আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

قصة إبراهيم الخليل عليه الصلاة والسلام

ذكر مولد إسماعيل عليه الصلاة والسلام من هاجر

পৃষ্ঠা - ৩৫২


করে রাখে ৷ এ সংবাদ হযরত ইবরা হীম (আ) এর নিকট পৌছলে তিনি তিনশ’ আঠ৷ ৷রজন সৈন্য
নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করেন এবং লুত (আ) কে উদ্ধার করেন তার সম্পদ ফিরিয়ে
আনেন ৷ আল্লাহ ও তার রাসুলের বিপুল স ×খ্যক শত্রুকে হত্যা করেন ৷ শত্রু বাহিনীকে পরাজিত
করেন ও , তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেত তিনি৷ দ ৷মেশকের পুর্ব প্রান্ত পর্যন্ত পৌছেন ৷ শহরের উপকণ্ঠে
ব্ারযাহ্ নামক স্থানে সেনা ছাউনি স্থাপন করেন ৷ আমার ধারণা-; এই স্থানকে “মাকামে
ইব্রাহীম” বলার কারণ এটাই যে , এখানে ইব্রাহীম খলীলুল্লাহর সৈন্য বাহিনীর শিবির ছিল ৷

তারপর হযরত ইব্রাহীম (আ) আল্লাহর সাহায্যপুষ্ট অবস্থায় বিজয়ীর বেশে নিজ দেশে
প্রত্যাবর্তন করেন ৷ বায়তৃল মুকাদ্দাসের শহরসমুহের শাসকবর্গ শ্রদ্ধাভরে ও বিনীতভাবে এসে
তাকে অভ্যর্থাং৷ জানান ৷ তিনি সেখানেই বসবাস করতে থাকেন ৷

হাজেরার গর্ভে ইসমাঈল (আ) এর জন্ম প্রসঙ্গ

আহ্লি কিতাবদের বর্ণনা মতে হযরত ইব্রাহীম (আ) আল্লাহর নিকট সুসন্তানের জন্য

দুআ করেন ৷ আল্লাহত তাকে এ বিষয়ে সৃসৎ বাদ দানও করেন ৷ কিন্তু এরপর বায়তৃল মুকাদ্দাসে

তার বিশটি বছর অতিবাহিত হয়ে যায় ৷ এ সময় একদিন সারাহ্ হযরত তইবরাহীম (আ) কে
বললেন, আমাকে তে৷ আল্লাহ সন্তান থেকে বঞ্চিতই রেখেছেন ৷ সুতরাং আপনি আমার বাদীয়
সাথে মিলিত হন ৷৩ তার গর্ভে আল্লাহ আমাকে একটা সন্তান দিতেও পারেন ৷ সারাহ্ হাজেরাকে
ইব্রাহীমের জন্যে হেব৷ করে দিলে ইব্রাহীম (আ) তার সাথে মিলিত হন ৷ তাতে হাজেরা
সন্তান-সম্ভবা হন ৷ এতে আহ্লি কিতাবগণ বলে থাকেন, হড়াজেরা অনেকটা গৌরব্বােধ করেন
এবং আপন মনিব স ৷রাহ্র তুলনায় নিজেকে ভাগ্যবতী বলে মনে করতে থাকেন ৷ সারাহ্র মধ্যে
আত্মমর্যাদা বোধ জাগ্রত হয় এবংত তিনি এ সম্পর্কে ইব্রাহীম (আ) এর নিকট অভিযোগ করেন ৷
জবাবে ইব্রাহীম (আ) বললেন, “তার ব্যাপারে তুমি যে কোন পদক্ষেপ নিতে চাও নিতে
পার ৷” এতে হড়াজেরা শংকিত হয়ে পলায়ন করেন এবং অদুরেই এক কুপের নিকটে অবতরণ
করেন ৷ সেখানে জনৈক ফেরেশতা তাকে বলে দেন যে, তুমি ভয় পেয় না; যে সন্তান তুমি
ধারণ করেছ আল্লাহ তাকে পৌরবময় করবেন ৷ ফেরেশতা তাকে বাড়িতে ফিরে যেতে বলেন
এবং সৃস× বাদ দেন যে, তুমি পুত্র-সন্তান প্রসব করবে ৷ তার নাম রাখবে ইসমাঈল ৷ সে হয়ে
এক অনন্য সাধারণ ব্যক্তিতৃ ৷ সকল লোকের উপর তার প্রভাব থাকবে এবং অন্য সবাই তার
দ্বারা শক্তির প্রেরণা পাবে ৷ সে তার ভাইদের কর্তৃত্াধীন সমস্ত এলাকার অধিকারী হবে ৷ এসব
শুনে হড়াজেরা আল্লাহর শুকরিয়৷ আদায়করেন ৷ এই সৃসৎবাদ হযরত ইব্রাহীম (আ)-এর
অবঃস্তন সন্তান মুহাম্মদ (না)-এর ক্ষেত্রে পুর্ণমাত্রায় প্রযোজ্য ৷ কেননা, গোটা আরব জাতি তার
দ্বারা গৌরবের অধিকারী হয় ৷ পুর্ব-পশ্চিমের সমস্ত এলাকায় তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় ৷
তাকে আল্লাহ এমন উন্নত ও কল্যাণকর শিক্ষা এবং সৎকর্ম-কুশলতা দান করেন যা পুর্বে কোন
উম্মতকেই দেওয়া হয়নি ৷ আরব জাত ৷তির এ মর্যাদা পাওয়ার কারণ হচ্ছে তাদের রাসলেল <
যিনি হচ্ছেন নবীকুল শিরােমণি ৷৩ তার রিস৷ লোড হচ্ছে বরকতময় ৷ তিনি হলেন চ
জন্যে রাসুল ৷ তার আনীত আদর্শ হচ্ছে পুণ্যত তম আদর্শ ৷ হাজেরা ঘরে যে


[ذِكْرُ مَوْلِدِ إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ مِنْ هَاجَرَ] قَالَ أَهْلُ الْكِتَابِ: إِنَّ إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ سَأَلَ اللَّهَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً، وَأَنَّ اللَّهَ بَشَّرَهُ بِذَلِكَ، وَأَنَّهُ لَمَّا كَانَ لِإِبْرَاهِيمَ بِبِلَادِ بَيْتِ الْمَقْدِسِ عَشْرُ سِنِينَ، قَالَتْ سَارَةُ لِإِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ: إِنَّ الرَّبَّ قَدْ أَحْرَمَنِي الْوَلَدَ، فَادْخُلْ عَلَى أَمَتِي هَذِهِ لَعَلَّ اللَّهَ يَرْزُقُنَا مِنْهَا وَلَدًا. فَلَمَّا وَهَبَتْهَا لَهُ دَخَلَ بِهَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَحِينَ دَخَلَ بِهَا حَمَلَتْ مِنْهُ. قَالُوا: فَلَمَّا حَمَلَتِ ارْتَفَعَتْ نَفْسُهَا وَتَعَاظَمَتْ عَلَى سَيِّدَتِهَا، فَغَارَتْ مِنْهَا سَارَةُ فَشَكَتْ ذَلِكَ إِلَى إِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ لَهَا: افْعَلِي بِهَا مَا شِئْتِ. فَخَافَتْ هَاجَرُ فَهَرَبَتْ فَنَزَلَتْ عِنْدَ عَيْنٍ هُنَاكَ، فَقَالَ لَهَا مَلَكٌ مِنَ الْمَلَائِكَةِ: لَا تَخَافِي فَإِنَّ اللَّهَ جَاعِلٌ مِنْ هَذَا الْغُلَامِ الَّذِي حَمَلْتِ خَيْرًا. وَأَمَرَهَا بِالرُّجُوعِ، وَبَشَّرَهَا أَنَّهَا سَتَلِدُ ابْنًا وَتُسَمِّيهِ إِسْمَاعِيلَ، وَيَكُونُ وَحْشَ النَّاسِ، يَدُهُ عَلَى الْكُلِّ، وَيَدُ الْكُلِّ بِهِ، وَيَمْلِكُ جَمِيعَ بِلَادِ إِخْوَتِهِ، فَشَكَرَتِ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ عَلَى ذَلِكَ. وَهَذِهِ الْبِشَارَةُ إِنَّمَا انْطَبَقَتْ عَلَى وَلَدِهِ مُحَمَّدٍ صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ الَّذِي سَادَتْ بِهِ الْعَرَبُ، وَمَلَكَتْ جَمِيعَ الْبِلَادِ غَرْبًا وَشَرْقًا، وَأَتَاهَا اللَّهُ مِنَ الْعِلْمِ النَّافِعِ وَالْعَمَلِ الصَّالِحِ مَا لَمْ يُؤْتِ أُمَّةً مِنَ الْأُمَمِ قَبْلَهُمْ، وَمَا ذَاكَ إِلَّا بِشَرَفِ رَسُولِهَا عَلَى سَائِرِ الرُّسُلِ وَبَرَكَةِ رِسَالَتِهِ وَيُمْنِ بِشَارَتِهِ وَكَمَالِهِ فِيمَا جَاءَ بِهِ. وَعُمُومِ بَعْثَتِهِ لِجَمِيعِ أَهْلِ الْأَرْضِ.
পৃষ্ঠা - ৩৫৩
وَلَمَّا رَجَعَتْ هَاجَرُ وَضَعَتْ إِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالُوا: وَلَدَتْهُ وَلِإِبْرَاهِيمَ مِنَ الْعُمُرِ سِتٌّ وَثَمَانُونَ سَنَةً قَبْلَ مَوْلِدِ إِسْحَاقَ بِثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً. وَلَمَّا وُلِدَ إِسْمَاعِيلُ أَوْحَى اللَّهُ إِلَى إِبْرَاهِيمَ يُبَشِّرُهُ بِإِسْحَاقَ مِنْ سَارَةَ فَخَرَّ لِلَّهِ سَاجِدًا. وَقَالَ لَهُ: قَدِ اسْتَجَبْتُ لَكَ فِي إِسْمَاعِيلَ، وَبَارَكْتُ عَلَيْهِ وَكَثَّرْتُهُ وَنَمَّيْتُهُ جَدًّا كَبِيرًا، وَيُولَدُ لَهُ اثْنَا عَشَرَ عَظِيمًا، وَأَجْعَلُهُ رَئِيسًا لِشَعْبٍ عَظِيمٍ. وَهَذِهِ أَيْضًا بِشَارَةٌ بِهَذِهِ الْأُمَّةِ الْعَظِيمَةِ، وَهَؤُلَاءِ الِاثْنَا عَشَرَ عَظِيمًا هُمُ الْخُلَفَاءُ الِاثْنَا عَشَرَ الْمُبَشَّرُ بِهِمْ فِي حَدِيثِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَكُونُ اثْنَا عَشَرَ أَمِيرًا» . ثُمَّ قَالَ: كَلِمَةٌ لَمْ أَفْهَمْهَا فَسَأَلْتُ أَبِي مَا قَالَ؟ قَالَ: «كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» . أَخْرَجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ، وَفِي رِوَايَةٍ «لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ قَائِمًا» . وَفِي رِوَايَةٍ «عَزِيزًا حَتَّى يَكُونَ اثْنَا عَشَرَ خَلِيفَةً كُلُّهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ» . فَهَؤُلَاءِ مِنْهُمُ الْأَئِمَّةُ الْأَرْبَعَةُ؛ أَبُو بَكْرٍ، وَعُمَرُ، وَعُثْمَانُ، وَعَلِيٌّ، وَمِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَيْضًا، وَمِنْهُمْ بَعْضُ بَنِي الْعَبَّاسِ، وَلَيْسَ الْمُرَادُ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ اثْنَيْ عَشَرَ نَسَقًا، بَلْ لَا بُدَّ مِنْ وُجُودِهِمْ، وَلَيْسَ الْمُرَادُ الْأَئِمَّةَ الِاثْنَيْ عَشَرَ الَّذِي يَعْتَقِدُ فِيهِمْ الرَّافِضَةُ الَّذِينَ أَوَّلُهُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، وَآخِرُهُمُ الْمُنْتَظِرُ بِسِرْدَابِ سَامَرَّا، وَهُوَ مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الْعَسْكَرِيُّ فِيمَا يَزْعُمُونَ، فَإِنَّ أُولَئِكَ لَمْ يَكُنْ فِيهِمْ أَنْفَعُ مِنْ عَلِيٍّ وَابْنِهِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ حِينَ تَرَكَ الْقِتَالَ وَسَلَّمَ الْأَمْرَ لِمُعَاوِيَةَ، وَأَخْمَدَ نَارَ
পৃষ্ঠা - ৩৫৪


ইসমাঈল (আ) ভুক্ষিষ্ঠ হন ৷ এ সময় ইবরাহীম (আ)-এর বয়স হয়েছিল ছিয়াশি বছর ৷ এটা
হচ্ছে ইসহাক (আ) এর জন্মের (তর বছর পুর্বের ঘটনা ৷ ইসমাঈল (আ) এর জন্মের পর

আল্লাহ হযরত ইবরাহীম (আ) কে স ৷রাহ্র গর্ভে ইসহাক নামের সন্তান জন্মের সুসং বাদ দেন ৷
ইবরাহীম (আ) খনত আল্লাহর উদ্দেশে গােকরানা সিজদা আদায় করেন ৷ আল্লাহ তাকে জানান
যে, আমি তোমার দুআ ইসমাঈব্লুলর পক্ষে কবুল করেছি ৷ তাকে বরকত দান করেছি ৷ তার

ৎশের বিন্তুতি দান করেছি ৷ তার সন্তানদের মধ্য থেকে বারজন প্রধাব্লুনর জন্ম হবে ৷ তাকে
আমি বিরাট সম্প্রদায়ের প্রধান করব ৷ এটাও এই উম্মণ্ডে তর জন্যে একটা সুসংবা-দ ৷ বারজন
প্রধান হলেন সেই বারজন খলীফাব্লুয় রাশিদা যাদের কথা জাবির ইবন সামুরা সুত্রে বর্ণিত
হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে যে, নবী করীম (সা) বলেছেন, বারজন
আমীর হবে ৷ জাবির (বা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এরপর একটা শব্দ বলেছেন, কিন্তু আমি তা
বুঝতে পারিনি ৷ তাই সে সম্পর্কে আমার পিতার কাছে জিজ্ঞেস করি ৷ তিনি বললেন, রাসুলের
সে শব্দটি হল শুষ্টন্-ন্-ন্ ঠো ৭স্পাহ্র অর্থাৎ তারা সবাই হবেন কুরায়শ গোত্রের লোক ৷ বুখারী
ও মুসলিম এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ৷ অপর এক বর্ণনায় আছে :

ধু

অর্থাৎ এই খিলাফত বারজন খলীফ৷ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত বা শক্তিশালী থাকব্লুব এরা সবাই
হবে কুরায়শ গোত্রের লোক ৷ উক্ত বারজব্লুনর মধ্যে চারজন হলেন প্রথম চার খলীফা আবু বকর
(রা), উমর (রা), উসমান (রা) ও আলী (বা); একজন উমর ইবন আবদুল আযীয (র);
কতিপয় বনী আব্বাসীয় খলীফা ৷ বারজন খলীফা ধারাবাহিকভাবে হতে হবে এমন কোন কথা
নাই, বরং যে ব্লুকানভাব্লুব বারজব্লুনর বিদ্যমান হওয়াটাই জরুরী ৷ উল্লিখিত বারজন ইমাম
রাফিজী সম্প্রদা ব্লুয়র কথিত বার ইমাম’ নয়- যাদের প্রথমজন আ ৷লী ইবন তালিব (বা) আর
শেষ ইমাম মুহাম্মদ ইবন হাসান আসকা রী ৷ এই শেষোক্ত ইমাব্লুমর ব্যাপারে তাদের বিশ্বাস এই
যে, তিনি সামেরার একটি ভুগর্ভস্থ প্রকোষ্ঠ থেকে তিনি বের হয়ে আসব্লুবন এরা তার
প্রতীক্ষায় আছে ৷ কারণ এই ইমামগণ হযরত আলী (রা) ও তার পুত্র হাসান ইবন আ ৷লী (বা)
অপেক্ষা অধিকতর কল্যাণকামী হতে পারেন না ৷ বিশেষ করে যখন স্বয়ং হাসান ইবন আলী
(বা) যুদ্ধ পরিত্যাগ করে হযরত মুআবিয়া (রা) এর অনুকুলে খিলাফত ত্যাগ করেন ৷ যার ফলে
ফিৎনার আগুন নির্বাপিত হয়, মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক গৃহযুদ্ধ বন্ধ হয় ৷ অবশিষ্ট
ইমামগণ তো অন্যদের শাসনাধীন ছিলেন ৷ উম্মব্লু৩ র উপরে ব্লুক ন বিষব্লুয়ই তাদের কোন
আধিপত্য ছিল না ৷ সামিরার ভুগর্ভন্থিত প্রব্লুকাষ্ঠ সম্পর্কে রাফিজীদের যে বিশ্বাসত ৷নিতান্ত
অবাস্তব কল্পনা ও হেয়ালীপনা ছাড়া আর কিছুই নয়, এর কো ন৬ ভিত্তি নেই ৷

হা৷জেরার গর্ভে ইসমাঈল (আ)-এর জন্ম হলে সারাহ্র ঈর্ষা পায় ৷ তিনি হযরত ইবরাহীম
(আ) এর নিকট আবেদন জানান, যাব্লুত হাজেরাব্লুক তার চোখের আড়াল করে দেন ৷ সুতরাং
ইবরাহীম (আ) হাজেরা ও তার পুত্রব্লুক নিয়ে বের হয়ে পড়েন এবং মক্কায় নিয়ে রাখেন ৷ বলা
হয়ে থাকে যে, ইসমাঈল (আ) তখন দুধের শিশু ছিলেন ৷ ইবরাহীম (আ) যখন তাদেরকে


الْفِتْنَةِ، وَسَكَّنَ رَحَى الْحُرُوبِ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَالْبَاقُونَ مِنْ جُمْلَةِ الرَّعَايَا لَمْ يَكُنْ لَهُمْ حُكْمٌ عَلَى الْأُمَّةِ فِي أَمْرٍ مِنَ الْأُمُورِ، وَأَمَّا مَا يَعْتَقِدُونَهُ بِسِرْدَابِ سَامَرَّا فَذَاكَ هَوَسٌ فِي الرُّءُوسِ، وَهَذَيَانٌ فِي النُّفُوسِ لَا حَقِيقَةَ لَهُ وَلَا عَيْنَ وَلَا أَثَرَ. وَالْمَقْصُودُ أَنَّ هَاجَرَ عَلَيْهَا السَّلَامُ لَمَّا وُلِدَ لَهَا إِسْمَاعِيلُ اشْتَدَّتْ غَيْرَةُ سَارَةَ مِنْهَا، وَطَلَبَتْ مِنَ الْخَلِيلِ أَنْ يُغَيِّبَ وَجْهَهَا عَنْهَا، فَذَهَبَ بِهَا وَبِوَلَدِهَا فَسَارَ بِهِمَا حَتَّى وَضَعَهُمَا حَيْثُ مَكَّةَ الْيَوْمَ، وَيُقَالُ: إِنَّ وَلَدَهَا كَانَ إِذْ ذَاكَ رَضِيعًا، فَلَمَّا تَرَكَهُمَا هُنَاكَ وَوَلَّى ظَهْرَهُ عَنْهُمَا قَامَتْ إِلَيْهِ هَاجَرُ وَتَعَلَّقَتْ بِثِيَابِهِ، وَقَالَتْ: يَا إِبْرَاهِيمُ أَيْنَ تَذْهَبُ، وَتَدَعُنَا هَاهُنَا، وَلَيْسَ مَعَنَا مَا يَكْفِينَا؟ فَلَمْ يُجِبْهَا، فَلَمَّا أَلَحَّتْ عَلَيْهِ وَهُوَ لَا يُجِيبُهَا قَالَتْ لَهُ: آللَّهُ أَمَرَكَ بِهَذَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَتْ: فَإِذًا لَا يُضَيِّعُنَا. وَقَدْ ذَكَرَ الشَّيْخُ أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ أَبِي زَيْدٍ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي كِتَابِ النَّوَادِرِ: أَنَّ سَارَةَ تَغَضَّبَتْ عَلَى هَاجَرَ فَحَلَفَتْ لَتَقْطَعَنَّ ثَلَاثَةَ أَعْضَاءٍ مِنْهَا، فَأَمَرَهَا الْخَلِيلُ أَنْ تَثْقُبَ أُذُنَيْهَا وَأَنْ تَخْفِضَهَا فَتَبَرَّ قَسَمُهَا. قَالَ السُّهَيْلِيُّ: فَكَانَتْ أَوَّلَ مَنِ اخْتَتَنَ مِنَ النِّسَاءِ، وَأَوَّلَ مَنْ ثَقَبَتْ أُذُنَيْهَا مِنْهُنَّ، وَأَوَّلَ مَنْ طَوَّلَتْ ذَيْلَهَا.