سنة ثمان من الهجرة النبوية
غزوة هوازن يوم حنين
هزيمة هوازن
পৃষ্ঠা - ৩৫২২
আওতাস যুদ্ধ
আওতাস যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার কারণ ছিল এই যে, হাওয়াযিন সম্প্রদায় পরাজয় বরণ করার
পর তাদের এক দল তায়েফে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ তাদের মধ্যে দলপতি মালিক ইবন আওফ
নাসয়ীও ছিল ৷ তায়েফের দুর্গের অভ্যন্তরে তারা অবস্থান নেয় ৷ আর এক দল লোক আওতাস
নামক স্থানে গিয়ে সমবেত হয় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) আবু আমির আশআরী ( রা)-এর নেতৃত্বে এক
দল সাহাবীর একটি বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন ৷ মুসলিম বাহিনী যুদ্ধ করে তাদেরকে
পরাজিত করেন ৷ অন্যদিকে রাসুলুল্পাহ্ (না) স্বয়ং তায়িফের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন
এবং তারিফ অবরোধ করেন ৷ এ বিষয়ে আলোচনা পরে করা হবে ৷
ইবন ইসহাক বলেন : হুনায়ন যুদ্ধে মুশরিক বাহিনী পরাজিত হওয়ার পর পালিয়ে তায়েফে
চলে আসে ৷ মালিক ইবন আওফ্ও তাদের সাথে ছিল ৷ তবে তাদের মধ্য হতে কিছু সংখ্যক
লোক আওতাসে যায় ৷ আর কিছু সংখ্যক যায় নাখলায় ৷ অবশ্য ছাকীফ গোত্রের ওয়াপীরা
উপগােত্রের লোক ব্যতীত আর কেউ নাখলায় যায়নি ৷ যে সব লোক পার্বত্য পথ ধরে তায়েফ
যায়, রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর অশ্বারোহী বাহিনী তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে ৷ এ প্রচেষ্টায় রাৰীআ ইবন
রাফী ইবন ইহান সুলামী দুরায়দ ইবন সিমমাকে ধরে ফেলেন ৷ রাৰীআ ইবন দাগিন্না নামে
প্রসিদ্ধ ছিলেন ৷ দাগিন্না ছিল তার মায়ের নাম ৷ রাৰীআ দৃরায়দের উটের লাগাম টেনে ধরেন ৷ তিনি
ধারণা করেছিলেন যে, উটের আরোহী হবে একজন মহিলা ৷ কেননা, সে কাপড় দিয়ে ঘেরা
হাওদার মধ্যে অবস্থান করছিল ৷ কিন্তু ঘের খুলে ফেলার পর তিনি দেখলেন যে একজন পুরুষ
মানুষ ৷ তিনি উটটিকে বসিয়ে দিলেন ৷ দেখলেন লোকটি জরাগ্রস্ত বৃদ্ধ, দুরায়দ ইবন সিমমা ৷
তরুণ রাৰীআ দুরায়দকে চিনতেন না ৷ দুরায়দ জিজ্ঞেস করলো, তুমি আমাকে কি করতে চাও :
তিনি বললেন, তোমাকে আমি হত্যা করবো ৷ দুরায়দ জানতে চাইল, কে তুমি : তিনি জবাবে
বললেন, আমি রাবীআ ইবন রাফী সুলামী ৷ এরপর তিনি তলোয়ার দ্বারা দুরায়দকে আঘাত
করলেন ৷ কিন্তু তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হলেন ৷ তখন দুরায়দ বললো, “কত নিকৃষ্ট অস্ত্র দিয়ে
তোমার মা ণ্তামাকে যুদ্ধে পাঠিয়েছে : আমার বাহনে হাওদার পিছনে রাখা ঘেরেব ভেতর থেকে
আমার তলােয়ারটা বের করে আন এবং তা দিয়ে আমাকে আঘাত কর ৷ তবে তুমি অস্থির উপরে
এবং মগত্তেরে নিচে আঘাত করবে ৷ কেননা, আমি এভাবেই লোক হত্যা করতাম ৷ তারপর তুমি
যখন তোমার মায়ের কাছে ফিরে যাবে তখন তাকে বলবে , আমি দুরায়দ ইবন সিমমাকে হত্যা
করেছি ৷ আল্লাহর কসম ! বহুবার আমি তোমাদের মহিলাদেরকে রক্ষা করেছি ৷” পরবর্তীতে বনু
সুলায়মের লোকজন বলেছে যে, রাৰীআ“ জানিয়েছেন, দুরায়দকে আঘাত করার পর সে উলংগ
হয়ে নিচে পড়ে যায় ৷ তখন দেখা যায় তার নিতম্ব ও উরুদ্বয় অধিক অশ্বারােহণ করার ফলে
কাগজের ন্যায় সাদা হয়ে গেছে ৷ এরপর যুদ্ধ শেষে ফিরে এসে রাৰীআ তার মায়ের নিকট গিয়ে
[هَزِيمَةُ هَوَازِنَ]
فَصْلٌ (هَزِيمَةُ هَوَازِنَ) .
وَلَمَّا انْهَزَمَتْ هَوَازِنُ وَقَفَ مَلِكُهُمْ مَالِكُ بْنُ عَوْفٍ النَّصْرِيُّ عَلَى ثَنِيَّةٍ مَعَ طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: قِفُوا حَتَّى تَجُوزَ ضُعَفَاؤُكُمْ وَتَلْحَقَ أُخْرَاكُمْ.
قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَبَلَغَنِي أَنَّ خَيْلًا طَلَعَتْ وَمَالَكٌ وَأَصْحَابُهُ عَلَى الثَّنِيَّةِ، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَاذَا تَرَوْنَ؟ قَالُوا: نَرَى قَوْمًا وَاضِعِي رِمَاحِهِمْ بَيْنَ آذَانِ خَيْلِهِمْ، طَوِيلَةً بِوَادُّهُمْ. فَقَالَ: هَؤُلَاءِ بَنُو سُلَيْمٍ، وَلَا بَأْسَ عَلَيْكُمْ مِنْهُمْ. فَلَمَّا أَقْبَلُوا سَلَكُوا بَطْنَ الْوَادِي، ثُمَّ طَلَعَتْ خَيْلٌ أُخْرَى تَتْبَعُهَا، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَاذَا تَرَوْنَ؟ قَالُوا: نَرَى قَوْمًا عَارِضِي رِمَاحِهِمْ أَغْفَالًا عَلَى خَيْلِهِمْ. فَقَالَ: هَؤُلَاءِ الْأَوْسُ وَالْخَزْرَجُ، وَلَا بَأْسَ عَلَيْكُمْ مِنْهُمْ. فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَى أَصْلِ الثَّنِيَّةِ سَلَكُوا طَرِيقَ بَنِي سُلَيْمٍ، ثُمَّ طَلَعَ فَارِسٌ فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَاذَا تَرَوْنَ؟ فَقَالُوا: نَرَى فَارِسًا طَوِيلَ الْبَادِّ، وَاضِعًا رُمْحَهُ عَلَى عَاتِقِهِ، عَاصِبًا رَأْسَهُ بِمُلَاءَةٍ حَمْرَاءَ. قَالَ: هَذَا الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ وَأُقْسِمُ بِاللَّاتِ لِيُخَالِطَنَّكُمْ فَاثْبُتُوا لَهُ. فَلَمَّا انْتَهَى الزُّبَيْرُ إِلَى أَصْلِ الثَّنِيَّةِ أَبْصَرَ الْقَوْمَ فَصَمَدَ لَهُمْ، فَلَمْ يَزَلْ يُطَاعِنُهُمْ حَتَّى أَزَاحَهُمْ عَنْهَا.