আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

اعتراض بعض الجهلة من أهل الشقاق والنفاق على رسول الله صلى الله عليه وسلم في القسمة العادلة بالاتفاق

পৃষ্ঠা - ৩৫৮১

দিব ৷ এরপর আমি রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আসলাম এবং তাকে সে বিষয়ে অবহিত করলাম ৷
কথা শুনে তিনি বললেন, “আর কে ন্যায়-নীতি রক্ষা করবে ৷ যদি আল্লাহ্ ও তার রাসুল ন্যায়-নীতি
রক্ষা না করেন ? আল্লাহ মুসা (আ)-এর উপর সদয় হোন ৷ তাকে এর চেয়েও অধিক কষ্ট দেওয়া
হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি ধৈর্য ধারণ করেন” ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বলেন : আবু উবায়দা ইবন মুহাম্মাদ ইবন আমার ইবন ইয়াসির
আবদুল্লাহ ইবন হারিছ ইবন নওফলের আযাদকৃত গোলাম মিকসাম আবুল কাসেম থেকে বর্ণনা
করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি ও তালীদ ইবন কিলাব বেরিয়ে পড়লাম এবং আবদুল্লাহ ইবন
আমর ইবন আস (রা ) এর নিকট উপস্থিত হলাম ৷ তিনি তখন বায়তুল্লাহ্র তাওয়াফ করছিলেন ৷
তার হাতে ঝুলানাে ছিল তার জুতা ৷ আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, হুনায়নের দিন তামীমী যখন
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে কথা বলছিলো, তখন কি আপনি সেখানে উপ ত ছিলেন ? তিনি
বললেন, “হী৷ ৷ বনুতামীমের যুল খুওয়ায়সিরা নামক এক লোক এসে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর পাশে
দাড়ায় ৷ তিনি তখন মানুষের মধ্যে গনীমত বণ্টন করছিলেন ৷ ৷:লাকটি বললাে , “হে মুহাম্মাদ !
আজ যা আপনি করেছেন, আমি তা দেখেছি ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলা:লন, “আচ্ছা ৷ তা তুমি কি
দেখেছো” ? সে বললো, দেখলড়াম, আপনি ইনসাফ মত কাজ করেননি ৷ এ কথা শুনে তিনি
৫ক্রাধান্বিত হলেন ৷ তিনি বললেন, “ধিক্কার তোমাকে ; আমার কাছে যদি ইনসাফ না থাকে তবে
আর কার কাছে ইনসাফ থাকবে” ? তখন উমর ইবন খড়াত্তাব (রা ) বললেন, “ইয়া রাসুলাল্লাহ্ !
আমি কি তাকে হত্যা করবো না” ? তিনি বললেন ছেড়ে দাও ওকে ৷ ’ ভবিষ্যতে তার একটি দল
হবে ৷ যারা দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করবে ৷ ণ্শষ পর্যন্ত তারা দীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে,
যেমনভাবে তীর শিকার ভেদ করে বেরিয়ে যায় ৷ যার ফলকে লক্ষ্য করলে কিছুই পাওয়া যায়না ৷
তাবপবে দণ্ডের দিকে দৃষ্টি দিলেও কিছু পাওয়া যায় না ৷ এরপরে গোড়ার দিকে তাকালেও কিছু
পাওয়া যায় না ৷ অথচ তা গোবর ও রক্ত ভেদ করে বেরিয়ে গেছে” ৷

লায়ছ ইবন সা’দ ইয়াহয়া ইবন সাঈদ জাবির ইবন আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন যে
তিনি বলেছেন : একজন লোক জিইররানায় রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে আসে ৷ তিনি হুনড়ায়ন
থেকে যেখানে এসেছিলেন ৷ বিলালেব কাপড়ের মধ্যে ছিল রৌপ্য ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখান
থেকে তুলে নিয়ে লোকদের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছিলেন ৷ তখন লোকটি বললাে , “হে মুহাম্মাদ !
ইনসাফ মত কাজ করুন” ৷ তিনি বললেন, “তোমাকে ধিক্কার ! আমি যদি ইনসাফ মত কাজ না
করি তবে আর কে ইনসাফ করবে ? যদি আমি ইনসাফ না করি তাহলে তো আমি ক্ষতি ও

ত্সের মধ্যে পতিত হবো” ৷ তখন উমর ইবন খাত্তাব বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমাকে

অনুমতি দিন, এ মুনাফিককে হত্যা করে দিই” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, “আল্লাহর কাছে আশ্রয়
চাই, একে হত্যা করলে লোকে বলবে, আমি আমার সাথীদের হত্যা করি ৷ এই লোক ও তার
অনুপামীরা কুরআন পাঠ করে ; কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালীব নীচে যায় না ৷ তারা কুরআন থেকে
এমনভাবে বের হয়ে যায়, যেমনভাবে তীর বের হয়ে যায় শিকার ভেদ করে” ৷

ইমাম মুসলিম এ হাদীছটি মুহাম্মাদ ইবন রুমহ্ থেকে লায়ছ এর সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷
ইমাম আহমদ বলেন : আবু আমির কুবরা আমর ইবন দীনার সুত্রে জাবির থেকে বর্ণিত যে, তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (না) যখন হুনায়নেব গনীমত বণ্টন করছিলেন, তখন এক ব্যক্তি তার পাশে
৮০ —


سَمَّاهُمُ اللَّهُ أَنْصَارًا بِنَصْرِهِمُ دِينَ الْهُدَى وَعَوَانُ الْحَرْبِ تَسْتَعِرُ ... وَسَارَعُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَاعْتَرَفُوا لِلنَّائِبَاتِ وَمَا خَانُوا وَمَا ضَجِرُوا ... وَالنَّاسُ أَلْبٌ عَلَيْنَا فِيكَ لَيْسَ لَنَا إِلَّا السُّيُوفُ وَأَطْرَافُ الْقَنَا وَزَرُ ... نُجَالِدُ النَّاسَ لَا نُبْقِي عَلَى أَحَدٍ وَلَا نُضَيِّعُ مَا تُوحِي بِهِ السُّوَرُ ... وَلَا تُهِرُّ جُنَاةُ الْحَرْبِ نَادِيَنَا وَنَحْنُ حِينَ تَلَظَّى نَارُهَا سُعُرُ ... كَمَا رَدَدْنَا بِبَدْرٍ دُونَ مَا طَلَبُوا أَهْلَ النِّفَاقِ وَفِينَا يَنْزِلُ الظَّفَرُ ... وَنَحْنُ جُنْدُكَ يَوْمَ النَّعْفِ مِنْ أُحُدٍ إِذْ حَزَّبَتْ بَطَرًا أَحْزَابَهَا مُضَرُ ... فَمَا وَنَيْنَا وَمَا خِمْنَا وَمَا خَبَرُوا مِنَّا عِثَارًا وَكُلُّ النَّاسِ قَدْ عَثَرُوا [اعْتِرَاضُ بَعْضِ الْجَهَلَةِ مِنْ أَهْلِ الشِّقَاقِ وَالنِّفَاقِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْقِسْمَةِ الْعَادِلَةِ بِالِاتِّفَاقِ] قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا قَبِيصَةُ ثَنَا سُفْيَانُ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৮২

দাড়িয়ে বললো , ইনসাফ করুন ৷ তিনি বললেন, ইনসাফ না করলে তো আমি দুর্ভাগা হয়ে যাবো ৷
ইমাম বুখরী এ হাদীছ মুসলিম ইবন ইবরাহীমের সুত্রে কুবৃরা ইবন খালিদ সাদুসী থেকে অনুরুপ
বর্ণনা করেছেন ৷

বুখারী ও মুসলিমে ইমাম যুহরী আবু সালমার সুত্রে আবু সাঈদ (না) থেকে বংনাি করেন যে,
তিনি বলেছেন, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম ৷ তিনি গনীমতের মাল বণ্টন
করছিলেন ৷ এ সময় বনুতামীমের যুল-খৃঅয়ায়সিরা নামক স্থানে এসে বললো, “ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ !
আপনি ন্যায় বিচ৷ ৷র করুন” ৷ তিনি বললেন “ওহে দুর্ভ৷ গ৷ ! আমি যদিা৷ায় বিচার না কবি,৩া
হলে ন্যায় বিচ৷ ৷র করার আর কে আছে ? আমি তো তখন ধ্বং স ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাব ৷ আমি ন্যায়
বিচ৷ ৷র না করলে আর কে ন্যায় বিচ৷ ৷র করবে ?” তখন উমর ইবন খ্যত্তাব (রা) বললেন “ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ অনুমতি দিন, আমি এর গর্দান উড়িয়ে দিই” ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : “ওর
ব্যাপারটি ছেড়ে দাও ৷ ওর কিছু অনুসারী আছে ৷ তাদের সালাত ও সিয়ামের তুলনায় তোমরা
নিজেদের সালাত ও সিয়ামকে নিম্ন মানের মনে করবে ৷ তারা কুরআন পাঠ করে, কিন্তু৩া

তাদের কণ্ঠ নালীর নীচে পৌছায় না ৷৩ তারা ইসলামের মধ্য থেকে এমনভাহ্ র বের হয়ে যাবে

যেমনভাবে বের হয়ে যায় ভীর শিক কার ভেদ করে ৷ কিন্তু র্তীরের ফলার দিকে লক্ষ্য করলে কিছুই
দেখা যায় না ৷ কলার গোড়ার দিকে লক্ষ্য করলেও কিছু পাওয়া যায় না ৷ কা ৷ঠির দিকে তাকালেও
কিছু পাওয়া যায় না ৷ ফলার বক্র অ ×শের দিকে লক্ষ্য করলেও কোন আলামত দেখা যায় না ৷
অথচ তা শিকারের দেহের রক্ত ও গোবর ভেদ করে চলে গেছে” ৷ এই দলের একটি লক্ষণ
হলো, “তাদের এমন এক লোকের আবির্ভাব হবে যার গায়ের রং কৃষ্ণ বর্ণের ৷৩ তার একটা বাহু
হবে নারীর স্তনের মত ৎব৷ উচু মাংস খঃডের মত ৷ মাংস খণ্ডটি কাপত্তে থাকবে ৷ আমার
উম্মতের মধ্যে যখন দলাদলির সৃষ্টি হবে তখন এদের আবির্ভাব ঘটরে ৷ আবু সাঈদ (রা) বলেন,
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে আমি নিজে এ কথা শুনেছি ৷ আমি আরও সাক্ষ্য
দিচ্ছি যে, আলী ইবন আবু৩ তালিব (তার ৷খলাফত কালে) এদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন ৷ সে
লড়াইয়ে আমিও শরীক ছিলাম ৷ তিনি ঐ লোকটিকে খুজে বের করার নির্দেশ দেন ৷ লোকজন
তাকে পাওয়ার জন্যে অনুসন্ধান চালায় ৷ পরে সে ধৃত হয়ে তার কাছে আনীত হয় ৷ আমি ঐ
ব্যক্তির প্রতি লক্ষ্য করে দেখেছি, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যে সব আলামতের কথা বলেছিলেন, সে সবই
তার মধ্যে বিদ্যমান আছে ৷ ইমাম মুসলিমও এ হাদীছটি কাসিম ইবন ফযল আবুনাদরার সুত্রে
আবু সাঈদ থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দুধ বোনের জিইর্রানায় আগমন

ইবন ইসহাক বলেন : সা’দ ইবন বকর গোত্রের এক ব্যক্তি আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে,
হাওয়াযিন যুদ্ধের সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাহাবীদেরকে বলেছিলেন যে, তোমরা যদি সা’দ ইবন
বকর গোত্রের নাজাদ নামক লোকটিকে পাও তবে সে যেন পালিয়ে যেতে তনা পারে ৷ এই ব্যক্তি
কোন একটি ঘটনা ঘঢিয়েছিল ৷ মুসলমানগ ৷ণ তাকে ধরতে সক্ষম হন ৷ তারা তাকে তার
পরিবারবর্গসহ ধরে আনেন ৷ সেই সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দুধ বোন শায়ম৷ বিনত হারিছ ইবন
আবদুল উঘৃযাকেও ধরে আনেন ৷ আনার পথে শায়মার প্রতি কিছু কঠোরতা করা হয় ৷ শায়মা


عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «لَمَّا قَسَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِسْمَةَ حُنَيْنٍ قَالَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: مَا أَرَادَ بِهَا وَجْهَ اللَّهِ. قَالَ: فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَتَغَيَّرَ وَجْهُهُ، ثُمَّ قَالَ: " رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَى مُوسَى، قَدْ أُوذِيَ بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ مِنْ حَدِيثِ الْأَعْمَشِ بِهِ. ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «لَمَّا كَانَ يَوْمُ حُنَيْنٍ آثَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَاسًا; أَعْطَى الْأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، وَأَعْطَى عُيَيْنَةَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَأَعْطَى نَاسًا، فَقَالَ رَجُلٌ: مَا أُرِيدَ بِهَذِهِ الْقِسْمَةِ وَجْهُ اللَّهِ. فَقُلْتُ: لَأُخْبِرَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: " رَحِمَ اللَّهُ مُوسَى قَدْ أُوذِيَ بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ ".» وَهَكَذَا رَوَاهُ مِنْ حَدِيثِ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ بِهِ. وَفِي رِوَايَةٍ لِلْبُخَارِيِّ: «فَقَالَ رَجُلٌ: وَاللَّهِ إِنَّ هَذِهِ لَقِسْمَةٌ مَا عُدِلَ فِيهَا، وَمَا أُرِيدَ فِيهَا وَجْهُ اللَّهِ. فَقُلْتُ: وَاللَّهِ لَأُخْبِرَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَأَتَيْتُهُ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: " مَنْ يَعْدِلُ إِذَا لَمْ يَعْدِلِ اللَّهُ وَرَسُولُهُ؟! رَحِمَ اللَّهُ مُوسَى، قَدْ أُوذِيَ بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ ".» وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ
পৃষ্ঠা - ৩৫৮৩
عَنْ مِقْسَمٍ أَبِي الْقَاسِمِ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ قَالَ: «خَرَجْتُ أَنَا وَتَلِيدُ بْنُ كِلَابٍ اللَّيْثِيُّ حَتَّى أَتَيْنَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَهُوَ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ مُعَلِّقًا نَعْلَهُ بِيَدِهِ، فَقُلْنَا لَهُ: هَلْ حَضَرْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ كَلَّمَهُ التَّمِيمِيُّ يَوْمَ حُنَيْنٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، جَاءَ رَجُلٌ مَنْ بَنِي تَمِيمٍ يُقَالُ لَهُ: ذُو الْخُوَيْصِرَةِ. فَوَقَفَ عَلَيْهِ وَهُوَ يُعْطِي النَّاسَ، فَقَالَ لَهُ: يَا مُحَمَّدُ، قَدْ رَأَيْتُ مَا صَنَعْتَ فِي هَذَا الْيَوْمِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَجَلْ، فَكَيْفَ رَأَيْتَ؟ " قَالَ: لَمْ أَرَكَ عَدَلْتَ. قَالَ: فَغَضِبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: وَيْحَكَ! إِذَا لَمْ يَكُنِ الْعَدْلُ عِنْدِي فَعِنْدَ مَنْ يَكُونُ؟! " فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَا نَقْتُلُهُ؟ فَقَالَ: " لَا، دَعُوهُ فَإِنَّهُ سَيَكُونُ لَهُ شِيعَةٌ يَتَعَمَّقُونَ فِي الدِّينِ حَتَّى يَخْرُجُوا مِنْهُ كَمَا يَخْرُجُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يُنْظَرُ فِي النَّصْلِ فَلَا يُوجَدُ شَيْءٌ، ثُمَّ فِي الْقِدْحِ فَلَا يُوجَدُ شَيْءٌ، ثُمَّ فِي الْفَوْقِ فَلَا يُوجَدُ شَيْءٌ، سَبَقَ الْفَرْثَ وَالدَّمَ ".» . وَقَالَ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «أَتَى رَجُلٌ بِالْجِعْرَانَةِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنْصَرَفَهُ مِنْ حُنَيْنٍ، وَفِي ثَوْبِ بِلَالٍ فِضَّةٌ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْبِضُ مِنْهَا وَيُعْطِي النَّاسَ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ، اعْدِلْ. قَالَ:
পৃষ্ঠা - ৩৫৮৪

তখন মুসলমানদেরকে বলেন, “আল্লাহ্র কসম ! জেনে রেখ, আমি কিন্তু তোমাদের সাথী
(সা) এর দুধ বোন” ৷ তারা তার কথা বিশ্বাস করলেন না এবং তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর নিকট
উপস্থিত করলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : আমার কাছে ইয়াযীদ ইবন উবায়দ সা’দী অর্থাৎ আবু
ওয়াজরা বর্ণনা করেছেন যে, শায়মাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট হাযির করা হলে তিনি বললেন,
“ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি আপনার দুধ বোন” ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন “তোমার দাবির প্রমাণ
কি” ? শায়মা বললেন, “শিশুকালে আপনাকে কোলে রেখেছিলাম, তখন আপনি আমার পিঠে
কামড় দিয়েছিলেন, সেই কামড়ের দাগ এখনও আছে” ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে আলামত
দেখে শ্ানাক্ত করলেন এবং নিজের চাদর বিছিয়ে তাকে বসতে দিলেন ও মুরারকবাদ জানালেন ৷
এরপর তিনি তাকে প্রস্তাব দিলেন, “ইচ্ছা করলে তুমি আমার কাছে ধকতে পার ৷ আমি ভালবাসা
ও সােহাগ দিয়ে তোমাকে রাখবাে ৷ আর যদি নিজ গোত্রে ফিরে যেতে ইচ্ছা কর, তা হলে
মাল-সামগ্রীসহ সেখানে পাঠিয়ে দিব ৷ যেটা ইচ্ছা করতে পার” ৷ শায়মা বললেন, “আমাকে
মাল-সামগ্রীসহ আমার গোত্রে পাঠিয়ে দিন ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) প্রচুর মাল সামগ্রীসহ তাকে
তার গোত্রের নিকট পাঠিয়ে দেন ৷ বনু সা’দের লোকেরা বলে থাকে যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা)
শায়মাকে মাকহুল নামক একজন দাস ও একজন দাসী দিয়েছিলেন ৷ শায়ম৷ তাদের দুজনের
মধ্যে বিয়ে দিয়ে দেন ৷ ঐ গোত্রের মধ্যে এ দু’জনের বংশধারা অব্যাহতভাবে চলে আসছে ৷
ইমাম বায়হাকী হাকাম ইবন আবদুল মালিকের সুত্রে কাতদাে থেকে বর্ণনা করেন ৷ যেদিন
হাওয়াযিন বিজয় হয়, সে দিন একজন মহিলা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন,
“ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্ ! আমি আপনার দুধ বোন ৷ আমি শায়মা বিনত হারিছ” ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (না)
তাকে বললেন, “তোমার কথা যদি সত্য হয়, তা হলে তোমার সাথে আমার এমন একটা চিহ্ন
আছে যা মুছে যায়নি” ৷ এ কথা ওনার পর মহিলাটি তার বাহু উন্মুক্ত করে বললেন, “হ্যা, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! শিশুকালে আপনি আমার এ বাহুতে কামড় দিয়েছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) তখন তাকে
চাদর বিছিয়ে দেন এবং বলেন : “তুমি আবেদন জানাও ৷ তোমাকে আবেদন অনুযায়ী দেওয়া
হবে ৷ তুমি সুপারিশ কর, যা সুপারিশ করবে তাই রক্ষা করা হবে ৷ বায়হাকী বলেন : আবুনাসর
ইবন কাতদাে আবৃত তুফায়ল থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আমি ছোট ছিলাম উটের
গোশতের খন্ডিত টুকরা বহন করতাম ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে দেখলাম, জিইররানায় গনীমতের উট
বণ্টন করছেন ৷ সে সময় তার কাছ একজন মহিলা আসেন ৷ তিনি তার জন্যে নিজের চাদর
বিছিয়ে দেন ৷ এ অবস্থা দেখে আমি লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করলাম, “এ মহিলাটি কে ?”
তারা রললাে, ইনি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর দুধ মা ৷ এ হাদীছটি গরীব পর্যায়ের ৷ হতে পারে বর্ণনাকারী
যা বলে বোনকে বুঝাতে চেয়েছেন ৷ কেননা, তিনি তার মা হালীমা সা’দিয়া (রা)-এর সাথে
থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে লালন পালনে সহযোগিতা করতেন ৷ আর যদি হাদীছটি মাহফুয
(সুরক্ষিত নির্ভু-৷ ) পর্যায়ের হয়ে থাকেশ্ অর্থাৎ মহিলাটি দুধ মা-ই হয়ে থাকেন ৷ তবে বুঝতে হবে
যে, হালীমা সা’দিয়া (রা) দীর্ঘ দিন জীবিত ছিলেন ৷ কেননা, দুধ পান করান সময় থেকে
জিইবৃরানার ঘটনা পর্যন্ত ষাট বছরের অধিক ব্যবধান রয়েছে ৷ আর যখন তিনি দুধ পান করান
তখন তার বয়স কমপক্ষে ত্রিশ বছর হয়েছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷ এরপর তিনি কত বছর
জীবিত ছিলেন ৷ এ সম্পর্কে একটি মুরসাল হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, সে দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর


" وَيْلَكَ! وَمَنْ يَعْدِلُ إِذَا لَمْ أَكُنْ أَعْدِلُ؟! لَقَدْ خِبْتَ وَخَسِرْتَ إِذَا لَمْ أَكُنْ أَعْدِلُ ". فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: دَعْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَقْتُلَ هَذَا الْمُنَافِقَ. فَقَالَ: " مَعَاذَ اللَّهِ أَنْ يَتَحَدَّثَ النَّاسُ أَنِّي أَقْتُلُ أَصْحَابِي، إِنَّ هَذَا وَأَصْحَابَهُ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنْهُ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ ".» رَوَاهُ مُسْلِمٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رُمْحٍ عَنِ اللَّيْثِ. وَقَالَ أَحْمَدُ: ثَنَا أَبُو عَامِرٍ ثَنَا قُرَّةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ جَابِرٍ قَالَ: «بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَسِّمُ مَغَانِمَ حُنَيْنٍ، إِذْ قَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ: اعْدِلْ. فَقَالَ: " لَقَدْ شَقِيتَ إِنْ لَمْ أَعْدِلْ ".» وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ السَّدُوسِيِّ بِهِ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: «بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَقْسِمُ قَسْمًا إِذْ أَتَاهُ ذُو الْخُوَيْصِرَةِ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اعْدِلْ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " وَيْلَكَ! وَمَنْ يَعْدِلُ إِذَا لَمْ أَعْدِلْ؟! لَقَدْ خِبْتَ وَخَسِرْتَ إِنْ لَمْ أَعْدِلْ " فَقَالَ عُمَرُ بْنُ
পৃষ্ঠা - ৩৫৮৫
الْخِطَابِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، ائْذَنْ لِي فِيهِ فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " دَعْهُ فَإِنَّ لَهُ أَصْحَابًا يَحْقِرُ أَحَدُكُمْ صَلَاتَهُ مَعَ صَلَاتِهِمْ، وَصِيَامَهُ مَعَ صِيَامِهِمْ، يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ، يَمْرُقُونَ مِنَ الْإِسْلَامِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنَ الرَّمِيَّةِ، يَنْظُرُ إِلَى نَصْلِهِ فَلَا يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يَنْظُرُ إِلَى رِصَافِهِ فَلَا يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يَنْظُرُ إِلَى نَضِيِّهِ - وَهُوَ قِدْحُهُ - فَلَا يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، ثُمَّ يَنْظُرُ إِلَى قَذَذِهِ فَلَا يُوجَدُ فِيهِ شَيْءٌ، قَدْ سَبَقَ الْفَرْثَ وَالدَّمَ، آيَتُهُمْ رَجُلٌ أَسْوَدُ إِحْدَى عَضُدَيْهِ مِثْلُ ثَدْيِ الْمَرْأَةِ، أَوْ مِثْلُ الْبِضْعَةِ تَدَرْدُرُ، وَيَخْرُجُونَ عَلَى حِينِ فُرْقَةٍ مِنَ النَّاسِ ". قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَأَشْهَدُ أَنِّي سَمِعْتُ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَشْهَدُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَاتَلَهُمْ وَأَنَا مَعَهُ، وَأَمَرَ بِذَلِكَ الرَّجُلِ فَالْتُمِسَ فَأُتِيَ بِهِ، حِينَ نَظَرْتُ إِلَيْهِ عَلَى نَعْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي نَعَتَ.» وَرَوَاهُ مُسْلِمٌ أَيْضًا مِنْ حَدِيثِ الْقَاسِمِ بْنِ الْفَضْلِ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ بِهِ نَحْوَهُ.