِينَ كَذَبُوا حِينَ أَنْزَلَ الْوَحْيَ شَرَّ مَا قَالَ لِأَحَدٍ، قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: {سَيَحْلِفُونَ بِاللَّهِ لَكُمْ إِذَا انْقَلَبْتُمْ إِلَيْهِمْ لِتُعْرِضُوا عَنْهُمْ} [التوبة: 95] إِلَى قَوْلِهِ: {فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَرْضَى عَنِ الْقَوْمِ الْفَاسِقِينَ} [التوبة: 96] (التَّوْبَةِ: 95، 96) قَالَ كَعْبٌ: وَكُنَّا تَخَلَّفْنَا أَيُّهَا الثَّلَاثَةُ عَنْ أَمْرِ أُولَئِكَ الَّذِينَ قَبِلَ مِنْهُمْ رَسُولُ اللَّهِ حِينَ حَلَفُوا لَهُ فَبَايَعَهُمْ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمْ، وَأَرْجَأَ رَسُولُ اللَّهِ أَمْرَنَا حَتَّى قَضَى اللَّهُ فِيهِ، فَبِذَلِكَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى وَعَلَى الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ خُلِّفُوا (التَّوْبَةِ: 118) . لَيْسَ الَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ مِمَّا خُلِّفْنَا مِنَ الْغَزْوِ، وَإِنَّمَا هُوَ تَخْلِيفُهُ إِيَّانَا وَإِرْجَاؤُهُ أَمْرَنَا عَمَّنْ حَلَفَ لَهُ وَاعْتَذَرَ إِلَيْهِ فَقَبِلَ مِنْهُ» . وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ طَرِيقِ الزُّهْرِيِّ بِنَحْوِهِ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ. عَنِ الزُّهْرِيِّ مِثْلَ سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ وَقَدْ سُقْنَاهُ فِي " التَّفْسِيرِ " مِنْ " مُسْنَدِ الْإِمَامِ أَحْمَدَ "، وَفِيهِ زِيَادَاتٌ يَسِيرَةٌ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. [ذِكْرُ أَقْوَامٍ تَخَلَّفُوا مِنَ الْعُصَاةِ] ِ غَيْرِ هَؤُلَاءِ. قَالَ عَلِيُّ بْنُ طَلْحَةَ الْوَالِبِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَآخَرُونَ اعْتَرَفُوا بِذُنُوبِهِمْ خَلَطُوا عَمَلًا صَالِحًا وَآخَرَ سَيِّئًا، عَسَى اللَّهُ أَنْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ} [التوبة: 102] (التَّوْبَةِ: 102) قَالَ: كَانُوا عَشَرَةَ رَهْطٍ تَخَلَّفُوا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৬৪


দয়ালু (৯ : ১০২) ৷ এ প্রসঙ্গে ইবন আব্বাস (রা) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, তিনি
বলেছেন, এরা ছিলেন, দশজন; যারা তাবুক অভিযানে রাসুলুল্লাহ (না)-এর সহগামী হন নি ৷
তার প্ৰতব্রাবর্তনকালে এরা উপস্থিত হলে এদের সাতজন নিজেদেরকে মসজিদের স্তম্ভসমুহের
সাথে বেধে রাখলেন, রাসুলুল্পাহ (সা) এদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলেন, এরা
কারা ? লোকেরা বলল, আবু লুবাব৷ (রা) এবং তার সঙ্গী-সাথীরা; তারা আপনার সহপামী হয়
নি; (অপরাধবােধের জন্য স্বীকৃতিস্বরুপ এখন নিজেদেরকে বেধে রেখেছে) যাতে আপনি
তাদের যুক্ত করে দেন এবং তাদের ওযর মঞ্জুর করেন ৷ তিনি বললেন-

শ্জৌষ্ ৫শু ট্রুএটী ওে ৷দ্বুটুহুশু ব্লেৰুট্টণ্
“আমিও আল্লাহর কসম করে বলছি ! আমি তাদের মুক্ত করব না, তাদের ওযরও গ্রহণ

করব না; যতক্ষণ না আল্লাহ্ই তাদের যুক্ত করে দেন ৷ ওরা আমার প্ৰতি বিমুখ রয়েছে এবং
মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ ণমনে বিরত রয়েছে ৷

তাদের কাছে রাসুলুল্লাহ (না)-এর এ উক্তি পৌছলে র্তার৷ বললেন, আমরাও নিজেদের যুক্ত
করছি না, যতক্ষণ না আল্লাহই আমাদের মুক্ত করছেন ৷ তখন আল্লাহ এ আয়াত নাযিল
করলেন ণ্ণ্ণ্হু১ইএ-৷ ,এ)ৰুং৷ :ঙু)১াঙু (অর্থাৎ অন্য যারা তাদের অপরাধ স্বীকার করলো) এ
আঘাতের ৰু ,ণ্; (হয়ত) শব্দটি আক্ষরিক অর্থে আশাব্যঞ্জক হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তা
নিশ্চয়তা বিধায়ক অর্থে হয়ে থাকে ৷

এ আয়াতটি নাযিল হলেও রাসুলুল্লা হ্ (সা) এ সং বাদ দিয়ে তাদের কাছে লোক পাঠ্য ৷লেন
এবং তাদের মুক্ত করে দিয়ে তাদের ওযর-অপরাণতার মঞ্জুরী দিলেন ৷ তখন তারা তাদের
নিজেদের ধন-সম্পদ নিয়ে এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ ৷ এই আমাদের ধন-সম্পদ, (যা
জিহাদে প্রতিবন্ধক হয়েছিল) আপনি আমাদের তরফে এগুলো সাদাক৷ করে দিয়ে আমাদের
জন্য মাণফিরাত কামনা করুন! তিনি বললেন, “ তোমাদের মাল সম্পদ গ্রহণে আমি আদিষ্ট হই
নি ৷ তখন আল্লাহ নাযিল করলেন ’

ছুগ্লু; £ণ্ন্’াহ্রন্:ৰুষ্ট্র



“তাদের সম্পদ থেকে সাদাকা গ্রহণ করবে ৷ তা দিয়ে তুমি তাদের পবিত্র করবে এবং

পরিঃশাধিত করবে ৷ তুমি তাদের জন্য দু আ করবে৷ তোমার দু আাদের জন্য প্রশা ৷ন্তিকর ৷

আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ ৷ ওরা কি জা নে না যে, আল্লাহ তার রান্দাদের তাওরা কবুল করেন

এবং সাদাকা’ গ্রহণ করেন? আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, দয়ালু ৷ এবং আল্লাহর আদেণের

প্ৰভীক্ষায় অপর কতকের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত স্থগিত রইল তিনি তাদের শাস্তি দিবেন, না-কি ক্ষমা
করবেন ৷ আল্লাহ সবজ্ঞ, প্ৰজ্ঞাময় (৯ : ১০৩ ১০৬) ৷

এ শেযােক্তরা হলেন তারা হারা নিজদেরকে ম্ভম্ভের সাথে আবদ্ধ করেন নি ৷ তাদের বিষয়টি
স্থগিত রাখা হয় ৷ অবশেষে নাযিল হল আল্লাহর বাণী-


فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَلَمَّا حَضَرَ رُجُوعُهُ أَوْثَقَ سَبْعَةٌ مِنْهُمْ أَنْفُسَهُمْ بِسَوَارِي الْمَسْجِدِ، وَكَانَ مَمَرُّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَجَعَ مِنَ الْمَسْجِدِ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا مَرَّ بِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ قَالَ: " مَنْ هَؤُلَاءِ؟ " قَالُوا: أَبُو لُبَابَةَ وَأَصْحَابٌ لَهُ، تَخَلَّفُوا عَنْكَ حَتَّى تُطْلِقَهُمْ وَتَعْذُرَهُمْ قَالَ: " وَأَنَا أُقْسِمُ بِاللَّهِ لَا أُطْلِقُهُمْ وَلَا أَعْذُرُهُمْ حَتَّى يَكُونَ اللَّهُ، عَزَّ وَجَلَّ، هُوَ الَّذِي يُطْلِقُهُمْ، رَغِبُوا عَنِّي، وَتَخَلَّفُوا عَنِ الْغَزْوِ مَعَ الْمُسْلِمِينَ ". فَلَمَّا أَنْ بَلَغَهُمْ ذَلِكَ قَالُوا: وَنَحْنُ لَا نُطْلِقُ أَنْفُسَنَا حَتَّى يَكُونَ اللَّهُ هُوَ الَّذِي يُطْلِقُنَا، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَآخَرُونَ اعْتَرَفُوا بِذُنُوبِهِمْ} [التوبة: 102] الْآيَةَ. " وَعَسَى " مِنَ اللَّهِ وَاجِبٌ فَلَمَّا أُنْزِلَتْ أَرْسَلَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ فَأَطْلَقَهُمْ وَعَذَرَهُمْ فَجَاءُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذِهِ أَمْوَالُنَا فَتَصَدَّقْ بِهَا عَنَّا، وَاسْتَغْفِرْ لَنَا، فَقَالَ: " مَا أُمِرْتُ أَنْ آخُذَ أَمْوَالَكُمْ ". فَأَنْزَلَ اللَّهُ: {خُذْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ صَدَقَةً تُطَهِّرُهُمْ وَتُزَكِّيهِمْ بِهَا وَصَلِّ عَلَيْهِمْ إِنَّ صَلَاتَكَ سَكَنٌ لَهُمْ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ} [التوبة: 103] إِلَى قَوْلِهِ {وَآخَرُونَ مُرْجَوْنَ لِأَمْرِ اللَّهِ إِمَّا يُعَذِّبُهُمْ وَإِمَّا يَتُوبُ عَلَيْهِمْ} [التوبة: 106] (التَّوْبَةِ: 103، 106) . وَهُمُ الَّذِينَ لَمْ يَرْبِطُوا أَنْفُسَهُمْ بِالسَّوَارِي فَأُرْجِئُوا حَتَّى نَزَلَ قَوْلُهُ تَعَالَى: {لَقَدْ تَابَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ} [التوبة: 117] إِلَى قَوْلِهِ: {وَعَلَى الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ خُلِّفُوا} [التوبة: 118] إِلَى آخِرِهَا (التَّوْبَةِ: 117، 118) . وَكَذَا رَوَاهُ عَطِيَّةُ بْنُ سَعْدٍ الْعَوْفِيُّ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ بِنَحْوِهِ. وَقَدْ ذَكَرَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ وَمُجَاهِدٌ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ أَبِي لُبَابَةَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৬৫


১ ¢§

“আল্লাহ অনুগ্রহ পরায়ণ হলেন নবীর প্রতি এবং মুহাজির ও অড়ানসারদের প্রতি যারা (৯ :
১ ১ ৭ ১ ১৮) ৷ অর্থাৎ যাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল ৷ আতিয়্যা ইবন সাঈদ আল
আওফী (র) ও ইবন আব্বাস (রা) থেকে অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷

সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব, মুজাহিদ ও মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) ও আবু লুবাবা (রা)-এর এ
সময়কার ঘটনা এবং বনু কুরায়যা অভিযানকালীন ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ বনু কুরড়ায়যা
অভিযানের পরেও তিনি নিজেকে বেধে রেখেছিলেন এবং পরে তার তাওবা কবুল হয়েছিল ৷
পরবর্তীতে তিনি তাবুক অভিযান থেকে পশ্চাতে রয়ে গেলেন এবং পুর্বের ন্যায় নিজেকে বেধে
রাখলেন অবশেষে আল্লাহ র্তাকে ক্ষমা করলেন ৷

তিনি তার সব মাল-সম্পদ সাদাকা করে দিয়ে বিমুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে রড়াসুলুল্লাহ্
(সা) তাকে বললেন, সাদাকা করার তোমার জন্য এক-তৃভীয়াংশ্ইি যথেষ্ট শ্রো৷ এা১ ব্লু) এ;হ্রহ্রৰু
মুজাহিদ ও ইবন ইসহাক বলেছেন, এ সম্পর্কেই নাযিল হল ণ্ঙ ১এ ং১হু ম্রগু এ১ং :ঙু)১ঙু“এবং
অপর কতক লোকে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে”(১ : ১০২) ৷ সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব
বলেছেন, এ ঘটনার পর থেকে তার (আবু লুবাবা বা) জীবনে কল্যাণ ও সাধুতাই পরিলক্ষিত
হয়েছে রাদিয়াল্লাহ আনহ ওয়া আরযাহু’ ৷

আমি বলি, এ তিন বর্ণনাকারী (সাঈদ, মুজাহিদ ৩ ইবন ইসহাক) আবু লুবাবা (রা)-এর
সাথে তার অন্যান্য সঙ্গীদের কথা উল্লেখ না বল্পার কারণ সম্ভবত এই যে, তিনি যেন তাদের
সকলের প্রতিনিধির মর্যাদার অতিরিক্ত হিঃল্যাং যেমন ইবন আব্বাস (রা)এর বর্ণনা থেকে
স্পষ্ট বুঝা যায় ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ হাফিজ বারহাকী (র) আবু আহমদ আয যুবায়রী
(র) সুত্রেইবন মাসউদ (রা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাদেরকে লক্ষ্য করে ভাষণ দিলেন, তাতে তিনি বললেন,

! মোঃ ঙ্ ণ্ৰু ! মোঃ -, ণ্শু ! মোঃ -, ণ্ৰু ণ্ইএএ ধ্:এন্আে দো খো ট্ট^ ণ্র্ন্তঔশ্ ঠো
“অবশ্যই তোমাদের মাঝে মুনাফিকরা রয়েছে ৷ এখন আমি যার নাম উচচারণ করব, সে
যেন দাড়িয়ে যায় ৷ দীড়াও হে অমুক ! র্দাড়াও হে অমুক ! র্দাড়াও হে অমুক !”
এভাবে একে একে ছত্রিশজনের নাম নিলেন ৷ তারপর বললেন-
খ্যাঃ ঘো এ৩১প্রীঞগু খোং^ ৰু£১ৰু তাে ণ্ড্রুশ্শু ঞা
তোমাদের মাঝে কিৎবা বললেন, তোমাদের মধ্য হতে কিছু মুনাফিক রয়েছে, তাই
তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর ৷ ’ বর্ণনাকারী বলেন, চাদরে মুখাবৃত এক ব্যক্তির পাশ
দিয়ে উমর (রা) যাচ্ছিলেন ৷ তাদের দুজনের মধ্যে পরিচয় ছিল ৷ উমর (রা) বললেন, তোমার
ব্যাপার কী? সে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বক্তব্য বিষয়ে উমরকে অবহিত করলে তিনি বললেন,
আজীবন তোমার জন্য অভিসম্পাত !

আমি বলি, তাবুক অভিযান থেকে পশ্চড়াতে অবস্থানকারীরা মুলত চার ধরনের লোক ছিল ৷
এক অনুমতিপ্রাপ্ত ও ছাওয়াবের অংশীদার, যেমন আলী ইবন আবু তালিব, মুহাম্মদ ইবন


وَمَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ، وَرَبْطِهِ نَفْسَهُ حَتَّى تِيبَ عَلَيْهِ، ثُمَّ إِنَّهُ تَخَلَّفَ عَنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ فَرَبَطَ نَفْسَهُ أَيْضًا حَتَّى تَابَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَأَرَادَ أَنْ يَنْخَلِعَ مِنْ مَالِهِ كُلِّهِ صَدَقَةً فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَكْفِيكَ مِنْ ذَلِكَ الثُّلُثُ ". قَالَ مُجَاهِدٌ وَابْنُ إِسْحَاقَ: وَفِيهِ نَزَلَ {وَآخَرُونَ اعْتَرَفُوا بِذُنُوبِهِمْ} [التوبة: 102] الْآيَةَ. قَالَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ: ثُمَّ لَمْ يُرَ مِنْهُ بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْإِسْلَامِ إِلَّا خَيْرٌ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ. قُلْتُ: وَلَعَلَّ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةَ لَمْ يَذْكُرُوا مَعَهُ بَقِيَّةَ أَصْحَابِهِ، وَاقْتَصَرُوا عَلَى أَنَّهُ كَانَ كَالزَّعِيمِ لَهُمْ، كَمَا دَلَّ عَلَيْهِ سِيَاقُ ابْنِ عَبَّاسٍ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَرَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ أَبِي أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيِّ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ عِيَاضِ بْنِ عِيَاضٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «إِنَّ مِنْكُمْ مُنَافِقِينَ فَمَنْ سَمَّيْتُ فَلْيَقُمْ قُمْ يَا فُلَانُ قُمْ يَا فُلَانُ قُمْ يَا فُلَانُ ". حَتَّى عَدَّ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ فِيكُمْ - أَوْ إِنَّ مِنْكُمْ - مُنَافِقِينَ فَسَلُوا اللَّهَ الْعَافِيَةَ» . قَالَ: فَمَرَّ عُمَرُ بِرَجُلٍ مُتَقَنِّعٍ وَقَدْ كَانَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ مَعْرِفَةٌ فَقَالَ: مَا شَأْنُكَ؟ فَأَخْبَرَهُ بِمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: بُعْدًا لَكَ سَائِرَ الْيَوْمَ. . قُلْتُ: كَانَ الْمُتَخَلِّفُونَ عَنْ غَزْوَةِ تَبُوكَ أَرْبَعَةَ أَقْسَامٍ ; مَأْمُورُونَ مَأْجُورُونَ كَعَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَمُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ وَابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ، وَمَعْذُورُونَ وَهُمُ الضُّعَفَاءُ وَالْمَرْضَى وَالْمُقِلُّونَ وَهُمُ الْبَكَّاءُونَ، وَعُصَاةٌ مُذْنِبُونَ وَهُمُ الثَّلَاثَةُ وَأَبُو لُبَابَةَ وَأَصْحَابُهُ الْمَذْكُورُونَ، وَآخَرُونَ مَلُومُونَ مَذْمُومُونَ وَهُمُ الْمُنَافِقُونَ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৬৬

মাসলড়ামা, ইবন উম্মু মাকতুম (রা) প্রমুখ ৷ দুই মায়ুর ও অসমর্থ-অপরাগ-দুর্বল, অসুস্থ ও
সহড়ায়-সম্পদহীন যাদের ক্রন্দনকায়ীরুপে আল কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তিন বিচ্যুতির

শিকার; এরা হলেন পুভ্রুবত্বিখিত তিনজন এবং আবু লুবড়াবড়া (মা) ও তীর সঙ্গীরড়া এবং চার
নিন্দিত ও অভিসম্পাতপ্রড়াপ্ত এরা মুনাফিক দল ৷

তাবুক পরবর্তী ঘটনাবলী

হাফিয বায়হাকী (র) বলেন, আবু আবদুল্লাহ্ আল হাফিজহুমায়দ ইবন ঘুনাহ্হিব (র)
বলেন, আমি আমার দাদা থুরড়ারম ইবন আওস ইবন হারিছা ইবন লড়ামে (রা)-কে বলতে
শুনেছি রড়াসুলুল্লাহ্ (না) তাবুক থেকে প্রত্যাপযন করলে আমি হিজরত করে তার কাছে
গেলাম ৷ আব্বাস ইবন আবদুল যুত্তালিবকে তখন বলতে শুনলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আমি
আপনার স্তুতিবাক্য’ আবৃত্তি করতে চাই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, বলুন, গুএে ণ্শ্রো প্রুদ্র ১স্গু ১ ১া
“আল্লাহ্ আপনার দম্ভসারি অটুট রাখুন ৷ ১

আব্বাস (বা) বলতে লাগলেনষ্-

এএএক্রা মোঃ তাঃ ষ্ঠাং

“এ ধুলির ধরার আগমনের পুর্বেই তুমি ছিলে পুত-পবিত্র, সৃশীতল ছায়া কাননে, আর
সুরক্ষিত পান্থ-নিবাসে, যেথার (আচমক্লা উলঙ্গ হওয়ার লজ্জা নিবড়ারণের জন্য) পাতার সাথে
পাতা (জড়ো হচ্ছিল ৷” অর্থাৎ জান্নাত কাননে বাবা আদম (আ) ও মা হাওয়া (আ)-এর প্রথম
আবাস ক্ষেত্রে ৷

ঞ ণ্ট্ট
“তারপর তুমি অবতরণ করলে ধরা-তুমে, কিন্তু তখনও তুমি পুর্ণাকৃতি মানবদেহ নও ৷
ৎবড়া (মাতৃপর্ভে) মাংসপিণ্ড নও ৷ এমনকি জমাট রক্ত বিন্দুও নও ৷ ”
ধ্ব্লুগ্লুা৷ এ্যাদ্বু ৷;,;ও ণ্প্রু৷ ৰুব্ল) ফ্লোা৷ শুৰুা$;ত্ত ডাঃ ঞ

“বরং তখন তুমি ছিলে ৰীর্য, যা (নুহ্-এর) জাহাজে বিচরণ করছিল, যখন নাকি প্লড়াবণ
নাসৃর প্রতিমা ও তার পুজারীদের ডুবিয়ে নাকে লাগান পরিয়ে দিয়েছিল ৷”


“ এভাবে যুগের পর যুগ ধরে ৷ ঔরস থেকে পর্ভে তোমার স্থানান্তর হতে থাকল ৷ কাল
পরিক্রমার একটি জগত ও প্রজন্মের অবসানে আবির্ভাব হতে থাকল আর একটি প্রজন্মের ৷

অবশেষ বিদুষী মহীরসী ৷ণ্খনদিযন্২ থেকে তোমার জন্য আহরিত হল সৃমহান মর্যাদার

সর্বোচ্চ স্তর ৷ অর্থাৎ খিনদিফ-এর অবম্ভন পুরুষে তোমার পিতৃপরিবার সর্বাধিক শুভ্র
আভিজড়াত্যে অধিষ্ঠিত ৷



১ আরবী ভাষীর৷ এ বাক্য বলে শ্রেষ্ঠ কবি ও বাশ্মিদের দৃআ করে থাকে ৷ শ্অনুরড়াদক
২নাসৃর’ নুহ্ (আ)এর কাফির কওমের অন্যতম প্রতিমা আল কুরাআনে সুরা নুহু-এ এর উল্লেখ আছে ৷ন্অনুবাদক


[ذِكْرُ مَا كَانَ مِنَ الْحَوَادِثِ بَعْدَ رُجُوعِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى الْمَدِينَةِ مُنْصَرَفَهُ مِنْ تَبُوكَ] قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ إِمْلَاءً، أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ يَعْقُوبَ حَدَّثَنَا أَبُو الْبَخْتَرِيِّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شَاكِرٍ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَمُّ أَبِي زَحْرُ بْنُ حِصْنٍ عَنْ جَدِّهِ حُمَيْدِ بْنِ مُنْهِبٍ قَالَ: «سَمِعْتُ جَدِّي خُرَيْمَ بْنَ أَوْسِ بْنِ حَارِثَةَ بْنِ لَامٍ يَقُولُ: هَاجَرْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنْصَرَفَهُ مِنْ تَبُوكَ، فَسَمِعْتُ الْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ يَقُولُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَمْتَدِحَكَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُلْ لَا يَفْضُضِ اللَّهُ فَاكَ. فَقَالَ: مِنْ قَبْلِهَا طِبْتَ فِي الظِّلَالِ وَفِي ... مُسْتَوْدَعٍ حَيْثُ يُخْصَفُ الْوَرَقُ
পৃষ্ঠা - ৩৬৬৭


এে ঠোন্এ
“আর যখন তুমি ভুমিষ্ঠ হলে তখন পৃথিবী ঝলমল করে উঠল আর দিক দিগন্ত আলোকময়
হল তোমার নুরের আভায় ৷
এা৷১ ,,ব্র প্রু১দ্বুা
“অনন্তর আমরা চলেছি সে ঔজ্জ্বল্য ও আলেকরতিকািয় উদ্ভাসিত চিরকল্যাণকর পথে ৷ ”
বায়হাকী (র) অন্য একটি বর্ণনা সুত্রে আবদুস সাকান যাকারিয়্যা ইবন ইয়াহ্য়া আত্ণ্তাঈ
(র) থেকে এ রিওয়ড়ায়াতটি গ্রহণ করেছেন ৷ সেটি তার একটি সংকলনে ৰিবৃত হয়েছো
বারহাকী (র) বলেন, এ রিওয়ায়াতের রাবী কিঞ্চিত অতিরিক্ত বিবরণ দিয়েছেন, তা হল
তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, “এ হল সমুজ্জ্বল হীরাত১ যা আমার (চোখের) সামনে তুলে
ধরা হল, আর ঐ যে, শারমা বিনৃত নুফারলা (বা বুকারলা) আঘৃদ গোত্রীয়া, একটি শ্বেতশুভ্র
খঃচচরের পিঠে কাল ওড়না মাথায় জড়িয়ে আমি (রানী) বললাম, ইয়া রড়াসুলুল্লাহ্! আমরা
যদি (বিজয়ী হয়ে) হীরাতে প্রবেশ করি, এবং তাকে পেয়ে যাই, যেমন আপনি বর্ণনা দিলেন,
তা হলে তা কি আমাকে দেয়৷ হবে? তিনি বললেন, “তা তোমার জন্য ৷ ” তারপর ধর্মতাক্রোর
হিড়িক পড়ল্যে ৷ তবে (আমাদের) তার গোত্রের কেউ মুরতাদ’ হয় নি ৷ আমরা ইসলামের
স্বার্থে আমাদের আশপাশের গোত্রগুলোর বিরুদ্ধে সমরাভিযান পরিচালনা করতাম ৷ কখনো
কড়ারস গোত্রের সাথে আমাদের যুদ্ধ হত, যাদের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিল উয়ড়ারন৷ ইবন
হিসৃন ৷ আবার কখনো রনু আসামের সাথে লড়াই বেধে যেত ৷ ওদের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ছিল
তালহা ইবন খুওয়ায়লিদ ৷ আমাদের কর্যতংপরতায় খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ আমাদের ন্তুতি
কাব্য রচনা করতেন, তন্মে রচনার কয়েকটি পংক্তি ছিল এরুপ-
ব্লু;াশুএা

“আল্লাহ্ তার পােত্রকে তাদের অঞ্চলে দুর্ধর্য প্রতিপক্ষের সাথে ময়দানে অবতীর্ণ হওয়ার
জন্য আমাদের পক্ষ থেকে উত্তম জামা প্রদান করুন ৷”

ওরাই রদান্যতা ও অনিরুদ্ধ দানের পতাকাবাহী; যখন দুয়েঢাি দৃর্ভিক্ষের ঘনঘটা দেশব্যাপী
(প্রতিটি র্তাবুর বাসিন্দাদের মধ্যে) ব্যাপ্ত হয়ে পড়ে ৷ ওরাই দীনের স্বার্থে কায়সী গোত্রীয়দের
উপরে আঘাত (হনেছে; যখন কায়সীরা অন্ধতু ও গোমরাহীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল ৷

রংনািকারী বলেন, তারপর খালিদ (রা) ঘুসায়লড়ামাতুল কাঘৃযাবকে দমন করার উদ্যেশ্যে

রওয়ানা হলেন ৷ আমরা যুসারলামার ব্যাপার শেষ করে বসৃরড়ার অভিমুখে এগিয়ে চললাম ৷
আমরা কাজিমায় হুরমুযণ্এর সম্মুখীন হলাম ৷ তার বাহিনীটি ছিল আমাদের সমন্বিত বাহিনীর



১ এ্যা১ রাসুল (সা)এর পুর্ব পুরুষ ইলয়াস ইবন ঘুযার এর দ্রী লায়লা এর উপাধি নাম ৷ ইনি ছিলেন
ক্টেরমী মহিলা ৷ তাই এ বংশকে অনেক সময় তার সাথে সম্পৃক্ত করা হয় ৷ অনুবড়াদক
২ হীর৷ হচ্ছে একটি আঞ্চলিক রাজ্য ৷


ثُمَّ هَبَطْتَ الْبِلَادَ لَا بَشَرٌ أَنْتَ وَلَا مُضْغَةٌ وَلَا عَلَقُ ... بَلْ نُطْفَةٌ تَرْكَبُ السَّفِينَ وَقَدْ أَلْجَمَ نَسْرًا وَأهْلَهُ الْغَرَقُ ... تُنْقَلُ مِنْ صَالِبٍ إِلَى رَحِمٍ إِذَا مَضَى عَالَمٌ بَدَا طَبَقُ ... حَتَّى احْتَوَى بَيْتَكَ الْمُهَيْمِنُ مِنْ خِنْدِفَ عَلْيَاءَ تَحْتَهَا النُّطُقُ ... وَأَنْتَ لَمَّا وُلِدْتَ أَشْرَقَتِ الْأَرْ ضُ وَضَاءَتْ بِنُورِكَ الْأُفُقُ ... فَنَحْنُ فِي ذَلِكَ الضِّيَاءِ وَفِي النُّورِ وَسُبْلِ الرَّشَادِ نَخْتَرِقُ » وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقٍ أُخْرَى، عَنْ أَبِي السُّكَيْنِ زَكَرِيَّا بْنُ يَحْيَى الطَّائِيُّ وَهُوَ فِي جُزْءٍ لَهُ مَرْوِيٌّ عَنْهُ. قَالَ الْبَيْهَقِيُّ: وَزَادَ: ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَذِهِ الْحِيرَةُ الْبَيْضَاءُ رُفِعَتْ لِي، وَهَذِهِ الشَّيْمَاءُ بِنْتُ بُقَيْلَةَ الْأَزْدِيَّةُ عَلَى بَغْلَةٍ شَهْبَاءَ مُعْتَجِرَةٍ بِخِمَارٍ أَسْوَدَ ". فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ نَحْنُ دَخَلْنَا الْحِيرَةَ فَوَجَدْتُهَا كَمَا تَصِفُ فَهِيَ لِي؟ قَالَ: " هِيَ لَكَ ".» قَالَ: ثُمَّ كَانَتِ الرِّدَّةُ، فَمَا ارْتَدَّ أَحَدٌ مِنْ طَيِّئٍ، وَكُنَّا نُقَاتِلُ مَنْ يَلِينَا مِنَ الْعَرَبِ عَلَى الْإِسْلَامِ، فَكُنَّا نُقَاتِلُ قَيْسًا وَفِيهَا عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ وَكُنَّا نُقَاتِلُ بَنِي أَسَدٍ وَفِيهِمْ طُلَيْحَةُ بْنُ خُوَيْلِدٍ وَكَانَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ يَمْدَحُنَا، وَكَانَ فِيمَا قَالَ فِينَا: جَزَى اللَّهُ عَنَّا طَيِّئًا فِي دِيَارِهَا ... بِمُعْتَرَكِ الْأَبْطَالِ خَيْرَ جَزَاءِ هُمْ أَهْلُ رَايَاتِ السَّمَاحَةِ وَالنَّدَى ... إِذَا مَا الصَّبَا أَلْوَتْ بِكُلِّ خِبَاءِ
পৃষ্ঠা - ৩৬৬৮
هُمْ ضَرَبُوا قَيْسًا عَلَى الدِّينِ بَعْدَمَا أَجَابُوا مُنَادِيَ ظُلْمَةٍ وَعَمَاءِ قَالَ: ثُمَّ سَارَ خَالِدٌ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ فَسِرْنَا مَعَهُ، فَلَمَّا فَرَغْنَا مِنْ مُسَيْلِمَةَ أَقْبَلْنَا إِلَى نَاحِيَةِ الْبَصْرَةِ، فَلَقِينَا هُرْمُزَ بِكَاظِمَةَ فِي جَيْشٍ هُوَ أَكْبَرُ مِنْ جَمْعِنَا، وَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ أَعْدَى لِلْعَرَبِ وَالْإِسْلَامِ مِنْ هُرْمُزَ فَخَرَجَ إِلَيْهِ خَالِدٌ وَدَعَاهُ إِلَى الْبِرَازِ، فَبَرَزَ لَهُ فَقَتَلَهُ خَالِدٌ وَكَتَبَ بِخَبَرِهِ إِلَى الصِّدِّيقِ فَنَفَّلَهُ سَلَبَهُ، فَبَلَغَتْ قَلَنْسُوَةُ هُرْمُزَ مِائَةَ أَلْفِ دِرْهَمٍ، وَكَانَتِ الْفُرْسُ إِذَا شَرُفَ فِيهَا الرَّجُلُ جَعَلَتْ قَلَنْسُوَتَهُ بِمِائَةِ أَلْفِ دِرْهَمٍ. قَالَ: ثُمَّ أَقْبَلْنَا عَلَى طَرِيقِ الطَّفِ إِلَى الْحِيرَةِ، فَأَوَّلُ مَنْ تَلَقَّانَا حِينَ دَخَلْنَاهَا الشَّيْمَاءُ بِنْتُ بُقَيْلَةَ، كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَلَى بَغْلَةٍ شَهْبَاءَ مُعْتَجِرَةٍ بِخِمَارٍ أَسْوَدَ ". فَتَعَلَّقْتُ بِهَا وَقُلْتُ: هَذِهِ وَهَبَهَا لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَدَعَانِي خَالِدٌ عَلَيْهَا بِالْبَيِّنَةِ، فَأَتَيْتُهُ بِهَا، وَكَانَتِ الْبَيِّنَةُ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ وَمُحَمَّدَ بْنَ بَشِيرٍ الْأَنْصَارِيَّ فَسَلَّمَهَا إِلَيَّ، فَنَزَلَ إِلَيَّ أَخُوهَا عَبْدُ الْمَسِيحِ يُرِيدُ الصُّلْحَ، فَقَالَ: بِعْنِيهَا. فَقُلْتُ: لَا أَنْقُصُهَا وَاللَّهِ عَنْ عَشْرِ مِائَةِ دِرْهَمٍ. فَأَعْطَانِي أَلْفَ دِرْهَمٍ، وَسَلَّمْتُهَا إِلَيْهِ فَقِيلَ: لَوْ قُلْتَ مِائَةَ أَلْفٍ لَدَفَعَهَا إِلَيْكَ. فَقُلْتُ: مَا كُنْتُ أَحْسَبُ أَنَّ عَدَدًا أَكْثَرَ مِنْ عَشْرِ مِائَةٍ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৬৯
৬২ মোঃ ৩য়ানৰিহায়র্বীসোমোঃ

মোঃ লোঃ আর আজযীদের মাঝে ইসলাম ও আরবদের প্রতি বিদ্বেষ পােষণে
হ্ব্ক্তষ্:ৰ্৷ শ্লো দ্ভুড়ি লি না ৷ খালিদ (রা) অগ্নবর্তী হয়ে তাকে দ্বন্দ্ব যুদ্ধের আহ্বান জানালেন
ব্লেমা মুষ্গ্!ত করে স্ফোলেন ৷ এ বিজয়ের খবর আবু বকর সিদ্দীক (রা)-কে লিখে জানান
fl তিনি হ্বষুব এর (ব্যক্তিগত) যুস্কোপকরণ খালিদ (রা) কে প্রদানের ঘোষণা দিলেন ৷
ৰ্াষ্কৃৰ্র ষুকুটিং মুল্য নির্ণীত হল এক লাখ দিরহাম ৷ পারস্যবাসীদের নিয়ম ছিল যে, কোন
ৰ্টি তাদের মাঝে উন্নত মর্যাদার ভুষিত হলে তার মুকুট এক লাখ দিরহাম মুল্যমানের তৈরি
fl হত ৷

ৰর্ণনাকারী বলেন, পরে আমরা উপকুলবর্তী পথে হীরার দিকে অভিযান চালড়ালড়াম ৷ হীরাতে
মোঃ মুখে সর্বপ্রথম আমরা যার সাক্ষাত পেলাম, সে ছিল শায়মা বিবৃত নুফায়লা যেমনটি
ৰাসুলুল্লাহ্ (সা) ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন শ্যুভ্রড়াজ্জ্বল খচচরের পিঠে কাল দো-পাট্টা মাথার
জতিঃয়আমি তার সাথেই লেগে থাকলাম এবং সাথীদের বললাম, এটি আল্লাহর রাসুল (সা)
আমাকে দান করে নিয়েছেন ৷ বাহিনীর অধিনায়ক খালিদ (রা) বিষয়টির ব্যাপারে আমার কাছে
সাক্ষী তলব করলে আমি তা উপস্থাপন করলাম ৷ আমার সাক্ষী ছিলেন মুহাম্মদ ইবন মাসলামা
ও মুহাম্মদ ইবন বাশীর আল আনসারী (বা) ৷ প্রমাণ পেয়ে খালিদ (রা) মহিলাটিকে আমার
হাতে তুলে দিলেন ৷

তখন তার ভাই আবদুল মাসীহ্ সন্ধির উদ্দেশ্যে আমার কাছে এসে বলল, ওকে আমার
কাছে বেচে দাও ৷ ’ আমি বললাম, বেচতে পারি, তবে অন্তত এক হাজার দিরহামের কমে-
আল্লাহ্র কসম দেব না ৷ সে আমাকে এক হাজার দিরহাম দিয়ে দিলে আমি তাকে তার
হাতে তুলে দিলাম ৷ লোকেরা আমাকে বলল যে, তুমি এক লাখ চাইলে সে তোমাকে তাই
দিত ৷ আমি বললাম, এক হাজার এর চাইতে বড় কোন ,অংক থাকতে পারে, তা আমার
ধারণার ছিল না ৷

হিজরী নবম বর্ষের রমযান মান : রাসুলুল্লাহ্ (সা) সকাশে
ছাকীফ গোত্রীর প্রতিধিনি দলের আগমন

পুর্বেই বর্ণিত হয়েছে যে, ছাকীফ অবরোধ প্রত্যাহারকালে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে তাদের জন্য
বদ-দৃআ করার বরখাস্ত জানালে তিনি তাদের জন্য হিদায়াতের দুআ করেছিলেন ৷ পুর্বেই এ
কথা বিবৃত হয়েছে যে, মালিক ইবন আওফ নাযারী ইসলাম গ্রহণ করলে রাসুলুল্লাহ্ (না) তাকে
অনুকম্পা ও পুরস্কারে ভুষিত করার সাথে সাথে তাকে তার কওমের মুসলমানদের আমীর
নিয়োগ করলেন ৷ সেই সাথে সাখ র ইবনুল আরলা আহমাসী (রা) থেকে গৃহীত আবু দাউদ
(র)-এর রিওয়ায়াতে এ কথাও বিবৃত হয়েছে যে, তিনি লাপাতার ছাকীফ অবরোধ করে
রম্মেলন, যতক্ষণ না তারা আল্লাহর রাসুল (সা) এর ফায়সালার কাছে আত্মসমর্থ্যণ বাধ্য হল ৷
পরে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর অনুমোদনক্রমে তিনি তাদেরকে নিয়ে মদীনায় উপস্থিত হলেন ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাবুক থেকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করে রমযান
মাসে ৷ এ মাসে ছাকীফ গোত্রের একটি প্রতিনিধি দল তার খিদমতে উপস্থিত হয় ৷ তাদের
ঘটনা ছিল এরুপ যে, হাকীষ্কের অবরোধ তুলে নিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রত্যাবর্তন শুরু করলে


[قُدُومُ وَفْدِ ثَقِيفٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ مِنْ سَنَةِ تِسْعٍ] تَقَدَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا ارْتَحَلَ عَنْ ثَقِيفٍ سُئِلَ أَنْ يَدْعُوَ عَلَيْهِمْ فَدَعَا لَهُمْ بِالْهِدَايَةِ، وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَسْلَمَ مَالِكُ بْنُ عَوْفٍ النَّصْرِيُّ أَنْعَمَ عَلَيْهِ وَأَعْطَاهُ، وَجَعَلَهُ أَمِيرًا عَلَى مَنْ أَسْلَمَ مِنْ قَوْمِهِ، فَكَانَ يَغْزُو بِلَادَ ثَقِيفٍ وَيُضَيِّقُ عَلَيْهِمْ، حَتَّى أَلْجَأَهُمْ إِلَى الدُّخُولِ فِي الْإِسْلَامِ، وَتَقَدَّمَ أَيْضًا فِيمَا رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ عَنْ صَخْرِ بْنِ الْعَيْلَةِ الْأَحْمَسِيِّ أَنَّهُ لَمْ يَزَلْ بِثَقِيفٍ حَتَّى أَنْزَلَهُمْ مِنْ حِصْنِهِمْ عَلَى حُكْمِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلَ بِهِمْ إِلَى الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ بِإِذْنِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ فِي ذَلِكَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ مِنْ تَبُوكَ فِي رَمَضَانَ، وَقَدِمَ عَلَيْهِ فِي ذَلِكَ الشَّهْرِ وَفْدُ ثَقِيفٍ، وَكَانَ مِنْ حَدِيثِهِمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا انْصَرَفَ عَنْهُمْ، اتَّبَعَ أَثَرَهُ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ حَتَّى أَدْرَكَهُ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَأَسْلَمَ، وَسَأَلَهُ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى قَوْمِهِ بِالْإِسْلَامِ، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ - كَمَا يَتَحَدَّثُ قَوْمُهُ -: " إِنَّهُمْ قَاتِلُوكَ ". وَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ فِيهِمْ نَخْوَةَ الِامْتِنَاعِ ; لِلَّذِي كَانَ مِنْهُمْ، فَقَالَ عُرْوَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا أَحَبُّ إِلَيْهِمْ مِنْ أَبْكَارِهِمْ. وَكَانَ فِيهِمْ
পৃষ্ঠা - ৩৬৭০


উরওয়া ইবন মাসউদ (ছাকাফী রা) তার অনুপমনে রওরান৷ হলেন ৷ তীর মদীনায় উপনীত
হওয়ার আগে পথেই তিনি তার সাক্ষাত পেয়ে গেলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করে ইসলামের
দাওয়াত নিয়োজাতির কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য নবী করীম (সা)এর কাছে আবেদন
জানালেন ৷ তীরাগােত্রীয়দের ভাষ্য মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন র্তীকে বলেছিলেন, “ওরা তো
তোমাকে মেরে ফেলবে” ৷

কেননা, রাসুলুল্পাহ্ (সা)এ এপােত্রটির অহং বোধ ও জাত্যাভিমানের পরিচয় ইতােপুর্বে
পেয়েছিলেন ৷ উরওয়৷ (রা) বললেন, আ ৷যি তাদের কাছে তাদের কুমারীদের চাইভ্রুত ও অধিকতর
প্রিয় ৷ বাস্তবেও তিনি তাদের প্রিয় নেতা র’ আসনে আসীন ছিলেন ৷াগোত্রে তার মর্যাদার আসন
পােত্রীয় লোকদের তীর বিরুদ্ধচারণে উদ্বুদ্ধ করবে না এ ভরসা নিয়ে তিনিাগোত্রীয়দের
ইসলামের দাওয়াত দিতে লাপণেন ৷ এ কপি ণ্৷ :ি০ি তার বালাখানায় দাড়িয়ে লোকদের
ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছিলেন ৷ ততদিনে র্তার ধর্যাম্ভরের কথা তিনি প্রকাশ করে দিয়েছিলেন ৷
ল্যেকেরাচ চারদিক থেকে তাকে লক্ষ্য করে তীর বর্ষণ করতে লাপল ৷ একটি তীর তাকে বিদ্ধ করে
তার জীবনাবসান মটাল ৷ পরে বনু মালিকের লোকদের ধারণা যে, তাদের একজনই তাকে হত্যা
করেছে ৷ মৃভ্যুকালে উরওয়৷ (রা)-কে জিজ্ঞেস করা হল, এখন তোমার দিয়তের১ (রক্তপণের)
বিষয় তোমার মতামত কি ? তিনি বললেন, এ তাে এক মহান মর্যাদা যা দিয়ে আল্লাহ্ আমাকে
ভুষিত করেছেন এবং অমুল্য শাহাদাত, যা আল্লাহ আমাকে নসীব করেছেন ৷ সৃতরাৎ আমার জন্য
তাই সাবম্ভে হয়ে, যা সাব্যম্ভ রয়েছে যে শহীদানের জন্য, যারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তোমাদের এখান
থেকে প্ৰস্থান করার আগে তার সহয়োদ্ধ৷ হয়ে শাহাদাত বরণ করেছিলেন ৷ তোমরা আমাকে
তাদের কাছে দাফন করবে ৷ তারা ওসিয়ত অনুসায়েত তাকে শহীদদের কাছে দাফন করলো ৷ তার
াগে৷ ত্রীয়দের ধারণা যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা ৷র সম্বন্ধে বলেছেন-

রুশ্ংএহু ত্রুন্ তাং ৷ ধ্ন্গ্র১ট্এ ট্রেএর্ন্ত পশ্ংএই ত্রুন্ ট্রেণ্ং £)

“াগােত্রের মধ্যে তার ঘটনার অবস্থাগোত্র মাঝে ইয়াসীন (রা) (সুরা ইয়াসীন বিবৃত)-
এর সাথীর অবস্থার ন্যায় ৷” মুসা ইবন উকব৷ (র) উরওয়৷ (রা) এর খ্াটনা এ ৩৷ রেই ধিঘু৩
করেছেন ৷ তবে তার ধারণা, এ ঘটনার সময়কাল হল আবু বকর সিদ্দীক (রা) এর হজ্জ (নবম
হিজয়ী) এর পরে ৷ বায়হার্কী (ব ) এ বিষয়টিতে তার অনুপামী ৷ কিন্তু এমন হও যা প্রায়
অবাস্তব ৷ বরং ইবন ইসহাকের বংনাি নুযায়ী এ ঘটনা আবু বকর (রা) এর হজ্জ পালনের আগে
হওয়াই ৰিওদ্ধতর ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

ইবন ইসহাক বলেন, ছাকীফ গোত্রের লোকজন উরওয়৷ (রা)-কে শহীদ করার পর কয়েক
ম্স ঐ অবস্থায় অতিবাহিত করল ৷ তারপর পারস্পরিক পরামর্শের মাধ্যমে তারা এ সিদ্ধান্তে
মিঃ হল যে, আশপাশের আরব গোত্রওলোর সাথে সং বর্ষে টিকে থাকার ক্ষমতা এখন আর
ন্সে স্কেই বিশেষত ওরা যেহেতু বায়আত গ্রহণ করে করে মুসলমান হয়ে যাচ্ছে ৷৩ তাই তারা
ন্জৈ অন্যতম যেত তা আম্র ইবন উম ৷ইয়ার প্ৰম্ভাবক্রমে পুনরায় পরামর্শ বৈঠকে বসল ৷

হু!ষ্ক
ন্ম্ণ্ঢুন্নে “fl £চুষ্ ছাপা হয়েছে ৷ বিশুদ্ধ নুসৃবার এত্রস্রএ (দিয়ত) ব৷ এম্এ (রক্তপণ ) শব্দ রয়েছে ৷








كَذَلِكَ مُحَبَّبًا مُطَاعًا، فَخَرَجَ يَدْعُو قَوْمَهُ إِلَى الْإِسْلَامِ، رَجَاءَ أَنْ لَا يُخَالِفُوهُ ; لِمَنْزِلَتِهِ فِيهِمْ، فَلَمَّا أَشْرَفَ عَلَى عِلِّيَّةٍ لَهُ، وَقَدْ دَعَاهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ وَأَظْهَرَ لَهُمْ دِينَهُ، رَمَوْهُ بِالنَّبْلِ مِنْ كُلِّ وَجْهٍ فَأَصَابَهُ سَهْمٌ فَقَتَلَهُ، فَيَزْعُمُ بَنُو مَالِكٍ أَنَّهُ قَتَلَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ يُقَالُ لَهُ: أَوْسُ بْنُ عَوْفٍ. أَخُو بَنِي سَالِمِ بْنِ مَالِكٍ، وَتَزْعُمُ الْأَحْلَافُ أَنَّهُ قَتَلَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ مِنْ بَنِي عَتَّابٍ يُقَالُ لَهُ: وَهْبُ بْنُ جَابِرٍ. فَقِيلَ لِعُرْوَةَ: مَا تَرَى فِي دَمِكَ؟ قَالَ: كَرَامَةٌ أَكْرَمَنِي اللَّهُ بِهَا، وَشَهَادَةٌ سَاقَهَا اللَّهُ إِلَيَّ، فَلَيْسَ فِيَّ إِلَّا مَا فِي الشُّهَدَاءِ الَّذِينَ قُتِلُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ يَرْتَحِلَ عَنْكُمْ، فَادْفِنُونِي مَعَهُمْ. فَدَفَنُوهُ مَعَهُمْ فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فِيهِ: «إِنَّ مَثَلَهُ فِي قَوْمِهِ كَمَثَلِ صَاحِبِ يس فِي قَوْمِهِ» وَهَكَذَا ذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ قِصَّةَ عُرْوَةَ وَلَكِنْ زَعَمَ أَنَّ ذَلِكَ كَانَ بَعْدَ حَجَّةِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ وَتَابَعَهُ أَبُو بَكْرٍ الْبَيْهَقِيُّ فِي ذَلِكَ وَهَذَا بَعِيدٌ، وَالصَّحِيحُ أَنَّ ذَلِكَ قَبْلَ حَجَّةِ أَبِي بَكْرٍ كَمَا ذَكَرَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَقَامَتْ ثَقِيفٌ بَعْدَ قَتْلِ عُرْوَةَ أَشْهُرًا، ثُمَّ إِنَّهُمُ ائْتَمَرُوا بَيْنَهُمْ، وَرَأَوْا أَنَّهُ لَا طَاقَةَ لَهُمْ بِحَرْبِ مَنْ حَوْلَهُمْ مِنَ الْعَرَبِ، وَقَدْ بَايَعُوا وَأَسْلَمُوا، فَائْتَمَرُوا فِيمَا بَيْنَهُمْ، وَذَلِكَ عَنْ رَأْيِ عَمْرِو بْنِ أُمَيَّةَ أَخِي بَنِي عِلَاجٍ، فَائْتَمَرُوا بَيْنَهُمْ، ثُمَّ أَجْمَعُوا عَلَى أَنْ يُرْسِلُوا رَجُلًا مِنْهُمْ، فَأَرْسَلُوا عَبْدَ يَالِيلَ بْنَ عَمْرِو بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৬৭১


পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে তারা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, তারা একজন প্রতিনিধি
পাঠাবে ৷ এ সিদ্ধান্ত ঘুত তাবিক তারা আ বদ ইয়৷ লীল ইবন আমর ইবন উমায়রকে প্রতিনিধি দলের
নেতা মনো ৷নীত করে পাঠ৷ ৷ল ৷ তার সহযা ৷ত্রী ছিল শাখা গোত্র আহ্লাফের আরো দুজন এবং বনু
মালিকের আরো তিনজন ৷ এরা হল ১ আল হাকাম ইবন আমর ইবন ওয়াহ্ব ইবন ঘুআত্তিব; ২

শুরাহ্বীল ইবন গায়লান ইবন সালামা ইবন মুআত্তিব; ৩ উছমান ইবন আবুল আস; : আওস
ইবন আওফ বনু স৷ ৷লিমের অন্যতম নেতা এবং ৫ নুমায়র ইবন খারশা ইবন রাবীআ ৷

মুসা ইবন উকবা (বা) তাদের স০ খ্যা দশ এর অধিক হওয়ার কথা বলেছেন ৷ তার মতে

দল নেতার নাম ছিল কিনানা ইবন আবদ ইয়ালীল ৷ আর অন্যতম সদস্য উছমান ইবন আবুল
আছ ছিলেন প্রতিনিধি দলের কনিষ্ঠত ম সদস্য ৷ ইবন ইসহাক বলেন, প্রতিনিধি দল মদীনায়
কাছাক কাছি পৌছে কানাত এলাকা ৷য় সাময়িক অবস্থান নিলে সেখানে তারা মুগীরা ইবন শু বা
(রা)-এর সাক্ষাত পেল ৷ তিনি তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণের বাহন উট পালাক্রাম
চরাবার কাজে দায়িতৃ আঞ্জাম দিচ্ছিলেন ৷ আগন্তুক দলঢিকে দেখামাত্র তিনি রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা)-
কে তাদের আগমনের সুসং বাদ দেয়ার প্রেরণায় দৌড়াতে শুরু করলেন ৷ পথে আবু বকর
(বা) এর সাথে সাক্ষাত হলে৩ তিনি তাকে বললেন যে, ছাকীষেক্ষ্ম কাফেলা বায়আত ও ইসলাম
গ্রহণের উদ্দেশ্যে এসে পড়েছে, যদি রাসুলুল্লাহ্ (না) তাদের কতক শর্ত মেনে নেন এবং
তাদের গোত্রের জন্য কোন চুক্তিপত্র তাদের লিখে দেন ৷ আবু বকর (বা) মুগীরা (বা)-কে
বললেন, আল্লাহর কসম তুমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে আমার আগে যেয়ো না, আমি আগে-
ভাগে তাকে স০ বাদ পৌছাতে চাই ৷ মুপীর৷ (বা) তাতে সম্মত হলে আবু বকর গিয়ে বাসুলুল্লাহ্
(সা) কে তাদের আগমন বিষয় অবহিত করলেন ৷ ওদিকে মুগীরা (বা) তার সহকমীদের কাছে
ফিরে গিয়ে বিকালবেলা তাদের সাথে পশু চরালেন এবং ফাকে ফাকে আগত কাফেলার
লোকদের রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অভিবাদন ও সালাম করার পদ্ধতি শেখাবার প্রয়াস পাচ্ছিলেন ৷
কিন্ত যথাসময় তারা জাহিলিয়াত যুগের পন্থাই অভিবাদন করল ৷

তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সমীপে উপস্থিত হলে তাদের জন্য মসজিদেই একটি তীবু
খাটানাে হল ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (না) এবং প্রতিনিধি দলের মাঝে দুতিয়ালী করছিলেন খালিদ
ইবন সাঈদ ইবনুল আস (বা) ৷ ফলে তিনি রাসুল (সা)-এর তরফ থেকে তাদের জন্য কোন
খাবার নিয়ে আসলে খালিদ ইবন সাঈদ (বা) নিজে তা মুখে ন৷ দেয়৷ পর্যন্ত তারা যে খাদ্য
গ্রহণ করত ন৷ ৷ তিনিই তাদের জন্য চুক্তিপত্র লিখে দিয়েছিলেন ৷

বর্ণনাকারী (ইবন ইসহাক) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পেশকৃত তাদের শর্তাবলীর
মধ্যে একটি ছিল এরুপ ৷“পরবর্তী তিন বছরের জন্য ত কৃাদর বিগ্রহটি অক্ষত থাকতে দিতে
হবে ৷’ ’(কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (না) তাতে সম্মত ন৷ হলে)ত ৷র৷ দুবছর, এক বছর করে অবশেষে
এক মাসের শর্তে নেমে আসলে৷ এবং বলল যে, তাদের প্রত্যাগমনের পরে অন্তত সময়র্টুকু
দেয়৷ হলে কওমের নিবেধিদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা হবে ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ ব্যাপারে
কোন নির্দিষ্ট সময়ের অঙ্গীকার প্রদানে অস্বীকৃত হয়ে বললেন যে, তার এতটুকু ছাড় দেয়া
যেতে পারে যে, তোমাদের নিজেদের হাতে ওটাকে তাঙতে হবে না বরং এজন্য তিনি আবু
সুফিয়ান ইবন হারব (বা) ও মুগীর৷ (রা)-কে তাদের সাথে পাঠাবেন ৷ তারা আরো আবেদন


عُمَيْرٍ وَمَعَهُ اثْنَانِ مِنَ الْأَحْلَافِ وَثَلَاثَةٌ مِنْ بَنِي مَالِكٍ، وَهُمْ ; الْحَكَمُ بْنُ عَمْرِو بْنِ وَهْبِ بْنِ مُعَتِّبٍ وَشُرَحْبِيلُ بْنُ غَيْلَانَ بْنِ سَلَمَةَ بْنِ مُعَتِّبٍ وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ وَأَوْسُ بْنُ عَوْفٍ أَخُو بَنِي سَالِمٍ، وَنُمَيْرُ بْنُ خَرَشَةَ بْنِ رَبِيعَةَ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ كَانُوا بِضْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا فِيهِمْ كِنَانَةُ بْنُ عَبْدِ يَالِيلَ وَهُوَ رَئِيسُهُمْ، وَفِيهِمْ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ وَهُوَ أَصْغَرُ الْوَفْدِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا دَنَوْا مِنَ الْمَدِينَةِ وَنَزَلُوا قَنَاةً، أَلْفَوُا الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ يَرْعَى فِي نَوْبَتِهِ رِكَابَ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا رَآهُمْ ذَهَبَ يَشْتَدُّ لِيُبَشِّرَ رَسُولَ اللَّهِ بِقُدُومِهِمْ، فَلَقِيَهُ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ فَأَخْبَرَهُ عَنْ رَكْبِ ثَقِيفٍ أَنَّهُمْ قَدِمُوا يُرِيدُونَ الْبَيْعَةَ وَالْإِسْلَامَ بِأَنْ يَشْرِطَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ شُرُوطًا، وَيَكْتَتِبُوا كِتَابًا فِي قَوْمِهِمْ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِلْمُغِيرَةِ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ لَا تَسْبِقُنِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى أَكُونَ أَنَا أُحَدِّثُهُ. فَفَعَلَ الْمُغِيرَةُ فَدَخَلَ أَبُو بَكْرٍ فَأَخْبَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُدُومِهِمْ، ثُمَّ خَرَجَ الْمُغِيرَةُ إِلَى أَصْحَابِهِ فَرَوَّحَ الظَّهْرَ مَعَهُمْ، وَعَلَّمَهُمْ كَيْفَ يُحَيُّونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَفْعَلُوا إِلَّا بِتَحِيَّةِ الْجَاهِلِيَّةِ، وَلَمَّا قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ضُرِبَتْ عَلَيْهِمْ قُبَّةٌ فِي الْمَسْجِدِ، وَكَانَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ هُوَ الَّذِي يَمْشِي بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ، فَكَانَ إِذَا جَاءَهُمْ بِطَعَامٍ مِنْ عِنْدِهِ لَمْ يَأْكُلُوا مِنْهُ حَتَّى يَأْكُلَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ قَبْلَهُمْ، وَهُوَ الَّذِي كَتَبَ لَهُمْ كِتَابَهُمْ. قَالَ: وَكَانَ مِمَّا اشْتَرَطُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَدَعَ لَهُمُ الطَّاغِيَةَ - وَهِيَ اللَّاتُ - ثَلَاثَ سِنِينَ، فَمَا بَرِحُوا
পৃষ্ঠা - ৩৬৭২
يَسْأَلُونَهُ سَنَةً سَنَةً وَيَأْبَى عَلَيْهِمْ، حَتَّى سَأَلُوهُ شَهْرًا وَاحِدًا بَعْدَ مَقْدَمِهِمْ لِيَتَأَلَّفُوا سُفَهَاءَهُمْ، فَأَبَى عَلَيْهِمْ أَنْ يَدَعَهَا شَيْئًا مُسَمًّى إِلَّا أَنْ يَبْعَثَ مَعَهُمْ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ وَالْمُغِيرَةَ لِيَهْدِمَاهَا، وَسَأَلُوهُ مَعَ ذَلِكَ أَنْ لَا يُصَلُّوا وَأَنْ لَا يَكْسِرُوا أَصْنَامَهُمْ بِأَيْدِيهِمْ، فَقَالَ: " «أَمَّا كَسْرُ أَصْنَامِكُمْ بِأَيْدِيكُمْ فَسَنُعْفِيكُمْ مِنْ ذَلِكَ، وَأَمَّا الصَّلَاةُ فَلَا خَيْرَ فِي دِينٍ لَا صَلَاةَ فِيهِ» ". فَقَالُوا: سَنُؤْتِيكَهَا وَإِنْ كَانَتْ دَنَاءَةً. وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ حُمَيْدٍ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ «أَنَّ وَفْدَ ثَقِيفٍ قَدِمُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَنْزَلَهُمُ الْمَسْجِدَ لِيَكُونَ أَرَقَّ لِقُلُوبِهِمْ فَاشْتَرَطُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا يُحْشَرُوا وَلَا يُعْشَرُوا وَلَا يُجَبُّوا وَلَا يُسْتَعْمَلَ عَلَيْهِمْ غَيْرُهُمْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَكُمْ أَنْ لَا تُحْشَرُوا وَلَا تُعْشَرُوا وَلَا يُسْتَعْمَلَ عَلَيْكُمْ غَيْرُكُمْ وَلَا خَيْرَ فِي دِينٍ لَا رُكُوعَ فِيهِ ". وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، عَلِّمْنِي الْقُرْآنَ وَاجْعَلْنِي إِمَامَ قَوْمِي.» وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ أَبِي دَاوُدَ الطَّيَالِسِيِّ عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ عَنْ حُمَيْدٍ بِهِ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৭৩
করেছিল যে, তারা সালাত আদায় করবে না এবং বাড়ি-ঘরের মুর্তিগুলো নিজেদের হাতে
ভ্যঙবে না ৷ তিনি বললেন-

ন্ন্ষ্

নিজ হাতে পৃউ ভাঙ্গার ব্যাপারটিতে তোমাদের অব্যাহতি দিতে পারি; কিন্তু সালাতের
ব্যাপার ভিন্ন; কোনা, যে ধর্মে সালাত নেই, তাতে কোনও কল্যাণ নেই ৷ তারা বলল, ঠিক
আছে, এটা অপমানজনক হলেও অগত্যা আমরা আপনার খাতিরে এ শর্ত মেনে নিচিছ ৷

ইমাম আহমদ (র) এ প্রসঙ্গে রিওয়ায়াত করেছেন, আফ্ফান (র)উছমান ইবন আবুল
মাস (না) থেকে বর্ণনা করেনছাকীফ গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সকাশে
উপনীত হলে তিনি তাদের অন্য মসজিদে অবস্থানের ব্যবস্থা করলেন; যাতে তাদের হৃদয় মনে
হোমলতার প্রভাব বিন্তুত হয় ৷ তারা রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর কাছে শর্তারোপ করল যে, তাদের
(ক) কান বাহিনীতে তালিকাবদ্ধ করা হবে না; (খ) তাদের কাছ থেকে উশৃর নেয়া হবে না;
(গ) তাদের উপরে কর আরোপ করা যাবে না এবং (ঘ) বাইরের কাউকে তাদের উপরে
কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে না ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন-
ণ্ঘ্র
<;তামাদের এ শর্ত মঞ্জুব্র করা হল যে, তোমরা যুদ্ধে তালিকাবদ্ধ (বা অভিযানের লক্ষ্য)

হবে না, তোমাদের উপর কর ধার্য করা হবে না এবং বাইরের কাউকে ণ্তড়ামাদের শাসনকর্তা
নিয়োগ করা হবে না; তবে যে ধর্মে রুকু সিজদা (স্রষ্টার সমীপে চরম বিনয় প্রকাশ) নেই,

তাতে কোন ক ংঢন্ণ থাকতে পারে না ৷ এ সময় উছমড়ান ইবন আবুল আস (বা) বললেন,
ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাকে কুরআনের তালীম দিয়ে আমার কওমের ইমাম নিয়োগ করুন ৷ ”

আবু দাউদ (র) আবু দাউদ তায়ালিসী (র) সুত্রে উল্পিখিত সনদে হাদীসখানি রিওয়ায়াত
করেছেন ৷ আবু দাউদ (র)এর অন্য একটি সনদ হাসান ইবনুস সাব্বাহ্ (র) ওয়াহ্ব (র)
থেকেতিনি বলেন, আমি জাবির (রা)-এর কাছে ছাকীফ প্রতিনিধি দলের বারআতকালীন
অবস্থার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন, তারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এ শর্ত
আংরড়াপ করেছিল যে, “তাদের উপর সাদাকা ও জিহাদের বিধি প্রযোজ্য হবে না ৷ তার
(জাবিরের) রিওয়ায়াতে আরও রয়েছে যে, পরবর্তী সময়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে বলতে
শ্যুনছেনষ্ র্গোন্ ঠো : ১১ৰু৫-১র ১ ঢেই ঢেশুলোঃ অচিরেই তারা সাদাকা আদায় করবে, আর
জিহাদেও অংশ গ্রহণ করবে যখন তারা মুসলমান’ হয়ে যাবে ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, যেটিকথা, তারা ইসলাম ধর্মের প্ৰতি আনুগত্য ঘোষণা করলে
এবং তাদের সাথে ঢুক্তিপত্র লিপিবদ্ধ হয়ে গেলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) উছমড়ান ইবন আবুল আল
(রা)-কে তাদের আমীর নিয়োগ করলেন ৷ তিনি ছিলেন বয়সে সকলের চাইতে তরুণ এ
নিয়ােগের কারণ ছিল এই যে, সিদ্দীক (আবু বকর রা ) বললেন, ইয়ড়া রাসুলাল্লাহ্! কুরআন
শিক্ষা ও ইসলামী ফিকহে বুৎপত্তি লাভের বাসনায় এ তরুণকে আমি তাদের মাঝে সর্বাধিক
অগ্রেহী দেখতে পেয়েছি ৷ এ প্রসঙ্গে মুসা ইবন উকবার বর্ণনা এ প্রতিনিধি দলের লোকেরা


وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ الْكَرِيمِ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَعْقِلِ بْنِ مُنَبِّهٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَهْبٍ قَالَ: «سَأَلْتُ جَابِرًا عَنْ شَأْنِ ثَقِيفٍ إِذْ بَايَعَتْ، قَالَ: اشْتَرَطَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ لَا صَدَقَةَ عَلَيْهَا وَلَا جِهَادَ، وَأَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بَعْدَ ذَلِكَ: " سَيَتَصَدَّقُونَ وَيُجَاهِدُونَ إِذَا أَسْلَمُوا ".» . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا أَسْلَمُوا وَكَتَبَ لَهُمْ كِتَابَهُمْ أَمَّرَ عَلَيْهِمْ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ - وَكَانَ أَحْدَثَهُمْ سِنًّا - لِأَنَّ الصِّدِّيقَ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي رَأَيْتُ هَذَا الْغُلَامَ مِنْ أَحْرَصِهِمْ عَلَى التَّفَقُّهِ فِي الْإِسْلَامِ وَتَعَلُّمِ الْقُرْآنِ. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ وَفْدَهُمْ كَانُوا إِذَا أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ خَلَّفُوا عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ فِي رِحَالِهِمْ، فَإِذَا رَجَعُوا وَسْطَ النَّهَارِ جَاءَ هُوَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ عَنِ الْعِلْمِ فَاسْتَقْرَأَهُ الْقُرْآنَ، فَإِنْ وَجَدَهُ نَائِمًا ذَهَبَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ فَلَمْ يَزَلْ دَأْبُهُ حَتَّى فَقُهَ فِي الْإِسْلَامِ، وَأَحَبَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُبًّا شَدِيدًا. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الشِّخِّيرِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ قَالَ: «كَانَ مِنْ آخِرِ مَا عَهِدَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ بَعَثَنِي إِلَى ثَقِيفٍ أَنْ قَالَ: " يَا عُثْمَانُ تَجَوَّزْ فِي الصَّلَاةِ، وَاقْدُرِ
পৃষ্ঠা - ৩৬৭৪

ৰ্াসুবুল্পাহ্ (সা)-এৰ্ মজলিসে উপন্থিতিঃালে উছমান ইবন আবুল আল (রা)-যেচ তাদের র্তাবু
পাহরোয় মোঃ আসত ৷ মধ্যাত্নে তারা ফিরে গেলে একাকী তিনি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর খিদমতে
হাযির হয়ে তীর কাছে বিজ্যি বিষয়ে প্রশ্ন করতেন এবং কুরআন শিক্ষাদানের দরথাস্ত
করতেন ৷ কোন দিন নবী করীম (সা)কে বিশ্রাম রত দেখলে তিনি আবু বকর সিদ্দীক (রা)-
এর কাছে হাযিরা দিতেন ৷ তার এ অ্ভ্যাসের দরুন ইসলামী ফিকহে তার বুৎপত্তি জন্মাল এবং
এ কারণেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে অধিক মহববত করতে লাগলেন ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, সাঈদ ইবন আবু হিন্দ (র)উছমান ইবন আবুল আস (রা)
থেকে, তিনি বলেন, আমাকে ছাকীফে নিয়োগ প্রদানকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে যে শেষ
উপদেশগুলো দিয়েছিলেন যে সরের মধ্যে একটি তিনি বললেন


উছমান! সালাত লঘু করবে, সবচেয়ে দুর্বল সোকঢিকে দিয়ে মানুষের ধৈর্যের মাত্রা নির্ণয়
করবে; কেননা, ওদের (জামাআতের) মাঝে থাকবে বৃদ্ধ, শিশু, দুর্বল ও কোন প্রয়োজনে ব্যস্ত
লেকে

ইমাম আহমদ (র) বলেন, আফ্ফান (র)উছমান ইবন আবুল জন্য (বা) থেকেতিনি
বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমাকে আমার কওমের ইমাম নিয়োগ করুন ! তিনি
বললেন-



“তৃযিই তাদের ইমাম; তাদের দুর্বলতম ব্যক্তির পরিমাণে ইমামাত করবে; আর একজন
যুআয্যিন নিয়োগ করবে, যে তার আযানের জন্য মজুরী নিয়ে না ৷ আবু দাউদ ও তিরমিষী
(র ) এ হাদীসখানি উল্লিখিত সনদে হদ্যোদ ইবন সালামা (র) সুত্রে রিওয়ায়াত করেছেন ৷ ইবন
মাজা (র) এ হাদীসখানা রিওয়ায়াত করেছেন আবু বকর ইবন আবু শায়বা (র) পুখোল্লিখিত
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) সুত্রে ৷ ণ্ডদিকে আহমদ (র) আফ্ফান (র)ও মুআবিয়া ইবন
আমৃৱ (র), এ দ্বৈত সুত্রে উছমান ইবুন আবুল আস (রা) থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে,
তাকে তায়েফে’ কর্মকর্তা নিয়োগকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) শেষ যে কথা বলে বিদায় দিয়েছিলেন,
তা হল, তিনি বললেন

“তুমি কোন জামাআতের ইমাম হয়ে সালাত আদায় করলে তাদের জা সহজ করবে;

এমনকি তিনি আমাকে সুরা “ইক্রা ৰিসমি”এবং আল কুরআনের বা অনুরুপ সুরাগুলো
নির্ণীত করে দিলেন ৷
আহমদ (র) আরও বলেন, মুহাম্মদ ইবন জাফর (র)উছমান ইবন আবুল আস (র)
সুত্রে বলেন, রাসুলুল্পাহ্ (সা) আমাকে সর্বশেষ যে উপদেশ দিলেন, তিনি বললেন, “তুমি যখন
কোন কওয্যে ইমামতি করবে, তখন তাদের জন্য হালকা-সহজ সালাত আদায় করবে ৷
মুসলিম (র) এ রিওয়ান্নাত গ্রহণ করেছেন মুহাম্মদ ইবন যুছান্না ও বুনদার (র) আবৃদ রাব্বিহী


النَّاسَ بِأَضْعَفِهِمْ، فَإِنَّ فِيهِمُ الْكَبِيرَ وَالصَّغِيرَ وَالضَّعِيفَ وَذَا الْحَاجَةِ ".» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ أَخْبَرَنَا سَعِيدٌ الْجَرِيرِيُّ عَنْ أَبِي الْعَلَاءِ عَنْ مُطَرِّفٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ قَالَ: «قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اجْعَلْنِي إِمَامَ قَوْمِي. قَالَ: " أَنْتَ إِمَامُهُمْ فَاقْتَدِ بِأَضْعَفِهِمْ، وَاتَّخِذْ مُؤَذِّنًا لَا يَأْخُذُ عَلَى أَذَانِهِ أَجْرًا ".» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُلَيَّةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ كَمَا تَقَدَّمَ. وَرَوَى أَحْمَدُ عَنْ عَفَّانَ عَنْ وُهَيْبٍ وَعَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ عَمْرٍو عَنْ زَائِدَةَ كِلَاهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي عَاصِمٍ «عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ أَنَّ آخِرَ مَا فَارَقَهُ رَسُولُ اللَّهِ حِينَ اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الطَّائِفِ أَنْ قَالَ: " إِذَا صَلَّيْتَ بِقَوْمٍ فَخَفِّفْ بِهِمْ ". حَتَّى وَقَّتَ لِي {اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ} [العلق: 1] (الْعَلَقِ: 1) وَأَشْبَاهِهَا مِنَ الْقُرْآنِ» . وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ قَالَ: «حَدَّثَ عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ قَالَ: آخِرُ مَا عَهِدَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৭৫
إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ قَالَ: " إِذَا أَمَمْتَ قَوْمًا فَخَفِّفْ بِهِمُ الصَّلَاةَ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُثَنَّى وَبُنْدَارٍ كِلَاهُمَا عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ غُنْدَرٍ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ ثنا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْلَى الطَّائِفِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَكَمِ أَنَّهُ «سَمِعَ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ يَقُولُ: اسْتَعْمَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الطَّائِفِ، فَكَانَ آخِرَ مَا عَهِدَهُ إِلَيَّ أَنْ قَالَ: " خَفِّفْ عَنِ النَّاسِ الصَّلَاةَ ".» تَفَرَّدَ بِهِ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنِي مُوسَى - هُوَ ابْنُ طَلْحَةَ - أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ حَدَّثَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ أَنْ يَؤُمَّ قَوْمَهُ، ثُمَّ قَالَ: " مَنْ أَمَّ قَوْمًا فَلْيُخَفِّفْ بِهِمْ، فَإِنَّ فِيهِمُ الضَّعِيفَ وَالْكَبِيرَ وَالْمَرِيضَ وَذَا الْحَاجَةِ، فَإِذَا صَلَّى وَحْدَهُ فَلْيُصَلِّ كَيْفَ شَاءَ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ بِهِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَالِمٍ سَمِعْتُ أَشْيَاخًا مِنْ ثَقِيفٍ قَالُوا: حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي الْعَاصِ أَنَّهُ قَالَ: «قَالَ
পৃষ্ঠা - ৩৬৭৬
আল-বিদয়াে ওয়ান নিহায়ংংজ্যোণ্ডে ষ্া

(বা) থেকে ৷ আহমদ (র) আরও বলেন, আবু আহমদ আয্ যুবায়রী (র) ল্যাং
হকোম (র) উছমান ইবন আবুল আস (বা) কে বলতে শুনেছেন, বাসুলুল্পাহ্ দো)

তারেফের আমিল নিয়োগ করলেন, তার প্রদত্ত সর্বশেষ উপদেশ বাণীতে তিনি বলদ্যে,
“মান্যুষর জন্য সালাত হালকা করবে ৷ এ সুত্রে আহমদ (র) এককভারে এ বর্ণনা দিয়েছেন ৷

আহমদ (র) ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ (র)মুসা ইবন তালহা সুত্রে হাদীসটিতে অতিরিক্ত
যোগ করেন, হা, যখন সে একাকী সালাত আদায় করবে, তখন সে তার যেমন ইচ্ছা (দীর্ঘ
কিরআতে) সালাত আদায় করতে পারে ৷ মুসলিম (র) উল্লিখিত সনদে আম্য় ইবন উছমান
(র) থেকে এ হাদীসটি রিওয়ায়াত করেছেন ৷

আহমদ (র) আরও বলেন, মুহাম্মদ ইবন জাফর (র) সুত্রেও এ হাদীসঢি বংনিড়া করেছেন ৷

আহমদ (র) বলেন, ইবরাহীম ইবন ইসমাঈল (র)উছমান (বা) থেকে বর্ণনা করেন,
তিনি বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ্! “শয়তান আমার সালাত ও কিরআতের মাঝে প্ৰতিবন্ধক হয়ে
আনাগোনা করে ৷ তিনি বললেন

“ওটা শয়তান গোষ্ঠীর একটি শাখা যার নাম খিনৃযাব; তুমি তার উপস্থিতি অনুভব করলে

তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর পানাহ চাইবে এবং তোমার বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলবে ৷ ”

উছমান (বা) বলেন, আমি সেভাবে আমল করলে আল্লাহ আমার তরফ থেকে ঐ আপদ দুর
করে দিলেন ৷ মুসলিম (র) উক্ত সনদে সাঈদ আল জুরায়রী (র) থেকে হাদীসখানি রিওয়ড়ায়াত

করেছেন ৷
মালিক, আহমদ, মুসালন (র) ও সুনান গ্রন্থকারপণ নাফি ইবন জুবায়র ইবন যুতইম (র)
থেকে একাধিক সুত্রে উছমান ইবন আবুল আস (বা) এর এ বিওয়া“য়াতটি বণ্নিড়া করেছেন যে,
তিনি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর কাছে তার দেহের কোনও স্থানে যেদনানুভুতির করিয়াদ জানালেন,
তিনি তাকে বললেন, তােমার দেহের যে স্থান রেদনগ্রেস্ত হয়, সেখানে তোমার হাত রেখে ষ্
বলবে শুড্যা ণ্ণ্ও (বিসমিল্পাহ্) তিনবার এবং সাতবার বলবে , , £

“আমি বা অনুভব করি এবং যাতে শৎকিত হই, তার অকল্যাণ থেকে তা ড়াল্লাহ্র ইয্যত ও
তার কুদরতের আশ্রয় গ্রহণ করছি ৷” কোন কো ন বিওয়ায়াতে রয়েছে, আমি অমন করলাম ৷
ফলে আল্লাহ ঐ বেদনা দুর করে দিলেন ৷ তইি আমি আমার পরিবার ও অন্যান্যদের এ দৃআ
আমল করার কথা বলতে থাকি ৷

ইবন মাজা (র) বলেন, মুহাম্মদ ইবন ইয়াসার (র)উছমান ইবন আবুল আস (বা) থেকে
কানা করেন, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে তায়েফের আযিল নিয়োগ করলে (সেখানে
ৰ্ওেয়ার পর) আমার সালড়াতে কিছু (অদৃশ্য) বিপত্তি দেখা দিতে লাগল, এমন কি কী পরিমাণ
সালাত আদায় করেছি, তাও আমার মনে থাকত না ৷ এ অবস্থায় আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
ৰিদমতে গিয়ে উপস্থিত হলাম ৷ তিনি বললেন, ইবন আবুল আস? (এ সময়ে?) আমি বললাম,
হা, ইরা রাসুলাল্লাহ্ ! তিনি বললেন, কী বিষয় (তোমাকে আসতে বাধ্য করল)? আমি বললাম,


لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أُمَّ قَوْمَكَ، وَإِذَا أَمَمْتَ قَوْمًا فَأَخِفَّ بِهِمُ الصَّلَاةَ ; فَإِنَّهُ يَقُومُ فِيهَا الصَّغِيرُ وَالْكَبِيرُ وَالضَّعِيفُ وَالْمَرِيضُ وَذُو الْحَاجَةِ ".» . وَقَالَ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنِ الْجَرِيرِيِّ عَنْ أَبِي الْعَلَاءِ بْنِ الشِّخِّيرِ «أَنَّ عُثْمَانَ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ حَالَ الشَّيْطَانُ بَيْنِي وَبَيْنَ صَلَاتِي وَقِرَاءَتِي. قَالَ: ذَاكَ شَيْطَانٌ يُقَالُ لَهُ: خِنْزَبٌ. فَإِذَا أَنْتَ حَسَسْتَهُ فَتَعَوَّذْ بِاللَّهِ مِنْهُ وَاتْفُلْ عَنْ يَسَارِكَ ثَلَاثًا ". قَالَ: فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَأَذْهَبَهُ اللَّهُ عَنِّي.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ بِهِ. وَرَوَى مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَمُسْلِمٌ وَأَهْلُ السُّنَنِ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ «أَنَّهُ شَكَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَعًا يَجِدُهُ فِي جَسَدِهِ، فَقَالَ لَهُ: " ضَعْ يَدَكَ عَلَى الَّذِي تَأَلَّمَ مِنْ جَسَدِكَ، وَقُلْ: بِسْمِ اللَّهِ. ثَلَاثًا، وَقُلْ سَبْعَ مَرَّاتٍ: أَعُوذُ بِعِزَّةِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ ".» وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ «فَفَعَلْتُ ذَلِكَ فَأَذْهَبَ اللَّهُ مَا كَانَ بِي، فَلَمْ أَزَلْ آمُرُ بِهِ أَهْلِي وَغَيْرَهُمْ.» . وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ بْنُ مَاجَهْ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ثنا مُحَمَّدُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৬৭৭

৩৮ ক্ষ্ম-ৰিদার৷ ওরান নিহ্যরা

ইন্না ক্ষাং! আমার সাল!তে আমার মনে ওয়াসওয়াসা’ আসতে থাকে, এমন কি আমি
ন্দা আদার ৰ্ল্মহি তা খেয়াল রাখতে পারি না ৷ ’ তিনি বললেন, “ওটা তাে শয়তান; কাছে
এসো ৷ আমি তীর কাছে এগিয়ে আমার পায়ের পাতায় ভর করে বসলড়াম, বর্ণনাকারী (উছমান
রা) বলেন, তিনি তখন তার হাত আমার বুকে রাখলেন এবং আমার মুখে থুথু দিয়ে বললেন-
£::,::: ব্লু)ঞা “আল্লাহর দৃশমন! বেরিয়ে যাও ! তিনবার এরুপ করার পরে তিনি বললেন,
“তোমার কর্মস্থলে ফিরে যাও ৷” বর্ণনাকায়ী বলেন, উছমান (রা) বলেছেন, আমার জীবনের
কসমৰু এরপরে আর কোন দিন যে আমাকে ঝামেলা করেছে; এমন মনে পড়ে না৷ এ
রিওয়ায়াতঢি ইবন মাজা (র) এককতাবে বণ্নাি করেছেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন, ঈসা ইবন
আবদুল্লাহ (র) ছাকীফ প্রতিনিধি দলের জনৈক সদস্য থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
আমরা (প্রতিনিধি দল) ইসলাম গ্রহণ করলে এবং রমমানের অবশিষ্ট দিনগুলো রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সাথে থেকে বোমা রাখতে শুরু করলে ৰিলাল (রা) প্রতিদিন আমাদের সাহ্রী ও
ইফতারী নিয়ে আসতেন ৷ সাহ্রী নিয়ে আসলে (বেশ বিলন্বিত সময়ে হওয়ার কারণে) আমরা
বলতাম, মনে তাে হচ্ছে, যেন সৃবহে সাদিক হয়ে গিয়েছে ৷ ৰিলাল (রা) বলতেন, আমি তো
রাসুলুল্লাহ্ (সা )-£ক এইমাএ সাহ্রী প্রহণরত অবস্থায় রেখে আসলামন্ যেহেতু তিনি শেষ সময়
সেহ্রী খােতন ৷ আবার তিনি আমাদের ইফতারী নিয়ে আসলে আমরা রলতাম, সুর্য এখনও
পুরোটা অস্তনিত হয়েছে বলে তো মনে হচ্ছে না ৷ তিনি বলতেন, রাসুলুল্পাহ (সা) ইফতার
করার পরেই আমি তোমাদের কাছে এসেছি ৷ তারপর তিনি পাত্রের জ্যিরে হাত ঢুকিয়ে মুঠাে
ভরে ভরে আমাদের দিতেন ৷

আহমদ, আবু দাউদ ও ইবন মাজা (র) আবদুল্লাহ ইবন আবদুর রহমান ইবন ইয়ালা আত্
তাইফী (র) থেকেআওস ইবন হুযায়ফ (রা) সুত্রে বর্ণিত ৷ তিনি বলেন, ছাকীফ প্রতিনিধি
দলের সাথে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে হাযির হলাম ৷ তিনি বলেছেন, দলের
আহলাফ’ গোত্রীয়রা (স্বগােত্রের) মুগীরা ইবন শুবা (রা)-এর ৫মহমান হল ৷ আর মালিক
গোত্রীয় সদস্যদের রাসুলুল্পাহ্ (সা) একটি জবুতে অবস্থানের ব্যবস্থা করে দিলেন ৷ প্রতি রাতে
ইশা-র পরে তিনি আগমন করতেন এবং দাড়িয়ে র্দাড়িয়েই আমাদের সাথে কথাবার্তা
বলতেন এবং দীর্ঘ সময় র্দীড়িরে থাকার কারণে মাঝে মাঝে পায়ের ডঃ বদল করতেন ৷ প্রড়ায়শ
তিনি তার সাথে স্বগােত্র কুরায়শীদের কৃত আচরণের বিবরণ দিতেন; আবার বলতেন--

সে জন্য আক্ষেপ করি না; তবে আমরা মক্কায় দুর্বল ও হীন অবস্থায় ছিলাম ৷ মদীনায় চলে

আসার পর তাে তাদের ও আমাদের মাঝে লড়াইয়ের পালা চলল; কখনো আমরা তাদের উপর
বিজয়ী হতাম ৷ আবার কখনো যা তারা আমাদের উপর ভারী হয়ে যেত ৷

এক রাতে তিনি আমাদের কাছে আগমনের নির্ধারিত সময় থেকে বিলম্ব করলেন ৷ আমরা
মোঃ, আজ তো আপনি দেরী করে ফেলেছেন? তিনি বললেন, “আমার কুরআন তিলাওয়াতের
ৰির্ধৰিত ল্পা আল কোন কারণে বাকী রয়ে গিয়েছিল , তা পুর্ণ না করে কোথাও যাওয়া আমার
ৰ্ৰ্হে ভাল র্পো ন৷ ৷ বর্ণনাকারী আওস বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণের


عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيُّ حَدَّثَنِي عُيَيْنَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ - وَهُوَ ابْنُ جَوْشَنٍ - حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي الْعَاصِ قَالَ: «لَمَّا اسْتَعْمَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الطَّائِفِ جَعَلَ يَعْرِضُ لِي شَيْءٌ فِي صَلَاتِي، حَتَّى مَا أَدْرِي مَا أُصَلِّي، فَلَمَّا رَأَيْتُ ذَلِكَ رَحَلْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " ابْنُ أَبِي الْعَاصِ؟ " قُلْتُ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " مَا جَاءَ بِكَ؟ " قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، عَرَضَ لِي شَيْءٌ فِي صَلَاتِي حَتَّى مَا أَدْرِي مَا أُصَلِّي. قَالَ: " ذَاكَ الشَّيْطَانُ، ادْنُهْ ". فَدَنَوْتُ مِنْهُ فَجَلَسْتُ عَلَى صُدُورِ قَدَمَيَّ. قَالَ: فَضَرَبَ صَدْرِي بِيَدِهِ وَتَفَلَ فِي فَمِي، وَقَالَ: " اخْرُجْ عَدُوَّ اللَّهِ ". فَفَعَلَ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، ثُمَّ قَالَ: " الْحَقْ بِعَمَلِكَ ". قَالَ: فَقَالَ عُثْمَانُ: فَلَعَمْرِي مَا أَحْسَبُهُ خَالَطَنِي بَعْدُ.» تَفَرَّدَ بِهِ ابْنُ مَاجَهْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي عِيسَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَطِيَّةَ بْنِ سُفْيَانَ بْنِ رَبِيعَةَ الثَّقَفِيِّ عَنْ بَعْضِ وَفْدِهِمْ قَالَ: «كَانَ بِلَالٌ يَأْتِينَا حِينَ أَسْلَمْنَا وَصُمْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا بَقِيَ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ بِفَطُورِنَا وَسَحُورِنَا، فَيَأْتِينَا بِالسَّحُورِ، فَإِنَّا لَنَقُولُ: إِنَّا لَنَرَى الْفَجْرَ قَدْ طَلَعَ. فَيَقُولُ: قَدْ تَرَكْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَسَحَّرُ لِتَأْخِيرِ السَّحُورِ. وَيَأْتِينَا بِفِطْرِنَا، وَإِنَّا لَنَقُولُ: مَا نَرَى الشَّمْسَ ذَهَبَتْ كُلَّهَا بَعْدُ. فَيَقُولُ: مَا جِئْتُكُمْ حَتَّى أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. ثُمَّ يَضَعُ يَدَهُ فِي الْجَفْنَةِ فَيَلْقَمُ مِنْهَا» . وَرَوَى الْإِمَامُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَعْلَى الطَّائِفِيِّ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ عَنْ جَدِّهِ أَوْسِ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৩৬৭৮


০ : ৷৷ওে fl ই$

অলে-বিদারা ওয়ান নিহায়া ৬৯

কাছে জিজ্ঞেস ন্সরহি; আপনারা কুরআন তিলাওয়াতের (নিত্য দিনের) পরিমাণ কিভাবে নির্ধারণ
করে থাকেন? তারা বৰ্ান্ান্বান,১ এক তিন সুরা (আল বকােরা, আল ইমরান ও আন নিসা) ৷ দুই
পরবর্তী পচে সুরা; তিন পরবর্তী সাত সুরা; চার পরবর্তী নয় সুরা; পাচ পরবর্তী এগার সুরা;
হয় পরবর্তী তেব সুরা এবং সাত দ্বুফাসৃসাল২ সুরাসমুহের সমন্বিত অংশ ৷ এ রিওয়ায়তের পাঠ
আবুদাউদ (র)-এর ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, প্রতিনিধি দল তাদের কাজ সেরে নিজেদের অঞ্চলের উদ্দেশ্যে
প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি নিলে রাসুলুল্পাহ্ (সা) আবু সুফিয়ান ইবন হড়ারব (বা) এবং ঘুগীরা ইবন
শুবা (রা)-ণ্ক তাদের সহযাত্রী করে পাঠালেন ৷ র্তাদের দায়িত্ব ছিল ৰিগ্রহ ধ্বংস করা ৷ তারা
দু’জন কাফেলার সহযাত্রী হলেন ৷ তায়েফ পৌছলে যুগীরা (রা) (নিজে স্থানীয় গোত্রের লোক
হওয়ার কারণে) আবু সুফিয়ান (রা)-£ক আগেভাগে রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন ৷ আবু
সুফিয়ান (রা) তাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বললেন, তোমার স্বগোত্রে তৃমিই আগে যাও ৷ এ কথা
বলে আবু সুফিয়ান (বা) তার মালপত্র নিয়ে যুল-হারামে’ অবস্থান নিলেন ৷ মুগীরা (রা)
এলাকার প্রবেশ করেই ৰিগ্রহবেদীতে উঠে গাইতির আঘাতে মুর্তিটি ঢুরঘার করে ফেলতে
লাপলেন ৷ তার কওম বনু মুআত্তিব-এর লোকেরা র্দাড়িয়ে তাকে আড়াল দিতে লাগল ৷ কারণ,
তাদের আশঙ্কা ছিল যে, উরওয়া ইবন মাসউদ (বা) যে পরিণতির সম্মুখীন হয়েছিলেন ৷ তাকে
তেমনি তীরৰিদ্ধ করে বা অন্য কােনরুগে আঘাত করা হতে পারে ৷

বর্ণনাকারী বলেন, ৰিগ্রহের দৃরবস্থা দেখে ছাকীফের নারীরা নগ্ন মাথায় বিলাপ করতে
করতে বেরিয়ে পড়ল আর মাতমের সুরে গাইতে লাগল

ব্লুও১ :এ্যা

“র্কাদো র্কাদেড়া দিফা’ লাগি ইতরেরা করলো না যে প্রতিরোধপারলো না যে করতে
আঘাত ৷ ইবন ইসহাক (র) বলেন, আবু সুফিয়ান বলছেন, ঘুগীরা (বা) প্রতিমার গায়ে কুঠার
মড়ারছিলেন আর আওয়ায দিচ্ছিলেন, এ!া৷া৷এ এ্যা, আফসােস ! তোমার জন্য, আফস্যেসা
তোমার জন্যে ৷ অবশেষে যুগীরা (রা) সেটি ধবসিয়ে দিয়ে সেখানে সঞ্চিত সম্পদ ও
অলংকারপত্র আহরণ করে তা আবু সুফিয়ান (রা)-এর্ব কাছে পাঠিয়ে দিলেন ৷ তিনি বললেন,
আল্লাহর রাসুল (সা) তাে আমাদের হুকৃম দিয়ে রেখেছেন, আমরা যেন ৰিমহ মন্দিরে লব্ধ
সম্পদ দিয়ে উরওয়া ইবন মাসউদ (বা) এবং তার ভাই আসওয়াদ ইবন মাসউদ-কারিব

ইবনুল আসওয়াদের পিতা এ দুজনের ঋণ পরিশোধ করে দেই ৷ সুতরাং এ দিয়ে তাদের ঋণ
পরিশোধ করা হবে ৷

আমি বলি, আসওয়াদ যুশরিক অবস্থায়ই মারা গিয়েছিল ৷ কিন্তু তার ছেলে কারিব ইবনুল
আসওয়াদ ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন ৷ মুসলমান ছেলের মনোরঞ্জন ও মর্যাদা দানের উদ্দেশ্যে
নবী করীম (সা) কাফির পিতার ঋণ পরিশোধ করার হুকৃম দিয়েছেলেন ৷



১ অনেক সাহারায়ে কিরড়াম তিসাওরাতের নিরমানুবর্তীতা রক্ষার জন্য আর কুবআনকে (সপ্তাহের সাত দিনে
মে মরে উদ্দেশ্যে) সাত অংৰ্:শ ভাগ করতেন ৷ প্রচলিত ব্যবহারে এ সাত ভাগকেই সাত মনযিল বলা হয় ৷
২ আল কুরআনের সুরা আল হুজুরাতে ৷হুদ্বুপ্ল্গুব্লুপ্মৃৰুক্রেব্রষ্ন্গ্লুব্লুস্কু অংশকে আল ঘুফাসৃসাল বলা হয় ৷

০০ তো

حُذَيْفَةَ قَالَ: «قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ. قَالَ: فَنَزَلَتِ الْأَحْلَافُ عَلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَأَنْزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَنِي مَالِكٍ فِي قُبَّةٍ لَهُ، كُلَّ لَيْلَةٍ يَأْتِينَا بَعْدَ الْعِشَاءِ يُحَدِّثُنَا قَائِمًا عَلَى رِجْلَيْهِ، حَتَّى يُرَاوِحَ بَيْنَ رِجْلَيْهِ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ، فَأَكْثَرُ مَا يُحَدِّثُنَا مَا لَقِيَ مِنْ قَوْمِهِ مِنْ قُرَيْشٍ، ثُمَّ يَقُولُ: " لَا أَنْسَى وَكُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ مُسْتَذَلِّينَ بِمَكَّةَ، فَلَمَّا خَرَجْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ كَانَتْ سِجَالُ الْحَرْبِ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ، نُدَالُ عَلَيْهِمْ وَيُدَالُونَ عَلَيْنَا ". فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةٌ أَبْطَأَ عَنِ الْوَقْتِ الَّذِي كَانَ يَأْتِينَا فِيهِ فَقُلْنَا: لَقَدْ أَبْطَأْتَ عَنَّا اللَّيْلَةَ. فَقَالَ: " إِنَّهُ طَرَأَ عَلَيَّ حِزْبِي مِنَ الْقُرْآنِ، فَكَرِهْتُ أَنْ أَجِيءَ حَتَّى أُتِمَّهُ ". قَالَ أَوْسٌ: سَأَلْتُ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ تُحَزِّبُونَ الْقُرْآنَ؟ فَقَالُوا: ثَلَاثٌ، وَخُمْسٌ، وَسَبْعٌ، وَتِسْعٌ، وَإِحْدَى عَشْرَةَ، وَثَلَاثَ عَشْرَةَ، وَحِزْبُ الْمُفَصَّلِ وَحْدَهُ.» لَفْظُ أَبِي دَاوُدَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا فَرَغُوا مِنْ أَمْرِهِمْ وَتَوَجَّهُوا إِلَى بِلَادِهِمْ رَاجِعِينَ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৭৯
بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ حَرْبٍ وَالْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ فِي هَدْمِ الطَّاغِيَةِ، فَخَرَجَا مَعَ الْقَوْمِ، حَتَّى إِذَا قَدِمُوا الطَّائِفَ أَرَادَ الْمُغِيرَةُ أَنْ يُقَدِّمَ أَبَا سُفْيَانَ فَأَبَى ذَلِكَ عَلَيْهِ أَبُو سُفْيَانَ وَقَالَ: ادْخُلْ أَنْتَ عَلَى قَوْمِكَ. وَأَقَامَ أَبُو سُفْيَانَ بِمَالِهِ بِذِي الْهَرْمِ، فَلَمَّا دَخَلَ الْمُغِيرَةُ عَلَاهَا يَضْرِبُهَا بِالْمِعْوَلِ، وَقَامَ قَوْمُهُ بَنُو مُعَتِّبٍ دُونَهُ ; خَشْيَةَ أَنْ يُرْمَى أَوْ يُصَابَ كَمَا أُصِيبَ عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ. قَالَ: وَخَرَجَ نِسَاءُ ثَقِيفٍ حُسَّرًا يَبْكِينَ عَلَيْهَا، وَيَقُلْنَ: لَتُبْكَيَنَّ دَفَّاعْ، أَسْلَمَهَا الرُّضَّاعْ، لَمْ يُحْسِنُوا الْمِصَاعْ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَيَقُولُ أَبُو سُفْيَانَ وَالْمُغِيرَةُ يَضْرِبُهَا بِالْفَأْسِ: وَاهًا لَكَ إِهْلَاكَكِ. فَلَمَّا هَدَمَهَا الْمُغِيرَةُ وَأَخَذَ مَالَهَا وَحُلِيَّهَا أَرْسَلَ إِلَى أَبِي سُفْيَانَ وَقَالَ لَهُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَمَرَنَا أَنْ نَقْضِيَ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ وَأَخِيهِ الْأَسْوَدِ بْنِ مَسْعُودٍ وَالِدِ قَارِبِ بْنِ الْأَسْوَدِ دَيْنَهُمَا مِنْ مَالِ الطَّاغِيَةِ. فَقَضَى ذَلِكَ عَنْهُمَا. قُلْتُ: كَانَ الْأَسْوَدُ قَدْ مَاتَ مُشْرِكًا، وَلَكِنْ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ بِذَلِكَ تَأْلِيفًا وَإِكْرَامًا لِوَلَدِهِ قَارِبِ بْنِ الْأَسْوَدِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ. وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ وَفْدَ ثَقِيفٍ كَانُوا بِضْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَلَمَّا قَدِمُوا
পৃষ্ঠা - ৩৬৮০


মুসা ইবন ট্যাং৷ (র) বলেছেন, ছাকীক প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা ছিল দশের উভ্রুর্ধ্ব ৷
তার! এসে পৌছলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদে তাদের অবস্থানের ব্যবস্থা করলেন, যাতে তারা
বুদ্মআন শরীফ শোনার সুযোগ পায় ৷ তারা তার কাছে সুদ, ব্যতিচার ও মদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস
করলে তিনি এর সবগুলোই তাদের জন্য হারাম হওয়ার কথা বললেন ৷ অবশেষে তারা জিজ্ঞেস
করল যে , তিনি তাদের দেবমুর্ডিং সাথে কী আচরণ কররে ন ? তিনি ব ল লে ন, ওটিকে তোমরা
ভেঙ্গে ফেল ৷ তারা বলল, বলেন কী? হায় ! দেবী যদি ঘুণাক্ষরেও টের (পরে যায় যে, আপনি
তার বিনাশ করতে যাচ্ছেন, তাহলে আর রক্ষে নেই, সে তো সব ধ্বংস করে ফেলবে ৷ এ কথা
শুনে উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বললেন, ছি৷ ছি ৷ , তুমিই না গোত্র প্রধান আবৃদ ইয়ালীল ৷ বৃদ্ধির
মাথা রাও ৷ ঐ দেবী তো পাথর বৈ কিছু নয়৷ তারা বলল, খড়াত্তাবের পাে! আমরা তো তোমার
কাছে আমি নি ৷ অন্য দিকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে বলল, “আপনি নিজেই ওটা ধ্বংসের দায়-
দায়িতু নিন ৷ আমরা তো কক্ষা;ণা ওর পায়ে হাত তুলতে পারব না ৷ তিনি বললেন, এ প্রুা
-ট্শুএএে ণ্ন্ধ্রএগ্ন্র্ন্তএ , ,ম্ ণ্ন্ধ্রএ্এট্ট ঠিক আছে, আমি তোমাদের ওখানে এমন কাউকে পাঠাচ্ছি যে,
তোমাদের পক্ষ থেকে ঐ কাজটি সুচারুরুপে সম্পন্ন করবে ৷ আলোচনা (পরে তারা এ সব
বিষয় চুক্তিবদ্ধ হল এবং রাসুল করীম (সা)এর পাঠানো দৃওদের আগে কওমের কাছে ফিরে
যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করল ৷ তারা কওমের কাছে ফিরে গেলে কওমের লোকেরা তাদের
সক্ষোতে এগিয়ে এসে পিছনের খবর’ জিজ্ঞেস করল ৷ জবাবে তারা তাদের আকার ইঙ্গিতে
দুঃখদুঘেগৈর কথা প্রকাশ করে বলল, তারা এক কঠোর স্বতাব কর্কশতাষী লোকের কাছ
থেকে ফিরে আসছে যে নাকি তররারির জোরে প্রাধান্য বিস্তার করে সেচ্ছাচারিতায় মত্ত হয়েছে
এবং গোটা আরবকে পদড়ানত করে ফেলেছে ৷ সুদ , ব্যভিচার, মদ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে;
এমনকি দেবীর মুর্তি ভেঙ্গে দেয়ার হুকুম দেয়ার দুঃসাহস দেখিয়েছে ৷ এ বর্ণনা শুনে ছাকীফীরা
তেল্যেরগুনে জ্বলে উঠে বলল, আমরা কিছুতেই এ লোকের অধীনতা মেনে নেবাে না ৷
বর্ণমাকাবী বলেন, ওরা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমরােপকরণ সংগ্রহে ব্যস্ত হল ৷ এ অবস্থায়
দুই দিন কিৎব৷ তিন দিন অ০িবাইি৩ হলে ৩া৷প্লাহু তা পের অওরে ডীণ্ডি সঞ্চারিত করে দিলেন ৷
ফলে তারা সিদ্ধান্ত থেকে পিছপ৷ হয়ে সত্যের দিক রাৰিত হল এবং নেতাদের বলল, তোমরা
গিয়ে ঐ সব শর্ত মেনে নিয়ে তার সাথে সন্ধি কর এবং চুক্তিবদ্ধ হয়ে যাও ৷ প্রতিনিধিরা বলল,
আমরা তো তা করেই এসেছি; আসলে আমরা তাকে পেয়েছি একজন শ্রেষ্ঠ ঘুত্তাকী
থােদাভীক, সর্বাধিক অঙ্গীকার রক্ষাকারী, দয়াব সাগর এবং পরম সতাবাদীরুপে ৷ তার কাছে
আমাদের এ সফর এবং আমাদের ও তার মাঝে সম্পাদি৩ চুক্তি আমাদের ও তোমাদের
সকলের ওম্পো৷ বরক৩ ও কণ্যাণ বয়ে আনবে ৷

অতএব, তোমরা চুক্তির মর্য অনৃধাবনে সচেষ্ট হও এবং আল্লাহর দান শান্তিঢুক্তি’ কে স্বাগত
জানাও ৷ তারা বলল, তা হলে প্রথমে (তামরা এ সব গোপন করার ঢৎ করণে শ্যেন ? ৩ার৷ বং৷ ণ ,
আমরা চাচ্ছিলাম , তোমাদের মন-মগজ থেকে শয়তানী অহংবােধের পস্কিলতা আল্লাহ্ পাক
বিদুরিত করে দিন ৷ তখন অবিলম্বে তারা ইসলাম গ্রহণ করল ৷ এরপরে কয়েকদিন অতিরা ত
হলে আল্লাহর রাসুল (সা) এর পাঠানো দুতপণ সেখানে উপস্থিত হলেন ৷ এ দলের প্রধান
নিয়োজিত হয়েছিলেন খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রা) এবং অ্যাংা৩ম স প স ৷ ছিলেন (ঐ অঞ্চলের
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব) মুগীর৷ ইবন শুরা (রা) ৷ তারা প্রথমে লাত দেবীর দফারফার পরিকল্পনা

৫০ শে)















أَنْزَلَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ الْمَسْجِدَ لِيَسْمَعُوا الْقُرْآنَ، فَسَأَلُوهُ عَنِ الرِّبَا وَالزِّنَا وَالْخَمْرِ، فَحَرَّمَ عَلَيْهِمْ ذَلِكَ كُلَّهُ، فَسَأَلُوهُ عَنِ الرَّبَّةِ مَا هُوَ صَانِعٌ بِهَا. قَالَ: " اهْدِمُوهَا ". قَالُوا: هَيْهَاتَ لَوْ تَعْلَمُ الرَّبَّةُ أَنَّكَ تُرِيدُ أَنْ تَهْدِمَهَا قَتَلَتْ أَهْلَهَا. فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَيْحَكَ يَا بْنَ عَبْدِ يَالِيلَ! مَا أَجْهَلَكَ! إِنَّمَا الرَّبَّةُ حَجَرٌ. فَقَالُوا: إِنَّا لَمْ نَأْتِكَ يَا بْنَ الْخَطَّابِ. ثُمَّ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَوَلَّ أَنْتَ هَدْمَهَا، أَمَّا نَحْنُ فَإِنَّا لَنْ نَهْدِمَهَا أَبَدًا. فَقَالَ: " سَأَبْعَثُ إِلَيْكُمْ مَنْ يَكْفِيكُمْ هَدْمَهَا ". فَكَاتَبُوهُ عَلَى ذَلِكَ، وَاسْتَأْذَنُوهُ أَنْ يَسْبِقُوا رُسُلَهُ إِلَيْهِمْ، فَلَمَّا جَاءُوا قَوْمَهُمْ تَلَقَّوْهُمْ، فَسَأَلُوهُمْ مَا وَرَاءَكُمْ؟ فَأَظْهَرُوا الْحُزْنَ وَأَنَّهُمْ إِنَّمَا جَاءُوا مِنْ عِنْدِ رَجُلٍ فَظٍّ غَلِيظٍ، قَدْ ظَهَرَ بِالسَّيْفِ، يَحْكُمُ مَا يُرِيدُ وَقَدْ دَوَّخَ الْعَرَبَ، قَدْ حَرَّمَ الرِّبَا وَالزِّنَا وَالْخَمْرَ، وَأَمَرَ بِهَدْمِ الرَّبَّةِ، فَنَفَرَتْ ثَقِيفٌ وَقَالُوا: لَا نُطِيعُ لِهَذَا أَبَدًا. قَالَ: فَأَهِّبُوا لِلْقِتَالِ وَأَعِدُّوا السِّلَاحَ. فَمَكَثُوا عَلَى ذَلِكَ يَوْمَيْنِ أَوْ ثَلَاثَةً، ثُمَّ أَلْقَى اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ، فَرَجَعُوا وَأَنَابُوا، وَقَالُوا: ارْجِعُوا إِلَيْهِ فَشَارِطُوهُ عَلَى ذَلِكَ وَصَالِحُوهُ عَلَيْهِ. قَالُوا: فَإِنَّا قَدْ فَعَلْنَا ذَلِكَ، وَوَجَدْنَاهُ أَتْقَى النَّاسِ وَأَوْفَاهُمْ وَأَرْحَمَهُمْ وَأَصْدَقَهُمْ، وَقَدْ بُورِكَ لَنَا وَلَكُمْ فِي مَسِيرِنَا إِلَيْهِ وَفِيمَا قَاضَيْنَاهُ عَلَيْهِ، فَافْهَمُوا مَا فِي الْقَضِيَّةِ وَاقْبَلُوا عَافِيَةَ اللَّهِ. قَالُوا: فَلِمَ كَتَمْتُمُونَا هَذَا أَوَّلًا؟ قَالُوا: أَرَدْنَا أَنْ يَنْزِعَ اللَّهُ مِنْ قُلُوبِكُمْ نَخْوَةَ الشَّيْطَانِ. فَأَسْلَمُوا مَكَانَهُمْ، وَمَكَثُوا أَيَّامًا، ثُمَّ قَدِمَ عَلَيْهِمْ رُسُلُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ أَمَّرَ عَلَيْهِمْ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ وَفِيهِمُ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَعَمَدُوا إِلَى اللَّاتِ، وَقَدِ اسْتَكَفَّتْ ثَقِيفٌ رِجَالُهَا وَنِسَاؤُهَا وَالصِّبْيَانُ،
পৃষ্ঠা - ৩৬৮১


নিলেন ৷ ছাকীফের নারী-পুরুষ, আবাল বৃদ্ধ সকলেই ভিভৃ জমাল দেবী ফ্লিশন প্রত্যক্ষ করার
জন্যে; এমন কি লজ্জাবতী নব কুমারীরা আজ তাদের অবপুণ্ঠন থেকে ব্লেব্লিয়ে এল, ছাকীফের
জনসাধারণ এ কথা বিশ্বাস করে উঠতে পড়ারছিল না যে, দেবীর ৰিনাশ সাধিত হবে ৷ তাদেও
প্রবল বিশ্বাস ছিল যে, আত্মরক্ষায় দেবী তার শক্তির বহিঃপ্রকাশ মটাবে ৷ রইহোক, ঘুগীরা ইবন
শুবা (রা) প্রথমে উদেত্তো নিলেন এবং র্গইিতি হাতে র্দাড়িয়ে (চুপিসারে) নিজের সাথীদের
বললেন, আল্লাহর কলম! ছাকীফদের তামাশা দেখিয়ে তােমাদেরকে আনন্দে হাসাব ৷ এ কথা
বলে তিনি দেবীর গায়ে পইিতির আঘাত হানলেন ৷ একটু পরে গড়িয়ে পড়ে ত্যুস্থিরতার সাথে
পায়ের পােড়ালী দিয়ে তিনি মাটিতে আঘাত করতে লাগলেন ৷ তীর দুরবস্থা দেখে
তায়েফবাসীরা আনন্দ উদ্বেলিত হয়ে সমস্বরে দেবীর জয়গান গেয়ে উঠল, তাদের সে আনন্দের
সীমা ছিল না ৷ তারা বলে উঠল, “আল্লাহ মুর্গীরাকে অতিসম্পাত করুন ! দেবী তাকে বিনাশ করে
ফেলেছে ৷ ” তার অন্যান্য সাথীদের লক্ষ্য করে তারা বলল, যার হিম্মত ;হর, দেবীর দিকে
আগাও ! একটু পরে মুগীরা (রা) শান্ততারে দাড়িয়ে বললেন, আল্লাহর বন্সমৰুর্শ্ব আমার স্বদেশী
ছাকীফ তাইয়েরা ! এটা মাটি আর পাথরের একটা মুর্তিই মাত্র ৷ তইি তে ছেঃর আল্লাহর ক্ষমা
গ্রহন্বণ আগ্রহী হও এবং তারই ইবাদতে নিমগ্ন হও ! এরপর তিনি জোরদার আঘাতে মন্দিরের
দরজা ভেঙ্গে ফেলে চতুরের দেয়ালে চড়ে বললেন ৷ তার সাথীরা দেয়ালে চড়ে একটা একটা
করে পাথর ভেঙ্গে ফেলতে লাগলেন ৷ অবশেষে স্থানটিকে সমতলে পরিণত করে ক্ষাম্ভ হলেন ৷
পাণ্ডা-পুরােহিতেরা ভয় দেখাতে লাগল ৷ মন্দিরের বুনিয়াদ ক্রোধান্ধ হয়ে এয়ুল্ম সবটাকে মাটি
চাপা দেবে ৷ ঘুর্গীৱা (বা) এ কথা শুনে নেতা খালিদ (রা)-৫ক বললেন-

আপনি আমাকে এর ভিত্তি খুড়ে ফেলার অনুমতি দিন ৷ তারপর তার মাটি খুৰুডু তিনি তার
তিতসহ উপড়ে দিলেন এবং ত্যিতর ইট-বালুমাটি উঠিয়ে ন্তুপ করে দিলেন ৷ মন্দিরের এ
দুরবস্থা ছাকীফদের বিমুঢ় ও নিবাক করে দিল ৷ ওদিকে রাসুল কবীম (সা)ৰু-এর দুতগণ তার
কাছে ফিরে গেলেন ৷ প্রত্যাবর্তনের দিলেই লব্ধ সম্পদ ঘোকজনের মধ্যে বন্টন করে দেয়া
হল ৷ অভিযানের সফল সমাপ্তিতে আল্লাহ তাআলার দীনের মহােত্ম্য প্রকাশ পাওয়ায় এবং তার
রাসুলের সাহায্যপ্রাপ্তির জন্য তারা আল্লাহর হড়ামৃদ আদায় করলেন ৷

ইবন ইসহড়াক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদের জন্য যে, ফরমান লিখিরে দিয়েছিলেন
তার ভাষ্য ছিল নিম্নরুপ
ণ্গ্লু
ও ন্নুএব্ল ঠ ১এ ঞ এ্যা এন্হু ডাঃ এ্,া ,ও র্চু১ন্ এ গ্র১এ ডাঃ গ্রাএ ৬৩ এে মোঃ ১ গু ঞ লোঃ

১;৷ নাএহৃপুা দ্বু

ৰিসমিল্পাহির রাহমানির রাহীম, আল্লাহর রাসুল-নবী মুহাম্মদের পক্ষ হতে ঘু’মিনদের

fl: “ওরাজ্জ-এর বৃক্ষ্ৱাজী ও শিকার আহরণ করা যাবে না ৷ কাউকে এমন কর্মে লিপ্ত



১ fl“; অ্যাং দ্যো প্রচলিত নাম, ভিনদেশীদের জন্য ওয়াজ্জ এর গাছপালা ইত্যাদি হর্শ্বরামায়ন
ষ্াষ্ৰ্ এর ভুগ্ রীিষ্ ম৷ হ!স্নি ৷ আসসৃহারলী ৷


حَتَّى خَرَجَ الْعَوَاتِقُ مِنِ الْحِجَالِ وَلَا يَرَى عَامَّةُ ثَقِيفٍ أَنَّهَا مَهْدُومَةٌ وَيَظُنُّونَ أَنَّهَا مُمْتَنِعَةٌ فَقَامَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فَأَخَذَ الْكِرْزِينَ - يَعْنِي الْمِعْوَلَ - وَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: وَاللَّهِ لَأُضْحِكَنَّكُمْ مِنْ ثَقِيفٍ. فَضَرَبَ بِالْكِرْزِينِ، ثُمَّ سَقَطَ يَرْكُضُ بِرِجْلِهِ، فَارْتَجَّ أَهْلُ الطَّائِفِ بِصَيْحَةٍ وَاحِدَةٍ وَفَرِحُوا وَقَالُوا: أَبْعَدَ اللَّهُ الْمُغِيرَةَ قَتَلَتْهُ الرَّبَّةُ. وَقَالُوا لِأُولَئِكَ: مَنْ شَاءَ مِنْكُمْ فَلْيَقْتَرِبْ فَقَامَ الْمُغِيرَةُ فَقَالَ: وَاللَّهِ يَا مَعْشَرَ ثَقِيفٍ إِنَّمَا هِيَ لَكَاعِ حِجَارَةٌ وَمَدَرٌ، فَاقْبَلُوا عَافِيَةَ اللَّهِ وَاعْبُدُوهُ. ثُمَّ إِنَّهُ ضَرَبَ الْبَابَ فَكَسَرَهُ ثُمَّ عَلَا سُورَهَا، وَعَلَا الرِّجَالُ مَعَهُ، فَمَا زَالُوا يَهْدِمُونَهَا حَجَرًا حَجَرًا حَتَّى سَوَّوْهَا بِالْأَرْضِ، وَجَعَلَ سَادِنُهَا يَقُولُ: لَيَغْضَبَنَّ الْأَسَاسُ فَلَيَخْسِفَنَّ بِهِمْ. فَلَمَّا سَمِعَ ذَلِكَ الْمُغِيرَةُ قَالَ لِخَالِدٍ: دَعْنِي أَحْفِرْ أَسَاسَهَا. فَحَفَرُوهُ حَتَّى أَخْرَجُوا تُرَابَهَا وَجَمَعُوا مَاءَهَا وَبِنَاءَهَا، وَبُهِتَتْ عِنْدَ ذَلِكَ ثَقِيفٌ ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَسَمَ أَمْوَالَهَا مِنْ يَوْمِهِ، وَحَمِدُوا اللَّهَ تَعَالَى عَلَى اعْتِزَازِ دِينِهِ وَنُصْرَةِ رَسُولِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ كِتَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي كَتَبَ لَهُمْ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مِنْ مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ رَسُولِ اللَّهِ إِلَى الْمُؤْمِنِينَ ; إِنَّ عِضَاةَ وَجٍّ وَصَيْدَهُ لَا يُعْضَدُ، مَنْ وَجَدَ يَفْعَلُ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَإِنَّهُ يُجْلَدُ وَتُنْزَعُ ثِيَابُهُ، وَإِنْ
পৃষ্ঠা - ৩৬৮২
تَعَدَّى ذَلِكَ فَإِنَّهُ يُؤْخَذُ فَيُبْلَغُ بِهِ النَّبِيَّ مُحَمَّدًا، وَإِنَّ هَذَا أَمْرُ النَّبِيِّ مُحَمَّدٍ. وَكَتَبَ خَالِدُ بْنُ سَعِيدٍ بِأَمْرِ الرَّسُولِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ فَلَا يَتَعَدَّهُ أَحَدٌ فَيَظْلِمَ نَفْسَهُ فِيمَا أَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» . وَقَدْ قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ - مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ مَخْزُومِيٌّ - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِنْسَانَ - وَأَثْنَى عَلَيْهِ خَيْرًا - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ لِيَةَ حَتَّى إِذَا كُنَّا عِنْدَ السِّدْرَةِ وَقَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي طَرَفِ الْقَرْنِ الْأَسْوَدِ حَذْوَهَا، فَاسْتَقْبَلَ نَخِبًا بِبَصَرِهِ، يَعْنِي وَادِيًا، وَوَقَفَ حَتَّى اتَّقَفَ النَّاسُ كُلُّهُمْ، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ صَيْدَ وَجٍّ وَعِضَاهَهُ حَرَمٌ مُحَرَّمٌ لِلَّهِ ". وَذَلِكَ قَبْلَ نُزُولِهِ الطَّائِفَ وَحِصَارِهِ ثَقِيفًا.» وَقَدْ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِنْسَانَ الطَّائِفِيِّ وَقَدْ ذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي " ثِقَاتِهِ ". وَقَالَ ابْنُ مَعِينٍ: لَيْسَ بِهِ بَأْسٌ. تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُهُمْ، وَقَدْ ضَعَّفَ أَحْمَدُ وَالْبُخَارِيُّ وَغَيْرُهُمَا هَذَا الْحَدِيثَ، وَصَحَّحَهُ الشَّافِعِيُّ وَقَالَ بِمُقْتَضَاهُ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৮৩


পাওয়া গেলে তাকে চাবুক লাগানো হবে এবং তার পরিধেয়-পরিচ্ছেদ বাজেয়াপ্ত হবে ৷
পুনঃপুনঃ সীমালঙ্ঘন করলে তাকে ধরে নবী মুহাম্মদ (সা)এর আদালতে উপস্থিত করা
হবে ৷ এ হচ্ছে নবী মুহাম্মদ (সা)এর ঘোষিত ফরমান (নবী দরবারের লিখক নিবন্ধক)
খালিদ ইবন সাঈদ মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ্ রাসুলেৱ নির্দেশে এ লিপি লিখে দিচ্ছে ৷ কেউ
তা লঙ্ঘন করলে সে নিজ দায়িত্বে আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ এর আইন অমান্য করেছে বলে
সাব্যস্ত হবে ৷”

ইমাম আহমদ (র) বলেন, মক্কাবাসী মাখয়ুম গোত্রের আবদৃল্লাহ্ ইবনুল হারিছউরওয়া
ইবনুয যুবায়র (না) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা লিয়্যা১ থেকে ৱাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সাথে এগিয়ে চলছিলাম ৷ সিদরাহ্ বৃক্ষের কাছাকাছি পৌছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) গাহটির বরাবরের
টিলাপ্রাস্তে থেমে গিয়ে সম্মুখে উপত্যকা পানে দৃষ্টি প্রসারিত করে র্দাড়ক্রোন ৷ তার র্দাড়ানাের
ফলে গেটিড়া কাফেলার গতি থেমে গেল ৷ তখন তিনি বললেন-খোণ্ড্র ষ্ ল্গু ষ্ ৰুা; ¢; “ওয়াজ্জ্ব-
এর শিকার ও বৃক্ষরাজী হারাম আল্লাহ্ব উদ্দেশ্যে নিবেদিত ম্মিবধাজ্ঞাযুক্ত ৷ এ ঘোষণা দেয়া
হয়েছিল তার তায়েফে উপনীত হওয়ার আগে এবংঘকীফ্ মোঃ পুর্বে ৷

ইমাম আবু দাউদ (র)ও হাদীসখানি উল্টিত সনদেমুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন
আনসান আত্-তইিফী (র) সুত্রে বর্ণনা মোঃ ৷ ইবন হাব্বান (র) রাৰী মুহাম্মদ (র)-কে
ছিকা ও নির্ত্যযােপ্য বলে মন্তব্য করেছেন ৷ তার সম্পর্কে ইবন মাঈন (র)-এর মন্তব্য “তীর
বিরুদ্ধে কোন অত্যিমাগ নেই ৷ কোন কোন হাদীস ৰিশ্নেবক তার বিরুপ সমালোচনা
করেছেন ৷ আহমদ ও বুখারী (র) প্রমুখ ইমামগণ এ হাদীসকে জঈফ’ বলেছেন ৷ অপরদিকে
ইমাম শাফিঈ এটিকে বিশুদ্ধ আখ্যা দিয়ে এর মর্স কথাকে মাযহাবরুপে গ্রহণ করেছেন ৷
আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷

অভিণপ্ত আবদুল্লাহ ইবন উবাইর মৃত্যু

মুহাম্মদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, যুহরী (র)উসামা ইবন যায়দ (রা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন উবাইর অন্তিমশয্যায় আল্লাহর রাসুল (সঃ) তাকে দেখতে
গেলেন ৷ তার মৃত্যু সন্নিকট হওয়ার আলামত দেখতে পেয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সঃ)তাকে বললেন,
আল্লাহর কসম ! আমি তো তোমাকে ইয়াহুদী প্রীতি বর্জন করতে বলতাম ৷ সে বলল, আসআদ
ইবন যুরারা তো তাদের নাখোশ করেছিল; তাতে তার কীইবা জুটেছে?

ওয়াকিদী (র)-এর বিবরণ : শাওয়াল মাসের কয়েকদিন বাকী থাকতে আবদুল্লাহ্ ইবন
উবাই অসুস্থ হয়ে পড়ল এবং যিলকদ সালে মারা গেল ৷ তার রোগভোগোর ব্যাপ্তি ছিল বিশ
দিন ৷ এদিনগুলোতে রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) তাকে প্রায়ই দেখতে যেতেন ৷ তার মৃত্যুর দিনও
রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) যথারীতি তাকে দেখতে গেলেন ৷ তখন তার অন্তিম অবস্থা ৷ তিনি বললেন,
“ইয়াহুদী প্রীতি থেকে তোমাকে আমি বিরত রাখার প্রয়াস পেরেছিলাম ৷ সে বলল, আসআদ
ইবন যুরারা তো ওদের ক্ষেপিরে রেখেছে? কিন্তু তাতে কি তার খুব লাভ হয়েছে? পরে বলল,



১ লিয়া; তায়েফের উপকণ্ঠ ও শহরতলী ৷


[ذِكْرُ مَوْتِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ] ٍّ قَبَّحَهُ اللَّهُ. قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ يَعُودُهُ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ، فِيهِ فَلَمَّا عَرَفَ فِيهِ الْمَوْتَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا وَاللَّهِ إِنْ كُنْتُ لَأَنْهَاكَ عَنْ حُبِّ يَهُودَ ". فَقَالَ: قَدْ أَبْغَضَهُمْ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ فَمَهْ؟» . وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: «مَرِضَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ فِي لَيَالٍ بَقِينَ مِنْ شَوَّالٍ، وَمَاتَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ وَكَانَ مَرَضُهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ يَعُودُهُ فِيهَا، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ دَخَلَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَجُودُ بِنَفْسِهِ، فَقَالَ: " قَدْ نَهَيْتُكَ عَنْ حُبِّ يَهُودَ ". فَقَالَ: قَدْ أَبْغَضَهُمْ أَسْعَدُ بْنُ زُرَارَةَ فَمَا نَفَعَهُ؟ ثُمَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، لَيْسَ هَذَا بِحِينِ عِتَابٍ! هُوَ الْمَوْتُ، فَإِنْ مُتُّ، فَاحْضُرْ غُسْلِي، وَأَعْطِنِي قَمِيصَكَ الَّذِي يَلِي جِلْدَكَ، فَكَفِّنِّي فِيهِ، وَصَلِّ عَلَيَّ وَاسْتَغْفِرْ لِي. فَفَعَلَ ذَلِكَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ سَالِمِ بْنِ عَجْلَانَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ نَحْوًا مِمَّا ذَكَرَهُ الْوَاقِدِيُّ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৮৪


ইয়া রাসুলাল্লাহ্! এটা তো আর ভভুসনা করার সময় নয়; সামনে নিথর মৃত্যু; আপনি উপস্থিত
থেকে আমার গোসল ও দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করবেন এবং আপনার পায়ে লাগা কামীসটি
আমাকে দান করে তা দিয়ে আমাকে কাফন পরাবেন আর আমার জানাযার নামায আদায় করে
আমার জন্য মাগফিরাত কামনা করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার শেষ ইচ্ছা পুরণ করেছিলেন ৷
বায়হড়ার্কী (র) সালিম ইবন অ্যালান (র) থেকে ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে ওয়াকিদীর বর্ণনার
অনুরুপ রিওয়ায়াত করেছেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক জ্ঞাত ৷

ইসহাক ইবন রাহ্ওয়ায়হ্ (র) বলেন, আমি আবু উসামা (র)-কে জিজ্ঞেস করলাম, শারখ
উবায়দুল্লাহ্ (র) ইবন উমর (রা) থেকে আপনাদের কাছে এ মর্মের হাদীস বর্ণনা করেছেন
কি যে, (ইবন উমর (রা) বলেছেন) পিতা আবদুল্লাহ্ ইবন উবইি ইবন সালুল মারা গেলে তার
ছেলে আবদৃল্পাহ্ (ইবন আবদৃল্লাহ্) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসবেন এবং তার পিতার
কাফনরুপে ব্যবহারের জন্য তার কাযীসটি র্তাকে দান করার দরবাস্ত পেশ করলে তিনি সেটি
তাকে দিয়ে দিলেন ৷

পরে তিনি তার পিতার জানাযা নামায আদায় করার জন্য আবেদন জানালে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
জানাযা আদায়ের উদ্দেশে সালাতে র্দাড়ালেন ৷ উমর ইবনুল বত্তোব (রা) দাড়িয়ে তার কাপড়
টেনে ধরে র্তাকে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি তার জন্য জানাযার নামায আদায় করছেন?
অথচ আল্লাহ্ (মুনাফিকের জানাযা আদায়ের) এ বিষয়টি আপনার ড্ডা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, আমার প্ৰতিপালক আমাকে ইখতিয়ার দিয়েছেন, কারণ তিনি (তা
ইরশাদ করেছেন, “তুমি তাদের জ্জা ক্ষমা প্রার্থনা কর অথবা তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না কর
একই কথা; তুমি তাদের জন্য সক্কুরবার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ্ কখনই তাদেরকে ক্ষমা
করবেন : ৮০) ৷

তা হলে আমি সত্তুরৰারের অধিক ক্ষমা প্রার্থনা করে দেখব ৷ উমর (রা) বললেন, ওতো
একটা মুনাফিক ছিল, আপনি ওর জন্য জানাযার সালাত আদায় করবেন? এ প্রেক্ষিতে আল্লাহ্
তাআলা নাযিল করলেন ’ ’

-:শ্হ্রওণ্দ্বুদ্বু রছুৰুদ্বু’ন্ৰুন্থ’ন্শুট্টাণ্গ্,ট্টর্দ্রদ্বুএও ন্ব্র শু১ ড্রে এান্থ ন্হুৰু; ,-:-’- দ্বুএর্ক টুা;হু র্শ্বও

“ওদের মধ্যকার কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনও তার জন্য জানাযার সালাত পড়বে না এবং
তার কবর পাশে র্দাড়াবে না; ওরা তো আল্লাহ্ ও তার রাসুলকে অস্বীকার করেছিল” (৯ :
৮৪) ৷ আবু উসামা (র) এ সনদ ও হাদীসের যথার্থতা অনুমোদন করে বললেন, হা , (অর্থাৎ
এমন রিওয়ায়াত রয়েছে) সহীহ্ ৰুখারী ও মুসলিমের ইমামদ্বয় আবু উসামা (র) থেকে
হাদীসখানি গ্রহণ করেছেন ৷ বুখায়ী (র) প্রমুখের রিওয়ায়াতে রয়েছে উমর (রা) বলেন, আমি
বললাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ্! আপনি তার জানাযার সালাত আদায় করছেন? অথচ সে অমুক দিন
অমন কথা এবং অমুক দিন অমুক অমুক অমুক কথা বলেছিল ? তিনি বললেন, উমর! আমাকে
বাধা দিও না, আমাকে তো দুদিকেরই ইখতিয়ার দেওয়া হয়েছে ৷ আমার যদি নিশ্চিতভাবে এ
কথা জানার সুযোগ হত যে, সত্তুরের চাইতে অধিকবার ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাকে ক্ষমা করে
দেয়া হবে, তা হলে আমি অবশ্যই তা করতাম ৷ ’ এ কথা বলে তিনি তার জানাযার সালাত
মাদার করলেন ৷ ওদিকে আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেন


وَقَدْ قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ رَاهَوَيْهِ قُلْتُ لِأَبِي أُسَامَةَ: أَحَدَّثَكُمْ عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: لَمَّا تُوُفِّيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ ابْنُ سَلُولَ «جَاءَ ابْنُهُ عَبْدُ اللَّهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهُ أَنْ يُعْطِيَهُ قَمِيصَهُ لِيُكَفِّنَهُ فِيهِ، فَأَعْطَاهُ، ثُمَّ سَأَلَهُ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَيْهِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي عَلَيْهِ، فَقَامَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ فَأَخَذَ بِثَوْبِهِ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُصَلِّي عَلَيْهِ وَقَدْ نَهَاكَ اللَّهُ عَنْهُ؟ ! فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ رَبِّي خَيَّرَنِي فَقَالَ: {اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لَا تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ} [التوبة: 80] (التَّوْبَةِ: 80) وَسَأَزِيدُ عَلَى السَّبْعِينَ: فَقَالَ: إِنَّهُ مُنَافِقٌ، أَتُصَلِّي عَلَيْهِ؟ ! فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ إِنَّهُمْ كَفَرُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ} [التوبة: 84] (التَّوْبَةِ: 84) فَأَقَرَّ بِهِ أَبُو أُسَامَةَ وَقَالَ: نَعَمْ» . وَأَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ. وَفِي رِوَايَةٍ لِلْبُخَارِيِّ وَغَيْرِهِ: «قَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُصَلِّي عَلَيْهِ وَقَدْ قَالَ فِي يَوْمِ كَذَا: كَذَا وَكَذَا، وَقَالَ فِي يَوْمِ كَذَا: كَذَا وَكَذَا؟ ! فَقَالَ: دَعْنِي يَا عُمَرُ فَإِنِّي بَيْنَ خَيْرَتَيْنِ، وَلَوْ أَعْلَمُ أَنِّي إِنْ زِدْتُ عَلَى السَّبْعِينَ غُفِرَ لَهُ لَزِدْتُ ". ثُمَّ صَلَّى عَلَيْهِ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَا تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا وَلَا تَقُمْ عَلَى قَبْرِهِ} [التوبة: 84] الْآيَةَ. قَالَ عُمَرُ: فَعَجِبْتُ بَعْدُ مِنْ جُرْأَتِي عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،» وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬৮৫


“ওদের মধ্যে কারো মৃত্যু হলে তুমি কখনও তার জন্য জানাযার সালাত পড়বে নাউমর
(বা) বলেন, “পরে আমি রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সাথে আমার এ দুঃসাহসিক আচরণের কথা
ভেবে বিস্মিত হয়েছি ৷ আল্লাহ্ ও তার রাসুল (সা) সমধিক অবগত ৷

সুফিয়ান ইবন উয়ারনা (র) বলেন, আমৃর ইবন দীনার (র) জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ (রা)-কে
বলতে শুনেছেন, “আবদুল্লাহ্ ইবন উবইিকে তার করবে ঢুকিয়ে দেয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
কবরের কাছে তশরীফ আনলেন ৷ তিনি ছকুম করলে লাশ কবর থেকে বের করা হল এবং তিনি
সেটি তার দুই হাটু অথবা (বর্ণনা ব্যতিক্রম) তার উরন্দ্বয়ের উপরে রেখে তার পা-মুখে নিজ্যেম্ভ
থুথু ছিটিয়ে দিলেন এবং তাকে নিজের কামীস পরিয়ে দিলেন ৷ আল্লাহ্ই সমধিক অবগত ৷ সহীহ্
বুখরীিতে উল্লিখিত সনদে অনুরুপ বিবরণ রয়েছে ৷ বুখায়ীর বর্ণনায় এ কত্থারও উল্লেখ রয়েছে যে,
(চাচা) আব্বাস (রা)-কে কামীস দানের প্রতিদানে রাসুল (সা) ইবন উবইিকে কামীস
পরিধেয়রুপে দিয়েছিলেন ৷ কোনো, আব্বাস (রা) (বদরের বন্দীরুপে) মদীনায় নীত হলে তার দীর্ঘ
দেহের মাপে আবদৃল্লাহ্ ইবন উবইির কাযীস ব্যতীত আর কোন কামীস পাওয়া যাচ্ছিল না ৷

বায়হাকী (র) এ ক্ষেত্রে ছালাবা ইবন হাতির-এর ঘটনা এবং সম্পদধিক্যে তার পার্থিব
মােহের ফিতনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেছেন ৷ আমি তাফসীর গ্রন্থে ৷১৩ ণ্শুন্১এষ্
^ট্টা শ্নো (৯ : ৭৫) ৷ আঘাতের ব্যাখ্যার সংশ্লিষ্ট বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছি ৷

অনুচ্ছেদ : তাবুক অভিযানের পব্লিশিষ্ট

ইবন ইসহাক (র) বলেন, তাবুক অভিযানই ছিল রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক পরিচালিত
যুদ্ধাভিযানসমুহের শেষ অভিযান ৷ কাব হাসৃসান ইবন ছাবিত (রা ) রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
সহগমনে আনসারীদের যুদ্ধ যাত্রা ও যুদ্ধক্ষেত্রে নবী করীম (সা) এর সাথে তার নিজের
সহাবস্থানের বিবরণ দিয়ে সমরগাথা রচনা করেছেন ৷ ইবন হিশাম (র) বলেন, মতান্তরে এ
কবিতাগুলো হাসৃসান (রা)এর পুত্র আবদুর রহমান (র) বিরচিত ৷

এ্যাৰু
আপনি কি (হে মুহাম্মদ সা) জনগোষ্ঠী ও সমাজ বিচারে আরবজাতির পিতৃপুরুষ মআেদ
(ইবন আদনান)-এর অধস্তন বংশধরদের মধ্যে গোটা আরবের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি নন ? তারা বৃহত্তর
বিন্তুত পরিবেশেই অবস্থান করুক কিংবা কোন সীমিত পরিসরে ৷
যেহেতু আপনার সমাজ (আনসারীদের সমাজ) যারা রাসুল (সা ) এর সাথে সদলবলে
বদরে উপস্থিত হয়েছিল এবং বিপদ মুহুর্তে তার সঙ্গত্যাগ করে নি ও সাধনার বিচ্যুতি
আসে নি ৷

“তার! তার হাতে হাত দিয়ে বায়আত করেছে, তারপর তাদের একজনও সে বায়আত
অঙ্গীকার ভঙ্গ ব৷ ক্ষুশ্ন করে নি এবং তাদের কারো ঈমানে কোন রুপ দ্বিধা-দ্বদ্বেরও অনুপ্রবেশ
হয় নি ৷


وَقَالَ سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: «أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْرَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ بَعْدَمَا أُدْخِلَ حُفْرَتَهُ، فَأَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ، فَوَضَعَهُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ - أَوْ فَخِذَيْهِ - وَنَفَثَ عَلَيْهِ مِنْ رِيقِهِ، وَأَلْبَسَهُ قَمِيصَهُ.» فَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَفِي " صَحِيحِ الْبُخَارِيِّ " بِهَذَا الْإِسْنَادِ مِثْلَهُ، وَعِنْدَهُ أَنَّهُ إِنَّمَا أَلْبَسَهُ قَمِيصَهُ مُكَافَأَةً لَمَّا كَانَ كَسَا الْعَبَّاسَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَمِيصًا حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، فَلَمْ يَجِدُوا قَمِيصًا يَصْلُحُ لَهُ إِلَّا قَمِيصَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ. وَقَدْ ذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ هَاهُنَا قِصَّةَ ثَعْلَبَةَ بْنِ حَاطِبٍ وَكَيْفَ افْتُتِنَ بِكَثْرَةِ الْمَالِ وَمَنْعِهِ الصَّدَقَةَ، وَقَدْ حَرَّرْنَا ذَلِكَ فِي " التَّفْسِيرِ " عِنْدَ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَمِنْهُمْ مَنْ عَاهَدَ اللَّهَ لَئِنْ آتَانَا مِنْ فَضْلِهِ} [التوبة: 75] الْآيَةَ. (التَّوْبَةِ: 75) . [غَزْوَةُ تَبُوكَ آخِرُ غَزْوَةٍ غَزَاهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] فَصْلٌ (فِي كَوْنِ غَزْوَةِ تَبُوكَ آخِرَ غَزْوَةٍ وَقَصِيدَةِ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ) . قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَتْ غَزْوَةُ تَبُوكَ آخِرَ غَزْوَةٍ غَزَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يُعَدِّدُ أَيَّامَ الْأَنْصَارِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيَذْكُرُ مَوَاطِنَهُمْ مَعَهُ فِي أَيَّامِ غَزْوِهِ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَتُرْوَى لِابْنِهِ عَبْدِ
পৃষ্ঠা - ৩৬৮৬



“আর সে দিনও না যেদিন উহুদ-এর গিরিপথ বেয়ে তাদের আক্রান্ত করেছিল প্রচণ্ড শক্ত
আঘাত যা ছিল অগ্নিকুণ্ডের তুল্য লেলিহান ও প্রচণ্ড উত্তপ্ত ৷

“আর য়ু-কারাদ অভিযানকালেও যেদিন তাজী ঘোড়া র পিঠে তাদের প্রতিপক্ষের উপরে
আঘাত হেনেছিলেন (সেদিনও তারা ছিল তার ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা) তড়াতেও তারা বিশ্বাসভঙ্গ করে
নি, বা ভীরুতার পরিচয় দেয় নি ৷ ”

“যুল আশীরা অতিযানেও রাসুলের সহযোদ্ধা হয়ে ঘোড়ড়ায় চড়ে প্ৰতিপক্ষের ব্যুহ মাড়িয়ে
ছিল; ঘোড়াগুলাের পিঠে চমকা ৷চ্ছিল শি রস্ত্রল্কণ ও ভীক্ষ্ণধার বল্লম ৷ ”

“ওয়াদ্দান অতিযানেও আমরা আমাদের অশ্ব-নৃত্য দিয়ে ওয়াদ্দানবাসীদের বিতাড়িত-
নির্বাসিত করে ছাড়লাম যতক্ষণ না বন্ধুর প্রস্তর ও গিরিশ্রেণী আমাদের অগ্ৰাভিযানে
প্রতিবন্ধক হল ৷

“আল্লাহর সন্তুষ্টি ৰিধানে শত্রু অনুসন্ধানে কেটেছে তাদের কত কত রাত; আল্লাহ্ই দিবেন
তাদের কর্মের যথাযোপ্য প্রতিদান ৷

“হুনায়দ প্রান্তরে কত রাতেই (তা তার সাথে তাদের বীরতু প্রকাশের সুযোগ ঘটেছে; যুদ্ধে

(শত্রুশোণিত দিয়ে) তাদের প্রথমবার পান করার পরে (অতৃপ্ত পিয়াল) পরিতৃপ্ত করছিলেন
দ্বিতীয়বার পান করিয়ে ৷ ”

“নাজ্বদ অভিমুখী জিহাদ মালায়ও তারা সমান শরীফ; তাই রাসুল (না)-এর সাথে হোক
তাদের প্রাপ্তি ভাগ্য হল সালাব’ ও নাফাল’ এর ৷১
“আর গায্ওয়া আলফা-এ আমরা শত্রুদের তেমনি বিক্ষিপ্ত ও ছত্রভঙ্গ করে দিলাম, যেমন
পানির ঘাটে স্বচ্ছন্দে পান করার জন্য উটপালকে বিক্ষিপ্ত ছেড়ে দেয়া হয় ৷”



১ সালাব (এ-ঙ্ঘ বহুবচনে ধ্ৰুণ্১!) আভিধানিক অর্থ, ছিনতাইকৃত বস্তু, ইসলামের স্যার পরিভাষায় প্রতিপক্ষীয়
ষোদ্ধার দেহস্থিত পোশাক ও সমরােপকরণ ৷ উে অভিযানে অতিরিক্ত’ বর্ধিত ৷ পরিভাষায় সমরাধিনায়ক কর্তৃক
বিযােষিত লুদ্ধলদ্ধ সম্পদের পরিমাণ বিশেষ বা অংশ বিশেষ ৷ যুদ্ধে শৌর্যবীর্য প্রদর্শন বা বিশেষ কৃতিত্বের স্বীকৃত্যিত
ব্যক্তি বা ইউনিটকে সাল লাব ও নফ ৰুল দিয়ে উৎসাহিত ও পুরস্কৃত করার বিধান ইসলামী সমর অইিন রয়েছে

الرَّحْمَنِ بْنِ حَسَّانَ -: أَلَسْتُ خَيْرَ مَعَدٍّ كُلِّهَا نَفَرًا ... وَمَعْشَرًا إِنْ هُمُ عُمُّوا وَإِنْ حُصِلُوا قَوْمٌ هُمُ شَهِدُوا بَدُرًا بِأَجْمَعِهِمْ ... مَعَ الرَّسُولِ فَمَا أَلَوْا وَمَا خَذَلُوا وَبَايَعُوهُ فَلَمْ يَنْكُثْ بِهِ أَحَدٌ ... مِنْهُمْ وَلَمْ يَكُ فِي إِيمَانِهِمْ دَخَلُ وَيَوْمَ صَبَّحَهُمْ فِي الشِّعْبِ مِنْ أُحُدٍ ... ضَرْبٌ رَصِينٌ كَحَرِّ النَّارِ مُشْتَعِلُ وَيَوْمَ ذِي قَرَدٍ يَوْمَ اسْتَثَارَ بِهِمْ ... عَلَى الْجِيَادِ فَمَا خَامُوا وَلَا نَكَلُوا وَذَا الْعَشِيرَةِ جَاسُوهَا بِخَيْلِهِمُ ... مَعَ الرَّسُولِ عَلَيْهَا الْبِيضُ وَالْأَسَلُ وَيَوْمَ وَدَّانَ أَجْلَوْا أَهْلَهُ رَقَصًا ... بِالْخَيْلِ حَتَّى نَهَانَا الْحَزْنُ وَالْجَبَلُ وَلَيْلَةً طَلَبُوا فِيهَا عَدُوَّهُمُ ... لِلَّهِ وَاللَّهُ يَجْزِيهِمْ بِمَا عَمِلُوا وَلَيْلَةً بِحُنَيْنٍ جَالَدُوا مَعَهُ ... فِيهَا يَعُلُّهُمُ بِالْحَرْبِ إِذْ نَهِلُوا وَغَزْوَةً يَوْمَ نَجْدٍ ثَمَّ كَانَ لَهُمْ ... مَعَ الرَّسُولِ بِهَا الْأَسْلَابُ وَالنَّفَلُ وَغَزْوَةَ الْقَاعِ فَرَّقْنَا الْعَدُوَّ بِهِ ... كَمَا تَفَرَّقَ دُونَ الْمَشْرَبِ الرَّسَلُ
পৃষ্ঠা - ৩৬৮৭
وَيَوْمَ بُويِعَ كَانُوا أَهْلَ بَيْعَتِهِ عَلَى الْجِلَادِ فَآسَوْهُ وَمَا عَدَلُوا ... وَغَزْوَةَ الْفَتْحِ كَانُوا فِي سَرِيَّتِهِ مُرَابِطِينَ فَمَا طَاشُوا وَلَا عَجِلُوا ... وَيَوْمَ خَيْبَرَ كَانُوا فِي كَتِيبَتِهِ يَمْشُونَ كُلُّهُمُ مُسْتَبْسِلٌ بَطَلُ ... بِالْبِيضِ تَرْعَشُ فِي الْأَيْمَانِ عَارِيَةً تَعْوَجُّ فِي الضَّرْبِ أَحْيَانًا وَتَعْتَدِلُ ... وَيَوْمَ سَارَ رَسُولُ اللَّهِ مُحتَسِبًا إِلَى تَبُوكَ وَهُمْ رَايَاتُهُ الْأُوَلُ ... وَسَاسَةُ الْحَرْبِ إِنْ حَرْبٌ بَدَتْ لَهُمُ حَتَّى بَدَا لَهُمُ الْإِقْبَالُ فَالْقَفَلُ ... أُولَئِكَ الْقَوْمُ أَنْصَارُ النَّبِيِّ وَهُمْ قَوْمِي أَصِيرُ إِلَيْهِمْ حِينَ أَتَّصِلُ ... مَاتُوا كِرَامًا وَلَمْ تُنْكَثْ عُهُودُهُمُ وَقَتْلُهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِذْ قُتِلُوا