سنة ثمان من الهجرة النبوية
غزوة هوازن يوم حنين
ذكر قدوم مالك بن عوف النصري على الرسول صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৩৫৭৮
তা দিলেন এবং কিছু লোককে বাদ রাখলেন ৷ যাদেরকে বাদ রাখলেন, তাদের সম্পর্কে তিনি
জানতে পারেন যে, তারা তার উপর অসভুষ্ট হয়েছেন ৷ তখন তিনি তাদের উদ্দেশ্যে এক ভাষণ
দেন ৷ প্রথমে আল্লাহ্র প্রশংসা ও গুণগান প্রকাশ করেন ৷ তারপর উপরোক্ত বর্ণনার মত কথা
বলেন ৷ বুখারী একাই এ হাদীস উক্ত সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷
ইবন হিশাম বলেন, আনঃসারদেরকে গনীমত থেকে বঞ্চিত করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে
করি হাসৃসান ইবন ছাবিত বলেন :
(১১১ ৷ এে ণ্,প্রুা৷ এ১)
ব্লুশ্
া
স্১এশ্রো
শ্নএ
এ-এঞগ্রা
ন্৮ন্ণ্১^
াএেপু;
“দুঃখ বেড়ে গেছে, চোখের পানি অঝোরে গড়িয়ে পড়ছে ৷ সে পানি একত্রিত করছে অশ্রু
নির্গমনের পথ” ৷
আমার এ দুঃখ শাম্মার জন্যে ৷ শাম্মা তো সুঠাম দেহের অধিকারী, সরু কােমর বিশিষ্ট ৷ তার
মধ্যে নেই কোন নােৎবামি, নেই কোন দুর্বলতা ৷
শাম্মার কথা এখন ছেড়ে দাও ৷ কেননা, তার ভালবাসা ছিল ক্ষণিকের জন্যে ৷ আর মিলন
প্রত্যাশীর কাছে নিকৃষ্ট মিলন তাে সেটাই যা হয় ক্ষণিকের ভরে ৷
তুমি বরং বাসুলুল্লড়াহ্ (না)-এর কাছে যাও এবং বল : হে মু’মিনদের বিশ্বস্ত আশ্রয়স্থল ! যখন
লোক গণনা করা হয়, তখন বনু সুলায়মকে ডাকা হয় কিসের ভিত্তিতে, সেই সম্প্রদায়ের
ঘুকাবিলায় যারা এবং একমাত্র যারাই আশ্রয় দিল ও সাহায্য করলো ?
১ কোন কোন মুদ্রণে রু,ম্পা ৷ এ১ (“দুঃখের কথা বাদ দাও ) রয়েছে ৷
وَسُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو وَحُوَيْطِبُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى وَعُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ وَصَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ وَالْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيُّ «أَنَّ قَائِلًا قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ أَصْحَابِهِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْطَيْتَ عُيَيْنَةَ وَالْأَقْرَعَ مِائَةً مِائَةً، وَتَرَكْتَ جُعَيْلَ بْنَ سُرَاقَةَ الضَّمْرِيَّ! فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَا وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَجُعَيْلٌ خَيْرٌ مِنْ طِلَاعِ الْأَرْضِ، كُلُّهُمْ مِثْلُ عُيَيْنَةَ وَالْأَقْرَعِ وَلَكِنْ تَأَلَّفْتُهُمَا لِيُسْلِمَا، وَوَكَلْتُ جُعَيْلَ بْنَ سُرَاقَةَ إِلَى إِسْلَامِهِ ".» .
ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ مَنْ أَعْطَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَ الْمِائَةِ مِمَّنْ يَطُولُ ذِكْرُهُ. وَفِي الْحَدِيثِ الصَّحِيحِ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ أَنَّهُ قَالَ: «مَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِينِي مِنْ غَنَائِمِ حُنَيْنٍ وَهُوَ أَبْغَضُ الْخَلْقِ إِلَيَّ، حَتَّى مَا خَلَقَ اللَّهُ شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيَّ مِنْهُ.» .
[ذِكْرُ قُدُومِ مَالِكِ بْنِ عَوْفٍ النَّصْرِيِّ عَلَى الرَّسُولِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ]
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِوَفْدِ هَوَازِنَ وَسَأَلَهُمْ عَنْ مَالِكِ بْنِ عَوْفٍ " مَا فَعَلَ؟ " فَقَالُوا: هُوَ بِالطَّائِفِ مَعَ ثَقِيفٍ. فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
পৃষ্ঠা - ৩৫৭৯
আল্লাহ্ই তাদের নাম দিয়েছেন আনসার (সাহায্যকারী) কারণ, তারা সত্য দীনের সাহায্য
করেছে এমন সময় যখন যুদ্ধের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল ৷
আল্লাহর পথে তারা অগ্রগামী ৷ ঘুসীবত ও দৃর্যোগের মুকাবিলা করেছে তারা ৷ কখনও তারা
বিশ্বাসঘাতকতা করেনি, অস্থিরতাও দেথায়নি ৷
আপনার ব্যাপার নিয়ে মানুষ আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে ৷ তখন আমাদের আর কোন উপায়
থাকে না তলােয়ার ও বর্শার হাতল ছাড়া ৷
বাপিয়ে পড়া লোকদের সাথে আমরা যুদ্ধ করি ৷ এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দিই না ৷ আর
ওহীলব্ধ সুরা সমুহে যা আদেশ করা হয়েছে তার আমরা ব্যর্থ হতে দিই ন ৷ ৷
যুদ্ধের অপরাধীরা আমাদের সমাবেশকে করেনা অপসন্দ ৷ আমরা তখনই জ্বলে উঠি, যখন
যুদ্ধের আগুন জ্বলে ওঠে ৷
যে রকম আমরা প্রতিহত করে দিয়েছিলাম বদর যুদ্ধে মুনাফিবরা যা চেয়েছিলো তা ৷ ফলে
আমাদের মধ্যেই নেমে আসে জয়ের মালা ৷
আমরাই তো ছিলাম আপনার সৈনিক সেই যুদ্ধে যা সংঘটিত হয় উহুদ পর্বতের টিলার পাশে,
যে দিন ষুযার গোত্র গর্বভরে সংপ্নহ করেছিলাে সে যুদ্ধের সৈন্যগণকে ৷
আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়িনি, দুর্বলও হয়ে য়াইনি ৷ আমাদের থেকে কোন পদস্থালন কেউ পায়নি,
যখন অন্য সব লোকের পদস্থালন ঘটেছিলাে ৷
ইমাম বুখারী বলেন : কুবায়সা সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ থেকে বর্ণিত যে, তিনি
বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন হুনায়নের গনীমত বণ্টন করে দেন, তখন আনসারদের এক ব্যক্তি
বলে উঠলো, “এ বণ্টনে তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য রাথেননি” ৷ এ কথা ওনার পর আমি
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর কাছে এসে ভীকে কথাটি জানালাম ৷ তখন তার চেহারার রং পরিবৃর্তা হয়ে
গেল ৷ তারপর তিনি বললেন, “আল্লাহ মুসা (আ)-এর প্রতি রহমত করুন ৷ র্তাকে এ থেকেও
বেশি কষ্ট দেওয়া হয়েছিল; কিন্তু তিনি সবর করেছিলেন ৷ ইমাম মুসলিমও এ হাদীছ আমাশ
সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী আরও বলেন : কুতায়বা ইবন সাঈদ আবু ওয়াইল
সুত্রে আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, যখন হুনায়নের দিন গনীমত
বণ্টনেব সময় হলো, তখন নবী (সা) কতিপয় ব্যক্তিকে কিছু বেশী দিলেন ৷ আকরা’ ইবন
হাবিসকে দিলেন একশ’ উট ৷ উয়ায়নাকেও দিলেন অনুরুপ ( একশ’ উট) ৷ এভাবে আরও কিছু
লোককে বেশি বেশি করে দিলেন ৷ তখন এক ব্যক্তি বলে ফেললাে, এ বণ্টনের মধ্যে আল্লাহর
সন্তুষ্টির প্রতি লক্ষ্য করা হয়নি ৷ রাবী বলেন, আমি বললাম , নবী কবীম (না)-কে অবশ্যই আমি এ
কথা জানিয়ে দিব ৷ (তারপর আমি তাকে কথাটি জানিয়ে দিলাম) ৷ কথাটি শুনার পরে তিনি
বললেন, “আল্লাহ মুসা (আ)-এর প্রতি রহমত বর্ষণ করুন ৷ র্তাকে এর চেয়েও অধিক কষ্ট দেওয়া
হয়েছে ; কিন্তু তিনি ধৈর্য ধারণ করেছেন” ৷ বুখড়াবীর এক বর্ণনায় কথাটি এভাবে আছে যে , এক
ব্যক্তি রললাে, “এ বণ্টনে ন্যায়-নীতি রক্ষিত হয়নি এবং এতে আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রতিও লক্ষ্য রাখা
হয়নি” ৷ রাবী বলেন, আমি বললাম , আল্লাহর কসম ! আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-কে অবশ্যই জানিয়ে
" أَخْبِرُوهُ أَنَّهُ إِنْ أَتَانِي مُسْلِمًا رَدَدْتُ إِلَيْهِ أَهْلَهُ وَمَالَهُ وَأَعْطَيْتُهُ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ ". فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ مَالِكًا انْسَلَّ مِنْ ثَقِيفٍ، حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْجَعْرَانَةِ - أَوْ بِمَكَّةَ - فَأَسْلَمَ وَحَسُنَ إِسْلَامُهُ، فَرَدَّ عَلَيْهِ أَهْلَهُ وَمَالَهُ، وَأَعْطَاهُ مِائَةً مِنَ الْإِبِلِ، فَقَالَ مَالِكُ بْنُ عَوْفٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ:
مَا إِنْ رَأَيْتُ وَلَا سَمِعْتُ بِمِثْلِهِ ... فِي النَّاسِ كُلِّهِمُ بِمِثْلِ مُحَمَّدِ
أَوْفَى وَأَعْطَى لِلْجَزِيلِ إِذَا اجْتُدِي ... وَمَتَى تَشَأْ يُخْبِرْكَ عَمَّا فِي غَدِ
وَإِذَا الْكَتِيبَةُ عَرَّدَتْ أَنْيَابُهَا ... بِالسَّمْهَرِيِّ وَضَرْبِ كُلِّ مُهَنَّدِ
فَكَأَنَّهُ لَيْثٌ عَلَى أَشْبَالِهِ ... وَسْطَ الْهَبَاءَةِ خَادِرٌ فِي مَرْصَدِ
قَالَ: وَاسْتَعْمَلَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَنْ أَسْلَمَ مِنْ قَوْمِهِ، وَتِلْكَ الْقَبَائِلُ; ثُمَالَةُ وَسَلِمَةُ وَفَهْمٌ، فَكَانَ يُقَاتِلُ بِهِمْ ثَقِيفًا لَا يَخْرُجُ لَهُمْ سَرْجٌ إِلَّا أَغَارَ عَلَيْهِ، حَتَّى ضَيَّقَ عَلَيْهِمْ.
وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ ثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ ثَنَا الْحَسَنُ حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَوْمًا وَمَنَعَ آخَرِينَ، فَكَأَنَّهُمْ عَتَبُوا عَلَيْهِ، فَقَالَ: " إِنِّي أُعْطِي قَوْمًا أَخَافُ ظَلَعَهُمْ وَجَزَعَهُمْ،
পৃষ্ঠা - ৩৫৮০
وَأَكِلُ قَوْمًا إِلَى مَا جَعَلَ اللَّهُ فِي قُلُوبِهِمْ مِنَ الْخَيْرِ وَالْغِنَى، مِنْهُمْ عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ ".» قَالَ عَمْرُو: فَمَا أُحِبُّ أَنَّ لِي بِكَلِمَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُمْرَ النَّعَمِ. زَادَ أَبُو عَاصِمٍ عَنْ جَرِيرٍ سَمِعْتُ الْحَسَنَ ثَنَا عَمْرُو بْنُ تَغْلِبَ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِمَالٍ - أَوْ سَبْيٍ - فَقَسَّمَهُ. . .» بِهَذَا.
وَفِي رِوَايَةٍ لِلْبُخَارِيِّ قَالَ: «أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَالٍ - أَوْ بِشَيْءٍ - فَأَعْطَى رِجَالًا وَتَرَكَ رِجَالًا، فَبَلَغَهُ أَنَّ الَّذِينَ تَرَكَ عَتَبُوا، فَخَطَبَهُمْ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ: " أَمَّا بَعْدُ ".» فَذَكَرَ مِثْلَهُ سَوَاءً. تَفَرَّدَ بِهِ الْبُخَارِيُّ.
وَقَدْ ذَكَرَ ابْنُ هِشَامٍ أَنَّ حَسَّانَ بْنَ ثَابِتٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ فِيمَا كَانَ مِنْ أَمْرِ الْأَنْصَارِ وَتَأَخُّرِهِمْ عَنِ الْغَنِيمَةِ:
زَادَتْ هُمُومٌ فَمَاءُ الْعَيْنِ مُنْحَدِرُ ... سَحًّا إِذَا حَفَلَتْهُ عَبْرَةٌ دِرَرُ
وَجْدًا بِشَمَّاءَ إِذْ شَمَّاءُ بَهْكَنَةٌ ... هَيْفَاءُ لَا ذَنَنٌ فِيهَا وَلَا خَوَرُ
دَعْ عَنْكَ شَمَّاءَ إِذْ كَانَتْ مَوَدَّتُهَا ... نَزْرًا وَشَرُّ وِصَالِ الْوَاصِلِ النَّزِرُ
وَأْتِ الرَّسُولَ فَقُلْ يَا خَيْرَ مُؤْتَمَنٍ ... لِلْمُؤْمِنِينَ إِذَا مَا عُدِّدَ الْبَشَرُ
عَلَامَ تُدْعَى سُلَيْمٌ وَهْيَ نَازِحَةٌ ... قُدَّامَ قَوْمٍ هُمُ آوَوْا وَهُمْ نَصَرُوا