سنة ثمان من الهجرة النبوية
غزوة هوازن يوم حنين
ذكر مجيء أخت رسول الله صلى الله عليه وسلم من الرضاعة إليه وهو بالجعرانة
পৃষ্ঠা - ৩৫৮৬
দুধ মা ও দুধ পিতা দু ’জনেই তার কাছে এসেছিলেন ৷ এটা ক৩ ৩টুকু সত্য আ ৷ল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
আবুদাউদ তার মুবসাল বর্ণনায় আহমদ ইবন স৷ ঈদ হামদানী উমার ইবন স ৷ইব সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা বসা অবস্থায় ছিলেন ৷ এমন সময়৩ তার দুধ পিতা তার
কাছে আসেন ৷ তিনি তাকে নিজের কাপড়ের এক অংশ বিছিয়ে দেন ৷৩ তার উপর তিনি বললেন ৷
এরপর তা ৷র দুধ মা ও সেখানে এসে হাযির হন ৷ এবার তিনি ঐ কাপড়ের অপর অংশ তার জন্যে
বিছিয়ে দেন ৷ তিনি তার উপর বসে পড়েন ৷ এরপর আসে তার দুধ তা ৷ই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
দাড়িয়ে তাকে সম্মুখে বসতে দেন ৷ ইতোপুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হাওয়াযিনের গোটা
সম্প্রদায়ই বনু সা দ ইবন বকরের দুধ পান করানোর ফলে উপকৃত হয় ৷ বনৃ সাদ হাওয়াযিনেরই
একটি ক্ষুদ্র দল ৷ এ জন্যেই তাদের বক্তা যুহায়র ইবন সাবৃদ বলেছিল, “ইহ্৷ রাসুলাল্লাহ্ ! এই
ঘোরর মধ্যে যাব ৷ বআছে তারা তাে আপনারই (দুধ) মা, খালা ও লালন পালনকাবী ৷৩ তাই আপনি
আমাদের প্ৰতি সদয় হন, আল্লাহ আপনার প্রতি সদয় হবেন” ৷ এরপর তিনি কবিতায় বলেন :
“আপনি অনুগ্রহ করুন সেই সব বমণীদের প্ৰতি যাদের দুধ আপনি পান করেছিলেন ৷ যাদের
বিশুদ্ধ দুধ সর্বদা আপনার পেট পরিপুর্ণ করে রাখভো ৷
অনুগ্রহ দান করুন ঐসব মহিলাদের প্রতি যাদের দুধ সেবন করে আপনি লালিত পালিত
হয়েছেন ৷ যা সংরক্ষণ করে ও যা পরিত্যাগ করে তা আপনার মর্যাদাকে সুশোভিত করে” ৷
গোটা হাওয়াযিন সম্প্রদায়ের মুক্তিলাভের এটাই ছিল প্রকৃত কারণ ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
অনুগ্রহ তাদের প্রবীণ, নবীন, ব্যক্তি বিশেষ ও সর্ব সাধারণের উপর পতিত হয় ৷ ওয়াকিদী ইবরাহীম
ইবন মুহাম্মাদ ইবন শুরাহবীল সুত্রে৩ তার পিতা থেকে বণ্নাি ৷করেন যে তিনি বলেছেন, নাদীর
ইবন হারিছ ইবন কলদাহ ছিলেন একজন সুদর্শন পুরুষ ৷ তিনি বলতেন৪ “যাবতীয় প্রশং যা সেই
আল্লাহর যিনি ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দিয়ে আমাদের প্রতি বড় অনুগ্রহ করেছেন ৷ আর মৃহ ৷স্মাদ
(সা) এর মাধ্যমে আমাদের উপর ইহসান করেছেন ৷ ফলে আমাদের মৃত্যু সেই ভ্রান্তির উপর
হচ্ছেনা, যে ভ্রান্তির উপর আমাদের ভ্রাতাগণ ও পিতৃব্য পুত্রগণ নিহত হয়েছে” ৷ এরপর নাদীর
ইবন হারিছ নবী (না)-এর সাথে শত্রুতার কথাও উল্লেখ করেন ৷ তিনি বলেন যে “কুরায়শদের
মধ্য হতে তাদের সম্প্রদায়ের সাথে তিনিও হুনায়ন গমন করেন ৷ কুরায়শদের এ অংশটি
পরবর্তীকালে তাদের দীনের উপরই থেকে যায় ৷ নাদীর বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল, যদি
মুহাম্মাদের বিপর্যয় ঘটে তাহলে আমরা তার উপর হামলা করবো ৷ কিন্তু আমরা তাতে সক্ষম
হলাম না ৷ এরপর যখন তিনি জিইবরানায় আসেন, তখনও আমি আমার পুর্বের পরিকল্পনার উপরই
ছিলাম ৷ তখন আল্লাহর কসম ! আল্লাহর রাসুল (সা ) ব্যতীত আমার অন্য কোন চিন্তা ছিল না ৷
এমন সময় তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কি, নাদীর না কি ? আ ৷মি বললাম, জি হীা, আ ৷মি হাযির ৷ তিনি
বললেন, হুনা য়নের দিন তমি যে পরিকল্পনা করেছিলে-যা যার মাঝে অ ৷ল্লাহ্ প্রতিরন্ধকতা সৃষ্টি করে
দিয়েছিলেন, নতার চেয়ে উত্তম জিনিস কি তুমি পেতে চাও ? এ কথা শুনে আমি দ্রুত তার কাছে
[ذِكْرُ مَجِيءِ أُخْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الرَّضَاعَةِ إِلَيْهِ وَهُوَ بِالْجِعْرَانَةِ]
ِ، وَاسْمُهَا الشَّيْمَاءُ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَوْمَ هَوَازِنَ: " إِنْ قَدَرْتُمْ عَلَى بِجَادٍ - رَجُلٍ مَنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ - فَلَا يُفْلِتَنَّكُمْ ". وَكَانَ قَدْ أَحْدَثَ حَدَثًا، فَلَمَّا ظَفِرَ بِهِ الْمُسْلِمُونَ سَاقُوهُ وَأَهْلَهُ، وَسَاقُوا مَعَهُ الشَّيْمَاءَ بِنْتَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى، أُخْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الرَّضَاعَةِ، قَالَ: فَعَنَفُوا عَلَيْهَا فِي السُّوقِ، فَقَالَتْ لِلْمُسْلِمِينَ: تَعْلَمُوا وَاللَّهِ إِنِّي لَأُخْتُ صَاحِبِكُمْ مِنَ الرَّضَاعَةِ. فَلَمْ يُصَدِّقُوهَا حَتَّى أَتَوْا بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.» .
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ السَّعْدِيُّ - هُوَ أَبُو وَجْزَةَ - قَالَ: «فَلَمَّا انْتَهِي بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي أُخْتُكَ مِنَ الرَّضَاعَةِ. قَالَ: " وَمَا عَلَامَةُ ذَلِكَ؟ " قَالَتْ: عَضَّةٌ عَضِضْتَنِيهَا فِي ظَهْرِي وَأَنَا مُتَوَرِّكَتُكَ. قَالَ: فَعَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَلَامَةَ، فَبَسَطَ لَهَا رِدَاءَهُ فَأَجْلَسَهَا عَلَيْهِ، وَخَيَّرَهَا وَقَالَ: إِنْ أَحْبَبْتِ فَعِنْدِي مُحَبَّةٌ مُكَرَّمَةٌ، وَإِنْ أَحْبَبْتِ أَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৮৭
ছুটে যাই ৷ তিনি বললেন : “যার মধ্যে তুমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিলে সে বিষয়ে সুক্ষ্মভারে দৃষ্টি দেয়ার
সময় এসেছে” ৷ আমি বললাম, “এখন আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি যে, আল্লাহর সাথে যদি আর
কেউ শরীক থাকতো, তা হলে সে আমার কোন না কোন উপকারে আসতো ৷ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি-
আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই ৷ তিনি একক, তার কোন শরাক নেই” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তখন বললেন : “হে আল্লাহ ৷ তাকে তুমি দৃঢ়-পদ রাখ ৷ নাদীর বলেন, কসম সেই সত্তার ! যিনি
তাকে সতদ্বসহ পাঠিয়েছেন, আমার অন্তর তখন থেকে দীনের উপর পাথরের ন্যায় অনড় মযৰুত
হয়ে যায় এবং সতদ্রকে সুক্ষ্মভাবে বুঝতে সক্ষম হই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন, সকল
ৎসা সেই অাল্লাহ্র, যিনি তাকে সঠিক পথ দান করেছেন ৷
যিলকাদ মাসে উমরাতুল জিইর্রানা
ইমাম আহমদ বলেন : বাহয ও আবদুস সামাদ মু’নী আমার কছে হস্ফোম ইবন ইয়াহ্য়ার
সুত্রে কাতাদা থেকে বংনাি করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ৰুমানাস ইবন মালিক (বা) যে
জিজ্ঞেস করি যে, “রাসুলুল্লাহ্ (সা) কয়টি হজ্জ সম্পাদন করেন ? তনি বলেন, “একটি হজ্জ ও
চারটি উমরা সম্পাদন করেন ৷ তার মধ্যে একটি হুদায়বিয়ার সময় ৷ একটি মদীনা থেকে যিলকাদ
মাসে ৷ একটি জিইবৃরানা থেকে যিলকাদ মাসে ৷ যেখানে তিনি হুনায়নের গনীমত বন্টন
করেছিলেন ৷ আর একটি উমরা যা তিনি হব্লুজ্জর সাথে আদায় করেন” ৷ ইমাম বুখারী মুসলিম,
আবু দাউদ ও তিরমিযী এ হাদীছ বিভিন্ন সুত্রে হাম্মাম ইবন ইয়াহ্য়া থেকে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ তিরমিযী একে হাসান সহীহ্ বলে অভিহিত করেছেন ৷
ইমাম আহমদ বলেন ? আবুন নাযর ইকরিমা সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত
যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) চারটি উমর আদায় করেছেন ৷ উমরাতুল হুদায়বিয়া,
উমরাতুল কাযা ৷ত তৃতীয় উমরা জিইবরানা থেকে এবং চতর্থ উমরা হন্থজ্জর সাথে আদায় করেন ৷
আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবন মাজা ৷ ও হাদীছটি দাউদ ইবন আবদুর রহমান আত্তার আল-মকীর
সুত্রে আমর ইবন দীনার থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তিরমিযী একে হাসান বলে আখ্যায়িত
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন : ইয়াহয়া ইবন যাকারিয়া ইবন আবু যায়িদা আমর ইবন
আস থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তিনটি উমরা পালন করেছেন ৷ প্রতিটি
উমর ই যিলকাদ মাসে হয়েছে ৷ তিনি তালবিয়াপড়েছেন এবং শেষে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন
করেছেন ৷ এ সুত্রে হাদীছটি পরীব পর্যায়ের ৷ এ তিনটি সেই উমরা যেগুলো যিলকাদ মাসে
সম্পাদিত হয়েছে ৷ এ ছাড়া আরও একটি উমরা আছে যা তিনি তার হরুজ্জর সাথে আদায় করেন ৷
কেননা , এ উমরাটি হয়েছিল যিলহাজ্জ মাসে, হরুজ্জ্বর সাথে ৷ আর যদি ঐ তিনটি উমরার ইহরামের
সুচনা ধরা হয় যিলকাদ মাসে ৷ তা হলে মনে করতে হবে যে, তিনি হুদায়বিয়ার উমরাকে গণনা
থেকে বাদ দিয়েছেন ৷ কেননা, এ উমরায় কাফিররা বাধা দেয় ৷ ফলেত তা আদায় করা সম্ভব হয়নি ৷
গ্রন্থকার বলেন৪ নাফি ওত তার মনিব ইবন উমর (রা) জিইবরানা থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
উমরা পালনের কথা সম্পুর্পতা বে আীকার করেছেন ৷ত তাদের এ আীকারের কারণ আছে ৷ যেমন
ইমাম বৃখারী বলেন, ইবন নু’মান হাম্মাদ ইবন যায়দ — ইবন উমার (রা) সুত্রে বর্ণিত যে,
উমর ইবন খাত্তাব (বা ) বলেছিলেনং : “ইয়া রাসুলা ল্লাহ্ ! জাহিলী যুগে আমি বায়ত ৩ট্রুল্লায় ই তিকাফ
أُمَتِّعَكِ وَتَرْجِعِي إِلَى قَوْمِكِ فَعَلْتُ ". قَالَتْ: بَلْ تُمَتِّعُنِي وَتَرُدُّنِي إِلَى قَوْمِي. فَمَتَّعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَدَّهَا إِلَى قَوْمِهَا، فَزَعَمَتْ بَنُو سَعْدٍ أَنَّهُ أَعْطَاهَا غُلَامًا يُقَالُ لَهُ: مَكْحُولٌ. وَجَارِيَةً، فَزَوَّجَتْ أَحَدَهُمَا الْآخَرَ، فَلَمْ يَزَلْ فِيهِمْ مِنْ نَسْلِهِمَا بَقِيَّةٌ.» .
وَرَوَى الْبَيْهَقِيُّ مِنْ حَدِيثِ الْحَكَمِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ هَوَازِنَ جَاءَتْ جَارِيَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا أُخْتُكَ، أَنَا شَيْمَاءُ بِنْتُ الْحَارِثِ. فَقَالَ لَهَا: " إِنْ تَكُونِي صَادِقَةً، فَإِنَّ بِكِ مِنِّي أَثَرٌ لَا يَبْلَى ". قَالَ: فَكَشَفَتْ عَنْ عَضُدِهَا، فَقَالَتْ: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَأَنْتَ صَغِيرٌ، فَعَضِضْتَنِي هَذِهِ الْعَضَّةَ. قَالَ: فَبَسَطَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِدَاءَهُ، ثُمَّ قَالَ: " سَلِي تُعْطَيْ، وَاشْفَعِي تُشَفَّعِي ".» .
وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ أَنْبَأَنَا أَبُو نَصْرِ بْنُ قَتَادَةَ أَنْبَأَنَا أَبُو عَمْرٍو إِسْمَاعِيلُ بْنُ نُجَيْدٍ السُّلَمِيُّ ثَنَا أَبُو مُسْلِمٍ ثَنَا أَبُو عَاصِمٍ ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ يَحْيَى بْنِ ثَوْبَانَ أَخْبَرَنِي عَمِّي عُمَارَةُ بْنُ ثَوْبَانَ أَنَّ أَبَا الطُّفَيْلِ أَخْبَرَهُ قَالَ: «كُنْتُ غُلَامًا أَحْمِلُ عَظْمَ الْبَعِيرِ، وَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْسِمُ لَحْمًا بِالْجِعْرَانَةِ. قَالَ: فَجَاءَتْهُ امْرَأَةٌ فَبَسَطَ لَهَا رِدَاءَهُ، فَقُلْتُ: مَنْ هَذِهِ؟ قَالُوا: أُمُّهُ الَّتِي أَرْضَعَتْهُ» هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ، وَلَعَلَّهُ يُرِيدُ أُخْتَهُ، وَقَدْ كَانَتْ تَحْضُنُهُ مَعَ أُمِّهَا حَلِيمَةَ السَّعْدِيَّةِ، وَإِنْ كَانَ مَحْفُوظًا فَقَدْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৮৮
করার মানত করেছিলাম ৷ যে কাজটি আমার উপর এখনও বাকী রয়ে গেছে” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
উমর ইবন খাত্তাব (রা)-কে তা আদায় করার নির্দেশ দেন ৷ ইবন উমর বলেন, (“আমার পিতা)
উমর হুনায়ন থেকে দুটি দাসী লাভ করেন ৷ দাসী দুটিকে তিনি মক্কায় এক বাড়িতে রাখেন ৷
এ ঘোষণা শুনার পর লোকজন পখে-ঘাটে ছুটাছুটি করতে থাকে ৷ তখন পিতা উমর (রা)
আমাকে বললেন, হে আবদুল্লাহ দেখােতাে বাইরে এ কি হয়েছে ? ইবন উমর (রা) জানালেন
যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) বন্দীদের প্ৰতি অনুকম্পা করেছেন তাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন ৷ উমর (রা)
বললেন, “তা হলে তুমি যাও, আমার বন্দী দাসী দুটিকে ছেড়ে দিয়ে ন্ভ্রম্পে” ৷ নাফি বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (না) জিইবৃরানা থেকে উমরা আদায় করেননি ৷ কেননা, তিনি যদি উমরা আদায়
করতেন তাহলে আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) এর নিকট তা গোপন থাকতো না ৷ এ হাদীছটি
ইমাম মুসলিম আইউব সখতিয়ানী নাফি সুত্রে ইবন উমর (রা) থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম মুসলিম আহমদ ইবন আবদা দাবই নাফি থেকে বর্ণনা করু-ৱন যে, তিনি বলেছেন,
একদা ইবন উমর (রা) এর নিকট “রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর জিইবৃরানা থেকে উমরা করার বিষয়টি
উল্লেখ করা হয় ৷ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) জিইবৃরানা থেকে উমরা আদায় করেননি” ৷
উমরাতুল জিইররান৷ অস্বীকার করা প্রসংগে ইবন উমর (রা) ও তীর মুক্ত গোলাম নাফি“র বর্ণনা
অতিশয় পরীব পর্যায়ের ৷ তবে নাফি ও ইবন উমর (রা) ব্যতীত অন্যান্য সকল বর্ণনাকারী
উমরাতৃল জিইবৃরানার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন ৷ সহীহ্ সৃনান ও মুসনাদ গ্রন্থসমুহে সে
সব হাদীছ বর্ণিত হয়েছে ৷ সকল মাগাষী ও সুনান গ্রন্থকারগণ তা উল্লেখ করেছেন ৷ তারা এ
ব্যাপারেও একমত, যেমন বুখারী ও মুসলিমে আতা ইবন আবু রাবাহ উরওয়া সুত্রে আইশা (বা)
থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইবন উমর (রা) এর এই বক্তব্য যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) রজব মাসে উমরা
পালন করেছেন, অস্বীকার করেছেন ৷ তিনি আরও বলেছেন, “আল্লাহ্ আবু আবদুর রাহমান (ইবন
উমর)কে ক্ষমা করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) এমন কোন উমরা করেননি যাতে তিনি সংগী ছিলেন
না ৷ অথচ রাসুলুল্লাহ্ (সা) রজব মাসে কোন উমরা পালন করেননি” ৷ ইমাম আহমদ বলেন :
ইবন নুমায়র আ ’মাশ মুজাহিদ সুত্রে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন : উরওয়া ইবন যুবায়র একদা ইবন
উমর (রা ) কে জিজ্ঞেস করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না) কোন মাসে উমরা করেছিলেন ? জবাবে তিনি
বলেন, রজব মাসে ৷ পরে আইশা (রা) আমাদেরকে শুনান যে, তার কাছে ইবন যুবায়র জিজ্ঞেস
করেছিল এবং ইবন উমরের মতামতের কথা জানিয়েছিল ৷ উত্তরে আইশা (রা) বলেছিলেন,
“আল্লাহ আবু আবদুর রহমানকে ক্ষমা করুন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না) এমন কোন উমরা করেননি যাতে
তিনি সংপী থাকেননি, অথচ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যিলকাদ মাস ব্যতীত অন্য কোন মানে কখনও উমরা
আদায় করেননি” ৷ বুখারী ও মুসলিম এ হাদীছ জারীর মানসুর মুজাহিদ সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা
করেছেন ৷ আবু দাউদ এবং নাসাঈ ও এ হাদীছ যুহায়র আবু ইসহাক মুজাহিদ সুত্রে বর্ণনা
করেছেন ৷ তিনি বলেন, ইবন উমর (রা)-কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কতবার
উমরা আদায় করেছেন ? জবাবে তিনি বললেন, দৃ’বার ৷ আইশা (রা ) বললেন, ইবন উমর (রা)
জানেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হরুজ্জর সাথে মিলিত উমরাটি বাদে আরও তিনটি উমরা পালন
করেছেন ৷ ইমাম আহমদ বলেন : ইয়াহ্ইয়া ইবন আদম মুফাদদাল মানসুর মুজাহিদ সুত্রে বর্ণিত
عَمَّرَتْ حَلِيمَةُ دَهْرًا، فَإِنَّ مِنْ وَقْتِ أَرْضَعَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى وَقْتِ الْجِعْرَانَةِ أَزْيَدَ مِنْ سِتِّينَ سَنَةً، وَأَقَلُّ مَا كَانَ عُمْرُهَا حِينَ أَرْضَعَتْهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثَلَاثُونَ سَنَةً، ثُمَّ اللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا عَاشَتْ بَعْدَ ذَلِكَ.
وَقَدْ وَرَدَ حَدِيثٌ مُرْسَلٌ، فِيهِ أَنَّ أَبَوَيْهِ مِنَ الرَّضَاعَةِ قَدِمَا عَلَيْهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِصِحَّتِهِ; قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي " الْمَرَاسِيلِ ": ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ ثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ السَّائِبِ حَدَّثَهُ أَنَّهُ بَلَغَهُ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ جَالِسًا يَوْمًا، فَجَاءَهُ أَبُوهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَوَضَعَ لَهُ بَعْضَ ثَوْبِهِ، فَقَعَدَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَقْبَلَتْ أُمُّهُ، فَوَضَعَ لَهَا شِقَّ ثَوْبِهِ مِنْ جَانِبِهِ الْآخَرِ، فَجَلَسَتْ عَلَيْهِ، ثُمَّ جَاءَ أَخُوهُ مِنَ الرَّضَاعَةِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَجْلَسَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ» وَقَدْ تَقَدَّمَ أَنَّ هَوَازِنَ بِكَمَالِهَا مُتَوَالِيَةٌ بِرَضَاعَتِهِ مِنْ بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ، وَهُمْ شِرْذِمَةٌ مِنْ هَوَازِنَ، فَقَالَ خَطِيبُهُمْ زُهَيْرُ بْنُ صُرَدٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ مَا فِي الْحَظَائِرِ أُمَّهَاتُكَ وَخَالَاتُكَ وَحَوَاضِنُكَ فَامْنُنْ عَلَيْنَا مَنَّ اللَّهُ عَلَيْكَ، وَقَالَ فِيمَا قَالَ:
امْنُنْ عَلَى نِسْوَةٍ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهَا ... إِذْ فُوكَ يَمْلَؤُهُ مِنْ مَحْضِهَا دِرَرُ
امْنُنْ عَلَى نِسْوَةٍ قَدْ كُنْتَ تَرْضَعُهَا ... وَإِذْ يَزِينُكَ مَا تَأْتِي وَمَا تَذَرُ
فَكَانَ هَذَا سَبَبَ إِعْتَاقِهِمْ عَنْ بَكْرَةِ أَبِيهِمْ، فَعَادَتْ فَوَاضِلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ قَدِيمًا وَحَدِيثًا، خُصُوصًا وَعُمُومًا.
وَقَدْ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ شُرَحْبِيلَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: «كَانَ النُّضَيْرُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ كَلَدَةَ مِنْ أَحْلَمِ النَّاسِ، فَكَانَ يَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ