আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

ذكر مهاجرة إبراهيم عليه السلام بابنه إسماعيل وأمه هاجر إلى مكة وبنائه البيت العتيق

পৃষ্ঠা - ৩৫৫


সেখানে রেখে ফিরে আসার জন্যে উদ্যত ৩হলেন, তখন হাজেরা উঠে তার কাপড় জড়িয়ে ধরে
বললেন, হে ইবরাহীম ৷ আমাদেরকে এখানে খাদ্য-রসদহীন অবস্থায় রেখে কোথায় যাচ্ছেন?
ইবরাহীম (আ) কোন উত্তর দিলেন না, বারবার পীড়াপীড়ি করা সত্বেও তিনি যখন জওয়াব
দিলেন না, তখন হাজেরা জিজ্ঞেস করলেন ও আল্লাহ কি এরুপ করতে আপনাকে আদেশ
করেছেনঃ’ ইবরাহীম (আ) বললেন, হীা’ ৷ হাজেরা বললেন : তাহলে আর কোন ভয় নেই ৷
তিনি আমাদেরকে ধ্বংস করবেন না ৷ ’ শায়খ আবু মুহাম্মদ ইবন আবী যায়দ (র) নাওয়াদির’
কিতাবে লিখেছেন : সারাহ্ হাজেরার উপর ক্রুদ্ধ হয়ে কসম করলেন যে, তিনি তার তিনটি
অঙ্গ ছেদন করবেন ৷ ইবরাহীম (আ) বললেন, দুটি কান ছিদ্র করে দাও ও খাৎনা করিয়ে দাও
এবং কসম থেকে মুক্ত হয়ে যাও ৷ সুহায়লী বলেছেন : এই হাজেরাই সর্বপ্রথম নারী যার খাৎনা
করা হয়েছিল, সর্বপ্রথম যার উভয় কান স্থির করা হয় এবং তিনিই সর্বপ্রথম দীর্ঘ তাচল ব্যবহার
করেন ৷

ইসমাঈল (আ) ও হাজেরাকে নিয়ে হযরত ইবরাহীম (আ)-এর ফারান
পর্বতমালা তথা মক্কা ভুমিতে হিজরত ও কাবড়া গৃহ নির্মাণ

ইমাম বুখারী (র) ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন ও নারী জাতি সর্বপ্রথম কােমরবন্দ
ব্যবহার শিখে ইসমাঈল (আ) এর মায়ের নিকট থেকে ৷ হাজেরা কােমরবন্দ ব্যবহার করতেন
সারাহ্র দৃষ্টি থেকে নিজের পদচিহ্ন গোপন রাখার জন্যে ৷

হযরত ইবরাহীম (আ) হাজেরা ও ইসমাঈল (আ)-কে নিয়ে যখন মক্কায় যান, হাজেরা
তখন তার শিশু পুত্রকে দুধ পান করাতে ন ৷ মসজিদে হারমের উচু অংশে বায়তৃল্লাহর কাছে
যমযম কুপের নিকটে অবস্থিত একটি বড় গাছের নিচে তিনি তাদেরকে রেখে আসেন ৷ মক্কায়
তখন না ছিল কোন মানুষ, না ছিল কোন পানি ৷ এখানেই তিনি তাদেরকে রেখে এলেন ৷ একটি
থলের মধ্যে কিছু খেজুর ও একটি মশকে কিছু পানিও রাখলেন ৷৩ রতপর ইবরাহীম (আ)
যেদিক থেকে এসেছিলেন, সেদিকে ফিরে চললেন ৷ হাজেরাও তার পিছু পিছু ছুটে যান এবং
জিজ্ঞেস করেন : হে ইবরাহীম ! আমাদেরকে এই শুন্য প্রান্তরে রেখে কোথায় যাচ্ছেন? যেখানে
নেই কোন মানুষজন, নেই কোন খাদ্য পানীয় ৷ ’ হাজেরা বার বার একথা বলা সত্বেও ইবরাহীম
(আ) র্তার দিকে ফিরেও৩ কা৷লেন না ৷ তখন হাজেরা জিজ্ঞেস করলেন৪ আল্লাহ কি এরকম
করতে আপনাকে আদেশ করেছেনঃ ইবরাহীম (আ) বললেন, হ্যা’ ৷ হাজেরা বললেনং :
তাহলে আল্লাহ আমাদেরকে ধ্বংস করবেন না ৷ ’ একথা বলে হাজেরা ফিরে অড়াসলেন এবং
ইবরাহীম (আ)-ও চলে গেলেন ৷ যখন তিনি ছানিয়া (গিরিপথ) পর্যন্ত পৌছলেন, যেখান থেকে
তাকে আর দেখা যাচ্ছিল না ৷ তখন তিনি কাব৷ ঘরের দিকে মুখ করে র্দাড়ালেন এবং দুহাত
তুলে নিম্নো ৷ক্ত দুআ পড়লেন :



,
)
স্পো ঞদ্বু






[ذِكْرُ مُهَاجَرَةِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِابْنِهِ إِسْمَاعِيلَ وَأُمِّهِ هَاجَرَ إِلَى مَكَّةَ وَبِنَائِهِ الْبَيْتَ الْعَتِيقَ] ذِكْرُ مُهَاجَرَةِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِابْنِهِ إِسْمَاعِيلَ وَأُمِّهِ هَاجَرَ إِلَى جِبَالِ فَارَانَ وَهِيَ أَرْضُ مَكَّةَ وَبِنَائِهِ الْبَيْتَ الْعَتِيقَ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ، وَكَثِيرِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى الْآخَرِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: أَوَّلَ مَا اتَّخَذَ النِّسَاءُ الْمِنْطَقَ مِنْ قِبَلِ أُمِّ إِسْمَاعِيلَ اتَّخَذَتْ مِنْطَقًا لِتُعْفِيَ أَثَرَهَا عَلَى سَارَةَ، ثُمَّ جَاءَ بِهَا إِبْرَاهِيمُ وَبِابْنِهَا إِسْمَاعِيلَ وَهِيَ تُرْضِعُهُ حَتَّى وَضَعَهُمَا عِنْدَ الْبَيْتِ عِنْدَ دَوْحَةٍ فَوْقَ زَمْزَمَ فِي أَعْلَى الْمَسْجِدِ، وَلَيْسَ بِمَكَّةَ يَوْمَئِذٍ أَحَدٌ، وَلَيْسَ بِهَا مَاءٌ فَوَضَعَهُمَا هُنَالِكَ وَوَضَعَ عِنْدَهُمَا جِرَابًا فِيهِ تَمْرٌ وَسِقَاءً فِيهِ مَاءٌ، ثُمَّ قَفَّى إِبْرَاهِيمُ مُنْطَلِقًا فَتَبِعَتْهُ أُمُّ إِسْمَاعِيلَ فَقَالَتْ: يَا إِبْرَاهِيمُ أَيْنَ تَذْهَبُ، وَتَتْرُكُنَا بِهَذَا الْوَادِي الَّذِي لَيْسَ فِيهِ إِنْسٌ وَلَا شَيْءٌ؟ فَقَالَتْ لَهُ ذَلِكَ مِرَارًا، وَجَعَلَ لَا يَلْتَفِتُ إِلَيْهَا، فَقَالَتْ لَهُ: آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَتْ: إِذًا لَا يُضَيِّعُنَا. ثُمَّ رَجَعَتْ فَانْطَلَقَ إِبْرَاهِيمُ حَتَّى إِذَا كَانَ عِنْدَ الثَّنِيَّةِ حَيْثُ لَا يَرَوْنَهُ اسْتَقْبَلَ بِوَجْهِهِ الْبَيْتَ، ثُمَّ دَعَا بِهَؤُلَاءِ الْكَلِمَاتِ وَرَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ: {رَبَّنَا إِنِّي أَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُمْ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ} [إبراهيم: 37] .
পৃষ্ঠা - ৩৫৬


হে আমার প্রতিপালক ! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর
উপত্যকায় তোমার পবিত্র ঘরের নিকট ৷ হে আমাদের প্রতিপালক! এজন্যে যে, ওরা যেন
সালাত কায়েম করে ৷ অতএব, তুমি কিছু লোকের অন্তর তাদের দিকে অনুরাগী করে দাও এবং
ফলাদি দ্বারা ওদের জীবিকার ব্যবস্থা করে দাও ৷ যাতে ওরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ৷’ (সুরা
ইব্রাহীম : ৩ ৭) ৷

ইসমাঈল (আ) এর মা ইসমাঈলকে নিজের স্তনের দুধ পান করাতেন এবং নিজে ঐ
মশকের পানি পান করতে তন ৷ শেষে যশকের পানি ফুবিয়ে গেলে মা ও শিশু উভয়ে তৃষ্ণায়

কাতর হয়ে পড়েন ৷ শিশুর প্রতি তাকিয়ে দেখেন, পিপাসায় তার বুক ধড়ফড় করছে কিৎবা
মাটিতে পড়েছট্ফট্ করছে ৷ শিশু পুত্রের এ করুণ অবস্থা দেখে সহ্য করতে না পেরে মা
সেখান থেকে উঠে গেলেন এবং নিকটবর্তী সাফা পর্বতে আরোহণ করলেন ৷ সেখান থেকে
প্রাম্ভরের দিকে তাকিয়ে কা ৷উকে দেখা যায় কিনা লক্ষ্য করলেন ৷ কিন্তু কাউকেই দেখতে পেলেন
না ৷ তারপর সাফ৷ পর্বত থেকে হাজের৷ নেমে নিম্ন ভুমিতে ৩চলে আসলে তিনি তার আমার
তাচলের একদিক উঠিয়ে ক্লাম্ভ-শ্রাম্ভ ব্যক্তির মত ছুটে চললেন ৷ নীচু ভুমি পাড়ি দিয়ে তিনি
মারওয়৷ পাহাড়ে ওঠেন ৷ চতুর্দিকে চোখ বুলিয়ে দেখতে লাগলেন ক উকে দেখা যায় কিনা ৷
কিন্তু কাউকেই দেখতে পেলেন না ৷ এত ৷বে৩ তিনি সাতবার আসা-যাওয়৷ করেন ৷ ইবন আব্বাস
(রা) বলেন, নবী করীম (যা) বলেছেন, এ জন্যেই লোকজন হজ্জ ও উমরায় উভয় পাহাড়ের
মাঝে সাতবার সাঈ করে থাকেন ৷ মারওয়৷ পাহাড়ে উঠে তিনি একটি আওয়াজ শুনতে পান ৷
তিনি তখন নিজেকে লক্ষ্য করে বলেন : চুপ কর! তারপর কান পেতে পুনরায় ঐ একই
আওয়াজ শুনতে পেলেন ৷ হাজের৷ তখন বললেন, তোমার আওয়াজ শুনেছি, যদি সাহায্য করতে
পার, তবে সাহায্য করা এমন সময় তিনি দেখতে পুেলেন যে, যযযম কুপের স্থানে একজন
ফেবেশ্ তা দাড়িয়ে আছেন ৷ ফেরেশত ৷ নিজের পায়ের গোড়ালি দ্বারা কিৎবা তার ডানা দ্বারা
মাটিতে আঘাত করতে লাগলেন ৷ শেষ পর্যন্ত পানি বের হয়ে আসে ৷ তখন হাজের৷ এর
চারপাশে আপন হাত দ্বারা বীধ দিয়ে হাউজের ন্যায় করে দিলেন এবং আজলা তবে যশকে

পানি তালার পরও পানি উপচে পড়তে লাগল ৷

ইবন আব্বাস (বা) বলেন, নবী করীম (যা) বলেছেন, ইসমাঈল (আ) এর মাঝে আল্লাহ
রহম করুন ৷ যদি টুনি যমযমকে বাধ না দিয়ে এভাবে ছেড়ে দিতে ন কিত্বা তিনি বলেছেন :

প্রবহমান ঝর্ণায় পরিণত হত ৷ তারপর হাজের৷ পানি পান করলেন এবং শিশু পুত্রকে দুধ পান
করালেন ৷ ফেরেশত৷ তাকে বললেন, আপনি ধ্বংসের কোন আশংকা করবেন না ৷ কেননা,
এখানেই আল্লাহর ঘর রয়েছে ৷ একে এই শিশু ও তার পিতা পুনঃনির্মাণ করবেন ৷ আল্লাহ তার
পরিজনকে বিনাশ করবেন না ৷ ঐ সময় আল্লাহর এ ঘরটি মাটির থেকে কিছু উচু ঢিবির মত
ছিল ৷ বন্যার পানির ফলে তার ডান ও বাযদিকে ভাঙন ধরেছিল ৷ হাজের৷ এভাবে দিনযাপন
করছিলেন ৷ পরিশেষে জুরহুম গোত্রের য়ামান দেশীয় একদল লোক তাদের কাছ দিয়ে
অতিক্রম করছিল ৷ অথবা জুরহুম পরিবারের কিছু লোক ঐ পথ ধরে এদিকে আসছিল ৷ তারা
মক্কার নিচু ভুমিতে অবতরণ করল এবং তারা দেখতে পেল যে, একটা পাখি চক্রাকারে উড়ছে ৷


وَجَعَلَتْ أُمُّ إِسْمَاعِيلَ تُرْضِعُ إِسْمَاعِيلَ، وَتَشْرَبُ مِنْ ذَلِكَ الْمَاءِ حَتَّى إِذَا نَفَذَ مَا فِي السِّقَاءِ عَطِشَتْ وَعَطِشَ ابْنُهَا، وَجَعَلَتْ تَنْظُرُ إِلَيْهِ يَتَلَوَّى. أَوْ قَالَ: يَتَلَبَّطُ فَانْطَلَقَتْ كَرَاهِيَةَ أَنْ تَنْظُرَ إِلَيْهِ فَوَجَدَتِ الصَّفَا أَقْرَبَ جَبَلٍ فِي الْأَرْضِ يَلِيهَا فَقَامَتْ عَلَيْهِ، ثُمَّ اسْتَقْبَلَتِ الْوَادِيَ تَنْظُرُ هَلْ تَرَى أَحَدًا فَلَمْ تَرَ أَحَدًا فَهَبَطَتْ مِنَ الصَّفَا حَتَّى إِذَا بَلَغَتِ الْوَادِيَ رَفَعَتْ طَرَفَ دِرْعِهَا، ثُمَّ سَعَتْ سَعْيَ الْإِنْسَانِ الْمَجْهُودِ حَتَّى إِذَا جَاوَزَتِ الْوَادِيَ، ثُمَّ أَتَتِ الْمَرْوَةَ فَقَامَتْ عَلَيْهَا وَنَظَرَتْ هَلْ تَرَى أَحَدًا فَلَمْ تَرَ أَحَدًا، فَفَعَلَتْ ذَلِكَ سَبْعَ مَرَّاتٍ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَذَلِكَ سَعْيُ النَّاسِ بَيْنَهُمَا» . فَلَمَّا أَشْرَفَتْ عَلَى الْمَرْوَةِ سَمِعَتْ صَوْتًا فَقَالَتْ: صَهٍ. تُرِيدُ نَفْسَهَا، ثُمَّ تَسَمَّعَتْ فَسَمِعَتْ أَيْضًا فَقَالَتْ: قَدْ أَسْمَعْتَ إِنْ كَانَ عِنْدَكَ غُوَاثٌ. فَإِذَا هِيَ بِالْمَلَكِ عِنْدَ مَوْضِعِ زَمْزَمَ، فَبَحَثَ بِعَقِبِهِ أَوْ قَالَ بِجَنَاحِهِ حَتَّى ظَهَرَ الْمَاءُ، فَجَعَلَتْ تَخُوضُهُ وَتَقُولُ بِيَدِهَا هَكَذَا، وَجَعَلَتْ تَغْرِفُ مِنَ الْمَاءِ فِي سِقَائِهَا، وَهُوَ يَفُورُ بَعْدَ مَا تَغْرِفُ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَرْحَمُ اللَّهُ أُمَّ إِسْمَاعِيلَ، لَوْ تَرَكَتْ زَمْزَمَ» . أَوْ قَالَ: «لَوْ لَمْ تَغْرِفْ مِنَ الْمَاءِ لَكَانَتْ زَمْزَمُ عَيْنًا مَعِينًا» . قَالَ: فَشَرِبَتْ وَأَرْضَعَتْ وَلَدَهَا فَقَالَ لَهَا الْمَلَكُ: لَا تَخَافِي الضَّيْعَةَ فَإِنَّ هَاهُنَا بَيْتَ اللَّهِ يَبْنِي هَذَا الْغُلَامُ وَأَبُوهُ، وَإِنَّ اللَّهَ لَا يُضَيِّعُ أَهْلَهُ، وَكَانَ الْبَيْتُ مُرْتَفِعًا مِنَ الْأَرْضِ كَالرَّابِيَةِ تَأْتِيهِ السُّيُولُ فَتَأْخُذُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ، فَكَانَتْ كَذَلِكَ حَتَّى مَرَّتْ بِهِمْ رُفْقَةٌ مِنْ جُرْهُمٍ أَوْ أَهْلُ بَيْتٍ مِنْ جُرْهُمٍ مُقْبِلِينَ مِنْ طَرِيقِ كَدَاءَ، فَنَزَلُوا فِي أَسْفَلِ مَكَّةَ فَرَأَوْا طَائِرًا عَائِفًا، فَقَالُوا: إِنَّ هَذَا الطَّائِرَ لَيَدُورُ عَلَى الْمَاءِ، لَعَهْدُنَا بِهَذَا الْوَادِي،
পৃষ্ঠা - ৩৫৭


তখন তারা বলাবলি করল, নিশ্চয় এ পাথিটি পানির উপরই উড়ছে অথচ আমরা এ উপত্যকায়
বহুদিন কাটিয়েছি, এখানে কোন পানি ছিল না ৷ তখন তারা একজন কি দু’জন মশকধারী লোক
সেখানে পাঠান ৷ তারা সেখানে পিয়েই পানি দেখতে পেল ৷ ফিরে এসে সবাইকে পানির সংবাদ
দিল ৷ সংবাদ পেয়ে সবাই সেদিকে অগ্রসর হল ৷ ইসমাঈল (আ) এর যা ঐ সময় পানির নিকট
বসা ছিলেন ৷ তারা তার নিকটবর্তী স্থানে বসবাস করার অনুমতি চাইল ৷ হাজেরা জবাব দিলেন
৪ হীা, থাকতে পার, তবে এ পানির ওপর তোমাদের কোন অধিকার থাকবে না ৷ তারা তা মেনে
নিল

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ (যা) বলেছেন, এ ঘটনা ইসমাঈল
(আ)-এর মাকে একটি সুযোগ এনে দিল ৷ সেও মানুষের সাহচর্য চাচ্ছিল ৷ এরপর তারা সেখানে
বসতি স্থাপন করল এবং তাদের পয়িবড়ার-পরিজনের কাছেও সংবাদ পাঠাল , তারাও এসে তাদের
সাথে বসবাস করতে লাগল ৷ পরিশেষে সেখানে তাদের কয়েকটি পরিবারের বসতি স্থাপিত
হল ৷ এদিকে ইসমাঈল (আ) যৌবনে উপনীত হলেন এবং তাদের থেকে আরবী ভাষা
শিখলেন যৌবনে পৌছে তিনি তাদের কাছে আকর্ষণীয় ও প্রিয়পাত্র হার উঠলেন ৷ যখন তিনি
পুর্ণ যৌবন লাভ করলেন তখন তারা তার সঙ্গে তাদেরই একটি মেয়েকে বিবাহ দিল ৷ এরই
মধ্যে ইসমাঈল (আ)-এর যা হাজেরার ইন্তিকাল হয় ৷ ইসমাঈল (আ)-এর বিবাহের পর
ইবরাহীম (আ) তার পরিত্যক্ত পরিবারকে দেখার জন্যে এখানে আসেন ৷ কিন্তু ইসমড়াঈল
(আ)-কে পেলেন না ৷ তখন তার শ্ৰীকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন ৷ শ্রী জানালেন, তিনি
আমাদের জীবিকার খোজে বেরিয়ে গেছেন ৷ তখন তিনি তাদের জীবনযাত্রা ও অবস্থা সম্বন্ধে
জিজ্ঞেস করলেন ৷ সে জানায়, আমরা অতি কষ্টে, অভাব-অনটনে আছি ৷ সে তার কাছে
নিজেদের দুর্দশার অভিযোগ করল ৷ তখন ইবরাহীম (আ) বললেন, তোমার স্বামী বাড়ি ফিরে
এসে আমার সালাম জানাবে এবং তাকে দরজার চৌকাঠ বদলিয়ে ফেলতে বলবে ৷

ইসমাঈল (আ) বাড়ি ফিরে এলে তিনি যেন কিছু একটা ঘটনার আভাস পেলেন ৷ ত্রীকে
জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের কাছে কি কোন লোক এসেছিল? শ্রী বলল, হ্যা , এই এই আকৃতির
একজন বৃদ্ধ লোক এসেছিলেন ৷ তিনি আপনার সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন ৷ আমি তা
জানিয়েছি ৷ আমাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন ৷ আমি বলেছি যে, আমরা খুব
কষ্টে ও অভাবে আছি ৷ ইসমাঈল (আ) জিজ্ঞেস করলেন, তিনি তোমাকে কোন উপদেশ
দিয়েছেন কি? ত্রী বলল, হ্যা, আপনাকে তার সালাম জানাতে বলেছেন ও আপনাকে দরজার
চৌকাঠ বদলাতে বলেছেন ৷ ইসমাঈল (আ) বললেন, ইনি আমার পিতা ৷ তোমাকে ত্যাগ করার
জন্যে আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ৷ সুতরাং তুমি তোমার আপনজনদের কাছে চলে যাও ৷ তখন
তিনি শ্ৰীকে তালাক দিয়ে দিলেন এবং জুরহুম গোত্রের অন্য এক মহিলাকে বিবাহ করেন ৷
ইবরাহীম (আ) দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাদের থেকে দুরেই রইলেন ৷ তারপর হযরত ইবরাহীম (আ)
তাদেরকে পুনরায় দেখতে এলেন ৷ কিন্তু এবারও তিনি ইসমাঈলকে বাড়িতে পেলেন না ৷
পুত্রবধুর নিকট গিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানালেন, তিনি আমাদের জীবিকার অম্বেষণে
বাইরে গেছেন ৷ ’ ইবরাহীম (আ) বললেন, তোমরা কেমন আছ, তোমাদের জীবনযাত্রা ও
অবস্থা কেমনঃ জবাবে পুত্রবধু বললেন : আমরা ভাল আছি ও স্বচ্ছন্দে আছি, সাথে সাথে


وَمَا فِيهِ مَاءٌ، فَأَرْسَلُوا جَرِيًّا أَوْ جَرِيَّيْنِ فَإِذَا هُمْ بِالْمَاءِ، فَرَجَعُوا فَأَخْبَرُوهُمْ بِالْمَاءِ، فَأَقْبَلُوا قَالَ: وَأُمُّ إِسْمَاعِيلَ عِنْدَ الْمَاءِ، فَقَالُوا: تَأْذَنِينَ لَنَا أَنْ نَنْزِلَ عِنْدَكِ. قَالَتْ: نَعَمْ، وَلَكِنْ لَا حَقَّ لَكُمْ فِي الْمَاءِ. قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَأَلْفَى ذَلِكَ أُمَّ إِسْمَاعِيلَ وَهِيَ تُحِبُّ الْأُنْسَ» . فَنَزَلُوا وَأَرْسَلُوا إِلَى أَهْلِيهِمْ فَنَزَلُوا مَعَهُمْ حَتَّى إِذَا كَانَ بِهَا أَهْلُ أَبْيَاتٍ مِنْهُمْ، وَشَبَّ الْغُلَامُ، وَتَعَلَّمَ الْعَرَبِيَّةَ مِنْهُمْ، وَأَنْفَسَهُمْ وَأَعْجَبَهُمْ حِينَ شَبَّ، فَلَمَّا أَدْرَكَ زَوَّجُوهُ امْرَأَةً مِنْهُمْ، وَمَاتَتْ أُمُّ إِسْمَاعِيلَ، فَجَاءَ إِبْرَاهِيمُ بَعْدَ مَا تَزَوَّجَ إِسْمَاعِيلُ يُطَالِعُ تَرِكَتَهُ، فَلَمْ يَجِدْ إِسْمَاعِيلَ فَسَأَلَ امْرَأَتَهُ عَنْهُ فَقَالَتْ: خَرَجَ يَبْتَغِي لَنَا. ثُمَّ سَأَلَهَا عَنْ عَيْشِهِمْ وَهَيْئَتِهِمْ، فَقَالَتْ: نَحْنُ بِشَرٍّ نَحْنُ فِي ضِيقٍ وَشِدَّةٍ. وَشَكَتْ إِلَيْهِ، قَالَ: فَإِذَا جَاءَ زَوْجُكِ فَاقْرَئِي عَلَيْهِ السَّلَامَ، وَقُولِي لَهُ يُغَيِّرُ عَتَبَةَ بَابِهِ. فَلَمَّا جَاءَ إِسْمَاعِيلُ كَأَنَّهُ آنَسَ شَيْئًا، فَقَالَ: هَلْ جَاءَكُمْ مِنْ أَحَدٍ؟ فَقَالَتْ: نَعَمْ. جَاءَنَا شَيْخٌ كَذَا وَكَذَا، فَسَأَلَنَا عَنْكَ فَأَخْبَرْتُهُ، وَسَأَلَنِي كَيْفَ عَيْشُنَا فَأَخْبَرْتُهُ أَنَّا فِي جَهْدٍ وَشِدَّةٍ. قَالَ: فَهَلْ أَوْصَاكِ بِشَيْءٍ؟ قَالَتْ: نَعَمْ. أَمَرَنِي أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ السَّلَامَ، وَيَقُولُ: غَيِّرْ عَتَبَةَ بَابِكَ. قَالَ: ذَاكَ أَبِي، وَأَمَرَنِي أَنْ أُفَارِقَكَ فَالْحَقِي بِأَهْلِكِ. فَطَلَّقَهَا وَتَزَوَّجَ مِنْهُمْ أُخْرَى، وَلَبِثَ عَنْهُمْ إِبْرَاهِيمُ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ أَتَاهُمْ بَعْدُ فَلَمْ يَجِدْهُ فَدَخَلَ عَلَى امْرَأَتِهِ فَسَأَلَهَا عَنْهُ فَقَالَتْ: خَرَجَ يَبْتَغِي لَنَا. قَالَ: كَيْفَ أَنْتُمْ؟ وَسَأَلَهَا عَنْ عَيْشِهِمْ وَهَيْئَتِهِمْ، فَقَالَتْ: نَحْنُ بِخَيْرٍ وَسَعَةٍ، وَأَثْنَتْ عَلَى اللَّهِ، فَقَالَ: مَا طَعَامُكُمْ؟ قَالَتِ: اللَّحْمُ. قَالَ: فَمَا شَرَابُكُمْ؟ قَالَتِ: الْمَاءُ. قَالَ: اللَّهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِي اللَّحْمِ وَالْمَاءِ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ يَوْمَئِذٍ حَبٌّ، وَلَوْ كَانَ لَهُمْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৮


মহিলাটি আল্লাহ্র প্ৰশংসাও করলেন ৷ ইব্রাহীম (আ) জিজ্ঞেস করলেন, সাধারণত তোমাদের
খাদ্য কী? তিনি বললেন : গোশৃত ৷ পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন ও তোমাদের পানীয় কি? তিনি
বললেন, পানি ৷ ইব্রাহীম (আ) দুআ করলেন, হে আল্লাহ ! এদের গোশৃত ও পানিতে বরকত
দান করুন ৷ ’

নবী করীম (সা) বলেছেন, ঐ সময় তাদের ওখানে খড়াদম্মেস্য উৎপাদিত হত না ৷ যদি হত
তা হলে তিনি তাদের জন্যে সে ৰিষয়েও দুআ করতেন ৷ ব্ংনািকারী বলেন, মক্কা ব্যতীত অন্য
কোথাও কেউ শুধু গোশত ও পানি দ্বারা জীবন ধারণ করতে পারে না ৷ কেননা, শুধু গোশত ও
পানি জীবন যাপনের অনুকুল হতে পারে না ৷ ইব্রাহীম (আ) বললেন, তোমার স্বামী যখন
বাড়িতে আসবে তখন আমার সালাম জানাবে ও দরজার চৌকাঠ অপরিবর্তিত রাখতে বলবে ৷
ইসমাঈল (আ) যখন বাড়িতে আসলেন, তখন ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের নিকট কেউ
এসেছিল কি? শ্রী বললেন : হীা, একজন সুন্দর আকৃতির বৃদ্ধলোক এসেছিলেন ৷ ত্রী আগন্তুকের
প্রশংসা করলেন ৷ তিনি আপনার সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছেন ৷ আমি তাকে আপনার সংবাদ
জানিয়েছি ৷ তিনি আমাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কেও জানতে চেয়েছেন ৷ আমি জানিয়েছি যে,
আমরা ভাল আছি ৷ ইসমাঈল (আ) বললেন, তিনি কি তোমাকে আর কোন উপদেশ দিয়েছেন ?
শ্রী বললেন, হীা, তিনি আপনাকে সালাম জানিয়েছেন ও আপনার দরজার চৌকাঠ ঠিক রাখতে
বলেছেন ৷ ইসমাঈল (আ) বললেন, ইনি আমার পিতা ৷ তোমাকে শ্রীরুপে বহাল রাখতে আদেশ
করেছেন ৷

পুনরায় ইব্রাহীম (আ) এদের থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত দুরেই থাকলেন ৷ তারপর ইব্রাহীম
(আ) পুনরায় তথায় আসলেন ৷ দেখলেন, ইসমাঈল যমযম কুপের নিকটে বিরাট এক বৃক্ষের
নিচে বসে তীর র্চাছছিলেন ৷ পিতাকে দেখে তিনি তার দিকে এগিয়ে আসলেন ৷ অতঃপর উভয়ে
এমনভাবে পরস্পরকে আলিঙ্গন করলেন, যেমন সাধারণত পিতাপুত্রের মধ্যে হয়ে থাকে ৷
এরপর ইব্রাহীম (আ) বললেন, হে ইসমাঈল ! আল্লাহ আমাকে একটি কাজের আদেশ
করেছেন ৷ ইসমাঈল (আ) বললেন, আল্লাহ যে আদেশ করেছেন তা বাস্তবায়িত করুন ৷
ইব্রাহীম (আ) বললেন, তুমি আমাকে সাহায্য করবেঃ ইসমাঈল (আ) বললেন : নিশ্চয়ই
আমি আপনাকে সাহায্য করব ৷ ইব্রাহীম (আ) পার্শে অবস্থিত উচু ঢিবিটির দিকে ইঙ্গিত করে
বললেন, আল্লাহ আমাকে এ স্থানটি ঘিরে একটি ঘর নির্মাণের আদেশ দিয়েছেন ৷ তখন তারা
উভয়ে কাবা ঘরের দেয়াল উঠাতে লেগে পেলেন ৷ ইসমাঈল (আ) পাথর আনতেন ও
ইব্রাহীম (আ) পাথুনী দিতেন ৷ শেষে যখন দেয়াল উচু হয়ে গেল, তখন ইসমাঈল (আ)
মাকামে ইবরাহীম’ নামে প্রসিদ্ধ পাথরটি আনলেন এবং সেখানে রাখলেন ৷ ইব্রাহীম (আ)
তার উপর দাড়িয়ে ইমারত তৈরি করতে লাগলেন আর ইসমাঈল (আ) তাকে পাথর যোগান
দিতে থাকেন ৷ এ সময় তারা উভয়ে নিম্নের দৃআটি পাঠ করেন এর্দুদ্বু fi: টুদ্বুব্লুট্রু ট্রুন্টু
আমাদের থেকে এ কাজ কবুল করুন ৷ নিশ্চয়ই
আপনি সবকিছু শোনেন ও জানেন ৷ (সুরা বাকারা : ১২৭)

আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া (১ম খণ্ড) ৪৫


حَبٌّ لَدَعَا لَهُمْ فِيهِ فَهُمَا لَا يَخْلُو عَلَيْهِمَا أَحَدٌ بِغَيْرِ مَكَّةَ إِلَّا لَمْ يُوَافِقَاهُ» . قَالَ: فَإِذَا جَاءَ زَوْجُكِ فَاقْرَئِي عَلَيْهِ السَّلَامَ، وَمُرِيهِ يُثَبِّتْ عَتَبَةَ بَابِهِ، فَلَمَّا جَاءَ إِسْمَاعِيلُ قَالَ: هَلْ أَتَاكُمْ مِنْ أَحَدٍ؟ قَالَتْ: نَعَمْ. أَتَانَا شَيْخٌ حَسَنُ الْهَيْئَةِ، وَأَثْنَتْ عَلَيْهِ، فَسَأَلَنِي عَنْكَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَسَأَلَنِي كَيْفَ عَيْشُنَا فَأَخْبَرْتُهُ أَنَّا بِخَيْرٍ، قَالَ: فَأَوْصَاكِ بِشَيْءٍ؟ قَالَتْ: نَعَمْ، هُوَ يَقْرَأُ عَلَيْكَ السَّلَامَ، وَيَأْمُرُكَ أَنْ تُثَبِّتَ عَتَبَةَ بَابِكَ. قَالَ: ذَاكَ أَبِي، وَأَنْتِ الْعَتَبَةُ، وَأَمَرَنِي أَنْ أُمْسِكَكِ، ثُمَّ لَبِثَ عَنْهُمْ مَا شَاءَ اللَّهُ، ثُمَّ جَاءَ بَعْدَ ذَلِكَ وَإِسْمَاعِيلُ يَبْرِي نَبْلًا لَهُ تَحْتَ دَوْحَةٍ قَرِيبًا مِنْ زَمْزَمَ، فَلَمَّا رَآهُ قَامَ إِلَيْهِ فَصَنَعَا كَمَا يَصْنَعُ الْوَلَدُ بِالْوَالِدِ وَالْوَالِدُ بِالْوَلَدِ، ثُمَّ قَالَ: يَا إِسْمَاعِيلُ إِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي بِأَمْرٍ. قَالَ: فَاصْنَعْ مَا أَمَرَكَ رَبُّكَ. قَالَ: وَتُعِينُنِي. قَالَ: وَأُعِينُكَ. قَالَ: فَإِنَّ اللَّهَ أَمَرَنِي أَنْ أَبْنِيَ هَاهُنَا بَيْتًا. وَأَشَارَ إِلَى أَكَمَةٍ مُرْتَفِعَةٍ عَلَى مَا حَوْلَهَا، قَالَ: فَعِنْدَ ذَلِكَ رَفَعَا الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ فَجَعَلَ إِسْمَاعِيلُ يَأْتِي بِالْحِجَارَةِ، وَإِبْرَاهِيمُ يَبْنِي، حَتَّى إِذَا ارْتَفَعَ الْبِنَاءُ جَاءَ بِهَذَا الْحَجَرِ فَوَضَعَهُ لَهُ فَقَامَ عَلَيْهِ وَهُوَ يَبْنِي، وَإِسْمَاعِيلُ يُنَاوِلُهُ الْحِجَارَةَ، وَهُمَا يَقُولَانِ: {رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 127] . قَالَ: وَجَعَلَا يَبْنِيَانِ حَتَّى يَدُورَا حَوْلَ الْبَيْتِ، وَهُمَا يَقُولَانِ: {رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ} [البقرة: 127] ثُمَّ قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ
পৃষ্ঠা - ৩৫৯


এভাবে তারা দু’জনে কাবাঘর নির্মাণ কাজ শেষ করেন এবং কাজ শেষে ঘরের চারদিকে
তড়াওয়ড়াফ করেন এবং উক্ত দৃআ পাঠ করেন ৷ ইমাম বুখারী (র) ইবন আব্বাস (বা) সুত্রে বর্ণনা
করেন, তিনি বলেন : যখন ইবরাহীম (আ) ও তার শ্রী সারাহ্র মধ্যে যা ঘটার ঘটে গেল , তখন
তিনি ইসমাঈল (আ) ও তার মাকে নিয়ে বের হয়ে যান ৷ তাদের সাথে পানি ভর্তি একটি মশক
ছিল ৷ তারপর ইমাম বুখারী (র) ণ্পুর্বোল্লিখিত হড়াদীসের অনুরুপ ঘটনার বিবরণ দেন ৷ হাদীসটি
ইবন অড়াব্বাসের উক্তি ৷ এর কিছু অংশ মারফু’ আর কিছু গরীব’ পর্যায়ের ৷ ইবন আব্বাস (বা)
সম্ভবত ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে এগুলো সংগ্রহ করেছেন ৷ তার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, ইসমাঈল
(আ) ঐ সময় দৃগ্ধপোষ্য শিশু ছিলেন ৷ তাওরাত পন্থীরা বলেন, আল্লাহ ইবরাহীম (আ)-কে পুত্র
ইসমাঈল (আ) ও তার কাছে আর যত দাস ও অন্যান্য লোক ছিল তাদের খাতনার নির্দেশ
দেন ৷ তিনি এ নির্দেশ পালন করেন এবং সবাইকে খাৎনা করান ৷ এ সময় ইবরাহীম (আ)-এর
বয়স হয়েছিল নিরানব্বই বছর ও ইসমাঈল (আ)-এর বয়স ছিল তের বছর ৷ খাতনা করাটা
ছিল আল্লাহর নির্দোণ পালনার্থে ৷ এতে প্রতীয়মান হয়, অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হিসেবেই তিনি

তা পালন করেন ৷ এ কারণেই উলামায়ে কিরাম খাতনা করা ওয়াজিব বলেছেন-এ মত
সঠিক ৷

বুখারী শরীফে আবু হুরায়রা (বা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবী করীম (সা) বলেছেন :
ইবরাহীম (আ) আশি বছর বয়সে (ছুতারের) বাইসের (ণ্প্রু;চা৷রু)সড়াহড়াভ্রুযব্র নিজের খাতনা
করেন ৷ আবদুর রহমান ইবন ইসহাক , আজলান, মুহাম্মদ ইবন আমর ও ইমাম মুসলিম ভিন্ন
ভিন্ন সনদে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ উক্ত বর্ণনায় ব্যবহৃত কুদুম ’ শব্দটির অর্থ ধারাল অস্ত্র ৷
কেউ কেউ এটি একটি স্থানের নাম বলেছেন ৷ এসব হাদীসের শব্দের মধ্যে কিছু কিছু পার্থক্য

আছে ৷ ইবন হিব্বান (র) আবু হুরায়রা (বা) সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন :
নবী ইবরাহীম (আ) একশ’ বিশ বছর বয়সে খাতনা করান ৷ এর পরেও আশি বছর জীবিত
থাকেন ৷ এসব বর্ণনায় ইসমাঈল (আ) কে যাবীহ্ বলে উল্লেখ করা হয়নি এবং এতে ইবরাহীম
(আ)-এর তিনবার আগমনের কথা বলা হয়েছে ৷ প্রথমবার আগমন করেন তখন, যখন
হাজেরার মৃত্যু হয় ও ইসমাঈল (আ) বিবাহ করেন ৷ শিশুকালে রেখে আসার পর থেকে
ইসমাঈলের বিবাহ করা পর্যন্ত তিনি আর তাদের শৌজ-খবর নেননি ৷ বলা হয় যে, সফরকালে
ইবরাহীম (আ)-এর জন্যে য়যীনের দুরৎ সংকুচিত হয়ে যেত ৷ কেউ কেউ বলেছেন, তিনি যখন
আসতেন তখন বিদ্যুতের গতিসম্পন্ন বাহন বুরাকে চড়ে আসতেন ৷ এ যদি হয় তাহলে হযরত
ইবরাহীম (আ) তা দের সংবাদ না নিয়ে কিভাবে দুরে পড়ে থাকতে পারেন? অথচ নিজের
পরিজনের সংবাদ রাখা একটি গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব; বিশেষ করে যে অবস্থায় তাদের রেখে

এসেছিলেন ৷ এসব ঘটনার কিছু অংশ ইসরাঈলী বর্ণনা থেকে নেয়া ৷ অবশ্য কিছু আছে মারফু
হাদীস ৷ তবে এতে যাবীহ্’-এর ঘটনার উল্লেখ নেই ৷ কিন্তু তাফসীরের মধ্যে সুরা সাফ্ফাতে
আমরা দলীলসহ উল্লেখ করেছি যে, যাবীহ হলেন হযরত ইসমাঈল (আ) ৷


سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ بَيْنَ إِبْرَاهِيمَ وَأَهْلِهِ مَا كَانَ خَرَجَ بِإِسْمَاعِيلَ وَأُمِّ إِسْمَاعِيلَ وَمَعَهُمْ شَنَّةٌ فِيهَا مَاءٌ. وَذَكَرَ تَمَامَهُ بِنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ، وَهَذَا الْحَدِيثُ مِنْ كَلَامِ ابْنِ عَبَّاسٍ، وَمُوَشَّحٌ بِرَفْعِ بَعْضِهِ، وَفِي بَعْضِهِ غَرَابَةٌ، وَكَأَنَّهُ مِمَّا تَلَقَّاهُ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، وَفِيهِ أَنَّ إِسْمَاعِيلَ كَانَ رَضِيعًا إِذْ ذَاكَ، وَعِنْدَ أَهْلِ التَّوْرَاةِ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ أَمَرَهُ اللَّهُ بِأَنْ يَخْتِنَ وَلَدَهُ إِسْمَاعِيلَ، وَكُلَّ مَنْ عِنْدَهُ مِنَ الْعَبِيدِ وَغَيْرِهِمْ فَخَتَنَهُمْ، وَذَلِكَ بَعْدَ مُضِيِّ تِسْعٍ وَتِسْعِينَ سَنَةً مِنْ عُمُرِهِ، فَيَكُونُ عُمُرُ إِسْمَاعِيلَ يَوْمَئِذٍ ثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً، وَهَذَا امْتِثَالٌ لِأَمْرِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَهْلِهِ فَيَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ فَعَلَهُ عَلَى وَجْهِ الْوُجُوبِ؛ وَلِهَذَا كَانَ الصَّحِيحُ مِنْ أَقْوَالِ الْعُلَمَاءِ أَنَّهُ وَاجِبٌ عَلَى الرِّجَالِ، كَمَا هُوَ مُقَرَّرٌ فِي مَوْضِعِهِ. وَقَدْ ثَبَتَ فِي الْحَدِيثِ الَّذِي رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ، حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقُرَشِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ النَّبِيُّ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِينَ سَنَةً بِالْقَدُومِ» . تَابَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، وَتَابَعَهُ عَجْلَانُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ. وَهَكَذَا رَوَاهُ مُسْلِمٌ، عَنْ قُتَيْبَةَ بِهِ. وَفِي بَعْضِ الْأَلْفَاظِ «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ بَعْدَ مَا أَتَتْ عَلَيْهِ ثَمَانُونَ سَنَةً وَاخْتَتَنَ بِالْقَدُومِ» . وَالْقَدُومُ هُوَ الْآلَةُ.
পৃষ্ঠা - ৩৬০
وَقِيلَ: مَوْضِعٌ. وَهَذَا اللَّفْظُ لَا يُنَافِي الزِّيَادَةَ عَلَى الثَّمَانِينَ وَاللَّهُ أَعْلَمُ لِمَا سَيَأْتِي مِنَ الْحَدِيثِ عِنْدَ ذِكْرِ وَفَاتِهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ وَهُوَ ابْنُ مِائَةٍ وَعِشْرِينَ سَنَةً، وَعَاشَ بَعْدَ ذَلِكَ ثَمَانِينَ سَنَةً» . رَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ، وَلَيْسَ فِي هَذَا السِّيَاقِ ذِكْرُ قِصَّةِ الذَّبِيحِ وَأَنَّهُ إِسْمَاعِيلُ، وَلَمْ يَذْكُرْ فِي قَدَمَاتِ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ إِلَّا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ، أُولَاهُنَّ بَعْدَ أَنْ تَزَوَّجَ إِسْمَاعِيلُ بَعْدَ مَوْتِ هَاجَرَ، وَكَيْفَ يَتْرُكُهُمْ مِنْ حِينِ صِغَرِ الْوَلَدِ عَلَى مَا ذُكِرَ إِلَى حِينِ تَزْوِيجِهِ لَا يَنْظُرُ فِي حَالِهِمْ؟ وَقَدْ ذُكِرَ أَنَّ الْأَرْضَ كَانَتْ تُطْوَى لَهُ. وَقِيلَ: إِنَّهُ كَانَ يَرْكَبُ الْبُرَاقَ إِذَا سَارَ إِلَيْهِمْ، فَكَيْفَ يَتَخَلَّفُ عَنْ مُطَالَعَةِ حَالِهِمْ، وَهُمْ فِي غَايَةِ الضَّرُورَةِ الشَّدِيدَةِ وَالْحَاجَةِ الْأَكِيدَةِ؟ وَكَأَنَّ بَعْضَ هَذَا السِّيَاقِ مُتَلَقًّى مِنَ الْإِسْرَائِيلِيَّاتِ، وَمُطَرَّزٌ بِشَيْءٍ مِنَ الْمَرْفُوعَاتِ، وَلَمْ يُذْكَرْ فِيهِ قِصَّةُ الذَّبِيحِ، وَقَدْ دَلَّلْنَا عَلَى أَنَّ الذَّبِيحَ هُوَ إِسْمَاعِيلُ عَلَى الصَّحِيحِ فِي سُورَةِ الصَّافَّاتِ.