سنة ثمان من الهجرة النبوية
إسلام كعب بن زهير وذكر قصيدته
পৃষ্ঠা - ৩৫৯৭
“কে পৌছাবে বৃজায়রকে আমার বার্তা ? খায়ফে তুমি যা বলেছিলে তা কি আসলে তোমার
কথা ? বল, তা কি তোমার কথা ?
তুমি মামুনের (মুহাম্মাদ (সা) বা আবু বকর) সাথে এক পেয়ালায় পান করেছে৷ তৃপ্তি
সহকারে ৷ সে পেয়ালা থেকে প্রথমে মামুন পান করেছেন ৷ এরপর দ্বিতীয়বার পান করিয়েছেন
(ভাষাকে ৷
সঠিক পথের সকল উপকরণই তুমি পরিত্যাগ করেছে৷ ও তার অনুসরণ করেছো ৷ কিসের
ভিত্তিতে তুমি অন্যের ধ্বংস নিজের উপর টেনে নিলে ?
সে তোমাকে এমন এক আদদ্বৈরি উপর উঠিয়েছেন যার উপরে চলতে তুমি মাতা ও পিতাকে
দেখনি আর তার উপর তোমার ভাইকেও থাকতে দেখনি ৷
তুমি যদি কথা না মান, তবে আমি আফসােস করবো না, কোন কথাও বলবো না ৷ যদি তুমি
পদশ্বলিত হয়ে থাক, তবে তোমর জন্যে অভিশাপ ৷
ইবন ইসহাক বলেন : করি কাব এ চিঠি তার ভাই বৃজায়রের কাছে পাঠিয়ে দেয় ৷ চিঠিটি
হাতে পাওয়ার পর বুজায়র বাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে বিষয়টি গোপন রাখা পসন্দ করলেন না ৷
তাই তিনি তাকে কবিতাটি আবৃত্তি করে শুনালাে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ;,গ্লু£৷ ৷ £ধ্প্রু শ্াদ্র বাক্যটি
শুনে বললেন : “সত্য কথা বলেছে, যদিও সে একজন তাহা মিথুাক ৷ আর আমিই তাে মামুন’
(বিশ্বস্ত) ৷ এরপর যখন তিনি ধ্ া; ৷ন্ ৷ ১াএ @ ৷ এ্া ণ্৷ ;া৯ ন্া; বাক্য শুনলেন, তখন
বললেন, ছুড়াড়া — সে তার মা ও বাপকে এ আদর্শের উপর পায়নি ৷ বংনািকারী বলেন, এরপর
বুজায়র কাবের উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত কবিতা লিখে পাঠান :
লীে’প্রু-ট্টঠোএ-শু-ইহৈংহ্নম্পিড্রুঞঞ্চ
া
এেএএ
“কে পৌছে দিকে কাবকে আমার এ বার্তা যে, তুমি যে আদর্শের জন্যে অন্যায়ভাবে
তিরস্কার করছো, অথচ সেটইি উত্তম আদর্শ ৷
উযযা নয়, লাতও নয় এক আল্লাহ্র দিকে ফিরে এসো ৷ যদি মুক্তির আশা কর তবে এ
পথেই আছে মুক্তি ও নিরাপত্তা ৷
সেদিন, যেদিন পবিত্র মুসলিম হৃদয় ছাড়া আর কোন মানুষের মুক্তি ও ছাড়া হবে না ৷
যুহায়রের ধর্ম, সে তো কোন ধর্মই না ৷ আর আবু সুলমার ধর্ম আমার উপর হারাম ৷
ইবন ইসহাক বলেন : কাবের কাছে বৃজায়রের পত্র যখন পৌছলো ৷ তখন দুনিয়া তার কাছে
সংকীর্ণ হয়ে উঠলো ৷ নিজ জীবনের উপর আশংকা বোধ করলো ৷ এমন কি , এতে আশপাশের
শত্রুরা পর্যন্ত ভয়ে কেপে উঠলো ৷ তারা বলতে লাগলো, ও তো নিহত হবেই ৷ আর কোন
[إِسْلَامُ كَعْبِ بْنِ زُهَيْرٍ وَذِكْرُ قَصِيدَتِهِ]
إِسْلَامُ كَعْبِ بْنِ زُهَيْرِ بْنِ أَبِي سُلْمَى، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَأَبُوهُ هُوَ صَاحِبُ إِحْدَى الْمُعَلَّقَاتِ السَّبْعِ، الشَّاعِرُ ابْنُ الشَّاعِرِ، وَذِكْرُ قَصِيدَتِهِ الَّتِي سَمِعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ: بَانَتْ سُعَادُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ مُنْصَرَفِهِ عَنِ الطَّائِفِ كَتَبَ بُجَيْرُ بْنُ زُهَيْرِ بْنِ أَبِي سُلْمَى إِلَى أَخِيهِ لِأَبَوَيْهِ كَعْبِ بْنِ زُهَيْرٍ يُخْبِرُهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَتَلَ رِجَالًا بِمَكَّةَ مِمَّنْ كَانَ يَهْجُوهُ وَيُؤْذِيهِ، وَأَنَّ مَنْ بَقِيَ مِنْ شُعَرَاءِ قُرَيْشٍ; ابْنُ الزِّبَعْرَى وَهُبَيْرَةُ بْنُ أَبِي وَهْبٍ هَرَبُوا فِي كُلِّ وَجْهٍ، فَإِنْ كَانَتْ لَكَ فِي نَفْسِكَ حَاجَةٌ، فَطِرْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّهُ لَا يَقْتُلُ أُحُدًا جَاءَهُ تَائِبًا، وَإِنْ أَنْتَ لَمْ تَفْعَلْ فَانْجُ إِلَى نَجَائِكَ مِنَ الْأَرْضِ. وَكَانَ كَعْبٌ قَدْ قَالَ:
أَلَا أَبْلِغَا عَنِّي بُجَيْرًا رِسَالَةً ... فَوَيْحَكَ مِمَّا قُلْتَ وَيْحَكَ هَلْ لَكَا
فَبَيِّنْ لَنَا إِنْ كُنْتَ لَسْتَ بِفَاعِلٍ ... عَلَى أَيِّ شَيْءٍ غَيْرِ ذَلِكَ دَلَّكَا
পৃষ্ঠা - ৩৫৯৮
ণ্-স্পগ্রান্ গ্লুা
স্পোএ্এ
স্পো
১ৰুর্ন্ত
এএপ্
৷ শ্ব
৬৪ ৫
১ত্রুদ্বুপ্ ধ্-র্পে
র্শে
ত্রৈঞ-ণ্হ্ন’এে ণ্ৰুএ্ষ্ ঞ;াওপ্রু র্শী ন্ন্ন্
ৰু-গ্রা ;শ্ন্ শঃশু
এণ্ইএ হুএ্ ৷ ধ্,ন্
ষ্ঠেওহী
;;
স্পোএ১ন্প্
শ্রা ন্এ
عَلَى خُلُقٍ لَمْ أُلْفِ يَوْمًا أَبًا لَهُ
عَلَيْهِ وَمَا تُلْفِي عَلَيْهِ أَبًا لَكَا ... فَإِنْ أَنْتَ لَمْ تَفْعَلْ فَلَسْتُ بِآسِفٍ
وَلَا قَائِلٍ إِمَّا عَثَرْتَ لَعًا لَكَا ... سَقَاكَ بِهَا الْمَأْمُونُ كَأْسًا رَوِيَّةً
فَأَنْهَلَكَ الْمَأْمُونُ مِنْهَا وَعَلَّكَا
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَأَنْشَدَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ بِالشِّعْرِ:
مَنْ مُبْلِغٌ عَنِّي بُجَيْرًا رِسَالَةً ... فَهَلْ لَكَ فِيمَا قُلْتَ بِالْخَيْفِ هَلْ لَكَا
شَرِبْتَ مَعَ الْمَأْمُونِ كَأْسًا رَوِيَّةً ... فَأَنْهَلَكَ الْمَأْمُونُ مِنْهَا وَعَلَّكَا
وَخَالَفْتَ أَسْبَابَ الْهُدَى وَاتَّبَعْتَهُ ... عَلَى أَيِّ شَيْءٍ وَيْبَ غَيْرِكَ دَلَّكَا
عَلَى خُلُقٍ لَمْ تُلْفِ أُمَّا وَلَا أَبًا ... عَلَيْهِ وَلَمْ تُدْرِكْ عَلَيْهِ أَخًا لَكَا
فَإِنْ أَنْتَ لَمْ تَفْعَلْ فَلَسْتُ بِآسِفٍ ... وَلَا قَائِلٍ إِمَّا عَثَرْتَ لَعًا لَكَا
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَبَعَثَ بِهَا إِلَى بُجَيْرٍ فَلَمَّا أَتَتْ بُجَيْرًا كَرِهَ أَنْ يَكْتُمَهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْشَدَهُ إِيَّاهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا سَمِعَ: سَقَاكَ بِهَا الْمَأْمُونُ " صَدَقَ وَإِنَّهُ لَكَذُوبٌ، أَنَا الْمَأْمُونُ ". وَلَمَّا سَمِعَ: عَلَى خُلُقٍ لَمْ تُلْفِ أُمًّا وَلَا أَبًا عَلَيْهِ. قَالَ: " أَجَلْ لَمْ يُلْفِ عَلَيْهِ أَبَاهُ وَلَا أُمَّهُ ". قَالَ: ثُمَّ كَتَبَ
পৃষ্ঠা - ৩৫৯৯
¥
ধ্র্শেৰুণ্ন্
প্রুন্ ব্লুধ্রুন্ন্
াস্পো
“সুআদ আমার নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তাই আমার হৃদয় তার বিরহে আহত, তার
প্রেমে বন্দী, তবে তা আমার কোন কাজে আসেনি ৷
বিদায় বেলা সুআদকে যখন তার লোকজন নিয়ে চলে যায়, তখন তার কষ্ঠে ছিল গুনগুন
আওয়াজ, কাজল লাগানো চোখ দুটি অবনমিত ৷
সামনে আসলে দেখা যায় তার সরু কােমর ও হালকা পেট ; আর পেছনে গেলে দেখা যায়
ভারী ও চওড়া নিতম্ব ৷ লম্বা বা ঘেটে হওয়ার দােষে সে নিন্দনীয় নয় ৷
بُجَيْرٌ إِلَى كَعْبٍ يَقُولُ لَهُ:
مَنْ مُبْلِغٌ كَعْبًا فَهَلْ لَكَ فِي الَّتِي ... تَلُومُ عَلَيْهَا بَاطْلًا وَهِيَ أَحْزَمُ
إِلَى اللَّهِ لَا الْعُزَّى وَلَا اللَّاتِ وَحْدَهُ ... فَتَنْجُو إِذَا كَانَ النَّجَاءُ وَتَسْلَمُ
لَدَى يَوْمٍ لَا يَنْجُو وَلَيْسَ بِمُفْلِتٍ ... مِنَ النَّاسِ إِلَّا طَاهِرُ الْقَلْبِ مُسْلِمُ
فَدِينُ زُهَيْرٍ وَهُوَ لَا شَيْءَ دِينُهُ ... وَدِينُ أَبِي سُلْمَى عَلَيَّ مُحَرَّمُ
قَالَ: فَلَمَّا بَلَغَ كَعْبًا الْكُتَّابُ ضَاقَتْ بِهِ الْأَرْضُ، وَأَشْفَقَ عَلَى نَفْسِهِ، وَأَرْجَفَ بِهِ مَنْ كَانَ فِي حَاضِرِهِ مِنْ عَدُوِّهُ، وَقَالُوا: هُوَ مَقْتُولٌ. فَلَمَّا لَمْ يَجِدْ مِنْ شَيْءٍ بُدًّا قَالَ قَصِيدَتَهُ الَّتِي يَمْدَحُ فِيهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَذَكَرَ فِيهَا خَوْفَهُ وَإِرْجَافَ الْوُشَاةِ بِهِ مِنْ عَدُوِّهُ، ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَنَزَلَ عَلَى رَجُلٍ - كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ مَعْرِفَةٌ - مِنْ جُهَيْنَةَ، كَمَا ذُكِرَ لِي، فَغَدَا بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي صَلَاةِ الصُّبْحِ، فَصَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَشَارَ لَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: هَذَا رَسُولُ اللَّهِ، فَقُمْ إِلَيْهِ فَاسْتَأْمِنْهُ. فَذُكِرَ لِي أَنَّهُ قَامَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجَلَسَ إِلَيْهِ، وَوَضَعَ يَدَهُ فِي يَدِهِ، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَعْرِفُهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ كَعْبَ بْنَ زُهَيْرٍ قَدْ جَاءَ لِيَسْتَأْمِنَ مِنْكَ تَائِبًا مُسْلِمًا، فَهَلْ أَنْتَ قَابِلٌ مِنْهُ إِنْ جِئْتُكَ بِهِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَعَمْ ". فَقَالَ: إِذًا أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَعْبُ بْنُ زُهَيْرٍ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ أَنَّهُ وَثَبَ عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، دَعْنِي وَعَدُوَّ اللَّهِ أَضْرِبْ عُنُقَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهُ عَنْكَ، فَإِنَّهُ قَدْ جَاءَ تَائِبًا نَازِعًا» قَالَ: فَغَضِبَ كَعْبُ بْنُ زُهَيْرٍ عَلَى هَذَا الْحَيِّ مِنَ الْأَنْصَارِ لِمَا صَنَعَ بِهِ صَاحِبُهُمْ; وَذَلِكَ أَنَّهُ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ رَجُلٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ إِلَّا بِخَيْرٍ، فَقَالَ فِي قَصِيدَتِهِ الَّتِي قَالَ حِينَ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
بَانَتْ سُعَادُ فَقَلْبِي الْيَوْمَ مَتْبُولُ ... مُتَيَّمٌ إِثْرَهَا لَمْ يُفْدَ مَكْبُولُ
وَمَا سُعَادُ غَدَاةَ الْبَيْنِ إِذْ بَرَزَتْ ... إِلَّا أَغَنُّ غَضِيضُ الطَّرْفِ مَكْحُولُ
تَجْلُو عَوَارِضَ ذِي ظَلْمٍ إِذَا ابْتَسَمَتْ ... كَأَنَّهُ مُنْهَلٌ بِالرَّاحِ مَعْلُولُ
পৃষ্ঠা - ৩৬০০
যখন সে হেসে দেয় তখন তার সরস দাতগুলো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, যেন তা পন্ধযুক্ত মদিরায়
বারবার স্নাত হয়েছে ৷
আর সে মদিরায় মিশ্রণ করা হয়েছে সুশীতল পরিষ্কার পানি যা উষাকালে আনা হয় উপত্যকা
থেকে যার উপর দিয়ে বয়ে যায় উত্তর৷ বায়ু ৷
তার উপর থেকে বাতাস দুর করে দেয় সব আবর্জন৷ , প্রভাত বেলায় বর্ষণে ভরে উঠা পানির
উপর ভেসে উঠে শুভ্র বুদ্বুদ ৷
হায় আফসােস তার প্রেমের জন্যে ! যদি সে৩ তার প্রতিশ্রুতি পুর্ণ করতো কিত্বা আমার
উপদেশ যদি তার কাছে গৃহীত হতো ৷
কিংন্নু সে প্রেম তো এমনই, যার রক্তে মিশ্রিত আছে আঘাত ৷ মিথ্যা প্রবঞ্চনা ও পরিবর্তন ৷
তার এ প্রেম এক অবস্থায় স্থায়ী থাকে না, এ যেন এক জীন যে বারবার তার পােশাকের রং
পরিবর্তন করে ৷
সে যে ওয়াদা করে তা রক্ষা করতে পারে না, যেমন চা ৷লুনি পানি ধরে রাখতে পারে না ৷
সুতরাং তার দেওয়া আশায় তুমি ধোক ৷য় পড়াে না, সে যে ওয়াদা করে তা শুধু ভ্রান্ত আশাও
স্বপ্ন ছাড়া আ৷র কিছুই না ৷
তার দেওয়া ওয় ৷দ৷ উরকুবের ১ ওয়াদার সা ৷থে ৩ট্রুলনীয় ৷৩ তার সকল ওয়াদা মিথ্যায় পরিপুর্ণ ৷
আমি আশা করি ও আকাডক্ষা রাখি যে, তার প্রেম তাকে কাছে নিয়ে আসবে ৷ তাদের
ব্যাপারে আমি এ ধারণা পোষণ করি না যে, সে সময়টা খুব শীঘ্রই আসবে ৷
সুআদ এমন দেশে চলে গেছে, যেখানে অভিজাত ও দ্রুতপামী বাহন ছাড়া পৌছ৷ সম্ভব নয় ৷
সেখানে কিছুতেই পৌছতে পারবে না শক্ত ও বষ্টি-সহিষ্ণু উট ছাড়া যেমন শক্ত হয়ে থাকে
মারাকীল ও বিগাল জাতীয় উট ৷
এমন সব উট যা অধিক চলার কারণে ঘেমে গেলে কানের পিছনের হাড় ভিজে যায়, আর
তার সামনে আসতে থাকে অজানা চিহ্ন বিলুপ্ত পথ ৷
সে উট তার সাদা বৃনাে গরুর চোখের মত ভীক্ষ্ণ চোখ মারতে থাকে সম্মুখের অজানা পথ
পানে, যখন বৌদ্রের খরতাপে জ্বলতে থাকে পাথুরে মাটি ও দুরত্ব নির্ণয়ের চিহ্ন, পাথর ৷
সে উটের ঘাড় পুরু ও মোটা পাগুলাে মাং সে ভরা ৷ ষাডের কন্যাদের মধ্য হতে তার সৃষ্টি
বৈশ্যিষ্ট্য রয়েছে শ্রেষ্ঠতৃ ৷
এমন অভিজাত বংশীয় উট সে — যে , তার তাই তার পিতা এবং তার চাচা তার মামাও ,
দীর্ঘত্মীবা ও অত্যন্ত দ্রুতপামী ৷
কুরাদ নামক কীট তার গায়ের উপর দিয়ে হাটে ৷ জ্যি পরক্ষণেই তাকে বুক ও কােলের
মসৃণতা গড়িয়ে নীচে ফেলে দেয় ৷
১ আরবের বিখ্যাত ওয়াদা তংগকারী , যা প্রবাদে পরিণত হয়েছে ৷
شُجَّتْ بِذِي شَبَمٍ مِنْ مَاءِ مَحْنِيَةٍ
صَافٍ بِأَبْطَحَ أَضْحَى وَهْوَ مَشْمُولُ ... تَنْفِي الرِّيَاحُ الْقَذَى عَنْهُ وَأَفْرَطَهُ
مِنْ صَوْبِ غَادِيَةٍ بِيضٌ يَعَالِيلُ ... فَيَا لَهَا خُلَّةٌ لَوْ أَنَّهَا صَدَقَتْ
بِوَعْدِهَا أَوْ لَوَ انَّ النُّصْحَ مَقْبُولُ ... لَكِنَّهَا خُلَّةٌ قَدْ سِيطَ مِنْ دَمِهَا
فَجْعٌ وَوَلْعٌ وَإِخْلَافٌ وَتَبْدِيلُ ... فَمَا تَدُومُ عَلَى حَالٍ تَكُونُ بِهَا
كَمَا تَلَوَّنُ فِي أَثْوَابِهَا الْغُولُ ... وَمَا تُمَسِّكُ بِالْعَهْدِ الَّذِي زَعَمَتْ
إِلَّا كَمَا يُمْسِكُ الْمَاءَ الْغَرَابِيلُ ... فَلَا يَغُرَّنْكَ مَا مَنَّتْ وَمَا وَعَدَتْ
إِنَّ الْأَمَانِيَّ وَالْأَحْلَامَ تَضْلِيلُ ... كَانَتْ مَوَاعِيدُ عُرْقُوبٍ لَهَا مَثَلًا
وَمَا مَوَاعِيدُهَا إِلَّا الْأَبَاطِيلُ ... أَرْجُو وَآمُلُ أَنْ يَعْجَلْنَ فِي أَبَدٍ
وَمَا لَهُنَّ إِخَالُ الدَّهْرَ تَعْجِيلُ ... أَمْسَتْ سُعَادُ بِأَرْضٍ لَا يُبَلِّغُهَا
إِلَّا الْعِتَاقُ النَّجِيبَاتُ الْمَرَاسِيلُ ... وَلَنْ يُبَلِّغَهَا إِلَّا عُذَافِرَةٌ
فِيهَا عَلَى الْأَيْنِ إِرْقَالٌ وَتَبْغِيلُ ... مِنْ كُلِّ نَضَّاخَةِ الذِّفْرَى إِذَا عَرِقَتْ
عُرْضَتُهَا طَامِسُ الْأَعْلَامِ مَجْهُولُ ... تَرْمِي النِّجَادَ بِعَيْنَيْ مُفْرَدٍ لَهِقٍ
إِذَا تَوَقَّدَتِ الْحِزَّانُ وَالْمِيلُ ... ضَخْمٌ مُقَلَّدُهَا فَعْمٌ مُقَيَّدُهَا
فِي خَلْقِهَا عَنْ بَنَاتِ الْفَحْلِ تَفْضِيلُ ... حَرْفٌ أَخُوهَا أَبُوهَا مِنْ مُهَجَّنَةٍ
وَعَمُّهَا خَالُهَا قَوْدَاءُ شِمْلِيلُ ... يَمْشِي الْقُرَادُ عَلَيْهَا ثُمَّ يُزْلِقُهُ
مِنْهَا لَبَانٌ وَأَقْرَابٌ زَهَالِيلُ ... عَيْرَانَةٌ قُذِفَتْ بِالنَّحْضِ عَنْ عُرُضٍ
مِرْفَقُهَا عَنْ بَنَاتِ الزَّوْرِ مَفْتُولُ ... قَنْوَاءُ فِي حُرَّتَيْهَا لِلْبَصِيرِ بِهَا
عِتْقٌ مُبِينٌ وَفِي الْخَدَّيْنِ تَسْهِيلُ ... كَأَنَّ مَا فَاتَ عَيْنَيْهَا وَمَذْبَحَهَا
مِنْ خَطْمِهَا وَمِنَ اللَّحْيَيْنِ بِرْطِيلُ ... تُمِرُّ مِثْلَ عَسِيبِ النَّخْلِ ذَا خُصَلٍ
فِي غَارِزٍ لَمْ تَخَوَّنْهُ الْأَحَالِيلُ ... تَهْوِي عَلَى يَسَرَاتٍ وَهْيَ لَاهِيَةٌ
ذَوَابِلٍ وَقْعُهُنَّ الْأَرْضَ تَحْلِيلُ ... سُمْرِ الْعُجَايَاتِ يَتْرُكْنَ الْحَصَى زِيَمًا
لَمْ يَقِهِنَّ رُءُوسَ الْأُكْمِ تَنْعِيلُ ... يَوْمًا يَظَلُّ بِهِ الْحِرْبَاءُ مُرْتَبِئًا
كَأَنَّ ضَاحِيَهُ بِالشَّمْسِ مَمْلُولُ ... وَقَالَ لِلْقَوْمِ حَادِيهُمْ وَقَدْ جَعَلَتْ
وُرْقُ الْجَنَادَبِ يَرْكُضْنَ الْحَصَا قِيلُوا ... كَأَنَّ أَوْبَ ذِرَاعَيْهَا وَقَدْ عَرِقَتْ
وَقَدْ تَلَفَّعَ بِالْقُورِ الْعَسَاقِيلُ ... أَوْبُ يَدَيْ فَاقِدٍ شَمْطَاءَ مُعْوِلَةٍ
قَامَتْ فَجَاوَبَهَا نُكْدٌ مَثَاكِيلُ
পৃষ্ঠা - ৩৬০১
সে বুনো গাধার ন্যায় দ্রুত গতিসম্পন্ন এবং তার কোন মাংসে ভরা ৷ তার কনুই বুকের
উপরের অংশ থেকে বেশ দুরে (অর্থাৎ চওড়া বুক) ৷
উচু তার নাক ৷ কান দৃটিতে রয়েছে সুস্পষ্ট আভিজাত্য চক্ষুম্মানের জন্যে ৷ আর অধর দুটি
বিনম্র কোমল ৷
তার নাক ও চােয়াল হতে চোখ ও পাল পর্যন্ত বিন্তুত চেহারাটি দীর্ঘ এক পাথরের ন্যায় ৷
খেজুর গাছের শাখার মত তার চুলের পােছা বিশিষ্ট লেজ মাছি ভ্যাছাবার জন্যে দুধের বাটের
উপর মারে ৷ এতে যে উটনীর বটি থেকে দুধ বেরােবার ছিদ্রে কােনরুপ ক্ষতি হয় না ৷
সে হালকা পদক্ষেপে দ্রুত চলে ৷ পা মাটি স্পর্শ করে নরম ভাবে ৷ আর এভাবেই সে
সম্মুখের উটগুলোকে পশ্চাতে ফেলে যায় ৷
দিবাভাগে এমন রৌদ্রের মধ্যে চলে যখন সুর্যের তেজ অত্যন্ত প্রখর হয় ৷ তার দেহের
উপরিভাগ তপ্ত বালুর ন্যায় হয়ে যায় ৷
প্রচন্ড গরমের কারণে কাফেলার হুদী সংগীতের গায়করা পর্যন্ত বলে উট্ঠ তোমরা দুপুরের
বিশ্রাম গ্রহণ কর ৷ তাপ থেকে বীচার জ্যন্য সবুজ পাতায় টিভ্ডী পােকারাও নুড়ি পাথর উল্টিয়ে
আশ্রয় খুজছে ৷
দিন ব্যাপী সফরে তার বাহুগুলাে চলে সেই হতভাগ্য রমর্ণীর বাহুদ্বয়ের মত যে তার সন্তান
হারিয়ে এলােকেশে চিৎকার করে র্কাদছে ৷ সে রমণী দাড়িয়ে বিলাপ করছে, আর তার পাশে
জমায়েত হয়েছে আরও সন্তান হারা বঞ্চিতরা ৷
সে রমণী উচ্চস্বরে বিলাপ করছে, এতে তার দু বাহু অসাড় হয়ে গেছে ৷ তার জ্ঞান উধাও
হয়ে গেছে তখন, যখন মৃত্যু সংবাদ ঘোষণাকারীরা তার প্রথম সন্তান মৃত্যুর ঘোষণা দিল ৷
সে তার দৃহাত দিয়ে বুক ও আমার উপর আঘাত করছে ৷ ফলে তার সীনার উপরের কাপড়
ফেটে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে ৷
আমার যে উটনীর চারপাশে নির্বোধ লোকেরা ছুটাছুঢি করছে আর বলছে, হে আবু সুলমার
পুত্র তুমি যে খুন হবে এতে কোন সন্দেহ নেই ৷
সে সব বন্ধু, যাদের সাহায্যের আমি আশা করছিলাম্ , তারা প্রত্যেকেই বললো — তোমাকে
আমি বৃথা আশা দিব না ৷ তোমার ব্যাপারে আমি উদাসীন ৷
তাদেরকে আমি বললাম , তোমরা আমার পথ ছেড়ে দাও ৷ তোমরা পিতার সন্তান নও ৷ এখন
রহমান-দয়াময় আমার জন্যে যা নির্ধারণ করে রেখেছেন তাই হবে ৷
প্রত্যেক নারীর সন্তান, তা সে যতই দীর্ঘজীবী হোক না কেন ! একদিন তাকে মৃত বহনকারী
খাটিয়ায় উঠতেই হবে ৷
আমাকে সংবাদ জানানো হয়েছে যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছেন ৷
তবে আল্লাহর রাসুলের কাছে ক্ষমার আশা করা যায় ৷
একটু অপেক্ষা করুন, আপনাকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন সেই সত্তা, যিনি আপনাকে কুরআন
উপহার দিয়েছেন, যাতে রয়েছে বহু উপদেশ ও সব কিছুর বিস্তারিত বর্ণনা ৷
نَوَّاحَةٌ رِخْوَةُ الضَّبْعَيْنِ لَيْسَ لَهَا ... لَمَّا نَعَى بِكْرَهَا النَّاعُونَ مَعْقُولُ
تَفْرِي اللَّبَانَ بِكَفَّيْهَا وَمِدْرَعُهَا ... مُشَقَّقٌ عَنْ تَرَاقِيهَا رَعَابِيلُ
تَسْعَى الْغُوَاةُ جَنَابَيْهَا وَقَوْلُهُمُ ... إِنَّكَ يَابْنَ أَبِي سُلْمَى لَمَقْتُولُ
وَقَالَ كُلُّ صَدِيقٍ كُنْتُ آمُلُهُ ... لَا أُلْهِيَنَّكَ إِنِّي عَنْكَ مَشْغُولُ
فَقُلْتُ خَلُّوا سَبِيلِي لَا أَبًا لَكُمُ ... فَكُلُّ مَا قَدَّرَ الرَّحْمَنُ مَفْعُولُ
كُلُّ ابْنِ أُنْثَى وَإِنْ طَالَتْ سَلَامَتُهُ ... يَوْمًا عَلَى آلَةٍ حَدْبَاءَ مَحْمُولُ
نُبِّئْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ أَوْعَدَنِي.
وَالْعَفْوُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ مَأْمُولُ ... مَهْلًا هَدَاكَ الَّذِي أَعْطَاكَ نَافِلَةَ
الْقُرْآنِ فِيهِ مَوَاعِيظٌ وَتَفْصِيلُ ... لَا تَأْخُذَنِّي بِأَقْوَالِ الْوُشَاةِ وَلَمْ
أُذْنِبْ وَلَوْ كَثُرَتْ فِيَّ الْأَقَاوِيلُ ... لَقَدْ أَقُومُ مَقَامًا لَوْ يَقُومُ بِهِ
أَرَى وَأَسْمَعُ مَا قَدْ يَسْمَعُ الْفِيلُ
পৃষ্ঠা - ৩৬০২
আমাকে পাকড়াও করবেন না চােগলখোরদের কথা শুনে ৷ আমি কোন অপরাধ করিনি ;
যদিও আমার সম্পর্কে বহু রটনা ছড়ানাে হয়েছে ৷
এখন আমি এমন এক স্থানে দাড়িয়ে আছি, এবং এমন কিছু দেখছি ও শুনছি, যদি হাতিও এ
স্থানে দীড়াভাে ও শুনতাে ৷
তবে সেও ভয়ে কম্পমান হতো যদি আল্লাহর নির্দেশে রাসুলের পক্ষ হতে ক্ষমা প্রাপ্ত না
হতো ৷
অবশেষে আমি আমার ডান হাত রাখলাম, যা আর গুটিয়ে নিব না, সেই প্রতিশোধ গ্রহণকারীর
হাতে যার মুখের কথাই চুড়ান্ত কথা ৷
৷ তার প্রতি আমি অতিশয় ভীত হয়ে পড়ি, যখন আমি৩ার সাথে ব থ৷ বলি ৷ আর আমাকে
তখন বলা হচিছল যে,তু মি অভিযুক্ত এবং তোমার কাছে জবাব চাওয়া হবে ৷
এ ভীতি ঐ সিংহের ভীতির চেয়েও অধিক, যে সিংহের গুহ৷ ছছর বনের গহীনে বিপদ শংকুল
স্থানে অবস্থিত, যা নিবিড় ঘন বনে ঘেরা ৷
সে৩ ব দুই শাবকের জন্যে উষাকালে মাষ্ সের ঘোজে বের হয় ৷ যাদের থােরাক হলো
মানব মাংসের টুকরা, যাতে থাকে ধুলা-মাটি মাখান ৷
সে যখন ত ৷র প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়, তখনতার জন্যে বৈধ হয় না প্রতিপক্ষকে
ঘায়েল না করে ছেড়ে দেয়৷ ৷
বনের অন্যান্য হিংস্র প্রাণীরা পর্যন্ত তার ভয়ে পালিয়ে বেড়ায় ৷ কোন শিকারী দলও তার
উপত্যকা দিয়ে হাটে না ৷
যখনই তার উপ৩ কোয় কোন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও সাহসী লোক যাক না কেন, সে তার থােরাকে
পরিণত হবেই ৷ আর তার কাপড় ও অস্ত্র বক্তা ক্ত অবস্থায় সেখানেই পড়ে থাকবে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাে এক জ্যোতি ৷৩ তার থেকেই আলো সংগ্রহ করা হয় ৷ তিনি আল্লাহর
তরব৷ ৷রির মধ্য হতে এক ভীক্ষ্ণ তরবারি যা হিন্দুন্তানী লোহা দ্বারা প্রস্তুত
তিনি ছিলেন কুরায়শদের একটি দলের অন্তর্ভুক্ত ৷ ঐ দলটি যখন মক্কা উপত্যকায় ইসলাম
গ্রহণ করলো তখন তাদের একজন বললো, তোমরা দেশ ত্যাগ করে৷ ৷
ফলে তারা দেশ ত্যাগ করে চলে গেলেন, তবে যুদ্ধে তারা ছিলেন না দুর্বল ভীত, ঢাল বিহীন
বা তলোয়ার ও অস্ত্র শুন্য ৷
তার৷ হেটে চলে শুভ্র উটের মত গাস্তীর্যের সাথে, যখন ঘেটে, কালো লোকগুলাে পলায়ন
করে তখন নিজেদের তরব৷ তাদেরকে রক্ষা করে ৷
তারা উন্নত নাসিকা বিশিষ্ট বীর ৷ যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের পোশাক হয় দাউদ নির্মিত বর্ম ৷
বর্যগুলো শুভ্র ও পরিপুর্ণ ৷ তাতে রয়েছে মজবুত আৎটা লাগানো, যেনো তা কাফআ বৃক্ষের
তৈরি আৎটা ৷
তার৷ আনন্দে আত্মহারা হয় না, যদি তাদের বর্শাগুলো শত্রুদের আঘাত করে ৷ আবার তারা
ভীত ৩হয়েও পড়েনা ৷ যদি তারা আক্রান্ত হয় ৷
৮২
لَظَلَّ تُرْعَدُ مِنْ وَجْدٍ بَوَادِرُهُ ... إِنْ لَمْ يَكُنْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ تَنْوِيلُ
حَتَّى وَضَعْتُ يَمِينِي مَا أُنَازِعُهُ ... فِي كَفِّ ذِي نَقَمَاتٍ قَوْلُهُ الْقِيلُ
فَلَهْوَ أَخْوَفُ عِنْدِي إِذْ أُكَلِّمُهُ ... وَقِيلَ إِنَّكَ مَنْسُوبٌ وَمَسْئُولُ
مِنْ ضَيْغَمٍ بِضَرَاءِ الْأَرْضِ مَخْدَرُهُ ... فِي بَطْنِ عَثَّرَ غِيلٌ دُونَهُ غِيلُ
يَغْدُو فَيُلْحِمُ ضِرْغَامَيْنِ عَيْشُهُمَا ... لَحْمٌ مِنَ النَّاسِ مَعْفُورٌ خَرَادِيلُ
إِذَا يُسَاوِرُ قِرْنًا لَا يَحِلُّ لَهُ ... أَنْ يَتْرُكَ الْقِرْنَ إِلَّا وَهْوَ مَفْلُولُ
مِنْهُ تَظَلُّ حَمِيرُ الْوَحْشِ نَافِرَةً ... وَلَا تَمْشِي بِوَادِيهِ الْأَرَاجِيلُ
পৃষ্ঠা - ৩৬০৩
বিক্ষিপ্ত বর্শা এসে তাদের বুক ব্যতীত অন্য কোথাও লাগে না ৷ আর মৃত্যুর হাউজে অবগাহন
করতেও তারা কখনও পিছপা হয় না” ৷
ইবন হিশাম বলেন : মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক এ কাসীদাটি উপরোল্লিখিতডারে বর্ণনা
করেছেন ; কিভু তিনি এর কোন সুত্র উল্লেখ করেননি ৷ তবে হাফিয বায়হার্কী দালাইলুন
নবুওয়াত গ্রন্থে অবিচ্ছিন্ন (মুত্তাসিল) সনদে তা বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি সনদ পরম্পরা এভাবে
বর্ণনা করেছেন : আমি শুনেছি আবু আবদুল্লাহ হড়াফিয থেকে তিনি আবুল কাসিম আবদুর রাহমান
ইবনুল হাসান ইবন আহমাদ আসাদী বাহজান থেকে তিনি ইব্রাহীম ইবনুল হুসায়ন থেকে
তিনি ইব্রাহীম ইবনুল মুনযির হযােমী থেকে তিনি হাজ্জাজ ইবন যিররুকায়বা ইবন আবদুর
রহমান ইবন কা’ব ইবন যুহায়র ইবন আবু সুলমা থেকে তিনি (হাজ্জাজ) তার পিতা (যুবরু-বায়বা)
থেকে তিনি তার (হাজ্জাজের) দাদা (আবদুর রহমান) থেকে ৷ তিনি বলেন, যুহায়রের দুই পুত্র
কাব ও বুজায়র একদা বেরিয়ে পড়েন ৷ তারা যখন আবরাকুল উযাফ নামক স্থানে পৌছে তখন
বুজায়র কাবকে বললেন, তুমি এখানে অবস্থান কর ৷ আমি ওই লোকটির কাছে যাই ৷ অর্থাং
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে ৷ তিনি কি বলেন তা আমি শুনে আসি ৷ কাব সেখানেই অবস্থান
করলো ৷ বুজায়র বেরিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে এসে পৌছলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার নিকট
ইসলামের মর্ম তুলে ধরেন ৷ বুজায়র তখন ইসলাম গ্রহণ করেন ৷ কাব এ সংবাদ শুনতে পেয়ে
কবিতায় বলেন :
ওহে বৃজায়রের নিকট আমার এ বার্তা পৌছিয়ে দাও যে, অন্যের ধ্বংস নিজের পায়ে টেনে
নিতে কিসে তোমাকে প্ৰলুব্ধ করলো ?
এমন এক আদশ্ইি তুমি গ্রহণ করেছে৷ যার উপর তোমার পিতামাতাকে দেখতে পাওনি
এমন কি তোমার ভাইকেও পাবে না ৷
আবু বকর তোমাকে পুর্ণ পেয়ালা পান করিয়েছে তৃপ্তি সহকারে ৷ আর মামুন (বিশ্বস্ত)
তোমাকে তা পান করিয়েছেন বারবার” ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট যখন এ কবিতা পৌছে তখন তিনি তার রক্তপাত বৈধ ঘোষণা
করেন এবং জানিয়ে দেন যে, কাবকে যে দেখবে সেই যেন হত্যা করে ৷ তখন বুজায়র পত্রের
মাধ্যমে তার ভাইকে লিখে পাঠান যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তোমার রক্তপাত বৈধ ঘোষণা করেছেন ৷
এর থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা কর, বেচে যাওয়ার কোন পথ আমি দেখছি না ৷ এরপর বুজায়র
কাবকে লিখে জানান যে, দেখ, যে কেউ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে আল্লাহর
একত্বের ও মুহাম্মাদ (সা)কে তার রাসুল হিসেবে মেনে নেয়ার সাক্ষ্য দেয় ( ধ্৷ ৷ ১ ;, ৷ ;ধ্দ্বু, ৷
খুাপু ৷ ধ্ প্রুন্এ ৷ এ্ ;, ৷প্ ণ্এ৷ ৷ ১! ৷ পড়ে), তিনি তা গ্রহণ করেন ও পুর্বের সমস্ত অপরাধ ক্ষমা
وَلَا يَزَالُ بِوَادِيهِ أَخُو ثِقَةٍ
مُضَرَّجُ الْبَزِّ وَالدِّرْسَانِ مَأَكُولُ ... إِنَّ الرَّسُولَ لَنُورٌ يُسْتَضَاءُ بِهِ
مُهَنَّدٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ مَسْلُولُ ... فِي عُصْبَةٍ مِنْ قُرَيْشٍ قَالَ قَائِلُهُمْ
بِبَطْنِ مَكَّةَ لَمَّا أَسْلَمُوا زُولُوا ... زَالُوا فَمَا زَالَ أَنْكَاسٌ وَلَا كُشُفٌ
عِنْدَ اللِّقَاءِ وَلَا مِيلٌ مَعَازِيلُ ... يَمْشُونَ مَشْيَ الْجِمَالِ الزُّهْرِ يَعْصِمُهُمْ
ضَرْبٌ إِذَا عَرَّدَ السُّودُ التَّنَابِيلُ ... شُمُّ الْعَرَانِينِ أَبْطَالٌ لَبُوسُهُمُ
مِنْ نَسْجِ دَاوُدَ فِي الْهَيْجَا سَرَابِيلُ ... بِيضٌ سَوَابِغُ قَدْ شُكَّتْ لَهَا حَلَقٌ
كَأَنَّهَا حَلَقُ الْقَفْعَاءِ مَجْدُولُ ... لَيْسُوا مَفَارِيحَ إِنْ نَالَتْ رِمَاحُهُمُ
قَوْمًا وَلَيْسُوا مَجَازِيعًا إِذَا نِيلُوا
পৃষ্ঠা - ৩৬০৪
;)
“নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ্ (সা) একটি জ্যোতি যার থেকে আলো লাভ করা হয় ৷ তিনি আল্লাহ্র
সুভীক্ষ্ণ ধারাল তরবারি ৷
আমাকে সংবাদ জানান হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছেন ৷ কিন্তু
আল্লাহর রাসুলের নিকট তো ক্ষমা পাওয়ার আশা করা যায়” ৷
বর্ণনাকারী বলেন, এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) তীর কাছের লোকদের ইৎগিত দিয়ে বলেন
গুলো, কি বলছে ৷ এ কথাটি অবশ্য ইবন আবদুল বার এর পুর্বে মুসা ইবন উক্বা তার মাপাযী
গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন ৷
আমি বলি : কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, কাব ইবন যুহড়ায়র এ কাসীদা আবৃত্তি করলে
রাসুলুল্পাহ্ (সা) তীর চাদর কবিকে উপহার দেন ৷ বন্তুতঃ করি বিভিন্ন প্রশংসামুলক কবিতা থেকে
এক জায়গায় এনে এ কাসীদা তৈরি করেছেন ৷ হাফিয আবুল হাসান ইবনুল আহীর তীর উসৃদুল
গড়াবা গ্রন্থে এ মন্তব্য করেছেন ৷ তিনি বলেন, এই চাদরটি পরবর্তীকালে খলীফাদের কাছে
থাকতো ৷
আমি বলি : এটা একটি অতি প্রসিদ্ধ বিষয় ৷ কিংঙ্কু আমি কোন নির্জাযােপ্য সনদে কোন
প্রসিদ্ধ গ্রন্থে এটা পাইনি ৷ আল্পাহ্ই ভাল জানেন ৷ বর্ণিত আছে, করি যখন এ কথা বলেছিলেন,
যে, সুআদ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে (া£ ;া) , তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞেস করেছিলেন,
া£ ;গ্রা সুআদ আবার কে ? করি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ ৷ সুআদ আমার ত্রী ৷ তিনি
বললেন, না, সে বিচ্ছিন্ন হয়নি ৷ কিন্তু এটা সঠিক নয় ৷ সম্ভবতঃ সে ধারণা করেছিলো যে, করি
ইসলাম গ্রহণ করার বুঝি তার ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ৷ বাহ্যিক দৃষ্টিতে মনে হয় যে, তিনি দৈহিক
বিচ্ছিন্ন হওয়া বৃঝেছেন, নৈতিক বিচ্ছিন্ন নয় ৷
ইবন ইসহাক বলেন : আসিম ইবন উমার ইবন কাতাদা বলেন, কাব যখন তার কাসীদায় এ
কথা বললাে — এএে ৷াস্পেপু ৷াপ্রু; ৷ ১ (-যখন ঘেটে কালো লোকগুলো কাপুরুষতা প্রদর্শন
করলো) ৷ এর দ্বারা তিনি আমাদের আনসার সম্প্রদায়কে বুঝাচ্ছেন ৷ এর কারণ, আমাদের
মধ্যেকার একজন কবির সাথে খারাপ আচরণ করেছিলো ৷ তাই তিনি তার কাসীদায় কেবল
কুরায়শ মুহাজিরদের প্রশংসা করছিলেন ৷ এ কারণে আনসারগণ কবির উপর অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে ৷
সে জন্যে ইসলাম গ্রহণের পর করি আনসারদের প্রশংসায় কবিতা রচনা করেন ৷ এতে তিনি
রাসুলুল্লড়াহ্ (না)-এর সাথে তাদের ত্যাগ কুরবানী ও মর্যাদাপুর্ণ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে
কবিতায় বলেন :
لَا يَقَعُ الطَّعْنُ إِلَّا فِي نُحُورِهِمُ ... وَمَا لَهُمْ عَنْ حِيَاضِ الْمَوْتِ تَهْلِيلُ
هَكَذَا أَوْرَدَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ هَذِهِ الْقَصِيدَةَ، وَلَمْ يَذْكُرْ لَهَا إِسْنَادًا.
وَقَدْ رَوَاهَا الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " دَلَائِلِ النُّبُوَّةِ " بِإِسْنَادٍ مُتَّصِلٍ، فَقَالَ: أَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ أَنَا أَبُو الْقَاسِمِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ أَحْمَدَ الْأَسَدِيُّ بِهَمْدَانَ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحُسَيْنِ ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيٌّ ثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ ذِي الرُّقَيْبَةِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ زُهَيْرِ بْنِ أَبِي سُلْمَى عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: «خَرَجَ كَعْبٌ وَبُجَيْرٌ ابْنَا زُهَيْرٍ حَتَّى أَتَيَا أَبْرَقَ الْعَزَّافِ، فَقَالَ بُجَيْرٌ لِكَعْبٍ: اثْبُتْ فِي هَذَا الْمَكَانِ حَتَّى آتِيَ هَذَا الرَّجُلَ - يَعْنِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَسْمَعُ مَا يَقُولُ. فَثَبَتَ كَعْبٌ وَخَرَجَ بُجَيْرٌ فَجَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَعَرَضَ عَلَيْهِ الْإِسْلَامَ فَأَسْلَمَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ كَعْبًا فَقَالَ:
أَلَّا أَبْلِغَا عَنِّي بُجَيْرًا رِسَالَةً ... عَلَى أَيِّ شَيْءٍ وَيْبَ غَيْرِكَ دَلَّكَا
عَلَى خُلُقٍ لَمْ تُلْفِ أُمًّا وَلَا أَبًا ... عَلَيْهِ وَلَمْ تُدْرِكْ عَلَيْهِ أَخًا لَكَا
পৃষ্ঠা - ৩৬০৫
১-শুষ্ট্রগ্র ১
এ
এএো
া১৷ ,
া১৷ ণ্প্রুষ্ট্র
“যে ব্যক্তি সম্মানজনক জীবন পেতে আঘহী, সে যেন সর্বদা নেককার আনসার সম্প্রদায়ের
অশ্বারােহী বাহিনীর সাথে সম্পৃক্ত থাকে ৷
তারা সম্মানের উত্তরাধিকারী হয়েছেন পুরুষানুক্রমে, আসলে উত্তম লোকদের সম্ভানরাই উত্তম
হয়ে থাকে ৷
তারা লম্বা মাপের শক্ত বর্শ৷ চালাতে উত্তেজনা বোধ করেন ৷ বর্শার কাঠগুলো ভারতীয়
তরবারির বীটের ন্যায় শক্ত কঠিন ৷
র্তারা শত্রুর পানে তাকান আগুনের আত্গারার ন্যায় রক্তিম চোখে ৷ এ তাকানাের মধ্যে নেই
কোন দুর্বলত৷ ও সীমাবদ্ধতা ৷
র্তারা ঘোরতর যুদ্ধের দিনে নবীর জন্যে মৃত্যুর বিনিময়ে নিজেদের জীবন বিক্রী করে দেন ৷
র্তারা মানুষকে তাদের মিথ্যা ধর্ম থেকে ফিরিয়ে আনেন ভীক্ষ্ণ তলোয়ার ও ভয়াল বর্শ৷ দ্বারা ৷
কাফিরদের মধ্যে যারা নিহত হয়, তাদের রক্তে স্নাত হয়ে র্তারা পবিত্রতা অর্জন করেন এবং
এটাকে তারা পুণ্যের কাজ মনে করেন ৷
তারা শত্রু নির্মুলে অভ্যস্ত, যেমন খাফিয়া জংগলে মাংসল পাঞ্জা বিশিষ্ট সিংহ শিকার ধরে
চিরে ফেড়ে খেতে অভ্যস্ত ৷
তুমি যখন তাদের কাছে আশ্রয় নিবে, র্তারা তোমাকে রক্ষা করবেন এই উদ্দেশ্যে, তখন
মনে হবে যেন তুমি পাহাড়িয়া বকরীর নিরাপদ খােয়াড়ে আশ্রয় নিয়েছো ৷
তারা বদর যুদ্ধে (বনুকিনানার) আলী (ইবন মাসউদ)-এর উপর তরবারির আঘাত হানেন ৷
এ তার নিযার গোত্রের সমুদয় লোক বিনয়ের সাথে এগিয়ে আসে ৷
سَقَاكَ أَبُو بَكْرٍ بِكَأْسِ رَوِيَّةٍ
وَأَنْهَلَكَ الْمَأْمُونُ مِنْهَا وَعَلَّكَا
فَلَمَّا بَلَغَتِ الْأَبْيَاتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْدَرَ دَمَهُ، وَقَالَ: " مَنْ لَقِيَ كَعْبًا فَلْيَقْتُلْهُ ". فَكَتَبَ بِذَلِكَ بُجَيْرًا إِلَى أَخِيهِ، وَذَكَرَ لَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَهْدَرَ دَمَهُ، وَيَقُولُ لَهُ: النَّجَاءَ وَمَا أَرَاكَ تَنْفَلِتُ. ثُمَّ كَتَبَ إِلَيْهِ بَعْدَ ذَلِكَ: اعْلَمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَأْتِيهِ أَحَدٌ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، إِلَّا قَبِلَ ذَلِكَ مِنْهُ وَأَسْقَطَ مَا كَانَ قَبْلَ ذَلِكَ، فَإِذَا جَاءَكَ كِتَابِي هَذَا، فَأَسْلِمْ وَأَقْبِلْ. قَالَ: فَأَسْلَمَ كَعْبٌ وَقَالَ قَصِيدَتَهُ الَّتِي يَمْدَحُ فِيهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَقْبَلَ حَتَّى أَنَاخَ رَاحِلَتَهُ بِبَابِ مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ أَصْحَابِهِ كَالْمَائِدَةِ بَيْنَ الْقَوْمِ، مُتَحَلِّقُونَ مَعَهُ حَلْقَةً خَلْفَ حَلْقَةٍ، يَلْتَفِتُ إِلَى هَؤُلَاءِ مَرَّةً فَيُحَدِّثُهُمْ، وَإِلَى هَؤُلَاءِ مَرَّةً فَيُحَدِّثُهُمْ. قَالَ كَعْبٌ: فَأَنَخْتُ رَاحِلَتِي بِبَابِ الْمَسْجِدِ، ثُمَّ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ، فَعَرَفْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالصِّفَةِ، فَتَخَطَّيْتُ حَتَّى جَلَسْتُ إِلَيْهِ، فَأَسْلَمْتُ وَقُلْتُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنَّكَ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ، الْأَمَانَ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " وَمَنْ أَنْتَ؟ " قُلْتُ: كَعْبُ بْنُ زُهَيْرٍ قَالَ: " الَّذِي يَقُولُ ". ثُمَّ الْتَفَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ: " كَيْفَ قَالَ يَا أَبَا بَكْرٍ؟ " فَأَنْشَدَهُ أَبُو بَكْرٍ:.
سَقَاكَ أَبُو بَكْرٍ بِكَأْسٍ رَوِيَّةٍ ... وَأَنْهَلَكَ الْمَأْمُورُ مِنْهَا وَعَلَّكَا
পৃষ্ঠা - ৩৬০৬
তাদের সম্পর্কে আমি না জানি, তা যদি অন্যান্য লোক জানতাে, তবে আমাকে সে সব লোক
সমর্থন জানাভাে , যারা আজ আমার সাথে বিতর্ক করছে ৷
তারা এমন সম্প্রদায় যে, অভাব অনটন দেখা দিলেও রাত্রের অসহায় আগভুককে সমাদরে
মেহমানদারী করেন ৷
(তাওরাতের লেখা মতে তারা জুরহুম মানব গোষ্ঠীর গাসসান গোত্রের মুলের সাথে সম্পৃক্ত ৷
তাদের শিকড় উপড়ে ফেলা কােদালের পক্ষে সম্ভব নয় ৷)
ইবন হিশাম বলেনঃ বলা হয়ে থাকে যে, কাব যখন তার ;া পুা১ব্লু ক ৷৷সীদ টি রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর সামনে আবৃত্তি করেন, তখন তিনি তাকে বলেছিলেন, “ তুমি আনসারদেব গুণাবলীও
উল্লেখ করলে না কেন ? কেননা, তারা এর যোগ্য ৷ তখন কা ব এ কবিতাটি রচনা করেন ৷
মুলতঃ এটা তার অন্য একটি কা ৷সীদার অংশ বিশেষ ৷ ইবন হিশাম বলেন৪ আলী ইবন যায়দ ইবন
জাদআন সুত্রে আমার কাছে সংবাদ পৌছেছে যে, কা ব ইবন যুহায়র মসজিদে নববীর মধ্যে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সম্মুখে তার ধ্াপ্রু ;ন্ণ্ ণ্, এ্ ৷ াণ্ ;া ,;াৰু কাসীদা আবৃত্তি
করেছিলেন ৷
হাফিয বায়হাকী তার পুর্বের সনদে ইবরাহীম ইবন মুনযির হাযামী ইবন জাদআন সুত্রে
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ এটা অবশ্য মুরসা ল বর্ণনা ৷ শায়খ আবু উমার ইবন আবদুল বাব তার
“কি৩ তাবৃল ইসতিআব কী না রিফ৷ তিল আসহাব” গ্রন্থে কা ব ইবন যুহায়রের জীবনের কিছু অংশ
বর্ণনা করার পর বলেন, কা ব ইবন যুহায়র ছিলেন একজন উচ্চ মানের করি ৷৩ তার কবিতার
ত্খ্যা অনেক ৷ তার যুগের৩ তিনি ছিলেন প্রথম শ্রেণীর কবি ৷ তার তা ৷ই বুজায়রও একজন শ্রেষ্ঠ
কবি৩ ৷ তবে দু’ তারের মধ্যে কা বই শ্রেষ্ঠ৩ র ৷ তাদের পিতা ছিল তাদের চেয়েও উচ্চাংগেব করি ৷
কা বের শ্রেষ্ঠ কবিতা তার কিছু অংশ নিম্নে দেওয়া হল০ :
,এ্যা ৷
াএ
“ কোন কিছু যদি আমাকে বিস্মিত করেই, তবে ঐ যুবকের প্রাণান্তকর চেষ্টা দেখলে বিস্মিত
হই যার ভাগ্য রয়েছে গোপন লুক্কায়িত, অথচ সে তারই জন্যে চেষ্টা করে ফিরছে ৷
ঐ যুবক এমন অনেক কিছু লাভের জন্যে চেষ্টা চালাচ্ছে যার নাগাল সে পাবে না কখনও ৷
কেননা, লোক তো একজন, আর উদ্দেশ্য অনেক ৷
মানুষের জীবনকাল সীমিত ৷ কিন্তু আশা-আকন্ডেক্ষ ৷সীমড়াহীন ৷ চক্ষু৩ তার দৃষ্টিপা ৷ত থেকে ক্ষান্ত
হয় না ৷ যতক্ষণ না আলামত শেষ হয়ে যায় ৷
এরপর ইবন আবদুল বাব কা বের বহু কবিতা উল্লেখ করেছেন ৷ এখানে৩ তা উদ্ধৃত করলে
আলোচনা অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে ৷ ইবন আবদুল বার তার গ্রন্থে কা রের মৃত্যুর তারিখ উল্লেখ
করেননি ৷ অনুরুপ আবুল হাসান ইবনুল আহীব তার রচিত “কিতাবুল (উসদুল) গাবা ফী
قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا قُلْتُ هَكَذَا. قَالَ: " فَكَيْفَ قُلْتَ؟ " قَالَ: قُلْتُ:
سَقَاكَ أَبُو بَكْرٍ بِكَأْسٍ رَوِيَّةٍ ... وَأَنْهَلَكَ الْمَأْمُونُ مِنْهَا وَعَلَّكَا
فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَأْمُونٌ وَاللَّهِ ". ثُمَّ أَنْشَدَهُ الْقَصِيدَةَ كُلَّهَا حَتَّى أَتَى عَلَى آخِرِهَا،» وَهِيَ هَذِهِ الْقَصِيدَةُ:
بَانَتْ سُعَادُ فَقَلْبِي الْيَوْمَ مَتْبُولُ ... مُتَيَّمٌ عِنْدَهَا لَمْ يُفْدَ مَكْبُولُ
وَقَدْ تَقَدَّمَ مَا ذَكَرْنَاهُ مِنَ الرَّمْزِ لِمَا اخْتَلَفَ فِيهِ إِنْشَادُ ابْنِ إِسْحَاقَ وَالْبَيْهَقِيِّ رَحِمَهُمَا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. وَذَكَرَ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ فِي كِتَابِ " الِاسْتِيعَابِ " أَنَّ كَعْبًا لَمَّا انْتَهَى إِلَى قَوْلِهِ:
إِنَّ الرَّسُولَ لَنُورٌ يُسْتَضَاءُ بِهِ ... مُهَنَّدٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ مَسْلُولُ
نُبِّئْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ أَوْعَدَنِي ... وَالْعَفْوُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ مَأْمُولُ
قَالَ: فَأَشَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مَنْ مَعَهُ أَنِ اسْمَعُوا. وَقَدْ ذَكَرَ ذَلِكَ قَبْلَهُ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ "، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ.
قُلْتُ: وَرَدَ فِي بَعْضِ الرِّوَايَاتِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَاهُ بُرْدَتَهُ حِينَ أَنْشَدَهُ
পৃষ্ঠা - ৩৬০৭
মারিফাতিস সাহারা” গ্রন্থেও করি কাবের মৃত্যুর তারিখ উল্লেখ করেননি ৷ অবশ্য তিনি এটা
বলেছেন যে, কবির পিতা যুহায়র রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জন্মের এক বছর পুর্বে মৃত্যুবরণ করেন ৷
সুহায়লী বলেন : বার ইবন যুহায়রের উত্তম কবিতা হলো সেগুলো যার মাধ্যমে তিনি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর প্রশংসা করেছেন, যেমন :
ৰু ;)ৰুপু
প্রু£;১
“ ধুসর বর্ণের উটনী র্তাকে বহন করে নিয়ে যায় ৷ তীর মাথায় রয়েছে সাদা চাদরের পাগড়ী
বীধা ৷ যেন এক পুর্ণিমার চীদ, যা অন্ধকার রাতকে আলোকিত করছে ৷
এরপর তীর চাদর কিৎবা কম্বলের মধ্য থেকে এমন দীন ও সদাচরণ প্রকাশ পেল যা কেবল
আল্পাহ্ই জানতেন ৷
الْقَصِيدَةَ. وَقَدْ نَظَمَ ذَلِكَ الصَّرْصَرِيُّ فِي بَعْضِ مَدَائِحِهِ. وَهَكَذَا ذَكَرَ ذَلِكَ الْحَافِظُ أَبُو الْحَسَنِ بْنُ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ " قَالَ: وَهِيَ الْبُرْدَةُ الَّتِي عِنْدَ الْخُلَفَاءِ.
قُلْتُ: وَهَذَا مِنَ الْأُمُورِ الْمَشْهُورَةِ جِدًّا، وَلَكِنْ لَمْ أَرَ ذَلِكَ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ الْكُتُبِ الْمَشْهُورَةِ بِإِسْنَادٍ أَرْتَضِيهِ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ.
وَقَدْ رُوِيَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ لَمَّا قَالَ: بَانَتْ سُعَادُ: " وَمَنْ سُعَادُ؟ " قَالَ: زَوْجَتِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " لَمْ تَبِنْ ". وَلَكِنْ لَمْ يَصِحَّ ذَلِكَ، وَكَأَنَّهُ عَلَى ذَلِكَ تَوَهَّمَ أَنَّ بِإِسْلَامِهِ تَبِينُ امْرَأَتُهُ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُ إِنَّمَا أَرَادَ الْبَيْنُونَةَ الْحِسِّيَّةَ لَا الْحُكْمِيَّةَ. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ: فَلَمَّا قَالَ كَعْبٌ - يَعْنِي فِي قَصِيدَتِهِ -: إِذَا عَرَّدَ السُّودُ التَّنَابِيلُ. وَإِنَّمَا يُرِيدُنَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ; لِمَا كَانَ صَاحِبُنَا صَنَعَ بِهِ، وَخَصَّ الْمُهَاجِرِينَ مِنْ قُرَيْشٍ بِمِدْحَتِهِ; غَضِبَتْ عَلَيْهِ الْأَنْصَارُ فَقَالَ بَعْدَ أَنْ أَسْلَمَ يَمْدَحُ الْأَنْصَارَ، وَيَذْكُرُ بَلَاءَهُمْ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَوْضِعَهُمْ مِنَ الْيُمْنِ:
পৃষ্ঠা - ৩৬০৮
হিজবী অষ্টম সালের প্রসিদ্ধ ঘটনা ও কার্যাবলী
হিজরী অষ্টম সালের জুমাদা মাংস মুতা যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৷ এ বছর রমযান মাসে মক্কা
বিজয়ের অভিযান হয় ৷ মক্কা ৷বিজয়ের পর শাওয়াল মাসে হাওয়া ৷যিনদের বিরুদ্ধে হুনায়ন ময়দানে
যুদ্ধ হয় ৷ এরপর তায়েফ অবরোধের ঘটনা ঘটে ৷ তায়েফ অবরােধের পর যিলকাদ মাসে
উমর ৷তুল জিইবরানা প ৷লিত হয় ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় প্রতা৷বর্তন করেন এবং বছরের
অবশিষ্ট সময় সেখানেই কাটান ৷ ওয়াকিদী বলেন : রাসুলুল্লড়াহ্ (না) এ সফর থেকে যখন মদীনায়
প্রত্যাবর্তন করেন তখন যিলহাজ্জ মাস শেষ হতে কয়েক দিন বাকী ছিল ৷ ওয়াকিদী আরও বলেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এ বছর আমর ইবন আস (রা) কে আযদ গোত্রের শাসক জুলান্দীর দৃই পুত্র
জায়ফার ও আমরকে প্রেরণ করেন ৷ এ দুই ভাইয়ের মাধ্যমে উক্ত দু এলাকার অগ্নিপুজকদের
এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বেদুঈনদের নিকট থেকে জিযিয়া আদায় করা হয় ৷ ওয়াকিদী বলেন ;;
রাসুলুল্লাহ্ (না) এ বছর যিল-কাদ মাসে ফাতিমা বিনৃত দাহ্হাক ইবন সুফিয়ান কিলাবীকে বিবাহ
করেন ৷ কিন্তু ফাতিমা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার জন্য আল্লাহর আশ্রয়
প্রার্থনা করলে রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাকে বিচ্ছিন্ন করে দেন ৷ কেউ কেউ বলেছেনহ্র; রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাকে ইখতিয়ার প্রদান করেন ৷ ফাতিমা দুনিয়ার জীবনকে পসন্দ করলে তিনি তাকে বিচ্ছিন্ন
করেন ৷ ওয়াকিদী আরও বলেন : এ বছর যিলহাজ্জ মাসে মারিয়া কিবভীর গর্ভে রাসুলুল্লাহ্
(সা)এর পুত্র ইবরাহীমের জন্ম হয় ৷ এ দিকে মারিয়ার পুত্র সন্তান জন্ম হওয়ায় অন্যান্য উম্মাহাতুল
মু’মিনীন দারুনভাবে ঈর্ষা বোধ করতে থাকেন ৷ মারিয়ার এ সন্তান হওয়ার সময় ধাত্রী ছিলেন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দাসী সালমা ৷ তিনি আবুরাফির কাছে এ সন্তান হওয়ার সংবাদ জানান ৷ আবু
রাফি’ এসে রাসুলুল্পাহ্ (সা ) কে ইবরাহীমের জন্মের সুসংবাদ শুনান ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুশী হয়ে
তাকে একটি দাস প্রদান করেন ৷ ইবরাহীমকে লালন-পালনের জন্য উম্মে বাবরা বিনৃত মুনযির
ইবন উসায়দ ইবন খিদাশ ইবন আমির ইবন গানাম ইবন আদী ইবন নাজ্জার ও তার স্বামী বারা
ইবন আওস ইবন থালিদ ইবন জা’দ ইবন আওফ ইবন মাবযুল এর নিকট অর্পণ করেন ৷
এ বছর যায়৷ শাহাদাত বরণ করেন তাদের নাম আমরা ইভােপুর্বে সংশ্লিষ্ট ঘটনার বর্ণনা
করেছি ৷ এ সালের গুরুত্বপুর্ণ ঘটনার মধ্যে খালিদ ইবন ওয়ালিদ (বা) এর হাতে মক্কাও
তায়িফের মাঝে নাখলায় মুশরিকদের সেই বু৩ তখানা ধ্বংসের বর্ণনা ও আমরা করে এসেছি৷ যার
মধ্যে আরবের মুশরিকদের উয্যা দেবতা প্রতিষ্ঠিত ছিল ৷ এ সালের রমযান মাসের পাচ দিন বাকী
থাকতে খালিদ (বা) এটা ধ্বংস করেন ৷ ওয়াকিদীর বর্ণনামতে এ বছরেই রিহাতে অবস্থিত হুযায়ল
গোত্রের দেবতা সুওয৷ ’ কে ধ্বংস করা হয় ৷ আমর ইবন আস (রা) এটা ধ্বংস করেন, তবে তিনি
এখানে কোন ধন-বত্ন পাননি ৷ এছাড়া মুশালুলালে অবস্থিত মানাত দেবীর ইবাদ তখানাও বিধ্বস্ত
করা হয় ৷ আনসারদের আসে ও খাযরাজ গোত্র মানাতের আরাধনা করতো ৷ সা দ ইবন যায়দ
আশহালী (বা) এটা বিধ্বস্ত করেন ৷ মুশরিকদের এই তিন দেব-দেবী সম্পর্কে সুরা নাজ্বম’ এর
আয়াত ;;ট্র-^ৰু ৷ ৰু; ৰুাএে ৷া , গ্রো;৷ ৷ , হু;ট্রু১এে ৷ ণ্; ৷ ,£ ৷ ( তােমরা ৷কি ভেবে দেখেছো
مَنْ سَرَّهُ كَرَمُ الْحَيَاةِ فَلَا يَزَلْ ... فِي مِقْنَبٍ مِنْ صَالِحِي الْأَنْصَارِ
وَرِثُوا الْمَكَارِمَ كَابِرًا عَنْ كَابِرٍ ... إِنَّ الْخِيَارَ هُمُ بَنُو الْأَخْيَارِ
الْمُكْرِهِينَ السَّمْهَرِيَّ بِأَذْرُعٍ ... كَسَوَالِفِ الِهِنْدِيِّ غَيْرِ قِصَارِ
وَالنَّاظِرِينَ بِأَعْيُنٍ مُحْمَرَّةٍ ... كَالْجَمْرِ غَيْرِ كَلِيلَةِ الْإِبْصَارِ
وَالْبَائِعِينَ نُفُوسَهُمْ لِنَبِيِّهِمْ ... لِلْمَوْتِ يَوْمَ تَعَانُقٍ وَكِرَارِ
وَالْقَائِدِينَ النَّاسَ عَنْ أَدْيَانِهِمْ ... بِالْمَشْرَفِيِّ وَبِالْقَنَا الْخَطَّارِ
يَتَطَهَّرُونَ يَرَوْنَهُ نُسُكًا لَهُمْ ... بِدِمَاءِ مَنْ عَلِقُوا مِنَ الْكُفَّارِ
دَرِبُوا كَمَا دَرِبَتْ بِبَطْنِ خَفِيَّةٍ ... غُلْبُ الرِّقَابِ مِنَ الْأُسُودِ ضَوَارِي
وَإِذَا حَلَلْتَ لِيَمْنَعُوكَ إِلَيْهِمُ ... أَصْبَحْتَ عِنْدَ مَعَاقِلِ الْأَغْفَارِ
পৃষ্ঠা - ৩৬০৯
লাভ ও উঘৃযা সম্বন্ধে এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্বন্ধে ? (নাজম : ১ ৯ ) এর তাফসীরে একটি
অনুচ্ছেদে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ আমি বলি : ইমাম বুখারী মক্কা বিজয়ের বর্ণনা শেষে
খাছআম গোত্রের ইবাদতথানা ভাৎগার ঘটনা বর্ণনা করেছেন ৷ তারা এটাকে ইয়ামানী কা’বা
বলতাে এবং মক্কার কা’বা গৃহের শাখা মনে করতো ৷ তারা মক্কার কাবাকে আল-কা’বাতুল
শামিয়া (সিরিয়ার কা’রা) এবং তাদের ওটাকে আল-কা’বাতুল ইয়ামানিয়া (ইয়ামানী কাবা)
বলতেড়া ৷ ইমাম বৃখারী বলেন ? ইউসুফ ইবন মুসা জারীর (রা) সুত্রে বর্ণিত যে, তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে বললেন, তৃমি কি আমাকে ষুলন্-ণ্খলােসার দুশ্চিভা থেকে মুক্ত
করবে না” ? আমি বললাম “জী, হীা” ৷ তখন আমি আহমাস গোত্রের একশ’ পঞ্চাশজন অশ্বারেড়াহী
বাহিনী নিয়ে ছুটে চললাম ৷ এরা সবাই ছিল ঘোড়-সাওয়ারে পারদর্শী ৷ কিন্তু আমি ঘোড়ার পিঠে
স্থির থাকতে পারতড়াম না ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আমার এ বিষয়টি ব্যক্ত করলে তিনি তীর
মুবারক হাত দ্বারা আমার বুকে একটি মৃদু আঘাত করলেন ৷ আমি আমার বুকে তার হাতের
স্পর্শের প্রভাব অনুভব করলাম ৷ আঘাতের সাথে তিনি দৃআ করলোঃা : “হে আল্লাহ্ ! তাকে স্থির
হয়ে থাকতে দিন এবং তাকে হিদায়াত লাভকারী ও হিদায়াত দানকারী হিসেবে কবুল করুন” ৷
জারীর (রা) বলেন, এরপর আর কখনও আমি ঘোড়ার উপর থেকে পড়ে যাইনি ৷ তিনি বলেন,
যুল-খালাসা ছিল ইয়ামানের অন্তর্গত খাছআম ও বুজায়লা গোত্রের ইবাদত গৃহ ৷ সেখানে কিছু
মুর্তি স্থাপিত ছিল ৷ লোকেরা এর পুজা করতো ৷ এ ঘরটিকে বলা হতো ইয়ামানী কা’বা ৷
বর্ণনাকারী বলেন, তিনি সেখানে এসে ঘরটিকে ভেত্গে দিলেন এবং আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিলেন ৷
বর্ণনাকরীি আরও বলেন, জারীর (রা) যখন ইয়ামানে গৌছেন তখন সেখানে এক ব্যক্তি থাকতো
এবং সে তীরের সাহায্যে ভাগ্য গণনা করতো ৷ তাকে বলা হলো, রাসুলুল্লাহ্ (সা)এর দুত
এখানে আছেন, তোমাকে ধরতে পারলে পর্দান উড়িয়ে দিবেন ৷ একদিন সে তীর দিয়ে ভাগ্য
গণনা কাজে রত ছিল ৷ এমন সময় জারীর (রা) সেখানে উপস্থিত হন ৷ তিনি তাকে বললেন,
“তীরগুলাে ভেৎগে ফেলো ও আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই এ কথার সাক্ষ্য দাও ; অন্যথায়
তোমার গর্দান উড়িয়ে দিব” ৷ ল্যেকটি তখন ভীরগুলো ভেৎগে ফেললাে এবং এক আল্লাহর সাক্ষ্য
দিল ৷ এরপর জারীর (বা) আহমাস গোত্রের আরতাত নামক এক ব্যক্তিকে এ সংবাদ জানাবার
জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ লােকটি নবী করীম (সা) এর নিকট উপস্থিত হয়ে
বললো , ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে সভার কসম ! যিনি আপনাকে সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন, সে ইবাদত-
খানাটিকে ঠিক পীচড়া আক্রান্ত উটের মত করে রেখে আমি এসেছি ৷ বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা
শুনার পর নবী করীম (সা) আহমাস গোত্রের অশ্বারোহী ও পদাতির বাহিনীর কল্যাণের জন্যে
পড়াচবার দৃআ করলেন ৷ এ হাদীছটি ইমাম মুসলিম বিভিন্ন সুত্রে ইসমাঈল ইবন আবু খালিদ কায়স
ইবন আবুহাযিম জারীর ইবন আবদুল্লাহ বাজালী (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আলহামদৃ লিল্লাহ, ইবন কাহীরের তারীখুল বিদায়া ওয়ান নিহায়ার চতুর্থ খণ্ড শেষ হলো ৷
এরপর পঞ্চম খণ্ড শুরু হয়েছে তাবুক যুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে ৷ এ যুদ্ধ হয়েছিল সে বছর রজব মাসে ৷
( চতুর্থ খণ্ড সমশ্প্ত )
ইফারা (উন্নয়ন)২০০৩২০০৪আঃসঃ৪২১৫-৩২৫০
৮৩ —
ضَرَبُوا عَلِيًّا يَوْمَ بَدْرٍ ضَرْبَةً
دَانَتْ لِوَقْعَتِهَا جَمِيعُ نِزَارِ ... لَوْ يَعْلَمُ الْأَقْوَامُ عِلْمِيَ كُلَّهُ
فِيهِمْ لَصَدَّقَنِي الَّذِينَ أُمَارِي ... قَوْمٌ إِذَا خَوَتِ النُّجُومُ فَإِنَّهُمْ
لِلطَّارِقِينَ النَّازِلِينَ مَقَارِي
قَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَيُقَالُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُ حِينَ أَنْشَدَهُ بَانَتْ سُعَادُ: «لَوْلَا ذَكَرْتَ الْأَنْصَارَ بِخَيْرٍ، فَإِنَّهُمْ لِذَلِكَ أَهْلٌ» فَقَالَ كَعْبٌ هَذِهِ الْأَبْيَاتِ وَهِيَ فِي قَصِيدَةٍ لَهُ.
قَالَ: وَبَلَغَنِي عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدِ بْنِ جُدْعَانَ أَنَّ كَعْبَ بْنَ زُهَيْرٍ أَنْشَدَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ: بَانَتْ سُعَادُ فَقَلْبِي الْيَوْمَ مَتْبُولُ. وَقَدْ رَوَاهُ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ بِإِسْنَادِهِ الْمُتَقَدِّمِ إِلَى إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيِّ حَدَّثَنِي مَعْنُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَوْقَصُ عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ فَذَكَرَهُ، وَهُوَ مُرْسَلٌ.
وَقَالَ الشَّيْخُ أَبُو عُمَرَ بْنُ عَبْدِ الْبَرِّ رَحِمَهُ اللَّهُ، فِي كِتَابِ " الِاسْتِيعَابِ فِي