আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

عمرة الجعرانة

পৃষ্ঠা - ৩৫৮৯

যে, তিনি বলেছেন, একদা আমি উরওয়া ইবন যুবায়রের সাথে মসজিদে (নববীতে ) প্রবেশ করি ৷
সেখানে দেখি ইবন উমর (রা) হযরত আইশা (রা) এর কক্ষের সাথে হেলান দিয়ে বসে আছেন ৷
আর কতিপয় লোক সেখানে চাশতের সালাত আদায় করছেন ৷ উরওয়া জিজ্ঞেস করলেন হে আবু
আবদুর রহমান ৷ এটা কিসের সালাত ? তিনি বললেন, এটা বিদআত ৷ এরপর উরওয়া তাকে
জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু আবদুর রহমান ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) কতটি উমরা পালন করেছেন ? তিনি
বললেন, চারটি উমরা পালন করেছেন ৷ তার মধ্যে একটি ছিল রজব মাসে ৷ মুজা ৷হিদ বলেন,
কক্ষের মধ্যে হযরত আইশা (রা)-এর আওয়াজ আমরা শুনতে পাই ৷৩ তাই উরওয়া তাকে জিজ্ঞেস
করলেন, আবু আবদুর রহমান বলছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) চা ৷রটি উমরা পালন করেছেন, যার
একটি ছিল রজব মাসে ৷ আইশা (রা) বললেন, “আল্লাহ আবুআযদৃর রহমানের প্রতি রহম করুন ৷
নবী করীম (সা) এমন কোন উমরা পালন করেননি যাতে তিনি তার সাথী হননি ৷ কিন্তু তিনি
কখনও রজব মাংস উমরা পালন করেননি” ৷ তিরমিযী এ হাদীছ আহমদ ইবন মানবা’
মানসুর সুত্রে বর্ণনা করে একে হাসান সহীহ্ গরীব বলে মন্তব্য কাদ্ররবৃছন ৷

ইমাম আহমদ বলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) উমরা পালনের উদ্দেশ্যে জিইবৃরান৷ থেকে রাত্রিবেল৷ বের হন ৷ ঐ রাত্রেই মক্কা
পৌছে উমরা পালন শেষে রাত থাকতেই প্রত্যাবর্তন করেন ৷ সকাল বেলা জিইররানায় পৌছেন ৷
ঘটনাটি ঘটে এমনভাবে যেন জিইবৃরানাতেই তিনি৷ রাত কাটিয়েছেন ৷ এরপর সুয পশ্চিমে গড়িয়ে
গেলে তিনি জিইবৃরানা থেকে বের হয়ে রাত নে সারিকের পথে উঠেন ৷ বাতনে সারিফের এই
পথই মদীনা ৷র পথের সাথে মিলিত ৩হয়েছে ৷ তিনি সে পথ ধরে চলতে থাকেন ৷ মুখাররাশ বলেন
এ কারণেই অনেকের কাছে৩ তার এ উমরার বিষয়টি গোপন থেকে যায় ৷ এ হাদীছ ইমাম আহমদ
ইয়াহ্য়৷ ইবন সাঈদ সুত্রে ইবন জুরায়জ থেকে অনুরুপ বর্ণনা ৷করেছেন ৷ যা হোক উমরাতৃল
জিইরর৷ ৷ন৷ সহীহ্ হাদীছ৷ দ্ব ৷রা প্রমাণিত য৷ অম্বীক৷ ৷র কিৎব৷ প্র৩ ৷৷থ্যান করার কোন উপায় নেই ৷
যারা এ উমরার সপক্ষে প্রমাণ পেশ করেছেন৩ ৷তদের মুকাবিলায় যারা একে অস্বীকার করেছে
তাদের কাছে মুলতঃ কোন প্রমান নেই ৷ এরপর তারা এ ব্যাপারে প্রায় একমত যে, এ উমরা
যিলকাদ মাসে হয়েছিল এবং৩ ত৷ হয়েছিল তায়েফের যুদ্ধ ও হুনায়নের গনীমত বণ্টনের পর ৷
হাফিয আবুল কাসিম তারা তার মু জামুল কাবীর গ্রন্থে বলেন৪ হাসান ইবন ইসহাক তুসতারী
— — — ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে,৩ তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তায়েফ থেকে
প্রত্যাবর্তন করে জিইররানায় আসেন এবং সেখানে গনীমতের মালামাল বণ্টন করেন ৷ তারপর
সেখান থেকে উমরা পালন করেন ৷ তখন শাওয়াল মাস শেষ হতে দুই দিন বাকী ছিল ৷ এ বর্ণনাটি
অত্যন্ত গরীব এবং এর সনদ সন্দেহমুক্ত নয় ৷

ইমাম বুখারী বলেন : ইয়াকুব ইবন ইব্রাহীম সাফওয়ান ইবন ইয়া’ল৷ ইবন উমায়য়া
থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, ইয়াল৷ প্রায়ই বলতেন, হায় ! রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপর যখন
ওহী অবতীর্ণ হয় সেই মুহ্রতে যদি আমি তাকে দেখতে পেত ৷ম ! সাফওয়ান বলেন, এরই মধ্যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিইররানায় অবস্থান করছিলেন৩ ৷৩ র মাথার উপর একটি কাপড় টাৎপানাে ছিল ৷
তিনি তা যে ছ ৷য়ার নীচে ছিলেন ৷ সে কাপড়ের ছায়ায় তা যে কতিপয় সাহাবীওত ৷র সাথে ছিলেন ৷


الَّذِي مَنَّ عَلَيْنَا بِالْإِسْلَامِ، وَمَنَّ عَلَيْنَا بِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ نَمُتْ عَلَى مَا مَاتَ عَلَيْهِ الْآبَاءُ وَقُتِلَ عَلَيْهِ الْإِخْوَةُ وَبَنُو الْعَمِّ. ثُمَّ ذَكَرَ عَدَاوَتَهُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَّهُ خَرَجَ مَعَ قَوْمِهِ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى حُنَيْنٍ وَهَمْ عَلَى دِينِهِمْ بَعْدُ. قَالَ: وَنَحْنُ نُرِيدُ إِنْ كَانَتْ دَائِرَةٌ عَلَى مُحَمَّدٍ أَنْ نُعِينَ عَلَيْهِ، فَلَمْ يُمْكِنَّا ذَلِكَ، فَلَمَّا صَارَ بِالْجِعْرَانَةِ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لِعَلَى مَا أَنَا عَلَيْهِ إِنْ شَعَرْتُ إِلَّا بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: " أَنُضَيْرُ ". قُلْتُ: لَبَّيْكَ. قَالَ: " هَذَا خَيْرٌ مِمَّا أَرَدْتَ يَوْمَ حُنَيْنٍ مِمَّا حَالَ اللَّهُ بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ ". قَالَ: فَأَقْبَلْتُ إِلَيْهِ سَرِيعًا، فَقَالَ: " قَدْ آنَ لَكَ أَنْ تُبْصِرَ مَا كُنْتَ فِيهِ تُوضِعُ ". قُلْتُ: قَدْ أَرَى أَنَّهُ لَوْ كَانَ مَعَ اللَّهِ غَيْرُهُ لَقَدْ أَغْنَى شَيْئًا، وَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " اللَّهُمَّ زِدْهُ ثَبَاتًا ". قَالَ النُّضَيْرُ: فَوَالَّذِي بَعَثَهُ بِالْحَقِّ لَكَأَنَّ قَلْبِي حَجَرٌ ثَبَاتًا فِي الدِّينِ وَتَبْصِرَةً بِالْحَقِّ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَاهُ ".» . [عُمْرَةُ الْجِعْرَانَةِ] ِ فِي ذِي الْقِعْدَةِ. قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا بَهْزٌ وَعَبْدُ الصَّمَدِ. الْمَعْنَى. قَالَا: ثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى ثَنَا قَتَادَةُ قَالَ: «سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قُلْتُ: كَمْ حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: حِجَّةً وَاحِدَةً، وَاعْتَمَرَ أَرْبَعَ مِرَارٍ; عُمْرَتُهُ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَعُمْرَتُهُ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مِنَ الْمَدِينَةِ، وَعُمْرَتُهُ مِنَ الْجِعْرَانَةِ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، حَيْثُ قَسَمَ غَنِيمَةَ حُنَيْنٍ، وَعُمْرَتُهُ مَعَ حِجَّتِهِ.» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ مِنْ طُرُقٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ يَحْيَى بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو النَّضْرِ ثَنَا دَاوُدُ، يَعْنِي الْعَطَّارَ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَ عُمَرٍ ; عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ وَعُمْرَةَ الْقَضَاءِ، وَالثَّالِثَةُ مِنَ الْجِعْرَانَةِ وَالرَّابِعَةُ الَّتِي مَعَ حِجَّتِهِ» وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ دَاوُدَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْعَطَّارِ الْمَكِّيِّ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ بِهِ، وَحَسَّنَهُ التِّرْمِذِيُّ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ ثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَرْطَأَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَ عُمَرٍ، كُلُّ ذَلِكَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ يُلَبِّي حَتَّى يَسْتَلِمَ الْحَجَرَ. غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ، وَهَذِهِ الثَّلَاثُ عُمَرٍ اللَّاتِي وَقَعْنَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مَا عَدَا عُمْرَتَهُ مَعَ حِجَّتِهِ، فَإِنَّهَا وَقَعَتْ فِي ذِي الْحِجَّةِ مَعَ الْحِجَّةِ، وَإِنْ أَرَادَ ابْتِدَاءَ الْإِحْرَامِ بِهِنَّ فِي ذِي الْقَعْدَةِ فَلَعَلَّهُ لَمْ يُرِدْ عُمْرَةَ الْحُدَيْبِيَةِ; لَأَنَّهُ صُدَّ عَنْهَا، وَلَمْ يَفْعَلْهَا» وَاللَّهُ أَعْلَمُ. قُلْتُ: وَقَدْ كَانَ نَافِعٌ وَمَوْلَاهُ ابْنُ عُمَرَ يُنْكِرَانِ أَنْ يَكُونَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ بِالْكُلِّيَّةِ، وَذَلِكَ فِيمَا قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ كَانَ عَلَيَّ اعْتِكَافُ يَوْمٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ. فَأَمَرَهُ أَنْ يَفِيَ بِهِ. قَالَ: وَأَصَابَ عُمَرُ جَارِيَتَيْنِ مِنْ سَبْيِ حُنَيْنٍ فَوَضَعَهُمَا فِي بَعْضِ بُيُوتِ مَكَّةَ. قَالَ: فَمَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى سَبْيِ حُنَيْنٍ فَجَعَلُوا يَسْعَوْنَ فِي السِّكَكِ، فَقَالَ عُمَرُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ، انْظُرْ مَا هَذَا؟ قَالَ: مَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى السَّبْيِ. قَالَ: اذْهَبْ فَأَرْسِلِ الْجَارِيَتَيْنِ» قَالَ نَافِعٌ: وَلَمْ يَعْتَمِرْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ وَلَوِ اعْتَمَرَ لَمْ يَخْفَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ. وَقَدْ رَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا، عَنْ أَحْمَدَ بْنِ عَبْدَةَ الضَّبِّيِّ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ قَالَ: ذُكِرَ عِنْدَ ابْنِ عُمَرَ عُمْرَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ فَقَالَ: لَمْ يَعْتَمِرْ مِنْهَا. وَهَذَا غَرِيبٌ جِدًّا عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَعَنْ مَوْلَاهُ نَافِعٍ فِي إِنْكَارِهِمَا عُمْرَةَ الْجِعْرَانَةِ وَقَدْ أَطْبَقَ النَّقَلَةُ مِمَّنْ عَدَاهُمَا عَلَى رِوَايَةِ ذَلِكَ مِنْ أَصْحَابِ الصِّحَاحِ وَالسُّنَنِ وَالْمَسَانِيدِ، وَذَكَرَ ذَلِكَ أَصْحَابُ الْمُغَازِي وَالسِّيَرِ كُلُّهُمْ.
পৃষ্ঠা - ৩৫৯০
وَهَذَا أَيْضًا كَمَا ثَبَتَ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ عُرْوَةَ، «عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا أَنْكَرَتْ عَلَى ابْنِ عُمَرَ قَوْلَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ فِي رَجَبٍ، وَقَالَتْ: يَغْفِرُ اللَّهُ لِأَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَا اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا وَهُوَ شَاهِدٌ، وَمَا اعْتَمَرَ فِي رَجَبٍ قَطُّ.» . وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ ثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: «سَأَلَ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ ابْنَ عُمَرَ: فِي أَيِّ شَهْرٍ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: فِي رَجَبٍ. فَسَمِعَتْنَا عَائِشَةُ، فَسَأَلَهَا ابْنُ الزُّبَيْرِ وَأَخْبَرَهَا بِقَوْلِ ابْنِ عُمَرَ فَقَالَتْ: يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَا اعْتَمَرَ عُمْرَةً إِلَّا وَقَدْ شَهِدَهَا، وَمَا اعْتَمَرَ قَطُّ إِلَّا فِي ذِي الْقَعْدَةِ.» وَأَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ جَرِيرٍ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ بِهِ نَحْوَهُ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ زُهَيْرٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ مُجَاهِدٍ: «سُئِلَ ابْنُ عُمَرَ: كَمِ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقَالَ: مَرَّتَيْنِ. فَقَالَتْ عَائِشَةُ: لَقَدْ عَلِمَ ابْنُ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اعْتَمَرَ ثَلَاثًا سِوَى الَّتِي قَرَنَهَا بِحِجَّةِ الْوَدَاعِ» .
পৃষ্ঠা - ৩৫৯১

এমন সময় এক রেদুঈন তার কাছে আসে ৷ তার পরিধানে ছিল একটি জুব্বা ও শরীরে থােশবু
মাখানাে ৷ (সে বললো , “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ এ ব্যক্তি সম্পর্কে আপনার ফায়সালা কি , যে থােশবু
যেখে , জুব্বা পরে উমরার জন্যে ইহরড়াম বীধে” ? তখন উমর ইবন খাত্তার (রা) হাত দিয়ে ইশারা
করে ইয়ালাকে আসতে বললেন ৷ ইয়ালা আসলেন ৷ উমর (রা) তাকে ঐ টাৎপানাে কাপড়ের
নিচে ঢুকিয়ে দিলেন ৷ তিনি দেখলেন, নবী করীম (সা) এর চেহারা লাল হয়ে আছে ৷ শ্বাস-প্রশ্বাস
দ্রুত বইছে ৷ এ অবস্থা কিছুক্ষণ থাকার পর তার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলো ৷ তিনি বললেন,
“সেই লোকটি কোথায়, যে এইমাত্র আমাকে উমরা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাে” ? লোকটিকে
খুজে তার কাছে নিয়ে আসা হলো ৷ তিনি তাকে বললেন, তোমার শবীরে যে খােশবু মাখড়ানাে
আছে তা তিনবার ধুয়ে ফেল ৷ তারপর জুব্বাটি খুলে ফেলো ৷ পরে হরুজ্জ যেসব কাজ করে থাকো
উমরাতেও সেসব কাজ করো ” ৷ ইমাম মুসলিম এ হাদীছটি ইবন জুরায়জের সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷ বুখারী ও মুসলিম অন্য সুত্রে এ হাদীছ আতা থেকে তারপর আতা ও ইবন জুরায়জ
সাফওয়ান ইবন ইয়া’লা ইবন উমইিয়া থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

ইমাম আহমদ বলেন : আবু উসামা হিশাম তার পিতার সুত্রে আইশা থেকে বর্ণিত যে,
আয়িশা (রা) বলেছেন, মক্কা বিজয়ের বছর রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কার উচ্চভুমি কুদার দিক থেকে
প্রবেশ করেন এবং উমরা পালনের জ্যন্যও তিনি কুদ৷ হয়ে মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ আবু দাউদ
বলেন : মুসা আবুসালমা ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বল্যেছন, রাসুলুল্লাহ্
(মা) ও তার সাহাবীগণ জিইররানা থেকে উমরা পালন করেন ৷ বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ কালে তিনবার
রমল করেন ও চারবার হেটে চলেন ৷ এ সময় তারা তাদের চাদর বগলের নীচ থেকে উঠিয়ে বাম
র্কাধেব উপর ছেড়ে দেন ৷ এ ছাড়াও আবু দাউদ ও ইবন মাজা এ হাদীছ ইবন খায়ছাম আবৃত
তুফায়ল ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন ৷

ইমাম আহমদ বলেন : ইয়াহ্য়া ইবন সাঈদ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে,
তিনি বলেছেন, মুআবিয়া তাকে জানিয়েছেন যে, আমি (মুআবিয়া ) রাসুলুল্লাহ্ (না) — এর চুল চ্যাপ্টা
ছুরি (র্কাচি) দিয়ে কেটে ছোট করে দিয়েছিলাম ৷ অথবা তিনি বলেন, (বর্ণনাকারীব সন্দেহ) আমি
দেখেছি, মারওয়া পাহাড়ের কাছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর চুল চওড়া ফলাযুক্ত র্কাচি দিয়ে ছোট করে
দেওয়া হচ্ছে ৷ সহীহ্ বুখারী ও মুসলিমে ইবন জুরায়জের সুত্রে এ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে ৷ এ ছাড়া

ইমাম মুসলিম সুফিয়ান ইবন উয়ায়নার সুত্রে মুআবিয়া থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আবু দাউদ ও নাসাঈ আবদুর রাবৃযাকের সুত্রে তাউস থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
আবদুল্লাহ ইবন ইমাম আহমাদ বলেন : আমর ইবন মুহাম্মাদ আন-নাকিদ ইবন আব্বাস

(রা) সুত্রে মুআবিয়া থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, মারওয়া পাহাড়ের কাছে আমি রাসুলুল্লাহ্
(সা)-এর মাথার চুল ছেটে দিয়েছিলাম ৷ এ সব উদ্ধৃতির উদ্দেশ্য হল, চুল ছোট করার কাজটি
উমরাতুল জিইবরানায় হয়েছিল ৷ কেননা, উমরাতুল হুদায়বিয়ায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় প্রবেশ
করেননি; বরং মক্কায় যেতে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল যেমনটি পুর্বে এ বিষয়ে আলোচনা করা
হয়েছে ৷ আর উমরাতুল কাযায় আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করেনি (সুতরাং মুআবিয়ার চুল ভুাটার
প্রশ্নই ওঠে না ) ৷ এ সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যখন মক্কায় প্রবেশ করেন তখন মক্কার কোন বাসিন্দা


وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ثَنَا مُفَضَّلٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: «دَخَلْتُ مَعَ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ الْمَسْجِدَ، فَإِذَا ابْنُ عُمَرَ مُسْتَنِدٌ إِلَى حُجْرَةِ عَائِشَةَ وَأُنَاسٌ يُصَلُّونَ الضُّحَى، فَقَالَ عُرْوَةُ: أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَا هَذِهِ الصَّلَاةُ؟ قَالَ: بِدْعَةٌ. فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ: أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَمِ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ؟ فَقَالَ: أَرْبَعًا، إِحْدَاهُنَّ فِي رَجَبٍ. قَالَ: وَسَمِعْنَا اسْتِنَانَ عَائِشَةَ فِي الْحُجْرَةِ. فَقَالَ لَهَا عُرْوَةُ: إِنَّ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَزْعُمُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ اعْتَمَرَ أَرْبَعًا، إِحْدَاهُنَّ فِي رَجَبٍ. فَقَالَتْ: يَرْحَمُ اللَّهُ أَبَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ مَا اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَّا وَهُوَ مَعَهُ، وَمَا اعْتَمَرَ فِي رَجَبٍ قَطُّ» وَهَكَذَا رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ عَنْ أَحْمَدَ بْنِ مَنِيعٍ عَنِ الْحَسَنِ بْنِ مُوسَى عَنْ شَيْبَانَ عَنْ مَنْصُورٍ بِهِ، وَقَالَ: حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا رَوْحٌ ثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي مُزَاحِمُ بْنُ أَبِي مُزَاحِمٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ مُخَرِّشٍ الْكَعْبِيِّ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ لَيْلًا حِينَ أَمْسَى مُعْتَمِرًا، فَدَخَلَ مَكَّةَ لَيْلًا يَقْضِي عُمْرَتَهُ، ثُمَّ خَرَجَ مِنْ تَحْتِ لَيْلَتِهِ فَأَصْبَحَ بِالْجِعْرَانَةِ كَبَائِتٍ، حَتَّى إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ خَرَجَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ فِي بَطْنِ سَرِفٍ، حَتَّى جَامَعَ الطَّرِيقَ طَرِيقَ الْمَدِينَةِ بِسَرِفٍ. قَالَ مُخَرِّشٌ: فَلِذَلِكَ خَفِيَتْ عُمْرَتُهُ عَلَى كَثِيرٍ مِنَ النَّاسِ» وَرَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৯২
يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ كَذَلِكَ وَهُوَ مِنْ أَفْرَادِهِ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ عُمْرَةَ الْجِعْرَانَةِ ثَابِتَةٌ بِالنَّقْلِ الصَّحِيحِ الَّذِي لَا يُمْكِنُ مَنْعُهُ وَلَا دَفْعُهُ، وَمَنْ نَفَاهَا لَا حُجَّةَ مَعَهُ فِي مُقَابَلَةِ مَنْ أَثْبَتَهَا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. ثُمَّ هُمْ كَالْمُجْمِعِينَ عَلَى أَنَّهَا كَانَتْ فِي ذِي الْقَعْدَةِ بَعْدَ غَزْوَةِ الطَّائِفِ وَقَسْمِ غَنَائِمِ حُنَيْنٍ. وَمَا رَوَاهُ الْحَافِظُ أَبُو الْقَاسِمِ الطَّبَرَانِيُّ فِي " مُعْجَمِهِ الْكَبِيرِ " قَائِلًا: حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْحَاقَ التُّسْتَرِيُّ ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْأَسَدِيُّ ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ عُمَيْرٍ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الطَّائِفِ نَزَلَ الْجِعْرَانَةَ فَقَسَمَ بِهَا الْغَنَائِمَ، ثُمَّ اعْتَمَرَ مِنْهَا، وَذَلِكَ لِلَيْلَتَيْنِ بَقِيَتَا مِنْ شَوَّالٍ» فَإِنَّهُ غَرِيبٌ جِدًّا، وَفِي إِسْنَادِهِ نَظَرٌ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ثَنَا إِسْمَاعِيلُ ثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَطَاءُ بْنُ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ أَخْبَرَهُ «أَنَّ يَعْلَى كَانَ يَقُولُ: لَيْتَنِي أَرَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ يَنْزِلُ عَلَيْهِ. قَالَ: فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْجِعْرَانَةِ وَعَلَيْهِ ثَوْبٌ قَدْ أُظِلَّ بِهِ، مَعَهُ فِيهِ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِهِ، إِذْ جَاءَهُ أَعْرَابِيٌّ عَلَيْهِ جُبَّةٌ
পৃষ্ঠা - ৩৫৯৩

সেখানে ছিল না; বরং মক্কা থেকে বের হয়ে তারা বাইরে অবস্থান করে ৷ উমরার তিন দিন
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর মক্কায় অবস্থানকালে সেখানকার অধিবাসিরা আত্মগােপন করে থাকে ৷ আর
যে উমরা তিনি হরুজ্জর সাথে আদায় করেন, যে উমরা পালন শেষে তিনি হড়ালাল হননি ৷ এ
ব্যাপারে কারোর কোন মতবিরোধ নেই ৷ সুতরাং প্রমাণিত হল যে, মারওয়া পাহাড়ের সন্নিকটে
মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান কর্তৃক রাসুলুল্লাহ্র মাথার চুল হীটা হয় যে উমরার তা হলো উমরাতুল
জিইররানা ৷ ইবন ইসহাক বলেন : এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিইবৃরানা হতে উমরার উদ্দেশ্যে বের
হলেন এবং গনীমতের অবশিষ্ট মালামাল মার্কয-যাহরানের পাশে মাজান্নায় সংরক্ষণ করার নির্দেশ
দিলেন ৷

আমি বলি : এটা সহজেই বুঝা যায় যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) গনীমতের কিছু মাল অবশিষ্ট রেখে
দেন, যাতে মক্কা-মদীনার মাঝে কোন বেদুঈনের সাথে সাক্ষাৎ হলে তাদের মন আকৃষ্ট করার
জন্যে প্রদান করতে পারেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন : উমরা শেষ করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) মদীনায় প্রতাড়াবর্তন করেন ৷ তিনি
আত্তাব ইবন আসীদ (রা) কে মক্কার প্রশাসক নিযুক্ত করে যান এবং লোকজনকে দীনের জ্ঞান ও
কুরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্যে মুআয ইবন জাবাল (রা)-কে তার সাথে রেখে যান ৷ উরওযা ও মুসা
ইবন উকবা বলেন : হাওয়াযিনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার পুল্কইে রাসুলুল্লাহ্ (সা) আত্তাব (রা) এর
সংগে মুআয (রা)-ণ্ক মক্কার দায়িত্বে রেখে যান ৷ এরপর মদীনায় প্রত্যাবর্তন করার সময় তিনি
তাদেরকে মক্কার শাসক হিসেবে নিযুক্ত করেন ৷

ইবন হিশাম বলেন : যায়দ ইবন আসলাম হতে আমার নিকট সংবাদ পৌছেছে যে , তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আত্তাব ইবন আসীদ (রা)-ফে মক্কার শাসক নিযুক্ত করার সময় তার
জন্যে দৈনিক এক দিরহাম ভাতা নির্ধারণ করে যান ৷ পরে তিনি লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে
গিয়ে বলেন, “হে জনমওলী ! আল্লাহ সেই ব্যক্তির ক্ষুধা নিবারণ করে দিয়েছেন যায় এক
দিরহামের ক্ষুধা ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমার জন্যে দৈনিক এক দিরহাম ভাতা নির্ধারণ করে
দিয়েছেন ৷ সুতরাং কারও কাছে আমার আর কোন প্রয়োজন নেই ৷ ইবন ইসহাক বলেন :
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর উমরা পালিত হয় যিল-কাদ মাসে ৷ তিনি যিল-কা’দার শেষে কিংবা যিল-হাজ্জ
মাসের প্রথম দিকে মদীনায় প্রবেশ করেন ৷

ইবন হিশাম বলেন : আবু আমর মাদানীর ধারণা মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যুল-কা’দার ছয় দিন
বাকী থাকতে মদীনায় পৌছেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : সে বছর লোকেরা আরবদের প্রচলিত
নিয়ম অনুযায়ী হজ্জ পালন করে ৷ আত্তাব ইবন আসীদ (রা) মুসলমানদের সাথে নিয়ে ঐ বছর হজ্জ
আদায় করেন ৷ এটা ছিল হিজরী অষ্টম সাল ৷ বংনািকারী বলেন, তায়েফবাসী তাদের শিরকের
উপর অবিচল হয়ে থাকে ৷ তারা অষ্টম হিজরীর যিল-কাদ মাস থেকে নবম হিজরীর রমযান মাস
পর্যন্ত তাদের তায়েফ দৃর্গে অবস্থান করে ৷

কাব ইবন যুহড়ায়র ইবন আবু সুলমার ইসলাম গ্রহণ ও তার বিখ্যাত
কাসীদা বানাত সুঅড়াদ

ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তায়েফ থেকে ফিরে আসলে বুজ্যয়র ইবন যুহায়র

৮১ ——

مُتَضَمِّخٌ بِطِيبٍ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ تَرَى فِي رَجُلٍ أَحْرَمَ بِعُمْرَةٍ فِي جُبَّةٍ بَعْدَ مَا تَضَمَّخَ بِالطِّيبِ؟ فَأَشَارَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ إِلَى يَعْلَى بِيَدِهِ أَنْ تَعَالَ، فَجَاءَ يَعْلَى فَأَدْخَلَ رَأْسَهُ، فَإِذَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحْمَرُّ الْوَجْهِ يَغِطُّ كَذَلِكَ سَاعَةً، ثُمَّ سُرِّيَ عَنْهُ، فَقَالَ: " أَيْنَ الَّذِي يَسْأَلُنِي عَنِ الْعُمْرَةِ آنِفًا؟ فَالْتُمِسَ الرَّجُلُ فَأُتِيَ بِهِ، قَالَ: " أَمَّا الطِّيبُ الَّذِي بِكَ فَاغْسِلْهُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، وَأَمَّا الْجُبَّةُ فَانْزِعْهَا، ثُمَّ اصْنَعْ فِي عُمْرَتِكَ كَمَا تَصْنَعُ فِي حَجِّكَ ".» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ وَأَخْرَجَاهُ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ، عَنْ عَطَاءٍ كِلَاهُمَا عَنْ صَفْوَانَ بْنِ يَعْلَى عَنْ أَبِيهِ بِهِ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو أُسَامَةَ أَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: «دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ مِنْ كَدَاءَ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ وَدَخَلَ فِي الْعُمْرَةِ مِنْ كُدَى» . وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: ثَنَا مُوسَى أَبُو سَلَمَةَ ثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ اعْتَمَرُوا مِنَ الْجِعْرَانَةِ، فَرْمَلُوا بِالْبَيْتِ ثَلَاثًا وَمَشَوْا أَرْبَعًا، وَجَعَلُوا أَرْدِيَتَهُمْ تَحْتَ
পৃষ্ঠা - ৩৫৯৪
آبَاطِهِمْ، ثُمَّ قَذَفُوهَا عَلَى عَوَاتِقِهِمُ الْيُسْرَى.» تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ. وَرَوَاهُ أَيْضًا ابْنُ مَاجَهْ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ خُثَيْمٍ عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ مُخْتَصَرًا. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: ثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ حَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ طَاوُسٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ أَخْبَرَهُ قَالَ: «قَصَّرْتُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِشْقَصٍ أَوْ قَالَ: رَأَيْتُهُ يُقَصِّرُ عَنْهُ بِمِشْقَصٍ عِنْدَ الْمَرْوَةِ.» وَقَدْ أَخْرَجَاهُ فِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ جُرَيْجٍ بِهِ. وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ عَنْ هِشَامِ بْنِ حُجَيْرٍ عَنْ طَاوُسٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ بِهِ. وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيُّ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيهِ بِهِ. وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ ابْنُ الْإِمَامِ أَحْمَدَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ مُحَمَّدٍ النَّاقِدُ ثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ ثَنَا سُفْيَانُ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ قَالَ: «قَصَّرْتُ عَنْ رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ الْمَرْوَةِ.» . وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَذَا إِنَّمَا يَتَوَجَّهُ أَنْ يَكُونَ فِي عُمْرَةِ الْجِعْرَانَةِ وَذَلِكَ أَنَّ عُمْرَةَ
পৃষ্ঠা - ৩৫৯৫

ইবন আবুসুলমা তার সহােদর কাব ইবন যুহায়রকে পত্র লিখে জানান যে, মক্কার যে সব লোক
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিন্দা করতো ও তাকে কষ্ট দিভাে ৷ তাদের কতিপয়কে তিনি হত্যা
করেছেন ৷ কুরায়শদের যে সব করি এখনও বেচে আছে যেমন ইবনুয যুবা’রী ও হুবায়রা ইবন
আবু ওহব তারা চারিদিকে পালিয়ে রেড়াচ্ছে ৷ তুমি যদি বেচে থাকা প্রয়োজন মনে কর তবে
দ্রুত রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে চলে এসো ৷ কেননা, যে লোক তাওবা করে তীর কাছে আসে
তাকে তিনি হত্যা করেন না ৷ আর যদি তুমি তা না কর ৷ তবে পৃথিবীর কোন নিরাপদ স্থানে গিয়ে
আত্মরক্ষা কর ৷ কা’ব ইবন যুহায়র বলেছিলেন :

াহ্রা; এ্যা১ স্পো
;;ৰু৷ ;,এে
এ্যাশু

“ওহে ! বুজায়রের কাছে আমার পক্ষ থেকে এ বার্তা পৌছিয়ে দাও যে, তুমি যে কথা
বলেছো সে জন্যে তোমাকে ধিক্কার জানইি ৷ ধিক তোমাকে, এ কি তোমার নিজের কথা ?

তুমি যদি না মান, তবে আমাদের পরিষ্কারভারে জানিয়ে দাও যে, এটা ছাড়া আর কোন
জিনিসের দিকে যে তোমাকে পথ দেখিয়েছে ?

এমন আদর্শের দিকে কি, যার উপরে তার পিতাকে এক দিনের জন্যে আমি পইিনি ? আর
তুমি তোমার পিতাকেও তার উপর কখনও পাবে না ৷

যদি তুমি না মান তাহলে আমি আফসােসও করবো না ৷ কোন কথাও বলবো না ৷ তোমার
পদস্থালন হয়ে থাকলে তা তোমার জন্যে অভিশাপ বটে ৷

মামুন (বিশ্বস্ত মুহাম্মাদ) তোমাকে এর পেয়ালা ভাল করে পান করিয়েছেন এবং বারবার পান
করিয়েছেন ৷ এর দ্বারা মামুন’ নিজেকে শংকার মধ্যে নিক্ষেপ করেছেন ” ৷

ইবন হিশাম বলেন, কবিতা সম্পর্কে অভিজ্ঞ জনৈক ব্যক্তি উক্ত কবিতাটি আমাকে
নিম্নোক্তভাবে আবৃত্তি করে শুনিয়েছে :

াওধ্রুধ্ ধ্রু<ান্-ণ্ ১প্রুণ্ণ্এেঞ শুম্এে



الْحُدَيْبِيَةِ لَمْ يَدْخُلْ إِلَى مَكَّةَ فِيهَا، بَلْ صُدَّ عَنْهَا كَمَا تَقَدَّمَ بَيَانُهُ، وَأَمَّا عُمْرَةُ الْقَضَاءِ فَلَمْ يَكُنْ أَبُو سُفْيَانَ أَسْلَمَ، وَلَمْ يَبْقَ بِمَكَّةَ مِنْ أَهْلِهَا أَحَدٌ حِينَ دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَلْ خَرَجُوا مِنْهَا، وَتَغَيَّبُوا عَنْهَا مُدَّةَ مُقَامِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَا تِلْكَ الثَّلَاثَةَ الْأَيَّامِ، وَعُمْرَتُهُ الَّتِي كَانَتْ مَعَ حَجَّتِهِ لَمْ يَتَحَلَّلْ مِنْهَا بِالِاتِّفَاقِ. فَتَعَيَّنَ أَنَّ هَذَا التَّقْصِيرَ الَّذِي تَعَاطَاهُ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، مِنْ رَأْسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ الْمَرْوَةِ إِنَّمَا كَانَ فِي عُمْرَةِ الْجِعْرَانَةِ كَمَا قُلْنَا. وَاللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ رَحِمَهُ اللَّهُ: ثُمَّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْجِعْرَانَةِ مُعْتَمِرًا، وَأَمَرَ بِبَقَايَا الْفَيْءِ فَحُبِسَ بِمَجَنَّةَ بِنَاحِيَةِ مَرِّ الظَّهْرَانِ. قُلْتُ: الظَّاهِرُ أَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّمَا اسْتَبْقَى بَعْضَ الْمَغْنَمِ لِيَتَأَلَّفَ بِهِ مَنْ يَلْقَاهُ مِنَ الْأَعْرَابِ فِيمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عُمْرَتِهِ انْصَرَفَ رَاجِعًا إِلَى الْمَدِينَةِ وَاسْتَخْلَفَ عَتَّابَ بْنَ أَسِيدٍ عَلَى مَكَّةَ وَخَلَّفَ مَعَهُ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ يُفَقِّهُ النَّاسَ فِي الدِّينِ، وَيُعَلِّمُهُمُ الْقُرْآنَ. وَذَكَرَ عُرْوَةُ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلَّفَ مُعَاذًا مَعَ عَتَّابٍ بِمَكَّةَ قَبْلَ خُرُوجِهِ إِلَى هَوَازِنَ، ثُمَّ خَلَّفَهُمَا بِهَا حِينَ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَقَالَ ابْنُ هِشَامٍ وَبَلَغَنِي عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ أَنَّهُ قَالَ: لَمَّا اسْتَعْمَلَ
পৃষ্ঠা - ৩৫৯৬
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَتَّابَ بْنَ أَسِيدٍ عَلَى مَكَّةَ رَزَقَهُ كُلَّ يَوْمٍ دِرْهَمًا، فَقَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ، أَجَاعَ اللَّهُ كَبِدَ مَنْ جَاعَ عَلَى دِرْهَمٍ، فَقَدْ رَزَقَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِرْهَمًا كُلَّ يَوْمٍ، فَلَيْسَتْ بِي حَاجَةٌ إِلَى أَحَدٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَتْ عُمْرَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ، وَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فِي بَقِيَّةِ ذِي الْقَعْدَةِ، أَوْ فِي أَوَّلِ ذِي الْحِجَّةِ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ قَدِمَهَا لِسِتٍّ بَقِينَ مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ. فِيمَا قَالَ أَبُو عَمْرٍو الْمَدِينِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَجَّ النَّاسُ ذَلِكَ الْعَامَ عَلَى مَا كَانَتِ الْعَرَبُ تَحُجُّ عَلَيْهِ، وَحَجَّ بِالْمُسْلِمِينَ تِلْكَ السَّنَةَ عَتَّابُ بْنُ أَسِيدٍ وَهِيَ سَنَةُ ثَمَانٍ. قَالَ: وَأَقَامَ أَهْلُ الطَّائِفِ عَلَى شِرْكِهِمْ وَامْتِنَاعِهِمْ فِي طَائِفِهِمْ مَا بَيْنَ ذِي الْقَعْدَةِ إِلَى رَمَضَانَ مِنْ سَنَةِ تِسْعٍ.